বৈদেশিক-সম্পর্ক
২১০ কোটি ডলার বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি বেইজিংয়ের
চীন সফরকালে দেশটির সরকার ও চীনা কোম্পানিগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশের জন্য ২১০ কোটি ডলারের বিনিয়োগ, ঋণ ও অনুদানের প্রতিশ্রুতি পেয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
ঢাকায় নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন ও বাংলাদেশের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, প্রধান উপদেষ্টা চীনের বেসরকারি উদ্যোক্তাদের বাংলাদেশের উৎপাদন খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানানোর পর দেশটির প্রায় ৩০টি কোম্পানি (বাংলাদেশের) বিশেষ চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলে ১০০ কোটি ডলার বিনিয়োগের অঙ্গীকার করেছে।
এছাড়া মোংলা বন্দর আধুনিকীকরণ প্রকল্পে আরও প্রায় ৪০ কোটি ডলার, চীনা শিল্প অর্থনৈতিক অঞ্চলের উন্নয়নে ৩৫ কোটি ডলার এবং প্রযুক্তিগত সহায়তা হিসেবে আরও ১৫ কোটি ডলার ঋণ দেওয়ার পরিকল্পনা করেছে। বাকি অর্থ অনুদান ও অন্যান্য ঋণ সহায়তা হিসেবে আসবে।
আরও পড়ুন: ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ১ চুক্তি, ৮ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের প্রসঙ্গ উল্লেখ করে চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেছেন, ‘এটি একটি গুরুত্বপূর্ণ মাইলফলক সফর।’
বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (বিডা) এবং বাংলাদেশ অর্থনৈতিক অঞ্চল কর্তৃপক্ষের (বেজা) নির্বাহী চেয়ারম্যান আশিক চৌধুরী বলেন, এই সফর বাংলাদেশে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির নতুন দিগন্ত উন্মোচন করতে পারে।
দ্বিপাক্ষিক বৈঠককালে চীনের প্রেসিডেন্টকে চীনা বেসরকারি কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ‘সবুজ সংকেত’ দেওয়ার অনুরোধ জানান ড. ইউনূস।
শি চীনা কোম্পানিগুলোকে বাংলাদেশে তাদের উৎপাদন কারখানা স্থানান্তরে উৎসাহিত করবেন বলে আশ্বস্ত করেছেন বলে জানিয়েছেন আশিক চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এই সফর অনেক চীনা কোম্পানিকে বাংলাদেশে বিনিয়োগে রাজি করাতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে। এটি কেবল সময়ের ব্যাপার।’
আরও পড়ুন: সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনা প্রেসিডেন্টের, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস
আজ (শুক্রবার) বেইজিংয়ে ড. ইউনূস ও আশিক চৌধুরী বিশ্বের কয়েকটি বৃহত্তমসহ শতাধিক চীনা কোম্পানির কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন, যেখানে বাংলাদেশে উৎপাদন খাতে বিশেষ করে উন্নত টেক্সটাইল, ওষুধশিল্প, হালকা প্রকৌশল ও নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
তিনটি ইন্টারঅ্যাকটিভ সেশনে তারা বক্তব্য রাখেন। এ ব্যাপারে আশিক চৌধুরী বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আমরা অত্যন্ত ইতিবাচক সাড়া পেয়েছি।’
২৭৫ দিন আগে
ঢাকা-বেইজিংয়ের মধ্যে ১ চুক্তি, ৮ সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর
বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে অর্থনৈতিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতার বিষয়ে একটি চুক্তি ও আটটি সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষরিত হয়েছে।
প্রধান উপদেষ্টার চার দিনের চীন সফরের তৃতীয় দিন শুক্রবার (২৮ মার্চ) দুই দেশের মধ্যে এই চুক্তি ও স্মারকগুলো স্বাক্ষরিত হয়।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে প্রকাশিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।
সমঝোতা স্মারকগুলোর মধ্যে রয়েছে দুই দেশের কালজয়ী সাহিত্য ও শিল্পকর্মের অনুবাদ ও সৃজন, সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য ও খবর আদান-প্রদান, গণমাধ্যম, ক্রীড়া এবং স্বাস্থ্য খাতে বিনিময় সহযোগিতা।
এর পাশাপাশি, প্রধান উপদেষ্টার চীন সফরে দুই দেশের মধ্যে পাঁচটি বিষয়ে সহযোগিতার আনুষ্ঠানিক ঘোষণা হয়েছে।
এগুলো হলো— বিনিয়োগ আলোচনা শুরু করা, চীনের বিশেষায়িত অর্থনৈতিক অঞ্চল চালু, মোংলা বন্দরের আধুনিকীকরণ ও সম্প্রসারণ, একটি রোবট ফিজিওথেরাপি ও পুনর্বাসন কেন্দ্র নির্মাণ এবং একটি কার্ডিয়াক সার্জারি গাড়ি অনুদান।
২৭৫ দিন আগে
সুদহার কমাতে ইতিবাচক সাড়া চীনা প্রেসিডেন্টের, পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনায় সহযোগিতার আশ্বাস
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে প্রতিনিধি দলের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশের উত্থাপিত বিষয়গুলো চীন গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করবে বলে জানিয়েছেন চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং।
শুক্রবার (২৮ মার্চ) দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে চীনা প্রেসিডেন্ট এ কথা বলেন।
ড. ইউনূসের সঙ্গে চীনের প্রেসিডেন্টের বৈঠককে অত্যন্ত সফল উল্লেখ করে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ইউএনবিকে বলেন, ‘দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে বাংলাদেশ বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করেছে। এরমধ্যে বাংলাদেশকে দেওয়া চীনা ঋণের সুদের হার কমানো ও পানিসম্পদ ব্যবস্থাপনায় দেশটির সহযোগিতা চাওয়ার বিষয়টি ছিল।’
আলম বলেন, ‘বৈঠকে আলোচনা অত্যন্ত আন্তরিকতাপূর্ণ, গঠনমূলক ও ফলপ্রসূ হয়েছে।’
প্রেসসচিব বলেন, চীনের প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও অধ্যাপক ইউনূসের প্রতি তার সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেছেন।
আলম বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টার এটি ছিল প্রথম দ্বিপক্ষীয় বিদেশ সফর। এখন পর্যন্ত এটি একটি বড় সফলতা।’
প্রেসিডেন্ট শি বলেছেন, বাংলাদেশে বিনিয়োগ ও কারখানা স্থাপনে চীন তার দেশের উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও বিনিয়োগকারীদের উৎসাহিত করবে।
আলম বলেন, প্রেসিডেন্ট শি ফুজিয়ান প্রদেশের গভর্নর থাকাকালীন দুইবার বাংলাদেশ সফর করেছেন এবং ক্ষুদ্রঋণ নিয়ে তিনি পড়াশোনা করেছেন—সে কথাও উল্লেখ করেন তিনি।
প্রেসিডেন্ট শির উদ্বৃতি দিয়ে শফিকুল আলম বলেন, তিনি বাংলাদেশি আম ও কাঁঠাল খেয়েছেন। ‘এগুলো সুস্বাদু।’ আশা করা হচ্ছে বাংলাদেশ আগামী মৌসুমে এই দুটি ফল চীনে প্রচুর পরিমাণে রপ্তানি করবে।
চীনা প্রেসিডেন্ট ও প্রধান উপদেষ্টা চীনের পিপলস গ্রেট হলে করা বৈঠকে আঞ্চলিক ও বৈশ্বিক বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: সয়াবিন তেলের সরবরাহ ঠিক রাখতে কাজ করছে সরকার: শফিকুল আলম
তারা দুই দেশের সম্পর্ককে জোরদার করা ও ঢাকা-বেইজিংয়ের পারস্পরিক ও কৌশলগত স্বার্থকে এক নতুন উচ্চতায় নেওয়ার উপায় নিয়েও আলোচনা করেছেন।
উভয়পক্ষ বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে কৌশলগত দ্বিপক্ষীয় বিষয়, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বাড়ানো, কৃষি, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি খাতের সহযোগিতা ও রোহিঙ্গা সমস্যার সমাধানের পাশাপাশি পারস্পরিক স্বার্থের সামগ্রিক বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছেন। এটিকে পারস্পরিক সম্পর্কের একটি নতুন অধ্যায় হিসেবে দেখা হচ্ছে।
বৈঠকে ড. ইউনূস দুদেশের মধ্যে শান্তি, সমৃদ্ধি ও স্থিতিশীলতা প্রতিষ্ঠায় চীনের ব্যাপক ভূমিকা প্রত্যাশা করেছেন। তিনি বাংলাদেশ ও জনগণের পক্ষ থেকে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংকে আন্তরিক শুভেচ্ছা জানান।
চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের দীর্ঘ সম্পর্কের কথা স্মরণ করে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, গ্রামীণ ব্যাংক ও সামাজিক ব্যবসা শুরু করার ক্ষেত্রে চীনের সঙ্গে তার সম্পর্ক ছিল।
বৈঠকে তিনি রোহিঙ্গা সংকটের ওপর গুরুত্বারোপ করে তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে নিরাপদ ও মর্যাদাপূর্ণ প্রত্যাবাসনে চীনের জোরালো ভূমিকা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার উপপ্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার ইউএনবিকে বলেন, পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন, বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ; সড়ক পরিবহন ও সেতু এবং রেলপথ উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, এসডিজি বিষয়ক প্রধান সমন্বয়কারী এবং সিনিয়র সচিব লামিয়া মোর্শেদ, প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান, চীনে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত মো. নাজমুল ইসলাম এবং বিডার নির্বাহী চেয়ারম্যান চৌধুরী আশিক বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে ছিলেন।
চীনা প্রতিনিধি দলে ছিলেন, চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই ও বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনা রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
এদিন সকালে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস গ্রেট হল অব চায়নায় পৌঁছালে তাকে গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
এর আগে চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিনপিংয়ের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করতে বৃহস্পতিবার রাতে ড. ইউনূস বেইজিং পৌঁছেন।
আরও পড়ুন: স্টারলিংক এলে আর কেউ ইন্টারনেট বন্ধ করতে পারবে না: শফিকুল আলম
২৭৬ দিন আগে
রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তার বিষয়ে সিদ্ধান্ত পরিবর্তন
বাংলাদেশের আশ্রয় শিবিরে বাস করা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য খাদ্য সহায়তা কমানোর সিদ্ধান্ত থেকে সরে এসেছে জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি-ডব্লিউএফপি।
এবারে কক্সবাজারের উপকূলে বিভিন্ন ক্যাম্পের বাসিন্দাদের জনপ্রতি মাসিক বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে ১২ ডলার করে, যা আগে ছিল সাড়ে ১২ ডলার।
শরণার্থী, ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান বলেন, ‘ডব্লিউএফপি এক চিঠিতে এ সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছে। সিদ্ধান্তটি কার্যকর হবে আগামী ১ এপ্রিল থেকে।
ভাসানচরে যেসব রোহিঙ্গা বসবাস করছেন তারা পাবেন জনপ্রতি ১৩ ডলার করে। কক্সবাজারে যারা বসবাস করছেন তাদের চেয়ে এক ডলার বেশি।
গত ৫ মার্চ বাংলাদেশের শরণার্থী কমিশনের কাছে খাদ্য সহায়তা কমানো সংক্রান্ত একটি চিঠি দিয়েছিল ডব্লিউএফপি।
ডব্লিউএফপি তহবিল সংকটের কারণে বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য এপ্রিল থেকে মাসিক খাবারের বরাদ্দ সাড়ে ১২ ডলার থেকে কমিয়ে জনপ্রতি ৬ ডলার করার কথা বলা হয় ওই চিঠিতে।
এরপর ১৪ মার্চ জাতিসংঘ মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস রোহিঙ্গা আশ্রয়শিবির পরিদর্শন করেন। এ সময় তার কাছে তুলে ধরা হয় ৬ ডলারে রোহিঙ্গারা আসলে কী পরিমাণ খাবার পাবেন। এর পরই এমন সিদ্ধান্ত জানাল জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি-ডব্লিউএফপি।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ মহাসচিবের ইফতার মাহফিলে পদপিষ্ট হয়ে ১ রোহিঙ্গা নিহত
২৭৬ দিন আগে
রাশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ৭০ হাজার টন সার কিনছে সরকার
রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে চুক্তির আওতায় রাশিয়া ও সৌদি আরব থেকে ৭০ হাজার টন সার আমদানির অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে মোট ব্যয় হবে ৪১৮ কোটি ৩৫ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকা। এর মধ্যে রাশিয়া থেকে ৩০ হাজার টন এমওপি সার এবং সৌদি আরব থেকে ৩০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির করা হবে।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) সচিবালয়ে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সরকারি ক্রয়-সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির বৈঠকে এ ব্যাপারে দুটি পৃথক প্রস্তাবের অনুমোদন দেওয়া হয়েছে।
বৈঠক সূত্রে জানা গেছে, কৃষি মন্ত্রণালয়ের প্রস্তাবের পরিপ্রেক্ষিতে রাষ্ট্রীয় পর্যায়ে মা আদেন সৌদি আরব ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় চতুর্থ লটের ৪০ হাজার টন ডিএপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার। এতে ব্যয় ধরা হয়েছে ৩০৬ কোটি ২২ লাখ টাকা। সৌদি আরবের মা আদেন থেকে প্রতি টন সার ৬২৭.৫০ ডলারে কেনা হবে।
এছাড়া রাশিয়ার বিদেশি অর্থনৈতিক করপোরেশন (প্রোডিন্টর্গ) ও বাংলাদেশ কৃষি উন্নয়ন করপোরেশনের (বিএডিসি) মধ্যে স্বাক্ষরিত চুক্তির আওতায় নবম লটের ৩০ হাজার টন এমওপি সার আমদানির প্রস্তাব অনুমোদন দিয়েছে সরকার।
রাশিয়র প্রোডিন্টর্গ থেকে আনা প্রতি টন সারের দাম পড়বে ৩০৬.৩৭ ডলার। এতে মোট খরচ হবে ১১২ কোটি ১৩ লাখ ১৪ হাজার ২০০ টাকা।
২৭৬ দিন আগে
জ্বালানি অনুসন্ধানে মস্কোর সহযোগিতা চায় ঢাকা
তেল-গ্যাস উত্তোলন ও বাণিজ্যের রুশ প্রতিষ্ঠান গ্যাজপ্রম বাংলাদেশের সমুদ্র ও সমতল এলাকায় আরও গ্যাস অনুসন্ধান কার্যক্রম চালাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। অপরদিকে, রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ গম ও সার আমদানি করবে বলে জানিয়েছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৭ মার্চ) চীনের রিসোর্ট শহরে বোয়াও ফোরাম ফর এশিয়া সম্মেলনের ফাঁকে রাশিয়ার উপ-প্রধানমন্ত্রী আলেক্সি ওভারচুকের সঙ্গে এক বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।
বৈঠকে উভয় দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন নেতারা। এর মধ্যে রাশিয়ার অর্থায়নে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের বিষয়টি স্থান পায়। এছাড়া রাশিয়া থেকে বাংলাদেশ গম ও সার আমদানি এবং বাংলাদেশে সমুদ্র ও সমতল ভূমিতে গ্যাস অনুসন্ধানে গ্যাজপ্রমের অনুসন্ধান কার্যক্রম পরিচালনার আগ্রহের বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করা হয়।
প্রধান উপদেষ্টার উপ-প্রেস সচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার বলেন, ‘অধ্যাপক ইউনূস বলেছেন, ঢাকায় একটি ব্যাংক হিসাবের মাধ্যমে অর্থ পরিশোধের মধ্যে দিয়ে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আর্থিক সমস্যাগুলো সমাধান করা হয়েছে। চলতি বছরের শেষ দিকে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন শুরু করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: স্টারলিংক বাংলাদেশের ডিজিটাল জগতে বিপ্লব আনবে: প্রধান উপদেষ্টা
আলেক্সি ওভারচুক দুদেশের মানুষের মধ্যে পারস্পরিক যোগাযোগ বাড়ানোর ওপর জোর দেন। এছাড়া রাশিয়ায় আরও বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার সুযোগ করে দিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, বাংলাদেশে আরও বেশি সার ও গম রপ্তানি করতে আগ্রহী রাশিয়া।
এ সময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, জ্বালানি ও পরিবহন উপদেষ্টা ফাওজুল কবির খান ও প্রধান উপদেষ্টার উচ্চ প্রতিনিধি ড. খলিলুর রহমান বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
২৭৬ দিন আগে
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ ভারত: ড. ইউনূসকে মোদি
বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে পাঠানো বার্তায় শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন ভারতের রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু ও প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি।
প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পাঠানো এক বার্তায় মোদি বলেন, শান্তি, স্থিতিশীলতা ও সমৃদ্ধির জন্য আমাদের (দুদেশের) যে আকাঙ্ক্ষা, তার দ্বারা পরিচালিত হয়ে এবং একে অপরের স্বার্থ ও উদ্বেগের প্রতি পারস্পরিক সংবেদনশীলতার ভিত্তিতে আমরা এই অংশীদারত্বকে এগিয়ে নিতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও জাতীয় দিবসে ড. ইউনূস ও এদেশের জনগণকে অভিনন্দন জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী।
তিনি বলেন, এই দিনটি আমাদের অভিন্ন ইতিহাস ও ত্যাগের সাক্ষ্য হিসেবে দাঁড়িয়ে আছে, যা আমাদের দ্বিপাক্ষিক অংশীদারত্বের ভিত্তি স্থাপন করেছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের চেতনা দুদেশের সম্পর্কের পথপ্রদর্শক হিসেবে অব্যাহত থাকবে। বিভিন্ন ক্ষেত্রে এটি বিকশিত হয়েছে এবং দুদেশের জনগণের জন্য সত্যিকারের কল্যাণ বয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: জাতীয় স্মৃতিসৌধে প্রধান উপদেষ্টার শ্রদ্ধা নিবেদন
দেশটির রাষ্ট্রপতি দ্রৌপদী মুর্মু বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনকে পাঠানো বার্তায় বলেন, ‘ভারতের সরকার, জনগণ এবং আমার পক্ষ থেকে আপনাদের জাতীয় দিবস উপলক্ষে আপনাকে এবং বাংলাদেশের বন্ধুপ্রতিম জনগণকে উষ্ণ শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্ককে বহুমুখী উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাণিজ্য, বহুমুখী যোগাযোগ, উন্নয়ন অংশীদারত্ব, বিদ্যুৎ ও জ্বালানি, শিক্ষা, সক্ষমতা বৃদ্ধি, সাংস্কৃতিক সহযোগিতা এবং জনগণের মধ্যে যোগাযোগ বৃদ্ধির মতো বিভিন্ন ক্ষেত্রে দুদেশের পারস্পরিক সহযোগিতা রয়েছে।
ভারতের রাষ্ট্রপতি বলেন, ভারতের ‘প্রতিবেশী আগে’ ও ‘অ্যাক্ট ইস্ট’ নীতির কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে বাংলাদেশ। এছাড়া রয়েছে আমাদের সাগর মতবাদ ও ইন্দো-প্যাসিফিক ভিশন।
গণতান্ত্রিক, স্থিতিশীল, অন্তর্ভুক্তিমূলক, শান্তিপূর্ণ ও প্রগতিশীল বাংলাদেশের প্রতি ভারতের সমর্থন পুনর্ব্যক্ত করেন তিনি।
২৭৮ দিন আগে
অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের ফেরাতে চুক্তি
অস্ট্রেলিয়ায় অবৈধভাবে প্রবেশের চেষ্টা করা বাংলাদেশিদের দ্রুত ফিরিয়ে আনতে স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর (এসওপি) সই করেছে বাংলাদেশ।
সোমবার (২৪ মার্চ) সচিবালয়ে বাংলাদেশ ও অস্ট্রেলিয়া সরকারের মধ্যে সমুদ্র পথে বাংলাদেশ থেকে অবৈধভাবে অস্ট্রেলিয়া গমনকারীদের দ্রুত প্রত্যাবর্তন সংক্রান্ত 'স্ট্যান্ডার্ড অপারেটিং প্রসিডিউর ফর দ্য রিটার্ন অব বাংলাদেশি সিটিজেন্স টু বাংলাদেশ' সই হয়।
বাংলাদেশের পক্ষে এতে সই করেন পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম। অস্ট্রেলিয়ার পক্ষে সই করেন অস্ট্রেলিয়ার জয়েন্ট এজেন্সি টাস্কফোর্সের ডেপুটি কমান্ডার মার্ক হোয়াটচার্চ।
আরও পড়ুন: খনিজ চুক্তি সই না করেই হোয়াইট হাউস ছাড়লেন জেলেনস্কি
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী।
অনুষ্ঠান শেষে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি সাংবাদিকদের বলেন, 'অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্সের একটা টিম এসেছে বাংলাদেশে। সীমান্ত, ভিসা ইত্যাদি সমস্যা এবং আমাদের আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়ে আলাপ করার জন্য তারা এসেছেন।’
তিনি বলেন, ‘অস্ট্রেলিয়া লাগোয়া অনেকগুলো দেশ রয়েছে। ইন্দোনেশিয়া ও মালয়েশিয়া কাছাকাছি দেশ। যেখান থেকে খুব দ্রুত নৌপথে সেখানে চলে যাওয়া যায়। স্থলপথে তারা অস্ট্রেলিয়ার কাছাকাছি গিয়ে নৌপথে অস্ট্রেলিয়া যাওয়ার চেষ্টা করত। সাধারণত তারা ধরে যে দেশের লোক সেখানে তারা পাঠিয়ে দেয়। আমাদের ক্ষেত্রে সেটা করার কথা। কিন্তু তারা যেহেতু আমাদের সঙ্গে সম্পর্কটার মূল্য দেয়, তাই তারা এসেছে যে এটার কি করা যায়।'
নাসিমুল গনি বলেন, 'আমরা বললাম, স্ট্যান্ডার্ড যে প্রসেডিং আছে সেটা ঠিক আছে। এর সঙ্গে উৎস দেখা দরকার যে, মানুষ কেন দৌড়াচ্ছে সেখানে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ভুল বুঝিয়ে সেখানে নিয়ে গেছে। অস্ট্রেলিয়া কোনো ব্যাপার না, ওয়ান-টুতে তোমাকে নিয়ে যাচ্ছি- এসব বলে লোকগুলোকে নিয়ে যাচ্ছে। ওখানে গিয়ে দেখতেছে কি বিপদে তারা পড়েছে!'
মূলত দালালদের খপ্পরে পড়ে তারা এই অবস্থায় এসেছে। অবৈধ প্রবেশের সময় তারা তাদের ধরেছে বলে জানান নাসিমুল গনি।
স্বরাষ্ট্র সচিব বলেন, ইতোমধ্যে কেউ ঘর-বাড়ি বিক্রি করেছে। কেউ জমি বিক্রি করেছে, টাকা ধার করেছে, মোটামুটি সর্বস্বান্ত হয়েছে। এই গল্পগুলো তারা সেখানে শুনেছে। তারা বিস্তারিত অনেক অনুশীলন করেছে।
তিনি বলেন, 'আমরা পরস্পর একমত হয়েছি যে, যখন জানবো যে আমাদের দেশের লোক তখন তাদের আমরা গ্রহণ করব। কি পদ্ধতিতে আমরা তাদের গ্রহণ করব, সেটার কার্যক্রমের অংশটি আজকে সই হয়েছে।'
এ চুক্তির আওতায় ফিরিয়ে আনার প্রক্রিয়া কি জানতে চাইলে সিনিয়র সচিব বলেন, 'তারা প্রথমে আমাদের কাছে নাম পাঠাবে। নাম এই, ঠিকানা এই, আমরা তখন তদন্ত করব যে এই নামে আসলে কেউ আছে কিনা। সত্যি সে বিদেশে আছে কিনা। যখন আমরা দেখব এই নামে একটা লোক আছে, ছবিটাও মিলছে, তখন আমরা বলব ঠিক আছে তোমরা কবে পাঠাবো বলো। তারা পাঠালে পরে আমরা এদের গ্রহণ করব।'
তিনি বলেন, 'তারা (বাংলাদেশি) এখন সেখানে বিভিন্ন জায়গায় ডিটেনশন সেন্টারে আছে। তারা উপলব্ধি করেছে এই লোকগুলো পরিস্থিতির শিকার। আমরা এখন কিভাবে সমাজের লোকগুলোকে পুনর্বাসন করতে পারি। অন্যভাবে বলা যায়, আমরা কিভাবে তাদের ক্ষতিপূরণ করতে পারি। এটাতে সহযোগিতা দেওয়ার জন্য একটা অঙ্গীকার করেছি।'
আরও পড়ুন: গাম্বিয়ার সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি কূটনৈতিক বিনিময়কে উৎসাহিত করবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
ক্ষতিপূরণের ক্ষেত্রে কি কোনো আর্থিক মূল্য থাকবে কিনা- এ বিষয়ে নাসিমুল গনি বলেন, 'পুনর্বাসনের প্রক্রিয়াটা আমরা আর্থিক মূল্য দিয়ে হিসাব করতে যাব না। এ বিষয়ে তো আন্তর্জাতিক কতগুলো নিয়ম আছে। সেটার বিষয়ে উভয়পক্ষ যেভাবে একমত হয়, সর্বোচ্চ যতটুকু সুবিধা আমরা নিতে পারি। অন্য যারা এভাবে পাঠিয়ে দেয়, তাদের কাছ থেকে কোনো ধরনের কিছু পেতাম না। এটাতো আমার হাতে একটা উদাহরণ এসে গেল।'
তিনি বলেন, 'আমি বলতে পারি এটা আমার জানামতে প্রথম এই ধরনের কোনো চুক্তি। আমার জানার ভুল হতে পারে। এক্ষেত্রে হবে যে কি কারণে এটা হচ্ছে, সেগুলো অনুসন্ধান করে যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়ার চেষ্টা করা হবে।'
২৭৯ দিন আগে
বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ড. ইউনূস
তরুণ উদ্যোক্তাদের অনুপ্রাণিত করবে এমন ফোরাম বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে প্রধান বক্তা হিসেবে যোগ দেবেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
আগামী ৩ এপ্রিল আইকনসিয়ামে অনুষ্ঠিতব্য বিমসটেক ইয়াং জেন ফোরামে (তরুণ প্রজন্ম সম্মেলনে) তরুণ ব্যবসায়ী নেতাদের ধারণা বিনিময় এবং ব্যবসায়িক ক্ষেত্রে তাদের দক্ষতা অন্বেষণের জন্য আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।
২ থেকে ৪ এপ্রিলের মধ্যে থাইল্যান্ডের ষষ্ঠ বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলন এবং এ সম্পর্কিত বৈঠকের অংশ এই সম্মেলন।
আরও পড়ুন: স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় প্রস্তুত থাকুন: ড. ইউনূস
অনুষ্ঠানের আয়োজকরা জানান, ড. ইউনূস বিমসটেক সদস্য দেশগুলোতে তরুণদের জন্য তাদের সহযোগিতা ও মেধা বিকাশের জন্য কার্যক্রম এগিয়ে নেওয়ার ক্ষেত্রে মূল ব্যক্তি।
ড. ইউনূস তার অসামান্য অর্জনের জন্য অর্থনীতিবিদ হিসেবে আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত।
দরিদ্রদের ক্ষমতায়নে তিনি ক্ষুদ্রঋণ ধারণার প্রবর্তন করেন, যাতে তারা উদ্যোক্তা হতে পারে।
ড. ইউনূস ১৯৮৩ সালে গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠা করেন।
তার উদ্দেশ্য ছিল বাংলাদেশের দরিদ্র মানুষকে দারিদ্র্যমুক্ত করা। ২০০৬ সালে তিনি গ্রামীণ ব্যাংক প্রতিষ্ঠার জন্য নোবেল শান্তি পুরস্কার পান।
আগামী ৪ এপ্রিল ব্যাংককে অনুষ্ঠেয় বিমসটেক শীর্ষ সম্মেলনে যোগ দেওয়ার কথা রয়েছে ড. ইউনূসের।
কর্মকর্তারা জানান, থাইল্যান্ড বে অব বেঙ্গল ইনিশিয়েটিভ ফর মাল্টিসেক্টরাল টেকনিক্যাল অ্যান্ড ইকোনমিক কো-অপারেশনের (বিমসটেক) ষষ্ঠ শীর্ষ সম্মেলনের আয়োজন করবে এবং বাংলাদেশ সেখানে বিমসটেকের পরবর্তী সভাপতির দায়িত্ব নেবে।
আরও পড়ুন: মার্চেই রোহিঙ্গা ক্যাম্প পরিদর্শনে যাচ্ছেন জাতিসংঘ মহাসচিব ও ড. ইউনূস
থাইল্যান্ড ২০২২ সালের ৩০ মার্চ শ্রীলঙ্কার কাছ থেকে বিমসটেকের সভাপতির দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
বাংলাদেশ, ভুটান, ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, শ্রীলঙ্কা ও থাইল্যান্ড এই সাতটি সদস্য দেশ নিয়ে বিমসটেক গঠিত।
বিমসটেকের সেক্রেটারি জেনারেল ইন্দ্র মণি পান্ডে সম্প্রতি বলেছেন, এই শীর্ষ সম্মেলন কিছু উল্লেখযোগ্য ফলাফল বয়ে আনবে। তিনি বলেন, ‘এটি বিমসটেকের ভবিষ্যতের জন্য একটি দিকনির্দেশনা নির্ধারণ করবে।’
২৮২ দিন আগে
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় বাংলাদেশ-নেপালের একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার
জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশ সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ করার অঙ্গীকার করেছে বাংলাদেশ ও নেপাল।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) অন্তর্বর্তী সরকারের পরিবেশ, বন ও জলবায়ু উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসানের সঙ্গে বাংলাদেশে নিযুক্ত নেপালের রাষ্ট্রদূত ঘনশ্যাম ভান্ডারির এক বৈঠকে এই অঙ্গীকার ও আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে।
পরিবেশ মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও পরিবেশগত ইস্যুতে বাংলাদেশ ও নেপাল দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার করবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
এ সময় এ বছরের মে মাসে নেপালে আয়োজিত হতে চলা ‘সাগরমাথা সম্মেলনে’ যোগ দিতে পরিবেশ উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানান নেপালের রাষ্ট্রদূত।
আরও পড়ুন: জলাবদ্ধতা নিরসনে খাল খনন চলমান থাকবে: পানি সম্পদ উপদেষ্টা
জলবায়ু পরিবর্তন ও টেকসই উন্নয়ন নিয়ে বৈশ্বিক এই সংলাপে পর্বতসমৃদ্ধ দেশসহ বিশ্বনেতা, জাতিসংঘ ও বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধিরা অংশ নেবেন বলেও জানান তিনি।
রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণকে স্বাগত জানিয়েছেন উপদেষ্টা রিজওয়ানা হাসান। এই সম্মেলনের গুরুত্ব তুলে ধরার পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট কার্যালয়ের সঙ্গে আলোচনা করে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানাবেন বলেও নেপালের রাষ্ট্রদূতকে অবহিত করেন তিনি।
রাষ্ট্রদূত ভান্ডারি জলবায়ু ও পরিবেশগত ইস্যুতে বাংলাদেশ-নেপাল সহযোগিতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ এবং বাংলাদেশি প্রতিনিধিদের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করতে পূর্ণ সহায়তার আশ্বাস দেন।
বৈঠকে বাংলাদেশ, নেপাল ও ভুটানের অংশগ্রহণে তিন জাতির পরিবেশ-বিষয়ক একটি বৈঠকের সম্ভাবনা নিয়েও আলোচনা হয়।
বৈঠক শেষে জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলা ও পরিবেশ সংরক্ষণে একসঙ্গে কাজ চালিয়ে যাওয়ার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেন পরিবেশ উপদেষ্টা ও নেপালের রাষ্ট্রদূত।
২৮৩ দিন আগে