বৈদেশিক-সম্পর্ক
বাংলাদেশের চলমান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকা নেই: ট্রাম্প
বাংলাদেশের চলমান ইস্যুতে যুক্তরাষ্ট্রের কোনো ধরনের সম্পৃক্ততা নেই বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
তিনি বলেছেন, ‘বাংলাদেশের বিষয়টি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির (ভারতের প্রধানমন্ত্রী) ওপর ছেড়ে দেব।’
হোয়াইট হাউসের ওভাল অফিসে স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ডোনাল্ড ট্রাম্প ও নরেন্দ্র মোদির দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে মোদির সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
সংবাদ সম্মেলনে বাংলাদেশ ইস্যু নিয়ে করা একটি প্রশ্ন এড়িয়ে যান ট্রাম্প। এ সময় ভারত-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক ও দুই দেশের বাণিজ্য নিয়ে আলোচনা করেন দুই নেতা।
৩১৮ দিন আগে
দুবাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে প্রবাসী বাংলাদেশিদের একটি অনুষ্ঠানে যোগ দেন। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ে বসবাসরত প্রবাসী বাংলাদেশিরা এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করেন।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনও অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
প্রধান উপদেষ্টা ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটে যোগ দিতে দুবাই সফর করছেন।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের ভাইস প্রেসিডেন্ট ও প্রধানমন্ত্রী এবং দুবাইয়ের শাসক শেখ মোহাম্মদ বিন রশিদ আল মাকতুম এই সম্মেলনে অংশগ্রহণের জন্য প্রধান উপদেষ্টাকে আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: দুবাই সামিটে এআই নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সহযোগিতায় জোর প্রধান বিচারপতির
'শেপিং ফিউচার গভর্নমেন্টস' প্রতিপাদ্য নিয়ে তিন দিনব্যাপী ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্ট সামিটটি অনুষ্ঠিত হয়েছে।
শীর্ষ সম্মেলনটি ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু হয়েছে। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার, আন্তর্জাতিক সংস্থা, চিন্তাবিদ এবং বেসরকারি খাতের নেতাদের একত্রিত করেছে। সম্মেলনটি আন্তর্জাতিক সহযোগিতা জোরদার এবং ভবিষ্যতের চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য উদ্ভাবনী সমাধান চিহ্নিত করাসহ সর্বোপরি পরবর্তী প্রজন্মের সরকারগুলোকে অনুপ্রাণিত ও ক্ষমতায়িত করে।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে দুবাইয়ে প্রধান উপদেষ্টা
৩১৮ দিন আগে
দুবাই সামিটে এআই নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সহযোগিতায় জোর প্রধান বিচারপতির
দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাসহ (এআই) অন্যান্য আধুনিক প্রযুক্তি নিয়ন্ত্রণে বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা যখন ভবিষ্যতের কথা ভাবি, তখন অবশ্যই এই চ্যালেঞ্জগুলোর বৈশ্বিক প্রকৃতিও আমাদের বিবেচনায় নিতে হবে। এআই ও আধুনিক প্রযুক্তিগুলো কোনো দেশের সীমা বা নিয়ন্ত্রণ মানে না। তবে বৈশ্বিক সহযোগিতার মাধ্যমে আমরা এআই নিয়ন্ত্রণে এমন একটি পরিবেশ সৃষ্টি করতে পারি, যা একই সঙ্গে উদ্ভাবনী ও ন্যায়সঙ্গত।’
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে অনুষ্ঠিত গ্লোবাল গভর্নমেন্ট সামিটের ওয়ার্ল্ড রেগুলেটরি ফোরামে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অনুষ্ঠানে মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন প্রধান বিচারপতি। এ সময় তিনি আধুনিক প্রযুক্তি, বিশেষ করে এআইয়ের চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়ে নিজের অভিমত তুলে ধরেন। পাশাপাশি বিশ্বজুড়ে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে প্রয়োজনীয় আইনি কাঠামো তৈরিতে রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট ও বৈশ্বিক সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
তিনি বলেন, ‘এআই ব্যবহার করে কঠোর রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট ও রেগুলেটরি স্যান্ডবক্স ব্যবহারের মাধ্যমে আমরা এমন একটি পরিবেশ গড়ে তুলতে পারি, যা নমনীয়, স্থিতিশীল ও দ্রুত পরিবর্তনশীল বিশ্বের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সক্ষম হবে।’
‘শুধু কারিগরি বা আইনি চ্যালেঞ্জ নয়, এটি নৈতিক দায়িত্বও বটে। আমরা যখন ভবিষ্যতের নিয়ন্ত্রক কাঠামো গড়ে তুলছি, তখন আমাদের অবশ্যই নিশ্চিত করতে হবে যে এটি শুধু বর্তমানের স্বার্থ রক্ষা করবে না, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের প্রয়োজনও মেটাবে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, আধুনিক রেগুলেটরি মেকানিজম এমনভাবে ডিজাইন করতে হবে যেন তা সচল, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও ক্রমবর্ধমান প্রযুক্তিগত জটিলতার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে সক্ষম হয়।
বিভিন্ন খাতে এআইয়ের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে সৈয়দ রেফাত আহমেদ বলেন, এআই ইতোমধ্যে স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা, অর্থনীতি ও প্রশাসনসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন এনেছে। তবে এর পাশাপাশি এটি গুরুত্বপূর্ণ নৈতিক, আইনি ও নিয়ন্ত্রণের চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি করেছে।
তিনি বলেন, এআইয়ের প্রয়োগ বৈশ্বিকভাবে প্রভাব বিস্তার করতে সক্ষম বিধায় এর ব্যবহার নিয়ন্ত্রণে একটি সম্মিলিত নিয়ন্ত্রণ পদ্ধতি প্রয়োজন। তাই এ বিষয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের নীতিনির্ধারক ও নেতাদের সমন্বিত প্রচেষ্টা চালাতে হবে।
রেগুলেটরি ইমপ্যাক্ট অ্যাসেসমেন্ট প্রণয়নের ক্ষেত্রে ভবিষ্যতে সময়ের আবর্তে প্রযুক্তিগত পরিবর্তনের সঙ্গে সঙ্গে তা যেন সামঞ্জস্যপূর্ণ হয় সে বিষয়ে বিশ্বনেতাদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন প্রধান বিচারপতি।
নতুন প্রযুক্তি পরীক্ষা ও নিয়ন্ত্রক কাঠামোর পরিমার্জনে রেগুলেটরি মেকানিজম অপরিহার্য বলে উল্লেখ করেন তিনি। প্রযুক্তিগত অগ্রগতির সঙ্গে তাল মিলিয়ে আইন প্রণয়নের জন্য উদ্ভাবনী রেগুলেটরি টুলগুলো ব্যাপকভাবে গ্রহণের আহ্বানও জানান প্রধান বিচারপতি।
তিনি বলেন, এআই কিংবা এ ধরনের অন্য কোনো আধুনিক প্রযুক্তির জটিলতা মোকাবিলায় এককভাবে কোনো নির্দিষ্ট দেশীয় আইনি কাঠামো যথেষ্ট নয়।
এ বিষয়ে সিভিল ও কমন ল’ফ্রেমওয়ার্কের সমন্বয়ে অভিযোজনযোগ্য আধুনিক আইনি কাঠামো গঠনে বিশ্বের আইনজ্ঞ ও প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞদের প্রতি তিনি আহ্বান জানান।
অধিবেশনে সভাপতিত্ব করেন সংযুক্ত আরব আমিরাতের (ইউএই) সেক্রেটারি জেনারেল মরিয়ম আল হাম্মাদি।
৩১৮ দিন আগে
শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ দিল্লিকে মনে করিয়ে দেবে ঢাকা: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, বাংলাদেশ গত বছরের ডিসেম্বরে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের জন্য কূটনৈতিক চিঠিসহ (নোট ভারবাল) প্রাসঙ্গিক নথি ভারতে পাঠিয়েছে। উপযুক্ত সময়ে আবারও তা ভারতকে স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম এ তথ্য জানান।
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের জন্য বাংলাদেশ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা বা প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র ভারতে পাঠানো হয়েছে কিনা সাংবাদিকের এমন প্রশ্নে মুখপাত্র বলেন, প্রত্যর্পণ চুক্তির আওতায় সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় থেকে পাওয়া প্রয়োজনীয় সব কাগজপত্র তারা পাঠিয়েছেন এবং বাংলাদেশ যখন প্রত্যর্পণের বিষয়ে মৌখিকভাবে ভারতকে জানিয়েছিল তখন প্রয়োজনীয় তথ্য অন্তর্ভুক্ত ছিল।
ভারতকে স্মরণ করিয়ে দেওয়ার সময়ের বিষয়ে মুখপাত্র বলেন, এটি একই ধরনের কূটনৈতিক প্রক্রিয়া এবং রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত। তিনি বলেন, 'নেতৃত্ব যখন মনে করবেন যে এটি করার এখনিই সঠিক সময়, তখন তা করা হবে।’
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নোট ভারবাল দেওয়া সত্ত্বেও শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে বাংলাদেশের অনুরোধে এখন পর্যন্ত সাড়া দেয়নি ভারত।
রফিকুল আলম বলেন, 'আমরা ভারতের কাছ থেকে সাড়া প্রত্যাশা করছি।’
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণের অনুরোধের বিষয়ে ভারতের জবাবের অপেক্ষায় বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে অপেক্ষা করছে। নয়া দিল্লির কাছ থেকে কোনো উত্তর না পেলে নির্দিষ্ট সময় পর স্মরণ করিয়ে দেওয়ার কথা রয়েছে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ অনুরোধে নীরব ভারত, অপেক্ষায় বাংলাদেশ
তিনি বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে জবাবের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল নিশ্চিত করেছেন যে, তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাছ থেকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের অনুরোধ পেয়েছেন।
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ অসংখ্য অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। যার ফলে গত বছরের ৫ আগস্ট তিনি ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হন।
বাংলাদেশ ও ভারত ২০১৩ সালে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি সই করে, যা পরে ২০১৬ সালে সংশোধন করা হয়, যা এ ধরনের অনুরোধের জন্য একটি আইনি কাঠামো বাধ্যবাধকতা তৈরি করেছে।
পলাতক অপরাধীদের দ্রুত হস্তান্তর করার সুবিধার্থে ২০১৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির ১০(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করেছে।
জুলাই-আগস্ট মাসে 'গণহত্যায়' শেখ হাসিনাই মূল নির্দেশ দিয়েছিলেন বলে দাবি করছে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার।
গত সেপ্টেম্বরে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বলেছিলেন, অপরাধ করলে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের মাধ্যমে বিচারের আওতায় আনতে হবে।
নিউইয়র্ক টাইমস ক্লাইমেট ফরোয়ার্ড ইভেন্টে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেছিলেন, ‘কেন হবে না? তিনি যদি অপরাধ করে থাকেন তাহলে তাকে প্রত্যর্পণ করে বিচারের আওতায় আনা উচিত। তাকেও বিচারের মুখোমুখি করা উচিত।’
আরও পড়ুন: ভারত শেখ হাসিনাকে ফেরত না দিলে প্রত্যর্পণ চুক্তির লঙ্ঘন হবে: আইন উপদেষ্টা
৩১৮ দিন আগে
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিট-২০২৫’র ইন্টারেক্টিভ প্লেনারি সেশনে যোগদান ইউনূসের
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিট-২০২৫-এর ইন্টারেক্টিভ প্লেনারি সেশনে যোগ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) দুবাইয়ের ডব্লিউজিএস কনফারেন্স ভেন্যুতে সিএনএনের বেকি অ্যান্ডারসনের সঞ্চালনায় তিনি এতে যোগ দেন।
এর আগে ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পৌঁছেছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে দুবাই যাচ্ছেন ড. ইউনূস
বাংলাদেশ সময় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় ঢাকার হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হয়ে রাত দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি খাসাইফ আল হামুদি উপস্থিত ছিলেন।
আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড. আহমাদ বেলহুল আল-ফলাসি তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এছাড়া সম্মেলনে অংশ নেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদও জানান আল-ফালাসি। তিনি দুবাইয়ে গত এক দশক ধরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন সম্পর্কে অবহিত করেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে দুবাইয়ে প্রধান উপদেষ্টা
৩১৮ দিন আগে
লিবিয়ায় আটক থাকা ১৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী ঢাকায় ফিরলেন
লিবিয়ার বেনগাজী থেকে ১৪৫ অভিবাসনপ্রত্যাশী বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) ভোর সাড়ে ৫টায় বুরাক এয়ার চার্টার্ড ফ্লাইটে তারা ঢাকার শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পা রাখেন।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে। এতে বলায়, এসব অভিবাসনপ্রত্যাশীর বেশিরভাগই সমুদ্র পথে অবৈধভাবে ইউরোপ গমনের উদ্দেশে মানবপাচারকারীদের প্ররোচনায় ও সহযোগিতায় লিবিয়ায় অনুপ্রবেশ করেন।
তাদের অধিকাংশই লিবিয়াতে বিভিন্ন সময়ে অপহরণ ও নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন। দেশে ফেরত আসার পর এই ভয়ঙ্কর পথ পাড়ি দিয়ে আর যেন কেউ লিবিয়াতে না যান এ বিষয়ে তাদেরকে সচেতন হওয়ার জন্য পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা আহ্বান জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: লিবিয়ায় আটকে থাকা ১৪৫ বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন
আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার পক্ষ থেকে তাদের প্রত্যেককে ছয় হাজার টাকা, কিছু খাদ্য সমগ্রী উপহার, মেডিকেল চিকিৎসা এবং প্রয়োজনে অস্থায়ী বাসস্থানের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
সংবাদ বিজ্ঞপিতে বলা হয়, লিবিয়ার বিভিন্ন ডিটেনশন সেন্টোরে আটক বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে প্রত্যাবাসনের ব্যবস্থা করতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, ত্রিপলিতে বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আর্ন্তজাতিক অভিবাসন সংস্থা এক সাথে কাজ করে যাচ্ছে।
৩১৯ দিন আগে
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে দুবাইয়ে প্রধান উপদেষ্টা
ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে পৌঁছেছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস। বাংলাদেশ সময় বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রাত দেড়টার দিকে প্রধান উপদেষ্টাকে বহনকারী এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটটি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরন করে।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এমন তথ্য জানিয়েছেন। তিনি বলেন, এসময় পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, সংযুক্ত আরব আমিরাতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত তারেক আহমেদ এবং ঢাকায় আমিরাতের রাষ্ট্রদূত আব্দুল্লাহ আলি খাসাইফ আল হামুদি উপস্থিত ছিলেন।আরও পড়ুন: আয়নাঘর পরিদর্শনে প্রধান উপদেষ্টা
আমিরাতের ক্রীড়ামন্ত্রী ড. আহমাদ বেলহুল আল-ফলাসি তাকে স্বাগত জানিয়েছেন। এছাড়া সম্মেলনে অংশ নেওয়ায় প্রধান উপদেষ্টাকে ধন্যবাদও জানান আল-ফালাসি। তিনি দুবাইয়ে গত এক দশক ধরে আয়োজিত আন্তর্জাতিক এ সম্মেলন সম্পর্কে অবহিত করেন।
তারা দুই দেশের মধ্যে খেলাধুলা ও সংস্কৃতির ক্ষেত্রে সম্ভাব্য সহযোগিতাসহ পারস্পরিক স্বার্থসংশ্লিষ্ট নানা বিষয়ে আলোচনা করেন।
৩১৯ দিন আগে
লিবিয়ায় আটকে থাকা ১৪৫ বাংলাদেশিকে প্রত্যাবাসন
লিবিয়ার বেনগাজি গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক থাকা ১৪৫ বাংলাদেশিকে ফেরত পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার (১২ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে লিবিয়ায় বাংলাদেশ দূতাবাস এমন তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ দূতাবাস লিবিয়ায় আটকে পড়া বাংলাদেশি নাগরিকদের নিরাপদে দেশে প্রত্যাবাসনের লক্ষ্যে স্থানীয় কর্তৃপক্ষ এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করে যাচ্ছে। এরই ধারাবাহিকতায় ১২ ফেব্রুয়ারি বেনগাজীর গানফুদা ডিটেনশন সেন্টারে আটক ১৪৫ জন বাংলাদেশিকে আইওএম-এর সহায়তায় দেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
দূতাবাস জানিয়েছে, প্রত্যাবাসিত বাংলাদেশিরা ১৩ ফেব্রুয়ারি ভোর সাড়ে ৫টায় লিবিয়ার বুরাক এয়ারের একটি ফ্লাইটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছাবেন বলে আশা করা হচ্ছে।আরও পড়ুন: লিবিয়া-তিউনিশিয়া থেকে ফিরলেন আটকে পড়া ১৬১ জন বাংলাদেশি
দূতাবাসের মিনিস্টার (রাজনৈতিক) কাজী আসিফ আহমেদের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার থেকে তাদের গ্রহণ করে এবং বেনগাজীর বেনিনা বিমানবন্দর থেকে দেশে ফেরত পাঠানোর ব্যবস্থা করে বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
উল্লেখ্য, দূতাবাসের একটি প্রতিনিধি দল এরইমধ্যে গানফুদা ডিটেনশন সেন্টার পরিদর্শন করে আটক বাংলাদেশিদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করে এবং যাচাই-বাছাইয়ের পর তাদের অনুকূলে ট্রাভেল পারমিট ইস্যু করে। পরবর্তীতে স্থানীয় কর্তৃপক্ষের অনুমোদন সাপেক্ষে এবং আইওএম-এর সার্বিক সহযোগিতায় তাদের বিনা খরচে দেশে ফেরার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়েছে।
৩১৯ দিন আগে
'নতুন বাংলাদেশ'র সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্পৃক্তের আহ্বান ড. ইউনূসের
জালিম শাসক ও বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র ও তরুণদের নেতৃত্বে আন্দোলনের মাধ্যমে সৃষ্ট 'নতুন বাংলাদেশের' সঙ্গে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) রোমে আইএফএডির সদর দপ্তরে গভর্নিং কাউন্সিলের (ইন্টারন্যাশনাল ফান্ড ফর এগ্রিকালচারাল ডেভেলপমেন্ট) ৪৮তম অধিবেশনে তার পূর্ব ধারণকৃত ভিডিও মূল প্রবন্ধের বক্তব্য প্রচার করা হয়।
বৈশ্বিক দারিদ্র্য ও বৈষম্য হ্রাসে ভূমিকার জন্য ইফাদকে অভিনন্দন জানান প্রধান উপদেষ্টা। তিনি বাংলাদেশের সঙ্গে বিশেষ করে কৃষি ও জলবায়ু খাতে ইফাদের চার দশকের সম্পর্কের কথাও স্মরণ করেন।
তিনি ইফাদের সহায়তাপুষ্ট প্রকল্পসমূহে বিশেষ করে বাংলাদেশের গ্রামীণ নারীদের ক্ষমতায়নের প্রশংসা করেন।
ড. ইউনূস তার 'সামাজিক ব্যবসা' ধারণাকে গ্রামীণ উন্নয়নের নতুন মাত্রা হিসেবে উল্লেখ করেন। যা একটি সত্য চক্র তৈরি করে যেখানে সমাজের চাহিদা পূরণের মাধ্যমে ব্যবসায় সমৃদ্ধি লাভ করে এবং এর ফলে দীর্ঘমেয়াদি উন্নয়ন বৃদ্ধি পায়।
আরও পড়ুন: ‘ভয়ংকর ও অবিশ্বাস্য’, আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ড. ইউনূস
তিনি ইফাদের প্রচেষ্টা এবং বিশ্বের 'থ্রি জিরো' শূন্য দারিদ্র্য, শূন্য বেকারত্ব এবং শূন্য নিট কার্বন নিঃসরণ ভিশনের মধ্যে একটি সাদৃশ্যের কথাও তুলে ধরেন চিত্র তুলে ধরেন।
ড. ইউনূস ইফাদের গভর্নিং কাউন্সিলকে জলবায়ু সহিষ্ণু অবকাঠামো, টেকসই কৃষি চর্চা এবং নবায়নযোগ্য জ্বালানি সমাধান খাতে আরও বিনিয়োগের আহ্বান জানান, যাতে গ্রামীণ জনগোষ্ঠী পরিবেশের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে উন্নতি করতে পারে।
তিনি ইফাদের সদস্য রাষ্ট্রগুলোকে সবচেয়ে অরক্ষিত জনগোষ্ঠীর জন্য সুযোগগুলো কাজে লাগাতে এবং একটি উন্নত বিশ্ব গড়ে তোলার আহ্বান জানান- যেখানে কেউ পিছিয়ে থাকবে না।
তরুণ ও শিক্ষার্থীদের যারা ভবিষ্যতের নেতৃত্ব ও পরিবর্তনকারী তাদের সম্পৃক্ত করার জন্য নেতাদের প্রতি আহ্বান জানান প্রধান উপদেষ্টা।
সকলের জন্য একটি উন্নততর পৃথিবী গড়ে তোলার জন্য তাদের মধ্যে সৃজনশীলতা, উদ্ভাবন এবং আবেগ রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগ জানিয়েছে, অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ ইফাদ গভর্নিং বোর্ডের গভর্নর হিসেবে কাউন্সিল সভায় যোগ দেন এবং অনুষ্ঠানে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করেন।
আরও পড়ুন: ওয়ার্ল্ড গভর্নমেন্টস সামিটে যোগ দিতে দুবাই যাচ্ছেন ড. ইউনূস
৩১৯ দিন আগে
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধসহ গণতন্ত্রকে ক্ষুণ্ণ করে এমন সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলুন: জাতিসংঘ
রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধ করা, ভোটারদের একটি অংশকে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করাসহ গণতন্ত্রকে ক্ষতিগ্রস্ত করে— এমন সিদ্ধান্ত এড়িয়ে চলতে বাংলাদেশকে পরামর্শ দিয়েছে জাতিসংঘের মানবাধিকার দপ্তর।
২০২৪ সালে বাংলাদেশে ঘটে যাওয়া ভয়াক ঘটনার বিষয়ে বুধবার(১২ ফেব্রুয়ারি) প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে এই সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদনে জাতিসংঘ বলেছে, রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করা 'সত্যিকারের বহুদলীয় গণতন্ত্র’ পুনপ্রতিষ্ঠাকে ক্ষুণ্ন করবে এবং বাংলাদেশের ভোটারদের একটি বড় অংশকে কার্যকরভাবে ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত করবে।
এছাড়াও সব রাজনৈতিক দল ও প্রার্থীর জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে নির্বাচনের আগে বিশেষ ব্যবস্থাসহ অবাধ ও প্রকৃত নির্বাচনের জন্য নিরাপদ ও অনুকূল পরিবেশ নিশ্চিতের সুপারিশও করা হয় প্রতিবেদনে।
সাংবাদিক, আওয়ামী লীগ সমর্থক, সংখ্যালঘু নেতা, মানবাধিকার কর্মী এবং নাগরিক বা রাজনৈতিক ভিন্নমত প্রকাশকারী অন্যরা যাতে নির্বিচারে গ্রেপ্তার, অপ্রমাণিত ফৌজদারি মামলা বা অন্য ধরনের ভীতি প্রদর্শনের শিকার না হন— তা নিশ্চিত করার গুরুত্ব তুলে ধরেছে জাতিসংঘ।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘প্রতিশোধমূলক সহিংসতা থেকে তাদের কার্যকরভাবে রক্ষা করতে পদক্ষেপ নিন এবং এই ধরনের হামলায় জড়িত অপরাধীদের বিষয়ে তদন্ত ও বিচার করুন। পাশাপাশি ব্যক্তিগত সম্পত্তিতে হামলাসহ নাগরিকদের ক্ষতিপূরণের দাবিও সহজতর করুন।’
আরও পড়ুন: বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট মামলায় গুরুত্ব দিতে ডিএমপি কমিশনারের নির্দেশ
র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নের (র্যাব) যেসব সদস্য গুরুতর লঙ্ঘনের সঙ্গে জড়িত নয় তাদের নিজ ইউনিটে ফিরিয়ে নিয়ে র্যাব বাহিনীকে বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ।
জাতিসংঘের মানবাধিকার বিষয়ক হাইকমিশনারের কার্যালয় (ওএইচসিএইচআর) তার তথ্য-অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে জবাবদিহিতা ও বিচার, পুলিশ ও নিরাপত্তাসহ কয়েকটি সুনির্দিষ্ট ক্ষেত্রে সুপারিশ তুলে ধরেছে। এর মধ্যে রয়েছে- নাগরিকদের সুযোগ, রাজনৈতিক ব্যবস্থা এবং অর্থনৈতিক সুশাসন।
'বাংলাদেশে ২০২৪ সালের জুলাই ও আগস্টের বিক্ষোভ সম্পর্কিত মানবাধিকার লঙ্ঘন ও নির্যাতন' শীর্ষক ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং প্রতিবেদনে সাংবাদিক, রাজনৈতিক দলের কর্মী, সংখ্যালঘু নেতা ও অধিকার কর্মীদের সুরক্ষার গুরুত্ব তুলে ধরা হয়েছে।
শাসন ব্যবস্থায় রাজনৈতিক দলগুলোর প্রভাবের মধ্যে ভারসাম্য রক্ষায় তদারকি প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করারও সুপারিশ করেছে জাতিসংঘ।
দেশের নাগরিকদের নিয়ে যেকোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ প্রক্রিয়ায় তাদের (নাগরিক) সরাসরি অন্তর্ভুক্ত করার সুপারিশ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘ভয়ংকর ও অবিশ্বাস্য’, আয়নাঘর পরিদর্শন শেষে ড. ইউনূস
রাজনৈতিক দলগুলোর অভ্যন্তরীণ ব্যবস্থাপনা যাতে মানবাধিকারের নীতির প্রতি সম্মান দেখায়— তা নিশ্চিত করতে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে বিস্তৃত আলোচনা শুরুরও সুপারিশও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে প্রতিবেদনে।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত ক্ষেত্রে অস্থায়ী বিশেষ ব্যবস্থাসহ রাজনৈতিক ও অন্যান্য ক্ষেত্রে নারী-পুরুষের মধ্যে প্রকৃত সমতা নিশ্চিতে আইন ও বিধিবিধান কার্যকরভাবে বাস্তবায়নের সুপারিশ করা হয়েছে।
প্রতিবেদনে গুরুতর লঙ্ঘন এবং প্রতিশোধমূলক সহিংসতার জন্য ন্যায্য এবং কার্যকর ফৌজদারি বিচারের সুপারিশ করেছিল।
জাতিসংঘের প্রতিবেদনে সরকার, বিরোধী দল এবং নাগরিক সমাজসহ স্বতন্ত্র সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত একটি জাতীয় পুলিশ কমিশনের মাধ্যমে একটি নিরপেক্ষ, স্বচ্ছ ও মেধাভিত্তিক পুলিশ নিয়োগ, পদোন্নতি, বদলি ও অপসারণ প্রক্রিয়া গ্রহণের সুপারিশ করা হয়েছে।
এতে পুলিশ পর্যবেক্ষণ ইউনিটের পরিবর্তে স্বরাষ্ট্র/বাংলাদেশ পুলিশ চেইন অব কমান্ডের বাইরে একটি স্বাধীন পুলিশ কমিশন গঠনের সুপারিশ করা হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছ, ‘এটি নাগরিক সমাজসহ স্বাধীন সদস্যদের সমন্বয়ে গঠিত হওয়া উচিত। জনসাধারণের অভিযোগ দেওয়ার সংস্থা হিসেবে কাজ করার জন্য বিশেষায়িত কর্মী, ক্ষমতা এবং আইনি ক্ষমতাও থাকতে হবে।’
জাতিসংঘ বলেছে, মানবাধিকার লঙ্ঘন এবং যেকোনো পুলিশ সদস্যের অন্যান্য গুরুতর অসদাচরণের বিষয়ে তাদের নিজস্ব কার্যকর তদন্তসহ অভিযোগগুলোর বিচার হওয়া উচিৎ।
আরও পড়ুন: জুলাই বিপ্লব চলাকালে পরিকল্পিত দমন-পীড়ন চালানো হয়েছে: জাতিসংঘের প্রতিবেদন
৩১৯ দিন আগে