বৈদেশিক-সম্পর্ক
লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ৪৭ বাংলাদেশি
যুদ্ধবিধস্ত লেবানন থেকে দেশে ফিরেছেন আরও ৪৭ প্রবাসী।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) রাত ৯টা ১৫ মিনিটে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসী কল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়, বৈরুতের বাংলাদেশ দূতাবাস এবং আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) সহযোগিতায় তাদের দেশে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।
ফেরত আসা এসবনাগরিকদের বিমানবন্দরে অভ্যর্থনা জানায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, প্রবাসীকল্যাণ ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় এবং আইওএমের কর্মকর্তারা।
আরও পড়ুন: লেবানন থেকে ফিরলেন আরও ১০৫ বাংলাদেশি
আইওএমের পক্ষ থেকে প্রত্যেককে ৫ হাজার টাকা পকেটমানি, কিছু খাদ্য সামগ্রী ও প্রাথমিক মেডিকেল চিকিৎসার ব্যবস্থা করা হয়।
বিমানবন্দরে ফিরে আসা বাংলাদেশিদের খোঁজ নেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা। এখন পর্যন্ত একজন বাংলাদেশি বোমা হামলায় নিহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে।
উল্লেখ্য, এ পর্যন্ত ১৯ ফ্লাইটে সর্বমোট ১ হাজার ২৪৬ জন বাংলাদেশিকে লেবানন থেকে বাংলাদেশে প্রত্যাবাসন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: লেবানন থেকে দেশে ফিরলেন আরও ৮২ প্রবাসী বাংলাদেশি
৩৪৫ দিন আগে
বাংলাদেশে অগ্রাধিকারভিত্তিক সংস্কারে ঐকমত্যের আহ্বান ইইউয়ের
১৫ জানুয়ারি প্রথম চারটি সংস্কার কমিশনের সুপারিশ জমা দেওয়ার পর ইউরোপীয় ইউনিয়ন (ইইউ) এখন অগ্রাধিকারভিত্তিতে সংস্কারগুলো চিহ্নিত করার জন্য অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্যের দিকে তাকিয়ে রয়েছে।
শুক্রবার (১৭ জানুয়ারি) ইইউ বলেছে, তারা গণতন্ত্র, আইনের শাসন ও মানবাধিকারের ওপর উচ্চাভিলাষী সংস্কারে সমর্থন দিতে প্রস্তুত।
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তারিখ নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গত ডিসেম্বর মাসে দেওয়া ঘোষণার পর বিএনপি নেতাদের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইইউ রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
৩৪৫ দিন আগে
সীমান্ত ইস্যু একদিনে সমাধান সম্ভব নয়: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
সীমান্তের সমস্যা এবারই প্রথম নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন বলেছেন, সীমান্তের সমস্যা আমরা মোকাবিলার চেষ্টা করব। সীমান্ত ইস্যু একদিনে সমাধান করতে পারব না।
তিনি বলেন, ‘এ ধরনের সমস্যা উদ্ভব হতেই থাকবে- আমরা তা মোকাবিলার চেষ্টা করব। এটাই প্রথম নয় আগেও হয়েছে। ভবিষ্যতেও হবে। সীমান্ত ইস্যু একদিনে সমাধান করতে পারব না। এটি আর কখনো হবে না- এটিও নিশ্চিত করতে পারব না।’
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আসন্ন চীন সফর নিয়ে ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
সীমান্ত বেড়া নিয়ে ভারতের বক্তব্য প্রসঙ্গে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি ব্যাখ্যার বিষয়। আমরা বলছি এটি আমাদের বোঝাপড়ার বাইরে যাচ্ছে। তখন আমরা বুঝিয়ে বলছি। তখন এটি সমঝোতার প্রশ্ন আছে। আমরা সেই সমঝোতায় যাব।’
তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণ সমঝোতা হলো শূন্যরেখা থেকে ১৫০ গজ দূরে হতে হবে। ক্ষেত্রবিশেষে সচেতনভাবে সেগুলোর কিছু ব্যত্যয় করা হয়েছে। যেমন- তামাবিল সীমান্তে পর্যাপ্ত জায়গা নেই, অথচ সেখানে একটি ঘর তোলা প্রয়োজন। এধরনের যেখানে প্রয়োজন, সেখানে কিছু ব্যত্যয় তো করা যেতেই পারে। তবে সাধারণভাবে আমরা সেই নীতিতেই অবিচল আছি।
রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যু নিয়ে আমরা নিজেরাই আলোচনা করব। মিয়ানমারে চীনের যথেষ্ট প্রভাব আছে, চীন আমাদের সহায়তা করুক। সেখানে যে অন্যান্য অথরিটি বা বাহিনী আছে- তাদের সঙ্গে চীনের যোগাযোগ আছে। আমরাই চাইব চীন যেন আমাদের সহায়তা করে। এটি একদিনে সমাধান করার বিষয় নয়। রোহিঙ্গা সমস্যা দীর্ঘ মেয়াদের।
তিনি বলেন, এখন মিয়ানমারে বিরাজমান নিরাপত্তা পরিস্থিতিতে এখন প্রত্যাবর্তণ প্রক্রিয়া শুরু করা যাবে না। একটা সংঘাতময় পরিবেশে তারা যেতে আগ্রহী হবে না- এটা আমাদের মেনে নিতে হবে। তাদেরকে জোর করে পাঠানো যাবে না। পরিবেশটা এমন সৃষ্টি করতে হবে, যাতে তারা সেখানে ফিরে যায়। সেই পরিবেশ সৃষ্টিতে আমরা চীনের সহায়তা চাইব। আমরা চাই বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গারা নিরাপত্তা ও নিশ্চিন্তে ফিরে যেতে পারে। রাখাইনে সেরকম একটি স্থিতিশীল পরিবেশ সৃষ্টি হোক।
আরও পড়ুন: ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ, নিজের স্বার্থ দেখবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিস্তা প্রকল্প নিয়ে উপদেষ্টা বলেন, নদী নিয়ে যে সমঝোতা চুক্তি (এমওইউ) আছে সেটার মেয়াদ শেষ হয়ে গেছে, সেটি নবায়ন করার সিদ্ধান্ত আছে।
তিস্তার প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সার্বিক বিষয়ে আলোচনা হবে। কতটুকু এগুনো যাবে তা এখনো আমি জানি না। তাদের ও আমাদের আগ্রহ- সবমিলিয়ে জিনিসটি হবে। তবে সমঝোতা চুক্তির অধীনে হবে সেটা করে আসি। তারপরে প্রকল্প নিয়ে সমঝোতা পরের বিষয়। সমস্যা সমাধানে আমরা ইতিবাচক- এতে কোনো সন্দেহ নেই। অগ্রগতি হতে পারে কিছু, প্রাথমিক কথাবার্তাও হতে পারে। সমঝোতা সই হতে পারে বলেও আশা প্রকাশ করেন উপদেষ্টা তৌহিদ।
পানিসম্পদ সহযোগিতার বিষয়ে ভারতের বাধার প্রসঙ্গে উপদেষ্টা বলেন, নিদের্শনামূলক সমঝোতা স্মারকের মেয়াদ শেষ হয়েছে। এটি আমরা নবায়ন করব। এটি আমাদের প্রথম কাজ। এরপর নির্দিষ্ট প্রকল্পের বিষয়ে আরও বিস্তারিত আলোচনা লাগবে। তবে বাংলাদেশ অবশ্যই তার নিজের স্বার্থে সিদ্ধান্ত নেবে। এই সফরেই নবায়ন হতে পারে বলে আশাও প্রকাশ করেন তিনি।
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, চীনের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক সরকারনির্ভর নয়। ইস্যুগুলো অনেক দিনের। বিগত সরকারের সময়েও অনেক ইস্যুতে অগ্রগতি হয়েছে সেগুলোও বাদ দেওয়ার প্রয়োজন নেই। আমরা দেখব সেগুলোতে দেশের স্বার্থ সংরক্ষিত হচ্ছে কিনা। বৈদেশিক সম্পর্ক চলমান। পরবর্তী সরকার এসেও আমাদের কাজগুলো বাদ দেবে, তা কিন্ত হবে না। অন্য অনেক দেশ আছে যেখানে কোনো পরিবর্তন হয় না। আমাদের এখানে কিছু ক্ষেত্রে হয়, সরকারের চরিত্রের কারণে।
তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের মেয়াদ যেহেতু নির্দিষ্ট নয়। এই সরকার দীর্ঘদিন থাকবে এমন কোনো পরিকল্পনাও নেই। চীনের সঙ্গে হোক বা অন্যান্য দেশের সঙ্গে হোক সেটা কিন্ত আমাদের বাদ দিলে চলবে না। আমাদের যেটুকু সম্ভব করব। পরে যারা আসবেন তা তারা অনুসরণ করবেন।
জেডিআই নিয়ে উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনি সমঝোতা স্মারক হবে কিনা তা বলতে পারছি না।
আগামী ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি চীন সফরকালে বেইজিংয়ে দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এসময় বেইজিং ও সাংহাইয়ে পৃথক গবেষণা সংগঠনে বক্তব্য দেবেন তিনি। এছাড়া কয়েকটি প্রযুক্তি কারখানাও পরিদর্শন করার কথা রয়েছে তার।
আরও পড়ুন: চীনের ঋণের শর্ত শিথিল-পরিশোধের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩৪৭ দিন আগে
ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ, নিজের স্বার্থ দেখবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
বাংলাদেশ তার নিজের স্বার্থ রক্ষা করে চীন, ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মতো গুরুত্বপূর্ণ দেশগুলোর সঙ্গে বৈদেশিক সম্পর্ক রক্ষা করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘ভারত, চীন ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ দেশ। তিনটি দেশের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ। আমরা ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করব। কাউকে অসন্তুষ্ট করতে চাই না। নিজেদের স্বার্থ রক্ষা করে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক রাখব।’
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) আসন্ন চীন সফর উপলক্ষে সচিবালয়ে এক ব্রফিংয়ে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সব বিনিয়োগ সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
ট্রাম্পের ক্ষমতা গ্রহণের পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক বিষয়ে এক প্রশ্নে উপদেষ্টা বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বা অন্য কোনো বড় রাষ্ট্রের সঙ্গে সম্পর্ক সরকারনির্ভর নয়। নতুন সরকার যখন আসবে তাদের কিছু বক্তব্য থাকতে পারে। সেটা আমরা দেখব। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নতুন সরকার আসার পর বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্কে হোঁচট খাবে তা আমরা মনে করি না।
তিনি বলেন, সম্পর্ক একটি বহমান জিনিস। স্বাভাবিকভাবে চলবে। পারস্পরিক চাওয়া-পাওয়ার পরিবর্তন কমবেশি সবসময়ই হয়। তখন আমরা যে পদক্ষেপ নেওয়ার, আমরা তা নেব এবং পারব।
আগামী ২১ থেকে ২৩ জানুয়ারি চীন সফর করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। এসময় বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন। বেইজিং ও সাংহাইয়ে পৃথক গবেষণা সংগঠনে বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। এছাড়া কয়েকটি প্রযুক্তি কারখানাও পরিদর্শন করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: চীনের ঋণের শর্ত শিথিল-পরিশোধের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩৪৭ দিন আগে
চীনের ঋণের শর্ত শিথিল-পরিশোধের সময় বাড়ানোর প্রস্তাব দেবে বাংলাদেশ: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
ঋণের শর্ত শিথিলসহ সুদহার কমানো ও পরিশোধের সময় বাড়ানোর বিষয়ে চীনের সঙ্গে বাংলাদেশ আলোচনা করবে বলে জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন।
তিনি বলেন, ‘চীনের সঙ্গে অর্থনৈতিক সম্পর্ক আমাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। কারণ আমাদের দেশের অনেক প্রকল্পে তাদের বিনিয়োগ আছে। সেগুলো প্রধানত ঋণভিত্তিক। কিছু প্রকল্প চলমান আছে। আমাদের আরও কিছু বিষয় আছে। এর মধ্যে ঋণের শর্তাবলি নিয়ে আমরা কথাবার্তা বলব। যেমন ঋণের সুদের হার কমানো এবং পরিশোধের সময় বাড়ানোর বিষয়ে কথা বলব।’
বুধবার (১৫ জানুয়ারি) সচিবালয়ে আসন্ন চীন সফর নিয়ে ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ভারত-চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখতে হবে বাংলাদেশের: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা
পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ বলেন, ‘আমরা চাইব যখন এলডিসি থেকে গ্রাজুয়েট করবে বাংলাদেশ তখন চীন যেন ইউরোপের মতো আগামী তিন বছর আমাদের কোটা ও শুল্কমুক্ত সুবিধা দেয়। তবে এখনো চীন আমাদের সব পণ্যেই শুল্কমুক্ত সুবিধা দিচ্ছে। আমাদের গ্রাজুয়েশনের পরে তাদের কাছে থেকে আলাদাভাবে সেই সুবিধাটা নিতে হবে।’
তিনি বলেন, এই সফরে আলোচনায় প্রাধান্য পাবে অর্থনৈতিক বিষয়। এরমধ্যে গুরুত্বপূর্ণ হলো ব্যবসা ও বাণিজ্য। অফিসিয়ালি চীন আমাদের সবচেয়ে বড় ব্যবসায়িক বন্ধু। তবে ক্ষেত্র বিশেষে ভারতকে বড় ব্যবসায়িক অংশীদার বলা হয়। কারণ আন-অফিসিয়াল ব্যবসা আছে প্রচুর।
উপদেষ্টা বলেন, প্রধানত আমদানিভিত্তিক প্রচুর ব্যবসা আছে আমাদের। আমদানিগুলো এজন্য প্রয়োজনীয়, যা আমাদের রপ্তানির জন্য সেগুলোর ওপর নির্ভরশীল। এজন্য চীনের সঙ্গে আমাদের বাণিজ্যিক সম্পর্ক গুরুত্বপূর্ণ।
কালচারাল বিষয় উল্লেখ করেন উপদেষ্টা বলেন, চীনের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০ বছর পূতি উপলক্ষে চীন ও বাংলাদেশে কিছু অনুষ্ঠানের বিষয়ে আলোচনা হবে।
চীনের ৫ বিলিয়ন ডলারের বাজেট সহায়তার প্রশ্নে পররাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘আমরা এ বিষয়ে কথাবার্তা বলব। দেখি তারা কতটুকু সহায়তা দিতে পারে। যদি প্রকল্প ঋণ ত্বরান্বিত করা যায়, তাহলে সেটাও সুবিধা হতে পারে। আলোচনায় অর্থনৈতিক বিষয়াবলি আসবে। আর পাঁচ বিলিয়ন ডলারের আলোচনা আছে তা বহাল থাকবে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের দেশে বিনিয়োগে দক্ষতা ও নেটওয়ার্ক কাজে লাগানোর আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘প্রকল্প ঋণের বিষয়ে কমিটমেন্ট ফি তুলে দেওয়া ও সুদহার নিয়েও আলোচনা করা হবে। বিভিন্ন প্রকল্প ঋণে সুদের হার ভিন্ন ভিন্ন হলেও সাধারণভাবে এটি কমানোর অনুরোধ করবে বাংলাদেশ। অর্থনীতির উপর চাপ কমাতে প্রকল্প ঋণগুলো পরিশোধের সময়সীমা ১৫ থেকে ২০ বছরের পরিবর্তে বাড়িয়ে ৩০ বছর করার চেষ্টা করা হবে। আর কমিটমেন্ট ফি যাতে তুলে দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করব।’
গ্লোবাল ডেভেলপমেন্ট নিয়ে চীনের উদ্যোগের বিষয়ে বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারের অবস্থান জানতে চাইলে তিনি বলেন, আলোচনা চলমান আছে, তা আমরা ইতিবাচক দৃষ্টিতেই দেখব।
জেডিআই নিয়ে তিনি বলেন, এটি নিয়ে আলোচনা হচ্ছে। তবে এখনি সমঝোতা স্মারক হবে কিনা, তা বলতে পারছি না।
বেইজিংয়ে চীনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেন। বেইজিং ও সাংহাইয়ে পৃথক গবেষণা সংগঠনে বক্তব্য দেবেন তিনি। এছাড়া কয়েকটি প্রযুক্তি কারখানা পরিদর্শনও করবেন তিনি।
আরও পড়ুন: প্রবাসীদের বাংলাদেশের নয় স্থানীয় রাজনীতিতে যুক্ত হওয়ার আহ্বান পররাষ্ট্র উপদেষ্টার
৩৪৭ দিন আগে
সব বিনিয়োগ সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার
বেশি-বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করতে সব বিনিয়োগ প্রচার সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনার জন্য কর্তৃপক্ষের প্রতি নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকার রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় কোরিয়ান ইয়াংওন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাংসহ আরও কয়েকজন শীর্ষ বিদেশি বিনিয়োগকারীর সঙ্গে বৈঠকে তিনি এ নির্দেশ দেন।
বাংলাদেশ থেকে সর্বাধিক রপ্তানিকারক দক্ষিণ কোরিয়ান প্রতিষ্ঠান ইয়ংওন করপোরেশনের চেয়ারম্যান কিহাক সাং বৈঠকে বেশ কয়েকটি বিষয় উত্থাপন করে প্রধান উপদেষ্টাকে বাংলাদেশে বৃহৎ আকারের বিনিয়োগের পরিবেশ উন্নত করার আহ্বান জানান।
এ সময় প্রধান উপদেষ্টা বলেন, কোরিয়ান ইপিজেডের ভূমি সমস্যার সমাধান আগামী ৬ ফেব্রুয়ারির মধ্যে করা হবে। আমরা চাই, কোরিয়ান ইপিজেড বাংলাদেশের জন্য একটি মডেল হিসেবে দাঁড়াক। এটি বড় বিনিয়োগ আকৃষ্ট করবে এবং বহু কর্মসংস্থান সৃষ্টি করবে।
ইপিজেডে দীর্ঘ সময় ধরে বিদ্যমান সমস্যাগুলো সমাধানে অন্তর্বর্তী সরকারের দ্রুত পদক্ষেপের প্রশংসা করে কিহাক সাং বলেন, ‘এটি অন্যান্য বিনিয়োগকারীদের জন্য পথ খুলে দেবে। কোরিয়ান ইপিজেড অবশ্যই বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি মডেল হয়ে উঠবে।’
পাশাপাশি চট্টগ্রাম বন্দরের কার্যক্রম দ্রুততর করার আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। তার মতে, এই বন্দরের কর্মকাণ্ডে ধীরগতির কারণে বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় ব্র্যান্ডগুলোর উচ্চমানের ও ফ্যাশান পোশাকের অর্ডার থেকে বঞ্চিত হচ্ছে বাংলাদেশ।
তিনি বলেন, ফ্যাশান পোশাকগুলোর রপ্তানি দ্রুততম সময়ের মধ্যে নিশ্চিত করতে হয়। সেটি ১০ থেকে ১৫ দিনের মধ্যে হলে ভালো হয়। অথচ (বাংলাদেশ থেকে) উচ্চমানের ফ্যাশান পোশাকের অর্ডার পাঠাতে কয়েক মাস পর্যন্ত সময় লেগে যায়।
এ সময় রপ্তানি কার্যক্রম দ্রুত করায় সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ভিয়েতনামে বিপুল পরিমাণ বিনিয়োগ করার উদাহরণ টানেন তিনি।
বন্দরের কার্যক্রম দক্ষতর করতে কর্তৃপক্ষকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে জানিয়ে ড. ইউনূস বলেন, চট্টগ্রামকে এ অঞ্চলের শীর্ষ বন্দর হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে ধারাবাহিক পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছেন বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী।
এ সময় কিহাক সাং এবং ব্রিটিশ বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ এ মতিন সমস্ত বিনিয়োগ প্রচার সংস্থাকে এক ছাতার নিচে আনার প্রয়োজনীয়তার কথা উল্লেখ করেন। তাদের মতে, এটি বিদেশি বিনিয়োগকারীদের দক্ষ ওয়ান-স্টপ পরিষেবা সরবরাহ করবে।
প্রত্যুত্তরে প্রধান উপদেষ্টা জানান, তিনি বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (বিডা) প্রধান চৌধুরী আশিক মাহমুদ বিন হারুনকে পাঁচটি বিনিয়োগ সংস্থাকে একটি কার্যালয়ের অধীনে আনতে বলেছেন।
এ বিষয়ে চৌধুরী আশিক মাহমুদ বলেন, বিনিয়োগ প্রচারের জন্য পাঁচটি ভিন্ন সংস্থা সাম্প্রতিক অযোগ্য ও দুর্নীতিগ্রস্ত সরকারের উত্তরাধিকার। এজেন্সিগুলোকে এক ছাতার নিচে আনতে বিডা উদ্যোগ নিয়েছে।
সাং জানান, প্রতি বছর হাজারো বাংলাদেশে তরুণকে প্রশিক্ষণ দিতে ইয়ংওন করপোরেশন বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ টেক্সটাইল ইনস্টিটিউট নির্মাণ করছে। আগামী তিন মাসের মধ্যে ইনস্টিটিউটটির উদ্বোধন হবে। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান উপদেষ্টাকে উপস্থিত থাকার আমন্ত্রণ জানান তিনি।
এছাড়া, ব্রিটিশ বিনিয়োগকারী মোহাম্মদ এ মতিন রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে (ইপিজেড) শ্রম আইন সহজ করা এবং সোলার প্যানেলের জন্য নেট মিটারিং পদ্ধতি চালুর প্রস্তাব দেন।
প্রধান উপদেষ্টা জানান, শ্রম আইন সংস্কারে অস্থায়ী সরকার প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়েছে এবং বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী এই বিষয়ে কাজ করছেন। চট্টগ্রাম বন্দরে দ্রুত রপ্তানি প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার জন্য সবুজ চ্যানেল চালুর উদ্যোগ নেওয়া হচ্ছে।
শ্রম আইন নিয়ে কিহাক সাং বলেন, ‘আমাদের স্বচ্ছ ও সহজ প্রক্রিয়া দরকার।’
পোশাক জায়ান্ট ইন্ডিটেক্সের কান্ট্রি হেড হাভিয়ের কার্লোস সান্তোনজা ওলসিনা বাংলাদেশে গুরুত্বপূর্ণ ব্যবসায়িক সংস্কার এবং ব্যবসা করার শর্ত সহজ করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের প্রচেষ্টার প্রশংসা করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি সত্যিই অভিভূত। এই নতুন বাংলাদেশ আমাদের প্রয়োজন। আশা করছি, এ বছর বাংলাদেশের রপ্তানি উল্লেখযোগ্য হারে বাড়বে।
বাংলাদেশে বেশ কয়েকটি পোশাক কারখানা পরিচালনাকারী ব্রিটিশ কোম্পানি ডিউহার্স্টের পরিচালক পল অ্যান্থনি ওয়ারেনও বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
৩৪৮ দিন আগে
নির্বাচন আয়োজনে ইসিকে সহযোগিতায় ইউএনডিপির মূল্যায়ন শুরু
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন আয়োজনে নির্বাচন কমিশনের (ইসি) কী কী সহযোগিতা প্রয়োজন, তার মূল্যায়ন শুরু করেছে জাতিসংঘের উন্নয়ন কর্মসূচি (ইউএনডিপি)। নির্বাচন কমিশন এবং সুশীল সমাজ, শিক্ষাবিদ ও রাজনৈতিক দলসহ অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে আগামী ১০ দিনের মধ্যে তারা এই মূল্যায়ন সম্পন্ন করবে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ইসির সঙ্গে বৈঠকের পর বাংলাদেশে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী গোয়েন লুইস এসব তথ্য জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘জাতিসংঘ কারিগরি সহায়তা দেওয়ার আগেই নির্বাচন কমিশন জাতিসংঘকে চিঠি দিয়ে সহায়তা চেয়েছে। ফলে এ ব্যাপারে আমাদের প্রয়োজনীয়তা নিরূপণ করা দরকার।’
এ লক্ষ্যে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে আজ (মঙ্গলবার) নিউইয়র্ক থেকে আসা ইউএনডিপির একটি প্রতিনিধি দল প্রথমে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এএমএম নাছির উদ্দীন এবং পরে চার নির্বাচন কমিশনার ও ইসি কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
বৈঠক শেষে জাতিসংঘের আবাসিক সমন্বয়কারী বলেন, অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনার ভিত্তিতে জাতিসংঘ কী ধরনের কারিগরি সহায়তা দিতে পারে—সে বিষয়ে নির্বাচন কমিশন কিছু সুপারিশ করবে। সক্ষমতা বৃদ্ধি, প্রযুক্তি ও অপতথ্য মোকাবিলায় সহযোগিতাসহ বিস্তৃত বিষয়ে সহায়তা দিতে পারে ইউএনডিপি।
আরও পড়ুন: চলতি বছরেই নির্বাচন সম্পন্ন করা জরুরি: ইইউকে খসরু
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমরা আসলে (মূল্যায়নের) প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছি এবং নির্বাচন কমিশনের চাহিদা কী—তা বোঝার চেষ্টা করছি। ভোটার তালিকা হালনাগাদের বিষয়ে তারা (ইসি) ইতোমধ্যে কাজ শুরু করেছে এবং কমিশন কীভাবে নির্বাচন আয়োজন করতে চায়—তা বোঝার চেষ্টা করছি আমরা।
ভোটার তালিকা হালনাগাদের জন্য বাড়ি বাড়ি গিয়ে কাজ শুরু হতে যাচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, সেখানে কিছু প্রযুক্তিরও প্রয়োজন হতে পারে।
গোয়েন লুইস বলেন, আইটি সক্ষমতা উন্নয়ন থেকে শুরু করে বিভিন্ন কাজের জন্য কারিগরি সহায়তা চেয়ে অনুরোধ করেছে ইসি। অপতথ্যের বিস্তৃতিরোধেও সহায়তা চেয়েছে তারা।
এ ধরনের আরও কী কী প্রয়োজনীয়তা রয়েছে, তা বুঝতে ১০ দিনের মধ্যে মূল্যায়ন শেষ করা হবে জানিয়ে তিনি বলেন, এরপর নির্বাচন কমিশনের সামনে সেগুলো উপস্থাপন করা হবে।
নির্বাচন প্রক্রিয়ার জন্য ইউএনডিপির কাছে কমিশনের সহায়তা চাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করে ইসির জ্যেষ্ঠ সচিব আখতার আহমেদ বলেন, এই সহায়তার মধ্যে রয়েছে হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যার সংক্রান্ত প্রযুক্তি, সক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ উপকরণের উন্নয়নের মতো কিছু বিষয়। প্রতিনিধি দলটি এসব প্রয়োজনীয়তা পর্যালোচনা করতেই (বাংলাদেশে) এসেছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচন ঘিরে বিএনপি-জামায়াতের বিভেদ কী গভীর হচ্ছে?
তিনি বলেন, তারা আমাদের সঙ্গে কথা বলেছেন, অন্যান্য অংশীজনদের সঙ্গেও কথা বলবেন। এরপর ১০ দিনের মধ্যে প্রয়োজনের বিষয়ে একটি প্রস্তাব তারা আমাদের সামনে উপস্থাপন করবেন।
আগামী জাতীয় নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে ইসি সচিব বলেন, সিইসিসহ অন্য নির্বাচন কমিশনাররা বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টার দেওয়া সময়সীমা সামনে রেখেই তারা কাজ করছেন।
উদাহরণ টেনে আখতার আহমেদ বলেন, ইউএনডিপি বাড়ি বাড়ি গিয়ে (ভোটারের) তথ্য সংগ্রহে সহায়তা করবে না, বরং ভোটার তালিকা হালনাগাদ করার জন্য তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সহায়তা করবে তারা।
৩৪৮ দিন আগে
জামায়াত আমিরের সঙ্গে ইইউ রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) সকাল ১১টায় দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সৌজন্য সাক্ষাত করতে যান রাষ্ট্রদূত। মতবিনিময়কালে তারা বাংলাদেশ ও ইউরোপীয় ইউনিয়নের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
আলোচনায় বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে অর্থবহ করার বিষয়টিও গুরুত্বের আলোচনা করেন তারা। ভবিষ্যতে উভয়ের মধ্যে পারস্পরিক সম্পর্ক, উন্নয়ন ও অগ্রগতির ধারা অব্যাহত থাকবে বলে তারা আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর নায়েবে আমির অধ্যাপক মুজিবুর রহমান, ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মো. তাহের, সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ার, সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল মাওলানা এটিএম মা’ছুম, মাওলানা রফিকুল ইসলাম খান, হামিদুর রহমান আযাদ, মাওলানা আবদুল হালিম, দলটির কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য এবং কেন্দ্রীয় প্রচার ও মিডিয়া বিভাগের সেক্রেটারি মতিউর রহমান আকন্দ, কেন্দ্রীয় নির্বাহী পরিষদ সদস্য মোবারক হোসাইন প্রমুখ।
৩৪৮ দিন আগে
রোহিঙ্গা নিয়ে ভুল প্রতিবেদন: জাতিসংঘের কাছে ব্যাখ্যা চাইল সরকার
মিয়ানমারে নিপীড়নের শিকার রোহিঙ্গাদের নিয়ে জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার (ইউএনএইচসিআর) একটি প্রতিবেদনের ব্যাখ্যা চেয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। ভুল তথ্যের ওপর ভিত্তি করে ওই প্রতিবেদন প্রকাশ করা হয়েছে বলে অভিযোগ করছে বাংলাদেশ।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) জাতিসংঘের আবাসিক প্রতিনিধি গোয়েন লুইসকে পাঠানো বার্তায় এই প্রতিবেদেন নিয়ে অসন্তোষের কথাও বলা হয়েছে। ইউএনবিকে এমন তথ্য জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সূত্র।
কীসের ওপর ভিত্তি করে ওই প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে, জাতিসংঘের কাছে সেটাও জানতে চেয়েছে সরকার। সূত্র জানিয়েছে, জাতিসংঘ সঠিক তথ্যনির্ভর প্রতিবেদন প্রকাশ করবে বলে আশা করছে বাংলাদেশ।
গেল ৭ জানুয়ারি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার মিয়ানমার কার্যালয় জানিয়েছে, ২০২১ সালের ফেব্রুয়ারি থেকে ২০২৪ সালের ডিসেম্বর পর্যন্ত ৭১ হাজার রোহিঙ্গা মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়েছেন। তাদের সবাই ভারতের মনিপুর ও মিজোরামে প্রবেশ করেছন।
গেল তিন বছরে মিয়ানমার থেকে বাস্তুচ্যুত হয়ে বাংলাদেশে কেউ অনুপ্রবেশ করেননি বলেও জাতিসংঘের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
৩৪৯ দিন আগে
ভারত নিরাপত্তা ব্যবস্থা ও বেড়া দেওয়ার সব প্রোটোকল-চুক্তি মেনে চলছে: ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বেড়া নির্মাণসহ সীমান্তে সুরক্ষা ব্যবস্থার বিষয়ে দুই সরকার এবং সীমান্ত বাহিনীর মধ্যে সমস্ত ‘প্রোটোকল এবং চুক্তি’ অনুসরণ করেছে বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে ভারত।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) নয়া দিল্লিতে নিযুক্ত বাংলাদেশের ভারপ্রাপ্ত হাইকমিশনার নুরুল ইসলামকে সাউথ ব্লকে তলব করে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এই বার্তা দিয়েছে।
বাংলাদেশ-ভারত সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের সাম্প্রতিক কর্মকাণ্ড নিয়ে রবিবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নিজ কার্যালয়ে এক বৈঠকে ভারতীয় হাইকমিশনার প্রণয় ভার্মাকে তলব করে গভীর উদ্বেগের কথা জানানোর পরদিনই এই বার্তা দিল ভারত।
আন্তঃসীমান্ত অপরাধমূলক কার্যকলাপ, চোরাচালান, অপরাধীদের চলাচল এবং পাচারের ঝুঁকিগুলোর কার্যকরভাবে মোকাবিলা করে অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করার বিষয়ে ভারত তার অঙ্গীকারের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, সীমান্ত সুরক্ষিত করার জন্য কাঁটাতারের বেড়া, সীমান্তে বাতি ও প্রযুক্তিগত ডিভাইস স্থাপন এবং গবাদি পশু পাচার রোধে বেড়া দেওয়ার ব্যবস্থা করা হচ্ছে।
ভারত প্রত্যাশা জানিয়েছে, বাংলাদেশ আগের সমস্ত বোঝাপড়া বাস্তবায়ন করবে এবং আন্তঃসীমান্ত অপরাধ মোকাবিলায় একটি সহযোগিতামূলক পদক্ষেপ গ্রহণ করবে।
রবিবার বাংলাদেশের পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন ‘অভিন্ন সীমান্তে উত্তেজনা বৃদ্ধি করতে পারে এমন যেকোনো উসকানিমূলক কর্মকাণ্ড' থেকে বিরত থাকতে ভারত সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, নিরাপত্তার জন্য সীমান্তে কাঁটাতারের বেড়া দেওয়ার বিষয়ে আমাদের সমঝোতা হয়েছে।
আধা ঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠক শেষে ভারতীয় হাইকমিশনার সাংবাদিকদের বলেন, 'আমাদের দুটি সীমান্তরক্ষী বাহিনী- বিএসএফ ও বিজিবি এ বিষয়ে যোগাযোগ করছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশি শ্রমিকদের মাল্টিপল এন্ট্রি ভিসা দিতে মালয়েশিয়াকে ড. ইউনূসের আহ্বান
সীমান্তে অপরাধ দমনে দুই সীমান্তরক্ষী বাহিনী যে সমঝোতা গড়ে তুলেছে তা সমবায় পদ্ধতিতে বাস্তবায়িত হবে বলে আশা প্রকাশ করেন প্রণয় ভার্মা।
হাইকমিশনার বলেন, অপরাধমুক্ত সীমান্ত নিশ্চিত করতে এবং চোরাচালান ও পাচারের চ্যালেঞ্জ কার্যকরভাবে মোকাবিলায় ভারতের প্রতিশ্রুতি নিয়ে আলোচনা করতে তিনি পররাষ্ট্র সচিবের সঙ্গে দেখা করেছেন।
পররাষ্ট্র সচিব জোর দিয়ে বলেন, এ ধরনের কর্মকাণ্ড বিশেষ করে কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণের অননুমোদিত প্রচেষ্টা এবং বিএসএফ কর্তৃক সংশ্লিষ্ট অপারেশনাল পদক্ষেপের কারণে সীমান্তে উত্তেজনা ও অশান্তি সৃষ্টি হয়েছে।
তিনি বলেন, যথাযথ অনুমোদন ছাড়া কাঁটাতারের বেড়া নির্মাণ দুই প্রতিবেশী দেশের মধ্যে সহযোগিতার চেতনা এবং বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ককে ক্ষুণ্ন করবে।
পররাষ্ট্র সচিব আশা প্রকাশ করেন, আসন্ন বিজিবি ও বিএসএফের মহাপরিচালক পর্যায়ের বৈঠকে এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হবে।
ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত, বিশ্বের দীর্ঘতম আন্তর্জাতিক সীমান্তগুলোর মধ্যে একটি। সীমান্ত সুরক্ষা সমস্যা থেকে শুরু করে মানুষের চলাচলের মতো ঘটনাগুলো প্রায়শই বিতর্কের বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: সীমান্তে উত্তেজনা: নয়া দিল্লিতে বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূতকে তলব
৩৪৯ দিন আগে