বৈদেশিক-সম্পর্ক
তুরস্ককে বাংলাদেশে বিনিয়োগের আহ্বান ড. ইউনূসের
তুরস্ককে তাদের প্রযুক্তি বাংলাদেশে আনা, আরও বেশি বিনিয়োগ, কারখানা স্থানান্তর এবং বাংলাদেশের যুব শক্তিকে কাজে লাগাতে আহ্বান জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘আপনারা প্রযুক্তির নেতা, এখানে আপনাদের প্রতিরক্ষা শিল্প গড়ে তুলতে পারেন। আসুন শুরু করুন..।’
তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাতের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধিদল বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে গেলে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশকে বিশ্বের ৮ম জনবহুল দেশ উল্লেখ করে ড. ইউনূস বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার দেশের যুবকদের কাজের সুযোগ সৃষ্টিতে কাজ করছে এবং এ ক্ষেত্রে তুরস্কের সহায়তা কামনা করেন।
তিনি বলেন, 'আমাদের তরুণদের সুযোগ দিতে হবে, তাই আমরা আপনাদের সহযোগিতা চাই। আপনাদের দেশের কাছে এটাই আমার আবেদন। আমাদের তরুণদের কাজে লাগিয়ে এখানে আপনাদের কারখানা চালু করুন। যাতে আপনারা এ অঞ্চলে আপনাদের পণ্য সরবরাহ করতে পারেন।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, বিভিন্ন ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতার মাধ্যমে বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে একটি স্বপ্নের সম্পর্ক গড়ে তোলার সম্ভাবনা রয়েছে।
ড. ইউনূস বলেন, ‘বাংলাদেশ ও তুরস্কের মধ্যে সম্পর্ক খুবই উষ্ণ। আমরা সব খাতে এটি গড়ে তুলতে চাই।’
আরও পড়ুন: বাণিজ্য উপদেষ্টার সঙ্গে তুরস্কের রাষ্ট্রদূতের সৌজন্য সাক্ষাৎ
তিনি বলেন, অনেক কিছু করার আছে, কিছু কিছু কাজ করার জন্য আমরা আপনাদের সমর্থন প্রয়োজন, আপনাদের প্রযুক্তি এবং আপনাদের বিনিয়োগ চাই।
তুরস্কের বাণিজ্যমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাত বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্ক টেক্সটাইল শিল্পের বাইরেও তাদের সহযোগিতাকে বহুমুখী করতে পারে। বাংলাদেশ থেকে এটি তুরস্কের প্রধান আমদানি পণ্য।
তিনি বলেন, প্রতিরক্ষা শিল্প, স্বাস্থ্য পরিচর্যা, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং কৃষি যন্ত্রপাতির ক্ষেত্রে অর্থনৈতিক সহযোগিতা হতে পারে। তিনি বলেন, 'আমরা বাংলাদেশের আমদানির ক্ষেত্রে ভারতসহ অন্যান্য বাজারকে প্রতিস্থাপন করতে পারি। অর্থনৈতিক ও সামাজিক সকল ক্ষেত্রে সহযোগিতা থাকতে পারে।’
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ ও তুরস্কের বিশ্ববিদ্যালয়গুলো পারস্পরিক সহযোগিতা করতে পারে।
২০২৩-২৪ অর্থবছরে তুরস্কে বাংলাদেশের রপ্তানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৫৮ কোটি ১০ লাখ মার্কিন ডলার এবং আমদানির পরিমাণ ছিল প্রায় ৪২ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার।
বর্তমানে পোশাক ও টেক্সটাইল, এক্সেসরিজ, কেমিক্যাল, ইঞ্জিনিয়ারিং, নির্মাণ এবং জ্বালানি খাতে তুরস্কের প্রায় ২০টি বড় কোম্পানি বাংলাদেশে কাজ করছে।
বাংলাদেশে কার্যক্রম পরিচালনাকারী তুর্কি কোম্পানিগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো তুর্কি এলপিজি কোম্পানি আয়গাজ, কোকা-কোলা আইসেক এবং রেফ্রিজারেটর ও এসি প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান আর্কিলিক (যা সিঙ্গার বাংলাদেশ লিমিটেডকে অধিগ্রহণ করেছে)।
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টা গত আগস্টে তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়েপ এরদোগানের সঙ্গে তার টেলিফোন আলাপের কথা স্মরণ করেন। এরপর অক্টোবরে তুরস্কের আট সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল বাংলাদেশ সফর করেছেন।
এ সময় বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন ও মাহফুজ আলম, বিশেষ দূত লুৎফে সিদ্দিকী, এসডিজি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব লামিয়া মোর্শেদ, বিডার চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: জুলাইয়ের ঘোষণা ১৫ জানুয়ারি নাও হতে পারে: উপদেষ্টা মাহফুজ
৩৫৩ দিন আগে
চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে না: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেছেন, আগামী ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি পর্যন্ত পাঁচ দিনের চীন সফরে যাবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এ সময়ে চীনের সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য পুনর্গঠনে দেশটির নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করা হবে।বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এমন কথা বলেন।যদিও বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহৎ অর্থনীতির সঙ্গে বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে না বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি বিভাগের এই মহাপরিচালক।তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাৎসরিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় আড়াই হাজার কোটি মার্কিন ডলারের। যদিও এই বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের অনুকূলে না। এই সফরে বাণিজ্য ভারসাম্য পুনর্গঠনের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।এই সফরে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে মিলিত হবেন উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন। এতে দুদেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।রফিকুল আলম বলেন, বাংলাদেশ ও চীন ২০২৫ সালে তাদের কূটনৈতিক সম্পর্কের সুবর্ণজয়ন্তী উদ্যাপন করতে চলেছে। এ লক্ষ্যে দুদেশই বিভিন্ন কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। এ সফরে দুই দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের ৫০তম বার্ষিকী উদ্যাপনের শুভ সূচনা হবে।তিনি বলেন, বাংলাদেশ ও চীনের দ্বিপাক্ষিক সম্পর্কের ভবিষ্যৎ রূপরেখা প্রণয়ণকল্পে দুদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সম্প্রসারণের পাশাপাশি কৃষি, শিক্ষা, অবকাঠামো, নবায়নযোগ্য জ্বালানি, রোহিঙ্গা সংকটের টেকসই সমাধানসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে চলমান সহযোগিতার অগ্রগতি পর্যালোচনা করা হবে।
৩৫৩ দিন আগে
পরিবর্তনের পদচিহ্ন পেতে বাংলাদেশিদের জন্য এটি গুরুত্বপূর্ণ সময়: বিয়ার
ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার বলেছেন, টেকসই ভবিষ্যতের পথচিহ্ন পেয়ে এগিয়ে যাওয়ার জন্য বর্তমান সময়টি বাংলাদেশের নাগরিকদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ। বিশেষ করে, দেশের তরুণ-তরুণীদের জন্য উজ্জ্বল ভবিষ্যতের দ্বার উন্মোচনে এই সময়টি তাৎপর্যপূর্ণ।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার পরিদর্শন শেষে তিনি ইউএনবিকে এসব কথা বলেন।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার উপস্থিত ছিলেন।
বিয়ার বলেন, ‘আমাদের (অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে) দারুণ আলোচনা হয়েছে এবং আমি নিশ্চিত যে (সরকারের) সংস্কার কার্মকাণ্ড সঠিকভাবে এগোচ্ছে।’
অন্তর্বর্তী সরকারের সংস্কার পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, পরিকল্পনা অনুযায়ী এগুলো বাস্তবায়নে তারা যদি সফল হয়, তবে পরবর্তী নির্বাচনগুলোতে যে দলই ক্ষমতায় আসুক, বাংলাদেশের সমাজব্যবস্থায় আবারও ঐক্য প্রতিষ্ঠিত হবে।
ইতোমধ্যে এ ধরনের পরিবর্তন দেখেছেন জানিয়ে তিনি বলেন, আমার মনে হয়, (বাংলাদেশ) এখন সত্যিই কাঠামোগত ও সংগঠিত পরিবর্তনের দিকে যাচ্ছে। এই সংস্কার স্থায়ী করতে কাঠামোগতভাবে এগিয়ে যাওয়া খুব গুরুত্বপূর্ণ, কারণ তা না হলে বিষয়টি বিশৃঙ্খলার মধ্য দিয়ে শেষ হবে।
বুধবার প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন ইআইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট। এ সময় অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়তার আশ্বাস দেন তিনি।
আরও পড়ুন: আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সংস্কার কার্যক্রমকে সমর্থন করি: ইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট
ড. ইউনূসকে তিনি বলেন, ‘আমরা খুব চ্যালেঞ্জিং সময়ে (বাংলাদেশে) এসেছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং তাদের সংস্কার এজেন্ডাকে আমরা সমর্থন করি।’
এক প্রশ্নের জবাবে বিয়ার জানান, বাংলাদেশের উন্নত ভবিষ্যত নির্মাণে এখানকার মানুষের এই নির্বাচনকে (অন্তর্বর্তী সরকার) তারা সত্যিই সমর্থন করতে চান।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেবল কাজ করছে না, (তাদের কাজের) ফলাফলও আছে। তবে এটি দৃশ্যমান করাও গুরুত্বপূর্ণ।’
বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যতের সম্ভাব্য সহযোগিতা, সুষ্ঠু অবকাঠামো খাত— বিশেষ করে টেকসই জ্বালানি ও পানি সরবরাহ খাতে বিনিয়োগ এবং কীভাবে বাংলাদেশের প্রকৃতি সংরক্ষণ করা যায় তার সম্ভাবনা নিয়ে ড. ইউনূসের সঙ্গে আলোচনা করেন তিনি।
বাংলাদেশের সঙ্গে অংশীদারত্ব ও সহযোগিতার গুরুত্ব তুলে ধরে বিয়ার বলেন, ‘প্রকল্পটি (গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার) ২৫ থেকে ৫০ বছরের বেশি সময় ধরে চলবে এবং এটি মানুষের জীবনযাত্রায় এমন পরিবর্তন আনবে যা পরবর্তীতে আর পেছনের দিকে যাবে না। আমরা সেটিই করার চেষ্টা করছি।’
‘আমরা এখানে বিনিয়োগ করেছি, কারণ বাংলাদেশের সঙ্গে আমাদের শক্তিশালী অংশীদারত্ব রয়েছে। পরিষ্কার পানীয় জলের ব্যবস্থা (দেশের) জনসংখ্যার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ, বিশেষত ঢাকা শহরে যেভাবে এর চাহিদা বৃদ্ধি পাচ্ছে। তাই আমরা (বাংলাদেশের) জনগণকে সাহায্য করতে চাই।’
বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক জোরদারের আশ্বাস দিয়ে তিনি জানান, ইআইবির দেওয়া (সহায়তার) প্রতিশ্রুতি দ্বিগুণও করা হতে পারে। এমনকি, ২০২৫ সালেই এর পরিমাণ প্রায় ২০০ কোটি ইউরোতে উন্নীত হতে পারে।
তিনি বলেন, ‘কোন খাতগুলো অগ্রাধিকার পাবে, আমরা শুধু তা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছি। তবে এর অন্তর্নিহিত বিষয় হচ্ছে অবকাঠামো নিয়ে ধারণা পরিষ্কার করা।’
২০০০ সালে প্রথম ঋণচুক্তির মাধ্যমে বাংলাদেশকে সহযোগিতা শুরু করে ইআইবি। তারপর থেকে ২০ বছরের বেশি সময় ধরে তাদের এ সহযোগিতা অব্যাহত রয়েছে। শুধু তা-ই নয়, ভারত ও চীনের পর প্রতিষ্ঠানটির সবচেয়ে বড় ঋণগ্রহীতা বাংলাদেশ।
জ্বালানি, পানি, পরিবহন ও স্বাস্থ্যসহ বহুমুখী খাতে বাংলাদেশকে ঋণ সহযোগিতা দিয়েছে ইআইবি। বর্তমানে ছয়টি পৃথক খাতে প্রতিষ্ঠানটি থেকে নেওয়া মোট ঋণের পরিমাণ প্রায় ১০০ কোটি ইউরো।
বিয়ার বলেন, ‘পরিবার ও উদ্যোক্তাদের জন্যেও এসব ঋণ সমৃদ্ধি আনবে এবং এটিই ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং এর আর্থিক শাখা— ইআইবির উদ্দেশ্য।’
‘পানিই জীবন এবং এটি যখন শক্তি সরবরাহ ও টেকসই গতিশীল উন্নয়নের সঙ্গে একত্রিত হয়, তার মানে, আপনার কাছে তখন সর্বোত্তম ভিত্তি রয়েছে।’
সরকারের সংস্কার কর্মকাণ্ডে তরুণদের সম্পৃক্ত করার ওপর গুরুত্বারোপ করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট বিয়ার।
তরুণদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘দয়া করে সম্পৃক্ত থাকুন, কারণ বাংলাদেশের আপনাদের শক্তি ও সৃজনশীলতা প্রয়োজন এবং এই দেশকে আপনারাই ভবিষ্যতের পরবর্তী ধাপে নিয়ে যাবেন।’
বাংলাদেশ সফর শেষে ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে ইআইবি ভাইস প্রেসিডেন্টের। সফর শেষ করার আগে নিজের অনুভূতি ব্যক্ত করতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের ইচ্ছাশক্তিই আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে।’
৩৫৩ দিন আগে
ঢাকায় ইউরোপীয় দেশগুলোর ভিসা সেন্টার খোলার চেষ্টা চলমান: পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়
বাংলাদেশে ইউরোপীয় দেশগুলো যাতে ভিসা সেন্টার খোলে, সেই চেষ্টা চলমান আছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জনকূটনীতি অনুবিভাগের মহাপরিচালক মোহাম্মদ রফিকুল আলম।বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের নতুন ভবনে সাপ্তাহিক মিডিয়া ব্রিফিংয়ে তিনি এমন কথা বলেন।রফিকুল আলম বলেন, ‘ইউরোপের যে দেশগুলোর দূতাবাস বাংলাদেশে নেই, তারা যাতে বাংলাদেশে ভিসা সেন্টার স্থানান্তরিত করে, সে বিষয়ে কয়েক মাস ধরে বাংলাদেশ ওই দেশগুলোকে অনুরোধ জানিয়ে আসছে।’‘এরইমধ্যে বুলগেরিয়া বাংলাদেশে ভিসা সেন্টার স্থাপনের উদ্যোগ নিয়েছে বলে আমরা জানতে পেরেছি। রোমানিয়া ক্ষেত্রবিশেষে কখনো ভিয়েতনাম, কখনো বা থাইল্যান্ড থেকে ভিসা নেওয়ার ব্যবস্থা করেছে,’ যোগ করেন তিনি।‘তবে এই ব্যবস্থা সম্পূর্ণ অস্থায়ী। ইউরোপের আরও কয়েকটি দেশ যাতে বাংলাদেশে ভিসা সেন্টার খোলে, সে জন্য আমাদের প্রচেষ্টা চলমান আছে। তবে এখানে একটি বিষয় বিবেচনায় আনতে হবে যে, এমন ব্যবস্থা গ্রহণের আগে ওই দেশগুলোকেও অনেক ধরণের অনুমোদন নিতে হয়, এ ধরণের সিদ্ধান্ত কোনো দেশই তাড়াহুড়ো করে নিতে পারে না।’তিনি বলেন, এ বিষয়ে ধৈর্য ধারণ করতে সবাইকে অনুরোধ জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।আগামী ২০ থেকে ২৪ জানুয়ারি দ্বিপাক্ষিক সফরে চীন যাবেন পররাষ্ট্র উপদেষ্টা। সেখানে চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করবেন তিনি। এতে দুই দেশের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনা হবে বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশ ও চীনের মধ্যে বাৎসরিক বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলার, যদিও এই বাণিজ্য ভারসাম্য বাংলাদেশের পক্ষে অনুকূল নয়। এই সফরে বাণিজ্য ভারসাম্য পুনর্গঠনের পাশাপাশি বাংলাদেশের বিভিন্ন খাতে চীনা বিনিয়োগ বৃদ্ধির বিষয়ে আলোচনা হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
৩৫৩ দিন আগে
চালের দাম বৃদ্ধিতে জনদুর্ভোগ হয়েছে, স্বীকার করলেন বাণিজ্য উপদেষ্টা
চালের দাম বৃদ্ধির কারণে সাধারণ মানুষের দুর্ভোগ হয়েছে স্বীকার করে বাণিজ্য উপদেষ্টা শেখ বশির উদ্দিন বলেছেন, স্থানীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে সরকার চাল আমদানির উপর ৬০ শতাংশ শুল্ক কমিয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) সচিবালয়ে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অধ্যাপক ড. ওমর বোলাতের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
রমজানকে সামনে রেখে পণ্যের মূল্য সহনীয় পর্যায়ে রাখার প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আসন্ন রমজান মাস নিয়ে আমরা সার্বিকভাবে প্রস্তুত। এই মুহূর্তে চালের বাজার নিয়ে বিভিন্ন উদ্যোগ নিচ্ছি। আমরা আমদানি শুল্ক শিথিল করছি। চাল আমদানিতে শুল্ক ছিল প্রায় ৬৩ শতাংশ, তা কমিয়ে ৩ শতাংশ করেছি।’
খাদ্য মন্ত্রণালয় ভারত, পাকিস্তান ও মিয়ানমার থেকে কয়েক লাখ টন চাল আমদানি করেছে।
বশির উদ্দিন আশ্বস্ত করে বলেন, এখন আমনের পুরো মৌসুম চলছে। এপ্রিল পর্যন্ত চালের কোনো সংকট হবে না। এখন পর্যন্ত কোনো পণ্যে কোনো অসঙ্গতি দেখা যায়নি।
চালের বাজারে কারসাজিতে জড়িতে সিন্ডিকেটের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে সাংবাদিকদের সহযোগিতা কামনা করে তিনি বলেন, এখন চালের বাজারের কোনো সংকট নেই, তবে আবহাওয়া, বন্যা ও অন্যান্য কারণে চালের দাম কিছুটা বেড়েছে।
আরও পড়ুন: ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হচ্ছেন ট্রেসি অ্যান
কারসাজিতে জড়িতদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়ে শিগগিরই চালের বাজার স্থিতিশীল হবে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
তিনি বলেন, চলতি সপ্তাহে টিসিবির স্মার্ট কার্ডধারী ৬৩ লাখ পরিবারের মধ্যে চাল বিতরণ শুরু হবে। এছাড়া খাদ্যবান্ধব কর্মসূচির আওতায় ৫০ লাখ পরিবারকে স্বল্পমূল্যে চাল দেওয়া হবে।
এক প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বশির উদ্দিন বলেন, জালিয়ারিতর মাধ্যমে একই পরিবারের আরও একাধিক সদস্য কার্ড নেওয়ার মতো দুর্নীতির অভিযোগে ৩৭ লাখ স্মার্টকার্ড বাতিল করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা আরও ৩৭ লাখ কার্ড যুক্ত করতে চাই। সংগ্রহ ও বাজারজাতকরণে যদি স্বচ্ছতা আনা যায়, তাহলে এই সংখ্যা ১ কোটিতে নেওয়া সম্ভব হবে, আমরা সেটাও করব।’
আরও পড়ুন: জাতিকে বিভক্ত করার প্রচেষ্টা রুখতে ঐক্য জরুরি: ফখরুল
৩৫৩ দিন আগে
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসের চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হচ্ছেন ট্রেসি অ্যান
ঢাকায় মার্কিন দূতাবাসে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স হিসেবে যুক্ত হতে যাচ্ছেন দেশটির সিনিয়র ফরেন সার্ভিসের জ্যেষ্ঠ সদস্য ট্রেসি অ্যান জ্যাকবসন। বৃহস্পতিবার (৯ জানুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে মার্কিন দূতাবাস।এরআগে তাজিকিস্তান, তুর্কমেনিস্তান ও কসোভোতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। এছাড়াও ইথিওপিয়ার আদ্দিস আবাবায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্স, অ্যাড ইন্টেরিম ছিলেন তিনি।বিদেশে বিভিন্ন উচ্চপদস্থ দায়িত্ব পালন ছাড়াও প্রথমে স্কুল অব প্রফেশনাল অ্যান্ড এরিয়া স্টাডিজের ডিন এবং পরে ন্যাশনাল ফরেন অ্যাফেয়ার্স ট্রেনিং সেন্টারের উপ-পরিচালক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন রাষ্ট্রদূত ট্রেসি অ্যান।ওয়াশিংটন ডিসিতে জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের উপ-নির্বাহী সেক্রেটারি ও প্রশাসনিক জ্যেষ্ঠ পরিচালক ছিলেন এই কূটনীতিক। লাটভিয়ার রিগায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসে ডেপুটি অ্যাম্বাসেডর হিসেবে নিয়োগদ পেয়েছিলেন তিনি।জনস হপকিন্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিএ ও একই বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল অব অ্যাডভান্সড ইন্টারন্যাশনাল স্টাডিজ থেকে এমএ ডিগ্রি অর্জন করেছেন ট্রেসি অ্যান।মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে একাধিক সম্মাননা অর্জন করেছেন তিনি। যার মধ্যে রয়েছে, সেক্রেটারির ডিস্টিংগুইশড সার্ভিস অ্যাওয়ার্ড, দুইটি প্রেসিডেন্সিয়াল র্যাংক অ্যাওয়ার্ড ও দ্য অর্ডার ফর পিস, ডেমোক্রেসি অ্যান্ড হিউম্যানিজম ‘ইব্রাহিম রুগোভা’।
৩৫৩ দিন আগে
আমরা অন্তর্বর্তীকালীন সরকার ও সংস্কার কার্যক্রমকে সমর্থন করি: ইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার বাস্তবায়নে সহায়তার আশ্বাস দিয়েছেন সফররত ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার। তিনি বলেছেন, ‘আমরা খুব চ্যালেঞ্জিং সময়ে (বাংলাদেশে) এসেছি। অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এবং তাদের সংস্কার এজেন্ডাকে আমরা সমর্থন করি।’
বুধবার (৮ জানুয়ারি) রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে তিনি এসব কথা বলেন।
বিয়ার বলেন, ‘সহায়তা দিতে ইইউর প্রযুক্তিগত দক্ষতা রয়েছে। আমরা সবকিছুই করতে পারি, দয়া করে আমাদের বলবেন।’
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কেবল কাজ করছে না, (তাদের কাজের) ফলাফলও আছে। তবে এটি দৃশ্যমান করাও গুরুত্বপূর্ণ।’
বর্তমান সময়কে উপযুক্ত উল্লেখ করে ড. ইউনূস দুর্নীতি রোধ, জ্বালানিতে সবুজ রূপান্তর এবং সুন্দরবনের ম্যানগ্রোভ বন ও সংলগ্ন অঞ্চল ও নদী ব্যবস্থার জন্য একটি বৃহত্তর পরিকল্পনা প্রণয়নে ইআইবির সহায়তা কামনা করেন।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং জানিয়েছে, তিনি বাংলাদেশের পূর্বাঞ্চলের জনগণের উন্নয়ন এবং উত্তরাঞ্চলের পানি ব্যবস্থাপনায় চট্টগ্রাম বন্দরে স্থাপনা নির্মাণেও ইআইবির সহায়তা কামনা করেছেন।
আরও পড়ুন: শুল্ক এড়াতে ইইউকে যুক্তরাষ্ট্রের তেল গ্যাস কিনতে হবে: ট্রাম্প
৩৫৪ দিন আগে
ব্রাজিলে হবে 'মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী-২০২৫’
রপ্তানিযোগ্য পণ্যের প্রচার, বাজার বৈচিত্র্যকরণ, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য জোরদার এবং ল্যাটিন আমেরিকায়, বিশেষ করে ব্রাজিলে, নেটওয়ার্কিং সহজতর করার লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো 'মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী-২০২৫' আয়োজন করতে যাচ্ছে ব্রাজিল বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (বিবিসিসিআই)।
ব্রাজিলের সাও পাওলোতে চলতি বছরের ১৫ থেকে ১৮ জুন প্রথমবারের মতো এই প্রদর্শনী আয়োজন করা হবে।
বুধবার (৮ জানুয়ারি) সংবাদ সম্মেলনে এ তথ্য জানানো হয়।
সংবাদ সম্মেলনে স্বাগত বক্তব্য দেন বিবিসিসিআই’র ভাইস প্রেসিডেন্ট মো. সাইফুল আলম এবং মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বিবিসিসিআই’র মহাসচিব মো. জয়নাল আবদিন।
অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রাজিলের রাষ্ট্রদূত জনাব পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যিক সম্পর্ক আরও গভীর করার অপরিসীম সম্ভাবনার উপর জোর দেন।
তিনি বলেন, ’মেড ইন বাংলাদেশ প্রদর্শনী-২০২৫' ব্রাজিল এবং বাংলাদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এই উদ্যোগ ব্যবসাকে তাদের উৎকর্ষতা প্রদর্শন এবং অর্থপূর্ণ অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম ।
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিশ্চিত যে, এই অনুষ্ঠান পারস্পরিক বোঝাপড়া আরও বৃদ্ধি করবে এবং ভবিষ্যতে বৃহত্তর অর্থনৈতিক সহযোগিতার পথ প্রশস্ত করবে।’
রাষ্ট্রদূত পাওলো ফার্নান্দো দিয়াস ফেরেস জানান, ব্রাজিল বিশ্বের সব চেয়ে বড় গরু ও পোলট্রি মাংস উৎপাদনকারী দেশ। বিশ্বের অনেক মুসলিমপ্রধান দেশেই ব্রাজিল থেকে গরুর মাংস আমদানির অনুমতি রয়েছে। কিন্তু বাংলাদেশে এই অনুমতি নেই। ওই অনুমতি পাওয়ার জন্যই ব্রাজিল চেষ্টা করছিল বলে জানান রাষ্ট্রদূত।
মো. সাইফুল আলম বলেন,‘এই এক্সপো বিবিসিসিআই’র অর্থনৈতিক সহযোগিতা বৃদ্ধি এবং বাংলাদেশি উদ্যোক্তাদের জন্য নতুন দ্বার খোলার দৃষ্টিভঙ্গির সঙ্গে পুরোপুরি সামঞ্জস্যপূর্ণ। আমাদের রপ্তানিকারকদের জন্য নতুন বাজারে প্রবেশ এবং তাদের ব্যবসাকে বিশ্বব্যাপী উন্নীত করার জন্য এটি একটি সুবর্ণ সুযোগ। আপনি যদি পোশাক শিল্পের একজন নেতা, পাটজাত পণ্যের, অথবা ওষুধ শিল্পের একজন অগ্রদূত হন, এই ইভেন্টটি আন্তর্জাতিক প্রবৃদ্ধির জন্য আপনার প্রবেশদ্বার।’
তিনি বলেন, আমাদের বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের কাছে, এই এক্সপো নতুন বাজারে প্রবেশ এবং ব্যবসাকে বিশ্বমঞ্চে উন্নীত করার একটি সুবর্ণ সুযোগ। ব্যবসায়ীদের এই যুগান্তকারী অনুষ্ঠানে নিবন্ধন এবং অংশগ্রহণের জন্য আহ্বান জানান তিনি।
সাইফুল বলেন, প্রদর্শনীটি বাংলাদেশি আমদানিকারকদের জন্য, ব্রাজিলের ব্যবসার সঙ্গে জোট গড়ে তোলার এবং সয়াবিন, চিনি এবং শিল্প যন্ত্রপাতির মতো উচ্চমানের পণ্য অন্বেষণ করার এটি সুযোগ। বাংলাদেশ থেকে ১০০ থেকে ১৫০ জন ব্যবসায়ী প্রদর্শনীতে অংশগ্রহণ করবেন বলেও নিজের আশার কথা জানান তিনি।
আগামী ৩১ জানুয়াররি পর্যন্ত আকর্ষণীয় ছাড়সহ আগাম নিবন্ধনের সুযোগ থাকবে।
মো. জয়নাল আবদিন এক্সপোকে সংস্কৃতি এবং বাণিজ্যের মধ্যে একটি সেতুবন্ধন হিসেবে বর্ণনা করেন।
আরও পড়ুন: জরিমানা দেওয়ায় এক্সের ওপর থেকে নিষেধাজ্ঞা তুলল ব্রাজিল
তিনি বলেন, ‘২০২২ সালে বাংলাদেশ ও ব্রাজিলের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যের মূল্য ২৫৩ কোটি ডলার হওয়ায় তাৎপর্যপূর্ণ প্রবৃদ্ধির সম্ভাবনা অনস্বীকার্য। এই এক্সপো ব্রাজিলের টেকসই লক্ষ্যের সঙ্গে বাংলাদেশের পাট এবং বাংলাদেশের শিল্পায়নকে সমর্থনকারী ব্রাজিলীয় শিল্প সরঞ্জামের মতো সমন্বয় অন্বেষণের জন্য একটি প্ল্যাটফর্ম দেবে।’
জয়নাল আবদিন আরও বলেন, এই অনুষ্ঠানের লক্ষ্যগুলো হলো-বাংলাদেশি রপ্তানিকারকদের জন্য বাজারের বৈচিত্র্য আনা। বাণিজ্যের পরিমাণ বৃদ্ধি এবং বিনিয়োগ অংশীদারিত্ব বৃদ্ধি করা এবং শিল্প জুড়ে উদ্ভাবন এবং সহযোগিতা প্রচার করা।
তিনি বলেন, ‘এই এক্সপোতে লক্ষ্যবস্তুতে ব্যবসা-থেকে-ব্যবসা (বিটুবি) ম্যাচমেকিং, নীতি আলোচনা এবং সাংস্কৃতিক প্রদর্শনী থাকবে, যা বাণিজ্যের বাইরে গিয়ে পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং প্রবৃদ্ধি জোরদার করার জন্য অংশীদারিত্বকে উৎসাহিত করবে।’
ব্রুনাই রাষ্ট্রদূত হাজী হারিস বিন ওসমান, ব্রিটিশ বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স এন্ড ইন্ডাস্ট্রি এর সাবেক সভাপতি মো. বশির আহমেদ , ঢাকাস্থ ব্রাজিল দূতাবাসের ডেপুটি হেড অফ মিশন লিওনার্দো ডি অলিভেইরা জানুজ্জি, কৃষি অ্যাটাশে সিলভিও লুইজ রদ্রিগেজ টেস্টাসেক্কা এবং বিশিষ্ট ব্যবসায়ী নেতারা এসময় উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ব্রাজিলে গ্লোবাল সাউথ মিডিয়া সামিটে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব করবেন এনায়েতউল্লাহ খান
৩৫৪ দিন আগে
সম্পর্ক জোরদারে ঢাকায় ইআইবি ভাইস প্রেসিডেন্ট
ঢাকার সঙ্গে বিদ্যমান অংশীদারত্ব পর্যালোচনা, বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সঙ্গে বিনিয়োগ সহযোগিতা সম্প্রসারণের লক্ষ্যে তিন দিনের সফরে বাংলাদেশে এসেছেন ইউরোপিয়ান ইনভেস্টমেন্ট ব্যাংকের (ইআইবি) ভাইস প্রেসিডেন্ট নিকোলা বিয়ার।
মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) বিকেলে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে উপদেষ্টা মো. তৌহিদ হোসেনের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন তিনি। এ সময় বাংলাদেশে নিযুক্ত ইউরোপীয় ইউনিয়নের রাষ্ট্রদূত মাইক মিলার সেখানে উপস্থিত ছিলেন।
এ বিষয়ে সোমবার ইউএনবিকে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে বৈঠকসহ সূচিতে বেশ কয়েকটি বৈঠক রাখা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশকে ২৮৩ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ঋণ দিলো ইআইবি
ঢাকায় অবস্থানকালে প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও অর্থ ও পরিকল্পনা উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদ, পররাষ্ট্রবিষয়ক উপদেষ্টা তৌহিদ হোসেন, বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ ও রেলওয়ে উপদেষ্টা মুহাম্মদ ফাওজুল কবির খান, পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়, পানিসম্পদ উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান, স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া এবং বাংলাদেশ ব্যাংকের গভর্নর আহসান এইচ মনসুরের সঙ্গে বৈঠক করবেন ইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট।
এছাড়া তিনি কেএফডব্লিউ, এএফডি, এডিবি, আইএমএফ, বিশ্বব্যাংক, আইএফসি ও জাইকা প্রতিনিধিদের সঙ্গে প্রাতঃরাশ বৈঠক এবং ইউরোপিয়ান ইউনিয়ন চেম্বার অব কমার্স ইন বাংলাদেশের (ইউরোচ্যাম) সঙ্গে নৈশভোজে বৈঠক করবেন।
সফর শেষ করা আগে বৃহস্পতিবার তিনি গন্ধর্বপুর পানি শোধনাগার পরিদর্শন করবেন।
ইউরোপীয় ইউনিয়নের ২৭ সদস্য রাষ্ট্রের মালিকানাধীন ইআইবি বিশ্বের বৃহত্তম বহুপক্ষীয় আর্থিক প্রতিষ্ঠান এবং ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিনিয়োগ ব্যাংক হিসেবে কাজ করে থাকে।
বৈদেশিক নীতিগত অগ্রাধিকার, গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল, ইইউ মাল্টিঅ্যানুয়াল ফাইন্যান্সিয়াল ফ্রেমওয়ার্ক (এমএফএফ) এবং দক্ষিণ, দক্ষিণ-পূর্ব ও পূর্ব এশিয়ায় অর্থায়ন কার্যক্রম তত্ত্বাবধায়ন করেন ভাইস প্রেসিডেন্ট বিয়ার।
জলবায়ু কর্মকাণ্ড ইআইবি কার্যক্রমের একটি বড় অংশ হলেও এটি পরিবেশ, উন্নয়ন, উদ্ভাবন এবং দক্ষতা, ক্ষুদ্র ও মাঝারি আকারের ব্যবসা (এসএমই), অবকাঠামো ও সংহতির ওপরও মনোনিবেশ করে।
সম্প্রতি বাংলাদেশের জ্বালানি খাতের রূপান্তরে সহযোগিতার জন্য ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) প্রতি আহ্বান জানান অধ্যাপক ইউনূস।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আপনাদের সহযোগিতা প্রত্যাশা করছি।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-ইইউ সহযোগিতা: ঢাকায় আসছেন ইআইবির ভাইস প্রেসিডেন্ট
গত মাসে ঢাকা ও নয়া দিল্লিতে অবস্থিত ইউরোপীয় দেশগুলোর কূটনীতিকদের সঙ্গে অনুষ্ঠিত বৈঠকে তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের জ্বালানি খাতের রূপান্তরে সহায়তা দিতে অন্যান্য দেশের সঙ্গেও কথা বলেছি।’
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘পরিবেশ অবশ্যই আমাদের কাছে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার।’
বাংলাদেশ পরিবেশ বিপর্যয়ের শিকার উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘একটি ক্ষেত্রে আমি খুবই আগ্রহী, তা হচ্ছে নবায়নযোগ্য জ্বালানি।’
ইআইবি ইকুইটি ও ঋণ প্রদানকারী কোম্পানি এবং প্রকল্পগুলোর মাধ্যমে অর্থায়ন ও বিনিয়োগ করে থাকে যা ঋণ, ইকুইটি ও গ্যারান্টির মাধ্যমে ইউরোপীয় ইউনিয়নের নীতিগত লক্ষ্য অর্জন করে।
১৯৫৮ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে ইআইবি ইউরোপ ও বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন প্রকল্পে এক ট্রিলিয়ন ইউরোর বেশি বিনিয়োগ করেছে।
৩৫৫ দিন আগে
‘বাংলাদেশ এমন শাসনের মধ্য দিয়ে গেছে যা নির্বাচনকে প্রহসনে পরিণত করেছিল’
প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব অপূর্ব জাহাঙ্গীর বলেছেন, এক দশকেরও বেশি সময় ধরে বাংলাদেশ এমন একটি শাসনের মধ্য দিয়ে গেছে যা, 'নির্বাচনকে প্রহসনে, ভিন্নমতকে রাষ্ট্রদ্রোহে এবং সংবাদপত্রকে সহজে বাস্তবায়নের ‘কারাওকে মেশিনে’ পরিণত করেছে।’
তিনি বলেন, ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সরকার শুধু দেশ পরিচালনায়ই সন্তুষ্ট থাকেনি, তিনি সত্যকে চাপা দিয়ে একচেটিয়া আধিপত্যসহ এটির মালিক হতে চেয়েছিল।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে শেয়ার করা এক পোস্টে অপূর্ব লেখেন, 'তা সত্ত্বেও অনেক ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইন্দিরা গান্ধীর মতো ত্রাণকর্তা হিসেবে ফ্লোরেন্স নাইটিঙ্গেলের পুনর্জন্মের মতো তুলে ধরেছে।’
উপ প্রেসসচিব বলেছেন, সংবাদের শিরোনামে শেখ হাসিনাকে 'আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার রক্ষক, অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির রানী, সন্ত্রাসবিরোধী চ্যাম্পিয়ন' হিসেবে চিত্রিত করা হয়েছে।’
অপূর্ব বলেন, ‘সব সময়, আপনারা যত্ন সহকারে তার সংকলিত বক্তব্যের দুর্বলতাগুলো কৌশলে এড়িয়ে গেছেন। গুম, মিডিয়ার ওপর চাপ এবং কারচুপির নির্বাচন, যা এমনকি সবচেয়ে চরম স্বৈরশাসককেও লজ্জা দেবে। কিন্তু এই বিশেষ নায়িকাকে পেয়ে গেলে তথ্য নিয়ে মাথা ঘামাবেন কেন, তাই না?'
উপ প্রেসসচিব দাবি করেছেন, ‘ভারতের রাজনৈতিক অভিজাতরা দীর্ঘদিন ধরে বাংলাদেশকে ‘অনুগত ছোট ভাই- তিরস্কার, সহযোগিতা এবং নিয়ন্ত্রণের জাতি’ হিসাবে দেখেছে।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া লন্ডন যাচ্ছেন মঙ্গলবার রাতে
তিনি বলেন, ওই বাক্সে হাসিনা নিজেকে খুব সুন্দরভাবে ফিট করেছেন। ‘তিনি আপনাদেরকে সীমান্ত চুক্তি, সংযোগ চুক্তি এবং আপনার নিজের অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহের বিরুদ্ধে দৃঢ় হাত দিয়েছেন। প্রতিদান হিসেবে আপনারা তার স্বৈরাচারী প্রবণতার প্রতি চোখ বন্ধ করে রেখেছেন, তার রাজত্বকে গণতন্ত্রের এক দীর্ঘ, গৌরবময় দুর্গাপূজা হিসাবে ঘুরিয়েছেন।’
অপূর্ব বলেন, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যখন জবাবদিহিতা, স্বচ্ছতা ও সত্যিকারের জনসেবার নতুন পথ বেছে নিচ্ছে, তখন ‘আপনারা গতি পরিবর্তন করেছেন।’
ফেসবুক পোস্টে অপূর্ব আরও উল্লেখ করেন, ‘হঠাৎ করে, আমাদেরকে 'স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি' হিসাবে চিত্রিত করা হয়েছে, একটি দুর্বৃত্ত উপাদান যা ‘পাঠান’ এর পরবর্তী খলনায়ক আরামদায়ক স্থিতিশীলতাকে বিঘ্নিত করে। মনে রাখবেন, শেখ হাসিনা যে গণতান্ত্রিক অধিকার পিষ্ট করেছিলেন, তা ফিরিয়ে আনাই আমাদের লক্ষ্য। আমাদের দায়িত্ব হলো সে যা ভেঙেছে তা ঠিক করা।’
তবে এখানে একটি গোপন কথা উল্লেখ করে উপ প্রেসসচিব বলেন, 'বাংলাদেশ আপনাদের ঘুঁটি নয়, কখনোই ছিল না। আমরা এখানে আপনার ভূ-রাজনৈতিক সুরে দ্বিতীয় বেহালা বাজাতে আসিনি। আমরা অবশ্যই এখানে আপনার প্রচারকে বাস্তবায়ন করতে আসিনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা এমন একটি জাতি যার নিজস্ব স্বপ্ন রয়েছে। ‘আমাদের নিজস্ব সংগ্রাম এবং হ্যাঁ আমাদের নিজস্ব পছন্দ আছে, আমরা সাহসী, অনুতাপহীন এবং ভুলে যাওয়ার নয়।’
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমের বন্ধুদের উদ্দেশে অপূর্ব বলেন, 'এখানে একটা উপদেশ আছে, পক্ষপাতিত্বে সহজে যান। একজন নেতার প্রতি আনুগত্যকে একটি জাতির প্রতি আনুগত্য ভেবে ভুল করবেন না।’
তিনি আরও বলেন, ‘আর আমাদের জন্য? আমরা আরও ভাল কিছু তৈরি করতে থাকব- এমন একটি ভবিষ্যত, যেখানে গণতন্ত্র কোনো আভরণ নয়, মূল জিনিস।’
আরও পড়ুন: সাদা পোশাকে কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারবে না ডিবি: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
৩৫৬ দিন আগে