বৈদেশিক-সম্পর্ক
মঙ্গলবার পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে মৎস্যজীবীদের
বিভিন্ন সময়ে আটক হয়ে ভারতে বন্দি ৯০ বাংলাদেশি মৎস্যজীবী ও নৌকর্মী অবশেষে দেশে ফিরছেন। আগামীকাল মঙ্গলবার (৭ জানুয়ারি) সকাল ১০টার মধ্যে পরিবার ও ট্রলার মালিকদের কাছে হস্তান্তর করা হবে মৎস্যজীবীদের।
বিপরীতে বাংলাদেশে আটক ৯৫ ভারতীয় মৎস্যজীবী ও নৌকর্মীকেও হস্তান্তর করা হয়েছে। তারা নিজ দেশে ফিরে যাচ্ছেন। এদিকে বাংলাদেশের ‘এফভি লায়লা-২’ এবং ‘এফভি মেঘনা-৫’ নামের দুটি মাছ ধরার নৌযান ফেরত আনা হয়েছে। ভারতের ছয়টি ফিশিং বোট ফিরিয়ে দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টার দিকে পশ্চিমাঞ্চলীয় আন্তর্জাতিক জলসীমায় এ হস্তান্তর হয় বলে জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
সোমবার (৬ জানুয়ারি) দুপুরে কোস্ট গার্ডের মিডিয়া কর্মকর্তা লেফটেন্যান্ট সাকিব মেহবুব ইউএনবিকে বলেন, ‘ভারত থেকে মুক্তি পাওয়া বাংলাদেশিদের মধ্যে ৭৮ নাবিক ও ১২ মৎস্যজীবী রয়েছেন। আজ চট্টগ্রামের পতেঙ্গায় তাদের নিয়ে আসা হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার সকাল ১০টার মধ্যে মৎস্যজীবীদের ট্রলার মালিক ও পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
২০২৪ সালের বিভিন্ন সময় একে অপরের জলসীমায় ঢুকে পড়ায় দুই দেশের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে তারা আটক হয়েছিলেন। পরে সমঝোতার ভিত্তিতে তাদের যার যার দেশের কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করার পদক্ষেপ নেওয়া হয়।
এর অংশ হিসেবে তাদের বিরুদ্ধে উভয় দেশে হওয়া মামলা তুলে নেওয়া হয়।
৩৫৭ দিন আগে
বাংলাদেশে বিনিয়োগে আগ্রহী ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা, চান সহায়ক পরিবেশ
দেশের বিভিন্ন সেক্টরে বিনিয়োগের ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন যুক্তরাজ্যের ব্যাবসায়ীরা। এজন্য তারা সহায়ক পরিবেশ চান। কারণ যেকোনো দেশে বিনিয়োগের জন্য উপযুক্ত পরিবেশ থাকা গুরুত্বপূর্ণ। এক্ষেত্রে বাংলাদেশে বিনিয়োগের জন্য ডুয়িং বিজনেস (সহজে ব্যবসা করার সূচক) রিপোর্টে উন্নতি, সুশাসন, মানবাধিকার পরিস্থিতি উন্নয়ন ও আমলাতান্ত্রিক জটিলতা নিরসন জরুরি।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ-বিডার সঙ্গে এক বৈঠককালে এসব দাবি করেছে ঢাকায় সফররত ব্রিটিশ ব্যাবসায়িক প্রতিনিধি দল।
এ সময় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের প্রশংসাসহ এবং দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক বৃদ্ধি নিয়ে কথা বলেন তারা।
যুক্তরাজ্যভিত্তিক ব্যাবসায়ীদের সংগঠন ইউকে বাংলাদেশ ক্যাটালিস্টস অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রির (ইউকেবিসিসিআই) উদ্যোগে আয়োজিত সাত দিনব্যাপী এ সফরের নেতৃত্ব দিচ্ছেন সংগঠনের চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ।
অন্যান্যের মধ্যে রয়েছেন— ব্রিটিশ সংসদ সদস্য ড. রুপা হক, ইউকেবিসিসিআইয়ের সভাপতি এমজি মৌলা মিঞা, প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বজলুর রশিদ, মিডল্যান্ড অঞ্চলের সভাপতি ইমাম উদ্দিন আহমেদ, সদস্য আবু সুফিয়ান রনি, ফখরুল ইসলাম চৌধুরী ও এম এ কাদির।
এ ছাড়াও রয়েছেন ব্যাংক অব এশিয়ার পরিচালক আশরাফুল হক চৌধুরী, সুরি ইউনির্ভাসিটির অ্যাসোসিয়েট ভাইস প্রেসিডেন্ট অধ্যাপক ওয়াইউ জিয়ং, স্পিনর টেক লিমিটেডের প্রধান কর্মকর্তা কেন সু ও পরিচালক ইভা ঝাং, ম্যাট ট্যাম, গিনি লন্ডনের প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক রবিন্দ্র জাং লামিছানি প্রমুখ।
বিডার চেয়ারম্যান আশিক মাহমুদ বিন হারুনের সভাপতিত্বে সভায় বিডার পক্ষ থেকে অন্যান্যদের মধ্যে ছিলেন ব্যাবস্থাপনা পরিচালক গাজী একেএম ফজলুল হক, সেক্রেটারি ড. দেওয়ান চৌধুরী প্রমুখ।
বৈঠক শেষে এক সংক্ষিপ্ত সংবা সম্মেলনে রুপা হক জানান, বাংলাদেশে বিভিন্ন খাতে ব্রিটিশ উদ্যোক্তারা বিনিয়োগে আগ্রহী। এজন্য তারা বিনিয়োগ-সহায়ক পরিবেশ চান।
তিনি বলেন, যুক্তরাজ্য-বাংলাদেশ সম্পর্ক একটি সুদৃঢ় অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছে। এক্ষেত্রে দুদেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কের বিকাশ খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য ও বিনিয়োগ নিয়ে একসঙ্গে কাজ করার অনেক ক্ষেত্র আছে। আমরা এই সম্পর্ককে নতুন উচ্চতায় নিয়ে যেতে চাই।
ব্রিটিশ সরকারের এই সংসদ সদস্য বলেন, বাংলাদেশে অনেক ব্রিটিশ কোম্পানি রয়েছে। এর মধ্যে অনেকেই বাংলাদেশে তাদের ব্যবসা আরও বাড়ানোর আগ্রহ প্রকাশ করেছেন।
আরও পড়ুন: দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
সংগঠনটির চেয়ারম্যান ইকবাল আহমেদ জানান, এ সফরের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বাংলাদেশে বৃটিশ বিনিয়োগ বৃদ্ধি করা। এ সফরের মাধ্যমে আপতত কৃষি, ফার্মাসিউটিক্যাল ও গার্মেন্টস সেক্টরে বিনিয়োগ আসবে।
সভাপতি এমজি মৌলা মিঞা জানান, এরপরে আরও বিনিয়োগ আসবে। এটি প্রাথমিক পর্যায়। তবে বিশ্বব্যাপী এআইয়ের ব্যাবহার বৃদ্ধি পাওয়ায় এই সেক্টরের দিকে বেশি আগ্রহ রয়েছে বৃটিশ ব্যাবসায়ীদের।
এ বছরের শেষ নাগাদ এ সফরের বিনিয়োগ অসতে যাচ্ছে বলেও তিনি জানান।
ভবিষ্যতে ব্যবসা পরিচালনা করতে ইচ্ছুক ব্রিটিশ বিনিয়োগকারীদের জন্য একটি অনুকূল ব্যবসায়িক পরিবেশ নিশ্চিতের আহ্বান জানান এমজি মৌলা মিঞা।
প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বজলুর রশিদ জানান, এ সফরের মাধ্যমে প্রায় এক হাজার মিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ বৃদ্ধি পেতে পারে।
৩৫৮ দিন আগে
বাংলাদেশের স্বার্থ রক্ষায় আরাকান আর্মির সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক গড়ার পরামর্শ বিশেষজ্ঞদের
মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে আরাকান আর্মির (এএ) ক্রমবর্ধমান প্রভাবের প্রেক্ষিতে বাংলাদেশের জন্য একটি স্পষ্ট জাতীয় কৌশল প্রণয়নের ওপর জোর দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা সতর্ক করেছেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে সময়মতো যোগাযোগ স্থাপন না করলে ‘সুযোগ হারানোর’ আশঙ্কা রয়েছে, বিশেষত যখন বহির্বিশ্ব নৌপথের মাধ্যমে রাখাইনের সঙ্গে সম্পৃক্ততা বাড়াচ্ছে।
বাংলাদেশ ইনস্টিটিউট অব পিস অ্যান্ড সিকিউরিটি স্টাডিজ (বিআইপিএসএস) আয়োজিত ‘মংডুর পতনের পর রাখাইন: বাংলাদেশের ও অঞ্চলের জন্য প্রভাব’ শীর্ষক এক নীতিনির্ধারণী আলোচনায় এসব কথা উঠে আসে।
এতে নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞ, সাবেক কূটনীতিক এবং শিক্ষাবিদরা রাখাইন রাজ্যের ক্রমবর্ধমান পরিবর্তন ও তার প্রভাব নিয়ে আলোচনা করেন। আলোচনাটি পরিচালনা করেন বিআইপিএসএস-এর প্রেসিডেন্ট মেজর জেনারেল (অব.) এএনএম মুনিরুজ্জামান।
আলোচকদের মধ্যে ছিলেন মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক, মিয়ানমারে বাংলাদেশের প্রাক্তন ডিফেন্স অ্যাটাশে এবং লিবিয়ায় বাংলাদেশের সাবেক রাষ্ট্রদূত এবং ইস্ট-ওয়েস্ট ইউনিভার্সিটির সহকারী অধ্যাপক পারভেজ করিম আব্বাসি।
রাখাইনে আরাকান আর্মির আধিপত্য
আলোচনায় জানানো হয়, রাখাইন রাজ্যের ৮০ শতাংশেরও বেশি এলাকা এখন আরাকান আর্মির নিয়ন্ত্রণে, যার মধ্যে বাংলাদেশের সঙ্গে থাকা ২৭১ কিলোমিটার সীমান্তও অন্তর্ভুক্ত।
উদ্বোধনী বক্তব্যে বিআইপিএসএস-এর সিনিয়র রিসার্চ ফেলো শাফকাত মুনির বলেন, পরিস্থিতি থেকে সুবিধা আদায়ের উপায় খুঁজে বের করার কৌশল নিতে হবে। আলোচকরা আরাকান আর্মির সঙ্গে কৌশলগত সম্পর্ক স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন।
মুনিরুজ্জামান ভারত কীভাবে তার মিয়ানমার কৌশল পুনর্বিন্যাস করেছে তা উল্লেখ করে বলেন, বাংলাদেশেরও স্বার্থ রক্ষায় দৃঢ় পদক্ষেপ নিতে হবে। তিনি রাখাইনের কৌশলগত গুরুত্ব তুলে ধরে বলেন, এটি বঙ্গোপসাগরের নৌপথে প্রবেশাধিকারের জন্য গুরুত্বপূর্ণ এবং অঞ্চলটি সম্পদসমৃদ্ধ ও বহু-জাতিগোষ্ঠী সমন্বিত।
চীনা এবং ভারতীয় স্বার্থ
তিনি আরও বলেন, রাখাইন রাজ্যের ভূরাজনৈতিক গুরুত্ব বাড়ছে, বিশেষ করে চীনের বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) এবং বিসিআইএম অর্থনৈতিক করিডোরের পরিপ্রেক্ষিতে। এছাড়া চীন-মিয়ানমার তেল ও গ্যাস পাইপলাইন প্রকল্প রাখাইনের সংযোগকেন্দ্র হিসাবে ভূমিকা তুলে ধরে।
সহকারী অধ্যাপক আব্বাসি বলেন, জটিল ভূরাজনৈতিক পরিস্থিতিতে আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন একটি বাস্তবধর্মী কৌশল। সরাসরি যোগাযোগ সম্ভব না হলে অনানুষ্ঠানিক উপায় ব্যবহার করা যেতে পারে।
তিনি সতর্ক করেন, আরাকান আর্মির আধিপত্য বাড়লে ভারতের উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিদ্রোহের ঝুঁকি বাড়তে পারে।
আব্বাসি বলেন, রাখাইনের ভবিষ্যৎ নিয়ে ভারত ও পাকিস্তানের অংশগ্রহণহীনতা উল্লেখযোগ্য। তিনি মিয়ানমারকে একটি ‘ছায়াযুদ্ধের ক্ষেত্র’ হিসেবে অভিহিত করেন। এছাড়া রাখাইনের ভবিষ্যৎ নিয়ে কূটনৈতিক অবস্থানের পরিবর্তনকে তিনি ভূরাজনৈতিক অগ্রসরতার প্রতিফলন বলে উল্লেখ করেন।
রোহিঙ্গা সংকট এবং আরাকান আর্মি
আব্বাসি আরও বলেন, আরাকান আর্মির ‘আরাকান স্বপ্ন’ রোহিঙ্গাদের কোনো স্থান দেয় না। তিনি সতর্ক করেন যে, আরাকান আর্মি পূর্ণ স্বাধীনতার পরিবর্তে কনফেডারেশন পদ্ধতির পক্ষে থাকলেও তাদের ক্রমবর্ধমান প্রভাব আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকি তৈরি করতে পারে।
শাহিদুল হকের দৃষ্টিভঙ্গি
মেজর জেনারেল (অব.) শাহিদুল হক আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপনকে ‘উইন-উইন’ পরিস্থিতি হিসেবে বর্ণনা করেন। তিনি বলেন, এটি একদিকে বাংলাদেশের নিরাপত্তা নিশ্চিত করবে এবং অন্যদিকে অর্থনৈতিক স্বার্থ রক্ষা করবে। তবে তিনি সতর্ক করেন, আরাকান আর্মির সঙ্গে সম্পর্ক দীর্ঘমেয়াদে মিয়ানমারের সঙ্গে বাণিজ্যিক সম্পর্ক ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।
নীতি নির্ধারণী আলোচনার সমাপ্তি
আলোচনা শেষে অংশগ্রহণকারীরা নিরাপত্তা ঝুঁকি, অর্থনৈতিক সুযোগ এবং আঞ্চলিক ভূরাজনীতির বিভিন্ন দিক নিয়ে মতবিনিময় করেন। তারা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নেতৃত্ব বিকাশ ও অধিকার প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে পুনর্বাসন প্রচেষ্টার ওপর জোর দেন। পাশাপাশি আঞ্চলিক ভারসাম্য রক্ষায় টেকসই সমাধান খুঁজে বের করার প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
৩৫৮ দিন আগে
দেশে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের আশ্বাস দিলেন প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশের আগামী জাতীয় নির্বাচন সম্পূর্ণ অবাধ ও সুষ্ঠু হবে বলে ব্রিটিশ সংসদ সদস্য রূপা হককে আশ্বস্ত করেছেন প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শনিবার (৪ জানুয়ারি) প্রধান উপদেষ্টার বাসভবন যমুনায় তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন রুপা হক।
সাক্ষাৎকালে ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার শাসনামলে জনগণের ওপর নির্যাতন এবং জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের কারণ ব্যাখ্যা করেন অধ্যাপক ইউনূস।
ব্রিটিশ সংসদ সদস্যকে তিনি বলেন, গত তিনটি নির্বাচনে মানুষ ভোট দিতে পারেনি। একটি ভুয়া সংসদ, ভুয়া এমপি এবং একজন ভুয়া স্পিকার ছিল বাংলাদেশে।
এ সময় আগামী জাতীয় নির্বাচনের তারিখ, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সংস্কার উদ্যোগ এবং রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের প্রক্রিয়া সম্পর্কে খোঁজখবর নেন রুপা হক।
এ বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা বলেন, পরবর্তী জাতীয় নির্বাচনের সম্ভাব্য দুটি সময়সীমা রয়েছে; ২০২৫ সালের ডিসেম্বর অথবা ২০২৬ সালের মাঝামাঝি। জনগণ কতটুকু সংস্কার চায় তার ওপর নির্বাচনের তারিখ নির্ভর করছে।
রূপা হক আগামী জাতীয় নির্বাচন পর্যবেক্ষণ করতে বাংলাদেশে আসার ইচ্ছা প্রকাশ করেন।
এ সময় ঢাকায় নিযুক্ত ডেপুটি ব্রিটিশ হাইকমিশনার ও উন্নয়ন-বিষয়ক পরিচালক জেমস গোল্ডম্যান উপস্থিত ছিলেন।
৩৫৮ দিন আগে
শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণ অনুরোধে নীরব ভারত, অপেক্ষায় বাংলাদেশ
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার প্রত্যর্পণে বাংলাদেশের অনুরোধের বিষয়ে ভারত আর কোনো মন্তব্য করেনি। তবে বাংলাদেশ ভারতের কাছ থেকে জবাবের অপেক্ষায় রয়েছে।
ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেছেন, 'আপনারা জানেন, এক সপ্তাহ আগে আমি নিশ্চিত হয়েছি যে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ব্যাপারে বাংলাদেশ কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে আমরা একটি বার্তা পেয়েছি। এর বাইরে এই মুহূর্তে আমার আর কিছু বলার নেই।’
বৃহস্পতিবার(২ জানুয়ারি) নয়াদিল্লিতে সাপ্তাহিক সংবাদ সম্মেলনে এক সাংবাদিকের এ বিষয়ে সুনির্দিষ্ট প্রশ্নে তিনি এ মন্তব্য করেন।
সরকারের অন্তর্বর্তীকালীন উপদেষ্টা মাহফুজ আলম গত রবিবার বলেছেন, তারা শুনেছেন ভারত তাকে ফেরত দেবে না।
উপদেষ্টা বলেন, 'আমাদের পর্যবেক্ষণ হলো তারা একটি রাজনৈতিকভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন যে, তারা তাকে ফেরত দেবেন না। আমরা এমনটিই শুনছি।’
নয়া দিল্লির কাছ থেকে জবাব না পেলে নির্দিষ্ট সময় পর স্মরণ করিয়ে দেবে বাংলাদেশ।
সম্প্রতি সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে এক প্রশ্নের জবাবে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়র মুখপাত্র মো. রফিকুল আলম বলেন, ‘নিশ্চয়ই আমরা একটা নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করব। সোমবারই কূটনৈতিক চিঠি (নোট ভারবাল) হস্তান্তর করা হয়েছে। '(ভারতের পক্ষ থেকে) কোনো জবাব না এলে আবারও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হবে।’
তিনি বলেন, ভারতের পক্ষ থেকে জবাবের ভিত্তিতে সরকার পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে। ‘এই মুহুর্তে, আমরা কোনো মন্তব্য করব না, কারণ আমরা উত্তরের জন্য অপেক্ষা করব।’
জুলাই মাসের গণঅভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গণহত্যা ও মানবতাবিরোধী অপরাধসহ ব্যাপক অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে শতাধিক মামলা রয়েছে। এর ফলে গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা ভারতে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় হাইকমিশনে প্রধান উপদেষ্টা
বাংলাদেশ ও ভারত ২০১৩ সালে একটি প্রত্যর্পণ চুক্তি সেই করেছে। পরে ২০১৬ সালে এটি সংশোধন করা হলে তা এক ধরনের অনুরোধের জন্য একটি আইনি কাঠামোতে পরিণত হয়।
২০১৬ সালের জুলাই মাসে বাংলাদেশ ও ভারত তাদের দ্বিপক্ষীয় প্রত্যর্পণ চুক্তির ১০(৩) অনুচ্ছেদ সংশোধন করে। যাতে পলাতক অপরাধীদের দ্রুত হস্তান্তর করা যায়।
এদিকে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতন জাগরণ জোটের মুখপাত্র ও ইসকনের সাবেক নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেছেন চট্টগ্রামের একটি আদালত।
চিন্ময়ের জামিন নামঞ্জুর সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে জয়সওয়াল বৃহস্পতিবার পুনর্ব্যক্ত করেন, তাদের প্রত্যাশা, বাংলাদেশে চলমান কার্যক্রমে গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তিদের সুষ্ঠু বিচার পাওয়া নিশ্চিত করা হবে। ‘এটাই আমাদের প্রত্যাশা।’
আরও পড়ুন: ‘ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় আসছেন’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৩৫৯ দিন আগে
‘ফেব্রুয়ারিতে ঢাকায় আসছেন’ পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা সফরে আসছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইসহাক দার। ২০১২ সালের পর এটি হতে চলেছে কোনো পাকিস্তানি মন্ত্রীর প্রথম বাংলাদেশ সফর।
শুক্রবার (৩ জানুয়ারি) এক প্রতিবেদনে এ খবর জানিয়েছে পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যম এক্সপ্রেস ট্রিবিউন।
প্রতিবেদনে সংবাদমাধ্যমটি বলেছে, বাংলাদেশের আমন্ত্রণে ফেব্রুয়ারি মাসে ঢাকা আসবেন বলে বৃহস্পতিবার এক সংবাদ সম্মেলনে জানিয়েছেন দার।
সংবাদ সম্মেলনে তিনি আরও জানান, বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসও পাকিস্তান সফরের জন্য ইসলামাবাদের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
বাংলাদেশকে ‘ভাতৃপ্রতিম দেশ’ উল্লেখ করে দার বলেন, ঢাকাকে সব ধরনের সহযোগিতা করবে পাকিস্তান।
শেখ হাসিনার শাসনামলে পাকিস্তানের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক তিক্ত ছিল জানিয়ে খবরে বলা হয়, গত ১৫ বছরে পাকিস্তান বাংলাদেশের সঙ্গে সম্পর্ক উন্নয়নের জন্য একাধিকবার চেষ্টা করলেও আওয়ামী লীগনেত্রীর ভারতের সঙ্গে সখ্য থাকায় শেষ পর্যন্ত তা আলোর মুখ দেখেনি।
তবে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতেনের পর থেকে বাংলাদেশ-পাকিস্তান সম্পর্কের অনেকটা উন্নতি হয়েছে। এরই মধ্যে দুই দেশের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ে একাধিকবার যোগাযোগও হয়েছে।
সরকারের পতনের পর পাকিস্তানের ওপর থেকে রপ্তানি নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে বাংলাদেশ। এর ফলে দুই দেশের মধ্যে দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যও বৃদ্ধি পেয়েছে। ইতোমধ্যে সমুদ্রপথে ঢাকার সঙ্গে সরাসরি বাণিজ্য কার্যক্রম শুরু করেছে ইসলামাবাদ।
পাকিস্তানের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে সর্বশেষ ২০১২ সালে ঢাকা সফরে আসেন হিনা রাব্বানি খার। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমন্ত্রণে ডি-এইট সম্মেলনে যোগ দিতে ঢাকা আসেন তিনি।
৩৫৯ দিন আগে
মনমোহন সিংয়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে ভারতীয় হাইকমিশনে প্রধান উপদেষ্টা
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়েছেন অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
মঙ্গলবার (৩১ ডিসেম্বর) ঢাকায় ভারতীয় হাইকমিশনে গিয়ে সাবেক ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন অধ্যাপক ড. ইউনূস।
পরে তিনি হাইকমিশনে খোলা শোক বইতেও শোকবার্তা লেখেন।
ভারতের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও প্রবীণ অর্থনীতিবিদ ড. মনমোহন সিং গত বৃহস্পতিবার (২৬ ডিসেম্বর) অসুস্থ হয়ে পড়ায় অল ইন্ডিয়া ইনস্টিটিউট অব মেডিকেল সায়েন্সে (এআইআইএমএস) ভর্তি করা হয়। বয়সজনিত বিভিন্ন শারীরিক জটিলতার কারণে তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। তবে হঠাৎ জ্ঞান হারিয়ে যাওয়ার পরে তার মৃত্যু হয়। সাবেক প্রধানমন্ত্রীকে শ্রদ্ধা জানাতে সাত দিনের শোক পালন করছে ভারত।
আরও পড়ুন: মনমোহন সিংয়ের শেষকৃত্য সম্পন্ন
৩৬৩ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে ড. ইউনূসের শোক
নোবেল বিজয়ী ও সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট জিমি কার্টারের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) এক শোকবার্তায় ড. ইউনূস বাংলাদেশের সঙ্গে প্রেসিডেন্ট কার্টারের ঘনিষ্ঠ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে জিমি কার্টারকে একজন অসাধারণ নেতা, মানবাধিকারের রক্ষক এবং বিশ্বজুড়ে শান্তি ও গণতন্ত্রের প্রবক্তা হিসেবে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট কার্টার ছিলেন বাংলাদেশের অকৃত্রিম বন্ধু। তার প্রেসিডেন্সিয়াল আমলে এবং তার পরেও বহুমাত্রিক প্রেক্ষাপটে বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক জোরদার ও বিস্তৃত হয়। কার্টার সেন্টারের মাধ্যমে বাংলাদেশে তার কাজ, বিশেষ করে নারীর ক্ষমতায়ন, সুশাসন নিশ্চিত করা এবং গণতন্ত্রের অগ্রগতিতে তার কাজ বাংলাদেশের মানুষের প্রতি তার ভালবাসা এবং আবেগের সাক্ষ্য দেয়। আমরা ১৯৮৬ সালে তার বাংলাদেশ সফরের কথা শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছি এবং এটি ছিল আমাদের জনগণের জন্য বিরাট অনুপ্রেরণার উৎস।’
ড. ইউনূস বলেন, 'প্রেসিডেন্ট কার্টার শুধু যুক্তরাষ্ট্র ও বৈশ্বিক রাজনীতির একজন আইকনিক ব্যক্তিত্বই ছিলেন না, তিনি আমার প্রিয় বন্ধুও ছিলেন। বছরের পর বছর ধরে নোবেল বিজয়ীদের সমাবেশে অসংখ্যবার তার সঙ্গে সাক্ষাৎ করার বিশেষ সম্মান আমার হয়েছে।’
আরও পড়ুন: পেছনে ফেরার কোনো সুযোগ আমাদের নেই: অধ্যাপক ইউনূস
প্রধান উপদেষ্টা বলেন, ‘মানবাধিকার ও সামাজিক ন্যায়বিচারের প্রতি তার দৃঢ় প্রতিশ্রুতি আমাকে সব সময় উৎসাহিত করেছে। আমাদের কথোপকথনগুলো তার গভীর নম্রতা, প্রজ্ঞা এবং জনগণের ক্ষমতায়নে দৃঢ় বিশ্বাসের বহিঃপ্রকাশ ছিল। তার উত্তরাধিকার আগামী প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করে চলেছে এতে কোনো সন্দেহ নেই।
বাংলাদেশ সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টা যুক্তরাষ্ট্রের জনগণ বিশেষ করে প্রেসিডেন্ট কার্টারের শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানানোর পাশাপাশি তার বিদেহী আত্মার শান্তি প্রার্থনা করেন।
৩৬৩ দিন আগে
ভিসা পদ্ধতি সহজসহ রাশিয়াকে আরও জনশক্তি নেওয়ার আহ্বান রাষ্ট্রপতির
ভিসা পদ্ধতি সহজসহ বাংলাদেশ থেকে আরও দক্ষ ও স্বল্পদক্ষ জনশক্তি নিতে রাশিয়ার প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিন।
সোমবার (৩০ ডিসেম্বর) রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার জি খোজিন বঙ্গভবনে রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশকালে তিনি এ আহ্বান জানান।
এর আগে সকালে বঙ্গভবনে পৌঁছালে প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের একটি চৌকস দল নতুন রাষ্ট্রদূতকে গার্ড অব অনার দেন।
রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘বাংলাদেশ এবং রাশিয়ার মধ্যে বাণিজ্য ও বিনিয়োগসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিদ্যমান দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক দিন দিন সম্প্রসারিত হচ্ছে।’
বাংলাদেশের উন্নয়নে রাশিয়ার সহায়তার কথা উল্লেখ করে তিনি ‘রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র’ প্রকল্পের কাজ সময়মত সমাপ্তির তাগিদ দেন।
বাংলাদেশি শিক্ষার্থীরা যাতে রাশিয়ায় উচ্চ শিক্ষার আরও বেশি সুযোগ পায় সে ব্যাপারে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেওয়ার অনুরোধ জানান রাষ্ট্রপতি।
রাষ্ট্রপতি আশা করেন জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের স্বদেশ প্রত্যাবাসনে রাশিয়া মিয়ানমারের ওপর চাপ প্রয়োগ অব্যাহত রাখবে।
রাষ্ট্রপতি সাহাবুদ্দিন বলেন, বাংলাদেশ রাশিয়া থেকে কৃষি উপকরণ আমদানি করে। তাই খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় যৌথভাবে কাজ করতে হবে।
আরও পড়ুন: প্রধান বিচারপতির সঙ্গে চীনা রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
এ সময় রাশিয়ার রাষ্ট্রদূত আলেকজান্ডার খোজিন দায়িত্ব পালনে রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ সাহাবুদ্দিনের সার্বিক সহযোগিতা কামনা করেন।
রাষ্ট্রপতির কাছে পরিচয়পত্র পেশকালে উপস্থিত ছিলেন রাষ্ট্রপতির সামরিক সচিব মেজর জেনারেল মোহাম্মদ আদিল চৌধুরী, প্রেস সচিব মো. সরওয়ার আলম ও পররাষ্ট্র সচিব জসিম উদ্দিন।
৩৬৩ দিন আগে
মার্কিন দূতাবাসে ভিসাপ্রার্থীদের সাক্ষাৎকারের নতুন পদ্ধতি চালু
ঢাকাস্থ মার্কিন দূতাবাস ভিসা আবেদনকারীদের আরও বেশি সাক্ষাৎকার গ্রহণের জন্য নতুন সময়সূচি নির্ধারণ পদ্ধতি চালু করেছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ১৫ ডিসেম্বর থেকে এই পরিবর্তিত প্রক্রিয়াটি শুরু হয়েছে। তবে ২০২৫ সালের ২ জানুয়ারি থেকে পূর্ণাঙ্গ সময়সূচির প্রক্রিয়াটি বাস্তবায়ন শুরু হবে।
ঢাকার মার্কিন দূতাবাস নতুন সময়সূচি প্রক্রিয়ার অধীনে নিম্নলিখিত গুরুত্বপূর্ণ পরিবর্তনগুলোর বিষয়ে জানিয়েছে:
* অন-অভিবাসী ভিসার জন্য আবেদনকারী সাক্ষাৎকারের দিন একটি বৈধ ডিএস-১৬০ কনফার্মেশন (বারকোড) নম্বর না থাকলে তার তা বাতিল বলে গণ্য হবে, যা দূতাবাস তার সিস্টেমে পুনরুদ্ধার করতে সক্ষম এবং এটি তাদের ঘোষণার সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
এক্ষেত্রে, আবেদনকারীদের তাদের সাক্ষাৎকার পুনঃনির্ধারণ করতে হবে এবং একটি নতুন তারিখ পেতে কয়েক মাস অপেক্ষা করতে হতে পারে।
আরও পড়ুন: পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত নিয়মিত কনস্যুলার সেবা বন্ধ: মার্কিন দূতাবাস
বৈধ ডিএস-১৬০ নিশ্চিতকরণ (বারকোড) নম্বরটি অবশ্যই আবেদনকারীর অনলাইন প্রোফাইলে দৃশ্যমান হতে হবে।
ভিসা সাক্ষাৎকারের এক সপ্তাহ আগে (৭ ক্যালেন্ডার দিন) অনলাইন প্রোফাইল/ডিএস-১৬০ পরিবর্তন হলে নির্ধারিত সাক্ষাৎকারটি বাতিল হয়ে যাবে।
৩৬৩ দিন আগে