বৈদেশিক-সম্পর্ক
জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের সদস্যপদ ও সার্বভৌমত্বের প্রতি সমর্থন অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার জানিয়ে মাহমুদ আব্বাসকে প্রধানমন্ত্রীর চিঠি
ফিলিস্তিনের প্রেসিডেন্ট মাহমুদ আব্বাসকে চিঠি দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। চিঠিতে সকল আন্তর্জাতিক ফোরামে এবং এর বাইরে অ্যাডভোকেসির মাধ্যমে জাতিসংঘে ফিলিস্তিনের পূর্ণ সদস্যপদ লাভের জন্য তাদের প্রচেষ্টাকে সমর্থন করার বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার সাম্প্রতিক চিঠিতে বলেন, 'আমি দীর্ঘমেয়াদী যুদ্ধবিরতির জন্য আমাদের আহ্বান পুনর্ব্যক্ত করছি এবং বেসামরিক মানুষের জীবন ও অবকাঠামো রক্ষায় সংযম প্রদর্শনের জন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে আহ্বান জানাচ্ছি।’
ন্যায়বিচার, শান্তি ও সম্প্রীতি সমুন্নত রাখা ইসলাম ও সকল মহান ধর্মের মূল শিক্ষা উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ সকল সংঘাত ও দুর্ভোগের বিরোধী এবং এর বন্ধ চায়।
তিনি ২০২৩ সালের অক্টোবর থেকে গাজায় ইসরায়েলের লাগামহীন গণহত্যায় শিশু, নারী ও পুরুষসহ নিরীহ মানুষের মর্মান্তিক প্রাণহানির জন্য ফিলিস্তিনের সরকার ও জনগণের প্রতি আন্তরিক সমবেদনা জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, ‘আমি ১৯ মার্চ আপনার দূত এবং ফাতাহ কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদকের মাধ্যমে আমাকে সম্বোধন করা আপনার চিঠির প্রাপ্তি স্বীকার করছি। গাজায় ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রীর যুদ্ধোত্তর পরিকল্পনা সম্পর্কে আমি অবগত আছি এবং এ নিয়ে আপনার গভীর উদ্বেগকে সমর্থন করছি।’
চিঠিতে বলা হয়, এই পরিকল্পনা ফিলিস্তিনি জনগণের অধিকারকে অবমাননা এবং আন্তর্জাতিক আইন ও চুক্তির লঙ্ঘন।
আরও পড়ুন: বড় বাধার মুখে ফিলিস্তিনের নতুন প্রধানমন্ত্রীর সংস্কারের পরিকল্পনা
চিঠিতে শেখ হাসিনা বলেন, ‘এটা হতাশাজনক যে পরিকল্পনাটি এই দীর্ঘস্থায়ী সংঘাতের কোনও বাস্তব পথ সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়েছে। বরং এর লক্ষ্য গাজায় ফিলিস্তিনিদের বৈধ জাতীয় আকাঙ্ক্ষাকে দমন করা এবং ভূমির ওপর ইসরায়েলি নিয়ন্ত্রণ চিরস্থায়ী করা।’
এমন প্রেক্ষাপটে তিনি বাংলাদেশের দৃঢ় অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, গাজার যে কোনো অংশ দখলে ইসরায়েলের যে কোনো পরিকল্পনার বিরোধিতা করছি আমরা।
চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজাবাসীদের তাদের নিজস্ব ভূখণ্ড থেকে বিতাড়িত করা হবে না, গাজার ভূখণ্ড হ্রাস করা হবে না, ইউএনআরডব্লিউএ'র ম্যান্ডেট বাস্তবায়নের ক্ষমতার ওপর কোনো বিধিনিষেধ আরোপ করা হবে না এবং ইসরায়েলের পাশাপাশি ফিলিস্তিনিদের একটি পৃথক ও স্বাধীন রাষ্ট্রের অধিকারকে ক্ষুণ্ন করা হবে না।
আরও পড়ুন: উত্তর গাজায় সাহায্যের অপেক্ষায় থাকা ফিলিস্তিনিদের হত্যার নিন্দা জাতিসংঘ প্রধানের
তিনি বলেন, 'আমরা মনে করি সামরিক উপায়ে এই সংঘাতের সমাধান নয়। জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদের প্রস্তাব এবং আন্তর্জাতিক ন্যায়বিচার আদালতের আদেশের ভিত্তিতে চলমান সংকট সমাধানে একটি বিশ্বাসযোগ্য প্রক্রিয়া বাস্তবায়নের সময় এসেছে, যা কেবল ফিলিস্তিনি ও ইসরায়েলিদের পাশাপাশি বসবাসের মাধ্যমে দ্বি-রাষ্ট্রীয় সমাধানের মাধ্যমেই অর্জন করা যেতে পারে।’
শেখ হাসিনা বলেন, দখলদারিত্ব ও গণহত্যার শিকার একটি জাতি হিসেবে বাংলাদেশ সত্যিকার অর্থেই দখলকৃত ও নির্যাতিত ফিলিস্তিনিদের দুর্দশা অনুভব করে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন,‘সুতরাং, আমরা আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ফিলিস্তিনের জনগণের সঙ্গে আমাদের পূর্ণ সংহতি জানাচ্ছি। ইসরায়েলি দখলদারিত্বের নিন্দা করছি এবং আন্তর্জাতিক আইনের ভিত্তিতে একটি ন্যায়সঙ্গত সমাধানের পক্ষে সমর্থন করছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘মুসলিম উম্মাহ হিসেবে আমরা পূর্ব জেরুজালেমকে রাজধানী করে ১৯৬৭ সালের সীমান্তে স্বাধীন রাষ্ট্র গঠনের জন্য আপনার বৈধ আকাঙ্ক্ষার প্রতি আমাদের সমর্থন অব্যাহত রাখব।’
আরও পড়ুন: পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে ফিলিস্তিনের রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা পূরণে বিনিয়োগ ও সমর্থন বাড়ানোর প্রতিশ্রুতি চীনের
বাংলাদেশে চীনা কোম্পানিগুলোর বৃহত্তর বিনিয়োগ এবং দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক জোরদারে চীনের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছেন চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন।
বুধবার (৩ এপ্রিল) গণভবনে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে আলোচনায় আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক অঙ্গনে বাংলাদেশের ক্রমবর্ধমান সম্পৃক্ততা এবং সহায়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
এই সহায়তার লক্ষ্য হলো- বাংলাদেশের 'রূপকল্প ২০৪১' বাস্তবায়ন এবং 'স্মার্ট বাংলাদেশ' অর্জনের যাত্রাকে ত্বরান্বিত করা।
বৈশ্বিক ইস্যু এবং জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবাসনসহ বিভিন্ন পারস্পরিক উদ্বেগের বিষয়েও কথা বলেন চীনা রাষ্ট্রদূত। এই সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা উভয় দেশের নাগরিকদের জন্য যথেষ্ট সুবিধা বয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: দেশে শিশু-মাতৃমৃত্যু কমানোর পদক্ষেপ নিয়েছে সরকার: প্রধানমন্ত্রী
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই তাদের নিজ নিজ উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের সন্ধানে যে গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।
বর্তমান আন্তর্জাতিক জলবায়ুর চ্যালেঞ্জ স্বীকার করেন এবং সুশাসনের অভিজ্ঞতা বিনিময় এবং বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বিত সহযোগিতা আরও সংহত করতে চীন প্রস্তুত বলেও জানান তিনি।
এছাড়াও বিভিন্ন ক্ষেত্রে চীন ও বাংলাদেশের মধ্যে গভীর কৌশলগত অংশীদারিত্ব এবং বাস্তব সহযোগিতার কথা তুলে ধরেন রাষ্ট্রদূত ইয়াও।
তিনি বলেন, এই সহযোগিতামূলক প্রচেষ্টা উভয় দেশের নাগরিকদের জন্য যথেষ্ট সুবিধা বয়ে এনেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহায়তা চাইলেন শেখ হাসিনা
রাষ্ট্রদূত ইয়াও বলেন, চীন ও বাংলাদেশ উভয়ই তাদের নিজ নিজ উন্নয়ন ও পুনরুজ্জীবনের সন্ধানে যে গুরুত্বপূর্ণ সন্ধিক্ষণে দাঁড়িয়ে আছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক জলবায়ুর ঝুঁকিগুলো স্বীকার করে সুশাসনের অভিজ্ঞতা বিনিময় ও বাংলাদেশের সঙ্গে সমন্বিত সহযোগিতা আরও সংহত করতে চীন প্রস্তুত বলেও জানান চীনা রাষ্ট্রদূত।
উভয় দেশের নেতাদের নির্দেশনা ও আগ্রহে চীন-বাংলাদেশ কৌশলগত অংশীদারিত্বের অব্যাহত সমৃদ্ধির কথা পুনর্ব্যক্ত করে ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস। এটি সহযোগিতার বিভিন্ন ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য ও লাভজনক ফলাফল অর্জন করেছে।
আরও পড়ুন: বস্ত্র-পাট খাতে চীনের বিনিয়োগ চায় বাংলাদেশ
বাংলাদেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহায়তা চাইলেন শেখ হাসিনা
দেশের দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে চীনের সহযোগিতা চেয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বুধবার (৩ এপ্রিল) গণভবনে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎকালে এই সহযোগিতার আহ্বান জানান তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'আমি চাই চীন এ অঞ্চলের আরও অর্থনৈতিক উন্নয়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করুক।’
প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার এম নজরুল ইসলাম সাংবাদিকদের বলেন, শেখ হাসিনা রাষ্ট্রদূতকে জানিয়েছেন, দেশের দক্ষিণাঞ্চল দীর্ঘদিন ধরে পিছিয়ে আছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর দ্বিতীয় পারমাণবিক কেন্দ্র নির্মাণে রোসাটমকে প্রস্তাব প্রধানমন্ত্রীর
প্রধানমন্ত্রী রাষ্ট্রদূতকে জানান, আওয়ামী লীগ ছাড়া অন্য কোনো সরকার এই এলাকার উন্নয়নে কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, ইতোমধ্যে পদ্মা সেতু দিয়ে দেশের দক্ষিণাঞ্চলের সঙ্গে সরাসরি সড়ক যোগাযোগ স্থাপন করা হয়েছে।
সহযোগিতার বিষয়ে চীনা রাষ্ট্রদূত দক্ষিণাঞ্চলের উন্নয়নে সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব উপস্থাপনের জন্য প্রধানমন্ত্রীকে অনুরোধ জানান।
নজরুল ইসলাম আরও জানান, প্রধানমন্ত্রী আগামী জুলাই মাসে চীন সফরের আমন্ত্রণ গ্রহণ করেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি বাংলাদেশের জন্য আজরাইল: সংসদে শেখ হাসিনা
ফেরত যাবে মিয়ানমারের ১৮০ সেনা, ফিরবে ১৭০ বাংলাদেশি: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়া মিয়ানমারের ১৮০ জন সীমান্তরক্ষী ও সেনাসদস্যকে ফেরত পাঠানোর পাশাপাশি মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে আনতে ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে জানিয়েছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
মঙ্গলবার (৩ এপ্রিল) দুপুরে ঢাকার সেগুনবাগিচায় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এ কথা জানান।
মন্ত্রী বলেন, মিয়ানমারের ১৭৭ জন বর্ডার গার্ড পুলিশ (বিজিপি) সদস্য ও পরে তাদের তিনজন সেনাসদস্য বাংলাদেশে আশ্রয় নিয়েছে। আমাদের সঙ্গে আলোচনায় মিয়ানমার সরকার তাদের ফেরত নিতে সম্মত হয়েছে। তারা নৌপথের প্রস্তাব দিয়েছিল, আমরা এ সপ্তাহেই তাদের ফেরত পাঠাবো বলে আশা করছিলাম। কিন্তু সমুদ্র অনুকূলে না থাকায় আগামী সপ্তাহে বা সমুদ্র শান্ত হলে সহসাই তাদের পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহায়তায় উপকূলের সুবিধাবঞ্চিত ১২শ’ তরুণীর কর্মসংস্থান করেছে ব্র্যাক
পাশাপাশি মিয়ানমারে আটকে পড়া ১৭০ জন বাংলাদেশিকে দেশে ফিরিয়ে আনার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল, সেটিতেও তারা ইতিবাচক সাড়া দিয়েছে বলে জানান ড. হাছান।
রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় ১৩ মার্চ জেনেভায় অনুষ্ঠিত জয়েন্ট রেসপন্স প্ল্যান (জেআরপি) সভায় আন্তুর্জাতিক পর্যায়ে কেমন সাড়া মিলছে -এ প্রশ্নে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সুইজারল্যান্ডে জেআরপি সভায় আমাদের পররাষ্ট্র সচিব এবং প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব যোগ দিয়েছেন এবং আমাদের প্রস্তাবিত অর্থ ও সহযোগিতায় গত বছরের তুলনায় ভালো সাড়া মিলছে।
আরও পড়ুন: অটিজম সচেতনতায় দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামী বাংলাদেশ: মিয়ানমারে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত
অটিজম সচেতনতায় দক্ষিণ এশিয়ায় অগ্রগামী বাংলাদেশ: মিয়ানমারে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূত
মিয়ানমারে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত ড. মো. মনোয়ার হোসেন বলেছেন, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়া অঞ্চলের বর্তমান আঞ্চলিক পরিচালক এবং নিউরো ডেভেলপমেন্ট ডিসঅর্ডার ও অটিজম বিষয়ক জাতীয় উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারপারসন সায়মা ওয়াজেদের নেতৃত্বে বাংলাদেশ দক্ষিণ এশিয়ায় অটিজম বিষয়ে সচেতনতা বৃদ্ধিতে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেছে।
মঙ্গলবার (২ এপ্রিল) ইয়াঙ্গুনে বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ দূতাবাস আয়োজিত এক সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
মনোয়ার হোসেন আরও বলেন, সায়মা ওয়াজেদের নিরলস প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ ২০১১ সালে ঢাকায় অটিজম বিষয়ক প্রথম আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করে। এরপর ২০১৭ সালে থিম্পুতে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় সম্মেলন আয়োজনে সহযোগিতা করে।
রাষ্ট্রদূত আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সরকার দেশে অটিজম ও প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের কল্যাণে প্রয়োজনীয় আইন ও বিধি প্রণয়নসহ বিভিন্ন পদক্ষেপ বাস্তবায়ন করছে। তিনি গত এক দশকে জাতিসংঘসহ সারা বিশ্বে অটিজম সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিতে সায়মা ওয়াজেদের সক্রিয় ভূমিকার প্রশংসা করেন।
দিবসটির এ বছরের প্রতিপাদ্য ‘বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ ব্যাখ্যা করতে গিয়ে রাষ্ট্রদূত প্রাসঙ্গিক টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রাগুলো যথা, স্বাস্থ্য ও সুস্থতা (লক্ষ্য ৩), মানসম্মত শিক্ষা (লক্ষ্য ৪), অন্তর্ভুক্তিমূলক চাকরির সুযোগ (লক্ষ্য ৮) এবং অটিজমসহ প্রতিবন্ধী ব্যক্তিদের বিকাশের ক্ষেত্রে অসমতা হ্রাস (লক্ষ্য ১০) করার আলোচনা করেন।
অনুষ্ঠানে সুইডেন দূতাবাস, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা, মায়ানমার স্পেশাল এডুকেশন অ্যাসোসিয়েশন এবং একজন অভিভাবকের প্রতিনিধিরা বক্তব্য রাখেন।
প্রাথমিক পর্যায়ে অটিজম শনাক্তকরণ এবং ত্বরিত পদক্ষেপের প্রয়োজনীয়তা, বৈষম্য প্রতিরোধ এবং চ্যালেঞ্জগুলো মোকাবেলায় যত্নশীল থাকা এবং সংশ্লিষ্ট শিশুর পিতামাতাকে সমর্থনের প্রয়োজনীয়তা সম্পর্কে আলোচনা করেন বক্তারা।
অনুষ্ঠানে কূটনীতিক, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও ইউনিসেফের প্রতিনিধিরা, শিক্ষাবিদ, ইউনিভার্সিটি অব পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইউনিভার্সিটি অব এডুকেশনের রেক্টর, সুশীল সমাজের প্রতিনিধি, মিয়ানমার অটিজম অ্যাসোসিয়েশন, বিশেষ শিশু গবেষণা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত বেসরকারি সংস্থাসমূহ, দূতাবাসের কর্মকর্তা, বাংলাদেশ কমিউনিটির প্রতিনিধি, প্রতিবন্ধী শিশু ও তাদের অভিভাবকরা ছিলেন।
দিবসটির অন্যান্য কর্মসূচির মধ্যে ছিল বিশ্ব অটিজম সচেতনতা দিবস ২০২৪: ‘বেঁচে থাকা থেকে সমৃদ্ধির পথে যাত্রা’ বিষয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রদূতের উপস্থাপনা, ভিডিও ডকুমেন্টারি পরিবেশন এবং প্রশ্নোত্তর পর্ব।
এ উপলক্ষে গতকাল রাতে দূতাবাস নীল আলোয় আলোকিত করা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের সহায়তায় উপকূলের সুবিধাবঞ্চিত ১২শ’ তরুণীর কর্মসংস্থান করেছে ব্র্যাক
জলবায়ু পরিবর্তনের ঝুঁকিতে থাকা উপকূলীয় অঞ্চলে পিছিয়ে পড়া ও সুবিধাবঞ্চিত ১ হাজার ২০০ তরুণীর কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি করেছে ব্র্যাকের দক্ষতা উন্নয়ন কর্মসূচি (এসডিপি)।
বিদ্যালয় থেকে ঝড়ে পড়া তরুণ ও তরুণীদের স্থানীয় ব্যবসায়ীদের অধীনে শিক্ষানবিশ হিসেবে ‘ওস্তাদ–সাগরেদ’ পদ্ধতিতে ব্র্যাকের স্কিলস ট্রেইনিং ফর অ্যাডভান্সিং রিসোর্স (স্টার) মডেলের আওতায় হাতে–কলমে প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করা হয়। ধারণা করা হয়, এটি কর্মস্থলে প্রচলিত প্রশিক্ষণ থেকে অনেক বেশি কার্যকর।
স্টার মডেলের আওতায় 'অল্টারনেটিভ লার্নিং পাথওয়ে ফর স্কুল ড্রপআউট গার্লস ইন ক্লাইমেট ভালনারেবল রিজিওন অব বাংলাদেশ' প্রকল্পের অধীনে ২০২৩ সালের জানুয়ারি থেকে চলতি বছর মার্চ পর্যন্ত উপকূলীয় এলাকার তরুণীদের এই প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে।
এই প্রকল্পটি বাস্তবায়নে সহযোগিতা করেছে যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাস।
সোমবার (১ এপ্রিল) রাজধানীর মহাখালীতে ব্র্যাক সেন্টারে 'ব্রিজ টু সাকসেস: অল্টারনেটিভ লার্নিং পাথওয়েজ প্রজেক্ট লার্নিং অ্যান্ড নলেজ ডিসেমিনেশন' শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের ডিরেক্টর অব পাবলিক এনগেজমেন্ট শার্লিনা হুসাইন-মর্গান বলেন, আপাতত এই প্রশিক্ষণ কার্ক্রম শেষ হলেও এটা ছিল মূলত শুরু। আমরা বাংলাদেশের বহু সংখ্যক নারীকে উদ্যোক্তা হিসেবে দেখতে চাই। যারা দেশের অর্থনীতিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবেন।
আরও পড়ুন: ব্রাক বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীকে উত্যক্তের অভিযোগ ঢাবি শিক্ষার্থীর বিরুদ্ধে
রোহিঙ্গাদের স্বদেশে প্রত্যাবাসনে ইন্দোনেশিয়া ও আইওএমের সহযোগিতার আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের তাদের স্বদেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনে ইন্দোনেশিয়া ও আইওএমের প্রতি সহযোগিতার আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
সোমবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত হেরু হারতান্তো সুবোলো ও আন্তর্জাতিক অভিবাসন সংস্থার (আইওএম) মিশন প্রধান আব্দুসাত্তর ইসোয়েভ পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের সঙ্গে পৃথক সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন। এ সময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে ইন্দোনেশিয়া ও বাংলাদেশের পারস্পরিক স্বার্থের বিষয়গুলো উঠে আসে। দুই ভ্রাতৃপ্রতিম দেশের মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক আরও জোরদার করার অঙ্গীকার করেন ইন্দোনেশিয়ার রাষ্ট্রদূত ও বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেশের অর্থনৈতিক অঞ্চলে আরব আমিরাতকে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
বাংলাদেশ ও ইন্দোনেশিয়া উভয় দেশের সাম্প্রতিক জাতীয় নির্বাচনের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ায় জাতীয় নির্বাচন সফলভাবে অনুষ্ঠিত হওয়ায় আনন্দ প্রকাশ করেন এবং দেশটির নেতৃত্বকে শুভেচ্ছা জানান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী দুই দেশের মধ্যে বাণিজ্যের উচ্চ সম্ভাবনার কথা উল্লেখ করে বাংলাদেশে পাম অয়েল শোধনাগার এবং পণ্যের বাজার প্রতিষ্ঠায় ইন্দোনেশিয়ার বিনিয়োগকে স্বাগত জানান। দেশে ১০০টি অর্থনৈতিক অঞ্চল বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুত রয়েছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এছাড়াও বৈঠকে হাছান মাহমুদ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের জন্য ইন্দোনেশিয়া ও আসিয়ানের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: আয়ারল্যান্ডের মন্ত্রীকে ভিসা প্রক্রিয়া সহজ করার অনুরোধ পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
এদিকে পৃথক এক সাক্ষাতে বাংলাদেশের সঙ্গে আইওএমের কার্যক্রমের বৃত্তান্ত সংক্ষেপে তুলে ধরেন সংস্থার মিশন প্রধান আব্দুসাত্তর ইসোয়েভ।
এ সময় মন্ত্রী আইওএমকে ধন্যবাদ জানান এবং বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের মিয়ানমারে তাদের স্বদেশে দ্রুত প্রত্যাবাসনই একমাত্র সমাধান বলে বর্ণনা করেন।
পাশাপাশি ক্লাইমেট মাইগ্রান্টস বা জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে স্থানচ্যুতদের বিষয়ে আইওএমের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন তিনি।
এসব বিষয়ে জোর তৎপরতা অব্যাহত থাকবে বলে আশ্বাস দেন আইওএম মিশন প্রধান।
আরও পড়ুন: মিয়ানমারের সীমান্তরক্ষীদের ফেরত পাঠাতে কাজ করছে সরকার: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
জংখ্যা ভাষায় অনূদিত ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’বইয়ের মোড়ক উন্মোচন
ভুটানি জংখা ভাষায় অনূদিত জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক জাতির পিতার দৌহিত্রী সায়মা ওয়াজেদ এবং ভুটানের প্রিন্সেস ডেচেন ইয়াংজোম ওয়াংচুক।
রবিবার (৩১ মার্চ) ভুটানের রাজধানী থিম্পুর জিচেনখার মিলনায়তনে এটির মোড়ক উন্মোচন করা হয়।
বাংলাদেশের তথ্য ও সম্প্রচার প্রতিমন্ত্রী মোহাম্মদ আলী আরাফাত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।
থিম্পুতে বাংলাদেশ দূতাবাসের উদ্যোগে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রন্থ ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ ভুটানের জংখ্যা ভাষায় প্রকাশিত হয়েছে। এটি হিমালয়ের মানুষের জন্য উন্মুক্ত করল ইতিহাসের এক অজানা অধ্যায়।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামের ‘বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল’ পরিদর্শন করলেন ভুটানের রাজা
ভুটানের সর্বোচ্চ গবেষণা প্রতিষ্ঠান সেন্টার ফর ভুটান স্টাডিজ (সিবিএস) এর কমিশনার ও ভুটানের লেখক দাশো কর্মা উড়ার নেতৃত্বে ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’জংখ্যা ভাষায় অনুবাদ করা হয়েছে। প্রকাশনা অনুষ্ঠানে ভুটানের প্রধানমন্ত্রী দাশো শেরিং তোবগে, স্বাস্থ্যমন্ত্রী তান্ডিন ওয়াংচুক, কৃষি ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রী ইয়ন্তেন ফুন্টশো, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী লিয়নপো শেরিং, শিল্প, বাণিজ্য ও কর্মসংস্থান মন্ত্রী নামগিয়াল দরজি, ভুটানে নিযুক্ত কুয়েতের রাষ্ট্রদূত, বাংলাদেশে নিযুক্ত ভুটানের রাষ্ট্রদূ্ত, থিম্পু ভিত্তিক কূটনৈতিক মিশনের প্রধান, সচিব, শিক্ষাবিদ, বুদ্ধিজীবী, গবেষক এবং প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিকরা উপস্থিত ছিলেন।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে সায়মা ওয়াজেদ বলেন, জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র জংখ্যা অনুবাদ সাংস্কৃতিক সংযোগের নতুন সুযোগ তৈরি করবে এবং বইটি ভুটান ও বাংলাদেশের গবেষকদের জন্য একটি মাইলফলক হিসেবে কাজ করবে। ইতিহাসে নতুন তথ্য উদঘাটনে বইটির জংখ্যা সংস্করণ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে। এই অমূল্য অনুবাদ সম্পন্ন করার জন্য তিনি ভুটান সরকার এবং সেন্টার ফর ভুটান স্টাডিজকে (সিবিএস) ধন্যবাদ জানান।
আরও পড়ুন: চার দিনের সফরে সোমবার ঢাকায় আসছেন ভুটানের রাজা
‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ প্রকাশনা অনুষ্ঠানের স্বাগত বক্তব্যে ভুটানে নিযুক্ত বাংলাদেশের রাষ্ট্রদূত শিব নাথ রায় জাতির পিতার প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন এবং ওয়াংচুক রাজবংশ ও জাতির পিতার পরিবারের সম্পর্ক বিশদভাবে তুলে ধরেন। তিনি ভুটানের বুদ্ধিজীবীদের ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’র জংখা সংস্করণকে ইতিহাসের অজানা তথ্য উৎঘাটনের জন্য ব্যবহার করার আহ্বান জানান।
জংখা সংস্করণ প্রকাশের জন্য সেন্টার ফর ভুটান স্টাডিজ (সিবিএস) থেকে দাশো কর্মা উরা এবং তার দলকে ধন্যবাদ জানান রাষ্ট্রদূত।
প্রকাশনা অনুষ্ঠানে কাউন্সেলর সুজন দেবনাথ বাংলাদেশি ও ভুটানি শিক্ষার্থীদের নিয়ে বইটির সারমর্ম উপস্থাপন করেন।
শিক্ষার্থীরা বইটির জংখা, ইংরেজি ও বাংলা সংস্করণের কিছু অংশ পড়ে শোনান। বইটি থিম্পুর পিটি প্রিন্টিং থেকে প্রকাশিত হয়েছে।
অনুষ্ঠান শেষে উপস্থিত অতিথিদেরকে বইয়ের কপি উপহার দেওয়া হয়। বইটি ভুটানের লাইব্রেরি, বিশ্ববিদ্যালয়, কলেজ, গবেষণা কেন্দ্রে বিতরণ করা হবে। ভুটানিজ ভাষায় জাতির পিতার ‘অসমাপ্ত আত্মজীবনী’ বাংলাদেশ ও ভুটানের মধ্যে ঐতিহাসিক সংযোগের একটি নতুন মাধ্যম হিসেবে পরিগণিত হবে। উভয় দেশের মধ্যে সাংস্কৃতিক বন্ধন সুদৃঢ় করার জন্য বইটি ব্যবহৃত হবে বলে প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।
আরও পড়ুন: সোনাহাট স্থলবন্দর দিয়ে বাংলাদেশ ত্যাগ করলেন ভুটানের রাজা
আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে এডিবির আরও সহযোগিতা চান প্রধানমন্ত্রী
বাংলাদেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংকের (এডিবি) কাছ থেকে আরও বেশি সহায়তা প্রত্যাশা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
রবিবার গণভবনে এডিবির ভাইস প্রেসিডেন্ট (সেক্টর ও থিমস) ফাতিমা ইয়াসমিনের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎকালে এ প্রত্যাশা করেন প্রধানমন্ত্রী।
সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন প্রধানমন্ত্রীর স্পিচ রাইটার নজরুল ইসলাম।
প্রধানমন্ত্রীকে উদ্ধৃত করে নজরুল ইসলাম বলেন, 'আমাদের মূল লক্ষ্য হচ্ছে দেশের জনগণের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়ন। সরকার গ্রামীণ জনগণের উন্নয়নকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে।'
আরও পড়ুন: ২ জেলার বন্যা নিয়ন্ত্রণ ও পানি ব্যবস্থাপনায় ৭১ মিলিয়ন ডলার ঋণ অনুমোদন এডিবির
সাক্ষাতে প্রধানমন্ত্রী এডিবি কর্মকর্তাকে জানান, তার সরকার দেশের জনগণের ক্রয়ক্ষমতা বাড়ানোর ওপর গুরুত্বারোপ করেছে। কারণ এটি শিল্পায়নের সম্প্রসারণে এবং আরও কর্মসংস্থান সৃষ্টিতে সহায়তা করবে।
জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, কৃষি, নদী খনন ও পুনরুদ্ধারের মতো খাতগুলোর কথা উল্লেখ প্রধানমন্ত্রী বলেন, এসব খাতে ম্যানিলাভিত্তিক এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি) সহায়তা বাড়াতে পারে।
প্রধানমন্ত্রী এডিপিকে আরও বেশি জনকেন্দ্রিক প্রকল্প গ্রহণের আহ্বান জানান, যাতে অধিক সংখ্যক মানুষ উপকৃত হতে পারে।
বাংলাদেশকে এডিবির শীর্ষ অগ্রাধিকারপ্রাপ্ত দেশ উল্লেখ করে ভাইস প্রেসিডেন্ট ফাতিমা বলেন, ২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পাঁচবার দক্ষিণ এশীয় এই দেশের জন্য সহায়তা বাড়িয়েছে আঞ্চলিক ঋণদাতা এ সংস্থা।
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে বলেন, এডিবি জলবায়ু পরিবর্তন অভিযোজন, মানবিক ও সামাজিক উন্নয়ন, কারিগরি শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য খাতের প্রকল্পগুলোকে অগ্রাধিকার দেওয়ার পাশাপাশি নদী পুনরুদ্ধার, নদীভিত্তিক পর্যটন, বিনোদন কেন্দ্র এবং সেচ কেন্দ্রিক প্রকল্প বাস্তবায়নে আগ্রহী।
আরও পড়ুন: ঢাকায় জ্বালানি সরবরাহ বাড়াতে ১৬০ মিলিয়ন ডলার দেবে এডিবি
এর আগে গত বছরের সেপ্টেম্বরে এডিবিতে যোগ দেওয়ার আগে ফাতিমা বাংলাদেশের অর্থ বিভাগে সিনিয়র সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
সৌজন্য সাক্ষাতে আরও ছিলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. তোফাজ্জল হোসেন মিয়া এবং অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব শাহরিয়ার কাদের সিদ্দিকী।
আরও পড়ুন: জলবায়ু অগ্রাধিকার সহায়তা হিসেবে এডিবির কাছ থেকে ৪০০ মিলিয়ন ডলার পাচ্ছে বাংলাদেশ
দেশকে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনে কোনো কৃতিত্ব নেই: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
নিজের দেশকে অভ্যন্তরীণ ও বিদেশে নেতিবাচকভাবে উপস্থাপনের মধ্যে কোনো কৃতিত্ব নেই বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
অপপ্রচার থেকে বিরত থেকে দেশকে ইতিবাচকভাবে তুলে ধরার জন্য সবার প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
মন্ত্রী বলেন, 'গণমাধ্যমের দায়িত্ব সাদাকে সাদা বলা এবং কালোকে কালো বলা।’
রবিবার জাতীয় প্রেস ক্লাবে ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স রিপোর্টার্স ফোরাম, বাংলাদেশ আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: নিউইয়র্ক পুলিশের গুলিতে বাংলাদেশি নিহতের ঘটনায় তদন্ত হচ্ছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সাবেক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী শাহরিয়ার আলম, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরীন, ইন্টারন্যাশনাল রিলেশন্স রিপোর্টার্স ফোরামের সভাপতি হাসান মাহমুদ ও সাধারণ সম্পাদক মাহামুদুল হক সুজন অনুষ্ঠানে বক্তৃতা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশকে নেতিবাচকভাবে তুলে ধরতে বিরোধীদল ওভারটাইম কাজ করছে।
তিনি বলেন, তাদের কিছু 'পেইড এজেন্ট' অপপ্রচার চালায় যা মানুষের মধ্যে বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে।
তিনি বলেন, ‘যারা অপপ্রচার চালাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে মূলধারার গণমাধ্যমকে কাজ করতে হবে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, একই গোষ্ঠী পদ্মা সেতুকে কেন্দ্র করে এবং কোভিড-১৯ মহামারির সময় ভ্যাকসিন ইস্যুতে কীভাবে অপপ্রচার চালিয়েছিল।
ভারতীয় পণ্য বর্জনের জন্য বিএনপির আহ্বানের সমালোচনা করে হাছান মাহমুদ বলেন, এ ধরনের রাজনীতি দেশের জন্য মঙ্গল বয়ে আনে না।
তিনি বলেন, ‘সমালোচনা হতে পারে, কিন্তু দেশের ভাবমূর্তি নষ্ট করে নয়।’
পেশাগত দায়িত্ব পালনে বহুমুখী চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হওয়া সত্ত্বেও তাদের প্রচেষ্টার জন্য সাংবাদিকদের প্রশংসা করেন হাছান।
তিনি বলেন, ‘সাংবাদিকরা বিভিন্ন দিক থেকে চাপের মধ্যে কাজ করেন। এ পেশাকে ভালোবেসে তারা সাংবাদিকতায় নিয়োজিত। তারা মেধাবী।’
আরও পড়ুন: মুক্তিযোদ্ধার ছদ্মাবরণে জিয়াউর রহমান ছিলেন পাকিস্তানের চর: পররাষ্ট্রমন্ত্রী