���������������������-���������������������
১৯তম এশিয়ান গেমস আয়োজনে যোগ দিতে চীন যাচ্ছেন সেনাপ্রধান
১৯তম এশিয়ান গেমসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করেছেন সেনাবাহিনীর প্রধান জেনারেল এস এম শফিউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) চীনের হাংঝুতে এশিয়ান গেমসে বিভিন্ন খেলা ও ইভেন্ট পর্যবেক্ষণে বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি হিসেবে যোগ দেবেন তিনি।
চীন সফরকালে তিনি বিভিন্ন দেশের অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সঙ্গেও মতবিনিময় করবেন।
আরও পড়ুন: আমরা জাতিসংঘে এক নম্বর শান্তিরক্ষী প্রেরণকারী দেশ: সেনাপ্রধান
চীন সফর শেষে সেনাপ্রধান ২৫-২৭ সেপ্টেম্বর ভারতের দিল্লিতে অনুষ্ঠিতব্য ইন্দো-প্যাসিফিক আর্মি চিফস’ কনক্লেভে (আইপিএসিসি) যোগ দেবেন।
বিভিন্ন দেশের সেনাপ্রধানরা বৈঠকে যোগ দেবেন এবং তাদের মধ্যে প্রশিক্ষণ সহযোগিতা জোরদারে কীভাবে একযোগে কাজ করা যায় তা নিয়ে আলোচনা করবেন।
সেনাপ্রধান ২৮ সেপ্টেম্বর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: থাইল্যান্ড থেকে ফিরেছেন সেনাপ্রধান
ঢাকার কনস্যুলেটকে ১ অক্টোবর থেকে হাইকমিশনে উন্নীত করবে সিঙ্গাপুর
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠক করেছেন সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. ভিভিয়ান বালাকৃষ্ণান।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের সাইড লাইনে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
এ সময় উভয় মন্ত্রী দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন ঢাকায় সিঙ্গাপুরের পূর্ণাঙ্গ মিশন স্থাপনের জন্য দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতি অনুরোধ জানান।
এ সময় সিঙ্গাপুরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ঢাকায় তাদের কনস্যুলেটকে হাইকমিশনে উন্নীত করা হবে বলে আশ্বস্ত করেন। ১ অক্টোবর থেকে ঢাকায় সিঙ্গাপুরের কনস্যুলেটকে হাইকমিশনে উন্নীত করা হবে বলে জানান তিনি।
আরও পড়ুন: এসিডি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান মোমেনের
সিঙ্গাপুরের পক্ষে বলা হয়, এই উন্নীতকরণ সিঙ্গাপুর ও বাংলাদেশের মধ্যে উন্নত অর্থনৈতিক ও জনগণ থেকে জনগণের মধ্যে সম্পর্ককে প্রতিফলিত করে।
হাইকমিশনের কার্যক্রম চলবে সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা, সপ্তাহের রবিবার থেকে বৃহস্পতিবার (বাংলাদেশের সরকারি ছুটির দিন এবং সিঙ্গাপুরের জাতীয় দিবসে বন্ধ থাকবে) পর্যন্ত।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
ড. মোমেন সিঙ্গাপুরের পূর্ণাঙ্গ মিশন স্থাপনের সিদ্ধান্তের জন্য তাকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ঢাকায় সিঙ্গাপুরের হাইকমিশন স্থাপিত হলে উভয় দেশই উপকৃত হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশে সিঙ্গাপুরের বিনিয়োগ বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়ে বলেন, বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলগুলোতে সিঙ্গাপুর বিনিয়োগের সুযোগ নিতে পারে। এতে উভয় দেশই লাভবান হবে।
উভয় মন্ত্রী দু’দেশের মধ্যে বাণিজ্য বৃদ্ধির বিভিন্ন দিক নিয়েও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির বৈঠক অনুষ্ঠিত
এসিডি’র পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে বৈশ্বিক পদক্ষেপের আহ্বান মোমেনের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন চলমান রোহিঙ্গা সংকট নিরসনে এবং এই মানবিক বিপর্যয় মোকাবিলায় দ্রুত পদক্ষেপ নিতে বিশ্ব সম্প্রদায়ের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) নিউইয়র্কে জাতিসংঘ ভবনে অনুষ্ঠিত ১৮তম এশিয়া কো-অপারেশন ডায়লগের (এসিডি) পররাষ্ট্রমন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৈঠকে ড. মোমেন বলেন, মিয়ানমারের প্রায় ১২ লাখ জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গাদের বাংলাদেশ মানবিক কারণে আশ্রয় দিয়েছে।
তারা যাতে দ্রুত নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারে সেজন্য সমাধান খুঁজে বের করার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন তিনি।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার করুন: এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনে মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, রোহিঙ্গারা যদি তাদের নিজ দেশ মিয়ানমারে ফিরে যেতে না পারে, যদি তাদের নিজ দেশে স্বাভাবিক জীবনযাপনের সুযোগ দেওয়া না হয়, তাহলে এই বিপুল জনগোষ্ঠী এশিয়াসহ অন্যান্য অঞ্চলেও নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতার জন্য মারাত্মক হুমকিতে পরিণত হতে পারে।
রোহিঙ্গা সঙ্কটের ইস্যু আলোচ্যসূচির শীর্ষে রাখতেও তিনি বৈঠকে অনুরোধ জানান।
তিনি বলেন, এসিডির প্রতিষ্ঠাতা সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ অন্তর্ভুক্তিমূলক আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং এশীয় দেশগুলোর ঐক্যকে আরও শক্তিশালী করতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
তিনি এসিডি’র পৃষ্ঠপোষকতায় মানবসম্পদ উন্নয়নে দক্ষতা বৃদ্ধির প্রশিক্ষণ কর্মসূচি গ্রহণের প্রস্তাব করেন, যাতে এশিয়ার বিশাল মানবসম্পদকে এই অঞ্চলের উন্নয়ন চাহিদা মেটাতে কাজে লাগানো যায়।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরে আগ্রহ প্রকাশ
ড. মোমেন বিশ্বের ক্রমবর্ধমান ও জটিল চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় কার্যকর বহুপক্ষীয় সহযোগিতা বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, অন্তর্ভুক্তিমূলক আঞ্চলিক উন্নয়ন এবং এশীয় ঐক্যকে শক্তিশালী করার জন্য এসিডির মিশনের প্রতি বাংলাদেশের প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রেক্ষাপটে খাদ্য, পানি, জ্বালানি এবং স্বাস্থ্য নিরাপত্তা নিয়ে ক্রমবর্ধমান উদ্বেগের কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ বিষয়ে বাংলাদেশের অভিজ্ঞতা বিনিময়ের আগ্রহের কথা জানান।
বৈঠকে এসিডি’র সেক্রেটারি জেনারেল, বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী, তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং ইরানের পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ এসিডি সদস্য দেশগুলোর প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
মোমেনের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য মন্ত্রীর বৈঠক
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেছেন নেদারল্যান্ডের বৈদেশিক বাণিজ্য ও উন্নয়ন সহযোগিতা বিষয়ক মন্ত্রী লাইজে শ্রেইনেমাকার।
বুধবার (২০ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের এক পার্শ্ব বৈঠকে উভয় মন্ত্রী দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেন।
বৈঠকে বাংলাদেশের সঙ্গে নেদারল্যান্ডের বহুমাত্রিক সহযোগিতামূলক কার্যক্রম নিয়ে উভয় মন্ত্রী আলোচনা করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বাংলাদেশের বিনিয়োগ বান্ধব পরিবেশ ও বিনিয়োগের ওপর উচ্চ রিটার্নের কথা উল্লেখ করে বিনিয়োগের আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির বৈঠক অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, শেখ হাসিনার দূরদর্শী নেতৃত্বে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক ক্ষেত্রগুলোতে অভাবনীয় সাফল্য ও অগ্রগতি অর্জন করেছে।
ডাচ বাণিজ্য মন্ত্রী বাংলাদেশের অর্থনৈতিক উন্নয়ন ও অগ্রগতির ভূয়সী প্রশংসা করেন।
উভয় মন্ত্রী দু’দেশের বাণিজ্য সম্পর্ক আগামীতে আরও বৃদ্ধি এবং দু’দেশের দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিদ্যমান ক্ষেত্রকে আরও সম্প্রসারণের ব্যাপারেও আলোচনা করেন।
আরও পড়ুন: রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে ওআইসি কন্টাক্ট গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত
মোমেনের সঙ্গে সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরে আগ্রহ প্রকাশ
যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির বৈঠক অনুষ্ঠিত
ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশের দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতা ফোরাম চুক্তির (টিকফা) সপ্তম কাউন্সিল বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।
এতে যৌথভাবে সভাপতিত্ব করেন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার ভারপ্রাপ্ত সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডান লিঞ্চ ও বাংলাদেশের বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
সভায় অংশ নেওয়া উভয় দেশের প্রতিনিধিদলে বাণিজ্য, শ্রম, মেধাসম্পদ এবং সংশ্লিষ্ট অন্যান্য সংস্থার কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: ভারত পৃথিবীর পর্যটকদের কাছে আকর্ষণীয় ঠিকানা: ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
টিকফা কাউন্সিল বৈঠকে যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে; বিশেষ করে শ্রম সংস্কার নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি বিনিয়োগ পরিবেশ ও ডিজিটাল বাণিজ্যকে প্রভাবিত করে এমন নীতি, মেধাসম্পদের সুরক্ষা ও আইনের প্রয়োগ এবং কৃষিখাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করেছে।
যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের উপাত্ত সুরক্ষা আইন (ডিপিএ) নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের বছরজুড়ে সংলাপ ও আলাপ আলোচনার প্রশংসা করেছে। উভয় পক্ষই ব্যক্তিগত তথ্যের সুরক্ষা ও ডিজিটাল অর্থনীতিতে আস্থা নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশের ডিজিটাল খাতের সমৃদ্ধি অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাদের প্রতিশ্রুতি রক্ষার নিশ্চয়তা দিয়েছে।
বাংলাদেশের উপাত্ত সুরক্ষা আইনের নতুন খসড়ায় পূর্ববর্তী সংস্করণগুলোর উন্নতিগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে ফৌজদারি দণ্ড অপসারণ, ব্যক্তিগত উপাত্তের ক্ষেত্রে ডিপিএ প্রয়োগ সীমিত করা এবং আইনের প্রয়োগ বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ব্যক্তিগত উপাত্ত প্রক্রিয়াকরণে যুক্ত সংস্থাগুলোতে সীমিত রাখা।
যুক্তরাষ্ট্র দীর্ঘ ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে সিদ্ধান্তের অপেক্ষায় থাকা বাংলাদেশে যুক্তরাষ্ট্র থেকে আমদানি করা তুলার ফিউমিগেশন বা বিষবাষ্পীকরণের মাধ্যমে পতঙ্গমুক্ত করার বাধ্যবাধকতা বাতিলের সিদ্ধান্তের জন্য বাংলাদেশের প্রশংসা করেছে। যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ কৃষি ক্ষেত্রে জৈবপ্রযুক্তি ব্যবহারবিষয়ক সংলাপে পরস্পরকে সহযোগিতা করেছে এবং এই বছরে এ খাতে আরও গভীরভাবে যুক্ত হওয়ার লক্ষ্যে উভয় দেশ কাজ করছে।
উভয় দেশই অর্থনীতিতে উদ্ভাবনমূলক মেধাস্বত্ত (আইপি) সুরক্ষা ও আইন প্রয়োগের গুরুত্ব স্বীকার করেছে। যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের কপিরাইট আইন সংশোধন, শিল্প নকশা আইন, পেটেন্ট বিল এবং প্রবিধান ও আইপিআর প্রয়োগ (আমদানি ও রপ্তানি) বিধিসহ মেধাস্বত্ত্ব সংশ্লিষ্ট আইন ও বিধিমালা সংশোধনের চলমান প্রক্রিয়াগুলোতে যুক্ত হওয়ার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এ ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্র তাদের দেশের বাণিজ্য প্রতিনিধির দপ্তর ইউএসটিআর এর ২০২৩ এর স্পেশাল ৩০১ রিপোর্টে বিশ্বব্যাপী নকল তৈরি পোশাক রপ্তানির শীর্ষ পাঁচটি উৎসের তালিকায় বাংলাদেশের থাকা নিয়ে উদ্বেগ মোকাবিলায় প্রয়োজনীয় পদক্ষেপগুলো নিয়ে আলোচনা করেছে।
উভয় দেশের প্রতিনিধিদল ২০২৪ সালে ওয়াশিংটন ডিসি- তে অনুষ্ঠিতব্য পরবর্তী টিকফা কাউন্সিল মিটিংয়ের আগে দুই দেশের গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্যবিষয়ক সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে ক্ষতিগ্রস্ত মন্দির পরিদর্শনে ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
ভারত-বাংলাদেশ ‘ভেরি স্পেশাল পার্টনার’: ভারতীয় সহকারী হাইকমিশনার
তথ্যপ্রযুক্তি বাণিজ্যে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা: হাইকমিশনার
হাইকমিশনার আল্লামা সিদ্দিকী বলেন, তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক বাণিজ্যের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় বাংলাদেশের ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানিয়েছেন অস্ট্রেলিয়ায় নিযুক্ত বাংলাদেশ হাইকমিশনার এম. আল্লামা সিদ্দিকী।
তিনি বলেন, ফ্রিল্যান্সিংয়ে বাংলাদেশ বিশ্বে দ্বিতীয় অবস্থানে রয়েছে। তা ছাড়া আউটসোর্সিংয়ের ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন দেশের বাণিজ্যিক সম্পর্কও উল্লেখযোগ্য।
অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানি তথ্যপ্রযুক্তির বিভিন্ন ক্ষেত্রে বাংলাদেশ থেকে আউটসোর্সিং করতে পারবে বলে হাইকমিশনার উল্লেখ করেন।
আরও পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন বাংলাদেশিদের গণতান্ত্রিক অধিকার চর্চায় সহায়তা করবে: ব্রিটিশ হাইকমিশনার
সোমবার (১৮ সেপ্টেম্বর) অস্ট্রেলিয়ার সিডনিতে বাংলাদেশ হাইকমিশনের আয়োজনে ‘তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রে বাংলাদেশের সম্ভাবনা’ শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
হাইকমিশনারের সভাপতিত্বে এ সেমিনারে অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন সফটওয়্যার কোম্পানির প্রতিনিধিসহ তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও পেশাজীবীরা অংশগ্রহণ করেন।
এ ছাড়া এ সেমিনারে জুমপ্লাটফর্মে অংশগ্রহণ করেন বাংলাদেশের তথ্যপ্রযুক্তি বিভাগের বিভিন্ন দপ্তর ও সংস্থার প্রধানরা।
অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশ চেম্বার অব কমার্স (এবিবিসি), অস্ট্রেলিয়া-বাংলাদেশ বিজনেস ফোরাম (এবিবিএফ) এবং বাংলাদেশ কন্স্যুলেট জেনারেল সিডনির সহযোগিতায় আয়োজিত এ সেমিনারে মূল বক্তব্য উপস্থাপন করেন বেসিসের (বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব সফটওয়্যার অ্যান্ড ইনফরমেশন সার্ভিসেস) প্রেসিডেন্ট রাসেল টি. আহমেদ।
তিনি উল্লেখ করেন, তথ্যপ্রযুক্তি রপ্তানির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বাংলাদেশের পঞ্চম বাণিজ্যিক অংশীদার। এ ক্ষেত্রে গত ২০২১-২২ অর্থবছরে বাংলাদেশ থেকে অস্ট্রেলিয়ায় রপ্তানির পরিমাণ ৭ দশমিক ৮৯ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। তিনি অস্ট্রেলিয়ায় তথ্যপ্রযুক্তিবিষয়ক আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স, ব্লক চেইন, ইন্টারনেট অব থিংস, সাইবার সিকিউরিটি এবং ক্লাউড কমপিউটিংসহ পাঁচটি সম্ভাবনাময় রপ্তানির ক্ষেত্র উল্লেখ করেন।
অস্ট্রেলিয়ার নিউসাউথ ওয়েলসের স্টুয়ার্ট ইউনিভার্সিটির প্রফেসর মনোরঞ্জন পাল বলেন, তথ্যপ্রযুক্তির ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়া বিশ্বের ১২তম বৃহত্তম মার্কেট।
সাইবার সিকিউরিটি, কোয়ান্টাম টেকনোলজি এবং আর্টিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্সের ক্ষেত্রে অস্ট্রেলিয়ায় প্রচুর চাহিদা রয়েছে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
তা ছাড়া টেকনিক্যাল সাপোর্ট, সফটওয়্যার উন্নয়ন, অবকাঠামো ব্যবস্থাপনার ক্ষেত্রেও সেদেশে বর্তমানে চাহিদা রয়েছে বলে তিনি জানান।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতির সঙ্গে পাকিস্তানের হাইকমিশনারের বিদায়ী সাক্ষাৎ
বাংলাদেশের অংশগ্রহণ জি-২০ আলোচনা সমৃদ্ধ করবে: ভারতীয় হাইকমিশনার
শ্রমিকদের অধিকার-সংগঠনের স্বাধীনতা বাইডেন প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার: বাংলাদেশের প্রতি যুক্তরাষ্ট্র
সংগঠনের স্বাধীনতা ও সম্মিলিত আলোচনাসহ শ্রমিকদের অধিকার রক্ষায় বাণিজ্য অংশীদারদের সঙ্গে কাজ করা বাইডেন-হ্যারিস প্রশাসনের সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার বলে বাংলাদেশকে জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
শ্রমিক ও ইউনিয়ন সংগঠকদের বিরুদ্ধে সহিংসতার পাশাপাশি ইউনিয়নবিরোধী বৈষম্য এবং শ্রমিকদের উপর শক্তি প্রয়োগ সম্পর্কিত অনুশীলনের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
বুধবার(২০ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে ট্রেড অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট কো-অপারেশন ফোরাম অ্যাগ্রিমেন্ট (টিকফা) কাউন্সিলের সপ্তম বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
বৈঠকে সহসভাপতি ছিলেন দক্ষিণ ও মধ্য এশিয়ার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভারপ্রাপ্ত সহকারী বাণিজ্য প্রতিনিধি ব্রেন্ডন লিঞ্চ এবং বাণিজ্য সচিব তপন কান্তি ঘোষ।
উভয় প্রতিনিধি দলে বাণিজ্য, শ্রম, মেধা সম্পত্তি ও অন্যান্য প্রাসঙ্গিক সংস্থার কর্মকর্তারা অন্তর্ভুক্ত ছিলেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্কের জন্য এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ সময়: মাইকেল কুগেলম্যান
টিকফা কাউন্সিলের বৈঠকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং বাংলাদেশ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য সম্পর্ককে প্রভাবিত করে এমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে আলোচনা করেছে। বিশেষ করে শ্রম সংস্কার, সেইসঙ্গে জলবায়ুতে বিনিয়োগ এবং ডিজিটাল বাণিজ্যকে প্রভাবিত করে এমন নীতি, মেধা সম্পত্তি সুরক্ষা ও প্রয়োগ এবং কৃষি খাতে দ্বিপক্ষীয় সহযোগিতা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উল্লেখ করে, একটি ত্রিপক্ষীয় শ্রম আইন পর্যালোচনা কমিটি বাংলাদেশের শ্রম আইন (বিএলএ) সংশোধনগুলো পর্যালোচনা করছে। একই সঙ্গে দেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল (এসইজেড) এবং রপ্তানি প্রক্রিয়াকরণ অঞ্চলে(ইপিজেড) সংগঠনের স্বাধীনতা এবং সম্মিলিত আলোচনার সুযোগ প্রসারিত করতে বাংলাদেশকে উৎসাহিত করেছে।
বাংলাদেশে ইউনিয়ন নিবন্ধন করার সময় শ্রমিকদের যে বাধার সম্মুখীন হতে হয় তা দূর করতে কিছু প্রচেষ্টা গ্রহণ করা হয়েছে বলেও স্বীকার করেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। একই সঙ্গে আইনি সময়সীমার মধ্যে আবেদনগুলোকে সহজে নিবন্ধিত করা এবং নিরপেক্ষ ট্রেড ইউনিয়ন নিবন্ধন প্রক্রিয়া নিশ্চিত করার গুরুত্বের উপর জোর দিয়েছে মার্কিন সরকার।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশিদের ‘আকাঙ্ক্ষা’র সম্পূর্ণ বাস্তবায়ন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: মার্কিন কর্মকর্তা
এ ছাড়াও, বাংলাদেশকে শ্রম পরিদর্শন এবং প্রয়োগের জন্য আরও সম্পদ উৎসর্গ করার আহ্বান জানিয়েছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
যুক্তরাষ্ট্র গত এক বছরে বাংলাদেশের তথ্য সুরক্ষা আইন(ডিপিএ) নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের ধারাবাহিক সংলাপের প্রশংসা করেছে।
উভয় পক্ষই ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা এবং ডিজিটাল অর্থনীতিতে আস্থা নিশ্চিত করার সঙ্গে সঙ্গে বাংলাদেশের ডিজিটাল সেক্টরের উন্নতি অব্যাহত রাখার বিষয়ে তাদের অঙ্গীকার নিশ্চিত করেছে।
ডিপিএ খসড়ার বাংলাদেশের নতুন সংস্করণে আগের সংস্করণগুলোর উন্নতিগুলো অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে ফৌজদারি দণ্ড অপসারণ, ব্যক্তিগত তথ্যে ডিপিএ’র সুযোগ সীমাবদ্ধ করা এবং বাংলাদেশের ভূখণ্ডের মধ্যে ব্যক্তিগত তথ্য প্রক্রিয়া করে এমন সংস্থাগুলোর আবেদন সীমিত করা।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে তুলা রপ্তানির ক্ষেত্রে তুলা জীবানুমুক্ত করতে রাসায়নিক ধোঁয়া দেওয়ার বিষয়টি বাতিল করায় বাংলাদেশের পদক্ষেপের প্রশংসা করেছে যুক্তরাষ্ট্র। ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে এই নিয়ম চলে আসছিল।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও বাংলাদেশ কৃষি জৈবপ্রযুক্তি সংলাপে সহযোগিতা করেছে।উভয় দেশ চলতি বছর তাদের সম্পৃক্ততা আরও বাড়াতে আগ্রহী।
উভয় দেশই অর্থনীতিতে উদ্ভাবন রক্ষার জন্য মেধা সম্পত্তির (আইপি) সুরক্ষা ও প্রয়োগের গুরুত্ব স্বীকার করেছে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন দেখতে চায় যুক্তরাষ্ট্র: আজরা জেয়া
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কপিরাইট আইন সংশোধন, শিল্প নকশা আইন, পেটেন্ট বিল ও বাস্তবায়ন প্রবিধান এবং আইপিআর এনফোর্সমেন্ট (আমদানি ও রপ্তানি) বিধিসহ আইপি-সম্পর্কিত আইন ও বিধিমালার সংশোধনের জন্য চলমান প্রক্রিয়াগুলোতে বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িত থাকার আগ্রহের কথা পুনর্ব্যক্ত করেছে।
এ ছাড়া ইউএসটিআর-এর ২০২৩ সালের বিশেষ ৩০১ নম্বর প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে, বিশ্বব্যাপী নকল পোশাকের শীর্ষ পাঁচটি দেশের একটি হিসেবে বাংলাদেশের অবস্থান নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশের পাশাপাশি এসব নিরসনে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিয়ে আলোচনা করেছে যুক্তরাষ্ট্র।
ওয়াশিংটন ডিসি-তে ২০২৪ সালে আগামী টিকফা কাউন্সিলিং বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে উভয় প্রতিনিধিদল এই গুরুত্বপূর্ণ দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যাওয়ার পরিকল্পনা করেছে।
আরও পড়ুন: ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র রক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি’: মোমেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাউন্সেলরের সাক্ষাৎ
যমুনা নদীর নাব্য বৃদ্ধি ও তীর রক্ষায় ১০.২০ কোটি ডলার দিচ্ছে বিশ্বব্যাংক
যমুনা নদীর নাব্য সংকট দূর করতে এবং তীর সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশকে ১০ কোটি ২০ লাখ ডলার অনুমোদন করেছে বিশ্বব্যাংক।
জনগণকে বাস্তুচ্যুত হওয়ার হাত থেকে বাঁচাতে, তাদের জীবিকা রক্ষা করতে এবং অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ডকে উৎসাহিত করা এ প্রকল্পের লক্ষ্য।
মঙ্গলবার ওয়াশিংটনে বৈশ্বিক ঋণদাতা সংস্থার পরিচালনা পর্ষদের সভায় এই অনুমোদন দেওয়া হয় বলে সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানিয়েছে বিশ্বব্যাংক।
এতে আরও বলা হয়, প্রস্তাবিত ধারাবাহিক প্রকল্পগুলোর মধ্যে প্রথম হলো যমুনা নদী টেকসই ব্যবস্থাপনা প্রকল্প ১-। এটি পর্যাপ্ত গভীরতার সঙ্গে নাব্য বাড়াতে সহায়তা করবে। এর ফলে সারা বছর ধরে বড় কার্গো জাহাজগুলোর স্থান সংকুলান করা সম্ভব হবে।
আরও পড়ুন: করোনাভাইরাসের টিকা তৈরিতে বাংলাদেশকে সহায়তা করবে বিশ্বব্যাংক: স্বাস্থ্যমন্ত্রী
এটি অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন পুনরায় চালু করতে সহায়তা করবে এবং আঞ্চলিক যোগাযোগ ও বাণিজ্য বৃদ্ধিতে সহায়তা করবে। এতে নদীভাঙন ও বন্যা থেকে প্রায় ২ হাজার ৫০০ হেক্টর জমি রক্ষা, স্থানীয় জনগণের জীবিকা ও সম্পদ রক্ষা এবং নতুন অর্থনৈতিক সুযোগ সৃষ্টিতে সহায়তা হবে।
বাংলাদেশ ও ভুটানে নিযুক্ত বিশ্বব্যাংকের কান্ট্রি ডিরেক্টর আবদুলায়ে সেক বলেন, ‘যমুনা পৃথিবীর বৃহত্তম ও গতিশীল নদীগুলোর মধ্যে একটি। নদীটি লাখ লাখ মানুষের জীবিকার সঙ্গে সম্পৃক্ত। তবুও, জলবায়ু পরিবর্তন ও পানির স্তর বৃদ্ধির কারণে নদী ভাঙন প্রতি বছর হাজার হাজার মানুষকে বাস্তুচ্যুত করে এবং তাদের দারিদ্র্যের দিকে ঠেলে দেয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘যমুনা নদীর টেকসই ও জলবায়ু সহনশীল ব্যবস্থাপনা দেশ ও জনগণের জন্য বিস্তর অর্থনৈতিক সুফল বয়ে আনবে। বিশ্বব্যাংক নদীর তীরের কিছু অংশ রক্ষা এবং নাব্য বাড়ানোর জন্য একটি বহুমুখী কর্মসূচি বিকাশ ও বাস্তবায়নে বাংলাদেশকে সহায়তা করছে এবং আমরা আমাদের বহুপক্ষীয় ও দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদারদের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ চালিয়ে যাব।’
বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো প্রকল্পটি ফুলছড়ি, গাইবান্ধা ও কালিহাতী অতিক্রম করে যমুনার দু’টি প্রণালীর উদ্ভাবনী নদী কাঠামো ও গতিপথের মাধ্যমে প্রকৃতি নির্ভর সমাধানে পাইলট প্রকল্প করা হবে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ-বিশ্বব্যাংকের ৩০০ মিলিয়ন ডলারের চুক্তি সই
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, উন্নত গতিপথ ও নাব্য বাড়লে প্রায় ১ লাখ মানুষ উপকৃত হবে। কারণ এতে যাত্রীরা বাসের পরিবর্তে ফেরি সুবিধা ব্যবহার করতে পারবে।
বিশ্বব্যাংকের জ্যেষ্ঠ পানি সম্পদ ব্যবস্থাপনা বিশেষজ্ঞ ও প্রকল্পের টিম লিডার আহমেদ শাওকি বলেন, ‘প্রকল্পটি বাংলাদেশ ডেল্টা প্ল্যান ২১০০ এর আওতায় মুখ্য প্রথম বহু-খাতীয় বিনিয়োগ হবে।’
তিনি বলেন, ‘পাইলট কার্যক্রম পরিবেশ রক্ষার সময় জলবায়ু স্থিতিস্থাপকতা উন্নত করতে সহায়তা করবে এবং নদীর প্রাকৃতিক প্রবাহে হস্তক্ষেপ করবে না। এই পর্যায় থেকে প্রাপ্ত সাফল্য ও পাঠ পরবর্তী প্রকল্পগুলোর ক্ষেত্রে নকশা ও পরিধি সম্পর্কে জানা যাবে।’
প্রকল্পটি যমুনা নদীর তীরে বসবাস করা ঝুঁকিপূর্ণ জনগোষ্ঠীর জন্য দুর্যোগ ও বাস্তুচ্যুতির ঝুঁকি হ্রাস করার দিকেও মনোনিবেশ করবে। প্রায় ১ দশমিক ২ মিলিয়ন মানুষকে একটি বিমা প্রকল্পের আওতায় আনা হবে এবং এক তৃতীয়াংশেরও বেশি উপকারভোগী হবেন নারী।
বিমা সক্রিয় হয়ে গেলে বিমার সুবিধাভোগীরা ডিজিটাল প্রক্রিয়ায় অর্থ পাবেন। এ ছাড়া সম্প্রদায় সুরক্ষা তহবিল থেকে প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার মানুষ উপকৃত হবেন।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশের স্বাস্থ্যখাতের উন্নয়নে ২০০ মিলিয়ন ডলার সহায়তার অনুমোদন বিশ্বব্যাংকের
মোমেনের সঙ্গে সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক গভীরে আগ্রহ প্রকাশ
দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক আরও দৃঢ় করতে একসঙ্গে কাজ করার আগ্রহ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ও সিয়েরা লিওন।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনের পার্শ্ব বৈঠকে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এবং সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্র ও আন্তর্জাতিক সহযোগিতাবিষয়ক মন্ত্রী তিমোথি মুসা কাব্বা দু’দেশের বিদ্যমান বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক আরও গভীর করার সম্ভাব্য বিভিন্ন ক্ষেত্র নিয়ে আলোচনা করেন।
সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশের কৃষিখাতে সার্বিক উন্নয়ন এবং খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতকরণে অভূতপূর্ব অর্জনের ভূয়সী প্রশংসা করেন।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ
এ সময় তার দেশের এসব খাতে উন্নয়নের জন্য তিনি বাংলাদেশের সহযোগিতা কামনা করেন। তিনি সিয়েরা লিওনে বাংলাদেশ থেকে প্রেরিত জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা বাহিনীর অবদানের জন্য ধন্যবাদ জানান।
ড. মোমেন বাংলাকে সিয়েরা লিওনের অন্যতম ভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়ায় ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানিয়ে বলেন, সিয়েরা লিওনের জনগণের প্রতি বাংলাদেশের জনগণের আন্তরিক ভালোবাসা রয়েছে।
তিনি বাংলাদেশের অভূতপূর্ব আর্থ-সামাজিক উন্নয়নের বিভিন্ন দিক তুলে ধরে বলেন, বাংলাদেশ শুধু কৃষি খাত নয়, তৈরি পোশাক, ফার্মাসিউটিক্যাল, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিতেও ব্যাপক উন্নতি সাধন করেছে।
মোমেন বলেন, বাংলাদেশ কৃষিখাত ছাড়াও তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে সিয়েরা লিওনকে সহায়তা করতে আগ্রহী।
সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রী তার দেশে বাংলাদেশের মিশন স্থাপনের জন্য অনুরোধ জানান।
মোমেন বলেন, আফ্রিকার দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক আরও জোরদারে বাংলাদেশ কাজ করে যাচ্ছে এবং অনেকগুলো উদ্যোগও গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি সিয়েরা লিওনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীকে ব্যবসায়ী প্রতিনিধি দলসহ বাংলাদেশে সফরের আমন্ত্রণ জানান।
আরও পড়ুন: ‘উন্নয়ন ও গণতন্ত্র রক্ষার গুরুত্ব বিষয়ে সহযোগিতা নিয়ে আলোচনা করেছি’: মোমেনের সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের স্টেট ডিপার্টমেন্ট কাউন্সেলরের সাক্ষাৎ
রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে ওআইসি কন্টাক্ট গ্রুপের সভা অনুষ্ঠিত
রোহিঙ্গা সংকট সমাধানে ইসলামি সহযোগিতা সংস্থাকে (ওআইসি) পদক্ষেপ গ্রহণের আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ।
মঙ্গলবার (১৯ সেপ্টেম্বর) জাতিসংঘ সদর দপ্তরে আয়োজিত রোহিঙ্গা সংকট বিষয়ে ওআইসি কন্টাক্ট গ্রুপের সভায় প্রদত্ত বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন এ আহ্বান জানান।
মিয়ানমারের জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত রোহিঙ্গা মুসলিমদের বাংলাদেশে আশ্রয় নেওয়ার পর ৬ বছর ধরে যে ভয়াবহ পরিস্থিতি বিরাজ করছে তা তুলে ধরেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, বাংলাদেশ মানবিক কারণে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। কিন্তু তাদের নিজ দেশে প্রত্যাবাসন বিলম্বিত হওয়ার ফলে বাংলাদেশের অর্থনীতি, জনসংখ্যা এবং পরিবেশের ওপর মারাত্মক চাপ সৃষ্টি করছে।
তিনি বলেন, রোহিঙ্গা শরণার্থীদের প্রত্যাবাসনে ২০১৭ এবং ২০১৮ সালে মিয়ানমারের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় চুক্তি সই করা সত্ত্বেও উল্লেখযোগ্য কোনো অগ্রগতি হয়নি। প্রত্যাবাসনকে ঘিরে অনিশ্চয়তার কারণে রোহিঙ্গা জনগণ হতাশায় ভুগছে এবং ক্যাম্প ও আশেপাশের এলাকার নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতি ঘটছে, যা আঞ্চলিক স্থিতিশীলতার জন্য হুমকির কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: এসডিজি বাস্তবায়নে বৈশ্বিক অংশীদারিত্ব জোরদার করুন: এসডিজি শীর্ষ সম্মেলনে মোমেন
তিনি আরও বলেন, রাখাইন রাজ্যে রোহিঙ্গাদের স্থায়ী ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের মাধ্যমে এই সঙ্কটের স্থায়ী সমাধান করা বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গাদের নিরাপদ ও স্বেচ্ছায় প্রত্যাবাসনের সুবিধার্থে বাংলাদেশ মিয়ানমারের সঙ্গে কাজ করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বৈশ্বিক বিভিন্ন সংকটের কারণে রোহিঙ্গা সংকটের প্রতি আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মনোযোগ ও সমর্থন কমে যাচ্ছে। ২০২৩ সালের জন্য রোহিঙ্গাদের মানবিক সহায়তার প্রয়োজনীয় তহবিলের মাত্র ৩০ শতাংশ পাওয়া গেছে, ফলে তাদের জন্য খাদ্য রেশন কমে গেছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওআইসি সদস্য দেশগুলোর মানবিক সহায়তার জন্য কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন এবং রোহিঙ্গাদের প্রত্যাবাসন না হওয়া পর্যন্ত তাদের সহায়তা অব্যাহত রাখার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: ক্ষতি নয়, বরং পরিবেশ রক্ষা করে সার্বিক উন্নয়ন নিশ্চিত করতে হবে: ড. হোসেন জিল্লুর রহমান
ড. মোমেন আন্তর্জাতিক বিচার আদালতের মাধ্যমে মিয়ানমারের জবাবদিহির জন্য গাম্বিয়ার উদ্যোগের প্রশংসা করেন, যেখানে মামলার বিষয়ে মিয়ানমারের আপত্তি প্রত্যাখ্যান করা হয়েছে।
উল্লেখ্য, কানাডা, নেদারল্যান্ডস, যুক্তরাজ্য, জার্মানি এবং ফ্রান্সসহ অন্যান্য দেশগুলোও এই মামলায় অংশ নেওয়ার আগ্রহ প্রকাশ করেছে।
সভায় গাম্বিয়ার আইনমন্ত্রী মামলার সর্বশেষ অবস্থা সম্পর্কে সভাকে অবহিত করেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বিশ্বব্যাপী মুসলমানদের দুর্দশা লাঘবে ওআইসিকে আরও সক্রিয় ভূমিকা পালনের আহ্বান জানান এবং স্থায়ী রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসনের জন্য মিয়ানমারে উপযুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে সমন্বিত প্রচেষ্টার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
সভা পরিচালনা করেন ওআইসি’র মহাসচিব হিসেইন ব্রাহিম তাহা। সভায় তুরস্ক, সৌদি আরব, মালয়েশিয়া, গাম্বিয়া, জিবুতি, মিশর, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ব্রুনেই ও সেনেগাল আলোচনায় অংশ নেয়।
আরও পড়ুন: মোমেনের সঙ্গে ঘানার পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বৈঠক, দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য ও বিনিয়োগ বৃদ্ধির ওপর গুরুত্বারোপ