���������������������
চাঁদের হাটে নতুন কার্যনির্বাহী কমিটি নির্বাচিত
চাঁদের জাতীয় শিশু কিশোর ও যুব কল্যাণ সংগঠন চাঁদের হাটের ষষ্ঠ জাতীয় সম্মেলনে কবি ও কথাশিল্পী মুজতবা আহমেদ মুরশেদ সভাপতি ও দৈনিক আনন্দবাজার সম্পাদক মুফদি আহমেদকে সাধারণ সম্পাদক করে ৩৩ সদস্যের কার্যকরী কমিটি নির্বাচিত করা হয়েছে।
সংগঠনের জাতীয় প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি ও দৈনিক যুগান্তর সম্পাদক সাইফুল আলম।
আরও পড়ুন: শাহবাগ থানায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে নির্যাতনের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবে দিনব্যাপী আয়োজিত সম্মেলনে সারাদেশের সংগঠনের শাখাগুলো থেকে ৩ শতাধিক সদস্য ও কাউন্সিলর অংশ নেয়। কাউন্সিল শেষে রাতে কমিটি ঘোষণা করা হয়।
সম্মেলনে কাউন্সিল দ্বারা নবনির্বাচিত কার্যকরী কমিটিতে যারা রয়েছেন সহ সভাপতি শায়লা রহমান লিপি, এড. মাসুদ হুসায়েন, সাজ্জাদ আলম তপু, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. মাসুদ পারভেজ, মো. নুরুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক কমরউদ্দীন আহমেদ, সহ সাংগঠনিক সম্পাদক মামুন গাজী, অর্থ সম্পাদক খন্দকার রিয়াজ হোসেন, সহ অর্থ সম্পাদক সামীউল আবেদ সুমন, প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক বাদশাহ গাজী, সহ প্রচার ও যোগাযোগ সম্পাদক সালেহ আহমেদ বাবু, শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক মলয় দস্তিদার, সহ শিক্ষা ও সংস্কৃতি সম্পাদক পাপিয়া কর, শিল্প কর্ম সম্পাদক সজল ভদ্র, সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক মো.সাদিকুল্লাহ খান, সহ সাহিত্য ও প্রকাশনা সম্পাদক শারমিন আক্তার ইমা, ক্রীড়া ও শরীর চর্চা সম্পাদক আনিসুল মাওলা রতনসহ অন্যান্যরা।
সংগঠনের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ইয়াহিয়া সোহেলের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী।
জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের সদস্য সচিব মুফদি আহমেদের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন জাতীয় প্রেসিডিয়াম চেয়ারম্যান মোহাম্মদ জাকারিয়া পিন্টু, উপদেষ্টা সাইফুল আলম, আল তারেক, দিদারুল আলম, এস এম ফরিদউদ্দিন, জাতীয় সম্মেলন প্রস্তুতি পরিষদের আহবায়ক জামিউর রহমান লেমন, সহ সভাপতি মুজতবা আহমেদ মুরশেদ, নজরুল ইসলাম চুন্নু প্রমুখ।
আরও পড়ুন: মোহাম্মদপুর কৃষি মার্কেটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি
কৃষি জমির স্বার্থে বালু উত্তোলন বন্ধে পদক্ষেপ নিতে সংসদীয় কমিটির সুপারিশ
নওগাঁয় বজ্রপাতে নিহত ৩
নওগাঁর মহাদেবপুর ও পোরশা উপজেলায় পৃথক স্থানে বজ্রপাতে দুই আদিবাসী নারীসহ তিনজন নিহত হয়েছেন।
শনিবার (২৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে বজ্রপাতে তাদের মৃত্যু হয়।
নিহতরা হলেন- মহাদেবপুর উপজেলার রাইগা ইউনিয়নের সিলিমপুর গ্রামের নেপাল পাহানের স্ত্রী শ্রীমতি পাহান এবং একই গ্রামের মৃত সুবেন্দ্রনাথ পাহানের স্ত্রী সবানী পাহান। আরেকজন হলেন- পোরশা উপজেলার চকবিষ্ণপুর গ্রামের মৃত আবুল হোসেনের ছেলে রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ঝালকাঠিতে বজ্রপাতে প্রাণ গেলো কৃষকের
মহাদেবপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা(ওসি) মোজাফফর হোসেন জানান, বাড়ির পাশে ধানখেতে বেশ কয়েকজন আদিবাসী নারী-পুরুষ কাজ করছিলেন। এসময় বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই তাদের মৃত্যু হয়। এ ঘটনায় আরও একজন নারী আহত হয়েছেন। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে মহাদেবপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
অন্যদিকে নওগাঁর পোরশায় নদীতে মাছ ধরতে গিয়ে বজ্রপাতে আরও একজনের মৃত্যু হয়েছে।
পোরশা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জহুরুল ইসলাম জানান, দুপুরে নিহত রফিকুল ইসলাম পুনর্ভবা নদীতে মাছ ধরতে যান। এসময় বৃষ্টির সঙ্গে বজ্রপাত হলে ঘটনাস্থলেই মারা যান তিনি। পরে খবর পেয়ে নিহতের পরিবারের সদস্যরা ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ বাড়িতে নিয়ে আসেন।
আরও পড়ুন: হবিগঞ্জে বজ্রপাতে কৃষকের মৃত্যু
মহাখালীতে ট্রেনে কাটা পড়ে ৩ শিশু নিহত
রাজধানীর মহাখালীতে শনিবার ভোরে ট্রেনে কাটা পড়ে তিন শিশু নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে রেলওয়ে পুলিশ (জিআরপি)।
নিহতদের পরিচয় জানা না গেলেও তাদের বয়স ১২ থেকে ১৩ বছরের মধ্যে হতে পারে।
ঢাকা রেলওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফেরদৌস আহমেদ জানান, জামালপুরগামী দেওয়ানগঞ্জ এক্সপ্রেস ট্রেনের ধাক্কায় শিশুরা নিহত হয়েছে বলে ধারণা করছেন তারা।
আরও পড়ুন: হিলিতে ট্রেনে কাটা পড়ে রেলের টিকিট বুকিং সহকারীর মৃত্যু
তিনি আরও জানান, সকাল ৬টার দিকে ট্রেনটি কমলাপুর স্টেশন থেকে বিমানবন্দরে যাওয়ার সময় এ দুর্ঘটনা ঘটে থাকতে পারে।
খবর পেয়ে রেলওয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে লাশ উদ্ধার করে।
পুলিশ কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা শিশুদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছি।’
আরও পড়ুন: চাষাড়ায় ট্রেনে কাটা পড়ে যুবক নিহত
ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবন প্রকল্পের ‘উদ্ভট প্রস্তাবের’ নিন্দা
পাবনার ইছামতি নদী পুনরুজ্জীবন প্রকল্প সংশোধনের দাবি জানিয়ে দখলদারদের উচ্ছেদ না করে স্থানীয় জনগণের জমি অধিগ্রহণ করে নদীর প্রস্থ বাড়ানোর পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের ‘উদ্ভট প্রস্তাবের’ নিন্দা জানিয়েছে নৌ, সড়ক ও রেলপথ রক্ষা জাতীয় কমিটি।
সংগঠনের সভাপতি মোহাম্মদ শহীদ মিয়া ও সাধারণ সম্পাদক আশীষ কুমার দে এক বিবৃতিতে এ দাবি জানান।
আরও পড়ুন: কুড়িগ্রামে তিস্তার ভাঙনে অর্ধশতাধিক ঘরবাড়ি নদীগর্ভে
এ ছাড়া সেতু নির্মাণসহ বিভিন্ন খাতে ‘অপ্রয়োজনীয় অতিরিক্ত ব্যয়’- এর মতো প্রস্তাব বাদ দিয়ে প্রকল্পের চূড়ান্ত অনুমোদন না দেওয়ার দাবি জানান তারা।
অন্যথায় নদী পুনরুদ্ধারের নামে জনগণের অর্থ অপচয় ও লুটপাট করা হবে এবং নদীর তীরে অবৈধ দখলদারদের বৈধতা দেওয়া হবে বলে অভিযোগ করেন জাতীয় কমিটির নেতারা।
বিবৃতি অনুযায়ী, পানি সম্পদ মন্ত্রণালয় ‘পাবনা জেলার ইছামতি নদীর পুনরুজ্জীবন’ শীর্ষক একটি প্রকল্প প্রস্তাব পরিকল্পনা কমিশনে পাঠিয়েছে। প্রকল্পটি বাস্তবায়ন করবে পানি উন্নয়ন বোর্ড।
৩৩ দশমিক ৭২ কিলোমিটার দীর্ঘ নদী খননের জন্য প্রকল্পের ব্যয় ধরা হয়েছে ১ হাজার ৭৩৫ দশমিক ১৬ লাখ টাকা। এর মধ্যে ১৬০ হেক্টর জমি অধিগ্রহণে ব্যয় ধরা হয়েছে ৫২৯ কোটি টাকা।
এ ছাড়া নদীর উপর নির্মিত ২২টি পুরাতন সেতু ভেঙে ২৩টি নতুন সেতু নির্মাণের প্রস্তাব করেছে পানিসম্পদ মন্ত্রণালয়।
আরও পড়ুন: ভোলায় মেঘনা নদী থেকে অজ্ঞাত ব্যক্তির লাশ উদ্ধার
রূপসায় নদী ভাঙন, ৫২৫ হেক্টর আবাদি জমি তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কা
পিঠা-পুলি বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যের অংশ: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেছেন, পিঠা-পুলি বাঙালির চিরায়ত ঐতিহ্যের অংশ। এ ছাড়া বাঙালির হাজার বছরের ঐতিহ্যবাহী সংস্কৃতির সঙ্গে মিশে আছে পিঠা-পুলির আয়োজন।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) নিয়ামতপুরের ঘুঘুডাঙ্গার তালতলিতে তৃতীয়বারের মতো তাল পিঠা মেলা অনুষ্ঠানে খাদ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: গুজব ছড়িয়ে দেশকে অস্থিতিশীল করার চেষ্টা হচ্ছে: খাদ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, প্রত্যেক সৃষ্টির আনন্দ আছে। সেই সৃষ্টি টেকসই হলে আনন্দ আরও বেড়ে যায়। একটি মহৎ উদ্দেশ্য নিয়ে তালের গাছ রোপন করেছিলাম। সেই ঘুঘুডাঙ্গার তাল সড়ক এখন দেশে ও বিদেশে ব্রান্ড হয়ে উঠেছে।
খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার বলেন, তালসড়ককে কেন্দ্র করে ঘুঘুডাঙ্গা একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে তোলার চেষ্টা চলছে। কিছু কাজ করা হয়েছে। জলবায়ু ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ এখানে অর্থায়ন করার আশ্বাস দিয়েছে।
আরও পড়ুন: আউশ ধানের চাষ বেশি হওযায় চাল আমদানির প্রয়োজন হবে না: খাদ্যমন্ত্রী
খাদ্যের অপচয় বন্ধে সচেতন হওয়ার আহ্বান খাদ্যমন্ত্রীর
বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’র উদ্বোধন
আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করা হলো বাংলাদেশের প্রথম প্রিমিয়াম ওয়াটার পার্ক ‘মানা বে’র।
শুক্রবার মুন্সিগঞ্জের গজারিয়াতে দর্শনার্থীদের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে উন্মুক্ত করেন প্রতিষ্ঠানটির চেয়ারম্যান মাসুদ দাউদ আকবানি।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন স্বরাস্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, ব্রিটিশ ডেপুটি হাইকমিশনার ম্যাট ক্যানেল।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে চন্দ্রমহল ইকোপার্ক থেকে ৪৩টি বন্যপ্রাণী উদ্ধার
প্রায় ৬০ হাজার বর্গ মিটার বিস্তৃত পার্কটিতে সব বয়সের মানুষের জন্য নানা আয়োজন রয়েছে। এর মধ্যে অন্যতম হচ্ছে তিনটি ওয়াটার স্লাইড ট্যুর, একটি ওয়েভ পুল, ফ্লোরাইডার® ডাবল, বাচ্চাদের জন্য একটি আলাদা জোন ও একটি কৃত্রিম নদী। অন্যান্য সুবিধার মধ্যে রয়েছে স্পা, ব্লিসফুল বে অ্যান্ড অ্যাক্টিভিটি পুল, হাইড্রো গ্রুভ ওয়েট ডিস্কো, একাধিক রেস্তোরাঁ ও ফুড ট্রাক। বাচ্চাদের জন্য খেলার সুবিধাসহ রয়েছে ছোট স্লাইড, স্প্ল্যাশ প্যাড ও রেইন ফোর্ট্রেস ফাইভ। পার্কের কেন্দ্রে অবস্থিত পলিনেশিয়ান থিমের বিশেষ আগ্নেয়গিরি একটি অনন্য সংযোজন।
মানা বে-এর স্বত্বাধিকারী ও ব্যবস্থাপনা পরিচালক আকবানি বলেন, ‘মানা বে-এর লক্ষ্য হলো ওয়াটার পার্কের চেয়েও বেশি কিছু হয়ে ওঠা। এটি এমন একটি প্রাণবন্ত প্রতিষ্ঠান হতে চায় যেখানে সবাই একই সঙ্গে কাজ, খেলাধুলা ও জীবনের উচ্ছ্বাস নিয়ে বাঁচতে পারে।’
ওয়াটার পার্কেটির উদ্বোধন উপলক্ষে ওপেনিং প্যারেড, ওয়ারিয়র ড্যান্স, হাক্কা ড্যান্স ও স্টিল্ট ওয়াকিং পারফরম্যান্সসহ দুই দিনব্যাপী কার্নিভালের আয়োজন করা হয়েছে। এ ছাড়াও আয়োজকরা উৎসবের উচ্ছ্বাস বাড়াতে ফেস পেইন্টিং, হস্তশিল্পের কর্মশালা, ক্যারিক্যাচার ও লাইভ মিউজিক পারফরম্যান্সের মতো কার্যক্রমের উদ্যোগ নিয়েছে।
আরও পড়ুন: কর্ণফুলী নদীর তীর ঘেষে হবে দৃষ্টিনন্দন বিনোদন পার্ক ও খেলার মাঠ
জেব্রার মৃত্যুতে সাফারি পার্ক পরিদর্শনে তদন্ত কমিটি
আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার বাণিজ্যিক কেন্দ্র বাংলাদেশ হতে পারে: এফবিসিসিআই
আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যবসার সেতুবন্ধন স্থাপন ও দেশগুলোর জন্য বাংলাদেশ বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বলে মনে করে ব্যবসায়ীদের শীর্ষ সংগঠন এফবিসিসিআই।
শুক্রবার (২২ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর একটি হোটেলে ভিয়েতনামের উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাতে এই মন্তব্য করেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি ড.যশোদা জীবন দেবনাথ।
ভিয়েতনামের ওই প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেন দেশটির ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট মান্যবর ভং দিন হুয়ে ।
আরও পড়ুন: এফবিসিসিআইয়ের নতুন মহাসচিব মো. আলমগীর
এফবিসিসিআই সহসভাপতি ড. যশোদা জীবন দেবনাথ বলেন, স্বল্প উন্নত দেশ থেকে উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে বাংলাদেশকে আসিয়ান, দক্ষিণ পূর্ব এশিয়াসহ আঞ্চলিক সংস্থাগুলোর সঙ্গে একাধিক এফটিএ ও পিটিএ চুক্তি সম্পন্ন করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘আসিয়ানভুক্ত দেশগুলোর সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে ভিয়েতনাম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে। অর্থনৈতিক সম্ভাবনা ও ভৌগোলিক অবস্থানের দিক থেকে আসিয়ান, দক্ষিণ এশিয়া ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ার দেশগুলোর জন্য ব্যবসার সেতুবন্ধন স্থাপনের মাধ্যমে বাণিজ্যিক কেন্দ্র হতে পারে বাংলাদেশ।’
ড. দেবনাথ বলেন, বাণিজ্যের পাশাপাশি আমরা দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ ও ব্যবসায়িক সহযোগিতা বাড়াতেও আগ্রহী। আমাদের রপ্তানিকে বৈচিত্র্যময় করতে সরকার কাজ করছে। ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা আমাদের ১০০টি বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চলে বিনিয়োগ করে এই যাত্রায় সহযোগী হতে পারে।
ভিয়েতনামের ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলির প্রেসিডেন্ট ভং দিন হুয়ে বাংলাদেশের সামগ্রিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। তিনি বলেন, ভারতের পরে দক্ষিণ এশিয়ার দেশগুলোর মধ্যে বাংলাদেশ ভিয়েতনামের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বাণিজ্যিক অংশীদার। আমরা এই সম্পর্ককে আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে চাই। বাংলাদেশের সঙ্গে বাণিজ্য জোরদারে ভিয়েতনাম চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রি (ভিসিসিআই) এবং দেশটির সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় এদেশের সরকার ও এফবিসিসিআইয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করবে বলেও জানান তিনি। এসময় এফবিসিসিআই নেতাদের ভিয়েতনামে ভ্রমণের আহ্বান জানান তিনি।
সৌজন্য সাক্ষাতের পরে বিকেলে ‘ভিয়েতনাম ও বাংলাদেশের মধ্যে অর্থনৈতিক, বাণিজ্য ও বিনিয়োগ সহযোগিতার উন্নয়নে নীতি ও আইনবিষয়ক ফোরাম’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
আলোচনা সভায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন এফবিসিসিআইয়ের সহসভাপতি শমী কায়সার।
ভিয়েনতামের ব্যবসায়ীদের বাংলাদেশের বিশেষ অর্থনৈতিক অঞ্চল এবং হাই-টেক পার্ক ও ট্যুরিজমে বিনিয়োগের আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
শমী কায়সার বলেন, ‘আমাদের এগ্রো ও ফুড প্রসেসিং ইন্ডাস্ট্রি এখন দেশীয় চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানির জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে। বিশ্বের সেরা ১০টি সবুজ পোশাক কারখানার মধ্যে শীর্ষ ৮টি বাংলাদেশে অবস্থিত। নবায়নযোগ্য জ্বালানি ও পরিবেশবান্ধব প্রযুক্তির বিষয়গুলো ভেবে দেখতে পারেন ভিয়েননামের ব্যবসায়ীরা ।
অনুষ্ঠানে ছিলেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ভিয়েতনামের রাষ্ট্রদূত ন্যুয়েন মান কুঅংকে, এফবিসিসিআইয়ের মহাসচিব মো. আলমগীর, ইন্টারন্যাশনাল উইংয়ের প্রধান রাষ্ট্রদূত মসুদ মান্নান এবং বাংলাদেশ ও ভিয়েতনামের ব্যবসায়ীরা।
আরও পড়ুন: নেপাল বাংলাদেশের জন্য পরিচ্ছন্ন জ্বালানির ভালো উৎস হতে পারে: এফবিসিসিআই
ফ্রান্সের টেমস ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি থেকে এফবিসিসিআই নেতা জীবন দেবনাথের ডি.লিট ডিগ্রি অর্জন
বাংলাদেশের জিডিপি প্রবৃদ্ধি ২.১ শতাংশ বাড়াতে সহায়তা করবে বিআরআই: প্রতিবেদন
বাংলাদেশের প্রকৃত মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) কমপক্ষে ২ দশমিক ১ শতাংশ বাড়াতে বেল্ট অ্যান্ড রোড ইনিশিয়েটিভ (বিআরআই) সহায়তা করবে বলে সাম্প্রতিক এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে।
প্রকল্পটি বাংলাদেশে অতিরিক্ত আড়াই শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ১ শতাংশ কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারে। এতে ১ দশমিক ৩ শতাংশ চরম দারিদ্র্য হ্রাসে সহায়তা করবে।
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) বাংলাদেশে চীনা দূতাবাসের পক্ষ থেকে প্রকাশিত ‘দ্য বেল্ট অ্যান্ড রোড ইন বাংলাদেশ অ্যাচিভমেন্টস অ্যান্ড ওয়ে ফরোয়ার্ড’ শিরোনামের প্রতিবেদনে এসব তথ্য জানানো হয়।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশে বিআরআই কার্যক্রম প্রাথমিকভাবে তিনটি ক্ষেত্রকে অন্তর্ভুক্ত করে- অবকাঠামো উন্নয়ন, জ্বালানি ও বিদ্যুৎ সহযোগিতা এবং সামাজিক ও সাংস্কৃতিক বিনিময়।
আরও পড়ুন: বিআরআই’র আঞ্চলিক সংযোগে অবদান রাখতে আগ্রহী বাংলাদেশ ও চীন
পদ্মা সেতু রেল সংযোগ প্রকল্প, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান টানেল এবং পাওয়ার সিস্টেম নেটওয়ার্কের সম্প্রসারণ ও শক্তিশালীকরণের উদাহরণ নিয়েও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন মডেলিং পদ্ধতির উপর ভিত্তি করে আনুমানিক জিডিপি, বাণিজ্য, কর্মসংস্থান সৃষ্টি ও দারিদ্র্য হ্রাসের উপর উল্লেখযোগ্য ইতিবাচক প্রভাব নির্দেশ করে।
প্রতিবেদন অনুসারে, নির্দিষ্ট পরিস্থিতির উপর নির্ভর করে বিআরআই প্রকল্পগুলো অতিরিক্ত ১ দশমিক ৮ মিলিয়ন থেকে ৩ দশমিক ৬ মিলিয়ন কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি করবে বলে অনুমান করা হয়েছে।
এ ছাড়াও প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিআরআই অবকাঠামো ও সংযোগ প্রকল্পগুলোতে চীনা বিনিয়োগ ও অর্থায়নের জন্য একটি অতিরিক্ত সুযোগ দেয়। এটি বাংলাদেশের সরবরাহ প্রতিক্রিয়া ও বাহ্যিক প্রতিযোগিতাকে উদ্দীপিত করতে পারে।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ‘এটি বিআরআইয়ের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও দারিদ্র্য থেকে জনগোষ্ঠীকে উন্নীত করার ক্ষেত্রে রূপান্তরকারী শক্তির প্রকাশ ঘটায়।’
এ ছাড়াও, প্রতিবেদনে উভয় দেশকে ব্যবসা সহজতর করতে, বিনিয়োগের বাধাগুলো শনাক্ত ও নির্মূল করতে এবং বিনিয়োগকারী ও ভোক্তাদের অধিকার ও স্বার্থ রক্ষার জন্য একটি অনুকূল আইনি কাঠামো প্রতিষ্ঠার জন্য সহযোগিতা করার আহ্বান জানানো হয়েছে।
পরিকল্পনা মন্ত্রী এম এ মান্নান প্রতিবেদনের বার্তা প্রসঙ্গে বলেছেন, চীনের বিআরআই বৈশ্বিক সহযোগিতা জোটের সদস্য হিসেবে বাংলাদেশ ইতোমধ্যে চীনের আর্থিক বিনিয়োগ এবং চুক্তিভিত্তিক নির্মাণ বাধ্যবাধকতাসহ বিআরআই থেকে লাভবান হতে শুরু করেছে।
মান্নান বলেন, 'বিআরআইর বিনিয়োগ ভবিষ্যতে বাংলাদেশের প্রতিযোগিতামূলক উন্নয়ন উদ্যোগগুলোতে অবদান রাখবে এবং ভিশন-২০৪১ অর্জনে সহায়তা করবে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেন, 'গত কয়েক বছর ধরে আমরা দেখেছি, বিআরআই বাংলাদেশের দৃশ্যপট পাল্টে দিয়েছে, বিদ্যুৎ খাতে বিনিয়োগ বাংলাদেশকে শতভাগ বিদ্যুতায়নে সক্ষম করেছে।’
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, ডিজিটাল খাতে এই বিনিয়োগ ডিজিটাল ও স্মার্ট বাংলাদেশের স্বপ্নকে আরও একধাপ এগিয়ে নিয়ে এসেছে এবং সড়ক ও রেলপথে বিনিয়োগ বাংলাদেশের বাণিজ্য দৃশ্যপটকে বদলে দিয়েছে এবং দেশ ও দক্ষিণ এশীয় অঞ্চলে দ্রুত যোগাযোগ নিশ্চিত করেছে।
বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, আমি নিশ্চিত যে, বিআরআইর কাঠামোর আওতায় আরও বেশি সংখ্যক চীনা উদ্যোগ ও জনগণ স্মার্ট বাংলাদেশের লক্ষ্যে নিজেদের নিয়োজিত করবে, চীনা সমাধান প্রস্তাব করবে এবং 'ভিশন ২০৪১' বাস্তবায়নে আরও বেশি অবদান রাখবে।
আরও পড়ুন: অষ্টম বাংলাদেশ-চীন মৈত্রী সেতুর উদ্বোধন ৪ সেপ্টেম্বর
বিআরআই সংশ্লিষ্ট সব দেশের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে: চীন
চট্টগ্রামে লাগেজ ভর্তি লাশের ৮ খন্ড উদ্ধার
চট্টগ্রাম মহানগরীর পতেঙ্গায় থেকে লাগেজ ভর্তি অজ্ঞাতনামা ব্যক্তির লাশের ৮ খন্ড উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (২১ সেপ্টেম্বর) দিবাগত রাতে পতেঙ্গার ১২ নম্বর ঘাট এলাকা ঝোঁপের ভেতর পড়ে থাকা লাগেজের ভেতর থেকে লাশের খণ্ডিত অংশ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশ বলছে অন্য কোথাও হত্যা করে লাশ টুকরো করে লাগেজে ভরে এখানে এনে ফেলেছে। এ ব্যাপারে অনুসন্ধান শুরু করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে সৌদি প্রবাসীর স্ত্রীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার
ঘটনা নিশ্চিত করে পতেঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ আফতাব হোসেন বলেন, লাগেজে লাশের আটটি টুকরো পাওয়া গেছে। শরীর থেকে মাথা সম্পূর্ণ বিচ্ছিন্ন। তবে লাগেজে শরীরের অন্যান্য অংশ থাকলেও মাথা ছিল না। ধারণা করা হচ্ছে, কেউ তাকে হত্যার পর টুকরো টুকরো করে লাগেজে ভরে ফেলে গেছে। তিনি আরও বলেন, নিহতের পরিচয় এখনো জানা যায়নি। লাশের পরিচয় নিশ্চিত হওয়ার জন্য এবং ময়নাতদন্তের জন্য লাশ চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। হত্যার রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ।
ওসি আরও জানান, যে স্থানে লাগেজটি ফেলে রাখা হয়েছিল সেটি মূল সড়ক থেকে একটু ভেতরে সরু গলিতে। হাত-পাগুলো আট টুকরো করে কেটে টেপ মুড়িয়ে লাগেজে ভরা হয়েছিল। লাগেজের ভেতর নিহত ব্যক্তির শার্ট এবং লুঙ্গিও রয়েছে। আমরা আইনগত প্রক্রিয়া শুরু করেছি।
আরও পড়ুন: জগন্নাথপুরে প্রবাসীর স্ত্রীর খন্ডিত লাশ উদ্ধার, ফার্মেসির মালিকসহ গ্রেপ্তার ৩
মিরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে ৪ জনের মৃত্যু
রাজধানীর মিরপুরে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে একই পরিবারের তিন সদস্যসহ চারজন নিহত হয়েছেন।
তাৎক্ষণিকভাবে নিহতদের পরিচয় নিশ্চিত হওয়া যায়নি।
বৃহস্পতিবার(২১ সেপ্টেম্বর) রাতে মিরপুরে ঢাকা কমার্স কলেজের সামনে ঘটনাটি ঘটেছে।
স্থানীয়রা জানান, রাত ১০টার দিকে বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে পাঁচজন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: মুন্সীগঞ্জে বিদ্যুৎস্পৃষ্টে ২ শ্রমিকের মৃত্যু, আটক ৩
পরে তাদের উদ্ধার করে শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক চারজনকে মৃত ঘোষণা করেন।
লাশগুলো হাসপাতাল মর্গে রাখা হয়েছে বলে জানিয়েছেন ডিএমপির (মিরপুর) উপ-কমিশনার জসিম উদ্দিন মোল্লা।
আরও পড়ুন: ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় বিদ্যুৎস্পৃষ্ট হয়ে শ্রমিকের মৃত্যু