আওয়ামী-লীগ
পিরোজপুরে স্বতন্ত্র প্রার্থীর ভাতিজার উপর প্রতিপক্ষের হামলা, আহত ৩
পিরোজপুর- ১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী একেএমএ আউয়ালের ভাতিজা ও জেলা ছালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর মুজিব অভি’র উপর প্রতিপক্ষ হামলার চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
রবিবার(১৭ ডিসেম্বর) বিকালে পিরোজপুর সদর উপজেলা কদমতলা ইউনিয়ন কদমতলা বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
এসময় তার সঙ্গে থাকা যুবলীগ কর্মী রনি দাস ও ছাত্রলীগ নেতা স্মরণ চক্রবর্তীকে কুপিয়ে গুরুত্বর জখম করা হয়েছে।
জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক তৌকির মুজিব আবির এই হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেন।
আহত জেলা ছালীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক তানভীর মুজিব অভি পিরোজপুর জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মজিবুর রহমান খালেকের ছেলে, যুবলীগ কর্মী রনি দাস শহরের প্রেসক্লাব সড়কের বলরাম দাসের ছেল এবং জেলা ছাত্রলীগ নেতা স্মরণ চক্রবর্তী পিরোজপুর শহরের বলাকা ক্লাব সড়কের অ্যাডভোকেট দিলিপ চক্রবর্তীর ছেলে।
এ বিষয়ে পিরোজপুর সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি তোফাজ্জল হোসেন মল্লিক স্বপন জানান, পিরোজপুর-১ আসনের স্বতন্ত্র প্রার্থী এ কে এম এ আউয়ালকে সমর্থন দেয়ায় কদমতলা ও শিকদারমল্লিক ইউনিয়নের সমর্থক নেতা-কর্মীদের নানা রকম হুমকি ও মারধরের ঘটনা ঘটছে।
আরও পড়ুন: গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সদর উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান বায়জিদ হোসেন এর লোকজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে তাদের উপর হামলা করে। এতে অভি’র সঙ্গে থাকা যুবলীগ কর্মী রনি দাস গুরুতর আহত হন। এছাড়া এ সময় হামলাকারীরা অভি এবং তার সঙ্গে থাকা স্মরণ চক্রবর্ত্তীকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করেন তারা।
পরে তাদেরকে ঘটনাস্থল থেকে উদ্ধার করে পিরোজপুর জেলা হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
অভিযোগের বিষয়ে জানতে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শ. ম. রেজাউল করিমের অনুসারী বায়জিদকে ফোন দেওয়া হলেও তিনি তা রিসিভ না করে কেটে দেন। তাকে ক্ষুদে বার্তা পাঠালেও তিনি এর কোন উত্তর দেননি।
পিরোজপুর জেলা সদর হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. স্বাগত হালদার জানান আহতদের মধ্যে দুইজনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এছাড়া তানভীর মুজিব অভির হাতে সহ শহীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত আছে।
পিরোজপুরের পুলিশ সুপার মুহাম্মদ শরীফুল ইসলাম জানান, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে শহর পরিদর্শন করেন সহ পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। নির্বাচনে যেকোন প্রকার সহিংসতাকে কঠোরভাবে দমন করা হবে এবং ঘটনার সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
আরও পড়ুন: ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী
ধ্বংসাত্মক রাজনীতি নির্মূল করে মানবিক রাষ্ট্র গঠনই বিজয় দিবসের প্রত্যয়: তথ্যমন্ত্রী
বাংলাদেশকে একটি মানবিক ও সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্র হিসেবে গড়ে তোলা এবং দেশ থেকে নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক রাজনীতি চিরতরে নির্মূল করাই বিজয় দিবসের প্রত্যয় বলে মন্তব্য করেছেন তথ্যমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (১৭ ডিসেম্বর) সকালে রাজধানীর কাকরাইলে তথ্য ভবন মিলনায়তনে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের অধীন চলচ্চিত্র ও প্রকাশনা অধিদপ্তর (ডিএফপি) আয়োজিত ‘বিজয়ের ৫২ বছর’শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এ কথা বলেন।
জাতিগত উন্নয়নের জন্য শুধু বস্তুগত নয় মানুষের আত্মিক উন্নয়নও অত্যন্ত প্রয়োজন উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আমরা অর্থনৈতিকভাবে এখন আর দরিদ্র নই তবু অনেকের চেয়ে পিছিয়ে। কিন্তু সামাজিক ও পারিবারিক বন্ধন, মূল্যবোধে আমরা অনেকের চেয়ে এগিয়ে।
আরও পড়ুন: জাতিসংঘের বিবৃতি বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে: তথ্যমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা একটি সামাজিক রাষ্ট্র গঠন করার লক্ষ্যেই বয়স্ক ভাতা, বিধবা ভাতা, তালাকপ্রাপ্তা ভাতা, দরিদ্র জনগোষ্ঠীর জন্য মাতৃত্বকালীন ভাতাসহ নানা ধরনের ভাতা চালু করেছেন।
মন্ত্রী বলেন, এভাবে দেশকে আমরা একটি মানবিক, সামাজিক কল্যাণ রাষ্ট্রে রূপান্তর করতে চাই, যেখানে সমস্ত আর্ত-পীড়িত, দরিদ্রদের দায়িত্ব রাষ্ট্র গ্রহণ করবে।
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, আজকে বাংলাদেশ সমস্ত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলে জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এগিয়ে চলছে। এখন জিডিপিতে আমরা বিশ্বের ৩৫তম আর পিপিপিতে ৩১তম অর্থনীতির দেশ। ২০৩০ সাল নাগাদ বাংলাদেশ ২৫ কিংবা ২৭তম অর্থনীতির দেশে রূপান্তরিত হবে।
তিনি বলেন, এই উন্নয়ন অগ্রগতি আমরা আরও বহুদূর এগিয়ে নিতে পারতাম যদি দেশে ধ্বংসাত্মক, নেতিবাচক, গুজব ছড়ানোর রাজনীতি না থাকত, কারণ এগুলো দেশের অগ্রগতিকে শ্লথ করেছে। আজকে রাজনীতির নামে মানুষ, গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো হচ্ছে, ট্রেন লাইন কেটে ফেলা হচ্ছে, ট্রেনে অগ্নিসংযোগ করা হচ্ছে।
এগুলো কোনো রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নয়, সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড।
হাছান মাহমুদ বলেন, রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস আমাদের উন্নয়ন অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করেছে এবং করছে। সুতরাং দেশকে যদি স্বপ্নের ঠিকানায় নিয়ে যেতে হয় তাহলে রাজনীতির নামে এই সন্ত্রাস চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে হবে। আমরা সেটি বন্ধ করতে বদ্ধপরিকর। সুতরাং আজকে বিজয় দিবসে আমাদের প্রত্যেকের শপথ হওয়া প্রয়োজন এই নেতিবাচক, ধ্বংসাত্মক রাজনীতিকে চিরতরে দেশ থেকে নির্মূল করতে হবে।
আরও পড়ুন: রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য মানুষ প্রাণ দিয়েছিল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, বাংলাদেশ এমন একটি দেশ যেখানে মানুষ প্রাণ দিয়েছে গণতন্ত্র আর মানবাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য।
তিনি বলেন, ১৯৭১ সালে মানুষের ন্যায্য দাবি অস্বীকার করা হয়। নির্যাতন আর গণহত্যা শুরু হলে সারা বাংলাদেশ ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য যুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়ে।
মহান বিজয় দিবস-২০২৩ উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সন্ধ্যায় ঢাকা ক্লাবে আয়োজিত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় এসব কথা বলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে ড. মোমেন ও ক্লাব সভাপতি আশরাফুজ্জামান খান ক্লাবের মুক্তিযোদ্ধা সদস্যদের ক্রেস্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা দেন।
এতে স্বাগত বক্তৃতা করেন আশরাফুজ্জামান খান।
অনুষ্ঠানে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিচারণ করেন বীর উত্তম মাসরুর-উল-হক সিদ্দিকী, বীর বিক্রম মাহবুব উদ্দিন আহমেদ, বীর প্রতীক এম হাবিবুল আলম, মুক্তিযোদ্ধা ওয়ালিউল ইসলাম, মুক্তিযোদ্ধা শহীদুল্লাহ খান, মুক্তিযোদ্ধা নাসির উদ্দীন ইউসুফ ও মুক্তিযোদ্ধা ম. হামিদ।
সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর অনুষ্ঠানে বক্তৃতা ও কবিতা পাঠ করেন।
শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীদের পরিবেশনায় বিশেষ নৃত্যানুষ্ঠানসহ স্বাধীন বাংলা বেতার কেন্দ্রের শিল্পীদের পরিবেশনায় সংগীতানুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়।
আরও পড়ুন: বহির্বিশ্বের চাপ নেই, আমরা আমাদের নিজেদের চাপের মধ্যে আছি: মোমেন
সিলেটের রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাই: মোমেন
১৯৭১ সালে ভূমিকার জন্য বাংলাদেশের জনগণের কাছে কিসিঞ্জারের ক্ষমা চাওয়া উচিত ছিল: মোমেন
আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম শেখ মুজিবুর রহমান: নৌপ্রতিমন্ত্রী
নৌপ্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, আমাদের বিজয়ের মহানায়কের নাম বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান।
তিনি বলেন, বঙ্গবন্ধু মানে স্বাধীনতা ও বিজয়ের শক্তি এবং সাহসের নাম। বঙ্গবন্ধু ছাড়া আমরা স্বাধীনতা ও বিজয় পেতাম না।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌপরিবহন কর্তৃপক্ষ (বিআইডব্লিউটিএ) ভবনে মহান বিজয় দিবস- ২০২৩ উপলক্ষে নৌপরিবহন মন্ত্রণালয় আয়োজিত ‘জাতির পিতার স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ, চেতনা ধারণ ও ডিজিটাল প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার এবং বিজয় দিবসের তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: সীমান্তে কিছু বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটছে: নৌপ্রতিমন্ত্রী
তিনি আরও বলেন, বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতা ও বিজয়ের সুখ দেওয়ার জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। তিনি মানুষের মৌলিক অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য কাজ শুরু করেছিলেন। মাত্র সাড়ে তিন বছরে তিনি দারিদ্র্যপীড়িত দেশকে স্বল্পোন্নত দেশে পরিণত করেছিলেন।
তিনি বলেন, স্বাধীনতার পরাজিত শত্রুরা বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যার মাধ্যমে আমাদের স্বাধীনতা ও বিজয়কে অন্ধকারে পাঠিয়ে দিয়েছিল। জেনারেলদের শাসন চলছিল। আমরা স্বাধীনতার স্বাদ পাইনি। স্বাধীনতা ও বিজয়কে মূল্যহীন করে রেখেছিল।
নৌ প্রতিমন্ত্রী বলেন, আমরা এখন অহংকার করে বলতে পারি, আমরা বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়ন করেছি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশে অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। বাংলাদেশের মানুষকে স্বাধীনতা ও বিজয়ের স্বাদ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বঙ্গবন্ধুকে হত্যার পর আমরা মুক্তি পাইনি। শেখ হাসিনা আমাদের মুক্ত করেছেন।
খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেন, আমরা যদি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে এভাবে থাকতে পারি, তাহলে আমরা পথ হারাব না। শিক্ষার আলো দিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তুলব। প্রধানমন্ত্রী আমাদের দেশকে একটি মর্যাদায় নিয়ে গেছেন। সেই মান-মর্যাদা নিয়ে স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে আরও এগিয়ে যাব।
তিনি আরও বলেন, ‘৭১ সালে সাম্রাজ্যবাদীরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের বিরুদ্ধে গুজব ছড়িয়েছিল। এখন উন্নয়নের বিরুদ্ধেও তারা বক্তব্য বিবৃতি দিচ্ছে। আমরা বিজয়ী জাতি। আমরা কারো মুখাপেক্ষী থাকতে পারি না। যখন আমরা মুখাপেক্ষী ছিলাম, তখন আমরা এগোতে পারিনি। ইউএসএ, জাতিসংঘ, পশ্চিমারা আমাদের বাংলাদেশকে নিয়ে বিবৃতি দিচ্ছে- এটা ভালো লাগে, গর্ব করার বিষয়।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব মো. মোস্তফা কামালের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ও প্রধান আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন- প্রধানমন্ত্রীর প্রাক্তন মুখ্য সচিব কবি ড. কামাল আব্দুল নাসের চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ড. এ কে এম মতিউর রহমান।
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন- নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব দেলোয়ারা বেগম, বিআইডব্লিউটিএ'র চেয়ারম্যান কমডোর আরিফ আহমেদ মোস্তফা।
অনুষ্ঠানের শুরুতে মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদ, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তার পরিবারের শহীদ সদস্যদের স্মরণে এক মিনিট দাঁড়িয়ে নীরবতা পালন করা হয়।
অনুষ্ঠানে দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে দোয়া ও মোনাজাত করা হয়।
আরও পড়ুন: মাতারবাড়ী গভীর সমুদ্রবন্দরের আবিষ্কারক প্রধানমন্ত্রী: নৌপ্রতিমন্ত্রী
গ্লোবাল মেরিটাইম ইন্ডিয়া সামিটের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে নৌপ্রতিমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ এগিয়ে যাচ্ছে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, মহান মুক্তিযুদ্ধের মধ্যে দিয়ে আমরা যে বাংলাদেশ পেয়েছি, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে তা এগিয়ে যাচ্ছে।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে তিনি এ কথা বলেন।
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী কাদের বলেন, ‘আজ আমরা ডিজিটাল বাংলাদেশের পর স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে কাজ করছি। আগামী দিনে এই অগ্রযাত্রা অব্যাহত থাকবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না: কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘একটা ভিশন নিয়ে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে, তবে অগ্রগতি-সমৃদ্ধির পথে প্রতিবন্ধকতা হলো সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদ।’
আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, ‘দেশে যে অপশক্তি নির্বাচনের বিরোধিতা করছে ও গণতান্ত্রিক রাজনীতির পথে অন্তরায় হয়ে দাড়িয়েছে, এরা শুধু সাম্প্রদায়িকতা কায়েম করতে চায় না, দেশের রাজনীতি ধ্বংস করাই এদের মূল লক্ষ্য।’
কাদের বলেন, ‘এই অপশক্তিকে রুখব এটাই আজকের দিনের অঙ্গীকার। অসাম্প্রদায়িক রাজনীতি বিরুদ্ধ শক্তিকে প্রতিহত করব, পরাজিত করব।’
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: কাদের
আসন বণ্টনের বিষয় আসেনি: জাপার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কাদের
জাতিসংঘের বিবৃতি বিএনপি-জামায়াতের বিরুদ্ধে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, নির্ভয়ে ভোটদানে জাতিসংঘের আহ্বানকে আমরা স্বাগত জানাই এবং এটি বিএনপি-জামায়াত, যারা নির্বাচনকে প্রতিহত করার ঘোষণা দিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে গেছে।
শুক্রবার সকালে রাজধানীর মিন্টো রোডের সরকারি বাসভবনে ঢাকা রিপোর্টারস ইউনিটির (ডিআরইউ) নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের সঙ্গে মতবিনিময় শেষে জাতিসংঘের সাম্প্রতিক বিবৃতি নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি ভালো স্টেটমেন্ট। আমরা স্বাগত জানাই। কারা ভোট দানে বিঘ্ন সৃষ্টি করছে, ভোট প্রতিহত করার চেষ্টা করছে, আপনারা জানেন। বিএনপি-জামায়াত ঘোষণা দিয়েছে তারা ভোট প্রতিহত করবে। ভোটকেন্দ্রে যাতে মানুষ না যায়, এজন্য তারা ভীতিসঞ্চার করছে, গাড়ি-ঘোড়া পোড়াচ্ছে, রেললাইন খুলে ফেলছে। আমি মনে করি এই বিবৃতি তাদের বিরুদ্ধে গেছে। কারণ এই বিবৃতি যারা ভোট প্রতিহত করতে চায়, তাদের বিরুদ্ধে।
বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী জ্বালাও-পোড়াও চালিয়েই যাচ্ছে, এটি প্রশাসনের ব্যার্থতা কি না- প্রশ্নের জবাবে হাছান মাহমুদ বলেন, ওরা ২০১৩, ১৪ ও ১৫ সালে যেভাবে জ্বালাও-পোড়াও করেছিল, সেটি এখন পারছে না। এটিকে শূণ্যের কোটায় নামিয়ে আনা আমাদের দায়িত্ব। সেই লক্ষ্যে সরকার ও প্রশাসন কাজ করছে।
আওয়ামী লীগের সঙ্গে জাতীয় পার্টির আলোচনার বিষয়ে তথ্যমন্ত্রী বলেন, আলোচনা চলছে। যে কারো সঙ্গেই স্ট্র্যাটেজিক অ্যালায়েন্স হতে পারে।
এর আগে ডিআরইউর নবনির্বাচিতদের সঙ্গে আলোচনায় তিনি বলেন, ডিআরইউ সংগঠনটি চমৎকারভাবে কাজ করছে। আমি অনেক আগে থেকে তাদের কার্যক্রমের সঙ্গে যুক্ত, ভবিষ্যতেও থাকব।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে গঠিত সাংবাদিক কল্যাণ ট্রাস্ট আজ সাংবাদিকদের জন্য একটি ভরসাস্থল উল্লেখ করে তথ্যমন্ত্রী সংগঠনগুলোর সাংবাদিকদের গ্রুপ ইনস্যুরেন্স করার পরামর্শ দেন।
তিনি বলেন, এতে করে কেউ অসুস্থ হলে এবং মৃত্যুবরণ করলে টাকা পাবে। এ সুবিধা দেশে কম।
ডিআরইউ সভাপতি সৈয়দ শুকুর আলী শুভর নেতৃত্বে নবনির্বাচিত নির্বাহী পরিষদ সদস্যরা এ সময় মন্ত্রীকে ফুলেল শুভেচ্ছা জানান।
সহসভাপতি শফিকুল ইসলাম শামীম, সাধারণ সম্পাদক মহিউদ্দিন, যুগ্ম সম্পাদক মো. মিজানুর রহমান (মিজান রহমান), সাংগঠনিক সম্পাদক খালিদ সাইফুল্লাহ, দপ্তর সম্পাদক রফিক রাফি, নারীবিষয়ক সম্পাদক মাহমুদা ডলি, তথ্য প্রযুক্তি ও প্রশিক্ষণ সম্পাদক মো. রাশিম (রাশিম মোল্লা), ক্রীড়া সম্পাদক মো. মাহবুবুর রহমান, সাংস্কৃতিক সম্পাদক মো. মনোয়ার হোসেন, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ ছলিম উল্লাহ (মেজবাহ), কল্যাণ সম্পাদক মো. তানভীর আহমেদ, কার্যনির্বাহী সদস্য সাঈদ শিপন, মুহিববুল্লাহ মুহিব ও মো. শরীফুল ইসলাম এ সাক্ষাতে অংশ নেন।
আরও পড়ুন: রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না: কাদের
আওয়ামী লীগ নির্বাচনে কোনো শরিকের জয়ের নিশ্চয়তা দেবে না বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: আসন বণ্টনের বিষয় আসেনি: জাপার সঙ্গে বৈঠক প্রসঙ্গে কাদের
তিনি বলেন, জোটের জন্য সাতটির বেশি আসন ছাড়ার কোনো সুযোগ নেই। নির্বাচনে স্বতন্ত্র প্রার্থীরা তাদের পূর্ণ প্রচেষ্টা চালাবেন। দেশে একটি ভালো নির্বাচন হবে এবং কোনো পক্ষপাতিত্ব থাকবে না।
কিন্তু বিএনপি এই নির্বাচন বানচালের জন্য অস্ত্র সংগ্রহ করছে বলেও মন্তব্য করেন সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: স্বতন্ত্র প্রার্থীদের বিষয়ে দলীয় সিদ্ধান্ত পরিবর্তনের সুযোগ নেই: কাদের
নিষেধাজ্ঞা নিয়ে আওয়ামী লীগ উদ্বিগ্ন নয়: কাদের
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি: হাছান মাহমুদ
বুদ্ধিজীবীদের হত্যা করে জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের স্বাধীনতা যখন আসন্ন, পাকিস্তানি হানাদারবাহিনী তখন উপলব্ধি করতে পেরেছিল বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করতে যাচ্ছে। তাই জাতিকে পঙ্গু করার উদ্দেশ্যেই ১৪ ডিসেম্বর জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের হত্যা করা হয়েছিল। তবে তাদের হত্যা করেও বাঙালি জাতিকে পঙ্গু করা যায়নি।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের সকালে রায়েরবাজার বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের দলীয় শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসে যাদেরকে হত্যা করা হয়েছিল, বাঙালি জাতির স্বাধীনতার লক্ষ্যে মনন তৈরি করতে বঙ্গবন্ধুর সহযোগী হিসেবে তারা তাদের লেখনী, বক্তব্যের মাধ্যমে ও নানাভাবে কাজ করেছিলেন।’
তিনি বলেন, ‘গত ৫২ বছরের বেশি সময়ের এই পথ চলায় বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন বাস্তবায়নের পথে বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ বহুদূর এগিয়ে গেছে।’
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাংলাদেশে যদি বিএনপি-জামায়াতের নেতৃত্বে অপরাজনীতি, সাম্প্রদায়িকতা আশ্রয়ী রাজনীতি, জ্বালাও-পোড়াও ও ধংসাত্মক রাজনীতি না থাকত আমরা বঙ্গবন্ধুর সব স্বপ্ন এতদিনে বাস্তবায়ন করতে পারতাম।’
তিনি বলেন, ‘বিশেষ করে যারা স্বাধীনতা চায়নি, স্বাধীনতাকামী মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে যারা পাকিস্তানিদের হয়ে যুদ্ধ করেছে; সেই জামায়াতে ইসলামীকে সঙ্গে নিয়ে বিএনপি অপরাজনীতি করছে। এই অপরাজনীতি যদি দেশে না থাকত, দেশ আজ বহুদূর এগিয়ে যেতে পারত।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘আজ বাংলাদেশ পৃথিবীর কাছে একটি গর্বিত জাতি এবং সারাবিশ্ব এই দেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। অথচ দুঃখের বিষয় এখনও বাংলাদেশে সাম্প্রদায়িক রাজনীতি হয়।’
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনাই যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন। আমরা যখন বিচারের ঘোষণা দিলাম তখন অনেকেই ভেবেছে এই বিচার হবে না। বিচার কার্যক্রম শুরুর পরও অনেকেই ভেবেছে কার্যক্রম শুরু হলেও শেষ হবে না। আবার রায় হওয়ার পরেও অনেকে ভেবেছিল রায় হলেও বাস্তবায়ন হবে না। কিন্তু সবাইকে অবাক করে দিয়ে পৃথিবীর অনেক বড় রাষ্ট্রের রক্তচক্ষু এবং অনেক চাপকে উপেক্ষা করে শেখ হাসিনা যুদ্ধাপরাধীদের বিচার করেছেন এবং বিচারের রায় বাস্তবায়ন করেছেন। শেখ হাসিনা দেশ পরিচালনার দায়িত্বে থাকলে সব মানবতাবিরোধী অপরাধীদের বিচার হবে এবং বিচারের রায়ও কার্যকর হবে।’
আরও পড়ুন: মানবাধিকার লঙ্ঘনকারীরাই মানবাধিকারের কথা বলে, প্রেসক্রিপশন দেয়: তথ্যমন্ত্রী
বিএনপি বিশৃঙ্খলা করলে দাঁতভাঙা জবাব দেবে মানুষ: তথ্যমন্ত্রী
সিলেটের রাজনৈতিক ঐতিহ্যকে ধরে রাখতে চাই: মোমেন
সিলেট-১ আসনে জাতীয় পার্টির মনোনীত প্রার্থী হয়েও পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেনের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছেন মহানগর জাতীয় পার্টির আহ্বায়ক নজরুল ইসলাম বাবুল।
বুধবার (১৬ ডিসেম্বর) বিকালে সিলেটে জাপা নেতার ব্যবসায়িক কার্যালয়ে যান পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ সময় নজরুল ইসলামের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন তাকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।
এসময় পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেন, এই মানুষের (বাবুল) আমার কোনো ব্যক্তিগত সখ্য নেই। নির্বাচন বিষয়ে তার সঙ্গে কোনো আলাপও হয়নি। কিন্তু আমার জন্য তিনি দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করে সিলেট-১ আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন না। তাই আমার মনে হলো- তার সঙ্গে একবার দেখা করে কৃতজ্ঞতা ও ধন্যবাদ জানানো দরকার।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘সিলেটে একটি রাজনৈতিক ঐতিহ্য রয়েছে। এখানে ভিন্ন মত-দলকে আমরা কখনো অসম্মান করি না। এটাকে ধরে রাখতে চাই। আমাদের চিন্তাধারায় ভিন্নতা থাকতে পারে তবে আমরা একই শহরের মানুষ।’
আরও পড়ুন: জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা মন্ত্রী পর্যায়ের বৈঠকে বাংলাদেশ প্রতিনিধি দলের নেতৃত্ব দেবেন মোমেন
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও বলেন, তিনি (বাবুল) সদ্য অনুষ্ঠিত সিসিক নির্বাচনে মেয়র পদে দাঁড়িয়ে নৌকার প্রার্থীর বিপক্ষে প্রায় ৬০ হাজার ভোট পেয়েছেন। সেটি কম কথা নয়। তিনি চাইলেই সিলেট-১ আসনে আমার বিরুদ্ধে লড়তে পারতেন। কিন্তু আমার জন্য সরে দাঁড়িয়েছেন। তার এই আত্মত্যাগ সিলেটের সম্প্রীতির রাজনীতির একটি অনন্য উদাহরণ।
এ সময় জাতীয় পার্টি নেতা নজরুল ইসলাম বাবুল বলেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর পরিবার একটি অভিজাত পরিবার। তার ভাই সাবেক অর্থমন্ত্রী মরহুম আবুল মাল আব্দুল মুহিত সিলেটের উন্নয়নের অনেক কিছু করেছেন। তিনিও অসামান্য অবদান রেখে চলেছেন সিলেটের জন্য। এ অবস্থায় সিলেট-১ আসনে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করা আমার পক্ষে উচিত মনে করিনি। তাই দলীয় সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করেই আমি নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছি। এতে যদি দল আমাকে বহিষ্কার করে, তবুও আমার কিছু যায় আসে না।
আরও পড়ুন: অযৌক্তিক রাজনৈতিক চাপের মধ্যে গঠনমূলক ও সহযোগিতামূলক ভূমিকা চেয়ে জাতিসংঘে মোমেনের চিঠি
রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এ কোন রাজনীতি: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, রেললাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এগুলো কোন ধরনের রাজনীতি।
বুধবার (১৩ ডিসেম্বর) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে তথ্যমন্ত্রী একথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিএনপিই দেশের প্রথম কিংস পার্টি: তথ্যমন্ত্রী
তিনি বলেন, মঙ্গলবার দিবাগত রাতে গাজীপুরে ট্রেন লাইনের ২০ ফুট কেটে দেওয়া হয়েছে এবং এতে সাতটি বগি লাইনচ্যুত হয়েছে, একজন যাত্রী নিহত হয়েছেন, অর্ধ শতাধিকের বেশি যাত্রী আহত হয়েছেন, ট্রেন চলাচল ব্যাহত হয়েছে।
মন্ত্রী আরও বলেন, রাজধানীতেও কয়েকটি গাড়িতে আগুন দেওয়া হয়েছে। তাদের এই তথাকথিত অবরোধ শুরু হওয়ার পর দেশের কোথাও অবরোধ পালিত হয়নি। কিন্তু এ পর্যন্ত ৩৫০ যানবাহনে আগুন দেওয়া হয়েছে, সাতজনের বেশি মানুষ নিহত হয়েছেন এবং বহু মানুষ আগুনে দগ্ধ হয়েছেন।
তিনি বলেন, এই ট্রেন লাইন কাটা, গাড়িতে আগুন দিয়ে মানুষ পোড়ানো- এগুলো কোন ধরনের রাজনীতি? এই অপরাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ হওয়া দরকার। আমরা সবাই যদি এর বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলি তাহলে এই অপরাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ হবে।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব গুপ্ত স্থান থেকে প্রতিদিন সংবাদ সম্মেলন করেন, মাঝে মধ্যে হঠাৎ ভোরে বা মধ্যরাতে তাকে রাস্তাতেও দেখা যায়।
তিনি বলেন, আচমকা ১০ কিংবা পাঁচ মিনিটের জন্য মিছিল করে আবার হাওয়ায় মিলিয়ে যায়। নিষিদ্ধ সংগঠনের নেতারা যেরকম করেন, ঠিক ওরকমই তারা করছেন। মানুষ ও গাড়ি-ঘোড়া পোড়ানো, সন্ত্রাস নৈরাজ্য সৃষ্টি কখনো গণতান্ত্রিক আন্দোলন নয়।
আরও পড়ুন: বিএনপি আন্ডারগ্রাউন্ড সংগঠনে রূপান্তরিত হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্যমন্ত্রী আরও বলেন, এগুলো সন্ত্রাসী দেশবিরোধী, জনবিরোধী কর্মকাণ্ড। তাদের কর্মকাণ্ডের বর্বরতা, হিংস্রতা, নৃশংসতা হিংস্র হায়েনাকেও হার মানিয়েছে। তারা হিংস্র জন্তুর চেয়েও জঘন্য হয়ে দাঁড়িয়েছে। এদের এই অপরাজনীতি চিরদিনের জন্য বন্ধ করতে আমরা বদ্ধপরিকর।
সন্ত্রাসীদের বিচার নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, অবশ্যই অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে এবং অনেকে মনে করছেন, যারা রেললাইন কেটেছে পুলিশ তাদের খুঁজে পাবে না, কিন্তু পুলিশ অবশ্যই তাদের খুঁজে বের করবে, তাদের বিরুদ্ধে মামলা এবং আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
অবরোধের ডাককে মানুষ বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়েছে উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, আপনারা জানেন, দেশে ৪৪টি নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের মধ্যে ৩০টি অর্থাৎ বেশিরভাগ দলই নির্বাচনে অংশ নিচ্ছে। দেশ এখন নির্বাচনী উৎসবমুখর। কিন্তু নির্বাচন প্রতিহত করতে ক্রমাগতভাবে বিএনপি-জামায়াতের পক্ষ থেকে গুপ্ত স্থান থেকে অবরোধের ডাক দেওয়া হচ্ছে।
জাতীয় পার্টির সঙ্গে আলোচনা প্রশ্নে তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, জাতীয় পার্টির মহাসচিব ইতোমধ্যেই স্পষ্ট করেছেন, তারা নির্বাচন করার জন্যই মনোনয়নপত্র জমা দিয়েছেন। আমিও বিশ্বাস করি, তারা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে ভালো ফল করবেন। জাতীয় পার্টি আমাদের দীর্ঘদিনের সহযোগী, গণতন্ত্র ও সংবিধানকে রক্ষা করার জন্য তারা আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করেছে। আমি দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি, আজকের পরিস্থিতিতেও জাতীয় পার্টি আগের মতোই আমাদের সহযোগী হিসেবে কাজ করবে।
সাংবাদিকদের মন্তব্য ‘বিএনপির সমমনা কিছু ছোট দল নির্বাচনবিরোধী উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছে’ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, দেখুন ব্যাঙ অনেক ছোট কিন্তু ব্যাঙের আওয়াজ অনেক বড়। আমাদের রাজনীতিতেও কিছু দল আছে ব্যাঙ যেমন ছোট সে রকম, কিন্তু আওয়াজ অনেক বড়। এরা নানা ধরনের কথা বলে।
আরও পড়ুন: ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ কয়েকটি সংস্থা ও দেশ নির্বাচনে পর্যবেক্ষক পাঠাবে: তথ্যমন্ত্রী