আওয়ামী-লীগ
জনগণের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত বিএনপি বিদেশি এজেন্ট নিয়োগ করেছে: তথ্যমন্ত্রী
তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘বিএনপির নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। পিছু হটে তারা এখন মুখে নির্বাচন বর্জনের কথা বলছে আর ডেভিড বার্গম্যানসহ কিছু ইহুদি এজেন্ট নিয়োগ করেছে।’
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) দুপুরে সচিবালয়ে মন্ত্রণালয় সভাকক্ষে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপির নির্বাচনবিরোধী প্রচারণা এবং নির্বাচন প্রতিহত করার ঘোষণা কার্যত জনগণ প্রত্যাখ্যান করেছে। জনগণ যেভাবে নির্বাচনে সাড়া দিয়েছে তা দেখে বিএনপি পিছু হটেছে। সেই সঙ্গে তারা এখন লবিস্ট নিয়োগ করে বিদেশে বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় নিবন্ধ লেখাচ্ছে। ডেভিড বার্গম্যানসহ কিছু ইহুদি এজেন্ট তারা নিয়োগ করেছে এবং আন্তর্জাতিক গণমাধ্যমে দেশবিরোধী রিপোর্ট করানোর চেষ্টা চালাচ্ছে।’
হাছান মাহমুদ বলেন, ‘বেগম খালেদা জিয়া নিজের নামে নিবন্ধ লেখেছিলেন দেশের বিরুদ্ধে। এটি নতুন কোনো কিছু নয়। বিএনপি সবই পারে।’
এ সময় ব্রাসেলসভিত্তিক সংস্থা 'ইন্টারন্যাশনাল ক্রাইসিস গ্রুপ'র সাম্প্রতিক প্রতিবেদনে বাংলাদেশের রাজনীতি নিয়ে দেওয়া মন্তব্যের বিষয়ে প্রশ্ন করলে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘ব্রাসেলসে বসে রিপোর্ট লেখা খুব সহজ। তারা রিপোর্টটা নিশ্চয়ই আরও ২০-২৫ দিন বা ১ মাস আগে লিখেছিল। তারা যদি দেশে এসে গ্রামে-গঞ্জে ঘুরে যেত তাহলে রিপোর্টটা সংশোধন করে নিত। আশা করি তারা রিপোর্টটা পরে সংশোধন করে নেবে।’
বামজোট নির্বাচন বর্জনের কর্মসূচি দেবে এমন বিষয়ে প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বাম ভাইদের আমি খুব সম্মান করি। কারণ বাম ভাইয়েরা আমাদের মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের শক্তি, প্রগতিশীল শক্তি। কিন্তু দুঃখজনক হলেও সত্য, বাম ভাইদের কোনো ভোট নেই। তাই উনারা ভোট বর্জন করুক আর না করুক এতে নির্বাচনে কোনো প্রভাব পড়বে না।’
হাছান বলেন, ‘ইউরোপীয় ইউনিয়ন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, সার্কভুক্ত দেশগুলো, ওআইসি আরও দেশ ও জোট দেশে নির্বাচনী পর্যবেক্ষক এরই মধ্যে পাঠিয়েছে। ২০০৮ সালসহ অন্য সময় যেভাবে নির্বাচনী পর্যবেক্ষকরা এসেছিল, একইভাবেই পর্যবেক্ষকরা বিদেশ থেকে এসেছে, দেশি পর্যবেক্ষকরাও ব্যাপকভাবে নির্বাচন কমিশনের অনুমতি প্রার্থনা করেছে, অনেকেই অনুমতি পেয়েছেন। এই নির্বাচনকে নিয়ে সমগ্র পৃথিবীর বিভিন্ন দেশের যে আগ্রহ, এতেই প্রমাণিত হয় এ নির্বাচনকে আন্তর্জাতিক মহল ব্যাপকভাবে গ্রহণ করেছে।’
‘সুতরাং বিএনপির এই নির্বাচন বিরোধী প্রচারণা এবং তাদের নেতাদের এই বক্তব্য আসলে এগুলো অন্তঃসারশূন্য এবং জনগণের কাছে এগুলোর কোনো আবেদন নেই’ বলেন মন্ত্রী।
তিনি বলেন, ‘১৯৭০ সালেও নির্বাচনেও অনেক নাম করা দল, অনেক নাম করা নেতা অংশ নেয়নি। কিন্তু জনগণ ব্যাপকভাবে অংশ নিয়েছিল এবং সেটি আন্তর্জাতিকভাবে অত্যন্ত গ্রহণযোগ্য নির্বাচন ছিল।’
৭২৪ দিন আগে
গণতন্ত্র রক্ষায় আবারও শেখ হাসিনাকে প্রয়োজন: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, গণতন্ত্র রক্ষা ও উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আবারও ক্ষমতায় আসতে হবে।
এ কে এম শামসুজ্জোহা স্পোর্টস কমপ্লেক্সে সমাবেশে তিনি বলেন, 'বড় দলে আসুন এবং নৌকায় ভোট দিন। গণতন্ত্র রক্ষার জন্য আমাদের শেখ হাসিনাকে ক্ষমতায় রাখতে হবে।’
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা। নির্বাচনী প্রচারণা শেষ হওয়ার আগে এটাই ছিল তার শেষ জনসভা।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, বিএনপি ফাউল খেলায় ধরা পড়া লাল কার্ড নিয়ে পালিয়েছে।
তিনি বলেন, যারা স্বাধীনতাবিরোধী, যারা অর্থ পাচারকারী, দুর্নীতিবাজ তাদের জন্য কোনো স্থান থাকবে না।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দিকে আঙুল তুলে ওবায়দুল কাদের বলেন, 'আমরা কোনো হাওয়া ভবন চাই না। আমাদের লড়াই লুটপাটকারীদের বিরুদ্ধে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে।’
বিএনপিকে ভূযা দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, দলের মতোই তাদের আন্দোলনও ভুয়া বলে প্রমাণিত হয়েছে।
দলের কেন্দ্রীয় নেতা ও নারায়ণগঞ্জের নেতারা বক্তব্য রাখেন সমাবেশে।
অনুষ্ঠানস্থলটি নৌকার সমর্থকে পরিপূর্ণ ছিল। এ কারণে বিপুল লোক বাইরে থেকে নেতাদের বক্তব্য শুনছিলেন।
৭২৪ দিন আগে
১৫ বছর পর নারায়ণগঞ্জে প্রধানমন্ত্রী, সমাবেশস্থলে মানুষের ঢল
দীর্ঘ ১৫ বছর পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নারায়ণগঞ্জ শহরে আগমন উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সকাল থেকেই জনসমাগম শুরু হওয়ায় উৎসবমুখর পরিবেশ সৃষ্টি হয়েছে।
সকাল ১০টা থেকে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের 'জয় বাংলা' স্লোগান দিয়ে সমাবেশস্থল শামসুজ্জোহা ক্রীড়া চক্রের দিকে পদযাত্রা করতে দেখা যায়।
এ সময় আওয়ামী লীগ সভাপতির নির্বাচনী জনসভাকে সামনে রেখে মোটরসাইকেল, পিকআপ ভ্যান ছাড়াও জনগণকে পায়ে হেঁটে সমাবেশস্থলে যেতে দেখা যায়।
এদিকে আসন্ন জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীদের মধ্যে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা রয়ে গেছে, যা ইতোমধ্যে দলীয় সমর্থকদের ভিড়ে মুখরিত হয়ে উঠেছে।
১৫ বছর পর আওয়ামী লীগ সভাপতি নারায়ণগঞ্জ যাচ্ছেন। তাই এ ঘোষণা আসার পর থেকেই তাকে স্বাগত জানাতে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেন স্থানীয় নেতা-কর্মীরা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে একবার দেখার জন্য উদগ্রীব হয়ে আছেন নেতা-কর্মী ও সাধারণ মানুষ।
উল্লেখ্য, লিংক রোড, মালেহ রোড, কলেজ রোড, কালীবাজার, হাসপাতাল রোডসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে শোভাযাত্রা ও জনসমাগম দেখা গেছে। তাদের বেশির ভাগই শামসুজ্জোহা ক্রীড়া চত্বরের দিকে যাচ্ছেন।
নারায়ণগঞ্জের লিংক রোড ও জনসভাস্থলের আশপাশের এলাকা ফেস্টুন, পোস্টার ও ব্যানার দিয়ে সাজানো হয়েছে।
শোভাযাত্রার জন্য নারী ও পুরুষের জন্য আলাদা জায়গার ব্যবস্থা করা হয়েছে। সমাবেশস্থলের বাইরে শহরের বিভিন্ন বৈদ্যুতিক খুঁটিতে মাইক স্থাপন করা হয়েছে। রাস্তা পরিষ্কার করা হয়েছে এবং পুরো শহর পোস্টার দিয়ে সাজানো হয়েছে।
৭২৪ দিন আগে
বিদেশিদের হুমকি-ধমকির পরোয়া করেন না শেখ হাসিনা: কাদের
শেখ হাসিনা ভিসা নীতি ও নিষেধাজ্ঞার কোনো পরোয়া করেন না বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের।
বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ছাত্রলীগের ৭৬তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।
কাদের বলেন, ‘শেখ হাসিনা বিদেশি কোনো শক্তির হুমকি-ধমকির পরোয়া করেন না। তিনি ভয় পান একমাত্র স্রষ্টাকে। তিনি ভালোবাসেন বাংলাদেশের জনগণকে।’
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘ভালো লোকেরা নির্বাচিত হলে দেশ ভালো চলবে, নতুবা দুঃশাসন অনিবার্য।’
কাদের বলেন, ‘তারেক রহমান নির্দেশ দিয়েছে বোমা মেরে আতঙ্ক সৃষ্টি করার। এই বিএনপিকে চিরতরে লাল কার্ড দেখাতে হবে।’
ছাত্রলীগের সভাপতি সাদ্দাম হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ওয়ালী আসিফ ইনান।
জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে কর্মসূচি শুরু হয়। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। পরে ছাত্রলীগের সাবেক ও বর্তমান নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়।
আরও পড়ুন: অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
৭২৫ দিন আগে
আজ সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন শেখ হাসিনা
দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা আজ বৃহস্পতিবার (৪ জানুয়ারি) সন্ধ্যায় জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন।
বুধবার রাতে আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, সন্ধ্যা ৭টায় জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে দলের নির্বাচনী ইশতেহার নিয়ে জাতির উদ্দেশে ভাষণ দেবেন তিনি (শেখ হাসিনা)।
বাংলাদেশ টেলিভিশন, বাংলাদেশ বেতার, বেসরকারি টিভি চ্যানেল ও রেডিও স্টেশনগুলো একযোগে ভাষণটি সম্প্রচার করবে।
আরও পড়ুন: গুজবের বিরুদ্ধে সজাগ থাকুন: প্রধানমন্ত্রী
আগামী ৭ জানুয়ারির নির্বাচন দেশের গণতান্ত্রিক ইতিহাসে একটি মাইলফলক হবে: প্রধানমন্ত্রী
৭২৫ দিন আগে
৭ জানুয়ারি জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে ‘ভালো নির্বাচনের’ সাক্ষী হবে বিশ্ববাসী: ওবায়দুল কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) স্বাধীন ও কর্তৃত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারছে বলেই নির্বাচনী আচরণবিধি কঠোরভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হচ্ছে।
বুধবার (৩ জানুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে দলীয় সভাপতির কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, যেখানেই নির্বাচনী আচরণবিধি লঙ্ঘন করা হচ্ছে, সেখানেই নির্বাচন কমিশন ব্যবস্থা নিচ্ছে। সরকারের পক্ষ থেকে কোনো প্রকার হস্তক্ষেপ বা তাদের কর্তব্য পালনে বাধা দেওয়া হচ্ছে না। আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ ব্যাপারে কঠোর অবস্থানে আছেন।
কাদের আরও বলেন, ‘বিশ্ববাসী ৭ জানুয়ারি বাংলাদেশে জনগণের স্বতঃস্ফূর্ত উপস্থিতিতে একটা ভালো নির্বাচন প্রত্যক্ষ করবে। যেখানে জনমত বিজয়ী হবে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি-জামায়াত তারা এখন আন্দোলনে ব্যর্থ হয়ে লিফলেট বিতরণ করছে। তারা ব্যর্থতা ও ভুলের চোরাবালিতে আটকে গেছে। এখান থেকে তারা বের হতে পারছে না। তাদের নেতিবাচক কর্মসূচি, নাশকতা, অবরোধ জনগণ অগ্রাহ্য করেছে। বিএনপি সহিংসতা করবে না বললেও সেটা সত্যি কথা কি না সেটা বলার সুযোগ নেই। কারণ তারা বলে একটা, করে আরেকটা। খবর পাচ্ছি তারা ভেতরে ভেতরে ষড়যন্ত্র করছে।’
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের দ্বিমুখী ভূমিকার সমালোচনা করে সেতুমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনুসের মামলার রায় প্রসঙ্গে বাংলাদেশের মানবিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। কিন্তু ফিলিস্তিনের গাজায় ইসরায়েল যে হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে সে বিষয়ে কেন কথা বলছে না। তারা ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটা কথাও বলেনি।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়াসহ কেন্দ্রীয় ও মহানগর আওয়ামী লীগের নেতারা।
আরও পড়ুন: অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
৭২৫ দিন আগে
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির চক্রান্ত বন্ধ করতে নৌকায় ভোট দিন: ফরিদপুরে শেখ হাসিনা
স্বাধীনতাবিরোধী শক্তির ষড়যন্ত্রের বিরুদ্ধে সজাগ থাকতে জনগণের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, 'চারপাশে অনেক ষড়যন্ত্র চলছে।’
মঙ্গলবার(২ জানুয়ারি) বিকালে ফরিদপুরের সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে দলের এক বিশাল নির্বাচনী জনসভায় তিনি এসব কথা বলেন।
শেখ হাসিনা বলেন, 'যারা আমাদের মুক্তিযুদ্ধকে সমর্থন করেনি, তারা এখনও তাদের ষড়যন্ত্র বন্ধ করেনি।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই ষড়যন্ত্রকারীরা তাদের চক্রান্ত বাড়াচ্ছে, কারণ তারা জানে বাংলাদেশ কখনও কারো কাছে মাথা নত করে না।
তিনি বলেন, 'আমি জাতির পিতার কন্যা, আমি কখনও কারো কাছে মাথা নত করি না এবং করবও না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার ইতোমধ্যে সারাদেশে ব্যাপক উন্নয়নমূলক কাজ করলেও আরও অনেক কিছু করার আছে।
তিনি সমবেত জনতার উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে আমাদের গড়ে তুলতে হবে। এর জন্য আপনাদের কার প্রয়োজন? শুধু আমাকে বলুন। কেবল নৌকাই এটি করতে পারে।’
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
তিনি বলেন, ‘শুধু নৌকা ভোট পেলে আমি আবার ক্ষমতায় আসতে পারব এবং বাংলাদেশকে উন্নয়নশীল দেশ হিসেবে গড়ে তোলা সম্ভব হবে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশ কখনও পিছিয়ে পড়বে না। শুধু নৌকাই আপনাকে সমাধান দেবে। আপনাদের সবাইকে এটা মনে রাখতে হবে।
তিনি বলেন, ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ একটি স্মার্ট জাতিতে পরিণত হবে।
তিনি বলেন, ‘জাতির পিতার স্বপ্নের বাংলাদেশ হবে ক্ষুধা ও দারিদ্র্যমুক্ত উন্নত ও সমৃদ্ধ স্মার্ট সোনার বাংলা।’
তিনি বলেন, স্মার্ট বাংলাদেশ মানে স্মার্ট সরকার, স্মার্ট মানুষ, স্মার্ট অর্থনীতি ও স্মার্ট সমাজ।
তিনি বলেন, সবকিছু হারিয়ে তিনি বাংলাদেশের মানুষকে তার পরিবার হিসেবে গ্রহণ করেছেন। সুতরাং আমার যা কিছু আছে তা আমি দেশের মানুষের জন্য ত্যাগ করেছি।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফরিদপুরে আ. লীগের নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড়
নৌকায় ভোট দেওয়ার জন্য আগত জনতার কাছে প্রতিশ্রুতিও চান তিনি।
উৎফুল্ল জনতা হাত তুলে নৌকার পক্ষে স্লোগান দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি প্রতিশ্রুতি ব্যক্ত করেন। ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও মাগুরার প্রার্থীদের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দিয়ে ভোট চান তিনি।
আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও ফরিদপুর-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী আব্দুর রহমান, মাগুরা-১ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী ক্রিকেটার সাকিব আল হাসান এবং ফরিদপুর-৩ আসনে আওয়ামী লীগ মনোনীত প্রার্থী শামীম হক বক্তব্য দেন।
মঞ্চ থেকে শেখ হাসিনা জাতীয় পতাকা উড়িয়ে জনতাকে শুভেচ্ছা জানান। জবাবে শ্রোতারা তাদের বহন করা ক্ষুদ্র পতাকাও উড়ান করেন।
প্রধানমন্ত্রীর সফর উপলক্ষে ফরিদপুর শহরের পাশাপাশি সমগ্র জেলার সর্বত্র উৎসবমুখর পরিবেশ দেখা গেছে।
পদ্মা সেতু পার হয়ে সড়কপথে ফরিদপুরে পৌঁছান শেখ হাসিনা। বেলা সোয়া ৩টার দিকে তিনি সমাবেশস্থলে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: বিশ্বের সঙ্গে তাল মিলিয়ে চলতে পাঠ্যসূচিতে পরিবর্তন আনা হচ্ছে: প্রধানমন্ত্রী
৭২৬ দিন আগে
শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় ড. ইউনুসের শাস্তি হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী
প্রতিষ্ঠানের শ্রমিক-কর্মচারীদের মামলায় গ্রামীণ ব্যাংকের প্রতিষ্ঠাতা ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে সাজা দিয়েছেন আদালত। এতে সরকারের কোনো দায় নেই বলে জানিয়েছেন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী এবং আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনুসকে আদালত দণ্ডিত করেছেন। এরপর আপিল করার শর্তে তাকে আবার জামিনে দেওয়া হয়েছে। এ নিয়ে দেশে-বিদেশে বিভ্রান্তি ছড়ানোর অপচেষ্টা আছে এবং সরকারকে প্রশ্নবিদ্ধ করার চেষ্টা হচ্ছে। এখানে সরকার কোনো পক্ষ নয়, মামলাও করেনি, মামলা করেছে গ্রামীণ টেলিকমের শ্রমিক-কর্মচারীরা। সেই মামলায় শাস্তি হয়েছে।’
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম নগরীর দেওয়ানজী পুকুর লেনের ওয়াইএনটি সেন্টারে সাংবাদিকদের সঙ্গে মত বিনিময়কালে বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে তথ্যমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, গ্রামীণ টেলিকমের আইনি বাধ্যবাধকতা রয়েছে যে লাভের ৫ শতাংশ তার কর্মচারীদের মধ্যে ভাগ করে দেওয়া হবে। অথচ এ পর্যন্ত কখনও তা দেওয়া হয়নি। এটি না দেওয়ায় শ্রম আইনের ৪,৭, ৮, ১১৭ এবং ২৩৪ এর অধীনে মামলা দায়ের করেছে শ্রমিক-কর্মচারীরা।
মন্ত্রী বলেন, 'গ্রামীণ টেলিকমের পক্ষ থেকে দুইজন শ্রমিক নেতাকে ম্যানেজ করার চেষ্টা করা হয়েছিল এবং দুইজন শ্রমিক নেতাকে ৬ কোটি টাকা ঘুষ দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু সাধারণ শ্রমিকরা টাকা না পাওয়ায় মামলা করেছে। সুতরাং এখানে স্পষ্টত একটি অপরাধ সংঘটিত হয়েছে এবং এই অপরাধ সংঘটিত হওয়ার কারণেই মামলা হয়েছে, শাস্তিও হয়েছে।'
ড. হাছান বলেন, 'গ্রামীণ টেলিকমের এক দশকের বেশি সময় ধরে নিয়ম ভঙ্গ, কর ফাঁকি, তার কর্মচারীদের কল্যাণ তহবিল আত্মসাৎ এবং বিভিন্ন অনুমোদিত সংস্থা থেকে ৩ হাজার কোটি টাকা অপব্যবহার করার অভিযোগ আছে।’
১৯৯৯ সালের জুলাইয়ে অনুষ্ঠিত পরিচালক বোর্ডের ৫২তম সভায় আইন ভঙ্গ করে রেজুলেশনে ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে পরবর্তী আদেশ না হওয়া পর্যন্ত এমডি হিসেবে নিশ্চিত করে।
এ প্রসঙ্গে তথ্যমন্ত্রী বলেন, এটি গ্রামীণ ব্যাংক অধ্যাদেশের অনুচ্ছেদ ১৪ এর ৪ ধারার সুস্পষ্ট লঙ্ঘন। অধিকন্তু, তার এই নিয়োগের অসৎ উদ্দেশ্যে পরে তা প্রমাণ হয়েছে।
সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'বাংলাদেশ দণ্ডবিধির ২১ এবং ১২ এর ২ ধারা অনুসারে গ্রামীণ ব্যাংকের এমডিকে একজন পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে বিবেচনা করা হয়। যেখানে ড. মুহাম্মদ ইউনূস পাবলিক সার্ভেন্ট হিসাবে তার চাকরির শর্তাবলী লঙ্ঘন করেছেন। একজন পূর্ণ-সময়ের সরকারি কর্মকর্তা হিসাবে কাজের জায়গায় তার ঘন ঘন অনুপস্থিতি ছিল এবং সেই অনুপস্থিতির ক্ষেত্রে সরকারের অনুমোদন কখনো নেওয়া হয়নি।'
পৃথিবীতে বহু নোবেল লরিয়েটের বিরুদ্ধে দেশে দেশে মামলা হয়েছে, অনেকে শাস্তি ভোগ করেছেন, কারাগারেও ছিলেন উল্লেখ করে সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, 'এ ধরনের অনেক ঘটনা আছে, যৌথভাবে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন, পুরস্কারের অর্থ কে কত টাকা পাবেন, এ নিয়েও নোবেল লরিয়েটরা একে অপরের বিরুদ্ধেও মামলা করেছেন। এ নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়ানোর কোনো সুযোগ নেই। বাংলাদেশে আদালত স্বাধীন, স্বধীনভাবেই কাজ করেছে।'
তিনি বলেন, 'ডেভিড বার্গম্যান বাংলাদেশের রাজনীতি-নির্বাচন নিয়ে একটি নিবন্ধ লিখেছেন। তিনি ড. কামাল হোসেনের মেয়ের জামাই এবং তিনি একজন ইহুদী, যে ইহুদীরা ফিলিস্তিনে মানবতার বিরুদ্ধে অপরাধ সংঘটিত করছে। ডেভিড বার্গম্যানকে একটু জিজ্ঞেস করেন, এ নিয়ে তার কী বক্তব্য। এ নিয়ে একটি নিবন্ধ যদি সে লিখত, তাহলে আমরা তার অবস্থানটা জানতে পারতাম।'
'ড. ইউনুসকে কখনো শহীদ মিনার কিংবা স্মৃতিসৌধে শ্রদ্ধা জানাতে দেখা যায় না, তিনি কার প্রতিনিধিত্ব করেন' সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নে ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমি এককভাবে কারো নাম বলছি না, আমাদের দেশে কিছু লোক আছে, তারা দেশের প্রতিনিধিত্ব করে না, তারা বিদেশিদের প্রতিনিধিত্ব করে। দুর্ভাগ্য হচ্ছে, আমরা তাদের বক্তব্যগুলো ভালো করে প্রচার করি। এটা না দিলে কিন্তু তাদের বাজার মূল্যটা কমে যেত। আমরাই বাজার মূল্যটা বাড়িয়ে দিই।'
৭২৬ দিন আগে
প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ফরিদপুরে আ. লীগের নেতা-কর্মীদের উপচেপড়া ভিড়
প্রধানমন্ত্রীর নির্বাচনী জনসভা উপলক্ষে ফরিদপুরে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা নৌকার মিছিল ও স্লোগান নিয়ে সমাবেশস্থলে জড়ো হয়েছেন।
প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা মঙ্গলবার বিকালে ফরিদপুর সরকারি রাজেন্দ্র কলেজ মাঠে নির্বাচনী জনসভায় ভাষণ দেওয়ার কথা রয়েছে।
তিনি জেলার ৪টি আসনে নৌকার প্রার্থীদের পক্ষে ভোট চাইবেন।
জনসভার মঞ্চটি নৌকার আকারে নির্মাণ করা হয়েছে এবং সমাবেশকে কেন্দ্র করে শহরে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে।
শহর জুড়ে ১০০ টিরও বেশি মাইক স্থাপন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: উন্নয়নের মূলমন্ত্র গণতন্ত্রের ধারাবাহিকতা: মোমেন
ফরিদপুর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহ মো. ইশতিয়াক আরিফ আশা করছেন, প্রায় এক লাখ মানুষের সমাগম হবে।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করবেন জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও ফরিদপুর-৩ আসনের নৌকা প্রতীকের প্রার্থী শামীম হক।
ফরিদপুরের আরও তিনটি আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী সেখানে উপস্থিত থাকবেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
৭২৬ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নয়, ড. ইউনূসকে সাজা দিয়েছেন আদালত: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ড. ইউনূসকে আদালত সাজা দিয়েছে এবং এ ব্যাপারে তার দল কোনোভাবেই দায়ী নয়।
মঙ্গলবার (২ জানুয়ারি) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে ড. ইউনূসের সাজা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, ‘যেসব শ্রমিক তাদের পাওনা থেকে বঞ্চিত হয়েছেন তারা মামলা করেছেন। এখানে আওয়ামী লীগ সরকারের সমালোচনা হচ্ছে কেন?’
ওবায়দুল কাদের বলেন, নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে, কিন্তু বিএনপি ও তার মিত্ররা একতরফাভাবে নির্বাচনের বিরোধিতা করছে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরও বলেন, লিফলেট বিতরণ বিএনপির একটি 'রহস্যময়' কর্মসূচি এবং তারা হঠাৎ সহিংস হয়ে উঠতে পারে।
আরও পড়ুন: অপতৎপরতার জবাব দিতে দলে দলে ভোটকেন্দ্রে আসুন: কাদের
তিনি ‘কিন্তু তারা যতই নির্বাচনে বাধা সৃষ্টি করুক না কেন, নির্বাচন বন্ধ করা যাবে না।’
জাতীয় পার্টির কয়েকজন প্রার্থীর নির্বাচন থেকে প্রত্যাহারের বিষয়ে আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, জাতীয় পার্টির দুই-একজন প্রার্থী ব্যক্তিগত সমস্যার কারণে নির্বাচনে অংশ নাও নিতে পারেন। কিন্তু তার মানে এই নয় যে তারা দল হিসেবে নির্বাচন থেকে সরে যাবে।
আরও পড়ুন: সারাদেশে জাপা প্রার্থীদের হুমকি দেওয়া হচ্ছে: জিএম কাদের
৭২৬ দিন আগে