আওয়ামী-লীগ
শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করবেন না, কোটা সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হবে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, সরকার শিক্ষার্থীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই কোটা বাতিল করেছিল। আদালত সেটি পুনর্বহাল করেছে। সুতরাং কোটা সমাধান আদালতের মাধ্যমেই হতে হবে।
তিনি বলেন, 'এই বিষয়টি যারা বোঝেন না, বা বুঝেও বুঝতে চান না, যাদের বিএনপিসহ অন্যরা ইন্ধন দিচ্ছে, তাদের বলব, কোমলমতি শিক্ষার্থীদের বিভ্রান্ত করবেন না।'
শনিবার (১৩ জুলাই) সন্ধ্যায় বগুড়া শহরে পৌর অ্যাডওয়ার্ড পার্কের শহীদ টিটু মিলনায়তনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী প্লাটিনাম রজতজয়ন্তী উদযাপন অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
এছাড়া অনুষ্ঠানে বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগের প্রবীণ নেতাদের সংবর্ধনা ও প্রয়াতদের মরণোত্তর সম্মাননা দেওয়া হয়।
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি সংস্কার নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির প্রসঙ্গে মন্ত্রী বিশদ ব্যাখ্যা করে বলেন, কোটা সরকার পুনর্বহাল করেনি। সরকার বরং শিক্ষার্থীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিতে ২০১৮ সালে কোটা বাতিল করেছিল। বাতিলের পর কোটাহীনভাবে সরকারি ও অন্যান্য চাকরিতে নিয়োগ হচ্ছে। হাইকোর্ট রায় দিয়েছে কোটা পুনর্বহালের জন্য। সুপ্রিম কোর্ট সেটি স্থগিত করেছে। বিষয়টি আদালতে বিচারাধীন। আদালতের রায়ের বিরূদ্ধে গিয়ে বা বিচারাধীন বিষয়ে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিতে পারে না। তাহলে আদালত অবমাননা হবে।
আরও পড়ুন: সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী আরও উল্লেখ করেন, এসব বুঝেও যারা জনভোগান্তি ঘটাচ্ছেন, জনগণের ভোগান্তি যাতে না ঘটে, সেজন্য সরকার যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বদ্ধপরিকর। আশা করব শিক্ষার্থীরা সুপ্রিম কোর্টের রায় পর্যন্ত অপেক্ষা করবেন।
ড. হাছান বলেন, বিএনপি স্বাধীনতাবিরোধী সাম্প্রদায়িক অপশক্তির তোষণ না করলে আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের দীপ্ত পথচলায় দেশ আরও এগিয়ে যেত। আওয়ামী লীগ ঐক্যবদ্ধ থেকে দেশের বিরূদ্ধে সব ষড়যন্ত্র মোকাবিলা করবে।
বগুড়া জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও সংসদ সদস্য মজিবর রহমান মজনুর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক রাগেবুল আহসান রিপুর সঞ্চালনায় প্রধান অতিথি ছিলেন দলের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সংসদ সদস্য এস এম কামাল হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সংসদ সদস্য সাহাদারা মান্নান ও ডা. মোস্তফা আলম নান্নু।
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রীর চীন সফর সংক্ষিপ্ত হয়নি, কর্মসূচি অপরিবর্তিত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৩৩ দিন আগে
কোটা সংস্কার নিয়ে কেউ রাজনীতির চেষ্টা করলে রাজনৈতিকভাবে জবাব দেব: ওবায়দুল কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের কোটা পদ্ধতিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের অবিলম্বে সব ধরনের ধ্বংসাত্মক কর্মকাণ্ড বন্ধ করে আদালতের নির্দেশনা মেনে প্রতিষ্ঠানে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, কোনো স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের আবেগকে কাজে লাগিয়ে দেশে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করলে তাদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের কোটা বিষয়ে সরকারের অবস্থান তুলে ধরেন।
বিএনপি কোটাবিরোধী আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার চেষ্টা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, বিএনপির আকাঙ্ক্ষা পূরণ হতে দেবে না আওয়ামী লীগ। এই অরাজনৈতিক আন্দোলন নিয়ে কেউ রাজনীতি করার চেষ্টা করলে আমরা রাজনৈতিকভাবে তার জবাব দেব। এজন্য সবাইকে সতর্ক থাকার আহ্বানও জানান তিনি।
ওবায়দুল কাদের বলেন, কিছু কুচক্রী গোষ্ঠী দেশকে অস্থিতিশীল ও অর্থনৈতিক কর্মকাণ্ড ব্যাহত করার চেষ্টা করছে। গত পাঁচ বছরে কোটার অনুপস্থিতি নারী ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে অসামঞ্জস্যপূর্ণভাবে প্রভাবিত করেছে, একটি বৈচিত্র্যময় ও ন্যায়সঙ্গত সমাজ গঠনের জন্য কোটা অপরিহার্য। তিনি বলেন, ‘কোটা কোনো ধরনের বৈষম্য নয়; কিছু বৈষম্য দূর করার জন্য এগুলো প্রয়োজন।’
আরও পড়ুন: সরকার শিক্ষার্থীদের কল্যাণে সবকিছু করতে প্রস্তুত: জনপ্রশাসনমন্ত্রী
তিনি উল্লেখ করেন, কোটা ইস্যুতে দেশের সর্বোচ্চ আদালত চার সপ্তাহের স্থিতাবস্থা জারি করেছে। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আমরা উদ্বেগের সঙ্গে লক্ষ্য করছি, চলমান বিচারিক কার্যক্রম ও আদালতের নির্দেশনা সত্ত্বেও তথাকথিত বাংলা ব্লকেড কর্মসূচির অজুহাতে স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ব্যাহত করার অপচেষ্টা চালানো হচ্ছে।’
বিএনপিসহ কয়েকটি রাজনৈতিক দল রাজনৈতিক ফায়দা হাসিলের জন্য শিক্ষার্থীদের উসকানি দিচ্ছে বলে অভিযোগ করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, 'বিএনপিসহ কয়েকটি দল প্রকাশ্যে কোটা আন্দোলনকে সরকারবিরোধী আন্দোলনে পরিণত করার চেষ্টা করছে। বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল প্রকাশ্যে বলেছেন, মুক্তিযোদ্ধা কোটার প্রয়োজন নেই।’
সবাইকে সর্বোচ্চ আদালত ও সংবিধানের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়ার আহ্বান জানান ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, 'বিক্ষোভের নামে জনসাধারণের চলাচলে প্রতিবন্ধকতা ও যানবাহন চলাচলে বাধা দেওয়া অবৈধ।’
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুব-উল আলম হানিফ, আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, সুজিত রায় নন্দী, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কার: পুলিশের হুঁশিয়ারি উপেক্ষা করে ঢাকায় সড়ক অবরোধ
৫৩৫ দিন আগে
আগস্টের প্রথম সপ্তাহের মধ্যে কোটা সমস্যার সমাধান হবে: কাদের
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, আগস্টের প্রথম সপ্তাহে দেশের সুপ্রিম কোর্টে চূড়ান্ত শুনানির মাধ্যমে কোটা সমস্যার সমাধান করা হবে।
তিনি আদালতের আদেশ মেনে চলা এবং জনদুর্ভোগ সৃষ্টিকারী সড়কে আন্দোলন বন্ধ করার জন্য শিক্ষার্থীদের প্রতি আহ্বান জানান।বুধবার (১০ জুলাই) দুপুরে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে ওবায়দুল কাদের এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, দেশের সর্বোচ্চ আদালত এই বিষয়ে স্থিতাবস্থা জারি করেছে এবং আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের তাদের ক্লাসে ফিরে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছে।
আরও পড়ুন: বাংলা ব্লকেড: ঢাকাসহ সারাদেশের রেল যোগাযোগ বন্ধ
মন্ত্রী বলেন, আদালতের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত এবং আশা করি এটি একটি বাস্তবসম্মত সিদ্ধান্ত হবে।
প্রত্যয় পেনশন প্রকল্প নিয়ে শিক্ষকদের আন্দোলন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এই বিষয়টিও শিগগিরই সমাধান করা হবে।
সংবাদ সম্মেলনে আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল হোসেন, আফজাল হোসেন, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়াসহ অন্যান্য কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: কোটা সংস্কারে ‘বাংলা ব্লকেড’, সারাদেশে পরিবহন ব্যবস্থা বিপর্যস্ত
৫৩৬ দিন আগে
সবার সঙ্গে দেশের সুসম্পর্ক দেখে গাত্রদাহ হচ্ছে বিএনপির : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক দেখে বিএনপি’র গাত্রদাহ হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেছেন, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখেই আমরা দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই নীতিটাই অনুসরণ করে চলেছেন অত্যন্ত সফলভাবে। সেজন্য তারা উল্টাপাল্টা বলা শুরু করেছে।
তিনি বলেন, 'ভারত থেকে আসার পর বিএনপি বলতে শুরু করেছে, আমরা নাকি দেশটা ভারতের কাছে বিক্রি করে দিয়েছি। এখন চীন থেকে আসার পর তারা বলে কিনা, চীনের কাছেও দেশটা বিক্রি করে দিয়েছি। যেখানেই যাই তারা বলছে দেশটাকে বিক্রি করে দিচ্ছে। বিএনপির কাছে আমার আমার প্রশ্ন, দেশটাকে কয়বার বিক্রি করা যায় ?'
শনিবার (৬ জুলাই) রাত ৮টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে প্রীতি সাংবাদিক সম্মেলন ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
বিএফইউজে-বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম বিভাগ এটির আয়োজন করে।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, আমাদের পররাষ্ট্রনীতি হচ্ছে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। আমরা অত্যন্ত সফলভাবে সেটি করে চলেছি। আমাদের প্রধানমন্ত্রী ভারত সফরে গিয়েছিলেন সেখান থেকে এসে কিছুদিনের বিরতিতে তিনি এখন চীন সফরে যাচ্ছেন। আমাদের সঙ্গে ভারতের সঙ্গে যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক, চীনের সঙ্গেও আমাদের অত্যন্ত ভালো সম্পর্ক। আমাদের সঙ্গে রাশিয়ার যেমন অত্যন্ত চমৎকার সম্পর্ক একই সঙ্গে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও আমাদের অত্যন্ত চমৎকার ও ভালো সম্পর্ক।আরও পড়ুন: রাজনীতিতে পরজীবী হয়ে গেছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
তিনি বলেন, আমরা নিকট প্রতিবেশী ভারত যারা আমাদের মহান স্বাধীনতা সংগ্রামে অবদান রেখেছে, তাদের সঙ্গে যেমন ভালো সম্পর্ক বজায় রাখছি, যারা স্বাধীনতা সংগ্রামের সময় আমাদের পাশে ছিল না তারাও আমাদেরকে সহায়তা করছে আমাদের সঙ্গে সুসম্পর্ক রাখছে, আমাদের উন্নয়নে অবদান রাখছে। এটি আমাদের পররাষ্ট্রনীতির সফলতা। এটি বিএনপিসহ অনেকেই বুঝেও না বোঝার ভান করে।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা ও তার সরকার মাথা উঁচু করে চলে। শেখ হাসিনা কারো কাছে মাথা নোয়াবার নয়, এটি মনে রাখতে হবে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, খেপাটে মেজাজের রিজভী কী বলল, ঢুলঢুলে মেজাজে গয়েশ্বর বাবু কী বলল, শিক্ষিত হয়েও মির্জা ফখরুল অশিক্ষিতের মতো কথা বলল, তাতে কিছু যায় আসে না। আমরা রাষ্ট্রের মর্যাদা রক্ষা করে, সবার সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে দেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাই, প্রধানমন্ত্রী সেটিই করে চলেছেন।
আরও পড়ুন: বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৪০ দিন আগে
বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝে না বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ‘যেই বিএনপির নেত্রী বলেছিলেন সাবমেরিন ক্যাবলে যুক্ত হলে দেশের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হবে, সেই বিএনপি কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝার কথা নয়।’
শুক্রবার (৫ জুলাই) বিকালে নীলফামারীর সৈয়দপুরে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের রংপুর বিভাগীয় বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
ভারতের সঙ্গে কানেক্টিভিটি ও সমঝোতা স্মারক সই নিয়ে বিএনপির সমালোচনাকে অবান্তর উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপে কোনো সীমান্ত চৌকি নেই। সেখানে কী দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? ভারতের ওপর দিয়ে আমরা নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানি করছি, এতে কি ভারতের সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? আমরা কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন সমঝোতা করেছি। নেপালের সঙ্গেও কানেক্টিভিটি হবে।
আরও পড়ুন: অপশক্তিকে রুখে দিতে দেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান কাদেরের
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও অর্থাৎ আমরা 'রিজিওনাল কানেক্টিভিটি' বাড়ানোর মাধ্যমে এ অঞ্চলের মানুষের অর্থনৈতিক উন্নয়নের পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি। এই কানেক্টিভিটির মর্ম বিএনপি বোঝে না, বোঝার কথাও নয়।
তিনি বলেন, দলের নেতা-কর্মীদের উদ্দেশে আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান বলেন, বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজকে বিশ্বের বুকে একটি মর্যাদাশীল রাষ্ট্র হিসেবে প্রতিষ্ঠিত। আমদের মূল শক্তি হচ্ছে দলের তৃণমূলের নেতা-কর্মীরা ও শেখ হাসিনা। তার দূরদৃষ্টি, সাহসিকতা, সিদ্ধান্ত গ্রহণে বিচক্ষণতা, সমস্ত সংকটে অবিচল থেকে সেটিকে মোকাবিলা করা।
তিনি আরও বলেন, সমস্ত প্রতিবন্ধকতা উপড়ে ফেলে দলকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার নেতৃত্বের ক্ষমতা, দলীয় ঐক্য ও বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনার প্রতি তৃণমূলের নেতা-কর্মীদের অগাধ আস্থা, বিশ্বাস ও সমর্থন রয়েছে। আর তাদের মেধা ও শ্রমের কারণেই পরপর চারবার এবং বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের পর মোট পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেছে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
আরও পড়ুন: ‘যেমন নেত্রী তার তেমন সভাসদ’: বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, পরপর চারবার রাষ্ট্রক্ষমতায় থাকার কারণে কিছু নেতা-কর্মীদের মধ্যে যে আলস্য এসেছে, তা ঝেড়ে ফেলতে হবে। পশ্চিমবঙ্গে বামফ্রন্ট ৩৪ বছর ক্ষমতায় ছিল এবং এর সবচেয়ে বড় কারণ, সংগঠন শক্তিশালী ছিল- উল্লেখ করেন ড. হাছান।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচনের পর বিএনপি-জামায়াত অপশক্তি ও তাদের সঙ্গে যুক্ত আন্তর্জাতিক চক্র উন্মুখ হয়ে বসেছিল যে সরকার আন্তর্জাতিকভাবে কতটুকু গ্রহণযোগ্য হয়। শেখ হাসিনা টানা চতুর্থবার প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় অভিনন্দন জানিয়েছেন এ পর্যন্ত ৮১টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান, সরকারপ্রধান, প্রেসিডেন্ট, প্রধানমন্ত্রী এবং জাতিসংঘ, কমনওয়েলথ, ওআইসি, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও কমিশনসহ ৩২টি আন্তর্জাতিক সংস্থা। এছাড়া মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট টানা চারবার নির্বাচিত শেখ হাসিনার সরকারের সঙ্গে কাজের অভিপ্রায় ব্যক্ত করে চিঠি লিখেছেন।
আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সংসদ সদস্য শাহজাহান খানের সভাপতিত্বে বর্ধিত সভায় নৌ পরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী, সংসদ সদস্য আসাদুজ্জামান নূর, আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, কেন্দ্রীয় সদস্য হোসনে আরা লুৎফা ডালিয়া ও সফুরা বেগম রুমি বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: রাজনীতিতে পরজীবী হয়ে গেছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৪১ দিন আগে
রাজনীতিতে পরজীবী হয়ে গেছে বিএনপি : পররাষ্ট্রমন্ত্রী
'পেনশন, কোটাব্যবস্থাসহ অন্যদের বিভিন্ন আন্দোলনে যুক্ত হয়ে রাজনীতিতে বিএনপি পরজীবী হয়ে গেছে' বলে মন্তব্য করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ।
বৃহস্পতিবার(৪ জুলাই) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে সাপ্তাহিক গণবাংলা ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদ আয়োজিত 'প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারসাম্যের পররাষ্ট্রনীতি ও দেশের অভাবনীয় উন্নয়ন' শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, 'আন্দোলনের গতি হারিয়ে বিএনপি এখন পরজীবী দল হয়ে গেছে। তারা এখন শিক্ষার্থীদের আন্দোলনে ভর করে, শিক্ষকদের আন্দোলনে ভর করে। নিজেরা আন্দোলন করার ক্ষমতা হারিয়ে পরাশ্রিত আন্দোলন করছে। আর বিএনপিতে এখন ‘তারেক ভূত আতঙ্ক’ বিরাজ করছে। দলটির কর্মীরা এখন আতঙ্কে থাকে, সকালবেলা উঠে দেখবে কি না যে পদ চলে গেছে!'
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরের পর বিএনপির নানা মন্তব্য প্রসঙ্গে ড. হাছান বলেন, বিএনপি সরকারের উন্নয়নের ফলভোগ করেও সরকারের বিরুদ্ধে কথা বলে। ফ্লাইওভার দিয়ে ১০ মিনিটে এয়ারপোর্ট নেমে বলে দেশে উন্নয়ন হয়নি। মেট্রোরেলে এসিতে চড়ে প্রেসক্লাবের সামনে নেমে সরকারের বিরুদ্ধে বক্তব্য দেয়, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে কথা বলে। প্রধানমন্ত্রীর অত্যন্ত সফল ভারত সফরের পর বিএনপির নানা মন্তব্য হালে পানি পায়নি, এখন প্রধানমন্ত্রীর চীন সফরের পর বিএনপি কি বলবে সেটিই দেখার বিষয়।
বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতি 'কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব' উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, আমাদের সঙ্গে যেমন ভারতের চমৎকার সম্পর্ক, তেমনি চীনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক। আমাদের সঙ্গে রাশিয়ার যেমন চমৎকার সম্পর্ক, তেমনি যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গেও সুসম্পর্ক।
তিনি বলেন, বর্তমান প্রেক্ষাপটে সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব রেখে এগিয়ে যাওয়া দুরূহ বিষয়, সহজ নয়। আমাদের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা অত্যন্ত দক্ষতার সঙ্গে কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়, সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব এই নীতিতে এগিয়ে চলেছেন।
আরও পড়ুন: অপশক্তিকে রুখে দিতে দেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান কাদেরের
প্রতিবেশী দেশগুলোর সঙ্গে রেল ও সড়ক যোগাযোগ নিয়ে হাছান মাহমুদ বলেন, ইউরোপে কোনো সীমান্ত চৌকি নেই। সেখানে কি দেশগুলোর সার্বভৌমত্ব নষ্ট হয়ে গেছে? আমরা কানেক্টিভিটি বাড়ানোর জন্য ভারতের সঙ্গে বিভিন্ন সমঝোতা করেছি। নেপালের সঙ্গেও কানেক্টিভিটি হবে। দক্ষিণ এশিয়ার অন্যান্য দেশের সঙ্গেও অর্থাৎ আমরা 'রিজিওনাল কানেক্টিভিটি' বাড়ানোর পরিকল্পনা নিয়ে কাজ করছি।
সরকারি চাকুরিতে কোটাব্যবস্থা পুণর্বহালের দাবিতে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের বিষয়ে মন্ত্রী ড. হাছান বলেন, ছাত্রছাত্রীদের প্রতি সহানুভূতিশীল হয়েই সরকার কোটা ব্যবস্থা বাতিল করেছিল। এটি হয়েছিল আদালতের মাধ্যমে। যেহেতু শিক্ষামন্ত্রীসহ দায়িত্বশীলরা বিষয়টি নিয়ে বৈঠকে বসতে যাচ্ছেন, আশা করি এর একটি সুন্দর সমাধান আসবে।
আওয়ামী লীগ নেতা এম এ করিমের সভাপতিত্বে ও বাংলাদেশ স্বাধীনতা পরিষদের সম্পাদক মো. শাহাদাত হোসেন টয়েলের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মীজানুর রহমান, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সাবেক ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব শফিকুল বাহার মজুমদার টিপু, আওয়ামী লীগের শিল্প ও বাণিজ্য উপকমিটির সদস্য লায়ন মশিউর আহমেদ প্রমুখ।
আরও পড়ুন: ‘যেমন নেত্রী তার তেমন সভাসদ’: বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৪২ দিন আগে
‘যেমন নেত্রী তার তেমন সভাসদ’: বিএনপি নেতাদের উদ্দেশে পররাষ্ট্রমন্ত্রী
সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ভারত সফরে সমঝোতা স্মারক সইয়ের বিষয়ে বিএনপি নেতাদের বক্তব্যের পরিপ্রেক্ষিতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, ‘এ সময় কোনো চুক্তি সই হয়নি, অথচ বিএনপি নেতারা গলা ফাটিয়ে বলে যাচ্ছেন চুক্তি সই হয়েছে।’
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে কিছু সমঝোতা স্মারক সই হয়েছে, আর কিছু নবায়ন করা হয়েছে। কোনো চুক্তি সই হয়নি। আর সমস্ত সমঝোতা স্মারক দেশের স্বার্থেই করা হয়েছে।’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘মির্জা ফখরুল সাহেব নাকি ঢাকা কলেজে পড়াতেন, বিএনপির আরও কিছু নেতাসহ ড. মঈন খানও শিক্ষিত। চুক্তি আর সমঝোতা স্মারকের মধ্যে পার্থক্য বুঝতে না পারা বিএনপির শিক্ষিত নেতারা কেন অশিক্ষিতের মতো কথা বলছেন সেটি আমার বোধগম্য নয়।’
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা সই-নবায়ন করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
ড. হাছান বলেন, ‘তাদের নেত্রী বলেছিলেন সাবমেরিন ক্যাবলের সঙ্গে বাংলাদেশ যুক্ত হলে দেশের সমস্ত গোপনীয়তা ফাঁস হয়ে যাবে, তারা কানেক্টিভিটির মর্ম বোঝার কথা নয়। যেমন নেত্রী তেমন তার সভাসদ, সেজন্যই তারা এসমস্ত আবোল-তাবোল কথা বলছেন, বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছেন।’
শনিবার (২৯ জুন) দুপুরে চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের বঙ্গবন্ধু হলে 'গৌরব, ঐতিহ্য, সংগ্রাম ও সাফল্যের ৭৫ বছর উপলক্ষে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ ও বঙ্গবন্ধু' শীর্ষক সেমিনারে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. হাছান বলেন, ‘কোনো কোনো পীর সাহেবও দেখছি লাফাচ্ছেন। অথচ গাজায় প্রায় ৩৮ হাজার নিরীহ মানুষকে হত্যা করা হয়েছে, তাদের বিরুদ্ধে মিছিল নিয়ে লাফাতে দেখি না। বিএনপি আর জামায়াতও এ নিয়ে একটি শব্দ বলেনি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা ভারতের বুকের উপর দিয়ে নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি সই করেছি, ভুটানের সঙ্গেও আলাপ-আলোচনা চলছে। এ অঞ্চলের মানুষের উন্নয়ন ও অর্থনৈতিক সমৃদ্ধির স্বার্থেই সেই কানেক্টিভিটিকে আমরা আরও বাড়াতে চাই। নেপাল ও ভুটানকেও যুক্ত করতে চাই। কিন্তু বিএনপি সেটি নিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে।’
আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বলেন, বাংলাদেশের সমস্ত অর্জন আওয়ামী লীগের হাত দিয়েই অর্জিত। ৭৫ বছরের কণ্টকাকীর্ণ পথচলায় আওয়ামী লীগ সবসময় অগণতান্ত্রিক ও অপশক্তির বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছে এবং তাদের চক্ষুশূল হয়েছে।
চট্টগ্রাম উত্তরজেলা আওয়ামী লীগ এই সেমিনারের আয়োজন করে।
আরও পড়ুন: আইইউটি সমাবর্তন: তরুণদের দেশ ও বিশ্বমানবতার সেবায় ব্রতী হতে আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
চট্টগ্রাম ৭ আসনের সংসদ সদস্য হাছান বলেন, পাকিস্তান আমলে আইয়ুব খাঁন মার্শাল ল' জারির পর বঙ্গবন্ধুসহ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের গ্রেপ্তার করা হয়। ১৯৭০ সালের নির্বাচনের পর আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের ওপর নির্যাতন চালানো হয়। স্বাধীনতাযুদ্ধে আওয়ামী লীগের বহু নেতাকর্মী জীবন দিয়েছে। স্বাধীনতার পরও জিয়াউর রহমান ও এরশাদ দুই সামরিক স্বৈরশাসকই আওয়ামী লীগের ওপর অত্যাচার নির্যাতন চালিয়েছে।
২০০৭ সালেও ভিন্ন খোলসে প্রকৃতপক্ষে সামরিক শাসন চলেছে বলে উল্লেখ করেন হাছান মাহমুদ।
তিনি বলেন, ২০০৭ সালে সমাজে বুদ্ধিজীবী পরিচয় দেওয়া কিছু ব্যক্তিকে ভাড়া করে সামনে দিয়ে প্রকৃতপক্ষে সামরিক শাসনই চালু করা হয়েছিল। সেই সময় দেশ পরিচালনায় ব্যর্থ বিএনপির দুর্নীতি আর দুঃশাসনের অভিযোগ তুলে যেই শাসক এসেছিল, তারা তো প্রথমেই বেগম খালেদা জিয়াকেই গ্রেপ্তার করার কথা। কিন্তু তারা সেটি না করে প্রথমে শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করেছে। অর্থাৎ বঙ্গবন্ধু, শেখ হাসিনা ও আওয়ামী লীগের নেতারা সবসময় অগণতান্ত্রিক ও স্বৈরাচারী শক্তির চক্ষুশূল ছিল।
চট্টগ্রাম উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ও সাবেক জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান এম এ সালামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক শেখ আতাউর রহমানের সঞ্চালনায় উত্তর জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি অধ্যাপক মো. মঈনুদ্দীন, আবুল কালাম আজাদ, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এটিএম পেয়ারুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক দেবাশীষ পালিত বক্তব্য রাখেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, এর দায় সরকারের নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৪৭ দিন আগে
অপশক্তিকে রুখে দিতে দেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান কাদেরের
সব অপশক্তিকে রুখে দিতে দেশের তরুণ প্রজন্মকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
শুক্রবার (২৮ জুন) সকালে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের (ডিএনসিসি) মেয়র মো. আতিকুল ইসলামের উদ্যোগে প্রায় ১ হাজার ৫০০ সাইক্লিস্ট নিয়ে এক বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী ও ‘সুস্থতার জন্য সাইক্লিং’ উপলক্ষ্যে এই শোভাযাত্রা কাদের এ আহ্বান জানান।
শোভাযাত্রাটি মানিক মিয়া এভিনিউ থেকে শুরু করে বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হয়। পরে সেখানে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা জানান তারা।
এর আগে ওবায়দুল কাদের শোভাযাত্রাটির উদ্বোধন করবেন।
আরও পড়ুন: বিশ্বজুড়েই দুর্নীতি একটি বাস্তবতা: ওবায়দুল কাদের
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মেয়র আতিকুল বলেন, সুস্থ থাকতে হলে আমাদের শরীরকে সুস্থ রাখতে হবে। এ জন্য সাইক্লিংয়ের কোনো বিকল্প নাই।
ভবিষ্যতে ডিএনসিসি এলাকায় আলাদা সাইকেন লেন ও নিয়মিত প্রতিযোগিতামূলক সাইক্লিং ইভেন্ট আয়োজনের আশা প্রকাশ করেন তিনি।
শোভাযাত্রায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক; ঢাকা-৮ আসনের সংসদ সদস্য, আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম; দপ্তর সম্পাদক বিপ্লব বড়ুয়া; উপদপ্তর সম্পাক সায়েম খান; মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি বজলুর রহমান, ডিএনসিসির কাউন্সিলরসহ অনেকে।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার আমলেই বাংলাদেশের সেরা সড়ক নির্মিত হয়েছে: কাদের
৫৪৮ দিন আগে
খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, এর দায় সরকারের নয়: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া স্বেচ্ছায় বেসরকারি হাসপাতালে গেছেন, সেখানে চিকিৎসা সেবার বিষয়ে দায় সরকারের নয়।
'সম্প্রতি এভারকেয়ার হাসপাতালে বেগম জিয়ার চিকিৎসা নিয়ে বিএনপি নেতা রুহুল কবির রিজভীর সরকারের ওপর বিষোদগার' বিষয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
বৃহস্পতিবার (২৭ জুন) দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে অনার্য প্রকাশনী প্রকাশিত ড. সুবল রোজারিও প্রণীত গবেষণাগ্রন্থ 'হায়ার এডুকেশন ইন বাংলাদেশ' এবং নাট্যব্যক্তিত্ব জুয়েল কবির রচিত 'আমি প্রীতিলতা' নাট্যগ্রন্থের মোড়ক উন্মোচন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: জ্বালানি-তথ্যপ্রযুক্তিসহ বিভিন্ন খাতে সুইডেনকে বিনিয়োগের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
প্রকাশক সফিক রহমান অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য দেন।
'বেগম জিয়ার অসুস্থতায় রিজভীও ফখরুলের মতো কেঁদেছেন কি না' প্রশ্ন রেখে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, এভারকেয়ার হাসপাতাল সরকারি নয়, বেসরকারি। সেখানে চিকিৎসার বিষয়ে সরকারের কোনো দায় নেই। তারা যদি অ্যাম্বুলেন্স, ইনজেকশন না দিয়ে থাকে সে বিষয়ে তারাই বলতে পারবে।
এ সময় বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের সঙ্গে রেল যোগাযোগ নিয়ে প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী বলেন, ঢাকা-কলকাতা, খুলনা-কলকাতা রেল যোগাযোগ তো রয়েছেই। শুধু ভারত নয়, নেপাল, ভুটানসহ আঞ্চলিক 'কানেক্টিভিটি'র জন্য কাজ চলছে। আর আমাদের সঙ্গে ভারতের নানা অঞ্চলের যোগাযোগ বহুদিন ধরে। ১৯৬৫ সালের পরে অনেক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। সেগুলো আবার চালু করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: দেশের স্বার্থ রক্ষা করেই ভারতের সঙ্গে সমঝোতা সই-নবায়ন করা হয়েছে: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় ভারতের মধ্য দিয়ে নেপাল ও ভুটানে চলাচল সম্ভব হবে কি না- এমন প্রশ্নের জবাবে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ইতিবাচক সাড়া দিয়ে বলেন, ভারতের ওপর দিয়ে আমরা ইতোমধ্যেই নেপাল থেকে জলবিদ্যুৎ আমদানির চুক্তি করেছি। পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রীর সদ্যসমাপ্ত ভারত সফরে সে দেশের ওপর দিয়ে নেপাল ও ভুটানে মালামাল পরিবহন বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে লন্ডন থেকে ফিরিয়ে আনার বিষয়ে সংসদে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বক্তব্য নিয়ে প্রশ্নে ড. হাছান বলেন, আমাদের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছে। যুক্তরাজ্যের সঙ্গে আমাদের বন্দি বিনিময় চুক্তি নেই, সেটি একটি প্রতিবন্ধকতা। কিন্তু সাজাপ্রাপ্ত আসামি হিসেবে তাকে ফিরিয়ে আনার চেষ্টা অব্যাহত রয়েছে।
বইয়ের মোড়ক উন্মোচনের সময় দেশে উচ্চশিক্ষা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, বাংলাদেশে বিশেষত, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পিএইচডি ডিগ্রি দেওয়ার ক্ষেত্রে আরও যাচাই-বাছাই প্রয়োজন। দেশের বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে কথা বলবেন বলেও জানান তিনি।
এ সময় 'আমি প্রীতিলতা' নাট্যগ্রন্থ প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হাছান বলেন, বৃটিশবিরোধী আন্দোলনে প্রথম নারী আত্মোৎসর্গকারী প্রীতিলতা ওয়াদ্দেদার দেশমাতৃকার জন্য আত্মত্যাগের চিরোজ্জ্বল দৃষ্টান্ত। গ্রন্থ দুটি প্রকাশের জন্য প্রকাশককে ধন্যবাদ জানান মন্ত্রী।
আরও পড়ুন: এমপি আনার হত্যা: দুই আসামি ৬ দিনের রিমান্ডে
৫৪৯ দিন আগে
বিশ্বজুড়েই দুর্নীতি একটি বাস্তবতা: ওবায়দুল কাদের
বিশ্বজুড়েই দুর্নীতি একটি বাস্তবতা বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, এটি বাংলাদেশে বিচ্ছিন্ন কোনো বিষয় নয়।
বুধবার (২৫ জুন) সকালে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিআরটিসি শাটল বাস সার্ভিসের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
আওয়ামী লীগের সেক্রেটারি বলেন, ‘এখানে দুর্নীতি নেই বলে দাবি করছি না। শুধু সরকারি কর্মকর্তারা দুর্নীতিবাজ ও রাজনীতিবিদরা দুর্নীতিবাজ নন, এ কথা বলা ঠিক নয়।’
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনার আমলেই বাংলাদেশের সেরা সড়ক নির্মিত হয়েছে: কাদের
তিনি বলেন, ‘আমরা যখন কথা বলি, তখন আমাদের অবশ্যই সবাইকে বিবেচনা করতে হবে, প্রথমে আয়নায় নিজের চেহারা দেখতে হবে। আমি কর্মকর্তাদের দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছি, আমার খাতেও দুর্নীতি আছে। এখানে নেই? অবশ্যই আছে।’
মন্ত্রী এ সময় দুর্নীতি দমনে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকার কথাও তুলে ধরেন। তিনি বলেন,‘ আমি মনে করি দুদক এখানে আছে এবং প্রধানমন্ত্রী দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স নীতিতে অবিচল।’
তিনি আশ্বস্ত করে বলেন, সরকারের হস্তক্ষেপ ছাড়াই দুর্নীতির তদন্ত করছে দুদক। ‘সরকার দুদকের এই স্বাধীনতায় হস্তক্ষেপ করেনি এবং করবেও না।’
আরও পড়ুন: বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর মধ্যরাতে পদায়নের দল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৫১ দিন আগে