আওয়ামী-লীগ
বিএনপি অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর মধ্যরাতে পদায়নের দল: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, আওয়ামী লীগ কর্মীদের দল আর বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও তাদের নিজেদের দলেই গণতন্ত্র নেই, আছে অভ্যন্তরীণ কোন্দল আর মধ্যরাতে পদায়ন।
সোমবার (২৪ জুন) দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোট আয়োজিত আলোচনাসভায় এ কথা বলেন তিনি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আওয়ামী লীগ নেতাদের দল নয়, কর্মীদের দল। এখানে দলের অভ্যন্তরীণ গণতন্ত্র আছে। এখানেই অন্য দলের সঙ্গে আওয়ামী লীগের পার্থক্য। সে কারণে যখনই জননেত্রী শেখ হাসিনাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সাধারণ কর্মীরা আন্দোলনে ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি মুখে গণতন্ত্রের কথা বললেও কিন্তু তাদের দলে গণতন্ত্র নেই, জন্মটাই অগণতান্ত্রিক।
আরও পড়ুন: বিএনপি অপশক্তির তোষণ না করলে দেশ আরও এগিয়ে যেত: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
হাছান মাহমুদ বলেন, “বিএনপিতে অভ্যন্তরীণ কোন্দল চলে, সেখানে সিদ্ধান্ত আসে দেশের বাইরে থেকে, পদায়ন-মনোনয়ন হয় রাতের আঁধারে। আর পত্রিকায় 'মহাসচিবের খোঁজে বিএনপি' শিরোনাম আর মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের কান্নার ছবি ছাপা হয়। যদিও তারা বলে, মির্জা ফখরুল সাহেবের কান্না বেগম জিয়ার অসুস্থতার জন্য, কিন্তু আমরা জানি, বেগম জিয়া তো দীর্ঘদিন ধরেই অসুস্থ।”
ড. হাছান আরও বলেন, ‘আওয়ামী লীগের ৭৫ বছরের পথচলায় যে সব নেতা বেসুরে কথা বলেছেন, দল ছেড়ে চলে গেছেন, তারা রাজনীতি থেকেও হারিয়ে গেছেন, এটিই রাজনীতির শিক্ষা।’
তিনি বলেন, ১৯৭৫ সালের পর জিয়াউর রহমান আওয়ামী লীগকে বিভক্ত করার অপচেষ্টা করেছেন। বঙ্গবন্ধুকন্যা শেখ হাসিনা সেই দ্বিধাবিভক্তি থেকে আওয়ামী লীগকে রক্ষা করে সুসংযত করেছেন, গত ৪৩ বছর ধরে দলকে অসামান্য নেতৃত্ব দিয়ে পরপর চারবারসহ পাঁচবার রাষ্ট্রক্ষমতায় নিয়ে গেছেন। দেশকে বিশ্বের বুকে অনন্য উচ্চতায় আসীন করেছেন।
আরও পড়ুন: ক্ষমতার বাইরে থাকা বিএনপি নেতাদের আর সহ্য হচ্ছে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ করতে গিয়ে কাউকে যেন 'ইনোসেন্ট ভিক্টিম' বা কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করা না হয় সে বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বনের জন্য গণমাধ্যমের প্রতি আহ্বান জানান পররাষ্ট্রমন্ত্রী।
তিনি বলেন, 'অবশ্যই গণমাধ্যমে দুর্নীতির সংবাদ প্রকাশ হবে। আমাদের সরকারের নীতি দুর্নীতির বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স। কিন্তু ইচ্ছাকৃতভাবে কোনো প্রতিষ্ঠানকে প্রশ্নবিদ্ধ করার প্রয়াস হিসেবে যদি ধারাবাহিকভাবে সংবাদ পরিবেশিত হয়, তাহলে বুঝতে হবে সেটি ষড়যন্ত্রের অংশ। ইনভেস্টিগেশনের আগেই গণমাধ্যমের সামনে কাউকে দুর্নীতিবাজ বলা সেটিও সমীচীন নয়।'
বঙ্গবন্ধু সাংস্কৃতিক জোটের সহসভাপতি ও স্বাধীন বাংলা বেতারকেন্দ্রের শিল্পী ডা. অরূপ রতন চৌধুরীর সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক অরুণ সরকার রানার সঞ্চালনায় এ আলোচনায় অংশ নেন- জাতীয় প্রেসক্লাবের সভাপতি ফরিদা ইয়াসমিন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগ জাতীয় কমিটির সদস্য অ্যাডভোকেট বলরাম পোদ্দার, আওয়ামী লীগ নেতা মোবারক আলী শিকদার, এম এ করিম, স্বাধীনতা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন টয়েল, কণ্ঠশিল্পী এস ডি রুবেল, সাংবাদিক মানিক লাল ঘোষ, সমীরণ রায়।
আরও পড়ুন: বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী ভালো কিছু দেখে না, অথচ ১৫ বছরে বাজেট বাস্তবায়ন হার ৯২-৯৭%: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
৫৫২ দিন আগে
দলকে সুসংগঠিত করুন, ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করতে জনগণের আস্থা অর্জন করুন: দলীয় নেতাকর্মীদের প্রতি প্রধানমন্ত্রী
সব ধরনের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করে জনগণের আস্থা অর্জনের জন্য সুসংগঠিত দল গঠনে কাজ করতে দলীয় নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
তিনি বলেন, ‘দলকে সুসংগঠিত ও শক্তিশালী করতে প্রত্যেক নেতাকর্মীর কাছে আমি আহ্বান জানাই। সংগঠন শক্তিশালী হলে এবং জনগণের সমর্থন আদায় করতে পারলে সব ধরনের ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করা সম্ভব।’
আরও পড়ুন: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ২১-২২ জুনের রাষ্ট্রীয় সফরসূচির আনুষ্ঠানিক ঘোষণা ভারতের
রবিবার (২৩ জুন) রাজধানীর ঐতিহাসিক সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত সম্মেলনে তিনি এ আহ্বান জানান।
শেখ হাসিনা বলেন, অনেক দুঃখ-কষ্ট ও বারবার আঘাত উপেক্ষা করে কঠোর পরিশ্রম দিয়ে সংগঠনকে সমুন্নত রেখেছেন আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা।
জনগণই ক্ষমতার প্রধান উৎস উল্লেখ করে তাদের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে দলের লোকদের প্রতি আহ্বান জানান আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা।
আওয়ামী লীগ সভাপতি বলেন, জনগণের আস্থা ও বিশ্বাস অর্জন করতে পেরেছে বলেই জনগণ তার দলকে বারবার ভোট দিয়েছে। গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অব্যাহত থাকায় আজকে বাংলাদেশ আর্থ-সামাজিক দিক থেকে এগিয়ে যাচ্ছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিভিন্ন খাতে তার সরকারের সাফল্যের কথা তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'বাংলাদেশ প্রতিটি ক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে।’
প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের জনগণ তার দলের প্রতি আস্থা রেখেছিল বলেই ২০০৮ সালের সাধারণ নির্বাচনে আওয়ামী লীগ একাই ২৩৩টি আসন লাভ করে।
তিনি বলেন, ‘এরপর বাংলাদেশের মানুষকে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। এটি ছিল বাংলাদেশিদের এগিয়ে যাওয়ার পালা।’
২০০৮ সালের নির্বাচনের আগে দেওয়া প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সফলভাবে দেশকে ডিজিটাল বাংলাদেশে রূপান্তর করেছেন বলে যুক্ত করেন প্রধানমন্ত্রী।
আওয়ামী লীগ দারিদ্র্যের হারও কমিয়েছে উল্লেখ করে তিনি আরও বলেন, 'আমরা জনগণের ভাগ্য উন্নয়নে কাজ করে যাচ্ছি বলেই আজকের বাংলাদেশ বিশ্বে মর্যাদা অর্জন করেছে।’
বিভিন্ন সেক্টর ও সামাজিক সূচকে বাংলাদেশের বর্তমান অবস্থানের চিত্র তুলে ধরে আওয়ামী লীগ সভাপতি ২০০৬ সালে বিএনপি শাসনের অবসান এবং আওয়ামী লীগের বর্তমান সরকারের মধ্যে তুলনা করেন।
তিনি বলেন, দারিদ্র্যের হার ২০০৬ সালের ৪১ শতাংশ থেকে বর্তমানে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে এবং চরম দারিদ্র্যের হার ২৫ দশমিক ১ শতাংশ থেকে ৫ দশমিক ৬ শতাংশে নামিয়ে আনা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘ইনশা-আল্লাহ বাংলাদেশে কোনো হতদরিদ্র থাকবে না।’
অনুষ্ঠানে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরও বক্তব্য রাখেন।
এর আগে জাতীয় সংগীতের সঙ্গে জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্য দিয়ে প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর কর্মসূচির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী।
উদ্বোধনকালে পায়রা ও বেলুন ওড়ান শেখ হাসিনা ও ওবায়দুল কাদের।
এসময় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক।
অনুষ্ঠানের শুরুতে আওয়ামী লীগের সংস্কৃতিবিষয়ক সম্পাদক অসীম কুমার উকিলের সঞ্চালনায় একটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হয়।
অনুষ্ঠানে আরও ছিলেন সংসদের বিরোধীদলীয় নেতা ও জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান, আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলীয় জোটের নেতারা এবং বিদেশি কূটনীতিকরা।
আরও পড়ুন: ভারতে রাষ্ট্রীয় সফর শেষে শনিবার রাতে দেশে ফিরছেন প্রধানমন্ত্রী
প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে জয়শঙ্করের সাক্ষাৎ, পারস্পরিক স্বার্থ সংশ্লিষ্ট বিষয় নিয়ে আলোচনা
৫৫৩ দিন আগে
দেশব্যাপী নানা আয়োজনে উদযাপিত হচ্ছে আ. লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী
দেশব্যাপী নানা আয়োজনে ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করছে দেশের প্রাচীনতম ও বৃহত্তম রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ।
রবিবার সকালে দিনটি উপলক্ষে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে তার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর তিনি বঙ্গবন্ধুর স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরকে সঙ্গে নিয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন এবং পায়রা ও বেলুন উড়িয়ে দিবসের উদ্বোধন করেন।
আরও পড়ুন: আ. লীগের হীরক জয়ন্তী উপলক্ষে বঙ্গবন্ধুর প্রতি শেখ হাসিনার শ্রদ্ধা
প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে এর আগে বিস্তারিত কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়।
ভোরে কেন্দ্রীয় ও আঞ্চলিক দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যে দিয়ে দিবসের কর্মসূচি শুরু হয়। সকাল ৭টায় বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
বিকাল ৩টায় ঢাকার সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে। এতে আওয়ামী লীগ সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সভাপতিত্ব করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
এছাড়া বিকালে রবীন্দ্র সরোবরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং হাতিরঝিলে নৌকা বাইচ ও সাইকেল র্যালি অনুষ্ঠিত হবে।
আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী সংসদের একটি প্রতিনিধি দল আজ গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় বঙ্গবন্ধুর সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে শ্রদ্ধা জানাবেন।
১৯৪৯ সালের এই দিনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ প্রতিষ্ঠিত হয়। যা পরবর্তীকালে স্বাধীনতা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে নেতৃত্ব দেওয়ার মধ্যে দিয়ে দেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দলে রূপান্তরিত হয়।
আরও পড়ুন: সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র বিষয়ে সতর্ক করেছেন প্রধানমন্ত্রী
৫৫৪ দিন আগে
আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময়
ঈদুল আজহা উপলক্ষে আওয়ামী লীগ নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন দলটির সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
সোমবার (১৭ জুন) গণভবনে আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে শুভেচ্ছা বিনিময় করেন তিনি।
এদিন সকাল সাড়ে ৯টার দিকে প্রধানমন্ত্রীকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ দলটির শীর্ষ নেতারা।
এরপর ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর আওয়ামী লীগ, ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ, ছাত্রলীগ, যুবলীগ, স্বেচ্ছাসেবক লীগ, যুব মহিলা লীগসহ আওয়ামী লীগের সহযোগী সংগঠনের নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।
৫৬০ দিন আগে
শেখ হাসিনার আমলেই বাংলাদেশের সেরা সড়ক নির্মিত হয়েছে: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, শেখ হাসিনা সরকারের আমলে বাংলাদেশের ইতিহাসে সর্বকালের সেরা সড়ক আমরা পেয়েছি।
শুক্রবার (১৪ জুন) বিকালে রাজধানীর ধানমন্ডিতে আওয়ামী লীগ সভাপতির রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ কথা বলেন।
ওবায়দুল বলেন, যত্রতত্র পশুর হাট বসানোর কারণে জনদুর্ভোগ যাতে না বাড়ে সেজন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে দায়িত্ব পালনের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘কোরবানির পশুবাহী যানবাহন ও যত্রতত্র পশুর হাটের কারণে যানজটের সৃষ্টি হতে পারে। বৃষ্টি হলে কষ্ট এড়ানো কঠিন হবে। সড়কে অনাকাঙ্ক্ষিত দুর্ঘটনা ও প্রাণহানি রোধে দায়িত্ব পালনে মনোযোগী হতে হবে এবং নজরদারি বাড়াতে হবে।’
বাংলাদেশের মূল্যস্ফীতির কথা স্বীকার করে ওবায়দুল কাদের বলেন, ইউরোপেও একসময় এটি উদ্বেগের কারণ ছিল। আর্জেন্টিনায় মূল্যস্ফীতি ৩০০ শতাংশ, আর বিশ্ব রাজনীতিতে প্রভাবশালী দেশ তুরস্কে ৭৩ শতাংশ।
আরও পড়ুন: রাঘববোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করতে এই বাজেট: কাদের
শ্রীলঙ্কা ও পাকিস্তানসহ প্রতিবেশী দেশগুলোতে মূল্যস্ফীতির পরিস্থিতি ভালো নয় বলেও জানান তিনি।
বিএনপির দুর্নীতি প্রসঙ্গে আওয়ামী লীগের এ নেতা বলেন, দুর্নীতিবাজরা এখন দুর্নীতির বিরুদ্ধে কথা বলছে। বিএনপি আপাদমস্তক (টপ-টু-বটম) দুর্নীতিবাজ দল, আর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান 'দুর্নীতির বরপুত্র'।
তারেক রহমানকে ভালো মানুষ হিসেবে উল্লেখ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের দেওয়া একটি বিবৃতির উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারেকের হুমকির কারণে মির্জা ফখরুল অনেক কিছু করেছেন। এখন তিনি বলছেন, তাকে (তারেক) শাস্তি দেওয়া যাবে না।’
তিনি বলেন, তারেক দণ্ডিত হয়েছেন এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, এখন বিএনপি নেতাকে দেশে ফিরিয়ে এনে ন্যায়বিচার নিশ্চিত করতে হবে।
তিনি বলেন, তারেক রহমান যতদিন বিএনপির নেতা থাকবেন ততদিন বিএনপির পক্ষে রাজনৈতিক পুনরুত্থান সম্ভব নয়।
ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনার হত্যাকাণ্ডে আওয়ামী লীগ নেতাদের রিমান্ডের বিষয়ে তিনি বলেন, মামলা ও রায় ঘোষণার আগে কাউকে অপরাধী বলা ঠিক নয়।
তিনি বলেন,‘বিএনপি আমলে এবং জেনারেল এরশাদের আমলে কি একজন জেলা সম্পাদককে রিমান্ডে নেওয়ার এমন নজির ছিল? আওয়ামী লীগ এটা করে সততা ও সাহসের পরিচয় দিয়েছে।’
বর্তমান সরকার বিএনপির শত্রু' মির্জা ফখরুলের এমন বক্তব্যের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, যে সরকার নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে বিএনপির বিজয় নিশ্চিত করবে, সে সরকার তার বন্ধু হতে পারে।
আরও পড়ুন: ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
৫৬২ দিন আগে
ভারত সফর নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করবেন প্রধানমন্ত্রী: কাদের
ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির শপথ অনুষ্ঠানে নিমন্ত্রিত অতিথি হিসেবে ভারত সফর নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সংবাদ সম্মেলন করবেন বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের।
তিনি আরও বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী সেখানে কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বৈঠক করেছেন, বৈঠকের বিষয়ে বিস্তারিত পরে জানা যাবে।’
সোমবার (১০ জুন) ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণের সংসদ সদস্য এবং ঢাকা উত্তর ও দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়রদের সঙ্গে বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন সড়ক ও সেতুমন্ত্রী।
তিনি বলেন, সারাদেশে আওয়ামী লীগের ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপনে তিন দিনের কর্মসূচি নেওয়া হয়েছে।
ওবায়দুল কাদের বলেন, প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর অনুষ্ঠানে নিবন্ধিত সব দলকে আমন্ত্রণ জানানো হবে।
২১ জুন বিকাল ৩টায় ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউট থেকে একটি শোভাযাত্রা শুরু হয়ে ধানমন্ডি ৩২ নম্বরে গিয়ে শেষ হবে।
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বলেন, ২৩ জুন বঙ্গবন্ধু ভবনের সামনে প্রধানমন্ত্রী ও দলের সভাপতি শেখ হাসিনা প্লাটিনাম বর্ষপূর্তি কর্মসূচির উদ্বোধন করবেন।
একই দিন বিকাল ৩টায় সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে।
এছাড়া রাজধানীর রবীন্দ্র সরোবরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং হাতিরঝিলে নৌকা বাইচ ও সাইকেল র্যালির আয়োজন করা হবে।
প্রতিটি ইউনিয়ন ও ওয়ার্ডে দেশের সবচেয়ে পুরনো রাজনৈতিক দলটির ৭৫তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উদযাপন করা হবে বলে জানান দলটির সাধারণ সম্পাদক।
৫৬৬ দিন আগে
রাঘববোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করতে এই বাজেট: কাদের
সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, রাঘববোয়ালদের লুটপাট বন্ধ করার জন্য বাজেটটা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘বিএনপি আমলে যে লুটপাটের রাজত্ব সৃষ্টি হয়েছিল, দেশকে ধ্বংসের দিকে নিয়ে গিয়েছিল, তা থেকে দেশকে রক্ষা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। লুটপাট করে কেউ এখানে পার পাবে না। নিজের লোকদের শায়েস্তা করার সাহস বিএনপির নেই।’
রবিবার (৯ জুন) ২৩ বঙ্গবন্ধু অ্যাভিনিউয়ে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় নেতাদের সঙ্গে ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকদের যৌথ সভায় এসব কথা বলেন কাদের।
কাদের বলেন, ‘কালো টাকা সাদা করেছেন সাইফুর রহমান, বেগম খালেদা জিয়া। তাহলে তারাও কী দুর্বৃত্ত? বিএনপির আমলে লুটপাটকারীদের বিচার হয়নি। আওয়ামী লীগের আমলে কেউ দুর্নীতি করে পার পাবে না, সে যেই হোক।’
আরও পড়ুন: ৬ দফা আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামের ‘টার্নিং পয়েন্ট’: কাদের
তিনি বলেন, বিএনপি আগুন সন্ত্রাসের যে সংস্কৃতি চালু করেছে এর বিরুদ্ধে জনগণের জানমাল রক্ষায় আমাদের অবশ্যই শান্তি সমাবেশ করতে হবে। প্রতিরোধ করতে হবে। রাজপথে প্রস্তুত থাকতে হবে।
মন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধীরাও বসে নেই, তারাও কর্মসূচি দিবে। আওয়ামী লীগের ৭৫ তম প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলক্ষে যে কর্মসূচি নেওয়া হচ্ছে তা সফল করার জন্য সব পর্যায়ের নেতাদের অফিসমুখী হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।’
যৌথসভায় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবউল আলম হানিফ, আফম বাহাউদ্দিন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক বিএম মোজাম্মেল হক, এসএম কামাল জোসেন, মির্জা আজম, সুজিত রায় নন্দী, উপদপ্তর সম্পাদক সায়েম খানসহ ঢাকা মহানগর উত্তর-দক্ষিণ, জেলা আওয়ামী লীগ এবং সব সহযোগী সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক।
আরও পড়ুন: প্রস্তাবিত বাজেট বাস্তবসম্মত ও গণমুখী: কাদের
৫৬৮ দিন আগে
৬ দফা আন্দোলন স্বাধীনতা সংগ্রামের ‘টার্নিং পয়েন্ট’: কাদের
৬ দফা আন্দোলনকে স্বাধীনতা সংগ্রামের ‘টার্নিং পয়েন্ট’ উল্লেখ করে আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের বলেছেন, যারা এটা মানে না তারা বাংলাদেশের স্বাধীনতায় বিশ্বাস করে না।
শুক্রবার (৭ জুন) সকালে ঐতিহাসিক ছয় দফা দিবস উপলক্ষে রাজধানীর ধানমন্ডির ৩২ নম্বরে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।
কাদের বলেন, ‘জাতির পিতার হত্যাকারীকারই ৭৫ পরবর্তী সময়ে ৭ জুন, ৭ মার্চ পালন করতে দেয়নি।’
আরও পড়ুন: পলাতক তারেক বিদেশে বিলাসী জীবনযাপন করছে: বেনজীর প্রসঙ্গে মন্তব্য নিয়ে ফখরুলকে কাদের
তিনি আরও বলেন, ৭৫ এর পর ৭ জুন, ৭ মার্চ নিষিদ্ধ করে দেওয়া হয়। যারা নিষিদ্ধ করে দেয় তারা বঙ্গবন্ধুর হত্যার সঙ্গে জড়িত। তারা দেশের স্বাধীনতা মানে না।
তিনি বলেন, ছয় দফা হচ্ছে স্বাধীনতা আন্দোলনের মাইলফলক। ছয় দফার ভিত্তিতে ১১ দফা আন্দোলনের সূত্রপাত।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী লীগের সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ড.আব্দুর রাজ্জাক, ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহবুবুল আলম হানিফ ও আ ফ ম বাহাউদ্দীন নাছিম, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, এস এম কামাল হোসেন, বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিষয়ক সম্পাদক ইঞ্জিনিয়ার আবদুস সবুর, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ।
আরও পড়ুন: বিএনপি দুর্নীতি ও লুটপাটের ওস্তাদ: ওবায়দুল কাদের
৫৭০ দিন আগে
বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী ভালো কিছু দেখে না, অথচ ১৫ বছরে বাজেট বাস্তবায়ন হার ৯২-৯৭%: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
পররাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ড. হাছান মাহমুদ বলেছেন, বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী ভালো কিছু দেখে না। অথচ ১৫ বছরে বাজেট বাস্তবায়নের হার ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ।
তিনি বলেন, ‘আজকে (বৃহস্পতিবার) সংসদে প্রায় ৮ লাখ হাজার কোটি টাকার বাজেট পেশ হয়েছে। প্রতিবার বাজেট পেশ করার পর আপনারা দেখবেন বিএনপির পক্ষ থেকে একটা সংবাদ সম্মেলন করা হয়, বলা হয় এই বাজেট গণবিরোধী, গরীব মারার বাজেট, এই বাজেটে কোনো উপকার হবে না। বিএনপিসহ কিছু গোষ্ঠী আছে তারা চোখে ভালো কিছু দেখেননা। প্রকৃতপক্ষে গত ১৫ বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ।’
বৃহস্পতিবার (৬ জুন) রাত ৯টায় চট্টগ্রাম প্রেস ক্লাবের ৬২তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সাবেক সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকদের সংবর্ধনা ও সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি-সন্ত্রাসের প্রতীক তারেক রহমানই বিএনপির দুঃশাসনের মুখ: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, আবার যারা নিজেদের জ্ঞানী বলে মনে করেন, তারা কোনো কিছুতে ভুল না ধরলে উনি যে জ্ঞানী এটা তো বোঝানো যায় না। সেজন্য সবকিছুতে ভুল ধরা উনাদের অভ্যাস। সেজন্যই তারা বলেন, এই বাজেট বাস্তবায়নরেযাগ্য নয়। সবকিছুতে না বলার যে অপসংস্কৃতি এটি দেশের উন্নয়ন অগ্রগতির জন্য বাধা।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, গত ১৫বছরে প্রতিটা বাজেট বাস্তবায়নের হার হচ্ছে ৯২ থেকে ৯৭ শতাংশ। বাজেটের আকার গত ১৫ বছরে সাড়ে ১১ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। মাথাপিছু আয় সাড়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে। জিডিপির আকার প্রায় ৬ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশে দারিদ্রসীমার নিচে থাকা জনগোষ্ঠী ছিল ৪১ শতাংশ। সেখান থেকে ১৮ দশমিক ৭ শতাংশে নেমেছে। অতিদারিদ্রতা ২২শতাংশ ছিল, সেখান থেকে সাড়ে ৫ শতাংশে নেমেছে।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমানই গণতন্ত্র হত্যাকারী: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
মন্ত্রী বলেন, ‘বাজেট যদি গরীবের উপকারে না আসত, তাহলে দরিদ্রতা ও অতিদরিদ্রতা কমত না। মানুষের আয় সাড়ে ৫ গুণ বৃদ্ধি পেয়েছে ডলারের অংকে, টাকার অংকে আরও বেশি। এটি সম্ভবপর হয়েছে বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী ও তার নেতৃত্বাধীন সরকারের বাস্তবসম্মত বাজেট প্রণয়ন এবং সেই বাজেট বাস্তবায়নের কারণে।’
সাংবাদিকরা সমাজের অগ্রসর অংশ, সমাজকে পথ দেখায়, সমাজের অনুম্মোচিত বিষয়গুলো উম্মোচিত করে উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, সাংবাদিকরা সরকারের ভুলত্রুটি তুলে ধরবেন, সেটিকে আমরা স্বাগত জানাই। কাজকে পরিশুদ্ধ করার ক্ষেত্রে সেটি সহায়ক হয়। তবে অনেকসময় দেখা যায় কিছু কিছু প্রতিবেদন এমনভাবে হয় সেগুলো দেশের জন্য ক্ষতিকারক।
চট্টগ্রাম প্রেসক্লাবের সভাপতি সালাউদ্দিন মো. রেজার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে চট্টগ্রাম জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান এ টি এম পেয়ারুল ইসলাম, সিডিএ’র চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা মোহাম্মদ ইউনুছ, জেলা প্রশাসক আবুল বাশার মোহাম্মদ ফখরুজ্জামান, মহানগর পুলিশ কমিশনার কৃষ্ণপদ রায় বক্তব্য দেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়া কেন জিয়া হত্যার বিচার করেননি: প্রশ্ন পররাষ্ট্রমন্ত্রীর
৫৭০ দিন আগে
মেটার প্রতিবেদন উদ্দেশ্যপ্রণোদিত, তথ্যে ঘাটতি রয়েছে: আওয়ামী লীগ ওয়েবটিম
বাংলাদেশসহ সারা বিশ্বে ঘৃণামূলক বক্তব্য ও বিভ্রান্তিকর তথ্যের জন্য মেটার ‘অকার্যকর ব্যবস্থাপনা’ উল্লেখ করে নির্দেশিকা মেনে চলতে ফেসবুক কর্তৃপক্ষের ব্যর্থতার অভিযোগ করেছেন আওয়ামী লীগের ওয়েব টিমের সমন্বয়কারী তন্ময় আহমেদ।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আওয়ামী লীগ ও দলটির নেতাকর্মীদের লক্ষ্য করে বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচারের নিরলস প্রবাহ রুখতে মেটার ব্যর্থতার কথা উল্লেখ করেছেন তিনি।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্স (সাবেক টুইটার) পোস্টে এ বিষয়ে বিস্তারিত তুলে ধরেছেন তিনি। পোস্টে তন্ময় বলেন, আওয়ামী লীগ সভাপতি শেখ হাসিনা ও তার পরিবারকে নিয়ে ফেসবুকে বহুবার বিভ্রান্তিকর ও মিথ্যা তথ্য ছড়ানো হয়েছে।
ভুয়া অ্যাকাউন্ট খুলে বিরোধীদের সম্পর্কে বিভ্রান্তিকর তথ্য ছড়ানোর দায়ে সম্প্রতি ৫০টি ফেসবুক অ্যাকাউন্ট ও ৯৮টি পেজ বন্ধ করে দিয়েছে মেটা। গত ২৯ মে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে ফেসবুকের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা বিভিন্ন দেশ থেকে ‘সংঘবদ্ধ অসত্য আচরণ’ (কোঅর্ডিনেটেড ইনঅথেনটিক বিহেভিয়ার) করার বিস্তারিত তথ্য প্রকাশ করে।
তন্ময় বলেন, ‘মেটাকে আমি বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচন ভিত্তিক আইআরআই-এনডিআই জরিপটি দেখতে অনুরোধ করব, যা স্পষ্ট করে যে আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিভ্রান্তিমূলক প্রচারণার শিকার হয়েছেন।’
‘এটি প্রতিষ্ঠিত সত্য যে, বিএনপি-জামায়াতের কটূক্তি ও মিথ্যা তথ্য কেবল আওয়ামী লীগ নেতাদেরই হয়রানি করেনি, সুশীল সমাজের সদস্যদেরও রেহাই দেয়নি তারা।’
আরও পড়ুন: টুইটার ও ফেসবুকে তারেক রহমানের বক্তব্যের জবাবে যা বললেন তন্ময়
এ সময় সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের নেতাদের অভিযোগের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, কয়েক দশক ধরে বাংলাদেশে উসকানি ও ঘৃণামূলক বক্তব্যের বিস্তার বন্ধ করতে ব্যর্থ হয়েছে ফেসবুক। সম্প্রদায়িক হামলায় বিএনপি-জামায়াত জোট এই প্ল্যাটফর্মটি কোনোপ্রকার বাধা ছাড়াই ব্যবহার করেছিল।
পোস্টে বাংলাদেশের ব্যাপারে ফেসবুকের বস্তুনিষ্ঠতার অভাব নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যুদ্ধাপরাধ-বিরোধী আন্দোলনকারীরা তাদের কণ্ঠ তুলেছে। তারা মনে করেন ফেসবুক তাদের কণ্ঠরোধ করেছে।’
এ সময় মেটার প্রতিবেদনের বিশ্বাসযোগ্যতা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। বলেন, ‘যতদূর জানি, আউটসোর্সের মাধ্যমে তৃতীয় এক পক্ষকে দিয়ে প্রতিবেদনটি প্রস্তুত করেছে মেটা। কেন বিএনপির মিডিয়া সেলের বিভ্রান্তিমূলক তথ্য ছড়ানো বন্ধ হয়নি, (মেটা) কর্তৃপক্ষ সে বিষয়ে খোঁজ নিতে পারে। তৃতীয় এই পক্ষটির কথায় নিরপেক্ষ ও বস্তুনিষ্ঠ দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তে কেন একটি রাজনৈতিক দলের সূর প্রতিধ্বনিত হলো?’
‘এটা সবাই জানে যে, বিএনপির মিডিয়া সেল এমন কন্টেন্ট ছড়িয়েছে যা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর হামলার উসকানি দেয় এবং আন্তর্জাতিক সংস্থা কর্তৃক চিহ্নিত হলেও তারেক রহমানের অপরাধের বিষয়টি গোপন রেখে জনগণের সঙ্গে প্রতারণা করে। এসব বিষয়ে মেটাকে নজর দিতে দেখা যায়নি।’
বুয়েট ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালনকালে তন্ময় হামলার শিকার হন। সেসময় তার শরীরে ১৩০টির বেশি সেলাই লাগে। সেই স্মৃতিচারণ করে তিনি বলেন, ‘অতীতে বহুবার বিএনপি-জামায়াতের বেশ কয়েকজন কর্মী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে আমাকে প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে, কিন্তু আশ্চর্যজনকভাবে ফেসবুক তাদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।’
পোস্টের সঙ্গে বিএনপি-সমর্থিত সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাকাউন্টগুলো থেকে ‘সহিংসতা উস্কে দেওয়া ও বিভ্রান্তি ছড়ানো’ মিডিয়া রিপোর্টের একটি কোলাজ যুক্ত করেছেন তিনি। ছবিতে তিনি লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের যেসব বিষয় মেটা দেখতে চায় না।’
৫৭২ দিন আগে