বিএনপি
নির্বাচন নিয়ে সন্দেহ দূর করতে সরকারের প্রতি বিএনপি নেতার আহ্বান
আসন্ন ফেব্রুয়ারির জাতীয় নির্বাচনকে ঘিরে চলমান অনিশ্চয়তা ও সংশয় দূর করতে অন্তর্বর্তী সরকারকে সক্রিয় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবদিন ফারুক।
সোমবার (৮ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেসক্লাবে বিকশিত ফাউন্ডেশন বাংলাদেশ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।জয়নুল আবদিন ফারুক বলেন, নির্বাচন হবে কি হবে না, কারা এমন সন্দেহ তৈরি করছে? সরকার চুপ করে বসে আছে কেন? চারপাশে তাকান, মন্ত্রণালয়গুলোতে কারা বসে আছে তা কি জানেন না? কারা মিছিল করছে, কারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে, তা কি দেখতে পাচ্ছেন না? আপনাদের জানা উচিত।
সাবেক বিরোধী দলের চিফ হুইপ বলেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসকে কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীকে ভয় পাওয়ার প্রয়োজন নেই। তিনি গণঅভ্যুত্থান ও শহীদ আবু সায়েদ, মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, ওয়াসিম আকরামের মতো অনেকের আত্মত্যাগের মধ্য দিয়ে এই সরকারের প্রধান হয়েছেন।
ফারুক বলেন, এখনো জাতীয় নির্বাচন হবে কি না তা নিয়ে ভীতি ও সংশয় রয়ে গেছে। এই সংশয় দূর করা সরকারের দায়িত্ব। কলকাতা থেকে শুরু করে প্রশাসনের ভেতরে কিছু গোপন এজেন্ট বসে আছে যারা নির্বাচন বানচালের চেষ্টা করছে।
তিনি অবিলম্বে ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ ও গোপন এজেন্টদের তালিকা প্রকাশ করে, তাদের নির্বাচন প্রক্রিয়া থেকে দূরে রাখতে সরকারের প্রতি আহ্বান জানান। এটা হলে জনগণের সন্দেহ আর থাকবে না।
তিনি আরও অভিযোগ করেন, ভারতের মদদে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানের ঐতিহাসিক অর্জনকে খাটো করার জন্য ষড়যন্ত্র চলছে। এই আন্দোলন বিএনপি ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পূর্ণ সমর্থনে সফল হয়েছিল বলেও যোগ করেন তিনি।জামায়াতকে ইঙ্গিত করে ফারুক বলেন, কিছু দল রাজনৈতিক ভণ্ডামিতে লিপ্ত। নির্বাচনের বিরোধিতা করলেও তারা আবার মসজিদে গিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছে।
তিনি মোহাম্মদপুরের একটি ঘটনার উদাহরণ দেন, যেখানে এক মসজিদের ইমাম দাবি করেন তিনি একটি সংগঠনের প্রতিনিধিত্ব করছেন, তবে অভিযোগ ছিল তার সঙ্গে জামায়াতে ইসলামীর যোগসূত্র রয়েছে।
পড়ুন: দুর্গাপূজায় অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে চালু হচ্ছে অ্যাপ: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এ সময় উপস্থিত এক তরুণ ইমামের অবস্থানকে চ্যালেঞ্জ জানিয়ে বলেন, মসজিদে নির্বাচনী প্রচারণা চালানো যাবে না। আর একইসঙ্গে নির্বাচন নিয়ে ভীতি ছড়ানোও গ্রহণযোগ্য নয়। এ ধরনের দ্বিচারিতা বন্ধ হওয়া উচিত।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন প্রসঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ফারুক সব শিক্ষার্থীদের আগামীকাল (মঙ্গলবার) অনুষ্ঠেয় ভোটে অংশগ্রহণের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দমন-নিপীড়নের মধ্যেও ছাত্রদল টিকে আছে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ আঁকড়ে ধরে। জিয়াউর রহমানের আদর্শ, খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্ব আর তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় ছাত্রদল আগামীকালের কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি।’
ফারুক শিক্ষার্থীদের জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাস রেখে ছাত্রদল প্যানেলকে নির্বাচিত করার আহ্বান জানান। একইসঙ্গে তিনি ডাকসু নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন করার জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
অতীতের কথা স্মরণ করে ফারুক বলেন, অতীতে আন্দোলন- সংগ্রামের সময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে ছাত্রনেতা শহীদ উদ্দিন চৌধুরী অ্যানিসহ সুলতান সালাউদ্দিন টুকুকে আহত অবস্থায় দেখতে হয়েছে।তিনি বলেন, ‘হৃদয়ে সাহস নিয়ে আগামীকাল (মঙ্গলবার) জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল শহীদ জিয়াউর রহমানের আদর্শে, খালেদা জিয়ার আপসহীন নেতৃত্বে এবং তারেক রহমানের দিকনির্দেশনায় কঠিন পরীক্ষার মুখোমুখি হতে যাচ্ছে।
তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের সব স্তরের শিক্ষার্থীদের জাতীয়তাবাদী চেতনায় বিশ্বাস রেখে সুষ্ঠু নির্বাচনের মাধ্যমে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল প্যানেলকে বিজয়ী করার আহ্বান জানান।
একই সঙ্গে বিএনপি নেতা সরকারের প্রতি ডাকসু নির্বাচন সুষ্ঠু, অবাধ ও শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠানেরও আহ্বান জানান।
১১১ দিন আগে
শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
তিনি বলেন, সেদিনই বিএনপির নির্বাচনের অর্ধেক প্রচারণা হয়ে যাবে।
রবিবার (৭ সেপ্টেম্বর) বিকালে রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্স আয়োজিত এক আলোচনা সভায় সালাহউদ্দিন আহমদ এ কথা বলেন।
তিনি বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান দ্রুতই দেশে ফিরবেন। তারেক রহমান যেদিন দেশে ফিরবেন সেদিন অবিস্মরণীয় ইতিহাস তৈরি হবে। সেদিনই বিএনপির নির্বাচনের অর্ধেক প্রচারণা হয়ে যাবে।
তিনি তারেক রহমানের নেতৃত্বের প্রশংসা করে বলেন, ‘জনাব তারেক রহমান মেধা, যোগ্যতা, শ্রম ও নেতৃত্ব দিয়ে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ নেতৃত্বে প্রতিষ্ঠিত হয়েছেন।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনসহ বিভিন্ন সংগ্রামে আমরা তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করেছি এবং তার রাজনৈতিক পরিপক্বতা দেখেছি। তার নেতৃত্বে এই জাতি অনেক দূর এগিয়ে যাবে।
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী কর আইনজীবী ফোরাম এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
তিনি বলেন, শিগগিরই ‘নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে। সংসদীয় সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে যার মাধ্যমে জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষা পূরণ হবে। আমরা সেই লক্ষ্য নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছি।”
‘২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে রমজানের একসপ্তাহে আগে অথবা তারও আগে নির্বাচন হতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এ পথে যারা কাঁটা বিছানোর চেষ্টা করছে, বিভিন্ন রকমের বক্তব্য দিয়ে বিভ্রান্তি ছড়াচ্ছে, তাদের সবার প্রতি নসিহত, দেশ এখন নির্বাচনী আবহে আছে, সারাদেশে নির্বাচনী আমেজ তৈরি হয়েছে।’
তিনি জোর দিয়ে বলেন, দেশকে অবশ্যই সংবিধান অনুযায়ী পরিচালিত করতে হবে। কোনো অতিরিক্ত সাংবিধানিক বা বিশেষ ব্যবস্থা প্রয়োগ করা উচিত নয়।
পড়ুন: আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশে গভীর চক্রান্ত চলছে: রুহুল কবির রিজভী
বিএনপি নেতা বলেন, অতিরিক্ত সাংবিধানিক ব্যবস্থা’, ‘সুপার-সাংবিধানিক ব্যবস্থা’ বা ‘বিশেষ সাংবিধানিক আদেশ’— সব একই জিনিস বোঝায়। এগুলো তখনই দরকার যখন স্বাভাবিক সাংবিধানিক প্রক্রিয়া কার্যকর নয়।
তিনি বলেন, এখনও আমাদের সংবিধান বহাল আছে এবং রাষ্ট্র সেই অনুযায়ী চলছে। তাহলে এগুলো কেন করতে হচ্ছে, কাকে সন্তুষ্ট করার জন্য করা হচ্ছে, কী উদ্দেশ্যে এগুলো করা হচ্ছে, আমরা তো একটা স্ট্যাবল জাতি চাই।
তিনি বলেন, গণতান্ত্রিক ধারাবাহিকতার জন্য, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য গণ-অভ্যুত্থান হয়েছে।
সালাহউদ্দিন বলেন, অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সাংবিধানিক ধারা মেনেই গঠিত হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টারা সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী শপথ নিয়েছেন। সংবিধানিক ধারাবাহিকতায় কোনো ব্যাঘাত ঘটেনি, তাই এখন সেটিকে প্রশ্নবিদ্ধ করারও কোনো কারণ নেই।
প্রধান উপদেষ্টা তার ভাষণে বলেছেন, এই অন্তর্বর্তী সরকার ছাত্রদের অভ্যুত্থানের মাধ্যমে প্রকাশিত আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন। তাহলে কি ছাত্র অভ্যুত্থানের মাধ্যমে সাংবিধানিক ধারাবাহিকতা ভেঙে গেছে? অবশ্যই না! তাই আমরা আশা করি, সবার মধ্যে সুস্থ বুদ্ধির উদয় হবে, তিনি বলেন।
সালাহউদ্দিন বিশেষজ্ঞ ও উপদেষ্টাসহ সবাইকে আহ্বান জানান যেন তারা গণতান্ত্রিক ও সাংবিধানিক নীতির মধ্যে থেকেই কাজ করেন এবং মতামত দেন, যাতে দেশে স্থিতিশীলতা নিশ্চিত হয়।
বিএনপি ক্ষমতায় এলে গুমের রাজনীতি বন্ধ হবে বলেও প্রতিশ্রুতি দেন তিনি।
১১২ দিন আগে
আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে দেশে গভীর চক্রান্ত চলছে: রুহুল কবির রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, বর্তমানে দেশে গভীর এক চক্রান্ত চলছে, যা আন্তর্জাতিক ষড়যন্ত্রের সঙ্গেও যুক্ত থাকতে পারে।
শনিবার (৬ সেপ্টেম্বর) রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ঈদে মিলাদুন্নবী উপলক্ষে আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে তিনি এ অভিযোগ করেন।
রিজভী বলেন, আমি সরকারকে বলতে চাই— আমার দৃঢ় অনুভূতি হচ্ছে, দেশে গভীর এক চক্রান্ত চলছে ।
তিনি এ চক্রান্তের বিষয়ে তদন্ত করার জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে দাবি জানান।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘পাকিস্তান আমলেও মাজার আক্রমণ করা বা লাশ পুড়িয়ে দেয়ার কথা শোনা যায়নি। এখন হঠাৎ করে এসব নৈরাজ্য কেন করা হচ্ছে। আমরা এর তীব্র নিন্দা জানাই।’
রিজভী বলেন, সময় এগিয়েছে, আমাদেরও এগোনোর কথা ছিল। হঠাৎ এখন কেন এসব হচ্ছে? এ ধরনের কাজই শেখ হাসিনা করতেন।
তিনি বলেন, শেখ হাসিনা বলতেন, বিএনপি ক্ষমতায় থাকলে, বিএনপি পাকিস্তানপন্থি দল, বিএনপি ইসলামী জঙ্গিদেরকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, এসব অপতথ্য এবং অপপ্রচার করতেন। এই অপতথ্য অপপ্রচার করার পরেও উনি এটা কোনোভাবেই প্রমাণ করতে পারেননি।
জামায়াতকে পরোক্ষভাবে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ওই দল বিএনপিকে ভারতপন্থী দল হিসেবে তুলে ধরার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, আপনারাই তো ৫ আগস্টের পর বললেন ভারতের সঙ্গে বিশেষ সম্পর্ক আছে। অথচ ১৯৭১ সালে স্বাধীনতার যুদ্ধের সময় পাকিস্তানি সেনাদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন আপনারাই।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দিকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, তিনি একসময় মদিনা সনদের ভিত্তিতে দেশ চালানোর অঙ্গীকার করেছিলেন।
তিনি বলেনন, কিন্তু বাস্তবে কী হলো? তার এক মন্ত্রীর লন্ডনে ১৪০টি বাড়ি, তার সন্তানদের নামে পূর্বাচলে ৬০ কাঠা জমি, আবার চট্টগ্রাম বিমানবন্দরের পাশে সরকারি ৭২ বিঘা জমিতে ৩০টি বাংলো তৈরির পরিকল্পনা— অথচ সাধারণ মানুষ চিকিৎসা না পেয়ে মারা গেছে।
পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ডাকসুতে ছাত্রদল বিজয়ী হবে: রিজভী
কোভিডের সময় অক্সিজেনের অভাবে অসংখ্য মানুষ মারা গেছে বলে উল্লেখ করেন তিনি।
তিনি বলেন, আমাদের ওপর বিপদ আসে, আমরা দেশেই থাকি, আমাদের নেত্রী দেশেই থাকেন, মিথ্যা মামলায় পাঁচ-ছয় বছর তিনি নির্যাতনে কারাবন্দি অবস্থায় থাকেন, আমরা কোনো পন্থি দল নই, বাংলাদেশপন্থি দল বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল।
প্রবক্তা মুহাম্মদ (সা.)-এর প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে রিজভী বলেন, আজ প্রচণ্ড গরমের মধ্যেও আমরা সমবেত হয়েছি মহান মানুষকে স্মরণ করতে, যিনি আল্লাহর বাণী বিশ্বব্যাপী ছড়িয়ে দিয়েছেন। যদি আমরা সামান্যতম অনুকরণ করতাম বা আমরা লালন করতাম তাহলে এই দেশ থেকে অন্যায়-অনাচার, কুপ্রবৃত্তি, পাপাচার, হানাহানি রক্তারক্তি সব বন্ধ হয়ে যেত।
তিনি দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, নবীর অনুসারী দাবি করলেও বাস্তবে তাকে আমরা কেউ অনুসরণ করি না। তাকে আমরা কেউ অনুকরণ করি না। এটাই হলো মুসলিম সমাজের সবচেয়ে বড় ব্যর্থতা।
রিজভী বলেন, মহানবী (সা.) বিভক্ত আরব সমাজকে একত্রিত করেছিলেন এবং সবার জন্য সমাধান দিয়েছিলেন। আজ আমরা মদিনা সনদের কথা বলি, কিন্তু বাস্তবে কিছুই মানি না।
এই আনন্দ ও প্রার্থনার দিনে আসুন আমরা নবীর জীবন থেকে অনুপ্রেরণা নেই, যিনি আল্লাহর বাণী এনেছিলেন। যদি আমরা তার উদাহরণ অনুসরণ করি, তাহলে সমাজ থেকে দুর্নীতি, লোভ, ঘৃণা দূর হবে। আমরা সৎভাবে বাঁচতে পারব এবং শান্তি ফিরে আসবে।
১১৩ দিন আগে
জামায়াতে ইসলামীকে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চাইতে বললেন বিএনপি নেতা
জামায়াতে ইসলামীকে অতীতের ভুলের জন্য ক্ষমা চেয়ে আগামী জাতীয় নির্বাচনে অংশ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নুল আবেদিন ফারুক।
শুক্রবার (৫ সেপ্টেম্বর) জাতীয় প্রেস ক্লাবের তোফাজ্জ্বল হোসেন মানিক মিয়া হলে বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদের উদ্যোগে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
ফারুক বলেন, আজকে দেখলাম একটা পত্রিকায় যে, জনগণ যদি না চায় পিআর (সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন পদ্ধতি) দরকার নাই। আল্লাহ মাবুদ, আজকে পবিত্র জুম্মার দিন, আল্লাহ তাদের হেদায়েত করুন।
তিনি বলেন, আমি তাদের (জামায়াতে ইসলামী) বলব, দয়া করে আস্তে আস্তে রাজনৈতিক কৌশল পরিবর্তন করেন। জনগণের কাছে ক্ষমা চান। অতীতের ইতিহাসে দোষত্রুটি থাকলে ক্ষমা চেয়ে নির্বাচনে আসেন।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, জামায়ত নির্বাচনের সময়সীমা বাড়ানোর বিভিন্ন দাবি করছে, কিন্তু একদিকে নির্বাচনের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছে এবং ধর্মীয় আবেগ ব্যবহার করে ভোটের প্রচারণা চালাচ্ছে।
তিনি বলেন, জামায়াত একদিকে বলছে পিআর না হলে নির্বাচনে যাব না, অন্যদিকে গণভোট ছাড়া নির্বাচনে যাব না। আবার তিনশত প্রার্থী ইতোমধ্যে ঘোষণা করে মসজিদে মসজিদে প্রচার শুরু করে দিছে। ঘরে ঘরে শুরু করে দিছে, বেহেস্তে নিয়া যাব যদি দাঁড়ি পাল্লাকে ভোট দাও।
ফারুক বলেন, জামায়তের নির্বাচনী প্রচারণা নিয়ে বিএনপি উদ্বিগ্ন নয়। ‘আমি আমার এলাকার মানুষকে বলেছি, কোনো কিছু করার দরকার নাই। আল্লাহর ওপর ভরসা রাখো। জনগণ জানে, শহীদ জিয়ার দল, বেগম খালেদা জিয়ার দল, তারেক রহমানের দল যতবারই ক্ষমতায় ছিল, বিশ্বাস ঘাতকতা করেনি।
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সুষ্ঠু নির্বাচন উপহার দিতে পারে, বাংলাদেশে আল্লাহ ছাড়া কোনো শক্তি নাই জনগণকে হারাতে পারে। কারণ বিএনপিই হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণের দল।
পড়ুন: মৌচাকে লড়ির ধাক্কায় শিশুসহ ৫ জন আহত
ফারুক বলেন, বিএনপি ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারিক রহমান জুলাই-অগাস্টের ছাত্র আন্দোলনকে দেশের ১৮ কোটি মানুষের সর্বাত্মক সমর্থনে সফল করেছেন।
সভায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ স্বাধীনতা ঘোষক পরিষদ এর সভাপতি শেখ শামীম হাসান অনিক।
তিনি বলেন, ষড়যন্ত্র এখনো শেষ হয়নি। নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য নানা পদ্ধতি, নানা কায়দা, পিআর, মব সৃষ্টির প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে। এসব নির্বাচনের পথে বাধা দেওয়ার জন্য তৈরি করা একটি পরিকল্পনা।
ফারুক অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ আবারো দিল্লির প্ররোচণায় বাংলাদেশের কিছু লোক যদি আবার আওয়ামী লীগের সাথে আতাঁত করে অন্তর্বর্তী সরকারের নির্বাচনকে বানচাল করার চেষ্টা করেন, জনগণ প্রতিহত করবে।
ফারুক আরও বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের নাম মুছে ফেলার জন্য ১৬ বছর ধরে অনেক চেষ্টা করা হয়েছে। মানুষের হৃদয় থেকে শহীদ জিয়ার নাম মুছতে পারেনি। পাথর মেরে ছবি ভেঙে ফেলা যায়, কিন্তু হৃদয় থেকে নাম মুছে ফেলা যায় না।
১১৪ দিন আগে
খালেদা জিয়ার সঙ্গে বিদায়ী ফরাসি রাষ্ট্রদূতের সাক্ষাৎ
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত ফ্রান্সের বিদায়ী রাষ্ট্রদূত মেরি মাসদুপুই।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর গুলশানে খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে এ সাক্ষাৎ হয়।
বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: জন্মদিনে খালেদা জিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা
তিনি জানান, রাষ্ট্রদূত মেরিকে ফুলের তোড়া দিয়ে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন খালেদা জিয়া। এ সময় তার স্বাস্থ্যের খোঁজখবর নেন এবং সুস্বাস্থ্য কামনা করেন বিদায়ী রাষ্ট্রদূত।
সাক্ষাৎকালে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
১১৬ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচন হলে ডাকসুতে ছাত্রদল বিজয়ী হবে: রিজভী
অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচনে ছাত্রদলের প্যানেলই বিজয়ী হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম-মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (৩ সেপ্টেম্বর) বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ঢাকা জেলা বিএনপি আয়োজিত আলোচনা সভা ও র্যালির আগে তিনি এ মন্তব্য করেন।
রুহুল কবির রিজভী বলেন, ছাত্রদল হলো আন্দোলন, সংগ্রাম ও নীতি-আদর্শের দল। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় (ঢাবি) শিক্ষার্থীরা যদি অবাধভাবে ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারে, তাহলে ছাত্রদলের প্যানেলই জয়ী হবে।
আগামী ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত জাতীয় নির্বাচনে একটি স্বার্থান্বেষী গোষ্ঠী ভোটগ্রহণ প্রক্রিয়ায় প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করছে বলে দাবি রিজভীর।
তিনি বলেন, এখন হঠাৎ করে কোনো কোনো রাজনৈতিক দল অনেক কথা বলছে। পিআর পদ্ধতি কী? কোনো জনগণ বলতে পারবে? গ্রামের মানুষ, এ দেশের সাধারণ মানুষ বলতে পারবে? এটা কখনও ব্যবহার করা হয়নি। এটি তো জনগণ চায় না।সভায় উপস্থিত নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি প্রশ্ন রাখেন, আপনারা কি পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন চান? সঙ্গে সঙ্গে কর্মীরা না না বলে স্লোগান দেন।
জনগণ সরাসরি পদ্ধতিতেই নির্বাচন চায় বলে দাবি করেন রিজভী।
তিনি বিএনপি নেতাকর্মীদের সতর্ক থেকে নির্বাচনী প্রক্রিয়া ব্যাহত করার যেকোনো অপচেষ্টা প্রতিরোধের আহ্বান জানিয়েছেন।
আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন ঢাকা জেলা বিএনপির সভাপতি খোন্দকার আবু আশফাক এবং সঞ্চালনা করেন সাধারণ সম্পাদক নিপুণ রায়।
পরবর্তীতে, বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোহার উপজেলা বিএনপির আয়োজনে একটি র্যালি অনুষ্ঠিত হয়।
১১৬ দিন আগে
গণতান্ত্রিক অগ্রগতি না থাকায় পিছিয়ে পড়ছে বাংলাদেশ: খসরু
গণঅভ্যুত্থানের এক বছর পরেও বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফিরতে না পারায় ধীরে ধীরে অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘এক বছর আসলে অনেক দীর্ঘ সময়। নির্বাচনী প্রক্রিয়ার মাধ্যমে অনেক আগেই দেশকে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় ফেরানো উচিত ছিল। এই বিলম্বের কারণে, বাংলাদেশ দিন দিন অধঃপতনের দিকে যাচ্ছে।’
বুধবার(৩ সেপ্টেম্বর) এক সেমিনারে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
খসরু বলেন, ঐতিহাসিকভাবে যেসব দেশ বিপ্লব বা গণঅভ্যুত্থানের পর নির্বাচনের মাধ্যমে দ্রুত গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠা করে, তারা আরও ভালোভাবে এগিয়ে যায়।
বিএনপির এই নেতা বলেন, যারা তা করতে ব্যর্থ হয়, তারা প্রায়শই অর্থনৈতিক পতন, সামাজিক অস্থিরতা এবং কিছু ক্ষেত্রে গৃহযুদ্ধের মুখোমুখি হয়।
তিনি ব্যাখ্যা করে বলেন, ‘যেসব দেশ তাদের অভ্যুত্থানের পরে সমস্যা তৈরি করে, বিভিন্ন দাবি ও অজুহাত তৈরি করে, তারা তাদের গণতন্ত্র হারিয়ে ফেলে এবং তাদের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যায়। এই দেশগুলোও গৃহযুদ্ধের সম্মুখীন হয়েছে এবং সমাজ গভীরভাবে বিভক্ত হয়ে পড়েছে। এ কারণেই আর বিলম্ব না করে নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খসরু বলেন, বাংলাদেশে গণতন্ত্র এবং নির্বাচিত সরকারের অনুপস্থিতির কারণে পরিস্থিতি ক্রমশ কঠিন হয়ে উঠছে।
তিনি অন্তর্বর্তী সরকার এবং জনগণের মধ্যে ক্রমবর্ধমান দূরত্ব তুলে ধরে বলেন, উভয়ের মধ্যে কোনো যোগাযোগ নেই।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই দূরত্বের কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা এবং সরকারি কর্মকর্তারা তাদের দায়িত্ব পালনে ব্যর্থ হচ্ছেন। আমরা আইনশৃঙ্খলার অবনতি, নিরাপত্তার অভাব এবং এমন একটি ব্যবসায়িক পরিবেশ প্রত্যক্ষ করছি, যা আসলে কার্যকর নয়। কারখানাগুলো নতুন বিনিয়োগ পাচ্ছে না, কারণ এই অনিশ্চয়তার মধ্যে কেউ তাদের সময়, অর্থ বা সম্পদ বিনিয়োগ করতে আগ্রহী নয়।’
রাজধানীর একটি হোটেলে ‘জুলাই-পরবর্তী রাজনৈতিক চিন্তাভাবনা: বাংলাদেশ কোন দিকে হাঁটছে?’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে স্কুল অব লিডারশিপ ইউএসএ (বাংলাদেশ চ্যাপ্টার)।
খসরু সতর্ক করে দিয়েছিলেন, সঠিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া ছাড়াই দেশ ইতোমধ্যে এক বছরেরও বেশি সময় হারিয়েছে, যা বাংলাদেশকে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক অস্থিতিশীলতাকে আরও গভীরে ঠেলে দিচ্ছে।
পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
আন্তর্জাতিক শীর্ষ সম্মেলন এবং আলোচনা আয়োজন করার পরেও তিনি উল্লেখ করেছেন, দেশ প্রকৃত বিনিয়োগ আকর্ষণ করতে ব্যর্থ হয়েছে।
বিএনপির নেতা বলেন, ‘সাম্প্রতিক এক শীর্ষ সম্মেলনে, নতুন কোনো বিনিয়োগ করা হয়নি, যদিও বর্তমান অনেক বিনিয়োগকারী উপস্থিত ছিলেন। তবে, এখন, নির্বাচনের সময় ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গে আমরা আশার কিছু লক্ষণ দেখতে শুরু করেছি। এটা স্পষ্ট যে বিনিয়োগকারীরা তাদের সিদ্ধান্ত নেওয়ার জন্য নির্বাচনের জন্য অপেক্ষা করছেন। তারা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছেন এবং নির্বাচনের পরে বিনিয়োগের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন।’
খসরু গণঅভ্যুত্থানের পর জনগণের মানসিকতার পরিবর্তনকে মূল্যায়ন করার জন্য সকল রাজনৈতিক দলকে আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনার কর্তৃত্ববাদী শাসনের অবসানের পর, বাংলাদেশের জনগণের মানসিকতায় বিশাল পরিবর্তন এসেছে। তাদের প্রত্যাশা এবং আকাঙ্ক্ষা আকাশছোঁয়া, কিন্তু আমরা যদি এই পরিবর্তনগুলো বুঝতে এবং স্বীকার করতে ব্যর্থ হই- তাহলে রাজনৈতিক নেতা এবং দলগুলোর কোনো ভবিষ্যৎ থাকবে না। আমরা যদি এটি স্বীকার না করি-তাহলে দল, আমার এবং দেশের ভবিষ্যৎ ঝুঁকির মধ্যে পড়বে। কারো ভবিষ্যৎ নিরাপদ থাকবে না।
বিএনপির এই নেতা জোর দিয়ে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোকে তাদের ভবিষ্যত রাজনীতির হাতিয়ার হিসেবে গণঅভ্যুত্থানের কৃতিত্ব দাবি করা বন্ধ করতে হবে।
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা আন্দোলনের কৃতিত্বের জন্য লড়াই চালিয়ে যাই—তাহলে বাংলাদেশের কোনো ভবিষ্যৎ নেই। কৃতিত্ব জনগণের, দেশের জন্য যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন তাদের, ব্যক্তিদের নয়।’
খসরু উল্লেখ করেন, ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধের পর প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধারা তাদের জীবন ও কাজে ফিরে আসেন।
তিনি বলেন, ‘যারা সম্মুখ সারিতে লড়াই করেছিলেন তারা তাদের ভূমিকায় ফিরে আসেন। শিক্ষকরা তাদের স্কুলে ফিরে যান এবং শিক্ষার্থীরা তাদের কলেজে ফিরে যান। স্বাধীনতা সংগ্রামকে ব্যক্তিগত লাভের জন্য ব্যবহার করার ধারণার বাইরে আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আমাদের দেশের ভবিষ্যৎ গড়ার দিকে মনোনিবেশ করার সময় এসেছে।’
১১৬ দিন আগে
হত্যার উদ্দেশ্যেই নুরকে আঘাত করা হয়: মির্জা ফখরুল
আঘাত যারাই করুক, গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যেই আঘাত করা হয়েছিল বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নুরকে দেখতে গিয়ে মঙ্গলবার (২ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি সাংবাদিকদের এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘যে বিষয়টি আমার সবচেয়ে খারাপ লেগেছে তা হলো, যারাই আঘাত করুক, নুরুল হক নুরকে হত্যার উদ্দেশ্যেই যে আঘাত করা হয়েছিল, তা পরিষ্কার।’
নুরের শারীরিক অবস্থা আগের চেয়ে অনেক ভালো, কিন্তু এখনো আশঙ্কা কাটেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তার (নুর) যে জায়গাগুলোতে ইনজুরি হয়েছে, সেই জায়গাগুলো খুব ফ্যাটাল (মারাত্মক)। তার ব্রেনেও (মস্তিষ্কে) ইনজুরি হয়েছে, ব্লিডিং (রক্তপাত) হয়েছে।’
‘চিকিৎসকদের সঙ্গে আলাপ করে জানতে পেরেছি, এখানে চিকিৎসার কোনো ত্রুটি হয়নি; সব ঠিকঠাক আছে। এখানে কিছুদিন রেস্ট (বিশ্রাম) নেওয়ার পরে বাইরে ইভ্যালুয়েশনের (মূল্যায়নের) দরকার। সে এখনো খেতে পারছে না, পাইপ দিয়ে লিকুইড খেতে হচ্ছে। তার রিকভারি হতে সময় লাগছে।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
নুরের শারীরিক অবস্থা মূল্যায়ন ও পর্যবেক্ষণের জন্য প্রয়োজনে তাকে দেশের বাইরে পাঠানো দরকার বলেও মনে করেন এই রাজনীতিক।
তিনি আরও বলেন, অভ্যুত্থানের পরও আইন প্রয়োগকারী সংস্থাগুলো যদি আমাদের নেতাদের ওপর এভাবে আক্রমণ করে, তাহলে সাধারণ মানুষকে কী করছে চিন্তা করুন। এটা আমি কোনোমতেই মেনে নিতে পারি না। প্রধান উপদেষ্টা যে বিচার বিভাগীয় তদন্ত দিয়েছেন, সেটা দ্রুত শেষ করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত। আমি সরকারের কাছে বলি, তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে পাঠানো উচিত।
১১৮ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক পরিবর্তন আনবে বিএনপি: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশের রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে, সেইসঙ্গে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধিও হবে।
তিনি বলেন, ‘জনগণের সমর্থনের মধ্য দিয়ে বিএনপি যদি রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পায়—তাহলে নিঃসন্দেহে একদিকে যেমন রাজনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে, অন্যদিকে অর্থনৈতিক পরিবর্তন ঘটবে এবং বাংলাদেশ সামনের দিকে এগিয়ে যাবে।’
সোমবার (১ সেপ্টেম্বর) সকালে দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) মাজারে দোয়া ও পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, শহীদ উদ্দীন চৌধুরী এ্যানি, আবদুস সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা মীর সরফত আলী সপু, কাজী আবুল বাশার, সাইফুল আলম নীরব, মহানগর বিএনপির উত্তরের আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের তানভীর আহমেদ রবিনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন। পুস্পস্তবক অর্পনের পরে জিয়াউর রহমানের আত্মার মাগফিরাত কামনা করে বিশেষ মোনাজাতে অংশ নেন নেতারা।
আরও পড়ুন: ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: মির্জা ফখরুল
সংস্কার প্রসঙ্গে বিএনপি মহাসচিব বলেন, সংস্কার কমিশনে যে প্রস্তাবগুলো নিয়ে এসেছিল, বিএনপি তা সমাধানে সর্বাত্মক সহযোগিতা করেছে। এছাড়া, ৩১ দফা কর্মসূচি প্রবর্তন করার মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের রাজনীতিতে আমূল পরিবর্তন আনার ব্যবস্থা করেছে বিএনপি।
তিনি আরও বলেন, এখন যে চ্যালেঞ্জ আমাদের সামনে রয়েছে সেটি হচ্ছে, আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন অনুষ্ঠানের যে কথা আছে— তা সুষ্ঠুভাবে আয়োজন করা।
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের লড়াইয়ে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য বারবার চেষ্টা হয়েছে উল্লেখ করে করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বিএনপি গণতন্ত্রকে পুনরুদ্ধারের জন্য দীর্ঘ সংগ্রাম করেছে, লড়াই করেছে বারবার। বিএনপিকে ধ্বংস করে ফেলার জন্য বারবার চেষ্টা করা হয়েছে। বিএনপি ফিনিক্স পাখির মতো প্রতিবারই বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদের আদর্শ নিয়ে, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের আদর্শ নিয়ে এবং খালেদা জিয়ার আদর্শ নিয়ে ফিরে এসেছে।’
তিনি দাবি করেন, গত ১৫ বছরে বিএনপিকে ধ্বংস করার জন্য দলের প্রায় ৬০ লাখ মানুষের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হয়েছে। বিএনপির প্রায় ২০ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করা হয়েছে। ১ হাজার ৭০০ নেতাকর্মীকে গুম করা হয়েছে। বিএনপিকে ধ্বংস করার লক্ষ্যে দেশে একটি নির্মম ফ্যাসিবাদ কায়েম করা হয়েছিল বলে অভিযোগ করেন তিনি।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, জনগণের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে, ছাত্রদের আন্দোলনের মধ্য দিয়ে আমরা সেই ভয়াবহ ফ্যাসিস্ট থেকে মুক্তি পেয়েছি।
১১৯ দিন আগে
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী আজ
আজ ১ সেপ্টেম্বর, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী। সারা দেশে বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিনটি উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিএনপি।
১৯৭৮ সালের এই দিনে বিএনপি গঠন করেছিলেন প্রয়াত রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান। দিনটি উপলক্ষে আলোচনা সভা, শোভাযাত্রাসহ বিভিন্ন কর্মসূচি নিয়েছে বিএনপি ও তার সহযোগী সংগঠনগুলো।
সকালে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়সহ সারা দেশের কার্যালয়গুলোতে দলীয় পতাকা উত্তোলন করা হয়েছে। এরপর বেলা ১১টায় শেরেবাংলা নগরে দলের প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে ফাতিহা পাঠ ও শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।
এর আগে ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ছয় দিনের কর্মসূচী ঘোষণা করে বিএনপি। এর অংশ হিসেবে গতকাল রাজধানীর রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে বিএনপি প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়।
আজ দেশব্যাপী জেলা ও মহানগরে আলোচনা সভা ও র্যালি হবে। আগামীকাল মঙ্গলবার (১ সেপ্টেম্বর) বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে র্যালি বের করা হবে। ৩ সেপ্টেম্বর বুধবার উপজেলা ও পৌরসভা পর্যায়ে আলোচনা সভা ও র্যালি হবে। ৪ সেপ্টেম্বর চারা রোপণ, মাছের পোনা অবমুক্তকরণ, ক্রীড়া প্রতিযোগিতা এবং বিনামূল্যে স্বাস্থ্য শিবির পরিচালনাসহ বিভিন্ন গণসচেতনতামূলক কর্মসূচি পালন করা হবে।
এরপর ৫ সেপ্টেম্বর সমসাময়িক প্রাসঙ্গিক বিষয় নিয়ে বিএনপির উদ্যোগে গোলটেবিল বৈঠক করা হবে। এ ছাড়া প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে সংবাদপত্রে ক্রোড়পত্র ও পোস্টার প্রকাশ করা হবে।
কেন্দ্রীয় কর্মসূচির পাশাপাশি বিএনপির সহযোগী সংগঠন ও তাদের সকল ইউনিটও যথাযথভাবে নিজস্ব কর্মসূচি পালন করবে।
৪৬ বছরের পথচলায় বিএনপি চারবার ক্ষমতায় ছিল এবং দুইবার বিরোধী পদের দায়িত্বে ছিল। ১/১১ রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকে প্রায় ১৯ বছর ধরে বিএনপি ক্ষমতার বাইরে রয়েছে।
দলের ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বাণীতে দলের সর্বস্তরের নেতা-কর্মী ও শুভাকাঙ্ক্ষীদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন। পৃথক এক বাণীতে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
অ্যাক্টিং চেয়ারম্যান তারেক রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর পৃথক বার্তায় জনগণ, দলীয় নেতা-কর্মী ও শুভানুধ্যায়ীদের বার্ষিকীর শুভেচ্ছা জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ৬ দিনের কর্মসূচি ঘোষণা বিএনপির
বিএনপির ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ১৬ সদস্যের ‘জাতীয় উদ্যাপন’ কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান আহ্বায়ক এবং সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী সদস্য সচিব হিসেবে দায়িত্ব পালন করবেন।
১১৯ দিন আগে