বিএনপি
নির্বাচন বানচালের ‘অশুভ শক্তি’র চেষ্টার বিষয়ে সতর্ক করলেন তারেক
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, আগামী সংসদ নির্বাচন বানচালের ‘অশুভ শক্তির নোংরা প্রচেষ্টা’ ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘প্রায় এক বছর আগে আমি বলেছিলাম, আসন্ন নির্বাচনকে কেন্দ্র করে অদৃশ্য শক্তি কাজ করছে। এখন মানুষ লক্ষ্য করতে শুরু করেছে যে সাম্প্রতিক সময়ে নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার সুযোগ নষ্ট করার জন্য অশুভ শক্তির অপচেষ্টা ধীরে ধীরে দৃশ্যমান হচ্ছে।’
পড়ুন: সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিজভী
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) ৪৭তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (৩১ আগস্ট) ঢাকার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে (আইইবি) ‘বিএনপির প্রতিষ্ঠার উদ্দেশ্য ও তাৎপর্য’ শীর্ষক আলোচনা সভায় ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার যখন ক্ষমতাচ্যুত, পরাজিত ও পলাতক স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের অধিকার সমুন্নত রাখার পথে হাঁটছে, তখন কিছু রাজনৈতিক দল তাদের দলীয় স্বার্থ রক্ষার জন্য নির্বাচনের নামে শর্ত আরোপ করছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এটি করে তারা পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনী পথে বাধা সৃষ্টির চেষ্টা করতে পারে।’
১১৯ দিন আগে
সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রিজভী
পতিত সরকারের ‘মিত্ররা’ নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য বিভিন্ন ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছেন— এমন অভিযোগ তুলে দেশে সত্যিকার অর্থে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সম্ভাবনা নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘এখনো একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে। আসলে কতটা (একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন) করা সম্ভব। কতটা করা সম্ভব? আমরা তাদের (নির্বাচন কমিশন) জিজ্ঞাসা করেছি যে তাদের সেই ক্ষমতা আছে কিনা।’
রবিবার (৩১ আগস্ট) নগরীর নির্বাচন ভবনে নির্বাচন কমিশনার আবদুর রহমানেল মাসুদ ও মো. আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে পৃথক বৈঠকের পর তিনি সাংবাদিকদের একথা বলেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য এবং সাবেক সচিব ইসমাইল জবিউল্লাহ বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপি প্রতিনিধিদলটি বিশেষভাবে নির্বাচনী সীমানা নির্ধারণের প্রক্রিয়ার দায়িত্বে থাকা কমিশনার আনোয়ারুল ইসলাম সরকারের সঙ্গে আলোচনা করেছে।
রিজভী বলেন, তাদের প্রশ্নের জবাবে, ইসি তাদের (একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য) ইসির পূর্ণ প্রস্তুতির আশ্বাস দিয়েছে।
ইসিসহ প্রশাসনের বিভিন্ন স্তরে ‘আওয়ামী লীগ সরকারের সহযোগী’ হিসেবে পরিচিতদের উপস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘এই সহযোগীরা একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন ব্যাহত করতে এমনকি এটি অনুষ্ঠিত হতে বাধা দেওয়ার জন্য বিভিন্ন কৌশল এবং সুদূরপ্রসারী ষড়যন্ত্রে লিপ্ত।’ যদিও ইসি একটি স্বাধীন সাংবিধানিক সংস্থা এবং একটি প্রশাসনও।
তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে চেয়েছিলাম যে 'আওয়ামী লীগের সহযোগীরা' এখানে কী ধরণের ভূমিকা পালন করছে এবং তারা কোনো ধরণের বাধা তৈরি করছে কিনা।’
রিজভী বলেন, জবাবে ইসি তাদের আশ্বস্ত করেছে যে, তারা স্বচ্ছতা নিশ্চিত করার জন্য সঠিকভাবে এবং সতর্কতার সঙ্গে এটি তদারকি করছে— যাতে নির্বাচন কোনোভাবেই ব্যাহত ও কলঙ্কিত না হয়। নির্বাচন কমিশন যথেষ্ট আত্মবিশ্বাসী। একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য তারা প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নিচ্ছে।
তবে বিএনপির এই নেতা বলেন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজনে বর্তমান ইসির আন্তরিকতার কোনো অভাব নেই।
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি এই কমিশন সকলের অংশগ্রহণে একটি অবাধ, সুষ্ঠু এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক নির্বাচন পরিচালনা করতে সক্ষম হবে। এখন পর্যন্ত, আমি তাদের পক্ষ থেকে কোনো আন্তরিকতার অভাব দেখিনি।’
আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) পদ্ধতির বিষয়ে রিজভী বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে যে, এটি এই মুহূর্তে সম্ভব নয়। ‘আমাদের নেতারা ইসির কাছে এটি বিস্তারিতভাবে জানিয়েছেন। নির্বাচন কমিশন তার সাংবিধানিক দায়িত্ব পালন করছে,’ বলেন তিনি।
রিজভী বলেন, বিএনপি প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভোটাধিকার সম্পর্কে সর্বশেষ অগ্রগতি জানতে চেয়েছিল।
তিনি বলেন, ‘আমরা প্রবাসীদের ভোট দেওয়ার সুযোগ করে দেওয়ার অগ্রগতি সম্পর্কে জানতে চেয়েছিলাম। ইসি আমাদের জানিয়েছে যে তারা তাদের জন্য পোস্টাল ব্যালটের সম্ভাবনা নিয়ে কাজ করছে।’
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা রিজভীর
শুক্রবার দিবাগত রাতে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র ইউনিয়নের (ডাকসু) সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের উপর হামলার ঘটনার তীব্র নিন্দা জানান রিজভী।
বিএনপির এই নেতা বলেন, নূর একজন পরিচিত রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব। তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে ভূমিকা পালন করেছিলেন।এ কজন দায়িত্বশীল রাজনৈতিক নেতার উপর এ ধরনের আক্রমণ একটি গণতান্ত্রিক দেশে নিন্দনীয় এবং অগ্রহণযোগ্য।
১১৯ দিন আগে
আগামী নির্বাচনে সমতল জনগোষ্ঠীর সমর্থন চায় বিএনপি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, জনগণের রায়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব পেলে সরকারি চাকরিতে ক্ষুদ্র জনগোষ্ঠীর নিয়োগ প্রক্রিয়া আরও কিভাবে সহজ করা যায়—সেগুলো করা হবে। তিনি বলেন, বিএনপি আগামী নির্বাচনে সমতল জনগোষ্ঠীর সমর্থন চায়।
শনিবার (৩০ আগস্ট) বিকালে ময়মনসিংহ টাউন হলের তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে আয়োজিত জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের প্রথম জাতীয় প্রতিনিধি সমাবেশে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, প্রতিটি জাতি-গোষ্ঠীর নিজস্ব ভাষা, সংস্কৃতি ও মূল্যবোধের প্রতি আমাদের আস্থা ও সম্মান রয়েছে। ভাষার বহুত্ব, সংস্কৃতির বৈচিত্র্য প্রতিটি জাতিগোষ্ঠীর স্বাতন্ত্র্য বোধ, ভিন্নজাতের সংরক্ষণ এবং এসবের উন্নয়নে যথাযথ ভূমিকা রাখা রাষ্ট্রের দায়িত্ব বলে আমরা মনে করি।
পড়ুন: ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, বিএনপির রাষ্ট্র মেরামতের ৩১ দফায় স্পষ্টভাবে উল্লেখ আছে, জাতি, ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সকল জাতিগোষ্ঠীর সামাজিক, রাজনৈতিক, সাংস্কৃতিক-অর্থনৈতিক অধিকার এবং জীবনের নিরাপত্তা বিধানে সর্বোচ্চ প্রচেষ্ঠা গ্রহণ করা হবে। ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতি এটিই আমাদের অঙ্গীকার। বিএনপি ক্ষতায় গেলে প্রতিটি অধিকার বাস্তবায়ন করবে।
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, আজ একটা ভয়াবহ দানবীয় ফ্যাসিস্ট সরকারের দীর্ঘ নির্যাতনের শাসনের পরে একটা অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে সুযোগ পেয়েছি নতুন বাংলাদেশ তৈরি করার। তিনি বলেন, তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে উঠবে এবং সেই বাংলাদেশে সকলের অধিকার প্রতিষ্ঠিত হবে।
তিনি আরও বলেন, একটা চক্রান্ত চলছে বাংলাদেশে। ভবিষ্যতে যে নির্বাচন হওয়ার কথা, সেই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য একটা গোষ্ঠী চেষ্টা করছে। একটা উগ্রবাদী গোষ্ঠী বিভিন্ন প্রকার উগ্রবাদের কথা বলে মানুষকে বিভক্ত করতে চাচ্ছে, বিভাজন সৃষ্টি করতে চাচ্ছে।
ফখরুল বলেন, আজ আমাদের সকলের দায়িত্ব হবে, একসঙ্গে ঠিক একাত্তর সালে যেমন আমরা লড়াই করেছিলাম আমাদের ভূখন্ডের জন্যে, স্বাধীনতার জন্য, সার্বভৌমত্বের জন্য, আমাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। সেইভাবে আমরা আজ আমাদের অধিকার রক্ষার জন্য কাজ করব, লড়াই করে যাব।
তিনি বলেন, আমাদের বিশ্বাস আছে যে, আমাদের নেতা তারেক রহমান এখন পর্যন্ত যে কাজ করেছেন—তাতে সকল জাতি ঐক্যবদ্ধ হয়ে সেই লক্ষ্যে এগিয়ে যেতে পারব।
পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে গুমের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার সালাহউদ্দিনের
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠী দলের কেন্দ্রীয় সভাপতি মৃগেন হাগিদগের সভাপতিত্বে সমাবেশে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান ঐক্য ফ্রন্টের সভাপতি বিজন কান্তি সরকার, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স, বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক শরীফুল আলম, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক আবু ওয়াহাব আকন্দ ও অ্যাডভোকেট ওয়ারেস আলী মামুন প্রমুখ।
এর আগে দুপুরে নগরীর টাউন হল তারেক স্মৃতি অডিটোরিয়ামে জাতীয় সংগীতের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন হয়। মূল অনুষ্ঠান শুরুর আগে ১৫ জন আদিবাসী তরুণীর একটি দল তাদের ঐতিহ্যবাহী পোশাকে মনোমুগ্ধকর দলগত নৃত্য পরিবেশন করে।
সমাবেশে দেশের সমতল অঞ্চলের ১২টি জেলায় বসবাসরত ক্ষুদ্র জাতিগোষ্ঠীর প্রতিনিধিরা অংশগ্রহণ করেন।
১২০ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে গুমের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার সালাহউদ্দিনের
আসন্ন জাতীয় নির্বাচনে জনগণের ম্যান্ডেট নিয়ে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে দেশ থেকে গুমের সংস্কৃতি পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন করার অঙ্গীকার করেছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
‘একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আপনাদের এই কথা বলতে পারি, যদি জনগণ আমাদের ম্যান্ডেট দেয়, গুম প্রতিরোধের জন্য, গুমের সংস্কৃতি নিশ্চিহ্ন করার জন্য প্রথমে যা যা করতে হয়—আইন প্রণয়ন ও তা কার্যকর—সবকিছু করা হবে। আমরা সেই বাংলাদেশের জন্য অপেক্ষা করছি, যেখানে কোনো ব্যক্তি গুমের শিকার হবে না,’ বলেন তিনি।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) বিকালে বাংলা একাডেমি মিলনায়তনে আন্তর্জাতিক গুম দিবস উপলক্ষে গুমের শিকার ব্যক্তিদের স্মরণে ‘মায়ের ডাক’ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এমন প্রত্যয়ের কথা জানান।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দীর্ঘ সময় একটা বিভীষিকাময় পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে বাংলাদেশ চলেছে। সেই ফ্যাসিবাদবিরোধী সংগ্রামে আমাদের সন্তানদের রক্ত দিতে হয়েছে। যারা বাংলাদেশ নামের রাষ্ট্রটিকে করদরাজ্যে পরিণত করতে আজীবন ক্ষমতায় থাকার জন্য এই হত্যাকাণ্ড চালিয়েছে, তাদের এখনো অনুশোচনা নেই। তারা নিজেদের অপরাধ স্বীকার তো দূরের কথা, উল্টো অভ্যুত্থানকারীদের অপরাধী হিসেবে চিহ্নিত করছে।’
পড়ুন : গুম প্রতিরোধ, প্রতিকার ও সুরক্ষা অধ্যাদেশের খসড়া অনুমোদন
তিনি বলেন, ‘এরপরও বাংলাদেশের মানুষ কি কখনো তাদের রাজনীতিতে আহ্বান করতে পারবে? বাংলাদেশের মানুষ কি কখনো তাদের ক্ষমা করতে পারবে? ক্ষমা তারা চায়নি। আমরা এমন একটি পরিস্থিতিতে গণতান্ত্রিক উত্তরণের জন্য অপেক্ষা করছি। আজ রাষ্ট্রকাঠামোর সংস্কারের জন্য আমরা সব রাজনৈতিক দল ঐক্যবদ্ধ হয়েছি, যা আগে কখনো কল্পনাও করা যেত না।’
নির্বাচনের রোডম্যাপ নিয়ে তিনি বলেন, ‘ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে অংশ নেওয়া রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে ঐক্যে ফাটল ধরানোর একটা চেষ্টা কোনো একটা পক্ষ করছে। কিন্তু আমরা তর্ক-বিতর্ক করছি, সংস্কারের বিপক্ষে আলোচনা করছি, নির্বাচন নিয়ে দুয়েকটা পক্ষ ধোঁয়াশা সৃষ্টি করছে। আমি আহ্বান জানাব, ভোটাধিকার প্রয়োগের জন্য দেশের মানুষ ১৬ বছর সংগ্রাম করেছেন, রক্ত দিয়েছেন, সেই ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য যখন একটি রাস্তা তৈরি হয়েছে, তাতে যাতে আমরা কাঁটা না বিছাই। সবার প্রতি এই আহ্বান জানাই।’
গুমের শিকার হয়ে আর ফিরে না আসা মানুষদের ছবির দিকে ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, ‘আমার সৌভাগ্য যে আমি আজ জীবিত আছি, আপনাদের সঙ্গে কথা বলছি। নাহলে আমারও ছবি হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। আমার সহকর্মীদের অনেকের ফিরে আসার সৌভাগ্য হয়নি। তাদের খোঁজ মিলছে না। কেন যে আয়নাঘর নামটা দেওয়া হলো? কিন্তু আয়নাঘরে তো আয়না ছিল না, ছিল জমদূত, ছিল মৃত্যুর পরোয়ানা। সেই আয়নাঘরে আমরা ছিলাম।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাকে একটা গুপ্তগুহায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল, তখন যদি আমার চোখ বন্ধ না থাকত, তাহলে হয়তো আমার বিশ্বাস হতো না যে এখানে মানুষ থাকতে পারে। তবে রুমের ভিতরে চোখ খোলা থাকত। একদিনই কেবল চোখ খোলা রেখে বাইরে নেওয়া হয়েছিল। আমার তারিখ গণনায় সেদিন ২০১৫ সালের ১৪ এপ্রিল, বাংলা নববর্ষ উদযাপনের দিন। তাদের মধ্যে কয়েকজন অফিসার সম্ভবত ছিল সেই অনুষ্ঠানে, আমাকে বলল যে আজ ম্যাডাম পার্টি অফিসের সামনে অনুষ্ঠান করেছে, পহেলা বৈশাখের। আমাকে নিউজ দিতে চাইল যে দেশে এখন স্বাভাবিক পরিস্থিতি চলছে।’
‘আমি কোনো জবাব দিতাম না। সেদিনই চোখ খোলা রেখে রুমের বাইরে কিছুক্ষণ বসিয়ে রেখেছিল। কারণ রুমটা পরিষ্কার করতে হবে। রুমটা ছিল ময়লা আর দুর্গন্ধে ভরা, বাতাস চলাচলের কোনো ব্যবস্থা ছিল না। পাঁচ ফুট বাই দশ ফুট বা তার চেয়ে ছোট হতে পারে রুমটা। দুই মাস একদিন অর্থাৎ ৬১ দিনের মাথায় আমাকে বের করে যমটুপি ও কালো চশমা পরিয়ে গামছা দিয়ে হাত বেঁধে বলা হলো—আজ আপনাকে এমন একটি জায়গায় নিয়ে যাওয়া হবে, ফিরে আসতে আপনার দু-তিন দিন লাগতে পারে। তবে আমাকে জীবিত ছেড়ে দেবে, সেটা আমার বিশ্বাস হচ্ছিল না,’ বলেন বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘তাদের বলতাম, যদি আমার মৃত্যু এখানে হয়, তাহলে আমার লাশটা আমার পরিবারের কাছে ফেরত দিও। তারা কোনো জবাব দিত না। আল্লাহর কাছে সবসময় প্রার্থনা করতাম, যদি আমার হায়াত থাকে, আমাকে ঈমানের সঙ্গে জীবন দিও, ঈমানের সঙ্গে মৃত্যু দিও। আর যদি এখানেই আমার মৃত্যু হয়, তাহলে আমাকে ঈমানের মৃত্যু দিও। দেশ ও দেশের মানুষের জন্য প্রার্থনা করতাম।’
‘আমি খুব বিশ্বাসী মানুষ, আমি অনেক কিছু দেখেছি। সে জন্য অনেক অবিশ্বাসী মানুষকে বলি—আমি শুধু আল্লাহর অস্তিত্ব চোখ দিয়ে দেখিনি, কিন্তু আমি অনুভব করেছি, আমি অনেক কিছু জেনেছি। আল্লাহ রাব্বুল আলামিন আমাকে অনেক কিছু দেখিয়েছেন। সেগুলো আমি বাস্তব জীবনে পেয়েছি। এটা হয়তো যারা বিশ্বাস করতে চাইবেন, তারাই বিশ্বাস করতে পারবেন। এটা অনুধাবনের বিষয়।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, আজকের এই অনুষ্ঠানে গুম হওয়া পরিবারের মধ্যে নতুন কেউ যোগ হয়নি, এটা সুসংবাদ। তারা আশা প্রকাশ করেছেন, আগামী দিনের রাজনীতিবিদরা যাতে নিশ্চিত করেন আগামী দিনে যেন গুম হওয়া পরিবারের সদস্যদের এমন কোনো অনুষ্ঠানে উপস্থিত হতে না হয়। আসলে সে জন্যই আমরা এখানে অনবরত সংগ্রাম করে যাচ্ছি।
ইউএনবি/জেএ
১২১ দিন আগে
সাময়িক সরকারের কাছে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই: আমীর খসরু
অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে ‘সাময়িক সরকার’ আখ্যায়িত করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, সাময়িক সরকারের কাছে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) দুপুরে বরিশাল শিল্পকলা একাডেমি প্রাঙ্গণে বরিশাল বিভাগীয় ব্যবসায়ী ফোরামের উদ্যোগে আয়োজিত ক্ষুদ্র ও কুটির শিল্প মেলার উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘সাময়িক সরকারের কাছে আমাদের কোনো প্রত্যাশা নেই। আমরা নির্বাচিত সরকারের অপেক্ষা করছি। নির্বাচিত সরকারের জন্যই ব্যবসায়ীদের নিয়ে এ ধরনের অনুষ্ঠান করা হচ্ছে। যাতে জনগণ আমাদের সমর্থন দেয়, সেই প্রস্তুতি আগেভাগেই গ্রহণ করা হচ্ছে। প্রথম দিন থেকেই যাতে দেশের মানুষের পাশে আমরা দাঁড়াতে পারি।’
তিনি বলেন, ‘ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচনের মাধ্যমে দেশে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হবে। এতে করে বাংলাদেশের মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের সঙ্গে সঙ্গে সরকার নির্বাচিত করবেন, যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ থাকবে, জবাবদিহিতা থাকবে। সেই সরকারের কাছে আমাদের অনেক চাওয়া আর প্রত্যাশাও থাকবে।’
আরও পড়ুন: ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: মির্জা ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘একটি গ্রামে একটি পণ্য তৈরি হবে, যে পণ্য ওই অঞ্চলের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কাজ করবে। এতে করে ওই গ্রাম অর্থনেতিকভাবে সমৃদ্ধ হবে। এ জন্য কীভাবে ব্যবসায়ীদের সমস্যা সমাধান ও চাহিদা পূরণ করা যায়, সেগুলো চিহ্নিত করার চেষ্টা করছি আমরা।’
তিনি বলেন, ‘বিএনপি চায় অর্থনীতির গণতন্ত্রায়ন। কিছু মানুষ কিংবা কোনো গোষ্ঠীর কাছে যাতে অর্থনীতি জিম্মি হয়ে না থাকে।’
এর আগে, জাতীয় এবং সংগঠনের পতাকা উত্তোলন ও বেলুন উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী। পরে মেলার স্টলগুলো পরিদর্শন করেন তিনি।
এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা মজিবর রহমান সরোয়ার, মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল ও জিয়া উদ্দিন হায়দারসহ ব্যবসায়ী নেতারা।
১২২ দিন আগে
ঘোষিত সময়েই নির্বাচন হবে: মির্জা ফখরুল
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে মানুষের মধ্যে এক ধরনের হতাশা ও বিভ্রান্তি তৈরি হলেও ‘নির্বাচন হবেই’ মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘আমরা জানি যে রাজনীতিতে অনেক মতভেদ থাকবে, চিন্তা থাকবে, মত থাকবে। কিন্তু এখন যে পরিবেশটিতে আমরা আছি, তাতে জনগণ অত্যন্ত বিভ্রান্তির মধ্যে পড়ে যাচ্ছেন। মানুষ জিজ্ঞাসা করছে, নির্বাচন হবে তো? এই যে এক ধরনের শঙ্কা, এক ধরনের হতাশা তৈরি হয়েছে; কিন্তু আমি যেটা সবসময় বলি, নির্বাচন হবেই।’
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সকালে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে একটি বইয়ের প্রকাশনা অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের যে সময়টার ঘোষণা দেওয়া হয়েছে, সেই সময়েই হবে। আজ যদি নির্বাচন বন্ধ করা হয় বা নির্বাচন না হয়, তাহলে এই জাতি প্রচণ্ড রকমের ক্ষতিগ্রস্ত হবে এবং ফ্যাসিবাদের ফিরে আসার আশঙ্কা বাড়বে।’
তিনি বলেন, ‘আপনারা লক্ষ করছেন যে, বিভিন্ন জায়গা থেকে চেষ্টা করছে এই ফ্যাসিবাদ নিয়ে কথা বলার জন্য। বিদেশেও এটা নিয়ে কাজ চলছে। তাই নির্বাচন দ্রুত দেওয়া দরকার। একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের মধ্য দিয়েই আমরা আমাদের কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্য— গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রব্যবস্থায় যাওয়ার সুযোগ পাব।’
বাংলাদেশে প্রথম সংস্কারের কথা বিএনপিই বলেছে ও বাস্তবায়ন করেছে দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন বিএনপি প্রতিষ্ঠা করেন, তখন একদলীয় শাসনব্যবস্থা থেকে তিনি বহুদলীয় গণতন্ত্র নিয়ে আসেন। তিনিই গণমাধ্যম, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছেন। তিনি অর্থনীতিতে মুক্তবাজার অর্থনীতির প্রবর্তন করেছেন। এতে দ্রুতই আমরা একটি পরিবর্তন দেখেছি।’
আরও পড়ুন: সরকারের ভেতরের একটি মহল গণতন্ত্রের শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দিতে চায় না: ফখরুল
‘বাংলাদেশে এখন পর্যন্ত যত সংস্কার হয়েছে, তা বিএনপির হাত দিয়েই হয়েছে। দুর্ভাগ্যজনকভাবে, কতগুলো রাজনৈতিক দল মিথ্যা ও ভুল প্রচার করে বিএনপিকে হেয় করতে চায়।’
বিএনপি কোনো খারাপ করছে— এমন কথা বলার সুযোগ কাউকে না দেওয়ার জন্য নেতাকর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়ে প্রবীণ এই রাজনীতিক বলেন, ‘এটা খুবই জরুরি। আপনারা মনে করবেন না যে আপনারা ক্ষমতায় চলে এসেছেন। অনেকেই সেটা মনে করছেন। আর এ জন্যই দুর্বৃত্তায়ন তারা নিয়ন্ত্রণ করতে পারছে না।’
‘এখনো আপনারা ক্ষমতার কাছেও আসেননি। অনেক চক্রান্ত ও ষড়যন্ত্র আছে, সেগুলো অতিক্রম করে ঐক্য ও ভালো কাজ দিয়ে জনগণের কাছে যেতে হবে।’
জুলাই-আগস্টে কেবল শিক্ষার্থীরাই নয়, শ্রমিক, জনতা ও শ্রমজীবী মানুষও অংশ নিয়েছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এখন সবাই জুলাই-আগস্টের প্রতি জোর দেন। এটা সত্য কথা যে তখন ছাত্র ও তরুণরা বেরিয়ে এসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। কিন্তু আন্দোলনের শেষ দিনগুলোতে কেবল ছাত্ররাই ছিল না, শ্রমিক-কৃষক-মধ্যবিত্ত-চাকরিজীবী ও মা-বোনেরা বেরিয়ে এসেছিলেন। আর এ জন্যই জুলাই-আগস্টে সম্ভব হয়েছিল ফ্যাসিবাদকে সরানো।’
নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে তিনি আরও বলেন, ‘দেশকে কীভাবে ভালোর দিকে নিয়ে যাওয়া যায়, আমাদের মনগুলোকে কীভাবে আরও পবিত্র করা যায়, আমরা কীভাবে মানুষের জন্য কাজ করতে পারি, এই বিষয়গুলো আপনারা গভীরভাবে চিন্তা করবেন।’
‘মানুষ একটা পরিবর্তন চায়। পরিবর্তনের জন্য মানুষ উন্মুখ হয়ে আছে। আর সেটা বিএনপির কাছেই চায়। আর বিএনপি যদি সেটা উপহার দিতে চায়, তাহলে তাদের নেতাকর্মীদের সেইভাবেই জনগণের সামনে আসতে হবে।’
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা রিজভীর
সৈয়দা ফাতেমা সালামের লেখা ‘রক্তাক্ত জুলাই’ শিরোনামের বইয়ের মোড়ক উন্মোচনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের উপদেষ্টা মাহদী আমিন ও কবি আবদুল হাই শিকদার।
বইয়ের বিষয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, জুলাই-আগস্টের রক্তাক্ত ঘটনাবলী নিয়ে খুব বেশি লেখা চোখে পড়েনি। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলন নিয়ে অনেক লেখা হয়েছে, কিছু কিছু লেখা কালজয়ী। তার মধ্যে রয়েছে উপন্যাস, কবিতা ও গান। সৈয়দা ফাতেমা সালাম সেই কাজটি করার চেষ্টা করেছেন। সরকারের অনেকগুলো প্রতিষ্ঠান আছে। সংস্কৃতি মন্ত্রণালয়ের অনেকগুলো বিভাগও আছে। তারা এটির ওপর জোর দিতে পারতেন। দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমরা এখনো সেই কাজটি দেখিনি।
১২২ দিন আগে
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য এভারকেয়ারে যাবেন খালেদা জিয়া
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য যাওয়ার কথা রয়েছে।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানিয়েছেন, ‘ম্যাডামকে (খালেদা) তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুসারে স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যায় এভারকেয়ার হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হবে।’
তিনি বলেন, বিএনপি প্রধান বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে তার গুলশানের বাসভবন থেকে হাসপাতালের উদ্দেশ্যে রওনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ‘তার মেডিকেল বোর্ডের পরামর্শ অনুসারে এভারকেয়ার হাসপাতালে তার কিছু প্রয়োজনীয় মেডিকেল পরীক্ষা করা হবে।
৮০ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বেশ কয়েক বছর ধরে লিভার, কিডনি এবং হার্ট সম্পর্কিত সমস্যাসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্য জটিলতায় ভুগছেন।
বেগম জিয়া গুলশানে তার বাড়িতে একটি বিশেষায়িত মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধানে চিকিৎসা নিচ্ছেন, যার মধ্যে এভারকেয়ার হাসপাতালের চিকিৎসক এবং তার ব্যক্তিগত চিকিৎসক দল অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
১২২ দিন আগে
সরকারের ভেতরের একটি মহল গণতন্ত্রের শক্তিকে ক্ষমতায় আসতে দিতে চায় না: ফখরুল
দেশের গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে, সরকারের ভেতর থেকে একটি মহল সচেতনভাবে সেই চেষ্টা করছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেছেন, ‘আমাদের অনেক বেশি সজাগ ও সতর্ক থাকতে হবে। লক্ষ্য অর্জনের জন্য অনেক বেশি কাজ করতে হবে। আমরা যদি মনে করি, আমরা জিতে গেছি, সবকিছু ঠিক হয়ে গেছে, তাহলে বড় ভুল হবে। সরকারের ভেতরের একটি মহল অত্যন্ত সচেতনভাবে চেষ্টা করছে যে যারা গণতন্ত্রের পক্ষের শক্তি, তারা যাতে ক্ষমতায় আসতে না পারে। আজকে যখন দেখি, পত্রিকায় নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কর্মকর্তাকে, উপদেষ্টাকে আওয়ামী লীগের লোকজন হেনস্তা করছে, তখন কোথায় যাব আমরা? এটা আমাদের মধ্যে চরম হতাশা সৃষ্টি করেছে।’
বুধবার (২৭ আগস্ট) সকাল সাড়ে ১০টায় জাতীয় প্রেসক্লাব জহুর হোসেন চৌধুরী হলে খ্যাতিমান রাজনীতিবিদ কাজী জাফর আহমেদের দশম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘পত্রিকায় দেখলাম বিরাট করে খবর ছাপা হয়েছে, বাংলাদেশের একজন ব্যক্তি যিনি দেশে ব্যাংক লুটের জন্য বিখ্যাত, তিনি দিল্লিতে বসে শেখ হাসিনাকে আড়াই হাজার কোটি টাকা দিয়েছেন এবং পরিকল্পনা করেছেন, তারা কীভাবে ওই টাকা ব্যবহার করে বাংলাদেশের নির্বাচন বন্ধ করবে, হাসিনাকে আবার ফিরিয়ে আনবে।’
‘একটি অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে একটি ভয়াবহ ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হয়ে গণতন্ত্রের যে ট্রানজিশন (রূপান্তর) সেখানে যেতে হবে, আমরা তার জন্য কাজ করছি। এরইমধ্যে অনেক কাজ হয়েছে। রাষ্ট্র সংস্কারের জন্য যে বিষয়গুলো এসেছে, তার অনেকগুলোতে রাজনৈতিক দলগুলো একমত হয়েছে, অনেকগুলোতে তারা একমত হতে পারেনি। নির্বাচনের একটি তারিখও ঘোষণা করা হয়েছে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমরা ৩১ দফা কর্মসূচি প্রণয়ন করেছি যার মধ্যে সংস্কারের সবগুলোই আছে। আমরা প্রথম থেকেই সংস্কারের পক্ষে। আমরা তখন উপলব্ধি করেছিলাম, বিদ্যমান রাষ্ট্র কাঠামোতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা সম্ভব নয়। সংস্কারের জন্য যত সহযোগিতা লাগে, আমরা তা অন্তর্বর্তী সরকারকে করেছি।’
তিনি বলেন, ‘আমরা কোথাও বাধা সৃষ্টি করিনি, কোনো বড় রকমের দাবি তুলে রাজপথে নেমে সরকারের বিরোধিতা করিনি। কিন্তু দুর্ভাগ্যজনকভাবে কিছু রাজনৈতিক মহল পরিকল্পিতভাবে নির্বাচনকে বানচাল ও ব্যাহত করার জন্য নিত্যনতুন দাবি তুলে ধরছে। এমনসব দাবি তারা তুলে ধরছেন, যার সঙ্গে বাংলাদেশের মানুষ আসলে পরিচিতই না। যেখানে সংস্কার শব্দটির সঙ্গেই সাধারণ মানুষ পরিচিত নয়।’
আরও পড়ুন: রাতারাতি বৈষম্যের অবসান হবে না: মির্জা ফখরুল
জ্যেষ্ঠ এই রাজনীতিক বলেন, ‘সংখ্যানুপাতিক ভোট বোঝাতে সময় লাগবে; এটা বোঝানো খুবই কঠিন। এরপর কাকে ভোট দিলেন, আপনি তা জানেন না। ভাবলেন, এলাকায় একজন জনপ্রিয় মানুষ আছেন, তাকে লক্ষ্য করে ভোটটা দিলেন, কিন্তু দেখা গেল হয়ে গেলেন অন্যজন। এ বিষয়গুলো এখন আমাদের কাছেও পরিষ্কার নয়, সাধারণ মানুষের কাছেও নয়। অথচ এগুলো নিয়ে তারা জোরেশোরে হুমকি দিচ্ছে।
কেন তারা এমন করছে— প্রশ্ন রেখে তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো ঘরপোড়া গরু। আমরা দেখেছি, যখনই কোনো পরিবর্তন হয়, তখনই সেই সুযোগ অন্যরা নিয়ে নেয়। নির্বাচন আয়োজনে যত দেরি হয়, তত তারা সুবিধা পেয়ে যায়। এক-এগারোর সরকার দুই বছর থাকল এবং ফ্যাসিস্টের হাতে ক্ষমতা তুলে দিল। গত ১৫ বছর ধরে সেই ভোগান্তি আমাদের পোহাতে হয়েছে। তারা বাংলাদেশের অর্থনীতি শেষ করে দিয়েছে। রাজনৈতিক কাঠামো শেষ করেছে। মানুষের মন-মানসিকতা সবকিছু পরিবর্তন হয়ে গেছে।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘আমি রাজনীতিতে কোনোদিন হতাশ হইনি। সবাইকে সাহস দিয়েছি, অনুপ্রেরণা দিয়েছি। কিন্তু ইদানীং একটা হতাশার ছায়া ঘোরাঘুরি করছে। কেন? যেদিকে তাকাই, দেখি বেশিরভাগ মানুষ নষ্ট হয়ে গেছে। দুর্নীতি… আপনি কোনো অফিস-আদালতে যেতে পারবেন না। একজন ব্যবসায়ী বলেছেন, আগে এক লাখ টাকা দিতে হতো, এখন দিতে হয় পাঁচ লাখ টাকা।’
তিনি বলেন, ‘মনমানসিকতার মধ্যে যে পরিবর্তন নিয়ে আসার কথা ছিল, সেই পরিবর্তনটা আনতে পারেননি। দুর্ভাগ্যজনকভাবে রাজনৈতিক নেতারাও তাতে জড়িত হয়ে পড়েছেন। যেটা বাংলাদেশের আরও বেশি ক্ষতি করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বাংলাদেশকে বাঁচানোর জন্য আমাদের সবাইকে এগিয়ে আসা দরকার। এ দেশটা আমাদের। ১৯৭১ সালে আমরা যুদ্ধ করেছি। আমাদের অনেককে গুলি খেতে হয়েছে। অনেকের ভাই-বোন-মা শহীদ হয়েছেন। বাড়িঘর পুড়ে গেছে। গ্রামের পর গ্রাম জ্বালিয়ে দিয়েছে। সেই একাত্তরকে ভুলিয়ে দেওয়ার অনেক চেষ্টা চলছে। কিন্তু সেটা ভোলা সম্ভব নয়। যারা সেদিন সহযোগিতা করেছেন, তারাই আজ অনেক বড় বড় কথা বলছেন।’
১২৪ দিন আগে
রমজানের আগেই একটি সুষ্ঠু নির্বাচনের প্রত্যাশা রিজভীর
আগামী রমজানের আগেই দেশে একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। তিনি বলেছেন, এতে ষোলো বছর পর দেশের ভোটাররা ভোট দিতে পারবেন।
বুধবার (২৭ আগস্ট) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের ৪৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বিএনপির পক্ষ থেকে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন ও ফাতিহা পাঠ শেষে এ মন্তব্য করেন তিনি।
দেশের মানুষ এখনো নানাভাবে অধিকারবঞ্চিত উল্লেখ করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘দেশীয় ও আন্তর্জাতিক চক্রান্তকারীদের দিক থেকে আমরা এক ভয়ঙ্কর ষড়যন্ত্রের মধ্যে বাস করছি। আমাদের আন্দোলনের চূড়ান্ত লক্ষ্য গণতন্ত্র এখনো প্রতিষ্ঠা পায়নি। তবে আমাদের বিশ্বাস খুবই দ্রুত রমজানের আগেই একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে, তাতে এ দেশের ভোটাররা ষোলো বছর ধরে যে ভোট দিতে পারেননি, এবার তারা সেই ভোট দিতে পারবেন।’
‘পাশাপাশি গণতন্ত্রের আরও বিভিন্ন শর্ত, যেমন: এ দেশের মানুষের মনে নিরাপত্তাবোধ তৈরি, আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা, ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা করা— পূরণ করা সম্ভব হবে।’
তিনি বলেন, ‘আদালত হতে হবে অসহায় মানুষের শেষ ভরসার স্থল। সেই ধরনের একটি সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যেই আমাদের এগিয়ে যেতে হবে। আর এই লক্ষ্য পূরণে মানুষের অনুপ্রেরণা হচ্ছেন জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তিনি ছিলেন মানবতা, প্রেম ও দ্রোহের কবি। ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রাম, স্বাধীনতার লড়াই, নব্বইয়ের গণআন্দোলন এবং বছরখানেক আগে যে দুনিয়া কাঁপানো গণঅভ্যুত্থান হয়েছে, প্রতিটি জাতীয় অর্জন ও অধিকার প্রতিষ্ঠার লড়াইয়ে যার গান ও কবিতা মানুষকে উদ্বুদ্ধ করেছে, দেশের জনগণকে উদ্বুদ্ধ করেছে, তার গান গাইতে গাইতে ও তার কবিতা আবৃত্তি করতে করতে আমরা রাজপথে নেমে আসতাম।’
আরও পড়ুন: জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠায় সুষ্ঠু নির্বাচনের আহ্বান রিজভীর
রিজভী বলেন, ‘স্বৈরশাসনের তপ্ত বুলেটের সামনে নিঃশঙ্কচিত্তে দাঁড়াতেও দ্বিধা করিনি, কারণ আমাদের কণ্ঠে ছিল জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলামের গান ও কবিতা। যখনই এ দেশের মানুষ অধিকারহারা হয়, তখনই তাদের সংঘবদ্ধ ও ঐক্যবদ্ধ করে অত্যাচারীর শৃঙ্খল ভাঙার প্রত্যয় জেগে ওঠে যার কবিতা ও গানে, তিনি কাজী নজরুল ইসলাম।’
তিনি আরও বলেন, ‘ঔপনিবেশিক শক্তির বিরুদ্ধে তিনি (নজরুল) তার শানিত কলম চালাতে দ্বিধা করেননি। তার লেখা কবিতা, গান ও সৃষ্টির মধ্য দিয়ে যে চেতনা তিনি গোটা জাতিকে দিয়েছেন, তা ধারণ করেই আমরা দেশনেত্রী খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নেতৃত্বে সংগ্রাম করেছি, জুলাই আন্দোলনে যার চূড়ান্ত বহিঃপ্রকাশ হয়েছে।’
১২৪ দিন আগে
বিএনপির ফজলুর রহমানের দলীয় সব পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত
বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা কাউন্সিলের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট ফজলুর রহমানের দলীয় সব পদ তিন মাসের জন্য স্থগিত করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় বিএনপির একজন সহদপ্তর সম্পাদক ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, ফজলুর রহমানকে দেওয়া পদ স্থগিতের চিঠিতে বলা হয়, গত ২৪ আগস্ট আপনার (ফজলুর রহমান) নামে কারণ দর্শানোর নোটিশ জারি করা হয়। আপনি নোটিশের লিখিত জবাব না দিয়ে সময় বর্ধিত করার আবেদন করেন। এর পরিপ্রেক্ষিতে গত সোমবার সময় আরও ২৪ ঘণ্টা বর্ধিত করা হয়। আপনি আজ নোটিশের যে জবাব দিয়েছেন, তা সন্তোষজনক নয়।
‘তথাপিও বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে মুক্তিযুদ্ধে আপনার অবদান বিবেচনা করে কঠোর সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ না করে আপনার দলীয় প্রাথমিক সদস্যপদসহ সকল পর্যায়ের পদ তিন মাসের জন্য নির্দেশক্রমে স্থগিত করা হয়েছে।’
পড়ুন: মবস্টাররা আমাকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে: ফজলুর রহমান
চিঠিতে তাকে সতর্ক করে আরও বলা হয়, এখন থেকে আপনি টকশো বা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে কথা বলার সময় দেশের মর্যাদা ও দলের নীতিমালা যাতে ক্ষুণ্ণ না হয় এবং দেশের জনগোষ্ঠীর ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত না লাগে—সে বিষয়ে সর্বদা সতর্ক থাকবেন।
এর আগে দলের কাছে কারণ দর্শানোর নোটিশের জবাব দেন ফজলুর রহমান। তার স্ত্রী অ্যাডভোকেট উম্মে কুলসুম রেখা জানান, তিনি (ফজলুর রহমান) এই সংক্রান্ত চিঠির জবাবে লিখিতভাবে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দিয়েছেন। বিশেষ বার্তাবাহক সেটা জমা দিয়ে এসেছেন। এখন তিনি সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলবেন না।
নিজস্ব প্যাডে চার পৃষ্ঠার এই জবাবে দলের তরফ থেকে যা জানতে চাওয়া হয়েছে, ফজলুর রহমান তা বিস্তারিত ব্যাখ্যা করেছেন বলে জানান তার সহধর্মিণী। বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বরাবর জবাবটি লেখা হয়েছে।
লিখিত জবাবে ফজলুর রহমান বলেছেন, ‘আমার প্রিয় দল বিএনপির ক্ষতি হয়—এমন কোনো কথা বা কাজ আমি করিনি এবং করবও না। জাতীয়তাবাদী দলের নেতৃত্বের বিচার-বিবেচনার প্রতি আমার সর্বোচ্চ আস্থা আছে। আমি আশা করি, সুবিচার পাব এবং দলের বৃহত্তর স্বার্থে যেকোনো সিদ্ধান্তের প্রতি সর্বদা অনুগত থাকব।’
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান নিয়ে অনবরত ‘বিতর্কিত’ বক্তব্য দেওয়ার পরিপ্রেক্ষিতে গত ২৪ আগস্ট ফজলুর রহমানকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেয় বিএনপি। ফজলুর রহমানের ঢাকার ঠিকানায় এ নোটিশ পাঠানো হয় বিশেষ বার্তাবাহকের মাধ্যমে।
রুহুল কবির রিজভীর সই করা এই নোটিশে বলা হয় যে, আপনি জুলাই-আগস্ট ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান নিয়ে ক্রমাগত কুরুচিপূর্ণ ও বিভ্রান্তিকর বক্তব্য দিয়ে আসছেন এবং আত্মদানকারী শহীদদের নিয়ে যে বক্তব্য দিচ্ছেন—তা সম্পূর্ণরূপে দলীয় আদর্শ ও গণঅভ্যুত্থানের চেতনার পরিপন্থী।
‘এই গণঅভ্যুত্থানের বিরুদ্ধে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলন নিয়ে আপনার বক্তব্য জনমনে তীব্র প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করেছে। আপনার বক্তব্য দলের সুনাম ক্ষুণ্ণ করার সুপরিকল্পিত চক্রান্তের প্রয়াস বলে অনেকেই মনে করে।’
নোটিশে আরও বলা হয়, ‘এমনকি আপনি জনগণের ধর্মীয় অনুভূতিতেও আঘাত দিয়ে কথা বলছেন। জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানে বিএনপির সাড়ে চার শতাধিক নেতাকর্মীসহ ছাত্র-জনতার প্রায় দেড় হাজারের অধিক মানুষ শহীদ হয়েছেন এবং ত্রিশ হাজারেরও অধিক মানুষ গুরুতর আহত হয়েছেন। গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গণঅভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার এ ধরনের বীরোচিত ভূমিকাকে আপনি প্রতিনিয়ত অপমান ও অমর্যাদা করছেন।’
‘এই ধরনের উদ্ভট ও শৃঙ্খলাভঙ্গকারী বক্তব্যের কারণে কেন আপনার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না, তার যথাযথ কারণ দেখিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে একটি লিখিত জবাব দলের নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে জমা দেওয়ার জন্য আপনাকে নির্দেশ প্রদান করা হলো।’
১২৪ দিন আগে