বিএনপি
সোমবার বিএনপির হরতাল
নির্বাচন কমিশন (ইসি) ঘোষিত আগামী জাতীয় নির্বাচনের তফসিলের প্রতিবাদে আগামী সোমবার (১৮ ডিসেম্বর) সারাদেশে হরতাল পালন করবে বিএনপি।
২৯ অক্টোবর থেকে এটি বিরোধী দলের চতুর্থ দফার হরতালের ডাক। এছাড়াও, বিএনপির ১১ দফা অবরোধ পালনের ফলে দেশের জনগণের স্বাভাবিক জীবনযাত্রা ও অর্থনীতি ব্যাহত করেছে।
শনিবার এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে নতুন কর্মসূচি ঘোষণা করেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি জানান, সোমবার সকাল ৬টায় শুরু হয়ে ওই দিন সন্ধ্যা ৬টায় শেষ হবে হরতাল।
আরও পড়ুন: ৭ সপ্তাহ পর বিজয় দিবসে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
রিজভী দেশবাসী এবং বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলের সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে কর্মসূচি পালনের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, নতুন করে হরতাল কর্মসূচির উদ্দেশ্য হলো সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টি করা, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের নেতা-কর্মীদের মুক্তিদান।
আগামী ১০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক মানবাধিকার দিবস উপলক্ষে সারাদেশে মানববন্ধন কর্মসূচি পালন করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
শনিবার নয়াপল্টনে বিজয় দিবসের সমাবেশ করবে বিএনপি
৭ সপ্তাহ পর বিজয় দিবসে নয়াপল্টনে বিএনপির সমাবেশ
৪৯ দিন পর মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনে তাদের দলের কেন্দ্রীয় কার্যালযয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করেছে বিএনপি।
শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) সমাবেশে অংশ নিতে কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে শত শত বিএনপি নেতা-কর্মী জড়ো হন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান তার বক্তব্যে বলেছেন, আগামী ৭ জানুয়ারি জাতীয় নির্বাচনের নামে প্রহসন করতে যাচ্ছে আওয়ামী লীগ সরকার।
বর্ণাঢ্য জনসভার আগে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে তিনি বলেন, ‘নির্বাচনের এমন তামাশা করার জন্য দেশ স্বাধীন হয়নি’
দুপুর আড়াইটার দিকে বিরোধী দলের অনুসারীরা নয়াপল্টন থেকে র্যালি বের করে এবং বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে কাকরাইল হয়ে মালিবাগ পর্যন্ত বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে নয়াপল্টনে এসে এটি শেষ হয়।
২৮ অক্টোবর দলটির সমাবেশ পণ্ড হওয়ার পরে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে গ্রেপ্তারের ভয়ে দলের অধিকাংশ নেতা আত্মগোপনে চলে যান।
আরও পড়ুন: শনিবার নয়াপল্টনে বিজয় দিবসের সমাবেশ করবে বিএনপি
অক্টোবরের শেষ সপ্তাহ থেকে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ ২০ হাজারের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় এখনও বন্ধ থাকায় বেলা ১১টা থেকে ছোট ছোট মিছিলে দলের নেতা-কর্মীরা এর সামনে জড়ো হতে থাকেন।
বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের ব্যানারে সমাবেশে রাজধানীসহ আশপাশের জেলা ও উপজেলা থেকে বিএনপির নেতা-কর্মীরা অংশ নেন।
সমাবেশের আগে দেওয়া বক্তৃতায় নজরুল ইসলাম খান বলেন, দেশের জনগণ এ ধরনের একতরফা নির্বাচন দেখতে চায় না এবং তারা ৭ জানুয়ারি তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে ভোটকেন্দ্রে যাবে না।
তিনি বলেন, নির্বাচনে জনগণের অংশগ্রহণ না থাকায় ক্ষমতাসীন দলকে নিজ দলের 'ডামি প্রার্থী' দিতে হচ্ছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘যেভাবে প্রার্থীদের মনোনয়ন দেওয়া হচ্ছে, সবাই জানে কে এমপি হবেন।’
তিনি অভিযোগ করেন, নির্বাচনকে সুষ্ঠু করতে সরকার বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার ও হয়রানি অব্যাহত রেখেছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
নজরুল বলেন, বিরোধী দলগুলোর অংশগ্রহণ ছাড়াই নির্বাচনের নামে খেলা খেলতে গণতান্ত্রিক অধিকার হরণ করা হয়েছে।
এর আগে দলটি ৫২তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় সমাধিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধে শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানায়।
সকাল ১০টায় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান দলীয় নেতা-কর্মীদের সঙ্গে নিয়ে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মঈন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষ রক্ত ঝরিয়েছিল এবং জীবন উৎসর্গ করেছিল।
তিনি বলেন, ‘কিন্তু আওয়ামী লীগ দেশের কোটি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে অকালে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা চরম দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছে।’
মঈন বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর আওয়ামী লীগের কাছে বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের প্রশ্ন করা উচিৎ, কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের স্বপক্ষের দাবি করে মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করে বাংলাদেশে একদলীয় স্বৈরাচারী সরকার বাহিনী প্রতিষ্ঠা করেছে।
পরে তারা রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে ফুল দেন।
আরও পড়ুন: সোমবার বিএনপির হরতাল
এসময় বিএনপি নেতারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনা করে মোনাজাতও করেন।
এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আবদুল, মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, তাইফুল ইসলাম টিপু, রফিক শিকদার, নিপুণ রায় উপস্থিত ছিলেন।
সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করছে বিএনপির বিভিন্ন ইউনিট ও অঙ্গ সংগঠন।
এর আগে সকালে তারা বিজয় দিবস উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন।
মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে জাতি বিজয় দিবস উদযাপন করছে।
বিজয় দিবসে শহীদদের প্রতি বিএনপির শ্রদ্ধা নিবেদন
৫৩তম বিজয় দিবস উপলক্ষে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণের মাধ্যমে মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
রবিবার (১৬ ডিসেম্বর) সকাল ১০টার দিকে দলীয় নেতা-কর্মীদের নিয়ে স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
আরও পড়ুন: আইসিএমএবি খুলনা ব্রাঞ্চে ‘ইন্টারন্যাশনাল অ্যাকাউন্টিং ডে’ উদযাপন
সেখানে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ড. মঈন বলেন, স্বাধীন বাংলাদেশ, গণতন্ত্র ও অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের লাখ লাখ মানুষ রক্ত ঝরিয়েছেন এবং জীবন উৎসর্গ করেছেন।
কিন্তু আওয়ামী লীগ এদেশের কোটি কোটি মানুষের সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করে অকালে গণতন্ত্রকে হত্যা করেছে। তারা চরম দুর্নীতির মাধ্যমে বাংলাদেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করেছেন।
ড. মঈন আরও বলেন, স্বাধীনতার ৫২ বছর পর বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের আওয়ামী লীগকে জিজ্ঞেস করতে হবে- কেন তারা মুক্তিযুদ্ধের আদর্শকে ধ্বংস করে বাংলাদেশে ‘একদলীয় স্বৈরাচারী' সরকার প্রতিষ্ঠা করেছে।
পরে তারা রাজধানীর শেরে বাংলানগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন।
বিএনপি নেতারা জিয়ার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করে মোনাজাত করেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, সেলিমা রহমান, ভাইস চেয়ারম্যান ড. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা মোস্তাফিজুর রহমান বাবু, তাইফুল ইসলাম টিপু, রফিক শিকদার, নিপুণ রায় প্রমুখ এ সময় উপস্থিত ছিলেন।
বিকালে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে শোভাযাত্রা বের করার কথা রয়েছে।
সমাবেশে অংশ নিতে বিএনপির কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন শত শত নেতা-কর্মী।
দিবসটি উপলক্ষে সারাদেশে বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনগুলো নানা কর্মসূচি হাতে নিয়েছে।
এর আগে সকালে বিজয় দিবস উপলক্ষে দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন তারা।
মহান মুক্তিযুদ্ধের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে জাতি বিজয় দিবস উদযাপন করছে।
আরও পড়ুন: বিজয় দিবস উদযাপনে ঢাকায় ৩০ ভারতীয় ওয়ার ভেটারেন
বাংলাদেশের জোন্টা ক্লাবে জাতিসংঘ দিবস উদযাপন
শনিবার নয়াপল্টনে বিজয় দিবসের সমাবেশ করবে বিএনপি
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে শনিবার (১৬ ডিসেম্বর) অন্যান্য কর্মসূচির পাশাপাশি শোভাযাত্রা বের করবে বিএনপি।
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী জানান, শনিবার দুপুর ১টায় নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে থেকে মিছিল বের করবেন তারা।
তিনি বলেন, বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ ও উত্তর সিটি ইউনিটের আয়োজিত সমাবেশটি মগবাজারে গিয়ে শেষ হবে।
সমাবেশে স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে দল ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানান এই বিএনপি নেতা।
বিজয় সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বেইলি রোডে ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়ে চিঠি জমা দেন।
এছাড়া সকালে বিএনপি দলীয় কার্যালয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করবে বলে জানান রিজভী।
দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যদের নেতৃত্বে দলীয় নেতা-কর্মীরা সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে সাভারে জাতীয় স্মৃতিসৌধে পুষ্পস্তবক অর্পণ করবেন।
পরে বিজয় দিবস উপলক্ষে সকাল সাড়ে ১০টায় রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রয়াত জিয়াউর রহমানের সমাধিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও ফাতেহা পাঠ করবেন তারা।
বিজয় দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভাও করবে বিএনপি।
দলটির বিভিন্ন ইউনিট ও সহযোগী সংগঠনও সারাদেশে নানা কর্মসূচির মধ্য দিয়ে দিবসটি পালন করবে।
আওয়ামী লীগ একতরফা আসন ভাগাভাগির নির্বাচন করছে: খোকন
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব ব্যারিস্টার মাহবুবউদ্দিন খোকন বলেছেন, জনসমর্থন না থাকায় সরকার আসন ভাগাভাগির একতরফা নির্বাচন করছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগ অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় না কেন? কারণ তাদের জনসমর্থন নেই। তারা ১৫ বছরে নির্বাচনী প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করেছে, এখন একতরফা নির্বাচনের আয়োজন করছে।’
শুক্রবার (১৫ ডিসেম্বর) এক আলোচনা সভায় এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, ভোটের আগে আসন বণ্টন করে সরকার কীভাবে একতরফা নির্বাচনের পথে হাঁটছে, গণমাধ্যমে সেসব খবর প্রচার করা হচ্ছে।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের মতো একটি ঐতিহ্যবাহী রাজনৈতিক দল কতটা দেউলিয়া হয়েছে যে আসন ভাগাভাগির মতো নির্বাচনের নীলনকশা নিয়ে এগোতে হচ্ছে।’
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে (ডিআরইউ) রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বে গণঅধিকার পরিষদের একটি অংশ ‘ভোট, দেশ ও গণতন্ত্র রক্ষা করুন’- শীর্ষক আলোচনা সভার আয়োজন করে।
খোকন হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, আসন ভাগাভাগির নির্বাচন হলে আওয়ামী লীগকে মারাত্মক পরিণতি ভোগ করতে হবে। ‘তারা আসন ভাগাভাগি করে ভোটের নামে একটি খেলা খেলবে এবং শেষ পর্যন্ত তারা নিজেদের মধ্যে মারামারি করবে...এসব করে কোনো লাভ হবে না, কারণ সরকার এভাবে নির্বাচন করে ক্ষমতায় থাকতে পারবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার যে কৌশলই অবলম্বন করুক না কেন, দেশের জনগণের আন্দোলনের মুখে তাকে ক্ষমতা ছাড়তেই হবে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি শুধু বিএনপি বা অন্য কোনো রাজনৈতিক দলের আন্দোলন নয়। কারণ এটি ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের জন্য জনগণের ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন।’
তিনি দাবি করেন, আগামী ৭ জানুয়ারি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার ও নির্বাচন কমিশন (ইসি) সর্বাত্মক চেষ্টা চালালেও ভোট নিয়ে জনগণের মধ্যে কোনো উৎসাহ-উদ্দীপনা নেই।
খোকন বলেন, সরকারের পতন এড়াতে পারবে না। কারণ বিশ্বের কোনো স্বৈরশাসক জনগণের ইচ্ছার বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত টিকে থাকতে পারেনি, শেখ হাসিনাও টিকতে পারবেন না।’
বিএনপিকে বিজয় দিবসের সমাবেশের অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে পুলিশ: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করেছেন, ‘পুলিশ তাদের দলকে বিজয় দিবসের সমাবেশের অনুমতি দিতে গড়িমসি করছে।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর)ভার্চুয়াল ব্রিফিংয়ে বক্তৃতাকালে তিনি আরও অভিযোগ করেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে বিএনপিকে পুলিশ বাধা সৃষ্টি করেছে।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘তারা (পুলিশ) মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিএনপিকে বিজয় সমাবেশের অনুমতি দিতে কৌশল অবলম্বন করে ১৯৭০ সালের হানাদার বাহিনীর মতো ভূমিকা পালন করছে।’
১৬ ডিসেম্বর বিজয় দিবস উদযাপনে রাজধানীতে সমাবেশের অনুমতি চেয়ে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি) কমিশনারকে চিঠি দিয়েছে বিএনপি।
বুধবার দলের ভাইস চেয়ারম্যান নিতাই রায় চৌধুরীর নেতৃত্বে বিএনপির একটি প্রতিনিধি দল বেইলি রোডে ডিএমপি কার্যালয়ে গিয়ে চিঠি জমা দেন।
রিজভী আরও অভিযোগ করেন, পুলিশ বিএনপির নয়াপল্টনে কেন্দ্রীয় কার্যালয় দেড় মাসেরও বেশি সময় ধরে অবরুদ্ধ করে রেখেছে। আমাদের নেতারা নয়াপল্টনে যেতে পারবেন না।
তিনি দাবি করেন, বুধবার রাতে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারর্সনের কার্যালয়ে কোনো অনুমতি ছাড়াই পুলিশ অভিযান চালিয়ে প্রতিটি কক্ষে তল্লাশি চালায়।
এই বিএনপি নেতা আরও বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কার্যালয়ে রাখা পুষ্পস্তবক ও অন্যান্য জিনিসপত্র নিয়ে গেছে পুলিশ।
তিনি বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে কেউ অফিসে এলে গ্রেপ্তারের হুমকিও দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। কিন্তু তারা (সরকার) বলছে তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় বিশ্বাসী।
রিজভী বলেন, গুলশান থানার ওসির নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল বিএনপি চেয়ারপার্সনেরর কার্যালয়ে প্রবেশ করে পুষ্পস্তবকটি বের করে প্রকাশ্যে ছিঁড়ে ফেলে। ‘আমরা কোন দেশে বাস করছি? আওয়ামী লীগের প্রধানমন্ত্রী সম্রাজ্ঞী হিসেবে আছেন এবং তারা যাকে খুশি গ্রেপ্তার করতে পারে এবং তাদের বিরুদ্ধে মামলা করে জেলে রাখতে পারে।’
তিনি বলেন, সরকার তার পুতুল রাষ্ট্রযন্ত্রের মদদে নিজস্ব ও ডামি প্রার্থী দিয়ে উদ্ভট নির্বাচন করতে যাচ্ছে।
তিনি দেশের ভোটারদের একতরফা নির্বাচন বর্জন এবং তা প্রতিহত করার আহ্বান জানান।
ইসির আন্দোলন বন্ধ করতে চাওয়া নজিরবিহীন ও গণবিরোধী: রিজভী
১৮ ডিসেম্বর থেকে ৭ জানুয়ারির মধ্যে রাজনৈতিক সমাবেশ নিষিদ্ধ করতে অনুরোধ জানিয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে নির্বাচন কমিশনের চিঠি পাঠানোর সিদ্ধান্ত 'নজিরবিহীন ও গণবিরোধী বলে অভিহিত করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
চিঠির নিন্দা জানিয়ে রিজভী বলেন, 'আওয়ামী লীগের অধীনস্থ ও বিতর্কিত রাষ্ট্রীয় প্রতিষ্ঠানে পরিণত হওয়া নির্বাচন কমিশন সম্প্রতি নজিরবিহীন ও গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।’
আগামী ১৮ ডিসেম্বর থেকে নির্বাচনের দিন পর্যন্ত নির্বাচনী প্রচারণা ব্যতীত অন্য কোনো রাজনৈতিক কর্মসূচি বা সমাবেশের অনুমতি না দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়কে অনুরোধ করেছে নির্বাচন কমিশন (ইসি)।
মঙ্গলবার (১২ ডিসেম্বর) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিবের কাছে পাঠানো এক চিঠিতে এ অনুরোধ জানানো হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) এর প্রতিক্রিয়ায় রিজভীর সই করা এক বিবৃতিতে এ কথা জানায় বিএনপি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, পক্ষপাতদুষ্ট ও অযোগ্য নির্বাচন কমিশন আসন ভাগাভাগির মাধ্যমে ২০২৪ সালের ৭ জানুয়ারি ‘ডামি’ নির্বাচন আয়োজনের গণবিরোধী সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
রিজভী বলেন, নির্বাচন কমিশনের প্রতি কেন ব্যাপক অবিশ্বাস রয়েছে এবং কেন লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড তৈরি করা বা এর অধীনে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করা সম্ভব হচ্ছে না, তা এখন স্পষ্ট হয়েছে।
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বিএনপির
বিবৃতিতে তিনি বলেন, জনগণের মুক্ত ও স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষাকে দমন করার জন্য দুঃশাসন, দুর্নীতি ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের অসহনীয় মূল্যবৃদ্ধির মধ্যে গণতন্ত্রপন্থী সকল শক্তি এই অন্যায্য পদক্ষেপের নিন্দা জানাচ্ছে।
এর আগে মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্দেশনা মেনে রাজনৈতিক দলগুলোকে নিবন্ধন ও ভুয়া সংগঠনগুলোকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে।
রিজভী বলেন, 'তথাকথিত' রাজনৈতিক দল তৈরি করে এবং দেশি-বিদেশি নির্বাচন পর্যবেক্ষক নিয়োগ দিয়ে আওয়ামী লীগ ও নির্বাচন কমিশনের প্রতারণার চেষ্টা জাতির সামনে উন্মোচিত হয়েছে।
এর আগে মেরুদণ্ডহীন নির্বাচন কমিশন ফ্যাসিবাদী সরকারের নির্দেশনা মেনে রাজনৈতিক দলগুলোর নিবন্ধন ও ভুয়া সংগঠনগুলোকে নির্বাচন পর্যবেক্ষক হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে বলেও অভিযোগ করেন রিজভী।
আরও পড়ুন: অবশেষে চিকিৎসার জন্য ভারতে গেলেন বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন
বিএনপির চলমান 'শান্তিপূর্ণ ও অহিংস' আন্দোলনকে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের সংগ্রাম আখ্যায়িত করে রিজভী কমিশনের সিদ্ধান্ত প্রত্যাহারের আহ্বান জানান।
তিনি বলেন,‘রাজনৈতিক কর্মসূচি বন্ধের নতুন প্রচেষ্টায় আমরা উদ্বেগ ও নিন্দা জানাচ্ছি। গণতান্ত্রিক মত প্রকাশের অধিকার খর্ব করার এই অশুভ উদ্যোগ বাংলাদেশে চলমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও কূটনৈতিক সংকটকে আরও তীব্র করে তুলবে।’
নির্বাচনে অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকা যেকোনো ব্যক্তি বা দলের গণতান্ত্রিক অধিকার হলেও বিএনপি নির্বাচনে অংশগ্রহণের বিরোধী নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, অবাধ, সুষ্ঠু, অংশগ্রহণমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন হলে বিএনপির নিরঙ্কুশ বিজয় অনিবার্য।’
রিজভী বলেন, গণতন্ত্রকামী সব রাজনৈতিক দলের অংশগ্রহণে বিএনপি একযোগে আন্দোলন করছে।
তিনি বলেন, জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন ঘটাতে বিএনপিসহ ৬৩টি রাজনৈতিক দল নির্বাচন বর্জন করেছে।
১২ কোটি ভোটারের ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারের মাধ্যমে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ ও নির্দলীয় সরকারের অধীনে নির্বাচনের দাবিতে আমাদের শান্তিপূর্ণ ও ঐক্যবদ্ধ আন্দোলন অব্যাহত থাকবে এবং আরও জোরদার হবে।
আরও পড়ুন: ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে সরকার: ড. মঈন খান
৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে সরকার: ড. মঈন খান
বিএনপির সিনিয়র নেতা ড. আবদুল মঈন খান বলেছেন, ভোটের আগে আসন বণ্টনের মাধ্যমে সরকার ৭ জানুয়ারির নির্বাচনের ফলাফল নির্ধারণ করছে।
তিনি বলেন, ‘জানুয়ারিতে নির্ধারিত নির্বাচনটি কোনো নির্বাচনই হতে পারে না। কারণ খোলাখুলিভাবে ভোট ও আসন ভাগাভাগি চলছে। এই নির্বাচনের ফলাফল ঢাকায় (সরকার দ্বারা) নির্ধারণ করা হচ্ছে। এখন যা হচ্ছে তা নির্বাচন না, সুবিধাভোগীদের মধ্যে সুবিধা বিতরণের মতো কিছু একটা।’
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।
এসময় আবদুল মঈন খান বলেন, সরকার আসন বণ্টনের এমন নির্বাচন করে জাতির ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন করছে।
তিনি বলেন, নির্বাচন কমিশন (ইসি) এখন রাজধানীতে সরকারের ঠিক করা ফলাফল ৭ জানুয়ারি ঘোষণা করবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘তাই বাংলাদেশের ১৮ কোটি মানুষের কাছে আজ স্পষ্ট হয়ে গেছে যে ৭ জানুয়ারি কোনো নির্বাচন হবে না।’
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের হাতে আলাদিনের বাতি আছে: রিজভী
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ড. আবদুল মঈন খানসহ দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা।
এসময় ড. মঈন বলেন, ‘বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আমরা সরকারের কাছে সংঘাতের পথ ত্যাগ করার আহ্বান জানাই। এদেশের মানুষ শান্তি ভালোবাসে এবং তারা শান্তিতে থাকতে চায়... শান্তিপূর্ণভাবে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটাতে সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য পদত্যাগ করুন।’
তিনি বলেন, বিএনপি দীর্ঘদিন ধরে রাজপথে আছে এবং জনগণের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে না দেওয়া পর্যন্ত থাকবে।
দেশ স্বাধীনের ৫০ বছরের বেশি সময় পার হলেও আওয়ামী লীগ শাসনামলে একদলীয় শাসন প্রতিষ্ঠিত হওয়ায় জনগণের বাকস্বাধীনতা, ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার নেই বলে দুঃখ প্রকাশ করেন বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, ‘মানুষ (বিএনপির) এখন নিজেদের ঘরে থাকতে পারে না, ভিন্নমত প্রকাশ করতে পারে না। সবাইকে এখন বাকশালের (একদলীয় সরকার) পক্ষে কথা বলতে হবে।’
এই বিএনপি নেতা বলেন, যারা একদলীয় সরকারের বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলে, তারা গুম, রাজনৈতিক হত্যা এবং দমন-নিপীড়নের শিকার হচ্ছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীদের ‘পক্ষপাতদুষ্ট’ বিচারকের মাধ্যমে শাস্তি দিচ্ছে সরকার: রিজভী
তিনি বলেন, সরকার বুলেট, টিয়ারগ্যাস ও সাউন্ড গ্রেনেড দিয়ে জনগণকে আটকানোর চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু গত দেড় বছর ধরে বিএনপি যেভাবে একদলীয় সরকারের বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক ও শান্তিপূর্ণভাবে প্রতিবাদ জানাচ্ছে, তা তারা অব্যাহত রাখবে।
ড. মঈন বলেন, ‘আমরা চাই বাংলাদেশে এই রাজনৈতিক সংঘাত শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হোক। সরকার দাবি করে তারা ব্যাপক উন্নয়ন করেছে, তাহলে তারা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে ভয় পাচ্ছে কেন?’
এসময় তিনি সরকারের প্রতি বিধিনিষেধ ও দমন-পীড়নের পথ ছেড়ে জনগণের মুখোমুখি হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘সব মৌলিক অধিকার ফিরিয়ে আনুন এবং একটি সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন করুন। সুষ্ঠু নির্বাচনে জয়ী হলে আমিই সবার আগে আপনাদের অভিনন্দন জানাব। কিন্তু বাস্তবতা হলো, আপনারা দেশের জনগণকে এবং সুষ্ঠু নির্বাচনকে ভয় পান।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা-কর্মীরা কারাগারে নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন: রিজভী
অবশেষে চিকিৎসার জন্য ভারতে গেলেন বিএনপি নেতা হাফিজ উদ্দিন
বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান মেজর (অবসরপ্রাপ্ত) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ চিকিৎসার জন্য ভারতে গেছেন।
বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য জানান।
তিনি বলেন, দুপুর আড়াইটার দিকে এয়ার ইন্ডিয়ার একটি ফ্লাইটে তিনি হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ত্যাগ করেছেন।
শনিবার দিল্লির ফোর্টিস হাসপাতালে বিএনপি নেতার হাঁটুর অস্ত্রোপচার হওয়ার কথা রয়েছে বলেও জানান শায়রুল কবির।
হাফিজ ও তার স্ত্রী দিলারা হাফিজের গত মঙ্গলবার দিল্লি যাওয়ার কথা ছিল। হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ হাফিজকে ভারতে যেতে বাধা দিলেও তার স্ত্রীকে সেখানে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতাসীন দলের এমপি-মন্ত্রীদের হাতে আলাদিনের বাতি আছে: রিজভী
হাফিজ উদ্দিনের বিদেশ যাত্রায় বাধা দেওয়ার বিরুদ্ধে বুধবার (১৩ নভেম্বর) হাইকোর্টে রিট দায়ের করা হয়। এদিকে আজ তিনি দিল্লি গেছেন।
তফসিল ঘোষণার আগে তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ সাংবাদিকদের বলেছিলেন, হাফিজ উদ্দিনসহ অনেক নেতা বিএনপি ছেড়ে নতুন দলে যোগ দেবেন।
পরে গত ৮ নভেম্বর বনানীর বাসায় এক সংবাদ সম্মেলনে হাফিজ উদ্দিন বলেন, তিনি শিগগিরই রাজনীতি থেকে অবসর নেবেন এবং বিএনপিকে বিভক্ত করে নতুন দল গঠনের জল্পনা উড়িয়ে দেন।
তিনি সংবাদ সম্মেলনে বলেন, 'আমি শারীরিকভাবে সক্রিয় রাজনীতিতে অংশ নিতে পারি না। আমি শিগগিরই অবসর নেব... এখন আমার অগ্রাধিকার আমার স্বাস্থ্য। এটা সত্য নয় যে আমি একটি নতুন রাজনৈতিক দল গঠন করব। আমি এই মুহূর্তে রাজনীতিতে সক্রিয় নই। বিএনপি নির্বাচনে অংশ নিলে আমি অংশ নেব। আমি এখনো বিএনপির সঙ্গে আছি এবং দলের সঙ্গেই থাকব।’
আরও পড়ুন: শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বিএনপির
শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন বিএনপির
শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) রাজধানীর মিরপুরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিসৌধে ফুল দিয়ে শহীদ বুদ্ধিজীবীদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিএনপি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খানসহ দলের কয়েকজন জ্যেষ্ঠ নেতা শহীদদের সমাধিতে ফুল দেন এবং দেশের জন্য প্রাণ দেওয়া মহান জাতীয় বীরদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কিছুক্ষণ নীরবতা পালন করেন।
এ সময় বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন, যুগ্ম মহাসচিব মাহবুবউদ্দিন খোকন, কেন্দ্রীয় নেতা আব্দুল হাই সিকদার, মোস্তাফিজুর রহমান বাবুল, তাইফুল ইসলাম টিপু, রফিক শিকদার, আবেদ রেজা, কাদের গণি চৌধুরী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এ উপলক্ষে সকালে বিএনপি জাতীয় পতাকা অর্ধনমিত রাখে এবং সব কার্যালয়ে কালো পতাকা উত্তোলন করে।
তবে বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কলাপসিবল গেট এখনও বাইরে থেকে তালাবদ্ধ থাকায় দলের নেতা-কর্মীদের দলীয় কার্যালয়ে আসতে দেখা যায়নি।
২৮ অক্টোবরের জনসভাকে কেন্দ্র করে ঘটা সহিংসতার জেরে বিএনপির কার্যালয় বন্ধ করে দেওয়া হয়।
এদিকে, দিবসটি উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভার আয়োজন করে বিএনপিপন্থী পেশাজীবীদের সংগঠন বাংলাদেশ স্মৃতি পেশাজীবী পরিষদ।
শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, অন্যান্য পেশাজীবী ও বিএনপি নেতা-কর্মীদের অংশগ্রহণে প্রধান অতিথির বক্তব্য রাখেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান।
১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর রাতে ঢাকায় শিক্ষাবিদ, সাংবাদিক, সাহিত্যিক, লেখক, চিকিৎসক, বিজ্ঞানী, আইনজীবী, শিল্পী, দার্শনিক ও রাজনৈতিক চিন্তাবিদসহ দুই শতাধিক বুদ্ধিজীবীকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী তাদের স্থানীয় সহযোগীদের সহায়তায় ঢাকায় তুলে নিয়ে যায়।