বিএনপি
জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিলেন তারেক রহমান
জামায়াতে ইসলামীর আমির ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি গুলশানের ইউনাইটেড হাসপাতালে বাইপাস সার্জারির পর বর্তমানে সেরে উঠছেন।
রবিবার (৩ আগস্ট) তারেক রহমানের পক্ষ থেকে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শাহিদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি ও হাবিব-উন-নবী খান সোহেল জামায়াত আমিরের খোঁজখবর নিতে হাসপাতাল পরিদর্শনে যান।
বিএনপি নেতারা সেখানে উপস্থিত চিকিৎসক এবং জামায়াতের শীর্ষ নেতাদের সঙ্গেও কথা বলেন।
পড়ুন: এনসিপি: ‘মেরুদণ্ডহীন’ ইসি, গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় না ফিরলে নির্বাচন বয়কট
হাসপাতাল পরিদর্শনের পর এ্যানি সাংবাদিকদের বলেন, “আমরা আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে জামায়াত আমিরের শারীরিক অবস্থার খোঁজ নিতে এসেছি।”
সৌজন্য স্বরূপ তারেক রহমানের পক্ষ থেকে পাঠানো ফুলের তোড়া জামায়াতের সহকারী মহাসচিব এহসানুল মাহবুব জুবায়েরের হাতে তুলে দেওয়া হয় এবং আমিরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করা হয়।
গত শনিবার ইউনাইটেড হাসপাতালে ড. শফিকুর রহমানের সফল করোনারি আর্টারি বাইপাস সার্জারি সম্পন্ন হয়।
১৪৭ দিন আগে
শাহবাগে ছাত্রদলের সমাবেশ চলছে
বিপুল জনসমাগমের মধ্য দিয়ে রাজধানীর শাহবাগে ছাত্রদলের সমাবেশ চলছে। জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বার্ষিকী উপলক্ষে রবিবার (৩ আগস্ট) বিকেল ৩টা ১৬ মিনিটে পবিত্র কোরআন তিলাওয়াতের মাধ্যমে সমাবেশের আনুষ্ঠানিক সূচনা হয়।
এরপর বক্তব্য দেন ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘ছাত্রদলকে রুখে দেওয়ার ক্ষমতা বাংলাদেশে কারও নেই।’
রাকিবুল ইসলাম আরও বলেন, ‘দেশকে যারা অস্থিতিশীল করতে চায়, ছাত্রদল চাইলে সেই ষড়যন্ত্রকারীদের বিষদাঁত উপড়ে ফেলতে পারে। ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান যদি নির্দেশনা দেন, নেতাকর্মীরা সারা দেশ অবরোধ করে দিতে পারে।’
সমাবেশে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের শীর্ষ নেতারা বক্তব্য দেওয়ার কথা রয়েছে। ছাত্রদলের সাংগঠনিক অভিভাবক তারেক রহমান বিকেল ৩টা ১৪ মিনিটে ভার্চুয়ালি সমাবেশে যুক্ত হন।
ঢাকার বাইরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আসা শিক্ষার্থীদের সঙ্গে জুলাই-আগস্ট আন্দোলনে নিহত ছাত্রদলের নেতাকর্মীদের পরিবার-পরিজনেরাও এ সমাবেশে অংশ নিয়েছেন। সকাল থেকেই হাজার হাজার নেতাকর্মী শাহবাগে জড়ো হতে শুরু করেন।
সমাবেশের জন্য শাহবাগ মোড়ে একটি মঞ্চ তৈরি করা হয়েছে এবং চারদিকে মাইক বসানো হয়েছে। মৎস্য ভবন থেকে কাঁটাবন পর্যন্ত পুরো সড়ক নেতাকর্মীদের উপস্থিতিতে পূর্ণ হয়ে গেছে। সমাবেশ পর্যবেক্ষণের সুবিধার্থে বেশ কয়েকটি বড় পর্দা ও প্রজেক্টর বসানো হয়েছে।
ছাত্রদল নেতারা জানিয়েছেন, আজিজ সুপার মার্কেট ও পিজি হাসপাতালের মাঝের গলি দিয়ে অ্যাম্বুলেন্সসহ জরুরি যানবাহন চলাচলের ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। তবে কোনো ছাত্রদল নেতাকর্মী বহনকারী যানবাহনকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
সমাবেশে অংশগ্রহণকারীদের ব্যক্তিগত মিছিল বা শোডাউন না আনার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। অনুষ্ঠান শেষে প্রতিটি ইউনিটকে নিজ নিজ অবস্থান পরিষ্কার করে তবেই এলাকা ত্যাগ করতে বলা হয়েছে। সমাবেশস্থলে প্রয়োজনে চিকিৎসাসেবা দিতে ১০টি মেডিকেল সেন্টার স্থাপন করা হয়েছে।
ছাত্রদল নেতাকর্মীদের ভিড়ে শাহবাগের আশপাশের সড়কে তীব্র যানজট দেখা দিয়েছে। সমাবেশ উপলক্ষে সকাল থেকেই শাহবাগ, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও মৎস্য ভবন এলাকার সড়কে যান চলাচল বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ।
১৪৭ দিন আগে
সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণে বিএনপির পর্যালোচনা কমিটি
নির্বাচন কমিশনের চলমান সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ কার্যক্রমের প্রেক্ষাপটে বিএনপি এ বিষয়ে পর্যালোচনা ও দলের অবস্থান নির্ধারণে পাঁচ সদস্যের একটি কমিটি গঠন করেছে।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভীর স্বাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ কমিটি ঘোষণা করা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খানকে কমিটির আহ্বায়ক করা হয়েছে।
কমিটির অন্যান্য সদস্য হলেন— বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, নির্বাচন কমিশনের সাবেক ভারপ্রাপ্ত সচিব মো. জাকারিয়া, সাবেক উপসচিব শামসুল আলম এবং বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন মৃধা।
কমিটি নির্বাচন কমিশনের আসনসীমা-সংক্রান্ত সর্বশেষ সিদ্ধান্ত পর্যালোচনা করবে এবং দলকে প্রাসঙ্গিক সুপারিশ দেবে।
১৪৭ দিন আগে
শাহবাগের সমাবেশে দলে দলে জড়ো হচ্ছে ছাত্রদল
বিএনপির ছাত্রসংগঠন জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের (ছাত্রদল) হাজার হাজার নেতাকর্মী সকাল থেকেই রাজধানীর শাহবাগ এলাকায় ছাত্রসমাবেশে যোগ দিতে জড়ো হতে শুরু করেছেন।
জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে এই সমাবেশে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা শাহবাগে জড়ো হচ্ছেন।
সমাবেশটি শুরু হওয়ার কথা রয়েছে বিকেল ২টা ৩০ মিনিটে, পবিত্র কোরআন থেকে তেলাওয়াতের মাধ্যমে। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান, মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ শীর্ষ নেতারা এই সমাবেশে ভাষণ দেবেন।
শাহবাগ মোড় ও আশপাশের সড়কগুলো এখন ছাত্রদলকর্মীদের উপস্থিতিতে সরগরম, যার কারণে ওই এলাকায় যান চলাচলে বিঘ্ন ঘটছে। ছাত্রদল ইতিমধ্যে শাহবাগ মোড়ে একটি বড় মঞ্চ স্থাপন করেছে এবং সমাবেশের জন্য লাউডস্পিকার বসিয়েছে।
স্থানটিতে কয়েকটি প্রজেক্টর ও বড় স্ক্রিনও বসানো হয়েছে। সমাবেশে আগতদের প্রাথমিক চিকিৎসাসেবা দিতে একটি মেডিকেল বুথ স্থাপন করা হয়েছে।
এর আগে বুধবার ছাত্রদল কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পূর্বনির্ধারিত সমাবেশটি শাহবাগে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত নেয়, যদিও তারা শহীদ মিনারে সমাবেশের জন্য পূর্বেই অনুমতি পেয়েছিল।
আরও পড়ুন: যেসব সড়কে আজ যান চলাচল সীমিত থাকবে
১৪৮ দিন আগে
গণতান্ত্রিক উত্তরণ বিলম্বিত হলে জনগণ আবার ফুঁসে উঠতে পারে: ড. মঈন খান
গণতন্ত্রের উত্তরণ আরও বিলম্বিত হলে বাংলাদেশের জনগণ আবার জেগে উঠতে পারে বলে অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক করে দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নেতা ড. আব্দুল মঈন খান।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীতে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মঈন বলেন, ‘আমি অন্তর্বর্তী সরকারকে অনুরোধ করছি, দয়া করে গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ দীর্ঘায়িত করবেন না। যদি আপনি তা করেন, তাহলে বাংলাদেশের জনগণ আবার জেগে উঠবে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা ড. মঈন বলেন, ১৯৭১ সালে বাংলাদেশের জনগণ স্বাধীনতার জন্য লড়াই করেছিল, কারণ তারা বুঝতে পেরেছিল যে পাকিস্তানের শাসনামলে গণতন্ত্র কখনও বিকশিত হতে পারবে না।
বাংলাদেশের জনগণ এবং গণতন্ত্রপন্থী রাজনৈতিক দলগুলো গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য গত পনের থেকে ষোল বছর ধরে সংগ্রাম করে আসছে বলেও সরকারকে স্মরণ করিয়ে দেনে বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘সেই প্রত্যাশা কি পূরণ হয়েছে? না... গত এক বছরেও হয়নি। কেন নয়? আমরা অতীতে এমন উদাহরণ দেখেছি যেখানে ৯০ দিনের মধ্যে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছে। আমাদের চোখের সামনে সেই নজির রয়েছে।’
ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) মিলনায়তনে ‘ফিরে দেখা রক্তাক্ত জুলাই-আগস্ট: প্রত্যাশা এবং বাস্তবতা’ শীর্ষক আলোচনার আয়োজন করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।
এক বছর পরও কেন দেশ তার গণতান্ত্রিক উত্তরণে এগিয়ে যেতে পারেনি—এমন প্রশ্নও তোলেন ড. মঈন।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রায়শই ভয় পাই যে এই নতুন ব্যবস্থা স্থায়ী ব্যবস্থায় পরিণত হতে পারে কিনা। আমরা পরিবর্তন চাই, কিন্তু সমস্ত পরিবর্তনই প্রকৃত পরিবর্তন নয়। ১/১১-এর সময়, আমরা ঢাকা জুড়ে ব্যানার এবং ফেস্টুন দেখেছি যাতে সবকিছু পরিবর্তন করার, সবকিছু পুনর্গঠনের আহ্বান জানানো হয়েছে। কিন্তু বিশ্বের সবকিছু পরিবর্তন করা যায় না বা করা উচিত নয়।’
বিএনপি নেতা বলেন, যখন অনেকে পরিবর্তনের কথা বলেন, তখন পরিবর্তনের জন্য এটি পরিবর্তন করা উচিত নয়।
তিনি আরও বলেন, ‘যখন আমরা সংস্কারের কথা বলি, তখন আমি বলি সংস্কারগুলো ভাসাভাসা হওয়া উচিত নয়। বাহ্যিক পরিবর্তন ১৮ কোটি মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করবে না। আপনি সংবিধানের কয়েকটি লাইন সংশোধন করতে পারেন - এমনকি পুরো দলিলটিও পুনর্লিখন করতে পারেন—তবে এটি কোনো কাজে আসবে না, যদি না এই দেশ পরিচালনাকারী মানুষের হৃদয় পরিবর্তন হয়।’
পড়ুন: বিষাক্ত রাজনীতি এড়াতে দলগুলোর পারস্পরিক বোঝাপড়ার আহ্বান ফখরুলের
১৪৮ দিন আগে
লন্ডন বৈঠকের ঘোষণা অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন দিতে হবে: মুরাদ
ঢাকা জেলা যুবদলের সভাপতি ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের লন্ডন বৈঠকের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন দিতে হবে।
শনিবার (২ আগস্ট) ঢাকার ধামরাই উপজেলার সুতিপাড়া ইউনিয়নের ৪ নম্বর ওয়ার্ডে বালিথা চেয়ারম্যানবাড়ির সামনে আয়োজিত মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
সভায় ইউপি চেয়ারম্যান ও ধামরাই উপজেলা যুবদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রমিজুর রহমান চৌধুরী রুমার সভাপতিত্বে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাকা জেলা মহিলা দলের আহ্বায়ক সাবিনা ইয়াসমিন, বিএনপি নেতা বর রহমান, হাফিজুর রহমান, ছাত্রদলের ইবাদুল হক জাহিদ, ইসমাইল হোসেন সুমন, স্বেচ্ছাসেবকদলের শাহজাহান হোসেন শিপু, যুবদলের এসএম জামান ও সাবেক ছাত্রদল নেতা মোশাররফ হোসেন প্রমুখ।
ইয়াছিন ফেরদৌস মুরাদ বলেন, স্বৈরাচার হাসিনা সরকার গণতন্ত্র হত্যা করে মানুষের ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়েছে। সংবিধান থেকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা বাতিল করে বাংলাদেশের গণতন্ত্রকে নির্বাসনে পাঠিয়েছিল। গত ১৬ বছরে দেশে কোনো সুষ্ঠু নির্বাচন হয়নি। স্বৈরাচারের পতনের পর মানুষ ভোট দেওয়ার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে। সরকারকে নির্বাচন দিয়ে মানুষের ভোটাধিকার প্রয়োগের সুযোগ দিতে হবে। লন্ডন বৈঠকের ঘোষণা অনুযায়ী আগামী ফেব্রুয়ারি মাসে নির্বাচন দিতে হবে।
তিনি আরও বলেন, স্বৈরাচারের দোসররা এখনও রাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বসে দেশ ও জনগণের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করে যাচ্ছে। এই ষড়যন্ত্রকারীদের বিরুদ্ধে ঐক্যবদ্ধ থেকে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।
১৪৮ দিন আগে
বিএনপি বিজয়ী হলে ফ্যাসিবাদবিরোধীদের নিয়ে জাতীয় সরকার হবে: নজরুল ইসলাম
আগামী জাতীয় নির্বাচনে বিএনপি বিজয়ী হলে স্বৈরাচার ও ফ্যাসিবাদবিরোধী সব পক্ষকে নিয়ে একটি জাতীয় বা ঐকমত্যের সরকার গঠন করা হবে বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। এ সময় তিনি ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্যের ওপর জোর দেন।
শনিবার (২ আগস্ট) রাজধানীর এফডিসিতে ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য ও জুলাই চেতনা নিয়ে একটি ছায়া সংসদ বিতর্ক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১৬ বছরের অব্যাহত প্রচেষ্টার ফলেই সংঘটিত হয়েছে জুলাই অভ্যুত্থান। আমরা বারবার লড়াই করে বিজয়ী হলেও সেই বিজয় ছিনিয়ে নেওয়া হয়েছে।
পড়ুন: গণঅভ্যুত্থানের আকাঙ্ক্ষার রূপকল্প হচ্ছে জুলাই ঘোষণাপত্র: তথ্য উপদেষ্টা
‘চব্বিশের গণঅভ্যুত্থানের বীর সেনানীদের সবাইকে আমাদের ধারণ করতে হবে। এরাই রক্ত দিয়ে, জীবন দিয়ে আমাদের দীর্ঘদিনের আকাঙ্ক্ষা বাস্তবায়নের সুযোগ করে দিয়েছেন।’
‘দুর্নীতি-অনাচার থেকে যদি আমরা জাতিকে রক্ষা করতে না পারি, তাহলে আমাদের সব অর্জন ব্যর্থ হয়ে যাবে। এজন্য অবশ্যই আমাদের ফ্যাসিবাদবিরোধী ঐক্য প্রয়োজন—যে ঐক্য জুলাইয়ের চেতনাকে সমুন্নত রাখবে,’ যোগ করেন তিনি।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, আমরা নির্বাচিত হলে, আমাদের সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলনে যারা ছিলেন—স্বৈরাচারবিরোধী, ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে যারা ছিলেন—তাদের সবাইকে নিয়ে একটি জাতীয় সরকার বা ঐক্যমতের সরকার গঠন করা হবে। পতিত আওয়ামী লীগ এখনো দেশকে অস্থিতিশীল করার চক্রান্ত করছে। এ বিষয়ে সবাইকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন থাকতে হবে।
“বিএনপি, জামায়াত ও এনসিপিসহ অন্যান্য দলগুলোর মধ্যে দূরত্ব যতই থাকুক না কেন, এরা কেউই অগণতান্ত্রিক দল নয়। সবাই গণতান্ত্রিক দল। কাজেই নির্বাচনের ব্যাপারে কারো কোনো বাধা আছে বলে আমি মনে করি না। নির্বাচনের প্রস্তুতি ও জনগণের আকাঙ্ক্ষা সবই নির্বাচনের পক্ষে আছে। তাই আমরা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন চাই,” বলেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।
‘ডিবেট ফর ডেমোক্রেসি’ নামের একটি বিতার্কিক সংগঠন এই ছায়া সংসদের আয়োজন করে। এতে তেজগাঁও কলেজকে পরাজিত করে ইডেন মহিলা কলেজের বিতার্কিকরা বিজয়ী হন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সংগঠনটির চেয়ারম্যান হাসান আহমেদ চৌধুরী কিরণ।
১৪৮ দিন আগে
যুক্তরাষ্ট্রে রপ্তানি পণ্যে শুল্ক কমানো ‘সন্তোষজনক’: আমীর খসরু
বাংলাদেশি রপ্তানি পণ্যের ওপর যুক্তরাষ্ট্রের শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করাকে দেশের রপ্তানি খাতের জন্য একটি ‘সন্তোষজনক অগ্রগতি’ হিসেবে আখ্যায়িত করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক বাণিজ্যমন্ত্রী আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
শুক্রবার (১ আগস্ট) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, ‘আমরা জানতে পেরেছি, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কহার ২০ শতাংশ নির্ধারণ করেছে। প্রতিযোগী দেশগুলোর মধ্যে পাকিস্তানের হার ১৯ শতাংশ, ভিয়েতনামের ২০ শতাংশ এবং ভারতের ২৫ শতাংশ—এই প্রেক্ষাপটে ২০ শতাংশ শুল্ক হার সার্বিকভাবে সন্তোষজনক বলেই মনে করি।’
তবে তিনি বলেন, পুরো বিষয়টি মূল্যায়ন করতে হলে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে হওয়া আলোচনার পূর্ণাঙ্গ বিবরণ জানা দরকার। এই মুহূর্তে শুধু শুল্কহার জানানো হয়েছে, কিন্তু এই হার নির্ধারণের পেছনে কী শর্ত ছিল বা আমরা বিনিময়ে কী দিয়েছি—তা এখনও স্পষ্ট নয়।
আলোচনায় আরও কিছু বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটা শুধু শুল্ক কমানো নিয়ে নয়, বরং পুরো প্যাকেজ আলোচনার অংশ ছিল। যুক্তরাষ্ট্র কী পণ্য রপ্তানির সুযোগ চাইছে, কী শর্ত দিয়েছে—এসব তথ্য প্রকাশ পেলে পুরো পরিস্থিতি বোঝা সহজ হবে।’
সম্প্রতি বাণিজ্য সচিবের যুক্তরাষ্ট্র থেকে ২৫টি বোয়িং বিমান কেনার বিষয়ে দেওয়া মন্তব্য এই শুল্ক কমানোর সঙ্গে সম্পৃক্ত কিনা—এমন প্রশ্নে খসরু বলেন, ‘না, তবে কিছু একটা তো করতে হবে। যুক্তরাষ্ট্রের অতিরিক্ত শুল্ক আরোপের উদ্দেশ্যই ছিল তাদের রপ্তানিকে সুরক্ষা দেওয়া।’
পড়ুন: প্রতিযোগী দেশগুলোর সমান ২০ শতাংশ শুল্কহার অর্জন করেছে বাংলাদেশ
তিনি বলেন, দেশের অর্থনীতি ও ব্যবসায়ীদের কতটুকু চাপ সহ্য করার ক্ষমতা আছে, সেটাও চিন্তা করতে হবে। এই সিদ্ধান্তে আপাতত কিছুটা স্বস্তি আসতে পারে, তবে আমাদের সামগ্রিক বাণিজ্য ও অর্থনীতির ভারসাম্য বিবেচনায় রাখা জরুরি।
খসরু আরও বলেন, ‘এখন সময় এসেছে আমাদের রপ্তানি বাজার ও পণ্যের বৈচিত্র্য বাড়ানোর। কেবল যুক্তরাষ্ট্রের ওপর নির্ভর করে থাকলে চলবে না। নতুন নতুন বাজারে প্রবেশ ও পণ্য উদ্ভাবনে কাজ করতে হবে—এটাই আগামী দিনের সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ।’
এর আগে, শুক্রবার (১ আগস্ট) বাংলাদেশি পণ্যের ওপর শুল্কহার ৩৫ শতাংশ থেকে কমিয়ে ২০ শতাংশ নির্ধারণ করা হয়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্রের তৃতীয় দফার শুল্ক আলোচনা শেষ হওয়ার পর হোয়াইট হাউস থেকে দেওয়া এক বিবৃতিতে এ তথ্য জানানো হয়।
১৪৯ দিন আগে
হাসপাতালে চিকিৎসাধীন সাংবাদিক নেতা কাদের গনিকে দেখতে গেলেন মঈন খান
জ্বর ও চিকনগুনিয়া রোগে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএফইউজে মহাসচিব ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব কাদের গনি চৌধুরীকে দেখতে পিজি হাসপাতালে গেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) তিনি হাসপাতালে যান।
এসময় বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুস সালাম আজাদ, বিএনপি মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খানসহ কর্তব্যরত চিকিৎসকরা উপস্থিত ছিলেন।
মঈন খান সাংবাদিক নেতা কাদের গনি চৌধুরীর শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন এবং চিকিৎসার বিষয়ে কর্তব্যরত চিকিৎসকদের সঙ্গে কথা বলেন।
সকালে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস ফোন করে পেশাজীবীদের এ নেতার শারীরিক অবস্থার খোঁজ খবর নেন।
এছাড়াও কাদের গনি চৌধুরীর অসুস্থতার কথা শুনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এজেডএম জাহিদ হোসেন, বিএনপির স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, সাবেক কেবেনেট সচিব আবদুল হালিম, সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ, জাতীয় প্রেস ক্লাবে সভাপতি ও কালের কন্ঠ সম্পাদক কবি হাসান হাফিজ ,যুগান্তর সম্পাদক কবি আবদুল হাই শিকদার, বাংলাদেশ মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ শাহিনুল আলম, প্রো-ভিসি অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ, অধ্যাপক ডা. মুজিবুর রহমান হাওলাদার, প্রক্টর ডা. শেখ ফরহাদ, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান, সাংবাদিক এলাহী নেওয়াজ সাজু, শহীদুল ইসলাম, খুরশীদ আলম, সৈয়দ আবদাল আহমদ, বাকের হোসাইন, একেএম মহসিন, আমিরুল ইসলাম কাগজী, আজম মীর, মোরসালিন নোমানী, শাহজান সাজু, সাখাওয়াত হোসেন বাদশা, রাশিদুল হক, সাঈদ খান, বাছির জামাল, বশির আহমেদ, খায়রুল বাশার, এরফানুল হক নাহিদ, জাহিদুল ইসলাম রনি, আবুল কালাম মানিক, রফিক মোহাম্মদ, দিদারুল আলম, কবি রফিক লিটন, মজুমদার তৌহিদ, তালুকদার রুমি, রাজু আহমেদ,সাংবাদিক মোদাব্বের হোসেন, ডা. দেলোয়ার হোসেন টিটু, ইঞ্জিনিয়ার সাখাওয়াত হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার আমিনুল ইসলাম,এমট্যাবের হাফিজুর রহমান,ডা: তানভীরুল ইসলাম ,সাংবাদিক নাসিম শিকদার,সাংবাদিক মাহমুদ হাসান,সাংবাদিক জিএম রাজিব হোসেন, সাংবাদিক শাহনাজ পলি, সাংবাদিক আল আমিন,সাংবাদিক সাইফুল ইসলামসাংবাদিক সাইদুর রহমান,সাংবাদিক রিয়েল রোমান, সাংবাদিক সাদ্দাম, সাংবাদিক জিয়াউর রহমান,সাংবাদিক মনিরুল ইসলাম,অধ্যাপক কেয়া চৌধুরী অধ্যাপক ড. নিজামুল হক ভূঁইয়া. শাকিল বিন মুশতাক, ইস্রাফিল মোল্লা, আলা উদ্দিন, সাংবাদিক সেকান্দর রেমান, নুর হোসেন কাইউম, ইঞ্জিনিয়ার হারুন উর রশীদসহ অসংখ্য সাংবাদিক ও পেশাজীবীরা দেখতে যান।
১৫০ দিন আগে
বিষাক্ত রাজনীতি এড়াতে দলগুলোর পারস্পরিক বোঝাপড়ার আহ্বান ফখরুলের
একে অন্যকে দোষারোপ করার সংস্কৃতি বাদ ও তিক্ততা এড়াতে রাজনৈতিক দলগুলোর পারস্পরিক বোঝাপড়ার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বৃহস্পতিবার (৩১ জুলাই) জাতীয় প্রেস ক্লাবের মিলনায়তনে জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক বোঝাপড়া থাকা উচিত। এখন আমরা আমরা কেবল একে অন্যকে দোষারোপ করার সংস্কৃতি দেখতে পাচ্ছি। গণতন্ত্রে কিছু দোষারোপ চলতেই পারে, কিছু কঠোর কথাবার্তাও হয়—কিন্তু এরও একটা সীমা থাকা দরকার। সীমা না মানলে তিক্ততা তৈরি হয়—যার ফলে ধীরে ধীরে রাজনীতির পরিবেশ আরও কলুষিত হয়ে উঠবে।
তিনি বলেন, দেশ এখন একটি সংকটময় সময় পার করছে। এ সময়ে সবাই মিলে দেশকে এগিয়ে নিতে রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া তৈরি হওয়া জরুরি। যদি আমরা সবাই মিলে, বোঝাপড়ার ভিত্তিতে এগিয়ে যেতে পারি, তাহলে তার উপকার পাবে দেশের মানুষ। তারা তাদের প্রতিনিধি ও একটি সঠিক সরকার পাবে। তিনি বলেন, এর মাধ্যমে সব সমস্যা মিটে যাবে, তা না। কিন্তু একটা রাস্তা তৈরি হবে, যে রাস্তার মধ্যদিয়ে আমাদের এবং জনগণের কথাগুলো সেই সরকারের কাছে পৌঁছাতে পারবে।
এরমধ্যেই রাজনৈতিক দলগুলো ১২টি মৌলিক বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছেছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘বাকি বিষয়গুলোতে ঐক্য তৈরির কাজ চলছে। প্রতিদিন কয়েক ঘণ্টা করে বৈঠক হচ্ছে। অনেকগুলো বিষয় আছে, যেগুলো আমরাও ঠিক বুঝি না, তারা করতে চান।
পড়ুন: নির্বাচন নির্ধারিত সময়েই হবে, একদিনও দেরি হবে না: শফিকুল আলম
বিএনপি মহাসচিব জাতীয় ঐকমত্য কমিশনকে জটিল বিষয়গুলো বাদ দিয়ে মূল অমীমাংসিত বিষয়গুলোর ওপর গুরুত্ব দিতে বলেন। এগুলোকে বাদ দিয়ে যে মৌলিক বিষয়গুলো আছে, সেই বিষয়গুলো সমাধান করে আমার মনে হয়, অতিদ্রুত লন্ডনের বৈঠক অনুযায়ী ফেব্রুয়ারি মাসের মধ্য নির্বাচনটা হওয়া দরকার।
তিনি বলেন, ‘যদি এটা সম্ভব হয়, তাহলে আমি বিশ্বাস করি, আমাদের অনেক সংশয় ও বিভ্রান্তি দূর হবে এবং আমরা একটি সুন্দর ভবিষ্যতের দিকে এগোতে পারব।’
ফখরুল হতাশা প্রকাশ করে বলেন, অর্ন্তবর্তী সরকার এখন পর্যন্ত গণঅভ্যুত্থানের সময় নিহত ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা কিংবা পুনর্বাসনের জন্য কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নেয়নি।
তিনি বলেন, ‘আজ যখন এক বোনের কথা শুনছিলাম, (যিনি তার স্বামীকে হারিয়েছেন) তখন মনে হলো—রাষ্ট্র বলতে আমরা কী বুঝি? রাষ্ট্র কার জন্য? যারা রাষ্ট্র চালাচ্ছেন, তারা কি একটি বছর পেরিয়ে যাওয়ার পরও এই মানুষগুলোকে খুঁজে পাননি? একটা সঠিক তালিকা তৈরি করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে পারেননি?’
আলোচনার এক পর্যায়ে গণঅভ্যুত্থানে আহত এক শিশুর প্রসঙ্গ টেনে আবেগপ্রবণ হন তিনি, ‘গতকাল (বুধবার) এক ছোট ছেলে—হয়তো ছয়-সাত বছরের—আমার কাছে এসে হঠাৎ জড়িয়ে ধরল। বলল, ‘আমার মাথা নাই।’ মানে, তার মাথায় গুলি লেগেছিল, পরে ডাক্তাররা অপারেশন করে একটা প্লাস্টিকের কৃত্রিম খুলি বসিয়েছেন। এর চেয়ে বড় ত্যাগ আর কী হতে পারে?’
তিনি বলেন, ‘যদি আমরা এই ত্যাগকে যথাযথভাবে সম্মান না জানাতে পারি—যদি এই শিশুদের, এই বোনদের, এই মায়েদের প্রতি সুবিচার না করি—তাহলে নিঃসন্দেহে আমরা জাতির সঙ্গে এক ভয়াবহ বিশ্বাসঘাতকতা করব।’
তবে বিএনপি নেতা আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা এখনো একটি সুন্দর ও উন্নত বাংলাদেশের দিকে এগোতে পারব।’
১৫০ দিন আগে