বিএনপি
উত্তরায় বিমান বিধ্বস্তে মির্জা ফখরুলের শোক
রাজধানীর উত্তরায় মাইলষ্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে আগুনে দগ্ধ হয়ে অসংখ্য অনেক শিক্ষার্থীর হতাহতের ঘটনায় গভীর শোক প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (২১ জুলাই) এক শোক বিবৃতিতে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘রাজধানীর উত্তরায় বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ বিমান বিধ্বস্ত হয়ে মাইলষ্টোন স্কুলের শিক্ষার্থীদের হতাহতের ঘটনা অত্যন্ত মর্মান্তিক ও বেদনাদায়ক। মর্মস্পর্শী ও হৃদয়বিদারক এই দুর্ঘটনায় শোক জানানোর ভাষা আমার জানা নেই। আমি নিহত ও আহতদের পরিবারের প্রতি গভীর সহমর্মিতা জ্ঞাপন করছি, আল্লাহ যেন তাদেরকে এই বিশাল শোক সহ্য করার ক্ষমতা দান করেন।
তিনি বলেন, ‘আমি বিমান দুর্ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত দাবি করছি। আমি বিমান দুর্ঘটনায় মৃত্যুবরণকারী শিক্ষার্থীদের বিদেহী আত্মার মাগফিরাত এবং যে সমস্ত শিক্ষার্থী আগুনে দগ্ধ হয়ে গুরুতর আহতাবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছে তাদের দ্রুত সুস্থতা কামনা করছি।’
১৬০ দিন আগে
রাজনীতিতে সমস্যা থাকবে, তবে হতাশ হওয়ার কিছু নেই: ফখরুল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে মতপার্থক্যের কারণে হতাশ হওয়ার কোনো যুক্তি নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তাদের দল বহুত্ববাদকে ধারণ করে একটি রেইনবো স্টেট গঠনের স্বপ্ন দেখে বলেও জানিয়েছেন তিনি।
রবিবার (২০ জুলাই) সকালে রাজধানীর শেরেবাংলা নগরে জিয়া উদ্যানে বৃক্ষরোপণ কর্মসূচির উদ্বোধনকালে এসব কথা বলেন বিএনপি মহাসচিব।
তিনি বলেন, এখানে একজন শহীদের পিতা আক্ষেপ প্রকাশ করে বলেছেন যে, আমরা আশা করেছিলাম গণঅভ্যুত্থানের পরে অতিদ্রুত রাজনৈতিক পরিস্থিতি শান্ত হবে, রাজনৈতিক কাঠামো তৈরি হবে, আমরা একটা নতুন বাংলাদেশে প্রবেশ করতে পারব।
‘বিষয়টা হচ্ছে যে, রাজনীতিটা অত সহজ পথ নয়, গোলাপের পাপড়ি ছড়ানো থাকে না, এখানেও সমস্যা থাকবে, সেটাই রাজনীতি। কিন্তু এতে হতাশ হওয়ার কিছু নেই।’
রাজনীতিতে বিএনপির অবস্থান নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, ভিন্নমত থাকবে, বহুমাত্রিক পথ থাকবে, কেউ গণতন্ত্রের বিশ্বাস করবে, কেউ সমাজতন্ত্রের বিশ্বাস করবে, কেউ আপনার ওয়েলফেয়ার স্টেটে বিশ্বাস করবে। সবগুলোকে মিলিয়ে সেই রকম একটা রাষ্ট্র নির্মাণ করা হবে, অনেক আগেই আমাদের দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া সেই স্বপ্ন দেখেছিলেন ‘
রাষ্ট্র সংস্কার নিয়ে বিএনপির দেওয়া অতীতের ৩১ দফা সংস্কার নিয়ে তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ৩১দফা দিয়েছেন, সেই দফার মধ্যে আজকে যে সংস্কারের প্রশ্নটা উঠেছে, সংস্কারের যে প্রস্তাবগুলো আসছে তার প্রত্যেকটি প্রস্তাব আমরা ২০২২ সালে দিয়েছি।’
জুলাই আন্দোলন পরবর্তী সময়ে দেশের রাজনীতি নিয়ে যে সংকট প্রকাশ্যে এসেছে, তাতে ‘হতাশ হওয়ার কিছু নেই বলেও জানান বিএনপির এই নেতা। উদ্ভূত সমস্ত সংকট এড়াতে অন্তর্বতীকালীন সরকার ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে ত্রয়োদশ সংসদ নির্বাচনের তারিখ দেবে বলেও প্রত্যাশা রেখেছেন তিনি।
জুলাই আন্দোলনে শহিদের সংখ্যা নিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, আমি সেই বিষয়গুলো নিয়ে তর্ক-বিতর্ক করতে চাই না। আমার কতজন শহীদ হয়েছেন, আমার কতজন নিহত হয়েছেন, আমরা কত ত্যাগ স্বীকার করেছি, কারা কী কাজ করেছি এই বিতর্কে আমি যেতে চাই না।
‘কারণ ওটা আমার কাছে মনে হয় স্বার্থপরতার একটা ব্যাপার আছে। আমার দায়িত্ব হচ্ছে এই জাতিকে আমাকে উপরে তুলতে হবে।যে প্রাণগুলো গেছে, যারা জীবন দিয়েছে তারা কিন্তু জীবন দিয়েছে ঘোষণা করেই দিয়েছে যে, আমরা ফ্যাসিস্টকে সরাবো, জাতিকে একটা স্বাধীন, গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রে পরিণত করতে চাই।’
সত্যিকার অর্থে একটি উদারপন্থি গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র হিসেবে বাংলাদেশকে গড়ে তোলার লক্ষ্য নিয়ে বিএনপি কাজ করছে বলে জানিয়েছেন ফখরুল। তিনি বলেন, ‘আমরা মানুষ যেন সুস্থভাবে স্বাধীনভাবে কমফোর্টেবল ওয়েতে স্বস্তির সঙ্গে যেন চলাফেরা করতে পারে সেই ধরণের একটা রাষ্ট্র চাই।
মির্জা ফখরুল আশা করেন, সরকার ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন দেওয়ার বিষয়ে যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, তা তারা রক্ষা করবে।
‘সেই নির্বাচনের মধ্য দিয়ে আমরা জনগণের একটা সরকার তৈরি করতে পারব। যে সরকার আমার এই শহিদদের মূল্যায়ন করবেন, তাদের মর্যাদা দেবেন, একই সঙ্গে যেজন্য সংগ্রাম করেছেন বাংলাদেশে একটা গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করবার সবরকম ব্যবস্থা গ্রহন করবে।’
এ সময়ে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব শহীদ উদ্দিন চৌধুরী এ্যানি, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থান, শোক ও বিজয়ের বর্ষপূর্তি পালন কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক মোর্শেদ হাসান খান, কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহীদুল ইসলাম বাবুলসহ চার শহিদের স্বজনরা বক্তব্য রাখেন।
অনুষ্ঠানে অবসরপ্রাপ্ত বিগ্রেডিয়ার জেনারেল একেএম শামসুল ইসলাম শামস, বাদলুর রহমান বাদল, সাইফ আলী খান, মোকছেদুল মোমিন মিথুন, জাহিদুল ইসলাম রনি, শফিকুল হক সাজু ও হাসনাইন নাহিয়ান সজীবসহ কৃষক দলের কেন্দ্রীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: হাসিনা কখনোই ক্ষমা পাবে না: মির্জা ফখরুল
১৬১ দিন আগে
হাসিনা কখনোই ক্ষমা পাবে না: মির্জা ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত হত্যাকাণ্ড ও বর্বরতার জন্য ক্ষমতাচ্যুত স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা কখনো ক্ষমা পাবেন না।
তাকে ‘মানবতার এবং সব মায়েদের প্রতি লজ্জা’ হিসেবে আখ্যায়িত করেন তিনি। ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান ২০২৪: জাতীয় ঐক্য ও গণতান্ত্রিক যাত্রা, চিরসবুজ স্মৃতিচারণ’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠানে ফখরুল এসব কথা বলেন।
জাতীয়তাবাদী কৃষক দল ও ‘আমরা বিএনপি পরিবার’ যৌথভাবে শের-ই-বাংলা নগরে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের কবরে এই কর্মসূচি আয়োজন করে, যেখানে জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে নিম গাছের চারা রোপণ করা হয়।
একজন শোকাহত মায়ের কান্নার কথা স্মরণ করে আন্দোলনে তার ছেলেকে হারানোর কথা উল্লেখ করে আবেগঘন ভাষণে বিএনপির এই মহাসচিব বলেন, ‘ওই মা তার ছেলের মাধ্যমে ভবিষ্যতের স্বপ্ন দেখেছিলেন। কিন্তু তার ছেলেকে প্রথমে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তারপর তাকে গুলি করে অন্যদের সঙ্গে তাকে ভ্যানে করে ফেলে দেওয়া হয়—সে জীবিত নাকি মৃত, তাও পরীক্ষা করা হয়নি। পরবর্তীতে আগুন দিয়ে এসব মরদেহ পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে। ভাবুন তো—আমরা স্বাধীন দেশের নাগরিক।’
আরও পড়ুন: হাসপাতালে জামায়াত আমিরকে দেখতে গেলেন ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদল
বিএনপি নেতা বলেন, তারা ১৯৭১ সালে স্বাধীন দেশের জন্য যুদ্ধ করেছিলেন।
‘এই দেশের পুলিশ ও প্রশাসন, যারা জনগণকে রক্ষা করার কথা ছিল, যাদের বেতন করদাতাদের টাকায় দেওয়া হয়, তারা আমাদের সন্তানদের পুড়িয়ে ও হত্যা করেছে। এর চেয়ে নির্মম ও নিষ্ঠুর কিছু হতে পারে?’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রথম কাজ হলো তাদের বিচারের মুখোমুখি আনা। দ্বিতীয়ত, শহীদ পরিবারের পুনর্বাসন করা। যারা আহত হয়েছেন এবং চোখ হারিয়েছেন, তাদের যথাযথ চিকিৎসা ও সহায়তা দিতে হবে। যদি আমরা ব্যর্থ হই, ভবিষ্যৎ প্রজন্ম আমাদের ক্ষমা করবে না।’
ফখরুল আরও জানান, বিএনপি আন্দোলনে নিহত ও আহতদের পরিবারগুলোর জন্য একটি তহবিল গঠন করবে।
তিনি বলেন, ‘আমি গতকাল (শনিবার) বলেছি, আজও বলছি—নির্বাচন হবে। ক্ষমতা পাওয়া যাবে কি না তা আলাদা বিষয়। আমরা আমাদের পার্টির পক্ষ থেকে একটি তহবিল গড়ে তুলব, এবং এই তহবিল থেকে আমরা যতটা সম্ভব এই পরিবারগুলোকে সহায়তা করব।’
ফখরুল বলেন, তিনি পার্টির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে তহবিল গঠনের বিষয়ে কথা বলবেন। যদিও ‘আমরা বিএনপি পরিবারের’ মাধ্যমে ইতিমধ্যে শহীদ ও আহতদের পরিবারকে সহায়তা করে আসছেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, তাদের দল শহীদদের ইচ্ছা অনুযায়ী একটি সত্যিকারের লিবারেল গণতান্ত্রিক নতুন বাংলাদেশ গড়তে চায়।
আরও পড়ুন: দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আমাদের লক্ষ্য একটি সত্যিকারের লিবারেল গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গঠন করা। আমরা নতুন বাংলাদেশ চাই। আমরা পরিবর্তন চাই। আমরা দুর্নীতি চাই না। আমরা ঘুষ চাই না। আমরা হত্যা চাই না। আমরা নির্যাতন চাই না। আমরা এমন একটি দেশ গড়তে চাই যেখানে মানুষ নিরাপদে, স্বাধীনভাবে ও শান্তিতে থাকতে পারে।’
১৬১ দিন আগে
হাসপাতালে জামায়াত আমিরকে দেখতে গেলেন ফখরুলের নেতৃত্বে বিএনপির প্রতিনিধিদল
রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে সাত দফা দাবিতে দলের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় হঠাৎ অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হওয়া জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন বিএনপির প্রতিনিধি দল।
শনিবার(১৯ জুলাই) রাত সাড়ে ৮টার দিকে রাজধানীর ধানমন্ডির ইবনে সিনা হাসপাতালে তাকে দেখতে যান বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে একটি প্রতিনিধি দল।
এসময় ফখরুলের সঙ্গে ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আবদুল মঈন খান। তারা ডা. শফিকুর রহমানের সঙ্গে কথা বলেন এবং তার শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন।
ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান জামায়াত আমিরের স্বাস্থ্যের বিষয়ে উদ্বিগ্ন ছিলেন এবং তার পক্ষ থেকে তাকে দেখতে যেতে বলেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘যেকোনো রাজনৈতিক নেতা অসুস্থ হলে তাকে দেখতে যাওয়া আমাদের রাজনৈতিক দায়িত্ব। এজন্যই আমরা এখানে জামায়াত আমিরের সঙ্গে দেখা করতে এসেছি।’
তিনি ডা. শফিকুরের দ্রুত সুস্থতা কামনা করে বলেন, ‘বর্তমান সংকটময় রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে জামায়াত আমিরের দ্রুত সুস্থতা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
সাক্ষাৎকালে জামায়াতের নায়েবে আমির ডা. সৈয়দ আবদুল্লাহ মোহাম্মদ তাহের ও সেক্রেটারি জেনারেল অধ্যাপক মিয়া গোলাম পরওয়ারও উপস্থিত ছিলেন।
এসময় জামায়াতের একজন নেতা বিএনপির প্রতিনিধিদলের প্রতি আন্তরিক কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন।
পড়ুন: দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল
সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে জামায়াতের জাতীয় সমাবেশে বক্তব্য দেওয়ার সময় অসুস্থ হয়ে পড়ার পর সন্ধ্যায় ডা. শফিকুর রহমানকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
দলের প্রেস উইং জানিয়েছে, ডা. শফিকুর রহমানের শারীরিক অবস্থা বর্তমানে স্থিতিশীল, তার রক্তচাপ এবং সুগারের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রয়েছে।
তার দ্রুত সুস্থতার জন্য দেশবাসীর কাছে দোয়া চেয়েছে জামায়াত।
১৬২ দিন আগে
নির্বাচন সামনে রেখে গুজব মোকাবিলা কঠিন হয়ে পড়বে: সালাহউদ্দিন আহমদ
আগামী জাতীয় নির্বাচন সামনে রেখে মিথ্যা তথ্য ও গুজব মোকাবিলা কঠিন হয়ে পড়বে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। শনিবার (১৯ জুলাই) বনানীতে এক সেমিনারে তিনি এ মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংস্কার নিয়ে আমাদের বিরুদ্ধে একটা অপপ্রচার রয়েছে। এটাকে গুজব বলব কিনা জানি না। বিষয়টা ঠিক উল্টো। আমরাই সবসময় ছাড় দিয়ে বিভিন্ন আইন সহায়তা করে, যেগুলো বাস্তবায়ন করা সম্ভব, সেগুলো এক জায়গায় করে একটা সমাধান দিচ্ছি। আমরা সমাধানের কথাই বলছি।’
‘যারা গণঅভ্যুত্থানের শক্তিকে দূষিত করে, অপমানিত করে, বাংলাদেশে বিভিন্ন ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে—সেটার শেষ ফল হচ্ছে, আমরা আমাদের গণতান্ত্রিক লড়াইয়ের ইতিহাসকে অপমানিত করছি। আর আমরা যদি এমনটা করি, তাহলে জয়ী হয় ফ্যাসিবাদের সময়টা ও তাদের ভূমিকা। সেটা আমাদের জাতির কেউ চায় বলে মনে হয় না।’
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, ‘যারা এসব কনটেন্ট বানায়, তাদের কয়েকজন ইউটিউবার আছেন। কিছু কিছু ভিডিওতে দেখি, আমার ছবি আছে কিন্তু ভেতরে আমার কথা নেই। মির্জা ফখরুল, আমার ও আরও একজন মির্জা সাহেবের ছবি দিয়ে তারা ভিডিও বানায়। কিন্তু ভেতরে আমাদের কারও কথা নেই।’
‘আবার নিচে এমন একটা লাইন দিচ্ছে, যেটাকে বলে থাম্বনেইল। সেটার সঙ্গে বক্তৃতার মিল নেই। এভাবে করে একটি জাতিকে নিয়ে তারা যেন খেলা করছে। তাদের সাবস্ক্রাইবার কারা? তারা তো একটি শ্রেণি। তারা একটি ওই রকম শ্রেণি, তারা যা বলবে, তা তারা বিশ্বাস করবে। মানে, তুমি যাহা লিখিবে, তাহাই সত্য—এমন একটা কথা প্রচলিত আছে।’
পড়ুন: দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘এখন হচ্ছে ভিডিওর জমানা। তারা এটি এমনভাবে বানায়, মানুষ ওটাই বিশ্বাস করে। নির্বাচন যত কাছে আসবে, তত কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা দিয়ে এমন ভুয়া খবর বা ইচ্ছাকৃত মিথ্যা তথ্য ও গুজব এমনভাবে ছড়াবে, যেগুলো মোকাবিলা করা চ্যালেঞ্জের বিষয় হয়ে দাঁড়াবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের যে রাজনৈতিক সংস্কৃতি, পাঁচই আগস্টের আগে আমরা ঐক্যবদ্ধ ছিলাম। এরপর সব ভাই আলাদা হয়ে গেছে। এখন নিজেদের মধ্যে লড়াই করো, আরামে আছে দিল্লিওয়ালা।’
১৬২ দিন আগে
দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি তত জটিল হচ্ছে: ফখরুল
অযথা বিলম্ব না করে অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যেতে আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। তিনি বলেছেন, ‘মনে হচ্ছে, দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। এতে যারা গণতন্ত্র ও শোষণহীন সমাজে বিশ্বাস করে না; তারা ফের জোট পাকাচ্ছে।’
শনিবার (১৯ জুলাই) জুলাই-আগস্ট গণ-অভ্যুত্থানের বর্ষপূর্তিতে জাতীয় প্রেসক্লাব অডিটোরিয়ামে এক আলোচনায় সভায় তিনি এমন মন্তব্য করেন। ‘গণঅভ্যুত্থানের প্রত্যাশা ও দেশের গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ’ শীর্ষক এই আলোচনার আয়োজন করে গণতন্ত্র মঞ্চ।
জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জেএসডি), নাগরিক ঐক্য, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, ভাসানী অনুসারী পরিষদ ও রাষ্ট্র সংস্কার আন্দোলন মিলে এই মঞ্চ গঠন করেছে।
বিএনপির মহাসচিব বলেন, ‘সরকারকে আহ্বান করব, অযথা বিলম্ব না করে সমস্যা চিহ্নিত করে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কথা বলুন। এরপর সমস্যা শেষ করে নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যান। সেটিই বোধহয় একমাত্র পথ।’
৫ আগস্টের গণ-অভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশে নতুন করে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার সুযোগ পেয়েছি উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘কিন্তু মনে হচ্ছে, দিন যত যাচ্ছে, পরিস্থিতি জটিল হয়ে যাচ্ছে। এতে যারা গণতন্ত্রে, জনগণের অগ্রাযাত্রায় ও একটি শোষণহীন সমাজব্যবস্থা গড়ে ওঠার রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না, তারা আবার জোট পাকাচ্ছে। যে ফ্যাসিস্ট শক্তিকে তাড়িয়ে দিতে সক্ষম হয়েছিলাম, তারা ভেতরে ভেতরে আবার সংগঠিত হচ্ছে এবং ক্ষমতা ফিরে পাওয়ার চক্রান্ত করে যাচ্ছে।’
দেশে মবতন্ত্র, হত্যা, ছিনতাই ও গুম ভয়াবহভাবে বেড়ে যাওয়ার অভিযোগ করে এ সময় উদ্বেগ প্রকাশ করেন ফখরুল। বলেন, ‘যে সুযোগ আমাদের সামনে এসেছে, এটা যদি হারিয়ে ফেলি, তাহলে বাংলাদেশ আরও পিছিয়ে যাবে। প্রতিবার জনগণ ও আমাদের ছেলেরা প্রাণ দেবে, একটা সুযোগ তৈরি হবে, আর নিজেদের দায়িত্বহীনতার কারণে সেই সুযোগ হারাব—সেটা হতে পারে না।’
তাই দেরি না করে সংস্কার, জুলাই সনদ ও নির্বাচন—এই তিনটি বিষয় সামনে রেখে যত দ্রুত এগিয়ে যাওয়া যায়, দেশের জন্য ততই মঙ্গল হবে বলে উল্লেখ করেন বিএনপি মহাসচিব।
তার দাবি, ‘নিঃসন্দেহে সেই দায়িত্ব এই অন্তর্বর্তী সরকারের। তবে যত দেরি করছেন, ততই পরিস্থিতি ঘোলাটে হচ্ছে। এতে অভ্যুত্থান ও বাংলাদেশের বিরুদ্ধে যারা রয়েছে, তারা আবার সংঘটিত হয়ে গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে কাজ শুরু করেছে।’
তিনি বলেন, ‘আমরা আশাবাদী, আমাদের অন্তর্বর্তী সরকারের নেতা ড. মুহাম্মদ ইউনূস গোটা জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে আমাদের সেই লক্ষ্যে পৌঁছে দিতে সক্ষম হবেন।’
‘বিএনপিকে গণতান্ত্রিক দল আখ্যায়িত করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের মধ্য দিয়ে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব নিয়ে একটি কল্যাণমূলক রাষ্ট্র গঠন করতে চাই। অতীতে যেমন সব বাধা উপেক্ষা করে ঘুরে দাঁড়িয়েছি, আগামী দিনগুলোতেও কোনো আমাদের বাধা ঠেকাতে পারবে না।’
তিনি আরও বলেন, ‘১৯৭১ ও স্বাধীনতা হচ্ছে আমাদের মূল কথা। সেখানে আমাদের কোনো আপস নেই। গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায়ও আমাদের কোনো আপস নেই। আলোচনা, সহনশীলতা ও অন্যের মতকে মেনে নেওয়া—সবকিছু মিলিয়ে আমরা এমন একটি জায়গায় পৌঁছাতে পারব, যেখান আমরা নতুন করে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র ব্যবস্থায় পৌঁছাতে পারি।’
এ সময়ে গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি, গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সভাপতি নুরুল হক নুর, জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সদস্যসচিব আখতার হোসেন, বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৬২ দিন আগে
সরকারকে পক্ষপাতিত্ব না করে দ্রুত নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান মির্জা আব্বাসের
অন্তর্বর্তী সরকারকে 'পক্ষপাতমূলক আচরণ' পরিহার ও দেশে স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনতে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা মির্জা আব্বাস।
তিনি বলেন, ‘আমরা অন্তর্বর্তী সরকারকে বলতে চাই, দয়া করে, পক্ষপাতমূলক আচরণ বন্ধ করুন। এটি দেশের ক্ষতি করছে।’ জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে শুক্রবার (১৮ জুলাই) এক মৌন মিছিল উদ্বোধনের আগে সংক্ষিপ্ত বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আব্বাস সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, একটি পক্ষের প্রতি ঝুঁকে এবং অন্য পক্ষকে পাশ কাটিয়ে বিএনপিকে নির্মূলের করার চেষ্টা করবেন না। ‘কখনও এমন চিন্তা করবেন না।’
তিনি বলেন, বিএনপি বর্তমান অন্তর্বর্তী সরকারকে স্বাগত জানিয়েছে এবং সহযোগিতা করার চেষ্টা করছে।
আব্বাস বলেন, ‘আমরা এখনও আপনাদেরকে (সরকারকে) সমর্থন করছি। তাই, দয়া করে খুব শিগগিরই একটি জাতীয় নির্বাচনের ব্যবস্থা করুন। নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে দেশে চলমান অস্থিরতা শান্ত হয়ে যাবে। কিন্তু যদি তা না হয়—তাহলে মানুষ বিশ্বাস করবে যে, আপনারাই দেশকে অস্থিতিশীল করছেন—যাতে দীর্ঘ সময় ক্ষমতায় থাকতে পারেন।’
জুলাই অভ্যুত্থানের প্রথম বার্ষিকী উপলক্ষে ৩৬ দিনের কর্মসূচির অংশ হিসেবে বিএনপির ঢাকা দক্ষিণ সিটি ইউনিট নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।
পড়ুন: বিভ্রান্তির রাজনীতির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে একটি দল: সালাহউদ্দিন
কিছু রাজনৈতিক নেতার সাম্প্রতিক আপত্তিকর মন্তব্যকে উল্লেখ করে আব্বাস বলেন, কেউ কেউ বলেছেন বাংলাদেশ থেকে সম্পূর্ণরূপে নির্মূল হওয়ার পর বিএনপির নাম গিনেস বুকে লেখা হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা বিএনপিকে মুছে ফেলতে চায়। আমি তাদের বলছি, দয়া করে জিভ সংযত রাখুন। এটা আপনার জন্য, দেশের জন্য এবং জনগণের জন্য ভালো হবে।’
বিএনপির এই নেতা রাজনৈতিক নেতাদের তাদের দল সম্পর্কে এমন বাজে এবং অযৌক্তিক মন্তব্য না করারও আহ্বান জানান, যাতে জনরোষের সৃষ্টি না হয়।
তিনি বলেন, ‘আমাদের উত্তেজিত করার চেষ্টা করবেন না বা আমাদের অন্য দিকে ঠেলে দেবেন না। আপনারা বিএনপির সঙ্গে লড়াই করার চেষ্টা করছেন। কিন্তু বিএনপি ঝগড়ায় জড়াবে না। বিএনপি বিশৃঙ্খলার দল নয়। বিএনপি একটি গণতান্ত্রিক দল যারা গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করে এবং জনগণের সঙ্গে থাকে।’
৫ আগস্টের পর কিছু রাজনৈতিক নেতার লম্বা দাবির সমালোচনাও করেন মির্জা আব্বাস। বলেন, ‘আমি জানি না তারা কী পেয়েছে বা কোথা থেকে সাহস পেয়েছে। আমরা আশা করি আপনারা শক্তিশালী এবং সাহসী হয়ে উঠবেন, কিন্তু দয়া করে বিএনপির মতো সত্যিকারের দেশপ্রেমিক দলের বিরুদ্ধে ভিত্তিহীন গুজব এবং অপবাদ ছড়াবেন না।’
মিটফোর্ডে এক ভাঙারি ব্যবসায়ীর মর্মান্তিক হত্যাকাণ্ডের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, একজন যুবদল নেতা খুনের শিকার হয়েছেন। কিন্তু কেউ কেউ এই ঘটনাকে বাংলাদেশ থেকে বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতায় আসার পথ পরিষ্কার করার হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কেউ কেউ বলছেন বিএনপি ক্ষমতায় আসতে মরিয়া। এটা সত্য নয়। বিএনপি ১৭ বছর ধরে রাজপথে জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার এবং ভোটের অধিকারের জন্য লড়াই করছে। এখন আপনারা বিএনপিকে নিশ্চিহ্ন করে ক্ষমতা দখল করতে চান।’
পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির তীব্র নিন্দা বিএনপির
তিনি সতর্ক করে বলেন, যারা ক্ষমতায় আসার পথ মসৃণ করতে বিএনপিকে সরিয়ে দিতে চান তারা ভুল করছেন। ‘যতক্ষণ পর্যন্ত বিএনপির একজনও নেতা বা কর্মী বেঁচে থাকবেন, ততক্ষণ আপনাদের বিএনপিকে নির্মূল করার স্বপ্ন কখনোই পূরণ হবে না।’
আব্বাস বলেন, বিএনপি নেতা-কর্মীদের ১৭ বছর ধরে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে এবং তারা জানে কীভাবে রাস্তায় প্রতিবাদ করতে হয় এবং কীভাবে জেলে টিকে থাকতে হয়।
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা এতে অভ্যস্ত হয়ে গেছি। তাই হুমকি দিয়ে আমাদের ভয় দেখানোর চেষ্টা করবেন না।’
বক্তৃতার শুরুতে আব্বাস জুলাইয়ের বিদ্রোহের শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানান এবং তাদের আত্মার শান্তি কামনা করেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের চেতনা ও আকাঙ্ক্ষার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার এবং দেশ গঠনে কাজ করার পরিবর্তে কিছু দল তাদের নিজস্ব রাজনৈতিক স্বার্থ হাসিল ও রাজনীতিতে তাদের অবস্থান নিশ্চিত করার জন্য শহীদদের ব্যবহার করার চেষ্টা করছে।
পরে, বিএনপি নেতাকর্মীরা মৌন মিছিল বের করে। মিছিলটি কাকরাইল, শান্তিনগর, মৌচাক এবং মালিবাগ ক্রসিং হয়ে আবুল হোটেলের কাছে গিয়ে শেষ হয়।
১৬৩ দিন আগে
কোটি মানু্ষের একটাই দাবি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দাও: ড. মঈন খান
অত্যাবশ্যকীয় সংস্কার শেষে যত দ্রুত সম্ভব গণতন্ত্র ফিরিয়ে দেওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আব্দুল মঈন খান। তিনি বলেন, বাংলাদেশের কোটি মানু্ষের একটাই দাবি ভোটের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়া।
শুক্রবার (১৮ জুলাই) বিকালে নরসিংদীর পাঁচদোনা মোড়ে আয়োজিত নরসিংদী কারা বিদ্রোহের বার্ষিকীতে জুলাই-আগস্টের গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের স্মরণে আয়োজিত আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ড. মঈন বলেন, বিএনপি আন্দোলন করেছে গণতন্ত্র ফিরিয়ে আনার জন্য। মানুষের ভোটের অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য, ক্ষমতার লোভে নয়। তারেক রহমান লন্ডনে বসে গণতন্ত্রের আন্দোলনকে সুসংগঠিত করেছেন। বিএনপি ক্ষমতার জন্য রাজনীতি করে না—এটা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। ছাত্রজনতার আন্দোলনের ১ বছরে গণতন্ত্রের জন্য সুসংগঠিত হতে হবে, বলেন তিনি।
পাঁচদোনা মোড়ের মোমেন খান চত্বরে নরসিংদী-২ নির্বাচনী এলাকার বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠন আয়োজিত সভায় সভাপতিত্ব করেন পলাশ থানা বিএনপির সভাপতি মো. আবদুল সাত্তার।
পড়ুন: বিভ্রান্তির রাজনীতির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে একটি দল: সালাহউদ্দিন
এসময় জেলার জুলাই গণঅভ্যুত্থানে শহীদদের পরিবারের সদস্য ও যুদ্ধাহতদের মধ্যে বিএনপির পক্ষ থেকে অনুদান তুলে দেন ড. আব্দুল মঈন খান।
পলাশ উপজেলা বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক বাহাউদ্দিন ভুইয়া মিল্টনের সঞ্চালনায় সভায় বক্তব্য দেন, জুলাই গণঅভ্যুত্থানে নরসিংদীর প্রথম শহীদ স্কুলছাত্র তাহমিদ ভুইয়ার পিতা রফিকুল ইসলাম, নরসিংদী শহর বিএনপির সাবেক সভাপতি বাবুল সরকার, পলাশ উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক, জেলা পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি ও বিএনপি নেতা সারোয়ার হোসেন মৃধা, জেলা যুবদলের সাধারণ সস্পাদক হাসানুজ্জামান সরকার, ঘোড়াশাল পৌরসভা বিএনপির সভাপতি আলম মোল্লা, ঘোড়াশাল পৌরসভা ছাত্রদলের আহ্বায়ক আমান উল্লাহ আমান প্রমুখ।
১৬৩ দিন আগে
বিভ্রান্তির রাজনীতির মাধ্যমে ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে একটি দল: সালাহউদ্দিন
সব সময় বিভ্রান্তিকর রাজনীতি করা একটি দল এখন ঘোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
তিনি শুক্রবার (১৮ জুলাই)এক সমাবেশে বলেন, ‘তারা একসময় স্বাধীনতার বিরুদ্ধে দাঁড়িয়েছিল, পরে জনগণ বা তাদের অনুভূতির বিরুদ্ধে গিয়েছিল। তারা এখন গোলা পানিতে মাছ শিকারের চেষ্টা করছে। আমি তাদের নাম বলব না- আপনারা বুঝতেই পারছেন আমি কাদের কথা বলছি।’
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের শহীদদের স্মরণে রাজধানীর মিরপুর এলাকায় ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির এক পদযাত্রার বক্তব্যে সালাহউদ্দিন আহমেদ এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, দেশের সংসদ নির্বাচনে আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থা প্রবর্তনের দাবি করা এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে করার উপর জোর দেওয়া দলগুলোর কঠোর সমালোচনা করে তিনি বলেন, তাদের একটি খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘যারা বাংলাদেশে পিআর পদ্ধতির নির্বাচন এবং জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচনের ব্যবস্থা করার দাবি তুলছেন - তাদের একটি খারাপ উদ্দেশ্য রয়েছে।’
চরমোনাইর পীরের প্রতিষ্ঠিত ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের নাম উচ্চারণ না করে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যে দলটি ১৬ বছর ধরে হাতপাখা (আইএবির নির্বাচনী প্রতীক) দিয়ে আওয়ামী লীগকে সহযোগিতা করেছিল, তারা এখন দাবি করছে যে পিআর ব্যবস্থা ছাড়া কোনো নির্বাচন নয়।’
জামায়াতের নাম না নিয়ে তিনি বলেন, বাংলাদেশে সবসময় বিভ্রান্তিকর রাজনীতিতে লিপ্ত থাকা আরেকটি দল তাদের (আইএবি) সঙ্গে হাত মিলিয়েছে।
পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির তীব্র নিন্দা বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য বলেন, বাংলাদেশের মানুষ এই পিআর ব্যবস্থা বোঝে না।
তিনি বলেন, একজন প্রার্থী একটি নির্দিষ্ট নির্বাচনী এলাকা থেকে নির্বাচিত হয় এবং সংসদ সদস্য (এমপি) হয়—জনগণ এমন একটি ব্যবস্থাকে বোঝে। সেই সংসদ সদস্য জনগণের সঙ্গে যোগাযোগ রাখেন, স্থানীয় সমস্যা সমাধানে কাজ করেন এবং আইন প্রণয়নে অংশগ্রহণ করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘কিন্তু পিআর ব্যবস্থায়, আপনি মিরপুরে আমিনুলকে ভোট দিতে পারেন এবং সন্দ্বীপের বাবুলকে আপনার এমপি হিসেবে পেতে পারেন। এই দেশের মানুষ এই ব্যবস্থা সম্পর্কে জানে না এবং চায়ও না।’
সালাউদ্দিন বলেন, আদালতের রায়ের পর তত্ত্বাবধায়ক সরকার পুনর্বহাল করা হয়েছে এবং তিন মাসের মধ্যে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের সাংবিধানিক ক্ষমতা তাদের রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা এই নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে তত্ত্বাবধায়ক সরকার হিসেবে বিবেচনা করি। আপনাদের একমাত্র দায়িত্ব হলো একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ সংসদ নির্বাচন নিশ্চিত করা। স্থানীয় সরকার নির্বাচন আয়োজনের কোনো কর্তৃত্ব আপনাদের নেই।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, সুতরাং, যারা অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে স্থানীয় সরকার নির্বাচন আগে অনুষ্ঠিত করার জন্য চাপ দিচ্ছেন, তারাই বিভ্রান্তি সৃষ্টি করে জাতীয় নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছেন।
১৬৩ দিন আগে
ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্র ফেরানোর পথে প্রধান অন্তরায়: ডা. এজেড এম জাহিদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক ডা. জাহিদ হোসেন বলেছেন, গণতন্ত্রকে নস্যাৎ করতে ষড়যন্ত্রকারীরা ঘাপটি মেরে রয়েছে। এই ষড়যন্ত্রকারীরা গণতন্ত্র ফেরানোর পথে প্রধান অন্তরায়।
দেশে গণতান্ত্রিক পরিবেশ বিনষ্টের পাঁয়তারা ও তারেক রহমানের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্নের অপচেষ্টার প্রতিবাদে ঢাকায় পেশাজীবীদের মৌন মিছিল পূর্ব সমাবেশে তিনি এ কথা বলেন।
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের আহ্বায়ক প্রফেসর ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন ও সদস্য সচিব সাংবাদিক কাদের গনি চৌধুরীর নেতৃত্বে মিছিলটি জাতীয় প্রেস ক্লাব থেকে শুরু হয়ে কদমফুল ফোয়ারা, তোপখানা রোড, পুরানা পল্টন প্রদক্ষিণ শেষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে এসে শেষ হয়।
তিনি আরও বলেন, ষড়যন্ত্র করে চোরাই পথে কেউ কেউ আগামীতে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা করছে, জনগণ তা মেনে নেবে না। তারেক রহমানকে নিয়ে কুৎসা করা হয়েছে। এটা রাজনীতির ভাষা নয়, এটা স্বৈরাচারের ভাষা।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, ১৮ বছর ধরে দেশের মানুষ ভোটের অধিকার ফেরত পেতে লড়াই করছেন। এখনও সেই অধিকার প্রতিষ্ঠিত হয়নি।
তিনি বলেন প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ জায়গাগুলোতে এখনও ফ্যাসিবাদের দালালরা বসে আছে। তাদের তাড়াতে হবে। মব জাস্টিস বন্ধ করতে হবে। তিনি সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টসহ সকল কালা কানুন বাতিল, জাতীয় নেতাদের চরিত্র হননের নোংরা রাজনীতি ও গণতন্ত্র নস্যাতের চক্রান্ত বন্ধ এবং ফেব্রুয়ারির মধ্যে জাতীয় সংসদ নির্বাচন সম্পন্ন করার আহ্বান জানান।
পড়ুন: চট্টগ্রামে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতির তীব্র নিন্দা বিএনপির
মিছিলে উন্মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. এবিএম ওবায়দুল ইসলাম, সিনিয়র আইনজীবী সুব্রত চৌধুরী, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. লুৎফর রহমান, সৈয়দ আলমগীর এমবিএ, শিক্ষক নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া ও জাকির হোসেন, সাবেক সচিব আবদুল বারি, শিক্ষাবিদ অধ্যাপক ড. শামসুল আলম সেলিম, কৃষিবিদ শামীমুর রহমান শামিম, চিকিৎসক নেতা অধ্যাপক ডা. রফিকুল ইসলাম লাবু, ডা. শফিকুল হায়দার পারভেজ, জাহানারা সিদ্দিকী, ইঞ্জিনিয়ার আসাদুজ্জামান চুন্নু, ইঞ্জিনিয়ার আবদুল হালিম, কৃষিবিদ ড. শফিকুর রহমান, সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব রফিকুল ইসলাম, সাংবাদিক আমিরুল ইসলাম কাগজী, মুরসালিন নোমানী, রাশেদুল হক, সাঈদ খান ডা. হারুন উর রশিদ রাকিব, ইঞ্জিনিয়ার জহিরুল ইসলাম, ইঞ্জিনিয়ার মোহাম্মদ হানিফ, ইঞ্জিনিয়ার ফকরুল আলম, ইঞ্জিনিয়ার শাখাওয়াত হোসেন, ডা. লুৎফর রহমান লিটন, একে এম মূসা লিটন, বিপ্লবুজ্জামান বিপ্লব, কামরুজ্জামান কল্লোল, এবিএম রুহুল আমিন আকন্দ, আমিরুল বারি কানন, তানভিরুল আলম, খাজা মাইনুদ্দিন মঞ্জু, দবিরউদ্দিন তুষার ও হাফিজুর রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৬৩ দিন আগে