বিএনপি
তারেক ও বিএনপিকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য তার অসহায়ত্বের বহিঃপ্রকাশ: রিজভী
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা-বিরোধী দল ও দলের সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বিরুদ্ধে ‘বেপরোয়া, প্রতিহিংসাপরায়ণ ও অবমাননাকর’ মন্তব্যের মাধ্যমে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করেছেন বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন,‘নরসিংদীতে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বক্তব্য শুনে দেশের মানুষ হতবাক ও আতঙ্কিত হয়ে পড়েছে।’
সোমবার (১৩ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে চায় সরকার: রিজভী
তিনি আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গত ২ নভেম্বর সংসদে বিএনপি নেতাদের ‘পশু’ বলে সম্বোধন করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা রবিবার আরও অনেক মন্তব্য করেছেন, যা শুধু মানসিকভাবে বিপর্যস্ত মানুষই বলতে পারেন। তার অশ্লীলতা সম্প্রতি প্রায় মহামারি পর্যায়ে পৌঁছেছে। তিনি সব ধরনের শিষ্টাচার, রীতিনীতি, সুরুচি ও সৌজন্যবিহীন বক্তব্য দিয়েছেন এবং সবচেয়ে নিকৃষ্ট বেফাঁস, উস্কানিমূলক ও অস্বাভাবিক ভাষা ব্যবহার করেছেন।’
তিনি বলেন, কোনো সভ্য দেশের সরকারপ্রধান এ ধরনের ভাষা ব্যবহার করতে পারেন না। ‘মনে হচ্ছে তিনি রাস্তার গুন্ডা ও সন্ত্রাসীদের মতো হুমকি দিচ্ছেন। এটা বাংলাদেশের জন্য দুর্ভাগ্যজনক, এমন একজন ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রীর আসনে অধিষ্ঠিত হয়েছেন। একজন প্রধানমন্ত্রীর উচিত তার বক্তব্যে বিনয়ী হওয়া। কিন্তু তিনি (প্রধানমন্ত্রী) অশালীন শব্দ ব্যবহার করে তার অসহায়ত্ব প্রকাশ করছেন।’
এর আগে রবিবার নরসিংদীতে এক অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে এই নভেম্বরে শিক্ষার্থীরা যখন পরীক্ষায় বসবে এমন এক সময়ে বিএনপি অবরোধ ও হরতাল নিয়ে আসায় মানুষ পুড়িয়ে মারার অভিযোগ তুলেছিলেন।
সেসময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘কেউ যদি অগ্নিসংযোগ করতে যায় এবং বাসে আগুন ধরিয়ে দেয়, তাহলে তাদের ধরে আগুনে নিক্ষেপ করুন।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের কঠোর সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, ‘তিনি (তারেক) দেশ থেকে পালিয়ে লন্ডনে আছেন এবং সেখানে বসে অগ্নিসংযোগের নির্দেশ দিয়েছেন। সাহস থাকলে বাংলাদেশে ফিরে আসুন। কিছুক্ষণের জন্য দেখা হবে।’
তারেক রহমানকে দেশে ফিরে আসতে বলায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, ‘রক্তপিপাসু’ মনের অধিকারী শেখ হাসিনার শাসনামলে তারেক ফিরে এলে তার পরিণতি কী হতে পারে তা দেশের জনগণ ভালোভাবেই জানে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্যে স্পষ্টভাবে প্রমাণিত হয়েছে, তিনি তারেক রহমানকে হত্যা করতে চান। এ কারণে তাকে একের পর এক মিথ্যা মামলায় সাজা দেওয়া হয়েছে। জনগণের বিজয়ের পর তারেক রহমান শিগগিরই দেশে ফিরবেন।’
তিনি বলেন, তারেকের ক্যারিশম্যাটিক নেতৃত্ব, অকল্পনীয় জনপ্রিয়তা, রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও বলিষ্ঠ নেতৃত্বে শেখ হাসিনা ভীত হয়ে পড়েছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘তারেক রহমানকে নিয়ে তার বক্তব্য শুনে মানুষ বিস্মিত ও হতবাক হয়ে যায়। প্রধানমন্ত্রীর আসনে বসে এ ধরনের বক্তব্য শুধু শপথভঙ্গই নয়, আইনের গুরুতর লঙ্ঘনও বটে। এটি সরাসরি হত্যার হুমকিও বটে।’
তিনি প্রধানমন্ত্রীকে সমাজে বিভাজন সৃষ্টির অভিযোগ করে বলেন, ‘দেশের প্রতিটি গণতন্ত্রপন্থী মানুষ প্রধানমন্ত্রীর আগুনে নিক্ষেপের সহিংস হুমকিতে আতঙ্কিত। তিনি দেশে গৃহযুদ্ধ শুরু করতে চান।’
তিনি বলেন, সোমবার বিকাল ৪টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির ৪৮০ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ এবং হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১১ হাজার ২৫০ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ দলটির।
আরও পড়ুন: ইইউ’র পর্যবেক্ষক দল পাঠানোর ওপর নির্বাচনের বিশ্বাসযোগ্যতা নির্ভর করে না: পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী
পদত্যাগ করে নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে নির্বাচনে অংশ নিন: প্রধানমন্ত্রীর উদ্দেশে রিজভী
বুধবার থেকে ফের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ঘোষণা বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
একদিন বিরতির পর বুধবার থেকে সারাদেশে ফের ৪৮ ঘণ্টার সড়ক-রেল-নৌপথ অবরোধ ঘোষণা করেছে বিএনপি ও সমমনা দলগুলো।
আওয়ামী লীগ সরকারকে ক্ষমতা ছাড়তে এবং নির্দলীয় সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের জন্য চাপ সৃষ্টি করতে দফায় দফায় অবরোধ দিচ্ছে বিএনপি।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) দুপুরে ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এ কর্মসূচি ঘোষণা করেন।
তিনি বলেন, অন্যান্য বিরোধী দল; যারা দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসছে, তারাও একই ধরনের কর্মসূচি পালন করছে।
বুধবার সকাল ৬টা থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে অবরোধ কর্মসূচি পালিত হবে বলে জানান রিজভী।
এটি হবে বিরোধী দলগুলোর অবরোধ কর্মসূচির পঞ্চম ধাপ।
আরও পড়ুন: অবরোধ: সারাদেশে ১৮৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ ধাপের দ্বিতীয় দিনের অবরোধ চলছে
একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
ওবায়দুল কাদেরের এলাকায় অবরোধের সমর্থনে বিএনপির প্রথম মিছিল
আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদেরের নির্বাচনী এলাকায় অবরোধের সমর্থনে প্রথম মিছিল করেছে বিএনপি।
সোমবার (১৩ নভেম্বর) এ মিছিল করা হয়। এরপর মিছিল শেষে নেতা-কর্মীরা সড়কে বসে অবস্থান নেন।
এর আগে বিএনপি তিন দফা অবরোধ ও একদিন হরতাল পালন করলেও নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাটে কোনো মিছিল বা পিকেটিং হয়নি।
আরও পড়ুন: সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের কর্মচারীদের মৌন মিছিল
সোমবার (১৩ নভেম্বর) সকালে অবরোধের সমর্থনে ছাত্রদলের সাবেক কেন্দ্রীয় ভারপ্রাপ্ত সভাপতি ও বিএনপির সহ-পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়বিষয়ক সম্পাদক বজলুল করিম চৌধুরী আবেদের নেতৃত্বে মিছিল করেছে- কবিরহাট উপজেলা ও পৌর বিএনপি এবং অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
কর্মসূচিতে অংশ নেন- কবিরহাট পৌরসভা বিএনপির আহ্বায়ক মোস্তাফিজুর রহমান মনজু, উপজেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক আরাফাতের রহমান হাসান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক শাহাদাৎ হোসেন, সদস্য সচিব আবদুল বাসেত হিরন, বিএনপি নেতা কামরান চৌধুরী ও পৌরসভা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক নুর নবী বাবর।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের অবরোধের প্রতিবাদে আ. লীগের মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি
শান্তি ও উন্নয়নের সমর্থনে আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সমাবেশ ও মিছিল
অবরোধ: সারাদেশে ১৮৯ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর ডাকা চতুর্থ ধাপের দেশব্যাপী অবরোধ চলাকালে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় সারাদেশে ১৮৯ প্লাটুন বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) মোতায়েন করা হয়েছে।
বিজিবি সদর দপ্তরের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শরিফুল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিনে আজ যেকোনো ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে ঢাকা ও আশপাশের জেলাগুলোতে ২৫ প্লাটুন বিজিবি মোতায়েন করা হয়েছে।
এছাড়া দেশের যেকোনো জরুরি পরিস্থিতি মোকাবিলায় পর্যাপ্ত সংখ্যক বিজিবি সদস্যকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে।
আরও পড়ুন: তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে চায় সরকার: রিজভী
পূর্ববর্তী অবরোধের মতো ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে জননিরাপত্তা নিশ্চিত করতে পুলিশ, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব) ও আনসারের পাশাপাশি ফ্রন্টিয়ার ব্যাটালিয়নের সদস্যরা দায়িত্ব পালন করছেন।
একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে এক দফা দাবিতে তৃতীয় সপ্তাহের মতো দেশব্যাপী সড়ক, রেললাইন ও নৌপথ অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি, জামায়াতসহ সমমনা বিরোধী দলগুলো।
রবিবার রাতে ঢাকা, নারায়ণগঞ্জ ও সাভারে তিনটি অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটেছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ ধাপের দ্বিতীয় দিনের অবরোধ চলছে
বিএনপি-জামায়াতের ডাকা চতুর্থ ধাপের দ্বিতীয় দিনের অবরোধ চলছে
বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলোর দেশব্যাপী ডাকা চতুর্থ ধাপের ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের দ্বিতীয় দিন চলছে।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে শুরু হওয়া অবরোধ শেষ হবে মঙ্গলবার সকাল ৬টায়।
পদত্যাগ করে নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন আয়োজন করতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যেই এই অবরোধের ডাক দিয়েছে বিএনপি, জামায়াত ও সমমনা বিরোধী দলগুলো।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
আগের তিনটি অবরোধের তুলনায় সোমবার ঢাকার রাস্তায় যানবাহনের সংখ্যা একটু বেশি।
অফিসগামী, শিক্ষার্থী ও অন্যান্য যাত্রীদের তাদের নিজ নিজ গন্তব্যে যেতে দেখা গেছে।
রবিবার রাতে রাজধানীর তেজগাঁও ও নারায়ণগঞ্জের আদমজী ইপিজেড এলাকায় দুটি বাসে আগুন দিয়েছে অজ্ঞাত দুর্বৃত্তরা।
আরও পড়ুন: বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের তৃতীয় সপ্তাহের অবরোধ শুরু রবিবার
অবরোধ শুরুর আগে শনিবার রাত ৮টা থেকে রবিবার সকাল ৬টা পর্যন্ত ঢাকার যাত্রাবাড়ী, গুলিস্তান, গাবতলী, নটরডেম কলেজের কাছে, রূপনগর, সূত্রাপুর ও মিরপুর এলাকায় সাতটি বাসে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে। এতে জনমনে আতঙ্ক তৈরি হয়।
শনিবার বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অবরোধ সফল করতে দেশবাসী ও বিএনপি সমর্থকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন এই অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দুই দফা ৪৮ ঘণ্টার দেশব্যাপী অবরোধ ও ৩১ অক্টোবর থেকে তিন দিনের দেশব্যাপী অবরোধ ঘোষণা করে বিএনপি ও জামায়াতে ইসলামী।
অবরোধের সময় ব্যাপক সংঘর্ষ, সহিংসতা এবং বেশ কিছু যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে নিয়ে যেতে চায় সরকার: রিজভী
বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী অভিযোগ করে বলেন, তৈরি পোশাক শিল্পকে অন্য দেশে স্থানান্তরের ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে সরকার তৈরি পোশাক খাতকে ধ্বংস করছে।
রবিববার (১২ নভেম্বর) ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে বক্তৃতাকালে তিনি এ কথা বলেন।
এ ছাড়া ভার্চুয়াল প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি পোশাক শ্রমিকদের ন্যায়সঙ্গত আন্দোলন দমনে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে শিথিল করা এবং চার শ্রমিককে হত্যা করার জন্য সরকারের সমালোচনা করেন।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগ জনগণই বানচাল করবে: রিজভী
তিনি বলেন, ‘সরকার অত্যন্ত চতুরতার সঙ্গে বৈদেশিক মুদ্রা অর্জনের জন্য দেশের সবচেয়ে বড় খাত গার্মেন্টস শিল্পকে ধ্বংস করার নীল নকশা বাস্তবায়ন করছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘তিনি (শেখ হাসিনা) ১৯৭৪ সালের মতো আবারও দুর্ভিক্ষ সৃষ্টি করতে চান এবং দেশের অর্থনীতিকে ধ্বংস করতে চান।’
তিনি আরও অভিযোগ করেন, সরকারের প্ররোচনায় মালিকরা শনিবার ১৫০টি পোশাক কারখানা অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ করে দিয়েছে।
বিএনপির এই নেতা দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, যে পুলিশ তৈরি পোশাক শ্রমিকদের উপর হামলা চালিয়েছে তারা ১১ হাজার তৈরি পোশাক শ্রমিককে আসামি করে মামলা করেছে।
রিজভী বলেন, ‘জনগণ বিশ্বাস করে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তৈরি পোশাক ব্যবসা অন্য দেশে স্থানান্তর করে অবৈধভাবে ক্ষমতায় থাকার গ্যারান্টি চান।’
তিনি বলেন, ‘বর্তমান ফ্যাসিবাদী সরকারের হাতে শুধু বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা-কর্মীরাই নয়, পেশাদার গার্মেন্টস শ্রমিকরাও নিরাপদ নয়। এ পর্যন্ত পুলিশের গুলিতে চারজন গার্মেন্টস শ্রমিক নিহত হয়েছেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, বিরোধী দলের চলমান আন্দোলন দমনে সরকার আবারও সাদা পোশাকে পুলিশ ব্যবহার করে গুম করতে শুরু করেছে।
তিনি বলেন, পুলিশের গোয়েন্দা শাখার সদস্যরা কালো গ্লাসে ঢেকে মাইক্রোবাসে করে ‘নাৎসি বাহিনীর’ মতো ঘুরে বেড়াচ্ছে এবং গণতন্ত্রপন্থী শক্তিকে তুলে নিচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, ‘এমনকি সাধারণ মানুষও রেহাই পাচ্ছে না। তারা র্যাব-পুলিশের নামে গণতান্ত্রিক শক্তির বাবা-মা, ছেলে, সন্তান, ভাই-বোনসহ আত্মীয়-স্বজনদের তুলে নিয়ে গুম করছে।’
ভোটের অধিকার ফিরে পেতে যারা স্বতঃস্ফূর্ত আন্দোলন করছে তাদের বিরোধী না হতে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
তিনি দাবি করেন, রবিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে বিএনপির ৩৬৫ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশ, হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার ৭৭০ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
বাংলাদেশ এখন ‘নিষ্ঠুর একদলীয় শাসনের’ অধীনে: রিজভী
বগুড়ায় ট্রাকে আগুন: স্বেচ্ছাসেবকদল নেতা কারাগারে
নাশকতার মামলায় বগুড়া সদর উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক মিজানুর রহমান মিজানকে (৩৯) গ্রেপ্তারের পর কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
শনিবার (১১ নভেম্বর) সকালে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-১২। তারা রবিবার সকালে বগুড়া সদর থানায় হস্তান্তর করার পর তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
গ্রেপ্তার মিজান বগুড়া সদর উপজেলার গোকুল পশ্চিম পাড়ার মৃত আফসার আলীর ছেলে।
র্যাব-১২ বগুড়ার কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ঢাকার মতিঝিল এলাকা থেকে মিজানকে গ্রেপ্তার করে র্যাব-৩ এর সদস্যরা। তার নামে বগুড়ার বিভিন্ন থানায় ১৯টি মামলা রয়েছে।
তিনি জানান, অবরোধে ঢাকা-রংপুর মহাসড়কের বাঘোপাড়া ও দিঘলকান্দি এলাকায় একটি কাভার্ড ভ্যান এবং দুইটি ট্রাকে আগুন লাগিয়ে দেয় অবরোধকারীরা। এসব ঘটনায় বগুড়া সদর থানায় চারটি মামলা হয়েছে। এই চার মামলার অন্যতম আসামি মিজান।
বগুড়া জেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্য সচিব আবু হাসান বলেছেন, মিজানকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। মিথ্যা মামলা ও গ্রেপ্তার করে সরকার পতনের আন্দোলন থামানো যাবে না।
একতরফা নির্বাচনের লক্ষ্যেই বিরোধী দলের ওপর দমন-পীড়ন চালাচ্ছে আওয়ামী লীগ: রিজভী
অতীতের ন্যায় আরেকটি ভুয়া ও একতরফা নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সরকার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীদের ওপর দমন-পীড়ন চালিয়ে দেশে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করেছে বলে অভেযোগ করেছে বিএনপি।
শনিবার (১১ নভেম্বর) ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এই অভিযোগ করেন।
তিনি দাবি করেন, বিএনপির আন্দোলনকে কলঙ্কিত করতে সরকারি গাড়িতে আগুন দিচ্ছে ক্ষমতাসীন দলের ক্যাডাররা।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকার অতীতের মতো একতরফা প্রহসনের নির্বাচন করতে কৌশলহীন ও বিপজ্জনকভাবে মরিয়া হয়ে উঠেছে। শেখ হাসিনা এখন ৫৭ সেকেন্ডে নৌকার জন্য ৪৩টি সিল মেরে নির্বাচন করতে মরিয়া হয়ে উঠেছেন।’
মিথ্যা মামলায় বিএনপি নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তারে সরকারের কঠোর সমালোচনা করে রিজভী বলেন, আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা জনগণের ওপর ঝাঁপিয়ে পড়েছে।
তিনি আরও বলেন, 'সাধারণ মানুষ এখন যুদ্ধকালীন সময়ের মতো নীরব ভীতিকর পরিবেশে বসবাস করছে। ক্ষমতা হারানোর ভয়ে সরকার প্রধান হিংস্র খুনি হয়ে উঠেছেন... তার (প্রধানমন্ত্রীর) নির্দেশে দেশকে শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতির মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই: বিএনপি
প্রবীণ এই নেতা আরও বলেন, সরকারের অধীনস্থ পুলিশ কর্মকর্তারা এখন আওয়ামী লীগ লিমিটেড কোম্পানির কর্মচারী হয়েছেন।
তিনি বলেন, রাত হলেই পুলিশি অভিযানের কারণে দেশে আতঙ্ক নেমে আসে, কারণ গণতন্ত্রপন্থী শক্তির বিরুদ্ধে প্রতিদিন অসংখ্য মামলা দায়ের করা হচ্ছে।
তিনি আরও বলেন, থানাগুলো এখন প্রতিটি বাড়িতে আতঙ্ক ছড়িয়ে গ্রেপ্তার ব্যাপক বাণিজ্যে লিপ্ত হচ্ছে। ‘শেখ হাসিনা জনগণের সকল সুখ-শান্তি বিনষ্ট করে দানবের শাসন কায়েম করেছেন।’
তিনি দাবি করেন, শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় বিএনপির ৩১৫ জনের বেশি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার ও বিরোধী দলীয় নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে ১২টি নতুন মামলা দায়ের করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২৮ অক্টোবর বিএনপির মহাসমাবেশ এবং হরতাল ও অবরোধ কর্মসূচিকে কেন্দ্র করে ১০ হাজার ৪০৫ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগ জনগণই বানচাল করবে: রিজভী
তিনি আরও দাবি করেন, গত ২৮ অক্টোবর থেকে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী ও ক্ষমতাসীন দলের নেতাকর্মীদের হাতে তাদের দলের ১১ জন নেতা-কর্মী ও একজন সাংবাদিক নিহত ও তিন হাজার ৯০৬ জন আহত হয়েছেন।
রিজভী বলেন, গত ২৮ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ১৩ হাজার ৩৮৬ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে এবং ৪৮ হাজার ৪৪৩ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে ৬১৩টি মামলা করা হয়েছে।
তিনি বলেন, রবিবার সকাল ৬টা থেকে শান্তিপূর্ণভাবে আরও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধ কার্যকর করতে যাচ্ছে তাদের দল। কিন্তু আওয়ামী সন্ত্রাসীরা বিরোধী দলের আন্দোলন নিয়ে প্রশ্ন তোলার জন্য যানবাহনে আগুন দিচ্ছে এবং তাণ্ডব চালাচ্ছে। আমাদের হাতে এর অসংখ্য প্রমাণ, ভিডিও এবং ছবি রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের তৃতীয় সপ্তাহের অবরোধ শুরু রবিবার
বিএনপির নেতৃত্বাধীন বিরোধী দলের তৃতীয় সপ্তাহের অবরোধ শুরু রবিবার
নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে আগামী নির্বাচনের পথ সুগম করতে আওয়ামী লীগ সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে রবিবার সকাল থেকে ৪৮ ঘণ্টার জন্য দেশব্যাপী সড়ক, রেল ও নৌপথ অবরোধ করবে বিএনপি ও সমমনা বিরোধী দলগুলো।
রবিবার সকাল ৬টা থেকে মঙ্গলবার সকাল ৬টা পর্যন্ত সারাদেশে এ অবরোধ চলবে।
দুই দিনের জন্য বিরতি দিয়ে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী এবং দীর্ঘদিন ধরে বিএনপির সঙ্গে যুগপৎ আন্দোলন করে আসা অন্যান্য বিরোধী দলগুলোও একই সঙ্গে অবরোধ করবে।
আরও পড়ুন: রবিবার থেকে আবারও ৪৮ ঘণ্টার অবরোধের ডাক বিএনপিসহ সমমনা দলগুলোর
শনিবার (১১ নভেম্বর) এক ভার্চুয়াল সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী কর্মসূচি সফল করতে দেশবাসী ও বিএনপি সমর্থকদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে পালনের আহ্বান জানান।
সংবাদপত্র বা গণমাধ্যমের যানবাহন, অ্যাম্বুলেন্স এবং অক্সিজেন সিলিন্ডার ও ওষুধ বহনকারী যানবাহন তিন দিনের এই অবরোধের আওতাবহির্ভূত থাকবে বলেও জানান তিনি।
এর আগে গত ৫ নভেম্বর থেকে ৯ নভেম্বর পর্যন্ত দুই দফা দেশব্যাপী অবরোধ ৩১ অক্টোবর থেকে ২ নভেম্বর পর্যন্ত তিন দিনের দেশব্যাপী অবরোধ এবং পরের কয়েক ধাপের বিভিন্ন কর্মসূচিতে ব্যাপক সংঘর্ষ, সহিংসতা ও বেশ কিছু যানবাহনে অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটে।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এখন ‘নিষ্ঠুর একদলীয় শাসনের’ অধীনে: রিজভী
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশে হামলার প্রতিবাদে ২৯ অক্টোবর দেশব্যাপী সকাল থেকে সন্ধ্যা পর্যন্ত হরতাল পালন করেন তারা।
বিএনপির পক্ষ থেকে বলা হয়, গত ২৮ অক্টোবর থেকে এ পর্যন্ত পুলিশ ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মীদের সঙ্গে সংঘর্ষে তাদের দলের ১১ জন নেতা-কর্মী নিহত ও প্রায় তিন হাজার ৯০৬ জন আহত হয়েছেন।
এ সময় সংঘর্ষে একজন পুলিশ কনস্টেবল, একজন সাংবাদিক ও ক্ষমতাসীন দলের নেতা-কর্মী নিহত হন।
গত ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে বিএনপির বহুল আলোচিত মহাসমাবেশ শুরুর দেড় ঘণ্টা পর কাকরাইলে ক্ষমতাসীন দলের কর্মী ও পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ হয়। কিছুক্ষণের মধ্যেই নয়াপল্টনে সহিংস সংঘর্ষ ছড়িয়ে পড়ে, যার ফলে সমাবেশ মাঝপথে পণ্ড হয়ে যায়।আরও পড়ুন: নির্বাচন নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই: বিএনপি
নির্বাচন নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূতের বক্তব্যে জনগণের আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন নেই: বিএনপি
বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েনের সাম্প্রতিক বক্তব্যে জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি বলে মন্তব্য করেছে বিএনপি।
শনিবার (১১ নভেম্বর) বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী এক বিবৃতিতে এ কথা বলেন।
বাংলাদেশের জনগণের প্রত্যাশা ও জনগণের স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়গুলো তুলে ধরার জন্য চীনের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
তিনি বলেন, 'প্রকৃতপক্ষে, চীন সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশে আসন্ন নির্বাচন দেখতে চায় বলে রাষ্ট্রদূত ওয়েন যে মন্তব্য করেছেন, তাতে জনগণের ইচ্ছা বা আকাঙ্ক্ষার প্রতিফলন হয়নি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গত ১০ বছরে বাংলাদেশের জনগণের একটি বড় অংশ ভোট দেওয়ার সুযোগ পায়নি।
তিনি বলেন,‘তাই, দেশের বিপুল জনগোষ্ঠী স্বৈরাচারী শেখ হাসিনার অধীনে নয়, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে একটি অবাধ, সুষ্ঠু, অন্তর্ভুক্তিমূলক ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন চায়।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ভেঙে নতুন দল গঠনের সম্ভাবনা উড়িয়ে দিলেন মেজর হাফিজ
রিজভী বলেন, চীনা রাষ্ট্রদূতের এই বক্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে যখন সমগ্র জাতি ঐক্যবদ্ধভাবে তাদের ভোটাধিকার ও গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধারের প্রয়াসে শান্তিপূর্ণ আন্দোলন চালিয়ে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার প্রতিষ্ঠার দাবি জানাচ্ছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার(৯ নভেম্বর) এক অনুষ্ঠানে বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন বলেন, তার দেশ চায় সংবিধান অনুযায়ী বাংলাদেশের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক এবং সংশ্লিষ্ট দলগুলো তাদের মতবিরোধ নিরসন করে রাজনৈতিক ও সামাজিক স্থিতিশীলতা বজায় রাখুক।
রিজভী বলেন, সংবিধান অনুযায়ী আসন্ন জাতীয় নির্বাচন নিয়ে ওয়েনের বক্তব্য বিএনপি ও বাংলাদেশের গণতন্ত্রকামী জনগণের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমরা বাংলাদেশ সম্পর্কে তার উদ্বেগকে স্বাগত জানাই। একই সঙ্গে আমরা তাকে স্মরণ করিয়ে দিতে চাই যে, বাংলাদেশে বহুদলীয় গণতন্ত্র ও সংসদীয় গণতন্ত্র প্রবর্তনকারী দল বিএনপি সবসময় সংবিধানের প্রতি অঙ্গীকারবদ্ধ, যা জনগণ কর্তৃক অনুমোদিত ও গ্রহণযোগ্য।’
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, এটা দুঃখজনক যে অবৈধ আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা ধরে রাখার প্রয়াসে বিতর্কিত সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধান পরিবর্তন করেছে।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগের একতরফা নির্বাচনের উদ্যোগ জনগণই বানচাল করবে: রিজভী
তিনি আরও বলেন, জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত সুস্বীকৃত ও বহুল প্রশংসিত তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা 'ফ্যাসিবাদী' শেখ হাসিনা সরকার একটি হীন রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে বিলুপ্ত করেছে।
রিজভী বলেন, ২০১৪ ও ২০১৮ সালে পরপর দুটি 'প্রহসনমূলক' জাতীয় নির্বাচন স্পষ্টভাবে প্রমাণ করেছে যে শেখ হাসিনার অধীনে কোনো নির্বাচন সম্ভব নয়। ‘কারণ নির্বাচন কমিশন ও প্রশাসন, বিচার বিভাগ ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর একটি চিহ্নিত অংশ নির্বাচনের নামে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় অপরাধমূলক কর্মকাণ্ডে সহযোগীর ভূমিকা পালন করে।’
বাংলাদেশ ও চীন দীর্ঘদিন ধরে ব্যবসা-বাণিজ্য, জ্ঞান ও অন্যান্য দ্বিপক্ষীয় স্বার্থের ভিত্তিতে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক স্থাপন করেছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি বিশ্বাস করে যে কূটনৈতিক সাফল্য দুই দেশের জনগণের মধ্যে সম্পর্ক স্থাপনের মধ্যে নিহিত।
রিজভী বাংলাদেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা ও স্বার্থকে গুরুত্ব দিতে চীনের প্রতি আহ্বান জানান।
অবাধ, সুষ্ঠু ও অংশগ্রহণমূলক নির্বাচনের জন্য বাংলাদেশের জনগণের চলমান আন্দোলনে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের পূর্ণ সমর্থন প্রত্যাশা করে দলটি। ‘বিএনপি গণতন্ত্রের মূলভিত্তি পুনরুদ্ধার করতে চায়, যাতে বাংলাদেশে আইনের শাসন, মানবাধিকার, শ্রম অধিকার ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা পুনঃপ্রতিষ্ঠিত হয়।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশ এখন ‘নিষ্ঠুর একদলীয় শাসনের’ অধীনে: রিজভী