বিএনপি
পিআর পদ্ধতি ও স্থানীয় নির্বাচনের পেছনে ষড়যন্ত্র রয়েছে: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদম্য সালাহউদ্দিন আহমেদ অভিযোগ করে বলেছেন, যারা আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব (পিআর) ব্যবস্থার পক্ষে কথা বলছেন এবং স্থানীয় সরকার নির্বাচনকে অগ্রাধিকার দিচ্ছেন—আসন্ন জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত বা বাধাগ্রস্ত করার উদ্দেশ্য থাকতে পারে তাদের।
তিনি বলেন, ‘যারা আনুপাতিক নির্বাচন ব্যবস্থার কথা বলছেন তাদের উদ্দেশ্য আছে। যারা জাতীয় নির্বাচনের আগে স্থানীয় সরকার নির্বাচন চান তাদেরও উদ্দেশ্য আছে। হয় তারা চান নির্বাচন বিলম্বিত হোক, অথবা তারা চান না যে, বাংলাদেশে কোনো নির্বাচন হোক। এটি তাদের উদ্দেশ্য হতে পারে।’
শনিবার (২৮ জুন) শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের স্মরণসভা এবং আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে বাংলাদেশ গবেষণা বিশ্লেষণ ও তথ্য নেটওয়ার্ক (ব্রেইন) আয়োজিত একটি সংরক্ষণাগার উন্মোচন অনুষ্ঠানের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন এই মন্তব্য করেন।
বিএনপি নেতা বলেন, আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির শুরুতে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার দাবিতে বাংলাদেশের জনগণ ঐক্যবদ্ধ।
তিনি বলেন, ‘এ দেশের গণতন্ত্রকামী সকল মানুষ স্থানীয় সরকার নির্বাচনের জন্য সংগ্রাম করেনি। আমরা ১৭ বছর ধরে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাতীয় নির্বাচনের জন্য লড়াই করেছি। আমাদের ভোটাধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য আমরা অসংখ্য প্রাণ হারিয়েছি।’
পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি
বিএনপির এই নেতা বলেন, শিক্ষার্থীদের নেতৃত্বাধীন গণঅভ্যুত্থানের সময় শহীদদের আত্মত্যাগ এ দেশে একটি সত্যিকারের গণতান্ত্রিক রাষ্ট্রের আকাঙ্ক্ষাকে প্রতিফলিত করে। ‘একটি অবাধ ও সুষ্ঠু জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে একটি রাজনৈতিক সরকার প্রতিষ্ঠিত হলে আমরা অবশ্যই সেই গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র গড়ে তুলতে সক্ষম হব।’
তিনি বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনার পর রমজান শুরু হওয়ার এক সপ্তাহ আগে এবং ২০২৬ সালের ফেব্রুয়ারির প্রথমার্ধে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য একটি সর্বসম্মত প্রস্তাব করা হয়েছে, যা একটি যৌথ বিবৃতির মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘এটি তখনই কার্যকর হবে—যখন প্রধান উপদেষ্টা এই বিষয়ে যথাযথ প্রক্রিয়ার মাধ্যমে নির্বাচন কমিশনের কাছে বার্তা এবং নির্দেশনা পৌঁছে দেবেন। যখন প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়, নির্বাচন কমিশন, অথবা উভয়ই একসঙ্গে জাতিকে এ বিষয়ে জানাবে—তখনই আমরা সত্যিকার অর্থে নিশ্চিত হব যে, নির্বাচন সেই সময়েই অনুষ্ঠিত হবে।’
পড়ুন: রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার, দাবি বিএনপির ফারুকের
১৮৩ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টা-সিইসি বৈঠকের পর নির্বাচনের সময়সূচি চায় বিএনপি
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এন নাসির উদ্দীনের বৈঠকের পর বিএনপি জাতীয় নির্বাচনের নির্দিষ্ট সময়সূচি ঘোষণার প্রত্যাশা করছে বলে জানিয়েছেন দলটির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেছেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, নির্বাচনের দিন নির্ধারণ ও সময়সূচি ঘোষণায় জনগণের প্রত্যাশা ও আকাঙ্ক্ষা প্রতিফলিত হবে।’
শনিবার (২৮ জুন) চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন রিজভী।
প্রধান উপদেষ্টা ও সিইসির বৈঠকের পর বিএনপি কি নির্দিষ্ট নির্বাচনের তারিখ প্রত্যাশা করে—এমন প্রশ্নের জবাবে রিজভী বলেন, ‘আমরা নিশ্চয়ই তা আশা করি।’
এর আগে বৃহস্পতিবার প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন সিইসি নাসির উদ্দীন। বৈঠকটি রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনায় অনুষ্ঠিত হয়।
আরও পড়ুন: রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার, দাবি বিএনপির ফারুকের
রিজভী বলেন, নির্বাচনের সময়সীমা নিয়ে জনগণের প্রত্যাশা ও আলোচনার বিষয়টি বিভিন্ন পর্যায়ে ব্যাপকভাবে আলোচিত হচ্ছে।
তিনি বলেন, দেশের জনগণ ও রাজনৈতিক দলগুলো বিশ্বাস করে, অধ্যাপক ইউনূস ও অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জনগণের কল্যাণ ও গণতন্ত্রের স্বার্থেই কাজ করবেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, তারাও বিশ্বাস করেন যে, প্রধান উপদেষ্টা একটি নিরপেক্ষ ও সুষ্ঠু নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন, যাতে জনগণ তাদের জবাবদিহিমূলক প্রতিনিধি নির্বাচন করতে পারে।
বর্তমান পরিস্থিতি প্রসঙ্গে রিজভী বলেন, ‘আমাদের অর্থনীতি ও সামাজিক সংকট রয়েছে। মব কালচার আছে। এসব থেকে মুক্ত হতে হবে। গণতন্ত্র নিশ্চিত করতে হবে। গত বছরেও আমাদের প্রবৃদ্ধি ছিল ৪.২। এবার সেটি হয়েছে ৩.৯। আমরা সরকারকে সেটি দেখার জন্য বলব। আমরা তো সমালোচনা করবই। অবশ্যই যৌক্তিক সময়ের মধ্যে নির্বাচন দিতে হবে। আমরা প্রত্যাশা করি— নির্বাচন কমিশন দ্রুত একটি নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিগত অগণতান্ত্রিক সরকার দেশের অর্থ লোপাট করেছে। দেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে ধ্বংস করেছে— যার অন্যতম নির্বাচন কমিশন ও মিডিয়া। তারা কখনও প্রকৃত গণতন্ত্র চায়নি। জনগণ মনে করে, ড. ইউনূস দেশবাসীর মনের প্রত্যাশা মোতাবেক ব্যবস্থা নেবেন।’
১৮৩ দিন আগে
রমজানের আগেই নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি নিচ্ছে সরকার, দাবি বিএনপির ফারুকের
বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক বিরোধীদলীয় চিফ হুইপ জয়নুল আবদিন ফারুক জানান, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষণা অনুযায়ী সরকারের রমজানের আগেই জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে বলে বিশ্বাস করেন তারা।
শুক্রবার (২৭ জুন) জাতীয় প্রেসক্লাবে শিক্ষা উন্নয়ন প্রচার ক্যাম্পেইনের আলোচনা সভায় তিনি এই মন্তব্য করেন।
ফারুক বলেন, ‘ড. মুহাম্মদ ইউনূসের প্রতি আমাদের বিনীত অনুরোধ, আপনি আপনার কথা রাখুন। আমরা আশাবাদী, দেশে রমজানের আগেই নির্বাচন হবে। সরকার সে অনুযায়ীই প্রস্তুতি নিচ্ছে।’
তিনি বলেন, ‘সরকার নির্বাচন দিতে এরই মধ্যে অনেক দেরি করে ফেলেছে। আর বিলম্ব নয়। সাবেক রাষ্ট্রপতি বিচারপতি সাহাবুদ্দিন আহমেদ এরশাদ সরকারের পতনের তিন মাসের মধ্যে নির্বাচন দিয়েছিলেন। আপনি যদি ১৬ বছরের কলঙ্কজনক অধ্যায়ের অবসান ঘটিয়ে তিন মাস বা ছয় মাসের মধ্যে নির্বাচন দিতেন, আপনার নাম ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকত। তবে এখনও সময় আছে, আমরা আশাবাদী রমজানের আগেই নির্বাচন হবে।’
ফারুক আরও বলেন, এখন আলোচনা হচ্ছে যে একটি দল নাকি ২০০ থেকে ৩০০ আসন পাবে। এটি, জনগণের মধ্যে সন্দেহ তৈরি করছে।
তিনি বলেন, ‘অনেকে সংশয়ের মধ্য আছেন যে, নতুন দল (এনসিপি) শক্তিশালী না হওয়া পর্যন্ত নির্বাচন হবে না। তবে লন্ডন বৈঠকের পর আমি রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে আত্মবিশ্বাস পেয়েছি যে, রমজানের আগেই নির্বাচন হবে।’
ফারুক বলেন, ‘ভবিষ্যৎ সরকারের ওপরই নির্বাচন ব্যবস্থা, আইনশৃঙ্খলা ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহ, বিশেষ করে দুর্নীতি দমন কমিশনের উন্নতি নির্ভর করবে।’
আরও পড়ুন: বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী
তিনি আশা প্রকাশ করেন, পরবর্তী সরকার শেখ হাসিনা সরকারের দমন-পীড়নের অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে গণতান্ত্রিক পরিবেশ নিশ্চিত করবে—যাতে পুনরায় এমন পরিস্থিতির সৃষ্টি না হয়।
বিচার বিভাগসহ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানসমূহকে স্বাধীনভাবে কাজ করার সুযোগ দিতে হবে বলেও তিনি উল্লেখ করেন।
বিএনপি সরকার গঠন করতে পারলে শিক্ষা খাতকে সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেওয়া হবে জানিয়ে ফারুক বলেন, ‘যখন নির্বাচিত সরকার আসবে, তখন জনগণের নির্বাচিত প্রতিনিধি শিক্ষাখাতের সমস্যাগুলো সমাধান করবে। আমরা যদি শিক্ষার উন্নতি করতে না পারি, দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়।’
তিনি অভিযোগ করেন, আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে সাবেক শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন।
এনপির এই নেতা মন্তব্য করেন, ‘শেখ হাসিনা ও তার বাবা যেভাবে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংস করেছেন—তা ভাষায় প্রকাশের মতো নয়। যারা দেশে গণতন্ত্রের কথা বলেন, তারা কখনো শিক্ষার কথা বলেননি।’
১৮৪ দিন আগে
বিএনপির নাম ব্যবহার করে সরকারি অফিসে ‘কুচক্রী মহল’ বিশৃঙ্খলা করছে: রিজভী
আয়কর অফিসসহ সরকারি বিভিন্ন অফিসে ব্যক্তিগত স্বার্থ হাসিলের জন্য বিএনপির নামে আন্দোলন চালিয়ে একটি ‘কুচক্রী মহল’র বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টার সমালোচনা করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘যারা আয়কর অফিসে বা অন্যান্য বিভাগে বিএনপির নামে আন্দোলন করছেন—তারা বিএনপির অংশ নয়। তারা নিজেদের স্বার্থ হাসিলের জন্যই এটা করছে।’
শুক্রবার (২৭ জুন) রথযাত্রা উৎসব উপলক্ষে রাজধানীর নয়াপল্টনের ভাসানী ভবনে বাংলাদেশ পূজা উদযাপন ফ্রন্ট আয়োজিত এক আলোচনা সভায় রিজভী এই মন্তব্য করেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, কিছু ব্যক্তি বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সরকারি অফিসে তাদের আধিপত্য প্রতিষ্ঠার জন্য বিএনপির নামে নতুন নতুন কার্যকলাপ শুরু করার চেষ্টা করছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যারা জাতীয়তাবাদী আদর্শে বিশ্বাসী তাদের সকলেরই তাদের ব্যাপারে সতর্ক থাকা উচিত। তারেক রহমান তাদের বিরুদ্ধে কঠোর পদক্ষেপ নিচ্ছেন। কিন্তু তারপরও অনেকে বিএনপির নাম ব্যবহার করে বিএনপির ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন।’
রিজভী বলেন, তিনি এমন একজনের কথা শুনেছেন যিনি বিএনপির নাম ব্যবহার করে আয়কর অফিসে আন্দোলন করছেন।
তিনি অভিযোগ করে বলেন, ‘তিনি (সেই ব্যক্তি) এখন (এনবিআর) চেয়ারম্যানকে অপসারণের চেষ্টা করছেন এবং ভবিষ্যতে অন্য কাউকে অপসারণের চেষ্টা করবেন। কে তাকে এই দায়িত্ব দিয়েছে? আমি বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব—আমি এ বিষয়ে জানি না। আপনি নিজেই বিএনপির নাম ব্যবহার করে একটি অফিসে আন্দোলন শুরু করেছিলেন। সেখানে আরও অনেক বিএনপি নেতা আছেন, কেউ এ সম্পর্কে জানেন না।’
পড়ুন: নির্বাচনের তফসিলের পর আসন নিয়ে জোটের সঙ্গে আলোচনা করবে বিএনপি: খসরু
বিএনপির নামে যারা অপকর্ম করছে তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকার জন্য বিএনপি নেতা-কর্মীদের আহ্বান জানান রিজভী। বলেন, ‘রক্তপাত এবং সংগ্রামের মাধ্যমে সৃষ্ট সুযোগ আগামী দিনে একটি উন্নত রাজনৈতিক পরিবেশ গড়ে তুলতে সাহায্য করবে। প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হবে।’
তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের ত্রুটি-বিচ্যুতির সমালোচনা করলেও সরকারের ভালো কাজের প্রতি সমর্থন জানায় বিএনপি।
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে আলোচনা অনুসারে, সরকার যুক্তিসঙ্গত সময়ে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান করবে বলে আশা প্রকাশ করেন রিজভী।
তিনি বলেন, গ্রেপ্তার সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়াল স্বীকার করেছেন যে, ২০২৪ সালের নির্বাচন ছিল একটি ভুয়া নির্বাচন। ‘তার এই মন্তব্য স্পষ্টভাবে প্রমাণ করে যে (শেখ) হাসিনার আমলে সমস্ত নির্বাচন অবৈধভাবে অনুষ্ঠিত হয়েছিল।’
বিএনপি নেতা দাবি করেন, প্রশাসনের ভেতরে লুকিয়ে থাকা কিছু লোক—যারা ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের সুবিধাভোগী। তারা বিভিন্ন বিভাগে বিভিন্নভাবে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে জনগণকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের তাদের সম্পর্কে সতর্ক থাকতে হবে।’
১৮৪ দিন আগে
নির্বাচনের তফসিলের পর আসন নিয়ে জোটের সঙ্গে আলোচনা করবে বিএনপি: খসরু
ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার পরেই বিএনপি তার রাজনৈতিক জোটের শরীকদের সঙ্গে আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা শুরু করবে বলে জানিয়েছেন দলটির সিনিয়র নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
তিনি বলেন, ‘আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনা করার জন্য আমরা এখনও সেই পর্যায়ে পৌঁছাইনি। নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা এবং নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম শুরু হওয়ার পরে এই প্রক্রিয়া শুরু হবে।’
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে বিএনপির যোগাযোগ কমিটি এবং গণ অধিকার পরিষদের মধ্যে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে খসরু এই মন্তব্য করেন।
তিনি বলেন, নির্বাচন প্রক্রিয়া আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হওয়ার পরেই আসন বণ্টনের বিষয়টি সমাধান করা হবে। ‘তফসিল ঘোষণার পরেই আমরা সকল সমমনা দলের সঙ্গে আলোচনা করব।’
পড়ুন: গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশা প্রকাশ করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত: খসরু
গণ অধিকার পরিষদের নেতাদের সঙ্গে বৈঠককালে খসরু বলেন, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে সাম্প্রতিক বৈঠকের ফলাফল নিয়ে তারা আলোচনা করেছেন।
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঘোষণায় উভয় দলই সন্তুষ্ট বলে উল্লেখ করেন তিনি।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, তারা ৩১ দফা সংস্কার এজেন্ডা বাস্তবায়নসহ নির্বাচনের আগে কীভাবে এগিয়ে যাওয়া এবং প্রয়োজনীয় প্রস্তুতি নেওয়া যায় তা নিয়ে আলোচনা করেছেন। ‘আন্দোলনের সময় আমরা যেমন ঐক্যবদ্ধ ছিলাম, তেমনি আগামী দিনেও—নির্বাচনের সময়, সরকার গঠনে এবং ৩১ দফা সংস্কার বাস্তবায়নে—একসঙ্গে এগিয়ে যাব।’
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের চলমান বৈঠক সম্পর্কে বলতে গিয়ে খসরু বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো যেখানে একমত হতে পারে সে বিষয়ের ভিত্তিতে সংস্কার করা হবে। ‘এর বাইরে যাওয়ার কোনো সুযোগ নেই।’
তিনি বলেন, প্রতিটি দলের নিজস্ব রাজনৈতিক ধারণা, দর্শন এবং ভবিষ্যৎ লক্ষ্য রয়েছে। ‘সুতরাং, সবকিছুর উপর ঐকমত্যে পৌঁছানোর প্রয়োজন নেই। কিছু বিষয় বিএনপির কাছে গুরুত্বপূর্ণ, আবার কিছু বিষয় বিভিন্ন দলের কাছে বেশি গুরুত্বপূর্ণ। এই পার্থক্যগুলো থাকবে। সেই কারণেই সংস্কারগুলো একমত হওয়া বিষয়গুলোর উপর আলোকপাত করবে এবং অন্যান্য বিষয়গুলো নির্বাচনে জনগণের কাছে উপস্থাপন করা হবে।’
পড়ুন: মব জাস্টিস এখন মানবতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: তারেক রহমান
খসরু বলেন, বিএনপি তাদের নেতা ইশরাক হোসেনকে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশন (ডিএসসিসি) নির্বাচনে বিজয়ী ঘোষণা করার পর সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছে।
তিনি বলেন, ‘ইশরাককে মেয়র ঘোষণা করে বিচার বিভাগ একটি স্পষ্ট সিদ্ধান্ত দিয়েছে। নির্বাচন কমিশনও এটি অনুমোদন করেছে এবং মতামত দিয়েছে। তাই, আইনত তার মেয়র হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করা উচিত।’
খসরু বলেন, বিএনপি এবং বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার উভয়ই আইনের শাসনে বিশ্বাস করে। ‘আমরা দৃঢ়ভাবে বিশ্বাস করি যে আমরা যদি সত্যিই আইনের শাসন অনুসরণ করি—তাহলে ইশরাকের মেয়র হিসেবে শপথ নেওয়া স্বাভাবিক। আমরা এখন এই বিষয়ে সরকারের সিদ্ধান্তের জন্য অপেক্ষা করছি।’
১৮৫ দিন আগে
গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার আশা প্রকাশ করেছেন ইইউ রাষ্ট্রদূত: খসরু
একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও বিশ্বাসযোগ্য জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে বাংলাদেশে শিগগিরই গণতান্ত্রিক শাসন ফিরেবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের (ইইউ) রাষ্ট্রদূত মাইকেল মিলার।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরীর সঙ্গে বৈঠক করেন ইইউ রাষ্ট্রদূত মিলার। এ সময় তিনি এ আশাবাদ ব্যক্ত করেন। এ সময় বিএনপি সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ উপস্থিত ছিলেন।
বৈঠক শেষে সাংবাদিকদের আমির খসরু বলেন, ‘সবার আগে নির্বাচন নিয়ে আলোচনা হয়েছে। নির্বাচন ফেব্রুয়ারি হতে যাচ্ছে, এজন্য সবার একটা স্বস্তি ও সন্তুষ্টি আছে। আশা রয়েছে, দ্রুত নির্বাচনের দিকে গিয়ে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় ফিরে যাবে দেশ।’
তিনি বলেন, ‘অনেক কিছু অপেক্ষা করছে একটি নির্বাচিত সরকারের ওপর; তাদের কর্মকাণ্ড, আগামী দিনে কী হবে। স্বল্পমেয়াদি দীর্ঘমেয়াদি অনেক সিদ্ধান্ত আছে। যেগুলো একটি নির্বাচিত সরকারের সঙ্গে সবাই স্বস্তিবোধ করে। এসব বিষয় নিয়েই আমাদের বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
আরও পড়ুন: জুলাই বিপ্লবের সুফল পেতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জামায়াত আমিরের
বৈঠকে বাংলাদেশের শ্রমিকদের সমস্যা ও অধিকার নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান বিএনপির এই নেতা।
তিনি বলেন, ‘বাংলাদেশের শ্রমিকদের যে সমস্যা আছে, আপনারা জানেন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন কিন্তু সব সময় শ্রমিকদের অধিকার নিয়ে কাজ করে। সে বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।’
এ সময় বিচার বিভাগের স্বচ্ছতা ও স্বাধীনতা নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান তিনি। বলেন, ‘বিচার বিভাগের সচিবালয় প্রতিষ্ঠা নিয়ে ইউরোপীয় ইউনিয়ন একমত পোষণ করেছে এবং এর জন্য তারা ফান্ডিং করতে চায়।’
তিনি আরও বলেন, আগামী দিনে অনুদান-ঋণের বাইরে গিয়ে উন্নয়নের অংশীদার হতে চায় ইউরোপীয় ইউনিয়ন। বিএনপির কর্মসূচির সঙ্গে তাদের চিন্তা বহুলাংশে মিল আছে। এটিতে তারা সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছে।
১৮৬ দিন আগে
মব জাস্টিস এখন মানবতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: তারেক রহমান
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান বলেছেন, ‘মব জাস্টিস বর্তমানে মানবতার ও গণতন্ত্র বিকাশের পরিবেশের জন্য গুরুতর হুমকিতে পরিণত হয়েছে।’
নির্যাতিতদের সমর্থনে জাতিসংঘ ঘোষিত আন্তর্জাতিক নির্যাতনবিরোধী দিবস উপলক্ষে বুধবার (২৫ জুন) এক বাণীতে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা ফ্যাসিবাদ থেকে মুক্ত হলেও প্রকৃত অর্থে গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ও গণতন্ত্র চর্চার পথচলা এখনো শুরু হয়নি। মব জাস্টিস নামে এক হিংস্র উন্মাদনা মানবতার শত্রু হয়ে দাঁড়িয়েছে। এটি গণতান্ত্রিক সংস্কৃতি গঠনের পরিবেশকে বিপন্ন করে তুলবে।’
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী গণমাধ্যমে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে তারেকের এই বাণী তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, নির্যাতনের শিকারদের প্রতি সংহতি ও সম্মান জানাতে জাতিসংঘ ঘোষিত এ আন্তর্জাতিক দিবসটি অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ।
তারেক রহমান আরও বলেন, ‘দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর বহু দেশ স্বাধীনতা অর্জন করলেও বিশ্বজুড়ে সহিংসতা ও সংঘাত বন্ধ হয়নি। এখনো বহু দেশে ভয়াবহ রক্তপাত চলছে, যার ফলে অগণিত মানুষ নিহত, আহত বা চিরতরে পঙ্গু হয়ে যাচ্ছেন।’
বিএনপি নেতা অভিযোগ করে বলেন, বিভিন্ন রাষ্ট্রে স্বৈরাচারী শাসকগোষ্ঠী ভিন্নমত দমন করতে নৃশংস নিপীড়ন চালাচ্ছেন। ‘এসব দেশে মানুষের জীবন ও সম্পদ হুমকির মুখে পড়েছে। নিপীড়নের মাধ্যমে গুম, হত্যা ও মিথ্যা মামলায় বিরোধীদের কারাবন্দী করে রাখা হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ইসির সঙ্গে বৈঠকে সংসদের আগে স্থানীয় নির্বাচন দাবি জামায়াতের
বাণীতে বাংলাদেশের প্রসঙ্গে তারেক বলেন, প্রায় ১৬ বছর ধরে গণতন্ত্রকে বন্দী করে ভয়াবহ আওয়ামী ফ্যাসিবাদী দুঃশাসন চলেছে। এই সময়ে বাংলাদেশকে একটি সর্বগ্রাসী রাষ্ট্রে রূপান্তরিত করা হয়েছে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতাসহ সব ধরনের নাগরিক অধিকার হরণ করা হয়েছে। সংবাদমাধ্যমকে বিভিন্ন কালাকানুনের মাধ্যমে দমন করা হয়েছে।
বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াকে মিথ্যা মামলায় অন্যায়ভাবে কারাগারে পাঠানো হয়েছে এবং তার চিকিৎসা পর্যন্ত অমানবিকভাবে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে বলেও জানান তারেক।
তিনি বলেন, গত ১৬ বছরে দেশজুড়ে এক ভয়, আতঙ্ক ও নীরবতার পরিবেশ বিরাজ করছে।
একদলীয় কর্তৃত্ববাদী শাসন যেন ফিরে না আসে তা নিশ্চিত করার আহ্বান জানিয়ে তারেক বলেন, ‘গণতন্ত্রকে সচল ও কার্যকর রাখতে হবে এবং এর ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। মানবতা, ন্যায়বিচার, আইনের শাসন এবং অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের সংস্কৃতি গড়ে তুলতে হবে। এজন্য গণতান্ত্রিক শক্তির অটুট ঐক্য অত্যন্ত জরুরি।’
তিনি বিশ্বের সব নির্যাতিত মানুষের প্রতি সংহতি প্রকাশ করে বলেন, ‘নিপীড়িত মানুষের ন্যায়বিচার পাওয়ার পথে থাকা সব বাধা দূর করতে হবে। মানবিক মূল্যবোধে উদ্বুদ্ধ হয়ে সব গণতন্ত্রপ্রেমী মানুষের ঐক্যবদ্ধ প্রচেষ্টার মাধ্যমেই কেবল নিষ্ঠুর নির্যাতনকারী ও স্বৈরাচারীদের পরাজিত করা সম্ভব।’
১৮৬ দিন আগে
তারেক রহমানকে চীন সফরের আমন্ত্রণ সিপিসির
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে সুবিধাজনক সময়ে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছে দেশটির কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিসি)।
সোমবার (২৩ জুন) বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে বিএনপির উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধি দলের সঙ্গে এক বৈঠকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছেন সিপিসি কেন্দ্রীয় কমিটির পলিটব্যুরো সদস্য ও জাতীয় গণকংগ্রেস স্থায়ী কমিটির ভাইস চেয়ারম্যান লি হংঝং।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
লি হংঝং ও অন্যান্য সিনিয়র সিপিসি নেতাদের সঙ্গে বেইজিংয়ের গ্রেট হল অব দ্য পিপলে এই বৈঠক হয়। বৈঠকের শুরুতে সিপিসি নেতারা বিএনপি প্রতিনিধিদলকে স্বাগত জানান।
শায়রুল কবির খান বলেন, ‘বৈঠককালে লি হংঝং আনুষ্ঠানিকভাবে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে ভবিষ্যতে চীন সফরের আমন্ত্রণ জানিয়েছেন।’
তিনি বলেন, সিপিসি নেতারা আশা করেন যে, এই বৈঠক চীন ও বাংলাদেশের সম্পর্কের ক্ষেত্রে একটি নতুন অধ্যায়ের সূচনা করবে।
পড়ুন: সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন
তারা সিপিসি ও বিএনপির মধ্যে নিয়মিত আলোচনা এবং অব্যাহত সহযোগিতার প্রয়োজনীয়তার উপরও জোর দিয়েছেন বলে জানান শায়রুল কবির।
তিনি বলেন, আঞ্চলিক রাজনীতিতে চীনের নেতৃত্বের ভূমিকার প্রশংসা করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল। চীন বৃহত্তর বহুপক্ষীয় সহযোগিতার মাধ্যমে তার ইতিবাচক প্রচেষ্টা অব্যাহত রাখবে বলেও আশা প্রকাশ করেছেন বিএনপি মহাসচিব।
এর আগে, দিনের শুরুতে বিএনপির প্রতিনিধিদল চায়না রেলওয়ে গ্রুপ লিমিটেডের সদর দপ্তর পরিদর্শন করেন এবং তারা অবকাঠামো উন্নয়নে চীনের কাজ সম্পর্কে জানতে পারেন।
এই সফরকে বিএনপি ও সিপিসির মধ্যে শক্তিশালী রাজনৈতিক সম্পর্কের লক্ষণ হিসেবে দেখা হচ্ছে, উভয় দল ভবিষ্যতে আরও সহযোগিতার আশা করছে।
এর আগে রবিবার রাতে সিপিসির আমন্ত্রণে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের বিএনপির প্রতিনিধিদল পাঁচ দিনের সফরে চীনের উদ্দেশে ঢাকা ত্যাগ করে।
তারা বেইজিং ক্যাপিটাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে (বেইজিং সময়) ভোর ৫টা ২৫ মিনিটে পৌঁছান।
পড়ুন: মির্জা ফখরুলের সঙ্গে মার্কিন চার্জ দ্য অ্যাফেয়ার্সের সাক্ষাৎ
বিএনপির প্রতিনিধি দলের অন্য আট সদস্য হলেন—স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায় ও বেগম সেলিমা রহমান, চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা জহিরউদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জবিউল্লাহ এবং অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া, দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল এবং বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত সচিব এবিএম আব্দুস সাত্তার।
১৮৮ দিন আগে
সাবেক সিইসি হুদার গণপিটুনিকে সমর্থন করে না বিএনপি: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, তাদের দল গণপিটুনির সংস্কৃতিকে সমর্থন করে না। সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কেএম নূরুল হুদার গণপিটুটির ঘটনায় তাদের কোনো কর্মী জড়িত থাকলে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ জুন) তিনি ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা গণপিটুনির সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করি না, আমরা আইনের শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য নিরলসভাবে সংগ্রাম করে আসছি। আমরা চাই দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হোক।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় স্বচ্ছতার সঙ্গে আদালতের রায় বাস্তবায়ন হোক। নূরুল হুদার গ্রেপ্তার ও বিচারের ক্ষেত্রে যথাযথ আইনি প্রক্রিয়া আশাও করে তার দল।
তিনি বলে, ‘কিন্তু আমরা তার উপর যে অমানবিক আচরণ করা হয়েছে—তা সমর্থন করি না। এটি একটি বিচ্ছিন্ন ঘটনা। যদি বিএনপির কোনো নেতা বা কর্মী এতে জড়িত থাকে—তাহলে আমরা তদন্তের পর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেব...এটি আমাদের স্পষ্ট অবস্থান।’
সালাহউদ্দিন বলেন, বিএনপি চায় প্রতিটি ব্যক্তি, সে যত গুরুতর অপরাধীই হোক না কেন, তিনি তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার ভোগ করুক। ‘সে যত বড় অপরাধীই হোক না কেন, তার আইনি ও সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘন করা উচিত নয়।’
রবিবার(২৩ জুন) রাতে সাবেক সিইসি নুরুল হুদাকে রাজধানীর উত্তরার বাসভবনে একদল জনতা তাকে আক্রমণ করার পর গ্রেপ্তার করা হয়। নুরুল হুদার কমিশনের অধীনে ২০১৮ সালের জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়েছিল।
সামাজিক মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া একটি ভিডিওতে দেখা গেছে, হুদা সাদা টি-শার্ট এবং লুঙ্গি পরে ছিলেন এবং তার গলায় জুতার মালা ছিল। এক পর্যায়ে একজন ব্যক্তি জুতা দিয়ে হুদার মুখে আঘাত করেন। ভিডিওটি ব্যাপক সমালোচনার জন্ম দেয়।
আরও পড়ুন: মেধাপাচার রোধ ও শিক্ষা পুনর্গঠনের অঙ্গীকার বিএনপির
গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানগুলিকে দুর্বল করার জন্য হুদার ভূমিকার সমালোচনা করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘নুরুল হুদা বাংলাদেশের গণতন্ত্র ধ্বংস এবং নির্বাচন ব্যবস্থাকে সম্পূর্ণরূপে ধ্বংস করার জন্য দায়ী কয়েকজন ব্যক্তির মধ্যে তিনি একজন।’
সালাহউদ্দীন বলেন, শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী শাসনকে দীর্ঘায়িত করার জন্য তিনিসহ আরও বেশ কয়েকজন ব্যক্তি রাষ্ট্রীয় সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সম্পূর্ণরূপে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ধ্বংসের জন্য দায়ী।
তিনি বলেন, সাবেক প্রধান বিচারপতি খায়রুল হকের মতো আরও কয়েকজন গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে দুর্নীতিগ্রস্ত এবং ভেঙে ফেলার জন্যও দায়ী। ‘কিন্তু আমরা এই ধরনের বিষাক্ত সংস্কৃতি বা জনতার বিচারে বিশ্বাস করি না,’ বিএনপির এই স্থায়ী কমিটির সদস্য।
১৮৮ দিন আগে
তিন সাবেক সিইসিসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি)ও নির্বাচন কমিশনার (ইসি)-সহ দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন পরিচালনায় জড়িত ১৯ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে অনিয়ম ও পক্ষপাতমূলক আচরণের অভিযোগে মামলা করেছে বিএনপি।
রবিবার (২২ জুন) সকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় এই মামলা করে।
এর আগে, আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিনের কাছে অভিযোগপত্রের একটি অনুলিপি জমা দেন তারা। এ ছাড়া, বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সই করা একটি চিঠিও সে সময় হস্তান্তর করা হয়।
মামলায় মোট ১৯ জনকে আসামি করা হয়েছে, যাদের মধ্যে রয়েছেন— সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তি।
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনগুলো ত্রুটিপূর্ণভাবে ও দলীয় পক্ষপাতমূলক আচরণের মধ্য দিয়ে সম্পন্ন হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। নির্বাচনগুলোতে নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ও সেনা মোতায়েনের আহ্বান বারবার উপেক্ষিত হয়েছে বলে দাবি করেছেন দলটির নেতারা।
আজ সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সালাহউদ্দিন খান বলেন, ওই নির্বাচনগুলোর সময় দেশে ও আন্তর্জাতিক মহলে ব্যাপক অভিযোগ থাকা সত্ত্বেও তৎকালীন সিইসিরা কোনো সংশোধনী ব্যবস্থা নেননি। আমরা আশা করি বর্তমান নির্বাচন কমিশন বিষয়টি তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি-কমিশনারদের বিরুদ্ধে মামলা করবে বিএনপি
২০১৪ সালের ১০ম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপি ও অন্যান্য বিরোধী দলগুলো ভোট বর্জন করায় আওয়ামী লীগের ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচন পরিচালনা করেন তৎকালীন সিইসি কাজী রকিবউদ্দীন আহমদ।
এরপর ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে অনুষ্ঠিত একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনটি হয় তৎকালীন সিইসি কে এম নূরুল হুদার অধীনে। সে সময় ভোটের আগের রাতেই ব্যালট বাক্স ভর্তি করে রাখা হয়েছিল বলে অভিযোগ করে বিএনপি।
সর্বশেষ গত বছরের দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের অধীনে। সবশেষ এই নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপি। সেবারও নির্বাচনেও অংশ নেয়নি দলটি।
এদিকে চলতি মাসের শুরুতেই ওই তিনটি নির্বাচনের সঙ্গে জড়িতদের ভূমিকা তদন্ত করতে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুস।
১৯০ দিন আগে