বিএনপি
মির্জা ফখরুলের নেতৃত্বে চীন সফরে যাচ্ছে বিএনপি প্রতিনিধি দল
চীনা কমিউনিস্ট পার্টির (সিপিসি) আমন্ত্রণে আগামী রবিবার (২২ জুন) চীন সফরে যাচ্ছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের প্রতিনিধিদল।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) বিএনপির মিডিয়া সেল সদস্য সৈয়দ সায়রুল কবীর খান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন। তিনি জানান, এই সফরের জন্য বিএনপিকে আনুষ্ঠানিক আমন্ত্রণ জানিয়েছে সিপিসি।
দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার ও দলীয় পর্যায়ে অভিজ্ঞতা বিনিময়ই এই সফরের মূল লক্ষ্য বলে মন্তব্য করেন তিনি। সায়রুল কবীর আরও জানান, মির্জা ফখরুলের সঙ্গে সফরসঙ্গী হিসেবে থাকবেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির চার সদস্য— মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, বেগম সেলিমা রহমান ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন। এ ছাড়া, চেয়ারপারসনের তিন উপদেষ্টা— জহির উদ্দিন স্বপন, ইসমাইল জাবিউল্লাহ ও অধ্যাপক সুকোমল বড়ুয়া এবং দলের মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ডা. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেলও প্রতিনিধিদলে রয়েছেন।
সফর শুরুর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রতিনিধিদলটি ঢাকায় চীনের ভারপ্রাপ্ত রাষ্ট্রদূতের আমন্ত্রণে চীনা দূতাবাসে সাক্ষাৎ করে বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
দলীয় সূত্রে জানা যায়, বাংলাদেশের একটি গুরুত্বপূর্ণ উন্নয়ন সহযোগী হিসেবে বিবেচিত চীনের সঙ্গে বিএনপির সম্পর্ক গভীর করার প্রত্যাশারই প্রতিফলনই এই সফর। বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক রূপান্তরের প্রেক্ষাপটে বেইজিংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পর্ক জোরদারে এই সফর গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে আশা প্রকাশ করেন তারা।
এদিকে বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতিতে বিএনপিকে একটি ‘প্রতীক্ষমাণ সরকার’ হিসেবে বিবেচনা করছেন অনেক পর্যবেক্ষক, যার অপেক্ষা চলছে পরবর্তী নির্বাচন পর্যন্ত।
এই সফরকে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে বিভিন্ন দলের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে চীনের উদ্যোগের অংশ হিসেবে দেখছেন বিএনপি নেতারা। গত বছরের ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকার পতনের পর চীন বাংলাদেশের বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের সঙ্গে কূটনৈতিক সম্পৃক্ততা বাড়িয়েছে, যার মধ্যে রয়েছে বিএনপি, সদ্য-গঠিত এনসিপি ও কিছু ইসলামপন্থী দল।
এর আগে, চলতি বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক জোরদার এবং দুই দেশের মধ্যে সহযোগিতা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে আটটি রাজনৈতিক দলের নেতাদের নিয়ে গঠিত একটি ২১ সদস্যের ‘অনন্য’ প্রতিনিধিদল ১১ দিনের সফরে চীন যায়।
ওই প্রতিনিধিদলের নেতৃত্ব দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান। চীনা কর্তৃপক্ষ জানায়, গত আগস্টের রাজনৈতিক পরিবর্তনের পর বাংলাদেশের সঙ্গে বহুদলীয় সম্পর্ক জোরদারের কৌশলের অংশ হিসেবেই এই সফর আয়োজন করা হয়।
১১ দিনের সফরে প্রতিনিধিদলটি বেইজিং, শানশি এবং ইউনান প্রদেশে সিপিসির কেন্দ্রীয় ও প্রাদেশিক নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে।
১৯২ দিন আগে
সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচনে আপত্তি বিএনপির
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় অনেক দল সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতিতে সংসদে আসন নির্ণয় চাইলেও আপত্তি জানিয়েছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি।
ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের বৃহস্পতিবারের (১৯ জুন) আলোচনা শেষে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটের সঙ্গে সংখ্যানুপাতিক নির্বাচন বেমানান। এ পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে সংসদে কোনো সিদ্ধান্ত নিতে সরকারকে দুর্ভোগ পোহাতে হবে।’
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘অনেক ফেডারেল রাষ্ট্রে এ পদ্ধতির নির্বাচন আছে। কিন্তু বাংলাদেশ কোনো ফেডারেল রাষ্ট্র না, এটি রিপাবলিক রাষ্ট্র। বেশ কিছু রিপাবলিক রাষ্ট্রে সংখ্যানুপাতিক পদ্ধতির নির্বাচন থাকলেও বাংলাদেশের রাজনৈতিক সংস্কৃতির সঙ্গে এ পদ্ধতি একেবারেই বেখাপ্পা।’
‘সংসদে আইন পাশ করতে গেলে কিংবা সংবিধান সংশোধন করতে গেলে দুই তৃতীয়াংশের ভোট দরকার হবে। এ পদ্ধতিতে ৫০ শতাংশ ভোট পাওয়াই কঠিন হয়ে দাঁড়াবে।’ যোগ করেন সালাহউদ্দিন।
বৃহস্পতিবারের আলোচনায় বেশ কিছু রাজনৈতিক দলের দাবি ছিল—কোনো ব্যক্তিকে না বরং দলকে ভোট দেবে জনগণ। যে দল যত শতাংশ ভোট পাবে ৩০০ আসনের বিচারে তার তিনগুণ আসন নিয়ে সংসদে বসবে তারা। অর্থাৎ কোনো দল ১০ শতাংশ ভোট পেলে সংসদীয় আসন হবে ৩০টি।
এর বাইরে রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের ক্ষেত্রে গোপন ব্যালটে ভোট পদ্ধতির সমর্থন জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘যেহেতু চারটি বিষয় বাদে (আস্থা ভোট, অর্থ বিল, সংবিধান সংশোধন, জাতীয় নিরাপত্তা) বাকি সব বিষয়ে সংসদ সদস্যদের স্বাধীন ভোটদানের সিদ্ধান্তে আমরা একমত হয়েছি, তাই গোপন ব্যালটে রাষ্ট্রপতি নির্বাচন প্রক্রিয়ায় আমাদের কোনো আপত্তি নেই।’
পড়ুন: এনসিসি গঠনের বিরোধিতা করে বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ প্রসঙ্গে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘আজকে কেবল এ ব্যাপারে আলোচনা শুরু হয়েছে, কোনো মীমাংসা হয়নি। একনায়কতন্ত্র রুখতে এবং স্বৈরাচারকে প্রশ্রয় না দিতে পরপর দুইবার কেউ প্রধানমন্ত্রী হলে পরের মেয়াদে আর প্রধানমন্ত্রী হবে না- এ সিদ্ধান্তে আমরা একমত। তবে পরের মেয়াদ বাদ দিয়ে আবারও প্রধানমন্ত্রী হওয়া যাবে কিনা তা নিয়ে এখনো আলোচনা চলছে।’
রবিবার আবারও রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসছে কমিশন। আলোচ্য বিষয়ে প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ, সংবিধান ও রাষ্ট্রের মূলনীতি এবং নির্বাচনী এলাকা নির্ধারণ নিয়ে মতবিনিময় হবে বলে জানিয়েছে কমিশন।
১৯২ দিন আগে
এনসিসি গঠনের বিরোধিতা করে বিএনপি: সালাহউদ্দিন আহমেদ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, বিএনপি কিছু গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক পদ ও সংস্থায় নিয়োগের জন্য জাতীয় সাংবিধানিক কাউন্সিল (এনসিসি) গঠনের প্রস্তাবকে সমর্থন করে না, কারণ প্রস্তাবিত কাউন্সিলের কোনো জবাবদিহিতা নেই।
তিনি বলেন, ‘একটি গণতান্ত্রিক দল হিসেবে আমরা এমন কোনো প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন করতে পারি না—যার কর্তৃত্ব, ক্ষমতা ও কাজ আছে, কিন্তু জবাবদিহি নেই। এই ধরনের কাজসহ একটি পৃথক সংস্থা তৈরি করা ভারসাম্যহীন পরিস্থিতির দিকে নিয়ে যাবে।
বুধবার (১৮ জুন) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে অনুষ্ঠিত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে সংস্কার আলোচনার দ্বিতীয় দফার অধিবেশনের পর সাংবাদিকদের ব্রিফিংয়ে সালাহউদ্দিন এই মন্তব্য করেন।
তিনি ব্যাখ্যা করেন, এনসিসি সংস্কার কমিশনের একটি প্রস্তাব, যাতে রাষ্ট্রপতির নেতৃত্বে ৯ সদস্যের একটি কাউন্সিল গঠনের পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
কাউন্সিলে প্রধানমন্ত্রী, বিরোধীদলীয় নেতা, উচ্চকক্ষ ও নিম্নকক্ষ উভয়ের স্পিকার, প্রধান বিচারপতি, বিরোধীদলের মনোনীত দুইজন ডেপুটি স্পিকার এবং উভয় কক্ষের একজন করে সদস্য অন্তর্ভুক্ত থাকবেন।
প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগ না হওয়া পর্যন্ত এনসিসি কার্যকর থাকবে।
প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের পর নির্বাচনকালীন সময়ে প্রধান উপদেষ্টা, দুইজন উপদেষ্টা, রাষ্ট্রপতি এবং প্রধান বিচারপতির সমন্বয়ে গঠিত পাঁচ সদস্যের একটি সংস্থা দায়িত্ব গ্রহণ করবে।
পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে, আশা রিজভীর
এনসিসির কার্যাবলী ও কর্তৃত্ব প্রধান নির্বাচন কমিশনার এবং নির্বাচন কমিশনার, অ্যাটর্নি জেনারেল, পাবলিক সার্ভিস কমিশন, দুর্নীতি দমন কমিশন, জাতীয় মানবাধিকার কমিশন, প্রস্তাবিত স্থানীয় সরকার কমিশন, সশস্ত্র বাহিনীর প্রধান এবং সাংবিধানিক আইনে নির্ধারিত অন্যান্য পদসহ গুরুত্বপূর্ণ সাংবিধানিক ব্যক্তিত্বদের নিয়োগকে অন্তর্ভুক্ত করবে।
প্রস্তাবিত কাউন্সিল রাষ্ট্রপতির কাছে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা নিয়োগের জন্য নামও সুপারিশ করতে পারবে।
সালাহউদ্দিন বলেন, তারা (বিএনপি) আগে ব্যাখ্যা করেছেন কেন তারা এই এনসিসি ধারণার সঙ্গে একমত হতে পারে না এবং পুনর্ব্যক্ত করেছেন যে এই এনসিসির জন্য প্রস্তাবিত কার্যাবলী এবং দায়িত্বগুলো ইতোমধ্যেই বিভিন্ন আইন এবং সাংবিধানিক বিধানের মাধ্যমে নির্বাহী বিভাগের মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
তিনি বলেন, ‘আমরা জিজ্ঞাসা করতে পারি, অথবা আপনারা (সাংবাদিকরা) জিজ্ঞাসা করতে পারেন -- এত দায়িত্ব ও ক্ষমতার মধ্যে এবং এত নিয়োগ (সম্পাদনা) করার পরেও জবাবদিহি কোথায়? জবাবদিহি আছে কি? কেউ নেই। জবাবদিহি ছাড়া আমরা কোনো প্রতিষ্ঠানকে সমর্থন করতে পারি না।’
এনসিসির পক্ষে এই যুক্তি খণ্ডন করে যে, এই নিয়োগগুলো প্রধান নির্বাহী (সরকারের) করে, তাই দেশে অরাজকতা তৈরি হয়।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের যা দরকার তা হলো একটি সুষম রাষ্ট্রীয় কাঠামো, সামাজিক ব্যবস্থা এবং শাসন ব্যবস্থা। ‘যদি একটি তত্ত্বাবধায়ক সরকার থাকত—তাহলে এইভাবে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হত না।’
তিনি বলেন, পুরো সংসদ বিলুপ্ত করা যাবে না বা পুরো নির্বাহী বিভাগকে এই সমস্যার জন্য দায়ী করা যাবে না।
তিনি জোর দিয়ে বলেন, যদি নির্বাচন কমিশনকে স্বাধীন ও সাংবিধানিকভাবে কাজ করার সুযোগ দেওয়া হয়—তাহলে নির্বাহী বিভাগ ও সংসদ স্থায়ীভাবে তাদের কর্তৃত্ববাদী নিয়ন্ত্রণ হারাবে। যদি (এই ব্যবস্থাগুলোতে) কোনো ত্রুটি থাকে—তবে তা একটি স্বাধীন বিচার বিভাগের মাধ্যমে সমাধান করা হবে। এই কারণে, বিএনপি বিচার বিভাগের পূর্ণ স্বাধীনতার প্রস্তাব করে।
পড়ুন: মঙ্গলবারের ঐকমত্য বৈঠকে না আসায় জামায়াতের তীব্র সমালোচনা ফখরুলের
তিনি আরও বলেন, আমরা আশা করি কিছু আদালতের রায়, সাংবিধানিক সংস্কার ও অনুমোদনের মাধ্যমে সত্যিকারের স্বাধীন বিচার বিভাগের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রগতি হবে। ‘তাহলে এই ব্যবস্থাগুলো সুসংরক্ষিত থাকবে।’
বুধবার ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজের সভাপতিত্বে সংস্কার আলোচনায় বিএনপি, এনসিপি এবং জামায়াতসহ প্রায় ৩০টি রাজনৈতিক দল যোগ দেয়। বুধবার এনসিসি গঠন এবং রাষ্ট্রপতির কর্তৃত্ব নিয়ে আলোচনা হয়।
তবে, অধ্যাপক আলী রীয়াজ এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, রাজনৈতিক দলগুলো সাংবিধানিক পদে নিয়োগ পরিচালনার জন্য একটি সাংবিধানিক সংস্থার প্রয়োজনীয়তা অনুভব করে। ‘যদিও কয়েকটি দল কিছু নীতিতে ভিন্নমত পোষণ করে, তবুও সকলেই একটি সাংবিধানিক প্রক্রিয়া প্রতিষ্ঠার পক্ষে মত দিয়েছে।’
তিনি বলেন, কমিশন রাষ্ট্রপতি নির্বাচন সম্পর্কিত দুটি প্রস্তাব বিবেচনা করছে—একটি সাংবিধানিক সংস্কার কমিশন থেকে এবং অন্যটি নির্বাচনী সংস্কার কমিশন থেকে। রাষ্ট্রপতির ক্ষমতা বৃদ্ধি এবং কর্তৃত্বের ভারসাম্য নিয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে, বলেন অধ্যাপক আলী রীয়াজ।
বৃহস্পতিবার, সংস্কার আলোচনায় প্রধানমন্ত্রীর মেয়াদ এবং রাষ্ট্রের মৌলিক নীতিমালা, রাষ্ট্রপতির নিয়োগসহ আলোচনা হয়নি এমন বিষয়গুলো নিয়ে বৈঠক হওয়ার কথা রয়েছে।
১৯৩ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকার দ্রুত নির্বাচনী প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে, আশা রিজভীর
অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় নির্বাচন বিষয়ে দেওয়া তাদের প্রতিশ্রুতি দ্রুত বাস্তবায়ন করবে বলে নিজের আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করি সরকার শিগগিরই (ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি) নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রতিশ্রুতি পূরণ করবে।’
বুধবার (১৮ জুন) নরসিংদী জেলা বিএনপির নবগঠিত কমিটির সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন।
রিজভী বলেন, স্বৈরাচারের কুৎসিত উত্থান বন্ধে গণতন্ত্রকে একটি শক্ত ও প্রাতিষ্ঠানিক ভিত্তি দেওয়া প্রয়োজন।
তিনি বলেন, নির্বাচিত হয়ে তাদের দল ক্ষমতায় গেলে, গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের আন্দোলনে তাদের সঙ্গে অংশ নিয়েছে—এমন সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে পরামর্শ করে দেশ পরিচালনা করবে।
পড়ুন: মঙ্গলবারের ঐকমত্য বৈঠকে না আসায় জামায়াতের তীব্র সমালোচনা ফখরুলের
বিএনপি নেতা বলেন, বিএনপিসহ সকল রাজনৈতিক দল অনেক আশা ও প্রত্যাশা নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারকে সমর্থন জানিয়েছে।
তিনি প্রশ্ন তোলেন, বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে আইন প্রয়োগকারী সংস্থার যেসব সদস্যদের বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় ফাঁসিয়ে নির্যাতন করেছিল—তাদের কেন এখনও বিচারের আওতায় আনা হয়নি?
বিএনপির এই নেতা সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, স্বৈরাচারী শাসক শেখ হাসিনার নির্দেশে ক্ষমতার অপব্যবহার করে এবং বেআইনি কার্যকলাপ ও দমন-পীড়ন চালিয়েছে—এমন র্যাব, পুলিশ ও ডিবির সদস্যদের চিহ্নিত করে ব্যবস্থা নেওয়া উচিত।
তিনি বলেন, কেউ যদি মনে করেন সরকার তার নিরপেক্ষতা হারিয়েছে— তাহলে আলোচনার মাধ্যমে বিষয়টি সমাধান করা উচিত।
পড়ুন: গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র উপায় জাতীয় নির্বাচন: আমীর খসরু
রিজভী বলেন, বেগম খালেদা জিয়া ও ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের আপোষহীন নেতৃত্বে বিএনপি ঐক্যবদ্ধ রয়েছে। ‘বিএনপিকে বিভক্ত করার জন্য শেখ হাসিনার সকল ষড়যন্ত্র ব্যর্থ হয়েছে... সংকট এখনও শেষ হয়নি। গণতন্ত্র পুরোপুরি পুনরুদ্ধারের জন্য আমাদের এখনও অনেক পথ পাড়ি দিতে হবে,’ বলেন তিনি।
তিনি ডেঙ্গু এবং কোভিড-১৯ এর বিস্তার নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে জীবন বাঁচাতে ও স্বাস্থ্যঝুঁকি মোকাবিলায় সরকারকে তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানান।
ডেঙ্গু ও কোভিড-১৯ এর হুমকি মোকাবিলায় একটি জাতীয় টাস্কফোর্স গঠনের জন্যও সরকারের প্রতি আহ্বান জানান রিজভী।
১৯৩ দিন আগে
মঙ্গলবারের ঐকমত্য বৈঠকে না আসায় জামায়াতের তীব্র সমালোচনা ফখরুলের
জাতীয় নির্বাচনের পর প্রাসঙ্গিকতা হারানোর আশঙ্কায় মঙ্গলবারের জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ না দেওয়ায় জামায়াতে ইসলামীর তীব্র সমালোচনা করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
বুধবার(১৮ জুন) ঢাকা মহানগর বিএনপির এক অনুষ্ঠানে তিনি এই মন্তব্য করেন।
ঢাকা উত্তর বিএনপির তুরাগ ইউনিটের নতুন সদস্যপদ ফর্ম বিতরণ এবং সদস্যপদ নবায়ন অভিযান শুরু করার জন্য সানবিমস স্কুল প্রাঙ্গণে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘অনেকেই বৈঠকের ফলাফলে খুশি নন, কারণ নির্বাচন তাদের জন্য বিপদ ডেকে আনবে। যতক্ষণ পর্যন্ত নির্বাচন না হয়, ততক্ষণ পর্যন্ত তাদের যথেষ্ট গুরুত্ব রয়েছে।’
বিএনপি নেতা বলেন, নির্বাচন শেষে জনগণের সমর্থিত দল ক্ষমতায় আসবে।
জামায়াতের প্রতি তির্যক ইঙ্গিত করে তিনি বলেন, নির্বাচনের পর দল কতটা প্রভাব বজায় রাখবে তা নিয়ে দল উদ্বিগ্ন। ফখরুল বলেন, ‘এ কারণেই তারা হতাশ এবং গতকাল (মঙ্গলবার) ঐকমত্য কমিশনের বৈঠকে যোগ দেয়নি।’
পড়ুন: স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
গণমাধ্যমের খবরে বলা হয়েছে, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের বৈঠকের ফলাফলের প্রতিবাদে মঙ্গলবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আলোচনায় জামায়াত যোগ দেয়নি।
১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাক্ষাৎ এবং আগামী বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হওয়ার পর দলটি কমিশনের বৈঠকে যোগ দেয়নি বলে জানা গেছে।
ফখরুল বলেন, যখন আগামী বছরের এপ্রিলে নির্বাচনের সময়সূচি উপযুক্ত না হওয়ার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকার এবং রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বিতর্ক চলছিল এবং বিভাজন দেখা দিচ্ছিল, তখন তারেক রহমান ১৩ জুন লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে দেখা করেন।
পড়ুন: প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় একমত বিএনপি
তিনি এই বৈঠককে একটি বিরল এবং ঐতিহাসিক ঘটনা হিসেবে বর্ণনা করেন, কারণ এটি একটি শান্তিপূর্ণ গণতান্ত্রিক উত্তরণের পথ প্রশস্ত করে।
বৈঠকে ফখরুল বলেন, অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক উভয়ই নির্বাচনের তফসিল সম্পর্কে তাদের পূর্বের অবস্থান থেকে সরে এসে রমজানের এক সপ্তাহ আগে ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে একমত হয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘একেই আমরা রাষ্ট্রনায়কত্ব বলি। বিভাজন বা সংঘাতকে উসকে না দিয়ে, এই দুই নেতা একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচনের সুযোগ তৈরি করেছেন।’
১৯৪ দিন আগে
স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য সন্ধ্যায় হাসপাতালে যাবেন খালেদা জিয়া
নিয়মিত স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আজ সন্ধ্যায় রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে যাবেন বিএনপির চেয়ারপারসন ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া।
এ জন্য বুধবার (১৮ জুন) সন্ধ্যা ৬টার দিকে গুলশানের বাসভবন ‘ফিরোজা’ থেকে তার হাসপাতালের উদ্দেশে রওনা হওয়ার কথা রয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির চেয়ারপারসনের মিডিয়া উইংয়ের সদস্য শায়রুল কবির খান।
দীর্ঘদিন ধরে একাধিক জটিল স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছেন ৭৯ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী। এভারকেয়ার হাসপাতালের বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ও তার ব্যক্তিগত চিকিৎসকদের সমন্বয়ে গঠিত একটি মেডিকেল বোর্ডের তত্ত্বাবধায়নে বর্তমানে বাসায় থেকেই চিকিৎসা নিচ্ছেন।
এর আগে, চিকিৎসার জন্য প্রায় চার মাস লন্ডনে অবস্থানের পর গত ৬ মে ঢাকায় ফেরেন খালেদা জিয়া।
লন্ডনে অবস্থানকালে খালেদা জিয়ার চিকিৎসা তত্ত্বাবধায়নে ছিলেন লিভার বিশেষজ্ঞ অধ্যাপক প্যাট্রিক কেনেডি।
১৯৪ দিন আগে
প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভায় একমত বিএনপি
বিএনপি প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রক্রিয়ায় পরিবর্তন চায় ও দ্বিকক্ষবিশিষ্ট আইনসভার সিদ্ধান্তেও একমত বলে জানিয়েছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় ধাপের মঙ্গলবারের (১৭ জুন) আলোচনা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, বিদ্যমান সংবিধানে রাষ্ট্রপতি চাইলে নিজ ক্ষমতাবলে যাকে ইচ্ছা তাকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার এখতিয়ার রাখেন। প্রধান বিচারপতি নিয়োগে রাষ্ট্রপতির এই একচ্ছত্র ক্ষমতা পরিবর্তনে বিএনপি একমত।
রাষ্ট্রপতিই প্রধান বিচারপতি নিয়োগ দেবেন কিন্তু তাকে কিছু প্রক্রিয়া এবং নিয়মকানুন মেনে এ নিয়োগ দিতে হবে উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আপিল বিভাগের দুইজন বিচারপতি থেকে রাষ্ট্রপতি একজনকে প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেবেন। শুরুতে আমরা তিনজনের কথা বললেও বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল দুইজনের ব্যাপারে একমত হওয়ায় আমরাও তাদের সঙ্গে সায় দিয়েছি।’
পড়ুন: বিএনপি তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে শুধু জাতীয় নির্বাচন চায়: সালাহউদ্দিন
বিএনপি স্বাধীন বিচার বিভাগ চায়, সুপ্রিম কোর্ট সর্বোচ্চ স্বাধীনতা পাক এ বিষয়ে বিএনপি সম্পূর্ণ একমত জানিয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘বিচারপতি নিয়োগের স্বেচ্ছাচারিতা থেকে বের হয়ে আসতে পারলে আওয়ামী লীগ আমলে বিচার বিভাগের যে অবস্থা হয়েছিল সেখান থেকে ধীরে ধীরে নিষ্কৃতি মিলবে। পরবর্তীতে যারা সংসদে যাবেন সেখানে এ ব্যাপারে সংযোজন বিয়োজন দরকার হলে সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া যাবে।’
দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভা নিয়ে বিএনপি শুরু থেকেই সোচ্চার উল্লেখ করে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমাদের ৩১ দফায় দ্বি-কক্ষবিশিষ্ট আইনসভার উল্লেখ আছে। উচ্চকক্ষে ১০০ আসনের পাশাপাশি এর নাম সিনেট দেওয়া হবে এমন আলোচনাও হয়েছে আজকের আলোচনায়। তবে আইন পাশের ক্ষেত্রে উচ্চকক্ষের সঙ্গে নিম্নকক্ষের সমন্বয় প্রসঙ্গে কিছু দ্বিমত এবং দ্বিধা আছে।’
৭০ নম্বর অনুচ্ছেদ প্রসঙ্গে সালাহউদ্দিন জানান, শুধু অর্থ বিল এবং আস্থা ভোট বাদে এই অনুচ্ছেদ পরিবর্তনে সবাই একমত হলেও বিএনপি এর সঙ্গে সংবিধান সংশোধন এবং জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি সংযুক্ত করতে চায়। জুলাই সনদে বিএনপি সই করলেও নির্বাচিত হলে এ দুটো ব্যাপার যোগ করা হবে—তা আগে থেকেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
দলীয় ফোরামে আরও বিস্তারিত পর্যালোচনা শেষে এসব আলোচ্য বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্তে পৌঁছানো যাবে বলে মনে করেন বিএনপির এই নেতা।
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে মঙ্গলবারের আলোচনায় বিএনপি, জাতীয় নাগরিক পার্টি, গণঅধিকার পরিষদ, গণসংহতি, বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি, আমার বাংলাদেশ (এবি) পার্টি-সহ ২৯টি রাজনৈতিক দল অংশগ্রহণ করে।
কমিশনের পক্ষ থেকে সভাপতি আলী রীয়াজসহ আরও উপস্থিত ছিলেন, কমিশন সদস্য বিচারপতি মো. এমদাদুল হক, ড. বদিউল আলম মজুমদার, সফর রাজ হোসেন, ড. ইফতেখারুজ্জামান, ড. মো. আইয়ুব মিয়া, প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এবং প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী মনির হায়দার।
বুধবার সকাল ১১টায় আবার রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনায় বসবে কমিশন। এতে আজকের অসমাপ্ত আলোচনাসহ জাতীয় সংবিধান কাউন্সিল (এনসিসি), রাষ্ট্রপতি নির্বাচন পদ্ধতি, জেলা সমন্বয় কাউন্সিল বিষয়ে আলোচনা হওয়ার কথা রয়েছে৷
উল্লেখ্য, জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের আজকের বৈঠকে জামায়াতে ইসলামীর কোনো প্রতিনিধি যোগ দেয়নি। তবে, ঐকমত্য কমিশনের আগামীকালের বৈঠকে দলটি যোগ দেবেন—এমনটিই জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
১৯৪ দিন আগে
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একমাত্র উপায় জাতীয় নির্বাচন: আমীর খসরু
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, দেশের গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য অন্তর্বর্তী সরকারের কাছে একমাত্র উপায় হচ্ছে জাতীয় নির্বাচন আয়োজন করা।
তিনি বলেন, ‘জনগণের গণতান্ত্রিক, রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক অধিকার ফিরিয়ে আনার জন্য নির্বাচন ছাড়া আর কোনো উপায় নেই। লন্ডনের বৈঠকে দুই নেতা (প্রধান উপদেষ্টা এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান) এই বিষয়ে একমত হয়েছেন।’
সোমবার (১৬ জুন) সকালে লন্ডন থেকে ফিরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের বাইরে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলার সময় তিনি এসব কথা বলেন। লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বৈঠকের সময় বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সঙ্গে ছিলেন খসরু।
শুক্রবার (১৩ জুন) অধ্যাপক ইউনূস ওতারেকের মধ্যে বৈঠকের পর দেওয়া যৌথ বিবৃতির বিরোধিতা করে জামায়াতে ইসলামী ও জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি) যে সমালোচনা করেছে সে সম্পর্কে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি যদি আমরা সত্যিই গণতন্ত্রে বিশ্বাস করি—তাহলে সবারই নিজস্ব মতামত প্রকাশের সুযোগ থাকা উচিত।’
পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেকের বৈঠক অনেক রাজনৈতিক দলের মনে জ্বালা ধরিয়েছে: রিজভী
বিএনপি নেতা বলেন, ‘সুতরাং, প্রত্যেকেরই তাদের মতামত প্রকাশের অধিকার আছে। আমি মনে করি, এটি আমাদের গণতন্ত্রের সবচেয়ে বড় শক্তিগুলোর মধ্যে একটি—যে প্রত্যেকেই তাদের নিজস্ব মতামত প্রকাশ করতে পারে। আমাদের অবশ্যই এটি মাথায় রেখে এগিয়ে যেতে হবে।’
নির্বাচনের তাৎপর্যের উপর জোর দিয়ে তিনি বলেন, গত দুই দশক ধরে বাংলাদেশের মানুষ স্বাধীনভাবে ভোট দিতে পারেনি। ‘তরুণ প্রজন্ম কখনও ভোটদানের সুযোগ পায়নি। তাই তারা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচনের মাধ্যমে একটি গণতান্ত্রিক উত্তরণ চায়।’
বিএনপি নেতা আশা প্রকাশ করেন, দেশ গণতন্ত্রের পথে এগিয়ে যাবে, কারণ জনগণ গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য বিশাল ত্যাগ স্বীকার করেছে এবং দীর্ঘ সংগ্রাম চালিয়েছে।
ফ্যাসিবাদী উপাদানগুলোর সংস্কার ও বিচার প্রক্রিয়া সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে খসরু বলেন, সংস্কার ঐকমত্যের উপর নির্ভর করে এবং এটি একটি চলমান প্রক্রিয়ার অংশ। ‘সংস্কার নির্বাচনের আগে শেষ হবে না এবং এর পরেও অব্যাহত থাকবে।’
ফ্যাসিবাদীদের বিচার সম্পর্কে তিনি বলেন, এটি একটি চলমান প্রক্রিয়া এবং বিচার বিভাগের উপর নির্ভর করে। ‘বিচার বিভাগ বিচার পরিচালনা করবে এবং অভিযুক্তদের আইনি প্রক্রিয়ার আওতায় আনার চেষ্টা করা হচ্ছে। তাদের বিচারের আওতায় আনার জন্য প্রায় ছয় মাস সময় আছে। যদি এই সময়ের মধ্যে তা সম্পন্ন না হয়, তাহলে পরবর্তী নির্বাচিত সরকার দায়িত্ব নেবে।’
রাজনৈতিক ঐকমত্য সম্পর্কে বিএনপি নেতা বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে পারস্পরিক সমঝোতার মাধ্যমে যত বেশি সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, জাতির জন্য ততই মঙ্গল।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ঐকমত্যের কারণেই আমরা স্বৈরাচারী ও ফ্যাসিবাদী শাসককে সরাতে সক্ষম হয়েছি। তাই, আমরা যেখানেই সম্ভব ঐকমত্যের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নেওয়ার চেষ্টা করব।’
নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় সম্পর্কে খসরু বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন হলে বিএনপির কোনো বড় আপত্তি নেই। ‘আমরা সবসময় যত তাড়াতাড়ি সম্ভব নির্বাচন অনুষ্ঠানের পক্ষে। যদি সময়সীমা ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারিতে স্থানান্তরিত হয়, তবে এটি কোনো বড় বিষয় নয়। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো ঐকমত্যের মাধ্যমে সিদ্ধান্ত নেওয়া।’
১৯৫ দিন আগে
মির্জা ফখরুলের সঙ্গে ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সাক্ষাৎ
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও দেশের বর্তমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করতে বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরের সঙ্গে বৈঠক করেছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত ব্রিটিশ হাইকমিশনার সারাহ কুক।
সোমবার (১৬ জুন) সকালে ১০টার দিকে গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এ বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়।
প্রায় ১ ঘণ্টার বেশি সময় বৈঠক করেন তারা। বৈঠকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের বৈঠক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে: মির্জা ফখরুল
বৈঠকে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান ও সাংগঠনিক সম্পাদক শামা ওবায়েদ।
১৯৬ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেকের বৈঠক অনেক রাজনৈতিক দলের মনে জ্বালা ধরিয়েছে: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, লন্ডনে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক অনেক রাজনৈতিক দলের মনে জ্বালা ধরিয়েছে। তিনি বলেন, অনেকেই এটা মেনে নিতে পারছে না। কেউ কেউ উস্মা প্রকাশ করেছেন।
শনিবার (১৪ জুন) বিকালে গাজীপুরের ভবানীপুর এলাকায় স্থানীয় মুক্তিযোদ্ধা কলেজ মাঠে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ফরম বিতরণ ও নবায়ন কর্মসূচি উদ্বোধন উপলক্ষে আয়োজিত সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
জামায়াতকে ইঙ্গিত করে রিজভী বলেন, নির্বাচনের তারিখ নিয়ে আমাদের কিছু রাজনৈতিক দল উষ্মা প্রকাশ করেছেন। তারা ৭১ সালের জনগণের বিরোধিতা করেছেন। ৯১ সালে হাসিনার সঙ্গে নির্বাচন করেছেন। ৫ আগস্টের পর আওয়ামী লীগকে মাফ করে দেবে এবং ভারতের সঙ্গে সম্পর্ক বৃদ্ধি করবে বলে মন্তব্য করেন। তাহলে রাজনীতি মানে কি। তাদের রাজনীতি ভুলে ভরা আর বিএনপির রাজনীতি ইতিবাচক রাজনীতি।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের বৈঠক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে: মির্জা ফখরুল
তিনি বলেন, ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে যদি নির্বাচন হয়, তবে এর চাইতে উপযুক্ত সময় আর নেই। এসময় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার ঐতিহ্য রয়েছে। আর এপ্রিল মাস! তখন প্রচন্ড গরম, ঝড়, হজ্ব, কোরবানির মওসুম। রমজান মাসে কি প্রচারণা করা যায়!
ফেব্রুয়ারির প্রথম সপ্তাহ থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে নির্বাচন হবে, আবহাওয়া ভালো থাকে, রমজান নেই, পরীক্ষা নেই।
শেখ হাসিনার সমালোচনা করে রিজভী বলেন, বেগম জিয়ার বিরুদ্ধে কত অপপ্রচার চালানো হয়েছে, কিন্তু তিনি দেশ ছেড়ে পালিয়ে যাননি। শেখ হাসিনার অন্যায়ের কাছে তিনি মাথানত করেননি। হাসিনা নির্বাচন কমিশন ধ্বংস করেছে, গণতান্ত্রিক অধিকার নষ্ট করেছে।
ভারতের পুশ-ইন প্রসঙ্গে তিনি বলেন, পুশ-ইনের মাধ্যমে ভারত পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করতে চাইছে। বাংলাদেশের স্বাধীনতাকে অগ্রাহ্য করে তারা এটি করতে থাকলে—এর দায় তাদের নিতে হবে বলেও হুঁশিয়ারি দেন তিনি।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন দিতে রাজি প্রধান উপদেষ্টা: ফখরুল
জেলা বিএনপির আহ্বায়ক একেএম ফজলুল হক মিলনের সভাপতিত্বে ও জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক শাহ রিয়াজুল হান্নানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য দেন দলের যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট আব্দুল সালাম আজাদ, কেন্দ্রীয় নেতা হুমায়ুন কবির খান, কেন্দ্রীয় সহ স্বাস্থ্যবিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম বাচ্চু, কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান উদ্দিন সরকার, কালিয়াকৈর পৌরসভার সাবেক মেয়র মজিবুর রহমান ও ওমর ফারুক শাফিন প্রমুখ।
১৯৭ দিন আগে