বিএনপি
ইউনূস-তারেকের বৈঠক নির্বাচনের পথ প্রশস্ত করেছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস এবং দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে হওয়া বৈঠক নির্বাচন অনিশ্চয়তা দূর করেছে। তিনি বলেন, রমজানের আগে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য ফলপ্রসূ ঐকমত্যের মাধ্যমে নতুন আশা জাগিয়েছে বৈঠকটি।
শুক্রবার (১৩ জুন) এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘আসন্ন রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে এই বৈঠকে ফলপ্রসূ ঐকমত্য অনিশ্চয়তা দূর করেছে এবং দেশের জনগণের জন্য স্বস্তি ও নতুন আশার বার্তা এনেছে।
বিএনপি নেতা বলেন, লন্ডনে অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত এই বৈঠক বাংলাদেশের বিজয় নিশ্চিত করেছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘পূর্ব ঘোষিত প্রতিকূল এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচনের সময়সূচি থেকে সরে এসে সমগ্র বাংলাদেশের প্রত্যাশা ও অর্জনকে সংযুক্ত করে একটি যৌক্তিক সময় নির্ধারণের জন্য আমরা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসকে আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাই।’
প্রধান উপদেষ্টা জনগণের আকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করে সময়োপযোগী সিদ্ধান্ত নিয়েছেন উল্লেখ করে ফখরুল বলেন, এটি প্রশংসার যোগ্য পদক্ষেপ।
'সবার আগে বাংলাদেশ' নীতি হৃদয়ে ধারণ করে বিএনপি নেতা বলেন, তারেক রহমান সর্বদা প্রমাণ করেছেন যে তার সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার দেশের স্বার্থ, সার্বভৌমত্ব এবং স্থিতিশীলতা।
আরও পড়ুন: ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন দিতে রাজি প্রধান উপদেষ্টা: ফখরুল
তিনি বলেন, ‘তিনি (তারেক) সময়ের চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে ছাড় দিয়ে দায়িত্ববোধের পরিচয় দিয়েছেন। গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার যাত্রায়, তিনি কেবল রাজপথে সর্বোচ্চ ক্ষমতার অধিকারী নেতাই নন, বরং সংলাপের টেবিলে এবং গঠনমূলক সম্পৃক্ততায়ও সমানভাবে দক্ষ এবং দূরদর্শী।’
প্রধান উপদেষ্টাকে 'নো ওয়ান ইজ টু স্মল টু মেক আ ডিফারেন্স' এবং 'নেচার ম্যাটার্স: ভাইটাল পোয়েমস ফ্রম দ্য গ্লোবাল মেজরিটি' শীর্ষক দুটি বই এবং একটি কলম উপহার দিয়ে বিএনপি নেতা বলেন, তারেক রাজনৈতিক সৌজন্য এবং জ্ঞানভিত্তিক রাষ্ট্রীয় চিন্তাভাবনার একটি নতুন ধারার সূচনা করেছেন।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি বৃহত্তম রাজনৈতিক দলের প্রধান এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টার মধ্যে এই সৌহার্দ্যপূর্ণ বোঝাপড়া গণতন্ত্র, বাংলাদেশের ও জনগণের বিজয় আনবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিশ্বাস করি, সর্ববৃহৎ রাজনৈতিক দল এবং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধানের মধ্যে এই সম্প্রীতি ও ঐকমত্যের মাধ্যমে গণতন্ত্র গণতন্ত্র, বাংলাদেশ এবং এর জনগণের বিজয়ের দিকে পরিচালিত করবে।’
বিএনপি নেতা বলেন, এখন প্রত্যাশা হলো অন্তর্বর্তী সরকার তার ঘোষিত অবস্থান অক্ষুণ্ণ রেখে আগামী রমজানের আগে নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য সর্বাত্মক প্রস্তুতি শুরু করবে।
আরও পড়ুন: রমজানের আগে নির্বাচন সম্ভব: তারেককে ড. ইউনূস
সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রায় দেড় ঘণ্টা আলোচনার পর অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেকের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান বলেন, শুক্রবার লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় শুরু হয়ে বিকাল সাড়ে ৩টা (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত বৈঠক চলে। এটি বিকাল ৪টায় শেষ হওয়ার কথা থাকলেও পরিকল্পনার আধা ঘণ্টা আগে শেষ হয়।
১৯৮ দিন আগে
ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি নির্বাচন দিতে রাজি প্রধান উপদেষ্টা: ফখরুল
আগামী বছরের ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠানের বিষয়ে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইউনূস একমত হয়েছেন বলে জানিয়েছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সাক্ষাৎকালে তিনি এ বিষয়ে একমত হন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘সবাই আশা করেছিল এই বৈঠক একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে। আমরা আল্লাহর কাছে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি যে এই বৈঠকটি সত্যিই একটি টার্নিং পয়েন্টে পরিণত হয়েছে।’
বৈঠকের পর শুক্রবার (১৩ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
ফখরুল বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ঘোষিত এপ্রিল থেকে নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আনার প্রস্তাব করেছিলেন তারেক রহমান। কারণ, সেই সময়টি ভোটের জন্য অনুকূল নয়। ‘প্রধান উপদেষ্টা এতে সম্মত হওয়ায় সমগ্র জাতি অত্যন্ত আনন্দের সঙ্গে লক্ষ্য করেছে এবং তারা (সরকার) ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে নির্বাচনের সময়সীমা নির্ধারণ করেছে।’
আরও পড়ুন: রমজানের আগে নির্বাচন সম্ভব: তারেককে ড. ইউনূস
তিনি অধ্যাপক ইউনূসকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, তিনি তার বিচক্ষণতা ব্যবহার করে তারেককে বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন এবং এইভাবে রাজনৈতিক অচলাবস্থার অবসান ঘটিয়ে জাতিকে নতুন আশা নিয়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য।
ফখরুল বলেন, বৈঠকের পর একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়েছে, যেখানে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে যে, দুই নেতার মধ্যে আলোচনা সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে হয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, বৈঠকে আলোচিত অন্যান্য বিষয়ের মধ্যে নির্বাচনের বিষয়টিই প্রধান।
তিনি বলেন, অতীতের ভুল বোঝাবুঝি ভুলে গিয়ে জাতীয় ঐক্যকে আরও সুসংহত করে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝি সময়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের দিকে এগিয়ে যাওয়া এখন জরুরি।
ফখরুল বলেন, অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে বৈঠক শেষ হওয়ার পরপরই তিনি তারেক রহমানের সঙ্গে কথা বলেছেন এবং বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গত ১৫ বছর ধরে সংগ্রাম চালিয়ে যাওয়া, রক্তপাত করা এবং জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় যারা ত্যাগ স্বীকার করেছেন—তাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা ও শ্রদ্ধা জানিয়েছেন।
তিনি বলেন, তারেক সকল শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন এবং তাদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেছেন।
এছাড়াও, ফখরুল বলেন, বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান গণতন্ত্রের জন্য সংগ্রাম অব্যাহত রাখার জন্য দেশের জনগণের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছেন এবং তাদের ধন্যবাদ জানিয়েছেন।
আরও পড়ুন: ইসি শিগগিরই পরবর্তী নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে: ড. খলিলুর
এর আগে, লন্ডনে তাদের বৈঠকের পর প্রধান উপদেষ্টা এবং ভারপ্রাপ্ত বিএনপির চেয়ারম্যান তারেক রহমানের একটি যৌথ বিবৃতি দেওয়া হয়।
এতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে প্রস্তাব করেছিলেন যে আগামী বছর রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও বিশ্বাস করেন সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান উপযুক্ত হবে।
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদি সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়, তাহলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, সেক্ষেত্রে সংস্কার এবং বিচারের বিষয়ে এই সময়ের মধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতির প্রয়োজন হবে।’
এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন তারেক রহমান। দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ‘ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য তারেক রহমানকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’
সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পর অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেক রহমানের মধ্যে উচ্চ পর্যায়ের বৈঠক শেষ হয়।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে দুপুর ১টার দিকে লন্ডনের বাসভবন থেকে সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান।
লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় এই বৈঠক শুরু হয় এবং বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত চলে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
এর আগে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হোটেলে পৌঁছালে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান।
১৯৮ দিন আগে
রমজানের আগে নির্বাচন সম্ভব: তারেককে ড. ইউনূস
সময় মতো প্রস্তুতি সম্পন্ন করা গেলে পরবর্তী সাধারণ নির্বাচন এপ্রিলের পরিবর্তে ২০২৬ সালের রমজানের আগের সপ্তাহে অনুষ্ঠিত হতে পারে বলে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানকে বলেছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
তিনি বলেন, তবে, সেক্ষেত্রে, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের সময় সংস্কার ও গণহত্যার বিচারের বিষয়ে এই সময়ের মধ্যে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতির প্রয়োজন হবে।
শুক্রবার (১৩ জুন) লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা ড. ইউনূস ও তারেক রহমানের বৈঠকের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা বলা হয়।
এতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান ও অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের মধ্যে বৈঠক অত্যন্ত সৌহার্দ্যপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তারেক রহমান প্রধান উপদেষ্টাকে প্রস্তাব করেছিলেন যে আগামী বছর রমজানের আগে জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হোক। বিএনপির চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়াও বিশ্বাস করেন সেই সময়ের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠান উপযুক্ত হবে।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূস-তারেকের বৈঠক শেষ
যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টা বলেছেন, তিনি ইতোমধ্যেই ঘোষণা করেছেন, আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। যদি সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়, তাহলে ২০২৬ সালে রমজান শুরু হওয়ার আগের সপ্তাহেও নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, সেক্ষেত্রে সংস্কার এবং বিচারের বিষয়ে এই সময়ের মধ্যে যথেষ্ট অগ্রগতির প্রয়োজন হবে।’
এতে বলা হয়েছে, প্রধান উপদেষ্টার অবস্থানকে স্বাগত জানিয়েছেন তারেক রহমান। দলের পক্ষ থেকে তাকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। ‘ফলপ্রসূ আলোচনার জন্য তারেক রহমানকেও ধন্যবাদ জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা।’
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের সাক্ষাৎ: আলোচনার এজেন্ডা ও ফলাফল কী হতে পারে?
১৯৯ দিন আগে
ড. ইউনূস-তারেকের বৈঠক শেষ
বাংলাদেশের সাধারণ নির্বাচনের আগে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে প্রায় দুই ঘণ্টা আলোচনার পর প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে বহুল আলোচিত বৈঠক শেষ হয়েছে।
লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় এই বৈঠক শুরু হয় এবং বিকাল ৩টা ৩৫ মিনিট (বাংলাদেশ সময়) পর্যন্ত চলে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম ও বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বহুল আলোচিত আলোচনার ফলাফল সম্পর্কে সাংবাদিকদের ব্রিফ করার সম্ভাবনা রয়েছে।
এর আগে, জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম দুপুর ১টা ৫০ মিনিটের দিকে হোটেলে পৌঁছালে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপদেষ্টা হুমায়ুন কবিরকে নিয়ে দুপুর ১টার দিকে লন্ডনের বাসভবন থেকে সভাস্থলের উদ্দেশে রওনা হন তারেক রহমান।
সকালে দ্য ডরচেস্টারের সামনে জড়ো হওয়া বিএনপির যুক্তরাজ্য শাখার কয়েকশ নেতা-কর্মী তারেক রহমানকে উষ্ণ অভ্যর্থনা জানান।
এদিকে, ড. খলিলুর রহমান ও বিএনপি নেতা আমীর খসরু দ্য ডরচেস্টার হোটেলে পৃথক বৈঠক করেন বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার উপ প্রেসসচিব আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক ড. মওদুদ হোসেন আলমগীর পাভেল বলেন, আমীর খসরু প্রধান উপদেষ্টা ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের মধ্যে বৈঠক সম্পর্কে সাংবাদিকদের অবহিত করবেন।
আরও পড়ুন: লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক শুরু
উচ্চ পর্যায়ের এই বৈঠকটি এরই মধ্যে দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে।
সকলের দৃষ্টি এখন লন্ডনের দিকে, কারণ অনেকেই আসন্ন নির্বাচনের আগে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে এটিকে একটি সম্ভাব্য মোড় হিসেবে দেখছেন।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা এবং রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করেন, নির্বাচনের সময়সূচি, প্রস্তাবিত সংস্কার, জুলাই সনদ, জুলাই-আগস্ট গণঅভ্যুত্থানের ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য ন্যায়বিচার, নিরাপদ ও সুশৃঙ্খলভাবে ক্ষমতা হস্তান্তর, অন্তর্বর্তী সরকারের গৃহীত সিদ্ধান্তের অনুমোদন, অন্তর্বর্তী প্রশাসনের জন্য একটি মর্যাদাপূর্ণ প্রস্থান কৌশল ও তারেক রহমানের বাংলাদেশে সম্ভাব্য ফিরে আসা সহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় বৈঠকে আলোচনা হওয়ার কথা ছিল।
বিএনপি নেতারা এই বৈঠককে নির্বাচনের সময়সূচি নিয়ে টানাপোড়েন নিরসনের জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ বলে মনে করেন। একই সঙ্গে তারা পরামর্শ দেন যে সময়সূচি সামঞ্জস্যপূর্ণ করা আলোচনার একটি প্রধান বিষয় হতে পারে।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের সাক্ষাৎ: আলোচনার এজেন্ডা ও ফলাফল কী হতে পারে?
১৯৯ দিন আগে
লন্ডনে ড. ইউনূসের সঙ্গে তারেক রহমানের বৈঠক শুরু
আগামী জাতীয় নির্বাচনকে সামনে রেখে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের সম্ভাবনার মধ্যে লন্ডনে অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের বহুল প্রত্যাশিত উচ্চপর্যায়ের বৈঠক শুরু হয়েছে।
শুক্রবার (১৩ জুন) বাংলাদেশ সময় দুপুর ২টায় লন্ডনের ডরচেস্টার হোটেলে এই বৈঠক শুরু হয় বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার ডেপুটি প্রেস সেক্রেটারি আবুল কালাম আজাদ মজুমদার।
এদিন দুপুর ১টা ৫০ মিনিটে ডরচেস্টার হোটেলে পৌঁছালে তারেক রহমানকে স্বাগত জানান জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা ড. খলিলুর রহমান ও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম।
বৈঠকের আগে যুক্তরাজ্য বিএনপির শত শত নেতাকর্মী এই বিএনপি নেতাকে স্বাগত জানাতে হোটেল প্রাঙ্গণে জড়ো হন।
প্রাথমিকভাবে দুই ঘণ্টার এই একান্ত বৈঠক হলেও উভয়পক্ষ সম্মত হলে আলোচনায় অন্যরাও যুক্ত হতে পারেন বলে জানা গেছে।
পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন কবে হবে—তা নিয়ে যখন রাজনৈতিক উত্তেজনা বাড়ছে, তখনই অনুষ্ঠিত হচ্ছে এই বৈঠক।
এই উচ্চপর্যায়ের বৈঠক ইতোমধ্যে বাংলাদেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহের জন্ম দিয়েছে। এই বৈঠক দেশের রাজনীতিতে একটি টার্নিং পয়েন্ট হতে পারে বলে মনে করছেন অনেকে।
বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতারা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে, আলোচনায় যেসব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় উঠে আসতে পারে, তার মধ্যে রয়েছে নির্বাচন কবে হবে তা নিয়ে সিদ্ধান্ত, প্রস্তাবিত রাজনৈতিক সংস্কার, জুলাই সনদ, জুলাই–আগস্ট গণ-আন্দোলনে নিহতদের বিচার, শান্তিপূর্ণ ও নিরাপদ ক্ষমতা হস্তান্তর, অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্ত অনুমোদন, সরকারের সম্মানজনক প্রস্থান কৌশল এবং তারেক রহমানের দেশে ফেরার সম্ভাবনা।
১৯৯ দিন আগে
ইউনূস-তারেকের সাক্ষাৎ: আলোচনার এজেন্ডা ও ফলাফল কী হতে পারে?
প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান লন্ডনে একটি আনুষ্ঠানিক সাক্ষাতের জন্য প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দুই নেতার এই বহুল আলোচিত বৈঠকটি দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে আগ্রহের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে উঠেছে।
এই সাক্ষাৎ ডর্চেস্টার হোটেলে লন্ডনে স্থানীয় সময় শুক্রবার(১৩ জুন) সকাল ৯টা থেকে ১১টা (স্থানীয় সময়) পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
এই বৈঠককে ঘিরে এরই মধ্যে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী লন্ডনে পৌঁছেছেন, তবে এটি স্পষ্ট নয় যে আলোচনা একান্তভাবে হবে কিনা।
এই উচ্চপর্যায়ের সাক্ষাৎ ইতোমধ্যেই দেশের রাজনৈতিক অঙ্গনে ব্যাপক আগ্রহ সৃষ্টি করেছে। সবাই এখন লন্ডনের দিকে তাকিয়ে রয়েছেন। কারণ অনেকেই মনে করছেন, আগামী সাধারণ নির্বাচনের আগে এই সাক্ষাতের মাধ্যমে বাংলাদেশের রাজনৈতিক দৃশ্যপটে একটি গুরুত্বপূর্ণ মোড় নিতে পারে।
বিএনপি ও অন্যান্য রাজনৈতিক দল আশা করছে, আলোচনাটি চলমান রাজনৈতিক সংকট ও নির্বাচন সম্পর্কিত অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় বিষয়গুলো সমাধানে সহায়ক হবে।
আরও পড়ুন: ইউনূস-তারেকের বৈঠক থেকে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইবে: রিজভী
যদিও প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেছেন, এজেন্ডা উভয় নেতাই নির্ধারণ করবেন, বিএনপির শীর্ষ নেতারা ও রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন যে কয়েকটি মূল বিষয় আলোচ্য সূচিতে স্থান পেতে পারে। এর মধ্যে রয়েছে-
• নির্বাচন সময়সূচি,• সংস্কার,• জুলাই ঘোষণা,• জুলাই-আগস্ট মাসের গণঅভ্যুত্থানে হত্যাকারীদের বিচার,• শক্তিশালী এবং সুশৃঙ্খল ক্ষমতা হস্তান্তর,• অন্তর্বর্তী সরকারের সিদ্ধান্তগুলোর অনুমোদন,• অন্তর্বর্তী প্রশাসনের জন্য মর্যাদাপূর্ণ প্রস্তানের কৌশল, ও• তারেক রহমানের বাংলাদেশে ফেরত আসার সম্ভাবনা।
এই সাক্ষাৎ অধ্যাপক ইউনূসের সাম্প্রতিক জাতীয় ভাষণে দেওয়া ঘোষণার পর অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তিনি জানিয়েছেন আগামী বছরের এপ্রিলের প্রথমার্ধে ত্রয়োদশ সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। তবে বিএনপি নির্বাচন ডিসেম্বরের মধ্যে দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছে। এই সিদ্ধান্তে হতাশা প্রকাশ করে একে একপেশে এবং বাস্তবসম্মত নয় বলেও মন্তব্য করেছে দলটি।
বিএনপি নেতারা মনে করেন, এই সাক্ষাৎ নির্বাচন সময়সূচি নিয়ে সংকট সমাধানের একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হতে পারে, এবং আলোচনার কেন্দ্রে এই সময়সূচি সমন্বয় একটি প্রধান বিষয় হবে।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এক সদস্য নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘সাক্ষাতে তারেক রহমান স্পষ্টভাবে ব্যাখ্যা করবেন কেন এপ্রিল নির্বাচন করার জন্য উপযুক্ত সময় নয় এবং কেন ডিসেম্বর আরও বেশি উপযুক্ত হবে। তবে, যদি প্রধান উপদেষ্টা ফেব্রুয়ারি সময় হিসেবে গ্রহণ করার জন্য প্রস্তুত হন, তবে নমনীয়তার কিছু সুযোগ থাকতে পারে।’
তিনি আরও জানান, তারেক রহমান জানুয়ারি বা ফেব্রুয়ারির মধ্যে নির্বাচন হলে, রমজানের আগে, তাতে কোনো আপত্তি নাও থাকতে পারে।
তারেক রহমানের দেশে ফেরার বিষয়টিও আলোচনায় উঠতে পারে, যা ১৭ বছর পর তার লন্ডন থেকে দেশে ফেরার পথ সুগম করতে পারে।
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর সম্প্রতি জানিয়েছেন তারেক রহমান ‘শিগগিরই’ দেশে ফিরবেন।
আরও পড়ুন: তারেক রহমান শিগগিরিই দেশে ফিরবেন: মির্জা ফখরুল
এদিকে, স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মো. জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বৃহস্পতিবার সাংবাদিকদের বলেছেন, তারেক রহমানের দেশে ফেরার ক্ষেত্রে কোনো আইনি বাধা নেই। বলেন, ‘তিনি বাংলাদেশে নাগরিক এবং যেকোনো সময় দেশে ফিরে আসতে পারেন।’
রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ঐতিহাসিক সাক্ষাৎ ব্যর্থ হলে রাজনৈতিক সংকট আরও তীব্র হতে পারে। তারা সতর্ক করে দিয়েছেন যে, সাক্ষাতের বিস্তারিত—যেমন আলোচনা, মতবিরোধ এবং ফলাফল—খুব তাড়াতাড়ি প্রকাশ না করার জন্য—যাতে এটি ষড়যন্ত্র তত্ত্ব এবং জনস্বার্থে গৃহীত উদ্যোগগুলোকে ব্যাহত না করে।
এছাড়া, তারা সুপারিশ করেছেন যে, সিদ্ধান্তগুলো ধীরে ধীরে আনুষ্ঠানিক প্রক্রিয়ার মাধ্যমে কার্যকর করা উচিত।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ সাংবাদিকদের বলেন, ‘এটি একটি উচ্চ পর্যায়ের সাক্ষাৎ, যেখানে জাতীয় সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নিয়ে আলোচনা হতে পারে, বিশেষ করে সাধারণ নির্বাচনের জন্য একটি উপযুক্ত তারিখ নির্ধারণ নিয়ে।’
তিনি বলেন, ‘একটি নিরপেক্ষ সরকারের গুরুত্ব, আইনের শাসন, আদালতের রায়, জাতীয় নিরাপত্তা এবং বৃহত্তর রাজনৈতিক বিষয়গুলোও গুরুত্ব সহকারে আলোচনা হবে।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘সংস্কারগুলোও একটি আলোচনার বিষয় হতে পারে। আমরা এটি একটি ইতিবাচক মানসিকতার সঙ্গে দেখছি। আমরা আশা করছি, এই উচ্চ পর্যায়ের সাক্ষাৎ থেকে একটি জাতীয়ভাবে গ্রহণযোগ্য সমাধান বা সিদ্ধান্ত বের হবে।’
তিনি আরও বলেন, সাক্ষাৎ রাজনৈতিক উত্তেজনা কমাতে এবং প্রধান মতবিরোধগুলোর সমাধান করতে সাহায্য করতে পারে।প্রধান উপদেষ্টা এপ্রিল থেকে নির্বাচনের তারিখ এগিয়ে আনার জন্য রাজি হতে পারেন কিনা—এ বিষয়ে সালাহউদ্দিন বলেন, ‘আমরা আশা করি, যখন দুই নেতা দেখা করবেন, তখন এই বিষয়টি—এবং আরও অনেক বিষয়—গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হবে।’
তিনি আশাবাদী যে, অধ্যাপক ইউনূস প্রস্তাবিত সময়সূচি সংশোধন করবেন এবং আবহাওয়া, রমজান এবং পাবলিক পরীক্ষাগুলোর বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে একটি বাস্তবসম্মত সময়সূচি গ্রহণ করবেন।
বিএনপি স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. এ.জেড.এম. জাহিদ হোসেন বলেন, ‘বাংলাদেশের গণতন্ত্র এবং নির্বাচন নিয়ে যে অনিশ্চয়তা এবং বিভ্রান্তি তৈরি হয়েছে—যে অন্ধকার মেঘগুলো জমেছিল—এই সাক্ষাতের মাধ্যমে তা পরিষ্কার হতে শুরু করবে।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন যে, এই সাক্ষাৎ ন্যায়বিচার, জরুরি সংস্কার, দ্রুত নির্বাচন এবং দেশের পুনর্গঠন ও পাচারকৃত অর্থ ফিরিয়ে আনার ভিত্তি তৈরি করবে।
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, জনগণ গভীরভাবে এই আলোচনার দিকে মনোযোগ দিচ্ছে এবং নির্বাচনের সময়সূচি, সংস্কার এবং এই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়গুলোতে দুই নেতার অবস্থান এবং যে কোনো সমঝোতার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের
তিনি আশা প্রকাশ করেছেন যে আলোচনা থেকে ইতিবাচক ফলাফল আসবে, যা শান্তি এবং স্থিতিশীলতা তৈরি করতে সাহায্য করবে।
বিএনপি নেতা আরও আশা করেছেন, এই সাক্ষাৎ দেশের গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক চ্যালেঞ্জগুলোর জন্য গঠনমূলক সমাধান খুঁজে বের করতে সাহায্য করবে।
রাজনৈতিক বিশ্লেষক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক ড. কাজী মোহাম্মদ মাহবুবুর রহমান বলেন, তিনি বিশ্বাস করেন যে ফলাফল ইতিবাচক হবে। বলেন ‘আমি আশা করি উভয় পক্ষ আলোচনা করে একটি সমঝোতায় পৌঁছাবে।’ তিনি বলেন।
তিনি আরও বলে, ‘ব্যর্থতার জন্য কোনো জায়গা নেই। যদি আলোচনা ব্যর্থ হয়—তাহলে একাধিক সংকট সৃষ্টি হতে পারে। তবে আমরা বিশ্বাস করি, যদিও আলোচনা চলাকালীন মতপার্থক্য স্বাভাবিক, উভয় পক্ষই অবশেষে জাতীয় স্বার্থকে অগ্রাধিকার দিয়ে, কিছু ছাড় দিয়ে সমঝোতা পৌঁছবে। পুরো জাতি এমন একটি সমাধানের জন্য আশাবাদী।’
১৯৯ দিন আগে
ইউনূস-তারেকের বৈঠক থেকে গণতন্ত্রের সুবাতাস বইবে: রিজভী
লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ইউনূস ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের মধ্যে প্রত্যাশিত বৈঠক বাংলাদেশে গণতন্ত্রের জন্য নতুন হাওয়া বয়ে আনবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন দলটির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী।
বুধবার (১১ জুন) বিএনপির নয়াপল্টন কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক ব্রিফিংয়ে তিনি সাংবাদিকদের এই আশাবাদের কথা জানান।
রিজভী বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি এই বৈঠক ঐতিহাসিক হবে এবং বাংলাদেশের গণতন্ত্রের জন্য একটি নতুন হাওয়া বয়ে আনবে। এই বৈঠক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, গোটা জাতি এখন লন্ডনের বৈঠকের দিকে অনেক প্রত্যাশা নিয়ে তাকিয়ে আছে, কারণ অধ্যাপক ইউনূস এবং তারেকের মধ্যে আনুষ্ঠানিক আলোচনা আনন্দের উৎস হিসেবে দেখা হচ্ছে।
এই বৈঠক বাংলাদেশের ‘দুর্ভাগ্যজনক গণতন্ত্র’ রক্ষা ও শক্তিশালী করতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘এই বৈঠক ফ্যাসিবাদের প্রত্যাবর্তন প্রতিরোধ করবে এবং আগ্রাসী শক্তির দ্বারা গণতন্ত্র ধ্বংস না হয় তা নিশ্চিত করবে বলে আশা করা হচ্ছে। দেশে গণতান্ত্রিক রীতিনীতি শক্তিশালীকরণ এবং স্থায়ীকরণে এটি গুরুত্বপূর্ণ হবে।’
আরও পড়ুন: তারেক রহমান শিগগিরিই দেশে ফিরবেন: মির্জা ফখরুল
এক প্রশ্নে তিনি ডিসেম্বরে সাধারণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের ব্যাপারে বিএনপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে বলেন, তার দল ইতোমধ্যেই এই সময়সীমার জন্য যৌক্তিক কারণ তুলে ধরেছে।
রিজভী বলেন, ‘দেশের জনগণও ডিসেম্বরকে নির্বাচনের জন্য যৌক্তিক সময় বলে মনে করে। আলোচনা চলছে... আমরা পরে ফলাফল জানতে পারব।’
তিনি আশাবাদী যে নির্বাচনের সময়সহ বিদ্যমান জাতীয় সমস্যাগুলো এই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকের মাধ্যমে সমাধান করা যেতে পারে।
এর আগে মঙ্গলবার বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর নিশ্চিত করেছেন, তারেক রহমান ১৩ জুন (শুক্রবার) লন্ডনে যুক্তরাজ্য সফররত অধ্যাপক ইউনূসের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করবেন।
বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি বলেন, বৈঠকটি লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা যে হোটেলে অবস্থান করছেন সেখানেই হবে।
বাংলাদেশের প্রতি ক্রমবর্ধমান শত্রুতা এবং সীমান্ত দিয়ে জনগণের ক্রমাগত অনুপ্রবেশের জন্য প্রতিবেশী দেশ ভারতের তীব্র সমালোচনা করেন রিজভী।
তিনি বলেন, ‘এই প্রতিবেশী দেশটি বিপজ্জনকভাবে প্রতিপক্ষ হয়ে উঠছে। বিশেষ করে শেখ হাসিনার পতনের বিষয়ে, তারা ক্রমশ আক্রমণাত্মক হয়ে উঠছে।’
রিজভী বলেন, জনগণকে বিদেশি হিসেবে চিহ্নিত করে বিভিন্ন ভারত সীমান্তে প্রতিদিনই ঠেলে পাঠানোর ঘটনা ঘটছে। ‘ইচ্ছাকৃত উসকানি ও সংঘাত ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা চলছে। সীমান্তে এখন পুশ-ইনের ঘটনা বেড়েছে। বাংলাদেশ কি ডাস্টবিন গ্রাউন্ড?’ তিনি প্রশ্ন তোলেন।
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের
তিনি সতর্ক করে বলেন, ভারত যদি বিদেশিদের বাংলাদেশি হিসেবে মিথ্যাভাবে চিহ্নিত করে বাংলাদেশে ঠেলে পাঠানোর চেষ্টা করে—তাহলে জাতি কেবল প্রতিবাদ করবে না, বরং প্রতিরোধও করবে।
বিএনপি নেতা বলেন, ভারতকে মনে রাখতে হবে, শেখ হাসিনার মতো একজন স্বৈরাচারী শাসকও নিপীড়ন ও নির্যাতনের মাধ্যমে ক্ষমতায় থাকতে পারেননি, কারণ তাকে প্রকাশ্য দিবালোকে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য করা হয়েছিল।
সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে কোভিড-১৯ সংক্রমণ বৃদ্ধি ও বাংলাদেশে কিছু সংক্রমণ শনাক্তকরণে রিজভী গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেন। বলেন, ‘ভারতে ইতোমধ্যে ৭ হাজার নতুন সংক্রমণের খবর পাওয়া গেছে এবং বাংলাদেশেও সংক্রমণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।’
স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের যথাযথ পদক্ষেপের ঘাটতির সমালোচনা করে তিনি সরকারকে দ্রুত প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের আহ্বান জানান।
বিএনপি নেতা আরও উল্লেখ করেন, ডেঙ্গু পরিস্থিতি আরও খারাপ হয়েছে এবং এখন জনস্বাস্থ্যের জন্য হুমকিস্বরূপ। তিনি বলেন, ‘এই সংকট মোকাবিলায় সরকারকে জনসাধারণের সঙ্গে আরও ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করতে হবে।’
রিজভী ঈদের ছুটিতে ক্রমবর্ধমান সড়ক দুর্ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, বেপরোয়া গাড়ি চালানোর কারণে প্রায় ৫৭ জন প্রাণ হারিয়েছেন।
তিনি বলেন, ‘ঈদের সময় অপরাধমূলক কার্যকলাপও বেড়েছে। আইনশৃঙ্খলা সমস্যার কারণে ঈদের আনন্দ পুরোপুরিভাবে উদযাপন করা যায়নি।’
২০১ দিন আগে
তারেক রহমান শিগগিরিই দেশে ফিরবেন: মির্জা ফখরুল
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান ‘শিগগিরই’ বাংলাদেশে ফিরে আসবেন বলে জানিয়েছেন দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১০ জুন) গুলশানের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে ফখরুল বলেন, ‘তারেক রহমান অবশ্যই দেশে ফিরবেন। তিনি অবশ্যই ফিরে আসবেন।’
এসময় সাংবাদিকরা তারেক রহমানের দেশে ফেরার সঠিক তারিখ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘তিনি শিগগিরই ফিরে আসবেন।’
তবে, ২০০৮ সাল থেকে যুক্তরাজ্যে অবস্থানরত তারেক রহমানের দেশে ফেরার নির্দিষ্ট সময় সম্পর্কে কোনো স্পষ্ট তথ্য দেননি ফখরুল।
এর আগে বিএনপির এই নেতা নিশ্চিত করেন যে, লন্ডনে আগামী ১৩ জুন (শুক্রবার) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
আরও পড়ুন: লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠক ১৩ জুন
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে লন্ডনে স্থানীয় সময় ১৩ জুন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত একটি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
মির্জা আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তখন থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে এ বৈঠকের চেষ্টা করা হয়েছে। সবশেষ সোমবার স্থায়ী কমিটির মিটিংয়ে এ বৈঠকের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত দেওয়া হয়েছে।’
ফখরুল জানান, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা যে হোটেলে উঠেছেন, সেখানেই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে।
এ বৈঠকের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ উন্মুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তারেক-ইউনূসের বৈঠককে টার্নিং পয়েন্ট আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমান সরকারও এই অভ্যুত্থানের ফসল। এ দুপক্ষের বৈঠক সফল হলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান আসবে।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের
নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা নিয়ে বৈঠক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত কোনো এজেন্ডা নেই। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলাপ হবে।’
খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যের উল্লেখযোগ্য উন্নতি হয়েছে বলেও জানান মির্জা ফখরুল। বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, তিনি শারিরীকভাবে আগের চেয়ে ভালো। চিকিৎসকরাও তাই বলেছেন। তিনি অনেক ভালো আছেন।’
তারেক রহমান বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে। ২০০৮ সালে এক এগারোর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে কারাগার থেকে মুক্তি পেয়ে স্বপরিবারে লন্ডনে চলে যান তিনি।
পরে আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে তার অনুপস্থিতিতে পাঁচটি মামলায় দোষী সাব্যস্ত করে সাজা দেওয়া হয়। এবং শতাধিক আইনি প্রক্রিয়া চলছিল।
শুধু তাই নয় আদালত তাকে পলাতক ঘোষণা করে তার বক্তব্য প্রচার নিষিদ্ধ করে। এমনকি তার পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হলে তিনি যুক্তরাজ্যে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।
২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টে গণঅভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতন হলে রাজনৈতিক পরিস্থিতির পরিবর্তন শুরু হতে থাকে। সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়া ও বিএনপি নেতা তারেক রহমান পূর্বের যেসব মামলায় দোষী সাব্যস্ত হয়েছিলেন— তা থেকে খালাস পান।
চলতি বছরের শুরুতে খালেদা জিয়া চিকিৎসার জন্য লন্ডনে যান এবং ছেলে তারেক রহমানের বাসায় অবস্থান করেন। গত মে মাসে দীর্ঘ ১৭ বছর পর তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান দেশে ফিরে আসেন।
২০১ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে নির্বাচনের সময়সূচি পুনঃবিবেচনার আহ্বান ফখরুলের
এপ্রিল মাসকে জাতীয় নির্বাচনের জন্য উপযুক্ত সময় নয় উল্লেখ করে অন্তর্বর্তী সরকারকে সময়সূচি পুনঃবিবেচনা করার আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি আশা প্রকাশ করে বলেন, ‘অন্তবর্তী সরকার বাস্তবতার ভিত্তিতে এই বিষয়টি পুনঃবিবেচনা করবে।’
মঙ্গলবার (১০ জুন) বিএনপি চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমরা এখনো (এপ্রিলের প্রথম দিকে নির্বাচন) নিয়ে দলীয় কোনো সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিনি। আমরা আশা করি, সরকার এই বিষয়টি বাস্তবতার আলোকে বিবেচনা করবে।’
আরও পড়ুন: লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠক ১৩ জুন
অন্তবর্তী সরকার যে সময়ে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করেছে, তা সঠিক নয় বলেও দাবি এই বিএনপি নেতার।
ফখরুল বলেন, ‘আমরা প্রথম দিনই বলেছি যে, এই সময় নির্বাচনের জন্য ভালো নয়। রমজান মাস শেষ হবে, ঈদ হয়ে যাবে, তারপর কয়েকদিন পর নির্বাচন হবে। একটু ভাবুন, রমজান মাস জুড়ে প্রার্থী এবং রাজনৈতিক কর্মীরা কী ধরনের পরিস্থিতিতে পড়বেন।’
ফখরুল আরও বলেন, তিনি এখন থেকেই চিন্তিত যে প্রতিদিন ইফতার পার্টি আয়োজন করতে হবে, যা নির্বাচনী ব্যয় বাড়িয়ে দ্বিগুণ করবে।
তিনি রমজান মাসে নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর অসুবিধাগুলো তুলে ধরে বলেন, বিশেষত তীব্র গরম এবং বৃষ্টিপাত বা ঝড়ের আশঙ্কা রয়েছে।
এছাড়া, তিনি উল্লেখ করেন, তীব্র গরমের কারণে নির্বাচনী সমাবেশের জন্য লোকজন জড়ো করা সম্ভব হবে না। ‘কর্মসূচিগুলো রাতের দিকে নিতে হবে।’
তিনি আরও বলেন, অতীতে দুটি বিতর্কিত নির্বাচন ছাড়া বাংলাদেশে প্রায় সব জাতীয় নির্বাচন ডিসেম্বর বা জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরে নির্বাচনের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত রাজপথে থাকবে বিএনপি: গয়েশ্বর
ফখরুল বলেন, ‘আমাদের দল বলেছে যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন সম্ভব, এবং আমরা দৃঢ় বিশ্বাস করি যে এটি একটি বাস্তবসম্মত বিকল্প।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, বিএনপি যেকোনো সময় নির্বাচনের জন্য প্রস্তুত, কারণ এটি নির্বাচনমুখী দল। তিনি আরও বলেন, ‘আমরা বিপ্লবী দল না, আমরা জনগণের ভোটে ক্ষমতায় আসতে চাই।’
ফখরুল বিএনপির সংস্কার না করার যে অপপ্রচার ছড়ানো হচ্ছে, তা খণ্ডন করে বলেন, ‘এটা মিথ্যা প্রচারণা।’
তিনি স্মরণ করিয়ে দেন, বিএনপি প্রথম দল হিসেবে ভিশন-২০৩০ কর্মসূচি তুলে ধরে এবং গণঅভ্যুত্থানের আগেই ৩১ দফা সংস্কারের খসড়া উপস্থাপন করেছিল।
ফখরুল সকল রাজনৈতিক দল, সংগঠন এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম কর্মীদের জাতিকে বিভক্ত না করার আহ্বান জানান।
তিনি বলেন, ‘দেশ একটি বিষয়ে ঐক্যবদ্ধ: আমরা গণতন্ত্রের পুনঃপ্রতিষ্ঠা চাই এবং আমরা চাই দেশটি গণতান্ত্রিক ব্যবস্থায় পরিচালিত হোক। আমরা ভোট দিতে চাই, আমাদের প্রতিনিধিদের নির্বাচন করতে চাই এবং সংস্কার দেখতে চাই। সুতরাং, অযথা বিভেদ সৃষ্টি করবেন না।’
ফখরুল সতর্ক করে বলেন, দেশে কোনো ধরনের বিভেদ সৃষ্টি হলে তা বিদেশি শক্তি এবং ষড়যন্ত্রকারীদের দেশের ক্ষতি করার সুযোগ করে দেবে।
২০২ দিন আগে
লন্ডনে তারেক-ইউনূসের বৈঠক ১৩ জুন
লন্ডনে আগামী ১৩ জুন (শুক্রবার) প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে একটি আনুষ্ঠানিক বৈঠক করতে যাচ্ছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
মঙ্গলবার (১ জুন) গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ তথ্য জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
তিনি বলেন, ‘আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানকে লন্ডনে স্থানীয় সময় ১৩ জুন সকাল ৯টা থেকে ১১টা পর্যন্ত একটি বৈঠকের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে।’
মির্জা আরও বলেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা লন্ডন যাওয়ার পরিকল্পনা করছিলেন তখন থেকেই বিএনপির পক্ষ থেকে এ বৈঠকের চেষ্টা করা হয়েছে। সবশেষ সোমবার স্থানীয় কমিটির মিটিংয়ে এ বৈঠকের ব্যাপারে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়েছে। বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টাকে আনুষ্ঠানিকভাবে দাওয়াত দেয়া হয়েছে।’
আরও পড়ুন: চার দিনের সরকারি সফরে যুক্তরাজ্যের উদ্দেশে রওনা হয়েছেন অধ্যাপক ইউনূস
ফখরুল জানান, লন্ডনে প্রধান উপদেষ্টা যে হোটেলে উঠেছেন, সেখানেই বৈঠক অনুষ্ঠিত হবে।
এ বৈঠকের মাধ্যমে চলমান রাজনৈতিক সংকট নিরসনের পথ উন্মুক্ত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
তারেক-ইউনূস বৈঠককে টার্নিং পয়েন্ট আখ্যা দিয়ে ফখরুল বলেন, ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থানে তারেক রহমান গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। বর্তমান সরকারও এই অভ্যুত্থানের ফসল। এ দুপক্ষের বৈঠক সফল হলে অনেক সমস্যার সহজ সমাধান আসবে।’
নির্দিষ্ট কোনো এজেন্ডা নিয়ে বৈঠক হবে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘পূর্ব নির্ধারিত কোনো এজেন্ডা নেই। সামগ্রিক বিষয় নিয়ে দুপক্ষের মধ্যে আলাপ হবে।’
এপ্রিলে জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘নির্বাচনের জন্য এটি মোটেই ভালো সময় না। এ সময়ে নির্বাচন হলে প্রচারণা চালাতে হবে রোজার মধ্যে। তারমধ্যে তখন থাকবে গরম। দেখা যাবে ইফতার পার্টি করতে করতে টাকা শেষ হয়ে যাচ্ছে, আর জনসমাগম করতে হচ্ছে রাতের বেলা।’
আরও পড়ুন: চারদিনের সফরে লন্ডনে পৌঁছেছেন প্রধান উপদেষ্টা
তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রসঙ্গে টেনে বিএনপির এ নেতা বলেন, ‘বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষিতে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের কোনো বিকল্প নেই। তত্ত্ববধায়ক সরকার ছাড়া দেশে সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব না।’
সংস্কার এবং জাতীয় ঐক্য প্রসঙ্গে ফখরুল বলেন, ‘এখন সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় ঐক্য ধরে রাখা। অনেকেই বলেন বিএনপি সংস্কার চায় না। ২০৩০ ভিশন বিএনপির সর্বপ্রথম সংস্কার প্রস্তাব। বিএনপিই সবার আগে সংস্কারের কথা বলেছে।’
সবাইকে দায়িত্বশীল হয়ে সাবধানে কথা বলতে এবং ভুল বোঝাবুঝির ঊর্ধ্বে উঠে মিলেমিশে কাজ করার আহ্বান জানান মির্জা ফখরুল।
২০২ দিন আগে