বিএনপি
নয়াপল্টনে বিএনপির মহাসমাবেশের জন্য হাজারো মানুষের ঢল
বিএনপির এক দফা দাবি মেনে নিতে সরকারের ওপর চাপ সৃষ্টির লক্ষ্যে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হয়েছেন বিএনপি ও এর সহযোগী সংগঠনের হাজার হাজার নেতা-কর্মী।
আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল উপস্থিতিতে আজ (শনিবার) সকাল থেকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করে দলটির নেতা-কর্মীরা।
জ্যেষ্ঠ নেতাদের নির্দেশ অমান্য করে শুক্রবার বিকালে কয়েক হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী নয়াপল্টনে জড়ো হয়ে রাতভর অবস্থান করেন।
আজ সকাল ৯টার দিকে সমাবেশস্থলে গিয়ে দেখা যায়, শহরের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে হাজার হাজার বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মী আসছেন।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
রঙিন টুপি পরে, ব্যানার, ফেস্টুন, প্ল্যাকার্ড ও দলের শীর্ষ নেতাদের প্রতিকৃতি হাতে নিয়ে তারা সমাবেশস্থলে এসে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে থাকেন।
কাকরাইল থেকে আরামবাগ পর্যন্ত সড়ক ও গলি বিএনপি নেতা-কর্মীদের উপচে পড়ায় ওই এলাকায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়।
দলের অনেক নেতা-কর্মী অভিযোগ করেন, ঢাকার প্রবেশপথ ও বিভিন্ন স্থানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর তল্লাশি ও ব্যারিকেডের সম্মুখীন হতে হয়েছে।
নির্দলীয় সরকারের অধীনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠানের দাবিতে ‘এক দফা’ আদায়ে ঢাকা মহানগর উত্তর ও দক্ষিণ বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করেছে।
ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালামের সভাপতিত্বে দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকবেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
আরও পড়ুন: শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে
কাকরাইলে নির্মাণাধীন ভবন থেকে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মী আটক
রাজধানীর কাকরাইলে একটি নির্মাণাধীন ভবন থেকে শনিবার বিএনপির ২ শতাধিক নেতা-কর্মীকে আটক করেছে গোয়েন্দা পুলিশ। ধারণা করা হচ্ছে- আজকের মহাসমাবেশ যোগ দেওয়ার জন্য তারা ঢাকার বাইরে থেকে এসে এখানে জমা হয়েছিলেন।
পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাহউদ্দিন মিয়া জানান, রাতে ডিবি পুলিশের একটি দল কাকরাইলে অভিযান চালায়।
ঢাকা মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত কমিশনার (ডিবি) হারুন অর রশীদ বলেন, ওই এলাকায় (নয়াপল্টন) বেশ কতগুলো ককটেল চার্জ করা হয়।
তিনি বলেন, বিস্ফোরণের শব্দ শুনে পুলিশ ও ডিবি একটি নির্মাণাধীন ভবনে অভিযান চালিয়ে বিএনপির ২০০ নেতা-কর্মীকে আটক করে।
আরও পড়ুন: শর্তসাপেক্ষে আ. লীগ ও বিএনপিকে সমাবেশের অনুমতি
তিনি আরও বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে তারা দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে এসেছেন।
ডিবি’র এই কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা পরবর্তীতে সেখানে গিয়ে সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার একটি গাড়ি, প্ল্যাকার্ড, খাবার রান্নার সরঞ্জাম, অনেক লাঠিসোঁটা, রড এবং অবিস্ফোরিত ককটেল উদ্ধার করেছি।’
ডিবি মতিঝিল বিভাগের উপকমিশনার রাজীব আল মাসুদ বলেন, ‘রাত দেড়টার দিকে পুলিশকে লক্ষ্য করে নির্মাণাধীন ভবন থেকে ১৫-২০টি বোমা চার্জ করা হয়। এ ঘটনায় জড়িতদের আটকের চেষ্টা করছে পুলিশ।’
হারুন বলেন, ককটেল নিক্ষেপের ঘটনায় ২ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন। তাদের রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মূল লক্ষ্যই হলো মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে অথবা মহাসমাবেশে কেউ যেন কোনো প্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটাতে না পারে। রাজধানীজুড়ে এরকম আরও ৭-৮টি ভবন আছে। সেখানেও এরকম সমাগম হয়েছে বলে আমরা খবর পেয়েছি। আমরা সেখানেও অভিযান চালাব।’
আরও পড়ুন: আ. লীগ-বিএনপির শনিবারের সমাবেশকে ঘিরে রাজধানীতে আতঙ্ক
সমাবেশ সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ হবে, সরকারকে বাড়াবাড়ি না করতে হুঁশিয়ারি ফখরুলের
বিএনপির মহাসমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে বলে নিশ্চিত করে সর্বস্তরের জনগণকে এতে অংশগ্রহণের আহ্বান জানিয়েছেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। যাতে করে আওয়ামী লীগকে পদত্যাগ করে একটি নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের বার্তা দেওয়া যায়।
শুক্রবার সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘সরকার বা ক্ষমতাসীন দল যদি কোনো বাড়াবাড়ি করে বা সমাবেশে কোনো বাধা সৃষ্টি করে, তাহলে তার জন্য দায়ী থাকবে সরকার।’
আরও পড়ুন: শান্তিপূর্ণ আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার হবে: ফখরুল
শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
নয়াপল্টনে সমাবেশের অনুমতির জন্য প্রয়োজনে শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত অপেক্ষা করা হবে বলেও জানান ফখরুল।
তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে ডিএমপিকে চিঠি দেওয়ায় আমরা নয়াপল্টনে সমাবেশ করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘আমরা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণভাবে এই সমাবেশ করব।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘নয়াপল্টনে কর্মসূচি পালনের অনুমতি দিয়ে ডিএমপির পক্ষ থেকে এখনো কোনো চিঠি পায়নি বিএনপি। আমরা এখনও আশা করি, তারা (ডিএমপি) কোনো বাধা সৃষ্টি করবে না এবং মহাসমাবেশে সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা দূর করতে সহায়তা করবে।’
তিনি বলেন, তাদের সমাবেশের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে বর্তমান সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় সরকারের হাতে ক্ষমতা হস্তান্তরের জন্য চাপ সৃষ্টি করা।
তিনি বলেন, ‘আমরা চাই আমাদের এক দফা দাবি মেনে নিয়ে সুষ্ঠু নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ তৈরি করতে সরকারের শুভ বুদ্ধির উদয় হোক।’
বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘সবচেয়ে বড় বিষয় হলো, দেশে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ নেই।’
এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিএনপি কোনো সহিংসতার ভয় পায় না, কারণ তাদের দল অতীতে শান্তিপূর্ণভাবে একই ধরনের কর্মসূচি পালন করেছে।
ফখরুল অভিযোগ করেন, ক্ষমতাসীন দলের নেতারা লাঠি হাতে রাস্তায় নামার মতো বিভিন্ন উস্কানিমূলক বক্তব্য দিচ্ছেন।
তিনি বলেন, সরকার তার দমনমূলক নীতি ও পুলিশ প্রশাসনকে ব্যবহার করে সমগ্র জনগণকে জিম্মি করার চেষ্টা করছে।
এমতাবস্থায় ভোটাধিকার, মত প্রকাশের স্বাধীনতাসহ অন্যান্য গণতান্ত্রিক অধিকার পুনরুদ্ধার এবং একটি মুক্ত ও বাসযোগ্য সমাজ ও রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠায় বিএনপির সমাবেশে যোগ দিতে সারা দেশের জনগণের প্রতি আহ্বান জানান তিনি।
তিনি বলেন, ‘বিএনপির পক্ষ থেকে আমরা আন্তরিকভাবে জনগণকে আহ্বান জানাচ্ছি, তারা যেন শনিবারের মহাসমাবেশে যোগ দেয় এবং সরকারকে পদত্যাগ আর ক্ষমতায় না থাকার বার্তা দেয়।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার টিআইপিএস প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে: ফখরুল
তিনি অভিযোগ করেন, সরকার রাষ্ট্রের সব প্রতিষ্ঠান ও অর্থনীতিকে ধ্বংস করে লুটপাট ও বিদেশে অর্থ পাচারের মাধ্যমে দেশকে একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে।
ফখরুল দাবি করেন, গত সোমবার থেকে শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত মাত্র কয়েকদিনের মধ্যে প্রায় ১ হাজার ৩৫০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, শুক্রবার বেলা ১১টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে অন্তত ৩৩০ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বিএনপি নেতা আরও বলেন, এ সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৮টি ‘মিথ্যা মামলা’ দায়ের করা হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে জানানো হয়, এ ছাড়া চলতি বছরের ২৭ জুলাই থেকে এ পর্যন্ত বিএনপির ৪ হাজার ২০ জন নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার, ৪১৮টি মামলায় ২৮ হাজার ৫৭০ জনকে আসামি করা হয়েছে এবং বিএনপির নয় নেতাকে মৃত্যুদণ্ড ও ৯০ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে সাজা দেওয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘শেখ হাসিনা (প্রধানমন্ত্রী) ব্রাসেলসে বলেছেন, খুব সুন্দর একটি নির্বাচন হবে, কারণ সরকার সেই নির্বাচনের জন্য অনুকূল পরিবেশ তৈরি করছে। কিন্তু আমাদের নেতা-কর্মীদের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে এবং প্রতি রাতে তাদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে। সবচেয়ে খারাপ বিষয় হচ্ছে, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে আমাদের নেতাদের সাজা দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি বলেন, সরকার গুরুতর দমনমূলক কর্মকাণ্ডের মাধ্যমে এবং নির্বাচনী প্রক্রিয়ার উপর তার নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠা করে নির্বাচন ব্যবস্থাকে প্রহসনে পরিণত করেছে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের অবস্থান পরিষ্কার যে, নিরপেক্ষ নির্দলীয় সরকার ছাড়া এ দেশের জনগণ কোনো নির্বাচন মেনে নেবে না।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকারের সত্যিকারের অংশগ্রহণমূলক, নিরপেক্ষ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠানের কোনো ইচ্ছা নেই।
তিনি আরও বলেন, ‘এ জন্য তারা বিরোধী দলের অংশগ্রহণ ছাড়াই একতরফাভাবে নির্বাচন করতে সারাদেশে সন্ত্রাসের রাজত্ব সৃষ্টি করেছে।’
তিনি বলেন, ‘কিন্তু জনগণ জেগে উঠেছে। তাদের দাবি আদায় এবং তাদের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য এবার রাস্তায় নেমেছে।’
বিএনপির পক্ষ থেকে ফখরুল ন্যূনতম মজুরি বৃদ্ধির দাবিতে তৈরি পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি প্রকাশ করে মালিকদের তা মেনে নেওয়ার আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
শনিবারের সমাবেশকে সামনে রেখে বিএনপি নেতা-কর্মীরা নয়াপল্টনে জড়ো হতে শুরু করেছে
ঢাকায় শনিবারের মহাসমাবেশের অনুমতি না পেলেও শুক্রবার (২৭ অক্টোবর) বিকাল থেকে নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে জড়ো হতে শুরু করেছেন বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা।
দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে ঢাকায় আসা বিএনপির অনেক নেতা-কর্মী নয়াপল্টনের আশপাশের মসজিদে জুমার নামাজে যোগ দেন। এমনকি, তাদের অনেকেই নয়াপল্টনে রাজপথে নামাজ আদায় করেন।
জুমার নামাজ শেষে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে তারা দলীয় কার্যালয়ের সামনের রাস্তায় বসে পড়েন।
বিএনপি কার্যালয়ের সামনে সরকারবিরোধী স্লোগান দিতে দেখা গেছে বিরোধী দলের অনুসারীদের।
ইউএনবির সঙ্গে আলাপকালে বিএনপির অনুসারীরা জানান, শনিবার বাধার আশঙ্কায় আগেভাগেই সমাবেশস্থলে আসেন তারা।
সরকারকে পদত্যাগ করে নির্দলীয় প্রশাসনের অধীনে আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠানের পদক্ষেপ নেওয়ার বার্তা দিতে হাজার হাজার মানুষের উপস্থিতিতে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করতে চান তারা।
শনিবার দুপুর ২টায় বিএনপির মহাসমাবেশ শুরু হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে ১৮ অক্টোবর সরকার পতনের দাবিতে চলমান আন্দোলনের চূড়ান্ত কর্মসূচির অংশ হিসেবে আগামী ২৮ অক্টোবর রাজধানীতে মহাসমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি।
খালেদা জিয়ার টিআইপিএস প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে: ফখরুল
বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট বা টিআইপিএস প্রক্রিয়া সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘আপনারা সবাই জানেন, বিদেশ থেকে ৩ জন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক এখানে এসেছেন। গতকাল (বৃহস্পতিবার) সন্ধ্যায় তারা অত্যন্ত সফলভাবে (টিআইপিএস) পদ্ধতিটি সম্পন্ন করতে সক্ষম হয়েছে।’
শুক্রবার নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল বলেন, খালেদা জিয়া বর্তমানে হাসপাতালের সিসিইউতে (করোনারি কেয়ার ইউনিট) রয়েছেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ডাক্তাররা তার সঙ্গে কথা বলছেন… এখন পর্যন্ত তার অবস্থা অনেক ভালো।’
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৩ মার্কিন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খালেদা জিয়ার ওপর বিশেষ টিআইপিএস পদ্ধতি পরিচালনা করেন। এই পদ্ধতিতে পাকস্থলী ও বুকে পানি জমে যাওয়া এবং লিভারে রক্তক্ষরণ বন্ধ করতে কোনো ধরনের অস্ত্রোপচার ছাড়াই তার লিভারের দুটি রক্তনালীর মধ্যে নতুন সংযোগ সৃষ্টি করা হয়।
জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের হামিদ রব, ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস ও জেমস পি এ হ্যামিল্টন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য ও মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করে তার টিআইপিএস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন।
টিআইপিএস এমন এক পদ্ধতি যা পোর্টাল শিরাগুলোকে নিম্ন চাপযুক্ত সংলগ্ন রক্তনালীগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করার জন্য একটি স্টেন্ট (টিউব) সন্নিবেশ করে। এটি পোর্টাল শিরার (পোর্টাল হাইপারটেনশন নামে পরিচিত) উচ্চ রক্তচাপ উপশম করে, যা প্রায়শই লিভার সিরোসিসের সেটিংয়ে ঘটে।
আরও পড়ুন: সমাবেশের ৩ দিন আগেই বিএনপির ১২শ’ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার : রিজভী
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ড. হামিদ রব ও ড. জেমস পি এ হ্যামিল্টন। আরেক চিকিৎসক ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
৯ অক্টোবর এভারকেয়ার হাসপাতালে বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড জানায়, তার পাকস্থলী ও বুকে পানি জমে যাওয়া, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কারণে সৃষ্ট সংক্রমণ রোধে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি: রিজভী
খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
খালেদা জিয়ার পানি বৃদ্ধি-রক্তক্ষরণ রোধে টিআইপিএস দিয়েছেন মার্কিন চিকিৎসকরা
খালেদা জিয়ার মেডিকেল বোর্ডের একজন সদস্য নাম প্রকাশ না করে ইউএনবিকে বলেন, ‘আমেরিকান চিকিৎসকরা বিকাল সাড়ে ৫টার দিকে এভারকেয়ার হাসপাতালে টিআইপিএস দেওয়ার প্রক্রিয়া শুরু করেন। সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে এটি শেষ হয়।’
তিনি বলেন, চিকিৎসকরা টিআইপিএস প্লেসমেন্টের সময় বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এবং খালেদা জিয়ার পরিবারের কয়েকজন সদস্য হাসপাতালে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সিসিইউ থেকে কেবিনে খালেদা জিয়া
চিকিৎসক বলেন, টিআইপিএস প্লেসমেন্ট প্রক্রিয়া শেষ হওয়ার পর খালেদা জিয়াকে হাসপাতালের সিসিইউতে রাখা হয়েছে।
তিনি বলেন, জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের হামিদ রব, ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস ও জেমস পি এ হ্যামিল্টন দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালে যান এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা শেষে তারা টিআইপিএস প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার সিদ্ধান্ত নেন।
টিআইপিএস এমন একটি পদ্ধতি যা পোর্টাল শিরাগুলোকে নিম্ন চাপযুক্ত সংলগ্ন রক্তনালীগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করতে একটি স্টেন্ট (টিউব) সন্নিবেশ করে। এটি রোগাক্রান্ত লিভারের মাধ্যমে প্রবাহিত রক্তের চাপ উপশম করে এবং রক্তপাত এবং তরল ব্যাকআপ বন্ধ করতে সহায়তা করতে পারে।
একটি টিআইপিএস পোর্টাল শিরা (পোর্টাল হাইপারটেনশন নামে পরিচিত) এর উচ্চ রক্তচাপকে উপশম করে যা প্রায়শই লিভার সিরোসিসের সেটিংয়ে ঘটে।
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান ড. হামিদ রব ও ড. জেমস পি এ হ্যামিল্টন। আরেক চিকিৎসক ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ৩ চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সনের পরিবার এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর নেফ্রোলজি--- হেপাটোলজি, ইন্টারন্যাশনাল রেডিওলজি এবং লিভার-কিডনি ট্রান্সপ্লান্টসহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ তিন চিকিৎসককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিয়ে আসেন।
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
গত ৯ অক্টোবর এভারকেয়ার হাসপাতালের বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করে, বাংলাদেশে তার চিকিৎসার কোনো সুযোগ না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো হোক।
হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া বন্ধে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ এবং লিভার সিরোসিসের কারণে সৃষ্ট সংক্রমণের ফলে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে দেখেছেন মার্কিন চিকিৎসকরা, প্রতিবেদন পর্যালোচনা চলছে
সমাবেশের ৩ দিন আগেই বিএনপির ১২শ’ নেতা-কর্মী গ্রেপ্তার : রিজভী
বিএনপির ২৮ অক্টোবরের মহাসমাবেশকে কেন্দ্র করে গত সোমবার থেকে মাত্র তিন দিনে প্রায় এক হাজার ২০০ নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে দাবি করেছে দলটি।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত গত ২৪ ঘণ্টায় দেশের বিভিন্ন স্থানে ৩৩০ জন বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, এ সময়ে বিএনপির নেতা-কর্মীদের বিরুদ্ধে ১৬টি 'মিথ্যা মামলা' দায়ের করা হয়েছে।
বিএনপির এই নেতা বলেন, বিএনপির মহাসমাবেশকে সামনে রেখে সরকার দমন-পীড়নের মাত্রা আরও বাড়িয়েছে।
তিনি বলেন, ‘গ্রেপ্তার ও নিপীড়নের মুখে বিএনপির নেতা-কর্মী ও গণতন্ত্রকামী জনগণ এখন ঘরে থাকতে পারছে না। এটি একটি নজিরবিহীন এবং ভয়াবহ পরিস্থিতি।’
তিনি বলেন, পুলিশের গ্রেপ্তার ও হয়রানির ভয়ে স্বাধীন দেশে বিরোধী দলীয় নেতা-কর্মীরা ঘরে থাকতে পারে না।
রিজভী বলেন, ‘আমরা সারাদেশ থেকে গ্রেপ্তারের তথ্য পাচ্ছি। যারা জামিনে কারাগার থেকে বের হচ্ছেন, তাদের ফের গ্রেপ্তার করা হচ্ছে। এটা একটা নৈরাজ্যকর পরিস্থিতি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ
তিনি বলেন, জনগণ তাদের গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরে পেতে এবং গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের জন্য সকল বাধা ও নিপীড়ন মোকাবিলা করে ২৮ অক্টোবর রাজপথে নামতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।
এর আগে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, তাদের দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি) পুলিশকে জানিয়েছে যে নয়াপল্টনে মহাসমাবেশ করতে বিএনপি বদ্ধপরিকর।
তিনি বলেন, ‘তারা (ডিএমপি) জানতে চেয়েছিল আমরা অন্য কোনো বিকল্প স্থানে সমাবেশ করব কি না। আমরা তাদের পরিষ্কার জানিয়ে দিয়েছি যে আমাদের সমাবেশ এই দলীয় কার্যালয়ের (নয়াপল্টন) সামনেই হবে।’
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হবে।
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের সাংগঠনিক নেতারা এই সমাবেশ সফল করতে দিন-রাত কাজ করে যাচ্ছেন। জনগণকে সংগঠিত করতে এবং সমাবেশে নিয়ে আসার জন্য আমরা গণতান্ত্রিক রীতিনীতি অনুযায়ী প্রচারণা চালাচ্ছি।’
এর আগে গত বুধবার নয়াপল্টনে বিকল্প ভেন্যুর দুটি নাম, সমাবেশে প্রত্যাশিত সংখ্যক লোকসমাগম, এর সময়কাল, কোথায় মাইক লাগানো হবে, অন্য দলের কেউ উপস্থিত থাকবেন কি না, এমন বিভিন্ন তথ্য জানতে চেয়ে বিএনপিকে চিঠি দিয়েছে ডিএমপি।
এর জবাবে বিএনপির পক্ষ থেকেও চিঠি দিয়ে বলা হয়, নয়াপল্টনে সমাবেশের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হওয়ায় অন্য কোনো স্থানে সমাবেশ করা তাদের দলের পক্ষে সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াকে দেখেছেন মার্কিন চিকিৎসকরা, প্রতিবেদন পর্যালোচনা চলছে
নয়াপল্টনে এক লাখ থেকে এক লাখ ২৫ হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নিতে পারে এবং অন্য দলের কোনো নেতা-কর্মীও উপস্থিত থাকবেন না।
বিএনপি ডিএমপিকে আরও জানায়, দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হবে এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দলের ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক নিয়োজিত থাকবে।
রিজভী বলেন, তারা বারবার বলে আসছেন যে তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে, কিন্তু সরকার সহিংসতা উস্কে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, ‘তারা সংঘাত ও সহিংসতার হুমকি দিচ্ছে। তারা এ দিন (শনিবার) লাঠিসোঁটা বহনের ঘোষণা দেন। তারা (আ.লীগ নেতা) গতকাল (বুধবার) বলেছেন এবং তাদের সাধারণ সম্পাদক কয়েকদিন আগে বলেছেন, এর পরিণতি শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ হবে। তারা হামলা করার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি হামলা করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছেন।’
তা সত্ত্বেও স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগোচ্ছেন বলে জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, জনসভার আগে সরকার প্রতিদিন ১০০-২০০ বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করছে, যদিও তারা কোনো অনৈতিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত নয়।
আরও পড়ুন: ২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি: রিজভী
২৮ অক্টোবর নয়াপল্টনে সমাবেশ করবে বিএনপি: রিজভী
বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বলেছেন, তাদের দল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশকে (ডিএমপি) জানিয়েছে, তারা শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়ে এগোলেও সরকার সহিংসতার জন্য উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
রিজভী জানান, তারা বারবার বলছেন তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে হবে, কিন্তু সরকার সহিংসতার জন্য উসকে দেওয়ার চেষ্টা করছে।
নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী জানান, তাদের সমাবেশ শান্তিপূর্ণভাবে অনুষ্ঠিত হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা (ডিএমপি) জানতে চেয়েছিল যে আমরা অন্য কোনো বিকল্প স্থানে সমাবেশ করব কি না। আমরা তাদের স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছি যে আমাদের অনুষ্ঠানস্থল এই পার্টি অফিসের (নয়াপল্টন) সামনে হবে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের দলের সংশ্লিষ্ট সাংগঠনিক নেতারা এই সমাবেশ সফল করতে দিন-রাত কাজ করছেন। জনগণকে সংগঠিত করে সমাবেশে আনার জন্য আমরা গণতান্ত্রিক রীতি অনুযায়ী প্রচার চালিয়ে যাচ্ছি।’
এর আগে বুধবার নয়াপল্টনে বিকল্প ভেন্যু দুটির নাম, সমাবেশের প্রত্যাশিত উপস্থিতির সংখ্যা, এর সময়কাল, কোথায় লাউড স্পিকার বসানো হবে এবং অন্য দলের কেউ উপস্থিত থাকবেন কি না-ইত্যাদি তথ্য চেয়ে ডিএমপি বিএনপির কাছে চিঠি পাঠিয়েছে।
এর জবাবে বিএনপিও চিঠি দিয়ে জানিয়েছে, নয়াপল্টনে সমাবেশ করার সব প্রস্তুতি ইতোমধ্যে সম্পন্ন করায় দলের পক্ষে অন্য কোনো স্থানে সমাবেশের আয়োজন করা সম্ভব নয়।
দলটি আরও বলেছে, ১ লাখ থেকে ১ লাখ ২৫ হাজার মানুষ সমাবেশে অংশ নিতে পারে এবং কর্মসূচি চলাকালীন নয়াপল্টনে অন্য দলের কোনো নেতা-কর্মী সেখানে থাকবে না।
বিএনপি ডিএমপিকে আরও জানিয়েছে, দুপুর ২টায় আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হবে এবং অভ্যন্তরীণ শৃঙ্খলা বজায় রাখতে দলের ৫০০ স্বেচ্ছাসেবক মোতায়েন করা হবে।
তিনি বলেন, ‘তারা সংঘাত ও সহিংসতার হুমকি দিচ্ছে। তারা এ দিন (শনিবার) লাঠিসোঁটা বহনের ঘোষণা দেন। তারা (আ.লীগ নেতা) গতকাল (বুধবার) বলেছেন এবং তাদের সাধারণ সম্পাদক কয়েকদিন আগে বলেছেন, এর পরিণতি শাপলা চত্বরের চেয়েও ভয়াবহ হবে। তারা হামলা করার হুমকি দিয়েছেন। এমনকি হামলা করে মানুষকে মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেওয়ার হুমকিও দিচ্ছেন।’
তা সত্ত্বেও স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়া অনুসরণ করে শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশ করার পরিকল্পনা নিয়ে তারা এগোচ্ছেন বলে জানান এই বিএনপি নেতা।
তিনি বলেন, জনসভার আগে সরকার প্রতিদিন ১০০-২০০ বিএনপি নেতা-কর্মীকে গ্রেপ্তার করছে, যদিও তারা কোনো অনৈতিক ও বেআইনি কর্মকাণ্ডে লিপ্ত নয়।
খালেদা জিয়াকে দেখেছেন মার্কিন চিকিৎসকরা, প্রতিবেদন পর্যালোচনা চলছে
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ও রিপোর্ট যাচাই-বাছাই করতে এভারকেয়ার হাসপাতালে গেছেন যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসা তিনজন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক।
বৃহস্পতিবার (২৬ অক্টোবর) বিদেশি এই তিন সদস্যের চিকিৎসক দল খালেদা জিয়ার চিকিৎসা কার্যক্রম শুরু করেন।
বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান জানান, জনস হপকিন্স ইউনিভার্সিটির স্কুল অব মেডিসিনের হামিদ রব, ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস ও জেমস পি এ হ্যামিল্টন দুপুর দেড়টার দিকে হাসপাতালে যান এবং বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ডের সদস্যদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
আরও পড়ুন: কোনো কিছুই ২৮ অক্টোবরের বিএনপির সমাবেশ বন্ধ করতে পারবে না: ফখরুল
খালেদা জিয়ার ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এ জেড এম জাহিদ হোসেনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, ওই তিন চিকিৎসক বিএনপি চেয়ারপার্সনের বিভিন্ন মেডিকেল পরীক্ষার রিপোর্ট পর্যালোচনা করেন এবং কেবিনে তাকে দেখতে যান।
শায়রুল বলেন, খালেদা জিয়ার পরবর্তী চিকিৎসার বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রের চিকিৎসকরা মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।
বুধবার সন্ধ্যা সোয়া ৭টার দিকে ড. হামিদ রব ও ড. জেমস পি এ হ্যামিল্টন হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান। আরেক চিকিৎসক ক্রিস্টোস জর্জিয়াডেস বৃহস্পতিবার রাত ২টার দিকে বিমানবন্দরে পৌঁছান।
বিএনপি চেয়ারপার্সনের পরিবার এভারকেয়ার হাসপাতালের মেডিকেল বোর্ডের সঙ্গে আলোচনার পর নেফ্রোলজি, হেপাটোলজি, ইন্টারন্যাশনাল রেডিওলজি ও লিভার-কিডনি ট্রান্সপ্লান্টসহ বিভিন্ন বিভাগের বিশেষজ্ঞ তিন চিকিৎসককে যুক্তরাষ্ট্র থেকে নিয়ে আসেন। তারা ট্রান্সজুগুলার ইন্ট্রাহেপ্যাটিক পোর্টোসিস্টেমিক শান্ট বা লিভার সিরোসিসের রোগীদের চিকিৎসা করেন।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় যুক্তরাষ্ট্র থেকে আসছেন ৩ চিকিৎসক
বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়া গত ৯ আগস্ট থেকে ঢাকার এভারকেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
লিভার সিরোসিস, আর্থ্রাইটিস, ডায়াবেটিস, কিডনি, ফুসফুস, হার্ট ও চোখের সমস্যাসহ বিভিন্ন রোগে ভুগছেন ৭৮ বছর বয়সী সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী।
গত ৯ অক্টোবর এভারকেয়ার হাসপাতালের বিএনপি চেয়ারপার্সনের মেডিকেল বোর্ড সুপারিশ করে, বাংলাদেশে তার চিকিৎসার কোনো বিকল্প না থাকায় তাকে দ্রুত বিদেশে মাল্টিডিসিপ্লিনারি সেন্টারে পাঠানো হোক।
হাসপাতালে এক সংবাদ সম্মেলনে বোর্ডের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, পেট ও বুকে পানি জমে যাওয়া বন্ধে যথাযথ চিকিৎসার অভাবে, অভ্যন্তরীণ রক্তক্ষরণ ও লিভার সিরোসিসের কারণে সৃষ্ট সংক্রমণের কারণে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর জীবন ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ
বিএনপি নেতা খায়রুল কবির খোকনকে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি পুলিশ
বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকনকে রাজধানীর সিপাহীবাগ এলাকা থেকে বৃহস্পতিবার গ্রেপ্তার করেছে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির মতিঝিল বিভাগের উপ-কমিশনার রাজিব আল মাসুদ জানান, ঢাকা ও নরসিংদী জেলায় একাধিক মামলায় ওয়ান্টেড থাকায় গোয়েন্দারা তাকে গ্রেপ্তার করেছে।
এদিকে বিএনপির এই নেতার স্ত্রী শিরিন সুলতানা জানান, বুধবার দিবাগত রাত ২টার দিকে সিপাহীবাগ এলাকায় খোকনকে তার ভাইয়ের বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিএনপি নেতা এ্যানির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে বিএনপি নেতা চাঁদ