বিএনপি
আগামী ডিসেম্বরেই নির্বাচন চায় বিএনপি
আগামী জাতীয় নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলের শুরুতে অনুষ্ঠিত হবে বলে জাতীর উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এই ঘোষণা গোটা জাতিকে হতাশ করেছে বলে অভিহিত করে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করেছে বিএনপি।
শনিবার (৭ জুন) সকালে দেওয়া এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেছে দলটি।
বিবৃতিতে বিএনপি জানায়, ‘২০২৪ সালের জুলাই-আগস্টের আন্দোলনে ছাত্রসমাজ ও জনতার বিপুল ত্যাগের মধ্য দিয়ে জনগণের বিজয় অর্জিত হয়েছে। কিন্তু নির্বাচন আয়োজনের অযৌক্তিক বিলম্ব জনগণকে হতাশ ও ক্ষুব্ধ করেছে।’
এ সময় রমজান, মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক বা সমমানের পরীক্ষা এবং আবহাওয়া পরিস্থিতি ইত্যাদি বিবেচনায় নিয়ে চলতি বছরের ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের প্রস্তাব পুনর্ব্যক্ত করে বিএনপি।
এর আগে, শুক্রবার (৬ জুন) রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের পর বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের সভাপতিত্বে জরুরি ভার্চুয়াল বৈঠকে বসে বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম। বৈঠকের সিদ্ধান্তের ভিত্তিতে শনিবার ভোরে বিবৃতিটি দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন : আগামী সংসদ নির্বাচন ২০২৬ সালের এপ্রিলে: ড. ইউনূস
বৈঠকে প্রধান উপদেষ্টার ভাষণের বিষয়বস্তু বিস্তারিতভাবে পর্যালোচনা করা হয়। সেখানে এই ঘোষণা দীর্ঘ আন্দোলনের মধ্য দিয়ে ভোটাধিকার পুনরুদ্ধারে সচেষ্ট জাতির আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করেছে বলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, ‘প্রায় দেড় দশক ধরে ভোটের অধিকার থেকে বঞ্চিত এ দেশের জনগণ। বারবার গুম, হত্যা, কারাবরণ, হামলা ও নির্যাতনের শিকার হয়েও তারা ভোটের মাধ্যমে গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম চালিয়ে যাচ্ছেন।’
ঐকমত্য গঠনের কথা বললেও অন্তর্বর্তী সরকার একটি বিশেষ রাজনৈতিক গোষ্ঠীর দ্বারা প্রভাবিত হয়ে নিজেদের নিরপেক্ষতা প্রশ্নবিদ্ধ করছে বলে মন্তব্য করেন বিএনপির নীতিনির্ধারকরা।
তারা বলেন, ‘এ কারণে বৈঠকে মনে করে এই সরকারের অধীনে সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হবে কি না; তা নিয়ে জনগণ উদ্বিগ্ন হওয়াই স্বাভাবিক।’
বিএনপির স্থায়ী কমিটির ভাষ্যে, এপ্রিলের শুরুতে নির্বাচন দিলে তা আবহাওয়াজনিত জটিলতা ও রমজান মাসে প্রচার-প্রচারণা ও নির্বাচন-সংক্রান্ত কার্যক্রম পরিচালনায় প্রতিবন্ধকতার সৃষ্টি করবে, যা পরবর্তীতে নির্বাচনের সময়সূচি পেছানোর অজুহাত হিসেবে ব্যবহৃত হতে পারে।
আরও পড়ুন : ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
তারা বলেন, প্রধান উপদেষ্টার ভাষণে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন করা সম্ভব নয়— এমন কোনো সুস্পষ্ট যুক্তি উপস্থাপন করা হয়নি।
স্থায়ী কমিটির বৈঠকে আরও বলা হয়, ঈদুল আজহা উপলক্ষে বাণী দেওয়ার কথা থাকলেও প্রধান উপদেষ্টার বক্তব্য এক পর্যায়ে জাতির উদ্দেশ্য ভাষণে রূপ নেয়।
দীর্ঘ ওই ভাষণে অধ্যাপক ইউনূস নিজেই স্বীকার করেছেন বন্দর ও করিডর ইস্য অন্তবর্তী সরকারের তিনটি নির্দিষ্ট দায়িত্বের মধ্যে পড়ে না।
এ ছাড়াও ওই ভাষণে ব্যবহৃত কিছু শব্দ রাজনৈতিক সৌজন্যের সীমা অতিক্রম করেছে বলেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন বিএনপির নেতারা।
২০৫ দিন আগে
পরিবারের সঙ্গে ঈদ উদযাপন করবেন খালেদা জিয়া
এবার পরিবারের সঙ্গে পবিত্র ঈদুল আজহা উদযাপন করবেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া। শনিবার (৭ জুন) পবিত্র ঈদুল আজহা উপলক্ষে গুলশানের নিজ বাসভবন ‘ফিরোজা’য় নিকট আত্মীয়দের সঙ্গে সময় কাটাবেন তিনি।
বিএনপি চেয়ারপারসনের ব্যক্তিগত চিকিৎসক অধ্যাপক এজেডএম জাহিদ হোসেন জানান, ‘আগামীকাল পবিত্র ঈদুল আজহা। বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া তার গুলশানের বাসভবনে ঈদ উদযাপন করবেন।’
তিনি জানান, ফিরোজা বাসভবনে বেগম জিয়া এবং তার বড় ছেলে ও দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের পক্ষ থেকে একটি গরু কোরবানি দেওয়া হবে।
এছাড়া, বগুড়ার গাবতলীতে জিয়া পরিবারের সদস্যদের পক্ষ থেকে আরও একটি পশু কোরবানি দেওয়া হবে বলে জানান জাহিদ।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন জেলায়ও বিএনপির নেতাকর্মীরা খালেদা জিয়া, তারেক রহমান ও তাদের পরিবারের সদস্যদের নামে কোরবানি দেবেন।
ঈদের দিন বিকালে খালেদা জিয়া ফিরোজায় তার ঘনিষ্ঠ আত্মীয়স্বজনদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।
জাহিদ বলেন, ‘তার বোন সেলিনা রহমান, ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার এবং তাদের পরিবারের সদস্যসহ অন্যান্য নিকট আত্মীয়রা খালেদা জিয়াকে ঈদের শুভেচ্ছা জানাতে ফিরোজায় আসবেন। এটি একটি ব্যক্তিগত পারিবারিক মিলনমেলা হবে, যেখানে চেয়ারপারসন শুধুমাত্র তার ঘনিষ্ঠজনদের সঙ্গে সময় কাটাবেন।’
তিনি আরও জানান, খালেদা জিয়া তার আত্মীয়দের সঙ্গে বাসায় মধ্যাহ্নভোজ করবেন।
সন্ধ্যায় বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্যরা চেয়ারপারসনের সঙ্গে ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করবেন।
জাহিদ জানান, যুক্তরাজ্যে একদিন আগে ঈদ হওয়ায় শুক্রবার তারেক রহমান লন্ডনে ঈদ উদযাপন করেছেন। ঈদের নামাজ শেষে তিনি মায়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলে ঈদের শুভেচ্ছা জানান।
তিনি আরও বলেন, খালেদা জিয়া তার পুত্রবধূ জুবাইদা রহমান ও নাতিদের সঙ্গেও কথা বলেছেন।
তারেক রহমান, তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান, কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা রহমান এবং প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী সৈয়দা শামিলা রহমান ও তাদের দুই কন্যা জাহিয়া ও জাফিয়া রহমান লন্ডনে একসঙ্গে ঈদ উদযাপন করছেন।
জুবাইদা রহমান বৃহস্পতিবার রাতে ঢাকার হজরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে লন্ডনে পৌঁছান। আর কোকোর স্ত্রী প্রায় ১০ দিন আগে লন্ডনে ফিরে যান।
দীর্ঘ চার মাস লন্ডনে উন্নত চিকিৎসা গ্রহণ শেষে খালেদা জিয়া গত ৬ মে দেশে ফেরেন। তখন তার দুই পুত্রবধূ তার সঙ্গে ছিলেন।
জাহিদ জানান, খালেদা জিয়া দেশবাসী এবং দেশ-বিদেশে অবস্থানরত বিএনপির নেতাকর্মীদের প্রতি ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়েছেন এবং তাদের কাছে নিজের ও দেশের কল্যাণ কামনায় দোয়া চেয়েছেন।
চিকিৎসা প্রসঙ্গে জাহিদ বলেন, ‘আলহামদুলিল্লাহ, তিনি বর্তমানে স্থিতিশীল আছেন। লন্ডন থেকে ফেরার সময় যেমন ছিলেন, এখনও তেমনই আছেন। চিকিৎসা বোর্ড প্রতিদিন তার স্বাস্থ্য পর্যবেক্ষণ করছে এবং নিয়মিত শারীরিক পরীক্ষা চলছে।’
গত ঈদুল ফিতর লন্ডনে তারেক রহমানের বাসায় পুত্রবধূ ও নাতিদের সঙ্গে উদযাপন করেছিলেন খালেদা জিয়া।
২০৫ দিন আগে
ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানালেন তারেক রহমান
বাংলাদেশের জনগণ ও বিশ্বব্যাপী মুসলিম উম্মাহকে ঈদুল আজহার শুভেচ্ছা জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (৬ মে) নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে দেওয়া এক বার্তায় তিনি লেখেন, ‘বাংলাদেশের জনগণ এবং সারা বিশ্বের মুসলমানদের প্রতি আমি আন্তরিক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা জানাই। আমি তাদের সুখ-সমৃদ্ধি ও মঙ্গল কামনা করি। ঈদ মোবারক।’
তিনি আশা প্রকাশ করেন, ঈদুল আজহা সবার জীবনে শান্তি, আনন্দ ও সমৃদ্ধি বয়ে আনবে। তিনি লেখেন, ‘এই উৎসব যেন সমাজে ঐক্য ও সম্প্রীতি জাগিয়ে তোলে। আমি এই বিষয়ে মহান আল্লাহর রহমত কামনা করি।’
বাংলাদেশের বর্তমান অর্থনৈতিক পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘অনেকের পক্ষেই এবারের ঈদ পুরোপুরি উপভোগ করা কঠিন হয়ে পড়বে।’
তারেক রহমান বলেন, ‘লাগামহীন মূল্যস্ফীতি, খাদ্যদ্রব্যের অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি এবং পানি, গ্যাস ও বিদ্যুতের তীব্র সংকট সাধারণ মানুষের জীবনকে গভীর দুর্ভোগে ফেলেছে। “সীমিত আয়ের মানুষ টিকে থাকার জন্য সংগ্রাম করছে।’
তিনি ঈদের আনন্দ সবার মাঝে ভাগ করে নেওয়ার ওপর গুরুত্বারোপ করে বলেন, ‘ঈদের দিনে নিশ্চিত করতে হবে যেন কেউ না খেয়ে না থাকে। ঈদের আনন্দ হোক সমষ্টিগত, যেন সবাই একই কাতারে আসতে পারে।’
ঈদুল আজহার ত্যাগের আদর্শ তুলে ধরে বিএনপি নেতা বলেন, ‘ঈদুল আজহা ত্যাগের উৎসব। এর মূল শিক্ষা হলো আত্মোৎসর্গ। পবিত্র কোরআনে বলা হয়েছে—আল্লাহর কাছে পশুর মাংস বা রক্ত পৌঁছায় না, পৌঁছে কেবল তোমাদের অন্তরের তাকওয়া।’
তিনি বলেন, মানুষ আল্লাহর সান্নিধ্য লাভের আশায় পশু কোরবানি করে। ‘পবিত্র ঈদুল আজহা প্রতি বছর ফিরে আসে আত্মশুদ্ধি, আত্মতৃপ্তি ও আত্মত্যাগের মহাসন্দেশ নিয়ে।’
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি, সামাজিক বৈষম্য এবং অর্থনৈতিক সংকটের মাঝেও দেশের মুসলিম জনগণের হৃদয়ে ঈদের অফুরন্ত আনন্দ ও উদ্দীপনা বিরাজ করছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
রাজনৈতিক পরিবর্তনের প্রসঙ্গে তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষ দেড় দশক ধরে এক কঠিন ফ্যাসিবাদী সময় পার করেছে।’
তিনি বলেন, ‘গত বছরের ৫ আগস্ট ফ্যাসিস্ট চক্রের পতনের পর এবার ঈদুল আজহা কিছুটা স্বস্তির পরিবেশে উদযাপিত হচ্ছে।’
তারেক রহমান জনগণকে সমাজ গঠনে তাদের ইচ্ছার প্রতিফলন ঘটাতে আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘শান্তি, ঐক্য, সম্প্রীতি ও উচ্চ নৈতিকতার ভিত্তিতে নতুন করে সমাজ গঠনের লক্ষ্যে কাজ করতে হবে। যাতে করে চরম বৈষম্য দূর হয় এবং দুনীতি, লুটপাট ও অর্থপাচারের মতো অপরাধ আর কোনোদিন না ঘটে।’
উল্লেখ্য, ২০০৮ সাল থেকে তারেক রহমান তার স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান এবং কন্যা ব্যারিস্টার জায়মা রহমানকে সঙ্গে নিয়ে লন্ডনে বসবাস করছেন।
২০৫ দিন আগে
নির্বাচন বিলম্বে নানা কৌশল করছে সরকার: রিজভী
অন্তর্বর্তী সরকার জনগণের আশা-আকাঙ্ক্ষাকে উপেক্ষা করে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করতে 'কৌশলগত' পদক্ষেপ নিচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম সম্পাদক রুহুল কবির রিজভী।
তিনি বলেন, ‘আপাতদৃষ্টিতে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনকে জাদুঘরে পাঠিয়েছেন শেখ হাসিনা। তাকে অপসারণের পর মানুষ আশা করেছিল ড. মুহাম্মদ ইউনূস দ্রুত তাদের ভোটাধিকার ফিরিয়ে দেবেন। কিন্তু, নানা কৌশলে নির্বাচনের বিষয়টি কেবল বিলম্বিত করা হচ্ছে।’
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে বৃহস্পতিবার (৫ জুন) রশিদ গ্রুপ আয়োজিত উত্তরা এলাকায় দোয়া মাহফিল এবং ঈদ উপহার বিতরণ অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে বিএনপির এই নেতা এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্বর্তীকালীন সরকার আগামী আগস্টে ক্ষমতায় আসার এক বছর পূর্ণ করতে চলেছে, তবুও এখন পর্যন্ত কোনো দৃশ্যমান সংস্কার করা হয়নি।
তিনি জনগণের আকাঙ্ক্ষা অনুযায়ী ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের লক্ষ্যে প্রয়োজনীয় সংস্কার দ্রুত বাস্তবায়নের জন্য সরকারের প্রতি আহ্বান জানান।
আরও পড়ুন: পরিবেশ রক্ষায় পাঁচ পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি: তারেক রহমান
বিএনপির এই নেতা আরও বলেন, দেশের মানুষ তাদের প্রতিনিধি নির্বাচনের জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে, কারণ তারা দীর্ঘদিন ধরে তাদের ভোটাধিকার থেকে বঞ্চিত।
পরে, কয়েকশ নিম্ন আয়ের মানুষের মধ্যে ঈদ উপহার বিতরণ করেন রিজভী।
বিএনপি স্বাস্থ্য বিষয়ক সম্পাদক ডা. রফিকুল ইসলাম, ঢাকা মহানগর উত্তর শাখার সদস্য সচিব মুস্তাফা জামান, যুগ্ম আহ্বায়ক এসএম জাহাঙ্গীর হোসেন, এবিএমএ রাজ্জাক, এম কফিল উদ্দিন আহমেদ এবং রশিদ গ্রুপের চেয়ারম্যান এবং ঢাকা উত্তর মহানগর বিএনপির সদস্য মোতালেব হোসেন রতন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিএনপির নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে রিজভী বলেন, দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের স্ত্রী ডা. জুবাইদা রহমান বা তাদের একমাত্র মেয়ে ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের কোনো ফেসবুক অ্যাকাউন্ট নেই।
তিনি বলেন, ‘আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন যে একটি অপরাধী চক্র ইচ্ছাকৃতভাবে ডা. জুবাইদা রহমান ও ব্যারিস্টার জাইমা রহমানের নামে ভুয়া এবং মিথ্যা ফেসবুক অ্যাকাউন্ট তৈরি করছে, বিভ্রান্তিকর এবং বানোয়াট মন্তব্য পোস্ট করছে। প্রতারকরা এআই (কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা) ব্যবহার করে সোশ্যাল মিডিয়ায় তাদের ভুয়া ছবি এবং ভিডিও তৈরি ও প্রচার করছে।’
আরও পড়ুন: বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি
তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরণের ঘৃণ্য কার্যকলাপের তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান। রিজভী জনগণকে এই ধরণের ভুল তথ্যে বিভ্রান্ত না হওয়ার আহ্বান জানান।
তিনি জুবাইদা রহমান এবং জাইমা রহমানের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরিকে জিয়া পরিবার সম্পর্কে জনগণের মনে বিভ্রান্তি তৈরি করার লক্ষ্যে একটি ‘ঘৃণ্য এবং পূর্বপরিকল্পিত’ কার্যকলাপ হিসাবে বর্ণনা করেন।
রিজভী জিয়া পরিবারের সদস্যদের নামে ভুয়া অ্যাকাউন্ট তৈরির জন্য দায়ীদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার ও শাস্তির দাবি জানান।
২০৬ দিন আগে
পরিবেশ রক্ষায় পাঁচ পদক্ষেপের ঘোষণা দিয়েছে বিএনপি: তারেক রহমান
আগামী নির্বাচনের মাধ্যমে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পরিবেশ রক্ষার জন্য সবুজ ও পরিচ্ছন্ন বাংলাদেশ গড়ে তুলতে বিএনপি পাঁচটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ নেবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৫-এর প্রাক্কালে বুধবার(৪ জুন) নিজের ভ্যারিফায়েড ফেসবুক পেজে এক পোস্টে তিনি এ কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আজকের বৈশ্বিক জলবায়ু সঙ্কট এবং শিল্প দূষণের মারাত্মক পরিস্থিতির প্রেক্ষিতে একটি বাস্তবসম্মত এবং ভবিষ্যতমুখী জাতীয় কৌশল তৈরি করার প্রয়োজনীয়তা আরও বেড়ে গেছে। ‘যদি বিএনপিকে আবারও সরকার পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়—তাহলে আমরা বাংলাদেশের পরিবেশ রক্ষার জন্য নিম্নলিখিত পদক্ষেপগুলো গ্রহণের প্রতিশ্রুতি দিচ্ছি।’
আরও পড়ুন: বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি
পাঁচটি প্রধান পদক্ষেপের মধ্যে রয়েছে—১. একটি ন্যাশনাল গ্রিন রিকভারি পরিকল্পনা, যার মধ্যে থাকবে নবায়ণযোগ্য শক্তি, বনাঞ্চল পুনঃস্থাপন (আগামী পাঁচ বছরে ২৫ থেকে ৩০ কোটি গাছ লাগানো), এবং টেকসই কৃষি।২. ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ও বিষাক্ত রাসায়নিকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা এবং শিল্প এবং গৃহস্থালিতে বায়োডিগ্রেডেবল বিকল্পগুলোর উন্নয়ন।৩. জলাবদ্ধতা মোকাবিলায় নদী ও খালের ড্রেজিং এবং পুনঃস্থাপন প্রোগ্রাম শুরু করা, যাতে জলজ বাস্তুতন্ত্র সুরক্ষিত রাখা যায়।
৪. দেশের দক্ষিণাঞ্চলের জলবায়ু-প্রতিরোধী কৃষি ও অবকাঠামোকে সমর্থন করা—যাতে স্থানীয় সম্প্রদায় জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাবের সঙ্গে খাপ খাইয়ে নিতে পারে।৫. স্কুলের পাঠ্যক্রমে পরিবেশ শিক্ষা অন্তর্ভুক্ত করা- যাতে পরিবেশ সচেতন নাগরিকদের নতুন প্রজন্ম তৈরি হয়।
তারেক রহমান বলেন, ভৌগলিক অবস্থানের কারণে বাংলাদেশ অসাধারণ প্রাকৃতিক সৌন্দর্য এবং পারিপার্শ্বিক বৈচিত্র্যে পূর্ণ। ‘তাই, আমাদের জন্য এটি একটি গুরুতর দায়িত্ব হলো এই সমৃদ্ধ পরিবেশকে ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্য সংরক্ষণ করা।’
আরও পড়ুন: ডিসেম্বরের পর জাতীয় নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন
তিনি বলেন, বিএনপি প্রতিষ্ঠার পর থেকেই পরিবেশবান্ধব দল হিসেবে পরিচিত। ‘বছরের পর বছর আমরা বৃক্ষরোপণ, খাল খনন এবং রক্ষণাবেক্ষণ, এবং ক্ষতিকারক প্লাস্টিক ব্যবহারের বিরুদ্ধে সক্রিয় প্রচারণা চালিয়ে এসেছি।’
তারেক রহমান আরও বলেন, বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান ১৯৭৭ সালে পরিবেশ দূষণ নিয়ন্ত্রণ প্রকল্প শুরু করেছিলেন, যা পরে পরিবেশ অধিদপ্তরে পরিণত হয়। এই ঐতিহ্যকে এগিয়ে নিয়ে বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া ১৯৯৫ সালে পরিবেশ সংরক্ষণ আইন করেন এবং দেশে প্রথম পরিবেশ আদালত প্রতিষ্ঠা করেন- যা পরিবেশ সুরক্ষার জন্য আইনি ব্যবস্থার পথপ্রদর্শক।
পরিবেশ সংরক্ষণ বিলাসিতা না, বরং প্রয়োজনীয়তা হিসেবে উল্লেখ করে তারেক রহমান সকলের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘একটি টেকসই বাংলাদেশ গড়তে আমাদের সকলকে এগিয়ে আসতে হবে, এমন একটি বাংলাদেশ গড়তে হবে যেখানে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম একটি সবুজ, বাসযোগ্য ও স্থিতিস্থাপক দেশ পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আসুন, আমরা আশার বীজ বপণ করি। আমাদের বায়ু, পানি ও মাটি সুরক্ষিত রাখি এবং সবার জন্য ভবিষ্যত রক্ষা করি।’
২০৭ দিন আগে
বাজেটকে 'একতরফা, অকার্যকর' অভিহিত করল বিএনপি
নতুন অর্থবছরের (২০২৫-২৬) প্রস্তাবিত জাতীয় বাজেটকে অকার্যকর ও গতানুগতিক এবং একতরফা বলে সমালোচনা করেছে বিএনপি। দলটি বলেছে, ক্রমবর্ধমান মুদ্রাস্ফীতি ও দরিদ্রতার মতো অর্থনৈতিক দীর্ঘস্থায়ী সমস্যাগুলো সমাধানে এবারের বাজেট সুর্নিদিষ্ট কৌশল দিতে ব্যর্থ হয়েছে।
বুধবার (৪ জুন) বাজেট নিয়ে দলের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়ায় এসব কথা বলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী।
সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘বিএনপি সব ধরনের সহায়তা দিয়ে আসছে অন্তর্বতী সরকারকে। আমরা আশা করেছিলাম যে অন্তর্বর্তী সরকার জাতীয় ঐক্য প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে জড়িত রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করে বাজেট তৈরি করবে, যাতে জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠার ন্যূনতম স্তর তৈরি হয়।’
তিনি আরও বলেন, অন্তর্বর্তী সরকার সমাজের বিশিষ্ট ব্যক্তি, নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি, ব্যবসায়ী নেতা ও যুব প্রতিনিধিদের নিকট থেকে মতামত নিতে পারত।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘যদি এমনটি হতো, তাহলে বাজেট একটি সমন্বিত অর্থনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীক হত। এটি দেশের বিভিন্ন অংশের কণ্ঠস্বর প্রতিফলিত করত। কিন্তু সেই সুযোগটি ব্যবহার করা হয়নি। ফলে, বাজেটটি একপেশে, অংশগ্রহণমূলক নয় এবং গতানুগতিক হয়ে গেছে। এতে নতুন চিন্তা-ভাবনার প্রতিফলন নেই।’
বর্তমান বিশেষ পরিস্থিতির কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের জন্য বাজেট চূড়ান্ত করার আগে এই ধরনের আলোচনা আরও জরুরি ছিল, যেহেতু ২০২৫-২৬ অর্থবছরে একটি নির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসবে।
প্রস্তাবিত বাজেটের উপর তাদের আনুষ্ঠানিক প্রতিক্রিয়া জানাতে তাদের চেয়ারপারসনের গুলশান কার্যালয়ে এই প্রেস কনফারেন্স আয়োজন করে বিএনপি।
সোমবার (২ জুন) অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জন্য ৭ লাখ ৯০ হাজার কোটি টাকার বাজেট উপস্থাপন করেন। এটি জুলাই মাস থেকে কার্যকর হবে।
আরও পড়ুন: ব্যাংকে নতুন নোট নেই, চড়া দামে মিলছে খোলাবাজারে
বাজেট সাধারণ মানুষের জীবনযাত্রার মানকে মাথায় রেখে তৈরি করা উচিত উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, প্রস্তাবিত বাজেট সেই বৈষম্যমুক্ত সমাজের দৃষ্টিভঙ্গি প্রতিফলিত হয়নি, যার জন্য আন্দোলন করা হয়েছিল।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, বাজেটে চলমান অর্থনৈতিক সমস্যাগুলোর যেমন উচ্চ মুদ্রাস্ফীতি, দরিদ্রতা বৃদ্ধি, কম বেসরকারি বিনিয়োগ এবং কর্মসংস্থানের কম সুযোগের স্পষ্ট সমাধান দেওয়া হয়নি।
বিএনপির এই নেতা বাজেটের সমালোচনা করে বলেন, বাজেটটি অপ্রয়োজনীয় এবং দুর্নীতিপ্রবণ প্রকল্পগুলোতে বেশি মনোযোগ দিয়েছে, অথচ শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও কৃষি খাতের মতো গুরুত্বপূর্ণ খাতে বরাদ্দ কমানো হয়েছে।
২০৭ দিন আগে
ডিসেম্বরের পর জাতীয় নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নেই: সালাহউদ্দিন
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, রাজনৈতিক ঐকমত্য থাকলে অধিকাংশ সংস্কার এক মাসের মধ্যেই সম্পন্ন করা সম্ভব। সেই হিসেবে ডিসেম্বরের পর নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নেই।
সোমবার (২ জুন) জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা সংলাপ শেষে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘আমরা বোঝাতে সক্ষম হয়েছি যে, ডিসেম্বরের পরে নির্বাচন অনুষ্ঠানের মতো উল্লেখযোগ্য একটি কারণও নেই।’
সালাহউদ্দিন দাবি করেন, বৈঠকে প্রায় সব রাজনৈতিক দল চলতি বছরের ডিসেম্বরের আগেই নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তাব দিয়েছে।তিনি আশা প্রকাশ করেন, ‘প্রধান উপদেষ্টা এখন রাজনৈতিক দলগুলোর সম্মিলিত প্রস্তাব বিবেচনায় নেবেন।’
বিএনপি নেতা, ‘আমরা আশা করি, জাতীয় ঐক্যের প্রতীক হিসেবে তিনি সম্পূর্ণ নিরপেক্ষভাবে কাজ করবেন এবং ব্যক্তিগত আবেগ বা পক্ষপাত থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবেন। জাতি তার কাছ থেকে নির্ভেজাল নিরপেক্ষতা প্রত্যাশা করেন।’
তিনি আরও বলেন, ‘বিএনপি মনে করে ডিসেম্বরের মধ্যেই সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব। এর আগে আমরা জরুরি ভিত্তিতে নির্বাচনী ব্যবস্থাসংশ্লিষ্ট প্রধান সংস্কারগুলো চিহ্নিত করে রাজনৈতিক ঐকমত্যের ভিত্তিতে তা বাস্তবায়ন করতে পারি।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের মর্যাদাপূর্ণ বিদায়ে ডিসেম্বরে নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান বিএনপির
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘এমন কোনো সংস্কার নেই, যা এক মাসের মধ্যে করা সম্ভব নয়। আমরা আজ একটি প্রতিবেদন পেয়েছি যেখানে বলা হয়েছে, আইন মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমে ইতোমধ্যে বিভিন্ন খাতে একাধিক সংস্কার অধ্যাদেশ জারি করে বাস্তবায়ন করা হয়েছে।
আরও অনেক সংস্কার প্রক্রিয়াধীন আছে। সেগুলো অধ্যাদেশ, নির্বাহী আদেশ বা প্রশাসনিক নির্দেশনার মাধ্যমেও বাস্তবায়ন করা সম্ভব বলে দাবি করেন তিনি।
এর আগে সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের দ্বিতীয় দফা বৈঠকে অংশ নেয়।
প্রধান উপদেষ্টা ও কমিশনের প্রধান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সভাপতিত্বে ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে এই বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।
সংলাপে অংশগ্রহণকারী সব রাজনৈতিক দল প্রথম দফার আলোচনায় অগ্রগতিতে বাধা সৃষ্টি করা প্রধান সংস্কারগুলোর বিষয়ে মতবিরোধ নিরসনের লক্ষ্যে এই বৈঠকে অংশ নেয়।
বিএনপির প্রতিনিধিদলের অন্য দুই সদস্য হলেন দলীয় চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিহুল্লাহ এবং সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল।
গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সংস্কার নিয়ে একটি বিস্তৃত রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে চলতি বছরের শুরুতে শুরু হওয়া ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনা সম্পন্ন করে।এতে অধিকাংশ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে এখনও মতবিরোধ রয়েছে।
২০৯ দিন আগে
ড. ইউনুসের সঙ্গে দ্বিতীয় দফা আলোচনায় যাচ্ছে বিএনপি
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের উদ্যোগে আয়োজিত দ্বিতীয় দফার আলোচনায় অংশ নিচ্ছে বিএনপির তিন সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল। এতে নেতৃত্বে দিচ্ছেন দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
সোমবার (২ জুন) বিকাল সাড়ে ৪টায় বেইলি রোডের ফরেন সার্ভিস একাডেমিতে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হবে। জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সভাপতি ও প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনুস এই আলোচনায়র নেতৃত্ব দেবেন।
আলোচনায় বিএনপির অপর দুই প্রতিনিধি হচ্ছেন, দলের চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ইসমাইল জবিহুল্লাহ ও সুপ্রিমকোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সাবেক সম্পাদক ব্যারিস্টার রুহুল কুদ্দুস কাজল। বিএনপির গণমাধ্যম সেল সদস্য সৈয়দ সায়রুল কবির খান এ তথ্য জানিয়েছেন।
গুরুত্বপূর্ণ জাতীয় সংস্কার নিয়ে একটি বিস্তৃত রাজনৈতিক ঐকমত্যে পৌঁছানোর লক্ষ্যে চলতি বছরের শুরুতে শুরু হওয়া ধারাবাহিক আলোচনার অংশ হিসেবে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হচ্ছে।
এর আগে চলতি বছরের ১৫ ফেব্রুয়ারি থেকে ১৯ মে পর্যন্ত জাতীয় ঐকমত্য কমিশন দেশের ৩৩টি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে প্রথম দফার আলোচনা সম্পন্ন করে। এতে অধিকাংশ বিষয়ে ঐকমত্যে পৌঁছানো সম্ভব হলেও কিছু গুরুত্বপূর্ণ সংস্কার নিয়ে এখনও মতবিরোধ রয়ে গেছে।
২০৯ দিন আগে
জার্মানিতে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালিত
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে জার্মানিতে। শনিবার (৩১ মে) ফ্রাঙ্কফুটের সালবাউ নিদ অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য দেওয়ান শফিকুল ইসলাম। আর সঞ্চালনা করেন জার্মানি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য জীবন দিয়েছেন শহীদ জিয়া। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন তিনি। দেশ ও জাতির দুর্দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হলে তিনি দক্ষতার সাথে তা পালন করেন।
তারা বলেন, বুকের রক্ত দিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, তা কেড়ে নিয়েছিল ক্ষমতালোভী শেখ হাসিনা। কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি। গণতন্ত্রকামী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
২১০ দিন আগে
সংস্কারের নামে কলা দেখাচ্ছে সরকার: সালাহউদ্দিন আহমেদ
অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিয়ে ‘সংস্কারের’ নামে কেবল ‘কলা দেখাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কৃষক দল।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘‘সংস্কারের এই নাটক কতবার উদ্বোধন করবেন? প্রথম দফায় উদ্বোধন, তারপর দ্বিতীয় দফায় আবার। এখন তৃতীয় দফায় আরেকটা উদ্বোধন! এটি আসলে সংস্কারের নামে ‘কলা দেখানো’ ছাড়া কিছু নয়।’’
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ২ জুন আরেক দফা সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। ‘আমরা আগেই বলেছি—যা আলোচনা হয়েছে, সব একত্র করে জাতির সামনে উপস্থাপন করুন। কিন্তু আপনারা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করছেন, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ২ জুন আবার নতুন করে আলোচনার কী প্রয়োজন?’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের চেয়েও বড় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা—ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবিই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: দেশে পদে পদে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া
সালাহউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকারের আগের প্রতিশ্রুতি থেকে তারা সরে এসেছে। ‘আপনারা বলেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে। এখন আবার পিছু হটলেন—এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ উত্তরার বাসা থেকে গোয়েন্দা পরিচয়ে অপহরণের শিকার হওয়া সালাহউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, কারাবরণ করেছে, ‘আয়নাঘরে’ বন্দী হয়েছে। এসব কিছু কি শুধু গল্প? আমরা এসব ভোগ করেছি এমনি এমনি।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যেই বিএনপি আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেন দলটির এই নেতা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ইঙ্গিত করে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বললেই যদি আপনি অস্বস্তি বোধ করেন, তবে সেটা অত্যন্ত হতাশাজনক। সংস্কারের নামে কতদিন আর নির্বাচন বিলম্ব করবেন?’
নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। আপনার (ড. ইউনূস) কোনো যুক্তি নেই। ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন না করার একটি কারণও যদি থাকে—তা জাতির সামনে তুলে ধরুন।’
সংস্কারকে একটি চলমান প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, সংস্কারকে অজুহাত বানিয়ে নির্বাচন পেছানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ‘সংস্কার কখনও সম্পন্ন করার মতো কাজ নয়, সময় ও দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী তা বিকশিত হয়। কিন্তু তাই বলে এর অর্থ এই নয় যে, আপনি এটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দিতে পারেন।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কার ও আ.লীগের বিচার মেলানোর সুযোগ নেই: বিএনপি
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ কৃষক দলের নেতারা।
২১১ দিন আগে