বিএনপি
জার্মানিতে জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালিত
সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের শাহাদতবার্ষিকী পালিত হয়েছে জার্মানিতে। শনিবার (৩১ মে) ফ্রাঙ্কফুটের সালবাউ নিদ অডিটোরিয়ামে এ উপলক্ষ্যে দোয়া ও আলোচনা সভার আয়োজন করা হয়েছে।
এতে সভাপতিত্ব করেন কেন্দ্রীয় বিএনপির বৈদেশিক বিষয়ক উপদেষ্টা কমিটির সদস্য দেওয়ান শফিকুল ইসলাম। আর সঞ্চালনা করেন জার্মানি বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাসুদ রেজা।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, দেশ ও জনগণের জন্য জীবন দিয়েছেন শহীদ জিয়া। মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলার স্বাধীনতা ছিনিয়ে এনেছিলেন তিনি। দেশ ও জাতির দুর্দিনে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পিত হলে তিনি দক্ষতার সাথে তা পালন করেন।
তারা বলেন, বুকের রক্ত দিয়ে শহীদ জিয়াউর রহমান দেশে যে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করেন, তা কেড়ে নিয়েছিল ক্ষমতালোভী শেখ হাসিনা। কিন্তু তার শেষ রক্ষা হয়নি। গণতন্ত্রকামী ছাত্র-জনতার আন্দোলনের মুখে সে দেশ ছেড়ে পালিয়ে যেতে বাধ্য হয়েছে।
২১০ দিন আগে
সংস্কারের নামে কলা দেখাচ্ছে সরকার: সালাহউদ্দিন আহমেদ
অন্তর্বর্তী সরকার ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের ক্ষেত্রে কোনো দৃশ্যমান পদক্ষেপ না নিয়ে ‘সংস্কারের’ নামে কেবল ‘কলা দেখাচ্ছে’ বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (৩১ মে) রাজধানীর ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপির প্রতিষ্ঠাতা ও সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে কৃষক দল।
সালাহউদ্দিন বলেন, ‘‘সংস্কারের এই নাটক কতবার উদ্বোধন করবেন? প্রথম দফায় উদ্বোধন, তারপর দ্বিতীয় দফায় আবার। এখন তৃতীয় দফায় আরেকটা উদ্বোধন! এটি আসলে সংস্কারের নামে ‘কলা দেখানো’ ছাড়া কিছু নয়।’’
তিনি বলেন, প্রধান উপদেষ্টা ২ জুন আরেক দফা সংলাপের আহ্বান জানিয়েছেন। ‘আমরা আগেই বলেছি—যা আলোচনা হয়েছে, সব একত্র করে জাতির সামনে উপস্থাপন করুন। কিন্তু আপনারা শুধু আনুষ্ঠানিকতা করছেন, কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। ২ জুন আবার নতুন করে আলোচনার কী প্রয়োজন?’
তিনি আরও বলেন, ‘সংস্কারের চেয়েও বড় অগ্রাধিকার হওয়া উচিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার নিশ্চিত করা—ফ্যাসিস্টদের বিচারের দাবিই এখন সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হওয়া উচিত।’
আরও পড়ুন: দেশে পদে পদে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া
সালাহউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন আয়োজনের বিষয়ে সরকারের আগের প্রতিশ্রুতি থেকে তারা সরে এসেছে। ‘আপনারা বলেছিলেন, ডিসেম্বরের মধ্যেই নির্বাচন হবে। এখন আবার পিছু হটলেন—এটা অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক।’
২০১৫ সালের ১০ মার্চ উত্তরার বাসা থেকে গোয়েন্দা পরিচয়ে অপহরণের শিকার হওয়া সালাহউদ্দিন অভিযোগ করে বলেন, ‘বিএনপির নেতাকর্মীরা রক্ত দিয়েছে, নির্যাতনের শিকার হয়েছে, কারাবরণ করেছে, ‘আয়নাঘরে’ বন্দী হয়েছে। এসব কিছু কি শুধু গল্প? আমরা এসব ভোগ করেছি এমনি এমনি।’
গণতন্ত্র পুনরুদ্ধার, ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনা এবং বৈষম্যহীন সমাজ গড়ার লক্ষ্যেই বিএনপি আন্দোলন করছে বলে মন্তব্য করেন দলটির এই নেতা।
প্রধান উপদেষ্টার প্রতি ইঙ্গিত করে সালাহউদ্দিন আরও বলেন, ‘আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকারের কথা বললেই যদি আপনি অস্বস্তি বোধ করেন, তবে সেটা অত্যন্ত হতাশাজনক। সংস্কারের নামে কতদিন আর নির্বাচন বিলম্ব করবেন?’
নির্বাচন পেছানোর যৌক্তিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, ‘নির্বাচন বিলম্ব করার কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ নেই। আপনার (ড. ইউনূস) কোনো যুক্তি নেই। ডিসেম্বরে নির্বাচন আয়োজন না করার একটি কারণও যদি থাকে—তা জাতির সামনে তুলে ধরুন।’
সংস্কারকে একটি চলমান প্রক্রিয়া বলে উল্লেখ করেন তিনি। বলেন, সংস্কারকে অজুহাত বানিয়ে নির্বাচন পেছানো কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়। ‘সংস্কার কখনও সম্পন্ন করার মতো কাজ নয়, সময় ও দেশের প্রয়োজন অনুযায়ী তা বিকশিত হয়। কিন্তু তাই বলে এর অর্থ এই নয় যে, আপনি এটিকে অজুহাত হিসেবে ব্যবহার করে নির্বাচনের তারিখ পিছিয়ে দিতে পারেন।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কার ও আ.লীগের বিচার মেলানোর সুযোগ নেই: বিএনপি
কৃষক দলের সাধারণ সম্পাদক শহিদুল ইসলাম বাবুল সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাহদি আমিন, নির্বাহী কমিটির সদস্য তাবিথ আউয়ালসহ কৃষক দলের নেতারা।
২১১ দিন আগে
আওয়ামী লীগকে বাংলাদেশে কখনো রাজনীতি করতে দেওয়া হবে না: আমান উল্লাহ আমান
আওয়ামী লীগে কখনো আর এই স্বাধীন দেশে রাজনীতি করতে পারবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার উপদেষ্টা ও ডাকসুর সাবেক ভিপি আমান উল্লাহ আমান।
তিনি বলেন, ‘আওয়ামী লীগের রাজনীতি, খুনিদের রাজনীতি এই বাংলাদেশে আর কখনো করতে দেওয়া হবে না।’
শুক্রবার (৩০ মে) বিএনপি’র প্রতিষ্ঠাতা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষে সাভারে আয়োজিত এক দোয়া অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
ভার্কুতা, তেঁতুলঝোড়া, ও আমিনবাজার ইউনিয়ন বিএনপির এই আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিলে অংশ নিয়ে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
আরও পড়ুন: জিয়াউর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সৎ শাসক: কাদের গনি চৌধুরী
আমান উল্লাহ আমান আরও বলেন, ছাত্র জনতার রক্তের বিনিময়ে ফ্যাসিস্ট হাসিনা মুক্ত হয়েছে বাংলাদেশ। ফ্যাসিস্ট হাসিনা, খুনি হাসিনা গণ জাগরনের একদিন আগেও বলেছিল, আওয়ামীলীগ পালায় না। একদিন পরেই তিনি তার গোষ্ঠীসহ পালাতে বাধ্য হয়েছেন। তিনি আরও বলেন বিএনপি আগামীতে রাষ্ট্রক্ষমতায় এলে দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তনে কার্যকর উদ্যোগ গ্রহণ করবে। দেশের জনগণের আকাঙ্ক্ষা পূরণে নিরপেক্ষ অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অধীনে দ্রুত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন তিনি।
অনুষ্ঠানে সাভার উপজেলার সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা বিএনপির সাবেক সহসভাপতি আলহাজ্ব কফিল উদ্দিন, ভাকুর্তা ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি সারোয়ার হোসেন চেয়ারম্যান, সাধারণ সম্পাদক নুরুল মোমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক মোক্তার হোসেন আসাদ, ঢাকা জেলা ছাত্রদলের সাবেক সাধারণ সম্পাদক রেজাউল করিম জুয়েল, আশরাফুল আলমসহ সাভারের বিভিন্ন ইউনিয়ন, ওয়ার্ডের বিএনপি ও অংশ সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর আত্মার মাগফিরাত কামনায় দোয়া করা হয়।
২১২ দিন আগে
জিয়াউর রহমান সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ সৎ শাসক: কাদের গনি চৌধুরী
বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্য সচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, দেশের স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্ব রক্ষা ও গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠায় শহীদ জিয়ার অবদান এদেশের ইতিহাসে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে। তিনি স্বীয় কীর্তিতে অমর ইতিহাসের মহানায়ক।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে স্বাধীনতার মহান ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের (বীর উত্তম) ৪৪তম শাহাদত বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত দোয়া মাহফিল ও খাদ্য বিতরণ কর্মসূচিতে তিনি একথা বলেন।
রাজধানীর রোকেয়া স্মরণি এলাকায় এ কর্মসূচিতে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী প্রাইভেট ব্যাংকার্স ও ফাইন্যান্সিয়াল ইনস্টিটিউশনস এমপ্লয়িজ অ্যাসোসিয়েশনর আহ্বায়ক শেখ মুহাম্মদ জায়েদ আল ফাত্তাহ (শেখ সাব্বির), ব্যাংকার এম এ সাঈদ চৌধুরী, শেখ তানভীর আহমেদ সিদ্দিকী, রাইসুল আলম, আলিমুল বিন আজিজ, এইচ এম মিজানুর রহমান প্রমুখ।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সততা, নিষ্ঠা, দেশপ্রেম, পরিশ্রমপ্রিয়তা ও নেতৃত্বের দৃঢ়তাসহ প্রভৃতি গুণাবলী এদেশের গণমানুষের হৃদয় স্পর্শ করেছিল। দেশে ঐক্যের রাজনীতি চালু করে সবাইকে এক কাতারে নিয়ে আসেন তিনি। প্রেসিডেন্ট জিয়া বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন, বাক ও ব্যক্তি স্বাধীনতা ফিরিয়ে দেন। অল্প সময়ের জন্য রাষ্ট্র পরিচালনার সুযোগ পেয়ে জিয়া বিপুল জনপ্রিয়তা অর্জন এবং তলাবিহীন ঝুঁড়ির অপবাদ থেকে দেশ-জাতিকে মুক্ত করেন। বিশ্ব দরবারে বাংলাদেশ মাথা উঁচু করে দাঁড়ানোর সাহস জোগান। বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীকে নতুনভাবে ঢেলে সাজিয়েছিলেন। ঢাকায় মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অনুষ্ঠিত তার স্মরণকালের নামাজে জানাজায় প্রমাণিত তিনি কত জনপ্রিয় ছিলেন।
আরও পড়ুন: একটি ছবি লাখো শব্দের সমান: কাদের গনি চৌধুরী
জিয়াকে আমাদের জাতিসত্তার রূপকার উল্লেখ করে সাংবাদিকদের এ নেতা বলেন, শহীদ জিয়া প্রকৃত অর্থে গত ৫৪ বছরে বাংলাদেশের একমাত্র স্টেটম্যান। স্বাধীনতা উত্তর শ্বাপদসঙ্কূল রাজনৈতিক, সামরিক পথপরিক্রমা, দেশী বিদেশী ষড়যন্ত্রে দিশাহীন জাতিকে দেখিয়েছিলেন আলোর পথ। মাত্র সাড়ে তিন বছরের শাসনামলে তলাবিহীন ঝুড়ি থেকে দেশকে এগিয়ে নিয়েছেন কৃষি, শিল্প, মানবসম্পদ উন্নয়ন খাতে স্বনির্ভরতার দিকে। দেশে প্রতিষ্ঠিত করেছেন বহুদলীয় গণতন্ত্র এবং বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদ।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, শেখ মুজিবুর রহমান ১৯৭৫ সালে দেশের সব রাজনৈতিক দলকে নিষিদ্ধ করে গণবিমুখ একদলীয় বাকশালী ব্যবস্থা চালু করেন। সে দিনগুলোতে গণতন্ত্র, মানবাধিকার, বাকস্বাধীনতা, রাজনৈতিক মতপ্রকাশের কোনো স্বাধীনতা ছিল না। গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধ করা হয়। একদল, এক ব্যক্তিশাসনে গোটা দেশ এক জিন্দানখানায় (বন্দিশালা) পরিণত হয়েছিল। জিয়াউর রহমান ক্ষমতায় আসার পর গণতন্ত্রের দরজা উন্মুক্ত করে দেন। তিনি উপলব্ধি করেন যে, গণতন্ত্রকে শক্তিশালী করতে হলে অবশ্যই মত ও পথের শতফুল ফুটতে দিতে হবে। এই লক্ষ্য ও মানসেই তিনি ১৯৭৬ সালে ‘রাজনৈতিক দল বিধি ১৯৭৬’ জারি করেন। এর ফলে দেশে সব রাজনৈতিক দলের পুনরুজ্জীবনের সুযোগ ঘটে।
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বিএনপিকে গণতন্ত্র, উন্নয়ন, উৎপাদন ও জাতীয় স্বার্থরক্ষার উপযুক্ত করে গড়ে তুলেছেন। নেতাপূজা, তোষামোদি ও শ্লোগান নির্ভর বিদ্যমান রাজনীতির পরিবর্তে তিনি উন্নয়ন ও উৎপাদনের রাজনীতি চালু করেছেন।
আরও পড়ুন: বিজাতীয় সংস্কৃতিকে ছুড়ে ফেলে সুস্থ সাংস্কৃতিক চর্চা করতে হবে: কাদের গনি চৌধুরী
জিয়াউর রহমানের উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ডের কথা তুলে ধরে তিনি বলেন, দলের নেতাকর্মী ও জনগণকে তিনি সম্পৃক্ত করেন খাল খনন, নিরক্ষরতা দূরীকরণ অভিযান, রাস্তাঘাট নির্মাণ প্রভূতি উন্নয়ন কর্মকাণ্ড পরিচালনা করেছেন। ফলে অলস পড়ে থাকা কলকারখানাগুলোতে আবার কাজ শুরু হয়। এমনকি কোনো কোনো কারখানা দুই শিফটেও কাজ চলে। জিয়া রাজনীতিকে প্রাসাদ বন্দী না করে ছড়িয়ে দেন সারা দেশে। জিয়ার প্রতি জনগণের ভালবাসার কারণে বিএনপি শুরু থেকেই জনপ্রিয়তা পায়। পরবর্তীতে বিএনপি গণমুখী কর্মকাণ্ডের কারণে দলটি মানুষের আস্থা অর্জন করতে সক্ষম হয়। তাই জনগণ যখনই ভোট দিয়ে সরকার গঠনের সুযোগ পেয়েছে, তখনই বিএনপিকে ভোট দিয়ে ক্ষমতায় এনেছে।
২১৩ দিন আগে
দেশে পদে পদে গণতন্ত্র বাধাগ্রস্ত হচ্ছে: খালেদা জিয়া
দেশে গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া।
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) রমনার ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউটে জিয়াউর রহমানের ৪৪তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষে এক আলোচনা সভায় নেতাকর্মীদের উদ্দেশ্যে দেয়া ভিডিও বার্তায় একথা বলেন তিনি।
সাবেক এই প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘শহীদ দিয়া আমৃত্যু যে গণতন্ত্রের জন্য কাজ করে গেছেন, সেই গণতন্ত্রের নিরবচ্ছিন্ন যাত্রা প্রতি পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে।’
‘প্রতি বছর মে মাসের এই দিনটি আমাদের পরিবারে বেদনাবিধুর স্মৃতি নিয়ে আসে। এই দিনে শুধু আমাদের পরিবার নয়, বরং সমগ্র দেশই হয়ে ওঠে বেদনার্ত ও অভিভাবকহীন,’ বলেন তিনি।আরও পড়ুন: গণতন্ত্রের প্রশ্নে খালেদা জিয়া কখনও আপস করেননি: কাদের গনি
সাবেক প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানের অবদান প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রিয় মাতৃভূমি বাংলাদেশের সঙ্গে জড়িয়ে থাকা এক অবিচ্ছেদ্য নাম শহীদ জিয়াউর রহমান। যে চট্টগ্রাম থেকে স্বাধীনতার ঘোষণা করে তিনি এ দেশের সঙ্গে তার নাম অবিচ্ছেদ করেছিলেন, সেই চট্টগ্রামেই এক সফল, সৎ, দূরদর্শী ও প্রকৃত দেশপ্রেমিক প্রেসিডেন্ট হিসেবে নিজের জীবন উৎসর্গ করেছেন।’
শিগগিরই দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত হবে এমন আশাবাদ ব্যক্ত করে খালেদা বলেন, দেশে গণতন্ত্র সুপ্রতিষ্ঠিত করাই যেন হয় শহীদ জিয়ার শাহাদাত বার্ষিকীর দৃঢ় অঙ্গীকার।
এ লক্ষ্যে নেতা-কর্মীদের নিরলস কাজ করার আহ্বান জানান দলটির চেয়ারপারসন।
২১৩ দিন আগে
ভোটাধিকার হরণের মুখে দাঁড়িয়ে আছেন তরুণরা: বিএনপি
তরুণদের ভোটাধিকার হরণ একটি জাতীয় সংকট হিসেবে আখ্যায়িত করে বিএনপি বলছে, ‘আজও আমরা সেই একই সংকটে দাঁড়িয়ে আছি। এটি শুধু একটি সাংবিধানিক অধিকার লঙ্ঘনের বিষয় নয়, বরং একটি প্রজন্মকে রাষ্ট্র পরিচালনায় অংশগ্রহণের মৌলিক সুযোগ থেকে বঞ্চিত করার নিষ্ঠুর উদাহরণ।’
বৃহস্পতিবার (২৯ মে) এক সংবাদ বিবৃতিতে দলটি বলছে, ‘অতীতেও এই দেশের তরুণরাই ভোটের অধিকার ছিনিয়ে এনেছিল। তারা রাজপথে লড়েছে, রক্ত দিয়েছে, অগ্রণী ভূমিকা রেখেছে।
৩১ দফা রূপরেখার আলোকে তরুণ সমাজকে নীতিনির্ধারণী প্রক্রিয়ায় যুক্ত করতে মাসব্যাপী কর্মসূচি বুধবার (২৮ মে) ঢাকার নয়াপল্টনে তারুণ্যের সমাবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হওয়ার পর এই বিবৃতি দেওয়া হয়েছে।
এতে বলা হয়, দেশজুড়ে কর্মসূচির মাধ্যমে আমরা শুধু গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের একটি জাতীয় ঐক্যের ইঙ্গিত পাইনি, বরং স্পষ্টভাবে দেখতে পেয়েছি নতুন প্রজন্মের সেই লড়াইয়ের পুনর্জাগরণ—যেখানে তরুণরা নিজেদের অধিকার রক্ষায় আবারও সংগঠিত হচ্ছে, কথা বলছে, এবং নিজ অবস্থান থেকে নেতৃত্ব দিচ্ছে।’
‘তারা জানে, ভোটাধিকার শুধু ভোট দেওয়ার বিষয় নয়—এটি ভবিষ্যৎ নির্মাণের শক্তি। এই জাগরণই একদিন একটি ন্যায়ভিত্তিক, গণতান্ত্রিক এবং রাষ্ট্রব্যবস্থার ভিত্তি রচনা করবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কার ও আ.লীগের বিচার মেলানোর সুযোগ নেই: বিএনপি
নগরবাসীর দুর্ভোগের জন্য দুঃখপ্রকাশ
ঢাকায় এবং অন্যান্য শহরে বিএনপির সমাবেশে লাখো মানুষের উপস্থিতির ফলে নগরবাসীর যে দুর্ভোগ হয়েছে—বিশেষ করে যানজটের কারণে—সেই জন্য আন্তরিকভাবে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, ‘ঢাকার সমাবেশ শেষে তারেক রহমানের নির্দেশে তিনটি সংগঠন যৌথভাবে পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়ে স্থান ত্যাগ করে। এ কাজে সহায়তা করায় পরিচ্ছন্নকর্মীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করা হয়েছে।’
২১৪ দিন আগে
নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কার ও আ.লীগের বিচার মেলানোর সুযোগ নেই: বিএনপি
নির্বাচনের সঙ্গে সংস্কার ও আওয়ামী লীগের অপরাধের বিচার মেলানোর কোনো যৌক্তকতা নেই বলে দাবি করেছেন বিএনপি নেতারা। নির্বাচনের পর ক্ষমতায় গেলে বিএনপিই এসব করবে বলে তারা প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। এ ছাড়া শেখ হাসিনার পতনে সবচেয়ে বড় অবদান খালেদা জিয়ার বলেও দাবি করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশে বক্তারা এসব মন্তব্য করেন। এছাড়া ডিসেম্বরের মধ্যে আগামী জাতীয় নির্বাচনের রোডম্যাপ দেওয়ার প্রতিও জোর দিয়েছে বিএনপি।
সমাবেশে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেন, ‘নির্বাচন নিয়ে কোনো হেলাফেলা চলবে না। সংস্কার এবং বিচারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নাই। বিএনপির আগে কেউ সংস্কারের কথা বলেনি। সবার আগে খালেদা জিয়া জাতির সামনে সংস্কার প্রস্তাব তুলে ধরেছেন।’
‘দুই বছর আগে বিএনপিই ২৭ দফা সংস্কারের দাবি জানিয়েছে। গুরুত্বপূর্ণ সংস্কারের সিদ্ধান্ত নেবে বাংলাদেশের জনগণ। ঐকমত্য কমিশনের মাধ্যমে এ সংস্কার হবে না,’ যোগ করেন তিনি।
আওয়ামী লীগের বিচার প্রসঙ্গে খসরু বলেন, ‘শেখ হাসিনার পতনে সবচেয়ে বড় অবদান খালেদা জিয়ার। জীবনের ঝুঁকি নিয়ে তিনি থেকেছেন আপসহীন, আর তারেক রহমান তার নিরলস কাজের মাধ্যমে এই আন্দোলনে স্বৈরাচার পতনের পথ খুলে দিয়েছেন।’
‘বিএনপির মতো এত কঠিন সময় কেউ অতিক্রম করেনি, বিএনপির নেতাকর্মীদের মতো এতটা ক্ষতিগ্রস্থ কেউ হয়নি। আওয়ামী লীগের বিচার যদি করতে হয়, সেই বিচার বিএনপি করবে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন পিছিয়ে দিতে টালবাহানা শুরু হয়েছে: তারেক রহমান
এ সময়ে নির্বাচনের রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, কারও পদত্যাগ চাইনি বলে মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির আরেক সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, ‘আমরা ডিসেম্বরে নির্বাচনের জন্য রোডম্যাপ চেয়েছিলাম, কারও পদত্যাগ চাইনি। পদত্যাগের নাটক দেখেছে বাংলাদেশের মানুষ। গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য কথা বলা যদি অপরাধ হয়, সেই অপরাধ বিএনপি বারবার করতে পারবে।’
‘ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্যে ফাটল ধরানোর চেষ্টা চলছে। অত্যন্ত সুকৌশলে গণতান্ত্রিক শক্তিগুলোর মধ্যে বিভেদ সৃষ্টির পাঁয়তারা চলছে। দেশে পরস্পরের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করে ষড়যন্ত্রকারীরা ফ্যাসিবাদ ফিরিয়ে আনতে চায়।’
অন্তর্বর্তী সরকারের তীব্র সমালোচনা করে বিএনপি নেতা মির্জা আব্বাস বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার ছিল দেশের মানুষের আস্থা এবং আকাঙ্ক্ষার সরকার। কিন্তু এই নয় মাসে সরকার থেকে অবজ্ঞা ছাড়া আমরা আর কিছু পাইনি। সরকার দেশের মানুষকে অবজ্ঞা করছে। এই সরকার একটি ঔপনিবেশিক সরকার। যারা সরকারে আছেন, তাদের ৯০ ভাগই এ দেশের নাগরিক না।’
‘নয় মাসে যে সংস্কার সরকার করতে পারেনি; নয় বছরেও—এমনকি নব্বই বছর সময় দিলেও তারা পারবেন না। সরকারে এখন উচিত দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে জনগণের প্রতিনিধির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করা। সরকার যেভাবে দেশ চালাচ্ছে, তাতে করে আওয়ামী লীগ যা ক্ষতি করেছে—তার থেকে দেশের অনেক বেশি ক্ষতি হয়ে যাবে,’ বলেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন দ্রুত নির্বাচনের দাবি জানিয়ে বলেন, দেশে ভোটের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য সরকার এখন পর্যন্ত কোনো পদক্ষেপ নেয় নাই। তারা নির্বাচনকে বিলম্বিত করার জন্য ষড়যন্ত্র করছে। না হলে সংস্কার আর বিচারের সঙ্গে নির্বাচন মেলানোর কোনো কারণ দেখি না। এই সরকারের কাছে আমাদের কোনো প্রত্যাশা ছিল। সরকার জনগণের সেই প্রত্যাশা পূরণ করতে পারেনি।
২১৪ দিন আগে
নির্বাচন পিছিয়ে দিতে টালবাহানা শুরু হয়েছে: তারেক রহমান
আগামী জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া নিয়ে এরইমধ্যে টালবাহানা শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশে ভার্চ্যুয়ালি দেওয়া বক্তৃতায় তিনি এমন মন্তব্য করেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘আগামী জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠান নিয়ে মনে হয় এরইমধ্যে টালবাহানা শুরু হয়েছে বা চলছে। কথিত অল্প সংস্কার আর বেশি সংস্কারের অভিনব শর্তের আবর্তে ঘুরপাক খাচ্ছে আগামী জাতীয় নির্বাচন ভবিষ্যৎ।’
এ সময়ে নেতাকর্মীদের আগামী নির্বাচনের প্রস্তুতি নিতেও আহ্বান জানিয়েছেন তিনি।
এরআগে নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা করা চলবে না বলে হুশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা চলবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ তরুণদের সুনামি হয়েছে, তারা গণতন্ত্র ও নির্বাচনের বার্তা দিচ্ছে। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নাই। বিচারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নাই।’
‘সাত বছর আগে ভিশন ২০৩০ জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুই বছর আগে ২৭ দফা দিয়েছিলেন তারেক রহমান,’ যোগ করেন তিনি।
আরও পড়ুন: সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর সুযোগ নেই: আমীর খসরু
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের ফলাফল নিয়েও মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে নাকি ঐকমত্য হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য না হয়ে থাকলে সেটা করবে জনগণ। ভোট ও ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার সেই সংস্কার করবে।’
বিচার অসম্পূর্ণ থাকলে সেই দায়িত্ব বিএনপি পালন করবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘কারণ আমাদের মতো এতো কঠিন সময় কেউ পার করেনি। আমাদের মতো এতো ত্যাগ কেউ করেনি। ৫ আগস্ট না হলে রাষ্টর পরিচালনায় যারা আছেন তাদের অনেকে বিদেশে থাকতেন। আর আমাদের হয় জেলে, না হয় ফাঁসির কাষ্ঠে থাকতে হতো। সুতরাং বিচারকাজ বাকি থাকলে সেটা বিএনপি করবে, তোমাদের ওপর কোনো ভরসা নাই।’
২১৪ দিন আগে
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর সুযোগ নেই: আমীর খসরু
সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নেই বলে হুঁশিয়ারি দিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী। নির্বাচন নিয়ে হেলাফেলা চলবে না বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
বুধবার (২৮ মে) বিকেলে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে আয়োজিত তারুণ্যের সমাবেশ থেকে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘আজ তরুণদের সুনামি হয়েছে, তারা গণতন্ত্র ও নির্বাচনের বার্তা দিচ্ছে। সংস্কারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নাই। বিচারের কথা বলে নির্বাচনের রোডম্যাপ পেছানোর কোনো সুযোগ নাই।’
‘সাত বছর আগে ভিশন ২০৩০ জাতির সামনে তুলে ধরেছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া। দুই বছর আগে ২৭ দফা দিয়েছিলেন তারেক রহমান,’ যোগ করেন তিনি।
সংস্কার নিয়ে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সংলাপের ফলাফল নিয়েও মন্তব্য করেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য। তিনি বলেন, ‘এখন বলা হচ্ছে গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি বিষয়ে নাকি ঐকমত্য হয়নি। গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয়ে ঐকমত্য না হয়ে থাকলে সেটা করবে জনগণ। ভোট ও ব্যালটের মাধ্যমে নির্বাচিত সরকার সেই সংস্কার করবে।’
বিচার অসম্পূর্ণ থাকলে সেই দায়িত্ব বিএনপি পালন করবে উল্লেখ করে আমীর খসরু বলেন, ‘কারণ আমাদের মতো এতো কঠিন সময় কেউ পার করেনি। আমাদের মতো এতো ত্যাগ কেউ করেনি। ৫ আগস্ট না হলে রাষ্টর পরিচালনায় যারা আছেন তাদের অনেকে বিদেশে থাকতেন। আর আমাদের হয় জেলে, না হয় ফাঁসির কাষ্ঠে থাকতে হতো। সুতরাং বিচারকাজ বাকি থাকলে সেটা বিএনপি করবে, তোমাদের ওপর কোনো ভরসা নাই।’
এদিকে সকাল থেকেই খণ্ড খণ্ড মিছিল নিয়ে সমাবেশে যোগ দিতে শুরু করেন নেতাকর্মীরা। বেলা বেড়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে বাড়তে থাকে জনসমাগম। এতে কাকরাইল থেকে আরামবাগ জনসমুদ্রে পরিণত হয়েছে।দুপুর ২টার দিকে নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের এই সমাবেশ শুরু হয়। কার্যালয়ের বিপরীতে সমাবেশ মঞ্চ নির্মাণ করা হয়েছে। জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দল এই সমাবেশ আয়োজন করেছে।
সরেজমিনে সমাবেশ ঘুরে দেখা যায়, আনুষ্ঠানিকভাবে সমাবেশ শুরু হওয়ার আগেই ঢাকাসহ গাজীপুর, নারায়াণগঞ্জ, ময়মনসিংহ, সিলেট, ফরিদপুর থেকে পিকআপ ও বাসে করে দলটির নেতাকর্মীরা সমাবেশ স্থলে জড়ো হয়েছেন।
ছাত্রদল, যুবদল এবং স্বেচ্ছাসেবক দলের নেতাকর্মীরা মাথায় লাল, সবুজ ও হলুদ রঙের দলীয় লোগোযুক্ত ক্যাপ ও ব্যানার হাতে সমাবেশে যোগ দিয়েছেন। জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশনের মধ্য দিয়ে এই কর্মসূচি শুরু হয়।
সমাবেশের কারণে কাকরাইল থেকে পল্টন ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের যান চলাচল বন্ধ রয়েছে। গাজীপুর থেকে আসা যুবদল কর্মী সুমন শিকদার বলেন, ‘এই সমাবেশের মূল আকর্ষণ তরুণদের প্রতি তারেক রহমানের বক্তব্য। বর্তমান রাজনীতি তরুণদের, তারা আগের তুলনায় এখন অনেক বেশি রাজনীতি সচেতন। বিএনপিও তরুণদের নিয়ে আলাদা করে ভাবছে এবং এই প্রজন্মকে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ঢাকায় বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ আজ
২১৫ দিন আগে
ঢাকায় বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠনের তারুণ্যের সমাবেশ আজ
বিএনপির তিন অঙ্গসংগঠন— ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের তারুণ্যের সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে আজ। এই সমাবেশে ১৫ লাখ তরুণ-তরুণী জমায়েত হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
বুধবার (২৮ মে) দুপুরে রাজধানীর নয়াপল্টনে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের সামনে এই ‘তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার সমাবেশ’ অনুষ্ঠিত হবে।
এ বিষয়ে স্বেচ্ছাসেবক দলের সভাপতি এসএম জিলানি জানিয়েছেন, সমাবেশে ঢাকাসহ সিলেট, ফরিদপুর ও ময়মনসিংহের তরুণ-তরুণীরা অংশ নেবেন।
সমাবেশে প্রধান অতিথি হিসেবে ভার্চুয়ালি যুক্ত হবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তিনি দেশের যুবসমাজের উদ্দেশে দলের রাজনৈতিক দিকনির্দেশনা ও ভবিষ্যৎ কৌশল তুলে ধরবেন বলে দলের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের স্পষ্ট রোডম্যাপ না থাকায় হতাশ বিএনপি
এ ছাড়া খন্দকার মোশাররফ হোসেন, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও সালাহউদ্দিন আহমদসহ বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্যরাও উপস্থিত থাকবেন।
এর আগে, সোমবার (২৬ তারিখ) এক সংবাদ সম্মেলনে জিলানি বলেন, চট্টগ্রামে আমাদের সমাবেশে তরুণদের বিপুল সমাগম হয়েছে। খুলনা ও বগুড়ায়ও আমাদের লক্ষ্য পূরণ হয়েছে। এতে আমরা সমাজের সব স্তরের তরুণদের দৃষ্টি আকর্ষণ করতে পেরেছি।
ঢাকার সমাবেশে ১৫ লাখ তরুণ অংশ নিয়ে আগের সব রেকর্ড ভেঙে দেবে বলেও আশা প্রকাশ করেন তিনি।
সেচ্ছাসেবক দলের এই শীর্ষ নেতা বলেন, সমাবেশে অংশ নিতে তরুণরা উদগ্রীব হয়ে আছে। তাদের স্বতঃস্ফূর্ত সমর্থন এই সমাবেশ সফল করবে। সেখানে ১৭ বছর ধরে ভোটাধিকার-বঞ্চিত যুবকরা গণতন্ত্র পুনর্প্রতিষ্ঠার প্রধান দাবি উত্থাপন করবে।
তারেক রহমানের নেতৃত্বে দেশের মানুষের ভোটাধিকার ফিরিয়ে আনার চলমান আন্দোলনে এই সমাবেশ একটি গুরুত্বপূর্ণ ধাপ হবে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
এর আগে, গত ২৯ এপ্রিল দেশের ১০টি বিভাগের তরুণদের নিয়ে চারটি সেমিনার ও চারটি সমাবেশ করার ঘোষণা দেয় বিএনপির এই তিন অঙ্গসংগঠন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনুসের নেতৃত্বে সবচেয়ে বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচনের আশা তারেক রহমানের
৯ মে তারিখে চট্টগ্রাম থেকে এই কর্মসূচি শুরু হয় এবং আজ (বুধবার) ঢাকায় তা শেষ হবে। এর মধ্যে খুলনা ও বগুড়ায় সেমিনার ও সমাবেশ করেছে দল তিনটি।
২১৫ দিন আগে