বিএনপি
আ. লীগের সঙ্গে আপস করবে না বিএনপি: নজরুল ইসলাম খান
আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনের চেষ্টা করছে বিএনপি—এমন অভিযোগ প্রত্যাখ্যান করে দলটির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান বলেছেন, বিএনপি কোনো অবস্থাতেই আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করবে না।
তিনি বলেন, ‘আমরা বেঁচে থাকতে কি কেউ আওয়ামী লীগের সঙ্গে আপস করবে? আমরা তো করব না...। যদি অন্য কেউ চেষ্টা করে—আমরা তাদেরও প্রতিহত করব। এমন অযৌক্তিক কাজ (অবজ্ঞাপূর্ণ প্রচারণা) করার কোনো মানে নেই।’
সোমবার (১৯ মে) জাতীয় প্রেস ক্লাবে এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
‘নির্বাচন বানচালের ষড়যন্ত্র প্রতিহত করুন ও তারেক রহমানের দেশে ফেরার পথে বাধা দূর করুন’ শীর্ষক আলোচনার সভার আয়োজন করে ১২ দলীয় জোট।
নজরুল বলেন, কেউ কেউ প্রচার-প্রচারণা চালানোর চেষ্টা করছে যে, আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসন করতে চায় বিএনপি। ‘একবার ভাবুন তো, এই সেই দল (আওয়ামী লীগ), যাদের সরকারই বিএনপির নেতা-কর্মীদের সবচেয়ে বেশি গুম ও হত্যার সঙ্গে জড়িত।’
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার মিথ্যা অভিযোগে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াকে ৬ বছর কারাগারে আটকে রেখেছে। ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের দেশে ফিরে আসা আটকে দিয়েছে। তাকে পঙ্গু করে দিয়েছে ও তার ভাই মালয়েশিয়ায় বিনা চিকিৎসা মারা গেছেন।
তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের মহাসচিবসহ কি এমন একজন বিএনপি নেতা আছেন—যার বিরুদ্ধে কমপক্ষে ৫০টি মামলা নেই?’
নজরুল প্রশ্ন তোলেন, ডিসেম্বরের মধ্যে সংসদ নির্বাচন পেছানোর কারণ কী? যখন সংস্কার সনদ আগামী দেড় মাসের মধ্যে চূড়ান্ত হওয়ার কথা রয়েছে।
জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান আলী রীয়াজকে উদ্বৃত করে নজরুল বলেন, তিনি বলেছেন সংলাপের প্রাথমিক দফা প্রায় সম্পন্ন হয়েছে এবং তারা এই মাসে দ্বিতীয় পর্যায়ে চলে যাবে। বিএনপি নেতা প্রশ্ন তুলে বলেন, ঐকমত্যের বিষয়গুললো তালিকাভুক্ত করে একটি সনদ প্রস্তুত করতে কত সময় লাগবে। ‘জুলাই সনদ প্রস্তুত করতে সর্বোচ্চ এক থেকে দেড় মাস সময় লাগবে। এর বেশি নয়।’
নজরুল ইসলাম বলেন, অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেসব সংস্কার বাস্তবায়ন সম্ভব তা দ্রুত করা যেতে পারে এবং বাকি সংস্কার সুপারিশগুলো পরবর্তী সংসদের জন্য ছেড়ে দেওয়া যেতে পারে। ‘তাহলে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের ক্ষেত্রে আপনার (অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের) বাধা কী?’ৎ
আরও পড়ুন: বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার: সালাহউদ্দিন আহমদ
নির্বাচনী সংস্কারের বিষয়ে বিএনপির অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করে তিনি বলেন, ‘আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আমরা অবশ্যই প্রয়োজনীয় এবং সম্ভব সংস্কারগুলো চাই। সেই সঙ্গে এমন সব সংস্কারও চাই—যা ছাড়া একটি সুষ্ঠু, অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়।’
নজরুল ইসলাম বলেন, আমরা চাই জনগণের ক্ষমতা যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জনগণের হাতে ফিরিয়ে দেওয়া হোক। যাতে জনগণের নির্বাচিত একটি সরকার প্রতিষ্ঠিত হয়— যারা জনগণের কাছে দায়বদ্ধ ও জবাবদিহি করবে।
১২ দলীয় জোটের সমন্বয়কারী এবং জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) চেয়ারম্যান মুস্তফা জামাল হায়দারের সভাপতিত্বে আলোচনায় অন্যান্যদের মধ্যে এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, জাতীয় দলের সৈয়দ এহসানুল হুদা ও জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের মুফতি মহিউদ্দিন একরাম বক্তব্য দেন।
২২৩ দিন আগে
বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার: সালাহউদ্দিন আহমদ
বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ বলেছেন, মহান স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান ১৯৮৯ সালে দ্বিতীয় জাতীয় সংসদে দেশের একনায়কতন্ত্রিক সংবিধান বাকশালকে বিলুপ্ত করে বহুদলীয় গণতান্ত্রিক সংবিধান প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। তিনি সংবিধানে বিসমিল্লাহির রহমানির রহিম সংযুক্ত করে মহান আল্লাহ তায়ার উপর অবিচল আস্থা ও বিশ্বাস প্রতিষ্ঠা করেছিলেন।
তিনি বলেন, ‘তিনি(জিয়াউর রহমান) দেশের সকল ধর্মের মানুষের সমান অধিকার নিশ্চিত করেছিলেন। সংবিধানে ধর্মের ভিত্তিতে সকলের সমঅধিকার প্রতিষ্ঠা করে সব মানুষের ধর্মীয় চর্চার স্বাধীনতা নিশ্চিত করেছিলেন। তিনি নিশ্চিত করতে চেয়েছিলেন এদেশে ধর্ম-বর্ণ, ভাষা ও জাতির ভিত্তিতে বিভক্তি হবে না, সবাই বাংলাদেশি।’
আরও পড়ুন: বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ঢাকায় ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ তৈরি করবে: তারেক রহমান
সালাহউদ্দিন বলেন, দেশকে নতুন করে গড়ার মুহূর্তেই তিনি কুচক্রী মহলের হাতে শাহাদাত বরণ করলেন। কিন্তু তিনি বেঁচে রইলেন দেশের প্রতিটি মানুষের হৃদয়ে।
বিএনপিকে জনগণের দল উল্লেখ করে তিনি বলেন, বিএনপি থাকলে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব থাকবে। বিএনপি দুর্বল হলে বাংলাদেশ দুর্বল হবে।
স্থায়ী কমিটির এই সদস্য আরও বলেন, ‘বিএনপির জন্ম না হলে দেশে বহুদলীয় গণতন্ত্রের প্রবর্তন হত না। বিএনপি সুসংগঠিত না থাকলে দেশে সংসদীয় গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হতো না। তত্ত্বাবধায়ক সরকার পদ্ধতি চালু হতো না। তাই বিএনপি দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের পাহারাদার।’
সোমবার (১৯ মে) বিকালে সিলেট নগরীর শিল্পকলা একাডেমি অডিটরিয়ামে সিলেট বিভাগে বিএনপির নতুন সদস্য সংগ্রহ ও নবায়ন কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন বলেন, যেই মানুষ বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী, যিনি নিজেকে বাংলাদেশি পরিচয় দেবেন, তিনিই বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের সদস্য হতে পারবেন। এই দেশের প্রতিটি ধুলি কনাকে বিএনপি ধারণ করে, লালন করে।
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহরের দাবি বিএনপির
তিনি বলেন, বাংলাদেশে সরকারিভাবে ১৮ কোটি জনগণ বলা হলেও প্রকৃতপক্ষে তা, এখন ১৯ কোটি ছাড়িয়ে গেছে। বিএনপির কি এতো আকাল পড়েছে যে আওয়ামী লীগ থেকে সদস্য আমদানি করতে হবে? যেই আওয়ামী লীগের ডিএনএতে গণতন্ত্র নাই, তাদের কেন আহ্বান করতে হবে বিএনপির সদস্য হওয়ার জন্য?
বিএনপি নেতা বলেন, গত বছরের ৫ আগষ্ট বাংলাদেশের মানুষ আওয়ামী লীগকে বিতাড়িত করে দিয়েছে। আওয়ামী লীগ ইতিহাসের জঘন্যতম গণহত্যাকারী। তাদের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে। আজ পর্যন্ত তারা নিজেদের অপকর্মের জন্য কোনো অনুশোচনা করেনি বা ক্ষমা প্রার্থনা করেনি। উল্টো তারা গণঅভ্যুত্থানের সময় আন্দোলনকারীদের দুষ্কৃতকারী বলে আখ্যায়িত করছে। তারা কীভাবে বাংলাদেশ রাজনীতি করতে পরবে?
সালাহউদ্দিন বলেন, আমাদের নেতা তারেক রহমান ২০২৩ সালেই রাষ্ট্রকাঠামো মেরামতের ৩১ দফা কর্মসূচি ঘোষণা দিয়েছিলেন। আমরা জানতাম, একদিন নিষ্টুরভাবে ফ্যাসিবদের পতন হবে। যারা দেশের জনগণকে হত্যা করেছে, পঙ্গু করেছে, গুম, অপহরণ করেছে তাদের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে। বাংলাদেশ যেন কোনোদিন আর স্বৈরশাসকের বা ফ্যাসিবাদের উৎপাদন না হয়—সেদিকে খেয়াল রাখতে হবে।
বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সাংগঠনিক সম্পাদক (সিলেট বিভাগ) আলহাজ্ব জি কে গউছের সভাপতিত্বে ও সহসাংগঠনিক সম্পাদক মিফতাহ্ সিদ্দিকীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির কোষাধ্যক্ষ এম. রাসেদুজ্জামান মিল্লাত। সম্মানিত অতিথির বক্তব্য দেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ড. এনামুল হক চৌধুরী, আরিফুল হক চৌধুরী ও এম.এ মালিক, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক এমপি কলিম উদ্দিন আহমদ মিলন, জাতীয় নির্বাহী কমিটির সহসমবায় বিষয়ক সম্পাদক ও সাবেক এমপি শাম্মী আক্তার।
উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য হাদিয়া চৌধুরী মুন্নী, সিলেট জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট এমরান আহমদ চৌধুরী, সিলেট মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক ইমদাদ হোসেন চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুর রহিম রিপন, সুনামগঞ্জ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আব্দুল হক, হবিগঞ্জ জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক নুরুল ইসলাম, জাসাসের কেন্দ্রীয় নেতা সৈয়দ আরাফুল কবির খোকন প্রমুখ।
২২৩ দিন আগে
বিএনপি ক্ষমতায় গেলে ঢাকায় ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ তৈরি করবে: তারেক রহমান
আগামী সাধারণ নির্বাচনে জনগণের ভোটে বিএনপি ক্ষমতায় গেলে রাজধানী ঢাকায় সকলের জন্য ওয়ার্ডভিত্তিক খেলার মাঠ তৈরি করবে বলে জানিয়েছেন দলটির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘খেলাধুলাটি কমপক্ষে দুইটি ওয়ার্ডের মাঝামাঝি তিন থেকে চার বিঘা জমিতে তৈরি করা হবে। যেখানে শিশুরা খেলাধুলা করবে, বয়স্করা হাঁটাহাঁটি করতে পারবেন—আমাদের এমনই একটি চিন্তাভাবনা আছে।’
আরও পড়ুন: কুমিল্লায় হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহরের দাবি বিএনপির
সোমবার (১৯ মে) লন্ডনের একটি হোটেলে ক্রীড়া সংগঠক প্রয়াত আরাফাত রহমান কোকো মেমোরিয়াল ট্রাস্ট ক্রিকেট টুর্নামেন্টের পুরষ্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি দেওয়া বক্তব্যে তারেক তার পরিকল্পনার কথা জানান।
কোকোর স্মৃতি স্মরণ করে তারেক বলেন, তার ছোট ভাই দেশের ক্রীড়া অঙ্গনে অবদান রাখার জন্য যথাসাধ্য চেষ্টা করেছেন।
তিনি বলেন, দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে সম্ভাবনাময় তরুণ ক্রীড়াবিদদের বাছাই করে তাদের গড়ে তোলার জন্য বিকেএসপির চারটি বিভাগীয় অফিস সম্পূর্ণরূপে কার্যকর করা হবে।
জীবনে খেলাধুলার গুরুত্ব তুলে ধরে তিনি বলেন, তার দল দেশের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে শিক্ষার পাশাপাশি খেলাধুলাকে অগ্রাধিকার দেবে।
ঢাকায় খেলার মাঠের সংকটের জন্য দুঃখ প্রকাশ করে তিনি বলেন, শিক্ষার উৎকর্ষ সাধনের জন্য খেলাধুলার বিকল্প নেই।
২২৩ দিন আগে
কুমিল্লায় হাসনাত আব্দুল্লাহর দেওয়া বক্তব্য প্রত্যাহরের দাবি বিএনপির
‘বিএনপির রাজনীতি চলে আওয়ামী লীগের টাকা দিয়ে’ এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহর—এমন বক্তব্যর প্রতিবাদ জানিয়ে তা প্রত্যাহরের দাবি জানিয়েছে বিএনপি।
সোমবার (১৯ মে) বিকালে কুমিল্লা প্রেসক্লাবে এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবি জানান কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপি।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে কেন্দ্রীয় বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক (কুমিল্লা বিভাগ) অধ্যক্ষ মো. সেলিম সেলিম ভূঁইয়া বলেন, গত শুক্রবার (১৬ মে) কুমিল্লার একটি অনুষ্ঠানে এনসিপি নেতা হাসনাত আব্দুল্লাহ বলেছেন ‘কুমিল্লায় বিএনপি'র রাজনীতিবিদরা আওয়ামী লীগের টাকায় রাজনীতি করে'। হাসনাত আব্দুল্লাহ'র বক্তব্য শিশুসুলভ। তিনি রাজনীতিতে অপরিপক্কতার কারণে শিশুসুলভ বক্তব্য দিয়েছেন। তার মানসিক চিকিৎসার প্রয়োজন বলে আমরা মনে করি।
তিনি আরও বলেন, হাসনাত আব্দুল্লাহকে রাজনীতিতে সহনশীলতার পরিচয় দিতে হবে এবং অন্য দল ও নেতাদের প্রতি সম্মান দেখাতে হবে। হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্যে বিএনপির কুমিল্লার নেতাকর্মীরা ক্ষুব্ধ। হাসনাত আব্দুল্লাহর বক্তব্য প্রত্যাহার করা না হলে বিএনপি'র কুমিল্লার নেতাকর্মীদের শান্ত রাখা সম্ভব নয়।
আরও পড়ুন: পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: তারেক রহমান
তিনি আগামী সাত দিনের মধ্যে তার বক্তব্য প্রত্যাহার না করলে কুমিল্লায় হাসনাত আব্দুল্লাহকে কোনো অনুষ্ঠান করতে দেওয়া হবে না।
সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য সাবেক এমপি আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির আহ্বায়ক জাকারিয়া তাহের সুমন, সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম, মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক উৎবাতুল বারী আবু প্রমুখ।
২২৩ দিন আগে
পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করুন: তারেক রহমান
দেশের চলমান রাজনৈতিক পরিস্থিতি ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করতে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শনিবার (১৭ মে) রাজধানীর একটি হোটেলে ন্যাশনাল ডেমোক্রেটিক মুভমেন্টের (এনডিএম) অষ্টম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে আয়োজিত অনুষ্ঠানে লন্ডন থেকে ভার্চ্যুয়ালি যুক্ত হয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
তারেক রহমান বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকারকে আবারও আহ্বান জানিয়ে বলবো পরিস্থিতি অযথা ঘোলাটে না করে জাতীয় নির্বাচনের সুস্পষ্ট তারিখ ঘোষণা করুন।’
এ সময় জাতীয় নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের প্রত্যক্ষ ভোটে তাদের কাছে দায়বদ্ধ সরকার প্রতিষ্ঠা প্রয়োজন বলে মন্তব্য করেন তিনি। অন্যথায় পতিত স্বৈরাচারকে মোকাবিলা করা সহজ হবে না বলেও সতর্ক করেন বিএনপি নেতা।
তিনি আরও বলেন, ‘ আশা করি, সরকার খুব শিগগিরই জাতীয় নির্বাচনের তারিখ ঘোষণা করবে এবং লোভ-লালসার ঊর্ধ্বে উঠে জনগণের অধিকার প্রতিষ্ঠার দায়িত্ব পালন করবে।’
দেশে গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল, রাজনৈতিক রীতিনীতি ও ব্যবস্থাগুলোকে শক্তিশালী করা অত্যন্ত জরুরি বলে মত দেন তারেক রহমান। একারণে তিনি ধারাবাহিক গণতান্ত্রিক চর্চার মাধ্যমে সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানগুলোকে শক্তিশালী করার উপর জোর দেন।
আরও পড়ুন: ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, সংযমের আহ্বান তারেক রহমানের
তিনি বলেন, ‘এখনই সময় গণতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার, যাতে ভবিষ্যতে কোনো একনায়ক বা ফ্যাসিস্ট জনগণের অধিকার হরণ করতে না পারে।’
তবে এ ক্ষেত্রে অন্তর্বর্তী সরকারের সদিচ্ছা ও সক্ষমতার ঘাটতি ইতোমধ্যে জনমনে হতাশা সৃষ্টি করেছে বলে মন্তব্য করেছেন তারেক।
তার ভাষ্যে, ‘একটি সুষ্ঠু, অবাধ নির্বাচনের মাধ্যমে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক সরকার প্রতিষ্ঠার আশায় জনবান্ধব রাজনৈতিক দলগুলো এখনো অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে সমর্থন দিয়ে যাচ্ছে।’
তারেক রহমান বলেন, বিএনপিসহ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দলগুলোই অন্তর্বর্তী সরকারের উদ্দেশ্য তাদের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে একটি রোড ম্যাপ ঘোষণা আহ্বান জানিয়েছে আসছে। সব কিছু বিবেচনা করলে আমরা দেখতে পাই, সরকার সেই আহ্বানে সাড়া দেয়নি। বরং তারা নির্বাচনের নির্দিষ্ট তারিখ ঘোষণাকে ছোট-বড় সংস্কারের নতুন শর্তের ফাঁদে ফেলছে।’
জনগণের কাছে সরকারের পরিকল্পনা ও মনোভাব পরিষ্কার না হওয়ায় দেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়ছে বলেও আশঙ্কা প্রকাশ করেন তিনি।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিদিন দেখছি কোনো না কোনো দাবি নিয়ে মানুষ রাস্তায় নামছে। মাত্র ১০ মাসের মাথায় সরকারের ভেতরে এবং বাইরে কিন্তু এক ধরনের অস্থিরতা দৃশ্যমান হতে শুরু করেছে।’
‘জনআকাঙ্ক্ষা উপলব্ধি করতে ব্যর্থ হলে দেশের রাজনৈতিক অস্থিরতা বাড়তেই থাকবে। আমরা মনে করি অস্থিরতা এভাবে বাড়তে থাকলে সরকারের পক্ষে সামাল দেওয়া কঠিন হয়ে পড়বে। সুতরাং অন্তর্বর্তীকালীন সরকারকে তাদের সক্ষমতা সম্পর্কে আরও সতর্ক থাকার আহ্বান জানাই।’
আরও পড়ুন: অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের সক্ষমতা নিয়ে সংশয় বাড়ছে: তারেক রহমান
তিনি আরও বলেন, ‘সরকার কোনো অভিজাত ক্লাব বা কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান নয়; এটি একটি রাজনৈতিক প্রতিষ্ঠান, যার সঙ্গে প্রতিটি নাগরিকের সরাসরি সম্পর্ক থাকা উচিত।’
তারেক রহমান বলেন, ‘যদি গণতান্ত্রিক মূল্যবোধ ও ব্যবস্থাগুলো উপেক্ষিত হয় এবং ডিপলিটিকাইজেশনকে (অরাজনীতিকরণ) উৎসাহিত করা হয়, তাহলে সাময়িকভাবে কিছু ব্যক্তি উপকৃত হতে পারে, কিন্তু শেষ পর্যন্ত রাষ্ট্র, গণতন্ত্র ও গণতন্ত্রপন্থী জনগণই ক্ষতিগ্রস্ত হবে।’
এ সময় রোহিঙ্গা সংকটে রাখাইন রাজ্যে ‘মানবিক করিডোর’ খোলার পরিকল্পনা এবং চট্টগ্রাম বন্দরের কন্টেইনার টার্মিনাল বিদেশি কোম্পানির হাতে তুলে দেওয়ার প্রস্তাবের বিরোধিতা করেন বিএনপির এই শীর্ষ নেতা।
তারেক রহমান বলেন, ‘আমরা আবারও স্পষ্ট করে জানিয়ে দিতে চাই, করিডোর কিংবা বন্দর দেওয়া না দেওয়ার সিদ্ধান্ত অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের কাজ নয়। এই সিদ্ধান্ত নেবে জনগণের ভোটে নির্বাচিত জাতীয় সংসদ বা জনগণের সরকার। বর্তমান সরকারের আইনগত ও রাজনৈতিক বৈধতা নিয়ে হয়ত প্রশ্ন নেই। তবে এই সরকার কোনোভাবেই জনগণের কাছে জবাবদিহি মূলক সরকার নয়।’
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান বলেন, ফ্যাসিবাদ বিরোধী জাতীয় ঐক্যের ওপর ভিত্তি করে এবং জুলাই আন্দোলনে হাজারো মানুষের প্রাণের বিনিময়ে বর্তমান সরকারের রাজনৈতিক বৈধতার ভিত্তি রচিত হয়েছে। অথচ জুলাই আগস্টের আন্দোলনে কতজন শহীদ হয়েছে কতজন আহত হয়েছেন, দশ মাসেও কিন্তু সরকার শহীদদের তালিকা ও সংখ্যা চূড়ান্ত করতে পারেনি।
আরও পড়ুন: তারেক রহমানের নেতৃত্বে নতুন বাংলাদেশ গড়ে তোলা হবে: মুরাদ
দুঃখ প্রকাশ করে বিএনপির শীর্ষ এই নেতা বলেন, এখন যদি জুলাই আগস্টের শহীদদের হতাহতদের তথ্য কেউ জানতে চান তাহলে কী নির্দিষ্ট সেই তথ্য পাওয়া যাবে? এ ব্যাপারে কিন্তু বিরাট সন্দেহ বা প্রশ্ন রয়ে গেছে।
এমন পরিস্থিতিতে গণঅভ্যুত্থানের সরকার রাষ্ট্র ক্ষমতায় থেকে দশ মাসেও যদি জুলাই আগস্টের শহীদদের তালিকা চূড়ান্ত না করতে পারে, তাহলে সেটা সরকারের সক্ষমতা বহন করে কিনা এই প্রশ্নটি রেখে যাচ্ছি।
এখানে আরেকটি প্রশ্ন এসে যায় সরকার কী হতাহতদের ব্যাপারে উদাসীন নাকি ক্ষমতার মোহে আচ্ছন্ন? এটিই এখন দেশের বহু মানুষের বড় জিজ্ঞাসা।
২২৫ দিন আগে
যে ভোটের জন্য লড়াই-সংগ্রাম, কোথায় সেই ভোট: প্রশ্ন রিজভীর
ভোটের জন্য দেশের মানুষ রক্ত দিয়েছে, লড়াই সংগ্রাম করেছে। সেই ভোটের তফসিল কবে ঘোষণা করা হবে তা—এখনো জানা যায়নি বলে অভিযোগ করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী।
রিজভী প্রশ্ন রেখে বলেন, ‘কবে সংস্কার শেষ করবেন, আর কবে নির্বাচনের তফসিল ঘোষণা করবেন জনগণ তা জানতে চায়।’
তিনি বলেন, যে ভোটের জন্য এতো রক্তদান হয়েছে, এতো লড়াই সংগ্রাম হয়েছে আজও সেই ভোট আমরা পেলাম না। এই যে ক্ষমতা কেড়ে নেওয়া হয়েছে, কিন্তু সেই ক্ষমতা এখনো ফিরে আসছে না কেন? সেটা নিয়ে এতো গড়িমসি কেন?
আরও পড়ুন: অন্তবর্তী সরকারে এনসিপি-বিদেশি ও ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ
শনিবার (১৭ মে) বিকালে নরসিংদীর মনোহরদী উপজেলার হাতিরদিয়া ছাদতআলী উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত আরাফাত রহমান কোকো স্মৃতি ফুটবল টুর্নামেন্টের সমাপনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, রক্ত পিপাসু, হিংস্র এক দানবের হাত থেকে স্কুল—কলেজের শিশুদের নেতৃত্বে দেশের জনগণ ফ্যাসিস্ট মুক্ত হয়েছে। হাজার হাজার নয় ১০ লক্ষ মানুষ খুন করে হলেও রক্ত পিপাসু হাসিনা ক্ষমতায় টিকে থাকতে চাইতেন। বিভিন্নভাবে চেষ্টা করেও ক্ষমতায় টিকে থাকতে পারেননি তিনি।
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির স্বেচ্ছাসেবক বিষয়ক সহসম্পাদক আব্দুল কাদির ভুইয়া জুয়েলের সভাপতিত্বে ফুটবল খেলার উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন।
এসময় নরসিংদী জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদকসহ বিএনপি নেতা ও অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
২২৫ দিন আগে
অন্তবর্তী সরকারে এনসিপি-বিদেশি ও ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমেদ
অন্তর্বর্তী সরকারকে এনসিপি মার্কা সরকার আখ্যা দিয়ে বিদেশি নাগরিককে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করার সমালোচনা করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ।
শনিবার (১৭ মে) খুলনায় যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল ও ছাত্রদলের উদ্যোগে আয়োজিত তারুণ্যের রাজনৈতিক অধিকার প্রতিষ্ঠায় খুলনা ও বরিশাল বিভাগীয় সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
অধ্যাপক ড. ইউনুসকে উদ্দেশ করে বলেন, অন্তবর্তী সরকারের একমাত্র ম্যান্ডেট ছিল দেশে একটি অবাধ, সুষ্ঠু নির্বাচন আয়োজন করা। কিন্ত অন্ততকাল জুড়ে বিচার ও সংস্কারের বাহানা দিয়ে গণতন্ত্রকে কন্টকাকীর্ণ করবেন না।
তিনি বলেন, ‘আপনার সরকারে এসসিপির প্রতিনিধি আছে। বিদেশি নাগরিককে আপনি জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা করেছেন। আপনার উপদেষ্টা পরিষদে ফ্যাসিবাদের দোসর রয়েছে। অবিলম্বে তাদেরকে পদত্যাগ করতে বলুন অথবা আপনি তাদেরকে অপসারন করুন।’
জনগণের সঙ্গে কথা না বলেই অন্তবর্তী সরকার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে এমন অভিযোগ করে তিনি বলেন, নির্বাচনের দাবিতে যদি সরকার ঘেরাও করি সেটা হবে দুর্ভাগ্যের। নিজেকে অসীম ক্ষমতার অধিকারী ভাববেন না। বিদেশে গিয়ে কি চুক্তি করে এসেছেন জানতেও চান তিনি।
খুলনা নগরীর সার্কিট হাউজ মাঠে সাম্প্রতিক সময়ের বৃহত্তম এই সমাবেশে খুলনা বিভাগের ১০ জেলা ও বরিশাল বিভাগের ৬ জেলার লক্ষাধিক নেতাকর্মী অংশ নেয়। দিনের শুরু থেকেই সমগ্র নগরীজুড়ে ছিল নেতাকর্মীদের পদচারণা। তবে জৈষ্ঠ্যের তীব্রতর খরতাপ ও গরমে নাজেহাল হয়েছেন তারা। তবে বিকাল ৪টার পরে তাপদাহ কিছুটা কমে এলে সমাবেশস্থল সার্কিট হাউজ মাঠ কানায় কানায় পরিপূর্ণ হওয়ার পর আশেপাশের কয়েক কিলোমিটার এলাকায় আগত কর্মীরা ছড়িয়ে পড়েন। এ কারণে সার্কিট হাউজ মাঠ ছাড়াও আশেপাশের সড়কে বিদ্যুতের খুটিতে কয়েক শত মাইক টানানো হয়। তবে দূর দূরান্ত থেকে নেতাকর্মী আসায় দিনভর নগরী জুড়ে ছিল তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বরিশাল থেকে বড় লঞ্চেও বহু কর্মী খুলনা আসেন।
আরও পড়ুন: ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশে সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় ঐকমত্য: সালাহউদ্দিন আহমেদ
২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের নির্বাচনের সময় যাদের বয়স ১৮ বছর ছিল তারা কেউই ভোটাধিকার প্রয়োগ করতে পারেননি বলে অভিযোগ করেন সালাহাউদ্দিন আহমেদ। বলেন, চার থেকে সাড়ে চার কোটি ভোটার কেউই গণতন্ত্রের স্বাদ পাননি। শেখ হাসিনা খুনের রাজত্ব কায়েম করেছিল। জতিসংঘের রিপোর্ট বলছে, আন্দোলন দমন করতে মারণাস্ত্র ব্যবহার করে ১ হাজার ৪০০ ছাত্র-জনতাকে হত্যা করা হয়েছে। কিন্ত এই গণহত্যা চালিয়েও আওয়ামী লীগের ভেতরে কোনো অনুশোচনা নেই।
আওয়ামী শাসনামলে লুটপাট, অর্থ পাচার ও দুর্নীতির নানা পরিসংখ্যান তুলে ধরে তিনি বলেন, এগুলো আমার তথ্য না, এগুলো দুর্নীতি সংক্রান্ত শ্বেপত্র কমিটি প্রকাশ করেছে।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক মৃত্যু হয়েছে ঢাকায়, আর দাফন হয়েছে দিল্লিতে। বিএনপি ঘোষিত ৩১ দফা বাস্তবায়নের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক, মানবিক রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করতে হবে এবং আজকের তরুণ ছাত্র-যুবককে সেই ৩১ দফার অ্যাম্বাসেডর হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
সমাবেশ শেষে জাতীয়তাবাদী সামাজিক সাংস্কৃতিক সংস্থা জাসাসের শিল্পীরা সমাবেশ মঞ্চে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করে।
জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সংসদের সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিবের সভাপতিত্বে প্রধান বক্তা ছিলেন জাতীয়তাবাদী যুবদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি আব্দুল মোনায়েম মুন্না।
আরও পড়ুন: কোনো দলের স্বার্থে নির্বাচন বিলম্বিত করা উচিত নয়: বিএনপি নেতা নজরুল
স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক রাজিব আহসান ও ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসিরউদ্দিন নাসিরের সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য দেন স্বেচ্ছাসেবক দল সভাপতি এস এম জিলানী, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুল ইসলাম নয়ন, বাগেরহাটে আততায়ীর গুলিতে নিহত তানু ভূঁইয়ার বিধবা স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, স্বেচ্ছাসেবক দলের যুগ্ম সম্পাদক ফখরুল ইসলাম রনি, যুবদলের যুগ্ম সম্পাদক বিল্লাল হোসেন তারেক ও ছাত্রদলের সাংগঠনিক সম্পাদক আমানউল্লাহ আমান।
২২৫ দিন আগে
ফ্যাসিবাদবিরোধী বাংলাদেশে সবার আগে প্রয়োজন জাতীয় ঐকমত্য: সালাহউদ্দিন আহমেদ
আওয়ামী লীগ গত ১৬ বছরে সকল সেক্টরকে ধবংস করে গেছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জাতীয় স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাউদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, আওয়ামী লীগ দেশটিকে ধ্বংস করে গেছে। তারা দেশের সামাজিক, রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক, ধর্মীয়, ক্রীড়া, শিক্ষা, স্বাস্থ্যসহ সকল খাতকে ধ্বংস করে গেছে। এর থেকে উত্তরণ করতে হবে। দেশ গঠনে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে নিয়ে জাতীয় ঐকমত্য গঠন করার উপর গুরুত্বারোপ করেন তিনি।
শুক্রবার (১৬ মে) বিকালে খুলনা প্রেসক্লাবে ‘শিক্ষা, স্বাস্থ্য ও মৌলিক অধিকার নিয়ে তারুণ্যের ভবিষ্যৎ ভাবনা ভবিষ্যৎ বাংলাদেশ’ শীর্ষক সেমিনারে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
সালাহউদ্দিন বলেন, আওয়ামী লীগ ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে প্রহসন মূলক নির্বচন করে সরকার গঠন করে ফ্যাসিবাদ কায়েম করে। গণতন্ত্র হত্যা করে। মানুষের কোনো মৌলিক অধিকার ছিল না। সংবিধানকে পাশ কাটিয়ে যা ইচ্ছে তাই করেছে। দুর্নীতি ছিল তাদের মূলমন্ত্র।
তিনি আরও বলেন, দুর্নীতি করে যে টাকা পাচার করেছে, তার অর্ধেক টাকা দিয়ে শিক্ষা খাতে বর্তমানে যে বাজেট তার দুইগুণ আর স্বাস্থ্য খাতে তিনগুণ করা যায়।
বিএনপি নেতা বলেন, হাজার ছাত্র জনতার প্রাণের বিনিময়ে আমরা ফ্যাসিবাদমুক্ত হয়েছি। গত ১৬ বছরে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলোর অসংখ্যা নেতাকর্মী গুম, খুন ও নির্যাতন ভোগ করেছে।
আরও পড়ুন: কোনো দলের স্বার্থে নির্বাচন বিলম্বিত করা উচিত নয়: বিএনপি নেতা নজরুল
সালাউদ্দিন আহমেদ বলেন, আওয়ামী লীগের ইতিহাস গণতন্ত্রের হত্যার ইতিহাস, দুর্নীতির ইতিহাস ও টাকা পাচারের ইতিহাস।
তিনি বলেন, দেশে সকল স্তরে সংস্কার প্রয়োজন। এই জন্য আমরা আগে থেকেই ৩১ দফা দিয়েছি। এই ৩১ দফা একটি মহাকাব্য। আমরা চাই নির্বাচনের মাধ্যমে দেশের শাসনভার পেলে জাতীয় ঐকমত্য সরকার গঠন করে ৩১ দফা বাস্তবায়ন করব।
সেমিনারে আন্দালিব রহমান পার্থ, ড. তৌফিক জোয়ার্দার, শাহীন চৌধুরী, ডা. সায়েম মোহাম্মদ, অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম খন্দকার প্রমুখ বক্তব্য দেন।
২২৬ দিন আগে
কোনো দলের স্বার্থে নির্বাচন বিলম্বিত করা উচিত নয়: বিএনপি নেতা নজরুল
কোনো রাজনৈতিক দলকে পুনর্গঠনের সুযোগ দিতে জনগণের ভোটদানের মৌলিক অধিকারের সঙ্গে আপসের মাধ্যমে নির্বাচন বিলম্বিত করা যাবে না বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির জ্যেষ্ঠ নেতা নজরুল ইসলাম খান।
তিনি বলেন, ‘কোনো কোনো দলকে সংগঠিত করার জন্য সময় লাগতে পারে, আবার কারোর মিত্র ও বন্ধুদের একত্রিত করার জন্যও সময় লাগতে পারে। এ কারণেই জনগণের ভোটদানের মৌলিক মানবাধিকার বিলম্বিত হবে—এটি হতে পারে না।’
শুক্রবার (১৬ মে) এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
বিএনপি নেতা বলেন, তারা বিশ্বাস করেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের তাদের দাবি সম্পূর্ণ যৌক্তিক এবং এর বিরুদ্ধে কেউ কোনো যুক্তিসঙ্গত প্রস্তাব বা যুক্তি উপস্থাপন করতে পারেনি।
তিনি বলেন, ‘এজন্যই আমি আবারও বলছি—দেশের সামনে থাকা বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা ও সমস্যা সমাধানের জন্য রাজনৈতিক ক্ষমতায়নের কোনো বিকল্প নেই—নির্বাচিত সরকারের কোনো বিকল্প নেই। আমাদের অন্তর্বর্তীকালীন সরকার যত তাড়াতাড়ি এটি বুঝতে পারবে, ততই মঙ্গল।’
বাংলাদেশ লেবার পার্টি বাংলাদেশ লেবার পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মাওলানা আব্দুল মতিনের ২৯তম মৃত্যুবার্ষিকী উপলক্ষে জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘শোষণমুক্ত সমাজ গঠনে মাওলানা আব্দুল মতিনের ভূমিকা’ শীর্ষক এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার পেছনের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। অন্তর্বর্তী সরকারকে ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠানের বাধাগুলো ব্যাখ্যা করতে বলেন তিনি।
তিনি উল্লেখ করেন, জাতীয় ঐক্যমত্য কমিশনের ভাইস চেয়ারম্যান অধ্যাপক আলী রীয়াজ সম্প্রতি আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যে, সকল রাজনৈতিক দলের সঙ্গে আলোচনার পর তারা মে মাসের মধ্যে এমন একটি পর্যায়ে পৌঁছাতে সক্ষম হবেন। এর মাধ্যমে স্পষ্ট হবে যে, কোন সংস্কার প্রস্তাবে সকল রাজনৈতিক দল একমত এবং কোন প্রস্তাবে ভিন্ন মতামত রয়েছে।
বিএনপি নেতা বলেন, ‘যদি আমরা মে মাসের মধ্যে এটি বুঝতে পারি, তাহলে কি জুন মাসের মধ্যে সম্ভব নয়... আমরা যে প্রস্তাবগুলোতে আমরা সকলে একমত, সেই প্রস্তাবগুলো একত্রিত করি এবং একটি সনদ প্রস্তুত করি। আমরা সকলেই তাতে সই করি ও একমত হই যে, সংস্কারগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা উচিত।’
নজরুল বলেন, আইন বা অধ্যাদেশের মাধ্যমে যেসব সংস্কার বাস্তবায়ন করা যেতে পারে—সেগুলো অবিলম্বে বাস্তবায়ন করা উচিত। আর যেসব সংস্কারের জন্য সাংবিধান সংস্কার প্রয়োজন, সেগুলো পরবর্তী নির্বাচিত সংসদ সেটি করতে পারবে।
তিনি বলেন, ‘যদি সকল রাজনৈতিক দল ঐকমত্যে পৌঁছায় ও একটি যৌথ ঘোষণাপত্রে সেই করে—তাহলে সেই ঐকত্যের ভিত্তিতে কাজ এগিয়ে যাবে। যদি জুনের মধ্যে—এমনকি জুলাইয়ের মধ্যেও এই ধরনের অগ্রগতি সম্ভব হয়—তাহলে তিনি প্রশ্ন তোলেন যে, ডিসেম্বরের মধ্যে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে ক্ষেত্রে কী প্রতিবন্ধকতা থাকতে পারে।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে: মির্জা আব্বাস
বিএনপি নেতা ডিসেম্বরের পরে জাতীয় নির্বাচন বিলম্বিত করার পেছনের যুক্তি নিয়ে প্রশ্ন তোলেন। বলেন, নির্বাচন কমিশন বা রাজনৈতিক বাস্তবতা এই ধরনের বিলম্বকে সমর্থন করে না।
তিনি আরও উল্লেখ করেন, নির্বাচন কমিশন নিজেই বলেছে—তারা জুনের মধ্যে সমস্ত প্রস্তুতি সম্পন্ন করতে পারবে।
নজরুল বলেন, বিএনপি ও তার সমমনা দলগুলো দীর্ঘদিন ধরে ব্যাপক সংস্কার প্রস্তাব করে আসছে। এর মধ্যে জিয়াউর রহমানের ১৯ দফা কর্মসূচি থেকে শুরু করে তারেক রহমানের ২৭ দফা এবং ২০২৩ সালে ঘোষিত ৩১ দফা রাষ্ট্র সংস্কার পরিকল্পনার প্রস্তাব রয়েছে।
তিনি আরও বলেন, বিএনপি সংস্কারের বিপক্ষে নয়—সম্পূর্ণরূপে এর পক্ষে। তিনি আরও বলেন, সংস্কার একটি ধারাবাহিক প্রক্রিয়া, একবারে সম্পন্ন করার মতো কিছু নয়।
২২৬ দিন আগে
নির্বাচন দিলে বিএনপি ক্ষমতায় আসবে: মির্জা আব্বাস
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস বলেছেন, নির্বাচন দিলে বিএনপির ক্ষমতায় আসবে—এটা সরকার ও অন্য দল নিশ্চিত হয়ে গেছেন। তাই তারা নির্বাচন দিতে চান না। তিনি বলেন, নির্বাচনের কথা বললে তাদের গায়ের জ্বালাপোড়া শুরু হয়ে যায়।
বৃহস্পতিবার (১৫ এপ্রিল) বিকালে কুমিল্লা জেলা শিল্পকলা একাডেমিতে বিএনপির সদস্য ফরম বিতরণ ও সদস্য নবায়ন উদ্বোধন অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা আব্বাস বলেন, যে স্বাধীনতার জন্য জিয়াউর রহমান প্রাণ দিয়েছেন, খালেদা জিয়ার জীবন হুমকির মুখে, তারেক রহমান দেশের বাহিরে—সেই গণতন্ত্র আজ হুমকির মুখে।
আরও পড়ুন: প্রশাসনের বিএনপিপন্থী কর্মকর্তাদের পরিকল্পিতভাবে অপসারণ করা হচ্ছে: মির্জা আব্বাস
তিনি আরও বলেন, ‘আগে আমরা কুকুরে মুখে ছিলাম, আজ কুকুর থেকে বাঘের মুখে পড়েছি। নিবার্চন আদায় করে আমাদের ন্যায্য হিসাব আদায় করে নিতে হবে।’
বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির কুমিল্লা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক অধ্যক্ষ মো. সেলিম ভুঁইয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমিন উর রশিদ ইয়াছিন, কুমিল্লা বিভাগীয় সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মোস্তাক মিয়া, কুমিল্লা দক্ষিণ জেলা বিএনপির সভাপতি জাকারিয়া তাহের সুমন, মহানগর বিএনপির সভাপতি উদবাতুল বারি আবু, দক্ষিণ জেলা বিএনপির সদস্য সচিব আশিকুর রহমান মাহমুদ ওয়াসিম প্রমুখ।
২২৭ দিন আগে