বিএনপি
বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যাচ্ছে: মির্জা ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বাংলাদেশ গণতন্ত্র উত্তোরণের পথে যাচ্ছে, সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরি হয়ে গেছে। কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই আগামী নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে বলে আশা প্রকাশ করেছেন তিনি।
মঙ্গলবার (২৫ নভেম্ববর) বিকেলে ঠাকুরগাঁও জেলা আইনজীবী সমিতির হলরুমে আইনজীবীদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘বাংলাদেশ এখন গণতন্ত্রের উত্তরণের পথে যাচ্ছে। এরই মধ্যে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার নির্বাচনের সম্ভাব্য সময় ঘোষণা করেছেন এবং বেশিরভাগ রাজনৈতিক দল তাদের ক্যান্ডিডেট ঘোষণা করেছে। নির্বাচনের আবহাওয়া শুরু হয়ে গেছে।
‘সুতরাং আমরা আশাবাদী, কোনোরকম ঝামেলা ছাড়াই ২৬-এর ফেব্রুয়ারির প্রথম এবং মধ্যবর্তী সময়ে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে।’
দেশের সার্বিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ে তিনি বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি বিষয়ে আমি মনে করি যথেষ্ট উপযোগী আছে। এখন আর এমন কোনো পরিস্থিতি নেই, যেখানে আপনার নির্বাচন ব্যাহত হবে; সেটা হওয়ার সম্ভাবনা নেই।’
বিএনপিকে একটি ‘বিশাল রাজনৈতিক দল’ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘এটি (বিএনপি) স্রোতস্বতী নদীর মতো। এখানে একেকটা আসনে ৪/৫ জন করে প্রার্থী থাকে। কিছু তো সমস্যা হবেই। এগুলো বরাবরই হয়ে আসছে। এতে কোনো অসুবিধা নাই। এটা হওয়াতেই বোঝা যায়, বিএনপি একটি বড় রাজনৈতিক দল।’
মতবিনিময় সভায় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সাল আমিন, সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, জেলা আইনজীবী সমিতির সভাপতি জয়নাল আবেদিন, সাধারণ সম্পাদকসহ অন্য আইনজীবীরা।
৩৩ দিন আগে
ক্ষমতায় গেলে স্বাধীন গণমাধ্যম তৈরি করবে বিএনপি: ফখরুল
সাংবাদিকদের মধ্যে বিভাজন বা মেরুকরণের ফলে তারা নিজেরাই রাজনৈতিক নেতাদের পকেটে ঢুকে পড়েন বলে অভিযোগ করে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, ক্ষমতায় গেলে মুক্ত ও স্বাধীন গণমাধ্যম নিশ্চিত করবে বিএনপি।
সোমবার (২৪ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর শেরে বাংলা নগরে বাংলাদেশ চীন মৈত্রী সম্মেলন কেন্দ্রে ব্রডকাস্ট জার্নালিস্ট সেন্টার (বিজেসি) আয়োজিত রাজনৈতিক দলগুলোর প্রতিনিধিদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের কমিটমেন্ট (অঙ্গীকার) খুব পরিষ্কার। আপনারা দেখেছেন যে আমরা ৩১ দফায় খুব পরিষ্কার করেই বলেছি যে আমরা একটা স্বাধীন গণমাধ্যম দেখতে চাই এবং আমরা সেটাকে তৈরি করতে চাই।’
তিনি বলেন, ‘ক্ষমতায় গেলে গণমাধ্যম সংস্কারে কমিশন করার পরিকল্পনা ছিল বিএনপির। ইতিমধ্যে সেই কমিশন করা হয়েছে। তবে কমিশনের প্রতিবেদন তৈরি হলেও সেটি নিয়ে পরবর্তীকালে কোনো আলোচনা হয়নি।
‘আমরা আশা করি, সরকার পরিচালনার দায়িত্ব যদি জনগণের মাধ্যমে পাই, তাহলে আমরা নিঃসন্দেহে এটাকে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে দেখব বলে বিশ্বাস করি।’
বিএনপির এই জ্যেষ্ঠ নেতা বলেন, ‘একটা কথা না বলে পারছি না, আপনাদের সাংবাদিকদের তো অনেকগুলো ইউনিয়ন আছে—বিএফইউজে, ডিইউজে। আবার দুই দলের দুই ভাগ আছে, তিন ভাগ…
‘নিজেরাই তো আপনারা দলীয় হয়ে যাচ্ছেন। রাজনৈতিক দলগুলো আপনাদের পকেটে ঢুকতে দিতে চায় না, কিন্তু আপনারাই যদি পকেটে ঢুকে যান, তখন কিন্তু দ্যাট বিকামস্ অ্যা প্রবলেম।’
সাংবাদিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, ‘আমরা দেখেছি তো গত ১৫ বছরে কী হয়েছে? গত ১৫ বছর আপনারা নিজেরাই উদ্যোগী হয়ে ফ্যাসিস্টকে সমর্থন করেছেন। এটা আমাদের দেখা, এ দেশের মানুষের দেখা। সেই জায়গাগুলোতে আপনাদেরও কমিটমেন্টের প্রয়োজন আছে, আপনারা ওই জায়গাগুলো থেকে নিজেরা বাইরে থাকবেন। আপনাদের কমিটমেন্ট থেকে জনগণের কাছে স্বাধীন সাংবাদিকতা করবেন।’
বিএনপি ক্ষমতায় গেলেই সংবাদমাধ্যমের উন্নয়ন হয় দাবি করে দলটির মহাসচিব বলেন, ‘১৯৭৫ সালে একদলীয় শাসনব্যবস্থা বাকশাল প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিল। দেশের সমস্ত পত্রিকাগুলোকে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছিল মাত্র চারটি পত্রিকা ছাড়া, সে পত্রিকাগুলো সরকারি নিয়ন্ত্রণে চলছিল।
‘এ অবস্থা থেকে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান যখন রাষ্ট্র পরিচালনায় এসছেন, তখন তিনি একটা মুক্ত স্বাধীন সংবাদপত্রের ব্যবস্থা করেছেন। তখন অনেক সংবাদপত্র বেরিয়ে এসেছে এবং মাধ্যমগুলো চালু হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা পরবর্তীকালে দেখেছি, বিএনপি যখনই রাষ্ট্র ক্ষমতায় এসেছে, তখনই গণমাধ্যমকে উন্নত করবার জন্য অনেকগুলো ব্যবস্থা নিয়েছে। তার মধ্যে আজকে টেলিভিশন চ্যানেলগুলো আমরা দেখছি, সেই সময় কিন্তু কাজগুলো শুরু হয়েছিল।’
রাষ্ট্র সংস্কার প্রক্রিয়া নিয়ে খেদ প্রকাশ করে এ প্রবীণ রাজনীতিক বলেন, ‘সংস্কার যদি আমরা হৃদয়ে ধারণ না করি, মনের মধ্যে না নিই; তাহলে এভাবে সংস্কার কতটুকু সম্ভব হবে আমি জানি না।’
মতবিনিময় সভায় বিএনপি ছাড়াও জামায়াতে ইসলামী বাংলাদেশ, জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), এবি পার্টি, গণসংহতি আন্দোলন, সিপিবি, গণঅধিকার পরিষদসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা অংশ নেন।
মতবিনিময় সভায় মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন বিজেসির নির্বাহী মিলটন আনোয়ার। বিজেসির ট্রাস্টিদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নেন তালাত মামুন ও ফাহিম আহমেদ। অনুষ্ঠান আয়োজনে সহায়তা করে বিবিসি মিডিয়া অ্যাকশন।
বিজেসির আট দফা প্রস্তাবের মধ্যে রয়েছে—সম্প্রচারমাধ্যমের জন্য আলাদা আইন প্রণয়ন, একটি স্বাধীন জাতীয় সম্প্রচার কমিশন গঠন, টিভি চ্যানেলগুলোকে পে-চ্যানেল ঘোষণা করা ও সম্প্রচারমাধ্যমকে শিল্প ঘোষণা এবং সম্প্রচার সাংবাদিকদের জন্য জবাবদিহিমূলক ‘কোড অব এথিকস’ প্রণয়ন; টিভি লাইসেন্স নীতিমালা ও মালিকানার ধরন নির্ধারণ, পরিচালনা পর্ষদে কর্মীদের প্রতিনিধিত্ব নিশ্চিত করা এবং দলীয় প্রভাবমুক্ত ইউনিয়ন প্রতিষ্ঠার মতো কাঠামোগত সংস্কার, স্বাধীন অ্যাক্রেডিটেশন কর্তৃপক্ষ এবং ডিজিটাল মাধ্যমে সাংবাদিকতার নীতিমালার প্রণয়ন ইত্যাদি।
৩৪ দিন আগে
টেলিকমসহ সব নীতিমালা রিভিউ করবে নির্বাচিত সরকার: আমীর খসরু
টেলিকম নীতিমালা ‘ক্রিটিক্যাল’ বা জটিল উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, নির্বাচিত সরকার টেলিকমসহ সব নীতিমালা রিভিউ (পর্যালোচনা) করবে।
আগামীর বাংলাদেশ বিনির্মাণের চ্যালেঞ্জ: টেলিযোগাযোগ ও তথ্য প্রযুক্তি খাতের দেশীয় উদ্যোক্তাদের ভবিষ্যত নিয়ে শনিবার (২২ নভেম্বর) বিকেলে ঢাকার একটি হোটেলে টিআরএনবি আয়োজিত সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, টেলিকম নীতিমালা ক্রিটিক্যাল। অংশীজনদের মতামত নিয়ে এসব নীতিমালা করতে হবে। গত ১৫ বছরে এই খাতে যে ধরনের লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে, বিটিআরসির স্বাধীনতা ধ্বংস করা হয়েছে, তাতে এখানে একটা বড় ধরনের পরিবর্তন দরকার। যে পরিবর্তনের ফলে দেশীয় উদ্যোক্তা এবং ডিজিটাল সিকউরিটিকে সুরক্ষা দেওয়া সম্ভব হবে। যে খাতে এত লাভ, সেখানে দেশীয় বিনিয়োগকারীরা বিনিয়োগ করতে পারবে না কেন? নীতিমালা করার সময় এগুলো মাথায় রাখতে হবে।
তিনি বলেন, আপনাদের আশ্বস্ত করতে চাই, টেলিকম খাতের সুরক্ষা নিশ্চিত করা, আগামী দিনে যারা নির্বাচিত হবে, দায়িত্ব তাদের। অনির্বাচিত সরকার যে নীতিমালা করল, টেলিকমসহ সব নীতিমালা নির্বাচিত সরকার রিভিউ করবে।
সর্বোত্তম, দ্রুত ও সুরক্ষিত নেটওয়ার্ক তৈরিতে নতুন টেরলিকম নীতিমালায় স্পেকট্রাম ও ব্রডব্যান্ডের বিকাশে দেশি-বিদেশি উদ্যোক্তাদের মধ্যে কোনো বৈষম্য রাখা যাবে না বলে মনে করেন এই বিএনপি নেতা।
অনুষ্ঠানে বিএনপি চেয়ারপার্সনের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জহির উদ্দিন স্বপন বলেন, নীতিমালার ক্ষেত্রে ডিজিটাল সভরেন্টি (সার্বভৌমত্ব) নিয়ে আমাদের ভাবতে হবে। নীতিমালায় ডিজিটাল নিরাপত্তা নিশ্চিত হয় কিনা, সে বিষয়টি বিবেচনা করতে হবে। জবাবদিহিতাবিহীন নীতিমালা হতে পারে না।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি বলেন, আগামীর চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নীতিমালা প্রয়োজন।
বিদেশি কোম্পানিগুলো কতটা জবাবদিহিতার আওতায় রয়েছে—প্রশ্ন তুলে তিনি বলেন, নীতিমালায় এমন সব ধারা রাখা হয়েছে যা দেশীয় প্রতিষ্ঠানের হাত থেকে বাজারকে সরিয়ে বিদেশি কোম্পানির কাছে তুলে দেওয়ার পথ তৈরি করছে।
তিনি বলেন, আমরা দেখছি বন্দর পরিচালনাসহ বিভিন্ন খাত বিদেশিদের হাতে তুলে দেওয়া হচ্ছে। অথচ আমরা চাই আমাদের অর্থনীতি ও ব্যবসা-বাণিজ্য নিজস্ব ভিত্তির ওপর দাঁড়াক। এই খাতে কর্মরত পাঁচ থেকে সাত লাখ মানুষের কর্মসংস্থান ঝুঁকির মধ্যে ফেলে এমন নীতিমালা আমরা মেনে নিতে পারি না।
বিশিষ্ট গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ডা. আবদুন নূর তুষার বলেন, ব্যবসায় বৈষম্য দূর না হলে বিদেশি বিনিয়োগকারীরা বাজার দখল করে নেবে। আমাদের দেশীয় উদ্যোক্তাদের টিকে থাকার সুযোগ নিশ্চিত করতেই হবে। তিনি দেশীয় ব্যবসায়ীদের স্বাধীন ও সুরক্ষিত রাখার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
ফাইবার অ্যাট হোমের চেয়ারম্যান মইনুল হক সিদ্দিকী বলেন, ঢাকার বাইরেও এনটিটিএন সংস্থাগুলো সেবা সম্প্রসারণ করেছে—তার প্রমাণ পাবেন আপনারা সেখানে গেলে। সেখানে গিয়ে ইন্টারনেটের গতি দেখলেই তা বোঝা যায়। অথচ বর্তমান টেলিকম নীতিমালায় দেশীয় উদ্যোক্তাদের স্বার্থ রক্ষা করা হচ্ছে না, বরং কর্মসংস্থানের ক্ষেত্রেও নতুন উদ্বেগ তৈরি হয়েছে।
ইন্টারনেট সেবাদাতাদের সংগঠন আইএসপিএবি সভাপতি আমিনুল হাকিম বলেন, গ্রাম থেকে শহর পর্যন্ত দেশের আইএসপিরা সেবা দিয়ে আসছে। এ খাতে আড়াই হাজার ব্যবসায়ী এবং সাড়ে চার থেকে পাঁচ হাজার কোটি টাকার বিনিয়োগ রয়েছে। টেলিকম নীতিমালার বিরুদ্ধে প্রধান রাজনৈতিক দলগুলো সংবাদ সম্মেলন করেছিল, তাই আমরা আশা করেছিলাম সরকার নীতিমালা বাতিল করবে, কিন্তু তা করা হয়নি। তিনি বলেন, আপনারা (বিএনপি) আগামীতে সরকার গঠন করলে এমন নীতির বিষয়ে ভেবে দেখবেন; মানুষ মেরে ফেলার পলিসির বিষয়ে আপনারা ভাববেন বলে আমরা আশা করি।
ফাইবার অ্যাট হোমের সুমন আহমেদ সাবির অনুষ্ঠানে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন। আরও বক্তব্য দেন এআইওবি সদস্য ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) মোস্তাফিজুর রহমান, বাহন লিমিটেডের রাশেদ আমিন বিদ্যুৎ, সাংবাদিক মাসুদ কামাল ও শাহেদ আলম, টেলিযোগাযোগ নীতি বিশ্লেষক আবু নাজম তানভীর হোসাইন, টিআরএনবি সভাপতি সমীর কুমার দে, সাধারণ সম্পাদক মাসদুজ্জামান রবিন প্রমুখ।
৩৬ দিন আগে
নোয়াখালীতে কাফনের কাপড় পরে বিএনপির প্রার্থী পরিবর্তনের দাবি
নোয়াখালী-৫ (কোম্পানীগঞ্জ-কবিরহাট-সদর আংশিক) আসনে বিএনপির মনোনয়ন পরিবর্তনের দাবিতে কাফনের কাপড় পরে বিক্ষোভ মিছিল করেছে দলটির একটি অংশ।
বুধবার (১৯ নভেম্বর) বিকেলে কবিরহাট বাজারে অনুষ্ঠিত এ কর্মসূচিতে স্থানীয় নেতাকর্মীরা অংশ নেন।
বিক্ষোভকারীরা বিএনপির ঘোষিত প্রার্থী ফখরুল ইসলামের পরিবর্তে বজলুল করিম চৌধুরী আবেদকে মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে ‘বয়কট ফখরুল ইসলাম’, ‘মনোনয়ন পরিবর্তন চাই’সহ নানা স্লোগান দেন।
জানা যায়, বিকেলে কাফনের কাপড় পরে আবেদপন্থী নেতাকর্মীরা কবিরহাট কলেজের সামনে জড়ো হয়ে মিছিল বের করেন, যা বাজার প্রদক্ষিণ শেষে জিরো পয়েন্টে গিয়ে শেষ হয়।
৩৯ দিন আগে
এই রায় শুধু হাসিনার অপরাধের বিচার নয়, স্বৈরশাসনের কবর: মির্জা ফখরুল
মানবতাবিরোধী অপরাধের দায়ে অভিযুক্ত সাবেক স্বৈরাচারী প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ফাঁসির রায়ের মাধ্যমে বাংলাদেশের মাটিতে সকল ধরনের স্বৈরশাসকদের কবর রচিত হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) রায় ঘোষণার পর নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পোস্টে তিনি লিখেন, 'আমরা বিশ্বাস করি, আজকের রায় শুধু শেখ হাসিনার অপরাধের বিচার নয়, বরং এই দেশের মাটিতে সব ধরনের স্বৈরশাসনের কবর রচনা।’
তিনটি অপরাধের পৃথক অভিযোগে হাসিনাকে মৃত্যুদণ্ড দেওয়ার পাশাপাশি আরও দুটি অভিযোগে আমৃত্যু কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
আজ সোমবার বিচারপতি মো. গোলাম মর্তূজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এই ঐতিহাসিক রায় ঘোষণা করেন।
এ ছাড়া, সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালকে মৃত্যুদণ্ড এবং মামলার রাজসাক্ষী সাবেক পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
৪২ দিন আগে
ট্রাইব্যুনালের রায় মাইলফলক, ভবিষ্যতের জন্য শিক্ষা: সালাহউদ্দিন
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মৃত্যুদণ্ডাদেশকে ‘ইতিহাসের এক মাইলফলক’ হিসেবে উল্লেখ করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেছেন, এ রায়ের মাধ্যমে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
সোমবার (১৭ নভেম্বর) দুপুরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) সাদা দল আয়োজিত ‘বাংলাদেশের ভবিষ্যৎ শিক্ষার রূপান্তর একটি কৌশলগত রোডম্যাপ’ শীর্ষক সেমিনার শেষে ট্রাইব্যুনালের রায় নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানতে চাইলে তিনি এমন মন্তব্য করেন।
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হয়েছে, এ রায় মাইলফলক। অপরাধ বিবেচনায় সাজা যথেষ্ট না হলেও, আগামীতে কোনো সরকার বা কোনো ব্যক্তি ফ্যাসিস্ট, স্বৈরাচার ও একনায়ক হয়ে উঠতে না পারে, তার জন্য উদাহরণ হবে এ রায়।
তিনি বলেন, এই রায়ের মাধ্যমে প্রমাণিত হয়েছে, ফ্যাসিবাদ যত শক্তিশালী হোক, যতই ক্ষমতা দখলে রাখুক, তাদের একদিন না একদিন আদালতের কাঠগড়ায় দাঁড়াতে হবে।
তিনি আরও বলেন, মামলা আরও রয়েছে, সেগুলোতেও ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠা হবে। বাংলাদেশে গুম, খুন ও অপশাসন এবং বৈষম্যের রাষ্ট্র ব্যবস্থা কায়েম করেছিল শেখ হাসিনা। এই বিচার অপরাধের তুলনায় যথেষ্ট নয়, তবে সামনের দিনের জন্য উদাহরণ। যাতে ভবিষ্যতে কেউ ফ্যাসিবাদী রাষ্ট্র কায়েম করতে না পারে, নিজে ফ্যাসিস্ট না হয় এবং কেউ যেন একনায়কতন্ত্র না হয়—তার একটি উদাহরণ। ভবিষ্যতের জন্য এই বিচার একটি শিক্ষা।
এদিন দুপুরে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর চেয়ারম্যান বিচারপতি গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বে তিন সদস্যের আদালত শেখ হাসিনা ও সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামালের মৃত্যুদণ্ডাদেশ ঘোষণা করেন। পাশাপাশি মামলায় রাজসাক্ষী হওয়া সাবেক আইজিপি আব্দুল্লাহ আল-মামুনকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
৪২ দিন আগে
শেখ হাসিনার রায়ে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের দাবি ফখরুলের
জুলাই অভ্যুত্থান চলাকালে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে আগামীকাল সোমবার রায় ঘোষণা করবেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল। এ রায়ে স্বচ্ছতা ও ন্যায়বিচারের দাবি জানিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
রবিবার (১৬ নভেম্বর) বিকেলে নিজের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে দেওয়া এক পোস্টে তিনি এই দাবি জানান।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আগামীকাল (১৭ নভেম্বর) বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলার রায় ঘোষণা করতে যাচ্ছে, যেখানে গত বছরের ঢাকায় সংঘটিত প্রাণঘাতী সহিংসতা ও দমন-পীড়নের ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের পাঁচটি অভিযোগ আনা হয়েছে। আমরা পূর্ণ ন্যায়বিচার এবং স্বচ্ছতা দাবি জানাই।’
এ মামলার অপর দুই আসামি হলেন সাবেক স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান ও পুলিশের সাবেক মহাপরিদর্শক (আইজিপি) চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুন। সাবেক আইজিপি মামুন রাজসাক্ষী হিসেবে জবানবন্দি দিয়েছেন।
২০২৪ সালের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল পুনর্গঠন করা হয়। পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের ঘটনায় প্রথম মামলাটি (মিসকেস বা বিবিধ মামলা) হয় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে। গত বছরের ১৭ অক্টোবর পুনর্গঠিত ট্রাইব্যুনালের প্রথম বিচারকাজ অনুষ্ঠিত হয়। সেদিনই এ মামলায় শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেন ট্রাইব্যুনাল।
প্রথম দিকে এ মামলায় শেখ হাসিনাই একমাত্র আসামি ছিলেন। চলতি বছরের ১৬ মার্চ এ মামলায় শেখ হাসিনার পাশাপাশি সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনকে আসামি করার আবেদন করে প্রসিকিউশন (রাষ্ট্রপক্ষ) এবং ট্রাইব্যুনাল তা মঞ্জুর করেন।
চব্বিশের গণ-অভ্যুত্থানের সময় সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মোট পাঁচটি অভিযোগ আনে প্রসিকিউশন।
অভিযোগগুলো হলো— গত বছরের ১৪ জুলাই গণভবনে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে শেখ হাসিনার উসকানিমূলক বক্তব্য প্রদান; হেলিকপ্টার, ড্রোন ও প্রাণঘাতী অস্ত্র ব্যবহার করে আন্দোলনকারীদের নির্মূল করার নির্দেশ প্রদান; রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র আবু সাঈদকে গুলি করে হত্যা; রাজধানীর চানখাঁরপুল এলাকায় ছয় আন্দোলনকারীকে গুলি করে হত্যা এবং আশুলিয়ায় ছয়জনকে পোড়ানোর অভিযোগ।
গত ১২ মে প্রতিবেদন জমা দেয় ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। আনুষ্ঠানিক অভিযোগ মোট ৮ হাজার ৭৪৭ পৃষ্ঠার। এর মধ্যে, তথ্যসূত্র ২ হাজার ১৮ পৃষ্ঠার, জব্দতালিকা ও দালিলিক প্রমাণাদি ৪ হাজার পাঁচ পৃষ্ঠার এবং শহীদদের তালিকার বিবরণ ২ হাজার ৭২৪ পৃষ্ঠার রয়েছে।
এর ভিত্তিতে ১ জুন ট্রাইব্যুনালে হাসিনা, আসাদুজ্জামান খান ও আবদুল্লাহ আল-মামুনের বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ দাখিল করে প্রসিকিউশন। ওই দিনই ট্রাইব্যুনাল অভিযোগ আমলে নেন। এরপর ১০ জুলাই তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরুর আদেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১।
এক পর্যায়ে এই মামলায় দোষ স্বীকার করে ঘটনার সত্যতা উদ্ঘাটনে (অ্যাপ্রুভার) রাজসাক্ষী হতে সাবেক আইজিপি চৌধুরী আবদুল্লাহ আল-মামুনের করা আবেদন মঞ্জুর করেন ট্রাইব্যুনাল। পরবর্তীতে এই মামলার রাজসাক্ষী হয়ে সাক্ষ্য দেন তিনি।
গত ২৩ অক্টোবর মামলায় অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান সমাপনী বক্তব্য দেন। তিনি শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি প্রার্থনা করেন। পরে আসামিপক্ষের আইনজীবীর বক্তব্যের জবাব দেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম। তিনিও শেখ হাসিনা ও আসাদুজ্জামান খানের সর্বোচ্চ শাস্তি চান।
এরপর গত বৃহস্পতিবার (১৩ নভেম্বর) বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ ওই তিন আসামির বিরুদ্ধে করা মামলার রায় আগামী সোমবার (১৭ নভেম্বর) হবে বলে ঘোষণা করেন।
৪২ দিন আগে
ভারতের দাদাগিরি আর দেখতে চাই না, পানির হিস্যা আমাদের ন্যায্য অধিকার: ফখরুল
বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, পাশের দেশ ভারত পানি বন্ধ করে দিবে, সীমান্তে মানুষ হত্যা করবে, যখনতখন চাল, পেয়াজ আমদানি বন্ধ করে দেবে—এই দাদাগিরি আমরা আর দেখতে চাই না। আমরা দেখতে চাই যে ভারত আমাদের সঙ্গে সমমর্যাদার ভিত্তিতে সহযোগিতা করবে, অন্যথায় বাংলাদেশের মানুষকে তারা বন্ধু হিসেবে পাবে না।
শনিবার (নভেম্বর) বিকেলে চাঁপাইনবাবগঞ্জের নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ মাঠে এক ঐতিহাসিক বিশাল গণসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন। বাঁচাও পদ্মা, বাঁচাও দেশ, সবার আগে বাংলাদেশ— ‘চলো জি ভাই হাঁরঘে পদ্মা বাঁচাই’ আন্দোলনের অংশ হিসেবে বিএনপি এই সমাবেশের আয়োজন করে।
মওলানা ভাসানীর পর খালেদা জিয়া ভারতের কাছে পানির ন্যায্য হিস্যা দাবি করেছিলেন উল্লেখ করে মির্জা ফখরুল বলেন, পানির হিস্যার আন্দোলন আরও জোরদার রাখতে হবে। আন্তর্জাতিক মহলকে বোঝাতে হবে, পানির হিস্যা আমাদের ন্যায্য অধিকার, কারো দয়া নয়। আগামী সরকার শক্তিশালী না হলে পদ্মা আরও ক্ষতিগ্রস্ত হবে। যতক্ষণ না পানির ন্যায্য হিস্যা পাওয়া যাচ্ছে, ততক্ষণ আন্দোলন চলবে।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, দিল্লিতে বসে হাসিনা জ্বালাও-পোড়াওয়ের হুকুম দিচ্ছে। হাসিনাকে কী এদেশে আমরা আর আসতে দেব? তার বিরুদ্ধে হত্যা মামলা হয়েছে, যার রায় আগামী ১৭ নভেম্বর।
এই রায়কে ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পায়তারা চলছে উল্লেখ করে বিএনপি নেতাকর্মীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আমি আপনাদের প্রতি আহ্বান জানাতে চাই, এই ফ্যাসিস্ট শক্তি যেন আগামীতে মাথা তুলে দাঁড়াতে না পারে; দেশের মানুষকে হত্যা করতে না পারে; দেশের সম্পদ নষ্ট করতে না পারে; বাংলাদেশের গণতান্ত্রিক প্রতিষ্ঠানকে যেন ধ্বংস করতে না পারে। এসব দিকে আমাদের সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে।
বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীকে উদ্দেশ্যে করে মির্জা ফখরুল বলেন, একটি রাজনৈতিক দল দেশকে গভীর সংকটে ঠেলে দিচ্ছে। বাংলাদেশের মানুষ জামায়াতকে ভোট দেবে না, কারণ জামায়াতকে দেশের মানুষ বিশ্বাস করে না। এই নির্বাচন যদি না হয়, দেশের মানুষকে যদি আবার বোকা বানানোর চেষ্টা করা হয়, তাহলে বাংলাদেশ একটি ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে।
বিএনপি মহাসচিব আরও বলেন, তারকে রহমান বলেছেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ১৫ মাসের মধ্যে তিনি এক কোটি বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করবেন। কৃষকদের ফার্মাস কার্ডের মাধ্যমে বিনামূল্যে সার ও বীজ দেবেন। তিনি বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করতে চান। জনগণের জন্য একটি নিরপেক্ষ প্রশাসন তিনি তৈরি করবেন।
এর আগে, এদিন দুপরে চাঁপাইনবাবগঞ্জের মহানন্দা নদীর ওপর নির্মিত রাবার ড্যাম পরিদর্শন শেষে মির্জা ফখরুল বলেন, প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সমতার সম্পর্ক থাকবে, দাদাগিরির সুযোগ নেই। প্রত্যেক দেশ তার নিজের স্বার্থ দেখবে—এটাই স্বাভাবিক। তবে নির্বাচিত সরকার না থাকলে দাবি আদায় সম্ভব হয় না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে পদ্মা-তিস্তার পানি বণ্টনকে গুরুত্ব দেবে। আমরা বিগত দিনে দেখেছি, তৎকালীন মন্ত্রী-এমপিরা ভারতে গিয়ে দেন দরবার করেছে, কিন্তু দেশের জন্য কেউ ভাবেনি। যে সরকারই আসুক, দেশের জন্য কাজ করতে হবে; দেশের স্বার্থ সবার আগে দেখতে হবে।
পদ্মা বাঁচাও আন্দোলেনের সমন্বয়ক চাঁপাইবাবগঞ্জ সদর আসনের সাবেক এমপি ও বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা হারুনুর রশিদের সভাপতিত্বে গণসাবেশে বক্তব্য রাখেন বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও রাজশাহী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মিজানুর রহমান মিনু, বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও চাঁপাইনবাবগঞ্জ-১ আসনের সাবেক এমপি বীরমুক্তিযোদ্ধা অধ্যাপক শাহজাহান মিয়া, চাঁপাইনবাবগঞ্জ-২ আসনের সাবেক এমপি আমিনুল ইসলাম প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, পদ্মা নদীর ন্যায্য পানিবণ্টন ও ভারতীয় আগ্রাসন বন্ধের দাবিতে জাতীয় জনমত গড়ে তোলার লক্ষ্যে ধারাবাহিকভাবে সমাবেশ করে আসছে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল বিএনপি। তাদের অভিযোগ, বর্ষাকালে বন্যা, ভয়াবহ নদীভাঙন, আর শুষ্ক মৌসুমে পানির সংকটে ফসল উৎপাদনে বাধা—এই তিন দুর্যোগই এখন পদ্মাপাড়ের মানুষের নিত্যদিনের বাস্তবতা। ফারাক্কার বিরূপ প্রভাব থেকে বাঁচতে পানির ন্যায্য হিস্যার দাবি জানিয়ে আসছেন পদ্মাপাড়ের মানুষ। এ দাবিতে শনিবার ঐতিহাসিক সমাবেশের আয়োজন করে দলটি।
৪৩ দিন আগে
নভেম্বরের শেষে দেশে ফিরতে পারেন তারেক রহমান: সালাহউদ্দিন
বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান চলতি নভেম্বরের শেষ দিকে দেশে ফিরতে পারেন বলে জানিয়েছেন দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ।
মঙ্গলবার রাতে (১১ নভেম্বর) সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ কথা বলেন।
সালাহউদ্দিন আহমেদ ইউএনবিকে বলেন, ‘আমরা আশা করছি এই মাসের শেষ নাগাদ তিনি দেশে ফিরতে পারেন। নাহলে কমপক্ষে দুয়েকদিন এদিক-ওদিক হতে পারে হয়ত, আশা করছি।’
২০০৮ সালে জরুরি অবস্থার মধ্যে পরিবার নিয়ে দেশ ছাড়ার পর গত ১৭ বছর লন্ডনে বসবাস করছেন বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার বড় ছেলে তারেক। জুলাই অভ্যুত্থানে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের পর তারেকের মামলা জটিলতার অবসান হলেও তিনি এখনো ফেরেননি।
গত কয়েক মাস ধরেই বিএনপির নেতারা বলে আসছেন যে, শিগগিরই দেশে ফিরবেন তারেক রহমান। নভেম্বরের শেষ নাগাদ তিনি আসতে পারেন বলেও খবর পাওয়া যাচ্ছিল। তবে সুনির্দিষ্টভাবে কোনো তারিখ বিএনপির পক্ষ থেকে জানানো হয়নি।
গত ৬ অক্টোবর প্রকাশিত বিবিসি বাংলার এক সাক্ষাৎকারে তারেক রহমানের কাছে জানতে চাওয়া হয়েছিল, তিনি কবে দেশে ফিরছেন। এই প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘ খুব দ্রুতই ইনশাআল্লাহ।’
নির্বাচনের আগে দেশে থাকবেন কি না এমন প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি একজন রাজনৈতিক কর্মী হিসেবে মনে করি, নির্বাচনের সঙ্গে রাজনীতি ও রাজনৈতিক দলের সম্পর্ক ওতপ্রোতভাবে জড়িত। তাই যখন জনগণের প্রত্যাশিত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, তখন জনগণের মাঝেই থাকব ইনশাআল্লাহ। আমার সর্বোচ্চ চেষ্টা, ইচ্ছা ও আগ্রহ থাকবে সেই প্রত্যাশিত নির্বাচনে জনগণের সঙ্গে থাকার।’
প্রায় দুই দশক ধরে দল ও নির্বাচন পরিচালনায় নিবিড়ভাবে জড়িত থাকলেও তিনি কখনো সরাসরি ভোটের মাঠে প্রার্থী হননি। তবে এবার ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বগুড়া-৬ (সদর) আসন থেকে প্রার্থী হচ্ছেন তারেক রহমান।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া ১৯৯১ সাল থেকে বগুড়া-৭ (গাবতলী ও শাহজাহানপুর) এবং ১৯৯৬ (জুন) সাল থেকে বগুড়া-৬ (সদর) আসনে নির্বাচন করছেন। এ দুটি আসনে তিনি কখনো পরাজয়ের মুখ দেখেননি। মায়ের সেই পুরনো আসনেই আগামী সংসদ নির্বাচনে ধানের শীষের প্রার্থী হবেন তারেক রহমান।
৪৭ দিন আগে
নির্বাচন পেছালে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে: মির্জা ফখরুল
এবারের জাতীয় নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হলে বাংলাদেশ ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) দুপুর ১২টার দিকে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার বড়গাঁও ইউনিয়নের কিশমত কেশুরবাড়ি লক্ষ্মীরহাট উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে এক সভায় তিনি এ কথা বলেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, “সংস্কারের ক্ষেত্রে যে বিষয়ে আমরা একমত হয়েছি, এর বাইরে কিছু জোর করে চাপিয়ে দিলে এর সমস্ত দায় সরকারকেই নিতে হবে।”
তিনি আরও বলেন, একটি দল বাড়ি বাড়ি গিয়ে নারীদের কাছে ধর্মের অপব্যাখ্যা দিচ্ছে। যারা মুনাফেকি করে, তাদের থেকে সাবধান থাকতে হবে।
মির্জা ফখরুল আশ্বাস দেন, বিএনপি ক্ষমতায় এলে ১৫ মাসের মধ্যে এক কোটি বেকারের কর্মসংস্থান নিশ্চিত করা হবে। পাশাপাশি বিচার বিভাগকে সম্পূর্ণ স্বাধীন করা হবে বলেও জানান তিনি।
শিক্ষা খাতের সংস্কার প্রসঙ্গে মির্জা ফখরুল বলেন, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শরীরচর্চা শিক্ষক ও সংগীত শিক্ষক বাদ দেওয়া ঠিক হয়নি। এটি শিক্ষাব্যবস্থায় এক ধরনের অসম্পূর্ণতা তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের রাজনীতিতে শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান একটি উজ্জ্বল নাম। রাজনীতিতে নতুন দর্শনের সূচনা করেছিলেন শহীদ জিয়া, তার দর্শন আজও প্রাসঙ্গিক।
সভায় বড়গাঁও ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি ডা. আহম্মদ আলীর সভাপতিত্বে জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমিন, সাধারণ সম্পাদক মো. পয়গাম আলী, সদর উপজেলা বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ জেলা ও উপজেলা পর্যায়ের বিভিন্ন নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
৪৮ দিন আগে