বিএনপি
জুলাই সনদের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত দিলে স্বাক্ষরকারী দলগুলো মানতে বাধ্য নয়: খন্দকার মোশাররফ
জাতীয় ঐকমত্য কমিশনের সঙ্গে দীর্ঘ আলোচনা শেষে যে জুলাই সনদে রাজনৈতিক দলগুলো স্বাক্ষর করেছে, সেই স্বাক্ষরিত সনদের বাইরে কোনো ব্যাপারে সরকার ইচ্ছামত সিদ্ধান্ত নিলে তা রাজনৈতিক দলগুলো মানতে বাধ্য নয় বলে জানিয়েছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য খন্দকার মোশাররফ হোসেন। তিনি বলেছেন, এমন কিছু ঘটলে তার সম্পূর্ণ দায়দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তাবে।
মঙ্গলবার (১১ নভেম্বর) বেলা ১২টায় গুলশানে বিএনপি চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
খন্দকার মোশাররফ বলেন, ‘আমরা স্পষ্ট ভাষায় বলতে চাই যে, জুলাই জাতীয় সনদে উল্লেখিত বিষয়ের বাইরে সরকার কোনো সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলে সনদে স্বাক্ষরকারী কোনো দলের জন্য তা মান্য করার বাধ্যবাধকতা থাকবে না।'
তিনি সরকারকে সতর্ক করে বলেন, 'এমন কিছু ঘটলে এর দায়িত্ব সরকারের ওপরই বর্তাবে। এ ব্যাপারে সতর্ক পদক্ষেপ গ্রহণের জন্য আমরা সরকারের প্রতি আহ্বান জানাচ্ছি।'
মোশাররফ হোসেন জানান, ঐকমত্য কমিশন এবং বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের মধ্যে প্রায় এক বছরের আলোচনার পর ১৭ অক্টোবর জুলাই সনদ স্বাক্ষরিত হয়েছে।
তার ভাষ্য, সম্প্রতি নির্ধারিত সনদের বাইরে সরকারি কিছু সিদ্ধান্ত ঘোষণা করার বিষয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের কয়েকজন উপদেষ্টা মন্তব্য করেছেন। এই ধরনের মন্তব্য বিভ্রান্তিকর এবং সবার সম্মতিতে নেওয়া আগের সিদ্ধান্তকে উপেক্ষা করার সমতুল্য বলে মনে করেন তিনি।
বিএনপির সর্বোচ্চ নীতিনির্ধারণী ফোরাম জাতীয় স্থায়ী কমিটির বৈঠকের সিদ্ধান্ত জানাতে এই সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। এর আগে গতকাল রাতে অনুষ্ঠিত ওই বৈঠকে যুক্তরাজ্য থেকে ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে সভাপতিত্ব করেন দলের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, নজরুল ইসলাম খান, ড. আবদুল মঈন খান, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, সালাহউদ্দিন আহমদ এবং হাফিজ উদ্দিন আহমদ।
৪৮ দিন আগে
মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
একটি মহল সুপরিকল্পিতভাবে বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
সোমবার (১০ নভেম্বর) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঠাকুরগাঁও জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কমান্ডের আয়োজনে মুক্তিযোদ্ধা ও তাদের সন্তানদের সঙ্গে মতবিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আজকে মুক্তিযুদ্ধটাকে ভুলিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করা হচ্ছে। ১৯৭১ হয়নি, আমরা কিছুই করি নাই। দেশটার জন্য কোনো অবদানই রাখি নাই। চব্বিশ যারা করেছে, তারাই সব করেছে, এমন ধারণা এখন মিলছে। ঠিক না?’
তিনি অভিযোগ করেন, ‘আজকে সুপরিকল্পিতভাবে একটি চক্র, একটি মহল, যারা ওই একাত্তর সালে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর সঙ্গে যোগসাজশ করে এ দেশে মুক্তিযোদ্ধাকে হত্যা করেছিল, তাদের পরিবারকে হত্যা করেছিল, তাদের মেয়েদের তুলে দিয়েছিল খান বাহিনীর হাতে, তাদের সঙ্গে দেশের মানুষ কি আপস করতে পারে? এই কথাগুলো জোর গলায় বলতে হবে। মুক্তিযোদ্ধাদের গর্জে উঠতে হবে।’
মির্জা ফখরুল আরও বলেন, ‘এরা আজকে দেশটাকে গিলে খাওয়ার চেষ্টা করছে, গ্রাস করার চেষ্টা করছে। ধর্মপ্রাণ মুসলমান ভাইদের ধর্মীয় অনুভূতিকে বিক্রি করে তারা ওই কাজগুলো করতে চাচ্ছে। আমরা সেটা হতে দিতে পারি না। আজকে আমাদের রুখে দাঁড়াতে হবে, মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে সামনে আনতে হবে।’
হিন্দু-মুসলমান বিভেদ রুখে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘আমাদের মধ্যে বিভেদ সৃষ্টি করতে দেবেন না। হিন্দু-মুসলমান ভাগ করতে দিবেন না। আমরা হিন্দু-মুসলমান ভাই ভাই। একসঙ্গে আছি, যুদ্ধও করেছি একসঙ্গে। তাদের যেন কেউ ভাগ করতে না পারে।’
নির্বাচনকে বানচালের চেষ্টা চলছে দাবি করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘একটা কথা পরিষ্কার করে বলতে চাই, আজকে নির্বাচনকে বানচাল করে দেওয়ার, নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার চক্রান্ত ষড়যন্ত্র চলছে। নির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া মানে আমাদের সর্বনাশ, এ দেশের সর্বনাশ হওয়া। আমরা চাই অন্তর্বর্তী সরকার কালবিলম্ব না করে দ্রুত নির্বাচনের তফসিল ঘোষণার ব্যবস্থা করবে, একটা নির্বাচিত সরকার প্রতিষ্ঠার ব্যবস্থা করবে।’
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ঠাকুরগাঁও জেলা ইউনিট কমান্ড মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নূর করিম। বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সংসদ কেন্দ্রীয় কমান্ড কাউন্সিলের সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা নাঈম জাহাঙ্গীর, সদস্য সচিব বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক আহম্মদ খান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী মনসুর আলী সরকার, জেলা বিএনপির সভাপতি মির্জা ফয়সল আমীন এবং সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী।
৪৯ দিন আগে
এটাই আমার শেষ নির্বাচন: মির্জা ফখরুল
আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনই নিজের শেষ জাতীয় নির্বাচন বলে ইঙ্গিত দিয়েছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। ঠাকুরগাঁওয়ের জনগণের কাছে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেছেন, এবার আপনারা আমাকে সুযোগ দিন, আমি যেন আপনাদের জন্য কিছু উন্নয়নকাজ করতে পারি।
নির্বাচনি প্রচারের অংশ হিসেবে রবিবার (৯ নভেম্বর) দুপুরে মির্জা ফখরুলের নিজ নির্বাচনি এলাকা ঠাকুরগাঁওয়ের জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির আয়োজনে দৌলতপুর বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে আয়োজিত এক মতবিনিময় সভায় তিনি এ কথা বলেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘নিজের বয়স এবং শারীরিক পরিস্থিতি বিবেচনায় এটাই আমার শেষ নির্বাচন। পরের নির্বাচন করার সময় আর শক্তি থাকবে না। আমার শেষ নির্বাচনে ধানের শীষে ভোট দিয়ে সহযোগিতা করবেন আপনারা। এবার আপনারা আমাকে সুযোগ দিন, আমি যেন আপনাদের জন্য কিছু উন্নয়নকাজ করতে পারি।’
এ সময় জামায়াতের প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, জামায়াতের দাঁড়িপাল্লা আপনারা চেনেন। দাঁড়িপাল্লাও এখানে নির্বাচন করছে। বিগত সময়ে আমরা কী করেছি আর তারা কী করেছে—এটা বিবেচনা করে ধানের শীষ আর দাঁড়িপাল্লার মধ্যে আপনাদের বেছে নিতে হবে।
অন্তর্বর্তী সরকারের সমালোচনা করে এই বিএনপি নেতা বলেন, এ সরকারের পেছনে জনগণ নেই, তাই তারা জনগণের দুঃখ-কষ্ট বোঝে না। সরকার জনগণের কথা বোঝে না বলেই কৃষক আজ তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য পায় না। বিএনপি ক্ষমতায় গেলে কৃষকদের জন্য ন্যায্য দামের ব্যবস্থা করা হবে, ফ্যামিলি কার্ড করা হবে।
গণভোটের বিষয়ে মির্জা ফখরুল বলেন, দেশে যত সংকট দেখছেন সব তৈরি করা, সাজানো নাটক। জনগণ এসব বোঝে না; তারা শুধু ভোট দিতে চায়। আমরা চাই নির্বাচনের দিনে গণভোট হোক। আপনারা সত্যি বলুন, সাধারণ মানুষ কি গণভোট-সনদ বোঝেন?
তিনি বলেন, নির্বাচনের দিনই গণভোট হবে। সব সংস্কারে আমরা রাজি আছি, যাতে রাজি হবো না, তা সংসদে গিয়ে পাস হবে।
গণহত্যা ও গণঅভ্যুত্থান নিয়ে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ১৯৭১ সালেও গণহত্যা হয়েছে, ২০২৪ সালেও হয়েছে। পার্থক্য হলো, সে সময় পশ্চিম পাকিস্তানিরা আমাদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে, আর এবার আমার দেশের ফ্যাসিস্ট নেতারাই আমাদের ওপর, আমাদের সন্তানদের ওপর গণহত্যা চালিয়েছে।
বক্তৃতার একপর্যায়ে তিনি দুর্বলতা অনুভব করেন। বক্তব্যের একপর্যায়ে তার কণ্ঠ আটকে যায়, তিনি কাঁপতে থাকেন। এ সময় তিনি পাশে থাকা নেতা-কর্মীদের তাকে ধরতে বলেন। পরে উপস্থিত সবার অনুমতি নিয়ে চেয়ারে বসে বক্তব্য শেষ করেন এই প্রবীণ রাজনীতিক।
জগন্নাথপুর ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি মো. তোফাজ্জল হোসেনের সভাপতিত্বে আয়োজিত এই মতবিনিময় সভায় জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক পয়গাম আলী, অর্থ বিষয়ক সম্পাদক শরিফুল ইসলাম, জেলা সদর বিএনপির সভাপতি আব্দুল হামিদসহ দলটির অন্যান্য নেতা-কর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
৪৯ দিন আগে
সালাউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অনশন ভাঙলেন আমজনতার তারেক রহমান
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদের অনুরোধে অনশন ভেঙেছেন আমজনতার দলের সদস্য সচিব তারেক রহমান।
রবিবার (৯ নভেম্বর) রাত সাড়ে ৮টার দিকে নির্বাচন ভবনের মূল ফটকে এসে তিনি তারেকের অনশন ভাঙান।
এ সময় তিনি তারেককে বলেন, আগামীকাল আপিল আবেদন করবে। আর এর মধ্যে কয়েকটি অফিস সংস্কার করবে। এখন তোমার অনশন ভাঙা উচিত।
এরপর তাকে অ্যাম্বুলেন্সে নির্বাচন ভবনের সামনে থেকে নিয়ে যান তার সমর্থকরা।
গত ৪ নভেম্বর ইসি তিনটি নতুন রাজনৈতিক দলকে—বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কসবাদী), বাংলাদেশ আম জনগণ পার্টি ও জাতীয় নাগরিক পার্টিকে (এনসিপি) নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। নিবন্ধন না পাওয়ায় ওই দিন বিকেল ৪টা থেকেই ইসির ফটকের সামনে অনশন শুরু করেন আমজনতা দলের সদস্যসচিব তারেক রহমান।
আজ (রবিবার) সকাল থেকেই তারেক রহমানের স্যালাইন চলছিল। তিনি ঠিকমতো কথা বলতে পারছিলেন না, দিনের বেশির ভাগ সময় শুয়েই কাটিয়েছেন। মাঝে মাঝে উপস্থিত লোকজনকে ডেকে তিনি নিজ দলের কাগজপত্র দেখিয়ে অভিযোগ করেন, নিবন্ধনের শর্ত পূরণ করা সত্ত্বেও ইসি তাদের নিবন্ধন দিচ্ছে না।
দুপুরে সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘ইসির পক্ষ থেকে একজন যুগ্ম সচিব এসেছিলেন আমার অনশন ভাঙাতে। কিন্তু নিবন্ধন না পাওয়া পর্যন্ত আমি এখান থেকে যাব না।’
গত ৫ নভেম্বর আমজনতা দল কেন নিবন্ধন পায়নি, তা জানিয়ে দলটিকে চিঠি দেয় ইসি। ইসি সচিবালয়ের উপসচিব মো. রফিকুল ইসলামের সই করা চিঠিতে বলা হয়, দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের তথ্য সঠিক আছে। তবে ২২টি জেলার মধ্যে ২টি জেলা এবং ১০০টি উপজেলার মধ্যে ৬৭টি উপজেলায় সঠিক ও কার্যকর অফিস থাকার তথ্য পাওয়া যায়নি। এসব উপজেলা অফিসে ২০০ জন ভোটার সদস্য থাকার তথ্যও পাওয়া যায়নি বলে চিঠিতে উল্লেখ করা হয়।
এদিকে, আমজনতা দলের নিবন্ধন নিয়ে ইসি নতুন করে ভাবছে কি না—জানতে চাইলে জ্যেষ্ঠ ইসি সচিব আখতার আহমেদ আজ সাংবাদিকদের বলেন, ‘কী হবে সেটা আপনারাই ভালো জানেন, আমরা কী বলব?’
তারেকের অনশনের ১২৫ ঘণ্টা পেরিয়ে যাওয়ার বিষয়টি নজরে আনা হলে ইসি সচিব বলেন, ‘৫২২ ঘণ্টা হলেও কিছু করার নেই। নির্বাচন কমিশন কি বিধিমালার বাইরে যেতে পারে? আপনি উত্তর পেয়ে গেছেন।’
পরে বিকেল ৩টার দিকে আখতার আহমেদ বলেন, আইনগতভাবে আমরা যেটুকু আমাদের দিক থেকে বলার, আমরা সেটা বলেছি চিঠির মাধ্যমে। এখন ওনারা আপিল করলে করতে পারেন এবং ঘাটতি যেগুলো আছে, সেগুলো পূরণ করে দিতে পারেন।
তিনি আরও বলেন, আপিল বা সংশোধনী বা পরিমার্জন, পরিবর্ধন, সময় বর্ধন—এগুলো তো একটা প্রচলিত প্রথা। সেটা নিশ্চয়ই ওনারা বিবেচনায় নেবেন এবং আমি আন্তরিকভাবে আবেদন করব যেন এই অনশন ভঙ্গ করে আমাদের আইনগতভাবে জিনিসটা সুরাহার দিকে নিয়ে যান।
৪৯ দিন আগে
বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে চীনে বিএনপির আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত
ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে বিএনপি’র বৃহত্তর চীন শাখার উদ্যোগে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
স্থানীয় সময় শুক্রবার (৭ নভেম্বর) চীনের গুয়াংজু শহরে এই আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
চায়না বিএনপির নেতা আসিফ হক রুপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন চায়না বিএনপির নেতা মো. সাখাওয়াত হোসেন কানন।
আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন চায়না বিএনপির নেতা শেখ মাহবুবুর রশীদ, ওয়ালী উল্লাহ ওয়ালী, হাসমত আলী মৃধা জেমস, এস এম আল-আমিন, সালাউদ্দিন রিক্তা ও এস এ শাহীন মল্লিকসহ আরও অনেকে।
অনুষ্ঠানে চীনে বসবাসরত শতাধিক বাংলাদেশি অংশগ্রহণ করেন।
সভাপতি মো. সাখাওয়াত হোসেন কানন তার বক্তব্যে বলেন, ‘৭ নভেম্বর না হলে আমরা শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানকে পেতাম না, হয়তো বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল (বিএনপি)-এর জন্মও হতো না। ৭ নভেম্বরের চেতনা বিএনপির জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ও তাৎপর্যপূর্ণ।’
অনুষ্ঠানের শেষে আয়োজকরা উপস্থিত সবাইকে ধন্যবাদ জানান।
৫০ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকারকে ‘গুপ্ত রাজনীতি’ সম্পর্কে সজাগ থাকতে হবে: তারেক রহমান
ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের কিছু সহযোগীর কর্মকাণ্ড দেশের অনেক মানুষের অধিকার ও সুযোগ ক্ষুণ্ন করছে উল্লেখ করে বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সতর্ক করেছেন যে, দেশ অস্থিতিশীল হলে অতীতে পরাজিত ও পলাতক ফ্যাসিবাদী শক্তির পুনরায় উত্থানের পথ সুগম হতে পারে।
শনিবার (৭ নভেম্বর) রাজধানীর ফার্মগেট কৃষিবিদ ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে ‘হিন্দু প্রতিনিধি সম্মেলন ২০২৫’-এ ভার্চুয়ালি যুক্ত হয়ে এসব কথা বলেন তিনি। মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্যজোট এ আলোচনা সভার আয়োজন করে।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তারেক রহমান বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে একটি জনগণের ভোটের মাধ্যমে তাদের প্রতি দায়বদ্ধ, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠায় বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। অবশ্যই কারো দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয়।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদী শাসনামলে ফ্যাসিবাদের রোষানল থেকে বাঁচতে ফ্যাসিবাদবিরোধীদের কেউ কেউ ‘গুপ্ত কৌশল’ অবলম্বন করেছিল। একইভাবে পতিত–পরাজিত ফ্যাসিবাদী অপশক্তিও বর্তমানে ‘গুপ্ত কৌশল’ অবলম্বন করে দেশের গণতন্ত্রে উত্তোরণের পথকে বাধাগ্রস্ত করে কিনা, সে ব্যাপারে সজাগ দৃষ্টি রাখতে হবে। ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনে রাজপথের আন্দোলনের সঙ্গী কারও কারও ভূমিকা দেশে ‘আপনার, আমার, আমাদের’ বহু মানুষের অধিকার ও সুযোগকে বিনষ্ট করার হয়ত একটি পরিস্থিতি তৈরি করছে।
তিনি আরও বলেন, গুপ্ত বাহিনীর সেই অপকৌশল থেকে রক্ষা পাওয়ার জন্য অন্যতম প্রধান কৌশল হচ্ছে, একটি ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় ঐক্য বজায় ও বহাল রাখা। সেজন্য বিএনপি অন্তর্বর্তী সরকার এবং ফ্যাসিবাদবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গীদের সহযোগিতা ও সমঝোতার দৃষ্টিভঙ্গি সমুন্নত রেখেছে বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে বিএনপি বরাবরই ‘একটি শান্তিকামী, সহনশীল, গণমুখী’ রাজনৈতিক দল বলে উল্লেখ করেন তারেক রহমান। তিনি বলেন, ভিন্ন দল, ভিন্ন মতের প্রতি ইতিবাচক দৃষ্টিভঙ্গি পোষণ করা, এটি বিএনপির রাজনৈতিক সংস্কৃতির অংশ। দেশের জনগণের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক ক্ষমতা নিশ্চিত করার স্বার্থেই বিএনপির রাজনীতি বলেও দাবি করেন তিনি।
বিএনপির এই শীর্ষ নেতা বলেন, ফ্যাসিবাদমুক্ত বাংলাদেশে জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনগণের প্রতি দায়বদ্ধ, জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক একটি গণতান্ত্রিক সরকার প্রতিষ্ঠাই বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের অন্যতম প্রধান কর্তব্য। অবশ্যই কারো দলীয় স্বার্থ বাস্তবায়ন করা এই সরকারের কাজ নয় এবং এই কারণেই বিএনপি এ সরকারের প্রতি কোনো রকম চাপ প্রয়োগ করার পরিবর্তে বরং ভিন্নমতের জায়গাগুলোতে নোট অব ডিসেন্ট, এটাকে বিএনপি ডিসেন্ট ওয়ে বলে মনে করে।
নির্বাচনে জয়ী হয়ে বিএনপি সরকার গঠন করলে স্বল্প আয়ের মানুষদের সহায়তার জন্য ৫০ লাখ ‘ফ্যামিলি কার্ড’ বিতরণ এবং তরুণদের জন্য চাকরির সুযোগ সৃষ্টি করা হবে বলে ঘোষণা করেন তারেক রহমান।
তিনি বলেন, ‘তরুণ জনগোষ্ঠীর কর্মসংস্থান নিশ্চিত করার জন্য তাদেরকে বিভিন্ন কারিগরি প্রশিক্ষণ এবং একই সঙ্গে বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ভাষাশিক্ষা দিয়ে দক্ষ জনশক্তিতে রূপান্তর করে দেশে এবং বিদেশে কাজের ব্যবস্থার পরিকল্পনা আমরা এর মধ্যে হাতে নিয়েছি।’
ছোট ও প্রান্তিক কৃষকদের স্বনির্ভর করে তুলতে ‘ফার্মার্স কার্ড’ দেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান তিনি।
বাংলাদেশে ধর্মীয় বিশ্বাস ও সাংস্কৃতিক বৈচিত্র্যের উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘বৈচিত্র্যের মধ্যেই ঐক্যের বন্ধনই আমাদের রাষ্ট্র এবং সমাজের সাংস্কৃতিক, সামাজিক ও রাজনৈতিক সৌন্দর্য।’ এই বৈচিত্র্যময় সমাজে ঐক্যসূত্র বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষের সমান অধিকারের কথা উল্লেখ করে তারেক রহমান বলেন, ‘বাংলাদেশের একজন নাগরিক হিসাবে এই বাংলাদেশে আপনার যতটুকু অধিকার, আমারও ঠিক ততটুকুই অধিকার। কারও বেশি, কারও কম, তা নয়।’ এ সময় তিনি হিন্দু সম্প্রদায়ের নেতাদের উত্থাপিত বিভিন্ন দাবি পূরণের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের আহ্বায়ক সোমনাথ সেন। হিন্দু সম্প্রদায়ের দাবিগুলো বিএনপি নেতাদের মাধ্যমে তারেক রহমানের কাছে তুলে ধরেন দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. আব্দুল মঈন খান, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, ইকবাল হাসান মাহমুদ, মতুয়া বহুজন সমাজ ঐক্য জোটের সদস্যসচিব কপিল কৃষ্ণ মণ্ডল, হিন্দু মহাজোটের মহাসচিব গোবিন্দ চন্দ্র প্রামাণিক, হিন্দু ফ্রন্টের চেয়ারম্যান বিজন কান্তি সরকার প্রমুখ।
৫০ দিন আগে
সংবিধানে গণভোট নেই: আমীর খসরু
বর্তমান সংবিধানে গণভোটের কোনো বিধান নেই উল্লেখ করে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, কথায় কথায় রাস্তায় নামার প্রবণতা থেকে রাজনৈতিক দলগুলোকে বিরত থাকতে হবে।
শনিবার (৮ নভেম্বর) দুপুরে রাজধানীর হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টালে আয়োজিত ‘জনতার ইশতেহার’ শীর্ষক এক ডায়লগে তিনি এ কথা বলেন।
আমীর খসরু বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার সংবিধানের আলোকে গঠিত হয়েছে এবং তারা এই সংবিধানের অধীনে শপথ নিয়েছেন। এই সংবিধানে গণভোটের কোনো ধারা নেই। ভবিষ্যতে সংসদের মাধ্যমে তা সংযোজনের উদ্যোগ নেওয়া যেতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘কথায় কথায় আপনি দাবি নিয়ে রাস্তায় যাবেন, সেটা হবে না। আপনাদের দাবি নিয়ে মাঠে যাবেন, এর বিপরীতে যদি দেশের সর্বোচ্চ রাজনৈতিক দল কর্মসূচি দেয় তাহলে সংঘর্ষ বাঁধবে না?’
রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে কেমন জানি একটা স্বৈরাচারী মনোভাব চলে আসছে মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘কনসেনসাসের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই। আমাদের ৩১ দফার অনেক বিষয় এখনো ঐক্যমতের মধ্যে আসেনি, কিন্তু তাই বলে কি আমি রাস্তায় নামবো? আমি জনগণের কাছে যাব।’
‘ঐক্যমতের বাইরে যাওয়ার সুযোগ নেই—এটাই বাস্তবতা। অধ্যায়টি আপাতত বন্ধ। নিজের চিন্তাভাবনা জনগণের ওপর চাপিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করবেন না। আপনি ক্ষমতায় এলে তারপর পরিবর্তনের উদ্যোগ নিন।’
চট্টগ্রামে সাম্প্রতিক এক হত্যাকাণ্ডের প্রসঙ্গে এই রাজনীতিক বলেন, ‘ঘটনাটি একটি দলের ছাত্র সংগঠনের সাবেক নেতাকর্মীদের অভ্যন্তরীণ কোন্দলের ফল। তবে যারা নির্বাচন পেছাতে চায়, তারাই এ ঘটনার পেছনে আছে কি না, তা নিয়ে আমাদের সন্দেহ রয়েছে।’
অর্থনৈতিক বিষয়ে কথা বলতে গিয়ে বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘বিএনপির সময়ে কখনো শেয়ারবাজারে ধস নামেনি, অর্থনীতি ছিল শক্তিশালী। আমরা প্রাইভেট সেক্টরকে অগ্রাধিকার দিতাম, এবং ভবিষ্যতেও তা করব। আমরা এমন ব্যবস্থা করব যাতে জনগণ ঘরে বসেই লাইসেন্স পেতে পারে। যত বেশি জনগণকে ক্ষমতায়ন করা যাবে, তত বেশি দেশের উন্নয়ন হবে। দলের ক্ষমতায়ন নয়, জনগণের ক্ষমতায়নই আসল লক্ষ্য।’
তিনি আরও বলেন করেন, ‘প্রাথমিক স্বাস্থ্যসেবা আমরা দেশের প্রত্যেক নাগরিকের দোরগোড়ায় পৌঁছে দেব। এটি হবে জনগণের অধিকার, দয়ার দান নয়।’
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম, জামায়াতে ইসলামীর সহকারী সেক্রেটারি জেনারেল হামিদুর রহমান আযাদ প্রমুখ।
৫০ দিন আগে
আবারও গণতন্ত্র ধ্বংসের চক্রান্ত হচ্ছে: মির্জা ফখরুল
জুলাই গণঅভ্যুত্থানের পর বাংলাদেশের রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে গণতন্ত্রকে আবারও ধ্বংস করার চক্রান্ত হচ্ছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর।
শুক্রবার (৭ নভেম্বর) জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস উপলক্ষে শহীদ রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের মাজারে শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাংবাদিকদের তিনি এই মন্তব্য করেন।
মির্জা ফখরুল বলেন, ‘গণঅভ্যুত্থানের পর আজকে বাংলাদেশে বিভিন্ন রকমভাবে একটা প্রচেষ্টা চলছে, একটা চক্রান্ত চলছে গণতন্ত্রকে আবারও ধ্বংস করার জন্যে।
‘এই মুহূর্তে ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসে আমাদেরকে সেই পথেই যেতে হবে, যে পথে সত্যিকার অর্থে আমরা বাংলাদেশে গণতান্ত্রিক রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব, একটা সমৃদ্ধ রাষ্ট্র নির্মাণ করতে পারব, জনগণের ভোটের অধিকারকে নিশ্চিত করতে পারব, বিচারের অধকারকে নিশ্চিত করতে পারব, সেই লক্ষ্যেই বাংলাদেশ এগিয়ে যাবে, বিএনপি এগিয়ে যাবে। আমরা সেই লক্ষ্যেই কাজ করে যাচ্ছি।’
৭ নভেম্বরের পটভূমি তুলে ধরে এই রাজনীতিক বলেন, ‘১৯৭৫ সালের এই দিনে বাংলাদেশের দেশপ্রেমিক সৈনিক এবং দেশপ্রেমিক মানুষ ঐক্যবদ্ধভাবে আধিপত্যবাদের চক্রান্তকে বানচাল করে দেয় এবং এই দেশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং মহানায়ক রাষ্ট্রনায়ক স্বাধীনতার ঘোষক শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান বীর উত্তমকে গৃহবন্দিদশা থেকে উদ্ধার করে নিয়ে এসে তাকে রাষ্ট্র পরিচালনার দায়িত্ব অর্পণ করা হয়। এটা ছিল বাংলাদেশের অগ্রগতির একটা টার্নিং পয়েন্ট।’
তিনি বলেন, জিয়াউর রহমান বহুদলীয় গণতন্ত্র, সংবাদপত্রের স্বাধীনতা, বিচার বিভাগের স্বাধীনতা ও এবং মুক্তবাজার অর্থনীতি চালুর মধ্য দিয়ে জিয়াউর রহমান বাংলাদেশের রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক রূপান্তরের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন।
এ সময় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমান উল্লাহ আমান, আবদুস সালাম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, আবদুস সালাম আজাদসহ মহানগর উত্তর বিএনপির আহ্বায়ক আমিনুল হক, দক্ষিণের আহ্বায়ক রফিকুল আলম মজনু, সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ অঙ্গসংগঠনের নেতারা উপস্থিত ছিলেন।
বিএনপির পুষ্পস্তবক অর্পণের পর মহানগর বিএনপি, মুক্তিযোদ্ধা দল, মহিলা দল, যুবদল, স্বেচ্ছাসেবক দল, ড্যাব, এ্যাব, ছাত্রদল, তাঁতী দল, মৎস্যজীবী দলসহ বিভিন্ন অঙ্গ-সংগঠনের নেতারা আলাদা আলাদাভাবে জিয়াউর রহমানের কবরে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।
৫২ দিন আগে
‘আমজনতার দল’ নিবন্ধনে তারেকের অনশনে বিএনপির সংহতি
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) পক্ষ থেকে অনশনরত তারেক রহমানের প্রতি পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব অ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, তারেক রহমান যে রাজনৈতিক দল গঠন করেছেন, সেই রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন অবশ্যই তার প্রাপ্য।
বৃহস্পতিবার (৬ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ের নির্বাচন ভবনের সামনে অনশনরত তারেক রহমানের প্রতি সংহতি জানাতে এসে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, ‘তারেকের রাজনৈতিক দল “আমজনতার দল”, তাদের নিবন্ধনের জন্য কমিশনে ইতোমধ্যে আবেদন করেছিলেন। সেই আবেদনটা গ্রাহ্য করা হয়নি। আমি দেখেছি, আরও গুরুত্বহীন কিছু সংগঠন আমার কাছে মনে হয়েছে, তারাও নিবন্ধিত হয়েছে। কিন্তু তারেকেরটা দেওয়া হলো না কেন—আমি এটা বুঝতে পারলাম না। তারেক এই দেশের স্বার্থে কথা বলেছে। আগ্রাসনের বিরুদ্ধে কথা বলেছে। বাংলাদেশের সার্বভৌমত্বের প্রশ্নে কথা বলেছে।’
তিনি বলেন, ‘সে একটি রাজনৈতিক দল গঠন করেছে এবং তার বৈধতার জন্য নির্বাচন কমিশনে আবেদন করেছে। সে কোনো গোপন রাজনৈতিক দল করতে চায়নি। সে আইনসম্মত রাজনৈতিক দল করতে চেয়েছে। যদি তার উদ্দেশ্য খারাপ থাকতো তাহলে গোপন রাজনৈতিক দল করে রাষ্ট্রবিরোধী অনেক কার্যকলাপ করতো। কিন্তু রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপতো করেইনি বরং রাষ্ট্রের স্বার্থে দেশের স্বার্থে স্বাধীনতার স্বার্থে গণতন্ত্রের স্বার্থে সে কথা বলেছে। কিন্তু তার নিবন্ধন দেওয়া হচ্ছে না...তাহলে আপনারা (ইসি) কাদের নিবন্ধন… আমি জানি না।’
বিএনপির জ্যেষ্ঠ এই নেতা বলেন, ‘কাউকে আমি ছোট করতে চাই না। কিন্তু তার যে চিন্তা এবং রাজনৈতিক যে সংগ্রাম এবং কর্মসূচি সেই অনুযায়ী সে রাজনৈতিক দল গঠন করেছে। সেই দলের নিবন্ধন অবশ্যই তার প্রাপ্য। ন্যায়সঙ্গত কারণে যে অনশন করছে... তার ৫০ ঘণ্টার অনশন, এই অনশন কর্মসূচির প্রতি আমি বিএনপির পক্ষ থেকে পূর্ণ সংহতি জ্ঞাপন করছি।’
২০১৮ সালে নুরুল হক নূর নেতৃত্বাধীন কোটা সংস্কার আন্দোলনের মাধ্যমে জাতীয় রাজনীতিতে তারেকের উত্থান ঘটে। পরে তিনি নূর গণঅধিকার পরিষদে যোগ দেন। দলটি ভেঙে দুই ভাগ হলে তারেক যান ড. রেজা কিবরিয়ার নেতৃত্বাধীন অংশে।
পরবর্তীতে দুই অংশ আবারও একীভূত হয়, তবে সেই সময় তারেক নতুন রাজনৈতিক প্ল্যাটফর্ম গঠনের সিদ্ধান্ত নেন।
এদিকে, গত ৪ নভেম্বর নির্বাচন কমিশন জাতীয় নাগরিক পার্টি (এনসিপি), বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দল (মার্কবাসী) ও ডেসটিনির রফিকুল আমীনের আম জনগণ পার্টিকে নিবন্ধন দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। অধিকতর তদন্তে বাদ পড়ে ১১টি দল। এরপর থেকেই ইসির ভবনের সামনে অনশন করছেন তারেক।
নিবন্ধন না দেওয়ার বিষয়ে নির্বাচন কমিশন বলছে, ইসির শর্ত অনুযায়ী দু’টি জেলা ও ৬৭টি উপজেলায় কার্যক্রম ও সক্রিয়তা না পাওয়ায় আমজনতা দলকে নিবন্ধন দেওয়া যায়নি। তবে সব জায়গার কার্যক্রম সক্রিয় আছে জানিয়ে তারেক অভিযোগ করেছেন, ইসির তদন্ত কর্মকর্তারা সঠিক প্রতিবেদন দেননি।
সংস্থাটির নির্বাচন সহায়তা শাখার উপসচিব মো. রফিকুল ইসলাম এই কারণ উল্লেখ করে এরই মধ্যে দলটির সভাপতি কর্নেল (অব.) মিয়া মশিউজ্জামানকে চিঠি দিয়েছেন।
চিঠিতে বলা হয়েছে, ২০ এপ্রিল আম জনতার দল আবেদন করলে দলের ব্যাংক হিসাব, তহবিলের উৎস, ৩৩ শতাংশ নারী অংশগ্রহণসহ প্রভৃতি তথ্য না থাকায় ১৫ জুলাই ঘাটতি পূরণের জন্য বলা হয়। দলটি সে অনুযায়ী সাড়া দেয়। তদন্তের পর অধিকতর যাচাই হয়। সে সময় নিবন্ধনের শর্ত মোতাবেক ২২টি জেলার মধ্যে দুটি জেলা কার্যালয় এবং ১০০টি উপজেলা কার্যালয়ের মধ্যে ৬৭টি কার্যালয় ও ২০০ ভোটার সমর্থক পাওয়া যায়নি।
এই অবস্থায় ‘রাজনৈতিক দল নিবন্ধন বিধিমালা, ২০০৮’-এর বিধি ৭-এর উপবিধি (৬) অনুযায়ী নির্বাচন কমিশন আম জনতার দল (এজেডি) নামীয় দলের আবেদন নামঞ্জুরপূর্বক নিষ্পত্তি করেছে।
৫২ দিন আগে
চট্টগ্রামে গণসংযোগ চলাকালে বিএনপির প্রার্থী গুলিবিদ্ধ, নিহত ১
চট্টগ্রামে বিএনপির নির্বাচনী প্রচারণা চলাকালে দুর্বৃত্তদের গুলিতে আহত হয়েছেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের বিএনপির প্রার্থী এরশাদ উল্লাহসহ ২ জন। এ ছাড়া সরোয়ার বাবলা নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।
বুধবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যায় নগরীর বায়োজিদ থানার পূর্ব বায়েজিদের হামজারবাগ (চালিতাতী) এলাকায় নির্বাচনী প্রচারণা চালানোর সময় তাদের ওপর গুলিবর্ষণ করে সন্ত্রাসীরা।
গুলিবিদ্ধ এরশাদ উল্লাহ চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক। আসন্ন ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে চট্টগ্রাম-৮ (বোয়ালখালী) আসনের জন্য তাকে মনোনীত করেছে বিএনপি।
আহত অপর ব্যক্তি নাম শান্ত। তিনি যুবদল নেতা বলে জানা গেছে। ঘটনার পর তাদের নগরীর এভারকেয়ার হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। বর্তমানে সেখানে তারা চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এদিকে, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপি বলছে, নিহত সরোয়ার তাদের দলের কেউ নন। জনসংযোগে শত শত লোক অংশ নিয়েছিলেন। তাদের মধ্যে কেউ একজন হতে পারেন তিনি।
তবে পুলিশ জানিয়েছে, সন্ত্রাসী সাজ্জাদ হোসেন ওরফে ছোট সাজ্জাদের সঙ্গে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে তার প্রতিপক্ষ সন্ত্রাসী সরোয়ার হোসেনকে গুলি করা হয়েছে।
বায়েজিদ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আরিফুর রহমান বলেন, কে বা কারা হামলা চালিয়েছে, তাৎক্ষণিকভাবে তা জানা যায়নি। গোলাগুলির ঘটনায় সেখানে ভয় ও উত্তেজনা ছড়ায়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
৫৩ দিন আগে