অন্যান্য
যৌথবাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ, সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জোনায়েদ সাকির
গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নূরের ওপর হামলার ঘটনার যথার্থ তদন্তের দাবি জানিয়েছেন গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী জোনায়েদ সাকি।
শনিবার (৩০ আগষ্ট) দুপুরে তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে গিয়ে আইসিইউতে চিকিৎসাধীন নূরের শারীরিক অবস্থার খোঁজখবর নেন তিনি।
পরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে সাকি বলেন, ‘আমরা এই হামলার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়েছি। গণঅধিকারের একটি কর্মসূচি শেষে নূর ও রাশেদ খান প্রেস ব্রিফিংয়ের অপেক্ষায় ছিলেন। সেই সময় পুলিশ ও যৌথবাহিনী কিভাবে হামলা করল এবং এর পেছনে কারা দায়ী, তা অবিলম্বে ও যথার্থভাবে তদন্ত করতে হবে।’
পড়ুন: নুরের জ্ঞান ফিরেছে, উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে জটিল রাজনৈতিক পরিস্থিতি বিরাজ করছে। বিচার, সংস্কার এবং নির্বাচন—এই তিনটি কাজ একসঙ্গে এগিয়ে নিতে হবে। কিন্তু নির্বাচন নিয়ে একটি অনিশ্চয়তা তৈরি করার চেষ্টা চলছে।
নুরুল হকের ওপর হামলার ঘটনায় সরকারের আনুষ্ঠানিক ব্যাখ্যা ও যথাযথ পদক্ষেপের দাবি জানান গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়কারী। তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদবিরোধী লড়াইয়ে ঐক্যবদ্ধ দলগুলোকে গণতান্ত্রিক রূপান্তর প্রক্রিয়াতেও ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। বিচার ও সংস্কারের প্রক্রিয়া কেউ ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারবে না। ঐক্যবদ্ধ থাকলে কোনো ষড়যন্ত্র সফল হবে না।
ব্রিফিংয়ে গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানসহ পরিষদ ও গণসংহতি আন্দোলনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
১২০ দিন আগে
গণঅধিকার পরিষদ সভাপতি নুরের উপর হামলা প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ
ঢাকায় গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি ও ডাকসুর সাবেক ভিপি নুরুল হক নুরের উপর হামলার প্রতিবাদে বরিশালে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ করেছে নেতাকর্মীরা।
শনিবার(৩০ আগস্ট) দুপুরে নগরীর অশ্বিনী কুমার হলের সামনে বরিশাল জেলা ও মহানগর গণঅধিকার পরিষদ এবং এনসিপির উদ্যোগে এই কর্মসূচি হয়। এরপর নেতাকর্মীরা নগরীতে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
এর আগে সংক্ষিপ্ত সভায় বক্তারা জাতীয় পার্টি, সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ বাহিনীর বিরুদ্ধে এই হামলার অভিযোগ করেন। এছাড়াও অন্তবর্তী সরকার ভেঙে দিয়ে জাতীয় সরকার গঠন এবং স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করে তারা।
বক্তব্য দেন বরিশাল জেলা গণঅধিকার পরিষদের প্রধান সমন্বয়ক আবু সাইদ মুসা, যুগ্ম সমন্বয়কারী আবেদ আহমেদ রনি ও সাইফুল ইসলাম মুন্সি, সদস্য নাজমুল হাসান ও আসিফ প্রমুখ।
পড়ুন: নুরের ওপর হামলার প্রতিবাদে ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে অবরোধ
বক্তারা বলেন, প্রথমে পুলিশ ও সেনা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর হামলা চালায়, তারপর জাতীয় পার্টি। ঘটনার সময় নুরুল হক নুর মাটিতে পড়ার পর লাল টি-শার্ট পরা এক যুবক বেধড়ক মারধর করে। এরপর ওই ব্যক্তিকে আটক করা হলেও ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাই এই ঘটনার দায়ে অবিলম্বে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টার পদত্যাগ দাবি করছি। এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত না হলে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেন বক্তারা।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে পালটাপালটি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। পরে গণধিকার পরিষদের কার্যালয়ের সামনে সংবাদ সম্মেলন করার প্রস্তুতির সময় নুরসহ নেতাকর্মীদের মারধর করেন আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। এতে গুরুতর আহত হন নুর। রক্তাক্ত অবস্থায় দলীয় নেতাকর্মীরা তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেন। তিনি এখনা ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসিইউতে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
১২০ দিন আগে
নুরের জ্ঞান ফিরেছে, উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন
যৌথবাহিনীর লাঠিপেটায় আহত গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুরের জ্ঞান ফিরেছে। তবে তার চিকিৎসায় ছয় উচ্চপর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল।
শনিবার (৩০ আগস্ট) সকালে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আসাদুজ্জামান সাংবাদিকদের জানান, নুরুল হকের মাথায় আঘাত রয়েছে। তার নাকের হাড় ভেঙে গেছে। যে কারণে গতকাল অতিরিক্ত রক্তক্ষরণ হয়েছিল। আগেই রক্তক্ষরণ বন্ধ হয়েছে ও জ্ঞান ফিরেছে। তবে ৪৮ ঘণ্টার আগে নুরুল হক আশঙ্কামুক্ত, সেটি বলা সম্ভব নয়।
নুরুল হকের চিকিৎসায় গতকাল শুক্রবার রাতেই সর্বোচ্চ পর্যায়ের মেডিকেল বোর্ড গঠন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
এদিকে সকাল ৭টায় নুরের ফেসবুক পেজে বলা হয়, ‘নুরুল হক নূরের ওপর গতরাতে হামলার পর এখন পর্যন্ত তিনি আইসিইউতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছেন, এখন তার কিছুটা হুঁশ ফিরেছে।’
ঢাকা মেডিকেলে নুরসহ গণঅধিকার পরিষদের পাঁচজন চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
আরও পড়ুন: কাকরাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মারধরে আহত নুরুল হক নুর
শুক্রবার সন্ধ্যায় কাকরাইলে নুরসহ তার দলের নেতাকর্মীরা যৌথবাহিনীর লাঠিপেটায় আহত হন। গণঅধিকার পরিষদের দাবি, তাদের মিছিলের পেছন থেকে হামলা করেছে জাতীয় পার্টি। অন্যদিকে জাতীয় পার্টির পাল্টা অভিযোগ, তাদের প্রধান কার্যালয়ে হামলা হয়েছে ওই মিছিল থেকে।
গণঅধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খানের ভাষ্য, তাদের মিছিলে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয় থেকে হামলা করা হয়। এর প্রতিবাদে মশাল মিছিল শেষে সংবাদ সম্মেলনের সময় পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা তাদের লাঠিপেটা করে। এতে তাদের শতাধিক নেতাকর্মী আহত হয়েছেন। নুরসহ আহতদের প্রথমে কাকরাইল ইসলামী ব্যাংক হাসপাতালে নেওয়া হয়। পরে রাতে নুরকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়। তার নাকে গুরুতর আঘাত রয়েছে।
এদিকে রাতে নুরকে দেখতে গিয়ে বিক্ষোভের মুখে পড়েন আইন উপদেষ্টা আসিফ নজরুল। ‘ভুয়া ভুয়া’ স্লোগান আর তেড়ে আসা নেতাকর্মীদের ক্ষোভের মুখে আসিফ নজরুল অনেকটা লুকিয়ে হাসপাতাল থেকে বের হন।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ মো. ফারুক বলেন, ‘উপদেষ্টা স্যার হাসপাতালে আসার পর কিছুটা উত্তেজনা তৈরি হয়। এরপর তিনি বাগান গেট দিয়ে বের হয়ে যান।’
নুরুল হক নুরের ওপর হামলার ঘটনায় নিন্দা জানিয়েছে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দল। রাতেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়, চট্টগ্রামসহ বিভিন্ন জায়গায় বিক্ষোভ দেখিয়েছে তার দলের নেতাকর্মী ও শিক্ষার্থীরা। শনিবারও বিক্ষোভ কর্মসূচি ঘোষণা করেছে তারা।
এদিকে শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাতে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে পোস্ট করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সেনাবাহিনী জানিয়েছে, রাত ৮টায় রাজধানীর কাকরাইল এলাকায় দুটি রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষ ও ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে। এ সময় বেশ কয়েকজন আহত হন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে সেনাবাহিনী ও পুলিশ মোতায়েন করা হয়। প্রথমে পুলিশ ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করে। তবে একপর্যায়ে সংঘর্ষ বেড়ে গেলে তারা সেনাবাহিনীর সহযোগিতা কামনা করে। পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে তাদের ওপর আক্রমণ চালানো হয় এবং এতে কয়েকজন সদস্য আহত হন।
‘ঘটনার শুরুতে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা উভয় পক্ষকে শান্ত থাকতে এবং শান্তিপূর্ণভাবে স্থান ত্যাগ করার জন্য ও দেশের বিদ্যমান আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল থেকে শান্তিপূর্ণ প্রক্রিয়ায় নিজেদের মধ্যে মতপার্থক্য দূর করার অনুরোধ জানায়। তবে বারবার অনুরোধ সত্ত্বেও কতিপয় নেতাকর্মীরা তা উপেক্ষা করে মব ভায়োলেন্সের মাধ্যমে পরিস্থিতি অশান্ত করার চেষ্টা করে।’
সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তারা সংগঠিতভাবে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ওপর আক্রমণ চালায় এবং আনুমানিক রাত ৯টার দিকে মশাল মিছিলের মাধ্যমে সহিংসতা আরও বৃদ্ধি করে। এ সময় তারা ইট-পাটকেল নিক্ষেপ করে এবং বিভিন্ন স্থাপনায় আগুন দেওয়ারও চেষ্টা চালায়। এছাড়াও বিজয়নগর, নয়াপল্টন ও তৎসংলগ্ন এলাকায় সাধারণ জনগণের চলাচল মারাত্মকভাবে ব্যাহত হয় এবং জনদুর্ভোগ বৃদ্ধি পায়। আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর শান্তিপূর্ণ সমাধানের সকল চেষ্টা তারা অগ্রাহ্য করে। ফলস্বরূপ, জননিরাপত্তা রক্ষার্থে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনী বল প্রয়োগে বাধ্য হয়। উল্লেখ্য, আজকের উদ্ভূত ঘটনায় সেনাবাহিনীর ৫ জন সদস্য আহত হয়।
‘সকল ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে সরকার জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করেছে। বাংলাদেশ সেনাবাহিনী সরকারের এই সিদ্ধান্ত পুনর্ব্যক্ত করছে এবং জনমনে স্বস্তি ও নিরাপত্তা আনয়নে সকল ধরনের মব ভায়োলেন্সের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান গ্রহণ করতে সদা প্রস্তুত রয়েছে। জননিরাপত্তা, আইনশৃঙ্খলা ও শান্তি বজায় রাখতে সেনাবাহিনী সর্বদা বদ্ধপরিকর,’ বলছে সেনাবাহিনী।
১২১ দিন আগে
কাকরাইলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর মারধরে আহত নুরুল হক নুর
কাকরাইলের আল রাজী কমপ্লেক্সের নিচে হামলার শিকার হয়েছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর। এ সময় তিনি গুরুতর আহত হন।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) রাত সাড়ে ৯টার দিকে জাতীয় পার্টির (জাপা) কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে। নুরুল হক নুরের ফেসবুক পেজে শেয়ার করা লাইভে দেখা যায়, তাকে গুরুতর আহত ও রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে নিয়ে যাচ্ছেন নেতাকর্মীরা।
এ সময় লাইভে বলতে শোনা যায়, সেখানে সংবাদ সম্মেলনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন নুরসহ অন্য নেতারা। আরেকটি ভিডিওতে দেখা যায়, পুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা নুরসহ নেতাকর্মীদের মারধর করছেন।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) রমনা বিভাগের উপকমিশনার মাসুদ আলম বলেন, আজ সন্ধ্যা সাড়ে ছয়টার দিকে গণঅধিকার পরিষদের একটি মিছিল কাকরাইলে জাপা কার্যালয়ের সামনে দিয়ে যাচ্ছিল। এ সময় জাপা কার্যালয় থেকে নেতাকর্মীরা বেরিয়ে আসেন। একপর্যায়ে দুই পক্ষের মধ্যে পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও ইটপাটকেল নিক্ষেপের ঘটনা ঘটে। আধঘণ্টা ধরে এ অবস্থা চলার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশ গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
রমনা থানার পুলিশ জানায়, সংঘর্ষকালে উভয় পক্ষের কয়েকজন আহত হন। এ সময় রাস্তায় যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আসার পর যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
১২১ দিন আগে
নির্বাচনী রোডম্যাপের পক্ষে ৯০ শতাংশ মানুষ মাঠে নেমে যাবে: ড. রেদোয়ান
জামায়াত পিআর পদ্ধতিসহ ভিন্ন কথা বলে দেশের মানুষকে বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে বলে মন্তব্য করেছেন লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি এলডিপির মহাসচিব ড. রেদোয়ান আহমেদ। তিনি বলেন, এভাবে বিভ্রান্তি তৈরি করে কোনো লাভ নেই। নির্বাচনী রোডম্যাপের পক্ষে ৯০ শতাংশ মানুষ মাঠে নেমে যাবে।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) কুমিল্লার চান্দিনায় রেদোয়ান আহমেদ কলেজের মমতাজ আহমেদ ভবন মাঠে পৌর এলডিপি’র ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন।
একই সময়ে নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না সাংবাদিকদের বলেন, রোডম্যাপ ঘোষণা হওয়ায় কমিশনের প্রতি মানুষের আস্থা এসেছে। পুলিশ ও প্রশাসনে যেসব দুর্বলতা রয়েছে সেগুলো রোডম্যাপ অনুযায়ী নির্বাচনের আগেই সরকার চাইলে সারিয়ে নিতে পারবে।
সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য দেন এলডিপি’র প্রেসিডিয়াম সদস্য লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) ড. চৌধুরী হাসান সারওয়ার্দী।
চান্দিনা পৌর এলডিপি সভাপতি অধ্যাপক গিয়াস উদ্দিন ভূইয়া’র সভাপতিত্বে অন্যদের মধ্যে বক্তবদে দেন কুমিল্লা উত্তর জেলা এলডিপি সভাপতি এ. কে. এম শামছুল হক মাস্টার, এলডিপি কেন্দ্রীয় কমিটির উপদেষ্টা অধ্যক্ষ মো. আবুল কাশেম, চান্দিনা উপজেলা এলডিপি সাধারণ সম্পাদক অধ্যক্ষ আবু তাহের, গণতান্ত্রিক যুবদল সাধারণ সম্পাদক জামশেদ আহমেদ জাকি প্রমুখ।
এর আগে জাতীয় সংগীত গেয়ে জাতীয় ও দলীয় পতাকার সঙ্গে পায়রা উড়িয়ে সম্মেলনের উদ্বোধন করেন অতিথিরা।
১২১ দিন আগে
পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়: মুফতি রেজাউল করীম
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের আমির মুফতি সৈয়দ মুহাম্মদ রেজাউল করীম বলেছেন, বিগত দিনে যারা দেশ পরিচালনা করেছে, তাদের শাসন আমরা দেখেছি। আমরা আমাদের সন্তানের লাশ দেখতে চাই না। ইতোমধ্যে সামনে কী হবে, তা আমরা অনুমান করতে পারছি। চাঁদার জন্য পাথর মেরে মানুষ হত্যা, লাশের ওপর নৃত্য করতে দেখেছি। নির্বাচন কমিশনে গিয়ে মারামারি করতেও দেখেছি।
মঙ্গলবার (২৬ আগস্ট) সন্ধ্যায় ৬ টার দিকে শরীয়তপুর কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশ আয়োজিত যুব সমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, নির্বাচন কমিশন পক্ষপাতদুষ্ট বক্তব্য দিচ্ছেন। সুতরাং পিআর পদ্ধতি ছাড়া সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। দেশের মানুষকে ধোঁকা দিয়ে বোকা বানানো যাবে না।
পড়ুন: আইন পরিবর্তন হলে পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হবে: সিইসি
শরীয়তপুর জেলা ইসলামী যুব আন্দোলনের সভাপতি মুহাম্মদ তারেক জামিলের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক ইউসুফ আবরারের সঞ্চালনায় সমাবেশে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইসলামী যুব আন্দোলন বাংলাদেশের কেন্দ্রীয় সভাপতি আতিকুর রহমান মুজাহিদ।
সমাবেশে আরও বক্তব্য দেন, ইসলামী যুব আন্দোলনের কেন্দ্রীয় সাংগঠনিক সম্পাদক এস এম আজিজুল হক, ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশের সভাপতি এস এম আহসান হাবিব।
১২৪ দিন আগে
নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে: নুরুল হক নূর
ডাকসুর সাবেক ভিপি ও গণঅধিকার পরিষদের (জিওপি) সভাপতি নুরুল হক নূর বলেছেন, নির্বাচনে টাকার খেলা বন্ধ করতে হবে। রাজনীতি হতে হবে জনগণের জন্য।
তিনি বলেন, ‘পুরানো দুর্বৃত্তায়নের রাজনীতি এদেশে আর চলবে না। জনগণের রাজনীতি করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে সবার ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে।’
শুক্রবার (২২ আগস্ট) যশোর টাউন হল মাঠে গণঅধিকার পরিষদের মহাসমাবেশে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
নূর আরও বলেন, রাজনৈতিক দলগুলোর মাঝে মতের ভিন্নতা থাকতে পারে, কিন্তু আওয়ামী লীগের প্রশ্নে সবার এক হতে হবে।
তিনি বলেন, সংস্কারের ক্ষেত্রে সব দলের মতের প্রতিফলন হয়নি, জুলাই ঘোষণাপত্র নিয়ে সব রাজনৈতিক দল মতৈক্যে পৌঁছাতে পারেনি, যা হতাশাজনক। পুরনো ব্যবস্থা দিয়ে নতুন রাষ্ট্র পরিচালনা সম্ভব না বলেও উল্লেখ করেন গণঅধিকার পরিষদের নেতা।
সমাবেশে সভাপতিত্ব করেন জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি এ.বি.এম আশিকুর রহমান। প্রধান বক্তা ছিলেন, সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুখপাত্র ও সিনিয়র সহ-সভাপতি ফারুক হাসান, সিনিয়র যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক হাসান আল মামুন, খুলনা বিভাগীয় সাংগঠনিক সম্পাদক আশিক ইকবাল ছিলেন।
অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন গণঅধিকার পরিষদের অর্থ সম্পাদক রাশিদুর রহমান নিউটন।
১২৮ দিন আগে
পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তে নির্বাচন হলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ অসম্ভব: নুর
পুরোনো রাজনৈতিক বন্দোবস্তের মধ্যে দিয়ে নির্বাচন হলে নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণ করা সম্ভব নয় বলে মন্তব্য করেছেন গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর
তিনি বলেন, ‘নির্বাচনে নতুন বন্দোবস্ত নিয়ে আমরা আলোচনা করছি, দ্বি-কক্ষ বিশিষ্ট সংসদ হবে, উচ্চ কক্ষ পিআর পদ্ধতিতে হবে। এই ভাবে আমাদের নতুন বন্দোবস্তের দিকে পর্যায়ক্রমে এগিয়ে যেতে হবে।’
শুক্রবার (২২ আগস্ট) দুপুরে গোপালগঞ্জের মুকসুদপুর উপজেলার কলেজ মোড়ে পথসভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন।
নুরুল হক নুর আরও বলেন, আপানারা দেখেছেন আমাদের সুযোগ ছিল, আমরা যদি সুবিধাবাদী রাজনীতি করতাম শেখ হাসিনার কেবিনেটে সবচেয়ে ভালো মন্ত্রী হতাম। শত সহস্র কোটি টাকার মালিক থাকতাম। আমরা সেটার সঙ্গে আপোষ করি নাই। আমরা মুখে যেটা বলেছি, অন্তরে সেটা ধারণ করেছি। আমরা বলেছি রাজনীতিকে জনগণের কাছে নিয়ে যেতে হবে, রাজনীতিকে জনগণের কাছে দায়বদ্ধ করতে হবে। তাই আপনাদেরকেও জনগণের প্রতিনিধিদেরকে নেতা বানাতে হবে।
তিনি বলেন, সম্প্রতি গোপালগঞ্জে এনসিপি এসে গোপালগঞ্জকে অপমান করেছে। বিচ্ছিন্ন ঘটনা ঘটিয়ে গোপালগঞ্জে প্রায় ১৮ হাজার লোককে আসামি করা হয়েছে। এই ১৮ হাজার পরিবারের দায়িত্ব এখন কে নেবে? আমরা হিংসাত্মক রাজনীতি করতে আসিনি। আমরা গোপালগঞ্জে এসেছি গোপালগঞ্জবাসীর সুখ-দুঃখের ভাগ নেওয়ার জন্য।
পড়ুন: এনসিপির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: নুর
গোপালগঞ্জ জেলা গণঅধিকার পরিষদের সভাপতি আল আমিন সরদারের সভাপতিত্বে ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র অধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অপু মুন্সির সঞ্চালনায় পথসভায় পথসভায় আরও বক্তব্য দেন, গন অধিকার পরিষদের সাধারণ সম্পাদক রাশেদ খান, ফরিদপুর বিভাগীয় গণঅধিকার পরিষদের সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট ফিরোজুর রহমান, উচ্চতর পরিষদের সদস্য শহিদুল ইসলাম, মাহফুজুর রহমান ও গোপালগঞ্জ জেলা ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি শেখ মোজাহিদ প্রমুখ।
১২৮ দিন আগে
জন্মদিনে খালেদা জিয়াকে প্রধান উপদেষ্টার ফুলেল শুভেচ্ছা
বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন অন্তবর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস।
শুক্রবার (১৫ আগস্ট) গুলশানে বিএনপির চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম বলেন, ‘বিকালে প্রধান উপদেষ্টা ম্যাডামের (খালেদা) জন্য ফুলের তোড়া পাঠিয়েছেন। তার কর্মকর্তারা এটা গুলশানের বাসভবনে নিয়ে এসেছেন।’
এদিন বিকাল ৪টায় প্রধান উপদেষ্টার একান্ত সচিব সজীব এম খায়রুল ইসলাম ও প্রধান উপদেষ্টা কার্যালয়ের পরিচালক মোহাম্মদ নাজমুল ইসলাম বিএনপি চেয়ারপারসনের একান্ত সচিব এ বি এম আব্দুস সাত্তারের কাছে ফুলের তোড়া হস্তান্তর করেন ।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য বেলায়েত হোসেন, মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান ও চেয়ারপারসনের কার্যালয়ের কর্মকর্তা মাসুদ রহমান।
পড়ুন: খালেদা জিয়াকে কারাগারে নির্যাতন: জড়িতদের বিচারের দাবি মির্জা আব্বাসের
এর আগে বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ঢাকাস্থ চীনা দূতাবাস চীনা রাষ্ট্রদূতের পক্ষ থেকে খালেদা জিয়ার জন্মদিনে শুভেচ্ছা জানিয়ে ফুলের তোড়া পাঠায়।
খালেদা জিয়া ১৯৪৫ সালের ১৫ আগস্ট দিনাজপুরে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে তিনবার দায়িত্ব পালন করেছেন এবং ১৯৯১ সালে দেশের প্রথম মহিলা প্রধানমন্ত্রী হন।
বিএনপি তার ৮১তম জন্মদিন উপলক্ষে নয়া পল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল এবং গুলশান অফিসে আরেকটি অনুষ্ঠান আয়োজন করেছে।
ঢাকায় কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে মূল অনুষ্ঠানের পাশাপাশি রাজধানীতে বিভিন্ন মসজিদে ও এতিমখানা-মাদ্রাসায় বিএনপি চেয়ারপার্সনের জন্মদিন উপলক্ষ্যে এই মিলাদ ও দোয়া মাহফিল হচ্ছে।
ঢাকা ছাড়াও সারাদেশে মহানগর, জেলা ও উপজেলা পর্যায়েও দলের চেয়ারপার্সনের আরোগ্য কামনায় খালেদার সুস্বাস্থ্য ও দীর্ঘ জীবন কামনায় এবং ১৯৭১ সালের মুক্তিযুদ্ধ, ১৯৯০ সালের গণতান্ত্রিক আন্দোলন ও ২০২৪ সালের গণআন্দোলনে শহীদদের শান্তির জন্য মিলাদ ও দোয়া মাহফিল আয়োজিত হয়েছে।
১৩৫ দিন আগে
এনসিপির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: নুর
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে বলে অভিযোগ করেছেন গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর।
সোমবার (৪ আগষ্ট) বিকাল সাড়ে ৪টার দিকে বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় (জাবি) ইউনিটের উদ্যোগে আয়োজিত এক প্রবন্ধ লিখনী প্রতিযোগিতার পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি একথা বলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের জহির রায়হান মিলনায়তনে একটি পুরষ্কার বিতরনী অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।
বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদের জাবি শাখার সভাপতি ইকবাল হোসেনের সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক নাজিরুল ইসলামের সঞ্চালনায় বক্তারা বলেন, আগামী নির্বাচনের আগেই প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে লেভেল প্লেয়িং ফিল্ড নিশ্চিত করতে হবে এবং একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন আয়োজন করতে হবে।
এ সময় নুরুল হক নূর বলেন, ‘ফ্যাসিবাদী হাসিনার পতনের পর এনসিপি প্রতিশ্রুতি দিলেও তারা তা ভেঙেছেন। নিজেদের দল গঠনের পর তারা রাজনৈতিক সুবিধা আদায়ের চেষ্টা করেছেন এবং এখনও করছেন।’
তিনি ২০২৪ সালের আন্দোলনের সময় জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের অবদানের কথা শ্রদ্ধার সঙ্গে স্মরণ করে বলেন, বিগত জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের ভূমিকা ভূয়সী প্রশংসার দাবি রাখে।
জুলাই ঐক্য নষ্টের জন্য এনসিপিকে দায়ী করেন নুর।
তিনি আরও বলেন, আমরা এমন একটি বাংলাদেশ কল্পনা করি যেখানে কোনও বৈষম্য থাকবে না। এ ছাড়াও দেশের বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে দ্রুত ছাত্র সংসদ নির্বাচন আয়োজনের দাবি জানান তিনি।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মাঝে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপউপাচার্য (শিক্ষা) অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাহফুজুর রহমান এবং উপউপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. সোহেল আহমেদ প্রমুখ।
১৪৬ দিন আগে