আইনশৃঙ্খলা
শুক্রবার থেকে যমুনা ও সচিবালয় সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
বাংলাদেশ সচিবালয়, প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও আশপাশের এলাকায় যেকোনো সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল ও শোভাযাত্রা নিষিদ্ধ করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বুধবার (৬ আগস্ট) দুপুরে ডিএমপি কমিশনার শেখ মো. সাজ্জাত আলীর সই করা এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়েছে।
এতে বলা হয়, বাংলাদেশ সচিবালয় (সংলগ্ন এলাকাসহ) এবং প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনা ও পার্শ্ববর্তী এলাকায় (হোটেল ইন্টারকন্টিনেন্টাল ক্রসিং, কাকরাইল মসজিদ ক্রসিং, অফিসার্স ক্লাব ক্রসিং ও মিন্টু রোড ক্রসিং এর মধ্যবর্তী এলাকা) যেকোনো প্রকার সভা, সমাবেশ, গণজমায়েত, মিছিল, মানববন্ধন, অবস্থান ধর্মঘট, শোভাযাত্রা ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।
পড়ুন: অন্তর্বর্তী সরকারের এক বছরে বাধ্যতামূলক অবসরে ২৯ কর্মকর্তা, পদোন্নতি পেয়েছেন ১৫৪৯ জন
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশ ১৯৭৬’র ২৯ ধারায় বর্ণিত অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী শুক্রবার (৮ আগস্ট) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই আদেশ বহাল থাকবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে।
এর আগেও চলতি বছরের ১০ মে ডিএমপি যমুনা ও সচিবালয় সংলগ্ন এলাকায় সভা-সমাবেশে নিষেধাজ্ঞা জারি করেছিল।
১৪৪ দিন আগে
হাসনাত, সারজিস, জারাসহ এনসিপির পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) মুখ্য সমন্বয়ক হাসনাত আবদুল্লাহ, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারাসহ দলটির শীর্ষ পাঁচ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৬ আগস্ট) এনসিপির যুগ্ম সদস্যসচিব (দপ্তর) সালেহ উদ্দিন সিফাত স্বাক্ষরিত পৃথক পাঁচটি বিজ্ঞপ্তিতে এই নোটিশ দেওয়া হয়।
নোটিশে বলা হয়েছে, ৫ আগস্ট ‘জুলাই অভ্যুত্থান দিবস’ রাষ্ট্রীয়ভাবে পালিত হওয়ার দিনে উপস্থিত না থেকে ওই পাঁচ নেতা ব্যক্তিগত সফরে কক্সবাজারে যান। তবে এই সফরের বিষয়ে তারা দলের রাজনৈতিক পর্ষদকে কোনো তথ্য কিংবা ব্যাখ্যা দেননি।
আরও পড়ুন: এনসিপির প্রতি অন্তর্বর্তী সরকার পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছে: নুর
এ কারণে এনসিপির মুখ্য সমন্বয়ক নাসিরউদ্দীন পাটোয়ারী, মুখ্য সংগঠক (উত্তরাঞ্চল) সারজিস আলম, মুখ্য সংগঠক (দক্ষিণাঞ্চল) হাসনাত আবদুল্লাহ, জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সদস্যসচিব তাসনিম জারা এবং যুগ্ম আহ্বায়ক খালেদ সাইফুল্লাহকে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
নোটিশে বলা হয়, রাষ্ট্রীয় গুরুত্বপূর্ণ দিবসে উপস্থিত না থেকে কক্সবাজার সফরের সিদ্ধান্তের কারণ ও প্রেক্ষাপট সম্পর্কে লিখিত ব্যাখ্যা দিতে হবে। আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে তাঁদের এনসিপির আহ্বায়ক নাহিদ ইসলাম এবং সদস্যসচিব আখতার হোসেনের সামনে সশরীরে হাজির হয়ে এ ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
১৪৪ দিন আগে
প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে মেয়েকে হত্যা, বাবাসহ ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
কিশোরগঞ্জের করিমগঞ্জে প্রতিপক্ষকে ফাঁসাতে নিজ মেয়ে মীরা আক্তার আছমাকে হত্যার দায়ে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাদের প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে জরিমানা করা হয়েছে।
বুধবার (৬ জুলাই) দুপুরে আসামিদের অনুপস্থিতিতে কিশোরগঞ্জের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মুহাম্মদ নুরুল আমিন বিপ্লব এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন— করিমগঞ্জ উপজেলার ভাটিয়া গ্রামের জহিরকোনা এলাকার নিহত মীরা আক্তার আছমার বাবা আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আঙ্গুর মিয়া, চাচা খুরশিদ মিয়া ও চাচাতো ভাই সাদেক মিয়া।
এই ঘটনায় অপর আসামি আছমার মা মোছা. নাজমুন্নাহারকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
মামলার বিবরণে জানা যায়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য আনোয়ারুল ইসলাম ওরফে আঙ্গুর মিয়া, খুরশিদ মিয়া, সাদেক মিয়া ও নাজমুন্নাহার দীর্ঘদিন ধরে পরিকল্পনা করছিল।
আরও পড়ুন: যশোরে ইজিবাইক চালক হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
২০১৬ সালের ১০ অক্টোবর রাতে আনোয়ারুল ইসলাম তার বাড়ির পাশে নুরুল ইসলামের পতিত জমিতে বাঁশঝাড়ের নিছে অপর আসামিদের সঙ্গে নিয়ে পরিকল্পিতভাবে তার নিজ মেয়ে আছমাকে জবাই করে হত্যা করে। হত্যার পরে আসামিরা প্রতিপক্ষের নামে করিমগঞ্জ থানা একটি হত্যা মামলা করে।
তবে মামলার তদন্তে বের হয়, প্রতিপক্ষকে ফাঁসানোর জন্য মামলার বাদীরাই তাদের মেয়েকে গলা কেটে হত্যা করে। পরে করিমগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) অলক কুমার দত্ত বাদী হয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন। ওই মামলার দীর্ঘ শুনানি শেষে আজ ৬ আগস্ট এই রায় দেন আদালত।
আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন অনামিকা রেজা রোজি ও রাষ্ট্রপক্ষে আইনজীবী ছিলেন এপিপি মাজহারুল ইসলাম।
১৪৪ দিন আগে
মিঠামইনে ডিবি হারুনের ফুপা আ. লীগ নেতা ওমর ফারুক গ্রেপ্তার
কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনায় সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের ফুপা ও আওয়ামী লীগ নেতা ওমর ফারুককে (৫৮) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৪ আগস্ট) ৮টার দিকে ওমর ফারুক চৌধুরীকে তার মিঠামইন সদর ইউনিয়নের ইসলামপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করে মিঠা মইন পুলিশ।
সূত্র জানায়, গত বছর কিশোরগঞ্জে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্র-জনতার মিছিলে হামলার ঘটনায়, চলতি বছর ৮ ফেব্রুয়ারি কিশোরগঞ্জ সদর থানায় দায়ের করা একটি মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ওমর ফারুক চৌধুরী।
আরও পড়ুন: হিন্দুপল্লিতে হামলার উসকানি: গ্রেপ্তার সাংবাদিক ৩ দিনের রিমান্ডে
সোমবার(৪ আগস্ট) রাত ৮টার দিকে গ্রেপ্তার করে তাকে কিশোরগঞ্জ সদর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে।
ওমর ফারুক চৌধুরী মিঠামইন সদর ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য ও সাবেক ডিবিপ্রধান হারুন অর রশীদের ফুপা।
এই সত্যতা নিশ্চিত করেন মিঠামইন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আলমগীর কবীর।
১৪৫ দিন আগে
খুলনায় ৪৮ ঘণ্টায় ৩ খুন, পুলিশের দাবি ‘টার্গেট কিলিং’
খুলনায় গত শুক্রবার রাত থেকে পরবর্তী ৪৮ ঘণ্টায় তিনজন খুন এবং একজন গুলিবিদ্ধ হওয়ার ঘটনা ঘটেছে। হত্যাকাণ্ড যারা ঘটিয়েছেন তারা চিহ্নিত সন্ত্রাসী বলে দাবি উঠলেও ধরাছোঁয়ার বাইরে থেকে যাচ্ছেন তারা।
এসব হত্যাকাণ্ডকে ‘টার্গেট কিলিং’ বলে অভিহিত করেছে পুলিশ। তবে এসব হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত কেউ গ্রেপ্তার না হওয়ায় এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। নিজেদের নিরাপত্তা নিয়ে শঙ্কিত হয়ে পড়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।
পুলিশসহ স্থানীয় একাধিক সূত্রে জানা গেছে, গত শুক্রবার (১ আগস্ট) রাতে নিজ বাড়িতে দুর্বৃত্তের ছুরিকাঘাতে খুন হন সোনাডাঙ্গা থানাধীন সবুজবাগ এলাকার মনোয়ার হোসেন টগর নামের এক যুবক। দুর্বৃত্তরা ওই রাতে টগরের বাড়ির দরজার কড়া নেড়ে তার সঙ্গে ৫ মিনিট ধরে কথোপকথনের একপর্যায়ে বুকে ছুরিকাঘাত করে তাকে হত্যা করে।
পরে বাড়ির আশপাশের সিসিটিভি ফুটেজ সংগ্রহ করে আসামিদের শনাক্ত করতে পারলেও তাদের গ্রেপ্তার করতে পারেনি পুলিশ। এ ঘটনায় টগরের বাবা জামাল হাওলাদার সাত আসামির নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাতনামা আরও চার-পাঁচজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা করেন।
পুলিশ ও সবুজবাগ এলাকার স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তির সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, টগর স্থানীয় কয়েকজন সন্ত্রাসী ও মাদক কারবারির সঙ্গে চলাফেরা করতেন। পরিবারের পক্ষ থেকে সন্ত্রাসী কার্যকালাপ থেকে দুরে থাকার জন্য তাকে বারবার বলা হলেও সে কর্ণপাত করেননি।
ঘটনার দিন রাতে তিনটি মোটরসাইকেলযোগে সাতজন ব্যক্তি তাদের বাড়িতে প্রবেশ করেন। তারা সবাই টগরের পরিচিত বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ঘের ব্যবসায়ীকে গলাকেটে হত্যা
স্থানীয় সূত্রে আরও জানা যায়, টগরের কাছে ওই সন্ত্রাসীরা টাকা পেত। সেই টাকা পরিশোধের জন্য সন্ত্রাসী একটি গ্রুপ তাকে প্রায়ই চাপ দিত। সেই টাকা পরিশোধ না করায় টগরকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়।
সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম নিহত টগরের স্ত্রীর বরাত দিয়ে বলেন, টগর আগে খুলনার শীর্ষ সন্ত্রাসী গ্রেনেড বাবুর ‘বি’ কোম্পানির সদস্য ছিলেন। পরে তিনি পলাশ-কালা লাভলুর গ্রুপে যোগ দেন। মাদক কারবারের টাকা নিয়ে সন্ত্রাসীরা তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করে। হত্যাকাণ্ডে অংশ নেওয়া দুর্বৃত্তরা নিজেদের ব্যবহৃত মোবাইল ফোন বন্ধ রাখায় তাদের অবস্থান শনাক্ত এবং গ্রেপ্তার করা সম্ভব হচ্ছে না।
এদিকে সেদিনই শেষ রাতের দিকে দিঘলিয়া উপজেলার বারাকপুর গ্রামে খুন হন ভ্যানচালক আলামিন সিকদার।
ঘটনা প্রসঙ্গে থানার ওসি এইচ এম শাহীন বলেন, স্ত্রী রিপা বেগমের দ্বিতীয় স্বামী ছিলেন আলামিন সিকদার। প্রথম স্বামী আসাদুলের সঙ্গে ছাড়াছাড়ি হওয়ার কারণে আলামিন রিপাকে বিয়ে করেন। আর এর জেরে ভোরে ঘর থেকে ডেকে নিয়ে হত্যা করা হয় আলামিনকে।
নিহতের ভাই ফারুক সিকদার এ ঘটনায় আসাদুলের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতপরিচয় আরও দুই-তিনজনের বিরুদ্ধে থানায় হত্যা মামলা করেন। ওসি জানান, আসাদুলকে গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে।
অন্যদিকে, রবিবার (৩ আগস্ট) রাত পৌনে ৮ টার দিকে নগরীর ২ নম্বর কাস্টমঘাট এলাকার একটি সেলুনের সামনে অবস্থান নেওয়া যুবক সোহেলকে লক্ষ্য করে গুলি করে সন্ত্রাসীরা। মোটরসাইকেলযোগে আসা সন্ত্রাসীদের মাথায় হেলমেট এবং মুখ ঢাকা ছিল। সন্ত্রাসীদের ছোড়া একটি গুলি সোহেলের পেটে বিদ্ধ হয়। তিনি বর্তমানে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন।
এ প্রসঙ্গে খুলনা উপ-পুলিশ কমিশনার (দক্ষিণ) মো: আবু তারেক বলেন, ‘এ ঘটনায় থানায় এখন পর্যন্ত কোনো মামলা হয়নি। আমরা বিভিন্নস্থান থেকে বিভিন্ন ধরনের তথ্য পাচ্ছি। সেগুলো যাচাই-বাছাই করে আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালানো হচ্ছে। রাতে শহরের নিরাপত্তার জন্য বিভিন্ন স্থানে টহল বাড়ানো হয়েছে। স্পর্শকাতর স্থানে চেকপোষ্ট বসানো হয়েছে। আমাদের অভিযানের নেতৃত্ব দিচ্ছেন কেএমপি পুলিশ কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার।’
একই রাতে নগরীর মহেশ্বরপাশা উত্তর বণিকপাড়া এলাকার খানাবাড়ির সামনে গলা কেটে হত্যা করা হয় ঘের ব্যবসায়ী আলামিনকে। ঘটনার ১২ ঘণ্টার বেশি সময় অতিবাহিত হলেও এ ঘটনায়ও পুলিশ এখন পর্যন্ত কাউকে গ্রেপ্তার করতে পারেনি।
দৌলতপুর থানার ওসি মীর আতাহার আলী বলেন, সোমবার (৪ আগস্ট) সকালে নিহতের ভাই আওলাদ হোসেন বাদী হয়ে অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা করেছেন।
তিনি জানান, ঘটনাস্থলে আশপাশের সিসি ক্যামেরাগুলো নষ্ট থাকায় খুনিদের শনাক্ত করা সম্ভব হচ্ছে না। ঘটনার রাতেই আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশ অভিযান চালিয়েছে।
আরও পড়ুন: খুলনায় ভ্যানচালককে কুপিয়ে হত্যা
এদিকে গত কয়েকমাস ধরে খুন, রাহাজানিসহ সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড বৃদ্ধি পাওয়ায় গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন খুলনা নাগরিক সমাজের সদস্য সচিব আ্যাডভোকেট বাবুল হাওলাদার।
তিনি বলেন, ‘গত বছর রাজনৈতিক পট পরিবর্তন হওয়ার পর অনেক চিহ্নিত সন্ত্রাসী জেল থেকে বেরিয়ে গেছে। লুট হওয়া অস্ত্রও উদ্ধার হয়নি। তাদের গ্রেপ্তার এবং অবৈধ অস্ত্র উদ্ধার করতে হবে। এ ছাড়া রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর পুলিশ প্রশাসনের কাঠামো ভেঙে পড়েছে। বর্তমান অর্ন্তবর্তী সরকার তাদেরকে কাউন্সিলের মাধ্যমে মনোবল ফিরিয়ে আনতে ব্যর্থ হয়েছে। পুলিশের কার্যক্রম যেন দায়সারা। সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড রুখতে পুলিশকেই দায়িত্ব নিতে হবে।’
সার্বিক বিষয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) সহকারী পুলিশ কমিশনার (মিডিয়া) খন্দকার হোসেন আহম্মদ বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডগুলো টার্গেট কিলিং। পুলিশের একার পক্ষে এসব নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব নয়। বিভিন্ন সময় খুনিদের গ্রেপ্তার করা হয়, কিন্তু আদালতের মাধ্যমে তাদের আবারও জামিন হয়ে যায়।’
১৪৬ দিন আগে
হিন্দুপল্লিতে হামলার উসকানি: গ্রেপ্তার সাংবাদিক ৩ দিনের রিমান্ডে
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাতপুর ছয়আনি হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় গ্রেপ্তার সাংবাদিক হাবিবুর রহমান সেলিমের জামিন আবেদন বাতিল করে তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (৪ আগস্ট) দুপুরে রংপুর জজকোর্টের গংগাচড়া আমলী আদালতের সিনিয়র জুডিসিয়াল-১ এর বিচারক কৃষ্ণ কমল রায় আদালতে এ আদেশ দেন বলে নিশ্চিত করেছেন কোর্ট পরিদর্শক আমিনুল ইসলাম।
আমিনুল ইসলাম জানান, পুলিশ ৫ দিনের রিমান্ড আবেদন করলে আদালত তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে কঠোর নিরাপত্তার মাধ্যমে ওই সাংবাদিককে জেলখানায় পাঠানো হয়।
অভিযুক্ত সাংবাদিক রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক হাবিবুর রহমান সেলিম।
জানা গেছে, গ্রেপ্তার হওয়া সাংবাদিক হাবিবুর রহমান সেলিম তার ফেসবুক পেজে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণকে সরাসরি উসকানি দিয়ে উত্তেজিত করার তথ্য প্রমাণ পেয়েছে পুলিশ। এ অভিযোগে শনিবার(২ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৩টার দিকে রংপুর সদরের হরিদেবপুর ইউনিয়নের গোকুলপুর চওড়াপাড়ায় নিজ বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে গংগাচড়া থানায় হস্তান্তর করে সেনাবাহিনী।
পড়ুন: হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের উসকানি, সাংবাদিক গ্রেপ্তার
ঘটনার বিবরণে জানা যায়, ফেসবুকে মহানবী হজরত মোহাম্মদকে (সা.) নিয়ে কটূক্তির অভিযোগকে কেন্দ্র করে রংপুরের গংগাচড়া উপজেলার বেতগাড়ী ইউনিয়নের আলদাদপুর বালাপাড়া গ্রামের হিন্দু পাড়ায় অজ্ঞাত লোকজন ভাঙচুর, লুটপাট ও হামলা চালায়। ওই হামলায় অন্তত ২২টি বসতঘর ভাঙচুর ও লুটপাটের শিকার হয়েছিল।
পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলে সংঘর্ষ বাধে। এতে পুলিশের এক কনস্টেবল গুরুতর আহত হন। এ ঘটনায় ২৯ জুলাই রবীন্দ্রনাথ রায় (৫৫) বাদী হয়ে গংগাচড়া মডেল থানায় হাজারের অধিক অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে মামলা দায়ের করেন।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, তিনি আলদাতপুর হিন্দুপল্লিতে হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলাকারীদের সরাসরি উসকানি দিয়েছেন।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ও গংগাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল ইমরান জানান, গ্রামের হিন্দু পাড়ায় হামলার ঘটনায় সাংবাদিকসহ এ পর্যন্ত ৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অন্যদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
১৪৬ দিন আগে
রাজধানীতে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উদযাপন উপলক্ষে ট্রাফিক নির্দেশনায় যা আছে
রাজধানীর মানিক মিয়া এভিনিউয়ে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ মঙ্গলবার দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ড্রোন শো উপলক্ষে যান চলাচল নিয়ন্ত্রণে নির্দেশনা জারি করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
সোমবার (৪ আগস্ট) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, মঙ্গলবার সকাল ১১টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত মানিক মিয়া এভিনিউয়ে সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে ‘জুলাই গণঅভ্যুত্থান দিবস’ উপলক্ষে দিনব্যাপী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ড্রোন শো অনুষ্ঠিত হবে।
অনুষ্ঠানমালায় সকাল ১১টা থেকে পৌনে ৫টা পর্যন্ত বিভিন্ন শিল্পীগোষ্ঠীর সংগীত পরিবেশনা, বেলা ২টা ২৫ মিনিট থেকে ফ্যাসিস্টের পলায়ন উদযাপন, বিকাল ৫টা থেকে ঐতিহাসিক জুলাই ঘোষণাপত্র পাঠ, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় বিশেষ ড্রোন শো এবং রাত ৮টা থেকে আর্টসেল পরিবেশনা।
এ অনুষ্ঠানমালা উপলক্ষে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া এভিনিউয়ে অতিরিক্ত জনসমাগমের কারণে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার নির্দেশনা জারি করেছে ডিএমপি।
নির্দেশনার আলোকে আড়ং ক্রসিং (মানিক মিয়া এভিনিউ এর পশ্চিম প্রান্ত) মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত অথবা মোহাম্মদপুর থেকে আসাদগেইট হয়ে আগত খেজুর বাগান/ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহনসমূহ আড়ং ক্রসিংয়ে বামে মোড় না নিয়ে সোজা দক্ষিণ দিকে ধানমন্ডি-২৭ এর পূর্ব প্রান্ত হয়ে মিরপুর রোডে চলাচল করবে।
এছাড়া মিরপুর রোডের দক্ষিণ দিক হতে (সায়েন্স ল্যাব ক্রসিং হতে) আগত খেজুর বাগান/ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহনসমূহ আড়ং ক্রসিংয়ে ডান দিকে মোড় না নিয়ে সোজা উত্তরে গিয়ে গণভবন ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং হয়ে চলাচল করবে।
খেজুর বাগান ক্রসিং (মানিক মিয়া এভিনিউয়ের পূর্ব প্রান্ত) এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হতে ইন্দিরা রোড হয়ে আগত ধানমন্ডিগামী যানবাহনসমূহ খেজুর বাগান ক্রসিংয়ে সোজা মানিক মিয়া এভিনিউয়ে না গিয়ে ডানে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে লেক রোড হয়ে গণভবন ক্রসিংয়ে বামে মোড় নিয়ে মিরপুর রোড হয়ে সোজা দক্ষিণে ধানমন্ডির দিকে যাবে।
তবে, অনুষ্ঠান চলাকালীন যানজট/দুর্ভোগ এড়াতে এলিভেটেড এক্সপ্রেসওয়ে হতে ধানমন্ডি/মোহাম্মদপুরগামী যানবাহনসমূহকে ফার্মগেট এক্সিট র্যাম্প ব্যবহারের পরিবর্তে এফডিসি (হাতিরঝিল) র্যাম্প ব্যবহারের জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
ফার্মগেইট ক্রসিং: ফার্মগেট হতে খেজুর বাগান/মানিক মিয়া এভিনিউ/মিরপুর অভিমুখী যানবাহনসমূহ ফার্মগেট থেকে বামে মোড় না নিয়ে সোজা বিজয় সরণী গিয়ে বামে মোড় নিয়ে উড়োজাহাজ ক্রসিং/লেক রোড হয়ে চলাচল করবে।
গণভবন ক্রসিং: মিরপুর রোড হয়ে উত্তর দিক থেকে আগত ফার্মগেট/সোনারগাঁও অভিমুখী যানবাহনসমূহ গণভবন ক্রসিংয়ে সোজা দক্ষিণ দিকে যাওয়ার পরিবর্তে বামে মোড় নিয়ে লেকরোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে ফার্মগেট এর দিকে গমন করবে।
এছাড়া মোহাম্মদপুর থেকে আসাদগেইট হয়ে খেজুর বাগান/ফার্মগেট অভিমুখী যানবাহনসমূহ আসাদগেইট ক্রসিংয়ে ডানে মোড় না নিয়ে বামে মোড় নিয়ে গণভবন ক্রসিংয়ে ডানে মোড় নিয়ে লেক রোড-উড়োজাহাজ ক্রসিং-বিজয় সরণি ক্রসিং হয়ে চলাচল করবে।
আগারগাঁও হতে শিশু মেলা পর্যন্ত সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সড়ক এর ব্যবহার : মানিক মিয়া এভিনিউ হয়ে চলাচলকারী যানবাহনসমূহকে আগামীকাল আগারগাঁও হতে শিশু মেলা পর্যন্ত সৈয়দ মাহবুব মোর্শেদ সড়ক ব্যবহার করে চলাচল করতে অনুরোধ করেছে ডিএমপি।
পার্কিং সংক্রান্ত নির্দেশনা: আগামীকাল অনুষ্ঠানে নিজস্ব/ভাড়াকৃত যানবাহনসহ আগত দর্শনার্থীদের যানবাহনসমূহ আগারগাঁও পুরাতন বাণিজ্য মেলার মাঠে পার্কিং করার জন্য অনুরোধ করা হয়েছে।
সকল যানবাহন চালকদের আগামী ৫ আগস্ট যানজট এড়ানোর লক্ষ্যে জাতীয় সংসদ ভবন এলাকা ও মানিক মিয়া এভিনিউয়ের নিকটবর্তী সড়কসমূহ এড়িয়ে উল্লিখিত নির্দেশনা অনুযায়ী চলাচলের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ করা হয়েছে।
১৪৬ দিন আগে
যশোরে ইজিবাইক চালক হত্যা মামলায় ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড
মাগুরার শালিখার হরিশপুর গ্রামের ইজিবাইক চালক আল আমিন হত্যা মামলায় তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন যশোরের একটি আদালত। একই সঙ্গে অপর এক আসামিকে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৩ আগস্ট) বিকালে যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ দ্বিতীয় আদালতের বিচারক জয়ন্তী রাণী দাস এ রায় ঘোষণা করেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন মামলার অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি (এপিপি) এসএম আব্দুর রাজ্জাক।
মৃত্যুদণ্ড পাওয়া দুই আসামি হলেন— শালিখা উপজেলার রামপুর গ্রামের জাহাঙ্গীর খানের ছেলে জুয়েল খান, একই এলাকার সেলিম হোসেনের ছেলে হারুন অর রশিদ এবং যশোর সদর উপজেলার মথুরাপুর গ্রামের হযরত আলীর ছেলে আলামিন।
দুই বছরের সাজা পাওয়া আসামি রাসেল মোল্যা পিরোজপুরের মঠবাড়িয়া উপজেলার সবুজনগর গ্রামের সুলতান মোল্যার ছেলে। তিনি যশোর শহরের চাঁচড়া রায়পাড়া বিল্লাল মসজিদ এলাকার বাসিন্দা। রায় ঘোষণার সময় হারুন অর রশিদ ও রাসেল মোল্যা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
জানা গেছে, মৃত্যুদণ্ডের সাজা পাওয়া আসামিদের মধ্যে হারুন কারাগারে আটক আছেন। জুয়েল কারাগার থেকে আদালতে হাজিরা দিতে এসে কোর্ট পুলিশের কাছ থেকে পালিয়ে যান। তাছাড়া জামিনে মুক্তি পেয়ে পলাতক রয়েছেন আরেকিআসামি আলামিন। আর দুই বছরের সাজা পাওয়া রাসেল মোল্যাও কারাগারে রয়েছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড, ধর্ষণ মামলায় ২ জনের যাবজ্জীবন
মামলার বিবরণে জানা গেছে, মাগুরার শালিখার হরিশপুর গ্রামের মোস্তাফিজুর রহমানের ছেলে আল আমিন। তিনি ইজিবাইক চালিয়ে জীবিকা নির্বাহ করতেন। ২০২১ সালের ৯ ডিসেম্বর বিকালে আল আমিন বাড়ি থেকে ইজিবাইক নিয়ে ভাড়ায় চালানের উদ্দ্যেশে বের হন। রাতে বাড়ি না ফেরায় আল আমিনের মোবাইলে কল করা হলে তার নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
পরদিন দুপুরে এক আত্মীয়ের মাধ্যমে আল আমিনের স্বজনরা জানতে পারেন, তার ইজিবাইক যশোর চাঁচড়া ফাঁড়ি পুলিশ উদ্ধার করেছে। একই সঙ্গে বাঘারপাড়ার বুধোপুর গ্রামের রাস্তার পাশ থেকে আল আমিনের লাশ উদ্ধার করেন স্থানীয়রা।
এ ঘটনায় ১১ ডিসেম্বর নিহতের পিতা মোস্তাফিজুর রহমান বাঘারপাড়া থানায় অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিদের আসামি করে হত্যা মামলা করেন।
একই বছরের ২৫ ডিসেম্বর আল আমিনকে হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে আসামি জুয়েল, হারুন ও আলামিন এবং চোরাই ইজিবাইক ক্রয় করায় রাসেলকে আটক করে র্যাব। পরে ২০২২ সালের ১৫ মে ওই চারজনকে আসামি করে আদালতে আভিযোপত্র দাখিল করেন তদন্তকারী কর্মকর্তা উপপরিদর্শক (এসআই) হরষিত রায়।
সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে আসামি জুয়েল, হারুন ও আলামিনের বিরুদ্ধে হত্যার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় বিচারক তাদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড ও ৪০ হাজার টাকা করে জরিমানার আদেশ দেন। এ মামলার অপর আসামি রাসেল মোল্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ২ বছর সশ্রম কারাদণ্ড, ১০ হাজার টাকা জরিমানা; অনাদায়ে আরও ৩ মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
১৪৭ দিন আগে
ফ্লাইট এক্সপার্ট কেলেঙ্কারি: এমডিসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা, গ্রেপ্তার ৩
গ্রাহকের কোটি কোটি টাকা আত্মসাৎ ও প্রতারণার অভিযোগে অনলাইন ট্রাভেল এজেন্সি ফ্লাইট এক্সপার্টের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। এই ঘটনায় প্রতিষ্ঠানটির তিন কর্মীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
মতিঝিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মেজবাহ উদ্দিন জানান, গ্রেপ্তার ৩ জন হলেন—এজেন্সির হেড অব ফাইনান্স সাকিব হোসেন (৩২), চিফ কমার্শিয়াল অফিসার সাঈদ আহমেদ (৪০) ও চিফ অপারেটিং অফিসার এ কে এম সাদাত হোসেন (৩২)।
ওসি বলেন, বিপুল সরকার নামে এক গ্রাহক শনিবার রাতে মতিঝিল থানায় মামলাটি করেন। এতে আসামি পাঁচজন হলেন—গ্রেপ্তার হওয়া তিন কর্মীসহ ফ্লাইট এক্সপার্টের এমডি সালমান বিন রাশিদ শাহ সাঈম ও তার বাবা এম এ রাশিদ।
তিনি আরও জানান, বাকি আসামিদের গ্রেপ্তারে চেষ্টা চলছে।
পড়ুন: কুষ্টিয়ায় স্বামীকে বেঁধে রেখে স্ত্রীকে ‘সংঘবদ্ধ ধর্ষণ’, আটক ৫
এর আগে, এমডি সালমান পলাতক হওয়ার পর ফ্লাইট এক্সপার্টের পক্ষ থেকে সাঈদ আহমেদ থানায় একটি জেনারেল ডায়েরি (জিডি) করেন।
জিডিতে সাঈদ অভিযোগ করেন, এমডি সালমান সংস্থার হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে বার্তা পাঠিয়ে জানিয়েছেন যে তিনি দেশ ছেড়ে চলে গেছেন। অফিসে গিয়ে তিনি সালমানকে অনুপস্থিত দেখেন।
জিডিতে তিনি লেখেন, গ্রাহকদের অর্থ সংক্রান্ত লেনদেন এখন ঝুঁকিতে রয়েছে এবং কিছু গ্রাহক কর্মীদের হুমকি দিচ্ছেন।
শনিবার ফ্লাইট এক্সপার্টের ওয়েবসাইট অচল দেখে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ব্যাপক ক্ষোভ ও উদ্বেগ ছড়িয়ে পড়ে। অনেক গ্রাহক তাদের বুকিং ও ভবিষ্যৎ ভ্রমণ পরিকল্পনা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেন সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে।
১৪৭ দিন আগে
হিন্দুপল্লিতে হামলাকারীদের উসকানি, সাংবাদিক গ্রেপ্তার
রংপুরের গঙ্গাচড়া উপজেলার বেতগাড়ি ইউনিয়নের আলদাতপুর ছয়আনি হিন্দুপল্লিতে হামলার ঘটনায় হাবিবুর রহমান সেলিম নামের এক সাংবাদিককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২ আগস্ট) দিবাগত রাত সাড়ে ৪টার দিকে সেনাবাহিনী তাকে রংপুর সদর উপজেলার হরিদেবপুর ইউনিয়নের গোকুলপুর চওড়াপাড়া এলাকার নিজ বাড়ি থেকে আটক করে থানায় সোপর্দ করে।
পরে রোববার (৩ আগস্ট) সকালে তাকে হিন্দুপল্লিতে ভাঙচুরের মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, অভিযুক্ত সাংবাদিক রংপুর থেকে প্রকাশিত দৈনিক যুগের আলো পত্রিকার নিজস্ব প্রতিবেদক হাবিবুর রহমান সেলিম। তিনি আলদাতপুর হিন্দুপল্লিতে হামলার সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে হামলাকারীদের সরাসরি উসকানি দিয়েছেন।
এ বিষয়ে গঙ্গাচড়া মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আল এমরান জানান, ঘটনাস্থলে উপস্থিত থেকে হামলাকারীদের উসকানি দেওয়ার বেশ কিছু ভিডিও ও অডিও দেখে সেনাবাহিনী তাকে আটক করে। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ওই সাংবাদিককে থানায় সোপর্দ করা হয়। তার বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে। ভিডিও ফুটেজে দেখা গেছে, হাবিবুর রহমান সেলিম হামলাকারীদের উসকানি দিচ্ছেন।
ওসি আরও জানান, আলদাতপুর হিন্দুপল্লিতে ভাঙচুরের মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে। আজ রোববার সকালে সেলিমকে আদালতে পাঠানো হয়েছে।
১৪৭ দিন আগে