আইনশৃঙ্খলা
ময়মনসিংহে ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে করা মানহানির মামলা বাতিল: আপিল বিভাগ
অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নামে মানহানির অভিযোগে করা মামলার কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করে হাইকোর্ট যে রায় দিয়েছেন, তা বহাল রয়েছে।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের করা লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে আবেদন) খারিজ করে রবিবার (২৭ জুলাই) বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আপিল বিভাগ এ আদেশ দেন।
এর আগে এক বক্তব্যকে কেন্দ্র করে মানহানির অভিযোগে ২০১০ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের তৎকালীন ব্যবস্থাপনা পরিচালক অধ্যাপক ইউনূসের নামে ময়মনসিংহের আদালতে মামলাটি করা হয়। মামলার কার্যক্রম বাতিল চেয়ে ২০১১ সালে তিনি হাইকোর্টে আবেদন করেন। হাইকোর্ট গত বছরের ২৪ অক্টোবর মামলাটির কার্যক্রম বাতিল ঘোষণা করে রায় দেন।
হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের পর রাষ্ট্রপক্ষ লিভ টু আপিল করে, যা ২ জুলাই আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতে ওঠে। সেদিন চেম্বার আদালত লিভ টু আপিলটি ২৭ জুলাই আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চে শুনানির জন্য নির্ধারণ করেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ বিষয়টি আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক শুনানিতে ছিলেন। অধ্যাপক ইউনূসের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী (অ্যাডভোকেট অন রেকর্ড) তৌফিক হোসেন।
পরে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের আপিল (লিভ টু আপিল) খারিজ করে দিয়েছেন আপিল বিভাগ।
১৫৫ দিন আগে
আ. লীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে বটির কোপে এসআই আহত, পিতা-পুত্র আটক
কুষ্টিয়ায় আওয়ামী লীগ নেতাকে ধরতে গিয়ে ছেলের বটির আঘাতে ইসরাফিল হোসেন (৪৮) নামে গোয়েন্দা পুলিশের এক উপপরিদর্শক (এসআই) আহত হয়েছেন। পরে ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যকে উদ্ধার করে। পাশাপাশি অভিযান চালিয়ে হামলার সঙ্গে জড়িত ওই আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলেকে আটক করেছে পুলিশ।
শনিবার (২৬ জুলাই) বেলা ১২টার দিকে শহরের ছয় রাস্তার মোড় এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
কুষ্টিয়া গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা মুরাদ হোসেন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটকরা হলেন— হারুন-উর-রশিদ(৫০) ও তার ছেলে প্রণয় (২৫)।
হারুন জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি পদে রয়েছেন। এ ঘটনায় আহত এসআইকে ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, আওয়ামী লীগ নেতা হারুন-উর-রশিদকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে শনিবার বেলা ১২টার দিকে ডিবি পুলিশ তার বাড়ি ঘেরাও করে। এরপর বাড়ির ভেতরে প্রবেশ করলে হারুনের ছেলে প্রণয় এসআই ইসরাফিলের পিঠে বটি দিয়ে আঘাত করে।
কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) হোসেন ইমাম জানান, আহত পুলিশ সদস্যের পিঠে ধারালো কিছু দিয়ে আঘাতের দুইটি চিহ্ন ছিল। তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ওসি মুরাদ হোসেন জানান, আওয়ামী লীগ নেতা ও তার ছেলেকে আটক করেছে। হামলার ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আলাদা মামলা দায়ের করা হবে।
১৫৫ দিন আগে
গোপালগঞ্জে সহিংসতা: আরও একটি মামলা, আসামির সংখ্যা ছাড়াল ১০ হাজার
জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) গোপালগঞ্জের সমাবেশকে কেন্দ্র করে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায় কাশিয়ানী থানায় নতুন করে আরও একটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ নিয়ে জেলায় মোট মামলার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১১টিতে।
কাশিয়ানী উপজেলার রামদিয়া পুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নাসির উদ্দীন বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) রাতে কাশিয়ানী থানায় এ মামলা করেন।
মামলায় কাশিয়ানী উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক কাজী জাহাঙ্গীর আলম এবং কাশিয়ানী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী খোকনসহ ৮৭ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। পাশাপাশি, আরও ২০০-২৫০ জন অজ্ঞাত নেতাকর্মীকেও আসামি করা হয়।
মামলাটি সন্ত্রাসবিরোধী আইনে দায়ের করা হয়েছে বলে জানান থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. কামাল হোসেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৬ জুলাই এনসিপির সমাবেশকে কেন্দ্র করে কাশিয়ানী উপজেলার ফুকরা বাসস্ট্যান্ড ও আশপাশ এলাকার রাস্তাঘাট অবরোধ করা হয়। এতে ঢাকা-খুলনা মহাসড়কে যান চলাচল ব্যাহত হয় এবং জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগসহ আওয়ামী লীগের অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের পক্ষে নেতাকর্মীরা মিছিল করতে থাকেন। আসামিরা অসৎ উদ্দেশ্যে এবং এনসিপির সমাবেশকে নস্যাৎ করতে এ ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হয়। এতে সাধারণ জনগণের ভোগান্তিতে পড়তে হয়।
এদিকে থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, কাশিয়ানী থানার এই মামলা নিয়ে গোপালগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা, গাড়ি ভাঙচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং রাষ্ট্রবিরোধী কার্যকলাপে জড়ানোর অভিযোগ ও হত্যা ঘটনায় মোট ১১টি মামলা করা হয়েছে।
গোপালগঞ্জ জেলার সদর, কাশিয়ানী, টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়া থানায় দায়ের হওয়া ওই ১১টি মামলায় আওয়ামী লীগ ও সহযোগী সংগঠনের ৬৮৭ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া অজ্ঞাতনামা আরও প্রায় ৯ হাজার ৫০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।
১৬ জুলাই থেকে শুক্রবার সন্ধ্যা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে মোট ৩৩৫ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। এর মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় ১ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: গোপালগঞ্জে রাজনৈতিক সমাবেশকে ঘিরে সহিংসতার তদন্তে কমিটি গঠন
উল্লেখ্য, ১৬ জুলাই এনসিপির একটি কর্মসূচি শেষে গোপালগঞ্জ থেকে মাদারীপুরে ফেরার পথে দলটির গাড়িবহরে হামলা চালানো হয়। পরে বিক্ষুব্ধ জনতা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষে এখন পর্যন্ত পাঁচজন নিহত এবং অন্তত অর্ধশতাধিক আহত হয়েছেন।
পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ঘটনার দিন বিকালে প্রথমে ১৪৪ ধারা জারি করেন জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট মুহম্মদ কামরুজ্জামান। রাতেই জারি করা হয় কারফিউ। পরে কারফিউর মেয়াদ কয়েক দফা বাড়ানো হলেও রবিবার (২০ জুলাই) রাত ৮টা থেকে কারফিউ শিথিল করা হয়।
১৫৬ দিন আগে
চট্টগ্রামে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ শ্লোগান দিয়ে টিকটক ভিডিও বানিয়ে ১২ কিশোর আটক
চট্টগ্রামের কর্ণফুলীতে ‘জয় বাংলা,জয় বঙ্গবন্ধু’ সম্বলিত টিকটক ভিডিও বানিয়ে ফেসবুকে আপলোড করার আগেই পুলিশের হাতে আটক হয়েছে ১২ কিশোর।
শুক্রবার(২৫ জুলাই) বিকেলের দিকে উপজেলার চরপাথরঘাটা কালাইয়ের দোকান এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
আটক কিশোররা হলো- চরলক্ষ্যা ৫ নম্বর ওয়ার্ড এলাকার মো. জাহাঙ্গীর আলমের ছেলে মো. জাহেদ, সাইফুল, বিজয়, আকাশ, আরফাত, মিনহাজ, ফোরকান, ইকবাল, আকিব, আদর, বাকি দুজনের নাম জানা যায়নি। তাদের মধ্যে জাহেদের বয়স ১৮ হলে বাকিদের বয়স ১২-১৫ এর মধ্যে বলে জানা গেছে। তারা চরপাথরঘাটা ৬ নম্বর ওয়ার্ড ও চরলক্ষ্যা ৫ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা বলে জানা গেছে।
পুলিশ জানিয়েছেন, বিকালে ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগান দিয়ে ভিডিও বানিয়েছেন তারা। এমন খবরে অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করা হয়। ভিডিও বানালেও ফেসবুকে আপলোড দিতে পারেনি বলে পুলিশ জানায়।
পড়ুন: টিকটক বানাতে ক্যামেরা ছিনতাইয়ের পরিকল্পনা, ফটোগ্রাফার খুন
আটকদের একজন মো. জাহেদের পিতা জাহাঙ্গীর আলম জানান, ‘ছেলেরা মিলে টিকটক ভিডিও করছিল। সেখানে তারা ‘জয় বাংলা’ বলে কিছু সংলাপ ব্যবহার করেছে। এ কারণেই পুলিশ তাদের আটক করেছে বলে জানতে পেরেছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমার ছেলে ভোটার হলেও বাকিরা এখনও ভোটার হয়নি। তারা কেউ রাজনীতির সঙ্গে জড়িত নয়, কেবল দুষ্টুমির ছলেই এসব করেছে।’ কেউ হিংসাত্মকভাবে ছেলেদের পুলিশ দিয়ে ধরিয়ে দিয়েছেন।
তাদের 'চুলকানি বাহিনী ফানি বিনোদন, নামে একটি ফেসবুক পেইজ আছে বলেও জানান তিনি। ওই পেইজে বিনোদনমূলক ভিডিও বানিয়ে আপলোড করে থাকেন বলে জানা যায়।
কর্ণফুলী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শরীফ বলেন, আটকদের ছবি দেওয়া নিষেধ আছে। তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
১৫৬ দিন আগে
মাগুরায় স্ত্রী হত্যার অভিযোগে স্বামী গ্রেপ্তার
মাগুরায় স্ত্রী সোনালী খাতুন ওরফে স্বর্ণালী(৩৮) হত্যা মামলায় পলাতক আসামি স্বামী মিজানুর রহমানকে (৪০) তথ্য প্রযুক্তির সহায়তায় গ্রেপ্তার করেছে শালিখা থানা পুলিশ।
শুক্রবার (২৫ জুলাই) গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন শালিখা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ওলি মিয়া।
জানা যায়, গত ১২ জুলাই সকালে শালিখা উপজেলার হরিশপুর গ্রামের হোগলাডাঙ্গা গ্রামের মৃত লতিফ মোল্যার ছেলে মিজানুর তার স্ত্রী সোনালী খাতুনকে লোহার সাবল দিয়ে মাথায় আঘাত করেন। এতে, সোনালী খাতুনের মৃত্যু হলে স্বামী পালিয়ে যায়। এরপর নিহত সোনালীর ভাই দাউদ বাদী হয়ে শালিখা থানায় একটি হত্যা মামলা করেন৷
এরপর, গতকাল ফরিদপুর জেলার সালথা থানার মাঝারিয়া ইউনিয়নের মুরাটিয়া গ্রামের লালন মাতাব্বররের বাড়ি থেকে মিজানুরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ৷
এ বিষয়ে ওসি ওলি মিয়া জানান, গ্রেপ্তার আসামির বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তাকে আজ আদালতে তোলা হয়েছে।
১৫৬ দিন আগে
বেনাপোলের প্রিন্স হত্যা: আলোচিত উদ্ভাবক মিজানসহ ৪ জনের যাবজ্জীবন
যশোরের বেনাপোলে ভাড়ায় মোটরসাইকেলচালক সুজায়েতুজ্জামান প্রিন্স হত্যা মামলায় জেলার আলোচিত উদ্ভাবক মিজানুর রহমান মিজানসহ চারজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। হত্যা মামলার ২১ বছর পর এই রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বিকালে এ রায় ঘোষণা করেন যশোরের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ জয়ন্তী রানী দাস।
আদালতের অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি আব্দুর রাজ্জাক জানিয়েছেন, রায়ে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ডপ্রাপ্ত প্রত্যেক আসামিকে ২০ হাজার টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দণ্ড পাওয়া মিজান শার্শা উপজেলার আমতলা গাতীপাড়া গ্রামের আক্কাস আলী মোড়লের ছেলে এবং নিহত প্রিন্সের ভগ্নিপতি। অন্য তিনজন হলেন— ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার ভাটাডাঙ্গা গ্রামের গোলাম মণ্ডলের ছেলে ইকবাল হোসেন, বেনাপোল কাগজপুকুর গ্রামের কালু ওরফে ঘাড়কাটা কালুর ছেলে সেকেন্দার ও একই গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে জসিম।
আরও পড়ুন: চুয়াডাঙ্গায় পৃথক দুটি হত্যা মামলায় তিনজনের মৃত্যুদণ্ড, প্রত্যেককে অর্থদণ্ড
রায় ঘোষণার সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন আসামি মিজান ও সেকেন্দার। বিচারক তাদের কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। অপর পলাতক দুই আসামির বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০০৪ সালের ২০ আগস্ট প্রিন্স মোটরসাইকেল নিয়ে নিজ বাড়ি পোড়াবাড়ি নারায়ণপুর গ্রাম থেকে বের হন। এরপর তিনি আর ফিরে আসেননি। স্বজনরা বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজি করতে থাকেন। পরদিন সকালে ছোট নিজামপুর গ্রামের একটি ধানখেত থেকে তার লাশ উদ্ধার করা হয়। ঘটনার পর প্রিন্সের মামা বকতিয়ার অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে বেনাপোল পোর্ট থানায় হত্যা মামলা করেন। তিনি এজাহারে সন্দেহ প্রকাশ করেন, প্রিন্সের মোটরসাইকেলের প্রতি তার দুলাভাই মিজানের আগ্রহ ছিল।
পরবর্তী সময়ে মামলার তদন্তে বেরিয়ে আসে, পরিকল্পিতভাবে মোটরসাইকেল ছিনতাই করতেই প্রিন্সকে হত্যা করা হয়। তদন্ত কর্মকর্তা এসআই আফজাল হোসেন ওই চারজনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন। এর দীর্ঘ ২১ বছর পর বহুল প্রতীক্ষিত এই মামলার রায় দেওয়া হয়।
যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্ত মিজানুর রহমান আধুনিকতার যুগে সামান্য মোটর মেকানিক থেকে একের পর এক যন্ত্র উদ্ভাবন করে সবাইকে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন। তার উদ্ভাবনী কাজের মধ্যে দেশীয় প্রযুক্তিতে অ্যাম্বুলেন্স, স্বয়ংক্রিয় সেচযন্ত্র, জ্বালানি সাশ্রয়ী পরিবেশবান্ধব যন্ত্র, যা ‘মিজান ইঞ্জিন’ নামে পরিচিতি পায়।
মিজানুর রহমানের স্থানীয় বাজারে মোটর মেকানিকের কাজের পাশাপাশি একটি ‘ফ্রি খাবার বাড়ি’ ছিল। বাড়িটি শার্শার শ্যামলাগাছী এলাকায় অবস্থিত। সেখান থেকে তিনি ভবঘুরে, ভিক্ষুক, গরিব ও অসহায় মানুষকে বিনামূল্যে খাবার সরবরাহ করতেন।
১৫৭ দিন আগে
সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা পাচার মামলা
আওয়ামী লীগ সরকারের সাবেক ভূমিমন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ও তার স্ত্রী রুকমীলা জামানসহ ৩১ জনের বিরুদ্ধে ২৫ কোটি টাকা আত্মসাৎ ও পাচারের অভিযোগে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, পারিবারিক মালিকানাধীন ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংক (ইউসিবিএল) থেকে ভূয়া প্রতিষ্ঠান খোলার মাধ্যমে 'টাইম লোন' তুলে বিদেশে পাচার করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) দুদকের চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়-১ এর উপপরিচালক মো. মশিউর রহমান বাদী হয়ে এ মামলা দায়ের করেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক সুবেল আহমেদ।
আরও পড়ুন: দুদকের নতুন সচিব খালেদ রহীম
এজাহারে বলা হয়েছে, সাবেক ভূমিমন্ত্রী জাবেদের মালিকানাধীন আরামিট গ্রুপের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নামে খুলে দেওয়া হয় পাঁচটি নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠান—ভিশন ট্রেডিং, আলফা ট্রেডার্স, ক্ল্যাসিক ট্রেডিং, মডেল ট্রেডিং ও ইম্পেরিয়াল ট্রেডিং। এরপর ইউসিবিএল ব্যাংকের চট্টগ্রাম বন্দর শাখায় এসব প্রতিষ্ঠানের নামে হিসাব খুলে গম, ছোলা, হলুদ ও মটর আমদানির নামে ২৫ কোটি টাকার টাইম লোন অনুমোদন করানো হয়। ব্যাংকের নিজস্ব 'ক্রেডিট কমিটি'র ১৭টি নেতিবাচক পর্যবেক্ষণ উপেক্ষা করে ২০২০ সালের ৮ মার্চ পরিচালনা পর্ষদ ওই ঋণ অনুমোদন দেয়।
এরপর সেই টাকা ভাগ করে একই ব্যাংকে খোলা চারটি হিসাব নম্বরে স্থানান্তর করে পাচার করা হয়। অভিযোগপত্রে বলা হয়, ব্যাংক পরিচালক, ঋণ আবেদনকারী এবং অনুমোদনকারী সবাই একে অপরের আত্মীয় বা ঘনিষ্ঠ হওয়ায় সমন্বিত চক্রান্তের মাধ্যমেই এ লোন নেওয়া ও টাকা পাচার সম্ভব হয়।
মামলায় আসামি করা হয়েছে সাবেক মন্ত্রী সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ, তার স্ত্রী ইউসিবিএলের সাবেক চেয়ারম্যান রুকমীলা জামান, ভাই আসিফুজ্জামান চৌধুরী, বোন রোকসানা জামান চৌধুরীসহ ব্যাংকের সাবেক ১৩ পরিচালক, ৬ কর্মকর্তা এবং আরামিট গ্রুপের ৯ কর্মচারীকে।
অভিযোগ অনুযায়ী, আসামিরা দণ্ডবিধির ৪০৬, ৪০৯, ৪২০, ৪৭১ ও ১০৯ ধারা এবং দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন ও মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনের আওতায় দণ্ডনীয় অপরাধ করেছেন।
উল্লেখ্য, সাইফুজ্জামান চৌধুরী জাবেদ ২০১৪ থেকে ২০১৮ সাল পর্যন্ত ভূমি প্রতিমন্ত্রী এবং ২০১৯ থেকে ২০২৩ সাল পর্যন্ত পূর্ণমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন। ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনের আগে তার বিরুদ্ধে বিদেশে বিপুল সম্পদের মালিক হওয়ার অভিযোগ ওঠে। সরকারের পতনের ঠিক আগে, ২০২৩ সালের ৫ আগস্ট জাবেদ স্ত্রী ও সন্তানসহ লন্ডনে পাড়ি জমান বলে বিভিন্ন সংবাদমাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
১৫৭ দিন আগে
৫ মামলায় ইসকন নেতা চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যা মামলাসহ ছয়টি মামলার মধ্যে পাঁচ মামলায় সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র বহিস্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন আবেদন খারিজ করেছেন আদালত।
চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক হাসানুল ইসলাম জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) বেলা সোয়া ১১টার দিকে শুনানি শেষে বিচারক এ আদেশ দেন। বিষয়টি নিশ্চিত করেন রাষ্ট্রপক্ষের সহকারী পাবলিক প্রসিকিউটর (এপিপি) মো. রায়হানুল ওয়াজেদ চৌধুরী।
আসামিপক্ষের পক্ষে জামিন শুনানিতে অংশ নেন ঢাকার আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্যের নেতৃত্বে একটি টিম। এদিন জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালতপাড়ায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর বিপুল উপস্থিতি ছিল।
চিন্ময় দাসের বিরুদ্ধে একটি রাষ্ট্রদ্রোহ, একটি আইনজীবী হত্যার, বাকিগুলো—পুলিশের ওপর হামলা, বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা এবং ককটেল বিস্ফোরণের অভিযোগের মামলা।
২০২৩ সালের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরের চান্দগাঁও থানার মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাসসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগ এনে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা দায়ের করেন। পরে ফিরোজ খানকে দলীয় পদ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
পড়ুন: আলিফ হত্যা মামলা: চিন্ময় দাসহ ৩৮ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল
এ মামলায় চিন্ময় দাসকে ২০২৪ সালের ২৫ নভেম্বর রাজধানী ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পরদিন ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালতে তার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আইনজীবীদের দুই গ্রুপে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
ওইদিন হামলায় গুরুতর আহত হয়ে নিহত হন তরুণ আইনজীবী সাইফুল ইসলাম আলিফ। তার বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নাম উল্লেখ করে কোতোয়ালি থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
হত্যা মামলার পাশাপাশি কোর্ট চত্বরে পুলিশ ও বিচারপ্রার্থীদের ওপর হামলা, বাধা প্রদান এবং ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় আরও পাঁচটি মামলা হয়। এই ছয় মামলায় এখন পর্যন্ত মোট ৫১ জন গ্রেপ্তার হয়েছেন। তাদের মধ্যে আইনজীবী হত্যায় জড়িত সন্দেহে ২১ জন গ্রেপ্তার রয়েছেন।
১৫৮ দিন আগে
রংপুরে মহাসড়ক সংস্কারে অনিয়ম ধরল সেনাবাহিনী
রংপুর-সৈয়দপুর মহাসড়কের রংপুর চাকঘর থেকে তারাগঞ্জের চিকলী বাজার পর্যন্ত ১৭ কিলোমিটার সড়ক সংস্কারে বড় ধরনের অনিয়ম ধরা পড়েছে। ওই সড়কে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম দেওয়া হয়েছে বলে সত্যতা পেয়েছে সেনাবাহিনীর একটি নিয়মিত টহল দল।
বুধবার (২৩ জুলাই) সন্ধ্যায় রংপুর সেনানিবাসের ৬৬ ডিভিশনের ৭২ পদাতিক ব্রিগেডের আওতাধীন ৩৪ বেঙ্গল রেজিমেন্ট পরিচালিত একটি নিয়মিত টহল দল লেফটেন্যান্ট নাজমুলের নেতৃত্বে সিটি মোড় এলাকায় কাজ পরিদর্শনে যায়। সেখানে সড়কের গঠন ও ব্যবহৃত উপকরণ পরিমাপে অনিয়মের প্রমাণ পায় সেনাবাহিনী।
এ সময় ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান। রাস্তাটিতে প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর দেওয়ার কথা থাকলেও দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি। তবে রাস্তা নির্মাণে কেন এরকম অনিয়ম হচ্ছে, সেনাবাহিনীকে তার কোনো সঠিক উত্তর দিতে পারেননি প্রকৌশলী।
সড়ক ও জনপথ বিভাগের তথ্য অনুযায়ী, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে রংপুর মেডিকেল মোড় থেকে পাগলাপীর বাজার, শলেয়াশাহ বাজার থেকে বরাতি সেতু, তারাগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স থেকে তারাগঞ্জ সেতু এবং তকনাগঞ্জ বাজার থেকে চিকলী বাজার পর্যন্ত মহাসড়কের ১৭ কিলোমিটার অংশে ডিবিএসটিসহ সংস্কারকাজে বরাদ্দ হয় ২৬ কোটি ৮৯ লাখ ৫৯ হাজার ৯৪৬ টাকা।
আরও পড়ুন: কেওয়াটখালী সেতু প্রকল্পে নকশা পরিবর্তন ও দুর্নীতির অভিযোগ
৪ ফেব্রুয়ারি এই সড়কের সংস্কারকাজ পায় ডন এন্টারপ্রাইজ। ইতোমধ্যে প্রতিষ্ঠানটি ১০ কিলোমিটার সড়কে ডিবিএসটি সম্পন্ন করেছে বলে জানিয়েছে সড়ক বিভাগ। অক্টোবরের মধ্যে পুরো প্রকল্পের কাজ শেষ হওয়ার কথা রয়েছে।
সেনা কর্মকর্তা, প্রকৌশলী ও ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, প্রকল্প অনুযায়ী প্রতি স্কয়ার মিটারে ২৩ কেজি পাথর ব্যবহারের শর্ত থাকলেও সেখানে দেওয়া হয়েছে ১৮ কেজি করে। তার মানে প্রতি স্কয়ার মিটারে ৫ কেজি পাথর কম ব্যবহার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে ডন এন্টারপ্রাইজের প্রকল্প ব্যবস্থাপক শাহিনুর রহমান বলেন, ‘আমাদের প্রজেক্ট অনুযায়ী প্রতি স্কয়ারে ২৩ কেজি পাথর দেওয়ার কথা ছিল। সেনাবাহিনীর টেস্ট করার পর আমরা ১৮ কেজি পেয়েছি।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমরা তো সড়ক ও জনপথের প্রতিনিধিদের উপস্থিতিতে কাজ করছি। বেশি জায়গা না, মাত্র ৮০০ মিটারে ৫ কেজি করে পাথর কম হয়েছে। আমরা এটা আবার রিপেয়ার (সংস্কার) করে দেব।’
তবে এলাকাবাসীর অভিযোগ, গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি মেরামতের শুরু থেকেই অনিয়ম করে আসছিল ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান। তারা প্রতিবাদ করলেও কেউ কর্ণপাত করেনি। সেনাবাহিনী যে পদক্ষেপ নিয়েছে তা ভালো কাজ করেছে বলে মনে করেন স্থানীয়রা। তাদের মতে, রাস্তাটি ভালোভাবে মেরামত হলে সবারই উপকার হবে।
আরও পড়ুন: জবির ১৫ বছরের নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে কমিটি গঠন
লেফটেন্যান্ট নাজমুল জানান, রাস্তা মেরামতে অনিয়ম হচ্ছে—এমন খবর পেয়েই তারা অভিযান চালান। এটি তাদের নিয়মিত অভিযানের মধ্যেই পড়ে।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে সড়ক ও জনপথের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. মনিরুজ্জামান বলেন, ‘ডিজাইনে ছিল ২৩ কেজি, সেখানে ১৮ কেজি পেয়েছে। আমাদের দেখভাল করার লোকজন রয়েছে। যেহেতু দীর্ঘ একটা এলাকা, কমবেশি হতে পারে। সেটা অবশ্যই আমরা ঠিক করে দেব।’
১৫৮ দিন আগে
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হক গ্রেপ্তার
সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ৮টার দিকে ধানমণ্ডির বাসা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া তার গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তবে কোন মামলায় তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে, সে বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে পারেননি এই পুলিশ কর্মকর্তা।
তিনি জানান, তথ্য এলে পরে বিস্তারিত জানানো হবে।
দেশের ১৯তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে ২০১০ সালে খায়রুল হক শপথ নেন। পরের বছর ৬৭ বছর পূর্ণ হওয়ায় তিনি অবসর গ্রহণ করেন।
আরও পড়ুন: প্রধান উপদেষ্টা, বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার আ. লীগ কর্মী
২০১৩ সালে তাকে তিন বছরের জন্য আইন কমিশনের চেয়ারম্যান হিসেবে নিয়োগ দেওয়া হয়। এই মেয়াদ শেষে কয়েক দফা একই পদে পুনর্নিয়োগ দেওয়া হয় সাবেক এই বিচারপতিকে।
গত বছরের ৫ আগস্ট আওয়ামী লীগ সরকারের পতন ঘটলে ১৩ আগস্ট তিনি আইন কমিশন থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর তাকে আর প্রকাশ্যে দেখা যাচ্ছিল না।
১৫৮ দিন আগে