আইনশৃঙ্খলা
নাটোরে সড়ক দুর্ঘটনায় ৮ নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালক গ্রেপ্তার
নাটোরের বড়াইগ্রামে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে আটজন নিহতের ঘটনায় ট্রাকচালক মহির উদ্দিনকে আটক করে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র্যাব। এরপর আগেই সড়ক নিরাপত্তা আইনে হওয়া মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে পুলিশ।
নাটোর সদর উপজেলার বামনডাঙ্গা গ্রাম থেকে বুধবার (২৩ জুলাই) রাত ১০টার দিকে ওই চালককে আটক করা হয়।
মহির নাটোর সদর উপজেলার তেবাড়িয়া ইউনিয়নের বামনডাঙ্গা গ্রামের সোনা মিয়ার ছেলে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত জাহিদ হোসেনের আত্মীয় নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে অজ্ঞাত ট্রাকচালকের নামে বড়াইগ্রাম থানায় সড়ক নিরাপত্তা আইন-২০১৮-তে একটি মামলা করেন।
র্যাব-৫ নাটোর ক্যাম্পের কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাফিজ আল অসাদ জানান, বড়াইগ্রামের বনপাড়া-হাটিকুমরুল মহাসড়কের আইড়মারি ব্রিজ এলাকায় ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে মাইক্রোবাসের সাতজন যাত্রী ও চালকসহ মোট আটজন নিহত হন। মাইক্রোবাসটি কুষ্টিয়া থেকে সিরাজগঞ্জে যাচ্ছিল।
আরও পড়ুন: নাটোরে ট্রাক-মাইক্রোবাস সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৮
তিনি জানান, দুর্ঘটনার পর ট্রাকচালক মহির উদ্দিন গা ঢাকা দিয়েছিলেন। এরপর তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় অভিযান চালিয়ে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় তাকে আটক করে বনপাড়া হাইওয়ে থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
বুধবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থেকে সিরাজগঞ্জের এনায়েতপুরে অসুস্থ এক আত্মীয়কে দেখতে যাচ্ছিলেন নিহতরা। পথে সিরামপুর এলাকার তরমুজ পাম্পের সামনে থেকে অন্য একটি ট্রাককে ওভারটেক করতে গিয়ে বিপরীত দিক থেকে আসা আরেকটি ট্রাকের সঙ্গে মাইক্রোবাসটির সংঘর্ষ হয়। এতে ঘটনাস্থলেই পাঁচজন নিহত হন।
পরে আহত তিনজনকে উদ্ধার করে স্থানীয় হাসপাতালে নেওয়া হলে আরও একজন নারী মারা যান। গুরুতর আহত অবস্থায় চালক সাহাব উদ্দিন ও সীমা খাতুনকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় সেখানে তাদেরও মৃত্যু হয়।
নিহতদের মধ্যে মাইক্রোবাস চালকসহ ছয়জনের বাড়ি কুষ্টিয়ার দৌলতপুর উপজেলার ধর্মদহ গ্রামে। অপর দুইজনের বাড়ি পার্শ্ববর্তী মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার বেতবাড়িয়া গ্রামে।
নিহতরা হলেন— জাহিদুল ইসলাম ফরাজী (৫৮), তার স্ত্রী সেলিনা বেগম (৫২), বোন রোসনায়ারা আক্তার ইতি (৪৮), চাচাতো বোন আয়োয়ারা বেগম (৫২), চাচাতো ভাবি আমেনা খাতুন আনু (৫০), মাইক্রোবাসের চালক সাহাব হোসেন রুবেল (৩৫) এবং জাহিদুল ইসলামের শাশুড়ি মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার আঞ্জুমানয়ারা খাতুন (৭৪) ও শ্যালিকা সীমা খাতুন (৩৫)।
১৫৮ দিন আগে
মৃত্যুর প্রায় চার বছর পর নির্দোষ প্রমাণিত হলেন বরিশাল সিটির সাবেক মেয়র কামাল
মৃত্যুর প্রায় চার বছর পরে উচ্চ আদালতের রায়ে দুর্নীতির মামলায় নির্দোষ প্রমাণিত হলেন বরিশাল সিটি করপোরেশনের (বিসিসি) সাবেক মেয়র ও বরিশাল জেলা (দক্ষিণ) বিএনপির সাবেক সভাপতি আহসান হাবিব কামাল।
এর আগে ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আত্মসাতের মিথ্যা অভিযোগে তাকে ৭ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছিলেন বরিশালের তৎকালীন জেলা ও দায়রা জজ আদালত। সেই রায়ের প্রেক্ষিতে ৮ মাস কারাগারেও ছিলেন তিনি।
বুধবার (২৩ জুলাই) হাইকোর্টের বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দীর একক বেঞ্চে দেওয়া এই সংক্রান্ত রায়ে কামালসহ পাঁচ আসামিকেই বেকসুর খালাস দেওয়া হয়। একই সঙ্গে এই মামলায় কামালের জামিন বাবদ সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়া ৫০ লাখ টাকা তার পরিবারকে বুঝিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন হাইকোর্ট।
বিসিসির মেয়র থাকাকালে ১৯৯৫ সালের একটি ঘটনায় ২০০৯ সালে আহসান হাবিব কামালসহ ৭ জনের রিরুদ্ধে ২৭ লাখ ৫৪ হাজার টাকা আত্মসাতের মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। সেই মামলায় ২০১৯ সালের ৯ নভেম্বর দেওয়া রায়ে কামালসহ ৫ জনকে ৭ বছরের কারাদণ্ড ও এক কোটি টাকা জরিমানা করেন বরিশালের জেলা ও দায়রা জজ আদালত। তখন এই রায়ে মামলার সাত আসামির মধ্যে ২ জনকে বেকসুর খালাস প্রদান করেছিলেন আদালত।
রায়ের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ০৯ নভেম্বর থেকে ২০২০ সালের ১৬ জুলাই পর্যন্ত কারাগারে ছিলেন সাবেক মেয়র কামাল। কারাগারে থাকা অবস্থায় নিম্ন আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টে আপিল করা হলে ৫০ লাখ টাকার জামিননামায় তাকে মুক্তির নির্দেশ দেন বিচারপতি। নির্দেশনা অনুযায়ী ৫০ লাখ টাকা সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার পরও কামালের মুক্তি পেতে চার মাসেরও বেশি সময় লেগে যায়।
পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৩০ জুলাই মৃত্যুবরণ করেন কামাল। এ দিকে, উচ্চ আদালতে চলমান মামলার রায়ে আজ কামালসহ ৫ আসামিকে বেকসুর খালাস ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। নিম্নাদালতের দেওয়া রায় পর্যালোচনা ও ২০ জন স্বাক্ষীর দেওয়া স্বাক্ষ্য বিবেচনায় এনে এই রায় দেন বিচারপতি মো. সোহরাওয়ার্দী।
কামালের পক্ষের আইনজীবী বারিস্টার সানজিদ সিদ্দিকী জানান, সাবেক মেয়র আহসান হাবিব কামালসহ বিসিসির তৎকালীন মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলনের ঘটনায় মামলা করে দুদক। কিন্তু মূখ্য নির্বাহী কর্মকর্তার স্বাক্ষরে টাকা উত্তোলন করা হলেও তাকে আসামি করা হয়নি।
এ ছাড়া, সড়ক ও জনপদের একজন প্রকৌশলীর তদন্তে আত্মসাতের প্রমাণ পেয়েছে বলে দাবি করেছিল দুদক। কিন্তু সেই নির্বাহী প্রকৌশলী উচ্চাদালতে স্বাক্ষ্য দিতে আসেননি। স্বাক্ষীদের স্বাক্ষ্য বিচার বিশ্লেষণ করে বিচারপতি এই সিদ্ধান্তে উপনিত হন যে, রাষ্ট্রপক্ষ অভিযোগ প্রমাণ করতে পারেনি। এই কারণে কামালের মৃত্যুর চার বছর পরে ঘোষিত উচ্চাদালতের রায়ে কামালসহ ৫ জনকে বেকসুর খালাস দেওয়া হয়েছে।
২০২২ সালের ৩০ জুলাই ঢাকায় চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যুবরণ করেন আহসান হাবিব কামাল। তিনি বরিশাল দক্ষিণ জেলা ও মহানগর বিএনপির সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন। কামাল কেন্দ্রীয় বিএনপির মৎস্যজীবীবিষয়ক সম্পাদক ছিলেন। ১৯৯১ সাল থেকে বরিশাল পৌরসভার চেয়ারম্যান ও প্রশাসকের দায়িত্বে ছিলেন তিনি। ২০০২ সালে বরিশাল সিটি করপোরেশনে উন্নীত হলে প্রথম ভারপ্রাপ্ত মেয়র মনোনীত হন। ২০১৩ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের প্রার্থী শওকত হোসেন হিরণকে হারিয়ে মেয়র নির্বাচিত হন তিনি।
১৫৮ দিন আগে
এনসিপির পদযাত্রা ঘিরে সংঘর্ষ: গোপালগঞ্জে আরও দুই মামলা দায়ের
গোপালগঞ্জে জাতীয় পার্টির (এনসিপি) সমাবেশ কেন্দ্র করে টুঙ্গিপাড়ায় মহাসড়ক অবরোধ করে টায়ার জ্বালিয়ে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টির অভিযোগে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গ সংগঠনের ৮২ নেতাকর্মীর নামে মামলা করা হয়েছে। এ মামলায় অজ্ঞাত ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এছাড়া গোপালগঞ্জ সদর থানায় পৃথক আরেকটি মামলা হয়েছে।
বুধবার (২৩ জুলাই) টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম জানান, মঙ্গলবার (২২ জুলাই) রাতে টুঙ্গিপাড়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মনির হোসেন বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে মামলাটি করেন।
মামলার এজাহার বলা হয়েছে, গত ১৬ জুলাই গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) সমাবেশকে পণ্ড করতে ঢাকা-পিরোজপুর মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে অবরোধ করে যানবাহন চলাচলে বাধা ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে যুবলীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা মিছিল করতে থাকে। এ ছাড়া মহাসড়কের আশপাশে সরকারি সম্পত্তির ক্ষতি করারও চেষ্টা করা হয়।
টুঙ্গিপাড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খোরশেদ আলম বলেন, ঘটনার দিন থেকে টুঙ্গিপাড়ায় এ মামলার এজাহারের ২৩ জনসহ মোট ২৯ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। মঙ্গলবার রাতে হওয়া এ মামলায় নতুন করে কাউকে গ্রেপ্তার করা হয়নি। নিরপরাধ কোনো ব্যক্তি যাতে হয়রানির শিকার না হয়—সে বিষয়টি মাথায় রেখেই পুলিশের অভিযান অব্যাহত থাকবে।
গোপালগঞ্জে জাতীয় নাগরিক পার্টির (এনসিপি) জুলাই পদযাত্রা ঘিরে হামলা-সংঘর্ষের ঘটনায়, মঙ্গলবার রাতে জেলা কারাগারের জেলার বাদী হয়ে সদর থানায় আরেকটি মামলা করেন।
সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর মোহাম্মদ সাজেদুর রহমান মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপালগঞ্জ জেলা কারাগারে হামলা ও সরকারি কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে জেলার তানিয়া জামান বাদী হয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের জেলা সভাপতি নিউটন মোল্লা, সাধারণ সম্পাদক আতাউর রহমানসহ ১৬০ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা এক হাজার জনকে আসামি করে সদর থানায় অন্য মামলাটি করেন।
১৫৮ দিন আগে
অর্থনীতিবিদ আবুল বারকাতের দুদিনের রিমান্ড মঞ্জুর
অর্থনীতিবিদ ও জনতা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবুল বারকাতের জামিন নামঞ্জুর করেছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ ও সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন।
অন্যদিকে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালত তাকে দুই দিনের রিমান্ডে নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।
বুধবার (২৩ জুলাই) পৃথক দুই আদালতে জামিনের আবেদন ও রিমান্ডের আবেদন শুনানি হয়।
গত ১১ জুলাই দুপুরের পর আবুল বারাকাতকে দুর্নীতির একটি মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে পাঠানো হয়।
তদন্ত কর্মকর্তা তিন দিনের রিমান্ডের আবেদন করেন। অন্যদিকে আবুল বারাকাতের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিনের আবেদন করেন।
কিন্তু দিনটি শুক্রবার হওয়ায় ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালত ছুটি থাকায় রিমান্ড ও জামিনের আবেদন শুনানি হয়নি।
সংশ্লিষ্ট আদালতে শুনানি হবে বলে চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জানান। পরে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আজ রিমান্ড শুনানির জন্য বারাকাতকে ঢাকার সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতে হাজির করা হয়। জামিনের আবেদন থাকায় আজ তার জামিন আবেদন শুনানির জন্য দিন ধার্য ছিল।
সিনিয়র বিশেষ জজ আদালতের বিচারক মো. জাকির হোসেন আইনজীবীকে জামিন শুনানি করতে বলেন। বারাকাতের আইনজীবী শাহিনুর ইসলাম জামিন শুনানি করেন। আদালত জামিনের আবেদন নামঞ্জুর করেন। একই সঙ্গে রিমান্ডের আবেদন শুনানি গ্রহণের জন্য ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটকে নির্দেশ দেন।
পরে দুপুরের পর ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. জাকির হোসেন রিমান্ডের আবেদনের ওপর শুনানি গ্রহণ করেন।
শুনানিতে বারাকাতের আইনজীবী আদালতকে বলেন, রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যৌক্তিকতা নেই। আবুল বারাকাত একজন অর্থনীতিবিদ। তিনি ব্যাংকের চেয়ারম্যান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন। ঋণ দেওয়ার বিষয়ে ব্যাংকের মাঠ পর্যায়ে এবং ব্যাংকের কর্মকর্তারাই সিদ্ধান্ত নেন কাকে ঋণ দেওয়া হবে, আর কাকে দেওয়া হবে না। ব্যাংক কর্মকর্তাদের নোটের ওপর বা সিদ্ধান্তের ওপর তিনি অনুমোদন দেন শুধু। তিনি বয়স্ক মানুষ। তিনি অসুস্থ। তাকে রিমান্ডে নেওয়ার কোনো যুক্তি নেই।
এ পর্যায়ে আদালতের অনুমতি নিয়ে আবুল বারাকাত আদালতকে বলেন, ‘আমি কোনো দুর্নীতি করিনি। কোনো অর্থ আত্মসাৎ করিনি। বাংলাদেশ ব্যাংকের নীতি ও বিধি-বিধান মেনে ঋণ অনুমোদন দিয়েছি মাত্র। আমার অনুমোদন দেওয়ায় কোনো অনিয়ম হয়নি।’
গত ১০ জুলাই রাতে রাজধানীর ধানমন্ডি এলাকা থেকে রাত পৌনে ১২টার দিকে আবুল বারকাতকে আটক করে মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) একটি দল। পরে দুর্নীতির মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়।
মামলার সূত্রে জানা যায়, ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্নর ড. আতিউর রহমান এবং অর্থনীতিবিদ ড. আবুল বারাকাতসহ ২৩ জনের বিরুদ্ধে গত ২০ ফেব্রুয়ারি মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
তাদের বিরুদ্ধে অ্যাননটেক্স গ্রুপকে ঋণের নামে দেওয়া ২৯৭ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ আনা হয়। দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে সংস্থাটি উপপরিচালক মো. নাজমুল হুসাইন বাদী হয়ে মামলাটি দায়ের করেন।
১৫৮ দিন আগে
ভারতে প্রবেশের সময় ৭ মামলার আসামি ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
ভারতে পালিয়ে যাওয়ার সময় বেনাপোল ইমিগ্রেশন চেকপোস্ট থেকে সাত মামলার পলাতক আসামি ছাত্রলীগ নেতা আব্দুস সামাদ আজাদকে (৫২) গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (২৩ জুলাই) সকাল ১১টার দিকে ভারতে প্রবেশের উদ্দেশ্যে ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট জমা দিলে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার আব্দুস সামাদ আজাদ মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি। তিনি মৌলভীবাজারের ৪ নম্বর ওয়ার্ডের মোস্তফাপুর গ্রামের আকিব আলীর ছেলে।
আরও পড়ুন: গাইবান্ধায় আসামি ধরতে গিয়ে র্যাবের ৭ সদস্য আহত, অপহরণকারী গ্রেপ্তার
বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস হোসেন মুন্সী জানান, আজ (বুধবার) সকালে ভারতে যাওয়ার সময় ইমিগ্রেশনে পাসপোর্ট জমা দেন আব্দুস সামাদ আজাদ। এ সময় ইমিগ্রেশন পুলিশ তার তথ্য যাচাইয়ের পর তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করলে তিনি স্বীকার করেন তার নামে মৌলভীবাজার থানায় একাধিক মামলা রয়েছে। এসব মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় সোর্পদ করা হয়েছে। পরে সেখান থেকে আব্দুস সামাদকে মৌলভীবাজার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করবে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশ।
বেনাপোল পোর্ট থানার ওসি রাসেল মিয়া বলেন, ‘মৌলভীবাজার জেলা ছাত্রলীগের এক নেতাকে গ্রেপ্তার করে বেনাপোল পোর্ট থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে ইমিগ্রেশন পুলিশ । তার বিরুদ্ধে সাতটি মামলা থাকায় তাকে মৌলভীবাজার থানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
১৫৯ দিন আগে
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধে দণ্ড: মোবারকের আপিলের রায় ৩০ জুলাই
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের রায়ের বিরুদ্ধে ১১ বছর আগে ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়ার মো. মোবারক হোসেনের করা আপিলের ওপর রায়ের জন্য ৩০ জুলাই তারিখ রেখেছেন আপিল বিভাগ। শুনানি শেষে আজ মঙ্গলবার প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ রায়ের এ তারিখ ধার্য করেন। তিনি আওয়ামী লীগের বহিষ্কৃত নেতা ছিলেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া দণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে ২০১৪ সালের ১৮ ডিসেম্বর আপিল বিভাগে আপিল করেন মোবারক, যার ওপর ৮ জুলাই শুনানি শুরু হয়। ১৬ জুলাই দ্বিতীয় দিনের মতো শুনানি হয়। সেদিন শুনানি নিয়ে আপিল বিভাগ মঙ্গলবার শুনানির জন্য দিন রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় শুনানি শেষে আপিল বিভাগ রায়ের জন্য ৩০ জুলাই তারিখ ধার্য করেন।
পড়ুন: আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানো মামলায় পলাতক আসামিদের ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার নির্দেশ
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মোবারককে মৃত্যুদণ্ডাদেশ দিয়ে ২০১৪ সালের ২৪ নভেম্বর রায় দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম, বিচারপতি জাহাঙ্গীর হোসেন ও বিচারপতি আনোয়ারুল হকের সমন্বয়ে গঠিত ট্রাইব্যুনাল-১ ওই রায় ঘোষণা করেন। তার বিরুদ্ধে আনা পাঁচটি অভিযোগের মধ্যে দুটি প্রমাণিত হয়। এর মধ্যে ১ নম্বর অভিযোগে মোবারককে মৃত্যুদণ্ড দেওয়া হয়। আর ৩ নম্বর অভিযোগে মোবারককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়। অপর তিনটি অভিযোগ (২, ৪ ও ৫ নম্বর অভিযোগ) প্রমাণিত না হওয়ায় এগুলো থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।
রায়ে বলা হয়, একাত্তরে মোবারক ব্রাহ্মণবাড়িয়ার রাজাকার বাহিনীর অন্যতম সদস্য ছিলেন।
ট্রাইব্যুনালের রায় থেকে জানা যায়, মুক্তিযুদ্ধের সময় মোবারক জামায়াতের রাজনীতির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ছিলেন। স্বাধীনতার পর তিনি জামায়াতের ইউনিয়ন পর্যায়ে রুকন হন। পরে তিনি আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দেন। মোবারক ২০১২ সাল পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া উপজেলার মোগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ছিলেন। ট্রাইব্যুনালের রায়ের পর দণ্ডাদেশ বাতিল ও খালাসের আরজি জানিয়ে মোবারক ২০১৪ সালে আপিল করেন। এ আপিল ওপর মঙ্গলবার শুনানি শেষ হয়। আদালতে মোবারকের পক্ষে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান ও ইমরান এ সিদ্দিক শুনানি করেন।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটর গাজী এম এইচ তামিম শুনানিতে অংশ নেন। পরে জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক বলেন, ১ নম্বর অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড ও ৩ নম্বর অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছিলেন ট্রাইব্যুনাল। দুটি অভিযোগ থেকে খালাস চেয়ে আপিল করা হয়। আপিলের ওপর শুনানি শেষে আপিল বিভাগ ৩০ জুলাই রায়ের জন্য তারিখ ধার্য করেছেন।
১৫৯ দিন আগে
বিমান বিধ্বস্তের ঘটনার কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ
রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিমানবাহিনীর একটি প্রশিক্ষণ যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে বিশেষজ্ঞ কমিটি গঠনের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি করে মঙ্গলবার (২২ জুলাই) বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে বিমান বিধ্বস্তের কারণে হতাহতদের পরিবারকে পর্যাপ্ত ক্ষতিপূরণ দিতে রুল জারি করেছেন আদালত।
আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন বার কাউন্সিলের ভাইস চেয়ারম্যান, জ্যেষ্ঠ আইনজীবী অ্যাডভোকেট জয়নুল আবেদীন, ব্যারিস্টার কায়সার কামাল, অ্যাডভোকেট গাজী কামরুল ইসলাম সজল। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল শফিকুর রহমান, তানিম খান, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল ইকরামুল কবির ও মো. ঈসা।
এর আগে রাজধানীর উত্তরার দিয়াবাড়িতে বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজে বিধ্বস্ত হয়ে ছাত্র-ছাত্রীসহ বহু হতাহতের ঘটনায় কারণ অনুসন্ধানে তদন্ত কমিটি ও ঢাকাসহ দেশের সব জনবহুল এলাকায় ত্রুটিপূর্ণ বিমান এবং যুদ্ধবিমান উড্ডয়নের নিষেধাজ্ঞা দেওয়ার নির্দেশনা চেয়ে রিট দায়ের করা হয়।
অ্যাডভোকেট আনিসুর রহমান রায়হান বিশ্বাস বাদী হয়ে এ রিট দায়ের করেন। রিটে বিমানবাহিনীর অধীনে ত্রুটিপূর্ণ বিমানের সংখ্যা কত এবং এদের রক্ষণাবেক্ষণের কী কার্যক্রম গ্রহণ করা হচ্ছে, তা জানতে নির্দেশনা চাওয়া হয়েছে।
এছাড়া মাইলস্টোন স্কুলের আহত শিক্ষার্থী, শিক্ষক এবং অভিভাবকদের বিদেশে উন্নত চিকিৎসার জন্য পাঠানো, মাইলস্টোন স্কুলে আগুনে পুড়ে যাওয়া নিহত শিক্ষার্থীদের ৫ কোটি টাকা এবং আহত শিক্ষার্থীদের ১ কোটি টাকা করে ক্ষতিপূরণ চাওয়া হয়।
সোমবার (২১ জুলাই) দুপুর ১টার দিকে দুর্ঘটনায় পড়ে বাংলাদেশ বিমানবাহিনীর একটি যুদ্ধবিমান। বিমানটি উত্তরার মাইলস্টোন স্কুল অ্যান্ড কলেজের একটি ভবনে গিয়ে পড়ে বিধ্বস্ত হয়। সঙ্গে সঙ্গে বিমান ও স্কুল ভবনটিতে আগুন ধরে যায়। যে ভবনে এটি বিধ্বস্ত হয় সেখানে বহু স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থী ছিল, যাদের বেশিরভাগই হতাহত হয়েছে।
এ বিমান দুর্ঘটনায় শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত (মঙ্গলবার সকাল ৮টা) নিহতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২৭ জনে এবং নিহতদের মধ্যে ২৫ জনই শিশু। এছাড়া বিভিন্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছে অনেকে।
১৬০ দিন আগে
জাতীয় নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
জাতীয় সংসদ নির্বাচনের জন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী প্রস্তুত রয়েছে বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী। তিনি বলেন, নির্বাচনের জন্য হাতে সময় রয়েছে। এ বিষয়ে প্রস্তুতিও নেওয়া হচ্ছে।
রবিবার (২০ জুলাই) দুপুরে সচিবালয়ে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সম্মেলন কক্ষে আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত কোর কমিটির সভা এবং ঢাকা মেট্রোপলিটন ও তৎসংলগ্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভা শেষে সাংবাদিকদের ব্রিফিংকালে এসব কথা বলেন তিনি।
‘নির্বাচন নিরাপদ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। সব মিলিয়ে নির্বাচন করতে কোনো অসুবিধা হবে না,’ যোগ করেন উপদেষ্টা।
তিনি বলেন, ঢাকা মেট্রোপলিটন ও তৎসংলগ্ন এলাকার আইনশৃঙ্খলা সংক্রান্ত বিশেষ সভায় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের সকল উপকমিশনার (ডিসি), র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)-এর সংশ্লিষ্ট কমান্ডিং অফিসার এবং সেনাবাহিনীর দায়িত্বপ্রাপ্ত কর্মকর্তাদের আমন্ত্রণ জানানো হয়েছিল। তাদের কাছ থেকে পূর্বের ও বর্তমান সময়ের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির তুলনামূলক বিশ্লেষণ জানতে চেয়েছিলাম। তারা জানিয়েছে, বর্তমানে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি আগের তুলনায় অনেক উন্নত হয়েছে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, গোপালগঞ্জে সহিংসতার ঘটনায় গণগ্রেফতার হচ্ছে না। তবে আমরা নির্দেশনা দিয়েছি কোনো অবস্থাতেই যেন দুষ্কৃতকারী ছাড়া না পায় এবং নিরপরাধ মানুষ হয়রানির শিকার না হয়।
উপদেষ্টা বলেন, যারা অন্যায় করেছে তাদের গ্রেফতার করা হচ্ছে। পরিস্থিতি অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
গোপালগঞ্জে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ভূমিকা নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে উপদেষ্টা বলেন, তারা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী দায়িত্ব পালন করছে।
তিনি বলেন, সাংবাদিক হিসেবে এই যে আপনারা আমাকে প্রশ্ন করছেন—এটা হচ্ছে মতপ্রকাশের স্বাধীনতা। সবার মতপ্রকাশের স্বাধীনতা থাকবে। এটাই গণতন্ত্রের সৌন্দর্য। তবে মতপ্রকাশের ক্ষেত্রে যেন কোনো আক্রমণাত্মক বা অশালীন ভাষা ব্যবহার না হয়—সেটি খেয়াল রাখতে হবে।
তিনি আরও বলেন, গণতন্ত্র চর্চা করলে প্রকৃত সত্য সবসময় প্রকাশ পায়।
ব্রিফিংকালে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী ও স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনি উপস্থিত ছিলেন।
১৬১ দিন আগে
হাসিনার প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির মামলার বিচার প্রক্রিয়া বদলির নির্দেশ
রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) প্লট বরাদ্দে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল, বোন শেখ রেহানাসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) করা ছয় মামলার বিচার বদলির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (২০ জুলাই) শুনানি শেষে ঢাকার মহানগর দায়রা জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত এ আদেশ দেন।
দুদকের প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি বলেন, দুদকের করা ছয় মামলায় বিচারের জন্য পৃথক পৃথক আদালতে পাঠানো হয়েছে। তবে এখনও আদালতের নাম ও তারিখ ঠিক করা হয়নি। এসব মামলায় আসামিদের অনুপস্থিতিতেই বিচার শুরু হতে যাচ্ছে।
পড়ুন: হাসিনা কখনোই ক্ষমা পাবে না: মির্জা ফখরুল
মামলার অপর আসামিদের মধ্যে রয়েছেন: রেহানার মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, আজমিনা সিদ্দিক রূপন্তী, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, জাতীয় গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যান আনিছুর রহমান মিঞা, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, সদস্য (প্রশাসন ও অর্থ) কবির আল আসাদ, সদস্য (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ) তন্ময় দাস, সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) নুরুল ইসলাম, সাবেক সদস্য (পরিকল্পনা) মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, সাবেক সদস্য সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী, পরিচালক (এস্টেট ও ভূমি-২) শেখ শাহিনুল ইসলাম, উপপরিচালক হাফিজুর রহমান, হাবিবুর রহমান, সাবেক প্রতিমন্ত্রী শরীফ আহমেদ এবং প্রধানমন্ত্রীর সাবেক একান্ত সচিব সালাউদ্দিন।
প্লট বরাদ্দের দুর্নীতির অভিযোগে গত জানুয়ারিতে পৃথক ছয়টি মামলা দায়ের করে দুদক। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ (পুতুল), বোন শেখ রেহানা, রেহানার মেয়ে ও ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক, ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক এবং অপর মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকসহ আরও অনেককে আসামি করা হয়।
সম্প্রতি সবগুলো মামলায় আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়েছে। আসামিরা পলাতক থাকায় তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি রয়েছে।
১৬২ দিন আগে
রাজধানীতে মা-মেয়ে হত্যা: দুই আসামির মৃত্যুদণ্ড
রাজধানীর কদমতলী এলাকায় মোসাম্মৎ ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে হত্যার অভিযোগে দুইজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড করেছেন আদালত।
রবিবার (২০ জুলাই) ঢাকার দ্বিতীয় অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ নার্গিস ইসলাম এ রায় দেন। মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন—আল আমিন, মো. মিরাজ মোল্লা। আসামি আল আমিন ও মিরাজ কারাগারে আছেন।অপর আসামি নুর আলম পলাতক থাকায় তার বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত। মামলার অপর আসামি নুরুল আলমের বিচার শিশু আদালতে চলমান রয়েছে।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, পারিবারিক কলহের জেরে পরিকল্পিতভাবে ভিকটিমের স্বামীর পূর্বের স্ত্রী ও অন্যান্য আসামিদের সহযোগীতায় ২০১০ সালের ৮ মে হাত-পা বেঁধে ও গলায় ফাঁস দিয়ে ইয়াসমিন আলম ও তার মেয়ে ইরিনা আলম তানহাকে হত্যা করা হয়।
ওই ঘটনায় কদমতলী থানায় নিহতের ভাই মনির হোসেন বাদী হয়ে মামলাটি করেন। ২০১০ সালের ৩১ আগস্ট গোয়েন্দা ও অপরাধ বিভাগের পুলিশ পরিদর্শক শেখ মাহবুবুর রহমান তিন আসামির বিরুদ্ধে চার্জশিট দাখিল করেন।২০২২ সালের ৮ জানুয়ারি আসামিদের বিরুদ্ধে চার্জ গঠন করেন আদালত। বিচার চলাকালে ১৫ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
১৬২ দিন আগে