আইনশৃঙ্খলা
চকবাজারে দুই বাসের চাপায় পথচারী নিহত
রাজধানীর চকবাজারে বুয়েটের সামনে বকসীবাজার মোড়ে রাস্তা পারাপারের সময় দুই বাসের মাঝখানে চাপা পড়ে এক পথচারী নিহত হয়েছেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) দিনগত রাত দেড়টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহত ওই ব্যক্তির নাম জহিরুল হক (৫২)।
গুরুতর আহত অবস্থায় তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে নিয়ে গেলে জরুরি বিভাগের দায়িত্বরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
নিহত জহিরুল পাবনার ঈশ্বরদী উপজেলার বাবুপাড়া গ্রামের মৃত আব্দুল মজিদের ছেলে। তার ছোট ছেলে ক্যানসারে আক্রান্ত হয়ে বর্তমানে ঢামেক হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
নিহতের বোন সিনথিয়া আক্তার জানান, ভাই তার অসুস্থ ছেলেকে দেখতে ঢামেকে আসার পথে বুয়েট ও বকশীবাজার মোড়ের মাঝামাঝি এলাকায় রাস্তা পার হওয়ার সময় দুই বাসের মাঝে চাপা পড়ে গুরুতর আহত হন।
ঢামেক হাসপাতালের পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ মো. ফারুক জানান, আহত অবস্থায় তাকে হাসপাতালে আনা হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন। মরদেহ মর্গে রাখা হয়েছে এবং বিষয়টি সংশ্লিষ্ট থানায় জানানো হয়েছে।
১৭৩ দিন আগে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে ছাত্রদের পেটানো রংপুরের সেই ওসিকে ১১ মাস পর বদলি
রংপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার অভিযোগে অভিযুক্ত তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ আলম সরদারকে ১১ মাস পর বদলি করা হয়েছে। ঘটনার সময় তিনি কোতোয়ালি থানায় ওসি (তদন্ত) হিসেবে দায়িত্বে ছিলেন।
মঙ্গলবার (৮ জুলাই) বিকালে শাহ আলম সরদারকে বদলির বিষয়টি নিশ্চিত করেন রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী।
শাহ আলম সরদারের বিরুদ্ধে গত বছরের ১৬ জুলাই আবু সাঈদ হত্যাকাণ্ডের দিন তিনি রংপুর নগরীতে চলমান বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমর্থনে মিছিলে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীদের পেটানোর অভিযোগ রয়েছে। এ ঘটনার একটি ভিডিওচিত্র সামাজিকমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা ঝড় শুরু হয়। আন্দোলনকারীরা দিনটিকে শহীদ আবু সাইদ হত্যার ‘পূর্ব মুহূর্ত’ হিসেবে চিহ্নিত করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের অংশ হিসেবে গত বছরের ১৬ জুলাই রংপুর নগরীর জিলা স্কুলের সামনে জড়ো হন কয়েকশো শিক্ষার্থী। সেখান থেকে তারা একটি বিক্ষোভ মিছিল নিয়ে টাউন হলের দিকে অগ্রসর হলে, পুলিশ লাইন্স মোড়ে এসে বাধার মুখে পড়ে। পুলিশ মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করতে লাঠিচার্জ শুরু করে।
অভিযোগ রয়েছে, কোতোয়ালি জোনের তৎকালীন সহকারী কমিশনার আরিফুজ্জামান ও কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) শাহ আলম সরদারের নির্দেশেই ওই লাঠিচার্জ চালানো হয়। আন্দোলনকারীদের ওপর হামলায় ওসি শাহ আলম নিজেও অংশ নেন।
ভিডিওচিত্র ও আন্দোলনকারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, গত বছরের ১৬ জুলাইয়ের সেই মিছিলে পুলিশের লাঠিচার্জ শুরু হলে কোতোয়ালি থানার তৎকালীন ওসি (তদন্ত) শাহ আলম সরদারকে শিক্ষার্থীদের লাথি ও ঘুষি মারতে দেখা গেছে। পুলিশ লাইন্স মোড়ে মিছিল ছত্রভঙ্গ করার সময় শাহ আলম সরদার শিক্ষার্থীদের শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করছেন। এ সময় তার নেতৃত্বে অন্যান্য পুলিশ সদস্যরাও আন্দোলনকারীদের ওপর বেপরোয়াভাবে লাঠিচার্জ চালান এবং শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করেন।
জানা গেছে, পাঁচ আগস্ট পট-পরিবর্তনের পর আন্দোলনকারীদের মিছিলে হামলার ঘটনায় জড়িত বেশ কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে বদলি করা হলেও, শাহ আলম সরদার ছিলেন ব্যতিক্রম। উল্টো শাস্তির বদলে তাকে রংপুর নগরীরই আরেক গুরুত্বপূর্ণ থানার দায়িত্ব দেওয়া হয়। তিনি তাজহাট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে গত বছরের ১৭ সেপ্টেম্বর পদায়ন পান।
ওসি শাহ আলম সরদারকে বদলির সিদ্ধান্তকে দায়ীদের ‘রক্ষা ও উৎসাহ দেওয়ার নমুনা’ হিসেবে দেখছেন আন্দোলনকারীরা। তাদের মতে, জড়িত ওসি শাহ আলমের দায়মুক্তি নিশ্চিত করতেই তাকে বদলি করা হয়েছে।
কেন এতদিন ওসি শাহ আলম সরদারকে বদলি করা হয়নি— এ প্রশ্নের সঠিক জবাব দিতে পারেননি পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী।
তিনি বলেন, তাজহাট থানার ওসিকে সরানো হয়েছে। তাকে বর্তমানে গোয়েন্দা ইউনিটে বদলি করা হয়েছে।
তবে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে নেতারা বলছেন, ওসি শাহ আলম সরদারকে মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার মজিদ আলী পৃষ্ঠপোষকতা দিয়েছেন, এর দায় তিনি এড়াতে পারেন না।
১৭৩ দিন আগে
হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনা অমান্য করে সোনারগাঁ থানার ওসিকে পদায়নের অভিযোগ
পুলিশ হেডকোয়ার্টারে নির্দেশনা না মেনে একজন পরিদর্শককে নারায়ণগঞ্জের সোনারগাও থানায় ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) হিসেবে পদায়ন করার অভিযোগ উঠেছে। ইতোমধ্যে ইসমাইল হোসেন নামে একজন পরিদর্শক ওসি হিসেবে যোগদান করেছেন।
পুলিশ হেডকোয়ার্টারে একটি সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
সূত্র জানায়, গত ১৭ জুন পুলিশ হেডকোয়ার্টার থেকে সকল রেঞ্জ ডিআইজি ও মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনারসহ সংশ্লিষ্ট ইউনিট প্রধানদের চিঠির মাধ্যমে একটি নির্দেশনা দেওয়া হয়। যেখানে বলা হয়েছে, ৫২ বছরের উপরে কোনো পুলিশ পরিদর্শককে থানায় ওসি হিসেবে দায়িত্ব দেওয়া যাবে না।
ওই চিঠিতে আরও জানানো হয়, গত ১৬ এপ্রিল পলিসি গ্রুপের একটি মিটিং পুলিশ হেডকোয়ার্টারে ইন্সপেক্টর জেনারেল অব পুলিশ বাহারুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়।
এতে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নীতিগতভাবে নেওয়া হয়। এর মধ্যে একটি উল্লেখযোগ্য সিদ্ধান্ত হচ্ছে যে কোনো থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) হিসেবে ৫২ বছরের উপরে কোনো পুলিশ পরিদর্শককে পদায়ন করা যাবে না।
পুলিশের একটি সূত্র জানায়, নারায়ণগঞ্জ জেলার এসপি প্রত্যুষ কুমার ৫৪ বছর বয়সী পরিদর্শক মো. ইসমাইল হোসেনকে সোমবার (৭ জুলাই) সোনারগাঁও থানায় ওসি হিসেবে পদায়ন করেন। পরিদর্শক ইসমাইল হোসেন পদায়নের নির্দেশনা পেয়ে সোমবার সন্ধ্যায় সোনারগাঁ থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করেছেন।
পড়ুন: ধর্ষণবিরোধী পদযাত্রার প্রকাশিত ছবিতে সত্য আড়াল করা হয়েছে: পুলিশ
এ ব্যাপারে যোগাযোগ করা হলে নারায়ণগঞ্জ জেলার এসপি প্রত্যুষ কুমার জানান, ডিপার্টমেন্টের ভালোর জন্য অনেক বিষয় সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পরিদর্শক ইসমাইল হোসেনকে সোনারগা থানায় ওসি হিসেবে পদায়নের পূর্বে সিনিয়রদের সঙ্গে আলোচনা করে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক্ষেত্রে পুলিশ হেডকোয়ার্টারের নির্দেশনা লঙ্ঘন করা হয়েছে কিনা জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করেননি।
সোনারগাঁও থানায় ওসি হিসেবে যোগদান করা পরিদর্শক ইসমাইল হোসেনের সঙ্গে যোগাযোগ করলে উনি জানান, পোস্টিং অর্ডার পেয়ে সোমবার ওসি হিসেবে জয়েন করেছেন তিনি। পুলিশ হেডকোয়াটারের নির্দেশনা বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে উনি এ বিষয়ে কিছু জানেন না বলে জানান।
১৭৩ দিন আগে
পুলিশ হত্যা: ঝিনাইদহে ৪ জনের ফাঁসি, ৪ জনের যাবজ্জীবন
ঝিনাইদহ, ৭ জুলাই (ইউএনবি)— ঝিনাইদহ সদরের ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের সাবেক ইনচার্জ উপপরিদর্শক মিরাজুল ইসলাম হত্যা মামলায় ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (৭ জুলাই) ঝিনাইদহের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মাহাবুব আলম এ রায় দেন।
মৃতুদণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন— রাজবাড়ী জেলার নিমতলা এলাকার আমজাদ হোসেন, লিয়াকত হোসেন, দক্ষিণ দৌলতদিয়া গ্রামের আক্কাস আলী, ফরিদপুরের ভাটি লক্ষীপুর গ্রামের আলম শেখ।
এ ছাড়াও যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন ফরিদপুরের শোভারামপুর গ্রামের শাহীন, গোয়ালচামট গ্রামের মোহাম্মদ সাগর, টাপাখোলা গ্রামের নুরু খা ও যশোরের শেখহাটি খা পাড়া এলাকার মনির হোসেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত ৮ জনের মধ্যে শুধুমাত্র মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামি আমজাদ হোসেন আদালতে উপস্থিত ছিল। বাকি সব আসামি পলাতক রয়েছেন।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, ২০১১ সালের ২৩ আগস্ট রাতে জেলা শহরের বাস মালিক সমিতি অফিসের সামনে একটি মোটরসাইকেল দুর্ঘটনায় পতিত হয়। পরে ঘটনাস্থলে পুলিশ দেখে আরোহীরা পালিয়ে যায়।
পরে পুলিশ দেখতে পায় মোটরসাইকেল টি ডাকবাংলা পুলিশ ক্যাম্পের ইনচার্জ উপপরিদর্শক মিরাজুল ইসলামের। কিন্তু তখন মিরাজুলের ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এ সময় পুলিশ খোঁজ নিয়ে জানতে পারে ওই দিন সন্ধ্যায় মিরাজুল ইসলাম ইফতার করে প্রয়োজনীয় কাগজ, নিজের নামে ইসুকৃত পিস্তল, গুলি, ম্যাগজিন সহ অন্যান্য কাগজ নিয়ে মোটরসাইকেল যোগে কর্মস্তল ডাকবাংলা পুলিশ ফাড়িতে রওনা হয়েছেন।
এরপর পুলিশ বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি শুরু করে। পরবর্তীতে পরেরদিন ২৪ তারিখ সকালে পুলিশ ভেটেরিনারি কলেজের পুর্ব পাশের পানি ভর্তি ডোবা থেকে মিরাজুল ইসলাম এর পোশাক পরিহিত অবস্থায় হাত-পা বাধা মৃতদেহ উদ্ধার করে।
ওই দিনই পুলিশ বাদী হয়ে সদর থানায় অজ্ঞাত নামাদের আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করে।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়, তার কাছে থাকা পিস্তল, গুলি, মোটরসাইকেলসহ অন্যান্য মালামাল ছিনতাইয়ের জন্য সন্ত্রাসীরা মিরাজুলকে হত্যা করতে পারে।
এই মামলায় তদন্ত শেষে পুলিশ ১৫ জনকে অভিযুক্ত করে ২০১২ সালের জানুয়ারি মাসের ২৮ তারিখ আদালতে অভিযোগ পত্র দাখিল করে। সেই মামলায় তদন্ত শেষে সোমবার (৭ জুলাই) বিচারক ৪ জনকে মৃত্যুদণ্ড ও ৪ জনকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড দেন।। মামলায় বাকী আসামিরা খালাস পেয়েছেন।
১৭৪ দিন আগে
হবিগঞ্জে এসএসসি ফলপ্রত্যাশীকে হত্যা, ঘাতক গ্রেপ্তার
হবিগঞ্জ শহরের দেয়ানত রাম সাহার বাড়ি এলাকায় এসএসসি ফল প্রত্যাশী জনি দাস হত্যাকাণ্ডের পাঁচদিনের মাথায় ঘাতক সাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
সোমবার (৭ জুলাই) বিকেলে হবিগঞ্জ সদর মডেল থানায় আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার এএনএম সাজেদুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, রবিবার ভোরে শহরের কামড়াপুর এলাকা থেকে সাজু মিয়াকে গ্রেপ্তার করা হয়।
সাজু মিয়া আজমিরগঞ্জ উপজেলার শিবপাশা ইউনিয়নের পশ্চিম ভাগ গ্রামের মৃত খোশমান মিয়ার ছেলে। তিনি হবিগঞ্জ শহরের নাতিরাবাদ এলাকার একটি বাড়িতে ভাড়া থাকতেন।
এর আগে, শনিবার (৫ জুলাই) বিকালে নিহত জনির বাবা নরধন দাস বাদী হয়ে হবিগঞ্জ সদর থানায় অজ্ঞাত ব্যক্তিকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
গেল বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) ভোরে জনি দাস ও তার বড় ভাই জীবন দাস জয় নিজ বাসায় চুরি করতে আসা এক ব্যক্তিকে ধরে ফেলেন। এ সময়, ওই ব্যক্তি তাদের উপর ছুরিকাঘাত করে পালিয়ে যায়। পরে গুরুতর আহত অবস্থায় তাদের হবিগঞ্জ সদর হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক জনিকে মৃত ঘোষণা করেন। বড় ভাই জীবন দাস জয় এখনো চিকিৎসাধীন।
এ ঘটনার পর থেকেই পুলিশ তদন্তে নামে। তথ্যপ্রযুক্তি ও গোপন সংবাদের ভিত্তিতে মূল সন্দেহভাজন হিসেবে সাজু মিয়াকে শনাক্ত করে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ সুপার আরও জানান, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে সাজু মিয়া ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার ও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য দিয়েছেন। তবে এটি পরিকল্পিত হত্যাকাণ্ড ছিল না বলেও জানান তিনি। পরে বিকালেই সাজু মিয়াকে আদালতে হাজির করা হলে বিচারক তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১৭৪ দিন আগে
সাভারে ১১ অবৈধ বালু বিক্রির প্রতিষ্ঠানকে জরিমানা পরিবেশ অধিদপ্তরের
ঢাকার সাভারের আমিনবাজার ও বালুরঘাট এলাকায় বায়ুদূষণের দায়ে অবৈধ বালু বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের ভ্রাম্যমাণ আদালত ১১টি প্রতিষ্ঠানকে মোট সাড়ে ৫ লাখ টাকা জরিমানা করেছে।
সোমবার (৭ জুলাই) পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা দীপংকর বরের পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায়।
জরিমানাকৃত প্রতিষ্ঠানসমূহের মধ্যে রয়েছে আনাবিয়া ট্রেডার্স, কনফিডেন্ট ট্রেডার্স, নিউ ভাই ভাই এন্টারপ্রাইজ, শাহাদাত এন্টারপ্রাইজ, ফাহিম এন্টারপ্রাইজ, খান এন্টারপ্রাইজ, মেসার্স হাজী এন্টারপ্রাইজ, শ্যামল এন্টারপ্রাইজ, শ্যামল এন্টারপ্রাইজ, মা ফাতেমা এন্টারপ্রাইজ এবং ব্রাদার্স এন্টারপ্রাইজ।
প্রতিষ্ঠানগুলো আমিনবাজার, বালুরঘাট, সাভার, ঢাকায় অবস্থিত এবং তাদের বিরুদ্ধে যথাযথ আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করে জরিমানা আদায় করা হয়েছে।
পরিবেশ অধিদপ্তরের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জনাব কিশোর কুমার দাসের নেতৃত্বে অভিযান পরিচালিত হয়। এছাড়া, প্রসিকিউটর হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন অধিদপ্তরের ঢাকা জেলা কার্যালয়ের পরিদর্শক নয়ন কুমার রায়। অভিযানে আইনশৃঙ্খলা রক্ষায় বাংলাদেশ পুলিশ ও র্যা-০৪ এর একটি চৌকস দল প্রয়োজনীয় সহযোগিতা দিয়েছে।
বায়ুদূষণ রোধে এ ধরনের ভ্রাম্যমাণ আদালতের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছে পরিবেশ অধিদপ্তর।
১৭৪ দিন আগে
অধস্তন আদালত বিকেন্দ্রীকরণে ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে: সালাহউদ্দিন আহমদ
উপজেলা পর্যায়ে আদালত বিকেন্দ্রীকরণের বিষয়ে কিছু দিকনির্দেশনাসহ সবাই একমত হয়েছেন বলে দাবি করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমদ। তিনি বলেন, অধস্তন আদালত বিকেন্দ্রীকরণে একটি জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে।
সোমবার (৭ জুলাই) রাজধানীর ফরেন সার্ভিস একাডেমির দোয়েল হলে দেশের রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে কমিশনের বৈঠকের দ্বিতীয় পর্যায়ের দশম দিনের শেষে সাংবাদিকদের তিনি এমন তথ্য দিয়েছেন।
অধস্তন আদালতের ক্ষেত্রে কিছু কিছু বিষয় সুনির্দিষ্ট করে দেওয়া হয়েছে জানিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘যেমন, জেলা সদরে অবস্থিত উপজেলায় আদালত প্রতিষ্ঠার প্রয়োজন নেই। যেহেতু, সুনির্দিষ্টভাবে চিহ্নিত করা সদর উপজেলা আদালত জেলা সদরে জেলা জজকোর্টের সঙ্গে সংযুক্ত করে দেওয়া যায়, তাতে জেলা সদরে উপজেলা আদালত প্রতিষ্ঠা হয়ে যায় ‘
তিনি বলেন, ‘বর্তমানে বাংলাদেশে—যেগুলো ব্রিটিশ আমালের চৌকি হিসেবে চিহ্নিত ছিল—সেগুলো, দ্বীপাঞ্চল ও কিছু কিছু উপজেলায় আদালত প্রতিষ্ঠিত আছে। সেই সংখ্যাটা ৬৭, যেটা আমরা পরিসংখ্যানে পেয়েছি। কম-বেশিও হতে পারে। এগুলো প্রতিষ্ঠিত থাকবে। তবে সেখানে প্রয়োজনীয় অবকাঠামো ও সুযোগ-সুবিধা নির্মাণ করা প্রয়োজন।’
‘যেসব উপজেলা জেলা সদরের খুব কাছে, যোগাযোগ ব্যবস্থা যেহেতু আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে, সে জন্য কোনো উপজেলা সদর উপজেলা হেডকোয়ার্টার্সের ১৫ বা ২০ কিলোমিটারের মধ্যে থাকলে সরকারিভাবে আরেকটি স্থাপনা নির্মাণ, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের আবাস ও তা রক্ষণাবেক্ষণ করা খুবই ঝামেলাপূর্ণ ব্যাপার। সেই বিবেচনায় একটি বিস্তারিত জরিপ পরিচালনা শেষে সেসব উপজেলা সদর বা হেডকোয়ার্টার্সে আদালত স্থাপনের প্রয়োজন নেই বলে মতামত দেওয়া হয়েছে,’ যোগ করেন তিনি।
বিএনপির স্থায়ী কমিটির এই সদস্য বলেন, ‘উপজেলার দূরত্ব, জনঘনত্ব ও অর্থনৈতিক অবস্থা, যোগাযোগ, কোন কোন উপজেলায় কত মামলা আছে ও অন্যান্য বিষয়াবলি বিবেচনা করতে বলা হয়েছে। এরপর একটি জরিপ কার্যক্রম করে পর্যায়ক্রমে সমস্ত উপজেলায় আদালত স্থাপনে সম্মতি দেওয়া হয়েছে।’
‘আইনি সহায়তা উপজেলা পর্যায়ে বিস্তৃত করার বিষয়েও একটা ঐকমত্য এসেছে। মোটামুটি এই বিষয়গুলো নজরে রেখে উপজেলা আদালত কিংবা অধস্তন আদালত বিকেন্দ্রীকরণে একটি জাতীয় ঐকমত্য প্রতিষ্ঠা হয়েছে।’
বিভাগীয় শহরে হাইকোর্টের বেঞ্চ স্থাপনের ক্ষেত্রে বিচার বিভাগকে সম্পৃক্ত করার পরামর্শ দিয়ে সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘বিগত দিনে হাইকোর্টের স্থায়ী বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থাপনের বিষয়ে যে আলাপ হয়েছিল, বিচার বিভাগ সংস্কার কমিশনের প্রতিবেদনে সেই একই বিষয় অন্তর্ভুক্ত ছিল। আমরা বলেছি, হাইকোর্টে স্থায়ী বেঞ্চ বিভাগীয় শহরে স্থাপনের বিষয়ে বিচার বিভাগের সাথে আলোচনা করতে হবে।’
‘কারণ এ বিষয়ে ১৯৮৮ সালে সুপ্রিমকোর্টের একটি রায় আছে, সেই সংবিধান সংশোধনীকে অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হয়েছিল। তখন সেটা স্থাপিত হয়নি। সামনে যাতে একই জটিলতায় পড়তে না হয়, সে জন্য আমরা বলেছি—বিচার বিভাগের সাথে আলোচনা করে, তাদের সম্পৃক্ত করে একটি সমাধানে আসতে হবে। সেই দায়িত্ব জাতীয় ঐকমত্য কমিশন ও সরকারের।’
আরও পড়ুন: নির্বাচন যত দেরি হবে, দেশ তত পিছিয়ে যাবে: সিলেটে মির্জা ফখরুল
এরআগে উপজেলা পর্যায়ে আদালত প্রতিষ্ঠা করা হলেও তা তুলে দেওয়া হয়েছে, এখন সেটা আবার পুনর্প্রতিষ্ঠা করতে চাচ্ছেন কেন, জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘১৯৯১ সালে বিএনপির নেতৃত্বে সরকার প্রতিষ্ঠা করা হলে তখনকার রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত ও জাতীয় সেন্টিমেন্টের সাথে একমত হয়ে উপজেলা পর্যায়ের আদালত কিছুটা ব্যতিক্রম ছাড়া তুলে দেওয়ার বিষয়ে সবাই একমত হয়। সেই বিষয়ে তখন কোনো আপত্তি জাতীয়ভাবে আসেনি। তবে বর্তমানে যে ৬৭টি আদালত আছে, সেটাও তখনকার সিদ্ধান্ত। এটা তখনকার অবস্থা। কিন্তু তার ৩৫ বছর পরে সময়ের প্রয়োজনে সেই বিবেচনা পাল্টাতে হয়েছে।’
জরুরি অবস্থা ঘোষণা সংক্রান্ত বিতর্ক সংসদে হওয়া উচিত: বিএনপি
সালাহউদ্দিন আহমদ বলেন, সংবিধানের বিদ্যমান অনুচ্ছেদ ১৪১ এর ক, খ ও গ ধারাগুলোতে কোন সময়ে রাষ্ট্রপতি জরুরি অবস্থা ঘোষণা করতে পারবেন, কীভাবে করবেন, সেটা বিবৃত আছে। জরুরি অবস্থা ঘোষণাকালে নাগরিকদের কী কী মৌলিক অধিকার সাসপেন্ডেন্ট থাকবে, সেগুলো বিষয়ে বলা আছে। কতদিন জরুরি অবস্থা রাখা যাবে, সংসদে কতদিন পরে উপস্থাপন করতে হবে, সংসদ বিদ্যমান না থাকলে কী করতে হবে, ইত্যাদি সেখানে বলা আছে।
‘এরসাথে আরও দুতিনটি ধারা যুক্ত করার প্রস্তাব ঐকমত্য কমিশনের পক্ষ থেকে দেওয়া হয়েছে। সেখানে আন্তর্জাতিক সংস্থাগুলো, জাতিসংঘের সাথে বিভিন্ন বিষয়ে রাষ্ট্র হিসেবে যে চুক্তিগুলো আছে, সেই বিষয়ে, মানবাধিকার কিছু বিষয়ে নাগরিকের কী কী মৌলিক অধিকার বহাল রাখা যায়, এ বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ‘আমাদের প্রস্তাব ছিল, পরবর্তীতে জাতীয় সংসদে একটি বিস্তারিত বিতর্কের মধ্য দিয়ে আলোচনাক্রমে সেটা নির্ণয় করা যাবে। কারণ এটা অনেক বিস্তারিত। সংবিধানের এসব অনুচ্ছেদের অনুকূলে আইনও প্রণয়নও করা হতে পারে। সেগুলো সেখানেই বিবেচনা করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘বিস্তারিত বিষয়ে না গিয়ে আজ দুটি বিষয়ে একমত হওয়া গেছে: প্রথমত, জরুরি অবস্থা ঘোষণা সংক্রান্ত বিধানাবলীতে পরিবর্তন ও সংশোধনী আনতে আমরা সবাই একমত। দ্বিতীয়ত, এ বিষয়ে সবাই প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, যাতে ভবিষ্যতে জরুরি আইন ঘোষণার কোনোভাবে অপব্যবহার করা না হয়। সেই বিষয়ে সবাই একমত হয়েছে।’
‘তবে আমাদের প্রস্তাব, বিস্তারিত আলোচনাগুলো জাতীয় সংসদে হওয়া উচিত। সংসদে বিস্তারিত বিতর্কের মধ্য দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিধানে পরিবর্তন বা সংশোধনী আনা যাবে। প্রয়োজনে, সেটার অনুকূলে আইনও প্রণয়ন করা যাবে।’
জরুরি অবস্থা নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘জরুরি অবস্থা জারি করা হলেও সেখানে জনগণের মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারের ক্ষেত্রে যাতে বিধিনিষেধ না আসে, তেমন একটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। মানে, জরুরি অবস্থা জারি করা যাবে, তবে এসব মৌলিক অধিকার ও মানবাধিকারে হস্তক্ষেপ করা যাবে না।’
‘আমরা আলোচনা করেছি, জরুরি অবস্থা জারি করার অর্থ হচ্ছে কিছু কিছু মৌলিক অধিকার স্থগিত করতে হবে। জরুরি অবস্থা কি শুধু রাজনৈতিক বিবেচনায় জারি করা হয়? রাজনৈতিকভাবে অপব্যবহার করার জন্য জরুরি অবস্থা জারি করা যাবে না। বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন রকম নজির আছে। যেমন, কোথাও ভূমিকম্প কিংবা মহামারি হলো, বা কোথাও দুর্ভিক্ষ হলো, বিভিন্ন কারণে জরুরি অবস্থা সীমিতভাবে ওই অঞ্চলের জন্য করা যায়। এই প্রস্তাবও আমরা দিয়েছি।’
বিএনপির এই নেতা বলেন, ‘ভৌলিক অখণ্ডতার প্রশ্ন আছে, যদি বিদ্রোহ দেখা যায়, সেসব এলাকা চিহ্নিত করে জরুরি অবস্থা জারি করা যায়, যেটা সারা দেশের জন্য হয়ত প্রযোজ্য হবে না। এগুলো পরবর্তী বিবেচনার বিষয়।’
১৭৪ দিন আগে
যমুনা অভিমুখে বিডিআরের চাকরিচ্যুত সদস্যরা, কাকরাইলে পুলিশের বাধা
রাজধানীর শাহবাগ থেকে প্রধান উপদেষ্টার সরকারি বাসভবন যমুনার অভিমুখে যাওয়ার পথে পুলিশি বাধার মুখে পড়েছেন পিলখানায় বিডিআর বিদ্রোহে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। কাকরাইল মসজিদের সামনে পুলিশ জলকামান, টিয়ার গ্যাস সেল ব্যবহার এবং লাঠিচার্জ করে তারেদ ছত্রভঙ্গ করে দেয়। তিন দফা দাবি নিয়ে যমুনা ঘেরাও’র ঘোষণা দিয়ে পদযাত্রাটি শুরু করেছিল তারা।
সোমবার (৭ জুলাই) দুপুর ১২টার দিকে রাজধানীর কাকরাইল মসজিদের সামনে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের পুলিশি বাধার মুখে পড়েন।
পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস ফর বিডিআর মেম্বার’ ব্যানার নিয়ে তিন দফা দাবিতে এ দিন বেলা ১১টার দিকে শাহবাগ জাদুঘরের সামনে চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা অবস্থান নেন। এরপর, বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যমুনাভিমুখে যাত্রা শুরু হয় তাদের। এতে, পুলিশ বাধা দিলে পুনরায় শাহবাগ মোড় হয়ে মৎস্য ভবন আসেন তারা। মৎস্য ভবন মোড়ে পুলিশ তাদের আটকে দেয়।
বিক্ষোভের সময় চাকরিচ্যুত এক বিডিআর সদস্যদের দাবির পক্ষে স্লোগান দিতে দেখা যায়।
আরও পড়ুন: মব সন্ত্রাস জুলাই আন্দোলনের চেতনার পরিপন্থি: অ্যাটর্নি জেনারেল
চাকরিচ্যুত এক বিডিআর সদস্য বলেন, ‘আমাদের চাকরি ফেরত দেওয়া হোক। যেসব নির্দোষ বিডিআর সদস্য জেলে আছেন, তাদের মুক্তি দেওয়া হোক।’
দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে পুলিশি ব্যারিকেড অতিক্রম করে কাকরাইল মসজিদের সামনে গেলে আবারও পুলিশি বাধার সামনে পড়েন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা। এসময় পুলিশ বিক্ষোভকারীদের চলে যেতে দশ মিনিটের আলটিমেটাম দেয়। কিন্তু চাকরিচ্যুতরা পিছু না হটে কাকরাইল মোড়ে বসে অবস্থান কর্মসূচি শুরু করেন। এসময়, তাদের ছত্রভঙ্গ করতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী টিয়ারশেল, সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ এবং জলকামান ব্যবহার করে।
এ বিষয়ে, রমনা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম ফারুক জানান, চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যরা যমুনাভিমুখে অগ্রসর হওয়ার চেষ্টা করলে, পুলিশ জলকামান ব্যবহার ও সাউন্ড গ্রেনেড নিক্ষেপ করে ছত্রভঙ্গ করে দেয়।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের তিন দফা দাবি হলো— চাকরিচ্যুতদের ক্ষতিপূরণ দিয়ে চাকরিতে পুনর্বহাল, পিলখানা হত্যাকাণ্ডের বিষয়ে গঠিত স্বাধীন তদন্ত কমিশনের বিভিন্ন ধারা বাতিল, বিডিআর নাম পুনর্বহাল এবং কারাগারে বন্দি থাকা বিডিআর সদস্যদের মুক্তি।
১৭৪ দিন আগে
লালমনিরহাটে শ্রেণিকক্ষ থেকে ‘ঋণগ্রস্ত’ স্কুল কর্মচারীর মরদেহ উদ্ধার
লালমনিরহাট সদরের হাড়িভাঙ্গা দরগারপাড় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের একটি ক্লাসরুম থেকে স্কুল কর্মচারীর (দপ্তরি) মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পুলিশ জানায়, তিনি ১১ লাখ টাকা ঋণে ছিলেন।
সোমবার (৭ জুলাই) সকাল সাড়ে আটটার দিকে সাইফুল ইসলাম’র (৪০) মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
তিনি সদর উপজেলার মহেন্দ্রনগর ইউনিয়নের হাড়িভাঙ্গা গ্রামের কসাইটারি এলাকার বাসিন্দা এবং মৃত আব্দুল গফুরের ছেলে। সাইফুল তিন সন্তানের জনক ছিলেন। একই সঙ্গে দপ্তরি ও নৈশপ্রহরীর দায়িত্ব পালন করতেন তিনি ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আজ (সোমবার) সকালে স্কুলের এক শিক্ষিকা জরুরি প্রয়োজনে সাইফুলকে ফোন দেন। তাকে ফোনে না পেয়ে ওই শিক্ষিকা সকাল ৮টার দিকে স্কুলে এসে প্রধান ফটক খোলা পান।
পরে স্কুলে প্রবেশ করে একটি শ্রেণিকক্ষের ফ্যানের সঙ্গে সাইফুলের ঝুলন্ত মরদেহ দেখতে পান।
খবর ছড়িয়ে পড়লে স্থানীয়দের মাঝে চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়। শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও এলাকাবাসীরা ছুটে এসে স্কুল প্রাঙ্গণে ভিড় করেন। স্থানীয়ভাবে ধারণা করা হচ্ছে, পারিবারিক কলহের জেরে সাইফুল আত্মহত্যা করে থাকতে পারেন।
ঘটনার খবর পেয়ে লালমনিরহাট সদর থানা পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে মরদেহ উদ্ধার করে। পরিবারের পক্ষ থেকে কোনো অভিযোগ না থাকায় প্রাথমিক তদন্ত শেষে মরদেহ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
এ বিষয়ে লালমনিরহাট সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নুর নবী বলেন, প্রাথমিকভাবে এটি আত্মহত্যা বলেই মনে হচ্ছে। সাইফুল প্রায় ১১ লাখ টাকা ঋণে জর্জরিত ছিলেন এবং বসতবাড়ির ৪ শতক জমিও বিক্রি করেছেন। এ ছাড়াও, তার পরিবারে কলহ চলছিল। হতাশার কারণেই তিনি আত্মহত্যা করেছেন বলে প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে।
১৭৪ দিন আগে
মুরাদনগরে ট্রিপল মার্ডার: ৭ আসামি কারাগারে, একজনের জবানবন্দি
কুমিল্লার মুরাদনগরের একই পরিবারের তিনজনকে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় গ্রেফতার আট আসামির মধ্যে ৭ জনকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
পাশাপাশি মামলার এজাহারের ৩ নম্বর আসামি বাচ্চু মিয়া মেম্বার আদালতে স্বেচ্ছায় ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিতে রাজি হলে তার বক্তব্য রেকর্ডের প্রক্রিয়া গ্রহণ করা হয়।রবিবার (৬ জুলাই) বিকালে চাঞ্চল্যকর তিন খুনের ঘটনায় ঢাকায় র্যাবের হাতে আটক ৬ জনকে কুমিল্লার আদালতে হাজির করে পুলিশ। আসামি ৬ জন হলেন—বাচ্চু মিয়া, রবিউল আওয়াল, আতিকুর রহমান, বায়েজ মাস্টার, দুলাল ও আকাশ।
৫ নং চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সিদ্দিক আজাদ এসব আসামিদের জামিন নামঞ্জুর করে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
আরও পড়ুন: নির্বাচনের সব প্রস্তুতি আছে, মব মোকাবিলায় সচেষ্ট সরকার: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
এর আগে শনিবার (৫ জুলাই) সন্ধ্যায় সেনাবাহিনীর হাতে আটক ২ আসামি— নাজিমুদ্দিন বাবুল ও ছবির আহমেদকে পুলিশের মাধ্যমে আদালতে হাজির করা হলে আমলি আদালত ১১ এর বিচারক মমিনুল হক তাদেরকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
গত ৪ জুলাই বাঙ্গরাবাজার থানা এলাকার কড়ইবাড়িতে মাদক সম্পৃক্ততার অভিযোগ এনে নিজ বাড়ির সামনে রোখসানা বেগম রুবি, তার মেয়ে জোনাকি আক্তার ও ছেলে রাসেল মিয়াকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।এই ঘটনায় রুবির মেয়ে রিক্তা আক্তার বাদী হয়ে ৩৮ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ২৫ জনের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। এ পর্যন্ত এই মামলায় সেনাবাহিনী ও র্যাব মোট আটজনকে গ্রেফতার করেছে।
কুমিল্লার আদালত পরিদর্শক সাদেকুর রহমান বলেন, এ মামলায় মোট আটজনকে গ্রেফতার করে আদালতে হাজির করা হয়েছে। শনিবার সন্ধ্যায় দুজনকে এবং রবিবার বিকেলে ছয়জনকে আদালতে নিয়ে আসা হয়। আদালত তাদের কারাগারে প্রেরণের নির্দেশ দেন। এর মধ্যে মামলার তিন নম্বর আসামি বাচ্চু মিয়া আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেয়ার কথা জানিয়েছেন। তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হবে।
১৭৫ দিন আগে