আইনশৃঙ্খলা
কর্মস্থলে অনুপস্থিত ১৪ পুলিশ কর্মকর্তাকে বরখাস্ত
দীর্ঘদিন ধরে কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় পুলিশের ১৪ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাকে বরখাস্ত করা হয়েছে। সম্প্রতি স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ থেকে এ সংক্রান্ত আলাদা প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে।
প্রজ্ঞাপনে বলা হয়, সরকারি কর্মচারী (শৃঙ্খলা ও আপিল) বিধিমালা, ২০১৮-এর বিধি ৩(গ) অনুসারে ‘পলায়নের অপরাধে’ অভিযুক্ত হওয়ায় বিধি ১২ উপবিধি (১) অনুযায়ী সংশ্লিষ্টদের সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্তকালীন সময়ে তারা খোরপোষ ভাতা প্রাপ্য হবেন। জনস্বার্থে এ আদেশ জারি করা হয়েছে বলেও প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়।
এসব কর্মকর্তার মধ্যে তিনজন পুলিশ সুপার, আটজন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ও দুজন সহকারী পুলিশ সুপার পদমর্যাদার কর্মকর্তা রয়েছেন।আরও পড়ুন: পুলিশের উপপরিদর্শক সুশান্তকে ছেড়ে দেওয়ার প্রতিবাদে কেএমপি ঘেরাও ছাত্র-জনতার
বরখাস্ত হওয়া ১৪ কর্মকর্তা হলেন, বরিশালে র্যাব-৮ এর সিপিএসসির ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মাসুদুর রহমান মনির, ডিএমপির সাবেক অতিরিক্ত উপ-পুলিশ কমিশনার এস. এম. শামীম, সুনামগঞ্জের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার রুবাইয়াত জামান, উখিয়ায় ৮ এপিবিএনের সহকারী পুলিশ সুপার মোহাম্মদ ইমরুল, রাঙ্গামাটির ডিআইজি এপিবিএনের (পার্বত্য জেলাসমূহ) কার্যালয়ের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার হাসানুজ্জামান মোল্ল্যা, নারায়ণগঞ্জের সাবেক পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল, রংপুর জেলার সাবেক পুলিশ সুপার মো. শাহজাহান, রাজারবাগের পুলিশ টেলিকম সংস্থার টেলিকম অফিসার (এএসপি) মাহমুদুল হাসান, কক্সবাজার ১৬ এপিবিএনের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার ইফতেখারুল ইসলাম, ঢাকার সাবেক পুলিশ সুপার এটিইউ মোহাম্মদ ছানোয়ার হোসেন, সিলেটের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আখতারুল ইসলাম, টাঙ্গাইলের নৌপুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার এস. এম জাহাঙ্গীর হাছান, জামালপুরের ইন-সার্ভিস ট্রেনিং সেন্টারের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মিশু বিশ্বাস ও রংপুর মেট্টোপলিটন পুলিশের সহকারী পুলিশ কমিশনার আল ইমরান হোসেন।
১৮৩ দিন আগে
নিম্ন আদালতের বিচারকদের শৃঙ্খলাবিধির আগের আদেশ স্থগিত
অধস্তন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধি অনুমোদন ও গ্রহণ করে ২০১৮ সালের আপিল বিভাগের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ। একই সঙ্গে যে আদেশ দিয়েছিলেন আপিল বিভাগ, সেই আদেশের বিরুদ্ধে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন সর্ব্বোচ আদালত।
রবিবার (২৯ জুন) সকালে প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন ছয় বিচারপতির আপিল বেঞ্চ এই আদেশ দেয়।
এই আদেশের ফলে সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ নিয়ে হাইকোর্টে যে রিট শুনানি চলছে, তা নিষ্পত্তি করতে আর কোনো বাধা থাকলো না বলে জানিয়েছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
এ সময় আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
এর আগে, গত ২৬ জুন নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলাবিধির বহুল আলোচিত গেজেট গ্রহণ করে ২০১৮ সালে দায়িত্বরত প্রধান বিচারপতি মো. আবদুল ওয়াহহাব মিঞার নেতৃত্বাধীন ৫ বিচারপতির আপিল বিভাগ যে আদেশ দিয়েছিলেন তার বিরুদ্ধে করা রিভিউ আবেদনের রায়ের জন্য আজকের দিন ধার্য করা হয়।
আদালতে সেদিন রিভিউ আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামান।
রিভিউ শুনানির পর আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির সাংবাদিকদের বলেন, আজ শুনানিকালে বলেছি যে বিচার বিভাগকে ‘অ্যাসল্ট করে’ এই শৃঙ্খলাবিধি গ্রহণ করা হয়েছিল তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতির নেতৃত্বে। কারণ, তার আগে নয়জন বিচারপতি এ বিষয়ে ভিন্ন আদেশ দিয়েছিলেন। এটি বিচার বিভাগের ইতিহাসে নজিরবিহীন ঘটনা।
তিনি বলেন, বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে তৎকালীন সরকার বাধ্য করেছিল নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের গেজেট-সংক্রান্ত আদেশ দিতে। এটি দ্রুত রিভিউ করা প্রয়োজন বলেই আদালতের অনুমতি নিয়ে রিভিউটি করা হয়।
১৯৯৯ সালের ২ ডিসেম্বর আপিল বিভাগ মাসদার হোসেন মামলায় ১২ দফা নির্দেশনা দিয়ে রায় দেন। ওই রায়ের আলোকে নিম্ন আদালতের বিচারকদের চাকরির শৃঙ্খলা-সংক্রান্ত বিধিমালা প্রণয়নের নির্দেশনা ছিল।
আরও পড়ুন: চাকরির অধ্যাদেশ বাতিলের দাবিতে সচিবালয়ে আজও বিক্ষোভ
১২ দফা নির্দেশনার মধ্যে ছিল
১. সংবিধানের ১৫২ (১) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রীয় সব বিভাগের কাজ সার্ভিস অব রিপাবলিকের ভেতরে পড়বে। তবে বিচার বিভাগের কাজ ও অবকাঠামোর সঙ্গে প্রজাতন্ত্রের সিভিল সার্ভিসের অনেক ভিন্নতা রয়েছে। বিচার বিভাগকে অন্যান্য সিভিল সার্ভিসের সঙ্গে একত্রিত করা যাবে না।
২. বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেটদের নির্বাহী বিভাগ থেকে আলাদা করা এবং নির্বাহী বিভাগের ম্যাজিস্ট্রেটরা বিচারিক কাজ করতে পারবেন না।
৩. সিভিল সার্ভিস অর্ডার ১৯৮০ অনুযায়ী সব ম্যাজিস্ট্রেটকে পিএসসির অধীনে বিসিএস পরীক্ষার মাধ্যমে একসঙ্গে নিয়োগ দেওয়া হয়। একসঙ্গে নিয়োগ দেওয়া সংবিধান পরিপন্থি।
৪. এই রায় পাওয়ার পর যত দ্রুত সম্ভব জুডিশিয়াল সার্ভিস কমিশন বিধিমালা এবং কমিশন গঠন করতে হবে।
৫. সংবিধানের ১১৩ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি জুডিশিয়ারির সবার চাকরির বিধিমালা (নিয়োগ, পদায়ন, বদলি পদোন্নতি ও ছুটিসহ অন্যান্য) প্রণয়ন করবেন।
৬. রাষ্ট্রপতি জুডিশিয়াল সার্ভিস পে-কমিশন বিধিমালা প্রণয়ন করবে।
৭. সংবিধানের ১১৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটদের নিয়ন্ত্রণ করার ক্ষমতা সুপ্রিম কোর্টের থাকবে।
৮. বিচার বিভাগ জাতীয় সংসদ বা নির্বাহী বিভাগের অধীনে থাকবে না এবং জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটসহ সব বিচারক স্বাধীনভাবে কাজ করবেন।
৯. জুডিশিয়ারির (নিম্ন আদালত) বার্ষিক বাজেট প্রণয়নের ওপর নির্বাহী বিভাগের কোনো হাত থাকবে না। এই বাজেট সুপ্রিম কোর্ট প্রণয়ন এবং বরাদ্দ করবে।
১০. জুডিশিয়াল সার্ভিসের সদস্যরা প্রশাসনিক আদালতের আওতাভুক্ত থাকবেন।
১১. এই রায় অনুযায়ী বিচার বিভাগ পৃথককরণের জন্য সংবিধানে কোনো সংশোধন করার প্রয়োজন নেই। তবে পৃথককরণ আরও অর্থবহ করতে যদি সংবিধান সংশোধনের প্রয়োজন হয়, তবে তা করা যাবে।
১২. জুডিশিয়াল পে-কমিশন জুডিশিয়ারির সদস্যদের বেতন-ভাতাসহ অন্যান্য সুবিধা বাড়ানোর বিষয়ে যতদিন পর্যন্ত রাষ্ট্রপতির কাছে সুপারিশ না করবে, ততদিন পর্যন্ত বর্তমান অবকাঠামো অনুযায়ী তার সব সুযোগ-সুবিধা ভোগ করবেন।
২০০৫ সালে এই রায় বহাল রাখেন আপিল বিভাগ।
১৮৩ দিন আগে
প্রধান উপদেষ্টা, বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দিয়ে গ্রেপ্তার আ. লীগ কর্মী
ফেসবুকে রক্তমাখা ছুরি দেখিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দেওয়া মো. আলমগীর নামে আওয়ামী লীগের এক কর্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
শনিবার (২৮ জুন) চট্টগ্রামের ফটিকছড়ি জাফতনগর এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
পুলিশ জানায়, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া একটি ভিডিওতে দেখা যায়- আলমগীর নামে ফটিকছড়ি উপজেলার রক্তমাখা একটি ছুরি নিয়ে প্রধান উপদেষ্টা, প্রধান বিচারপতি ও সেনাপ্রধানকে হত্যার হুমকি দিচ্ছেন। ভিডিওতে তাকে অশ্লীল ভাষায় গালাগাল করতেও দেখা গেছে। ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে এই নিয়ে জনগণে অসন্তোষ দেখা দেয়।
পড়ুন: ইনুকে ডান্ডাবেড়ি পরানোয় পুলিশকে হুমকি
গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ফটিকছড়ি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা নুর আহমেদ।
তিনি বলেন, রক্তমাখা একটি ছুরি নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টাসহ রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের হত্যার হুমকি দেওয়ার একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর পুলিশ আলমগীরকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে ফটিকছড়ি থানায় হওয়া একটি বিস্ফোরক মামলায় আদালতে পাঠানো হয়।
১৮৩ দিন আগে
সরকারের কঠোরতায় ‘মব সন্ত্রাস’ কমে এসেছে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে সরকার কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ায় দেশে তা কমে এসেছে বলে দাবি করেছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল ( অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী ।
শুক্রবার (২৭ জুন) বিকালে উপমহাদেশের সবচেয়ে পুরনো চারশত বছরের ধামরাইয়ের ঐতিহ্যবাহী রথ উৎসব উদ্বোধন শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি একথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘সরকার মব সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থানে রয়েছে। আস্তে আস্তে আর মব সন্ত্রাস থাকবে না।
কেউ অন্যায় করে পার পাবে না বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: রথযাত্রায় সর্বস্তরের মানুষের অংশগ্রহণ অসাম্প্রদায়িক ঐতিহ্যের প্রতিফলন: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
রথযাত্রা ঘিরে হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মাঝে উৎসবের আমেজ ছিলো চোখে পরার মতো । উদ্বোধন শেষে রথখোলা থেকে যাত্রাবাড়ী পর্যন্ত প্রথমে রথ টেনে নেওয়া হয়। ৭ দিন পর ৫ জুলাই উল্টোরথের মাধ্যমে পূজার আনুষ্ঠানিকতা শেষ হবে।
ধামরাইয়ে রথ উৎসব উপলক্ষে আজ থেকে একমাসব্যাপী ঐতিহ্যবাহী মেলা শুরু হয়েছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এসময় সেনাবাহিনীর কর্মকর্তা ও স্থানীয় প্রশাসনের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
১৮৪ দিন আগে
২০২৪ সালের নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ বলে স্বীকার সাবেক সিইসি আউয়ালের
২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনকে ‘ডামি ও বানোয়াট অনুশীলন’ হিসেবে বর্ণনা করেছেন গ্রেপ্তার হওয়া সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল। বলেন, নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক দলগুলোর ঐকমত্য অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রিমান্ড শুনানির সময় ঢাকার মুখ্য মহানগর ম্যাজিস্ট্রেট (সিএমএম) মোহাম্মদ মুস্তাফিজুর রহমানের আদালতে দেওয়া স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে সাবেক সিইসি এ কথা বলেন।
কেন পদত্যাগ করেননি- আদালত তাকে এমন প্রশ্ন করলে আউয়াল কৌশলে তা এড়িয়ে যান। বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে কোনো সিইসি পদত্যাগ করেননি।
পরে, সাবেক সিইসি শেখ মুজিবুর রহমানের শাসনামলে অনুষ্ঠিত নির্বাচন এবং ১৯৯৬ সালের নির্বাচনের সময় অনিয়ম সংঘটিত হওয়ার কথাও উল্লেখ করেন।
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনায় অনিয়ম এবং পক্ষপাতদুষ্ট ভূমিকার অভিযোগে বিএনপির দায়ের করা মামলায় ঢাকার আদালত আউয়ালের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছে।
এর আগে বুধবার(২৫ জুন) মগবাজার এলাকা থেকে ডিবি পুলিশ আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে।
আরও পড়ুন: তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল
বিএনপি শের-ই-বাংলা নগর থানায় অনিয়ম ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগে মামলা দায়ের করার দুই দিন পর তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িত সাবেক সিইসি, নির্বাচন কমিশনার এবং অন্যান্য কর্মকর্তাসহ ২৪ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে।
এদিকে, গত রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা এলাকার তার বাসা থেকে আরেক সাবেক সিইসি কেএম নূরুল হুদাকে আটক করে পুলিশ।
২০১৮ সালের ডিসেম্বরে সিইসি কেএম নূরুল হুদার নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত একাদশ নির্বাচনে, ভোটগ্রহণের কয়েক ঘণ্টা আগে বিএনপি ব্যালট ভর্তির অভিযোগ করে।
২০২৪ সালে সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বাধীন কমিশনের অধীনে অনুষ্ঠিত দ্বাদশ নির্বাচনকে ‘ডামি নির্বাচন’ আখ্যা দিয়ে তাতে অংশগ্রহণ করেনি বিএনপি।
চলতি মাসের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনূস বিগত তিনটি নির্বাচন পরিচালনার সঙ্গে জড়িতদের ভূমিকা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
১৮৫ দিন আগে
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গে সিরাজগঞ্জ বিএনপির ১৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ
দলীয় শৃঙ্খলা ভঙ্গের অভিযোগে সিরাজগঞ্জের বিএনপির ১৩ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ দেওয়া হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) জেলা বিএনপির সহ-দপ্তর সম্পাদক শেখ মো. এনামুল হকের সই করা এক চিঠিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
নোটিশ পাওয়া নেতারা হলেন— জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক জ্যেষ্ঠ যুগ্ম সম্পাদক দুলাল হোসেন খান, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সভাপতি শামসুল ইসলাম, জেলা বিএনপির তথ্য গবেষণা বিষয়ক সম্পাদক ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ভিপি আয়নুল হক, জেলা বিএনপির উপদেষ্টা কামাল হোসেন, আমিনুল বারী তালুকদার, জেলা বিএনপির যুগ্ম সম্পাদক ও রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক আহ্বায়ক ব্যারিস্টার আব্দুল বাতেন, জেলা বিএনপির নির্বাহী সদস্য রহিত মান্নান লেলিন, রায়গঞ্জ উপজেলা বিএনপির সাবেক সিনিয়র সহ-সভাপতি খায়রুল ইসলাম ভূঁইয়া, সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক আব্দুল কুদ্দুস মন্ডল, সাবেক সদস্য আব্দুল হাশেম মেম্বার, রায়গঞ্জ পৌর বিএনপির সাবেক সভাপতি হাতেম আলী সুজন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক রাশেদুল ইসলাম হিরণ ও সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক রুম বাদশা। এছাড়া, বিএনপির সহযোগী সংগঠন—ছাত্রদল, যুবদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের আরও ২১ জন নেতাকর্মীর বিরুদ্ধেও সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
চিঠিতে উল্লেখ করা হয়, গত ২০ জুন তাড়াশ উপজেলার শাহ শরীফ জিন্দানীর (রহ.) মাজার জিয়ারতের সময় নেতাকর্মীরা ‘টুকু ভাইয়ের সালাম নিন, দাঁড়িপাল্লা মার্কায় ভোট দিন’—এমন শ্লোগান দেন, যা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়। এটি দলীয় শৃঙ্খলার পরিপন্থী।
নোটিশে ১৩ নেতাকে আগামী ৪৮ ঘণ্টার মধ্যে জেলা বিএনপির সভাপতি বা সাধারণ সম্পাদকের কাছে উপস্থিত হয়ে লিখিত জবাব জমা দেওয়ার অনুরোধ করা হয়।
চিঠিতে আরও উল্লেখ করা হয়, বিএনপির সহযোগী সংগঠনের ২১ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য সংগঠনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদককে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা মোস্তফা জামান বলেন, ‘এই ঘটনায় ইতোমধ্যে সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে প্রাথমিক সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে আরও কঠোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।’
আরও পড়ুন: খুলনায় এসআইকে মারপিট করে পুলিশে দিল বিএনপির নেতাকর্মীরা
১৮৬ দিন আগে
খুলনায় শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা
খুলনায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৫৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেছেন খুলনা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক শফিকুল আলম তুহিন। দুই বছর আগে বিএনপির দলীয় কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় এ মামলা করেছেন তিনি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) বেলা ১২টার দিকে খুলনা মহানগর দায়রা জজ আদালতে মামলার আবেদন জমা দেন বাদীর আইনজীবী সৈয়দ শামীম হাসান।
আবেদনের বিষয়ে আদালত আজ আদেশ দেবেন বলেও জানান তিনি।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনাসহ তিনজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের শুনানি ১ জুলাই
শামীম হাসান বলেন, ‘২০২৩ সালের ১৯ মে খুলনা প্রেসক্লাবে বিএনপির কর্মসূচিতে লাঠিচার্জ ও গুলি করে পণ্ড করে দিয়েছিল পুলিশ। এ ঘটনায় বাদী শফিকুল আলম তুহিনসহ ৫০ থেকে ৬০ জন আহত হন এবং ৯ জনকে আটক করা হয়। মামলায় শেখ হাসিনাকে হামলার নির্দেশদাতা হিসেবে উল্লেখ করা হয়েছে।’
এ ছাড়া, মামলার আবেদনে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের বিভিন্ন পর্যায়ের কর্মকর্তা, সাবেক এমপি, মন্ত্রী, আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীসহ ১৫৬ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
১৮৬ দিন আগে
তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক সিইসি হাবিবুল আউয়াল
দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম ও পক্ষপাতিত্বের অভিযোগে করা মামলায় সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়ালকে তিন দিনের রিমান্ডে পাঠিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) ঢাকা মহানগর হাকিম মো. মোস্তফা জামান এই আদেশ দেন।
এদিন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা শেরেবাংলা নগর থানার এসআই শামসুজ্জোহা সরকার তাকে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
গতকাল (বুধবার) ঢাকার মগবাজার থেকে কাজী হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিবি পুলিশের একটি দল।
তার দুদিন আগে রবিবার (২২ জুন) আওয়ামী লীগ আমলে অনুষ্ঠিত তিনটি জাতীয় নির্বাচনে অনিয়ম-কারচুপির অভিযোগে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদের নেতৃত্বে বিএনপির চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শেরেবাংলা নগর থানায় একটি মামলা দায়ের করে।
আরও পড়ুন: সাবেক সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়াল গ্রেপ্তার
অভিযোগে সাবেক সিইসি কাজী রকিবউদ্দিন আহমেদ, কেএম নূরুল হুদা এবং কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ ২৪ জনের নাম উল্লেখ করা হয়। এতে বেশ কয়েকজন অজ্ঞাত ব্যক্তিকেও আসামি করা হয়েছে।
এর আগে, রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা থেকে আরেক সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নুরুল হুদাকেও তার বাসা থেকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। গ্রেপ্তারের পর সোমবার (২৩ জুন) তাকে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন ঢাকার একটি আদালত।
১৮৬ দিন আগে
আবু সাঈদ হত্যা মামলা: তদন্তে অভিযুক্ত ৩০ জন
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালীন রংপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের (বেরোবি) শিক্ষার্থী আবু সাঈদ হত্যার ঘটনায় মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউসনের কাছে জমা দিয়েছে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা। এতে ৩০ জনকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) প্রসিকিউটর মিজানুল ইসলাম প্রতিবেদন পাওয়ার কথা নিশ্চিত করেন।
সাংবাদিকদের তিনি বলেন, ‘তদন্ত প্রতিবেদনে ৩০ জনের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে। এই প্রতিবেদনটি যাচাই-বাছাই করে আগামী রবিবার আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-২-এ আনুষ্ঠানিক অভিযোগ হিসেবে উপস্থাপন করা হবে বলে আশা করছি।’
আরও পড়ুন: আবু সাঈদ হত্যা মামলার তদন্ত দুই মাসের মধ্যে শেষ করার নির্দেশ
এর আগে বিচারপতি মো. গোলাম মর্তুজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনালে এই মামলার চার আসামিকে ট্র্যাইব্যুনালে হাজির করা হয়। এরপর আসামিদের মধ্যে পুলিশের সাবেক সহকারী উপপরিদর্শক (এএসআই) আমির হোসেন ও সাবেক কনস্টেবল সুজন চন্দ্র রায়কে ১৮ জুন এবং বেরোবির সাবেক প্রক্টর শরিফুল ইসলাম ও নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগ নেতা ইমরান চৌধুরী আকাশকে ১৯ জুন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দেন ট্র্যাইব্যুনাল-১।
সরকারি চাকরিতে কোটা সংস্কারের দাবিতে সারা দেশে যখন আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে, তার মধ্যে ১৬ জুলাই দুপুরে বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে পার্ক মোড়ে গুলিবিদ্ধ হন আবু সাঈদ।
২৫ বছর বয়সী আবু সাঈদ বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ইংরেজি বিভাগের দ্বাদশ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোটা সংস্কার আন্দোলনের অন্যতম সমন্বয়ক ছিলেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে নিরস্ত্র আবু সাঈদের পুলিশ কর্তৃক গুলিবিদ্ধ হওয়ার ভিডিও ছড়িয়ে পড়লে সারা দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখা দেয়। এই হত্যাকাণ্ডের প্রতিবাদেই সোচ্চার হন বহু মানুষ, যাতে আরও গতিশীল হয় কোটা সংস্কার আন্দোলন। ওই আন্দোলনের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের মুখে গত ৫ আগস্ট প্রধানমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করে ভারতে পালিয়ে যান শেখ হাসিনা।
১৮৬ দিন আগে
ময়মনসিংহে মার্কেট মালিকের বিরুদ্ধে মোবাইলের দোকান থেকে মালামাল লুটের মামলা
ময়মনসিংহ শহরের একটি মোবাইলের দোকান থেকে সম্প্রতি মালামাল লুটের ঘটনায় মামলা করেছেন একজন ব্যবসায়ী।
কোতোয়ালি মডেল থানা মঙ্গলবার (২৪ জুন) রাতে মামলাটি গ্রহণ করে।
গত ২০ জুন মালামাল লুটের ঘটনার পর মামলা করতে গেলেও শুরুতে পুলিশ তা গ্রহণ করেনি বলে অভিযোগ করেন আতিকুর রহমান খান।
এ ব্যবসায়ীর ভাষ্য, হারুন টাওয়ার নামের যে মার্কেটে তার দোকান, সেখানকার মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুনের প্রভাবে এতদিন মামলা নেয়নি কোতোয়ালি মডেল থানা।
কী আছে মামলার এজাহারে
আতিকুর রহমান খান কোতোয়ালি মডেল থানায় মার্কেট মালিক হারুনসহ ১০ থেকে ১২ জনের নামে মামলা করেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়, আতিকুর ২০০৬ সালের এপ্রিল থেকে ময়মনসিংহ শহরের ৭ নম্বর সি কে ঘোষ রোডে হারুন টাওয়ারের নিচ তলায় ‘সাঈম টেলিকম’ নামের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান চালাচ্ছেন। তিনি আট লাখ টাকায় ৫ নম্বর দোকানটির পজেশন কেনেন। এ ছাড়া চুক্তির শর্ত অনুযায়ী নিয়মিত ভাড়া পরিশোধ করেন।
আরও পড়ুন: মব জাস্টিস এখন মানবতা ও গণতন্ত্রের জন্য হুমকি: তারেক রহমান
এতে বলা হয়, ১৮ জুন মার্কেট মালিক হারুন জানান, ১৯ জুন হারুন টাওয়ারের নিচতলার সব দোকানপাট বন্ধ থাকবে। সে কথা অনুযায়ী তিনি দোকানটি বন্ধ রাখেন। পরবর্তী সময়ে ১৯ জুন তিনি জানতে পারেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও পুলিশ দিয়ে মার্কেটে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা হচ্ছে। এ খবর পেয়ে তাৎক্ষণিকভাবে তিনি মার্কেটে গিয়ে হারুনের দেখানো মতে ১৩টি দোকানের উচ্ছেদ কার্যক্রম শুরু দেখেন।
ব্যবসায়ীর এজাহারে উল্লেখ করা হয়, উচ্ছেদের বিষয়ে হারুনের সঙ্গে কথা বললে তাকে জানানো হয়, যারা নিয়মিত ভাড়া দিচ্ছেন, তাদের দোকান উচ্ছেদ করা হবে না এবং তিনি যেন বাড়িতে চলে যান। সে কথা অনুযায়ী তিনি বাড়িতে চলে যান, কিন্তু পরের দিন ২০ জুন মাগরিবের নামাজের পর তিনি খবর পান, হারুনসহ অভিযুক্তরা তার দোকানের সব মালামাল নিয়ে যাচ্ছেন। এ খবরের ভিত্তিতে তিনি মার্কেটের সামনে গিয়ে মালামাল নিয়ে যেতে দেখেন।
তার অভিযোগ, মার্কেটের সামনের কলাপসিবল গেটের তালা বন্ধ করে মালামাল নিয়ে যাওয়ার সময় বাইরে থেকে ডাকাডাকি করলেও কর্ণপাত করেননি অভিযুক্তরা। তারা গেটও খোলেননি। এ ছাড়া অভিযুক্তরা দোকান মালিককে দেশীয় অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে চলে যেতে বলেন।
আতিকুর রহমান খান উল্লেখ করেন, ২০ জুন বিকাল ৩টা থেকে তার দোকানের শাটার, সাইনবোর্ড ও আসবাবপত্র ভাঙচুর শুরু করে রাত ৮টা পর্যন্ত প্রকাশ্যে মালামাল নিয়ে যান অভিযুক্তরা। এসব পরিস্থিতি দেখে তিনি মানসিকভাবে বিপর্যস্ত ও অসুস্থ হয়ে পড়েন।
দোকান থেকে মোবাইল, এক্সেসরিজ, আসবাবপত্রসহ মোট ৮৬ লাখ ৬৮ হাজার ৩৫৩ টাকার মালামাল চুরির অভিযোগ করেন স্বত্বাধিকারী আতিকুর রহমান খান।
এ ছাড়া হারুনসহ অন্যরা দোকান ভাড়া পরিশোধের রসিদ, তিনটি ব্যাংকের চেকবই, বিভিন্ন কোম্পানির সঙ্গে ব্যবসায়িক চুক্তিপত্রসহ গুরুত্বপূর্ণ নথি নিয়ে যান বলে অভিযোগ করেন এ ব্যবাসয়ী।
জানতে চাইলে হারুন টাওয়ারের মালিক গোলাম আম্বিয়া হারুন বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে কি না, তা আমার জানা নেই। আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা ও বানোয়াট অভিযোগ তোলা হয়েছে।’
এ বিষয়ে ময়মনসিংহ কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মুহাম্মদ শিবিরুল ইসলাম বলেন, ‘ওই ঘটনার কথা শুনেছি। একটি মামলা হয়েছে। ইতোমধ্যে এ বিষয়ে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।’
১৮৬ দিন আগে