আইনশৃঙ্খলা
মব জাস্টিস কোনোভাবেই গ্রহণযোগ্য নয়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদাকে আটকের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয় জানিয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের ঘটনায় বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তা তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে গাজীপুরের কালিয়াকৈরের মৌচাকে হর্টিকালচার সেন্টার পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এসব কথা বলেন।
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, ‘গতকাল (রবিবার) সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার হাবিবুল আউয়ালকে গ্রেপ্তারের যে খবর প্রকাশিত হয়েছে, তা সঠিক নয়; তাকে এখনো গ্রেপ্তার করা হয়নি। গ্রেপ্তার হয়েছেন নুরুল হুদা।’
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা আটক
‘তবে তাকে গ্রেপ্তারের সময় যেভাবে মব জাস্টিজ করা হয়েছে তা কাম্য নয়। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে এ ধরনের বিশৃঙ্খলা ঘটেছে। এ ঘটনার তদন্ত হবে। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কেউ জড়িত থাকলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
কৃষিজমি দখল রোধে কৃষিজমি সুরক্ষা আইন করা হচ্ছে জানিয়ে উপদেষ্টা আরও বলেন, ‘বিদেশি ফলের পাশাপাশি দেশীয় ফলের উৎপাদন বাড়াতে হবে, যেন এসব ফল হারিয়ে না যায়।’
পরিদর্শনের সময় গাজীপুর জেলা প্রশাসক নাফিসা আরেফীন, পুলিশ সুপার ড. চৌধুরী যাবের সাদেক, কালিয়াকৈর উপজেলার নির্বাহী কর্মকর্তা কাউসার আহমেদ, হর্টিকালচার সেন্টারের এনামুল হকসহ পুলিশ ও কৃষি মন্ত্রণালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
এ সময় উপদেষ্টা হর্টিকালচার সেন্টারের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখেন এবং কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলেন এবং নানা দিক নির্দেশনা দেন।
১৮৯ দিন আগে
নুরুল হুদাকে গ্রেপ্তার ঘিরে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টিকারীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ঘোষণা সরকারের
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) নুরুল হুদার গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে ‘মব’ সৃষ্টি করে উশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী সবাইকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে বলে জানিয়েছে অন্তবর্তী সরকার।
রবিবার (২২ জুন) দিবাগত রাতে প্রধান উপদেষ্টার ভেরিফায়েড ফেসবুকে পেজে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে এ কথা জানানো হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আজ ২২ জুন সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার নুরুল হুদাকে একটি সুনির্দিষ্ট মামলায় রাজধানীর উত্তরা থানা পুলিশ গ্রেপ্তার করে। এসময় ‘মব’ কর্তৃক সৃষ্ট বিশৃঙ্খল পরিস্থিতি ও অভিযুক্তকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করার বিষয়টি সরকারের নজরে এসেছে।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা আটক
সরকার দেশের সকল নাগরিকের প্রতি আবারও আইন নিজের হাতে তুলে না নেওয়ার অনুরোধ জানাচ্ছে। অভিযুক্ত সব ব্যক্তির বিচার দেশের আইন মেনে হবে এবং বিচারাধীন বিষয় ও ব্যক্তির ব্যাপারে আদালত সিদ্ধান্ত দেবেন।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অভিযুক্ত ব্যক্তির ওপর আক্রমণ ও তাকে শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা বেআইনি, আইনের শাসনের পরিপন্থী ও ফৌজদারি অপরাধ। ‘মব’ সৃষ্টি করে উশৃঙ্খল পরিস্থিতি সৃষ্টিকারী সবাইকে চিহ্নিত করে আইনশৃঙ্খলাবাহিনী উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
ন্যায়বিচার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে সব নাগরিককে সহনশীল ভূমিকা পালনের জন্য অনুরোধ জানিয়েছে সরকার।
১৮৯ দিন আগে
সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা তুহিন ও ফয়সাল বিপ্লব গ্রেপ্তার
রাজনৈতিক সহিংসতা, দুর্নীতি ও রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রে জড়িত থাকার অভিযোগে সংরক্ষিত নারী আসনের সাবেক সংসদ সদস্য সাবিনা আক্তার তুহিন ও মুন্সিগঞ্জ-৩ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য মোহাম্মদ ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা শাখা (ডিবি)।
সোমবার (২৩ জুন) সকালে ডিবির যুগ্ম কমিশনার (উত্তর) মোহাম্মদ রবিউল হোসেন ভূঁইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, সাবিনা আক্তার তুহিনের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ রয়েছে। এর মধ্যে দুর্নীতি, রাজনৈতিক সহিংসতায় উসকানি ও সরকারের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রমূলক কর্মকাণ্ডে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ অন্যতম। এসব অভিযোগের ভিত্তিতেই নবাবগঞ্জের ষোল্লা ইউনিয়নের গ্রামের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এর আগে, গতকাল (রবিবার) রাত ১০টার দিকে রাজধানীর ফার্মগেটের মনিপুরীপাড়ার একটি আবাসিক ভবন থেকে ফয়সাল বিপ্লবকে গ্রেপ্তার করে ডিবির আরেকটি দল।
তার বিরুদ্ধে জুলাই আন্দোলন-সংশ্লিষ্ট একটি হত্যা মামলায় সরাসরি জড়িত থাকার অভিযোগ রয়েছে।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা আটক
ডিবি কর্মকর্তারা জানান, সাম্প্রতিক রাজনৈতিক সহিংসতা ও হত্যার ঘটনায় তুহিন ও বিপ্লব—উভয়েই গোয়েন্দা নজরদারিতে ছিলেন। বিশেষ করে, গত বছরের জুলাই আন্দোলনের সময় ফয়সাল বিপ্লবের প্রত্যক্ষ ভূমিকা ছিল বলে দাবি পুলিশের।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে ডিএমপির এক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা বলেন, রাজনৈতিক হয়রানির জন্য নয়, যথাযথ প্রমাণ ও মামলার ভিত্তিতেই তাদের গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
দুজনেরই রিমান্ড চেয়ে আদালতে আবেদন করা হবে এবং তদন্তে জড়িত অন্যদের গ্রেপ্তারেও অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন ডিবির কর্মকর্তারা।
১৮৯ দিন আগে
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে এম নূরুল হুদা আটক
সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদাকে রবিবার (২২ জুন) সন্ধ্যায় রাজধানীর উত্তরা এলাকার নিজ বাসা থেকে আটক করেছে পুলিশ। আটকের পর তাকে ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়েছে।
ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগের উপ-কমিশনার হাফিজুর রহমান জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে উত্তরা সেক্টর-৫ এর একটি বাসায় অভিযান চালিয়ে কে এম নূরুল হুদাকে আটক করে উত্তরা পশ্চিম থানা পুলিশের একটি দল।
শেরেবাংলা নগর থানায় বিএনপির দায়ের করা একটি মামলার কয়েক ঘণ্টার মধ্যেই তাকে আটক করা হয়। ওই মামলায় দশম, একাদশ ও দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন পরিচালনার দায়িত্বে থাকা সাবেক প্রধান নির্বাচন কমিশনার, নির্বাচন কমিশনারসহ মোট ২৪ জনের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও পক্ষপাতদুষ্ট আচরণের অভিযোগ আনা হয়েছে।
উপ-কমিশনার হাফিজুর রহমান বলেন, ‘নিরাপত্তার কারণে তাকে ডিবি কার্যালয়ে (মিন্টো রোড) হস্তান্তর করা হয়েছে। তিনি শেরেবাংলা নগর থানায় দায়ের করা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। তাকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হতে পারে।’
এর আগে, আজ (শনিবার) সকালে বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন খানের নেতৃত্বে চার সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল শেরেবাংলা নগর থানায় মামলাটি দায়ের করে।
আরও পড়ুন: মেধাপাচার রোধ ও শিক্ষা পুনর্গঠনের অঙ্গীকার বিএনপির
মামলায় সাবেক সিইসি কাজী রাকিবউদ্দিন আহমদ, কে এম নূরুল হুদা, কাজী হাবিবুল আউয়ালসহ আরও কয়েকজন অজ্ঞাতনামা ব্যক্তিকে আসামি করা হয়।
বিএনপি অভিযোগ করেছে, ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালের জাতীয় নির্বাচনগুলো একতরফাভাবে এবং দলীয় সরকারের অধীনে অনিয়মের মাধ্যমে অনুষ্ঠিত হয়েছে। তারা বলেছে, বারবার নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার এবং সেনাবাহিনী মোতায়েনের দাবি জানানো হলেও তৎকালীন নির্বাচন কমিশনগুলো কার্যকর কোনো ব্যবস্থা নেয়নি।
মামলার বাদী সালাহউদ্দিন খান সাংবাদিকদের বলেন, ‘তিনটি নির্বাচনেই ব্যাপক অনিয়ম হলেও সে সময়ের সিইসিরা কোনো সংশোধনী উদ্যোগ নেননি। আমরা আশা করি, বর্তমান নির্বাচন কমিশন তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেবে।’
২০১৪ সালের দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিএনপিসহ বিরোধী দলগুলো ভোট বর্জন করায় আওয়ামী লীগের ১৫৩ জন প্রার্থী বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হন। ওই নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয় সিইসি কাজী রাকিবউদ্দিন আহমদের নেতৃত্বে।
২০১৮ সালের একাদশতম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে, সিইসি কে এম নূরুল হুদার অধীনে বিএনপি অভিযোগ করে যে, ভোটগ্রহণের আগের রাতে ব্যালট বাক্স ভরাট করা হয়।
২০২৪ সালের দ্বাদশতম জাতীয় নির্বাচন, সিইসি কাজী হাবিবুল আউয়ালের নেতৃত্বে অনুষ্ঠিত হয়, যা বিএনপি ‘নকল নির্বাচন’ বলে প্রত্যাখ্যান করে।
এ মাসের শুরুতে প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস ওই তিনটি বিতর্কিত নির্বাচনে সম্পৃক্ত ব্যক্তিদের ভূমিকা তদন্তে একটি কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন।
১৮৯ দিন আগে
ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের মারধরের অভিযোগ অস্বীকার ডিএমপির
বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) শিক্ষার্থীদের মারধরের খবর ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ (ডিএমপি)।
তাদের দাবি, পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে বলপ্রয়োগ ছাড়াই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা করছে।
শনিবার (২১ জুন) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য জানিয়েছে ডিএমপি। এতে বলা হয়, ‘ইউআইইউ শিক্ষার্থীদের একাংশের পূর্বঘোষিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজ সকাল সাড়ে ৮টার দিকে নতুনবাজার মোড়ে ৩০-৪০ জন শিক্ষার্থী অবস্থান নেন। এসময় তারা শিক্ষার্থীদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহারসহ বিভিন্ন দাবিতে রাস্তা অবরোধ করে যানবাহন চলাচলে বিঘ্ন সৃষ্টি করে।
বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়, ‘কর্মসূচির শুরুতে কয়েক দফায় আন্দোলনকারীদের সাথে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা আলোচনা করেন এবং জনগণের চলাচলের পথে বাঁধা সৃষ্টি না করে রাস্তা ছেড়ে দিতে অনুরোধ করেন।’
‘বারবার অনুরোধ করার পরেও জনগণের চলাচলের রাস্তা না ছাড়ায় জনগণের ভোগান্তি কমাতে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে দায়িত্বরত পুলিশ সদস্যরা আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেওয়ার চেষ্টা করলে একপর্যায়ে পুলিশের সাথে ধাক্কাধাক্কি হয় এবং পুলিশ আন্দোলনকারীদের রাস্তা থেকে সরিয়ে দেয়।’
ডিএমপি জানিয়েছে, ‘পরবর্তীতে বেলা পৌনে ১১টার দিকে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা পুনরায় রাস্তা দখল করে আন্দোলন শুরু করে। ঘটনাস্থলে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি ও শিক্ষার্থীদের সাথে আলোচনা করে উদ্ভূত সমস্যা সমাধানের চেষ্টা অব্যাহত আছে।
‘পুলিশ শান্তিপূর্ণভাবে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেছে এবং কোনোরূপ বলপ্রয়োগ ছাড়াই আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। তবুও, কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ নিয়ে বিভ্রান্তিকর সংবাদ পরিবেশন করছেন যা একেবারেই ভিত্তিহীন।’
এমন পরিস্থিতিতে, ঘটনা নিয়ে অহেতুক বিভ্রান্তি ছড়ানো থেকে বিরত থাকার জন্য সংশ্লিষ্ট সবাইকে অনুরোধ করেছে ডিএমপি। বাড্ডা-কুড়িল রোডের এক পাশে যানবাহন চলাচল অব্যাহত আছে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: রাজধানীর শিশুমেলা থেকে এনবিআর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
এদিকে ঢাকার ভাটারার নতুন বাজার এলাকায় সকাল থেকে সড়ক অবরোধ করে রাখে বেসরকারি ইউনাইটেড ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির (ইউআইইউ) একদল শিক্ষার্থী। শনিবার সকাল সাড়ে আটটা থেকে তারা সড়ক অবরোধ করেন।
সড়ক অবরোধ থেকে শিক্ষার্থীদের সরে আসার অনুরোধ জানিয়েছেন পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা। তবে শিক্ষার্থীরা সড়ক অবরোধ অব্যাহত রাখার ঘোষণা দিয়েছেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, অবিলম্বে ২৬ শিক্ষার্থীর বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার করতে হবে। তা না হলে আন্দোলন চলবে। প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, শিক্ষার্থীদের লাঠিপেটা করেছে পুলিশ।
শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘জুলাই অভ্যুত্থানে যে শিক্ষার্থীরা অংশ নিয়েছিলেন, তাদের ২৬ জনকে বহিষ্কার করেছে ইউনাইটেড ইউনিভার্সিটি। তারা জুলাই অভ্যুত্থানে জড়িত শিক্ষার্থীদের প্রশ্নের মুখে ফেলেছে। শিক্ষার্থীরা তাদের অধিকার রক্ষার জন্য আন্দোলন করেছিল, তাদের আশ্বাস দিয়ে আট মাস বসিয়ে রাখা হয়।’
তারা বলেন, পরে তারা ভিসির পদত্যাগসহ তাদের অধিকার রক্ষায় ফের আন্দোলনে নামে। ওই আন্দোলন দমানোর জন্য ২৬ জনকে বহিষ্কার করা হয়েছে। আমরা তাদের বহিষ্কারাদেশ প্রত্যাহার চাই।
১৯০ দিন আগে
রাজধানীর শিশুমেলা থেকে এনবিআর এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানার শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও রোডের জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) কার্যালয় ও আশপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
আগামীকাল রবিবার (২২ জুন) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর হবে। শনিবার (২১ জুন) ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এমন তথ্য দেওয়া হয়েছে।আরও পড়ুন: সচিবালয়-যুমনা এলাকায় সভা-সমাবেশ নিষিদ্ধ
এতে বলা হয়েছে, ‘শেরেবাংলা নগর থানার অন্তর্গত শিশুমেলা থেকে আগারগাঁও রোডে অবস্থিত এনবিআর কার্যালয় (জাতীয় রাজস্ব বোর্ড), বিডা কার্যালয় (বাংলাদেশ বিনিয়োগ উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ) ও আশেপাশের এলাকায় সব ধরনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, শোভাযাত্রা ও বিক্ষোভ প্রদর্শন ইত্যাদি নিষিদ্ধ করা হলো।’
ডিএমপি জানিয়েছে, জনশৃঙ্খলা রক্ষার স্বার্থে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ অধ্যাদেশের ২৯ ধারায় অর্পিত ক্ষমতাবলে আগামী রবিবার (২২ জুন) সকাল ৬টা থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত এই নির্দেশনা কার্যকর থাকবে।
গণবিজ্ঞপ্তিতে সই করেন ডিএমপি কমিশনার শেখ সাজ্জাত আলী।
১৯১ দিন আগে
শাবি শিক্ষার্থীকে নিপীড়ন ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে যৌন নির্যাতনের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই শিক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) রাত সাড়ে ৯টার দিকে তাদের একজনকে ক্যাম্পাস থেকে এবং আরেকজনকে নগরীর সুরমা আবাসিক এলাকা থেকে আটক করা হয়। পরে নারী ও শিশু নির্যাতন এবং পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
গ্রেপ্তার দুজন বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২১-২২ শিক্ষাবর্ষের সমাজবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের আগে সুরমা আবাসিক এলাকার একটি মেসে ডেকে নিয়ে ভুক্তভোগী দাবি করা ওই শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। অভিযোগকারীর অজান্তে তারা ঘটনাটির ভিডিও ধারণও করেন এবং তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বাধ্য করেন।
তবে ঈদের ছুটির পর গতকাল (বৃহস্পতিবার) শাবি প্রক্টর বরাবর ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী শিক্ষার্থী।
অভিযোগের পর বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ডিজিটাল ট্র্যাকিং পদ্ধতিতে দুই অভিযুক্তকে আটক করে পুলিশ। আটকের পর প্রক্টর অফিসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ফাঁকা আসনে তৃতীয় ধাপে ভর্তি নিচ্ছে শাবিপ্রবি
বিষয়টি নিশ্চিত করে সিলেট মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (মিডিয়া) মোহাম্মদ সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘প্রাথমিক অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আটক করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে অভিযোগের সত্যতা পাওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের পুলিশে সোপর্দ করে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আটকদের বিরূদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (৩) ধারা এবং পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ৮(১), ৮(২) ও ৮(৩) ধারায় মামলা হয়েছে। পরবর্তীতে আজ (শুক্রবার) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মুখলেছুর রহমান বলেন, ‘অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে তাদের আটকের পর জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পেয়েছি আমরা। বর্তমানে অপরাধীরা পুলিশ হেফাজতে আছেন এবং মামলার বিষয়ে আইনি প্রক্রিয়া চলছে।’
১৯১ দিন আগে
পলাতক হাসিনা-শাকিলের পক্ষে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী দিয়েছেন ট্র্যাইব্যুনাল
ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী পলাতক শেখ হাসিনা ও নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ নেতা পলাতক শাকিল আলম বুলবুলের বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার মামলা পরিচালনার জন্য সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী আমিনুল গনি টিটুকে রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী (স্টেট ডিফেন্স কাউন্সেল) নিযুক্ত করা হয়েছে। এছাড়া এ মামলার শুনানিতে অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হিসেবে মতামত প্রদানের জন্য সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী এ ওয়াই মশিউজ্জামানকে নিয়োগ দিয়েছেন ট্রাইব্যুনাল।
বৃহস্পতিবার(১৯ জুন) বিচারপতি মো. গোলাম মূর্তজা মজুমদারের নেতৃত্বাধীন তিন সদস্যের আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্র্যাইব্যুনাল-১ এই আদেশ দেন। সেই সঙ্গে এ বিষয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য আগামী ২৫ জুন দিন ধার্য করা হয়েছে।
বিচারের মুখোমুখি হতে পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দেওয়ার পরেও শেখ হাসিনা ও অপর অভিযুক্ত শাকিল হাজির না হওয়ার প্রেক্ষাপটে বিচারের স্বচ্ছতার স্বার্থে অ্যামিকাস কিউরি ও রাষ্ট্রনিযুক্ত আইনজীবী যুক্ত করা হয়েছে বলে জানান প্রসিকিউটর গাজী এমএইচ তামিম।
আরও পড়ুন: সংবাদপত্রে শেখ হাসিনার গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারির আদেশ
জানা গেছে, ‘আমার বিরুদ্ধে ২২৭টি মামলা হয়েছে, তাই ২২৭ জনকে হত্যার লাইসেন্স পেয়ে গেছি,’ বলে ‘শেখ হাসিনার দেওয়া বক্তব্যের’ একটি অডিও ভাইরাল হয়। পরে পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ (সিআইডি) ওই কথপোকথনের ফরেনসিক পরীক্ষা করে সেটি হাসিনার বলে সত্যতা পায়। পরবর্তীতে এই বক্তব্যের বিষয়ে আদালত অবমাননার আবেদন করা হয় ট্রাইব্যুনালে।
প্রসিকিউশনের করা সে আবেদনের প্রেক্ষিতে ট্রাইব্যুনাল অভিযোগটি গ্রহণ করে ১৫ মের মধ্যে তাদের জবাব দাখিলের নির্দেশ দেন। কিন্তু ১৫ মে জবাব দাখিল না করায় তাদের ২৫ মে ট্রাইব্যুনালে হাজির হওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হয়। তবে ২৫ মে তারা হাজির না থাকায় প্রসিকিউশনের আবেদনে শেখ হাসিনাসহ দুজনকে আদালত অবমাননার অভিযোগের ব্যাখ্যা দিতে হাজির হওয়ার জন্য বহুল প্রচারিত দুটি পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের নির্দেশ দেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল।
আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল-১ এর নির্দেশক্রমে ট্রইব্যুনালের রেজিস্ট্রার (সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ) এ এস এম রুহুল ইমরানের সই করা নোটিশটি ২৬ মে যুগান্তর ও নিউএজ পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। নোটিশে ৩ জুন সকাল ১০টায় ট্রাইব্যুনালে সশরীরে উপস্থিত হয়ে অভিযোগের বিষয়ে জবাব বা বক্তব্য দাখিল করতে বলা হয়। অন্যথায় তাদের অনুপস্থিতিতে অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিচারকার্য সম্পন্ন হবে বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়। তবে গত ৩ জুন আদালত অবমাননার অভিযুক্তরা হাজির না হওয়া ট্র্যাইব্যুনাল পরবর্তী আদেশের জন্য ১৯ জুন দিন ধার্য করেন।
১৯২ দিন আগে
নভোএয়ারের ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ চার জনের বিরুদ্ধে মামলা
নভোএয়ার লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মফিজুর রহমানসহ চারজনের বিরুদ্ধে ঢাকার শ্রম আদালতে মামলা দায়ের হয়েছে। চাকরি থেকে বেআইনিভাবে অব্যাহতি দেওয়ার অভিযোগ এনে মামলাটি করেছেন প্রতিষ্ঠানটির চাকরিচ্যুত কর্মী তাসনিম ফারহানাজ।
বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ঢাকা প্রথম শ্রম আদালতে এ মামলা দায়ের করেছেন তিনি। আদালত বাদীর জবানবন্দি নিয়ে আসামিদের প্রতি নোটিশ জারি করেছে।
মামলায় অন্যান্য আসামিরা হলেন—নভোএয়ারের হিউম্যান রিসোর্সের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, প্রধান বিক্রয় ও বিপনন শাখার কর্মকর্তা মেসবাউল ইসলাম ও এইচআর বিভাগের জুনিয়র এক্সিকিউটিভ মশিউর রহমান শুভ। এ মামলার বাদীপক্ষের আইনজীবী সোমাইয়াদ শাহেরিয়া ফিদা এ তথ্য জানিয়েছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায় , ২০১৫ সালের ১ ফেব্রুয়ারি থেকে প্রতিষ্ঠানটিতে ‘জুনিয়র এক্সিকিউটিভ, সেলস অ্যান্ড মার্কেটিং’ পদে চাকরি করছিলেন তাসনিম ফারহানাজ। পরবর্তীতে স্থায়ীকরণ ও পদোন্নতি পান।
২০২১ সালের ২৯ অক্টোবর তাকে সম্মানসূচকভাবে পদোন্নতি দেওয়া হয়। তবে ২০২৫ সালের ১১ মার্চ তাকে কোনো প্রকার লিখিত নোটিশ ছাড়াই চাকরি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়, যা তিনি বেআইনি এবং অন্যায় বলে দাবি করেন।
এ ঘটনায় বাদী ৩০ এপ্রিল নভোএয়ার কর্তৃপক্ষকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠান। জবাবে নভোএয়ার কর্তৃপক্ষ তাকে ক্ষতিপূরণ হিসেবে এক লাখ ৫৫ হাজার ৫৩৬ টাকা পরিশোধের প্রস্তাব দেয়।
কিন্তু বাদীর দাবি, এই অর্থ যথেষ্ট নয় এবং তাকে বেআইনিভাবে চাকরি থেকে বাদ দেওয়ার ফলে তার কর্মজীবনের ধারাবাহিকতা ব্যাহত হয়েছে। তিনি পুনরায় চাকরিতে বহালের দাবিতে ডাকযোগে চিঠি দিলেও কর্তৃপক্ষ কোনো সাড়া দেয়নি। মামলায় তিনি তার চাকরিতে পুনর্বহালসহ সকল বকেয়া বেতন ও সুবিধা দাবি করেছেন।
আরও পড়ুন: আদালত থেকে পালালেন হত্যা মামলার আসামি
১৯২ দিন আগে
সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল গ্রেপ্তার
সাবেক পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী শামসুল আলমকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) ভোরে রাজধানীর মোহাম্মদপুর থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান ইউএনবিকে এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: ক্রিকেটার সাকিব আল হাসানসহ ২৫ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী হওয়ার আগে তিনি বাংলাদেশ পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য হিসেবে সাধারণ অর্থনীতি বিভাগে সিনিয়র সচিব পদমর্যাদায় দায়িত্ব পালন করেন। তিনি সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) একজন সিন্ডিকেট সদস্য।
অর্থনীতিতে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলাদেশ সরকার তাকে ২০২০ সালে একুশে পদক দিয়েছে। ২০২১ সালের ১৮ জুলাই প্রতিমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন। ২০২২ সালের ২৪ মে তাকে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য করা হয়।
১৯৩ দিন আগে