আইনশৃঙ্খলা
পদ্মায় বালু উত্তোলনের দায়ে ৪ জনের কারাদণ্ড, একজন মুচলেকায় মুক্ত
নাটোররে লালপুরে পদ্মা নদী থেকে অবৈধভাবে বালু উত্তোলনের দায়ে চারজনকে একমাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। এ সময় একজনকে মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।
এর আগে নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) সকাল ১০টা থেকে অভিযান শুরু করে তাদের আটক করে সেনাবাহিনী। এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি ড্রেজার মেশিন, ২টি বালু ভর্তি ট্রলার জব্দ করা হয়।
একমাসের কারাদণ্ড পাওয়া চারজন হলেন— সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়ার খোকন ও শাহামুদ্দিন, পাবনার ভাঙ্গুরার রাকিবুল ও রবিউল এবং কুষ্টিয়ার ভেড়ামারার বোরহান উদ্দিন।
আরও পড়ুন: পদ্মা নদীতে বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান, ড্রেজার-ট্রলার জব্দসহ আটক ৫
এর মধ্যে বোরহানের সরাসরি সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে মুচলেকার মাধ্যমে ছেড়ে দেওয়া হয়।
বাকি চারজনকে এক মাস করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও লালপুরের সহকারী কমিশনার ভূমি আজিজুল কবীর।
২৪০ দিন আগে
পদ্মা নদীতে বালু দস্যুদের বিরুদ্ধে যৌথবাহিনীর অভিযান, ড্রেজার-ট্রলার জব্দসহ আটক ৫
নাটোরের লালপুরে পদ্মা নদীতে অবৈধভাবে মাটি ও বালু উত্তোলনের বিরুদ্ধে অভিযান পরিচালনা করেছে সেনাবাহিনী। এ ঘটনায় পাঁচজনকে আটক করা হয়েছে।
শুক্রবার (২ মে) সকাল ১০টা থেকে অভিযান শুরু করে তাদের আটক করে সেনাবাহিনী।
এ সময় তাদের কাছ থেকে ৩টি ড্রেজার মেশিন, ২টি বালু ভর্তি ট্রলার জব্দ করা হয়।
নাটোর সেনা ক্যাম্পের সদস্যরা জানান, লালপুরে পদ্মা নদীতে দীর্ঘদিন ধরে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে নদী ভাঙ্গনের সৃষ্টি করা হচ্ছিল। তাদের ধরতে একাধিকবার অভিযান চালালে আগেই খবর পেয়ে পালিয়ে যায়। পরে নিজস্ব গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনা সদস্যরা সকাল থেকে লালপুর উপজেলায় পাদ্মা নদীর চর জাজিরা পয়েন্টে অভিযান চালায়। এ সময় বালু উত্তোলনে ব্যবহৃত ড্রেজার ও বালুভর্তি ট্রলার জব্দসহ পাঁচজনকে আটক করা হয়।
আরও পড়ুন: ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২
সেনা কর্মকর্তারা জানান, জব্দ মালামাল ও আটক পাঁচজনের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে।
লালপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোমিনুজ্জামান বলেন, ‘জব্দকরা মালামাল থানায় হস্তান্তরের প্রক্রিয়া চলছে।’
২৪০ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় যুবলীগ নেতা গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ার কুমারখালী উপজেলা যুবলীগের জ্যেষ্ঠ সহ-সভাপতি ও পৌরসভার ৫ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর এস এম রফিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শুক্রবার (২ মে) সকাল ১০টার দিকে আদালতের মাধ্যমে তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। এর আগে বৃহস্পতিবার রাত ১০টায় স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেতু এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
স্বজনদের ভাষ্য, বৃহস্পতিবার (১ মে) রাত ১০টার দিকে কুমারখালীর শহরতলীর শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু এলাকা থেকে ৮-১০ জন দুর্বৃত্তরা তাকে তুলে নিয়ে যায়। আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের দাবি, রফিককে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল। পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে।
রফিকের স্ত্রী আছমা খাতুন বলেন, ‘দুর্বৃত্তরা রফিককে হত্যার উদ্দেশ্যে অপহরণ করেছিল। খবর পেয়ে পুলিশ তাকে উদ্ধার করেছে। রফিক আওয়ামী লীগ করায় পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার দেখিয়েছে।’
আরও পড়ুন: ছেলেকে খুঁজতে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার গৃহবধূ, গ্রেপ্তার ২
জানা গেছে, ৫ আগস্টের পর রফিক আত্মগোপনে ছিলেন। সম্প্রতি তিনি কুমারখালীর শেরকান্দি এলাকায় নিজ বাড়িতে অবস্থান করছিলেন। বৃহস্পতিবার রাতে গড়াই নদীর শহীদ গোলাম কিবরিয়া সেতু এলাকায় ঘুরতে গিয়েছিলেন তিনি। হঠাৎ রাত ১০টার দিকে অজ্ঞাতপরিচয় ৮ থেকে ১০ ব্যক্তি তাকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে যায়। তুলে নিয়ে যাওয়ার প্রায় দেড় ঘণ্টা পরে তাকে কুমারখালী থানায় পাওয়া যায়। এছাড়া গত ৯ ফেব্রুয়ারি কুমারখালীর পদ্মপুকুর ঘাট এলাকায় নাশকতার মামলায় রফিককে গ্রেপ্তার দেখিয়ে শুক্রবার তাকে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘নাশকতা মামলার রফিককে স্থানীয়দের সহযোগিতায় সেতু এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
২৪০ দিন আগে
পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি নাজমুল, সম্পাদক আনিসুজ্জামান
বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের (বিপিএসএ) সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান। এছাড়া সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান।
বৃহস্পতিবার (১ মে) বিকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ লাইন্সে বাংলাদেশ পুলিশ অডিটরিয়ামে অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে তারা নির্বাচিত হয়েছেন।
বাংলাদেশ পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সের এআইজি (মিডিয়া অ্যান্ড পিআর) ইনামুল হক সাগর বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার ড. মো. নাজমুল করিম খান ও ঢাকা জেলার পুলিশ সুপার মো. আনিসুজ্জামান বাংলাদেশ পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের যথাক্রমে সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। পরে অ্যাসোসিয়েশনের পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করা হবে।
২৪১ দিন আগে
টুঙ্গিপাড়াসহ ঢাকা-খুলনায় থাকা শেখ পরিবারের জমি জব্দের আদেশ
শেখ পরিবারের সদস্যদের নামে থাকা ঢাকা, খুলনা ও গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় থাকা জমিগুলো জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকার মহানগর সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন এ আদেশ দেন।
জব্দের আদেশ দেওয়া সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে— সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে রাজধানীর বারিধারায় থাকা ৪ কোটি ৯৮ লাখ টাকা মূল্যের প্লট।
শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহানা, হাসিনাপুত্র সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে খুলনার দিঘলিয়ায় ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ জমি, যার মূল্য ৬১ লাখ ৮৭ হাজার টাকা।
শেখ রেহেনার নামে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় থাকা ১৯ শতাংশ জমি, যার দলিলমূল্য ২০ লাখ ৫০ হাজার টাকা। রেহানার সন্তান রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও আজমিনা সিদ্দিকর নামে খুলনার দিঘলিয়ায় থাকা ৮৭ দশমিক ৭০ শতাংশ জমি, যার দলিলমূল্য ৪১ লাখ ২৪ হাজার ৫০০ টাকা।
এদিন দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম এ সম্পদ জব্দের আদেশ চেয়ে আবেদন করেন।
আবেদনে বলা হয়, অভিযুক্তদের অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন।
আরও পড়ুন: সাবেক ডিবি প্রধান হারুনের ফ্ল্যাট ও প্লট জব্দের আদেশ
অনুসন্ধানকালে অভিযুক্তদের এ স্থাবর সম্পত্তির তথ্য পাওয়া যায়। তারা যেন এটি বিক্রয় বা হস্তান্তর করতে না পারেন এ জন্য তা জব্দের আদেশ দেওয়া একান্ত প্রয়োজন।
এর আগে ২৯ এপ্রিল সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে রাজধানীর গুলশানে থাকা একটি ফ্ল্যাট জব্দের আদেশ দেওয়া হয়। গত ৫ মার্চ পুতুলের প্রতিষ্ঠিত সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৪৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেন একই আদালত।
এছাড়া কয়েক দফায় পুতুলসহ হাসিনা পরিবারের সদস্যদের নামে বিভিন্ন ব্যাংকে থাকা অন্তত ১ হাজার ৬৫ কোটি ৭৮ লাখ ২২ হাজার ১১৮ টাকা অবরুদ্ধের আদেশ দেন আদালত।
২৪২ দিন আগে
বগুড়ায় অটোরিকশাচালক হত্যা মামলায় ২ জনের মৃত্যুদণ্ড
বগুড়ায় অটোরিকশাচালক আজগর আলী পিয়াল হত্যা মামলায় দুই জনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এই মামলায় আরও একজনকে তিন বছর কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) বেলা ১১টার দিকে অতিরিক্ত দায়রা জজ আদালত-২ এর বিচারক মো. আবু হানিফ এ রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আসামিরা হলেন— বগুড়া সদর উপজেলার ছোট কুমিড়া এলাকার মৃত জমির উদ্দিনের ছেলে আব্দুল হান্নান ও একই এলাকার দুলু খানের ছেলে রাশেদ খান। এছাড়া দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার নয়াপাড়া এলাকার নুরুন্নবী মুন্নাকে তিন বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বগুড়া আদালত পরিদর্শক মোসাদ্দেক হোসেন বলেন, ‘বগুড়া শহরের নিশিন্দারা মধ্যপাড়ার মহিদুল ইসলাম খোকার ছেলে পিয়াল ২০২০ সালের ২১ মার্চ অটোরিকশা নিয়ে বের হওয়ার পর নিখোঁজ হন। ২৮ মার্চ শহরতলির বড় কুমিড়া হিন্দুপাড়ার কবরস্থানে তার গলিত লাশ পাওয়া যায়। লাশ শনাক্তের পর তার বাবা সদর থানায় হত্যা মামলা করেন। তদন্ত চলাকালে হত্যায় জড়িত সন্দেহে রাশেদ ও হান্নানকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে দুজন হত্যার দায় স্বীকার করেন।
আরও পড়ুন: নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
তারা জানান, অটোরিকশা ছিনিয়ে নিতে নেশার প্রলোভনে ২১ মার্চ রাতে পিয়ালকে তার অটোরিকশাসহ বড় কুমিড়া গ্রামে বিএড কলেজের পেছনে বাঁশবাগানে নিয়ে যাই। সেখানে তারা লোপেন্ট নামক মাদক সেবন করে। এক পর্যায়ে তারা ইট দিয়ে পিয়ালের মাথায় আঘাত করলে তিনি মারা যান। তারা লাশ পাশের পাকা কবরে ফেলে অটোরিকশা নিয়ে পালিয়ে যান।
ওই রাতেই রিকশাটি ঘোড়াঘাটে নিয়ে বিক্রির জন্য মুন্নার কাছে রেখে আসেন। তাদের কাছ থেকে পিয়ালের মোবাইল ফোন উদ্ধার করা হয়। স্বীকারোক্তি অনুযায়ী মুন্নাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৪২ দিন আগে
নারায়ণগঞ্জে হত্যা মামলায় দুই ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে যুবক হত্যায় দুই ভাইকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. আবু শামীম আজাদ এই রায় দেন। তবে রায় ঘোষণার সময় তারা আদালতে উপস্থিত ছিলেন না।
আরও পড়ুন: চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা, ভাইয়ের যাবজ্জীবন
আসামিরা হলেন— আড়াইহাজারের সেন্দি এলাকার রুস্তম আলীর ছেলে শামীম (৩০) ও তার ভাই হাবিবুল্লাহ (৩৪)। নিহত স্বপন আড়াইহাজারের কাহেন্দি এলাকার মৃত রহম আলী ছেলে।
কোর্ট পুলিশের পরিদর্শক মো. কাইউম খান বলেন, ‘পূর্ব শত্রুতার জের ধরে ২০১৯ সালের ৩১ মে দুই ভাই শামীম ও হাবিবুল্লাহ মিলে স্বপনকে হত্যা করে। এ ঘটনায় তার বোন জাহানারা বাদী হয়ে আড়াইহাজার থানায় মামলা করেন। সে মামলায় আদালত এ রায় ঘোষণা করেন।’
২৪২ দিন আগে
চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার, শুনানি রবিবার
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীকে আজ বুধবার বিকালে জামিন দেন হাইকোর্ট। পরে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার আদালত ওই জামিন আদেশ স্থগিত করেন। তার কিছুক্ষণ পরে ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে আগামী রবিবার রাষ্ট্রপক্ষের ওই আবেদনের ওপর শুনানির জন্য ধার্য করা হয়েছে।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যা পৌনে ৬টায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এই আদেশ দেন। চিন্ময় দাসের আইনজীবী অপূর্ব ভট্টাচার্য ইউএনবিকে এই তথ্য নিশ্চিত করেন।
এদিন বিকাল ৩টার পর চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে তাকে জামিন দেন হাইকোর্ট। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন। এরপর রাষ্ট্রপক্ষ তাৎক্ষণিকভাবে ওই রায়ের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালতে আবেদন করেন। ওই আবেদনের ওপর চেম্বার আদালতে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক শুনানি করেন। শুনানির পর চেম্বার বিচারপতির আদালত হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি প্রকাশ ও নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়ের না হওয়া পর্যন্ত স্থগিতাদেশ জারি করেন। এই আদেশের সময় চিন্ময় দাসের আইনজীবী অপূর্ব ভট্টাচার্য আদালতে ছিলেন না।
পরে এই আইনজীবী বলেন, ‘স্থগিতাদেশের খবর শুনে সন্ধ্যায় আমি চেম্বার বিচারপতির বেঞ্চ অফিসারের কাছে খবর নিতে যাই। তখন বেঞ্চ অফিসার জানান যে, ওই স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করা হয়েছে। অন্যদিকে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবীরা জানিয়েছেন, চেম্বার আদালত স্থগিতাদেশ প্রত্যাহার করে রবিবার শুনানির জন্য ধার্য করেছেন।’
রবিবার (৪ মে) চিন্ময় দাসের পক্ষের আইনজীবীদের বক্তব্য শুনে আদালত আদেশ দেবেন বলে জানিয়েছেন তিনি।
আরও পড়ুন: চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় জামিন চেয়ে চিন্ময় দাসের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দিয়েছিলেন হাইকোর্ট। সে সময় আবেদনকারীকে (চিন্ময়) কেন জামিন দেওয়া হবে না—রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। এরপর গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল তারিখ ধার্য করেন। তার পরিপ্রেক্ষিতেই আজ (বুধবার) শুনানি নিয়ে রুল ‘অ্যাবসলিউট’ ঘোষণা করে সিদ্ধান্ত দেন হাইকোর্ট।
আদালতে চিন্ময় দাসের পক্ষে শুনানিতে ছিলেন আইনজীবী জেড আই খান পান্না, প্রবীর হালদার ও অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক। পাশাপাশি রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
জামিন আদেশের পর আইনজীবী প্রবীর হালদার বলেন, হাইকোর্ট চিন্ময় দাসকে জামিন দিয়েছেন। জামিন হওয়ায় তার মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে হাইকোর্টের রায়ের পরপরই রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন জানায়। পরে সন্ধ্যায় চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানি হয়।
এই মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ গত ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দেন। এ নিয়ে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে গত ১২ জানুয়ারি আবেদনটি করেছিলেন চিন্ময় দাস। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দেন হাইকোর্ট। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ সিদ্ধান্ত দেন আদালত।
আরও পড়ুন: ‘সম্প্রদায়ের নেতা হিসেবে নয়, রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস গ্রেপ্তার’
মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়। সে সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়।
জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিলে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে আদালত গত ৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন রাখেন। সেদিন চিন্ময় দাসের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আদালত শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন রাখেন। তবে সেদিনও তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর চট্টগ্রাম নগরীর চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ওই মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৪২ দিন আগে
চাচাতো বোনকে ধর্ষণের পর হত্যা, ভাইয়ের যাবজ্জীবন
নড়াইলে হৃত্তিকা বৈরাগী (৪) নামে এক শিশুকে ধর্ষণের পর শ্বাসরোধে হত্যার দায়ে তার চাচাতো ভাই হৃদয় বৈরাগীকে (২২) যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে ১০ হাজার টাকা জরিমানা অনাদায়ে আরও ছয় মাসের কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক শারমিন নিগার এ রায় দেন।
দণ্ডপ্রাপ্ত হৃদয় বৈরাগী সদর উপজেলার বীরগ্রামের দিলীপ বৈরাগীর ছেলে। জেলা ও দায়রা জজ আদালতের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) এস এম আব্দুল হক এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আরও পড়ুন: নওগাঁয় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৮ ডিসেম্বর দুপুরে প্রতিদিনের মতো হৃত্তিকা তার কাকা দিলীপের বাড়িতে খেলতে যায়। ওইদিন রাত হয়ে গেলেও হৃত্তিকা বাড়িতে ফিরে না আসায় তাকে খোঁজাখুঁজি করেও কোথাও পাওয়া যায়নি। পরদিন বাড়ির পাশে পুকুর পাড়ে হৃত্তিকার লাশ দেখতে পান স্থানীয়রা। পরে জানতে পারেন তার কাকার বাড়িতে যাওয়ার পরে তার চাচাতো ভাই হৃদয় তার সঙ্গে খেলা করা অবস্থায় তাদের ঘরের মধ্যে নিয়ে ধর্ষণ করে শ্বাসরোধ করে হত্যা এবং রাতের অন্ধকারে পুকুরের পাড়ে ফেলে রেখে যায়।
এর পরের দিন ৩০ ডিসেম্বর হৃত্তিকার বাবা দশরথ বাদী হয়ে নড়াইল সদর থানায় হৃদয়ের নামে মামলা করেন। দীর্ঘ বিচারিক প্রক্রিয়ায় সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে আদালত তাকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও জরিমানা করেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি উপস্থিত ছিলেন না।
২৪২ দিন আগে
মানিকগঞ্জে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড
মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে বিল্লাল হোসেন নামের এক ব্যক্তিকে কুপিয়ে হত্যা মামলায় একজনের মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়া আরেকজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
একই সঙ্গে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্তকে ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও যাবজ্জীবন কারাদণ্ডপ্রাপ্তকে ৩০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড অনাদায়ে দুই বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) দুপুরে আসামিদের উপস্থিতিতে এই রায় ঘোষণা করেন অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক সাবিনা ইয়াসমিন।
আসামিরা হলেন— জেলার শিবালয় উপজেলার দক্ষিণ খানপুর এলাকার এখলাস মাতাব্বরের ছেলে মো. পারভেজ হোসেন ওরফে সুমন শেখ ও একই এলাকার শহীদ বেপারীর ছেলে আলীম।
আরও পড়ুন: নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই সন্তানকে হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড
সুমনের পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন আইনজীবী আব্দুর রাজ্জাক ও আলীমের পক্ষে ছিলেন কামরুল ইসলাম। আর রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত পিপি আইনজীবী বুলবুল আহমেদ গোলাপ।
মামলার সংক্ষিপ্ত এজাহার থেকে জানা যায়, বিল্লাল হোসেনের মেয়েকে স্কুলে যাওয়া আসার পথে উত্ত্যক্ত করতেন সুমন। আর জমি নিয়ে বিরোধ ছিল আলীমের। মেয়েকে উত্ত্যক্তের বিচার চাওয়ায় সুমন ও আলীম মিলে বিল্লাল হোসেনকে হত্যার পরিকল্পনা করেন।
এরই ধারাবাহিকতায় ২০১৭ সালের ১৫ মার্চ এই দুজনে মিলে পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী বিল্লালকে হত্যা করেন। এক আসামি শিশু হওয়ায় পৃথক আদালতে বিচার কার্যক্রম চলমান।
এরপর দীর্ঘ সময় মামলার সাক্ষ্যগ্রহণ শেষে বিচারক এই রায় ঘোষণা করেন।
২৪২ দিন আগে