আইনশৃঙ্খলা
চিন্ময় দাসের জামিন স্থগিত
জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় বাংলাদেশ সম্মিলিত সনাতনী জাগরণ জোটের মুখপাত্র চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগ।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের প্রেক্ষিতে বুধবার (৩০ এপ্রিল) সন্ধ্যায় আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি মো. রেজাউল হকের আদালত এই আদেশ দেন।
হাইকোর্টের রায়ের অনুলিপি প্রকাশ ও নিয়মিত লিভ টু আপিল দায়ের না হওয়া পর্যন্ত এই স্থগিতাদেশ দেওয়া হয়েছে। চেম্বার আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানিতে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নী জেনারেল ব্যারিস্টার অনিক আর হক।
আরও পড়ুন: রাষ্ট্রদ্রোহ মামলায় চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুল শুনানি এপ্রিলে
এর আগে বিকালে চিন্ময় দাসের জামিন প্রশ্নে রুল অ্যাবসলিউট (যথাযথ) ঘোষণা করে জামিন দেন হাইকোর্ট। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ বুধবার বিচারপতি মো. আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মো. আলী রেজার সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রায় দেন।
মামলায় জামিন চেয়ে চিন্ময় দাসের করা আবেদনের শুনানি নিয়ে হাইকোর্ট গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দিয়েছিলেন। আবেদনকারীকে (চিন্ময়) কেন জামিন দেওয়া হবে না, রুলে তা জানতে চাওয়া হয়। গত ২৩ এপ্রিল হাইকোর্ট রুল শুনানির জন্য ৩০ এপ্রিল তারিখ রাখেন। এর ধারাবাহিকতায় আজ শুনানি নিয়ে রুল ‘অ্যাবসলিউট’ ঘোষণা করে সিদ্ধান্ত দেন হাইকোর্ট।
আদালতে চিন্ময় দাসের পক্ষে আইনজীবী জেড আই খান পান্না, প্রবীর হালদার ও অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য শুনানিতে ছিলেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনীক আর হক শুনানি করেন। রাষ্ট্রপক্ষে অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মুহাম্মদ আবদুল জব্বার ভুঞা, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ফরিদ উদ্দিন খান উপস্থিত ছিলেন।
জামিনের পরে আইনজীবী প্রবীর হালদার বলেন, হাইকোর্ট চিন্ময় দাসকে জামিন দিয়েছেন। জামিন হওয়ায় তার মুক্তিতে আইনগত কোনো বাধা নেই। তবে হাইকোর্টের রায়ের পর পরই রাষ্ট্রপক্ষ আপিল বিভাগে আবেদন জানায়। পরে সন্ধ্যায় চেম্বার বিচারপতির আদালতে শুনানি হয়। শুনানি নিয়ে হাইকোর্টের রায়ের কার্যকারিতা স্থগিত করা হয়। ফলে চিন্ময় দাসের কারামুক্তি মিলছে না বলে জানান আইনজীবীরা।
এই মামলায় চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ গত ২ জানুয়ারি চিন্ময়ের জামিন আবেদন খারিজ করে আদেশ দিয়েছিলেন। এ নিয়ে হাইকোর্টে অন্তর্বর্তীকালীন জামিন চেয়ে গত ১২ জানুয়ারি আবেদনটি করেছিলেন চিন্ময় দাস। এ আবেদনের শুনানি নিয়ে গত ৪ ফেব্রুয়ারি রুল দেন হাইকোর্ট। রুলের ওপর চূড়ান্ত শুনানি শেষে আজ সিদ্ধান্ত দেন আদালত।
আরও পড়ুন: ইসকনের ৫৪ ভক্তকে বেনাপোল ইমিগ্রেশন থেকে ফেরত
মামলায় গ্রেপ্তার চিন্ময় দাসের জামিন নামঞ্জুর হওয়া নিয়ে গত বছরের ২৬ নভেম্বর চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষ হয়েছিল। এ সময় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে পিটিয়ে ও কুপিয়ে হত্যা করা হয়। জামিন নামঞ্জুর হওয়ার পর চিন্ময় দাসকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। পরদিন জামিন শুনানির দিন ধার্য থাকলেও আইনজীবী হত্যার প্রতিবাদে কর্মবিরতির ডাক দিলে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকে। পরে আদালত গত ৩ ডিসেম্বর শুনানির দিন রাখেন। সেদিন চিন্ময়ের কোনো আইনজীবী উপস্থিত না থাকায় আদালত শুনানির জন্য ২ জানুয়ারি পরবর্তী দিন রাখেন। সেদিন তার জামিন আবেদন নামঞ্জুর হয়।
গত বছরের ৩১ অক্টোবর নগরের চান্দগাঁও মোহরা ওয়ার্ড বিএনপির সাবেক সাধারণ সম্পাদক ফিরোজ খান বাদী হয়ে কোতোয়ালি থানায় চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে ওই মামলা করেন। পরে ফিরোজ খানকে বিএনপি থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়। এ মামলায় চিন্ময় কৃষ্ণসহ কয়েকজনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
২৪২ দিন আগে
রূপপুর ‘দুর্নীতি’: প্রচ্ছায়ার ৮ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ থাকায় শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও শেখ রেহানার দেবর তারিক আহমেদ সিদ্দিকের মালিকানাধীন প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ কর্মকর্তার দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন আদালত। তাদের মধ্যে শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিকও আছেন।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ মো. জাকির হোসেন গালিব দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
আজ দুদকের উপপরিচালক মো. মনিরুল ইসলাম উল্লিখিত ব্যক্তিদের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা চেয়ে আবেদন করেন।
নিষেধাজ্ঞাপ্রাপ্ত অন্যরা হলেন— তারিক আহমেদ সিদ্দিকের স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক, তার দুই মেয়ে বুশরা সিদ্দিক ও নওরীন তাসমিয়া সিদ্দিক, সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান, তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম এবং তাদের দুই মেয়ে শেহতাজ মুন্নাসী খান ও পারিজা পাইনাজ খান। তারা সবাই প্রচ্ছায়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডার।
আবেদনে বলা হয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব ওয়াজেদ জয়, ছোট বোন শেখ রেহানা, ছোট বোনের মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিক ও অন্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাৎ-সংক্রান্ত একটি গুরুত্বপূর্ণ অভিযোগের অনুসন্ধানে ৭ সদস্যের অনুসন্ধান দল গঠন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: রূপপুর পারমাণবিক প্রকল্পের ইউনিট-১ এ রিঅ্যাক্টর স্থাপন সম্পন্ন
প্রচ্ছায়া লিমিটেডের শেয়ারহোল্ডাররা সপরিবারে গোপনে দেশত্যাগ করার চেষ্টা চালাচ্ছেন। তারা বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ-সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র পেতে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে।
এতে সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ আরও ক্ষতির আশঙ্কা আছে। এজন্য উল্লেখিত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের স্বার্থে তাদের বিদেশ যাত্রা রহিত করা প্রয়োজন।
এর আগে গত ২৮ জানুয়ারি তারিক আহমেদ সিদ্দিকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেন আদালত।
২৪২ দিন আগে
ভ্যানচালক হত্যাচেষ্টা মামলায় সাতদিনের রিমান্ডে সিদ্দিক
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় রাজধানীর গুলশানে ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদার হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমানের সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্যাহর আদালত এ আদেশ দেন। এদিন সিদ্দিককে আদালতে হাজির করে ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম।
আসামিপক্ষে রিমান্ড বাতিল ও জামিন চেয়ে আবেদন করেন তার আইনজীবী। শুনানি শেষে বিচারক সাতদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
আরও পড়ুন: অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন, শুনানি দুপুরে
এর আগে গতকাল (মঙ্গলবার) বিকালে রাজধানীর বেইলি রোডে অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে রমনা থানায় সোপর্দ করেন একদল যুবক।
আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিকবার ঢাকার গুলশান ও টাঙ্গাইলের মধুপুরের আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন সিদ্দিক। তবে তিনি মনোনয়ন পাননি।
২৪২ দিন আগে
জুলাই হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল ও চৌধুরী মামুন ফের রিমান্ডে
বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে রাজধানীর বিভিন্ন থানার পৃথক তিন হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক ও পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের শুনানি শেষে ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আতিকুর রহমান এই রিমান্ড আদেশ দেন।
এরমধ্যে যাত্রাবাড়ী থানার রাসেল হত্যা মামলায় পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের তিনদিন, ভাটারা থানার মনির হত্যা মামলায় সালমান এফ রহমানের তিনদিন ও বাড্ডা থানার আব্দুল জব্বার হত্যা মামলায় আনিসুল হকের দুইদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে।
এর আগে সংশ্লিষ্ট মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তারা এসব মামলায় মামুনের সাতদিন, আনিসুল ও সালমানের পাঁচদিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনের পক্ষে তার আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে শুনানি করেন। সালমান এফ রহমান এবং আনিসুল হকের পক্ষে আইনজীবীরা শুনানি করেননি।
এদিকে, আদালত সূত্রে জানা গেছে, কদমতলী থানার এক মামলায় চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুন, আনিসুল হক, সালমান এফ রহমানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আল মামুনের মামলা সূত্রে জানা যায়, গত বছরের ৫ আগস্ট যাত্রাবাড়ীর কাজলায় ছাত্র আন্দোলনে অংশ নেন ভুক্তভোগী মো. রাসেল। পরে পুলিশ ও আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের গুলিতে নিহত হন তিনি।
আরও পড়ুন: ফের রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুল ও দীপু মনি
সালমান এফ রহমানের মামলা সূত্রে জানা যায়, ১৯ জুলাই মনির হোসেন ভাটারা থানা এলাকায় কোটা সংস্কার আন্দোলনে অংশ নেন। পরে পুলিশ ও আওয়ামীলীগ ক্যাডারদের গুলিতে নিহত হন তিনি।
এছাড়া, আনিসুলের মামলা সূত্রে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে গত ৫ আগস্ট আন্দোলনে অংশ নেন আব্দুল জব্বার সুমন। এদিন সন্ধ্যায় আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন তিনি। পরে ঢাকা মেডিকেলে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
গত ১৩ আগস্ট নৌপথে পলায়নরত অবস্থায় সালমান এফ রহমান ও আনিসুল হককে সদরঘাট থেকে গ্রেফতার করে পুলিশ। এছাড়াও গত ৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর উত্তরা থেকে পুলিশের সাবেক আইজিপি চৌধুরী আব্দুল্লাহ আল মামুনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। তাদের প্রত্যেককে দফায় দফায় রিমান্ডে নেওয়া হয়েছে।
২৪৩ দিন আগে
অভিনেতা সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড আবেদন, শুনানি দুপুরে
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে রাজধানীর গুলশান থানার ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদারকে হত্যাচেষ্টা মামলায় অভিনেতা সিদ্দিকুর রহমান সিদ্দিকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেছে পুলিশ।
আজ বুধবার (৩০ এপ্রিল) মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা গুলশান থানার উপপরিদর্শক আব্দুস সালাম এ আবেদন করেন।
এ রিমান্ড আবেদনের ওপর দুপুর দুইটার পর ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে শুনানি হওয়ার কথা রয়েছে।
এর আগে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকেলে বেইলি রোড এলাকা দিয়ে যাওয়ার সময় কিছু যুবক সিদ্দিককে আটক করে। পরে তাকে রমনা থানা থেকে গুলশান থানায় হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় গুলশানের শাহজাদপুরে কনফিডেন্স টাওয়ারের সামনে আন্দোলন করছিলেন বৈষম্যবিরোধীরা। এসময় পুলিশ ও আওয়ামীলীগ নেতাকর্মীরা তাদের ওপর গুলি চালান। এতে জব্বার আলী হাওলাদার গুলিবিদ্ধ হন।
এ ঘটনায় সাবেক স্বৈরশাসক শেখ হাসিনাসহ ১০৯ জনের বিরুদ্ধে গুলশান থানায় হত্যা মামলা করেন ভ্যানচালক জব্বার আলী হাওলাদার।
২৪৩ দিন আগে
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধরের পর পুলিশে সোপর্দ
অভিনেতা সিদ্দিককে মারধর করে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে এসে পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিকালে এমন ঘটনা ঘটেছে। এরইমধ্যে সামাজিকমাধ্যম ফেসবুকে সেই ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে।
এতে দেখা গেছে, জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় রাস্তায় হাঁটিয়ে সিদ্দিককে রমনা থানা পুলিশের হাতে সোপর্দ করা হয়েছে। রমনা থানার ডিউটি অফিসার সাব-ইন্সপেক্টর জালাল এমন তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, আজ বিকালে একদল বিক্ষুব্ধ জনতা সিদ্দিককে আমাদের হাতে তুলে দিয়ে যায়। তার জামাকাপড় ছেঁড়া ছিল। তিনি এখন পর্যন্ত আমাদের হেফাজতে আছেন।’
জানা গেছে, ঢাকার কাকরাইল এলাকায় সিদ্দিককে মারধর করে প্রকাশ্যে স্লোগান দিতে দিতে থানার দিকে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে থানার ভেতরে নিয়ে গেলে পুলিশ বাইরে আসে। এরপর পুলিশের হাতে তাকে তুলে দেওয়া হয়।
ভিডিওতে দেখা যায়, জামাকাপড় ছেঁড়া অবস্থায় তাঁকে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাচ্ছেন একদল যুবক। নেওয়ার সময়ও কেউ তাঁর গায়ে হাত তুলছিলেন। আর কান্নাকাটি করছিলেন অভিনেতা সিদ্দিক। এই অভিনয়শিল্পীকে ধরে নিয়ে যাওয়ার সময় আওয়ামী লীগের দোসর বলে তারা স্লোগান দিচ্ছিলেন।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থীকে মারধর ও পুলিশে সোপর্দ, প্রতিবাদে বিভাগের গেটে তালা
ভিডিওতে একজন ধারাবিবরণীতে বলছিলেন, ‘আমরা সিদ্দিককে, আওয়ামী লীগের একজন দালালকে পুলিশে হস্তান্তর করছি।’
সিদ্দিক অভিনয়ের পাশাপাশি আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে একাধিকবার ঢাকার গুলশান ও টাঙ্গাইলের মধুপুর আসন থেকে মনোনয়ন চেয়েছিলেন।
২৪৩ দিন আগে
অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়াসহ ১৭ অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা
রাজধানীর ভাটারা থানায় চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, নুসরাত ফারিয়া, নিপুণ আক্তার, সুবর্ণা মোস্তফা, আশনা হাবিব ভাবনা, জায়েদ খানসহ ১৭ জন অভিনয়শিল্পীর বিরুদ্ধে হত্যাচেষ্টা মামলা দায়ের করা হয়েছে। গেল বছরে বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ভাটারা থানা এলাকায় সংঘটিত একটি ঘটনায় এ মামলা করা হয়।
মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করে ভাটারা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মাজহুরুল ইসলাম।
তিনি বলেন, ‘এনামুল হক নামের এক ব্যক্তি চলতি বছরের মার্চ মাসে ঢাকার মুখ্য মহানগর হাকিম (সিএমএম) আদালতে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা, তার সরকারের সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিসহ প্রায় তিনশত জনের বিরুদ্ধে এ মামলা দায়ের করেন।’
আদালতের নির্দেশে মামলাটি মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ভাটারা থানায় এজাহার হিসেবে গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে বলে ওসি জানিয়েছেন।
মামলার অভিযোগপত্র পর্যালোচনা করে জানা গেছে, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরুদ্ধে অবস্থান নেওয়া এবং ক্ষমতাসীন দলের অর্থ জোগানদাতা হিসেবে কাজ করার অভিযোগে নুসরাত ফারিয়াসহ আরও ১৬ জন শিল্পীকে অভিযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: দুদকের মামলায় তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কারাগারে
আসামিদের তালিকায় আরও রয়েছেন—চিত্রনায়িকা অপু বিশ্বাস, অভিনেত্রী রোকেয়া প্রাচী, মেহের আফরোজ শাওন, সোহানা সাবা, জ্যোতিকা জ্যোতি, নিপুণ আক্তার, সুবর্ণা মোস্তফা, চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক, জায়েদ খান, আজিজুল হাকিমসহ আরও অনেকে।
মামলায় অজ্ঞাতনামা আরও তিন থেকে চারশ’ জনকে আসামি করা হয়েছে।
২৪৩ দিন আগে
পুতুলের গুলশানের ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের গুলশানের ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) অনুসন্ধান কর্মকর্তা দুদকের উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম ফ্ল্যাট জব্দের আবেদন পরিপ্রেক্ষিতে ঢাকা মহানগরের সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন এ আদেশ দেন। দুদকের আবেদনে বলা হয়েছে গুলশানের এ ফ্ল্যাটের দাম ৫৭ লাখ টাকা।
সেখানে বলা হয়, ‘সায়মা ওয়াজেদ পুতুল স্থাবর সম্পদ অন্যত্র হস্তান্তর, স্থানান্তর বা বেহাত করার চেষ্টা করছেন। মামলা নিস্পত্তির আগে এ সম্পদ হস্তান্তর বা স্থানান্তর হয়ে গেলে অনুসন্ধানে ক্ষতির শঙ্কা রয়েছে। সেজন্য ফ্ল্যাট জব্দ করা প্রয়োজন।’
গত ১১ মার্চ সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয় ও মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলের নামে থাকা ধানমন্ডির সুধা সদন বাড়ি জব্দ, একইসঙ্গে শেখ হাসিনার বোন শেখ রেহেনা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিকের নামে থাকা জমিসহ বাড়ি ও আটটি ফ্ল্যাট জব্দের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। এসব সম্পদের বাজার মূল্য ৮ কোটি ৫২ লাখ ৫ হাজার ৩২০ টাকা।
আরও পড়ুন: শেখ হাসিনা, পুতুলসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
পাশাপাশি শেখ হাসিনা ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের ১২৪টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে। এছাড়াও গত ৪ মার্চ পুতুলের নেতৃত্বাধীন সূচনা ফাউন্ডেশনের ১৪টি ব্যাংক হিসাব এবং গত ১৮ মার্চ শেখ হাসিনা, বোন শেখ রেহানা, হাসিনার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়, মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ৩১ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা হয়েছে।
এসব হিসাবে ৩৯৪ কোটি ৬০ লাখ ৭২ হাজার ৮০৫ টাকা রয়েছে।
গত ৯ এপ্রিল শেখ হাসিনা, শেখ রেহানা, সজিব ওয়াজেদ জয়, সায়মা ওয়াজেদ পুতুল এবং তাদের স্বার্থ সংশ্লিষ্টদের নামে থাকা ১৬ কোটি ১২ লাখ ৫০ হাজার টাকাসহ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধের আদেশ দেন একই আদালত।
২৪৩ দিন আগে
চমেক শিক্ষার্থী আবিদ খুনের ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ
প্রায় দুই যুগ আগে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজ (চমেক) ছাত্রাবাসে ছাত্রদলকর্মী সন্দেহে ৫১তম ব্যাচের ব্যাচেলর অব ডেন্টাল সার্জারির (বিডিএস) তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান আবিদ হত্যার মামলায় খালাস পাওয়া ১২ আসামিকে আত্মসমর্পণের নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আসামিরা ছাত্রলীগের তৎকালীন চমেক শাখার নেতাকর্মী।
ওই হত্যা মামলার বাদীর আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) বিচারপতি মো. জাকির হোসেন ও বিচারপতি সৈয়দ জাহেদ মনসুরের হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন। রুলে আসামিদেরকে খালাস দিয়ে বিচারিক আদালতের দেওয়া রায় কেন বাতিল করা হবে না তা জানতে চেয়েছেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী অজি উল্লাহ ও আইনজীবী আজিমুদ্দিন পাটোয়ারি। আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আসামিরা হলেন- তৎকালীন ছাত্রসংসদের ভিপি মফিজুর রহমান জুম্মা, চমেক ছাত্রলীগের সভাপতি সোহেল পারভেজ সুমন, সাধারণ সম্পাদক বিজয় সরকার, সহ-সাধারণ সম্পাদক হিমেল চাকমা, ফেরদৌস রাসেল, শান্ত দেবনাথ, মাহাফুজুর রহমান ধীমান, নাসির উদ্দিন পাটোয়ারী, দেবাশীষ চক্রবর্তী, মোস্তফা কামাল, রাশেদুর রেজা সানি ও সালমান মাহমুদ রাফসান।
ছাত্রদল চমেক শাখার তৎকালীন সাধারণ সম্পাদক ফরহাদ আহমেদ দাবি করেছিলেন, আবিদ তাদের সক্রিয় কর্মী ছিল। আবিদসহ ছাত্রদল কর্মী ফয়সাল, নাজিম ও মাসুমকে পিটিয়ে গুরুতর আহত করে ছাত্রলীগ। পরে আবিদ মারা যায়।
এ ঘটনায় সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা মেডিকেল কলেজ প্রশাসনিক ভবনের সামনে বিক্ষোভ করেন। একাডেমিক কাউন্সিলের সভা শেষে চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ অধ্যাপক ডা. সেলিম মো. জাহাঙ্গীর অনির্দিষ্টকালের জন্য মেডিকেল কলেজ বন্ধ এবং ছাত্রসংসদ কার্যক্রম স্থগিত ও কলেজ ক্যাম্পাসে সব প্রকার রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড নিষিদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন।
আরও পড়ুন: রাখাইনে ‘মানবিক করিডোর’ স্থাপন নিয়ে কোনো আলোচনা এখনও হয়নি: প্রেস সচিব
স্বজনদের অভিযোগ, ছাত্রদলের কমিটি গঠনের চেষ্টা করায় তৎকালীন ছাত্রলীগ নেতারা কয়েক দফা পিটিয়েছিলেন আবিদকে। এরপর তাকে পাঠিয়ে দেওয়া হয় বোনের বাসায়।
দুদিন পর ২০১১ সালের ২১ অক্টোবর রাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান আবিদ। তিনি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলার মধ্যম বড়ইতলী গ্রামের মৃত নুরুল কবির চৌধুরীর ছেলে।
এ ঘটনায় আবিদের মামা নেয়ামত উল্লাহ বাদী হয়ে পাঁচলাইশ থানায় ছাত্রলীগ ও ছাত্রসংসদের ২২ নেতাকর্মীর বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করেছিলেন। ২০১২ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে মামলার তদন্ত শেষে পুলিশ ১২ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেন।
বিচার শেষে ২০১৯ সালের ১০ জুলাই আবিদ হত্যা মামলার রায়ে অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতের বিচারক জান্নাতুল ফেরদৌস চৌধুরী সব আসামিকে খালাস দেন।
২৪৩ দিন আগে
ফেনীতে মাদক কারবারিদের হামলায় গোয়েন্দা পুলিশের ৫ সদস্য আহত, আটক ৩
ফেনীতে এক মাদক কারবারিকে গ্রেপ্তারের অভিযানে গিয়ে হামলার শিকার হয়ে জেলা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) পাঁচ সদস্য আহত হয়েছেন। এ ঘটনায় তিনজনকে আটক করা হয়েছে।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) রাতে ফেনীর ছাগলনাইয়া উপজেলার মহামায়া ইউনিয়নের জয়নগর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
আটক তিনজন হলেন— জয়নগরের শফি উল্যাহর ছেলে জয়নাল আবদীন সিফাত (২০), তার মেয়ে রুজিনা আক্তার (৩২) ও রহিম উল্যাহর স্ত্রী রূপধন (৪৮)।
আহতরা হলেন— জেলা গোয়েন্দা পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) তানভীর মেহেদী, সহকারী উপ-পরিদর্শক (এএসআই) খোকন হোসেন, রিংকু বড়ুয়া, কনস্টেবল মুজিবুর রহমান ও জাহাঙ্গীর।
আরও পড়ুন: ব্রহ্মপুত্র নদে মাছ ধরতে নেমে নিখোঁজ যুবকের লাশ উদ্ধার
পুলিশ জানায়, জয়নগর গ্রামের মাদক কারবারি আলমগীর ওরফে সোর্স আলমগীরকে গ্রেপ্তারের উদ্দেশ্যে পুলিশের একটি টিম অভিযানে যায়। অভিযানে আলমগীরকে আটক করলে তাৎক্ষণিক সেখানকার ৪০-৫০ জন নারী-পুরুষ জড়ো হয়ে পুলিশ সদস্যদের ওপর হামলা করেন। একপর্যায়ে তারা আলমগীরকে পালিয়ে যেতে সহযোগিতা করেন।
খবর পেয়ে ছাগলনাইয়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নজরুল ইসলামসহ ঘটনাস্থলে গিয়ে আহত পুলিশ সদস্যদের উদ্ধার করে ছাগলনাইয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে আসেন। তাদের প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ফেনী জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা জানান, হামলার ঘটনায় জড়িত তিনজনকে আটক করা হয়েছে। এ বিষয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের প্রক্রিয়া চলছে।
২৪৩ দিন আগে