আইনশৃঙ্খলা
দুদকের মামলায় তারেক রহমানের খালাতো ভাই তুহিন কারাগারে
দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) দায়ের করা অবৈধ সম্পদ অর্জন ও কর ফাঁকির পৃথক দুই মামলায় শাহরিন ইসলাম চৌধুরী তুহিনের জামিন আবেদন খারিজ করে তাকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন ঢাকার আদালত। তিনি বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের খালাতো ভাই।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকার পৃথক দুই বিশেষ জজ আদালতে এই আদেশ দেওয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন আসামিপক্ষের আইনজীবী আব্দুস সালাম হিমেল।
এর আগে আজ (মঙ্গলবার) আইনজীবী সৈয়দ জয়নুল আবেদীন মেজবাহর মাধ্যমে আত্মসমর্পণ করেন তুহিন।
প্রথমে কর ফাঁকি মামলায় জামিন শুনানি শেষে ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক কবির উদ্দিন প্রামাণিক তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
পরে অবৈধ সম্পদ অর্জনের মামলায় ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৭ এর বিচারক প্রদীপ কুমার রায়ও তার জামিন আবেদন খারিজ করে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
আদালত সূত্রে জানা যায়, কর ফাঁকি ও অবৈধ সম্পদ অর্জনের অভিযোগে ২০০৭ সালে তার বিরুদ্ধে গুলশান থানায় পৃথক দুটি মামলা দায়ের করে দুদক।
আরও পড়ুন: শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৬ আইনজীবী কারাগারে, ডিম নিক্ষেপ
পরে ২০০৮ সালে কর ফাঁকির মামলায় পৃথক দুটি ধারায় তিন বছর ও পাঁচ বছরসহ মোট আট বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছিলেন আদালত। দুই ধারার সাজা একত্রে চলবে বিধায় তাকে সর্বোচ্চ পাঁচ বছরের সাজা ভোগ করতে হবে বলে বিচারক রায়ে উল্লেখ করা ছিল।
এছাড়া ওই বছরেই অবৈধ সম্পদের মামলায় তাকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
রায় ঘোষণার দীর্ঘ ১৭ বছর পর তিনি আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করলেন।
২৪৩ দিন আগে
নওগাঁয় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণ মামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
নওগাঁর পোরশা উপজেলায় বিয়ের প্রলোভনে এক স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের মামলায় দুইজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে এক লাখ টাকা করে জরিমানা, অনাদায়ে ছয় মাসের বিনাশ্রম ও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুর ১২টার দিকে নওগাঁর নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-২ এর বিচারক মো. মেহেদী হাসান তালুকদার এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন—পোরশা উপজেলার সুরানন্দ গ্রামের নাজিম উদ্দিনের ছেলে সাকিল (২৪) ও আলাদিপুর গ্রামের রবুর ছেলে আব্দুল আলীম (৩০)। রায়ের সময় আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আদালত সূত্রে জানা গেছে, ২০২১ সালের ৮ মার্চ রাতে ১৪ বছরের স্কুল ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে সুরানন্দ গ্রামের হাবিবুল্লাহ শাহের আম বাগানের দোচালা ঘরে নিয়ে যান সাকিল। সেখানে সাকিল ও আব্দুল আলীম ওই ছাত্রীকে জোর পূর্বক ধর্ষণ করেন।
আরও পড়ুন: মসজিদে শিশু বলাৎকার, যুবকের যাবজ্জীবন
পরে ওই ছাত্রী নিজেই থানায় অভিযোগ করেন। অভিযোগের তদন্ত শেষে ঘটনার সত্যতা পেয়ে আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করে পুলিশ।
আজ (মঙ্গলবার) শুনানি শেষে ১০ জন সাক্ষীর বক্তব্যের ভিত্তিতে আদালত তাদের যাবজ্জীবন দেন। জরিমানার টাকা ধর্ষণ শিকার স্কুলছাত্রীকে দেওয়ার নির্দেশ দেন বিচারক।
রায়ে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী সন্তোষ প্রকাশ করলেও আসামি পক্ষে আইনজীবী আনোয়ার হোসেন ক্ষোভ প্রকাশ করে উচ্চ আদালতে আপিল করবেন বলে জানান।
২৪৩ দিন আগে
মাদরাসা ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে হুজুর গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় এক মাদরাসা ছাত্রকে যৌন নিপীড়নের অভিযোগে মাদরাসার হুজুরকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) দুপুরে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ।
অভিযুক্ত হুজুরের নাম শেখ সাদী (২২)। সোমবার (২৮ এপ্রিল) দিবাগত রাত ৩ টার দিকে রাজবাড়ীর পাংশা উপজেলার কালীতলা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তিনি ওই এলাকার বদর আলীর ছেলে।
পুলিশ জানায়, গত রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরের দিকে কুমারখালীর নন্দলালপুর ইউনিয়নের পুরাতন চড়াইকোল দারুল উলুম মাদরাসা ও এতিমখানার হুজুর শেখ সাদী তার ১২ বছর বয়সী এক হেবজ ছাত্রকে নিজকক্ষে ডেকে নেন।
পরে ওই ছাত্রকে তিনি যৌন নিপীড়ন করেন। এরপর ওই ছাত্র বাড়ি গিয়ে বিষয়টি তার মাকে বলে।
এ ঘটনায় গত সোমবার দিবাগত রাত ১২টার পরে ওই ছাত্রের মা বাদী হয়ে হুজুরের নামে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা করেন।
ওইদিন রাতেই হুজুরকে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার দুপুরে আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: দুর্নীতি: শেখ রেহানার স্বামীসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
মাদরাসায় দিয়েও সন্তানের নিরাপত্তা নেই বলে অভিযোগ জানিয়ে ওই ছাত্রের মা বলেন, ‘কোথায় পড়াব তাহলে? কিভাবে মানুষ হবে সন্তান? আর যেন কোনো সন্তানের সঙ্গে খারাপ কাজ না ঘটে। সেজন্য থানায় মামলা করেছি। উপযুক্ত বিচার চাই হুজুরের।’
কুমারখালী থানার উপপরিদর্শক (এসআই) ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিল্লাল হোসাইন বলেন, ‘মাদরাসা ছাত্রকে যৌণ নিপীড়ন মামলায় শেখ সাদী নামের এক হুজুরকে রাতে গ্রেপ্তার করে মঙ্গলবার আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।‘
২৪৩ দিন আগে
দুর্নীতি: শেখ রেহানার স্বামীসহ ৮ জনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
রূপপুরের পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রে দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছোট বোন শেখ রেহানার স্বামীসহ তাদের মালিকানাধীন প্রচ্ছায়া লিমিটেডের ৮ পরিচালকের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (২৯ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর দায়রা জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের প্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
নিষেধাজ্ঞা প্রাপ্তরা হলেন—শেখ রেহানার স্বামী শফিক আহমেদ সিদ্দিক, শেখ হাসিনার প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা ও শেখ রেহানার দেবর তারিক সিদ্দিকের স্ত্রী শাহিন সিদ্দিক, মেয়ে বুশরা সিদ্দিক ও নওরিন তাসমিয়া সিদ্দিক, সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত লেফটেন্যান্ট কর্নেল শহীদ উদ্দিন খান, তার স্ত্রী ফারজানা আনজুম, তাদের দুই মেয়ে শেহতাজ মুন্নাসী খান এবং পারিজা পাইনাজ খান।
দুদকের পক্ষে উপপরিচালক মনিরুল ইসলাম দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞার এ আবেদন করেছেন বলে জানিয়েছেন দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম।
আবেদনে বলা হয়েছে, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছেলে সজিব আহমেদ ওয়াজেদ (জয়), তার ছোট বোন শেখ রেহানা ও তার মেয়ে টিউলিপ সিদ্দিকীসহ অন্যান্যদের বিরুদ্ধে রূপপুর পারমানবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মাণের নামে প্রায় ৫৯ হাজার কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে। এ সংক্রান্ত অভিযোগ অনুসন্ধান করে প্রতিবেদন জমা দেওয়ার জন্য সাত সদস্য বিশিষ্ট অনুসন্ধান টিম গঠন করা হয়েছে।
অনুসন্ধানে প্রচ্ছায়া লিমিটেড নামক প্রতিষ্ঠানটির শেয়ারহোল্ডারগণ সপরিবারে গোপনে দেশ ত্যাগ করার চেষ্টা করছেন বলে বিশ্বস্তসূত্রে তথ্য পাওয়ার কথা জানায় দুদক।
আরও পড়ুন: পাপনের দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা
তাদের ভাষ্যে, অভিযুক্তরা দেশত্যাগ করে বিদেশে পালিয়ে গেলে অভিযোগ সংশ্লিষ্ট গুরুত্বপূর্ণ রেকর্ডপত্র পাওয়ার ক্ষেত্রে ব্যাঘাত সৃষ্টি হবে। তাছাড়া, সার্বিক অনুসন্ধানকাজে বিঘ্ন সৃষ্টিসহ সমূহ ক্ষতির কারণ থাকায় অভিযোগ সংশ্লিষ্টদের বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের সুষ্ঠু অনুসন্ধানের জন্য বিদেশ যাত্রায় নিষেধাজ্ঞা চায় দুদক।
২০০৯ সালে টিউলিপ সিদ্দিক, তার মা শেখ রেহানা ও তারিক আহমেদ সিদ্দিক প্রচ্ছায়া কোম্পানিটি চালু করেছিলেন বলে জানায় দুদক।
সম্প্রতি গ্লোবাল ডিফেন্স কর্প নামক একটি সংবাদ মাধ্যমের প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, এই কোম্পানির মাধ্যমেই বিভিন্ন দেশের অফশোর অ্যাকাউন্টে অর্থপাচার করতেন শেখ হাসিনা।
২৪৩ দিন আগে
সাবেক এমপি কাজী কেরামতের ২ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের অভিযোগে রাজবাড়ী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য কাজী কেরামত আলীকে দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
একইসঙ্গে একই ধরনের অভিযোগে আরেকটি মামলায় তাকে শোন অ্যারেস্ট দেখানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) দুপুরে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতের জুডিসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট মো. তামজিদ আহমেদ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
রাজবাড়ী কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক (সদর কোর্ট) মো. জসীম উদ্দিন বলেন, ‘২০২৪ সালের ৩০ আগস্ট রাজবাড়ী সদর থানায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের শিক্ষার্থী রাজবাড়ী সরকারি কলেজের ছাত্র রাজিব মোল্লা বাদী হয়ে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় মামলা দায়ের করেন। ওই মামলায় সাবেক সংসদ সদস্য, সাবেক প্রতিমন্ত্রী কাজী কেরামত আলীসহ ১৭০ জনকে আসামি করা হয়। একইসঙ্গে অজ্ঞাত আরও ৩০০ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: শাজাহান-পলক-আতিকসহ ৬ জনের রিমান্ড মঞ্জুর
এই মামলার দুই নম্বর আসামি হিসেবে কাজী কেরামত আলীকে গত ৬ এপ্রিল ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) রাজধানীর মহাখালী এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে। পরদিন ৭ এপ্রিল দুপুরে তাকে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতে তোলা হয়। এ সময় আসামি পক্ষের আইনজীবীরা তার জামিনের আবেদন জানান। আদালতের বিচারক মো. তামজিদ আহমেদ জামিন না মঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন। এরপর থেকে তিনি জেলা কারাগারে রয়েছেন।
রাজবাড়ী সদর থানায় দায়ের করা ওই মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মিকাইল হোসেন।
মিকাইল বলেন, ‘ওই মামলায় রিমান্ড শুনানির জন্য পূর্ব নির্ধারিত তারিখ আজ ২৮ এপ্রিল নির্ধারণ করা ছিল। দুপুর পৌনে ১২টার দিকে কাজী কেরামত আলীকে রাজবাড়ী সদর আমলী আদালতে তোলার পর সাতদিনের রিমান্ডের আবেদন জানানো হয়। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন। পরে দুপুর সোয়া ১২টার দিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য রাজবাড়ী পুলিশ সুপারের গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
২০২৪ সালের ২ সেপ্টেম্বর ছাত্র আন্দোলনে হামলা ও গুলিবর্ষণের ঘটনায় রাজবাড়ী সদর থানায় শিক্ষার্থী জিসান খানের মামলায় কাজী কেরামত আলীকে গ্রেপ্তার দেখানোর জন্য আদালতে আবেদন করেন মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সদর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এনায়েত শিকদার। শুনানি শেষে আদালত কাজী কেরামকে গ্রেপ্তার দেখানোর আবেদন মঞ্জুর করেন।
২৪৪ দিন আগে
জামিন পেলেন মডেল মেঘনা আলম
রাজধানীর ধানমন্ডি থানায় প্রতারণা ও চাঁদাবাজির অভিযোগে করা মামলায় মডেল মেঘনা আলমকে জামিন দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকার অতিরিক্ত মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. ছানাউল্ল্যাহ শুনানি শেষে এই আদেশ দেন।
গত ১৭ এপ্রিল গ্রেপ্তার দেখিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়।
মেঘনার পক্ষে আইনজীবী মহসিন রেজা, আইনজীবী মহিমা বাঁধন ও ব্যারিস্টার সাদমান সাকিব তার জামিন চেয়ে করা আবেদনের উপর শুনানি করেন।
মামলায় এজাহারে বলা হয়, মেঘনা আলম, দেওয়ান সমিরসহ অজ্ঞাতপরিচয় ২ থেকে ৩ জন একটি সংঘবদ্ধ প্রতারকচক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা বিভিন্ন সুন্দরী মেয়েদের দিয়ে বাংলাদেশে কর্মরত বিভিন্ন বিদেশি রাষ্ট্রের কূটনীতিক বা প্রতিনিধি ও দেশীয় ধনাঢ্য ব্যবসায়ীদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে অবৈধ সম্পর্ক স্থাপন করিয়ে কৌশলে বিভিন্ন পন্থায় তাদের সম্মানহানির ভয় দেখিয়ে অর্থ আদায় করে আসছেন।
আরও পড়ুন: প্রতারণার মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো মেঘনা আলমকে
দেওয়ান সমির কাওয়াই গ্রুপের নামের একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানের সিইও ও সানজানা ইন্টারন্যাশনাল নামক একটি ম্যানপাওয়ার প্রতিষ্ঠানের মালিক বলে জানা যায়।
প্রসঙ্গত, মেঘনাকে আটকের পর গত ১০ এপ্রিল বিশেষ ক্ষমতা আইনে ৩০ দিনের আটকাদেশ দিয়ে কারাগারে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে তাকে ধানমন্ডি থানার এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়।
২৪৪ দিন আগে
বন বিভাগের ৩ কর্মকর্তা-স্ত্রীর ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ
দুর্নীতি দমন কমিশনের তদন্ত চলমান থাকায় বাগেরহাটের তিন বন কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীদের ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করার আদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২৮ এপ্রিল) ঢাকা মহানগর জ্যেষ্ঠ বিশেষ জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
দুদকের পক্ষে উপসহকারী পরিচালক কাজী হাফিজুর রহমান কর্মকর্তা ও তাদের স্ত্রীদের অ্যাকাউন্ট অবরুদ্ধের আবেদন করেন। দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।
বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা রানী মন্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী মিসেস আকলিমা আহমেদ, আরেক কর্মকর্তা হরিদাস মধু এবং তার স্ত্রী দুলালী মধুর নামে থাকা পাঁচটি ব্যাংক হিসাব ও ১৩টি সঞ্চয় পত্র অবরুদ্ধের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ২ কোটি ৭৯ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা রয়েছে।
আরও পড়ুন: ৫ আগস্ট সংসদে থাকার দাবি পলকের, শাজাহানের বক্তব্যে আদালতে হট্টগোল
জানা যায়, চিন্ময় মধু ও তার স্ত্রী লোপা রানী মন্ডলের নামে থাকা ৫টি ব্যাংক হিসাবে আছে। এসব হিসাবে ১ কোটি ৩৪ লাখ ৯১ হাজার ৬৩২ টাকা জমা রয়েছে। জিএম রফিকের নামে আছে ছয়টি সঞ্চয়পত্র। তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদের নামে আছে তিনটি, দুলালী মধুর নামে আছে দুইটি, হরিদাস মধু ও লোপা রানীর নামে একটি সঞ্চয়পত্র রয়েছে। এসব সঞ্চয়পত্রে ১ কোটি ৪৫ লাখ টাকা রয়েছে।
দুদকের অবরুদ্ধের আবেদনে বলা হয়েছে, অভিযোগ অনুসন্ধানকালে প্রাপ্ত অন্য রেকর্ডপত্র পর্যালোচনায় দেখা যায়, অভিযোগ সংশ্লিষ্ট বাগেরহাট জেলার ষাট গম্বুজ বন বিভাগের এসএফএনটিসি ফরেস্টার চিন্ময় মধু, তার স্ত্রী লোপা রানী মন্ডল, বাগেরহাট বন বিভাগের জি এম রফিক আহমেদ ও তার স্ত্রী আকলিমা আহমেদ, হরিদাস মানু এবং দুলালী মধুর নামের পাঁচটি ব্যাংক হিসাবে অস্বাভাবিক লেনদেন এবং ৩৫ জনের নামে মোট ১৩টি সঞ্চয়পত্র ক্রয় করা হয়েছে। তারা ওই অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেলতে পারেন মর্মে আশঙ্কা রয়েছে। তাই ওই অর্থ অন্যত্র সরিয়ে ফেললে ভবিষ্যতে তা রাষ্ট্রের অনূকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এ কারণে তাদের হিসাবগুলো জরুরি ভিত্তিতে অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
২৪৪ দিন আগে
মালয়েশিয়া যেতে না পারা শ্রমিকদের টাকা ফেরতের অগ্রগতি জানাতে নির্দেশ
সব প্রক্রিয়া সম্পন্ন হওয়ার পরও মালোয়েশিয়া যেতে না পারা ১৭ হাজার ৭৭৭ জন শ্রমিকের টাকা ফেরত দেওয়া এবং তাদের মালোয়েশিয়ায় যাওয়ার বিষয়ে অগ্রগতি জানাতে প্রবাসী কল্যাণ মন্ত্রণালয়কে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
আগামী ২৭ আগস্টের মধ্যে মন্ত্রণালয়ে এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করে অগ্রগতি প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি ফাহমিদা কাদের ও বিচারপতি মুবিনা আসাফ সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এই আদেশ দেন। এর আগে মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে হাইকোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী এ সংক্রান্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়। প্রতিবেদনে ১৭ হাজার ৭৭৭ জনের মালোয়েশিয়ায় যেতে না পারার দায় রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বলে উল্লেখ করা হয়। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী তানভীর আহমেদ।
আরও পড়ুন: মডেল মেঘনার আটকাদেশ কেন অবৈধ নয়: হাইকোর্টের রুল
দীর্ঘদিন বন্ধ থাকার পর ২০২২ সালের আগস্টে মালয়েশিয়ার শ্রমবাজার আবার খুলে দেওয়া হয়। ২০২৪ সালের ৩১ মে পর্যন্ত ১০১টি রিক্রুটিং এজেন্সির মাধ্যমে প্রায় পৌনে পাঁচ লাখ কর্মী মালয়েশিয়ায় পাড়ি দেন।
তবে টিকিট সংক্রান্ত সমস্যার কারণে প্রায় সাড়ে ১৭ হাজার শ্রমিক আটকা পড়েন। এর মধ্যে একাংশ উড়োজাহাজের টিকিট সংগ্রহ করতে পারেননি এবং অন্য অংশ মালয়েশিয়া থেকে নিয়োগকর্তার চূড়ান্ত সম্মতি পাননি। নিয়োগকর্তারা বিমানবন্দর থেকে তাদের গ্রহণ করার নিশ্চয়তা পাঠায়নি। কর্মীদের মালয়েশিয়ায় যাওয়ার শেষ সময় ছিল ৩১ মে।
পরে জনস্বার্থে বিষয়টি সুষ্ঠু তদন্ত ও মালয়েশিয়া যেতে না পারা কর্মীদের টাকা ফেরতের দাবিতে হাইকোর্টে একটি রিট দায়ের করা হয়। ওই রিটের শুনানি নিয়ে গত বছরের ২৪ জুন হাইকোর্ট মালয়েশিয়া শ্রমিক পাঠানোর ঘটনায় ভুক্তভোগী কর্মীদের জীবন ধ্বংসের জন্য কর্তৃপক্ষের নিষ্ক্রিয়তা ও খামখেয়ালিপনাকে কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না এবং ১৭ হাজার ৭৭৭ জন শ্রমিকের কাছ থেকে নেওয়া অর্থ সুদসহ ফেরত দিতে কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না—তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেন।
পাশাপাশি, হাইকোর্ট কর্তৃপক্ষকে প্রতি তিন মাস অন্তর এ ঘটনার অগ্রগতি প্রতিবেদন দাখিলের নির্দেশ দেন।
ওই আদেশের ধারাবাহিকতায় হাইকোর্টে মন্ত্রণালয়ের একটি প্রতিবেদন দাখিল করে রাষ্ট্রপক্ষ। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়ায় যেতে না পারা কর্মীদের কাছ থেকে নেওয়া সমুদয় অর্থ ফেরত প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
এছাড়া, কর্মী প্রেরণে ব্যর্থতা এবং দায়িত্বে অবহেলার জন্য সংশ্লিষ্ট রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের সিদ্ধান্ত হয়েছে। রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর বিরুদ্ধে মন্ত্রণালয় নির্ধারিত সর্বোচ্চ অভিবাসন ব্যয় ৭৮ হাজার ৯৯০ টাকার অতিরিক্ত অর্থ গ্রহণের অভিযোগের আইনানুগ নিষ্পত্তির উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে।
ভবিষ্যতে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে নির্ধারিত সময়সীমার সঙ্গে সঙ্গতি রেখে চাহিদাপত্র ও ভিসা ইস্যুর তারিখ নির্ধারণ করার সিদ্ধান্তও হয়েছে।
প্রতিবেদনে কিছু সুপারিশও করা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, মালয়েশিয়াসহ বিভিন্ন দেশে কর্মী পাঠানোর ক্ষেত্রে একটি কেন্দ্রীয় ব্যবস্থাপনা পদ্ধতি চালু করা প্রয়োজন, যাতে চাহিদাপত্র ইস্যু থেকে শুরু করে কর্মী বিদেশগমন ও পরবর্তী পরিস্থিতি পর্যন্ত তদারকি করা যায়।
আরও পড়ুন: যায়যায়দিন ডিক্লারেশন অবৈধ কেন নয় জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
এই ব্যবস্থাপনায় ইমিগ্রেশন কর্তৃপক্ষ, বিদেশস্থ বাংলাদেশ দূতাবাসসমূহ এবং রিক্রুটিং এজেন্সিগুলো সংযুক্ত থাকবে। মন্ত্রণালয় থেকে নিয়োগানুমতি গ্রহণের পর বিএমইটি’র ক্লিয়ারেন্স কার্ড গ্রহণ এবং কর্মী প্রেরণ নির্দিষ্ট করার সুপারিশও করা হয়েছে।
রিক্রুটিং এজেন্সিগুলোর অভিবাসী কর্মীদের কাছ থেকে ব্যয় গ্রহণের ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে বলা হয়েছে। এছাড়া ই-ভিসাপ্রাপ্ত কিন্তু মালয়েশিয়ায় প্রবেশ করতে ব্যর্থ কর্মীদের বিষয়ে মালয়েশিয়াস্থ বাংলাদেশ হাইকমিশনের মাধ্যমে সে দেশের সরকারের সঙ্গে কূটনৈতিক যোগাযোগ অব্যাহত রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
২৪৫ দিন আগে
নারীকে ধর্ষণে ব্যর্থ হয়ে দুই সন্তানকে হত্যা, আসামির মৃত্যুদণ্ড
বরগুনায় এক নারীকে ধর্ষণের চেষ্টাকালে দুই শিশুসন্তান বাধা দেওয়ায় তাদের হত্যা মামলায় ইলিয়াস পহলান নামে এক আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।
রবিবার (২৭ এপ্রিল) দুপুরে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক বেগম লায়লাতুল ফেরদৌস এ আদেশ দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামি কাঠগড়ায় উপস্থিত ছিলেন।
মো. ইলিয়াস পহলান (৩৪) বরগুনা সদর উপজেলার পূর্ব কেওড়াবুনিয়া গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে।
মামলা পরিচালনায় রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী ছিলেন রঞ্জু আরা শিপু, আসামি পক্ষের আইনজীবী ছিলেন আহসান হাবীব স্বপন। আইনজীবী রঞ্জু আরা শিপু বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
মামলা সূত্রে জানা যায়, ২০২৩ সালের ৪ আগস্ট রাতে বরগুনা সদর উপজেলার ওই নারী তার মেয়ে তাইফা (৩) ও ছেলে হাফিজুলকে (১০) নিয়ে ঘরে ঘুমিয়ে ছিলেন। এ সময় ইলিয়াস তাকে ধর্ষণের উদ্দেশ্যে ঘরে ঢুকে পড়েন। বিষয়টি টের পেয়ে বাধা দেন ওই নারী। এ সময় তাইফা ও হাফিজুলের ঘুম ভেঙে গেলে ইলিয়াস ধারালো অস্ত্র দিয়ে তিনজনকেই কুপিয়ে আহত করেন। এতে ঘটনাস্থলেই মারা যায় হাফিজুল নিহত হয়, আর বরিশালে নেওয়ার পথে মারা যায় শিশু তাইফা।
তবে গুরুতর আহত ওই নারী দীর্ঘ চিকিৎসার পর প্রাণে বেঁচে যান। ঘটনার পরই ইলিয়াসকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে মামলা হয়।
আরও পড়ুন: মসজিদে শিশু বলাৎকার, যুবকের যাবজ্জীবন
তদন্ত শেষে পুলিশ আদালতে আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করলে বরগুনা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাব্যুনাল সাক্ষীদের সাক্ষ্যগ্রহণ ও জেরা শেষে ইলয়াস পহলানের বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় আদালত দোষী তাকে সাব্যস্ত করে ফাঁসির আদেশ দেন। একই সঙ্গে দুই লাখ টাকা জরিমানার আদেশ দেন আদালত।
এ ছাড়াও ভুক্তভোগীকে ধর্ষণের চেষ্টা ও কুপিয়ে আহত করার অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ১০ বছর করে আরও ২০ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়।
২৪৫ দিন আগে
মসজিদে শিশু বলাৎকার, যুবকের যাবজ্জীবন
চুয়াডাঙ্গায় একটি মসজিদে শিশু বলৎকারের ঘটনায় এক যুবককে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একই সঙ্গে তাকে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাও করা হয়েছে।
আসামির উপস্থিতিতে রবিবার (২৭ এপ্রিল) চুয়াডাঙ্গা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম এই রায় দেন। পরে তাকে হাজতে পাঠানো হয়।
যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত নাজমুল ইসলাম (২২) চুয়াডাঙ্গার জীবননগর উপজেলার হাসাদহ গ্রামের ঘুষিপাড়া মহল্লার বাসিন্দা।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ৯ বছর বয়সী ওই শিশুটি হাসাদহ ঘুষিপাড়া জামে মসজিদের মুয়াজ্জিন ও ইসলামিক ফাউন্ডেশনের ধর্মীয় শিক্ষক নাজমুল ইসলামের কাছে আরবি শিক্ষা গ্রহণ করত। ২০২৩ সালের ১৫ মে মসজিদের ভেতরে কোমল পানীয় ‘সেভেন আপ’ খাওয়ানোর প্রলোভন দেখিয়ে শিশুটিকে বলাৎকার করেন নাজমুল। এরপর শিশুটি বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লে ঘটনাটি তার মাকে জানায়। পরে চিকিৎসার জন্য তাকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এ ঘটনায় শিশুটির মা শিরিনা খাতুন বাদী হয়ে ২০২৩ সালের ১৭ মে জীবননগর থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(১) ধারায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: হত্যা মামলায় ১৭ বছর পর দুই জনের যাবজ্জীবন
একই বছরের ৩০ জুন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা জীবননগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) শাহ্ আলী মিয়া নাজমুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
মামলায় ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ শেষে বিচারক সৈয়দ হাবিবুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতে আজ (রবিবার) রায় ঘোষণা করেন। রায়ে নাজমুলকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
২৪৫ দিন আগে