আইনশৃঙ্খলা
পদ্মাপাড়ে অবৈধ ব্যাটারি রিসাইকেলিং কারখানাকে লাখ টাকা জরিমানা
নির্জন পদ্মা নদীর পাড় লাল কাপড় দিয়ে ঘেরা। তার ভেতরে উন্মুক্তভাবে ভাঙা হচ্ছে শত শত পুরাতন ব্যাটারি। বের করা হচ্ছে সিসা। যা পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।
খবর পেয়ে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। এ সময় অবৈধভাবে ব্যাটারি রিসাইকেলিং কারখানা পরিচালনার অপরাধে দুজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন—গাইবান্ধার কিংকরপুর এলাকার আব্দুর রশিদের ছেলে আবু সাঈদ (২৩) ও মানিকগঞ্জের বাঠইমুড়ি এলাকার জিন্নাত আলীর ছেলে রবিন মিয়া (২৫)।
তারা স্থানীয় প্রভাবশালীদের সহযোগীতায় প্রায় সাতদিন ধরে পদ্মানদীর পাড়ে অবৈধভাবে এ কারখানা চালাচ্ছিলেন বলে জানিয়েছেন এলাকাবাসী।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) বিকালে কুমারখালীর শিলাইদহ ইউনিয়নের মাজগ্রাম পদ্মাপাড়ে অভিযান চালিয়েছে উপজেলা প্রশাসন। পরিবেশ সংরক্ষণ আইনে আদালত পরিচালনা করেন উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার। আদালত পরিচালনায় সহযোগীতা করেন জেলা পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সিনিয়র কেমিস্ট) হাবিবুল বাসার ও থানা পুলিশ।
আরও পড়ুন: বিয়ানীবাজারে ছাত্রলীগ নেতা ফাহিমকে পুলিশে দিল ছাত্র-জনতা
উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) বিজয় কুমার জোয়ার্দার বলেন, ‘অবৈধভাবে ব্যাটারি রিসাইকেলিং কারখানা পরিচালনা করার অপরাধে দুজনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়েছে।’ জনস্বার্থে এমন অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও জানান তিনি।
কুষ্টিয়া পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক (সিনিয়র কেমিস্ট) হাবিবুল বাসার বলেন, ‘ব্যাটারির ভেতরে সালফিউরিক এসিড থাকে। উন্মুক্তভাবে ব্যাটারি ভেঙে সিসা বের করায় বাতাসে সিসা ও লেটের পরিমাণ বেড়ে যায়। যা পরিবেশ ও মাটির জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর।’
২৪৮ দিন আগে
রাজধানীতে আ.লীগের আরও ১১ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণকারী নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও ১১ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
বৃহস্পতিবার (২৪ এপ্রিল) এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান। গ্রেফতার আসামিরা হলেন— বংশাল থানা ৩৩ নং ওয়ার্ড আওয়ামী যুবলীগের সহ-সভাপতি আসাদুল্লাহ শিপলু (৪৫), ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি শাকিল আহমেদ (৫৬), ৮ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সদস্য মো. হাবিবুর রহমান হাবিব (৪৫), ঢাকা মহানগর উত্তর ছাত্রলীগের সহ-সম্পাদক আসলাম চৌধুরী ইমন (২৪), যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগ নেতা ও অর্থ সরবরাহকারী মোবাশ্বের রহমান (৫৫), ঝালকাঠি জেলার নলছিটি থানার কুশঙ্গল ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. রুহুল আমীন (৫৪), সাবেক মেয়র ও কোটালীপাড়া উপজেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক মো. কামাল হোসেন শেখ (৬২), উত্তরা পশ্চিম থানা শ্রমিক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. বাবুল (৫৫), বাংলাদেশ স্থল বন্দর শ্রমিক লীগের সম্পাদক ও সুনামগঞ্জ জেলার তাহেরপুর থানার বালিজুড়ি ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. আজাদ হোসেন (৫২), শেরেবাংলা নগর থানার ৯৯ নং ওয়ার্ড যুবলীগের দপ্তর সম্পাদক মো. রেজাউল করিম (রানা) ও মিরপুর থানা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. শাহজালাল (৪৫)।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ৯ টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ী এলাকা থেকে মোবাশ্বের রহমানকে, সাড়ে বারোটার দিকে ভাষানটেক এলাকা থেকে কামাল হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এছাড়া বংশাল এলাকা থেকে আসাদুল্লাহ শিপলুকে এবং মতিঝিল এলাকা থেকে শাকিল আহমেদ নামেরও আরও দুজন গ্রেপ্তার হন।
একইদিন রাত ১টার দিকে শান্তিনগর এলাকা থেকে আজাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, রাত ১২ টার দিকে উত্তরা-১৪ নং সেক্টর হতে বাবুলকে এবং রাত ২ টার দিকে মোহাম্মদপুর থানাধীন চন্দ্রিমা মডেল টাউন এলাকা থেকে শাহজালালকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চানখারপুল গণহত্যা: সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন
অন্যদিকে একই দিন রাত পৌনে ২ টার দিকে শেওড়াপাড়া এলাকা থেকে রেজাউল করিমকে গ্রেফতার করে ডিবি-মিরপুর বিভাগের একটি টিম।
বুধবার সন্ধ্যা ৬টার দিকে রুহুল আমীনকে লালবাগ এলাকা থেকে ও রাত সাড়ে এগারোটার দিকে হাবিবুর রহমান হাবিবকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। একই সময় বাড্ডা এলাকা আসলাম চৌধুরী ইমনকে গ্রেফতার হয়েছেন।
তালেবুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃত আসামিরা রাজধানীর বিভিন্ন থানায় রুজুকৃত মামলার এজাহারনামায় থাকা আসামি। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা নানাভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।’
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
২৪৯ দিন আগে
সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা
সরকারি নির্দেশ অমান্য করে থানায় অস্ত্র জমা না দেওয়ায় সাবেক টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি (আইসিটি) প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলকের বিরুদ্ধে অস্ত্র আইনে মামলা দায়ের করেছে নাটোরের সিংড়া থানা পুলিশ।
বুধবার (২৩ এপ্রিল)পলকের নিজ এলাকা সিংড়া থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ বাদি হয়ে মামলাটি করেছেন।
মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, গত বছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত প্রদান করা সকল আগ্নেয়াস্ত্রের লাইসেন্স স্থগিত করে ৩ সেপ্টেম্বরের মধ্যে অস্ত্রগুলো সংশ্লিষ্ট থানায় জমা দেয়া নির্দেশ দেয় অন্তর্বর্তী সরকার।
আরও পড়ুন: ৫ আগস্ট সংসদে থাকার দাবি পলকের, শাজাহানের বক্তব্যে আদালতে হট্টগোল
কিন্তু সরকারের বেঁধে দেয়া সময় পার হলেও পলকের হেফাজতে থাকা একটি পিস্তল ও একটি শর্টগান থানায় জমা দেওয়া হয়নি। একারণে ১৮৭৮ সারের অস্ত্র আইনে মামলাটি দায়ের করা হয়েছে।
মামলাটি নথিভুক্ত করে তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন সিংড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসমাউল হক।এদিকে, একাধিক মামলায় গ্রেপ্তার হয়ে বর্তমানে জেলে রয়েছেন সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী পলক।
২৪৯ দিন আগে
হত্যা মামলায় ১৭ বছর পর দুই জনের যাবজ্জীবন
পিরোজপুরের ভান্ডারিয়া উপজেলায় এমদাদুল ফরাজী নামের এক যুবককে হত্যার অভিযোগে ১৭ বছর পর দুইজনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন পিরোজপুরের একটি আদালত।
একইসঙ্গে তাদের প্রত্যেককে ৫০ হাজার টাকা জরিমানাসহ আরও ছয় মাসের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে পিরোজপুর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মোক্তাগীর আলম এই রায় দেন।
নিহত এমদাদুল ফরাজী (৩০) পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের খান জাহান আলীর ছেলে।
দণ্ডিতরা হলেন— পিরোজপুর জেলার ভান্ডারিয়া উপজেলার গোলবুনিয়া গ্রামের মজিদ হাওলাদারের ছেলে মো. হাচান হাওলাদার (৩৫) এবং গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী থানার ঘোনাপাড়ার সিরাজুল ইসলামে ছেলে প্রিন্স মোল্লা (৪২)।
আরও পড়ুন: নাটোরে প্রেমিকাকে ধর্ষণের দায়ে প্রেমিকের যাবজ্জীবন
বাদী পক্ষের আইনজীবী ওয়াহিদ হাসান বাবু বলেন, ‘২০০৮ সালের ৩ মার্চ এমদাদুল ফরাজীর ভাড়ায় চালিত মোটরসাইকলে করে আসামিরা সাফা বন্দর এলাকা থেকে চরখালী এলাকায় আসে। সেখানে থেকে আসামিরা ভান্ডারিয়ার-মঠবাড়িয়া সড়কের দারুল হুদা মাদরাসা এলাকায় গেলে সেখানে মোটরসাইকেল চালক এমদাদুলকে হত্যা করে মোটরসাইকেল নিয়ে পালিয়ে যায়।’
তিনি আরও বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহত এমদাদুল ফরাজীর বাবা খান জাহান আলী ভান্ডারিয়া থানায় আসামির নামে ২০০৮ সালের ৪ মার্চ একটি হত্যা মামলা করেন। পরে তদন্তকারী কর্মকর্তা ভান্ডারিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আলাউদ্দিন আসামিদের অভিযুক্ত করে আদালতে একই বছরের ২৫ এপ্রিল অভিযোগপত্র দাখিল করেন। পরে ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য শেষে আদালতের বিচারক আসামিদের অভিযুক্ত করে এই রায় দেন। রায় ঘোষণার সময় আসামিরা উপস্থিত ছিলেন না।
২৪৯ দিন আগে
ফরিদগঞ্জে দাখিল পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁস, মাদরাসা সুপারসহ আটক ৩
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে চলমান দাখিল পরীক্ষার হাদিস বিষয়ের প্রশ্নপত্র ফাঁসের অভিযোগে এক মাদরাসা সুপারসহ তিন জনকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেন উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) দুপুরে ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া এমএ কামিল মাদরাসার পরীক্ষা কেন্দ্রে এ ঘটনা ঘটেছে।
আটকরা হলেন, ফরিদগঞ্জের চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা ইকরাম হোসাইন হামিদ (৪৬), ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া এমএ কামিল মাদরাসার নৈশ প্রহরী ইসমাইল হোসেন (৩২) ও মাদরাসার চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী তারেকুল ইসলাম (৩০)।
পুলিশ জানায়, ফরিদগঞ্জ মজিদিয়া কামিল মাদরাসার দুই চতুর্থ শ্রেণির কর্মচারী ইসমাইল হোসেন (৩২) ও তারেকুল ইসলাম (৩০) হাদিস বিষয়ের প্রশ্নের ছবি তুলে চরদুঃখিয়া পূর্ব ইউনিয়নের এখলাশপুর মহিলা দাখিল মাদরাসার সুপার মাওলানা ইকরাম হোসাইন হামিদের হোয়াটসঅ্যাপে ডকুমেন্ট আকারে পাঠায়। বিষয়টি জানাজানি হলে, ইউএনও ঘটনাস্থলে আসেন।
আরও পড়ুন: শিবির সন্দেহে আটক, তিন বছর পর অব্যাহতি জবির ১১ শিক্ষার্থীর
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে ফরিদগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) সুলতানা রাজিয়া ইউএনবিকে বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় আটকদের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের নির্দেশনা দিয়ে পুলিশি হেফাজতে দেওয়া হয়েছে।
ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ শাহ আলম ইউএনবিকে বলেন, প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনায় এক মাদরাসা সুপারসহ ৩ জনকে আটক করা হয়েছে। তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
২৪৯ দিন আগে
দ্বিতীয় আরেকটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে: চিফ প্রসিকিউটর
জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারের জন্য সরকার দ্বিতীয় আরেকটি ট্রাইব্যুনাল প্রতিষ্ঠার নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে বলে জানিয়েছেন চিফ প্রসিকিউটর মোহাম্মদ তাজুল ইসলাম।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়ে তিনি বলেন, এ বিষয়ে এখন কাজ চলছে।
তাজুল ইসলাম বলেন, বর্তমানে একটি ট্রাইব্যুনালে বিচারিক কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। নতুন আরেকটি ট্রাইব্যুনাল গঠিত হলে বিচার কার্যক্রম আরও তরান্বিত হবে বলেও জানান চিফ প্রসিকিউটর।
তিনি বলেন, চারটি মামলার তদন্ত চূড়ান্ত পর্যায়ে রয়েছে। মামলাগুলো হলো- আশুলিয়া লাশ পোড়ানোর ঘটনা, চানখারপুল হত্যাকাণ্ডের ঘটনা, রামপুরা কার্নিশে ঝুলে থাকা কিশোরকে গুলির ঘটনা ও শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে মামলা।
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, এসব মামলায় স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন আদালতে দাখিল করা হতে পারে। তদন্ত প্রতিবেদন ট্রাইব্যুনালে গৃহীত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আনুষ্ঠানিক বিচার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
আরও পড়ুন: গুমের তদন্তকারীদের হত্যার জন্য বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল: চিফ প্রসিকিউটর
এক সময় ১৯৭১ সালের মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচার হওয়া আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে বর্তমানে জুলাই-আগস্টে ছাত্র-জনতার আন্দোলন নির্মূলে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধের বিচারিক কার্যক্রম চলছে।
প্রসিকিউশন টিমের পক্ষ থেকে জানানো হয়, চিফ প্রসিকিউটরসহ মোট ১৭ জন প্রসিকিউটর রয়েছেন এ ট্রাইব্যুনালে। আর ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থায় মোট তদন্তকারী কর্মকর্তার সংখ্যা বর্তমানে ২৪ জন।
গত ১০ এপ্রিলের প্রসিকিউশন টিমের পক্ষ থেকে দেয়া তথ্য অনুযায়ী, জুলাই-আগস্টে সংঘটিত মানবতাবিরোধী অপরাধসহ মোট ৩ শতাধিক অভিযোগ জমা পড়েছে। যেখানে ৩৯টির তদন্ত কার্যক্রম (কমপ্লেইন্ট রেজিস্টার অনুসারে) চলমান। তদন্তের প্রাথমিক সত্যতার আলোকে মিস কেস হয়েছে ২২টি। এইসব মিস কেসে সর্বমোট অভিযুক্ত ব্যক্তি ১৪১ জন। যাদের মধ্যে গ্রেপ্তার রয়েছেন ৫৪ জন আর গ্রেপ্তারি পরোয়ানাভুক্ত পলাতক আসামি ৮৭ জন।
২৪৯ দিন আগে
প্রাইম এশিয়ার ছাত্র পারভেজ হত্যার প্রধান আসামি গ্রেপ্তার
ঢাকার বেসরকারি প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র জাহিদুল ইসলাম পারভেজ হত্যা মামলার এক নম্বর (প্রধান) আসামি মেহরাজ ইসলামকে গ্রেপ্তারের করেছে র্যাব-১৩।
বুধবার (২৩ এপ্রিল) বিকাল ৪টা ৩৫ মিনিটে গাইবান্ধা সদর উপজেলার রামচন্দ্রপুর ইউনিয়নের ভবানীপুরের এক আত্মীয়ের বাড়ি থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মেহরাজ ইসলাম ঢাকার বনানীর বাসিন্দা নুরুল ইসলাম সরদারের ছেলে।
আরও পড়ুন: প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাসের নির্মাণকাজের উদ্বোধন করলেন ড. রেবেকা সুলতানা
র্যাব-১৩ গাইবান্ধা অফিস থেকে জানায়, পারভেজ হত্যা মামলার এক নম্বর আসামি মেহেরাজ ইসলামকে র্যাব-১ এবং র্যাব-১৩ বিশেষ অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। পরে তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
এর আগে আলোচিত এই হত্যা মামলায় গত রবিবার মধ্যরাতে ঢাকার মহাখালী ওয়ারলেস গেইট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তিনজনকে গ্রেপ্তার করে বনানী থানা পুলিশ। তারা হলেন— মো. আল কামাল শেখ ওরফে কামাল (১৯), আলভী হোসেন জুনায়েদ (১৯) ও আল আমিন সানি (১৯)।
এদিকে সোমবার রাতে কুমিল্লার তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের মনাইরকান্দি গ্রামে অভিযান চালিয়ে পারভেজকে হত্যার ঘটনায় এজাহারভুক্ত আসামি হৃদয় মিয়াজিকে (২৩) গ্রেপ্তার করে র্যাব। তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বনানী থানার যুগ্ম সদস্যসচিব।
এর আগে শনিবার বিকালে ইউনিভার্সিটি অব স্কলার্সের দুই ছাত্রীকে উত্ত্যক্ত করার অভিযোগ ওঠে জাহিদুল ইসলাম পারভেজের বিরুদ্ধে। এ নিয়ে তর্কাতর্কি হয় একই বিশ্ববিদ্যালয়ের তিন শিক্ষার্থীর। একপর্যায়ে দুই পক্ষকে নিয়ে মীমাংসার জন্য বসে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
তবে ক্যাম্পাস থেকে বের হওয়ার পর টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং ২২৩ ব্যাচের শিক্ষার্থী জাহিদুলকে একদল যুবক ছুরিকাঘাত করে। তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: বনানীতে প্রাইম এশিয়া ভার্সিটিতে সংঘর্ষে শিক্ষার্থী নিহত
এ ঘটনায় একইদিন রাতে নিহতের মামাতো ভাই হুমায়ুন কবীর বাদী হয়ে বনানী থানায় হত্যা মামলা করেন। এতে প্রাইম এশিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও বহিরাগতসহ আটজনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে।
মামলার আসামিরা হলেন— মেহেরাজ ইসলাম, আবু জহর গিফফারি পিয়াস, মাহাথির হাসান, সোবহান নিয়াজ তুষার, হৃদয় মিয়াজি, রিফাত, আলী ও ফাহিম। এছাড়া অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ২৫ থেকে ৩০ জনকে।
২৪৯ দিন আগে
৫ আগস্ট সংসদে থাকার দাবি পলকের, শাজাহানের বক্তব্যে আদালতে হট্টগোল
হত্যাকাণ্ডে জড়িত নয় দাবি করে গত বছরের ৫ আগস্ট সংসদ ভবনে ছিলেন বলে আদালতকে জানিয়েছেন সাবেক তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক।
তিনি বলেন, ‘ওইদিন রাত আড়াইটায় স্পিকার, তাকেসহ ১২ জনকে সেনাবাহিনী উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
অন্যদিকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের সাবেক প্রসিকিউটার তুরিন আফরোজ আদালতের কাছে দাবি করেছেন, তাকে রিমান্ডের সময় শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে।
অবশ্য জুনাইদ আহমেদ পলক ও তুরিন আফরোজের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য দিয়েছেন ঢাকা মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পিপি ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেছেন, হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত পলক ও তুরিন আফরোজ।
আরও পড়ুন: অভিনেত্রী শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
৫ আগস্ট সংসদে লুকিয়ে ছিলেন পলক
সময় তখন সকাল ১০টা ৩৫ মিনিট। পুলিশের একজন কর্মকর্তা জুনায়েদ আহমেদ পলকের নাম ধরে ডাকেন। তখন পলক তার ডান হাত উঁচু করেন। তার হাতে পরানো ছিল হাতকড়া।
পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, গত বছরের ৫ আগস্ট বাড্ডায় রংমিস্ত্রি আব্দুল জব্বার খুন হন। এ হত্যা মামলায় জুনায়েদ আহমেদ পলকের নাম রয়েছে। হত্যাকাণ্ডের রহস্য উৎঘাটনের জন্য তাকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসা করা জরুরি।
পুলিশ কর্মকর্তার বক্তব্য শেষ হওয়ার পর জুনায়েদ আহমেদ পলক হাত উঁচু করে কথা বলার জন্য আদালতের কাছে অনুমতি চান।
আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর জুনাইদ আহমেদ পলক বলেন, ‘গত ৫ আগস্ট বাড্ডার খুনের ঘটনার সঙ্গে আমি জড়িত। একটা বিষয় আপনাকে জানিয়ে রাখি। গত বছরের ৫ আগস্ট সকাল ১১টার সময় আমি সংসদে অবস্থান করি। একটা পর্যায়ে আমরা সংসদে আক্রান্ত হয়। একপর্যায়ে আমি, স্পিকার, ডেপুটি স্পিকারসহ ১২ জন সংসদের বিশেষ কক্ষে অবস্থান করতে বাধ্য হই। রাত আড়াইটার সময় সেনাবাহিনী আমাদের সেখান থেকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।’
পলক আদালতকে আরও বলেন, ‘যেখানে আমি সারা দিন সংসদে অবস্থান করেছিলাম, সেখানে ৫ আগস্ট কোনো হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে আমার কোন দায় নেই। ইতোমধ্যে আমার ৮৬ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর হয়েছে। যদি জিজ্ঞাসাবাদের প্রয়োজন হয়, তাহলে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হোক।’
অবশ্য জুনায়েদ আহমেদ পলকের বক্তব্যের তীব্র বিরোধিতা করেন ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) ওমর ফারুক ফারুকী। তিনি বলেন, ‘আমরা বারবারই বলছি, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে যারা সরাসরি গুলি করে হত্যা করেছে, তাদের যে শাস্তি, একই শাস্তি, যারা এসব হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জুনায়েদ আহমেদ পলক এসব হত্যাকাণ্ডের ষড়যন্ত্রের সঙ্গে জড়িত। ছাত্র জনতার আন্দোলনের সময় যে কয়েকজন ফ্যাসিস্ট শেখ হাসিনার সঙ্গে মিটিং করেছেন, তাদের মধ্যে অন্যতম হচ্ছেন এ জুনায়েদ আহমেদ পলক।’
পিপি ওমর ফারুক ফারুকী আদালতকে বলেন, ‘আমরা শুনেছিলাম, ৫ আগস্ট সংসদে স্পিকারসহ বেশ কয়েকজন লুকিয়ে ছিলেন। আজ জুনায়েদ আহমেদ পলক সেই ঘটনা বললেন। এখনো স্পিকার শিরিন শারমিন চৌধুরীকে বিচারের মুখোমুখি করা হয়নি।’
আদালত উভয় পক্ষের শুনানি নিয়ে জুনায়েদ আহমেদ পলকে তিন দিন রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেন।
কাঁঠগড়ায় কাঁদলেন, নির্যাতনের অভিযোগ করলেন তুরিন
সকাল ১০টা এক মিনিট। তখনো বিচারক এজলাসে আসেননি। কাঠগড়ায় পাশাপাশি দাঁড়িয়ে ছিলেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইবুনালের সাবেক প্রসিকিউটার তুরিন আফরোজ, জাসদ সভাপতি হাসানুল হক ইনু, ওয়ার্কার্স পার্টির সভাপতি রাশেদ খান মেনন, সাবেক প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক ও সাবেক আইজিপি এ কে এম শহিদুল হক।
তুরিন আফরোজ কাঠগড়ার দেয়ালে পিঠ ঠেকিয়ে সামনের দিকে মুখ করে দাঁড়িয়ে ছিলেন। এ সময় তিনি হাসানুল হক ইনুর কাছে আসেন। কাঁদতে কাঁদতে ইনুকে বলছিলেন, রিমান্ডের সময় তাকে শারীরিকভাবে নির্যাতন করা হয়েছে। তখন ইনু তুরিন আফরোজকে বলতে থাকেন, ‘আপনার কথা আদালতের কাছে তুলে ধরেন। সাংবাদিকদের কাছেও তুলে ধরতে পারেন।’
বিচারক এজলাসে প্রবেশ করেন ১০টা ১৫ মিনিটে। এ সময় পুলিশের একজন কর্মকর্তা তুরিন আফরোজের নাম ধরে ডাকেন।
তখন একজন আইনজীবী আদালতের কাছে বলতে থাকেন, ‘তুরিন আফরোজের বক্তব্য রয়েছে। তিনি নির্যাতনের শিকার হয়েছেন।’
এ সময় তুরিন আফরোজ হাত উঁচু করেন আদালতে কথা বলার জন্য। আদালতের অনুমতি দেওয়ার পর তুরিন আফরোজ বলেন, ‘আমি সবসময়ই আইন ও আদালতের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। আমি কখনো কোনো রাজনৈতিক দলের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম না। এখনো নেই। কেবলমাত্র পেশাগত দায়িত্ব পালনের জন্য আমি আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউটরের দায়িত্ব পালন করেছিলাম।’
তুরিন আফরোজ আদালতকে আরও বলেন, ‘এমনিতেই আমি অসুস্থ। আমার হাঁটতে সমস্যা হয়। আমার পায়ে আঘাত করা হয়েছিল।’
তুরিন নাফরোজের বক্তব্য মিথ্যা বলে আদালতকে জানান ঢাকার মহানগর দায়রা জজ আদালতের প্রধান পিপি ওমর ফারুক ফারুকী।
তিনি আদালতকে বলেন, অন্তর্বর্তী সরকারের সময় কোনো আসামিকেই নির্যাতন করা হয়নি। তুরিন আফরোজকে নির্যাতন করা হয়নি। নির্যাতনের মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
পিপির বক্তব্য শেষ হওয়ার পর তুরিন আফরোজ আবারও আদালতে কথা বলেন। এ সময় তিনি পা দেখিয়ে আদালতকে বলেন, ‘আমি মিথ্যা বলছি না। আমার পায়ে নির্যাতন করা হয়েছিল।’
শাজাহানের বক্তব্যের পর আদালতে হট্টগোল
যাত্রাবাড়ী থানার আরিফ খান হত্যা মামলায় শাজাহানকে রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে পুলিশ। রিমান্ডের স্বপক্ষে আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেন একজন পুলিশ কর্মকর্তা। আর রিমান্ডের বিরোধিতা করে আদালতে বক্তব্য তুলে ধরেন শাজাহান খানের আইনজীবীরা।
শাজাহান খানের একজন আইনজিবী আদালতকে বলেন, শাজাহান খান আটবার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন। তার দাদাও ব্রিটিশ আমলে নেতা ছিলেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী যখনই আটবারের এমপি শাজাহান উচ্চারণ করেন, তখন আদালতে উপস্থিত বিএনপিপন্থী একদল আইনজীবী বলতে থাকেন, ভুয়া এমপি শাহজাহান।
এ পর্যায়ে পিপি ওমর ফারুকী আদালতকে বলেন, ‘শাজাহান খান অন্য দলে ছিলেন। তিনি আওয়ামী লীগ এসে সর্বোচ্চ প্রেসিডিয়াম পদ পেয়েছেন। তিনি ফ্যাসিস্ট হাসিনার অন্যতম সহযোগী।’
পিপির আইনজীবীর বক্তব্য শেষ হওয়ার পর শাজাহান নিজেই আদালতের কাছে হাত তোলেন কথা বলার অনুমতি দেওয়ার জন্য। আদালতের অনুমতি পাওয়ার পর শাজাহান আদালতকে বলেন, ‘আমার হার্টে পাঁচটি ব্লক। আমি অসুস্থ। আমাকে দুইবার হাসপাতালে যেতে হয়েছে। যদি জিজ্ঞাসাবাদ করতেই হয়, তাহলে আমাকে জেলগেটে জিজ্ঞাসাবাদ করার অনুমতি দেওয়া হোক।’
শাজাহান খান যখন বক্তব্য দিচ্ছিলেন, তখন একদল আইনজীবী আদালতকে বলতে থাকেন, উনি পুলিশকেও মারার কথা বলেছেন। এ সময় আইনজীবীদের হট্টগোল শুরু হয়।
পিপি ওমর ফারুকী আদালতকে বলেন, ‘আদালতের পরিবেশ বজায় রাখার দায়িত্ব যেমন আইনজীবীদের, তেমনি আসামিদের। আসামিরা এমন কোনো কথা বলবেন না, যাতে আদালতের পরিবেশ নষ্ট হয়।’
পিপির কথা বলার সময়ও একদল আইনজীবী হট্টগোল করতে থাকেন। শাজাহান খানকে গালমন্দ করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: খুলে দেওয়া হলো কুয়েটের আবাসিক হল
তখন শাজাহান খান আদালতকে বলেন, ‘আমরা কি কথা বলতে পারব না? আমাদের কি কথা বলার কোনো অধিকার নেই?’
শাজাহান খানের বক্তব্যের পর পর আদালতের অনুমতি নিয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ সভাপতি তানভীর হাসান আদালতে কথা বলতে শুরু করেন।
তানভীর আদালতকে বলেন, ‘আমি ছাত্রলীগ করি।’
ছাত্রলীগ শব্দ উচ্চারণ করার পর পরই একদল আইনজীবী বলতে থাকেন, ‘জঙ্গি ছাত্রলীগ’ ‘নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ’ এমন সব শব্দ উচ্চারণ করতে থাকেন। এ সময় তানভীর হাসান তার কথা বলতেই থাকেন। এ সময় আইনজীবীরা জঙ্গি ছাত্রলীগ, নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ বলে চিৎকার করতে থাকেন।
২৪৯ দিন আগে
অভিনেত্রী শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা
অভিনেত্রী ও গায়িকা মেহের আফরোজ শাওনসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
শাওনের সৎ মা নিশি ইসলাম হত্যাচেষ্টা ও মারধরের অভিযোগে ১২ জনকে আসামি করে গত ১৩ মার্চ ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে এ মামলাটি করেন।
এর আগে মঙ্গলবার আসামিদেরকে (২২ এপ্রিল) আদালতে হাজির হতে সমন জারি করা হয়।
সমন পেয়ে আদালতে উপস্থিত না হওয়ার ঢাকার অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট ছানাউল্ল্যাহ তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে।
যাদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে— ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) সাবেক প্রধান হারুন অর রশীদ, সিটিটিসি ইউনিটের সাবেক এডিসি নাজমুল ইসলাম, প্রকৌশলী মোহাম্মদ আলী, মেহের আফরোজ শাওনের ভাই মাহিন, বোন শিঞ্জন ও সেঁজুতি, সাব্বির, সুব্রত দাস, মাইনুল হোসেন, পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া, উপপরিদর্শক শাহ আলম এবং মোখলেছুর রহমান মিল্টন। ১২ আসামির মধ্যে পুলিশ পরিদর্শক সাইফুল ইসলাম ভূঁইয়া ও উপপরিদর্শক শাহ আলম আত্মসমর্পণ করে জামিন নেন।
অপর ১০ আসামি আদালতে উপস্থিত না হওয়ায় মঙ্গলবার তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আদালত, যা গতকাল বুধবার জানাজানি হয়।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, শাওনের পিতা মোহাম্মদ আলী আগের স্ত্রীর কথা গোপন রেখে ও প্রতারণা করে ২০২৪ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ৫০ লাখ টাকা দেনমোহর ধার্য করে নিশি ইসলামকে বিয়ে করে। পরে নিশি জানতে পারেন, মোহাম্মদ আলী আগেই বিয়ে করেছেন। তার আগের সংসারে একটি ছেলে ও তিনটি কন্যা সন্তান আছে।
গত ২৮ ফ্রেব্রুয়ারি শাওনের বোন শিঞ্জন ও তার স্বামী সাব্বির বাদীর বাড়িতে এসে বিয়ের কথা গোপন রাখার জন্য চাপ দেন। ৪ মার্চ মোহাম্মদ আলী নিজের অসুস্থতার কথা জানিয়ে বাদীকে গুলশানের বাসায় যাওয়ার জন্য বলেন।
তখন মোহাম্মদ আলীর আগের স্ত্রীকে দেখে প্রতারণার বিষয়ে স্পষ্ট ধারণা পান বাদী।
আরও পড়ুন: জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাড়া পেয়েছেন শাওন ও সোহানা সাবা
এ সময় অন্য আসামিরা তাকে ঘাড়ধাক্কা দিয়ে ঘর থেকে বের করে দেন। পরদিন আবারও শাওন ও এডিসি নাজমুলসহ অন্য আসামিরা বাদীর বাড়িতে ঢুকে সাদা কাগজে সই নেওয়ার চেষ্টা করেন। সই দিতে অস্বীকৃতি জানালে শাওন বাদীকে মারধর করেন। তিনি অজ্ঞান হয়ে গেলে আসামিরা পালিয়ে যান।
ওই বছরের ২৪ এপ্রিল বাদীকে ডিবির অফিসে ডেকে নেন পরিদর্শক শাহ জালাল। সেখানে শাওনসহ অন্য আসামিরা নিশিকে মারধর করেন।
ডিবিপ্রধান হারুনের নির্দেশে বাড্ডা থানার ওসি বাদীর বিরুদ্ধে মামলা নেন। বাদীকে গ্রেপ্তার করে রিমান্ডে এনে তাকে নির্যাতন করে বলে অভিযোগে উল্লেখ করেছে।
২৪৯ দিন আগে
আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের আরও তিন নেতা গ্রেফতার
রাজধানীতে পৃথক অভিযান চালিয়ে আওয়ামী লীগ ও এর অঙ্গসংগঠনের তিন নেতাকে গ্রেফতার করেছে ডিএমপির গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
গ্রেফতার হওয়া আসামিরা হলেন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ কৃষক লীগের সদস্য সচিব আব্দুল মতিন মাস্টার (৫২), ৭১ নং ওয়ার্ড যুবলীগের সহ-সভাপতি মোস্তাক ফকির ওরফে বাঘা (৩৮) ও কেরাণীগঞ্জ মডেল থানা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি হাজী আলাউদ্দীন ।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) রাত সাড়ে ১১টায় মাতুয়াইল থেকে আব্দুল মতিন মাস্টারকে এবং রাত পৌনে ১২টায় চকবাজার এলাকা থেকে হাজী আলাউদ্দীনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পুলিশ পরিচয়ে চাঁদাবাজির ঘটনায় খুলনা ছাত্রদল নেতা গ্রেপ্তার
এছাড়া বুধবার (২৩ এপ্রিল) রাত ২টা ৪০ মিনিটে মোস্তাক ফকির ওরফে বাঘাকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগে নতুন উপকমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বলেন, গ্রেফতার হওয়া আসামিদের বিরুদ্ধে নানাভাবে সংগঠিত হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিল করে অস্থিতিশীল পরিস্থিতি তৈরির অপচেষ্টার অভিযোগ রয়েছে। গ্রেফতারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন।
২৫০ দিন আগে