আইনশৃঙ্খলা
জামায়াত নেতা আজহারের পরবর্তী আপিল শুনানি ৬ মে
একাত্তরের মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডাদেশের বিরুদ্ধে জামায়াতে ইসলামীর তৎকালীন সহকারী সেক্রটারি জেনারেল এ টি এম আজহারুল ইসলামের আপিলের শুনানি পিছিয়েছে। তার পরবর্তী আপিল শুনানির জন্য ৬ মে দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
প্রধান বিচারপতি ড. সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বেঞ্চে মঙ্গলবার (২২ এপ্রিল) এ দিন ধার্য করেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী এহসান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
একাত্তরে মুক্তিযুদ্ধ চলাকালে রংপুর অঞ্চলে গণহত্যা-হত্যা, অপহরণ, ধর্ষণ, আটক, নির্যাতন ও গুরুতর জখম এবং বাড়িঘরে লুণ্ঠন ও অগ্নিসংযোগের মতো ৯ ধরনের ছয়টি মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগ আনা হয়েছিল এ টি এম আজহারের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা আজহারের শুনানির তারিখ ধার্য
২০১৪ সালের ৩০ ডিসেম্বর আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দেওয়া রায়ে ২ নম্বর, ৩ নম্বর এবং ৪ নম্বর অভিযোগে ফাঁসির দণ্ডাদেশ দেওয়া হয় আজহারুল ইসলামকে।
এ ছাড়া ৫ নম্বর অভিযোগে অপহরণ, নির্যাতন, ধর্ষণসহ বিভিন্ন অমানবিক অপরাধের দায়ে ২৫ বছর ও ৬ নম্বর অভিযোগে নির্যাতনের দায়ে ৫ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দেওয়া হয়।
ট্রাইব্যুনালের রায়ের বিরুদ্ধে আপিলে শুনানির পর ২০১৯ সালের ৩১ অক্টোবর মৃত্যুদণ্ড বহাল রেখে রায় ঘোষণা করেন তৎকালীন প্রধান বিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের নেতৃত্বাধীন চার বিচারপতির আপিল বেঞ্চ। আপিল বিভাগের রায়ে ২, ৩, ৪ (সংখ্যাগরিষ্ঠ মতের ভিত্তিতে) ও ৬ নম্বর অভিযোগের দণ্ড বহাল রাখা হয়। আর ৫ নম্বর অভিযোগ থেকে তাকে খালাস দেওয়া হয়।
ওই দিন আদালতে আসামিপক্ষে ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী (প্রয়াত) খন্দকার মাহবুব হোসেন। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন (প্রয়াত) অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম।
আরও পড়ুন: ‘জামায়াত নেতার নেতৃত্বে’ বৈষম্যবিরোধী ছাত্রনেতার বাড়িতে হামলা
২০২০ সালের ১৫ মার্চ আপিল বিভাগের রায়ের পূর্ণাঙ্গ অনুলিপি প্রকাশিত হয়। ওই রায়ের রিভিউ চেয়ে ২০২০ সালের ১৯ জুলাই আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট আবেদন করেছিলেন এ টি এম আজহারুল ইসলাম। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এ আবেদনে মোট ১৪টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়।
ওই পুনর্বিবেচনার আবেদনের শুনানি শেষে গত ২৬ ফেব্রুয়ারি প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন আপিল বিভাগ মানবতাবিরোধী অপরাধ মামলায় মৃত্যুদণ্ডের রায়ের বিরুদ্ধে এ টি এম আজহারুল ইসলামকে আপিলের অনুমতি দিয়েছেন আপিল বিভাগ। এছাড়া দুই সপ্তাহের মধ্যে আপিলের সার সংক্ষেপ জমা দিতে বলেন। এরপর আপিলের ওপর শুনানি কয়েক দফা পেছানো হয়।
২৫১ দিন আগে
পরীক্ষায় প্রশ্নপত্রের ছবি তোলায় যুবকের কারাদণ্ড, ছাত্রী বহিষ্কার
নরসিংদীর রায়পুরায় এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রায়পুরা সরকারি কলেজ কেন্দ্রের বাউন্ডারি ওয়াল টপকিয়ে কেন্দ্রে প্রবেশ করে মুঠোফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার অপরাধে ওবায়দুল্লাহ (১৯) নামে এক যুবককে কারাদণ্ড ও অর্থদণ্ড দিয়েছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত।
অন্যদিকে ফখরুল আলম আরমান উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্রে পরীক্ষায় নকল করার অপরাধে ইসরাত জাহান নামে এক পরীক্ষার্থীকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
ওই ছাত্রী আদিয়াবাদ সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় থেকে চলতি এসএসসি পরীক্ষায় অংশ নিয়েছিল।
সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে সাংবাদিকদের এ তথ্য নিশ্চিত করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাজিস্ট্রেট ও রায়পুরা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ রানা।
তিনি বলেন, ‘গণিত পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে রায়পুরা সরকারি কলেজের বাউন্ডারি ওয়াল টপকিয়ে এক যুবক কেন্দ্রে প্রবেশ করে প্রশ্ন পত্রের ছবি তুলে তা বাহিরে প্রকাশ করতে যাচ্ছিল।’
আরও পড়ুন: এসএসসি পরীক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে কারাদণ্ড
‘এ সময় তাকে আটক করে ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে এক মাসের কারাদণ্ড ও ৫০০ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়। ওই যুবকের মুঠোফোন জব্দ করা হয়েছে। তাকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘একই দিন ফখরুল আলম আরমান উচ্চ বিদ্যালয়ে নকল করার অপরাধে এক ছাত্রীকে বহিষ্কার করা হয়েছে। এ ধরণের অভিযান সবসময় চলমান থাকবে।’
২৫১ দিন আগে
এসএসসি পরীক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে শিক্ষককে কারাদণ্ড
শরীয়তপুরের নড়িয়ায় এক এসএসসি পরীক্ষার্থীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে এক শিক্ষককে ১০ দিনের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (২১ এপ্রিল) উপজেলার ডগ্রী ইসমাইল হোসেন ডিগ্রি কলেজ কেন্দ্রে ঘটনাটি ঘটে।
দণ্ডপ্রাপ্ত জুলহাস উদ্দিন পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক।
এসএসসি পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে মজিদ জরিনা ফাউন্ডেশন স্কুলের ওই ছাত্রীর সঙ্গে অশালীন আচরণের অভিযোগ ওঠে শিক্ষক জুলহাস উদ্দিনের বিরুদ্ধে।
এদিকে পরীক্ষাকেন্দ্রে অশালীন আচরণের অভিযোগে ভুক্তভোগী ছাত্রী ও তার পরিবারের পক্ষ থেকে উপজেলা প্রশাসনের কাছে অভিযোগ জানানো হয়।
অভিযোগ পাওয়ার পর উপজেলা প্রশাসন ও স্থানীয় পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে। পরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা আমিনুল ইসলাম বুলবুল অভিযুক্ত শিক্ষককে দোষী সাব্যস্ত করে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামের ডিসি হিলে বর্ষবরণের মঞ্চ ভাঙচুর, বাতিল অনুষ্ঠান
পঞ্চপল্লী গুরুরাম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক গৌতম চন্দ্র দাস বলেন, ‘শিক্ষার্থীর অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক জুলহাস উদ্দিনকে ১০ দিনের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।'
নড়িয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) বলেন, ‘নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে প্রশাসন কঠোর অবস্থানে রয়েছে। কোনো ধরনের অনৈতিক আচরণ বা হয়রানিকে বরদাশত করা হবে না।’
২৫১ দিন আগে
খুলনায় আ. লীগের ঝটিকা মিছিল, তিন মামলায় গ্রেপ্তার ৪০
খুলনার বিভিন্ন স্থান থেকে ঝটিকা মিছিল করার অভিযোগে আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে তিনটি পৃথক মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। সোমবার (২০ এপ্রিল) নগরীর হরিণটানা, আড়ংঘাটা ও খালিশপুর থানায় পুলিশ বাদী হয়ে মামলাগুলো দায়ের করে।
খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের (কেএমপি) কমিশনার জুলফিকার আলী হায়দার বলেন, ‘তিনটি থানাতেই পুলিশ বাদী হয়ে মামলা দায়ের করেছে। এদিকে মামলা করার পর বিভিন্ন এলাকা থেকে আওয়ামী লীগের অন্তত ৪০ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।’
কেএমপির পাঠানো সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, মিছিলের ছবি ও ভিডিও বিশ্লেষণ করে অংশগ্রহণকারী অন্যান্যদের শনাক্ত করে গ্রেপ্তারের জন্য পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। গ্রেপ্তারদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
হরিণটানা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) খায়রুল বাশার বলেন, ‘থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোনায়েম হোসেন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন। এই মামলায় আওয়ামী লীগের ৭৩ জন নেতাকর্মীর নাম উল্লেখ করা হয়েছে এবং অজ্ঞাত আরও ৩০ থেকে ৪০ জনকে আসামি করা হয়েছে। হরিণটানা থানা পুলিশ এ পর্যন্ত এই মামলায় ২২ জনকে গ্রেপ্তার করেছে।’
খালিশপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘ঝটিকা মিছিলের ঘটনায় থানার উপপরিদর্শক (এসআই) রতন কুমার বিশ্বাস বাদী হয়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে একটি মামলা করেছেন। এই মামলায় ছয়জন আসামিকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে।’
আরও পড়ুন: গুলশান থেকে সাবেক এমপি মনু গ্রেপ্তার
মামলার এজাহারভুক্ত আসামির সংখ্যা জানতে চাইলে তিনি কেএমপির মিডিয়া শাখা থেকে তথ্য নেওয়ার পরামর্শ দেন।
আড়ংঘাটা থানাতেও একই ধরনের ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলে জানা গেছে। পুলিশ জানিয়েছে, গ্রেপ্তকার অভিযান অব্যাহত থাকতে পারে।
আওয়ামী লীগ, যুবলীগ ও নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা যেন হঠাৎ মিছিল করে নগরবাসীর মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি এবং নগরীতে অরাজক পরিস্থিতি তৈরি করতে না পারে, সেজন্য খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশ সতর্ক অবস্থানে আছে। জোরদার করা হয়েছে টহল।
২৫১ দিন আগে
শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় ৬ আইনজীবী কারাগারে, ডিম নিক্ষেপ
কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ৩ আগস্ট নগরীর পুলিশ লাইন্সে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলা মামলায় ৬ আইনজীবীকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। সোমবার (২১ এপ্রিল) দুপুরে কুমিল্লার সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মাহবুবুর রহমান এই আদেশ দেন।
এরা হলেন— সাবেক পিপি কুমিল্লা বারের সাবেক সভাপতি অ্যাডভোকেট মুস্তাফিজুর রহমান লিটন, সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট জাহাঙ্গীর আলম ভূঁইয়া, অ্যাডভোকেট জিয়াউল আহসান সোহাগ, অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম, অ্যাডভোকেট জাকির হোসেন ও অ্যাডভোকেট এএমএম মইন।
এই ছয়জনের মধ্যে মামলার শুনানিতে চারজন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপর দুইজন অনুপস্থিত ছিলেন। মামলার আসামি মোট ২৪ জন আইনজীবী জামিন শুনানিতে উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে হাইকোর্টের নির্দেশ অমান্য করে আদালতে অনুপস্থিত থাকা দুই আইনজীবী হলেন— জিয়াউল আহসান সোহাগ ও এএমএম মঈন। তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
আরও পড়ুন: সাবেক ডেপুটি স্পিকার টুকুকে লক্ষ্য করে ডিম-জুতা নিক্ষেপ
এদিকে আইনজীবীদের আদালতে শুনানিতে হাজিরা নিয়ে কুমিল্লা আদালত প্রাঙ্গণে উত্তেজনা বিরাজ করে। এ সময় সেনাবাহিনীসহ পুলিশের অতিরিক্ত সদস্য মোতায়েন করা হয়। আদালতের রায় শেষে কারাগারে নেওয়ার সময় চার আইনজীবীকে লক্ষ্য করে ডিম ছুড়ে মারেন কয়েকজন।
কুমিল্লায় বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সময় ৩ আগস্ট নগরীর পুলিশ লাইন্সে শিক্ষার্থীদের ওপর হামলার ঘটনায় শিক্ষার্থী ইনজামুল হকের করা মামলায় ২৬১ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এছাড়া অজ্ঞাত আরও ১৫০ থেকে ২০০ জনকে আসামি করা হয়। এর মধ্যে ২৬ জন আইনজীবী।
২৫১ দিন আগে
গুলশান থেকে সাবেক এমপি মনু গ্রেপ্তার
ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে রাজধানীর গুলশান থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। সোমবার (২১ এপ্রিল) রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে পুলিশের গোয়েন্দা শাখা ডিবি তাকে গ্রেফতার করেছে।
ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ঢাকা-৫ আসনের সাবেক এমপি কাজী মনিরুল ইসলাম মনুকে গ্রেফতার করেছে ডিবি। আজ বিকেলে রাজধানীর গুলশান এলাকা থেকে তাকে গ্রেফতার করা হয়।
আরও পড়ুন: ফতুল্লায় আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী আটক
কাজী মনিরুল ইসলাম মনু ২০১৬ সাল থেকে যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি। ২০০৩ সালে তিনি বৃহত্তর ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি ছিলেন। তিনি ১৯৭৭ সালে অবিভক্ত ঢাকা সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনের ৩৩ নম্বর ওয়ার্ড ১ বার ও ৮৭ নম্বর ওয়ার্ডের দুইবার কাউন্সিলর নির্বাচিত হন।
২০২০ সালের ৬ মে ঢাকা-৫ আসনের সংসদ সদস্য হাবিবুর রহমান মোল্লা মারা গেলে শূন্য আসনে একই বছরের ১৭ অক্টোবর উপ-নির্বাচন তিনি সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন।
২৫১ দিন আগে
ফতুল্লায় আওয়ামী লীগের ৭ নেতাকর্মী আটক
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী সন্দেহে সাতজনকে আটক করেছে পুলিশ। সোমবার (২১ এপ্রিল) ভোরে ফতুল্লার শিবু মার্কেট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়।
পুলিশ বলছে, তারা গোপনে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন।
আটকরা হলেন, যুবলীগ নেতা আবুল হোসেন, মোল্লা জাফর, সোহাগ, উজ্জ্বল, শাহ আলম, তপন ও রাসেল। এদের মধ্যে কেউ কেউ রাজমিস্ত্রী ও অন্যান্য পেশার পরিচয় দিলেও পুলিশের দাবি। তারা রাজনৈতিক পরিচয় গোপন রেখে মিছিল আয়োজনের চেষ্টা করছিলেন।
আরও পড়ুন: সুন্দরবনের ‘বনদস্যু’ করিম বাহিনীর ২ সদস্য আটক, উদ্ধার দুই জেলে
পুলিশ জানায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে ফতুল্লা থানা পুলিশ শিবু মার্কেট এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে।
ফতুল্লা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘ভোরে শিবু মার্কেট এলাকা থেকে সাতজনকে আটক করা হয়েছে। তারা রাজমিস্ত্রীসহ বিভিন্ন পেশার পরিচয় দিয়ে অবস্থান করছিলেন, তবে গোপনে মিছিলের প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন। জিজ্ঞাসাবাদে তারা জানিয়েছে, আওয়ামী লীগকে প্রতিষ্ঠিত করতে তারা মিছিল আয়োজন করছিলেন।’
আটকদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
২৫১ দিন আগে
রাজধানীতে আ.লীগের আরও ৯ সদস্য গ্রেপ্তার
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের আরও ৯ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
সোমবার (২১ এপ্রিল) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানিয়েছেন ডিএমপির উপ-কমিশনার তালেবুর রহমান।
আরও পড়ুন: নিষিদ্ধ ছাত্রলীগ ও আওয়ামী লীগের ১০ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন— ছাত্রলীগের বংশাল থানা ৩৩ নং ওয়ার্ডের সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ বাপ্পি (৩০), আওয়ামী লীগের দক্ষিণ বাড্ডা বাজার ইউনিটের সহ-সভাপতি মো. মহিবুর রহমান (৫০), কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ থানার আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আবুল কালাম আজাদ (৪৭), বংশাল থানা ৩২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি বাবু আহাম্মেদ (৫৫), ২২ নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি আব্দুল খালেক (৫৫), কলাবাগান থানা বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক কবির হোসেন (৪৮), ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় জগন্নাথ হল শাখার নাট্য ও বিতর্ক বিষয়ক সম্পাদক দীপম সাহা (২৬), ছাত্রলীগের ডেমরা শাখার সাবেক সাধারণ সম্পাদক কাজী ইসমাইল হোসেন (৪২) ও ছাত্রলীগ কর্মী মুহতাসিন ফুয়াদ ওরফে পিয়াল।
ডিবি সূত্রে জানা যায়, রবিবার বেলা ১১ টার দিকে বাপ্পিকে নবাবপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের একটি টিম। একই দিন সন্ধ্যায় রাজধানীর বেরাইদ এলাকা থেকে মহিবুর রহমানকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-গুলশান বিভাগের একটি টিম ।
এছাড়া, রবিবার দুপুর ৩ টার দিকে রমনার জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল ভবনের সামনে থেকে আবুল কালাম আজাদকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-সাইবার অ্যান্ড স্পেশাল ক্রাইমের একটি টিম। ওইদিন রাত ১১ টার দিকে বংশাল এলাকা হতে বাবু আহাম্মেদকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-লালবাগ বিভাগের একটি টিম।
এদিন রাত ১০ টার দিকে মগবাজার এলাকায় অভিযান চালিয়ে আব্দুল খালেককে এবং রাত সাড়ে এগারোটায় রাজধানীর হাতিরপুল থেকে কবির হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-রমনা বিভাগের পৃথক দুইট টিম।
অন্যদিকে, রবিবার রাতে রাজধানীর মাতুয়াইল এলাকা থেকে কাজী ইসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-ওয়ারী বিভাগের একটি টিম। তিনি রবিবার যাত্রাবাড়ী এলাকায় ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণ করেছেন বলে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে জানায় ডিএমপি।
ডিবি সূত্রে আরও জানা যায়, সোমবার দিবাগত রাত পৌনে দুইটার দিকে দীপম সাহাকে তেজগাঁও এলাকা থেকে এবং দিবাগত রাত পৌনে তিনটার দিকে আদাবরের একটি বাসা থেকে ছাত্রলীগ কর্মী মুহতাসিন ফুয়াদ ওরফে পিয়ালকে গ্রেপ্তার করে ডিবি-সাইবারের পৃথক টিম।
আরও পড়ুন: খুলনায় আ.লীগের ২৫ নেতাকর্মী গ্রেপ্তার
তালেবুর রহমান বলেন, ‘গ্রেপ্তারকৃতরা রাজধানীর বিভিন্ন থানায় রুজুকৃত মামলার এজাহারনামায় থাকা আসামি। তারা দেশকে অস্থিতিশীল করার অপচেষ্টায় লিপ্ত। তারা নানাভাবে সংঘবদ্ধ হয়ে রাজধানীর বিভিন্ন স্থানে ঝটিকা মিছিলে অংশগ্রহণের মাধ্যমে জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে।’
গ্রেপ্তারকৃতদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন বলেও জানান তিনি।
২৫২ দিন আগে
চানখারপুল গণহত্যা: সাবেক ডিএমপি কমিশনারসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন
জুলাই-আগস্টে গণহত্যার প্রথম মামলা হিসেবে রাজধানীর পুরান ঢাকার চানখারপুলের ঘটনায় তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে। এ ঘটনায় ডিএমপির সাবেক কমিশনারসহ আটজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
সোমবার (২১ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম গণমাধ্যমে এসব তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ১৯৫ দিনের মধ্যে এই তদন্ত কাজ সম্পন্ন হয়েছে। তদন্তশেষে ৯০ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন তৈরি করা হয়েছে।
এ মামলার আসামির হলেন— ডিএমপির সাবেক কমিশনার হাবিবুর রহমান, ডিএমপির সাবেক যুগ্ম কমিশনার সুদীপ কুমার চক্রবর্তী, রমনা জোনের সাবেক এডিসি শাহ আলম, মো. ইমরুল সাবেক এসি রমজান ডিএমপি, আরশাদ হোসেন সাবেক পুলিশ পরিদর্শক অপারেশন শাহবাগ থানা, কনস্টেবল সুজন, কনস্টেবল ইমাদ হোসেন এবং কনস্টেবল নাসিরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: গণহত্যাকারী দল হিসেবে আওয়ামী লীগের বিচার করতে হবে: সাকি
তাজুল ইসলাম বলেন, ‘চানখারপুলে গত ৫ আগস্ট ৬ জন নিহত হন। সেই গণহত্যার তদন্ত কাজ শেষ হয়েছে। রবিবার (২০ এপ্রিল) তদন্ত সংস্থা আমাদের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিয়েছে। এর মধ্যদিয়ে জুলাই আগস্টের গণহত্যার প্রথম কোনো ঘটনার তদন্তের কাজ শেষ হয়েছে। এ ঘটনায় ডিএমপির সাবেক কমিশনারসহ আটজন পুলিশ কর্মকর্তার বিরুদ্ধে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।’
তিনি আরও বলেন, যারা জেষ্ঠ্য কর্মকর্তা তাদের বিরুদ্ধে কমান্ড রেসপন্সিবিলিটির অভিযোগে এবং যারা সরাসরি গুলি করেছেন বিভিন্ন ভিডিওয়ের মাধ্যমে তাদের বিরুদ্ধে প্রমাণ মিলেছে। এ কারণে এই আটজনের বিরুদ্ধে তদন্ত রিপোর্ট তৈরি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ক্ষমতাচ্যুত সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ পুলিশের আইজিপির সংশ্লিষ্টতাও রয়েছে।
এ মামলার চারজন আসামি পলাতক রয়েছেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।
২৫২ দিন আগে
যশোরে আ.লীগ নেতাদের বাড়িতে বাড়িতে পুলিশি অভিযান
যশোর জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও সাবেক সংসদ সদস্য শাহীন চাকলাদারসহ শীর্ষ আওয়ামী লীগ নেতাদের বাড়ি বাড়ি গিয়ে অভিযান চালিয়েছে পুলিশ।
রবিবার (২০ এপ্রিল) দুপুরে বিপুলসংখ্যক পুলিশ সদস্য এই অভিযান পরিচালনা করেন। এ সময় কাউকে অবশ্য আটক বা কিছু উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ।
এ বিষয়ে পুলিশের দাবি, দলীয় পরিচয়ে কোনো নেতার বাড়িতে অভিযানে যায়নি তারা। বিভিন্ন মামলার আসামি ধরাসহ মাদক ও অস্ত্র উদ্ধারের অংশ হিসেবে এ অভিযান চালানো হয়।
আরও পড়ুন: খাগড়াছড়িতে অপহৃত চবি শিক্ষার্থীদের উদ্ধারে যৌথ অভিযান চলছে
এদিকে, দিনদুপুরে পুলিশি বহর নিয়ে রাজনৈতিক নেতাদের বাড়িতে অবস্থান ও অভিযানের খবরে স্থানীয়দের মধ্যে উৎকণ্ঠা বিরাজ করে। অভিযানের চলাকালে অনেক বাড়ির সামনে উৎসুক জনতাকে ভিড় করতেও দেখা যায়।
জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হয়, প্রথমে তারা যায় শহরের কাঁঠালতলায় জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহীন চাকলাদারের বাড়িতে। যদিও ওই বাড়িটি ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানের দিন বিক্ষুব্ধ জনতা পুড়িয়ে দেয়। ওই ঘটনার পর থেকে শাহীন চাকলাদার ও তার পরিবারের সদস্যদের বাড়িটিতে আর দেখা যায়নি। বাড়িটির সংস্কার কাজে নিয়োজিত শ্রমিকদের সঙ্গে পুলিশ কথা বলে চলে যায়।
এরপর যশোর পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর ও যুবলীগের প্রচার সম্পাদক জাহিদ হোসেন মিলন ওরফে টাক মিলনের বাসায় যায় পুলিশের দলটি। সেখান থেকে শহরের কদমতলায় অবস্থিত জেলা ছাত্রলীগের সাবেক সাংগঠনিক সম্পাদক ও যুবলীগ নেতা শফিকুল ইসলাম জুয়েলের বাড়িতে যায়। সেখানে তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলে চলে আসে।
এ বিষয়ে জুয়েলের ভাবী জ্যোৎস্না বেগম বলেন, ‘বাসায় পুলিশ এসে জুয়েলের খোঁজ নেয়। আমরা বলি, সে অনেক আগে থেকেই বাড়িতে নেই। তারপর পুলিশ চলে যায়।’
এরপর কাজীপাড়ায় জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান ও জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি সাইফুজ্জামান পিকুল ও সদর উপজেলা পরিষদের সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান আনোয়ার হোসেন বিপুলের বাড়িতে যায় পুলিশ। সেখানেও কাউকে আটক বা কিছু উদ্ধার করতে পারেনি তারা।
যশোর জেলা পুলিশের গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মনজুরুল হক ইউএনবিকে বলেন, ‘দলীয় পরিচয়ে কারও বাড়িতে অভিযান চালানো হয়নি। বিভিন্ন মামলার আসামি আটক করতে অপরাধ ও সন্ত্রাসবিরোধী কার্যক্রমের অংশ হিসেবে এই অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। বিশেষ করে মাদক কারবারি, সন্ত্রাসী, বিভিন্ন মামলার আসামি ও নানা অভিযোগে অভিযুক্তদের বাড়িতে অভিযান চালানো হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: মাজারে প্রশাসনের মাদকবিরোধী অভিযান, রুখে দিলেন ভক্তরা
তিনি বলেন, ‘শুধু আওয়ামী ঘরানার লোকজনের বাড়িতে অভিযান চলছে—এমনটি নয়। চলমান পরিস্থিতি ও রাজনৈতিক অস্থিতিশীলতার সুযোগ নিয়ে অপ্রতিরোধ্য সিন্ডিকেটগুলোর দিকেও নজরদারি রয়েছে পুলিশের। সুনিদিষ্ট তথ্যের ভিত্তিতে অপরাধীদে বিরুদ্ধে এ অভিযান চলছে।’
তবে জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা দাবি করেছেন, যশোরসহ সারা দেশে আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা ঝটিকা মিছিল করছেন। গতকাল (শনিবার) ঝটিকা মিছিল বন্ধ করতে না পারলে পুলিশের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার যে ঘোষণা দিয়েছে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা, তারই অংশ হিসেবে (আওয়ামী লীগের) নেতা-কর্মীদের মধ্যে ভীতিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করতে পুলিশের এই অভিযান।
২৫২ দিন আগে