আইনশৃঙ্খলা
জামিন মেলেনি আওয়ামী লীগ নেতা মহীউদ্দিনের, কারাগারে প্রেরণ
মানিকগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি ও জেলা পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান আইনজীবী গোলাম মহীউদ্দীনের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক লিয়াকত আলী মোল্লা তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
এর আগে জামিনের আবেদন করে শুনানি করেন আসামিপক্ষের আইনজীবীরা। দীর্ঘ সময় শুনানি শেষে রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করে ন্যায় বিচার প্রার্থনা করলে আদালত এই আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: আরসাপ্রধানের জামিন নামঞ্জুর, কারাগারে প্রেরণ
মানিকগঞ্জ কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক মো. আবুল খায়ের বলেন, ‘গোলাম মহীউদ্দীনের বিরুদ্ধে মানিকগঞ্জে ৪টি নাশকতা মামলা আছে। মাঝে তিনি জামিনে ছিলেন। উচ্চ আদালতের জামিনের মেয়াদ শেষ হওয়ায় মানিকগঞ্জ জেলা ও দায়রা জজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে মেয়াদ বৃদ্ধির আবেদন করলে বিচারক জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দিয়েছেন।’
২৬৪ দিন আগে
ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ: ভাঙচুর-লুটপাটের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪৯
সারা দেশে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালীন ভাঙচুর ও লুটপাটের সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে ৪৯ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গতকাল সোমবার দেশের বেশ কয়েকটি শহরে ইসরায়েলবিরোধী বিক্ষোভ চলাকালে এসব ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে।
মঙ্গলবার (৮ এপ্রিল) প্রধান উপদেষ্টার ভ্যারিফায়েড ফেসবুক অ্যাকাউন্টে পোস্ট করা এক বিবৃতিতে এই তথ্য তুলে ধরা হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনায় আনুষ্ঠানিকভাবে দুটি মামলা দায়ের করা হয়েছে। এসব মামলার তদন্ত চলছে এবং এই নিন্দনীয় কাজের জন্য দায়ীদের বিরুদ্ধে আরও মামলা দায়েরের প্রক্রিয়া চলছে।
এতে আরও বলা হয়, দোষীদের বিচারের আওতায় আনতে পুলিশ গত রাতে অপরাধীদের ধরতে অভিযান চালিয়েছে। আইন প্রয়োগকারী সংস্থা জড়িত ব্যক্তিদের শনাক্ত করতে বিক্ষোভের সময় ধারণ করা ভিডিও ফুটেজ পর্যালোচনা করছে। এই সহিংসতা ও ধ্বংসযজ্ঞের জন্য দায়ী সবাইকে গ্রেপ্তার না করা পর্যন্ত এই অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও উল্লেখ করা হয়।
আরও পড়ুন: ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেপ্তার
তদন্তে সহায়তা করতে পারে—এমন তথ্য যাদের কাছে আছে তাদের সহযোগিতাও কামনা করা হয় বিবৃতিতে।
এতে বলা হয়, এই ধরনের হামলা ও ভাঙচুরের ঘটনা জননিরাপত্তা এবং আইনের শাসনের প্রতি অবমাননাকর। যারা সমাজের শান্তি ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করতে চায় তাদেরকে জবাবদিহির আওতায় আনতে সবাইকে একসঙ্গে কাজ করার আহ্বানও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: যুক্তরাষ্ট্রে শয়তান সংঘের সভায় হাতাহাতি, গ্রেপ্তার ৩
২৬৫ দিন আগে
ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজ গ্রেপ্তার
রাজধানীর উত্তরার নিজ বাসা থেকে ব্যারিস্টার তুরিন আফরোজকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
সোমবার (৭ এপ্রিল) রাতে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন বিভাগের উপ-কমিশনার মুহাম্মদ তালেবুর রহমান এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি বলেন, উত্তরা পশ্চিম থানার পুলিশ তার বিরুদ্ধে দায়ের করা একটি হত্যাচেষ্টা মামলার অভিযোগে তাকে তার বাসা থেকে আটক করেছে।
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে থানায় ঢুকে গালাগাল, দুই যুবদল নেতা গ্রেপ্তার
২৬৫ দিন আগে
অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় নারী-শিশুসহ ৯ জন আটক
বেনাপোল সীমান্ত দিয়ে ভারত থেকে অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় নারী ও শিশুসহ ৯ জনকে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) সদস্যরা।
সোমবার (৭ মার্চ) বিকালে বেনাপোলের ধান্যখোলা সীমান্তের জেলেপাড়া পোস্ট এলাকা থেকে তাদের আটক করা হয়। তাদের মধ্যে তিনজন পুরুষ, দুটি শিশু ও চারজন নারী রয়েছে।
আটকরা হলেন— নড়াইল জেলার নড়াইল উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের মিলন মোল্লা (২৭), কালিয়া উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের সাইদুল ইসলাম (২৭), মনিরামপুর উপজেলার তেতুলিয়া গ্রামের শিমুল হোসেন (৩২), যশোরের কেশবপুর উপজেলার করিমন বিবি (৫০), নড়াইল উপজেলার ছোট বাগডাঙ্গা গ্রামের জান্নাত (২৪), একই উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের বন্যা খাতুন (২২), একই উপজেলার বাগডাঙ্গা গ্রামের সোহাগী (২), নড়াইলের কালিয়া উপজেলার সাতবাড়িয়া গ্রামের হালিমা খাতুন (৪) ও নড়াইল উপজেলার আমবাড়ি গ্রামের সোয়াইফা (৬০)।
আরও পড়ুন: ভারতে অনুপ্রবেশের চেষ্টা: পঞ্চগড়ে দালাল ও শিশুসহ তিন বাংলাদেশি আটক
যশোর ৪৯ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধীনে বেনাপোলের ধান্যখোলা ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার আব্দুল গনি বলেন, ‘অবৈধভাবে বাংলাদেশে অনুপ্রবেশের সময় নারী-শিশুসহ ৯ জন আটক করে।’
আটকদের বিরুদ্ধে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে মামলা দিয়ে বেনাপোল পোর্ট থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে বলে জানান ধান্যখোলা ক্যাম্পের কমান্ডার সুবেদার আব্দুল গনি।
২৬৫ দিন আগে
ঋণ জালিয়াতি: সোনালী ব্যাংকের সাবেক এমডিসহ ১১ জনের সাজা
ঋণ জালিয়াতির মাধ্যমে সোনালী ব্যাংকের টাকা আত্মসাতের দায়ে ব্যাংকটির সাবেক ব্যবস্থাপনা পরিচালকসহ (এমডি) ১১ জনকে বিভিন্ন মেয়াদে কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সোমবার (৭ এপ্রিল) ঢাকার বিশেষ দায়রা জজ আদালত-৬ এর বিচারক মো. জাকারিয়া হোসেন এ রায় ঘোষণা করেন।
দণ্ডিতরা হলেন— ব্যাংকের সাবেক এমডি হুমায়ুন কবির, ডিএমডি মাইনুল হক, জিএম ননী গোপাল নাথ ও মীর মহিদুর রহমান, এজিএম সাইফুল হাসান ও কামরুল হোসেন খান, ডিজিএম সফিজ উদ্দিন আহমেদ, খান জাহান আলী সোয়েটার্স লিমিটেডের চেয়ারম্যান তাজুল ইসলাম, ব্যবস্থাপনা পরিচালক আব্দুল জলিল শেখ, পরিচালক রফিকুল ইসলাম এবং মীর মোহাম্মদ শওকত আলী।
আরও পড়ুন: কুয়েটের ১০ শিক্ষার্থী আজীবন বহিষ্কার, বিভিন্ন মেয়াদে তিনজনের সাজা
দণ্ডিতদের মধ্যে প্রথম ৭ জনকে (সোনালী ব্যাংকের সাবেক কর্মকর্তা) বিশ্বাস ভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
অর্থ অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাস বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। শেষের ৪ জনকে বিশ্বাস ভঙ্গ করে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ৩ বছরের সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ কোটি ১৪ লাখ ৭৫ হাজার ৬৬৮ টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে, যা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত হবে। এ অর্থ আদায়ের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
প্রতারণার দায়ে তাদের ৭ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ডের পাশাপাশি ১ লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে। অর্থ অনাদায়ে তাদের আরও ৬ মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
দুই ধারার সাজা একটির পর একটি চলবে মর্মে আদেশ দিয়েছেন আদালত। সেক্ষেত্রে তাদের ১০ বছরের কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে বলে আদালত সূত্রে জানা গেছে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের বেঞ্চ সহকারী ফকির মো. জাহিদুর ইসলাম বলেছেন, ‘রায়ের সময় ৪ আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। রায় শেষে সাজা পরোয়ানা দিয়ে তাদেরকে আবার কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়। ৭ আসামি পলাতক আছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।’
২৬৫ দিন আগে
উদ্ধারকৃত গাঁজা বিক্রি মাদক ব্যবসায়ীর কাছে, জড়িত ৬ পুলিশ
নরসিংদীর শিবপুরের একটি লটকন বাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় উদ্ধারকৃত ৯৬ কেজি গাঁজা মালখানায় জমা না দিয়ে মাদক ব্যবসায়ীর কাছে বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ প্রমাণ হয়েছে জেলার ৬ পুলিশ কর্মকর্তা ও সদস্যের বিরুদ্ধে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) নরসিংদী জেলার পুলিশ সুপার আব্দুল হান্নান এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘এ ঘটনায় জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কলিমুল্লাহ দীর্ঘ তদন্ত শেষে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন। রিপোর্টে প্রাথমিকভাবে পুলিশের জড়িত থাকার সত্যতা পাওয়া গেছে।’
অভিযুক্ত পুলিশ সদস্যরা হলেন— নরসিংদীর ডিবি পরিদর্শক কামরুজ্জামান, কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেন, নরসিংদী সদর পুলিশ কোর্টের মালখানার অফিসার উপপরিদর্শক (এসআই) (নিরস্ত্র) মো. শামিনুর রহমান এবং এক নারী সদস্যসহ তিন কনস্টেবল।
হান্নান বলেন, ‘পরবর্তী ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে অবহিত করা হয়েছে। এ বিষয়ে ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ ব্যবস্থা গ্রহণ করবেন।’
প্রসঙ্গত, গত ৪ মার্চ নরসিংদীর শিবপুরের একটি লটকন বাগান থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ৯৬ কেজি গাঁজা উদ্ধার করে নরসিংদী ডিবি পুলিশ। উদ্ধারকৃত গাঁজা আদালতের মালখানায় জমা না দিয়ে কিংবা ধ্বংস না করে মাদক বিক্রেতার নিকট বিক্রি করে দেয়ার অভিযোগ ওঠে নরসিংদী ডিবির পরিদর্শক কামরুজ্জামানসহ কয়েক পুলিশের বিরুদ্ধে।
আরও পড়ুন: ৯৬ কেজি গাঁজা বিক্রির অভিযোগ ২ পুলিশ পরিদর্শকের বিরুদ্ধে
পরবর্তীতে ডিবি পরিদর্শক কামরুজ্জামান ও কোর্ট পুলিশ পরিদর্শক খন্দকার জাকির হোসেনকে প্রথমে নরসিংদী পুলিশ লাইনে ও পরে ডিআইজি ঢাকা রেঞ্জ অফিসে সংযুক্ত করা হয়। ঘটনা খতিয়ে দেখতে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (প্রশাসন) কলিমুল্লাহকে প্রধান করে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয় এবং তদন্তের জন্য ৩ দিন সময় বেধে দেয়া হয়েছিল। পরবর্তীতে তিনদিন অতিক্রান্ত হওয়ার পূর্বে আবেদনের মাধ্যমে তদন্তের সময় বৃদ্ধি করেন তদন্ত কর্মকর্তা। রোববার আনুষ্ঠানিক এতদিনের তদন্তের প্রতিবেদন দাখিল করা হয়েছে।
২৬৬ দিন আগে
এসএসএফের সাবেক মহাপরিচালক ও তার স্ত্রীর ফ্ল্যাট-জমিসহ ৩৪ ব্যাংক হিসাব জব্দ
অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে স্পেশাল সিকিউরিটি ফোর্সের (এসএসএফ) সাবেক মহাপরিচালক মো. মজিবুর রহমান ও তার স্ত্রী তাসরিন মুজিবের ৩৪টি ব্যাংক হিসাব জব্দের আদেশ দিয়েছেন আদালত। এসব হিসাবে ১ কোটি ৪৪ লাখ ৯৯ হাজার ২০০ টাকা রয়েছে। এছাড়া ঢাকা মহানগরে থাকা দুটি ফ্ল্যাট, একটি প্লটসহ ৬৯ দশমিক ৭৯ শতক জমি জব্দের আদেশ দেওয়া হয়েছে।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকা মেট্রোপলিটন সিনিয়র স্পেশাল জজ জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুদকের আবেদনের প্রেক্ষিতে এই আদেশ দেন।
দুদকের জনসংযোগ কর্মকর্তা আকতারুল ইসলাম বলেন, ‘মজিবুর রহমানের ২৪টি ও তার স্ত্রীর ১০টি ব্যাংক হিসাব জব্দ ও ফ্ল্যাট, প্লট, জমি অবরুদ্ধের আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন মঞ্জুর করেছেন।’ জব্দ হওয়া সম্পদের মধ্যে রয়েছে— মুজিবুরের নিজ নামে থাকা মিরপুরের মাটিকাটায় ৪ হাজার ৫০ বর্গফুটের একটি ফ্ল্যাট, নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে থাকা একটি প্লটসহ চার দলিলের খিলক্ষেত, মিরপুর, সাভার ও ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের জমি। এছাড়া স্ত্রীর নামে থাকা ঢাকার ক্যান্টনমেন্টের সাহারা এলাকায় একটি ফ্ল্যাট, ক্যান্টনমেন্টের বাউনিয়া এলাকায় ৭ দলিলের জমি।
দুদকের পক্ষে কমিশনের উপপরিচালক মো. সিরাজুল হক সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ চেয়ে আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে প্রসিকিউটর মীর আহমেদ আলী সালাম শুনানি করেন।
আরও পড়ুন: গুমের তদন্তকারীদের হত্যার জন্য বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল: চিফ প্রসিকিউটর
পরে আদালত আবেদন মঞ্জুর করেন। আবেদনে বলা হয়েছে, মুজিবুর রহমান সরকারি বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ পদে কর্মরত থেকে ক্ষমতার অপব্যবহার, বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির মাধ্যমে শত শত কোটি টাকা আত্মসাৎ করে নিজ নামে ও পরিবারের সদস্যদের নামে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করে ভোগ দখলে রাখার অভিযোগ অনুসন্ধানাধীন রয়েছে। তিনি পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে অপরাধমূলক অসদাচরণ, ক্ষমতার অপব্যবহার ও অসাধু উপায়ে নিজ ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে বিপুল পরিমাণ জ্ঞাত আয়ের উৎসের সঙ্গে অসঙ্গতিপূর্ণ সম্পদের মালিকানা অর্জন করেন।
আবেদনে আরও বলা হয়েছে, তার দখলে রাখা ও বিভিন্ন ব্যাংক হিসাবে বিপুল পরিমাণ টাকা জমা এবং উত্তোলনের মাধ্যমে সন্দেহজনক লেনদেন করে মানিলন্ডারিংয়ের সম্পৃক্ত অপরাধের মাধ্যমে প্রাপ্ত অর্থ বা সম্পত্তির অবৈধ উৎস গোপন বা আড়াল করার উদ্দেশ্যে রূপান্তর, স্থানান্তর ও হস্তান্তর করার অভিযোগ রয়েছে। তিনি অবৈধ পন্থায় অর্জিত সম্পদ অন্যত্র বিক্রয়, স্থানান্তর বা বেহাত করার প্রচেষ্টায় রয়েছেন। এ কারণে তার নিজ, স্ত্রী ও স্বার্থ সংশ্লিষ্ট ব্যক্তির নামে বিভিন্ন স্থাবর সম্পদজব্দ ও ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ করা প্রয়োজন।
তাদের স্থাবর সম্পদ জব্দ ও ব্যাংক হিসাবসমূহ অবরুদ্ধ করা না গেলে বিচারকালে তা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা সম্ভব হবে না। এতে রাষ্ট্রের অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভবনা রয়েছে।
২৬৬ দিন আগে
গুমের তদন্তকারীদের হত্যার জন্য বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল: চিফ প্রসিকিউটর
গুমের তদন্তকারীদের হত্যার জন্য বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল বলে জানিয়েছেন আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের চিফ প্রসিকিউটর তাজুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘জুলাই গণহত্যার তিন মামলার তদন্ত প্রতিবেদন প্রসিকিউশনের হাতে এসেছে। এগুলো যাচাই-বাছাই চলছে। আমরা আশা করছি— অন্তত দুটি মামলার ফরমাল চার্জ এ মাসেই দাখিল করতে পারব।’
রবিবার (৬ এপ্রিল) আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনাল প্রাঙ্গণে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন। তাজুল ইসলাম বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের তদন্ত সংস্থা গুমের মামলাগুলো তদন্ত করছে।’
টিএফআই সেলের নাম উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘সেটার ভেতরে ভূগর্ভস্থ অনেকটা বলা যাবে, সেমি ভূগর্ভস্থ সেলগুলো আবিষ্কার করা হয়েছে। যেগুলো ওয়াল তুলে বন্ধ করা হয়েছে। সেই ওয়াল ভাঙতে হয়েছে। পুরো গার্বেজ দিয়ে সেটাকে ভরে রাখা হয়েছে। সেগুলো সরিয়ে ক্রাইম সিনগুলো বের করতে হয়েছে।’
আরও পড়ুন: হাসিনা তখন হাসপাতালে গিয়ে ‘নো ট্রিটমেন্ট, নো রিলিজের’ নির্দেশ দেন: চিফ প্রসিকিউটর
‘আপনারা জানেন, এই কাজ করতে গিয়ে স্বয়ং চিফ প্রসিকিউটর তিনি এই ইনভেস্টিগেশন চলাকালে প্রেজেন্ট ছিলেন। আমরা যখন না বুঝে..., সেখানে বোমা ফিট করা ছিল, সেই বোমাগুলোর সঙ্গে টাইমার সেট করা ছিল। আমাদের অ্যাপারেন্টলি বোঝা যায় যে এই ইনভেস্টিগেশন করতে যারা গিয়েছেন, তাদের হত্যা করারও চেষ্টা করা হয়েছে।’
পরে এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‘এ বিষয়ে আর মন্তব্য করছি না। সময় হলে জানতে পারবেন। এত সব জটিলতার মধ্য দিয়ে যে কাজগুলো এগিয়েছে, সেগুলো প্রতিদিন জনসমক্ষে আসেনি। যে কারণে অনেকে মনে করতে পারেন যে তদন্তকাজ কিছু হয়নি।’
তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার বিষয়ে তাজুল ইসলাম বলেন, ‘হত্যা-গণহত্যার অভিযোগে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলা, আশুলিয়ায় লাশ পোড়ানোর মামলা ও চানখারপুল গণহত্যার মামলার তদন্ত প্রতিবেদন হাতে এসেছে। এর মধ্যে অন্তত দুটি মামলার ফরমাল চার্জ এ মাসেই ট্রাইব্যুনালে দাখিল করা হবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আজ (রবিবার) যাত্রাবাড়ীতে গণহত্যার অভিযোগে করা মামলায় তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তিন মাস সময় মঞ্জুর করেছেন ট্রাইব্যুনাল। সাভারের আসহাবুল ইয়ামিন হত্যা মামলার আসামি সোহেল মিয়াকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১৩ এপ্রিল ও চানখারপুলে হত্যাকাণ্ডে করা মামলায় পুলিশ কর্মকর্তা নাসিরুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ১০ এপ্রিল দিন ধার্য করেছেন ট্রাইব্যুনাল।’
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘ট্রাইব্যুনালের বিচারকে বাধাগ্রস্ত করার জন্য নানামুখী ষড়যন্ত্র চলছে। কোনো ষড়যন্ত্র, কোনো স্ক্যান্ডাল বিচারকাজ থামাতে পারবে না। ট্রাইব্যুনালের প্রসিকিউশন ও তদন্ত সংস্থার কোনো দুর্নীতি কেউ প্রমাণ করতে পারবে না। এছাড়া আমিসহ গুমের মামলা তদন্ত দলকে হত্যার জন্য বোমা পুঁতে রাখা হয়েছিল। কোনো ষড়যন্ত্র বিচার বাধাগ্রস্ত করতে পারবে না।’
আরও পড়ুন: আলেপ-মহিউদ্দিনের বিরুদ্ধে গুম ও ধর্ষণের প্রমাণ মিলেছে: চিফ প্রসিকিউটর
চিফ প্রসিকিউটর বলেন, ‘আমরা মনে করি, একটি ট্রাইব্যুনাল যথেষ্ট নয়। আরও ট্রাইব্যুনাল হওয়া উচিত। সরকার এ বিষয়ে ইতিবাচক চিন্তা-ভাবনা করেছে। খুব সহসাই অন্তত দ্বিতীয় ট্রাইব্যুনালের যাত্রা শুরু হবে বলে আমরা আশা করছি। তবে আসামিদের পক্ষ থেকে বিচার বানচালের চেষ্টা সফল হবে না।’
২৬৬ দিন আগে
ইভ্যালির রাসেল-শামীমার ৩ বছরের কারাদণ্ড
প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে তিন বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
রবিবার (৬ এপ্রিল) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট মো. মিনহাজুর রহমানের আদালত এ রায় দেন। দণ্ডের পাশাপাশি প্রত্যেককে পাঁচ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী সাকিবুল ইসলাম বলেন, আসামিরা পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীর দুই বছর করে কারাদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইভ্যালি বিভিন্ন মাধ্যমে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রি করত। এতে আকৃষ্ট হয়ে মুজাহিদ হাসান ফাহিম নামে এক ব্যক্তি তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২১ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ বাইক অর্ডার করেন। যার মূল্য পরিশোধ করেন। তবে কর্তৃপক্ষ ৪৫ দিনের মধ্যে বাইকটি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়। পরে তিনি ধানমন্ডি অফিসে যোগাযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ পাঁচ লাখ টাকার চেক দেন।
তবে ব্যাংক হিসাবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করেন।
আসামিদের কথা বিশ্বাস করে তিনি চেকটি ব্যাংকে জমা দেননি। পরবর্তীতে বাদী টাকা আদায়ের জন্য তাগাদা দিতে থাকেন। তবে তারা কোনো টাকা তাকে ফেরত দেননি। এর পর লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েও কাজ হয়নি।
এ ঘটনায় মুজাহিদ হাসান ফাহিম ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আদালতে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
গত ২৯ জানুয়ারি মোহাম্মদ রাসেল এবং শামীমা নাসরিনকে প্রতারণার মামলায় দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেন আদালত।
২৬৭ দিন আগে
সিলেটে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সিলেটে প্রায় পৌনে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়েছে। সিলেট ও সুনামগঞ্জ সীমান্তের বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে এসব পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)। জব্দ করা পণ্যের আনুমানিক মূল্য ১ কোটি ৭৪ লাখ ২৬ হাজার ৫০ টাকা।
বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি) জানায়, বৃহস্পতিবার (৩ এপ্রিল) সিলেট এবং সুনামগঞ্জ জেলার সীমান্তবর্তী এলাকায় সংগ্রাম, দমদমিয়া, লবিয়া, কালাইরাগ, তামাবিল, বাংলাবাজার, শ্রীপুর ও বিছনাকান্দিতে অভিযান পরিচালনা করে বিপুল পরিমানে ভারতীয় পণ্য জব্দ করা হয়।
আরও পড়ুন: সুনামগঞ্জে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
জব্দ করা পণ্যের মধ্যে রয়েছে— মোবাইল ডিসপ্লে, মেলনোর ক্রিম, ক্লোবিটা ক্রিম, গোমেলা ক্রিম, ফোমিং ফেস ওয়াশ, স্কিন সানরাইজ ক্রিম, আল্ট্রা ব্রাইট ক্রিম, স্কিন সাইন ক্রিম, হোয়াইট টোন ক্রিম, চকলেট, ক্লোপ জি ক্রিম, হেয়ার ফল সিরাম, চিনি, গ্লোটাবেট সি ক্রিম, সানস্কিন জেল, গরু, শুটকি, সুপারি, বিয়ার, মদ। বাংলাদেশ থেকে পাচারকালে শিং মাছ ও ইজিবাইক জব্দ করা হয়।
সিলেট ব্যাটালিয়নের (৪৮ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল মো. হাফিজুর রহমান বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন সদরের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা ও চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা সর্বোতভাবে অব্যাহত রয়েছে। আটককৃত চোরাচালানী মালামালগুলোর বিষয়ে বিধি মোতাবেক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
২৬৯ দিন আগে