আইনশৃঙ্খলা
আ.লীগের সাবেক এমপি নাসিম ও স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন ও মানি লন্ডারিং আইনে আওয়ামী লীগের সাবেক সংসদ সদস্য আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ও তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর বিরুদ্ধে মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বুধবার (১৯ মার্চ) দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান বাদী হয়ে ফেনীর বিশেষ জজ আদালতে মামলাদুটি করেছেন বলে নিশ্চিত করেন ওই কার্যালয়ের আদালত পরিদর্শক (কোর্ট ইন্সপেক্টর) মো. ইদ্রিস।
অভিযুক্ত নাসিম ফেনী-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য। তিনি ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার একসময়ের প্রটোকল কর্মকর্তা ছিলেন। তার স্ত্রী বঙ্গবন্ধু মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ হাসপাতালের কার্ডিওলজি বিভাগের অধ্যাপক।
মামলায় নাসিমের বিরুদ্ধে ৭৪ কোটি ৫২ লাখ ১৭ হাজার ৭৫৭ টাকা এবং তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর বিরুদ্ধে ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের তথ্য পাওয়ার কথা উল্লেখ করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: আরেক মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
আদালত পরিদর্শক মো. ইদ্রিস বলেন, ‘দুদকের নোয়াখালী সমন্বিত জেলা কার্যালয়ের উপপরিচালক মো. ফারুক আহমেদ ও সহকারী পরিচালক আবদুল্লাহ আল নোমান অনুসন্ধান করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পেয়ে মামলা দুটি করেছেন।’
মামলা সূত্রে জানা গেছে, আলাউদ্দিন আহমেদ চৌধুরী নাসিম ১৯৮৬ সালে বিসিএস প্রশাসন ক্যাডারে সরকারি চাকরিতে যোগ দেন। ২৩ বছর পর ২০০৯ সালে যুগ্ম সচিবের পদ থেকে তিনি স্বেচ্ছায় অবসর গ্রহণ করেন। পরে আওয়ামী লীগের রাজনীতিতে যোগ দিয়ে নানা অনিয়মে জড়িয়ে পড়েন তিনি। গত বছর ফেনী-১ আসনে আওয়ামী লীগের মনোনয়নে সংসদ সদস্যও নির্বাচিত হন নাসিম।
তিনি ফেনী, চট্টগ্রাম, পিরোজপুর, কক্সবাজার, মৌলভীবাজার, নারায়ণগঞ্জ, গাজীপুর ও ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন এলাকায় মোট ১২৬টি দলিলের মাধ্যমে পাঁচটি ফ্ল্যাট ও দুটি প্লটসহ মোট ৩৯ কোটি ৮ লাখ ৪৪ হাজার ৬০৫ টাকার স্থাবর সম্পত্তি ক্রয় করেছেন বলে মামলায় উল্লেখ করা হয়েছে।
এছাড়া তার নামে ১৪টি ব্যাংক হিসাবে মোট ৮ কোটি ২৫ লাখ ৪৮ হাজার ১০৮ টাকা জমা থাকার তথ্য পাওয়া গেছে বলে মামলা সূত্রে জানা যায়।
আরও পড়ুন: অস্ত্র মামলায় ১৭ বছরের দণ্ড থেকে খালাস পেলেন বাবর
এ ছাড়াও, ১৫টি কোম্পানিতে ৩৪ কোটি ৬২ লাখ ৩৯ হাজার ৯৫৪ টাকার শেয়ারসহ তার নামে ঢাকা-চট্টগ্রামে ২৭ লাখ ৩৩ হাজার ৪৬ টাকায় ১০টি ক্লাবের সদস্যসহ স্থাবর-অস্থাবর মিলিয়ে মোট ৮৪ কোটি ৮৭ লাখ ৩৫ হাজার ৭১৩ টাকার সম্পদের খোঁজ পাওয়া যায়। পারিবারিক ব্যয়সহ এ হিসাবের পরিমাণ ১০২ কোটি ৩৮ লাখ ৭ হাজার ৪৯১ টাকা।
অন্যদিকে, তার স্ত্রী ডা. জাহানারা আরজুর নামে ফ্ল্যাট, প্লট ও জমিসহ মোট ১২ কোটি ৪৭ লাখ ২৬ হাজার ১৮৯ টাকার জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জন করায় দুদক আইনসহ মানি লন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে মামলা করা হয়েছে।
২৮৩ দিন আগে
আরেক মামলা থেকে খালাস পেলেন তারেক রহমান
বসুন্ধরা গ্রুপের তথ্য প্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সাব্বির আহমেদ হত্যা মামলার আসামিদের বাঁচাতে ২১ কোটি টাকা ঘুষ গ্রহণের মামলায় বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান এবং প্রাক্তন স্বরাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী লুৎফজ্জামান বাবরসহ আটজনকে খালাস দিয়েছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৩ এর বিচারক আবু তাহেরের আদালত এ রায় দেন।
খালাস পাওয়া অপর আসামিরা হলেন-বসুন্ধরা গ্রুপের চেয়ারম্যান আহমেদ আকবর সোবহান ওরফে শাহ আলম ও তার দুই ছেলে সাফিয়াত সোবহান এবং সাদাত সোবহান, আবু সুফিয়ান, কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে ইকোনো কামাল, তারেক রহমানের সাবেক একান্ত সহকারি সচিব (এপিএস) মিয়া নুরুদ্দিন অপু।
এদিন আবু সুফিয়ান, কাজী সলিমুল হক কামাল আদালতে হাজির ছিলেন। জামিনে থাকা অপর আসামিদের পক্ষে সময় আবেদন করা হয়।
আসামিপক্ষের আইনজীবী আলহাজ বোরহান উদ্দিন খালাসের তথ্য নিশ্চিত করেন।
২০০৭ সালের ৪ অক্টোবর মামলাটি দায়ের করে দুদক। মামলাটিতে ২০০৮ সালের ২৪ এপ্রিল আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়।
আরও পড়ুন: ক্ষমতায় গেলে স্বৈরাচার-বিরোধী আন্দোলনে হওয়া সব হত্যার বিচার করবে বিএনপি: তারেক রহমান
অভিযোগপত্রে বলা হয়, সাব্বির হত্যা মামলার ঘটনা ধামাচাপা দিতে তারেক, বাবর ও শাহ আলমের মধ্যে বাবরের বেইলি রোডের সরকারি বাসায় একটি বৈঠক হয়। বৈঠকে শাহ আলমের কাছে ১০০ কোটি টাকা দাবি করেন তারেক ও বাবর।
৫০ কোটি টাকার বিনিময়ে এই হত্যা রহস্য ধামাচাপা দেওয়ার জন্য তারেক ও বাবরের সঙ্গে শাহ আলমের চুক্তি হয়। চুক্তি অনুসারে শাহ আলমের কাছ থেকে বাবর ২১ কোটি টাকা গ্রহণ করেন।
এ টাকার মধ্যে বাবরের নির্দেশে বসুন্ধরা গ্রুপের পরিচালক আবু সুফিয়ান ২০০৬ সালের ২০ আগস্ট হাওয়া ভবনে ১ কোটি টাকা তারেকের পিএস অপুকে বুঝিয়ে দেন। বাবর ৫ কোটি টাকা আবু সুফিয়ানের মাধ্যমে নগদ গ্রহণ করে কাজী সালিমুল হক কামালের কাছে জমা রাখেন।
বাকি ১৫ কোটি টাকা বাবরের নির্দেশে আবু সুফিয়ান প্রাইম ব্যাংকের বিভিন্ন শাখায় সালিমুল হক কামালকে ২০টি চেকের মাধ্যমে দেন। ওই বছরের ১৪ জুলাই আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করেন আদালত।
২৮৪ দিন আগে
হাইকোর্টের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ
সুপ্রিমকোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে অপসারণ করা হয়েছে। বুধবার (১৯ মার্চ) এ বিষয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে আইন বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়।
সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদের ছয় দফা অনুযায়ী রাষ্ট্রপতি তাকে অপসারণ করেছেন।
প্রজ্ঞাপন অনুসারে, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬-এর দফা ছয় (৬) মোতাবেক সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি খিজির হায়াতকে বিচারক পদ থেকে ১৮ মার্চ তারিখে অপসারণ করেছেন।
১৯৬৭ সালের ২৪ জানুয়ারি জন্ম নেয়া খিজির হায়াত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে লেখাপড়া করেন। পরে ১৯৯৭ সালের ৬ আগস্ট ঢাকা জেলা জজ কোর্টে এবং ২০০১ সালের ৯ ফেব্রুয়ারি হাইকোর্ট বিভাগের আইনজীবী হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হন। ২০১৮ সালের ৩১ মে হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান। এর দুই বছর পর স্থায়ী হন তিনি।
আরও পড়ুন: হাসিনার সচিব ও আমলাদের অপসারণে বিক্ষোভ
দুর্নীতিবাজ ও ফ্যাসিস্টের দোসর বিচারকদের পদত্যাগের দাবিতে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে প্রাথমিকভাবে হাইকোর্ট বিভাগের ১২ বিচারপতিকে ২০ অক্টোবর থেকে বিচারকাজ থেকে বিরত রাখা হয়।ওই ১২ বিচারপতির মধ্যে বিচারপতি খিজির হায়াতও ছিলেন। বিচারপতি খিজির হায়াত ছাত্রলীগের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি ছিলেন।
২৮৪ দিন আগে
জুলাই আন্দোলন নিয়ে চলচ্চিত্র ‘দ্য রিমান্ড’ প্রদর্শনীর অনুমতি দিতে নির্দেশ হাইকোর্টের
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত ‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন সনদ ইস্যু করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।
এক রিটের প্রাথমিক শুনানি নিয়ে বুধবার (১৯ মার্চ) বিচারপতি মো. আকরাম হোসেন চৌধুরী ও বিচারপতি কে এম রাশেদুজ্জামান রাজার হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে ছিলেন আইনজীবী মো. গিয়াস উদ্দিন চৌধুরী। তিনি জানান, তিন দিনের মধ্যে সার্টিফিকেশন সনদ ইস্যু করার নির্দেশ দিয়ে রুল জারি করেন আদালত।
এর আগে চলচ্চিত্রটির প্রযোজক ও নির্মাতা সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল এ রিট করেন। রিটে বিবাদী করা হয়েছে তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রণালয়ের সচিব, ভাইস চেয়ারম্যান ও উপ-পরিচালক বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড।
আশরাফুর রহমানের পরিচালনায় চলচ্চিত্রটিতে অভিনয়ে থাকছেন জাকিয়া বারী মম, পারভেজ আবির চৌধুরী, সালহা খানম নাদিয়া, লুত্ফর রহমান জর্জসহ অনেকে।
নির্মাণ শেষে সিনেমাটি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ডে জমা দেওয়া হয়। ৩০ ডিসেম্বর সিনেমাটি প্রিভিউ করলেও এখনো প্রদর্শনের অনুমতি পাননি সংশ্লিষ্টরা। পরে দুইবার আইনি নোটিশ দিয়েও কোনো সাড়া না পেয়ে তিন দিনের মধ্যে মুক্তির নির্দেশনা চেয়ে প্রযোজক হাইকোর্টে রিট করেন।
এর আগে ১৫ ফেব্রুয়ারি জাতীয় প্রেস ক্লাবে ‘মুক্ত বাংলাদেশে স্বাধীন শিল্প সংস্কৃতিচর্চা’ শীর্ষক আলোচনা এবং জুলাই ২০২৪ ছাত্র আন্দোলনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত চলচ্চিত্র ‘দ্য রিমান্ড’র টিজার প্রদর্শনী অনুষ্ঠান আয়োজন করে ‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্রের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান রেডপোস্ট ক্রিয়েশন।
আরও পড়ুন: নীতিমালা ছাড়া রাষ্ট্রপতির ক্ষমার ক্ষমতা প্রশ্নে হাইকোর্টের রুল
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদের সদস্যসচিব ও বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গণি চৌধুরী বলেন, আমার কাছে মনে হয়েছে চলচ্চিত্রটি একটি প্রামাণ্যচিত্র। এই চলচ্চিত্র বাংলার ঐতিহাসিক অংশ। জুলাই বিপ্লবকে বাংলার ইতিহাস থেকে মুছে ফেলা যাবে না। আমি মনে করি, চলচ্চিত্রটি নির্মাণের মধ্য দিয়ে এদেশের জনগণের মধ্যে দেশপ্রেম জাগ্রত করা হয়েছে। ঘৃণা ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ক্ষতির বিরুদ্ধে, রক্তপাতের বিরুদ্ধে। আমি মনে করি, জুলাই বিপ্লবের বীর শহীদদের প্রতি সম্মান জানানোর জন্য এটা একটি অসাধারণ কাজ।
‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্রের প্রযোজক অ্যাডভোকেট সৈয়দ বেলায়েত হোসেন বেলাল বলেন, ‘দ্য রিমান্ড’ একটি ফিল্ম, একটি ঐতিহাসিক দলিল। ছাত্র-জনতার বীরত্ব ত্যাগের ইতিহাস স্মরণীয় বরণীয় করে রাখতে জাতীয় দায়িত্ব হিসেবে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়েছে।
সময়ের অন্যতম চলচিত্র ‘দ্য রিমান্ড’ ৩০ ডিসেম্বর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড পরীক্ষণ কার্যক্রম সম্পন্ন করেছে। রাষ্ট্রবিরোধী গল্প, বক্তব্য, সংলাপ, থিম কিছু থাকলে সাত দিনের মধ্যেই তা চিঠি দিয়ে জানানো আইনের বিধান। কিন্তু তারা কোনো চিঠিপত্র দেয়নি। আলোচনা বা সংলাপ করেনি। অজ্ঞাত কারণে এখনো সনদপত্র ইস্যু করেনি।
তিনি বলেন, অবিলম্বে চলচ্চিত্রটির সনদপত্র ইস্যু করা হোক, ‘দ্য রিমান্ড’ চলচ্চিত্র সার্টিফিকেশন বোর্ড মুক্তি দিক।
আরও পড়ুন: স্বরাষ্ট্র সচিবকে হাইকোর্টে তলব
২৮৪ দিন আগে
নবাবগঞ্জে ৭ বছরের শিশু ধর্ষণ, ধর্ষক গ্রেপ্তার
ঢাকার নবাবগঞ্জে ৭ বছরের এক মাদরাসা ছাত্রীকে বাসায় একা পেয়ে ধর্ষণ করেছে নাজিম নামের এক সিএনজিচালক। ভুক্তভোগীর চিৎকারে স্থানীয় জনতা নাজিমকে গণপিটুনি দিয়ে পুলিশে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (১৮ মার্চ) বিকাল ৫টার দিকে নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে।
ধর্ষণের শিকার শিশুটির প্রথমে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। অবস্থা গুরুতর হলে আজ তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
নবাবগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মমিনুল ইসলাম জানান, মঙ্গলবার বিকাল ৫টার দিকে নবাবগঞ্জের কৈলাইল ইউনিয়নের দৌলতপুর গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। শিশুটি ওই এলাকার এক প্রবাসীর মেয়ে। প্রতিবেশী ধর্ষক নাজিম শিশুটিকে বাড়ির গোসলখানায় নিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে।
তিনি বলেন, ধর্ষণের শিকার শিশুর চিৎকারে প্রতিবেশীরা মঙ্গলবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় প্রথমে তাকে নবাবগঞ্জ স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে আসলে চিকিৎসক তাকে রাতে মিটফোর্ড হাসপাতাল পাঠায়। সেখানে তার অবস্থা অবনতি হলে আজ দুপুরে উন্নত চিকিৎসার জন্য তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজে পাঠানো হয়।
আরও পড়ুন: শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষক জাহিদুলের মৃত্যুদণ্ড
মঙ্গলবার রাত ৮টায় ধর্ষণের খবর স্থানীয় জনতা ধর্ষক সিএনজিচালক নাজিমকে গণপিটুনি দিয়ে নবাবগঞ্জ থানা পুলিশে দেয় বলে জানান তিনি।
শিশুটি বাড়ির পাশের একটি মাদরাসার দ্বিতীয় শ্রেণির ছাত্রী ছিল।
ওসি মমিনুল ইসলাম বলেন, এ ব্যপারে আজ বুধবার দুপুরে ধর্ষকের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটা মামলা হয়েছে।
২৮৪ দিন আগে
আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা, মেয়েসহ বিএনপি নেত্রী গ্রেপ্তার
বরগুনায় গ্রেপ্তার করা এক আসামিকে ছিনতাই ও পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার মামলায় পাথরঘাটা মহিলা দলের সভানেত্রী ও তার মেয়েকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গ্রেপ্তাররা হলেন— পাথরঘাটা উপজেলা মহিলা দলের সভানেত্রী ইসরাত জাহান শিরিন (৪০) ও তার মেয়ে সারজিনা মিম (২৩)।
শিরিন ও সারজিমা মিম গ্রেপ্তার আসামি মো. সোহানকে ছিনতাই করার চেষ্টা করেছিল। সোহান বরগুনা থানার নিয়মিত মামলার আসামি।
মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মঙ্গলবার রাত ১০টার দিকে নিয়মিত মামলার আসামি সোহানকে গ্রেপ্তার করে থানায় নিয়ে আসা হয়। এর কিছুক্ষণ পর মহিলা দলের সভানেত্রী পরিচয় দিয়ে ইসরাত জাহান ও তার মেয়ে সারজিনা মিম থানার অফিস কক্ষ ও থানা হাজতখানার সামনে থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করে।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
২৮৪ দিন আগে
নিখোঁজের একদিন পর অপহৃত মাদরাসা ছাত্রী উদ্ধার, যুবক গ্রেপ্তার
নিখোঁজের একদিন পর নেত্রকোণার মদন উপজেলা থেকে অপহৃত সপ্তম শ্রেণির মাদরাসা ছাত্রীকে উদ্ধার করেছে পুলিশ। এ সময় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এ ঘটনায় রাতেই ওই ছাত্রীর চাচা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন।
পুলিশ অভিযান চালিয়ে মঙ্গলবার (১৯ মার্চ) রাতে কেন্দুয়া উপজেলার গোগ বাজার এলাকা থেকে আনোয়ারকে গ্রেপ্তার করে। এ সময় ওই ছাত্রীকেও উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার আনোয়ার (২০) মদন উপজেলার বাঁশরী জয়নগর গ্রামের বাসিন্দা।
পরিবারের বরাতে মদন থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) নাঈম মোহাম্মদ নাহিদ হাসান বলেন, ‘মাদরাসা যাওয়ার পথে ছাত্রীকে প্রায় সময় বিরক্ত করতেন আনোয়ার। সোমবার রাত ৯টার দিকে ওই ছাত্রী ঘর থেকে বের হলে আগে থেকেই ওঁৎ পেতে থাকা আনোয়ার জোরপূর্বক তাকে তুলে নিয়ে যান।
আরও পড়ুন: পিরোজপুরে হত্যা মামলায় ৫ জনের যাবজ্জীবন
তিনি বলেন, ‘মাদরাসা ছাত্রীকে থানা হেফাজতে রাখা হয়েছে। তার স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য নেত্রকোণা আধুনিক সদর হাসপাতালে পাঠানোর প্রক্রিয়া চলছে।’
এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে। মামলা দায়েরের পর আনোয়ারকে ওই মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হবে বলেও জানান ওসি।
২৮৪ দিন আগে
পুলিশের কল্যাণে প্রধান উপদেষ্টার ৫ নির্দেশনা
তৃণমূল পর্যায়ে পুলিশের কল্যাণ ও সেবার মান উন্নত করতে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। এ সময় পুলিশ বাহিনীর বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ৫টি নির্দেশনা দেন তিনি।
বুধবার (১৯ মার্চ) স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে এক বৈঠকে এসব নির্দেশনা দেন তিনি।
প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
এর আগে সোমবার (১৭ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার তেজগাঁও কার্যালয়ে নিজেদের সুবিধা-অসুবিধা সম্পর্কে মাঠ পর্যায়ের পুলিশ কর্মকর্তাদের বক্তব্য শোনেন অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। তারই পরিপ্রেক্ষিতে আয়োজিত সভায় তৃণমূল পর্যায়ে পুলিশের কল্যাণে বেশ কয়েকটি পদক্ষেপ নিতে তিনি নির্দেশনা দিয়েছেন বলে বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়।
আরও পড়ুন: আইনশৃঙ্খলা উন্নয়নে পুলিশকে প্রধান উপদেষ্টার নির্দেশনা
যেসব বিষয়ে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে, পুলিশে প্রচলিত ঝুঁকি ভাতার প্রচলিত সীমা তুলে দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা, পুলিশের জন্য নতুন ৩৬৪টি পিকআপ ও ১৪০টি প্রিজনার ভ্যান কেনার উদ্যোগ নেওয়া, পুলিশের চলমান নির্মাণ প্রকল্পের ৭০ শতাংশের নিচে সম্পাদিত হওয়া প্রকল্পগুলোতে অর্থ ছাড় করা, ভাড়াকৃত ভবনে অবস্থিত ৬৫টি থানার জমি অধিগ্রহণের জন্য অর্থ ছাড় করা এবং পুলিশের এসআই ও এএসআই র্যাংকের মোটরসাইকেল কেনার জন্য সুদমুক্ত ঋণের বিষয়টি বিবেচনা করা।
এ ছাড়াও পুলিশের কাজের ফলাফলের ভিত্তিতে জেলা পুলিশকে শ্রেণীভুক্ত করে যারা তুলনামূলক কম ভালো কাজ করেছেন তাদের কর্মক্ষমতা বাড়ানোর ব্যবস্থা করতে নির্দেশ দেন প্রধান উপদেষ্টা।
একটি শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠানের জন্য পুলিশের প্রস্তুতি ও করণীয় সম্পর্কে এখন থেকেই উদ্যোগ নিতেও বলেন প্রধান উপদেষ্টা।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরীসহ সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা।
২৮৪ দিন আগে
শিশু ধর্ষণ মামলায় গৃহশিক্ষক জাহিদুলের মৃত্যুদণ্ড
খিলগাঁও থানাধীন বনশ্রীতে সাত বছরের একটি শিশু ধর্ষণ মামলায় ধর্ম বিষয়ের গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলামকে মৃত্যুদণ্ডসহ ৫০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দিয়েছে ট্রাইব্যুনাল।
বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৩ এর বিচারক মোসাম্মৎ রোকশানা বেগম হেপী এ রায় দেন। রায়ে সন্তোষ প্রকাশ করে বাদী বলেন, ‘সব ধর্ষকের কঠিন সাজা হওয়া উচিত, যাতে কেউ এমন ঘৃণ্য কাজের সাহস না পায়।’
এদিকে রায়ে অসন্তোষ প্রকাশ করে উচ্চাদলতে যাবেন বলে জানিয়েছেন আসামিপক্ষ। রায় ঘোষণার সময় দন্ডিত জাহিদুলকে কারাগার থেকে আদালতে নিয়ে আসা হয়।
বরগুনা জেলা সদরের পরীখাল গ্রামের মো. ফজলুল হকের ছেলে জাহিদুল। মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ২৩ মার্চ ভুক্তভোগী শিশুটিকে বাসায় পড়াতে আসেন গৃহশিক্ষক জাহিদুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: আবরার হত্যা: ২০ জনের মৃত্যুদণ্ড ও পাঁচজনের যাবজ্জীবন বহাল
ওইদিন রাত সাড়ে ৮টার দিকে ভুক্তভোগী শিশুর বাবা ও মা বাসা সংলগ্ন গ্যারেজে কাজ করছিলেন। এ সময় হঠাৎ গৃহশিক্ষক জাহিদুলকে তড়িঘড়ি করে বের হয়ে যেতে দেখেন তারা। শিশুটির কান্নার আওয়াজ শুনে তারা ঘরে যান। শিশুটি তাদের জানায়, শিক্ষক তাকে ধর্ষণ করেছে।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগী শিশুর বাবা খিলগাঁও থানায় এ মামলাটি করেন।
২০২১ সালের ২৪ জুলাই মামলাটি তদন্ত করে উইমেন সাপোর্ট অ্যান্ড ইনভেস্টিগেশন ডিভিশনের পুলিশ পরিদর্শক মোসা. রাশিদা জাহান রুনা তালুকদার জাহিদুল ইসলামকে অভিযুক্ত করে আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
বিচার চলাকালে আদালত ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
২৮৪ দিন আগে
ফের রিমান্ডে ইনু-মেনন-আনিসুল ও দীপু মনি
সাবেক মন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, রাশেদ খান মেনন, আনিসুল হক, দীপু মনি এবং সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের আবার বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
বুধবার (১৯ মার্চ) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট শাহিন রেজার আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের এই আদেশ দেন। জাসদ সভাপতি ইনু ছাড়া অন্যরা আওয়ামী লীগের রাজনীতি করেন।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ক্ষমতার আমলে তারা দাপুটে মন্ত্রী ছিলেন। জুলাই অভ্যুত্থানের সময় হত্যা, গুমসহ বিভিন্ন অভিযোগে করা অনেক মামলায় নাম রয়েছে তাদের। এর আগেও কয়েক দফায় তাদের হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছে পুলিশ।
ইনু, মেনন, দীপু মণির চার দিন করে রিমান্ড
আরও পড়ুন: সাবেক নৌমন্ত্রী শাজাহান খান ও তার ছেলের চার দিনের রিমান্ড
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে গুলিতে ওবায়দুল ইসলাম নিহতের মামলায় সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু, ডাক ও টেলিযোগযোগ মন্ত্রী রাশেদ খান মেনন ও সাবেক স্বাস্থ্যমন্ত্রী দীপু মণিকে চার দিন করে রিমান্ড দিয়েছেন আদালত।
আওয়ামী লীগ সরকারে মন্ত্রিত্ব ছাড়াও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে থাকা এই তিন নেতার সাত দিন করে রিমান্ডের আবেদন করা হয়। শুনানির সময় তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের আর্জি জানিয়ে শুনানি করেন। রিমান্ড বাতিল চেয়ে পিটিশন জমা দেন আসামিদের আইনজীবীরা।
তবে আইনজীবীরা শুনানি করেননি। পরে আদালত তাদের প্রত্যেককে চার দিন করে রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত বছরের ৪ আগস্ট বিকাল ৫টার দিকে যাত্রাবাড়ীর কাজলা পেট্রোল পাম্পের সামনে আওয়ামী লীগের নেতারাসহ ১৪ দলের নেতাকর্মীরা অবৈধ অস্ত্র দিয়ে নির্বিচারে হাজার হাজার জনতার ওপর গুলি চালায়।
এতে ওবায়দুল ইসলাম গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান। ওই ঘটনায় শেখ হাসিনা, ওবায়দুল কাদেরসহ ৫৮ জনকে আসামি করে মামলা করেন ওবায়দুলের স্বজন মো. আলী।
আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ড
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে ঢাকার মোহাম্মদপুরের বসিলা এলাকায় মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিতে নিহত হওয়ার মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে হেফাজতে নিয়ে তিন দিন জিজ্ঞাসাবাদের অনুমতি দিয়েছেন আদালত।
মামলার তদন্ত সংস্থা অ্যান্ট্রি টেররিজম ইউনিট তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে। এদিন শুনানির সময় আনিসুল হককে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। আসামিপক্ষের আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন।
শুনানি শেষে আনিসুল হকের তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন আদালত।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত বছরের ২০ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় আওয়ামী লীগ পার্টি অফিসের সামনে মো. সুজন নামের এক ব্যক্তি গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হন। এ ঘটনায় নিহতের ভাই মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মোহাম্মদপুর থানায় মামলা করেন।
আরও পড়ুন: বাড়ি দখল করা কথিত সেই নারী সমন্বয়ক ৪ দিনের রিমান্ডে
সাদেক খানেরও তিন দিনের রিমান্ড
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুরের বসিলায় মিরাজুল ইসলাম অর্ণব নিহত হওয়ার মালায় এই নির্বাচনী এলাকার সাবেক সংসদ সদস্য সাদেক খানের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা পিবিআইর পুলিশ পরিদর্শক তরিকুল ইসলাম তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এদিন শুনানির সময় তাকে আদালতে হাজির করা হয়।
রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন। তবে সাদেক খানের পক্ষে কোনো আইনজীবী ছিলেন না।
আইনজীবী না থাকায় সাদেক খান নিজে কিছু বলবেন কি না, তার কাছে সেটি জানতে চান আদালত। তখন সাদেক খান বলেন, ‘আমি ওইখানে ছিলাম না। আর গুলি পাব কোথায়?’
আরও পড়ুন: সাবেক বিচারপতি মানিকের দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
এসময় তাকে থামিয়ে দেন এক আইনজীবী। তখন তিনি বলেন, ‘আমাকে তো আদালত বলতে বলেছেন।’
পরে আদালত তার তিন দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।
মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের মধ্যে রাজধানীর মোহাম্মদপুরের বসিলায় গত বছরের ১৯ জুলাই অংশ নেন মিরাজুল ইসলাম অর্ণব। পরে গুলিবিদ্ধ হয়ে মারা যান তিনি।
২৮৫ দিন আগে