আইনশৃঙ্খলা
৯০ দিনের মধ্যে ধর্ষণের বিচার করতে হবে: আইন উপদেষ্টা
ধর্ষণ মামলার তদন্ত ১৫ দিনের মধ্যে শেষ করার পাশাপাশি বিচারকাজ ৯০ দিনের মধ্যে সম্পন্ন করতে হবে বলে জানিয়েছেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল।
রবিবার (৯ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয়ের সভাকক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
উপদেষ্টা বলেন, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে কিছু পরিবর্তন আনার জন্য প্রস্তাব করা হয়েছে। এখন অংশীজনদের সঙ্গে আলোচনা করে তা চূড়ান্ত করা হবে।’
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে ধর্ষকদের কোনো স্থান হবে না: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, ১৫ দিনের মধ্যে ধর্ষণ মামলার তদন্তকাজ সম্পন্ন করতে হবে। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তাকে তদন্তকাজ শেষ করতে হবে। একইসঙ্গে ৯০ দিনের মধ্যে মামলার বিচার শেষ করতে হবে।
মাগুরায় ৯ বছরের এক শিশুকে ধর্ষণের ঘটনায় প্রতিবাদের ঝড় ওঠে সারা দেশে। দ্রুততম সময়ের মধ্যে এই ঘটনার বিচার নিশ্চিত করতে অর্ন্তবর্তী সরকারের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে নানা মহল থেকে। দেশের বিভিন্ন স্থানে ধর্ষকের বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন করা হয়েছে।
২৯৪ দিন আগে
মাগুরায় শিশু ধর্ষণের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৪
মাগুরায় ৯ বছর বয়সী একটি শিশু ধর্ষণের ঘটনায় হওয়া মামলায় ঘটনাটি যে বাড়িতে ঘটেছে, ওই পরিবারের চার সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
গত বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) শহরের নিজনান্দুয়ালীর হিটু শেখ নামে এক রাজমিস্ত্রির বাড়িতে এই ঘটনা ঘটে। এরপর আজ (শনিবার) ভুক্তভোগীর মা বাদী হয়ে মাগুরা সদর থানায় চারজনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
আরও পড়ুন: মাগুরায় শিশু ধর্ষণের অভিযোগে হিটু শেখ আটক
মামলায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনের ৯(৪) এর ক/৩০ ধারায় ধর্ষণ ও ধর্ষণের মাধ্যমে আহত করার অভিযোগ আনা হয়েছে।
মামলার পরিপ্রেক্ষিতে পুলিশ শিশুটির বড় বোনের শশুর মাগুরা শহরতলীর নিজনান্দুয়ালী গ্রামের হিটু শেখ, দুলাভাই সজীব শেখ, তার বড় ভাই রাতুল শেখ ও রাতুলের মা জায়েদা খাতুনকে গ্রেপ্তার করা হয়।
মাগুরা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আয়ুব আলী বলেন, ‘মাগুরা পুলিশ সুপার ও সেনাবাহিনী ঘটনাস্থল ও হাসপাতালে গিয়ে বিষয়টি পর্যবেক্ষণ করেছে।’
আরও পড়ুন: মাগুরায় ধর্ষণের শিকার সেই শিশুটিকে সিএমএইচে স্থানান্তর
নিজনান্দুয়ালীর মাঠপাড়ায় ভগ্নিপতির বাড়িতে বেড়াতে গিয়ে শিশুটি ধর্ষণের শিকার হয়। পরে স্থানীয়রা তাকে উদ্ধার করে প্রথমে মাগুরা ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য নেন। সেখান থেকে ফরিদপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার করা হয়। তারপর তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় নেওয়ার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা।
পরবর্তীতে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে আজ (শনিবার) বিকাল ৫টার দিকে তাকে সিএমএইচে স্থানান্তর করা হয়েছে।
২৯৫ দিন আগে
নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ৩৬ সদস্য গ্রেপ্তার
সারা দেশে অভিযান চালিয়ে নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীরের ৩৬ সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
শনিবার (৮ মার্চ) প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং থেকে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই তথ্য নিশ্চিত করা হয়েছে।
গ্রেপ্তারকৃতদের মধ্যে ২০০৯ সালে রাষ্ট্রবিরোধী প্রচারণার অন্যতম সংগঠক সাইফুল ইসলামও রয়েছেন বলে বিবৃতিতে জানানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: বায়তুল মোকাররমে হিযবুত তাহরীরের মিছিল, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
পুলিশ জানিয়েছে, গতকাল (শুক্রবার) ঢাকার বায়তুল মোকাররম মসজিদের বাইরে সমাবেশে অংশ নেওয়া নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনটির সদস্যদের ধরতে পুলিশ দেশব্যাপী অভিযান শুরু করেছে। অভিযানে এ পর্যন্ত ৩৬ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
এ বিষয়ে পুলিশ মহাপরিদর্শক (আইজিপি) বাহারুল আলম বলেন, ‘আমরা সমাবেশের ভিডিও ফুটেজ বিশ্লেষণ করছি। ইতোমধ্যে হিজবুত তাহরীরের অনেক সদস্যকে চিহ্নিত করা হয়েছে। নিষিদ্ধ সংগঠনের রাজনৈতিক কর্মসূচিতে যোগদানের জন্য তাদের গ্রেপ্তার করা হবে।’
সংগঠনটির সদস্যদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবিরোধী আইনে বেশ কয়েকটি মামলাও করেছে পুলিশ।
২৯৫ দিন আগে
বায়তুল মোকাররমে হিযবুত তাহরীরের মিছিল, পুলিশের সঙ্গে সংঘর্ষ
রাজধানীর পল্টনে বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ এলাকায় নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠন হিযবুত তাহরীর মিছিলে বাধা দেওয়ায় সংগঠনটির নেতা-কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের পাল্টাপাল্টি ধাওয়া ও সংঘর্ষ হয়েছে। এ সময় লাঠিচার্জ, সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাস নিক্ষেপ করে মিছিলটি ছত্রভঙ্গ করে দেয় পুলিশ।
শুক্রবার (৭ মার্চ) দুপুরে জুমার নামাজের পর ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচির অংশ হিসেবে বায়তুল মোকাররমের দক্ষিণ গেট থেকে মিছিলটি বের করে সংগঠনটি। এতে অংশ নেন সংগঠনের অসংখ্য সদস্য।
একপর্যায়ে তাদের বাধা দেয় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তবে সে বাধা উপেক্ষা করে মিছিল নিয়ে এগোতে থাকলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে শুরুতে লাঠিচার্জ এবং একপর্যায়ে সাউন্ড গ্রেনেড ও কাঁদানে গ্যাসের শেল নিক্ষেপ করতে দেখা যায় পুলিশকে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মিছিলে অংশ নেওয়া ব্যক্তিরা খিলাফত প্রতিষ্ঠার দাবিতে স্লোগান দিতে থাকেন। তবে পুলিশ দ্রুত তাদের ছত্রভঙ্গ করতে সক্রিয় হলে উত্তপ্ত পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়। এ সময় পুলিশ ও সাংবাদিকসহ বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: হিযবুত তাহরীর সভা-সমাবেশ করলে ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি
এদিন সকাল থেকেই নিষিদ্ধঘোষিত সংগঠনটির দেওয়া ‘মার্চ ফর খিলাফত’ কর্মসূচি ঘিরে বায়তুল মোকাররম এলাকায় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নেন।
আগের দিন গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান জানান, হিযবুত তাহরীর বাংলাদেশের আইন অনুযায়ী একটি নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন। সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী, নিষিদ্ধঘোষিত যেকোনো সংগঠনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ ও অন্যান্য উপায়ে প্রচারণাসহ সব কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
হিযবুত তাহরীরসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠন সভা, সমাবেশ ও যেকোনো উপায়ে প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশ কর্তৃক প্রয়োজনীয় আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলেও বিজ্ঞপ্তিতে হুঁশিয়ারি দেওয়া হয়।
২৯৬ দিন আগে
সুনামগঞ্জে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ
সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্ত এলাকা থেকে ২ কোটি টাকার ভারতীয় পণ্য জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) তাহিরপুর উপজেলাধীন ১ নম্বর উত্তর শ্রীপুর ইউনিয়নের চারাগাঁও বিওপি কর্তৃক সীমান্ত পিলার-১২৯৪/৩- এস হতে আনুমানিক ২০০ গজ বাংলাদেশের অভ্যন্তরে জঙ্গলবাড়ি নামক স্থান হতে এসব পণ্য জব্দ করা হয়।
জব্দ করা পণ্যগুলো হলো— শার্ট ৫ হাজার ১২৭টি, প্যান্টের কাপড় ১৫৬ মিটার, ব্লেজার কাপড় ১ হাজার ২৯৬ মিটার, পাঞ্জাবি কাপড় ২০ হাজার ৪৩০ মিটার ও স্কিন সানরাইজ ক্রীম ৯ হাজার পিস। আনুমানিক মূল্য ২ কোটি ৯২ হাজার ৫০০ টাকা।
আরও পড়ুন: বেনাপোলে কোটি টাকার চোরাই পণ্য জব্দ
সুনামগঞ্জ ২৮ বিজিবি অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল এ কে এম জাকারিয়া কাদির বলেন, ‘গোপন সংবাদের ভিত্তিতে চারাগাঁও বিওপির টহল দল জঙ্গলবাড়ি এলাকায় অভিযান চালিয়ে মালিকবিহীন ভারতীয় পণ্যগুলো আটক করে।’
তিনি বলেন, ‘ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী সীমান্তে নিরাপত্তা রক্ষা, চোরাচালান প্রতিরোধে বিজিবির আভিযানিক কার্যক্রম ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত রয়েছে। সীমান্তের চোরাকারবারিদের চিহ্নিত করে আইনের আওতায় আনা হবে। জব্দ করা মালামাল শুল্ক কার্যালয়, সুনামগঞ্জে জমা করার কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।’
২৯৭ দিন আগে
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কারো অভিযান চালানোর অধিকার নেই: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কোনো প্রকার অভিযান পরিচালনার অধিকার কারো নেই বলে জানিয়েছেন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী৷
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) রাজধানীর ফারইস্ট ভবনে টুরিস্ট পুলিশের কার্যালয় পরিদর্শন শেষে সাংবাদিকদের এসব কথা বলেন তিনি৷
মব জাস্টিসের এক প্রশ্নে তিনি বলেন, আমি এটা নিয়ে দ্বিমত করব না। যেসব জায়গায় হচ্ছে সেটা আমাদের দৃষ্টি গোচর হলেই সঙ্গে সঙ্গে তাদের আইনের আওতায় নিয়ে আসছি। এবিষয়ে জনগণকে সচেতন করতে হবে। জনগণ যদি উশৃঙ্খল হয়ে যায় তাহলে কিন্তু সমস্যা হয়। বাহিনী দিয়ে তো সব সময় নিয়ন্ত্রণ করা যায় না।
তিনি বলেন, এক্ষেত্রে গণমাধ্যমকে একটি বড় ভূমিকা পালন করতে হবে। যাতে এধরনের ঘটনা আর না ঘটে। এবিষয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী তৎপর আছে। যখন কোনো ঘটনা হচ্ছে সঙ্গে আমাদের বাহিনী চলে যাচ্ছে, অপরাধীদের আইের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। ভবিষ্যতে যেন এধরনের ঘটনা না ঘটে সেজন্য আমরা চেষ্টা করে যাচ্ছি।
ছাত্র জনতা চাইলেই কোথাও কোনো অভিযান চালাতে পারে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, কোথাও কোনো অভিযান চাোতে হলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ছাড়া কারো কোনো অধিকার নেই।
হাইওয়েতে রাতে গাছ ফেলে ডাকাতি হচ্ছে সে বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, এধরনের ঘটনা ঘটেছে ভবিষ্যতে যাতে না হয়, সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি।
আরেক প্রশ্নে তিনি বলেন, সামনে ঈদ তখন যেন সড়কে চাঁদাবাজি, ছিনতাই না হয় সেজন্য আমরা ব্যবস্থা নিচ্ছি এবং আমাদের কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।
দেশে অপরাধের রেড জোনের বিষয়ে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা বলেন, আমি দেখেছি ঢাকা- রাজশাহী জোন ও টাঙ্গাইল জোনে এ ঘটনাটা বেশি হচ্ছে। সেটা যেন না হয় সেজন্য সংশ্লিষ্ট জেলার আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। যাতে তারা আগে থেকে আরও বেশি তৎপর থাকে। তারা অনেক তৎপর রয়েছেও।
আরও পড়ুন:স্বরাষ্ট্র সচিবকে হাইকোর্টে তলব
২৯৭ দিন আগে
হিযবুত তাহরীর সভা-সমাবেশ করলে ব্যবস্থা নেবে ডিএমপি
হিযবুত তাহরীরসহ নিষিদ্ধ ঘোষিত কোনো সংগঠন সভা, সমাবেশ কিংবা যেকোনো উপায়ে প্রচারণা চালালে প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা নেবে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানান ডিএমপির গণমাধ্যম ও জনসংযোগ বিভাগের উপপুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
আরও পড়ুন: মাহফুজ আলম হিযবুত তাহরীরের সদস্য নন: প্রধান উপদেষ্টার প্রেস উইং
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২০০৯ সালের ২২ অক্টোবর জননিরাপত্তার প্রতি হুমকি বিবেচনায় হিযবুত তাহরীরকে নিষিদ্ধ ঘোষণা করে বাংলাদেশ সরকার।
সন্ত্রাসবিরোধী আইন-২০০৯ অনুযায়ী নিষিদ্ধ ঘোষিত যেকোনো সংগঠনের সভা, সমাবেশ, মিছিল, পোস্টার-লিফলেট বিতরণ ও অন্যান্য উপায়ে প্রচারণাসহ সব ধরনের কার্যক্রম শাস্তিযোগ্য অপরাধ।
হিযবুত তাহরীরসহ নিষিদ্ধঘোষিত কোনো সংগঠন সভা, সমাবেশ ও যেকোনো উপায়ে প্রচারণামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করলে ডিএমপি তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেবে।
২৯৭ দিন আগে
রাজনৈতিক ৪৬১৫ মামলা প্রত্যাহারের সুপারিশ
রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ও হয়রানিমূলক ৪ হাজার ৬১৫টি মামলা তুলে নেওয়ার সুপারিশ করেছে আইন মন্ত্রণালয়ের গঠিত কমিটি।
আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুলের নেতৃত্বে এই কমিটি মামলা মূল্যায়ন এবং তা প্রত্যাহারের যোগ্যতা নির্ধারণে ছয়টি বৈঠক করেছে।
বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) আইন মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে এই তথ্য জানিয়েছে।
এতে বলা হয়, ক্ষমতাচ্যুত আওয়ামী লীগ সরকার তার ১৫ বছরের শাসনামলে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত বা প্রতিপক্ষকে হয়রানি করার উদ্দেশ্যে বিভিন্ন ব্যক্তির বিরুদ্ধে অসংখ্য মামলা দায়ের করেছে।
গত বছরের ৫ আগস্ট রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার এ ধরনের মামলা প্রত্যাহার করে ন্যায়বিচার নিশ্চিতের প্রতিশ্রুতি দেয়।
এই পদক্ষেপটি আইনের শাসন সমুন্নত রাখা এবং রাজনৈতিকভাবে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত আইনি পদক্ষেপগুলো সংশোধন করার বৃহত্তর প্রতিশ্রুতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ।
রাজনৈতিক মামলাগুলোর পর্যালোচনা প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে। কমিটি এ সংক্রান্ত আরও সুপারিশ করবে বলে আশা করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: নতুন মামলায় গ্রেপ্তার সাবেক মন্ত্রী-ওসিসহ ৯ জন
২৯৭ দিন আগে
স্বরাষ্ট্র সচিবকে হাইকোর্টে তলব
রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রীসহ গুরুত্বপূর্ণ/বিশিষ্ট ব্যক্তিদের বিশেষ নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ক প্ররক্ষা নির্দেশিকা ২০২৫-এর বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে তলব করেছেন হাইকোর্ট।
আগামী ১৮ মার্চ সশরীরে হাইকোর্টে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে। ওই নির্দেশিকায় বিচার বিভাগকে হেয় করার অভিযোগে বৃহস্পতিবার (৬ মার্চ) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও বিচারপতি শিকদার মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে এই আদেশ দেন। নির্দেশিকার বিষয়টি আইনজীবী শিশির মনির হাইকোর্টের নজরে আনেন।
গত ২ মার্চ জারি করা নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ক প্ররক্ষা নির্দেশিকায় দেশের প্রধান বিচারপতি এবং সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতিদের পদমর্যাদাক্রমের ব্যত্যয় ঘটানো হয়েছে এবং বিষয়টি অত্যন্ত অবমাননাকর বলে হাইকোর্টে উল্লেখ করেন আইনজীবী শিশির মনির।
রাষ্ট্রের গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তিদের পদমর্যাদাক্রম (ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স) এর সাথে নির্দেশিকাটির ক্রম সাংঘর্ষিক উল্লেখ বৃহস্পতিবার এবিষয়ে হাইকোর্টের আদেশ প্রার্থনা করেন সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
আরও পড়ুন: তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব
একপর্যায়ে আদালত এবিষয়ে সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র মনজিল মোরশেদ ও আইনজীবী শামসুদ্দিন বাবুর বক্তব্য শোনেন। এরপর হাইকোর্ট বেঞ্চ স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে তার স্বাক্ষরিত ওই নির্দেশিকার বিষয়ে ব্যখ্যা দিতে আগামী ১৮ মার্চ হাইকোর্টের তলব করেন। সেই সাথে নির্দেশিকাটির কার্যক্রম ৩ মাসের জন্য স্থগিত করে রুল গত ২ মার্চ জারি করা নিরাপত্তা প্রদান বিষয়ক প্ররক্ষা নির্দেশিকাটি কেন অবৈধ ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়।
এছাড়া প্রধান বিচারপতি, সুপ্রিম কোর্টের আপিল ও হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি, অ্যাটর্নি জেনারেল, অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল, জেলে ও দায়রা জজ, চিফ জুডিশিয়াল ও চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেটদের নিরাপত্তার বিষয়টি হাইকোর্ট যথাযথ ভাবে নিশ্চিত করতে বলেছেন বলে আদেশের পর জানান আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির।
তিনি বলেন, ২ মার্চ নির্দেশিকাটি জারি করা হয়। বিশিষ্ট ব্যক্তিদের নিয়ে যে নিরাপত্তা প্ররক্ষা নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে, এখানে বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতিকে রেঞ্জ ডিআইজি, পুলিশের মহাপরিদর্শকসহ বাকিগুলোর সঙ্গে একইরকম তুলনা করা হয়েছে। হাইকোর্টের বিচারপতিদের সিনিয়র সচিব ও সচিবদের সঙ্গে রাখা হয়েছে।
তিনি আরও জানান, এসব বিষয়ে আপিল বিভাগ একটি রায় দিয়েছিলেন, সে মামলায় আপিল বিভাগ যে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স (রাষ্ট্রীয় পদমর্যাদা ক্রম) ফিক্স করে দেওয়া হয়েছে এবং সর্বশেষ ২০২০ সালের যে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স আছে তার সব কিছু লঙ্ঘন করে এটাকে জারি করা হয়েছে। এজন্য এই নোটিফিকেশনকে আমরা আদালতের নজরে নিয়ে এসেছি। আমরা আদালতে ২০২০ সালের যে ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স দেখিয়েছি, আপিল বিভাগে যে মামলাটি নিষ্পত্তি হয়েছে, সে রায়ের কথা বলেছি। সেই মামলার রিভিউ আবেদন শুনানির জন্য ২৭ এপ্রিল দিন ধার্য আছে। এই প্রেক্ষিতে কি করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এটা জারি করা হলো, এটা বিস্ময়কর বিষয়।
শিশির মনির আরও বলেন, আইন কানুনের তোয়াক্কা না করে এই ধরনের নীতিমালা জারি করে মূলত বাংলাদেশের সংবিধান ও বিচার বিভাগের প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন করা হয়েছে। আমাদের এই কথা শুনে, অন্যান্য সিনিয়র আইনজীবীদের কথা শুনে আদালত একটি সুয়োমোটো রুল ইস্যু করেছেন। রুলে কেন এই নির্দেশিকাকে অবৈধ ও অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না; তা জানতে চেয়েছেন। তিন মাসের জন্য এই নির্দেশিকা স্থগিত করেছেন। আর সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে আগামী ১৮ মার্চ আদালতে সশরীরে হাজির হয়ে তার কন্ডাক্ট, কি কারণে পত্র জারি করেছেন তার আচরণ ব্যাখ্যার জন্য নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: পদ্মা ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান নাফিজ সরাফাতকে দুদকে তলব
প্রসঙ্গত, ২০২০ সালের ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্সে (সংশোধিত) রাষ্ট্রপতি, প্রধানমন্ত্রী, স্পিকারের পর প্রধান বিচারপতির মর্যাদা ক্রম রয়েছে।
২৯৮ দিন আগে
টাঙ্গাইলে মাদক মামলায় যুবকের ৫ বছর কারাদণ্ড
টাঙ্গাইলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনের মামলায় কবির হোসেন নামে এক যুবককে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। সেই সঙ্গে তাকে পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (৫ মার্চ) দুপুরে টাঙ্গাইলের যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক আতিকুল ইসলাম আসামির উপস্থিতিতেই এই আদেশ দেন।
পরে আসামিকে কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
দণ্ডপ্রাপ্ত কবির হোসেন (২০) টাঙ্গাইলের ভূঞাপুর উপজেলার ধুবলিয়া গ্রামের তোমছের আলীর ছেলে।
যুগ্ম জেলা ও দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের এপিপি এম এ মালেক আদনান বলেন, ‘২০২২ সালের ১৬ ফেব্রুয়ারি ভূঞাপুরের ধুবলিয়া গ্রামে জনৈক লাল মিয়ার বাড়ির পাশে পাকা রাস্তার ওপর হেরোইন বিক্রির সময় কবিরকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ফারুক হত্যাকাণ্ড: ২ জনের যাবজ্জীবন, খান পরিবারের সবাই খালাস
এ সময় তার দেহ তল্লাশি করে ১০ প্যাকেট হেরোইন উদ্ধার করা হয়। পরে টাঙ্গাইল ডিবি (উত্তর) পুলিশের উপপরিদর্শক (এসআই) মিজানুর রহমান বাদী হয়ে ভূঞাপুর থানায় মামলা করেন।
বিচার শেষে আদালত তাকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড, পাঁচ হাজার টাকা জরিমানাসহ অনাদায়ে আরও এক মাসের কারাদণ্ড দিয়েছেন।’
২৯৮ দিন আগে