আইনশৃঙ্খলা
বান্দরবানের ২ উপজেলায় পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার
বান্দরবানের রুমা ও থানচি উপজেলা থেকে পর্যটক ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হয়েছে। শুক্রবার (১৪ জুলাই) জেলা প্রশাসক ও ম্যাজিস্ট্রেট স্বাক্ষরিত এক গণবিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে। দীর্ঘ চার মাস পর এ ভ্রমণ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ঘোষণা এলো।
তবে রোয়াংছড়ি উপজেলায় এই নিষেধাজ্ঞা এখনো বলবৎ রয়েছে।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের ৩ উপজেলায় আবারও ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা
জেলা প্রশাসক ইয়াছমিন পারভীন তিবরীজি জানান, দুটি উপজেলা থেকে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করে নেওয়া হলেও দুর্গম এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াতের ক্ষেত্রে নিরাপত্তা বাহিনী থেকে সর্বশেষ তথ্য নিয়ে যাওয়ার জন্য যাওয়ার জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। এছাড়া খুবই দুর্গম এলাকায় পর্যটকদের যাতায়াত নিরুৎসাহিত করা হচ্ছে। বান্দরবানে সশস্ত্র সন্ত্রাসী গ্রুপ কুকিচিন ন্যাশনাল ফ্রন্ট (কেএনএফ) এর সন্ত্রাসী তৎপরতার কারণে বান্দরবানের দুর্গম রুমা রোয়াংছড়ি ও থানচি উপজেলায় সর্বশেষ গত ১৪ মার্চ প্রশাসন দেশি-বিদেশি পর্যটকদের যাতায়াতে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এই তিনটি উপজেলায় বর্তমানে সেনাবাহিনী ও বিজিবির অভিযান চলমান রয়েছে।
নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিন্ধান্তকে পর্যটন ব্যবসায়ীরা ব্যবসার জন্য ইতিবাচক বলে মনে করছেন।
আরও পড়ুন: বান্দরবানের থানচি উপজেলায় ভ্রমণে ফের নিষেধাজ্ঞা
বান্দরবানের রোয়াংছড়ি ও রুমায় অনির্দিষ্টকালের জন্য ভ্রমণ নিষিদ্ধ
সংবিধান না মানলে দেশের নাগরিক বলা ঠিক না: আইনমন্ত্রী
আইন, বিচার ও সংসদবিষয়ক মন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, যারা সংবিধান মানে না, তাদের বাংলাদেশি নাগরিক বলা ঠিক না।
শুক্রবার (১৪ জুলাই) সকাল ১১টায় ব্রাহ্মণবাড়িয়ার আখাউড়া রেলওয়ে স্টেশন এলাকায় সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা বলেন।
আরও পড়ুন: বিমান ও নৌবাহিনীর আধুনিকায়নের পরিকল্পনা রয়েছে সরকারের: আইনমন্ত্রী
তিনি বলেন, বিএনপি নেতারা অনেক কিছুই বলবেন। আওয়মী লীগ সংবিধান মেনে চলে। কারণ লাখো শহীদের রক্তে স্বাধীনতা অর্জনের পর বঙ্গবন্ধু এ সংবিধান দিয়েছেন। সংবিধান অনুযায়ীই নির্বাচন হবে। আর যারা সংবিধান মানে না, আমার মনে হয়, নিজেদের বাংলাদেশি নাগরিক হিসেবে দাবি করা তাদের ঠিক না।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আমাদেরকে কিছু দিকনির্দেশনা দিয়েছেন। সে অনুযায়ী আমরা ২০৪১ সালের মধ্যে বাংলাদেশকে স্মার্ট বাংলাদেশ হিসেবে গড়ে তুলবো।
আরও পড়ুন: শ্রমিক নেতা শহিদুল হত্যার সুষ্ঠু তদন্ত চায় মার্কিন প্রতিনিধি দল: আইনমন্ত্রী
অবাস্তব প্রস্তাব নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ নয়: আইনমন্ত্রী
ঝুঁকিপূর্ণ হওয়া গুলশান শপিং সেন্টার সিলগালা ডিএনসিসির
রাজধানীর গুলশান-১ এ অবস্থিত 'গুলশান শপিং সেন্টার'টি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় মার্কেটটি সিলগালা করেছে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশন (ডিএনসিসি)।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকাল সাড়ে ১০টায় গুলশান-১ এর গুলশান শপিং সেন্টার এর হোটেল, দোকান, ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান সিলগালা ও মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করেন আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ান ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট মো. মাহবুব হাসান।
উল্লেখ্য, গুলশান-১ শপিং সেন্টারের জরাজীর্ণ ভবন ও অগ্নি নির্বাপক ব্যবস্থা না থাকার কারণে এটি ২০২১ সালে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তর মার্কেটটিকে ঝুঁকিপূর্ণ ও পরিত্যক্ত ঘোষণা করে ডিএনসিসিকে জরুরি ভিত্তিতে আইনানুগ ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য চিঠি পাঠায়।
অঞ্চল-৩ এর আঞ্চলিক নির্বাহী কর্মকর্তা ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট জুলকার নায়ন বলেন, 'গুলশান-১ শপিং সেন্টারটি ঝুঁকিপূর্ণ হওয়ায় যে কোনো ধরনের মানবিক বিপর্যয় ঠেকাতে দোকান মালিকদের ভবন খালি করে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দেওয়া হলেও তারা সেটি খালি করে দেননি। ঝুঁকিপূর্ণ পরিত্যাক্ত এই ভবন ধসে হতাহতের ঘটনা ঘটতে পারে। ক্রেতা বিক্রেতা উভয়ের জন্য মৃত্যু ঝুঁকি রয়েছে।'
আরও পড়ুন: স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অভিযানে সারাদেশে ১১৬ অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালার
জুলকার নায়ন বলেন, 'বার বার সতর্ক করা হলেও তারা পরিত্যাক্ত ভবনটি খালি করছে না। ব্যবসায়ীরা এটি খালি করার জন্য একাধিকবার প্রতিশ্রুতি দিয়েও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনে ব্যবসা পরিচালনা করে চলেছে। জানমালের নিরাপত্তার জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের সুপারিশ বাস্তবায়নে স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯, তৃতীয় তফসিল-১৭, ইমারত নিয়ন্ত্রণ ইমারত সম্পর্কিত প্রবিধান এর ১৭.১ ও ১৭.২ অনুযায়ী জনস্বার্থে ঝুঁকিপূর্ণ মার্কেটটি সিলগালা করা হয়েছে।'
উক্ত মার্কেটে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর ৫ প্লাটুন পুলিশ ও ১ প্লাটুন এপিবিএন ও অন্যান্য সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্ঠানসহ উপস্থিত হয়ে মার্কেট ঝুকিপূর্ণ হওয়ায় ও নিরাপত্তার স্বার্থে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে গেটসমূহ তালাবদ্ধ ও সীলগালা করা হয়। মাইকিং করা হয় ও মালামাল সরানের জন্য নিদের্শনা দেয়া হয়। এছাড়া বিদ্যুৎ, গ্যাস ও অন্যান্য সেবা সংস্থার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে এগুলোর সংযোগ বিচ্ছিন্ন করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: সারা দেশে ৩৭টি অনিবন্ধিত হাসপাতাল সিলগালা
ঠাকুরগাঁওয়ে ৩ অবৈধ ক্লিনিক সিলগালা, আটক ১
নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
সাতক্ষীরার তালায় এক নৃত্যশিল্পীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগে এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। বৃহস্পতিবার সকালে উপজেলার পাটকেলঘাটা থানার নগরঘাটা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
অভিযুক্ত আকাশ হোসেন (২২) নগরঘাটা ইউনিয়নের মিঠাবাড়ি এলাকার শফিয়ার রহমানের ছেলে এবং পেশায় একজন নির্মাণশ্রমিক।
পাটকেলঘাটা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) বিশ্বজিৎ কুমার অধিকারী জানান, সাতক্ষীরা শহরের একটি ভাড়া বাসায় থাকতেন ভুক্তভোগী ওই নারী। কিছুদিন আগে তার পরিচয় হয় নগরঘাটা এলাকার আকাশের সঙ্গে। গত ৯ জুলাই বিকালে ওই নারীকে নৃত্যের অনুষ্ঠান আছে বলে মুঠোফোনে প্রস্তাব দেয় আকাশ। ঘটনাস্থলে গেলে আকাশসহ আরও দুই যুবক তাকে ধর্ষণ করে ভিডিও ধারণ করেন।
তিনি বলেন, বুধবার (১২ জুলাই) রাতে ভুক্তভোগী বাদী হয়ে ধর্ষণ ও পর্নোগ্রাফির অভিযোগ এনে পাটকেলঘাটা থানায় একটি মামলা করেন।
বৃহস্পতিবার সকালে আসামি আকাশকে গ্রেপ্তার করে আদালতে পাঠানো হয়েছে বলেও জানান পরিদর্শক বিশ্বজিৎ অধিকারী।
আরও পড়ুন: ধানমন্ডিতে ধর্ষণের অভিযোগে যুবক গ্রেপ্তার
রাজধানীর কল্যাণপুরে তরুণীকে ধর্ষণের অভিযোগ
নাটোরে ধর্ষণ মামলার পলাতক আসামি গ্রেপ্তার
ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের বিরুদ্ধে রিভিউ আবেদনের শুনানি ১০ আগস্ট
সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে দেওয়া আপিল বিভাগের রায় পুনর্বিবেচনা (রিভিউ) চেয়ে রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানির জন্য আগামী ১০ আগস্ট দিন ধার্য করেছেন আপিল বিভাগ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) প্রধান বিচারপতি হাসান ফয়েজ সিদ্দিকীর নেতৃত্বাধীন সাত বিচারপতির বেঞ্চ এই দিন ধার্য করেন।
রাষ্ট্রের প্রধান আইন কর্মকর্তা অ্যাটর্নি জেনারেল এ এম আমিন উদ্দিন শুনানির দিন ধার্যের বিষয়টি গণমাধ্যমকে নিশ্চিত করেন।
এর আগে, গত বছর গত ৮ আগস্ট সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী অবৈধ ও বাতিল ঘোষণা করে সর্বোচ্চ আদালতের রায়ের বিরুদ্ধে করা এই রিভিউ আবেদন নিয়ে আপিল বিভাগের চেম্বার আদালতের বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম শুনানি করেন। মামলাটি আপিল বিভাগের পূর্ণ বেঞ্চে শুনানির জন্য পাঠিয়ে দেন।
এরপর বেশ কয়েকবার আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় ওঠে। বৃহস্পতিবারও কার্যতালিকায় ছিল। পরে আপিল বিভাগ ১০ আগস্ট শুনানির দিন ধার্য করেন।
২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর ৯০৮ পৃষ্ঠার এই রিভিউ আবেদন সুপ্রিম কোর্টে জমা দেওয়া হয়েছিল।
আরও পড়ুন: সংবিধান পর্যালোচনার জন্য সংসদীয় কমিটি গঠনের প্রস্তাব ইনুর
তখনকার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম সাংবাদিকদের বলেছিলেন, রায়ে যেসব অপ্রাসঙ্গিক পর্যালোচনা এসেছে, তা বাতিল চাওয়া হয়েছে আবেদনে। সুপ্রিম কোর্টের বিচারক অপসারণসংক্রান্ত আইন হওয়ার আগেই আপিলের রায়ে ষোড়শ সংশোধনী বাতিল করা হয়েছে। এটিসহ মোট ৯৪টি যুক্তি তুলে ধরে রায় বাতিল চাওয়া হয়েছে। উচ্চ আদালতের বিচারকদের অপসারণের ক্ষমতা সংসদের হাতে ফিরিয়ে নিতে ২০১৪ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ সংশোধনের প্রস্তাব সংসদে পাস হয়, যা ষোড়শ সংশোধনী হিসেবে পরিচিত।
সুপ্রিম কোর্টের ৯ আইনজীবীর এক রিট আবেদনে হাইকোর্ট ২০১৬ সালে সংবিধানের ওই সংশোধনী ‘অবৈধ’ ঘোষণা করেন। এই রায়ের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ আপিল করে। শুনানি শেষে পরের বছর ৩ জুলাই তা খারিজ করেন সুপ্রিম কোর্ট। এর ফলে হাইকোর্টের রায় বহাল থাকে।
ওই রায়ের মাধ্যমে জিয়াউর রহমানের সামরিক শাসনামলে প্রতিষ্ঠিত সুপ্রিম জুডিশিয়াল কাউন্সিল ফিরিয়ে আনেন সুপ্রিম কোর্ট। সেই সঙ্গে বিচারকদের জন্য একটি আচরণবিধিও ঠিক করে দেওয়া হয়।
সাত বিচারপতির ঐকমত্যের ভিত্তিতে দেওয়া ৭৯৯ পৃষ্ঠার ওই রায়ে তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা নিজের পর্যবেক্ষণের অংশে দেশের রাজনীতি, সামরিক শাসন, নির্বাচন কমিশন, দুর্নীতি, সুশাসন ও বিচার বিভাগের স্বাধীনতাসহ বিভিন্ন বিষয়ে সমালোচনা করেন।
আপিল বিভাগের রায়ে দেওয়া কিছু পর্যবেক্ষণ তখন দেশের রাজনীতিতে মারাত্মক প্রভাব ফেলে। ওই রায় ও পর্যবেক্ষণ নিয়ে খোদ প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাও প্রধান বিচারপতির সমালোচনা করেন। রাজনৈতিক অঙ্গণে বেশ আলোচনা-সমালোচনা চলতে থাকে। তখনকার প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহার পদত্যাগের দাবি তোলে একটি পক্ষ। পরে সংবিধানের ষোড়শ সংশোধনী বাতিলের রায় এবং পর্যবেক্ষণের বিষয়ে আইনি পদক্ষেপ নিতে জাতীয় সংসদে একটি প্রস্তাবও পাস হয়।
ষোড়শ সংশোধনী বাতিল রায়ের রিভিউর জন্য সহকর্মীদের নিয়ে ১১ সদস্যের কমিটি করেন তখনকার অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। আপিল বিভাগের পূর্ণাঙ্গ রায় প্রকাশের প্রায় পাঁচ মাস পর ২০১৭ সালের ২৪ ডিসেম্বর তার রিভিউ (পুনর্বিবেচনা) চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। তারপর কেটে গেছে সাড়ে ৫ বছরেরও বেশি সময়।
আরও পড়ুন: বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন নিশ্চিত করতে সংবিধান সংশোধন করতে হবে: মঈন
সংবিধান উপেক্ষা করে ক্ষমতায় আসার চেষ্টা সফল হবে না: রওশন
কুড়িগ্রামে মাদক জব্দ, ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
কুড়িগ্রামের উলিপুরের কাতলামারী সীমান্ত এলাকা থেকে ৫০০ ইয়াবা এবং ৮৪ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়েছে। এসময় সাইফুল শেখ (২৪) নামে এক ভারতীয় নাগরিককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (১৩ জুলাই) সকালে সাইফুলকে কুড়িগ্রাম জেল হাজতে পাঠানো হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলা পুলিশের অতিরিক্ত সুপার মো. রুহুল আমিন।
গ্রেপ্তার সাইফুল শেখ (২৪) ভারতের হাড়-সিংমারী জেলার শুকচর থানার বাসিন্দা।
তিনি জানান, বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে উপজেলার সাহেবের আলগা ইউনিয়নের কাতলামারী গ্রামে অভিযান চালিয়ে সাইফুল শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়। এসময় তার কাছে থেকে ৫০০ ইয়াবা এবং ৮৪ বোতল বিদেশি মদ জব্দ করা হয়।
রুহুল আমিন জানান, তার বিরুদ্ধে কন্ট্রোল অব এন্ট্রি অ্যাক্ট ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে উলিুপর থানায় মামলা করা হয়।
আরও পড়ুন: কড়া নজরদারিতে কুড়িগ্রামের হাটে নেই ভারতীয় গরু
৬০ টাকায় থমকে আছে দেশি পেঁয়াজ, ভারতীয় ৪০ টাকা
চুয়াডাঙ্গা সীমান্ত দিয়ে ভারতীয় নাগরিককে নিজ দেশে ফেরত
দেশ টিভির এমডির ১৫ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ থাকবে
জ্ঞাত আয়বহির্ভূত সম্পদ অর্জনের অভিযোগে করা মামলায় দেশ টিভির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) আরিফ হাসানের ১৫টি ব্যাংক হিসাবে থাকা ৩৪১ কোটি এক লাখ ২১ হাজার ৭৪২ টাকা ফ্রিজ না করতে হাইকোর্টের আদেশ ২১ আগস্ট পর্যন্ত স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
বুধবার দুদকের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন।
আদালতে দুদকের পক্ষে ছিলেন সিনিয়র আইনজীবী খুরশীদ আলম খান।
আরও পড়ুন: সেন্ট্রাল হাসপাতালের ডা. মিলিকে আত্মসমর্পণে হাইকোর্টের নির্দেশ
খুরশীদ আলম খান জানান, এ আদেশের ফলে আরিফ হাসানের ওই ৩৪১ কোটি টাকা ফ্রিজ থাকবে। কাজী আরিফ হাসান ও তার স্বার্থ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠান হাসান টেলিকমের ১৫টি ব্যাংক অ্যাকাউন্ট জব্দ করতে মহানগর বিশেষ জজ আদালতে আবেদন করেছিল দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০২০ সালে তার ব্যাংক অ্যাকাউন্ট ফ্রিজ করার নির্দেশ দেন মহানগর বিশেষ জজ আদালত।
ওই আদেশ চ্যালেঞ্জ করে আরিফ হাসান হাইকোর্টে আসেন। তার আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে শুনানি শেষে গত বছর হাইকোর্ট ব্যাংক অ্যাকাউন্টগুলো খুলে দেওয়ার নির্দেশ দেন। হাইকোর্টের এই আদেশের বিরুদ্ধে আপিল বিভাগে আবেদন করে দুদক।
তিনি আরও বলেন, শুনানি শেষে আদালত আগামী ২১ আগস্ট পর্যন্ত হাইকোর্টের আদেশটি স্থগিত করে দিয়েছেন। একই সঙ্গে ওইদিন বিষয়টি শুনানির জন্য আপিল বিভাগের নিয়মিত বেঞ্চের কার্যতালিকায় আসবে বলে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট
আ.লীগ নেতা বড় মনিরের জামিন স্থগিত, নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ
ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরকে হাইকোর্টের দেওয়া জামিন স্থগিত করেছেন আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতির আদালত।
রাষ্ট্রপক্ষের আবেদনের শুনানি নিয়ে বুধবার আপিল বিভাগের চেম্বার বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম এ আদেশ দেন। একইসঙ্গে ধর্ষণের শিকার নারীর গর্ভে জন্ম নেওয়া নবজাতকের ডিএনএ টেস্টের নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।
আগামী ২১ আগস্ট ডিএনএ টেস্টের রেজাল্ট আপিল বিভাগে দাখিল করতে বলা হয়েছে। ওইদিন পরবর্তী শুনানি হবে। ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী আদালতের আদেশের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
আদালতে রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সারওয়ার হোসেন বাপ্পী। আসামির পক্ষে ছিলেন আইনজীবী এস এম শাহজাহান।
আরও পড়ুন: অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে ড. ইউনূসের আবেদন
এর আগে গত মঙ্গলবার বিচারপতি শেখ জাকির হোসেনের নেতৃত্বাধীন হাইকোর্ট বেঞ্চ বড় মনিরকে জামিন দেন। পরে জামিন স্থগিত চেয়ে আবেদন করে রাষ্ট্রপক্ষ। গত ১৫ মে ধর্ষণ মামলায় টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠান আদালত। টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত মুখ্য বিচারিক হাকিম মো. মাহমুদুল মহসীন এই আদেশ দেন।
গত ৫ এপ্রিল রাতে টাঙ্গাইল সদর থানায় গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের বিরুদ্ধে এক কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা করা হয়। মামলায় ওই কিশোরী ধর্ষণের কারণে অন্তঃসত্ত্বা হয়েছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে। মামলায় গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনিরের স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়।
এদিকে অন্তঃসত্ত্বার প্রমাণ পেয়েছে মেডিকেল বোর্ড। এছাড়া ওই কিশোরী ৬ এপ্রিল দুপুরে আদালতে ২২ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। গত ৩০ জুন ওই কিশোরী সন্তান জন্ম দেন।
গোলাম কিবরিয়া ওরফে বড় মনির টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভুঞাপুর) আসনের সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ওরফে ছোট মনিরের বড় ভাই এবং জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব।
আরও পড়ুন: বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
জাহাঙ্গীরকে মেয়র পদ থেকে বরখাস্ত আইনানুগ ছিল না: হাইকোর্ট
সাবেক ওসি ফিরোজ কবির দম্পতির কারাদণ্ড
দুদকের দায়ের করা মানিলন্ডারিং আইনের মামলায় বরিশাল জেলার সাবেক ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ কবিরের ছয় বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদকে চার বছরের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বুধবার (১২ জুলাই) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৯ এর বিচারক শেখ হাফিজুর রহমান আসামিদের উপস্থিতিতে এ রায় ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
রায় ঘোষণা শেষে জামিনে থাকা দুই আসামিকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
কারাদণ্ডের পাশাপাশি ফিরোজ কবিরকে ১ কোটি ৭৪ লাখ ৩৪ হাজার ৩৮৮ টাকা অর্থদণ্ডের আদেশ দেন আদালত। একই সঙ্গে ৮৭ লাখ ১৭ হাজার ১৯৪ টাকা রাষ্ট্রের অনুকূলে বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে।
ফিরোজ কবিরকে রায়ের দিন থেকে ৬০ কার্যদিবসের মধ্যে ওই অর্থদণ্ডের টাকা পরিশোধ করতে হবে। তা দিতে না পারলে দণ্ডবিধির ৩৮৬ ধারা অনুযায়ী তা আদায়ের ব্যবস্থা করা হবে বলে জানান এ আদালতের বেঞ্চ সহকারী সাইফুল ইসলাম।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ফিরোজ কবির ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ২০১৬ সালের ৩১ মে র্পযন্ত এবি ব্যাংক গুলশান শাখার, ডাচ্-বাংলা ব্যাংক, গুলশান শাখার, এনআরবি কর্মাশিয়াল ব্যাংকের গুলশান শাখার, ইসলামী ব্যাংক, গুলশান শাখা, ব্র্যাক ব্যাংক, গুলশান শাখার চলতি হিসাবের এবং তার স্ত্রী সাবরিনা আহমেদ ইভার নামে পরিচালিত ডাচ্-বাংলা ব্যাংকের গুলশান শাখার হিসাবে জ্ঞাত আয় বহির্ভূত সর্বমোট ৩ কোটি ৯ লাখ ৯৭ হাজার টাকা জমা করেন।
তাদের ব্যাংক হিসাবে পেশার সঙ্গে অসামঞ্জস্যপূর্ণ বিপুল অংকের লেনদেন সম্পন্ন হয়েছে। অধিকাংশ হিসাব খোলার সময় ফিরোজ কবির অর্থের উৎস চাকরি দেখিয়েছেন। কিন্তু যে ধরনের ও যে অংকের লেনদেন হয়েছে তা বেতন-ভাতার সঙ্গে সঙ্গতিপূর্ণ নয়। অর্থের উৎস সম্পর্কে অভিযুক্তরা কোনো সন্তোষজনক ব্যাখ্যা বা প্রমাণ দাখিলে ব্যর্থ হয়েছেন।
এ অভিযোগে দুদকের সহকারী পরিচালক সৈয়দ আতাউল কবির ২০১৭ সালের ৩ অক্টোবর গুলশান মামলা করেন।
মামলাটি তদন্তের পর ২০১৯ সালে দুদক এ মামলায় অভিযোগ দাখিল করে।
আরও পড়ুন: ফরিদগঞ্জে শিয়ালের মাংস বিক্রির চেষ্টা, ২ জনের কারাদণ্ড
নাটোরে গৃহবধূ হত্যা মামলায় ৩ জনের ১০ বছরের কারাদণ্ড
কুমিল্লায় বাবাকে হত্যার দায়ে ৩ ছেলের মৃত্যুদণ্ড
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জে বাবাকে হত্যার দায়ে তিন ছেলেকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন আদালত। একইসঙ্গে প্রত্যেককে ২০ হাজার টাকা অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে অতিরিক্ত দায়রা জজ তৃতীয় আদালতের বিচারক রোজিনা খান এ রায় দেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করেন অতিরিক্ত সরকারি কৌশলী নুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: মানবতাবিরোধী অপরাধে ৪ জনের মৃত্যুদণ্ড
মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন- মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকার মৃত আব্দুল করিমের ছেলে মো. ফয়েজ উল্লাহ, মো. অহিদ উল্লাহ ও মো. শহিদ উল্লাহ।
রায় ঘোষণার সময় আসামিরা পলাতক ছিলেন।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৩ সালের ২৬ আগস্ট কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলার কান্দি এলাকায় জমি লিখে না দেওয়ায় বাবা আব্দুল করিমকে পিটিয়ে হত্যা করেন তার ছেলেরা।
এ ঘটনায় নিহত আব্দুল করিমের দ্বিতীয় স্ত্রী মোসাম্মত সাফিয়া খাতুন বাদী হয়ে তিন ছেলেসহ ৮ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
মামলার অতিরিক্ত সরকারি কৌঁসুলি নুরুল ইসলাম বলেন, জমি নিয়ে বিরোধের জেরে তিন ছেলে, নাতি ও স্বজনেরা মিলে এক ব্যক্তিকে পিটিয়ে হত্যা করে।
মামলায় ১১ জন সাক্ষীর মধ্যে ১০ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন আদালত।
পরে এ মামলায় আটজনের মধ্যে তিনজনকে মৃত্যুদণ্ড এবং বাকিদের খালাস দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: কাশিমপুর কারাগারে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত কয়েদির আত্মহত্যাচেষ্টা, হাসপাতালে মৃত্যু
মাগুরায় জমি নিয়ে বিরোধের জেরে যুবককে হত্যা: ৩ জনের মৃত্যুদণ্ড