আইনশৃঙ্খলা
সাগর-রুনি হত্যায় সাবেক সরকার জড়িত: রুনির ভাই
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলায় সাবেক সরকার জড়িত বলে মন্তব্য করেছেন রুনির ভাই নওশের আলম রোমান। এ মামলার তদন্তে বেশকিছু অগ্রগতি এসেছে বলে জানিয়েছেন বাদী পক্ষের আইনজীবী শিশির মনির।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) হাইকোর্টের অ্যানেক্স ভবনের সামনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তারা এসব কথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সাগর-রুনির ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ।
তদন্তের অগ্রগতির বিষয়ে আইনজীবী বলেছেন, ‘যতটুকু আমরা জানতে পেরেছি বেশ কিছু ডেভেলপমেন্ট (অগ্রগতি) হাতে এসেছে। সময়ের ব্যবধানে এই ডেভেলপমেন্ট নিয়ে হাইকোর্ট বিভাগে তদন্ত প্রতিবেদন সাবমিট করা হবে।’
তিনি বলেন, ‘অতীতে এই মামলাটিকে সঠিকভাবে পরিচালনা করতে দেওয়া হয়নি। বর্তমানে তদন্ত রিপোর্টে কিছু তথ্য-উপাত্ত এসেছে। অতীতে এই তদন্ত প্রক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করা হয়েছে। আইনি পদ্ধতিতে তদন্ত চলতে দেওয়া হয়নি।’
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় এই সাংবাদিক দম্পতি খুন হন। সাগর মাছরাঙা টেলিভিশনের বার্তা সম্পাদক ও রুনি এটিএন বাংলার জ্যেষ্ঠ প্রতিবেদক ছিলেন।
আরও পড়ুন: ১১৫ বারের মতো পেছাল সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
ওই হত্যার ঘটনায় রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বাদী হয়ে রাজধানীর শেরেবাংলা নগর থানায় মামলা করেছিলেন।
প্রথমে এ মামলা তদন্ত করেছিল শেরেবাংলা নগর থানার পুলিশ। চার দিন পর মামলার তদন্তভার ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা বিভাগের (ডিবি) কাছে হস্তান্তর করা হয়। তদন্তের দায়িত্ব পাওয়ার ৬২ দিনের মাথায় ২০১২ সালের ১৮ এপ্রিল হাইকোর্টে ব্যর্থতা স্বীকার করে ডিবি।
পরে আদালত র্যাবকে মামলাটি তদন্তের নির্দেশ দেন। কিন্তু তদন্তের কোনো অগ্রগতি হয়নি। এ অবস্থায় হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২৩ অক্টোবর এ মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
গত বছরের ৪ নভেম্বর র্যাবের হাত থেকে পিবিআই ওই মামলার তদন্তের দায়িত্ব বুঝে নেয়। এরপর সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পর্যায়ের লোকজনকে এ ঘটনায় জিজ্ঞাসাবাদ করেছে তারা।
আইনজীবী শিশির মনির জানান, ‘এটি চাঞ্চল্যকর এবং দুর্ভাগ্যজনক। ১৩ বছরেও এই মামলার তদন্ত শেষ করে রহস্য উন্মোচন করতে পারেনি।’
‘আমি মনে করি এটি রাষ্ট্রীয় লেভেলে বড় ধরনের ব্যর্থতার ফল। এই সরকার আসার পর হাইকোর্ট বিভাগের আদেশে উচ্চতর টাস্কফোর্স গঠিত হয়েছে। এই টাস্কফোর্স ৪ এপ্রিলের মধ্যে তাদের তদন্তের সারবত্তা পেশ করবেন।’
স্বল্পতম সময়ের মধ্যে তদন্তকারী কর্মকর্তারা একটি গ্রহণযোগ্য তদন্ত রিপোর্ট আদালতের সামনে দাখিল করবেন বলে আশাবাদী এই আইনজীবী।
আরও পড়ুন: সাগর রুনি হত্যা: ৯৬ বার পেছাল তদন্ত প্রতিবেদন জমার তারিখ
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, ‘তদন্তের বিষয়টির সঙ্গে স্পর্শকাতরতা আছে। এক ধরনের গোপনীয়তা আছে। তবে যাদের এক্সামিন (জেরা) করা হয়েছে, তদের সঙ্গে আলোচনা করেছেন।’
‘এ ছাড়াও অন্য মামলায় জেলে আছেন, এরকম ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে আলাপ করা হয়েছে। যারা কিছুটা বক্তব্য দিয়েছেন, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের যোগাযোগের ব্যাপারে তারা মুখ খুলেছেন।’
মামলাটি বিচারাধীন উল্লেখ করে শিশির মনির আরও বলেন, ‘অতীতে উচ্চ পর্যায় থেকে এখানে বাধা সৃষ্টি করা হয়েছে। এই উচ্চ পর্যায় চিহ্নিত করে তদন্ত রিপোর্টে দেখানো হবে। আপাতত সবটা বলা সমীচীন নয়।
‘আগের সরকার জড়িত’
রুনির ভাই নওশের আলম রোমান বলেন, ‘তদন্ত তো আমরা বুঝি না। তারপরও সব কিছু দেখে কিছুটা আশার আলো দেখতে পাই।’
তিনি বলেন,‘আমরা সব সময় মনে করতাম যে, আগের সরকারের সংশ্লিষ্ট কেউ বা সরকার স্বয়ং এ হত্যাকাণ্ডের সঙ্গে জড়িত। কারণ যত ধরনের নাটক হয়েছে, ডিএনএ টেস্ট থেকে শুরু করে আমাদের হয়রানি এবং নানা সময় সরকারের বিভিন্ন মন্ত্রী কথাবার্তা বলেছেন।’
নওশের জানান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, কারো বেডরুম পাহারা দেওয়ার দায়িত্ব তার না। এ কারণে তারা মনে করতেন তৎকালীন সরকার বা তাদের সংশ্লিষ্ট কেউ এটার সঙ্গে জড়িত।
তার ভাষ্যে, ‘সরকার আন্তরিক হলে ১২ বছর ধরে তদন্ত চলতো না। র্যাবের মতো একটা বাহিনী যারা তদন্ত প্রক্রিয়ার সঙ্গে জড়িত না...।’
তিনি বলেন, এতবার আশাভঙ্গ ঘটেছে, ‘যার ফলে আমরা আশাবাদী হওয়ার মতো কিছু পাচ্ছি না, যতক্ষণ পর্যন্ত না আমরা তদন্ত রিপোর্ট কী আসছে সেটা জানতে পারছি।’
পজিটিভ কিছু একটা শুনতে পাব: মেঘ
মাহির সরওয়ার মেঘ বলেন, ‘আগে তো কিছু হতো না। এখন তো দেখছি যে ওরা কাজ করছে। তো একটু হলেও আমরা আশাবাদী। আশা করা যাচ্ছে পজিটিভ কিছু একটা শুনতে পাবো।’
৩২০ দিন আগে
ফ্যাসিবাদের দোসরদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিত করা হবে: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা লেফটেন্যান্ট জেনারেল (অব.) জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেছেন, জনগণের জানমালের নিরাপত্তা নিশ্চিতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার কাজ করে যাচ্ছে। ফ্যাসিবাদ ও তাদের দোসর, দুষ্কৃতিকারী, নৈরাজ্য সৃষ্টিকারী ও সন্ত্রাসীদের আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি নিশ্চিতের প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে।
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদ বিদায় নিয়েছে; কিন্তু তাদের দোসররা দেশে বিদেশে সরকারের বিরুদ্ধে নানাবিধ ষড়যন্ত্র চালিয়ে যাচ্ছে। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সারাদেশে অস্থিরতা সৃষ্টিকারী এসব অপতৎপরতাকারী এবং তাদের সহযোগীদের আইনের আওতায় আনার লক্ষ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আওতায় আইন-শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত বাহিনীগুলোর সমন্বয়ে গত ৮ ফ্রেব্রুয়ারি থেকে অপারেশন ডেভিল হান্ট অভিযান পরিচালনা শুরু হয়েছে।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকালে রাজধানীর রাজারবাগ পুলিশ অডিটোরিয়ামে ‘দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে মানবাধিকার ও পরিবেশের ওপর গুরুত্বসহ আইন প্রয়োগ’ বিষয়ক কর্মশালার উদ্বোধনী পর্বে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি।
স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনির সভাপতিত্বে কর্মশালায় আমন্ত্রিত অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল এবং শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান।আরও পড়ুন: অপারেশন ডেভিল হান্টে নির্দোষরা যেন শাস্তি না পায়: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
স্বাগত বক্তব্য রাখেন স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব খন্দকার মাহাবুবুর রহমান। এসময় অন্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত প্রধান উপদেষ্টার বিশেষ সহকারী খোদা বখস চৌধুরী, পুলিশ মহাপরিদর্শক বাহারুল আলম ও সুপ্রিমকোর্টের অ্যাটর্নি জেনারেল আসাদুজ্জামান।
জাহাঙ্গীর আলম চৌধুরী বলেন, ‘স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় অপারেশন ডেভিল হান্টের সামগ্রিক কার্যক্রম তদারকি করছে এবং স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের অধীনে পুলিশ হেডকোয়ার্টার্সে স্থাপিত জয়েন্ট অপারেশন সেন্টারের মাধ্যমে অপারেশন ডেভিল হান্টের সার্বিক কার্যক্রম সমন্বয় করা হচ্ছে। মেট্রোপলিটন এলাকায় মেট্রোপলিটন পুলিশ কমিশনার এবং জেলা পর্যায়ে জেলা ম্যাজিস্ট্রেট অভিযান পরিচালনায় সমন্বয় করছেন।
উপদেষ্টা বলেন, জুলাই-আগস্ট হত্যাকাণ্ডের সাথে সরাসরি জড়িত সন্ত্রাসী, নরহত্যায় জড়িত বিশেষ হেলমেট বাহিনী, ফৌজদারি অপরাধে সম্পৃক্ত ফ্যাসিস্ট ও তাদের দোসররা, অর্থ পাচারকারী, লুণ্ঠনকারী, ষড়যন্ত্রকারী, দুষ্কৃতকারী, রাষ্ট্রদ্রোহী, দুদকের মামলায় আসামিদের আইনের আওতায় আনার জন্য সরকার কাজ করে যাচ্ছে। সরকারের পুলিশ বাহিনী, র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা আইনি প্রক্রিয়ায় এসকল অপরাধীদের উল্লেখযোগ্য সংখ্যক গ্রেফতার করেছে। এ প্রক্রিয়া অব্যাহত রয়েছে।
আইন উপদেষ্টা ড. আসিফ নজরুল বলেন, স্বৈরাচারী সরকারের পতনের পর আমরা একটি চ্যালেঞ্জিং সময় অতিবাহিত করছি। তারা আইনশৃঙ্খলা, বিচারব্যবস্থা, অর্থনীতিসহ রাষ্ট্রের এমন কোনো কাঠামো নেই যেটা ধ্বংস করেনি। আদালত, প্রসিকিউশন, প্রশাসন ও পুলিশ—রাষ্ট্রের এ চারটি গুরুত্বপূর্ণ প্রতিষ্ঠান সমন্বয়ের মাধ্যমে কাজ করলে জনগণ ন্যায়বিচার পাবেন ও আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির উন্নতি ঘটবে।
তিনি বলেন, পুলিশ ও আদালত ফাংশনাল হলে মবতন্ত্র কমে যাবে। মানুষ দেখতে চায় রাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠানগুলো কার্যকরভাবে কাজ করছে তথা রাষ্ট্রের প্রকৃত অস্তিত্ব রয়েছে।
তিনি এসময় বিচারকদের হুটহাট করে জামিন না দেওয়া এবং জামিনের যোগ্য ব্যক্তিদের বঞ্চিত না করার আহ্বান জানান।
শিল্প উপদেষ্টা আদিলুর রহমান বলেন, বিগত ফ্যাসিস্ট সরকারের আমলে শতশত গুম ও হাজার হাজার বিচারবহির্ভূত হত্যাকাণ্ড ঘটেছে। প্রশাসন ও বিচার ব্যবস্থার পাশাপাশি রাষ্ট্রের কাঠামোকে ব্যবহার করা হয়েছে ফ্যাসিবাদী শাসনব্যবস্থা প্রতিষ্ঠায়।আরও পড়ুন: সন্ত্রাসী ও দুস্কৃতকারীরা ‘অপারেশন ডেভিল হান্টের’ টার্গেট: স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা
তিনি বলেন, জুলাই বিপ্লবে ছাত্র-জনতা ও রাজনৈতিক কর্মীদের পাশাপাশি মানবাধিকার কর্মীরা গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার মানুষকে মুক্তি দেওয়া তথা মানবাধিকার প্রতিষ্ঠায় কাজ শুরু করেছে। সেজন্য পুলিশ, প্রশাসন ও বিচার বিভাগসহ নানা সেক্টরে সংস্কার কার্যক্রম শুরু করেছে।
‘মৌলিক মানবাধিকার নীতিকে মাথায় রেখে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীকে কাজ করতে হবে এবং আদালতকে সত্যিকার অর্থে কার্যকর করতে হবে।’
কর্মশালায় ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেসির সব ম্যাজিস্ট্রেট, সব পাবলিক প্রসিকিউটর, ঢাকা ও গাজীপুরের জেলা প্রশাসক ও পুলিশ সুপার, ঢাকা ও গাজীপুর মেট্রোপলিটনের সব জোনাল উপপুলিশ কমিশনার ও সব থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা অংশগ্রহণ করেন।
৩২১ দিন আগে
স্বামীকে হত্যার ১৪ বছর পর স্ত্রী-প্রেমিকের আমৃত্যু কারাদণ্ড
ময়মনসিংহে স্বামী হেলাল উদ্দিনকে হত্যার দায়ে স্ত্রী হাফিজা খাতুন ও তার কথিত প্রেমিক আব্দুল্লাহ আল মামুনকে আমৃত্যু কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। এছাড়াও দুজনকে এক লাখ টাকা করে অর্থদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে ময়মনসিংহ পঞ্চম অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক আলী মুনসুর এই রায় ঘোষণা করেন।
রায়ের বিবরণে জানা যায়, ১৪ বছর আগে মুক্তাগাছার ভাবকী গ্রামের হেলাল উদ্দিনের সঙ্গে বিয়ে হয় নন্দীবাড়ি গ্রামের হাফিজা খাতুনের। বিয়ের কয়েক বছর পর হেলাল দুবাই চলে যান। এরপরই আব্দুল্লাহ আল মামুন নামে একজনের সঙ্গে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েন হাফিসা।
আরও পড়ুন: নাটোরে শিশু ধর্ষণ-হত্যার দায়ে কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ
পরে ২০১১ সালে হাফিজার স্বামী হেলাল দুবাই থেকে দেশে ফিরে এসে স্ত্রীর কাছে পাঠানো টাকার হিসাব চায়। এতে স্ত্রী হাফিজা ক্ষিপ্ত হয় ও টাকা পয়সা হিসাব না দিয়ে বিভিন্নভাবে হুমকি দেয়। পরবর্তীতে ঐ বছরের ২৮ জুন রাতে নিজ বাড়িতে খুন হয় হেলাল। এ ঘটনায় হেলালের বোন সাফিয়া আক্তার ৩ জনকে আসামি করে মুক্তাগাছা থানায় মামলা করেন।
এদিকে হাফিজা খাতুনকে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন পলাতক রয়েছে। মামলার আরেক আসামি আরমান মামলা চলাকালীন সময়ে মারা যাওয়ার তাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে।
৩২১ দিন আগে
নাটোরে শিশু ধর্ষণ-হত্যার দায়ে কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ
নাটোরে ৭ বছর বয়সী শিশুকে ধর্ষণ ও হত্যার দায়ে শিশু আইনে সাকিব নামে এক কিশোরকে ১০ বছরের আটকাদেশ দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সকালে নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের বিচারক মুহাম্মদ আব্দুর রহিম এ রায় দেন।
নাটোরের নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের সরকারি কৌসুলী (পিপি) আব্দুল কাদের মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এ সময় তিনি বলেন, ‘শিশু নিঁখোজ হওয়ার দুদিন পর তার বস্তাবন্দি উদ্ধার করা হয়।’
এ ঘটনায় শিশুর বাবা মনিরুল বাদি হয়ে মামলা করলে সাকিবকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। পরে তার স্বীকরোক্তি ও তথ্য প্রামাণেরর ভিত্তিতে আদালত আজ (সোমবার) এ রায় দেন বলে জানান পিপি আব্দুল কাদের মিয়া।
আরও পড়ুন: ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীর দুই বছর করে কারাদণ্ড
২০১৭ সালের ২০ ডিসেম্বর গুরুদাসপুর উপজেলার বালসা গ্রামের মনিরুল ইসলামের শিশু বাড়ির বাহিরে খেলা করার সময় নিঁখোজ হয়। দুদিন পর ২২ ডিসেম্বর তার বস্তাবন্দি লাশ পাশের দিঘী থেকে উদ্ধার করে পুলিশ।
ময়নাতদন্তে শিশুকে ধর্ষণের পর হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত হওয়ার পর পুলিশ প্রতিবেশী মিলন হোসেনের ছেলে সাকিবকে গ্রেপ্তার করে।
৩২১ দিন আগে
হত্যা মামলায় সালমান, আনিসুল, পলক ও মবিনের ৪ দিনের রিমান্ড
হত্যা মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান, সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক, সাবেক আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক ও তৃণমূল বিএনপির সাবেক সভাপতি শমসের মবিন চৌধুরীর চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।
সোমবার (১০ ফেব্রুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত শুনানি শেষে রিমান্ডের আদেশ দেন। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা যাত্রাবাড়ী থানার উপপরিদর্শক নাজমুল হাসান তাদের ১০ দিন করে রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। এদিন শুনানিকালে তাদের আদালতে হাজির করা হয়।
আরও পড়ুন: তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হক
রাষ্ট্রপক্ষের পাবলিক প্রসিকিউটর ওমর ফারুক ফারুকী রিমান্ডের পক্ষে শুনানি করেন। আসামি পক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেককে চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, গত ৫ আগস্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ঢাকার যাত্রাবাড়ী এলাকায় অংশ নেন পারবেজ মিয়া। বিকালে আসামিদের ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়ে ঢাকা মেডিকেলে যান।
কিছুক্ষণ পর চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। এ ঘটনায় যাত্রাবাড়ী থানায় গত ২৯ অক্টোবর মামলা করেন নিহতের মা কানীছ ফাতেমা।
আরও পড়ুন: ফের তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ
৩২২ দিন আগে
কুষ্টিয়ায় নাশকতা মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
কুষ্টিয়ায় ছাত্রদের করা নাশকতা মামলায় দুই ছাত্রলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে কুমারখালী পৌরসভার পদ্মপুকুর থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয় তাদের।
গ্রেপ্তাররা হলেন— কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মুবিন হাসান প্রান্ত ও একই এলাকার উপ-দপ্তর সম্পাদক মেজবাউল হক হৃদয়।
পুলিশ জনায়, সকাল ৬টার দিকে লিফলেট বিতরণ ও নাশকতা চেষ্টার উদ্দেশ্যে পৌরসভার পদ্মপুকুর এলাকায় জড়ো হতে থাকে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীরা। পরে পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যাওয়ার সময় ছাত্রলীগ নেতা হৃদয়কে লাঠিসোঁটাসহ ঘটনাস্থল থেকে আটক করে পুলিশ।
এ ঘটনায় সকাল ১০টার দিকে আটক হৃদয়কে আসামি করে নাশকতা আইনে মামলা করেন বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের ছাত্র শামীম হোসেন। মামলায় অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে আরও ৩০ জনকে। পরে কুমারখালী পৌর ছাত্রলীগের সভাপতি খন্দকার মুবিন হাসান প্রান্তকে গ্রেপ্তার করা হয়।
আরও পড়ুন: শেখ হেলাল, তন্ময়সহ বাগেরহাট আ.লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমারখালী শাখার সদস্য সচিব আসাদুজ্জামান আলী বলেন, ‘আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের কর্মীরা নাশকতা করার উদ্দেশে পদ্মপুকুর এলাকায় জড়ো হচ্ছিল। পরে পুলিশের খবর পেয়ে তার দ্রুত পালিয়ে যায়। আমরা থানায় মামলা করেছি।’
কুমারখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. সোলায়মান শেখ বলেন, ‘৩০ জনকে আসামি করে নাশকতা আইনে মামলা হয়েছে। মামলার অন্যান্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ।’
৩২২ দিন আগে
শেখ হেলাল, তন্ময়সহ বাগেরহাট আ.লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা
বাগেরহাটের ফকিরহাটে ছাত্র-জনতার ওপর গুলি, বোমা বিস্ফোরণ ও স্থাপনা ধ্বংসের অভিযোগে বাগেরহাট-১ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন, বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য শেখ সারহান নাসের তন্ময় ও তৎকালীন পুলিশ সুপার আবুল হাসনাতসহ আওয়ামী লীগের ৩৫ নেতা-কর্মীর বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে।
এছাড়া বিশেষ ক্ষমতা আইন ও বিস্ফেরক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে করা মামলায় অজ্ঞাত পরিচয় আরও ৬০ জনকে মামলায় আসামি করা হয়েছে।
শনিবার (৮ ফেব্রুয়ারি) শহরের খারদ্দার এলাকার ব্যবসায়ী মো. রফিকুল ইসলাম মিঠু বাদী হয়ে ফকিরহাট থানায় এ মামলা করেন।
ওই দিনই মামলার এজাহারভুক্ত ৬ নম্বর আসামি আবুল হাসনাত খানকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। পরে পুলিশ আজ (রবিবার) তাকে বাগেরহাট আদালতে হাজির করলে আদালত তাকে জেলা কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন।
মামলার অন্যান্য আসামিরা হলেন— বাগেরহাট-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য আইনজীবী মীর শওকত আলী বাদশা, বাগেরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ কামরুজ্জামান টুকু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আইনজীবী ভূইয়া হেমায়েত উদ্দিন, ফকিরহাট উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি স্বপন কুমার দাশ, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক ও বাগেরহাট পৌরসভার মেয়র খান হাবিবুর রহমান, বাগেরহাট সদর উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও জেলা যুবলীগ সভাপতি সরদার নাসির উদ্দিন, আবুল কালাম আজাদ ওরফে সাহেব মল্লিক, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা ওহিদুর রহমান বাবু, ইমরুল হাসান, বাগেরহাট সদর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি শিপন মিনা, শেখ হেলাল উদ্দিনের একান্ত সহকারী ফিরোজুল ইসলাম, জেলা শ্রমিক লীগের সভাপতি রেজাউর রহমান মন্টু, সাধারণ সম্পাদক খান আবু বক্কর সিদ্দিক ওরফে বক্কর খা, বাগেরহাট পৌর আওয়ামী লীগের সভাপতি শেখ বশিরুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা শামিম আহসান, শেখ মহিতুর রহমান পল্টন, সৈয়দ বাদশা হোসেন, খান মুজিবুর রহমান, দুলাল আকন, কাদের সরদার, হুমাযুন কবির পলি,সুমন রাহি, ফারুক হোসেন, দোলন মোল্যা, নাহিয়ান সুলতান, মমিনুল হক আকাশ, জেলা যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক মীর জায়েসী আসরাফী জেমস, ফারুক তালুকদার, বাগেরহাট চেম্বার অব কমার্স অ্যান্ড ইন্ড্রাস্টির সভাপতি লিয়াকত হোসেন লিটন, নকিব নজু, কচুয়া উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মেহেদি হাসান বাবু ও নাজমা সরোয়ার।
মামলার এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে, আসামিরা ছাত্র-জনতার আন্দোলন নস্যাৎ করার উদ্দেশ্যে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম সংঘটনের লক্ষ্যে গত ৪ আগস্ট ফকিরহাট উপজেলার কাটাখালী গোলচত্ত্বর সংলগ্ন পাওয়ার ফিলিং স্টেশনের সামনে পাকা রাস্তার ওপর বেআইনিভাবে রাস্তা অবরোধ করে অন্তর্ঘাতমূলক কার্যক্রম করে এবং আন্দোলনকারী বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতাকে ফাঁসাতে গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনা ধ্বংস করতে থাকে। তারা ছাত্র-জনতাকে লক্ষ্য করে জনগণের মধ্যে আতঙ্ক সৃষ্টি করতে কয়েকটি বোমা বিস্ফোরণসহ হত্যার উদ্দেশ্যে একাধিক গুলি চালানো হয়।
এজাহারে আরও বলা হয়েছে, সাবেক পুলিশ সুপার আবুল হাসনাত খান উচ্চপদস্থ কর্মকর্তা থাকার কারণে ফ্যাসিস্ট সরকারকে টিকিয়ে রাখতে উস্কানিমূলক বক্তব্য দেন। দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে ‘একটি ব্যালট একটি বুলেট’ বক্তব্য ও ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের কয়েকদিন আগে বাগেরহাটে একটি অনুষ্ঠানে ‘যেখানে উন্নয়ন, সেখানেই ধ্বংস’ বক্তব্য দিয়ে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়েন।
আরও পড়ুন: আরও তিন মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হলো সাবেক মন্ত্রী ইমরানকে
৩২২ দিন আগে
জুলাই অভ্যুত্থানের ছবি ও ভিডিও ফুটেজ আহ্বান
জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার ওপর সহিংস ঘটনার স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ সংগ্রহ করা হচ্ছে। যদি কারও কাছে এমন কোনো প্রমাণ থাকে, তাহলে তাকে সেগুলো এ সংক্রান্ত ওয়েবসাইটে (andolonerchobi.police.gov.bd) আপলোড করতে অনুরোধ জানানো হয়েছে।
রবিবার (৯ ফেব্রুয়ারি) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এমন আহ্বান জানিয়েছে পুলিশ হেডকোয়াটার্স। আগামী ১১ ফেব্রুয়ারি থেকে ২৫ ফেব্রুয়ারি সময়ের মধ্যে তথ্য-প্রমাণ আপলোড করতে বলা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত বছরের ১ জুলাই থেকে ৫ আগস্ট পর্যন্ত গণ-আন্দোলনকালে ছাত্র-জনতার ওপর হামলা, হত্যা ও গুলিবর্ষণের ঘটনার তথ্য-প্রমাণ ও ডিজিটাল প্রমাণাদি সংগ্রহ করা হচ্ছে। যেসব নাগরিকের কাছে সংশ্লিষ্ট কোনো ছবি কিংবা ভিডিও রয়েছে, তারা চাইলে সেগুলো পুলিশকে সরবরাহ করতে পারেন।
এ সংক্রান্ত একটি ওয়েবসাইট (andolonerchobi.police.gov.bd) খোলা হয়েছে, এখানেই সবাইকে ছবি ও ভিডিও আপলোড করতে বলা হয়েছে। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, একটি মোবাইল নম্বর দিয়ে প্রতি ঘণ্টায় সর্বোচ্চ ১টি এবং প্রতিদিন সর্বোচ্চ ৫টি করে স্থির চিত্র ও ভিডিও ফুটেজ আপলোড করা যাবে।
প্রতিটি ফাইল আপলোডের আগে আপলোডকারীর মোবাইল নম্বরে একটি ওটিপি পাঠানো হবে। আপলোডকৃত ফাইলগুলো আপলোডকারীর মোবাইল নম্বর দিয়ে লগ-ইন করে পরবর্তীতে দেখা যাবে।
আরও পড়ুন: জুলাই অভ্যুত্থান: আহতদের চিকিৎসায় আগত বিদেশি চিকিৎসকদের ভ্যাট অব্যাহতি
৩২২ দিন আগে
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে ছাড়া পেয়েছেন শাওন ও সোহানা সাবা
ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের পর অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন এবং অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে ছেড়ে দিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)।
শুক্রবার (৭ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে ডিএমপি মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার (ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, ডিবি কার্যালয় থেকে মেহের আফরোজ শাওন ও অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে নিজ নিজ পরিবারের জিম্মায় দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন: ডিবি হেফাজতে মেহের আফরোজ শাওন
গত ১৫ জানুয়ারি কলকাতার হোটেল পার্কে অনুষ্ঠিত সভায় সরাসরি ও ভার্চুয়ালি যারা উপস্থিত ছিলেন, তাদের মধ্যে শাওনের নাম উঠে আসে। এরপর থেকে তাকে গোয়েন্দা নজরদারিতে রাখা হয়।
এরপর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টার দিকে এই অভিনেত্রীকে রাষ্ট্রবিরোধী ষড়যন্ত্রের অভিযোগে হেফাজতে নেয় ডিবি।
এরপর গতকালই রাত সাড়ে ১২টার দিকে রাজধানীর ধানমণ্ডি এলাকা থেকে সোহানা সাবাকে আটক করে মিন্টো রোডের ডিবি কার্যালয়ে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: এবার ডিবি হেফাজতে সোহানা সাবা
৩২৪ দিন আগে
এবার ডিবি হেফাজতে সোহানা সাবা
অভিনেত্রী সোহানা সাবাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৬ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত মধ্যরাতে এমন তথ্য জানিয়েছে ডিএমপির মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস্ বিভাগের উপ-পুলিশ কমিশনার(ডিসি) মুহাম্মদ তালেবুর রহমান।
এরআগে অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওনকে হেফাজতে নিয়েছে ঢাকা মহানগর গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি)। রাজধানীর ধানমণ্ডির নিজ বাসা থেকে সন্ধ্যায় তাকে হেফাজতে নেওয়া হয়।আরও পড়ুন: ডিবি হেফাজতে মেহের আফরোজ শাওন
তালেবুর রহমান জানান, মেহের আফরোজ শাওনকে তার নিজ বাসা থেকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ডিবি কার্যালয়ে আনা হয়েছে। রাষ্ট্রবিরোধী মন্তব্য করার কারণে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সম্প্রতি শাওনের রাজনৈতিক অবস্থান ও কিছু মন্তব্যকে কেন্দ্র করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমসহ বিভিন্ন মহলে আলোচনা-সমালোচনা হয়। এরই ধারাবাহিকতায় আজ তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য হেফাজতে নিল ডিবি।
৩২৫ দিন আগে