আইনশৃঙ্খলা
চিত্রনায়িকা পপির বিরুদ্ধে জমি দখলচেষ্টার অভিযোগ, থানায় জিডি
এবার চিত্রনায়িকা সাদিকা পারভীন পপির বিরুদ্ধে জমি দখলের চেষ্টার অভিযোগ উঠেছে। এ অভিযোগের ভিত্তিতে খুলনার সোনাডাঙ্গা থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেছেন তার মেজো বোন ফিরোজা পারভীন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) রাতে চিত্রনায়িকা পপির বোন এই জিডি করেন জানিয়েছেন সোনাডাঙ্গা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শফিকুল ইসলাম। ইউএনবিকে তিনি বলেছেন, থানার উপপরিদর্শক (এসআই) গোলাম মোস্তফা ঘটনাটির তদন্ত করছেন।
জিডির বরাত দিয়ে পুলিশ জানায়, পৈতৃক জমি দখলের নেওয়ার জন্য কল্লোল মজুমদার, শিপন ও স্বামী আদনান উদ্দিন কামালসহ সোমবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে শিববাড়ি এলাকার নিজেদের ভাড়া দেওয়া বাড়িটির সামনে যান পপি। এ সময় তাদের বাধা দিলে পপি ও তার স্বামী মিলে বোন ফিরোজা পারভীনকে হুমকি দেন।
এ বিষয়ে পপির মা মরিয়ম বেগম বলেন, ‘আমার মেয়েটা আগে ভালোই ছিল, কিন্তু বিয়ের পর পাঁচ-ছয় বছর ধরে স্বামীর প্ররোচনায় আমাদের নানাভাবে হুমকি-ধমকি দিচ্ছে। তার বাবার জমি দখলের চেষ্টা করছে। আমাদের প্রতিনিয়ত হয়রানির মধ্যে রেখেছে। এই বয়সে আমরা কোথায় যাব!’
বোন ফিরোজা পারভীন বলেন, ‘আমরা চার বোন, দুই ভাই। পপি সবার বড়। অনেক বছর ধরেই সে আমাদের বাবার জমি দখলের চেষ্টা করছে। বাবার মৃত্যুর পর থেকেই আমরা হয়রানির শিকার হচ্ছি।’
তিনি বলেন, ‘পপি ছাড়া আমরা সবাই এক আছি। আগেও আমাদের ভয় দেখানো হয়েছে। পপি সবার জমি একাই দখল করতে চায়।’
আরও পড়ুন: ইউপি চেয়ারম্যানের বাড়ি থেকে ককটেলসহ ভিজিডি ও টিসিবির পণ্য জব্দ
এসআই গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘বিষয়টি তাদের পারিবারিক। সে কারণে দুপক্ষকে ডেকে কথা বলে বিষয়টি তদন্ত করা হবে। এরপর প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
১৯৯৭ সালে মনতাজুর রহমান আকবর পরিচালিত ‘কুলি’ সিনেমার মধ্য দিয়ে পর্দায় অভিষেক হয় পপির। প্রথম সিনেমা দিয়েই সাফল্য পান এই অভিনেত্রী। এরপর আর তাকে পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি। একের পর এক সিনেমায় কাজ করেছেন। তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারেও ভূষিত হয়েছেন তিনি।
এদিকে প্রায় চার বছর ধরে একপ্রকার অন্তরালে রয়েছেন গ্ল্যামার গার্ল পপি। এর আগে বেশ কয়েকবার যোগাযোগের চেষ্টা করেও তার কোনো খোঁজ পাওয়া যায়নি।
পরে ব্যক্তিজীবনে পাকাপোক্ত হওয়ার গুঞ্জনও ওঠে। এবার জমি-সংক্রান্ত বিরোধের জেরে স্বামীকে নিয়ে তার প্রকাশ্যে আসার দাবি করলেন বোন।
৩২৭ দিন আগে
চিন্ময়কে কেন জামিন নয়, জানতে চেয়ে হাইকোর্টের রুল
রাষ্ট্রদ্রোহের মামলায় সাবেক ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাসকে জামিন দেননি হাইকোর্ট। তবে এ মামলায় কেন তাকে জামিন দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট।
মঙ্গলবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিচারপতি আতোয়ার রহমান ও বিচারপতি মোহাম্মদ আলী রেজার দ্বৈত বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। দুই সপ্তাহের মধ্যে রাষ্ট্রপক্ষকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
আদালতে জামিন আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী অপূর্ব কুমার ভট্টাচার্য ও প্রবীর রঞ্জন হালদার। আর রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক ও অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল আরশাদুর রউফ।
এর আগে, ২ জানুয়ারি চিন্ময় দাসের জামিন আবেদন নামঞ্জুর করেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ। এরপর ১৯ জানুয়ারি হাইকোর্টে জামিন চেয়ে আবেদন করেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে চিন্ময়কাণ্ডে গ্রেপ্তার ৮ আসামি ফের ৫ দিন রিমান্ডে
অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল অনিক আর হক জানিয়েছেন, হাইকোর্ট চিন্ময় দাশের জামিন আবেদন শুনানি করে তাকে জামিন দেননি। তবে তাকে কেন জামিন দেওয়া হবে না সে মর্মে দুসপ্তাহের রুল জারি করেছেন।
গত ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে জাতীয় পতাকা অবমাননার অভিযোগে রাষ্ট্রদ্রোহের মামলা হয়। এ মামলায় আরও ১৮ জনকে আসামি করা হয়। ২৫ নভেম্বর ঢাকায় গ্রেফতার করা হয় চিন্ময় দাসকে। পরদিন জামিন আবেদন করা হলে তা নামঞ্জুর করে তাকে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট।
ওই দিন আদালত প্রাঙ্গণে ব্যাপক সংঘর্ষ হয়। আদালত চত্বরে কুপিয়ে হত্যা করা হয় আইনজীবী সাইফুল ইসলামকে।
৩২৮ দিন আগে
ফের তিন দিনের রিমান্ডে সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ
সাবেক জনপ্রশাসনমন্ত্রী ফরহাদ হোসেন, তার ছোট ভাই জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক সরফরাজ হোসেন মুকুল ও ভগ্নিপতি জেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি আব্দুস সামাদ বাবলুকে ফের তিনদিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) সাড়ে ১০টায় এমন আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলায় তাদের রিমান্ড মঞ্জুর করা হয়েছে। দুই দিনের রিমান্ড শেষে আজ সোমবার সকালে মেহেরপুর আদালতে হাজির করা হয় তাদের। এসময় আদালতের বাইরে ব্যাপক হট্টগোল হতে দেখা গেছে।
এছাড়াও তাদের বিরুদ্ধে আরও একটি হত্যা মামলার শুনানি চলছে।
গেল ১৪ সেপ্টেম্বর রাজধানীর ইস্কাটন এলাকা থেকে ফরহাদ হোসেনকে গ্রেপ্তার করেছে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
র্যাব-২ ব্যাটালিয়ন সদর দপ্তরের সিনিয়র সহকারী পরিচালক (মিডিয়া) শিহাব করিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাতিরঝিল থানাধীন ইস্কাটন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় গত ৫ আগস্ট আদাবর থানাধীন এলাকায় রুবেল নামে এক ব্যক্তিকে গুলি করে হত্যার ঘটনায় করা মামলার আসামি ছিলেন সাবেক এই মন্ত্রী।
৩২৯ দিন আগে
ফারুক হত্যাকাণ্ড: ২ জনের যাবজ্জীবন, খান পরিবারের সবাই খালাস
টাঙ্গাইলের আওয়ামী লীগ নেতা ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও পাঁচ লাখ টাকা জরিমানা করেছে আদালত। জরিমানা অনাদায়ে প্রত্যেককে আরও এক বছর করে বিনাশ্রাম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে। তবে আওয়ামী লীগের সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানাসহ খান তার পরিবারের সবাই এই মামলা থেকে খালাস পেয়েছেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকালে টাঙ্গাইলের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের বিচারক মো. মাহমুদুল হাসান এ রায় দেন।
আসামিরা হলেন— টাঙ্গাইল সদর উপজেলার বিসিক তারুটিয়া গ্রামের মৃত মোখলেছুর রহমানের ছেলে কবির হোসেন কবির ও শহরের দক্ষিণ কলেজপাড়ার মো. রমজান ড্রাইভারের ছেলে মোহাম্মদ আলী। তারা দুজনেই পলাতক রয়েছেন।
খালাসপ্রাপ্তরা হলেন— সাবেক এমপি আমানুর রহমান খান রানা ও তার অপর তিন ভাই টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র সহিদুর রহমান খান মুক্তি, ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান কাকন ও কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক সহ-সভাপতি সানিয়াত খান বাপ্পা, বাবু ওরফে দাঁতভাঙ্গা বাবু, আলমগীর হোসেন চান, নাসির উদ্দিন নুরু, ছানোয়ার হোসেন ছানু, মাসুদুর রহমান ও ফরিদ আহাম্মেদ।
রায় ঘোষণার সময় মুক্তি, দাঁতভাঙ্গা বাবু ও নাসির উদ্দিন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সহিদুর রহমান খান মুক্তি অন্য একটি মামলায় জেলহাজতে থাকায় এই মামলায় মুক্তি মিললেও রায় ঘোষণার পর আবার তাকে জেলহাজতে নিয়ে যাওয়া হয়।
অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ প্রথম আদালতের অতিরিক্ত পিপি সাইদুর রহমান স্বপন বলেন, এ মামলায় ২৭ জন সাক্ষি আদালতে সাক্ষ্য দেন। রাষ্ট্রপক্ষ তাদের জেরা করেন। এরপর বিজ্ঞ আদালত দুজনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১০ জনকে খালাস দিয়েছেন। এই আদেশের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষ থেকে উচ্চ আদালতে যাওয়ার বিষয়ে পরবর্তীতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তার কলেজপাড়ার বাসার কাছ থেকে উদ্ধার করে পুলিশ। ঘটনার তিনদিন পর ফারুক আহমেদের স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় অজ্ঞাত আসামিদের বিরুদ্ধে একটি হত্যা মামলা করেন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে নারীসহ দুইজনের ঝুলন্ত লাশ উদ্ধার
২০১৪ সালের অগাস্টে এই হত্যাকাণ্ডে জড়িত সন্দেহে আনিসুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলীকে গ্রেপ্তার করে গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। পরে তারা আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন। তাদের জবানবন্দিতে টাঙ্গাইলের প্রভাবশালী খান পরিবারের চার ভাই আমানুর রহমান খান রানা, সহিদুর রহমান খান মুক্তি, জাহিদুর রহমান খান কাকন ও সানিয়াত খান বাপ্পার নাম উঠে আসে। তখনই তারা আত্মগোপনে চলে যান।
একপর্যায়ে আমানুর রহমান খান রানা আদালতে আত্মসমর্পণ করে তিন বছর পর জামিনে মুক্ত হন। গত ৫ অগাস্ট আওয়ামী লীগ সরকার পতনের পর তিনি আবার আত্মগোপনে চলে যান। এছাড়া তার অপর দুই ভাই কাকন ও বাপ্পা ২০১৪ সাল থেকেই বিদেশে অবস্থান করছেন বলে জানা যায়।
২০১৬ সালের ৩ ফেব্রুয়ারি টাঙ্গাইল ডিবির তৎকালীন ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা গোলাম মাহফীজুর রহমান চার ভাইসহ ১৪ জনের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। ২০১৭ সালের ৬ সেপ্টেম্বর আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের মধ্য দিয়ে মামলার বিচার শুরু হয়। বিচার চলাকালে দুই আসামি আনিছুর রহমান ওরফে রাজা ও মোহাম্মদ সমির কারাগারে মারা যান। মামলা চলাকালে বাদী নাহার আহমেদেরও মৃত্যু হয়।
৩২৯ দিন আগে
জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে আ.লীগ নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ
পাবনায় জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে পুলিশের কাছ থেকে সুজানগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি, সাবেক পৌর মেয়র ও সাবেক উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওহাবকে ছিনিয়ে নেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ৮ পুলিশ সদস্য আহত হয়েছেন।
রবিবার (২ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৫টার দিকে উপজেলার ভায়না ইউনিয়নের মথুরাপুর এলাকায় ঘটনাটি ঘটে।
আব্দুল ওহাব পাবনা সদর থানা ও ঢাকার মোহাম্মদ থানার বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনে হত্যার মামলার আসামি।
স্থানীয়রা জানান, বিকালে আব্দুল ওহাবের বাড়ি-সংলগ্ন মথুরাপুর স্কুলের মসজিদ থেকে আসরের নামাজ শেষে বের হলে সুজানগর থানা পুলিশের একটি দল তাকে গ্রেপ্তার করে গাড়িতে ওঠায়। এ সময় বেশ কয়েকজন মিলে গাড়িটি ঘিরে ফেলেন। তারা পুলিশকে আব্দুল ওহাবকে ছেড়ে দিতে বলেন, কিন্তু পুলিশ তাতে রাজি না হলে কয়েকশ লোক জড়ো হয়ে জয় বাংলা স্লোগান দিয়ে হামলা ও ভাঙচুর করে তাকে ছিনিয়ে নেয়। এ সময় ধস্তাধস্তিতে ৮ পুলিশ সদস্য আহত হন।
এ ঘটনায় সুজানগর উপজেলা বিএনপির সাবেক সদস্য সচিব শেখ মো. আব্দুর রউফ ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, ‘এটা পুলিশের দুর্বলতার প্রকাশ। এত কম পুলিশ সদস্য ওখানে যাওয়া ঠিক হয়নি। আরও শক্তিশালী হয়ে সেখানে যাওয়া উচিত ছিল। এ ঘটনায় আমরা তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি।’
সুজানগর উপজেলা জামায়াতে ইসলামীর আমির অধ্যাপক হেসাব উদ্দিন বলেন, ‘পুলিশের গাফিলতিতে তাকে ছাড়িয়ে নিয়েছে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা। এ সময় পুলিশ কোনো প্রতিরোধ ব্যবস্থা করেনি। অথচ আগে জামায়াত-বিএনপির লোকজনের ওপর কোনো কারণ ছাড়াই লাঠিচার্জ ও গুলি করত। এ ঘটনায় আমরা হতভম্ব হয়ে গেছি।’
আরও পড়ুন: সিরাজগঞ্জে নদীতে নিখোঁজ অপর দুই বন্ধুরও লাশ উদ্ধার
এ বিষয়ে আব্দুল ওহাবের বক্তব্য জানতে তার মোবাইল নম্বরে যোগাযোগ করা হলে নম্বরটি বন্ধ পাওয়া যায়।
সুজানগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মোস্তফা বলেন, ‘এ ঘটনায় পুলিশের ৮ জন সদস্য আহত হয়েছে।’
পাবনা পুলিশ সুপার মোরতোজা আলী খান বলেন, ‘আব্দুল ওহাব বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামি। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালিয়ে তাকে মথুরাপুর স্কুল থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। কিন্তু কয়েকশ মানুষ তাকে পুলিশের গাড়ি থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে। তাকে পুনরায় ধরতে আমাদের অভিযান অব্যাহত রয়েছে। শিগগিরই তাকে গ্রেপ্তার করা হবে।’
৩২৯ দিন আগে
পল্লী বিদ্যুতের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে গিয়ে আটক ২০
ফেনীতে পল্লী বিদ্যুতের নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দেওয়ার সময় ২০ ভুয়া পরীক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১১টার দিকে পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মিটার রিডার কাম মেসেঞ্জার পদে লিখিত পরীক্ষার ৪টি কেন্দ্র থেকে তাদের আটক করা হয়।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি জানায়, ফেনী সরকারি কলেজ ও সরকারি পাইলট উচ্চ বিদ্যালয় কেন্দ্র থেকে ৭ জন, সরকারি জিয়া মহিলা কলেজ থেকে ৭ জন ও শাহীন অ্যাকাডেমি স্কুল অ্যান্ড কলেজ কেন্দ্র থেকে ৬ জনকে আটক করা হয়।
ফেনী পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির মহাব্যবস্থাপক হাওলাদার মো. ফজলুর রহমান বলেন, ‘এই পরীক্ষায় ৫ হাজার ২৫৫ জন পরীক্ষার্থী অংশ নেন।’
আরও পড়ুন: মানিকগঞ্জে কনস্টেবল নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সিতে পাস, গ্রেপ্তার ৩
এছাড়া নিয়োগ পরীক্ষায় প্রক্সি দিতে আসা ২০ জনকে আটক করে নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলিশে সোপর্দ করেছে বলে জানান তিনি।
ফেনী মডেল থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মর্ম সিংহ ত্রিপুরা বলেন, ‘আটকদের বিরুদ্ধে নিয়মিত মামলার প্রস্তুতি চলছে।’
৩৩০ দিন আগে
ঠাকুরগাঁওয়ের সেই ‘রামদা জ্যোতি’ গ্রেপ্তার
ছাত্রজনতার আন্দোলন চলাকালে ঠাকুরগাঁওয়ে রামদা হাতে ভাইরাল হওয়া জ্যোতিকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে ঠাকুরগাঁও শহরের আশ্রমপাড়া এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
গ্রেপ্তার জ্যোতি (৩২) শহরের রূপকুমার গুহ ঠাকুরতার ছেলে।
পারিবারিক সূত্রে জানা গেছে, তিনি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান কোটায় পুলিশ কনস্টেবল পদে কিছুদিন চাকরি করলেও পরে চাকরিচ্যুত হন।
আরও পড়ুন: ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাকু গ্রেপ্তার
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খালি গায়ে হাতে রামদা নিয়ে গত বছরের ৪ আগস্ট ছাত্র আন্দোলনে প্রকাশ্যে আন্দোলনকারীদের ওপর হামলা চালান জ্যোতি। ঘটনার পর থেকে তিনি দীর্ঘদিন আত্মগোপনে ছিলেন। তবে পুলিশের নজরদারিতে থাকার পর শেষপর্যন্ত তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
পুলিশ জানায়, জ্যোতির বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। তার বিরুদ্ধে নাশকতা, হামলা ও অস্ত্র আইনসহ বিভিন্ন ধারায় অভিযোগ আনা হয়েছে।
তাকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করে ঠাকুরগাঁও সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘জ্যোতির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা রয়েছে। গ্রেপ্তারের পর আমরা তাকে আদালতে সোপর্দ করেছি।’
৩৩০ দিন আগে
তৌহিদুরের মৃত্যু: সেনা ক্যাম্প কমান্ডার প্রত্যাহার
আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তর (আইএসপিআর) জানিয়েছে, শুক্রবার ভোরে যৌথবাহিনীর হাতে আটক তৌহিদুর রহমানের মৃত্যুর পর সেনা ক্যাম্পের এক কমান্ডারকে প্রত্যাহার করা হয়েছে।
শনিবার (১ ফেব্রুয়ারি) আন্তঃবাহিনী জনসংযোগ পরিদপ্তরের (আইএসপিআর) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, অনাকাঙ্ক্ষিত ও মর্মান্তিক এ ঘটনা তদন্তে যথাযথ পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। মৃত্যুর সঠিক কারণ উদঘাটনে একটি উচ্চ ক্ষমতাসম্পন্ন কমিটি গঠন করা হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে তৌহিদুর রহমান (৪০) নামে এক ব্যক্তির মৃত্যু হয়।
সুনির্দিষ্ট অভিযোগের ভিত্তিতে শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে কুমিল্লার আদর্শ সদর উপজেলা থেকে যৌথ বাহিনীর অভিযানে তাকে আটক করা হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘তদন্তে দোষী সাব্যস্ত হলে দায়ীদের বিরুদ্ধে সেনা আইন অনুযায়ী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।’
আরও পড়ুন: হেফাজতে যেকোনো ধরনের নির্যাতন-খুনের নিন্দা জানায় অন্তর্বর্তী সরকার: বিবৃতি
৩৩১ দিন আগে
অপহরণের ৪ ঘণ্টা পর কুবি শিক্ষার্থী উদ্ধার, আটক ১
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) আইন বিভাগের ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের শাকিল আহমেদ সবুজ নামের এক শিক্ষার্থীকে অপহরণ করা হয়। পরবর্তীতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক, শিক্ষার্থী ও পুলিশ প্রশাসনের সহায়তায় চার ঘণ্টা পর কুমিল্লা শহরের তোয়া হাউজিং এলাকা থেকে তাকে উদ্ধার করা হয়েছে।
শুক্রবার (৩১ জানুয়ারি) রাতে এ ঘটনা ঘটে। পরে রাত আড়াইটার দিকে তিনি উদ্ধার হন।
এ ঘটনায় অপহরণকারীদের একজনকে আটক করেছে পুলিশ। কুমিল্লার সাতরা এলাকার আবুল কাশেমের ছেলে মো. নাহিদ (২০)।
ভুক্তভোগী শাকিলের ভাষ্যমতে, গতকাল (বৃহস্পতিবার) রাত সাড়ে ১০টার দিকে টিউশন শেষ করে কুমিল্লা শহর থেকে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য তিনি সিএনজি অটোরিকশায় ওঠেন। অপহরণকারীরাও ওই অটোরিকশায় ছিল। এরপর দৌলতপুর এলাকায় যাওয়ার পর তাকে ভুল রাস্তা দিয়ে নিয়ে যাওয়ার সময় তিনি অটোরিকশা থেকে লাফ দেন। এরপর ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য আরেকটি অটোরিকশায় চড়লে অপহরণকারীরা তার পিছু নেয়। একপর্যায়ে অস্ত্র (ছুরি) দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে তোয়া হাউজিং এলাকার একটি পরিত্যক্ত ভবনে তাকে আটকে রাখে। শাকিল জিম্মি করে ফোন দিয়ে তার পরিবারের কাছে ১০ হাজার টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারীরা।
পুলিশের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে অপরাধ স্বীকার করে মো. নাহিদ বলেন, তারা পাঁচজন মিলে শাকিলকে অপহরণ করেন। বাকি চারজন হলেন— বিষ্ণপুর এলাকার হারুন মিয়ার ছেলে জিহাদ (১৯), ঝাউতলা এলাকার আক্তার মোল্লার ছেলে সাইফুল (২০), ফৌজদারি এলাকার শাহিন (২০) ও আকাশ (২০)।
এ বিষয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কুমিল্লা জেলার আহ্বায়ক মুহাম্মদ সাকিব হুসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের এক ছোট ভাইয়ের কাছ থেকে অপহরণের বিষয়টি জেনে শাকিলের মোবাইল নম্বর সংগ্রহ করে আমরা পুলিশ প্রশাসনের কাছে পাঠাই। পরবর্তীতে পুলিশ মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে তোয়া হাউজিং এলাকায় তার অবস্থান শনাক্ত করে। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের ও শহরের কিছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতায় এবং পুলিশের সঙ্গে গিয়ে শাকিলকে সুস্থভাবে উদ্ধার করা হয়।’
কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার ওসি মহিনুল ইসলাম বলেন, ‘ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীকে উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে পাঠিয়েছি। অপহরণকারীদের একজনকে আটক করা হয়েছে। জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।’
৩৩১ দিন আগে
ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগ নেতা সাকু গ্রেপ্তার
ঢাকার কেরানীগঞ্জ মডেল থানার একটি বিস্ফোরক মামলায় জিনজিরা ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান ও ঢাকা জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক সাকুর হোসেন সাকুকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশ (ডিএমপি)।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) রাতে রাজধানীর পল্টন থানা এলাকা থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
কেরানীগঞ্জ মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা সোহরাব আল হাসান জানান, গতরাতে পল্টন থানা পুলিশের ফোন পেয়ে গ্রেপ্তার আওয়ামী লীগ নেতাকে কেরানীগঞ্জ মডেল থানা হাজতে এনে রাখা হয়।
তিনি জানান, কেরানীগঞ্জ মডেল থানার কলাতিয়া এলাকা থেকে গত আগষ্ট মাসে ২৭ বস্তা গান পাউডার উদ্ধার মামলায় সাকু এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন। ওই মামলায় তাকে আটক দেখানো হয়েছে।
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা উপ-পুলিশ পরিদর্শক (এসআই) রনি জানান, গ্রেপ্তারের পর আজ (শুক্রবার) দুপুরে সাকুর হোসেন সাকুকে সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল আদালতে পাঠানো হয়েছে।
বিস্ফোরক মামলা ছাড়াও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানার দুটি রাজনৈতিক মামলায় সাকু এজাহারভুক্ত আসামি। ওই দুই মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখিয়ে রিমান্ড চাওয়ার কথা জানিয়েছে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানা পুলিশ।
৩৩১ দিন আগে