আইনশৃঙ্খলা
দেশে ফিরল ভারতে পাচার হওয়া ১৬ কিশোর-কিশোরী
ভারতে পাচারের শিকার ১৬ বাংলাদেশি কিশোর-কিশোরীকে বেনাপোল চেকপোস্ট দিয়ে বিশেষ ট্রাভেল পারমিটে ফেরত পাঠিয়েছে ভারতীয় পুলিশ।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে ভারতের ইমিগ্রেশন পুলিশ বেনাপোল ইমিগ্রেশন পুলিশের কাছে তাদেরকে হস্তান্তর করেন।
১৬ কিশোর-কিশোরী হলেন- নুরঅনকিষ, কাওছার আলী, দিপু সরকার, পূজা, মিথিলা দাস, সোনিয়া খাতুন, অমৃতা ঘোষ, রাবিয়া খাতুন, নয়ন বিশ্বাস, সামাদ মোল্লা, মোমিন মোল্লা, আশিকুল ইসলাম, দেব দাস, রাশিদুল ইসলাম, তরিকুল ইসলাম, জিয়াদ মোল্লা।
তাদের বাড়ি খুলনা, নড়াইল, বান্দবান ও নেত্রকোনা জেলায়। বেনাপোল চেকপোস্ট ইমিগ্রেশন পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, ১৬ কিশোর-কিশোরীকে ইমিগ্রেশনের আনুষ্ঠানিকতা শেষে বেনাপোল পোর্টথানা পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের হাতে মা-ছেলে আটক, পরে ফেরত
পরে রাইটস যশোর সেখান থেকে ওই ১৬ জনকে পরিবারের কাছে হস্তান্তরের জন্য নিয়ে যান বলেও জানান ওসি ইমতিয়াজ ভূঁইয়া।
রাইটস যশোরের সাইকোসোস্যাল কাউন্সিলর মো. জাওয়াদুল করিম জানান, এরা দালালদের মাধ্যমে বিভিন্ন সীমান্ত পথে ভারতে যায়। সেখানে অবৈধ অনুপ্রবেশের অভিযোগে ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক হয়। পরে আদালত তাদেরকে শুকন্য কিশোলয় সুবায়ন সেল্টার হোম নামের ভারতের একটি মানবাধিকার সংস্থা তাদেরকে নিজস্ব শেল্টার হোমে রাখে। পরে ভারত সরকারের দেওয়া বিশেষ ট্রাভেল পারমিটের মাধ্যমে তারা দেশে ফিরেছেন।
তিনি আরও জানান, তাদেরকে বেনাপোল পোর্ট থানা থেকে গ্রহণ করা হয়েছে। এর মধ্যে ১১ জনকে তাদের পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হয়েছে। বাকি ৫ জনকে তাদের শেল্টার হোমে রাখা হয়েছে। পরে তাদের নিজ নিজ পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।
৩৩২ দিন আগে
অভিযোগের তদন্ত চলাকালে পদত্যাগ করলেন বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন
সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলে অভিযোগ তদন্ত চলমান থাকা অবস্থায় পদত্যাগ করেছেন সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন। এর আগে গত ৯ নভেম্বর তিনি স্ব-স্ত্রীক দেশত্যাগ করেন। বর্তমানে তিনি ও তার স্ত্রী কানাডায় তাদের দুই মেয়ের কাছে রয়েছেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের জনসংযোগ কর্মকর্তা (পিআরও) শফিকুল ইসলামের পাঠানো এই বার্তায় বলা হয়, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের অনুসন্ধান চলমান থাকা অবস্থায় বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি শাহেদ নূর উদ্দিন বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির মাধ্যমে রাষ্ট্রপতির কাছে নিজের সই করা পদত্যাগপত্র পাঠিয়েছেন।
জেলা ও দায়রা জজ হিসেবে অবসরে যাওয়ার পর বিগত আওয়ামী লীগ সরকারের সময়ে ২০১৯ সালের ২১ অক্টোবর হাইকোর্টের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান শাহেদ নূর উদ্দিন। দুই বছর পর তার নিয়োগ স্থায়ী হয়।
বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিন ঢাকার এক নম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালের বিচারক থাকাকালে বহুল আলোচিত ২১ আগস্ট গ্রেনেড হামলা মামলার রায় দিয়েছিলেন। ক্ষমতার পালাবদলের পর ওই মামলার সব আসামিকে খালাস দেয় হাইকোর্ট।
জজ আদালতের বিচারক থাকাকালে ঢাকার সনি হত্যা মামলা, সাবেক এমপি আহসানউল্লাহ মাস্টার হত্যা মামলা, সন্ত্রাসী পিচ্চি হান্নান হত্যা মামলা, অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান মণ্ডল হত্যা মামলা, সাবেক ডেপুটি স্পিকার হুমায়ন খান পন্নীর স্ত্রী সুলতানা পন্নী হত্যা মামলা, পুলিশ টেলিকম হত্যা মামলা, ফরিদপুরের সাংবাদিক গৌতম হত্যা মামলা, ওয়ার্ড কমিশনার নিউটন হত্যা মামলা, কলেজ শিক্ষিকা কৃষ্ণ কাবেরী হত্যা মামলা, পুরবী জুয়েলার্সের মালিক হত্যা মামলারও রায় দিয়েছেন শাহেদ নূর উদ্দিন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে অনার্স ও মাস্টার্স করা শাহেদ নূর উদ্দিন ১৯৮৩ সালের ২০ এপ্রিল মুন্সেফ হিসেবে বিচার বিভাগে যোগ দিয়েছিলেন। ২০০০ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি তিনি জেলা জজ পদে উন্নীত হন।
শেখ হাসিনা সরকারের সময়ে নিয়োগ পাওয়া বেশ কয়েকজন বিচারককে অপসারণের দাবি ওঠার পর গত বছরের ১৬ অক্টোবর ১২ বিচারপতিকে ছুটিতে পাঠান প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদ। তাদের হাইকোর্টে বিচারকাজ পরিচালনা থেকে বিরত রাখা হয়। ওই ১২ বিচারকের মধ্যে শাহেদ নূর উদ্দিন একজন।
গত ২০ অক্টোবর থেকে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনকে বিচারকাজ থেকে বাইরে রাখা হয়েছিল। এখন তিনি পদত্যাগ করলেন।
আওয়ামী লীগের ‘ফ্যাসিস্ট’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে গত বছরের ১৬ অক্টোবর দুপুরে হাইকোর্ট ঘেরাও কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন। একই দিন হাইকোর্ট বিভাগের ‘দলবাজ ও দুর্নীতিবাজ’ বিচারপতিদের পদত্যাগের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিলের কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী আইনজীবী সমাজ। আর ‘ফ্যাসিবাদের দোসর’ বিচারপতিদের অনতিবিলম্বে অপসারণের দাবিতে বিক্ষোভ সমাবেশ করে জাতীয় নাগরিক কমিটির লিগ্যাল উইং।
শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়কদের সঙ্গে আলোচনা শেষে সেদিন বিকালে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেল আজিজ আহমদ ভূঞা বলেছিলেন, আপাতত হাইকোর্ট বিভাগে ১২ বিচারপতিকে প্রাথমিকভাবে কোনো বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: ছুটিতে পাঠানো হলো ১২ বিচারপতিকে
তবে হাইকোর্ট বিভাগের কোন ১২ বিচারপতিকে বেঞ্চ দেওয়া হচ্ছে না— তাদের নাম তখনও প্রকাশ করেনি সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃপক্ষ। অবশ্য পরে হাইকোর্টের কার্যতালিকায় ১২ জন বিচারপতির নাম দেখা যায়নি। তাদের মধ্যে একজন এরই মধ্যে অবসরে গেছেন।
গত বছরের নভেম্বরে সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন এক বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, ষোড়শ সংশোধনী রায়ের পরে সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল গঠন করা হলে কাউন্সিলে কয়েকজন বিচারপতি সংক্রান্ত তথ্য যাচাই-বাছাইয়ের কাজ চলমান।
এরপর গত বছরের ৪ ডিসেম্বর সুপ্রিম কোর্ট প্রশাসন জানায়, সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বেশ কয়েকজন বিচারপতির আচরণের (কনডাক্ট) বিষয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান চলছে।
এর ধারাবাহিকতায় গত ১৫ ডিসেম্বর সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল সংবিধানের ৯৬ অনুচ্ছেদ প্রয়োগ করে সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে তথ্যাবলি রাষ্ট্রপতির কাছে পাঠানো হয়েছে বলে জানানো হয়।
সুপ্রিম কোর্টের ওয়েবসাইটে ৬ জানুয়ারি প্রকাশিত হালনাগাদ তথ্যে বলা হয়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৯৬(৫)(বি) অনুসরণ করে রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের কয়েকজন বিচারপতির বিষয়ে তদন্তের জন্য সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিলের কাছে নির্দেশনা পাঠিয়েছেন। সে অনুযায়ী সুপ্রিম জুডিসিয়াল কাউন্সিল আগামী সপ্তাহে তদন্ত শুরু করবে। এমন প্রেক্ষাপটে বিচারপতি শাহেদ নূরউদ্দিনের পদত্যাগ করার তথ্য প্রকাশ হলো।
আরও পড়ুন: জুডিশিয়াল কাউন্সিলের মাধ্যমে বিচারপতিদের অপসারণ বহাল রাখল সুপ্রিম কোর্ট
৩৩২ দিন আগে
সাবেক যুবলীগ নেতা সম্রাটের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি
মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে রাজধানীর রমনা থানায় দায়ের করা মামলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সাবেক সভাপতি ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট এবং তার সহযোগী এনামুল হক আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করে বিচার শুরু করা হয়েছে। একইসঙ্গে জামিন বাতিল করে তাদের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।
বৃহস্পতিবার (৩০ জানুয়ারি) ঢাকার সপ্তম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ মোহাম্মদ সাইফুর রহমান মজুমদার এ আদেশ দেন।
আগামী ১২ মার্চ এই মামমলায় সাক্ষ্য গ্রহণ করা হবে।
সংশ্লিষ্ট আদালতের অ্যাডিশনাল পাবলিক প্রসিকিউটর মাহফুজ হাসান বলেছেন, ‘এ মামলায় আজ চার্জ শুনানির তারিখ ধার্য ছিল। আসামিদের পক্ষে অভিযোগ গঠনের শুনানি পেছাতে আবেদন করা হয়। আদালত আবেদন নামঞ্জুর করে অভিযোগ গঠনের আদেশ দিয়েছেন।’
তিনি বলেন, তাদের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়েছে। যদিও সম্রাট এবং আরমান অসুস্থ জানিয়ে তাদের আইনজীবীরা সময় চেয়ে আবেদন করেন।
২০১৯ সালের ৬ অক্টোবর ভোরে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রাম থেকে ইসমাইল হোসেন চৌধুরী সম্রাট ও তার সহযোগী এনামুল হক আরমানকে গ্রেপ্তার করে র্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র্যাব)।
পরে তাদেরকে নিয়ে দুপুর দেড়টার দিকে রাজধানীর কাকরাইলে সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযান চালানো হয়। সেখান থেকে বিপুল পরিমাণ বিদেশি মদ, পিস্তল ও বিরল প্রজাতির বন্যপ্রাণীর চামড়া জব্দ করা হয়।
বন্যপ্রাণীর চামড়া রাখার দায়ে সম্রাটকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। ওই দিনই রাত পৌনে ৯টার দিকে সম্রাটকে কারাগারে নেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: সম্রাটের জামিন বাড়লো ২০ অক্টোবর পর্যন্ত
৭ অক্টোবর র্যাব-১ এর ডিএডি আব্দুল খালেক বাদী হয়ে রমনা থানায় অস্ত্র ও মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা করেন।
২০২০ সালের ৬ নভেম্বর অস্ত্র আইনের মামলায় সম্রাটের বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর উপপরিদর্শক শেখর চন্দ্র মল্লিক।
ওই বছরের ৯ ডিসেম্বর মাদক মামলায় সম্রাট এবং আরমানের বিরুদ্ধে অভিযোগ পত্র দাখিল করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা র্যাব-১ এর এসআই আব্দুল হালিম।
গত ১৬ জানুয়ারি অস্ত্র আইনের মামলায় অভিযোগ গঠন করা হয়। ওই মামলাতেও সম্রাটের জামিন বাতিল করে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করা হয়।
আরও পড়ুন: 'মাদক সম্রাট' সেলিম গ্রেপ্তার
৩৩২ দিন আগে
সীমান্তে বিপুল পরিমাণ ভারতীয় গরুর মাংসভর্তি ফ্রিজিং কাভার্ডভ্যান জব্দ
শেরপুর সীমান্তে ভারত থেকে আনা গরুর মাংসের চালান জব্দ করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি)।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ভোর পৌনে চারটার দিকে ঝিনাইগাতী উপজেলার হলদীগ্রাম বিওপির দায়িত্বপূর্ণ সমশ্চুড়া সীমান্ত থেকে পরিত্যক্ত অবস্থায় ২১৫০ কেজি গরুর মাংসসহ ফ্রিজিং কাভার্ডভ্যানটি জব্দ করা হয়।
ময়মনসিংহ ব্যাটালিয়ন (৩৯ বিজিবি) ভারপ্রাপ্ত অধিনায়কের পক্ষ থেকে বুধবার পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, চোরাকারবারিরা ফ্রিজিং কাভার্ডভ্যানে ভারতীয় গরুর মাংস অবৈধভাবে পাচারের চেষ্টা করছিল। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে এসব মাংস ও ফ্রিজিং কাভার্ডভ্যানটি আটক করে।
বিজিবি টহলদলের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাকারকারিরা পালিয়ে যাওয়ায় তাদের আটক করা সম্ভব হয়নি। জব্দ করা মাংসের আনুমানিক মূল্য ৯৫ লাখ ৫ হাজার টাকা বলে বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে পণ্য পাচারকালে ২ ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
বিজিবি মিডিয়া উইং শেরপুরের হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে হাবিলদার তারেক জানান, জব্দকৃত মাংসগুলো হলদিগ্রাম বিওপি ক্যাম্পে রাখা হয়েছে।
ইউএনও ও প্রাণিসম্পদ অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা পরিদর্শনের পর এই মাংস ল্যাবরেটরি টেস্টের জন্য কাস্টমসে জমা দেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
৩৩৩ দিন আগে
বাংলাদেশে পণ্য পাচারকালে ২ ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার
শুল্ক ফাঁকি দিয়ে বাংলাদেশে পণ্য পাচারকালে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) হাতে দুই ভারতীয় নাগরিক গ্রেপ্তার হয়েছেন।
মঙ্গলবার (২৮ জানুয়ারি) আখাউড়া স্থলবন্দর এলাকা থেকে আটক করে আজ (বুধবার) আদালতের মাধ্যমে তাদের কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
এ সময় তাদের কাছ থেকে থ্রিপিস, ক্রিম, মদসহ প্রায় সাড়ে ৮ লাখ টাকার পণ্য জব্দ করা হয়। দুজনের পাসপোর্টও জব্দ করে বিজিবি।
দুই ভারতীয় নাগরিক হলেন— ভারতের ত্রিপুরা রাজ্যের রামনগর এলাকার রাহুল মিয়া (২৮) ও একই এলাকার সেলিনা বেগম (৪৫)।
এ বিষয়ে বিজিবির হাবিলদার মো. জাকির হোসেন বাদী হয়ে আখাউড়া থানার মামলা করেন।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁও সীমান্তে বিএসএফের হাতে মা-ছেলে আটক, পরে ফেরত
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই দুই ভারতীয় নাগরিক মঙ্গলবার দুপুরে স্থলবন্দর এলাকা পার হয়ে একটি অটোরিকশায় চড়ে শহরের দিকে যাচ্ছিলেন। এ সময় বিজিবি তাদের তল্লাশি করে ৫২টি থ্রিপিস, ১ হাজার ৭০০টি ক্রিম, ৫টি মদের বোতল জব্দ করে। তারা এসব পণ্যের কোনো কাগজপত্র দেখাতে পারেননি। পরে তারা শুল্ক ফাঁকি দিয়ে এসব পণ্য আনেন বলে বিজিবির কাছে স্বীকার করেন।
আখাউড়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. ছমিউদ্দিন জানান, রাতে দুই ভারতীয় নাগরিককে থানায় সোপর্দ করে বিজিবি। বুধবার ওই দুই ভারতীয় নাগরিককে আদালতের মাধ্যমে জেলে পাঠানো হয়েছে।
৩৩৩ দিন আগে
ইভ্যালির এমডি রাসেল ও তার স্ত্রীর দুই বছর করে কারাদণ্ড
প্রতারণার মামলায় ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালির ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ রাসেল ও তার স্ত্রী চেয়ারম্যান শামীমা নাসরিনকে দুই বছর করে বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট পার্থ ভদ্র এ রায় দেন। দণ্ডের পাশাপাশি তাদের ১০ হাজার টাকা করে অর্থদণ্ড, অনাদায়ে আরও দুই মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বাদীপক্ষের আইনজীবী তৌসিফ মাহমুদ জানান, আসামিরা পলাতক রয়েছেন। আদালত তাদের বিরুদ্ধে সাজা পরোয়ানাসহ গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছেন।
আরও পড়ুন: চেক জালিয়াতির মামলায় ইভ্যালির রাসেল ও শামীমার এক বছরের কারাদণ্ড
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ইভ্যালি বিভিন্ন মাধ্যমে চমকপ্রদ বিজ্ঞাপন দিয়ে বিভিন্ন পণ্য বিক্রয় করে। এতে আকৃষ্ট হয়ে তৌফিক মাহমুদ তাদের প্রতিষ্ঠান থেকে ২০২১ সালের ২০ মার্চ ইয়ামাহা আর ওয়ান ফাইভ বাইক অর্ডার করেন। যার মূল্যবাবদ দুই লাখ ৪৫ হাজার টাকা পরিশোধ করেন।
৩ এপ্রিল তিনি আর ওয়ান ফাইভের আরও দুটি বাইক অর্ডার করেন। যার মূল্যবাবদ ৫ লাখ ৯০ হাজার টাকা পরিশোধ করেন। তবে কর্তৃপক্ষ ৪৫ দিনের মধ্যে বাইক তিনটি সরবরাহ করতে ব্যর্থ হয়।
পরে তিনি ধানমন্ডি অফিসে যোগাযোগ করেন। কর্তৃপক্ষ দুটি চেক প্রদান করে। তবে ব্যাংক হিসেবে পর্যাপ্ত পরিমাণ অর্থ না থাকায় চেকটি নির্ধারিত তারিখে ব্যাংকে জমা না দিতে অনুরোধ করেন। আসামিদের কথা বিশ্বাস করে তিনি চেকটি ব্যাংকে জমা দেননি।
আরও পড়ুন: অল্প সময়ের মধ্যে গ্রাহকদের টাকা ফেরত দেবে ইভ্যালি: সিইও রাসেল
পরবর্তীতে তৌফিক মাহমুদ ১৪ লাখ ১০ হাজার টাকা আদায়ের জন্য তাগাদা দিতে থাকেন। তবে তারা কোনো টাকা তাকে ফেরত দেননি। পরবর্তীতে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েও কাজ হয়নি।
এ ঘটনায় তৌফিক মাহমুদ ২০২৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি আদালতে রাসেল ও শামীমার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
৩৩৩ দিন আগে
তিন বিভাগীয় কমিশনারসহ ৮ জনকে হাইকোর্টে তলব
অবৈধ ইটভাটা ও ইটভাটার জ্বালানি হিসেবে কাঠের ব্যবহার বন্ধে কার্যকর পদক্ষেপ না নেওয়ায় তার ব্যাখ্যা দিতে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনারকে তলব করেছেন হাইকোর্ট। একইসঙ্গে নীলফামারী, কুড়িগ্রাম, লালমনিরহাটের ডিসি ও সাভার-ধামরাই উপজেলার ইউএনওকেও তলব করা হয়েছে।
আগামী ১২ ফেব্রুয়ারি তাদের আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
এ নিয়ে বুধবার (২৯ জানুয়ারি) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব ও বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আইনজীবী মনজিল মোরসেদ। রাষ্ট্রপক্ষে শুনানি করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল তানিম খান, মহসীন কবির রকি, সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল মুজাহিদুল ইসলাম শাহীন।
আরও পড়ুন: চাঁপাইনবাবগঞ্জে ৯৩টি ইটভাটার নেই কোনো বৈধ কাগজপত্র
আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ‘সমগ্র বাংলাদেশে লাইসেন্সবিহীন অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধে ২০২২ সালে জনস্বার্থে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশ (এইচআরপিবি) একটি রিট পিটিশন দাখিল করেন। রিট পিটিশন শুনানি শেষে আদালত ২০২২ সালের ১৩ নভেম্বর বিবাদীদের প্রতি রুল জারি করে অবৈধ ইটভাটার কার্যক্রম বন্ধের নির্দেশ দেন।
‘এ বিষয়ে বিভাগীয় কমিশনাররা এখন পর্যন্ত কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ না করায় বিগত ২৮ নভেম্বর তারিখে প্রতিটি বিভাগের বিভাগীয় কমিশনারদের অবৈধ ইটভাটা বন্ধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করতে নির্দেশ দেওয়া হয়,’ বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, এই আদেশ প্রাপ্তির পর বিভাগীয় কমিশনার আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেন এবং সেই প্রতিবেদন পর্যালোচনায় দেখা যায় আগের বন্ধ করা ইটভাটাগুলোর নাম পুনরায় বন্ধ করা ইটভাটার তালিকায় যুক্ত করা হয়েছে এবং সব অবৈধ ইটভাটা তাদের কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে যথাযথ পদক্ষেপ গ্রহণ করতে না পারায় ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার এবং নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে আদালতে হাজির হয়ে এ ব্যাখ্যা দেওয়ার জন্য এইচআরপিবির পক্ষে আদালতে একটি সম্পূরক আবেদন করা হয়।’
আজ (বুধবার) বিচারপতি ফারাহ মাহবুব এবং বিচারপতি দেবাশীষ রায় চৌধুরীর আদালতে আবেদনটির ওপরে শুনানি হয়।
শুনানি শেষে আদালত ঢাকা, চট্টগ্রাম ও খুলনার বিভাগীয় কমিশনার এবং নীলফামারী, লালমনিরহাট ও কুড়িগ্রামের জেলা প্রশাসক এবং সাভার ও ধামরাই উপজেলার নির্বাহী অফিসারকে আদালতে হাজির হয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলেন।
আরও পড়ুন: যশোরে অবৈধ ইটভাটার রমরমা বাণিজ্য
৩৩৪ দিন আগে
ফের রিমান্ডে আনিসুল ও আতিক
বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সময় মোহাম্মদপুর থানার ভ্যানচালক ইনসান আলী হত্যাচেষ্টা মামলায় সাবেক আইনমন্ত্রী আনিসুল হককে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের তিন দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। অপরদিকে বাড্ডা থানার সুমন শিকদার হত্যা মামলায় ঢাকা উত্তর সিটি কর্পোরেশনের সাবেক মেয়র আতিকুল ইসলামকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ফের চার দিনের রিমান্ডে পাঠানো হয়েছে।
বুধবার (২৯ জানুয়ারি) সকালে তাদের ঢাকার চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হাজির করে পুলিশ। এরপর আনিসুল হকের ৫ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে পুলিশ।
এছাড়াও সাবেক মেয়র আতিকের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ডিবি পুলিশের পরিদর্শক নুরুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর ৬ দিনের রিমান্ডে
এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পিপি ওমর ফারুক ফারুকী দুজনের রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে শুনানি করেন।
অপরদিকে আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিনের আবেদন করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট এম এ আজহারুল ইসলাম জামিনের আবেদন নাকচ করে রিমান্ডের এ আদেশ দেন।
আনিসুল হকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, বৈষম্যবিরোধী আন্দোলন চলাকালে ১৯ জুলাই মোহাম্মদপুর থানাধীন বাসস্ট্যান্ড এলাকায় ইনসান আলী ভ্যান নিয়ে যাচ্ছিলেন। পথিমধ্যে আসামিদের নির্দেশে ছোঁড়া গুলিতে আহত হয়ে তিনি হাসপাতালে ভর্তি হন।
এ ঘটনায় ভুক্তভোগীর মা গত ১৩ নভেম্বর মোহাম্মদপুর থানায় ২৬৬ জনকে আসামি করে হত্যাচেষ্টা মামলা করেন।
মেয়র আতিকের মামলার অভিযোগ থেকে জানা যায়, গত ১৯ জুলাই বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে বাড্ডা থানাধীন ফুজি টাওয়ারের উত্তর পাশে প্রগতি সরণিতে রাস্তার ওপর এলোপাতাড়ি গুলিতে নিহত হন সুমন সিকদার।
এ ঘটনায় তার মা মাসুমা বেগম বাদি হয়ে একটি হত্যা মামলা করেন। মামলায় সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ ১৭৯ জনকে আসামি করা হয়।
আরও পড়ুন: নাটোর জেলা ছাত্রলীগের সাবেক নেতার ২ দিনের রিমান্ড
৩৩৪ দিন আগে
হাসিনার সামরিক উপদেষ্টাসহ ১৮ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাজধানীর বিমানবন্দর উন্নয়ন প্রকল্পের ৮১২ কোটি টাকা আত্মসাতের অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের উপদেষ্টা তারিক আহমেদ সিদ্দিকীসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে ৪টি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) দুদকের প্রধান কার্যালয়ে আয়োজিত এক ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সংস্থাটির মহাপরিচালক মো.আখতার হোসেন।
আরও পড়ুন: একাদশ জাতীয় নির্বাচনে ‘কারচুপি’ তদন্ত করবে দুদক
আসামিরা হলেন- বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সাবেক সিনিয়র সচিব মহিবুল হক, বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) চেয়ারম্যান মফিদুর রহমান।
৩৩৫ দিন আগে
১১৫ বারের মতো পেছাল সাগর-রুনি হত্যার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিল
সাংবাদিক দম্পতি সাগর সরওয়ার ও মেহেরুন রুনি হত্যা মামলার তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ পিছিয়ে ২ মার্চ ধার্য করেছেন আদালত। এ নিয়ে ১১৫ বার পেছালো এই মামলার প্রতিবেদন দাখিলের তারিখ।
সোমবার (২৭ জানুয়ারি) মামলাটি তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য ছিল। তবে এদিন মামলার তদন্ত সংস্থা পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) প্রতিবেদন দাখিল করতে পারেনি।
এজন্য ঢাকার মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট জি এম ফারহান ইশতিয়াকের আদালত প্রতিবেদন দাখিলের নতুন এ তারিখ ঠিক করেন।
২০১২ সালের ১১ ফেব্রুয়ারি ঢাকার পশ্চিম রাজাবাজারের ভাড়া বাসায় খুন হন ওই সাংবাদিক দম্পতি। এ সময় তাদের সাড়ে চার বছরের ছেলে মাহির সরওয়ার মেঘ বাসায় ছিল। সাগর বেসরকারি টেলিভিশন মাছরাঙা আর রুনি এটিএন বাংলায় কর্মরত ছিলেন।
আরও পড়ুন: সাবেক প্রতিমন্ত্রী এনামুর ৬ দিনের রিমান্ডে
এ ঘটনায় শেরে বাংলা নগর থানায় মামলা করেন রুনির ভাই নওশের আলম। মামলার আসামিরা হলেন- রফিকুল ইসলাম, বকুল মিয়া, মাসুম মিন্টু, কামরুল ইসলাম ওরফে অরুন, আবু সাঈদ সাগর-রুনির বাড়ির ২ নিরাপত্তারক্ষী পলাশ রুদ্র পাল ও এনায়েত আহমেদ এবং তাদের 'বন্ধু' তানভীর রহমান খান। এদের মধ্যে তানভীর ও পলাশ জামিনে রয়েছে। বাকিরা কারাগারে আছেন।
ছাত্র-জনতার অভ্যুত্থানে ৫ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর গত ২৩ অক্টোবর আলোচিত এ মামলার তদন্তে চার সদস্যের টাস্কফোর্স গঠন করে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। এর আহ্বায়ক করা হয় পুলিশের অতিরিক্ত মহাপরিদর্শক ও পিবিআইয়ের প্রধান মো. তওফিক মাহবুব চৌধুরীকে।
৩৩৫ দিন আগে