আইনশৃঙ্খলা
সাংবাদিক নাদিম হত্যা: আদালতে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু’র দায় স্বীকার
সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যা মামলায় গ্রেপ্তার প্রধান আসামি বহিষ্কৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবু আদালতে দণ্ডবিধি ১৬৪ ধারায় দেওয়া জবানবন্দিতে সাংবাদিক নাদিম হত্যার সঙ্গে সম্পৃক্ত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।
শুক্রবার (২৩ জুন) বিকালে পাঁচ দিনের রিমান্ড শেষে জামালপুর জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট হাসিব উল্লাহ পিয়াসের আদালতে তোলা হলে ১৬৪ ধারায় তার জবানবন্দি রেকর্ড করা হয়।
আরও পড়ুন: সাংবাদিক নাদিম হত্যা: পঞ্চগড় থেকে ইউপি চেয়ারম্যান বাবু আটক
বাদিপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট ইউসুফ আলী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
তিনি জানান, শুক্রবার দুপুর ১টা ৪৫মিনিটে তাকে আদালতে হাজির করে পুলিশ। বিকালে ম্যাজিস্ট্রেট তার জবানবন্দি রেকর্ড করেন। এসময় বাবু চেয়ারম্যান সাংবাদিক গোলাম রব্বানী নাদিম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেন।
জবানবন্দি শেষে তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, ১৪ জুন রাতে পেশাগত দায়িত্ব পালন শেষে বাড়ি ফেরার পথে বাংলানিউজের জেলা প্রতিনিধি এবং একাত্তর টেলিভিশনের বকশীগঞ্জ প্রতিনিধি গোলাম রব্বানী নাদিমের ওপর হামলা করে সন্ত্রাসীরা।
বকশীগঞ্জের সাধুরপাড়া ইউপি’র চেয়ারম্যান মাহমুদুল আলম বাবুর নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা বকশিগঞ্জ পাটহাটি এলাকায় মোটরসাইলের গতিরোধ করে তাকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়। পরে ১০-১২ জন এলোপাতাড়ি কুপিয়ে ও পিটিয়ে রক্তাক্ত করে ফেলে রেখে যায়।
তাকে প্রথমে বকশীগঞ্জ হাসপাতালে নেওয়া হলে সেখান থেকে জামালপুর জেনারেল হাসপাতালে স্থানান্তর করেন চিকিৎসক। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পরের দিন সকালে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ (মমেক) হাসপাতালে নেওয়া হয়। বিকালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তার মৃত্যু হয়।
এ ঘটনায় নাদিমের স্ত্রী মনিরা বেগম বাদী হয়ে মাহমুদুল আলম বাবুকে প্রধান আসামি করে ২২ জনের নাম উল্লেখ এবং অজ্ঞাত আরও ২০-২৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
প্রধান আসামিসহ ১৩ জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে বিভিন্ন মেয়াদে রিমান্ডে আনা হয়েছে বকশীগঞ্জ থানায়।
তাদের মধ্যে মাহমুদুল আলম বাবুকে পাঁচ দিন, ৬ আসামিকে চারদিন এবং অপর ৬ আসামির তিন দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন আদালত।
রিমান্ডে নেওয়া আসামিরা হলো- রেজাউল করিম, মনিরুজ্জামান, জাকিরুল, গোলাম কিবরিয়া সুমন, মিলন, তোফাজ্জল, আইনাল, কফিল উদ্দিন, ফজলু মিয়া, শহীহ, মকবুল ও ওহিদুজ্জামান।
জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাদের প্রত্যেককে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
রাজধানীতে স্ত্রীকে শ্বাসরোধে হত্যার অভিযোগে স্বামী আটক
ফরিদপুরে কিশোরী ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ফরিদপুরে ১৪ বছর বয়সী এক কিশোরীকে ধর্ষণের দায়ে মিলন খান (৩২) নামে এক ব্যক্তিকে যাবজ্জীবন সশ্রম কারাদণ্ড এবং ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করেছেন আদালত। জরিমানা অনাদায়ে তাকে আরও এক বছর বিনাশ্রম কারাদণ্ড ভোগ করতে হবে।
বৃহস্পতিবার দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে জেলা নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল বিচারক মো. হফিজুর রহমান এ আদেশ দেন। রায় প্রদানের সময় আসামি মিলন আদালতে উপস্থিত ছিলেন। রায় ঘোষণার পর তাকে পুলিশ পাহারায় জেলা কারাগারে নিয়ে যাওয়া হয়।
২০১১ সালের ২ অক্টোবর এ ঘটনা ঘটে। ঘটানার প্রায় এক যুগ পর বৃহস্পতিবার (২২ জুন) এ আদেশ দিলেন আদালত।
মিলন খান ফরিদপুরের বোয়ালমারী উপজেলার শেখর ইউনিয়নের দৈবকনন্দনপুর গ্রামের বাসিন্দা।
আরও পড়ুন: ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় এসআইসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
মামলার এজাহারে বলা হয়, ওই কিশোরীকে বিয়ের প্রস্তাব দেন আসামি মিলন খান। কিশোরী নাবালিকা হওয়ায় বিয়ের প্রস্তাব নাকচ করে দিলে মিলন খান কিশোরীকে উঠিয়ে নিয়ে যাওয়ার হুমকি দেয়।
২০১১ সালের ২ অক্টোবর সন্ধ্যায় ওই কিশোরী পুকুরে পানি আনতে গেলে মিলন খান বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাকে অন্য জায়গায় নিয়ে যায়।
এ ঘটনায় ৩০ অক্টোবর বোয়ালমারী থানায় মিলন খানসহ চারজনকে আসামি করে নরী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা করেন ওই কিশোরীর বাবা।
আরও পড়ুন: চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বোয়ালমারী থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মো. আতিয়ার রহমান ২০১১ সালের ৩১ ডিসেম্বর মিলন খানকে অভিযুক্ত করে আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন।
মিলনের মা চম্পা বেগম বলেন, মিলনের সঙ্গে ওই কিশোরীর প্রেমের সম্পর্ক ছিল। তারা পালিয়ে বিয়ে করেছিল। কিশোরীর পরিবার বড় লোক হওয়ায় মামলা দিয়ে আমার ছেলেকে ফাঁসিয়েছে।
নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালের পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) স্বপন পাল বলেন, এ আদেশে দেশে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠিত হবে এবং সমাজে অপরাধ প্রবণতা কমে আসবে।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
শাহজালালে ৩ হাজার পিস ইয়াবাসহ ১ জনকে আটক করেছে আর্মড পুলিশ
হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অভিযান চালিয়ে তিন হাজার পিস ইয়াবাসহ একজনকে আটক করেছে বিমানবন্দর আর্মড পুলিশ (এএপি)।
আটক ফরিদ মিয়া (৩৮) কক্সবাজারের টেকনাফের বাসিন্দা।
বৃহস্পতিবার সকালে বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে সরকারি পার্কিং এলাকার পাশে একটি কোমল পানীয়ের দোকানের সামনে থেকে তাকে আটক করা হয়।
বিমানবন্দরে কর্মরত এএপি ব্যাটালিয়নের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (এসপি) মোহাম্মদ জিয়াউল হক বলেন, গোপন তথ্যের ভিত্তিতে এএএপির গোয়েন্দা দলের সদস্যরা এবং মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের (ডিএনসি) একটি অপারেশনাল দল সকাল থেকেই বিমানবন্দরের অভ্যন্তরীণ টার্মিনালের সামনে নজরদারি শুরু করে।
একপর্যায়ে সকাল ১০টার দিকে ফরিদ মিয়াকে সেখানে থাকতে দেখা যায় এবং তাকে অস্থির ও সন্দেহজনকভাবে ঘুরে বেড়াতে দেখা যায়। এরপর এএএপি ব্যাটালিয়নের গোয়েন্দা দল তাকে আটক করে বিমানবন্দরে তাদের অফিসে নিয়ে আসে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে বাসে তল্লাশি চালিয়ে সাড়ে ৯ কেজি স্বর্ণ জব্দ, আটক ৪
জিজ্ঞাসাবাদের শুরুতে গ্রেপ্তার ব্যক্তি অস্বীকার করলেও এক পর্যায়ে সে ইয়াবা বড়ি বহনের কথা স্বীকার করে। এরপর তাকে তল্লাশি করে তার কাছে থাকা একটি কালো রঙের ব্যাগ থেকে ইয়াবা উদ্ধার করা হয়।
তার বিরুদ্ধে বিমানবন্দর থানায় মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: বাগেরহাটে মেয়ে সংক্রান্ত বিরোধ: ব্লেডের আঘাতে ৩ সহপাঠী আহত, আটক ১
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় এসআইসহ ২ জনের যাবজ্জীবন
ঠাকুরগাঁওয়ে মাদক মামলায় পুলিশের বরখাস্তকৃত এক উপপরিদর্শক (এসআই) হেলাল উদ্দীন প্রামানিক (৪২) ও মানিক দাস (৩৫) নামে দুই জনের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
একই সঙ্গে তাদের ১২ লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া অন্য এক ধারায় উল্লেখিত ২ আসামিকে ১ বছর করে সশ্রম কারাদণ্ড এবং ২০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
এ মামলায় অপর আসামি মাসুদ রানাকে (২৮) অব্যাহতি প্রদান করা হয়।
বুধবার (২১ জুন) দুপুরে ঠাকুরগাঁও আদালতের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মামুনুর রশিদ এ রায় দেন।
হেলাল উদ্দীন প্রামানিক নওগাঁ জেলার দরিয়াপুর গ্রামের মৃত জগি প্রামানিকের ছেলে এবং মানিক দাস ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার রুহিয়া থানার মন্ডলাদাম গ্রামের মৃত বাদল দাসের ছেলে।
মামলার বিবরণে জানা যায়, ২০১৯ সালের ২৩ জুন ঠাকুরগাঁও ডিবি পুলিশের সাধারণ ডায়েরি নং-১৮৫ এর প্রেক্ষিতে মাদক বিরোধী অভিযান পরিচালনা করা হয়।
আরও পড়ুন: সিলেটে ৩ আসামির যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
এ সময় পীরগঞ্জ থানার সেনুয়া বাজারে অবস্থানকালে গোপন সংবাদের মাধ্যমে ডিবি পুলিশের টিম জানতে পারে যে, পীরগঞ্জ উপজেলা পরিষদের পুরাতন ডাক বাংলোর আঙ্গিনায় ৩ জন লোক মাদকদ্রব্য (ইয়াবা ট্যাবলেট ও গাঁজা) বিক্রির উদ্দেশ্যে দাঁড়িয়ে রয়েছেন।
ডিবি পুলিশের টিমটি ঘটনাস্থলে উপস্থিত হলে তৎকালীন পীরগঞ্জ থানার পুলিশের এসআই হেলাল উদ্দীন প্রমানিককে (৪২) নীল রংয়ের পলিথিন ব্যাগ ধরে রাখা অবস্থায় আটক করা হয়।
পরে নীল রংয়ের ব্যাগটি থেকে মোট ৫ হাজার পিস ও অপর আসামি মানিক দাসের দেহ তল্লাশি করে ৩ হাজার পিস ইয়াবা মোট ৮ হাজার পিস ইয়াবা ট্যাবলেট ও নগদ ৫০ হাজার টাকা উদ্ধার করা হয়।
পরে হেলাল উদ্দীন প্রামানিকের দেওয়া তথ্য মতে তার বাড়ির শয়ন ঘরের খাটের নিচ থেকে ২ কেজি গাঁজাও উদ্ধার করা হয়। এ ঘটনায় ওই দিনই ডিবি পুলিশের এসআই (নিরস্ত্র) রুপ কুমার সরকার বাদি হয়ে ৩ জনের নাম উল্লেখ করে পীরগঞ্জ থানায় এ মামলাটি দায়ের করেন।
দীর্ঘদিন বিচারান্তে অবশেষে মামলার প্রথম আসামি তৎকালীন পীরগঞ্জ থানার এসআই হেলাল উদ্দীন প্রামানিক ও মামলার দ্বিতীয় আসামি মানিক দাসকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড ও ১২ লাখ টাকা জরিমানার আদেশ প্রদান করে আদালত।
মামলার রায় প্রদানের সময় মানিক দাস পলাতক ছিলেন। এ ঘটনায় আনিত অভিযোগ সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত না হওয়ায় মামলার ৩ নং আসামি মো. মাসুদ রানাকে মামলা থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়।
মামলার রাষ্ট্রপক্ষের কৌসুলী ছিলেন ঠাকুরগাঁও পাবলিক প্রসিকিউটর অ্যাডভোকেট শেখর কুমার রায়। অপরদিকে আসামিপক্ষে ছিলেন অ্যাডভোকেট রফিজ উদ্দিনসহ কয়েকজন।
আরও পড়ুন: ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
লক্ষ্মীপুরে স্বামীকে হত্যার দায়ে স্ত্রীর যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
ড. ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট
শ্রম আইন লঙ্ঘনের অভিযোগের মামলায় শান্তিতে নোবেলজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূসের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে আবেদন করা হয়েছে।
ড. ইউনূসের আইনজীবী ব্যারিস্টার আবদুল্লাহ আল মামুন রিটটি দায়ের করেন।
বিচারপতি হাবিবুল গনি ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের হাইকোর্ট বেঞ্চে বুধবারের কার্যতালিকায় বিষয়টি শুনানির জন্য ৫৬ নম্বর ক্রমিকে অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।
গত ৬ জুন ঢাকার শ্রম আদালত-৩ এর বিচারক শেখ মেরিনা সুলতানা ড. মুহাম্মদ ইউনূসসহ চারজনের বিরুদ্ধে এ মামলায় অভিযোগ গঠন করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসকে দানকর দিতে হবে: হাইকোর্ট
অন্যরা হলেন- গ্রামীণ টেলিকমের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আশরাফুল হাসান এবং পরিচালক নূর জাহান বেগম ও মোহাম্মদ শাহজাহান।
এই মামলার নথি থেকে জানা যায়, ২০২১ সালের ১৬ আগস্ট কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের কর্মকর্তা রাজধানীর মিরপুরে গ্রামীণ টেলিকমের কার্যালয় পরিদর্শন করে শ্রম আইনের লঙ্ঘন দেখতে পান। একই বছরের ১৯ আগস্ট অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে গ্রামীণ টেলিকমকে চিঠি দেওয়া হয়।
ওই চিঠিতে উল্লেখ করা হয় যে ৬৭ জন কর্মচারীর চাকরি স্থায়ী করার কথা থাকলেও গ্রামীণ টেলিকম কর্তৃপক্ষ তা করেনি। এছাড়া কর্মচারী অংশীদারিত্ব ও কল্যাণ তহবিল গঠন এবং কোম্পানির পাঁচ শতাংশ লভ্যাংশ কর্মচারীদের পরিশোধ করা হয়নি।
পরবর্তীতে ২০২১ সালের ৯ সেপ্টেম্বর কলকারাখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের শ্রম পরিদর্শক (সাধারণ) এসএম আরিফুজ্জামান বিচারিক আদালতে মামলাটি দায়ের করেন।
আরও পড়ুন: ড. ইউনূসসহ ১২ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
মুনাফা-লোভভিত্তিক আমাদের এই সভ্যতা নিশ্চিত আত্মহননের পথে এগিয়ে চলেছে: ড. ইউনূস
বংশী নদী দখল : সাভারের ইউএনওকে হাইকোর্টে তলব
সাভারের বংশী নদী দূষণ ও অবৈধ দখলদারদের বিষয়ে আদালতের আদেশ অনুসারে প্রতিবেদন দাখিল না করায় সাভার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে (ইউএনও) তলব করেছেন হাইকোর্ট। আগামী ১৮ জুলাই আদালতে হাজির হয়ে এ বিষয়ে ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
মঙ্গলবার এক আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি জে বি এম হাসান ও বিচারপতি রাজিক আল জলিলের হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেন।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন আবেদনকারী আইনজীবী মোহাম্মদ বাকির হোসেন। এ সময় রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন সহকারী অ্যাটর্নি জেনারেল কালীপদ মৃধা।
আইনজীবী বাকির হোসেন বলেন, হাইকোর্ট বংশী নদীর জায়গা দখলমুক্ত করে সাভারের ইউএনওকে প্রতিবেদন দিতে বলেছিলেন। কিন্তু তিনি প্রতিবেদন দাখিল করেননি। এমনকি নদীর জায়গা দখলমুক্ত করেননি। এ কারণে আমরা তার বিরুদ্ধে আদালত অবমাননার আবেদন করেছিলাম। আদালত সেই আবেদনের শুনানি নিয়ে সাভারের ইউএনওকে তলব করেছেন।
আরও পড়ুন: সাভারে বংশী নদী দখলদারদের তালিকা চেয়েছে হাইকোর্ট
উল্লেখ্য, ২০১৯ সালের ২৮ অক্টোবর একটি জাতীয় দৈনিকে প্রকাশিত একটি সংবাদের জেরে জনস্বার্থে হাইকোর্টে রিট করেন সাভারের স্থানীয় বাসিন্দা ব্যারিস্টার মোহাম্মদ বাকির হোসেন মৃধা। ওই রিটের প্রেক্ষিতে ২০১৯ সালের ২ ডিসেম্বর রুলসহ আদেশ দেন হাইকোর্ট।
আদেশে বংশী নদী দখল করে ভরাট, দূষণ বন্ধ ও অবৈধ স্থাপনা নির্মাণ নির্দেশ দেন। একই সঙ্গে ৬০ দিনের মধ্যে দূষণ ও অবৈধ দখলদারদের নাম-ঠিকানাসহ একটি প্রতিবেদন দাখিল করতে বলা হয়।
পানি উন্নয়ন বোর্ড (ওয়াপদা), রাজউক, পরিবেশ অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, ঢাকার জেলা প্রশাসক, সাভারের নির্বাহী অফিসার (ইউএনও), সাভারের ভূমি কর্মকর্তা, ঢাকা জেলার এসপি ও সাভার থানার ওসিকে ওই প্রতিবেদন দাখিল করতে নির্দেশ দেন আদালত। কিন্তু ওই আদেশ বাস্তবায়ন না করায় ২০২১ সালে আদালত অবমাননার আবেদন করেন রিটকারী আইনজীবী বাকির।
পরে ২০২১ সালের ২১ নভেম্বরে হাইকোর্ট আদালত অবমাননার আবেদনের শুনানি করে, ২০১৯ সালে দেওয়া আদেশ মতে প্রতিবেদন না দেওয়ায় বিবাদীদের বিরুদ্ধে কেন অবমাননার কার্যক্রম শুরু করা হবে না তা জানতে চান।
মঙ্গলবার (২০ জুন) বাকির হোসেন জানান, ওই আদালত অবমাননার রুল জারির পর অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ করা হয়। কিন্তু ফের অবৈধ দখলদাররা দখল করে নেয়। এ বিষয়ে গত ২৫ ফেব্রুয়ারি একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়।
এই প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে আনা হলে হাইকোর্ট সাভারের ইউএনওকে তলব করে আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: বংশী নদী পরিদর্শনে ভারতীয় হাইকমিশনার ও নরওয়ের রাষ্ট্রদূত
জলাভূমি, গাছ এবং নদী রক্ষা করুন: এসসিআরএফ
বাগেরহাটে সুন্দরবনের ২ জলদস্যু গ্রেপ্তার
বাগেরহাটে সুন্দরবনের একটি জলদস্যু বাহিনীর দুই সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে জেলা ডিবি পুলিশ। মঙ্গলবার বিকালে বাগেরহাট পুলিশ অফিসে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক এই তথ্য জানান।
এর আগে সোমবার গভীর রাতে বাগেরহাট ও খুলনা থেকে ডিবি পুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে।
গ্রেপ্তারেরা হলেন- বাগেরহাটের শরণখোলা উপজেলার আশরাফ আলী মুন্সির ছেলে রেজাউল মুন্সি (৩২) এবং একই উপজেলার জয়নাল সরদারের ছেলে ইসমাইল হোসেন (৩৫)। তারা সুন্দরবনের কথিত জলদস্যু ‘নয়ন বাহিনী’র সদস্য বলে পুলিশ জানায়।
পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক জানান, সুন্দরবনের জলদস্যু বাহিনীর সদস্যদের আটকের ধারাবাহিকতায় বাগেরহাট ডিবি পুলিশ সোমবার গভীর রাতে প্রথমে খুলনার জেলাখানা ঘাট এলাকা থেকে এসমাইল হোসেনকে গ্রেপ্তার করে। পরে তার স্বীকারোক্তি মতে শরণখোলা থেকে রেজাউল মুন্সিকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের জিজ্ঞাসাবাদে সুন্দরবনের মধ্যে অস্ত্র লুকানো রয়েছে বলে স্বীকার করে। এরপর তাদের দেখানো মতে সুন্দরবন পূর্ব বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের পাথুরিয়া নদীর পূর্বপাড়ের গভীর নলবোনের মধ্যে থেকে তিনটি একনালা বন্দুক, ১০ রাউন্ড বন্দুকের কার্তুজ, দু’টি দা, একটি হাতুড়ি, একটি বাজিফুটানো যন্ত্র এবং জেলেদের কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় কাজে ব্যবহৃত একটি খাতা উদ্ধার করা হয়। এঘটনায় শরণখোলা থানায় অস্ত্র আইনে একটি মামলা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে ১১ জলদস্যু গ্রেপ্তার, দেশীয় অস্ত্র জব্দ
প্রেসব্রিফিংয়ে পুলিশ সুপার কে এম আরিফুল হক আরও জানান, এর আগে গত বছর ২১ ডিসেম্বর সুন্দরবনে দস্যুদের আস্থানা থেকে মুক্তিপণের দাবিতে অপহৃত ১১ জেলেকে উদ্ধার করা হয়। এসময় জলদস্যু বাহিনীর তিন সদস্যকে আটক করা হয়।
গত ৬ মাসে সুন্দরবনের জলদস্যু নয়ন বাহিনীর পাঁচ সদস্যকে আটক করা হয়েছে। এখনো বাহিনী প্রধান নয়নসহ চারজন পলাতক রয়েছে। তাদের ধরতে বাগেরহাট পুলিশ চেষ্টা চালাচ্ছে বলে পুলিশ সুপার জানান।
প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৩১ মে সুন্দরবনের কুখ্যাত জলদস্যু মাস্টার বাহিনীর প্রধানসহ ১০ দস্যুর আত্নসমর্পণের মধ্যে দিয়ে শুরু হয় দস্যুদের স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার প্রক্রিয়া।
এরপর কয়েক দফায় ৩২টি দস্যু বাহিনী প্রধানসহ ৩২৮ জলদস্যু আত্নসমর্পণ করে স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসে। ২০১৮ সালের ১ নভেম্বর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সুন্দরবনকে দস্যুমুক্ত ঘোষণা করেন। ওই সব দস্যুদের আত্নসমর্পণের মধ্যে দিয়ে সুন্দরবনে জলদস্যু অধ্যায়ের পরিসমাপ্তি ঘটে। স্বস্তি ফিরে আসে জনজীবনে।
তবে সুন্দরবনে আবারও দস্যুদের তৎপরতা শুরু হয়েছে।
আরও পড়ুন: ভোলায় দেশীয় অস্ত্রসহ ৬ জলদস্যু গ্রেপ্তার
চট্টগ্রামে অপহৃত ৪ জেলে উদ্ধার, ৫ জলদস্যু গ্রেপ্তার
ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেওয়ায় যুবকের ১০ বছরের কারাদণ্ড
কলেজছাত্রীকে ধর্ষণের পর তা ভিডিও করে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে দেওয়ার অপরাধে জাহিদুল ইসলাম (১৮) নামের এক যুবককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
একই সঙ্গে তাঁকে এক লাখ টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
সোমবার দুপুরে এই রায় ঘোষণা করেন খুলনা সাইবার ট্রাইব্যুনালের বিচারক (জেলা ও দায়রা জজ) কণিকা বিশ্বাস।
দণ্ডপ্রাপ্ত জাহিদুল ইসলামের বাড়ি সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কোমরপুর গ্রামে। রায় ঘোষণার সময় তিনি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রামে জেএমবি কমান্ডার এরশাদের ২০ বছর কারাদণ্ড
ট্রাইব্যুনালের বেঞ্চ সহকারী গোপাল চন্দ্র পাল মামলার নথির বরাত দিয়ে জানান, ২০১৩ সালের ৩০ জানুয়ারি সকালে সাতক্ষীরা জেলার দেবহাটা উপজেলার কলেজে যাওয়ার পথে এক ছাত্রীকে (১৬) তুলে নিয়ে যায় আসামি জাহিদুল ইসলাম।
এরপর একটি বাড়িতে নিয়ে ভয়ভীতি দেখিয়ে তাকে ধর্ষণ করে। ধর্ষণের চিত্র মোবাইলে ধারণ করে রাখে আসামি জাহিদুল। এরপর সে ওই ধর্ষণের ভিডিও ইন্টারনেটের মাধ্যমে বিভিন্ন জনের মোবাইলে পাঠিয়ে ওই কলেজ ছাত্রীর পরিবারকে ব্লেকমেইল শুরু করে।
এ ঘটনায় কলেজ ছাত্রীর মা বাদি হয়ে দেবহাটা থানায় ২৯ জুলাই মামলা দায়ের করেন (মামলা নম্বর ২৯)। তদন্ত কর্মকর্তা এস আই আজিজুল একই বছরের ৩১ অক্টোবর আদালতে চার্জশিট দাখিল করেন।
এরপর আইসিটি আইনের অংশটুকু খুলনা বিভাগীয় সাইবার ট্রাইব্যুনালে বিচারের জন্য পাঠানো হয় (নম্বর-সাইবার ৯/২১)। এছাড়া কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অপরাধের অংশ সাতক্ষীরা আদালতে বিচারিক কার্যক্রম হবে।
ট্রাইব্যুনালের স্পেশাল পিপি অ্যাডভোকেট এম এম সাজ্জাদ আলী জানান, আসামির বিরুদ্ধে রাষ্ট্রপক্ষের আনীত অভিযোগ সাক্ষ্য গ্রহণসহ যাবতীয় তথ্য প্রমাণ সঠিক প্রমাণিত হয়েছে। বিজ্ঞ আদালত ওই আসামিকে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড, এক লাখ টাকা জরিমানা ও অনাদায়ে আরও তিন মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন।
এ ব্যাপারে বাংলাদেশ মানবাধিকার বাস্তবায়ন সংস্থার খুলনার সমন্বয়ক অ্যাডভোকেট মোমিনুল ইসলাম বলেন, এই ধরণের অপরাধের সাজা যদি নিশ্চিত করা যায়, তাহলে অপরাধের মাত্রা কিছুটা কমে যাবে এবং সেক্ষেত্রে অপরাধীরা ভয় পাবে।
আরও পড়ুন: ডিআইজি প্রিজন বজলুর রশিদের ৫ বছরের কারাদণ্ড বহাল
ফরিদপুরে শ্বশুরকে হত্যার মামলায় জামাইয়ের যাবজ্জীবন কারাদণ্ড
চাঁদপুরে হত্যা মামলায় ৪ জনের যাবজ্জীবন
গোপনে বিয়ে করার ঘটনাকে কেন্দ্র করে চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ উপজেলার বালিথুবা গ্রামে আমিনুল ইসলাম আরিফ (২৩) নামে যুবককে হত্যায় দায়ের করা মামলায় চার আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
এছাড়া প্রত্যেক আসামিকে ৫০ হাজার টাকা করে জরিমানা এবং অনাদায়ে আরও ছয় মাসের বিনাশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত।
সোমবার (১৯ জুন) দুপুরে চাঁদপুরের সিনিয়র জেলা ও দায়রা জজ মো. মহসিনুল হক এ রায় দেন।
আরও পড়ুন: শার্শায় স্ত্রী হত্যার দায়ে স্বামীর যাবজ্জীবন
রায়ের সময় আসামি ওমর শরীফ পলাতক ছিলেন। বাকী তিন আসামির উপস্থিতিতে রায় দেন।
কারাদণ্ড প্রাপ্ত আসামিরা হলেন- চাঁদপুর সদর উপজেলার বিষ্ণুপুর গ্রামের মো. ইউনুছের স্ত্রী সাহিদা বেগম (৪০), ফরিদগঞ্জ বালিথুবা গ্রামের হাজী আবদুল ওয়াদুদের ছেলে ওমর শরীফ (২০), একই উপজেলার সন্তোষপুর গ্রামের গাজী বাড়ীর ইমান হকের ছেলে কামরুল ইসলাম (২৫) ও মুন্সীগঞ্জ জেলার টঙ্গীবাড়ী থানার হাসাইল এলাকার মো. হাফিজ উদ্দিন শেখের ছেলে সাইফুল ইসলাম (২০)।
হত্যার শিকার আমিনুল ইসলাম আরিফ লক্ষ্মীপুর জেলা সদরের মহাদেবপুর গ্রামের সামছুল ইসলামের ছেলে।
মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, আমিনুল ইসলাম আরিফ লক্ষ্মীপুর জেলার বাসিন্দা হলেও রাজধানীর খিলগাঁও থানার উত্তর গোরান সিপাহীবাগে ভাড়া বাসায় বসবাস করতেন।
২০০৮ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে একই এলাকার বাসিন্দা জনৈক ইউনুছের মেয়ে পিংকিকে গোপনে আদালতে গিয়ে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন।
এই ঘটনা উভয় পরিবারে জানাজানি হলে পিংকির মা সাহিদা বেগম স্থানীয় ভাড়া করার লোকজন দিয়ে আরিফকে তুলে নিয়ে গোপন আস্তানায় রাখেন। আরিফ বিষয়টি তার আপন খালা নিলা বেগমকে জানায়।
নিলা বেগম ঘটনাস্থলে গিয়ে সাহিদা বেগমকে পান। সাহিদা বেগমকে বুঝিয়ে সেখান থেকে আরিফকে উদ্ধার করে নিয়ে আসেন। এরপর থেকে উভয় পরিবারে শত্রুতা চলতে থাকে।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে পিংকির পরিবার অর্থাৎ সাহিদা বেগম, নাছিমা বেগম ও নাছির পরামর্শ করে পরিকল্পিতভাবে ২০০৮ সালের ৪ মে রাত আনুমানিক সাড়ে ১১টার দিকে দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিদের মধ্যে ওমর শরীফ, কামরুল ও সাইফুল আরিফদের বাসায় গিয়ে তাকে চট্টগ্রাম নিয়ে যাবে বলে বাসা থেকে তুলে নিয়ে যায়।
আরও পড়ুন: ঢামেকে যাবজ্জীবন দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিসহ ২ বন্দির মৃত্যু
কিন্তু চট্টগ্রাম না নিয়ে তারা চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জ বালিথুবা গ্রামে ওমর শরীফের বাড়িতে এনে আরিফের গলায়, বুকে, তলপেটসহ শরীরের বিভিন্ন অংশে আঘাত করে হত্যা করেন এবং বাড়ির পুকুরে ফেলে দিয়ে লাশ গুম করেন।
আরিফকে পরিকল্পিত হত্যার পরের দিন ৫ মে ভোর আনুমানিক সকাল ৭টার দিকে আসামি ওমর শরীফ আরিফের মা মনোয়ারা বেগমকে জানায় আরিফ মারা গেছে।
এই ঘটনার সত্যতা জানতে আরিফের মা ওমর শরীফের গোরানস্থ বাসায় তার পিতার মোবাইল দিয়ে শরীফকে ফোন দেয়। শরীফ জানায় সে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আছে।
বিষয়টি জানতে পেরে আরিফের আপন চাচা মো. তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী আত্মীয় স্বজন নিয়ে ফরিদগঞ্জ হাসপাতালে আসেন এবং তার ভাতিজার লাশ দেখতে পান।
এই ঘটনায় ওইদিনই তাজুল ইসলাম পাটওয়ারী বাদী হয়ে পিংকির মা সাহিদা বেগম, ওমর শরীফ, কামরুল হাসান, সাইফুল ইসলাম, নাছিমা বেগম ও নাছিরকে আসামি করে ফরিদগঞ্জ থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন।
মামলাটির তদন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয় ফরিদগঞ্জ থানার তৎকালীন সময়ের উপ-পরিদর্শক (এসআই) মোহাম্মদ হোসেন সরকারকে।
তিনি মামলাটি তদন্ত শেষে ২০১২ সালের ২৬ ডিসেম্বর আদালতে চার্জশীট দাখিল করেন।
মামলার সরকার পক্ষের আইনজীবী পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) রনজিত রায় চৌধুরী জানান, মামলাটি দীর্ঘ প্রায় ১৬ বছর চলাকালীন সময়ে আদালত ৯ জনের সাক্ষ্য গ্রহণ করেন।
সাক্ষ্য গ্রহণ ও মামলার নথিপত্র পর্যালোচনা এবং আসামিদের অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় এই রায় দেন। রায়ের সময় আসামি ওমর শরীফ পলাতক ছিলেন। বাকী তিন আসামির উপস্থিতিতে রায় দিয়েছেন আদালত।
আরও পড়ুন: নাটোরে ধর্ষণ মামলায় যুবকের যাবজ্জীবন
ময়মনসিংহের অতিরিক্ত ডিআইজিকে সাময়িক বরখাস্ত
ময়মনসিংহ রেঞ্জের অতিরিক্ত উপ-পুলিশ মহাপরিদর্শক (প্রশাসন ও অর্থ) মো. এনামুল কবিরকে বিভিন্ন অভিযোগে বিভাগীয় তদন্তের জন্য সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
সোমবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগ এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করেছে।
আরও পড়ুন: সিলেটে কলেজছাত্রকে ইয়াবা দিয়ে ফাঁসানোর অভিযোগ, ৩ পুলিশ সদস্য বরখাস্ত
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, এনামুলের বিরুদ্ধে শৃঙ্খলাভঙ্গ, শিষ্টাচারহীনতা ইত্যাদির অভিযোগ রয়েছে। জনস্বার্থে তাকে চাকরি থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা প্রয়োজনীয় ও উপযুক্ত বলে বিবেচিত হয়েছে।
পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত তাকে সিলেট রেঞ্জের ডিআইজি অফিসে সংযুক্ত করা হয়েছে।
আরও পুড়ুন: চট্টগ্রামে পথশিশুকে মারধরের অভিযোগে কনস্টেবল বরখাস্ত