আইনশৃঙ্খলা
এস আলমের ৬৮ ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ, ১৬টি সম্পত্তি জব্দের আদেশ
এস আলম গ্রুপের চেয়ারম্যান মো. সাইফুল আলমসহ তার পরিবারের নামে থাকা ৬৮টি ব্যাংক হিসাব অবরুদ্ধ (ফ্রিজ) করার আদেশ দিয়েছেন আদালত। পাশাপাশি তাদের ১৬টি স্থাবর সম্পত্তি জব্দের (ক্রোক) আদেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) ঢাকা মহানগর সিনিয়র বিশেষ জজ মো. জাকির হোসেন গালিবের আদালত দুর্নীতি দমন কমিশনের (দুদক) আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এ আদেশ দেন।
এদিন দুদকের উপপরিচালক সিফফাত উদ্দীন এস আলমের সম্পদ জব্দের আবেদন করেন। দুদকের পক্ষে শুনানি করেন প্রসিকিউটর মাহমুদ হোসেন জাহাঙ্গীর। পরে বিচারক এ আদেশ দেন।
আরও পড়ুন: এস আলমের মালিকানাধীন ৩ ব্যাংকের চাকরিচ্যুতদের সড়ক অবরোধ
১৬টি স্থাবর সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে— গুলশানের ১০ তলা ভবন এস আলম টাওয়ার, ধানমণ্ডিতে এক বিঘা জমিসহ ৬ তলা ভবন, ধানমণ্ডি লেক সার্কাসে ১১ দশমিক ৮৮ শতাংশ জমিসহ ৪ তলা ভবন, গুলশানের ২ হাজার ৬৫৮ বর্গফুট জমির ওপর নির্মিত ফ্ল্যাট, গুলশান-২ এর দশমিক ৭ হাজার ৮৮৮ একর জমি, উত্তরা আবাসিক এলাকায় ৭ তলা ভবন, ভাটারার বসুন্ধরা আবাসিক এলাকায় ১০৩ দশমিক ৩ কাঠা জমির প্লট, পৃথক পৃথক ১ দশমিক ৭২০০ একর জমি, ৯৬ কাঠা জমি, ১ দশমিক ৯ হাজার ৫৩৬ একর জমি, ১১ দশমিক ১ হাজার ৬১ বিঘা জমি ও ১৩১ দশমিক ৪ কাঠা জমি।
৩৪৮ দিন আগে
১৮টি স্বর্ণের বার পাচারকালে ভারতীয় নাগরিক আটক
মেহেরপুরের মুজিবনগর সীমান্তে পাচারের সময় ১৮টি স্বর্ণের বারসহ মো. নূর হোসেন নামের এক ভারতীয় নাগরিককে আটক করেছে বর্ডার গার্ড বাংলাদেশ (বিজিবি)।
সোমবার (১৪ জানুয়ারি) দিবাগত রাত দেড়টার দিকে মুজিবনগর মাঠের পাশের একটি বাগান থেকে তাকে আটক করা হয়।
আটক নুর হোসেন (৪৮) ভারতের নদীয়া জেলার চাপড়া থানার হৃদয়পুরর গ্রামের মৃত সোনাই শেখের ছেলে।
চুয়াডাঙ্গা ব্যাটালিয়ন (৬ বিজিবি) অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল সাঈদ মো. জাহিদুর রহমান মঙ্গল এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
তিনি জানান, মুজিবনগর সীমান্তের ১০৪/৫ এস নম্বর পিলার এলাকায় ভারতীয় এক নাগরিক স্বর্ণ পাচার করছে—এমন সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবির একটি দল অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে। পরে তাকে তল্লশি করা হলে কোমরের সঙ্গে প্যান্টের ভেতরে টেপ দিয়ে মোড়ানো তিনটি প্যাকেট উদ্ধার করা হয়।
আরও পড়ুন: বাংলাদেশে অনুপ্রবেশকারী ৫৮ রোহিঙ্গা আটক
এসব প্যাকেট থেকে মোট ১৮টি স্বর্ণের বার উদ্ধার করা হয়, যার ওজন ২ কেজি ১৮ গ্রাম এবং আনুমানিক মূল্য ২ কোটি টাকা বলে জানান তিনি।
এ ঘটনায় মুজিবনগর বিওপি ক্যাম্পের কমান্ডার হাবিলদার মো. রফিকুল ইসলাম বাদী হয়ে মুজিবনগর থানায় মামলা করেছেন। এরপর আসামিকে মুজিবনগর থানায় হস্তান্তর করা হয়েছে। সেইসঙ্গে জব্দ করা স্বর্ণের বারগুলো মেহেরপুর ট্রেজারি অফিসে জমা দেওয়া হয়েছে।
৩৪৮ দিন আগে
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট মামলার আপিল শুনানি শেষ, বুধবার রায়
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় সাজার বিরুদ্ধে বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ তিনজনের করা আপিলের শুনানি শেষ হয়েছে। বুধবার (১৫ জানুয়ারি) রায় ঘোষণা করবেন আপিল বিভাগ।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) প্রধান বিচারপতি সৈয়দ রেফাত আহমেদের নেতৃত্বাধীন পাঁচ সদস্যের আপিল বিভাগ রায়ের জন্য এ দিন ধার্য করেন।
খালেদা জিয়ার পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন, এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এম বদরুদ্দোজা বাদল ও কায়সার কামাল। এছাড়া, খালেদা জিয়া ও শরফুদ্দিনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী ব্যারিস্টার মো. রুহুল কুদ্দুস কাজল এবং কাজী সালিমুল হক কামালের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী এস এম শাহজাহান। অপরদিকে, রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মোহাম্মদ আরশাদুর রউফ ও অনীক আর হক। পাশাপাশি দুদকের পক্ষে শুনানিতে অংশ নেন আইনজীবী আসিফ হাসান।
শুনানির সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে আইনজীবী রাগীব রউফ চৌধুরী, জাকির হোসেন ভূইয়া ও মাকসুদ উল্লাহ উপস্থিত ছিলেন।
এতিমদের সহায়তার উদ্দেশ্যে বিদেশ থেকে পাঠানো ২ কোটি ১০ লাখ ৭১ হাজার ৬৭১ টাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে দুর্নীতির মাধ্যমে আত্মসাৎ করার অভিযোগে খালেদা জিয়াসহ ছয়জনের বিরুদ্ধে ২০০৮ সালের ৩ জুলাই ওই মামলাটি করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। ২০০৯ সালে এ বিষয়ে অভিযোগপত্র দেওয়া হয়। এর মাঝে ২০০৯ থেকে ২০১৪ সাল পর্যন্ত মামলার কার্যক্রম উচ্চ আদলতের নির্দেশে স্থগিত ছিল।
জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতি মামলায় অভিযোগ হলো—এতিমদের জন্য সহায়তা হিসেবে আসা ২ কোটি ১০ লাখ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে। ওই টাকা দিয়েছিলেন কুয়েতের আমির। সৌদি আরবের ইউনাইটেড কমার্শিয়াল ব্যাংকের মাধ্যম ওই টাকা ১৯৯১ সালে বাংলাদেশে সোনালী ব্যাংকের অ্যাকাউন্টে জমা হয়।
আরও পড়ুন: খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় আরও ৬ জনের সাক্ষ্য
বিচার শেষে ২০১৮ সালের ৮ ফেব্রুয়ারি বকশীবাজারে কারা অধিদপ্তরের প্যারেড গ্রাউন্ডে স্থাপিত ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক ড. মো. আখতারুজ্জামান অরফানেজ ট্রাস্ট মামলায় খালেদা জিয়াকে পাঁচ বছরের কারাদণ্ড দেন। একইসঙ্গে তার বড় ছেলে ও বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারপারসন তারেক রহমান, মাগুরার সাবেক এমপি কাজী সালিমুল হক কামাল, ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদ, ড. কামাল উদ্দিন সিদ্দিকী ও মমিনুর রহমানকে ১০ বছর করে কারাদণ্ড দেন আদালত। পরে ওই রায়ের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় ওই বছরের ২০ ফেব্রুয়ারি খালেদা জিয়া আপিল করেন। এরপর ওই বছরের ২৮ মার্চ তার সাজা বৃদ্ধি চেয়ে দুদকের করা আবেদনে রুল জারি করেন হাইকোর্ট। পরে খালেদা জিয়া ও দুদকের করা পৃথক আবেদনের শুনানি একসঙ্গে হয়।
হাইকোর্ট সাজা বৃদ্ধিতে দুদকের আবেদনে জারি করা রুল যথাযথ ঘোষণা করে ২০১৮ সালের ৩০ অক্টোবর রায় দেন। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ খালেদা জিয়ার সাজা পাঁচ বছর থেকে বাড়িয়ে ১০ বছর করেন। এছাড়া খালেদা জিয়ার আপিল খারিজ করে দেন। পাশপাশি ১০ বছরের দণ্ড থেকে খালাস চেয়ে মাগুরার সাবেক সংসদ সদস্য (এমপি) কাজী সালিমুল হক কামাল ওরফে কাজী কামাল ও ব্যবসায়ী শরফুদ্দিন আহমেদের আপিলও খারিজ করে দেন আদালত।
হাইকোর্টের রায়ের বিরুদ্ধে খালেদা জিয়াসহ অন্য আসামিরা বিভাগে পৃথক লিভ টু আপিল আপিল করেন। গত ১১ নভেম্বর খালেদা জিয়ার লিভ টু আপিল (আপিলের অনুমতি চেয়ে করা আবেদন) মঞ্জুর করেন আপিল বিভাগ। একইসঙ্গে তাকে দেওয়া ১০ বছরের সাজার কার্যকারিতা স্থগিত করেন আদালত। পাশাপাশি খালেদা জিয়াকে আপিলের সারসংক্ষেপ দুই সপ্তাহের মধ্যে দাখিল করতে নির্দেশ দেওয়া হয়। আপিলের সারংক্ষেপ দাখিলের পর তা শুনানির জন্য আপিল বিভাগের কার্যতালিকায় আসে।
এছাড়া খালেদা জিয়ার আপিলের সঙ্গে শরফুদ্দিন আহমেদ ও কাজী সালিমুল হক কামালের দায়ের করা আপিলও শুনানির জন্য কার্যতালিকায় ওঠে। সবগুলো আপিলের ওপর শুনানি আজ (মঙ্গলবার) শেষ হয়।
৩৪৮ দিন আগে
রাজউকে প্লট নেওয়ার অভিযোগে শেখ হাসিনা ও জয়ের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
রাজউক থেকে প্লট নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে পৃথক দুটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মঙ্গলবার (১৪ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়ে মামলাগুলো করা হয়। দুদক মহাপরিচালক আক্তার হোসেন মামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, দুই মামলায় আলাদা করে শেখ হাসিনা ও সজীব ওয়াজেদ জয়কে প্রধান আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি: খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
জয়কে প্রধান আসামি দেখানো মামলায় সহায়তায়কারী হিসেবে শেখ হাসিনাকেও আসামি করা হয়েছে। এছাড়া শেখ হাসিনাকে প্রধান আসামি দেখানো মামলায় গৃহায়ন ও রাজউক কর্মকর্তাসহ মোট আটজনকে আসামি করা হয়েছে। এই মামলার বাদী দুদকের উপপরিচালক মো. সালাহউদ্দিন।
মামলার আসামিরা হলেন—সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, সাবেক রাজউক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আনিছুর রহমান মিঞা (পিএএ), জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, রাজউকের সাবেক সদস্য শফিউল হক, মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (ইঞ্জিনিয়ার) ও প্রতিষ্ঠানটির সাবেক উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ।
অন্যদিকে, জয়ের বিরুদ্ধে করা মামলায় শেখ হাসিনা এবং গৃহায়ন ও রাজউক কর্মকর্তাসহ মোট ১৫ জনকে আসামি করা হয়েছে। তারা হলেন—সজীব ওয়াজেদ জয়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, গৃহায়ন মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, জ্যেষ্ঠ সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন ও সচিব শহীদ উল্লা খন্দকার।
এছাড়া সাবেক রাজউক চেয়ারম্যানের ব্যক্তিগত সহকারী আনিছুর রহমান মিঞা (পিএএ), প্রতিষ্ঠানটির সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) মোহাম্মদ খুরশীদ আলম, তন্ময় দাস (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ), মোহাম্মদ নাসির উদ্দীন, মেজর (অব.) সামসুদ্দীন আহমদ চৌধুরী (ইঞ্জি), পরিচালক কামরুল ইসলাম, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ ও পরিচালক নুরুল ইসলামও রয়েছেন এই মামলায়।
মামলার এজাহারে বলা হয়, শেখ হাসিনা বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালনকালে তার ওপর অর্পিত ক্ষমতার অপব্যবহার করে নিজ মালিকানায় এবং তার ছেলে, মেয়ে, বোন, বোনের মেয়ে ও বোনের ছেলের নামে ঢাকা শহরে বাড়ি বা ফ্ল্যাট বা আবাসন সুবিধা থাকার পরও তা হলফনামায় গোপন করে পূর্বাচল নতুন শহর আবাসন প্রকল্পের বরাদ্দ সংক্রান্ত আইনবিধি ও নীতিমালা এবং আইনানুগ পদ্ধতি লঙ্ঘন করেছেন। তার দপ্তরসহ প্রকল্পের বরাদ্দ-বিষয়ক দায়িত্বপ্রাপ্ত গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) গণকর্মচারীদের প্রভাবিত করে নিজে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে সরকারের সর্বোচ্চ পদাধিকারী পাবলিক সার্ভেন্ট হিসেবে দায়িত্বে বহাল থাকা অবস্থায় নিজ ক্ষমতার অপব্যবহার করে পূর্বাচল আবাসন প্রকল্পের অতি মূল্যবান কূটনৈতিক এলাকায় ২৭ নম্বর সেক্টরের ২০৩ নম্বর রাস্তার প্লট নম্বর ০০৯ নিজ নামে দখলসহ রেজিস্ট্রিমূলে গ্রহণ করে দণ্ডবিধি ১৮৬০ এর ১৬১/৪০৯/৪২০/১০৯ ধারাসহ দুর্নীতি প্রতিরোধ আইন, ১৯৪৭ এর ৫(২) ধারায় দণ্ডযোগ্য অপরাধ করেছেন আসামিরা।
এর আগে, সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ক্ষমতার অপব্যবহার করে রাজউক থেকে প্লট গ্রহণের অভিযোগে শেখ রেহানা, তার ছেলে রাদওয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি, মেয়ে আজমিনা সিদ্দিক, টিউলিপ রিজওয়ানা সিদ্দিক ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা হয়। প্রতিটি মামলায় ১২ থেকে ১৩ জন রাজউক ও গৃহায়নের কর্মকর্তাকে আসামি করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ: হাসিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৩৪৮ দিন আগে
খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে নাইকো মামলায় আরও ৬ জনের সাক্ষ্য
সাবেক প্রধানমন্ত্রী ও বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে দায়ের করা নাইকো দুর্নীতি মামলায় সাক্ষ্য দিয়েছেন আরও ছয়জন।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) ঢাকার বিশেষ জজ আদালত-৫ এর বিচারক আব্দুল্লাহ আল মামুনের কাছে সাক্ষ্য দেন তারা। এ নিয়ে মামলাটিতে ৬৮ সাক্ষীর মধ্যে ৩৮ জনের সাক্ষ্য শেষ হলো।
নাইকো দুর্নীতি মামলায় পরবর্তী সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ধার্য করা হয়েছে আগামী ২১ জানুয়ারি।
আরও পড়ুন: জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় খালাস পেলেন খালেদা জিয়া
উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের ৯ ডিসেম্বর রাজধানীর তেজগাঁও থানায় খালেদা জিয়াসহ আটজনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
মামলা তদন্তের পর ২০০৮ সালের ৫ মে খালেদা জিয়াসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে আদালতে চার্জশিট দাখিল করা হয়। গেল বছরের ১৯ মার্চ একই আদালত খালেদা জিয়াসহ আট আসামির অব্যাহতি আদালত নাকচ করে চার্জ গঠনের আদেশ দেন।
অপর আসামিরা হলেন- তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল উদ্দীন সিদ্দিকী, বাপেক্সের সাবেক মহাব্যবস্থাপক মীর ময়নুল হক, নাইকোর দক্ষিণ এশিয়াবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট কাশেম শরীফ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ মন্ত্রণালয়ের ভারপ্রাপ্ত সচিব খন্দকার শহীদুল ইসলাম, সাবেক সিনিয়র সহকারী সচিব সিএম ইউসুফ হোসাইন, ব্যবসায়ী গিয়াস উদ্দিন আল মামুন ও বাগেরহাটের সাবেক সংসদ সদস্য এম এ এইচ সেলিম। এদের মধ্য প্রথম তিনজন পলাতক আছেন।
আরও পড়ুন: গ্যাটকো দুর্নীতি মামলায় খালেদা জিয়াসহ ২ জন খালাস
৩৪৯ দিন আগে
পরিবহন খাতে চাঁদাবাজি: খন্দকার এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে দুদকের তদন্ত শুরু
বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক খন্দকার এনায়েত উল্লাহর দৈনিক দেড় কোটি টাকার চাঁদাবাজির অভিযোগের বিষয়ে তদন্ত শুরু করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
দুদক সূত্র বলছে, পরিবহন সংক্রান্ত ফি ও লেভিসহ নিয়মতান্ত্রিক চাঁদাবাজির অভিযোগের ভিত্তিতে এই তদন্ত করা হচ্ছে।
দেশের পরিবহন খাতের বিশিষ্ট ব্যক্তিত্ব এনায়েত উল্লাহর বিরুদ্ধে নানা অজুহাতে পরিবহন খাত সংশ্লিষ্টদের (মালিক ও চালক) কাছ থেকে অর্থ আদায়ের পরিকল্পনা করার অভিযোগ রয়েছে।
তদন্তটি বেআইনী আর্থিক সুবিধা গ্রহণ সম্পর্কে খাত সংশ্লিষ্টদের দীর্ঘদিনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে শুরু হয়েছে। এনায়েত উল্লাহর আর্থিক নৈতিক সুবিধা গ্রহণের কারণে পরিবহন মালিক-চালক এবং যাত্রীরা সমানভাবে প্রভাবিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ: হাসিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৩৪৯ দিন আগে
পূর্বাচলের প্লট বরাদ্দ: হাসিনাসহ ৪ জনের বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
দুর্নীতির মাধ্যমে রাজউকের প্লট বরাদ্দ নেওয়ার অভিযোগে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার বোন শেখ রেহানা ও তার সন্তানদের বিরুদ্ধে পৃথক তিনটি মামলা করেছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুদকের ঢাকা সমন্বিত জেলা কার্যালয়-১ এ মামলাগুলো করা হয় বলে জানিয়েছেন দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন।
মামলায় শেখ রেহানা, তার ছেলে রেদোয়ান মুজিব সিদ্দিক ববি ও মেয়ে আজমিনা সিদ্দিকী এবং শেখ রেহানার আরেক মেয়ে টিউলিপ রেজওয়ানা সিদ্দিকী ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে আসামি করা হয়।
এ ছাড়া প্রতিটি মামলায় ১২ থেকে ১৩ জনকে আসামি করা হয়েছে।
এক প্রশ্নের জবাবে আখতার হোসেন বলেন, ব্রিটিশ এমপি টিউলিপ সিদ্দিকী পূর্বাচল নিউ টাউনে প্লট বরাদ্দে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে প্রভাবিত করেছেন এবং এ বিষয়ে দুদকের কাছে যথেষ্ট প্রমাণ রয়েছে।
দুদকের উপপরিচালক সালাহউদ্দিন বাদী হয়ে শেখ রেহানা, দুদকের সহকারী পরিচালক এস এম রাশেদুল হাসান ও তার মেয়ে আজমিনার বিরুদ্ধে মামলা করেন।
শেখ রেহানার বিরুদ্ধে দায়ের করা মামলায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, টিউলিপ সিদ্দিকী, গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয় এবং রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (রাজউক) কর্মকর্তাসহ ১৫ জনকে আসামি করা হয়।
এছাড়াও গৃহায়ন ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসনিক কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম সরকার, সিনিয়র সহকারী সচিব পূরবী গোলদার, অতিরিক্ত সচিব অলিউল্লাহ, অতিরিক্ত সচিব (প্রশাসন) কাজী ওয়াছি উদ্দিন, রাজউকের সাবেক চেয়ারম্যানের পিএএ মো. আনিসুর রহমান মিয়া, সাবেক সদস্য (এস্টেট ও ভূমি) খুরশিদ আলম, সদস্য তন্ময় দাস (উন্নয়ন নিয়ন্ত্রণ), সাবেক সদস্য মো. নাসির উদ্দিন, সদস্য (উন্নয়ন) মেজর (অব.) ইঞ্জিনিয়ার শামসুদ্দিন আহমেদ চৌধুরী, সহকারী পরিচালক মাজহারুল ইসলাম, উপপরিচালক নায়েব আলী শরীফ ও সাবেক পরিচালক নুরুল ইসলাকে আসামি করা হয়েছে।
মামলার এজাহারে বলা হয়, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রাজউকের উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের যোগসাজশে ক্ষমতার অপব্যবহার ও অনিয়মের মাধ্যমে রাজনৈতিক বিবেচনায় প্লট বরাদ্দ দেন।
আরও পড়ুন: কৃষি যন্ত্রপাতি ও মেশিন আমদানির চেয়ে বেশি বিতরণ দেখানো হয়েছে: দুদক
বরাদ্দকৃত প্লটগুলো পূর্বাচল নিউ টাউনের ২৭ নম্বর সেক্টরের কূটনৈতিক জোনের ২০৩ নম্বর রোডে অবস্থিত।
বরাদ্দের মধ্যে ১০ কাঠার তিনটি প্লট, মোট ৩০ কাঠা জমি রয়েছে।
এর আগে রবিবার তথ্য-প্রমাণ পেয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার মেয়ে সায়মা ওয়াজেদ পুতুলসহ ১৬ জনের বিরুদ্ধে মামলা করে দুদক।
গত ২৭ ডিসেম্বর দুদক ঘোষণা দেয় যে,প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার পরিবারের ছয় সদস্যের বিরুদ্ধে পূর্বাচলে প্লট বরাদ্দে অনিয়মের অভিযোগ অনুসন্ধান করবে।
সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার ছেলে সজীব ওয়াজেদ জয়ের বিরুদ্ধে ৩০ হাজার কোটি টাকা বিদেশে পাচারের অভিযোগ অনুসন্ধানে গত ২২ ডিসেম্বর সিদ্ধান্ত নেয় দুদক।
এর আগে বিভিন্ন প্রকল্পে শেখ হাসিনা ও শেখ রেহানার পরিবারের বিরুদ্ধে ৮০ হাজার কোটি টাকা দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধানে পাঁচ সদস্যের একটি তদন্ত দল গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: সাবেক এমপি নিক্সন ও তার স্ত্রীর বিরুদ্ধে দুদকের মামলা
৩৪৯ দিন আগে
অ্যাডভোকেট আলিফ হত্যাকাণ্ড: চট্টগ্রামের ৬৩ আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর
চট্টগ্রাম আদালত প্রাঙ্গণে ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিনকে ঘিরে সংঘর্ষ, ভাঙচুরের অভিযোগের মামলায় আসামি ৬৩ আইনজীবীর জামিন মঞ্জুর করেছেন আদালত। তবে এ আদেশের পর বিক্ষোভ করেছে বাদীপক্ষের আইনজীবীরা।
সোমবার (১৩ জানুয়ারি) দুপুরে চট্টগ্রাম অতিরিক্ত চিফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের বিচারক সরকার হাসান শাহরিয়ার শুনানি শেষে এ আদেশ দেন।
জামিনের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ আদালতের সরকারি কৌঁসুলি (পিপি) অ্যাডভোকেট মফিজুল হক ভূইয়া।
তিনি বলেন, ‘চিন্ময় কৃষ্ণ দাসের জামিনকে ঘিরে ২০২৪ সালের ২৬ নভেম্বর আদালত প্রাঙ্গণে সংঘর্ষের ঘটনায় যে মামলা হয়েছে, সেই মামলার আসামি ৬৩ জন আইনজীবী আজ আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন আবেদন করেছেন। এক হাজার টাকার বন্ডে আদালত তাদের জামিন মঞ্জুর করেছেন মামলার চার্জশিট দায়ের না হওয়া পর্যন্ত।’
আসামিপক্ষের আইনজীবী এবং সুপ্রিম কোর্টের জ্যেষ্ঠ আইনজীবী শুভ্রজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যাকাণ্ডের আমরা তীব্র নিন্দা জানাই। আজকের মামলাটি মূলত তার বড় ভাইয়ের করা ভাঙচুর এবং বিস্ফোরক আইনের মামলা। এখানে ৬৩ জন আইনজীবীকে সম্পৃক্ত করা হয়েছে। যারা এ ঘটনার সঙ্গে সম্পৃক্ত না। যিনি মামলা করেছেন তিনি নিজেও ঘটনাস্থলে উপস্থিত ছিলেন না। এছাড়া যে আলামত দেওয়ার কথা ছিল, তার কিছুই দিতে পারেননি তিনি। আদালত আমাদের শুনানিতে সন্তুষ্ট হয়ে এই মামলার চার্জশিট না হওয়া পর্যন্ত ৬৩ জন আইনজীবীকে জামিন দিয়েছেন।’
আদালত সূত্র জানিয়েছে, দুপুরের দিকে জামিন প্রার্থী আইনজীবীরা এজলাসে প্রবেশ করেন। পরবর্তীতে এক ঘণ্টা ধরে শুনানি চলে।
এদিকে চিন্ময়ের ঘটনায় আইনজীবীদের জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালত পাড়ায় কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেওয়া হয়।
আদালতে প্রবেশের দুটি পথেই চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। ব্যক্তিগত কোনো গাড়ি ছাড়া অন্যান্য যানবাহন আসা-যাওয়ায় কড়াকড়ি করা হয়।
এছাড়া সন্দেহজনক কাউকে দেখলেই তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। আদালত ভবনের দ্বিতীয় তলা থেকে এজলাস পর্যন্ত দুপাশ ব্যারিকেড দিয়ে পুলিশ, র্যাব, বিজিবি এবং সেনাসদস্যরা সতর্ক অবস্থানে ছিল সকাল থেকে।
নিরাপত্তা প্রসঙ্গে নগর পুলিশের উপকমিশনার (দক্ষিণ) শাকিলা সোলতানা বলেন, ‘আজ আদালতে ৬৩ জন আইনজীবীর আত্মসমর্পণের একটি বিষয় ছিল। এর প্রেক্ষিতে আমরা আদালত প্রাঙ্গণে অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে পর্যাপ্ত নিরাপত্তা ব্যবস্থা গ্রহণ করেছি। কোনো ধরনের অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ছাড়াই সুষ্ঠুভাবে শুনানি সম্পন্ন হয়েছে।’
এদিকে, আদেশের পরপরই আইনজীবীদের একাংশ আদালত চত্বরে এসে ‘নারায়ে তাকবির, আল্লাহু আকবর, ইসকনের দালালেরা হুঁশিয়ার সাবধান, আলিফ ভাই কবরে খুনি কেন বাইরে’—এ ধরনের স্লোগান দিতে থাকেন। এ সময় তারা আসামি আইনজীবীদের জামিন দেওয়ায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন এবং বিক্ষোভ করতে থাকেন।
আরও পড়ুন: চট্টগ্রাম আদালতের ১,৯১১ মামলার নথি গায়েব
আদেশের বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করে আইনজীবী ঐক্য পরিষদের সদস্য সচিব এবং বাদীপক্ষের আইনজীবী অ্যাডভোকেট মুহাম্মদ শামসুল আলম বলেন, ‘শহীদ আলিফ ভাইয়ের বড় ভাইয়ের মামলায় আজ যে আসামিরা আত্মসমর্পণ করেছেন, তারা ছিলেন ঘটনার উসকানিদাতা। এ ধরনের বিস্ফোরক মামলার আসামিরা ম্যাজিস্ট্রেট কোর্ট থেকে জামিন পায় না। হাইকোর্ট থেকে জামিন পায়। কিন্তু আজকে আদালত এই মামলায় ৬৩ জন আসামির জামিন মঞ্জুর করেছেন। শহীদ আলিফের হত্যাকারীদের জামিন দেওয়ায় আমাদের হৃদয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। এ ধরনের আদেশে আমরা ক্ষুব্ধ।’
তিনি অ্যাডভোকেট সাইফুল ইসলাম আলিফ হত্যার সঙ্গে জড়িতদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে দ্রুত চার্জশিট দিয়ে আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তির আদেশ দিয়ে মামলা নিষ্পত্তির দাবি জানান।
উল্লেখ্য, গত বছর ২৬ নভেম্বর রাষ্ট্রদ্রোহের একটি মামলায় বহিষ্কৃত ইসকন নেতা চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারীর জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণ করেন আদালত। ওইদিন জামিন চেয়ে আদালত প্রাঙ্গণে বিক্ষোভ করেন তার অনুসারীরা। একপর্যায়ে পুলিশের সঙ্গে তাদের সংঘর্ষ হয়। আদালত প্রাঙ্গণের অদূরে বিক্ষুব্ধদের হাতে খুন হন সাইফুল ইসলাম আলিফ নামে একজন আইনজীবী।
পরি ৩০ নভেম্বর এ ঘটনায় নিহত আলিফের বাবা জামাল উদ্দিন বাদী হয়ে ৩১ জনের নামে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। একই দিনে তার বড় ভাই খানে আলম আইনজীবীদের ওপর হামলা, পুলিশের গাড়ি ভাঙচুরের অভিযোগ এনে ১১৬ জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত ৪শ’ থেকে ৫শ’ জনের বিরুদ্ধে আরও একটি মামলা দায়ের করেন। সেই মামলায় আসামি করা হয় ৭০ জনেরও বেশি আইনজীবীকে।
আরও পড়ুন: মাঠে আদালত স্থাপনের প্রতিবাদে ঢাকা আলিয়ার শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
৩৪৯ দিন আগে
ট্রাফিক আইন লঙ্ঘনে ডিএমপির ২০৮৯ মামলা
রাজধানীর বিভিন্ন এলাকায় ট্রাফিক আইন অমান্যকারীদের বিরুদ্ধে অভিযান চালিয়ে ২ হাজার ৮৯টি মামলা করেছে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) ট্রাফিক বিভাগ।
ডিএমপির উপকমিশনার (মিডিয়া) তালেবুর রহমান জানান, অভিযানের সময় ৭৯টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে এবং বৈধ কগজপত্র না থাকায় ও যানজন সৃষ্টির কারণে আরও ৫২টি যানবাহন র্যাকার লাগানো হয়েছে।
ঢাকার যানজটপূর্ণ সড়কে শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা এবং বেপরোয়া গতিতে গাড়ি চালানো, অবৈধ পার্কিং ও অন্যান্য দুর্ঘটনা কমাতে রবিবার ডিএমপির আটটি ট্রাফিক বিভাগ এ অভিযান চালিয়েছে।
ঢাকা নগরীর সড়কে চলাচল নির্বিঘ্ন করতে যাত্রী ও চালকদের কঠোরভাবে ট্রাফিক আইন মেনে চলার আহ্বান জানিয়েছে ডিএমপি। আগামী দিনেও এ ধরনের অভিযান অব্যাহত থাকবে বলে জানান ওই কর্মকর্তা।
আরও পড়ুন: সেবার মাধ্যমে পুলিশকে জনগণের আস্থা ফেরাতে হবে: ডিএমপি কমিশনার
৩৪৯ দিন আগে
অন্তর্বর্তী সরকার নিয়ে বিতর্ক থাকতে পারে না: হাইকোর্ট
সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ গ্রহণ চ্যালেঞ্জ করে করা রিট খারিজ করেছেন হাইকোর্ট। সোমবার (১৩ জানুয়ারি) বিচারপতি ফাতেমা নজীব ও শিকদার মো. মাহমুদুর রাজীর হাইকোর্ট বেঞ্চ রিট খারিজ করে দেন।
পর্যবেক্ষণে হাইকোর্ট বলেছেন, অন্তর্বর্তী সরকারকে দেশের জনগণ বৈধ হিসেবে মেনে নিয়েছে, তাই এ বিষয়ে বিতর্কের কোনো অবকাশ নেই। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী মহসীন রশিদ। সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সুপ্রিম কোর্টের মতামত নিয়ে অন্তর্বর্তী সরকারের শপথ গ্রহণ চ্যালেঞ্জ করে সম্প্রতি রিট করেছিলেন তিনি।
গত ৮ আগস্ট ড. ইউনূসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের আগে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত চাওয়া হয়। সেদিন প্রধান বিচারপতি ওবায়দুল হাসানসহ আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতি অন্তর্বর্তী সরকার গঠনের পক্ষে মতামত দিয়ে স্পেশাল রেফারেন্স দেন। সুপ্রিম কোর্টের মতামত ও বৈধতা পাওয়ার পর রাষ্ট্রপতি অন্তর্বর্তী সরকারকে শপথ পাঠ করান।
স্পেশাল রেফারেন্সে আপিল বিভাগের ৭ বিচারপতি বলেন, দেশের বর্তমান উদ্ভুত পরিস্থিতিতে যেহেতু প্রধানমন্ত্রী পদত্যাগ করেছেন ও রাষ্ট্রপতি বিগত ৬ আগস্ট ২০২৪- এ দ্বাদশ জাতীয় সংসদ ভেঙে দিয়েছেন, সেহেতু গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের অনুচ্ছেদ ৪৮ (৩) অনুসারে রাষ্ট্রপতি কর্তৃক প্রধানমন্ত্রীর পরামর্শ গ্রহণ করা সম্ভবপর নয়।
আরও পড়ুন: বায়ুদূষণ বন্ধে ৭ দিনের মধ্যে কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণের নির্দেশ
বিদ্যমান পরিস্থিতিতে সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠন করার বিষয়ে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের আইন, বিচার ও সংসদ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের আইন ও বিচার বিভাগ হতে ৮/৮/২৪ তারিখের ১০.০০.০০০০.১২৭,৯৯.০০৭.২০.৪৭৫ নং স্মারকে প্রেরিত পত্রে গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে বর্ণিত জনগুরুত্বপূর্ণ প্রশ্নে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মতামত যাচনা করা হয়েছে।
এ বিষয়ে বাংলাদেশের অ্যাটর্নি জেনারেল মো. আসাদুজ্জামানের বক্তব্য শোনা হলো। এমতাবস্থায়, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশের সংবিধানে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠনের কোনো বিধান না থাকায় উল্লিখিত প্রশ্নের বিষয়ে বাংলাদেশের সংবিধানের ১০৬ অনুচ্ছেদে প্রদত্ত উপদেষ্টামূলক এখতিয়ার প্রয়োগ করে বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ এই মতামত প্রদান করছে যে, রাষ্ট্রের সাংবিধানিক শূন্যতা পূরণে জরুরি প্রয়োজনে রাষ্ট্রপতি রাষ্ট্রের নির্বাহী কার্য পরিচালনার নিমিত্ত অন্তর্বর্তীকালীন ব্যবস্থা হিসেবে প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টা নিযুক্ত করতে পারবেন। রাষ্ট্রপতি উক্তরূপে নিযুক্ত প্রধান উপদেষ্টা ও অন্যান্য উপদেষ্টাকে শপথ পাঠ করাতে পারবেন।
৩৫০ দিন আগে