শিক্ষা
শাবিপ্রবির প্রথম বর্ষের ক্লাস শুরু জুলাইয়ে
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের প্রথম বর্ষের নবীন শিক্ষার্থীদের ক্লাস আগামী জুলাই মাসের প্রথম সপ্তাহে শুরু হবে। শনিবার ( ১০ মে) বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।
আরও পড়ুন: ভারতে মুসলিমদের ওপর সহিংসতার প্রতিবাদে শাবিপ্রবিতে বিক্ষোভ
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা গেছে, গত ৩০ এপ্রিল ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি কার্যক্রম সম্পন্ন হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষায় উত্তীর্ণদের মধ্য থেকে দ্বিতীয় অপেক্ষমাণ তালিকা থেকেই সব আসন পূরণ হয়েছে।
ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ড. রফিকুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা পহেলা জুলাই থেকে নতুন শিক্ষার্থীদের পাঠদান শুরু করার লক্ষ্য নিয়ে কাজ করছি। ইতোমধ্যে আমাদের সব আসনে ভর্তি সম্পন্ন হয়েছে। পাশাপাশি কিছু আসনে ভর্তি বাতিল হচ্ছে। এজন্য ১৫ দিনের মত সময় নিয়ে খালি আসনের বিপরীতে আরেকবার ভর্তির জন্য ডাকা হবে।
১ দিন আগে
আ.লীগ নিষিদ্ধের দাবি: জাবিতে বিক্ষোভ, মহাসড়ক অবরোধ
জুলাই গণ-অভ্যুত্থানে গণহত্যার দায়ে অনতিবিলম্বে আওয়ামী লীগ ও তার সহযোগী সংগঠনগুলোকে নিষিদ্ধের দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করেছে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শিক্ষার্থীরা। এ সময় ঢাকা-আরিচা মহাসড়ক অবরোধ করা হয়।
বৃহস্পতিবার (৮ মে) দিবাগত রাত ১টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের বটতলা এলাকা থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করা হয়। এরপর মিছিলটি ক্যাম্পাসের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি সড়ক প্রদক্ষিণ করে মেইন গেইট (ডেইরি গেইট) সংলগ্ন ঢাকা-আরিচা মহাসড়কে অবস্থান নেয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা প্রায় ৩০মিনিট সময় ধরে মহাসড়ক অবরোধ করে রাখেন। এতে মহাসড়কের দুই লেনের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। শেষে রাত দুইটা নাগাদ তারা মিছিলটি সরিয়ে নিলে আবারও যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।
আরও পড়ুন: আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধের দাবিতে বাদ জুমা বড় জমায়েতের ডাক
বিক্ষোভ চলাকালে শিক্ষার্থীরা বলেন, গত ১৭ বছরের আওয়ামী দুঃশাসনে বাংলাদেশকে একটি কারাগারে রুপান্তর করা হয়েছিল। পরিশেষে গত বছরের জুলাই আন্দোলনে দুই হাজার ছাত্র জনতার রক্তের ওপর হোলি খেলেছে পতিত আওয়ামী লীগ সরকার। অনতিবিলম্বে এই সন্ত্রাসী সংগঠনটিকে নিষিদ্ধ করতে হবে। অন্যথায় কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারি দেওয়া হয় অবস্থান কর্মসূচি থেকে।
মিছিলে অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থীদের ‘আওয়ামী লীগের ঠিকানা, এই বাংলায় হবে না’, ‘আওয়ামী লীগ নিষিদ্ধ কর, করতে হবে করতে হবে’, ‘অমার ভাই কবরে, খুনি কেনো বাহিরে’, ‘আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীরা, হুঁশিয়ার সাবধান’, ‘আওয়ামী লীগের গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথে’, ‘আওয়ামী লীগের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’ ইত্যাদি স্লোগান দিতে শোনা যায়।
২ দিন আগে
চার দফা দাবিতে জবি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) বৈষম্যমূলক নীতি, আবাসন ভাতা ও হল নির্মাণসহ চার দফা দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) শিক্ষার্থীরা। বুধবার (৭ মে) সকাল ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বর থেকে মিছিল নিয়ে ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে ভিসি ভবনের সামনে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘প্রহসনের বাজেট মানি না, মানবো না’; ‘বৈষম্যের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’; ‘বাজেট নিয়ে বৈষম্য মানি না, মানবো না’; ‘ইউজিসির গদিতে, আগুন জ্বালো একসাথেসহ’ বিভিন্ন স্লোগান দেন।
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নিয়ে জবি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা সব আন্দোলনেই সক্রিয়ভাবে অংশ নিয়েছেন।’
ইউজিসি চেয়ারম্যানকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, ‘আপনি যে পদে বসে আছেন, সেই পদে বসতে জবি শিক্ষার্থীদের ত্যাগ আছে। সুতরাং বৈষম্য বন্ধ করুন এবং জবির শিক্ষার্থীদের আবাসনসহ চার দাবি দ্রুত মেনে নিন। দাবি মেনে না-নিলে শিক্ষা মন্ত্রণালয় ঘেরাও করা হবে।’
কর্মসূচিতে জবি ইসলামি ছাত্র আন্দোলনের সেক্রেটারি আশিকুর রহমান বলেন, ‘২০২৪ সালের আন্দোলনে এমন কোনো দিন ছিল না, যেদিন পুরান ঢাকায় আন্দোলন হয়নি। আমাদের রক্তের ওপর দাঁড়িয়ে আপনারা মন্ত্রণালয় গঠন করেছেন, অথচ আজ আমাদের ওপরই বৈষম্য করছেন।’
‘আবাসন ভাতা ছাড়া জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় চলতে পারে না। আমাদের ৯০-৯৫ শতাংশ শিক্ষার্থী টাকার অভাবে সকালের নাশতা খেতে পারেন না। পুরান ঢাকার ঘিঞ্জি পরিবেশে আমরা মানবেতর জীবনযাপন করছি,’ অভিযোগ করেন এই শিক্ষার্থী।
এদিকে, জবি ছাত্র অধিকার পরিষদের সভাপতি এ কে এম রাকিব বলেন, ‘হয় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো চলবে, নয়তো চিরতরে বন্ধ হয়ে যাবে। ঢাকার মধ্যে দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে বাজেটে এত বৈষম্য কোনোভাবেই মেনে নেওয়া যায় না।’
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা
এ বিষয়ে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের (ইউজিসি) সদস্য অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ তানজীমউদ্দিন খান বলেন, ‘আমরা জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দাবির প্রতি সহানুভূতিশীল। শিক্ষার্থীদের আবাসন ভাতা দেওয়ার চেষ্টা করছি এবং তাদের চার দফা দাবি পূরণে সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। তবে, আমাদেরও সীমাবদ্ধতা আছে। বাজেট বৃদ্ধির নীতিমালাতেও ত্রুটি আছে, এজন্য আমরা ইউজিসি সংস্কারের প্রস্তাব দিয়েছি ‘
শিক্ষার্থীদের চার দফা দাবি হলো: ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের বাজেট বৃদ্ধি এবং অন্তত ৭০ শতাংশ শিক্ষার্থীর জন্য আবাসন ভাতা অন্তর্ভুক্ত করা। দ্বিতীয় ক্যাম্পাস নির্মাণ এবং পুরান ঢাকায় ড. হাবিবুর রহমান হল ও বাণী ভবনের নির্মাণকাজ আগামী ১০ মে’র মধ্যে শুরু করা। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের প্রতি ১৫ দিন অন্তর দ্বিতীয় ক্যাম্পাস ও হল নির্মাণ কার্যক্রমের অগ্রগতি মুক্তমঞ্চে ব্রিফ করার বাধ্যবাধকতা আরোপ। আগামী ১৫ মে’র মধ্যে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (জকসু) নির্বাচনের রোডম্যাপ ঘোষণা।
৪ দিন আগে
বরিশাল নার্সিং কলেজে শিক্ষার্থীদের কমপ্লিট শাটডাউন
ছয় দফা দাবি, শিক্ষক ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীদের উপর হামলার প্রতিবাদে বরিশাল নার্সিং কলেজের শিক্ষার্থীরা অনির্দিষ্টকালের জন্য কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচি পালন করছে।
বুধবার (৭ মে) সকাল ৯টা থেকে কলেজের সামনে এ কর্মসূচি শুরু হয়। এর আগে মঙ্গলবার শিক্ষার্থীরা তাদের দাবি নিয়ে কর্মসূচি পালনের চেষ্টা করলে শিক্ষকদের বাধার সম্মুখীন হন।
আরও পড়ুন: বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা
অভিযোগ রয়েছে, এ সময় শিক্ষক ও পোস্ট গ্র্যাজুয়েট শিক্ষার্থীরা তাদের ওপর হামলা ও মারধর করে। এ সময় চারজন শিক্ষার্থী আহত হন। শিক্ষার্থীদের দাবির মধ্যে রয়েছে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের নীতিমালা অনুযায়ী শিক্ষক নিয়োগসহ ছয় দফা দাবি।
শিক্ষার্থীরা জানিয়েছেন, তাদের দাবি পূরণ এবং মারধরের ঘটনায় বিচার না পাওয়া পর্যন্ত তারা আন্দোলন চালিয়ে যাবে। তবে শিক্ষকেরা এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। ফলে বরিশাল নার্সিং কলেজের সামনে উত্তপ্ত পরিস্থিতি বিরাজ করছে।
শিক্ষার্থীরা বলছেন, বিচারের দাবিতে এই আন্দোলন অব্যাহত থাকবে।
৪ দিন আগে
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্যের অপসারণের দাবিতে প্রশাসনিক ভবনে তালা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণের দাবিতে বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সব দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দিয়েছে।
মঙ্গলবার (৬ মে) দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সব দপ্তরে তালা ঝুলিয়ে দেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আধা ঘণ্টাব্যাপী বিক্ষোভ করে শিক্ষার্থীরা। তারা অবিলম্বে উপাচার্যের অপসারণের এক দফা দাবি জানিয়েছে এবং এটি পূরণ না হলে দক্ষিণাঞ্চল অচল করে দেওয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছে।
বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের ২২টি দাবি বাস্তবায়ন না করা, আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ায় তার অপসারণ দাবি করেন।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থী শহিদুল ইসলাম বলেন, ‘গত ছয় মাস আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়ে উপাচার্যের কাছে ২২ দফা দাবি দিয়েছিলাম। কিন্তু তা আজ পর্যন্ত বাস্তবায়ন হয়নি। জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম শাহরিয়ার শানকে ছাত্রলীগ দরজা ভেঙে নিয়ে গিয়েছিল। সেই ঘটনায় ববি প্রশাসন মামলা কোনো মামলা করেনি অথচ যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে মামলা করেছেন বর্তমান উপাচার্য। তিনি ফ্যাসিস্টের দোসরদের পুনর্বাসন করছেন। এসব ক্ষেত্রে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান অংশিজন শিক্ষার্থীদের দাবির কথা তিনি আমলে নিচ্ছেন না।’
আরও পড়ুন: ভিসির পদত্যাগ দাবিতে আন্দোলনে বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা
আন্দোলনরত ববি শিক্ষার্থী আবদুর রহমান বলেন, ‘ক্যান্সারে আক্রান্ত ববি শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি উপাচার্যের কাছে সহায়তার আবেদন করেও তা পায়নি। মাসের মাস সময় আবেদনের কপি দপ্তরে পড়ে থাকলে সই করেননি উপাচার্য। অবশেষে সহায়তা না পেয়ে বিনা চিকিৎসা মৃত্যু ঘটেছে জিমির। আমরা তার সহপাঠী হয়েও কিছুই করতে পারলাম না। এমন অমানবিক উপাচার্য আমরা চাই না।’
আশিক আহমেদ বলেন, ‘স্বৈরাচারের দোসর দুর্নীতিবাজ অদক্ষ এই উপাচার্য দায়িত্ব পালনের অধিকার হারিয়েছেন। তাই তিনি দ্রুত পদত্যাগপত্র জমা দিয়ে চলে যাবেন। তা না করলে কঠোর কর্মসূচি দিয়ে পদত্যাগে বাধ্য করা হবে। ববির অ্যাকাডেমিক কার্যক্রম সচল রয়েছে বলে জানান তিনি।
বিভিন্ন দাবিতে গত ১৫ দিনেরও বেশি সময় ধরে চলমান আন্দোলনের গত রবিবার উপাচার্যের অপসারণে এক দফা দাবিতে রূপ নেয়। এ আন্দোলনে ববি সব সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেছে।
৫ দিন আগে
ববি উপাচার্যের অপসারণে এক দফার আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়ের (ববি) উপাচার্য ড. শুচিতা শরমিনের অপসারণ দাবিতে এক দফা আন্দোলনে নেমেছেন শিক্ষার্থীরা। রবিবার (৪ মে) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাউন্ড ফ্লোরে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এই দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
এসময় শিক্ষার্থীরা উপাচার্যের বিরুদ্ধে ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন, শিক্ষার্থীদের ২২টি দাবি বাস্তবায়ন না হওয়া ও আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে মামলা দেওয়ার প্রতিবাদ জানিয়ে তার অপসারণ দাবি করেন।
অবিলম্বে উপাচার্যকে অপসারণ না করা হলে বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা দক্ষিণাঞ্চল শাটডাউন করে দেয়ার হুঁশিয়ারি দেন শিক্ষার্থীরা। এর আগে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে চলমান আন্দোলন ও সার্বিক বিষয়ে নিজ বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন উপাচার্য। তিনি শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন বলে জানান। শিক্ষার্থীরা তার সঙ্গে বৈঠকে বসার আহ্বানে সাড়া না দিয়ে এক দফার ঘোষণা দেয়।
এ ছাড়াও ক্যান্সার আক্রান্ত ববি শিক্ষার্থী জেবুন্নেছা হক জিমি উপাচার্যের কাছে সহায়তা চেয়েও না পেয়ে বিনাচিকিৎসায় মৃত্যুর ঘটনা তুলে তীব্র প্রতিবাদ জানান শিক্ষার্থীরা। এক দফার আন্দোলনে ববির সকল সামাজিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন সংহতি প্রকাশ করেছে।
আরও পড়ুন: অপসারণ দাবিতে ববির রেজিস্ট্রারের কক্ষে তালা, কুশপুতুল দাহ
শিক্ষার্থী সুজয় শুভ বলেন, ‘এর আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের নানা সমস্যা নিয়ে উপাচার্যের কাছে ২২ দফা দাবি দিয়েছিলাম। কিন্তু ৬ মাস কেটে গেলেও তা এখনও বাস্তবায়ন হয়নি। জুলাই আন্দোলনে হামলাকারী শিক্ষার্থীদের অন্যতম শাহরিয়ার শানকে ছাত্রলীগ দরজা ভেঙে নিয়ে গেলেও তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি। অথচ যৌক্তিক দাবিতে আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের নামে আওয়ামী কায়দায় একের পর এক মামলা দিচ্ছে ববি প্রশাসন। এসব কারণে উপাচার্য তার নৈতিক অধিকার হারিয়েছেন।’
শিক্ষার্থী সুজয় শুভ আরও বলেন, ‘বর্তমান উপাচার্য দায়িত্ব নেওয়ার পর থেকে প্রশাসনের গুরুত্বপূর্ণ পদে ফ্যাসিস্ট শিক্ষকদের পুনর্বাসন করে চলেছেন। পাশাপাশি যারা দীর্ঘদিন ধরে যৌক্তিক আন্দোলনে করে আসছেন তাদের কারও কথায় কর্ণপাত করেননি তিনি। সাম্প্রতিক সময়ে ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের ক্যান্সার আক্রান্ত এক শিক্ষার্থীর সাহায্যের আবেদন চেয়ে দরখাস্ত করেন। কিন্তু পাঁচ মাসে উপাচার্যের সই মেলেনি। বিশ্ববিদ্যালয়ের মতো গণতান্ত্রিক পরিষদে ওনার মতো স্বৈরাচারী লোক থাকার যোগ্যতা হারিয়েছেন। যদি অবিলম্বে এ স্বৈরাচার উপাচার্যকে অপসারণ না করা হয় তবে বিশ্ববিদ্যালয়সহ গোটা দক্ষিণবঙ্গ শাটডাউন করে দেওয়া হবে। এখানে শিক্ষার্থীবান্ধব কোনো ব্যক্তিকে উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ দেওয়ার দাবি জানান তিনি।’
এর আগে বেলা সাড়ে ১১টায় চলমান এ বিষয় নিয়ে উপাচার্য তার বাসভবনে সংবাদ সম্মেলন করেন। তিনি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়ে বসার কথা বলেন।
৭ দিন আগে
জাকসুর তফসিল: নিরাপত্তা জোরদারে জাবিতে বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা
আসন্ন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এবং আবাসিক হল সংসদ নির্বাচনকে ঘিরে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে শনিবার (৩ মে) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহিরাগতদের ক্যাম্পাসে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার (২ মে) রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ কার্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ড. মোহাম্মদ মহিউদ্দিনের সই করা এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।
এতে বলা হয়, ইতোমধ্যে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় শিক্ষার্থী সংসদ (জাকসু) এবং আবাসিক হল সংসদ সমূহের নির্বাচনের তারিখ ও তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা পরিস্থিতি এই সময়ে গুরুত্বপূর্ণ বিবেচনার বিষয়। সেই আলোকে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে আগামীকাল ৩ মে (শনিবার) থেকে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত বহিরাগতদের প্রবেশে নিষেধ করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, বহিরাগত চিহ্নিতকরণে সুবিধার্থে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল অংশীজনকে স্ব স্ব পরিচয়পত্র বহন করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।
আরও পড়ুন: জুলাই হামলা: জাবিতে ২৫৯ ছাত্রলীগকর্মী ও ৯ শিক্ষক বরখাস্ত
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক দপ্তরের কর্মকর্তারা জানান, জাবিতে জাকসুর তফসিল ঘোষণা করা হয়েছে। নির্বাচন আগামী ৩১ জুলাই। কিন্তু এই নির্বাচনকে বানচাল করার জন্য দুষ্কৃতকারীরা ষড়যন্ত্র চালাতে পারে। তাই ক্যাম্পাসে যেকোনো ধরণের অপ্রীতিকর ঘটনা এড়াতে এবং নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিভাগের কর্মকর্তারা এবং নিরাপত্তাকর্মীরাও সর্বদা প্রস্তুত আছে।
শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, দীর্ঘ ৩২ বছর পর জাকসু নির্বাচনের তফসিল ঘোষণায় তাদের মাঝে ব্যাপক আগ্রহ ও উদ্দীপনার সৃষ্টি হয়েছে। তারা আশা করছে, বিশ্ববিদ্যালয়ে ক্রিয়াশীল সকল ছাত্র সংগঠনের অংশগ্রহণের মাধ্যমে একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ জাকসু নির্বাচনের ব্যবস্থা করবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
৮ দিন আগে
যবিপ্রবিতে গুচ্ছ পদ্ধতির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত
অন্যান্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি পঞ্চম বারের মতো যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়েও (যবিপ্রবি) স্নাতক প্রথম বর্ষের ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ‘বি’ ইউনিটে যবিপ্রবি কেন্দ্রে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ৫৮৩৯ জন। এর মধ্যে ৯৫.৯২% শিক্ষার্থী উপস্থিত হয়েছেন।
শুক্রবার (২ মে) ‘বি’ ইউনিটে মানবিক বিভাগের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। আগামী ৯ মে ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান বিভাগ থেকে আবেদনকৃত শিক্ষার্থীদের ১১টা-১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। উক্তদিনে আর্কিটেকচার ব্যবহারিক (ড্রয়িং) পরীক্ষাটি ৩টা হতে ৪টা পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে।
যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘যবিপ্রবি কেন্দ্রে জিএসটির ‘বি’ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শিক্ষার্থীদের সহযোগিতার জন্য যা করার প্রয়োজন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন সে অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ক্লাব ও সংগঠন ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহযোগিতা করেছে।’ ভর্তি পরীক্ষা সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য তিনি যবিপ্রবির সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও বিভিন্ন ক্লাব সংগঠনকে আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।
যবিপ্রবি কেন্দ্রের বি ইউনিটের কো-অর্ডিনেটর ড. মো. মুনিবুর রহমান বলেন, ‘বি ইউনিটের শিক্ষার্থীদের সুবিধার্থে বিভিন্ন স্থানে ডিজিটাল ব্যানারে রোল নম্বর, কেন্দ্র এবং ভবন নির্দেশক দেওয়া হয়। একইসঙ্গে সকল ভবনের প্রবেশমুখে নিরাপত্তা উপ-কমিটির সদস্যবৃন্দ, যবিপ্রবি সাংবাদিক সমিতি, বিএনসিসি, রোভার স্কাউটসহ অন্যান্য স্বেচ্ছাসেবকগণ দায়িত্ব পালন করেন।’
আরও পড়ুন: ধর্ষণের অভিযোগে যবিপ্রবির শিক্ষক বরখাস্ত
এর আগে গুচ্ছ পদ্ধতির ভর্তি পরীক্ষায় সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য যবিপ্রবিতে সর্বাত্মক প্রস্তুতি গ্রহণ করা হয়। ভর্তি পরীক্ষার সময় যে কোনো ধরনের বিশৃঙ্খলা এড়াতে ও পরীক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করতে পর্যাপ্ত পরিমাণ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী নিয়োজিত ছিলেন।
পরীক্ষা শুরু হওয়ার পর যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুনকে সঙ্গে নিয়ে বিভিন্ন পরীক্ষার হল পরিদর্শন করেন।
হল পরিদর্শন শেষে পরীক্ষার্থীদের অভিভাবকদের সঙ্গে যবিপ্রবির উপাচার্য কুশল বিনিময় করেন।
৯ দিন আগে
কুয়েটের অন্তর্বর্তী উপাচার্য চুয়েটের অধ্যাপক হযরত আলী
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তী উপাচার্য হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (চুয়েট) পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ড. হযরত আলী।
বৃহস্পতিবার (১ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের বৃত্তি ও প্রকৌশল শাখা থেকে একটি প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলরের অনুমোদনক্রমে খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় আইন, ২০০৩-এর ১০ (১) ও ১০ (৩) ধারা অনুসারে বিশ্ববিদ্যালয়ে পূর্ণকালীন ভাইস-চ্যান্সেলর নিয়োগের আগপর্যন্ত অন্তর্বর্তী সময়ের জন্য অধ্যাপক ড. হযরত আলীকে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।
দায়িত্ব পালনকালে তিনি তার বর্তমান পদের সমপরিমাণ বেতনভাতা প্রাপ্যসহ বিধি অনুযায়ী পদসংশ্লিষ্ট অন্যান্য সুবিধা ভোগ করবেন এবং তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা হিসেবে সার্বক্ষণিকভাবে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে অবস্থান করবেন।
রাষ্ট্রপতি ও চ্যান্সেলর প্রয়োজন মনে করলে যেকোনো সময় এ নিয়োগ বাতিল করতে পারবেন বলে উল্লেখিত শর্তে শিক্ষা মন্ত্রণালয় থেকে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।আরও পড়ুন: কুয়েটের উপাচার্যের অব্যাহতি, অনশন ভেঙে শিক্ষার্থীদের আনন্দ মিছিল
গত ১৮ ফেব্রুয়ারি কুয়েটে ছাত্ররাজনীতি বন্ধের দাবিকে কেন্দ্র করে সংঘর্ষে শতাধিক শিক্ষার্থী আহত হন। পরদিন শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনসহ সব একাডেমিক ভবনে তালা ঝুলিয়ে দেন।
ওই দিন দুপুরে সিন্ডিকেট সভায় কুয়েটে সব ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড বন্ধের সিদ্ধান্ত হয়। ২৫ ফেব্রুয়ারি সব আবাসিক হল অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়।
এরপর আবাসিক হল খুলে দেওয়ার দাবিতে ১৩ এপ্রিল বিকেল থেকে শিক্ষার্থীরা প্রশাসনিক ভবনের সামনে অবস্থান নেন। এরপর বিশ্ববিদ্যালয়ের সিন্ডিকেট সভায় ১৮ ফেব্রুয়ারির সংঘর্ষের ঘটনায় ৩৭ জন শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত হয়।
এর প্রতিবাদে কুয়েট শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা আন্দোলন শুরু করেন। তারা কুয়েট উপাচার্যের পদত্যাগ দাবি করেন।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে গত ২৬ এপ্রিল বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য মুহাম্মদ মাছুদ ও সহ–উপাচার্য শেখ শরীফুল আলমকে সরিয়ে দেওয়া হয়। তাঁদের অব্যাহতি দিয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করে শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
১০ দিন আগে
জবি শিক্ষার্থীর আত্মহত্যা: প্ররোচনার অভিযোগে প্রেমিক গ্রেপ্তার
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সংগীত বিভাগের এক শিক্ষার্থীর মৃত্যুতে দায়ের করা আত্মহত্যায় প্ররোচনার মামলায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।
বুধবার (৩০ এপ্রিল) সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেন।
গ্রেপ্তার যুবক ইয়াছিন মজুমদারের (২৩) সঙ্গে মেয়েটির প্রেমের সম্পর্ক রয়েছে বলে মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী প্রত্যাশা মজুমদার অথৈ-এর বাবা প্রনব মজুমদার (৫৯) বাদী হয়ে এ মামলা করেছেন।
মামলার অভিযোগে বলা হয়, মো. ইয়াছিন মজুমদার (২৩) নামের এক যুবক দীর্ঘদিন ধরে তার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করছিলেন। স্কুলজীবনে তাদের মধ্যে পরিচয় ছিল। আমার মেয়ে ঢাকা চলে আসলে বিবাদী আমার মেয়েকে অনুসরণ করে ঢাকায় আসে এবং লালবাগ থানা ধারা এলাকায় জমিদারী ভোজ নামক রেস্টুরেন্টে ওয়েটারের চাকরি নেয়।
ইয়াছিন পূর্বের ন্যায় আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করতে থাকে এবং কৌশলে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে তোলেন। এক পর্যায়ে অপমানজনক কথা, মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মানসিকভাবে নির্যাতন করতে থাকেন অথৈকে। এরপর গতকাল ২৯ এপ্রিল সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগীত উৎসবে অনুশীলন শেষে মেসে ফেরার পথে ইয়াসিন অথৈকে গালমন্দ করেন ও উৎসবে অংশ না নিতে চাপ দেন। পরে তার (অথৈ) রুমের দরজা ভেঙে অথৈয়ের ঝুলন্ত দেহ উদ্ধার করা হয়। মেসের মালিকের স্ত্রী মোসাম্মাৎ জোৎস্না বেগম প্রথম ঘটনাটি দেখেন। পরে ইয়াছিন মজুমদারসহ কয়েকজন তাকে উদ্ধার করে স্যার সলিমুল্লাহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।
আরও পড়ুন: দেশে ডেঙ্গুতে আরও ১ জনের মৃত্যু, আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ২৯ জন
এজহারে নিহতের বাবা প্রণব মজুমদার বলেন, 'আমার ধারণা, বিকাল ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৭টার মধ্যে মেয়েটি মেসের রুমে ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস দিয়ে আত্মহত্যা করেছে। মেয়ের সহপাঠীদের কাছ থেকে খবর পেয়ে আমি চট্টগ্রাম থেকে ঢাকায় ছুটে আসি।'
এবিষয়ে সূত্রাপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সাইফুল ইসলাম বলেন, আমরা অভিযুক্ত আসামিকে গ্রেপ্তার করেছি। কোর্টে চালান দিয়েছে। আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক ড. তাজাম্মুল হক বলেন, মেয়ের বাবার মামলা মোতাবেক আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নিতে প্রশাসনকে বলেছি।
১১ দিন আগে