শিক্ষা
বিসিএসে মৌখিক পরীক্ষার নম্বর কমল
সরকারি চাকরিতে নিয়োগে বিসিএসের মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে।
বুধবার (৪ ডিসেম্বর) প্রশাসনিক উন্নয়ন-সংক্রান্ত সচিব কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় জ্যেষ্ঠ সচিব মো. মোখলেস উর রহমান সাংবাদিকদের এ তথ্য জানান।
তিনি বলেন, ‘বিসিএসে ভাইবার (মৌখিক পরীক্ষা) নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করা হয়েছে। এটি আমাদের নতুন আইন, ২০২৪-এর আইন।’
জ্যেষ্ঠ সচিব বলেন, আগে মোট পরীক্ষা দিতে হতো ১১০০ নম্বরের। এখন থেকে তা হবে এক হাজার নম্বরের।’
আরও পড়ুন: ৪৭তম বিসিএসের বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ
এর আগে, মৌখিক পরীক্ষার নম্বর ২০০ থেকে কমিয়ে ১০০ করার জন্য বাংলাদেশ সরকারি কর্মকমিশন (পিএসসি) থেকে জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে প্রস্তাব পাঠানো হয়।
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, পিএসসি মনে করছে, ২০০ নম্বরের মৌখিক পরীক্ষার কারণে অনেকে অনিয়মের ফাঁক-ফোকর খোঁজে। লিখিত পরীক্ষায় কম নম্বর পেয়েও অনেকে মৌখিকে বেশি পেয়ে যায়। এখানে বিশেষ সুবিধা পাওয়ার সুযোগ রয়েছে। সেই অনৈতিক সুবিধা পাওয়ার সুযোগটি বন্ধ করার দাবি রয়েছে। সেজন্য মৌখিক নম্বর কমানোর প্রস্তাব দিয়েছে পিএসসি।
আরও পড়ুন: ২৮তম বিসিএস-প্রশাসন ফোরামের সভাপতি শবনম, সাধারণ সম্পাদক মোর্শেদ ভূঁইয়া
৪২ মিনিট আগে
১ ডিসেম্বর ‘বিজয় র্যালি’ করবে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে বিজয়ের মাসের প্রথম দিনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে (ঢাবি) ‘বিজয় র্যালি’ বের করবে।
শনিবার এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এই তথ্য জানায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়।
এতে বলা হয়, রবিবার (১ ডিসেম্বর) ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের) অপরাজেয় বাংলা থেকে র্যালিটি শুরু হয়ে টিএসসি হয়ে স্মৃতি চিরন্তন চত্বরে গিয়ে শেষ হবে।
আরও পড়ুন: ৭ নভেম্বর উপলক্ষে বিএনপির বিশাল র্যালি শুরু
শেষে ঢাবির সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে দেশাত্মবোধক গান (মুক্তির ও বিজয়ের গান) পরিবেশন করবে।
এতে অংশগ্রহণের লক্ষ্যে রবিবার সকাল সাড়ে ৭টায় অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে জমায়েত হওয়ার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্য, শিক্ষক, শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের অনুরোধ করা হয়েছে।
এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমদ খান ‘বিজয় র্যালি’র নেতৃত্ব দেবেন।
আরও পড়ুন: শ্রীমঙ্গলে জাতি-ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে সম্প্রীতির র্যালি ও মানববন্ধন
৩ দিন আগে
রাবিতে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ছাত্রলীগ নেতা গ্রেপ্তার
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে সার্টিফিকেট তুলতে এসে ফিরোজ মাহমুদ নামে রাবি হল শাখার নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রলীগের এক নেতা গ্রেপ্তার হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের করা মামলায় শুক্রবার (২৯ নভেম্বর) দিবাগত রাতে রাবির শহিদ জিয়াউর রহমান হলের সামনে থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।
ফিরোজ সমাজবিজ্ঞান বিভাগের ২০১৭-১৮ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী এবং তার বাড়ি বগুড়া জেলায়। শহীদ জিয়াউর রহমান হল শাখা ছাত্রলীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক তিনি।
আরও পড়ুন: সিলেটে মোটরসাইকেলের ধাক্কায় শিশুর মৃত্যু, বোন আহত
শিক্ষার্থীরা জানান, শুক্রবার মধ্যরাতে হলের সামনে থেকে সাবেক এই নেতাকে আটকের পর মারধর করে শিক্ষার্থীরা। আহত অবস্থায় মতিহার থানা পুলিশ তাকে রামেকের জরুরি বিভাগে নিয়ে যায়। প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে মতিহার থানায় নেয় পুলিশ।
মতিহার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুল মালেক বলেন, সার্টিফিকেট তুলতে আসলে জিয়া হলের সামনে ফিরোজকে ধরে মারধর করেন শিক্ষার্থীরা। পরে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে তাকে থানায় আনা হয়েছে। ছাত্রদলের দায়ের করা মামলায় তাকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
আরও পড়ুন: কুষ্টিয়া আদালতে মারামারি-হট্টগোল, দুই কর্মচারী আহত
৩ দিন আগে
কুয়েটের সাবেক ভিসির অবসর গ্রহণের আবেদন, ৯ কর্মকর্তা বরখাস্ত
খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) থেকে স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে পদত্যাগের আবেদন করেছেন সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার।
এদিকে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগে সাবেক প্রো-ভিসি, দুইজন ডেপুটি রেজিস্ট্রারসহ ৯ জনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
জানা যায়, অভিজ্ঞতা না থাকা সত্ত্বেও ঊর্ধ্বতন পদে নিয়োগ, জাল সার্টিফিকেট দিয়ে নিয়োগসহ বিভিন্ন অনিয়মের কারণে তাদেরকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে।
বুধবার (২৭ নভেম্বর) সকলকে চিঠির মাধ্যমে বিষয়টি জানিয়েছেন কুয়েট কর্তৃপক্ষ।
এই তালিকায় রয়েছেন কুয়েটের সাবেক প্রো-ভিসি অধ্যাপক ড. সোবহান মিয়া, সিএসই বিভাগের অধ্যাপক ড. পিন্টু চন্দ্র শীল, ডেপুটি রেজিস্ট্রার নিমাই চন্দ্র মিস্ত্রী দোলন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার দিবাশীষ মন্ডল, জনসংযোগ ও তথ্য শাখার সহকারী পরিচালক মনোজ কুমার মজুমদার, সহকারী কম্পোটলার জি এম আবু সাইদ, সহকারী প্রোগ্রামার ওমর ফারুক, সহকারী কারিগরি কর্মকর্তা মেহেদী হাসান রাজন এবং পিয়ন সত্যজিৎ কুমার দত্ত। এই তালিকা আরও দীর্ঘ হতে পারে বলে জানা গেছে।
আরও পড়ুন: কুয়েটে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের সংঘর্ষের ঘটনায় গ্রেপ্তার ৩
কুয়েটের বর্তমান উপাচার্য অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ মাছুদ ৫ আগস্টের অভ্যুত্থান পরবর্তী দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি ২০০৭ সালের পর থেকে বিভিন্ন অনিয়ম ও দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তাদের বিরুদ্ধে কাজ শুরু করেন। গত ১৫ সেপ্টেম্বরের পর থেকে উপাচার্যের নির্দেশে অনেকের বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা পড়ে উপাচার্যের দপ্তরে।
অভিযোগগুলোর তদন্ত করতে অধ্যাপক ড. আশরাফুল গণি ভূঁইয়াকে সভাপতি এবং রেজিস্ট্রার প্রকৌশলী মো. আনিছুর রহমানকে সদস্য সচিব করে ছয় সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়।
তদন্তের সাপেক্ষে গত ২১ নভেম্বরের সিন্ডিকেট সভায় বেশ কয়েকজনের বিরুদ্ধে ব্যবস্থার সুপারিশ করে কমিটি। এরপর সিন্ডিকেটের সভার অনুমতি সাপেক্ষে ব্যবস্থা গ্রহণের কাজ শুরু হয়।
এদিকে কুয়েটের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মিহির রঞ্জন হালদার এবং শিক্ষক সমিতির সাবেক সভাপতি অধ্যাপক ড. শিবেন্দ শেখর শিকদার গত ২৪ নভেম্বর স্বেচ্ছায় চাকরি থেকে পদত্যাগের জন্য লিখিতভাবে আবেদন করেছেন।
আরও পড়ুন: কুয়েটে শিক্ষার্থী-শিক্ষকদের রাজনীতি নিষিদ্ধ
৬ দিন আগে
আইনজীবী হত্যা: ইসকনকে নিষিদ্ধের দাবিতে বাকৃবিতে বিক্ষোভ মিছিল
চট্টগ্রামে আইনজীবী সাইফুল ইসলাম হত্যার বিচার ও ইসকন নিষিদ্ধের দাবিতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বিক্ষোভ মিছিল করেছে শিক্ষার্থীরা।
মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাত সাড়ে ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের আব্দুল জব্বার মোড়ে ওই বিক্ষোভ মিছিল করে শিক্ষার্থীরা।
মিছিলটি বাকৃবির কে আর মার্কেট, উপাচার্যের বাসভবন এবং বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সড়ক প্রদক্ষিণ করে আব্দুল জব্বার মোড়ে এসে শেষ হয়।
আরও পড়ুন: কম খরচে শীতকালীন ফসলের জাতভেদে ফলন বাড়ানো সম্ভব: বাকৃবি অধ্যাপক হারুন
পরে সেখানে এক সংক্ষিপ্ত সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়। এদিকে বিক্ষোভ মিছিলে বাকৃবির বিভিন্ন হল থেকে কয়েকশ’ শিক্ষার্থী অংশ নেন।
এসময় বাকৃবির শিক্ষার্থীরা স্লোগান দেন, ‘সাইফুল ভাইয়ের রক্ত বৃথা যেতে দেব না’, ‘ভেঙে দাও গুড়িয়ে দাও ইসকনের কালো হাত’, ‘ইসকনের ঠিকানা এই বাংলায় হবে না’, ‘ইসকনের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’।
শিক্ষার্থীরা জানান, ফ্যাসিবাদীরা ভারতে বসে ষড়যন্ত্রের পর ষড়যন্ত্র করছে। আইনজীবী সাইফুলকে হত্যা কোনোভাবে মেনে নেওয়া যায় না। এছাড়া সাইফুলকে গলা কেটে হত্যা করা হয়েছে, এতেই প্রমাণিত হয় আমাদের দেশে আমরা (মুসলিমরাই) সংখ্যালঘু।
এদিকে সন্ত্রাসী সংগঠন ইসকনের এমন কর্মকাণ্ড আমরা বরদাশত করব না। ভারতের দালাল ইসকনের সন্ত্রাসীদের উপযুক্ত বিচার না হওয়া পর্যন্ত রাজপথ ছাড়ব না। আমাদের এই আন্দোলন অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে।
এছাড়া হিন্দুদের প্রতি আমাদের পূর্ণ সম্মান রয়েছে, কিন্তু উগ্রবাদীরা যে ধর্মের হোক না কেন তাদের কোনো ছাড় নেই বলে জানান শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: ভর্তি পরীক্ষার্থীদের জন্য বাস সার্ভিস চালু বাকৃবি প্রশাসনের
১ সপ্তাহ আগে
শিক্ষকে হত্যার হুমকির প্রতিবাদে জবিতে বিক্ষোভ, আল্টিমেটাম
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ও সহকারী প্রক্টর জাহিদুল হককে হত্যার হুমকিদাতা ও তার সঙ্গে জড়িত ব্যক্তিদের বিচার ও শাস্তির দাবিতে প্রতিবাদী মানববন্ধন, চিত্রাঙ্কন কর্মসূচি ও বিক্ষোভ মিছিল করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। এ সময় হুমকিদাতাকে ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বহিষ্কার ও সন্ত্রাসবিরোধী বিশ্বজিৎ ভাস্কর্য স্থাপনের জানান তারা।
রবিবার (নভেম্বর ২৪) বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে মানববন্ধন করেন চারুকলা অনুষদের শিক্ষকরা। এর আগে, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের একটি মিছিল পুরো ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে মানববন্ধনে যোগ দেন।
এ সময় শিক্ষার্থীরা ‘ফ্যাসিস্টদের কালো হাত, ভেঙে দাও গুঁড়িয়ে দাও’, ‘ফ্যাসিস্টদের ঠিকানা, জগন্নাথে হবে না’, ‘এক জাহিদ মরে গেলে লক্ষ জাহিদ ঘরে ঘরে’-সহ নানা স্লোগান দেন। মানববন্ধন শেষে শিক্ষার্থীরা প্রতিবাদী চিত্রাঙ্কন কর্মসূচির আয়োজন করেন।
শিক্ষার্থীরা বলেন, কীভাবে একজন কর্মচারী বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষককে গুলি করে মারার হুমকি দেন? এই ঘটনার সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার না হলে আমরা শিক্ষার্থীরা মাঠে থাকব। যারা হুমকি দিচ্ছে তাদের আমরা ছেড়ে কথা বলব না। ছাত্র আন্দোলনে তিনি শিক্ষার্থীদের পাশে ছিলেন, এটা কি তার অপরাধ?
তাদের দাবি, অভিযুক্ত কাজী মনির ও হুমকিদাতা সালাউদ্দিন মোল্লা স্পষ্ট বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের বিরোধী ছিলেন। এখন বাইরে বসে হত্যার হুমক দিচ্ছেন।
আরও পড়ুন: গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে জবি
ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষার্থী অতুল বলেন, ‘ফ্যাসিস্টের দোসররা বিদেশে পালিয়েও আমাদের হুমকি দেয়। শিক্ষকদের হুমকি দেওয়া মানে আমাদের ছাত্র আন্দোলনকে হুমকি দেওয়া। জবিতে ফ্যাসিস্ট আমলের যারা রয়ে গেছে, তাদের আমরা খুঁজে বের করব এবং সব অভিযুক্তদের যেকোনো মূল্যে আইনের আওতায় আনতে চাই। জবি প্রশাসন আমাদের পূর্ণ সহায়তা করবে আশা করি। প্রশাসন আমাদের দাবি না মানলে আমরা সকল ক্লাস বর্জন করব।’
ভাস্কর্য বিভাগের চেয়ারম্যান ইমাম হোসেন সুমন বলেন, ‘আমাদের যে সহকর্মীর কাছে হত্যার হুমকি এসেছে, তিনি বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের একজন জাতীয় অংশীজন। বৈষম্যহীন সমাজ গড়তে তার চিন্তা সবসময় ছিল। আন্দোলনে জবি শিক্ষার্থীদের পক্ষেও তার শক্ত ভূমিকা ছিল। এখন যখন ওই আন্দোলনের স্পিরিটের বিরোধীরা বহাল তবিয়তে আছে, এ বিষয়ে তার আপত্তি আছে। তিনি এগুলো নিয়ে বলছেন। এজন্য জাহিদ এখন পলিটিকাল টার্গেটে পরিণত হয়েছে। জাহিদের মতো শিক্ষার্থীবান্ধব শিক্ষককে আমরা হারাতে চাই না।’
চারুকলা অনুষদের চেয়ারম্যান ও ডিন আলপ্তগীন তুষার বলেন, ‘শিক্ষক মোহাম্মদ জাহিদুল হককে হত্যার হুমকির সঙ্গে জড়িত সকল দুর্বৃত্তদের বহিষ্কারের দাবিতে আজ আমরা ভাস্কর্য বিভাগের শিক্ষকরা সম্মিলিত হয়েছি।’
‘উনিও শিক্ষক, আমিও শিক্ষক। আজ জাহিদকে হুমকি দিয়েছে, কাল আমাকে দেবে। আমি বলে দিতে চাই- বাঘে ছুঁলে ১৮ ঘা, পুলিশে ছুঁলে ৩৬ ঘা আর শিল্পী সমাজ ছুঁলে পুরো জয় বাংলা হয়ে যাবেন। জাহিদকে একা ভেবে ভুল করবেন না, আমরা পুরো শিল্পী সমাজ আছি তার সঙ্গে।’
আরও পড়ুন: একনেক সভায় জবি ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি পাস হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে। গত বৃহস্পতিবার হত্যার হুমকির সঙ্গে জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে উপাচার্য বরাবর একটি লিখিত অভিযোগ করেন এই শিক্ষক। পাশাপাশি কোতোয়ালি থানায় সাধারণ ডায়েরিও (জিডি) করেন তিনি।
১ সপ্তাহ আগে
ঢাবির রাজনীতিবিষয়ক বিশেষ কমিটির কার্যক্রম শুরু
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের ধরণ ও অনুশীলনের বিষয়গুলো যাচাইয়ে বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সমন্বয়ে গঠিত বিশেষ কমিটি কাজ শুরু করেছে।
শনিবার (২৩ নভেম্বর) নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট হলে কমিটির প্রথম সভা অনুষ্ঠিত হয়।
সভায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান, উপ উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. শ্যামা হক বিদিশা প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সাবেক বিচারপতি মোহাম্মদ আবদুল মতিনকে নিয়ে এ কমিটি গঠন করা হয়।
আরও পড়ুন: আ. লীগ-জাপা নিষিদ্ধের দাবিতে ঢাবিতে কফিন মিছিল
কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- তাহমিদা বেগম, বাংলা একাডেমির চেয়ারম্যান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. আবুল কাসেম ফজলুল হক এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস এম শামীম রেজা।
বৈঠকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) নির্বাচন, আবাসিক হলগুলোতে ছাত্র রাজনীতি এবং শিক্ষক-শিক্ষার্থী সম্পর্কোন্নয়নসহ বিভিন্ন বিষয়ে মূল অংশীজনদের আলোচনা, পরামর্শ ও প্রতিক্রিয়া সহজ করতে একটি পরামর্শ বাক্স স্থাপন ও বিশেষ ই-মেইল তৈরির সিদ্ধান্ত হয়।
কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী, কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থী, প্রাক্তন শিক্ষার্থী, বিশিষ্ট নাগরিক, সাংবাদিক, ডাকসুর সাবেক নেতা ও অভিভাবকদের সঙ্গে আলোচনা ও মতবিনিময় করা হবে।
কমিটি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডের প্রকৃতি ও অনুশীলন সম্পর্কে প্রয়োজনীয় পরামর্শ ও সুপারিশ প্রদান করবে।
আরও পড়ুন: ঢাবি ক্যাম্পাসে রাজনৈতিক কর্মকাণ্ড পর্যালোচনায় বিশেষ কমিটি গঠন
১ সপ্তাহ আগে
গুচ্ছ থেকে বেরিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ভর্তি পরীক্ষা নেবে জবি
সমন্বিত গুচ্ছ পদ্ধতি থেকে বেরিয়ে গিয়ে স্বতন্ত্রভাবে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা নেবে বলে জানিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি)। আগামী ৩১ জানুয়ারি জবির নতুন শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।
১০০ নম্বরের পরীক্ষায় এবার ৪৮ নম্বরের লিখিত, ২৪ নম্বরের বহুনির্বাচনি প্রশ্নে পরীক্ষা নেওয়া হবে। আর বাকি ২৮ নম্বর নির্ধারণ করা হবে এসএসসি ও এইচএসসি পরীক্ষার ফলাফলের ওপর ভিত্তি করে।
বিষয়টি নিশ্চিত করে বুধবার (২০ নভেম্বর) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন আহমেদ বলেন, “আগামী ৩১ জানুয়ারি ‘ই’ ইউনিটে চারুকলা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে এবারের ভর্তি পরীক্ষা শুরু হবে।”
আরও পড়ুন: একনেক সভায় জবি ক্যাম্পাসের মেগা প্রকল্পটি পাস হয়েছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
এছাড়া ১৪ ফেব্রুয়ারি ‘ডি’ ইউনিটে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদ, ১৫ ফেব্রুয়ারি ‘বি’ ইউনিটে কলা অনুষদ, ২১ ফেব্রুয়ারি ‘এ’ ইউনিটে বিজ্ঞান অনুষদ ও ২৮ ফেব্রুয়ারি ‘সি’ ইউনিটে ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষার মাধ্যমে ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষের পরীক্ষা শেষ হবে বলে জানান তিনি।
ড. শেখ গিয়াস উদ্দিন জানান, বিজ্ঞান ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের পরীক্ষার জন্য এইচএসসিতে সংশ্লিষ্ট বিভাগের সিলেবাস ও কলা অনুষদের জন্য বাংলা, ইংরেজি ও সাধারণ জ্ঞান থেকে লিখিত ও বহুনির্বাচনি আকারে প্রশ্ন হবে।
আরও পড়ুন: জবির শিক্ষার্থীদের দাবি ৩ দিনের মধ্যে পূরণের আশ্বাস উপদেষ্টার
১ সপ্তাহ আগে
জাবিতে আফসানার মৃত্যুতে শিক্ষার্থীদের অবরোধ
ক্যাম্পাসে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী আফসানা করিম রাচির মৃত্যুর প্রতিবাদে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিক্ষোভ করছেন কিছু শিক্ষার্থী।
বুধবার (২০ )নভেম্বর শিক্ষার্থীরা প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে সেখানে বসে এই অবরোধ কর্মসূচি শুরু করেছেন।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের কলা ভবনের কাছে ব্যাটারিচালিত রিকশার ধাক্কায় মার্কেটিং বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানার মৃত্যু হয়।
আরও পড়ুন: ২০ আসন ফাঁকা থাকলেও জাবিতে ভর্তি হতে পারছে না শিক্ষার্থীরা
৫৩ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা এ আন্দোলন শুরু করেন। দোষীদের শাস্তি ও ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করাসহ কর্তৃপক্ষ তাদের ৮ দফা দাবি মেনে না নেওয়া পর্যন্ত আন্দোলন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দেন তরা।
আন্দোলন চলাকালে ক্যাম্পাসে কোনো যানবাহন ঢুকতে ও বের হতে দেওয়া হচ্ছে না।
আরও পড়ুন: জাবি ক্যাম্পাসে সাবেক ছাত্রলীগ নেতাকে পিটিয়ে হত্যা
২ সপ্তাহ আগে
ইবিতে র্যাগিংয়ের অভিযোগে ৬ শিক্ষার্থী আটক
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) আবাসিক হলে র্যাগিংয়ের ঘটনায় ছয় শিক্ষার্থীকে আটক করা হয়েছে। সোমবার (১৮ নভেম্বর) মধ্যরাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর কক্ষে র্যাগিংয়ের এ ঘটনা ঘটে।
এর আগে ১৬ নভেম্বর রাতে ক্যাম্পাসের পাশের একটি ছাত্রাবাসে প্রথম দফায় র্যাগিংয়ের ঘটনা ঘটে। এরপর দ্বিতীয় দফায় র্যাগিংয়ের সময় হলটির আবাসিক শিক্ষার্থীরা খবর পেয়ে অভিযুক্ত ছয় শিক্ষার্থীকে হাতেনাতে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করে।
আটক শিক্ষার্থীরা হলেন- সাব্বির হোসেন, শেহান শরীফ শেখ, লিমন হোসেন, কান্ত বড়ুয়া, সাকিব খান এবং ল অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের সঞ্চয় বড়ুয়া।
এর আগে ১৬ নভেম্বর প্রথম দফায় র্যাগিংয়ে অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন-ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের সাব্বির হোসেন, লিমন হোসেন, শেহান শরীফ, কান্ত বড়ুয়া, সাকিব খান ও জিহাদ। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা-গবেষণা নিশ্চিত করা হবে: ভিসি নসরুল্লাহ
শফিউল্লাহর নেতৃত্বে আটজন শিক্ষার্থী মিলে নবীন ১৬ শিক্ষার্থীকে মানসিক ও শারীরিকভাবে নির্যাতন করে আসছিলেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হাসানুল বান্না অলিসহ হলের শিক্ষার্থীরা তাদের হাতেনাতে ধরে থানায় হস্তান্তর করেন।
জানা যায়,গত রাত সাড়ে ৯টার দিকে ভুক্তভোগীদের ডাকে অভিযুক্ত শেহান। পরে তাদের লালন শাহ হলের ৩৩০ নম্বর রুমে ডাকেন অভিযুক্তরা। অতঃপর ভুক্তভোগী সাইম, রাকিবুল, শামীম, রাকিব, হামজা, তারেক, রিশান, তানভীর এবং মামুনসহ ঐ রুমে যান। একপর্যায়ে চারজনকে রেখে (শামীম, সাইম, রাকিবুল, হামজা) বাকিদের অ্যাসাইনমেন্ট লেখা লাগবে বললে ছেড়ে দেওয়া হয়। এরপর চারজনের ওপর শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে অভিযুক্ত সাব্বির ও সঞ্চয়।
এ সময় ভুক্তভোগীদের মধ্যে একজনকে পাঁচ রকম হাসি দিতে বলা হয়, আরেকজনকে কল দিয়ে বাজে ভাষা বলতে বলা হয় এবং আরেকজনকে নাচতে বলা হয়। এ সময় হলের সিনিয়র শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না উপস্থিত হয়ে তাদের হাতেনাতে ধরেন এবং পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা কর্মকর্তারা অভিযুক্তদের থানায় হস্তান্তর করেন।
এদিকে এর আগে গত ১৬ নভেম্বর রাত ১১টার দিকে নবীন ব্যাচের ১২জন শিক্ষার্থীকে ক্যাম্পাসের পার্শ্ববর্তী একটি ছাত্রাবাসে ডাকেন অভিযুক্তরা। পরে তাদেরকে রাত আড়াইটা পর্যন্ত শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা হয়। এ সময় কয়েকজন শিক্ষার্থীকে পর্ণ সিনেমার তারকাদের নাম জিজ্ঞেস করা হয়। কাউকে পর্ণ তারকা সেজে অভিনয়ও করতে বলা হয়। এছাড়া তিনজনকে দিয়ে অশ্লীল কবিতা পাঠ করানো হয়। আরেকজনকে বলে রিলেশনশীপের ওপর অ্যাসাইনমেন্ট লিখতে। এরকম নানা হয়রানির পর হুমকিও দেওয়া হয়।
আরও পড়ুন: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৭৪৫ আসন খালি
এ সময় উপস্থিত অভিযুক্ত শিক্ষার্থীরা হলেন- ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের ২০২২-২৩ শিক্ষাবর্ষের শফিউল্লাহ,তরিকুল, মুকুল, সাব্বির, সাকিব, শেহান, কান্ত বড়ুয়া এবং জিহাদ।
এদিকে র্যাগিং চলা অবস্থায় হাতেনাতে ধরা হলটির সিনিয়র শিক্ষার্থী হাসানুল বান্না বলেন, ‘আমার কাছে অভিযোগ আসে, হলের ৩৩০ নম্বর রুমে র্যাগিং চলতেছে। তারপরেই আমি সেখানে গিয়ে দেখি সাব্বির এবং সঞ্চয় দুজন মিলে ওদেরকে র্যাগ দিচ্ছে। পরে তারা ঘটনার কথা অস্বীকার করে। এর পরে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীদের কয়েকজন বন্ধু ঘটনাস্থলে পৌঁছালে তখন ভুক্তভোগীরা র্যাগিং চলছিল বলে নিশ্চিত করে। পরে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় অভিযুক্তদের থানায় পুলিশের কাছে হস্তান্তর করা হয়।’
এদিকে এ ঘটনায় অভিযুক্ত শরীফ শেহান বলেন, ‘আমি হলের কক্ষে ছিলাম না। পরে আমাকে ডাকা হয়। এ সময় ভিতরে গিয়ে বান্না ভাইকে দেখতে পাই। এর আগে গতদিন মেসে জুনিয়রদের সঙ্গে আমরা বসেছিলাম। ওদিন ভিসি, প্রক্টর স্যারের নামসহ, বিভাগের সব শিক্ষকের নাম জিজ্ঞেস করা হয়। কেউ না পারলে তাকে একটু ধমকও দেওয়া হয়। তবে এ সময় কারো মারধর বা শারীরিক নির্যাতন করা হয়নি। তবে বাকি অভিযোগগুলোর বিষয়ে কিছুটা সত্যতা রয়েছে বলেও জানান তিনি।’
আরও পড়ুন: প্রতিষ্ঠার ৪৩ বছরে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়
এদিকে ইবি থানার কর্তব্যরত অফিসার এস আই মাসুদ বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন আমাদের কাছে ছয়জনকে নিয়ে এসেছেন। পরে তাদের থানায় পুলিশি হেফাজতে নিরাপদে রাখা হয়েছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হবে।’
২ সপ্তাহ আগে