শিক্ষা
পশ্চিমা মূল্যবোধ পরিহার করতে বুয়েটে হিযবুতের প্রচারণা
বুয়েট ক্যাম্পাসে দুই যুবককে নিষিদ্ধ ঘোষিত জঙ্গি সংগঠন হিযবুত তাহরীরের বার্তা সম্বলিত লিফলেট প্রচার করতে দেখা গেছে। নতুন একটি সিসিটিভি ফুটেজে এই চিত্র ধরা পড়ে। লিফলেটের মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পশ্চিমা মূল্যবোধ পরিত্যাগ করতে এবং পশ্চিমাদের বিরুদ্ধে জিহাদে যোগ দিতে আহ্বান জানিয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠনটি।
ক্যাম্পাসে কেন্দ্রীভূত এই ‘চরমপন্থী গোষ্ঠীর’ গোপন কার্যকলাপের বিরুদ্ধে সোচ্চার হওয়ায় কিছু শিক্ষার্থীকে অনলাইনে এবং ফোনে বারবার হত্যার হুমকি দেওয়া হয়। তারা এ বিষয়ে সংবাদ সম্মেলন করার কয়েক সপ্তাহের মধ্যে ফুটেজটি প্রকাশ্যে আসে।
মার্চ জুড়ে কয়েক দফায় ইমেইলের মাধ্যমে হিযবুতের প্রচারণার পরে এই শিক্ষার্থীরা সংবাদ সম্মেলন করেছিলেন। ওই প্রচারণায় হিযবুত তাহরীর শিক্ষার্থীদের খিলাফতের আলোকে দেশ পরিচালনার লড়াইয়ে অংশ নিতে বলে এবং ছাত্রলীগকে সবচেয়ে বড় শত্রু হিসেবে বর্ণনা করা হয়।
১৯ ফেব্রুয়ারির প্রায় ৩ মিনিটের ওই ফুটেজে দেখা যায়, সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং ভবনের শ্রেণিকক্ষগুলোর মাঝের গলি দিয়ে দুই যুবক একটি ব্যাগ নিয়ে হেঁটে যাচ্ছে।
কিছুক্ষণ পর দুজনে ঘুরে দাঁড়ায়, একজন নজরদারির জন্য সামনে দাঁড়িয়ে থাকে এবং অন্যজন তার ব্যাগ থেকে লিফলেট বের করে বন্ধ শ্রেণিকক্ষগুলোর দরজার নিচ দিয়ে ভেতরে পাঠিয়ে দেয়। যাতে শিক্ষার্থীরা শ্রেণিকক্ষে এলেই লিফলেটগুলো দেখতে পায়।
আরও পড়ুন: বুয়েটে ছাত্র রাজনীতি ও শিক্ষার পরিবেশ দুটিই থাকা উচিত: ড. হাছান মাহমুদ
এ সংস্থাগুলো কীভাবে শিক্ষার্থীদের ইমেইল অ্যাকাউন্ট পেয়েছে সেটি তদন্ত করতে সংবাদ সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অনুরোধ জানায়।
ই-মেইল প্রচারণা ও লিফলেট বিতরণের ভিডিও ছাড়াও একাধিক শিক্ষার্থী জানিয়েছেন, অতীতে তারা বুয়েটের আশপাশের দেয়ালে হিযবুতের পোস্টার লাগানো অবস্থায় পেয়েছেন।
ইমেইল পাওয়া ও হিজবুতের বার্তা সম্বলিত কিউআর কোড ছাপানো পোস্টার দেখার কথাও নিশ্চিত করেছে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ক্যাম্পাস সূত্রে জানা গেছে, জামায়াতের ছাত্র সংগঠন ইসলামী ছাত্রশিবিরের বিরুদ্ধে যারা সোচ্চার ছিল তাদের নিয়ে জামায়াত-ই-ইসলামী সমর্থিত কুখ্যাত যুদ্ধাপরাধীদের পরিবারের ভাড়া করা লবিস্ট এবং আইনজীবীদের ফেসবুক পেজে অপপ্রচার চালাতে দেখা গেছে।
১৯৭১ সালে ‘গণহত্যা’ পরিচালনায় সক্রিয়ভাবে অংশগ্রহণ করা ছাত্রসংঘ থেকে ১৯৭৭ সালে নতুন নাম নিয়ে ছাত্রশিবির দেশের অসাম্প্রদায়িক চেতনার বিপরীতে ইসলামী সমাজ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে দীর্ঘমেয়াদি মূল লক্ষ্য নিয়ে কাজ শুরু করে।
নিজস্ব ধরনের হত্যা মিশন ও প্রতিদ্বন্দ্বী দলগুলোর শিক্ষার্থীদের রগ কেটে ফেলা শিবিরের ট্রেডমার্ক বলে জানা গেছে।
যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক প্রতিরক্ষা থিংক ট্যাংক আইএইচএস জেনের বৈশ্বিক সন্ত্রাসবাদ ও বিদ্রোহ সূচক অনুযায়ী, এই সংগঠনটি তৃতীয় সবচেয়ে সক্রিয় কোনো রাষ্ট্রীয় সশস্ত্র গোষ্ঠী হিসেবে স্থান পেয়েছে।
এর আগে গত জুন মাসে দুর্গম হাওর এলাকায় রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করতে গিয়ে বুয়েটের ২৪ জন ছাত্র, শিবিরকর্মী ও নেতাকর্মী ধরা পড়েন।
আরও পড়ুন: বিরাজনীতিকরণের নামে বুয়েটকে জঙ্গিবাদের আখড়া বানানো যাবে না: পররাষ্ট্রমন্ত্রী
এ সময় শিবিরের সঙ্গে আটকদের আনুগত্য নিয়ে গণমাধ্যমের সত্যতা নিশ্চিত করেন স্থানীয় জামায়াত নেতারা। এমনকি শিবিরের একজন সাবেক কেন্দ্রীয় সভাপতি এক সাক্ষাৎকারে গর্ব করে বলেছিলেন, বুয়েট ক্যাম্পাসে শিক্ষার্থীদের একটি বড় নেটওয়ার্ক রয়েছে।
২০১৩ সালে যুদ্ধাপরাধের বিচারের সময় বুয়েটে শিবির ও অন্যান্য চরমপন্থীদের সক্রিয় উপস্থিতি সামনে আসে, যখন যুদ্ধাপরাধের বিচার ও চরমপন্থি রাজনীতির পক্ষে অবস্থান নেওয়ার অভিযোগে ৫ মাসের ব্যবধানে দুই শিক্ষার্থীর ওপর নির্মম হামলা চালানো হয়।
একজন হলেন- আরিফ রায়হান দীপ। তাকে তারই এক সহপাঠী তাদের ডরমিটরিতে প্রকাশ্য দিবালোকে কুপিয়ে আহত করেন। পরে তিনি মারা যান। অন্যজন তন্ময় আহমেদ, শিবির কর্মীরা ছুরিকাঘাত করে মৃত ভেবে ফেলে গেলেও বেঁচে যান। এখনো বেঁচে আছেন ভয়ংকর ছুরির আক্রমণের ক্ষত নিয়ে।
তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এই অপরাধ হালকা করতে পরিকল্পিত চেষ্টা চলছে বলে জানা গেছে। কিছু অপ্রয়োজনীয় প্রশ্ন উত্থাপন করা হচ্ছে- যেখানে বলা হচ্ছে চ্যানেলগুলো পুরো ভিডিও সম্প্রচার করছে না এবং ভিডিওতে ভয়েস না থাকার বিষয়টিও উল্লেখ করা হয়েছে।
যাচাই করে দেখা যায়, যে ৬টি চ্যানেল ভিডিও পোস্ট করেছে, সবগুলোতেই দেখা যাচ্ছে যে সিসিটিভি ফুটেজে গোপনে লিফলেট বিতরণের মুহূর্তগুলো ধরা পড়েছে।
আরও পড়ুন: র্যাগিং: বুয়েটের ২৬ শিক্ষার্থীকে শাস্তি
একটি বিদেশি সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে কর্মরত এমন একজন জ্যেষ্ঠ সাংবাদিক বলেন, 'কেন একই ফুটেজ একাধিক চ্যানেলে প্রচার করছে, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে। চরমপন্থী গোষ্ঠীগুলোকে সাহায্য করতেই ইচ্ছাকৃত এই কাজ করা হচ্ছে। এই ভবন বুয়েটেরই। আর একই সিসিটিভি ফুটেজ চালানো সমস্যা নয়।’
সম্প্রতি এক পোস্টে তন্ময় বলেন, 'বুয়েট ক্যাম্পাসে এসব সংগঠনের কার্যক্রম নিয়ে আলোচনা দীর্ঘদিন ধরে নিষিদ্ধ ছিল পাশাপাশি সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলো এ নিয়ে কথা বলতে রাজি না হওয়ায় সুবিধা হয়েছে।’
ঢাকা মহানগর পুলিশের মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশন্স বিভাগের উপকমিশনার (মিডিয়া অ্যান্ড পাবলিক রিলেশনস) ফারুক হোসেন গণমাধ্যমকে বলেন, 'কোনো শিক্ষার্থী যেন এই দুষ্টচক্রের মগজ ধোলাইয়ের শিকার না হয়, সেজন্য ক্যাম্পাসে এ ধরনের উগ্রবাদী চক্রের কর্মকাণ্ডে শিক্ষার্থী ও শিক্ষকদের পূর্ণ সহযোগিতা নেওয়া জরুরি। সব মহলের সহযোগিতা না পেলে এ ধরনের কর্মকাণ্ড রোধ করা কঠিন।’
আরও পড়ুন: বুয়েটের হল থেকে শিক্ষার্থীর লাশ উদ্ধার
বাকৃবিতে তিন দেশের শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্জিক্যাল কিট বক্স বিতরণ
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) বাংলাদেশ, নেপাল ও মালয়েশিয়া এই তিন দেশের ১৯৮ শিক্ষার্থীদের মাঝে সার্জিক্যাল কিট বক্স বিতরণ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) বাকৃবির সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের উদ্যোগে বিকাল সাড়ে ৩টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের মিনি কনফারেন্স রুমে ওই কিট বক্স বিতরণ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে।
অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী শিক্ষার্থীদের হাতে কিট বক্স তুলে দেন।
এ সময় তিনি বলেন, একজন সফল ভেটেরিনারি ডাক্তার হতে হলে অবশ্যই কিট বক্স সম্পর্কে সঠিক ধারণা রাখতে হবে। এর পাশাপাশি সার্জিক্যাল কিট বক্স ব্যবহারের দক্ষতাও বাড়াতে হবে।
সময়ের সদ্ব্যবহার করার মাধ্যমে ভেটেরিনারি শিক্ষার্থীরা সফলতার শিখরে পৌঁছাবে বলেও মন্তব্য করেন বাকৃবি উপাচার্য।
বাকৃবির ভেটেরিনারি অনুষদের ৫৯তম ব্যাচের ১৯৮ জন শিক্ষার্থীর মধ্যে ৫ জন নেপালি শিক্ষার্থী ও ৫ জন মালয়েশিয়ান শিক্ষার্থী।
ভেটেরিনারি অনুষদের ৫৯তম ব্যাচের নেপালি শিক্ষার্থী দীপেশ আরিয়াল ইউএনবিকে বলেন, কিট বক্স পাওয়ায় প্রতিটি সার্জিক্যাল যন্ত্রপাতি হাতের কাছে থাকবে। ফলে সহজেই প্রতিটি যন্ত্রপাতি চিনতে ও ব্যবহার ভালোভাবে জানতে পারব। এটি আমাদের ভালো ভেটেরিনারিয়ান হতেও সাহায্য করবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের বিভাগীয় প্রধান সহযোগী অধ্যাপক ড. মোমেনা খাতুনের সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন নাভানা ফার্মার মার্কেটিং বিভাগের প্রধান ডা. মানিক চন্দ্র পাল, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রবিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. হারুন-অর-রশিদ, সার্জারি ও অবস্টেট্রিক্স বিভাগের সাবেক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. ফরিদা ইয়াসমীন বারিসহ ভেটেরিনারি অনুষদের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক ও ৫৯তম ব্যাচের শিক্ষার্থীরা।
তীব্র তাপপ্রবাহে অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত জবির
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত অনলাইন ক্লাস চালিয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়। এই সময়ে কোনো পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে না বলে জানিয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বৃহস্পতিবার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আইনুল ইসলামের সই করা বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
আরও পড়ুন: জবি শিক্ষার্থী হত্যা: ৭ জনের যাবজ্জীবন
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, সারাদেশে চলমান তাপপ্রবাহের কারণে স্বাস্থ্য সুরক্ষা বিবেচনায় ভার্চুয়ালি সব ক্লাস অনুষ্ঠিত হবে এবং পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত পরীক্ষা স্থগিত থাকবে।
বিজ্ঞপ্তিতে চলমান তাপপ্রবাহে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে শিক্ষার্থীদের বিধি মেনে চলার অনুরোধ জানানো হয়।
এর আগে গত ২১ এপ্রিল জরুরি সভায় এক সপ্তাহের জন্য সব ক্লাস অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জবি শিক্ষক শাহেদ ইমনকে বরখাস্ত ও চেয়ারম্যান জুনায়েদ হালিমকে অব্যাহতি
তীব্র তাপপ্রবাহের মধ্যেই ২৮ এপ্রিল খুলছে মাধ্যমিক স্কুল-কলেজ
শিগগিরই তাপপ্রবাহ কমার সম্ভাবনা না থাকলেও এর মধ্যেই আগামী রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে খুলছে মাধ্যমিক স্কুল ও কলেজগুলো।
বৃহস্পতিবার শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের এক প্রজ্ঞাপনে এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।
তবে এ সময় তাপপ্রবাহ সহনীয় না হওয়া পর্যন্ত অ্যাসেম্বলি বন্ধ থাকবে বলে জানানো হয়।
এছাড়াও এ সময় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে শ্রেণিকক্ষের বাইরে বা সূর্যের আলোতে যেসব কার্যক্রম থাকে সেগুলো সীমিত করা হবে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় যে ক্ষতি হয়েছে তা পূরণ ও অন্যান্য কারণে পরবর্তী নির্দেশ না দেওয়া পর্যন্ত শনিবারও ক্লাস চলবে।
ঈদের ছুটি শেষে ২১ এপ্রিল স্কুল-কলেজ খোলার কথা থাকলেও সারাদেশে তীব্র তাপদাহের কারণে বন্ধের মেয়াদ ২৭ এপ্রিল পর্যন্ত বাড়ানো হয়।
বাংলাদেশ আবহাওয়া অধিদপ্তরের বুলেটিনে বলা হয়, বৃহস্পতিবার সকাল থেকে চলমান তাপপ্রবাহ পরবর্তী ৭২ ঘণ্টা পর্যন্ত অব্যাহত থাকতে পারে।
বুধবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ছিল খুলনার মোংলায় ৪১ দশমিক ৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
অনির্দিষ্টকালের জন্য চুয়েট বন্ধ: শিক্ষার্থীদের হল ত্যাগের নির্দেশ
বাস চাপা পড়ে দুই শিক্ষার্থীর মৃত্যুর ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত পরিস্থিতির মধ্যে চট্টগ্রাম বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট) অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করেছে কর্তৃপক্ষ।বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) উপাচার্যের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভায় চুয়েটের শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধের ঘোষণা করা হয়। পাশাপাশি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করেছে।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনিক কর্মকর্তা ফজলুর রহমান।
এদিকে চুয়েটের সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গত ২২ এপ্রিল সড়ক দুর্ঘটনায় বিশ্ববিদ্যালয়ের দুইজন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়। ওই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিস্থিতি উত্তপ্ত হয়ে উঠে। এ পরিপ্রেক্ষিতে ২৫ এপ্রিল উপাচার্যের সভাপতিত্বে একাডেমিক কাউন্সিলের ১৫১তম জরুরি সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অনির্দিষ্টকালের জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পর্যায়ের পরীক্ষাসহ সব একাডেমিক কার্যক্রম বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে।
আরও পড়ুন: চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় বাসচালক গ্রেপ্তার
ছাত্রদের বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার মধ্যে এবং ছাত্রীদের আগামীকাল শুক্রবার সকাল ৯টার মধ্যে হল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ২২ এপ্রিল সোমবার বেলা সাড়ে ৩টার দিকে চট্টগ্রামের রাঙ্গুনিয়া থানার জিয়ানগরে মোটরসাইকেলে ঘুরতে বেরিয়ে বাসের ধাক্কায় নিহত হন চুয়েটের দুই শিক্ষার্থী। এরপর থেকে ১০ দাবিতে ৪ দিন ধরে বিক্ষোভ করছেন শিক্ষার্থীরা।
আরও পড়ুন: বাসচাপায় ২ শিক্ষার্থী নিহতের ঘটনায় উত্তপ্ত চুয়েট, কাপ্তাই সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে কি না শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত
বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ছুটি আরও বাড়বে কি না সে বিষয়ে আগামী শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত হবে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী শামসুন নাহার।
বৃহস্পতিবার (২৫ এপ্রিল) সচিবালয়ে নিজ দপ্তরে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী।
বর্তমান তাপপ্রবাহ পরিস্থিতিতে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি বাড়ানো হবে কি না- জানতে চাইলে প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'তাপমাত্রার কথা তো বলা যায় না। আপডাউন হয়। আমাদের দুদিন (শুক্র ও শনিবার) বন্ধ আছে, আমরা একটু দেখি, দেখে তারপর সিদ্ধান্ত নেব।'
শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে তাপমাত্রা বাড়তে পারে। শিক্ষামন্ত্রী দেশে ফিরলে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।
তাপপ্রবাহ অব্যাহত থাকার পূর্বাভাসের প্রেক্ষাপটে কিছু প্রস্তাবনা দিয়েছে মাধ্যমিক ও উচ্চ শিক্ষা অধিদপ্তর। যদি স্কুল খোলা রাখা হয় তবে শিশুদের স্কুলের সময় এগিয়ে আনা এবং ক্লাস সংখ্যা কমানোরও প্রস্তাব দিয়েছে তারা।
এ বিষয়গুলো নিয়ে কাজ করা হচ্ছে কি না- জানতে চাইলে শামসুন নাহার বলেন, 'সেটা নিয়ে কাজ করব পরে। আগে তো সামনে যেটা আছে সেটা শেষ করে নিই।'
কোনো বিকল্প পরিকল্পনা আছে কি না এ বিষয়ে শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী বলেন, 'অনলাইনে তো আছে, সেটা আমরা পরে দেখব। গ্রাম পর্যায়ে স্কুল আছে, তারা তো অনলাইনে অভ্যস্ত না। অতএব সবকিছু চিন্তা করেই আমাদের কাজ করতে হবে।'
প্রতিমন্ত্রী আরও বলেন, 'শুক্র বা শনিবারের মধ্যে সিদ্ধান্ত নিয়ে নেব। দুদিনের মধ্যে আমরা সিদ্ধান্ত নিতে চাই। আমরা আপনাদের সিদ্ধান্ত জানিয়ে দেব।'
দেশের বেশিরভাগ অংশ জুড়েই বইছে তাপপ্রবাহ। কোথাও কোথাও তাপপ্রবাহ তীব্র আকার ধারণ করেছে, অর্থাৎ দিনের তাপমাত্রা ৪০ ডিগ্রি সেলসিয়াস পার হয়েছে। ঈদুল ফিতর ও নববর্ষের ছুটি শেষে রবিবার (২১ এপ্রিল) শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান খোলার কথা ছিল। কিন্তু প্রচণ্ড গরমের কারণে ছুটি এক সপ্তাহ বাড়ানো হয়েছে। সে হিসেবে আগামী রবিবার (২৮ এপ্রিল) থেকে স্কুল খোলার কথা।
মশার দেহে ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ বাকৃবি গবেষকের
মশার দেহে ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করেছেন বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) ডেঙ্গু প্রতিরোধ কমিটির সদস্য ও গবেষক অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান।
তিনি বলেন, এই পদ্ধতিতে কোনো একটি এলাকার মশায় ডেঙ্গু ভইরাসের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করে দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে ডেঙ্গু পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব।
এই গবেষক আরও বলেন, বাকৃবি ও এর আশেপাশের এলাকা থেকে প্রায় এক হাজার এডিস মশার নমুনা সংগ্রহ করা হয়। সংগৃহীত এডিস মশা থেকে বিশেষ প্রক্রিয়ায় প্রস্তুতকৃত নির্যাসে ডেঙ্গু ভাইরাসের এন্টিজেন ব্যবহারের মাধ্যমে শনাক্ত করা হয়। ‘ল্যাটারাল ফ্লো ক্রোমাটোগ্রাফিক ইমিউনো অ্যাসে’ পদ্ধতির মাধ্যমে দ্রুত সময়ে একটি অথবা একসঙ্গে অনেকগুলো এডিস মশার ডেঙ্গু ভাইরাস শনাক্ত করা যায়। এই পদ্ধতি ব্যবহার করে এক ঘণ্টা সময়ে ফলাফল পাওয়া সম্ভব।
ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণের একমাত্র উপায় হলো মশা নিয়ন্ত্রণ। মশা নিয়ন্ত্রণ একটি বৈজ্ঞানিক বিষয়।
তবে মশা নিয়ন্ত্রণের আগে মশার দেহে ডেঙ্গু ভাইরাসের উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা প্রয়োজন উল্লেখ করে অধ্যাপক সহিদুজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, ‘ল্যাটারাল ফ্লো ক্রোমাটোগ্রাফিক ইমিউনো অ্যাসে’ পদ্ধতির মাধ্যমে কোন একটি এলাকার এডিস মশায় ডেঙ্গু ভাইরাস আছে কিনা সেটি পর্যবেক্ষণ করা যাবে।
তিনি বলেন, নির্দিষ্ট এলাকায় ডেঙ্গু আক্রান্ত মশার সংখ্যা নজরদারির পাশাপাশি ডেঙ্গু পরিস্থিতির পূর্বাভাস জেনে সংক্রমনের ঝুঁকিও কমানো সম্ভব। এছাড়া ডেঙ্গু নিয়ন্ত্রণে দ্রুত পদক্ষেপও নেওয়া যাবে।
বৈশ্বিক উষ্ণায়নের কারণে যেমন মশার প্রজননের হার বেড়েছে তেমনি জনসংখ্যা ও বাসস্থান বাড়ার কারণে এডিস মশার প্রজননের স্থানও বৃদ্ধি পেয়েছে।
একসময়ে ঢাকা ও চট্টগ্রামে ডেঙ্গুর প্রকোপ থাকলেও এডিস মশার মাধ্যমে ডেঙ্গু ভাইরাস ক্রমান্বয়ে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে ছড়িয়ে পড়ছে। এসব মশা থেকে ডেঙ্গু মহামারি আকার ধারণ করতে পারে।
এ ব্যাপারে অধ্যাপক বলেন, সাধারণত ডেঙ্গু জীবাণুবাহী স্ত্রী এডিস মশার কামড়ে মানুষ ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়। তবে প্রকৃতিতে পুরুষ ও স্ত্রী উভয় এডিস মশাতে ডেঙ্গু ভাইরাসের জীবানু থাকতে পারে। আক্রান্ত পুরুষ মশার সঙ্গে সুস্থ্য স্ত্রী মশার প্রজননে জন্ম নেওয়া নতুন প্রজন্মের মশায় ওই ভাইরাস সংক্রমিত হতে পারে। তাই ডেঙ্গুর সংক্রমণ হার কমাতে পুরুষ ও স্ত্রী, ছোট ও বড় সকল মশায় ডেঙ্গুর উপস্থিতি পর্যবেক্ষণ করা জরুরি।
জনস্বাস্থ্যরক্ষায় এই প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে অধ্যাপক ইউএনবিকে বলেন, বিশ্বের বিভিন্ন দেশ যেমন ভারত, চীন, সিঙ্গাপুর, অস্ট্রেলিয়া, আমেরিকা এই পদ্ধতি ব্যবহার করছে।
কোন একটি নির্দিষ্ট এলাকায় ও মশক নিয়ন্ত্রণ কর্মীদের প্রশিক্ষণের মাধ্যমে মাঠ পর্যায়ে প্রযুক্তিটি ব্যবহার করে এসিড মশা নিয়ন্ত্রণ সম্ভব হবে বলে জানান তিনি।
ইবিতে শিক্ষার্থী নির্যাতনের ঘটনায় তিন ছাত্রলীগকর্মীর সম্পৃক্ততার প্রমাণ পেয়েছে তদন্ত কমিটি
ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) গত ৭ ফেব্রুয়ারি আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের এক শিক্ষার্থীকে নির্যাতনে ছাত্রলীগের তিন কর্মীর সম্পৃক্ততা পেয়েছে ইবি ও লালন শাহ হল প্রশাসনের গঠিত দুটি তদন্ত কমিটি।
মঙ্গলবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, তদন্ত কমিটিগুলো সোমবার বিকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তাদের প্রতিবেদন জমা দিয়েছে।
সম্পৃক্তরা হলেন- বিশ্ববিদ্যালয়ের শারীরিক শিক্ষা বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী মুদাসসির খান কাফি, ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের দ্বিতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী সাগর ও উজ্জল হোসেন। তারা সবাই বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নাসিম আহমেদ জয়ের অনুসারী।
এ ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে সুপারিশ করেছে তদন্ত কমিটি।
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রলীগের সাবেক কর্মীসহ ৩ শিক্ষার্থী বহিষ্কার
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এইচ এম আলী হাসান জানান, শিক্ষার্থী নির্যাতনে জড়িত থাকার প্রমাণ পাওয়ায় আগামী শৃঙ্খলা কমিটির সভায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে বিশ্ববিদ্যালয় আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তদন্ত কমিটি জানায়, গত ৭ ফেব্রুয়ারি মুদাসসির খান কাফি ও মোহাম্মদ সাগরের নেতৃত্বে একদল ছাত্রলীগ কর্মী আল-ফিকহ অ্যান্ড লিগ্যাল স্টাডিজ বিভাগের ওই শিক্ষার্থীকে লালন শাহ হলের ১৩৬ নম্বর কক্ষে ডেকে নেয়।
সেখানে তারা ওই শিক্ষার্থীকে বিবস্ত্র করে মধ্যরাত থেকে সাড়ে ৪টা পর্যন্ত নির্যাতন করে। এক পর্যায়ে নির্যাতিত অভিযুক্তদের নির্দেশ অনুযায়ী কাজ করতে অস্বীকার করলে স্টিলের লাঠি দিয়ে মারধর করে তারা।
বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন প্রশাসক ও বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের গঠিত তদন্ত কমিটির সদস্য অধ্যাপক ড. এম আনিসুর রহমান বলেন, ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা ওই শিক্ষার্থীকে শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করেছে।
এর আগে গত বছরের ১২ ফেব্রুয়ারি রাতে ইবির দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগী তাবাসসুম, মিম, উর্মি ও মাওবিয়া জাহানের নির্যাতনের শিকার হন ফিন্যান্স অ্যান্ড ব্যাংকিং বিভাগের প্রথম বর্ষের এক ছাত্রী।
এ ঘটনায় ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়সহ দেশের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে ব্যাপক প্রতিবাদের ঝড় ওঠে।
হাইকোর্টের নির্দেশে গত ২১ আগস্ট অন্তরা ও তার চার সহযোগীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
আরও পড়ুন: ইবি ছাত্রলীগের নেতাকর্মীদের হাতে আবারও নির্যাতনের শিকার শিক্ষার্থী
তাপপ্রবাহে বাকৃবিতে ক্লাস অনলাইনে, পরীক্ষা সশরীরে
তীব্র তাপপ্রবাহের কারণে শিক্ষার্থীদের নানাবিধ শারীরিক সমস্যার বিষয়টি বিবেচনায় নিয়ে অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় (বাকৃবি) কর্তৃপক্ষ।
এসময় তত্ত্বীয় ও ব্যবহারিক পরীক্ষাগুলোতে সশরীরে উপস্থিত হতে হবে।
আরও পড়ুন: বাকৃবি: একজনও মনোরোগ বিশেষজ্ঞ নেই ৬ হাজার শিক্ষার্থীর জন্য
সোমবার (২২ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পশুপালন অনুষদীয় সভাকক্ষে আগামী ২৩ এপ্রিল থেকে ২৫ এপ্রিল পর্যন্ত অনলাইনে ক্লাস নেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন ডিন কাউন্সিরের সদস্যরা।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের পশু পালন অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. ছাজেদা আখতার।
ড. ছাজেদা আখতার বলেন, প্রবহমান তীব্র্র তাপদাহের (হিটওয়েভ) কারণে স্বাস্থ্যঝুঁকি এড়াতে পরীক্ষা চলমান রেখে শুধু ক্লাসগুলো অনলাইনে নেওয়ার জন্য সুপারিশ করেছে ডিন কাউন্সিল সদস্যরা। তবে সব পরীক্ষা যথারীতি চলবে।
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এমদাদুল হক চৌধুরী বলেন, তীব্র তাপপ্রবাহের কথা বিবেচনা করে ২৩ থেকে ২৫ এপ্রিল প্রতিদিনের ক্লাসগুলো অনলাইনে নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ‘যদি পরিস্থিতির অবনতি হয় অর্থাৎ এই তাপপ্রবাহ চলমান থাকে সেক্ষেত্রে প্রশাসন এই কার্যক্রমকে আরও বর্ধিত করবে। অন্যথায় ক্লাস আবারও পূর্বের ন্যায় সশরীরে হবে।’
আরও পড়ুন: দেশে কম খরচে ও স্বল্প সময়ে গবাদিপশুর নির্ভুল রোগ নির্ণয় পদ্ধতি উদ্ভাবনের দাবি বাকৃবি অধ্যাপকের
বাকৃবিতে এনএসটির অর্থায়নে বিটরুট গবেষণায় দ্বিগুণ ফলন
দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে একযোগে ভর্তি আবেদন শুরু
কৃষি গুচ্ছ ভর্তি ব্যবস্থায় দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) শ্রেণিতে ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে।
সোমবার ভর্তির আবেদন শুরু হয়েছে যা চলবে ৩০ মে পর্যন্ত। ভর্তি আবেদন ফি নির্ধারণ করা হয়েছে অফেরতযোগ্য ১ হাজার ২০০ টাকা।
দেশের ৯টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩ হাজার ৭১৮টি আসনের বিপরীতে এবারের কৃষি ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। গত বছরের তুলনায় এবছর আসন সংখ্যা বেড়েছে ১৭০টি।
আরও পড়ুন: ঢাবির সব ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ কাল
আবেদনকারীকে ২০১৯/২০২০/২০২১ সালে এসএসসি/সমমান এবং এবং ২০২২/২০২৩ সালের এইচএসসি/সমমানের পরীক্ষায় উভয় ক্ষেত্রে প্রতিটির চতুর্থ বিষয় ছাড়া ন্যূনতম জিপিএ ৪ এবং সর্বমোট জিপিএ ৮ দশমিক ৫ থাকতে হবে। ২০২২ সালের এসএসসি/সমমান মানোন্নয়ন পরীক্ষায় উত্তীর্ণ পরীক্ষার্থীরাও আবেদন করতে পারবেন।
২০ জুলাই শনিবার দেশের ৮টি কেন্দ্র ও একাধিক উপকেন্দ্রে একযোগে বেলা সাড়ে ১১টা থেকে দুপুর সাড়ে ১২টা পর্যন্ত ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (১৭ এপ্রিল) চট্টগ্রাম ভেটেরিনারি ও এনিম্যাল সাইন্সেস বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য এবং কৃষি গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা ২০২৩-২০২৪ এর কেন্দ্রীয় ভর্তি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ড. এএসএম লুৎফুল আহসান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানা যায়।
লেখক ও গবেষক অধ্যাপক ড. মো. সহিদুজ্জামান কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষা সম্পর্কে ইউএনবি প্রতিনিধিকে বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা পদ্ধতিতে শিক্ষার্থীরা সুবিধা ও অসুবিধা উভয়েরই সম্মুখীন হচ্ছে। একসঙ্গে সব কয়টি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা হওয়ায় পরীক্ষার্থীদের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে পরীক্ষা দিতে হয় না। এতে তাদের সময়, অর্থ ও পরিশ্রম অনেকাংশেই কমে যায়।
কৃষি গুচ্ছের ভর্তি পরীক্ষার অসুবিধা সম্পর্কে এ গবেষক বলেন, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো একসঙ্গে গুচ্ছ পদ্ধতিতে আসার পর দেখা গেছে ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হতে দীর্ঘ সময় ব্যয় হওয়ায় ক্লাসও দেরি করে শুরু হচ্ছে।
অধ্যাপক ড. সহিদুজ্জামান আরও বলেন, ‘২০১৮-১৯ শিক্ষাবর্ষ পর্যন্ত কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তিচ্ছুরা মোট জিপিএ ৭ হলেই অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারতো। জিপিএ ৮ দশমিক ৫ নির্ধারণ করায় অপেক্ষাকৃত কম জিপিএ ধারী শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষায় আবেদন করার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হচ্ছে।’
আরও পড়ুন: ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে আক্রান্ত হয়ে ১০ জন হাসপাতালে ভর্তি
ঢাবির ২০২৩-২৪ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষার ফল প্রকাশ