শিক্ষা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে প্রথম বর্ষ স্নাতক (সম্মান) ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক ড. এ এস এম আমানুল্লাহ বিশ্ববিদ্যালয়ের আইসিটি ভবনে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ ফলাফল ঘোষণা করেন।
সংবাদ সম্মেলনে ভিসি জানান, ২০২৪-২০২৫ শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষায় মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৫ লাখ ৬০ হাজার ৫৯৫ জন। এর মধ্যে উত্তীর্ণ হয়েছে চার লাখ ৬০ হাজার ৭০৬ জন। উত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের মধ্যে ৩৩ দশমিক ২৮ ভাগ পরীক্ষার্থী পঞ্চাশের ওপর নম্বর পেয়েছে।
তিনি আরও জানান, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে ৪ লাখ ৪০ হাজার আসন রয়েছে। এদের মধ্যে যারা স্নাতকে ভর্তি হতে পারবেন না, তারা পাস কোর্স, কারিগরি এবং অন্যান্য শাখায় ভর্তি হতে পারবেন।
উপাচার্য জানান, আগে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই অনার্সে ভর্তি করা হতো, যে কারণে অনেকেই বলত, জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি হয়ে যায়। এখন থেকে আর কেউ বলতে পারবে না যে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা ভর্তি পরীক্ষা ছাড়াই বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।
দশ বছর পর এই শিক্ষাবর্ষে ভর্তি পরীক্ষার মাধ্যমে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হচ্ছে।
সংবাদ সম্মেলনে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য, ট্রেজারার, রেজিস্ট্রার, বিভিন্ন বিভাগের ডিনসহ কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
আরও পড়ুন: এইচএসসি পরীক্ষা শুরু আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
১৮৫ দিন আগে
সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে এইচএসসি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে: শিক্ষা উপদেষ্টা
সারা দেশে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা সুষ্ঠু ও সুন্দর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল (সি আর) আবরার। তিনি বলেছেন, এখন পর্যন্ত দেশের কোথাও কোনো সমস্যা হয়নি।
বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) রাজধানীর ভাসানটেক সরকারি কলেজ কেন্দ্র পরিদর্শন শেষে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে এসব কথা বলেন তিনি।
শিক্ষা উপদেষ্টা বলেন, ‘আমি কেন্দ্র ঘুরে দেখলাম, সব পরীক্ষার্থী মাস্ক পরে এসেছে। সবাই নিরাপদ দূরত্বে বসে পরীক্ষা দিচ্ছে।’
‘ডেঙ্গুর বিষয়েও আগে থেকেই আমরা পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা কার্যক্রম চালিয়েছি। সব মিলিয়ে ডেঙ্গু-করোনা নিয়ে আমাদের প্রস্তুতি ভালো। ফলে এ নিয়ে ভয়ের বা আশঙ্কার কিছু দেখছি না।’
প্রশ্নপত্র ফাঁস নিয়ে কোনো শঙ্কা আছে কি না—জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রতিবারই এ থ্রেট (ঝুঁকি) থাকে, এবারও আছে। আমরা এসএসসি পরীক্ষার মতো এবারও তৎপর আছি। আশা করি, প্রশ্নফাঁসের কোনো সুযোগ অসাধু চক্র পাবে না। কেউ গুজব ছড়ালেও আমরা ব্যবস্থা নেব।’
বন্যার পরিস্থিতি সৃষ্টি হলে কী পদক্ষেপ নেওয়া হবে—জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘এটি নিয়ে পদক্ষেপ নেওয়া আছে; সব নিয়ম করা আছে। কোথাও পরীক্ষা নেওয়ার মতো পরিস্থিতি না থাকলে নিয়ম মেনে সেখানে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
পরীক্ষার প্রশ্নপত্র প্রসঙ্গে অধ্যাপক ড. আবরার বলেন, ‘প্রশ্নপত্র দেখার সুযোগ আমার হয়নি। তবে এটি নিশ্চিত যে কেউ বলবে প্রশ্নপত্র ভালো হয়েছে, আবার কেউ বলবে খারাপ হয়েছে। এটি তাদের বোঝাপড়া এবং প্রস্তুতির ওপর নির্ভর করে। আমরা যা নিশ্চিত করতে পারি, তা হচ্ছে প্রশ্নপত্রের মান ঠিকঠাক রাখা।’
তিনি আরও জানান, যথাসময়ে ফল প্রকাশ হবে। ফল প্রকাশে বিলম্ব যেন না হয় সেদিকেও খেয়াল রাখা হচ্ছে।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় কমিটি সূত্র জানায়, এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে সারা দেশে এ পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সব বোর্ডের প্রথম দিনের পরীক্ষা সকাল ১০টায় শুরু হয়, যা শেষ হয়েছে দুপুর ১টায়।
১৮৬ দিন আগে
এইচএসসি পরীক্ষা শুরু আজ, মানতে হবে যেসব নির্দেশনা
আজ বৃহস্পতিবার থেকে সারা দেশে একযোগে শুরু হচ্ছে এইচএসসি ও সমমানের পরীক্ষা। এবার ১১টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে এই পরীক্ষায় অংশ নিচ্ছেন ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন পরীক্ষার্থী। দেশের ২ হাজার ৭৯৭টি কেন্দ্রে এবার পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে।
প্রথম দিনের পরীক্ষা বৃহস্পতিবার (২৬ জুন) সকাল ১০টায় শুরু হয়ে শেষ হবে দুপুর ১টায়।
প্রথম দিনে সাধারণ ৯টি শিক্ষা বোর্ডের অধীনে ১ হাজার ৬০৫টি কেন্দ্রে বাংলা প্রথমপত্র পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। মাদরাসা বোর্ডের অধীন ৪৫৯টি কেন্দ্রে আলিমের কোরআন মাজিদ এবং কারিগরি বোর্ডের অধীন ৭৩৩ কেন্দ্রে এইচএসসি (বিএম/বিএমটি) পরীক্ষা নেওয়া হবে।
তত্ত্বীয় এ পরীক্ষা শেষ হবে ১০ আগস্ট। আর ব্যবহারিক পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে ১১ আগস্ট থেকে ২৪ আগস্ট পর্যন্ত ।
এ বছরের এইচএসসি ও সমমান পরীক্ষায় সব বোর্ডের অধীনে মোট ১২ লাখ ৫১ হাজার ১১১ জন শিক্ষার্থী অংশ নিচ্ছেন। এবার পরীক্ষার্থী কমেছে গতবারের চেয়ে ৮১ হাজারের বেশি।
নির্দেশনা
পরীক্ষা শুরুর কমপক্ষে ৩০ মিনিট আগে পরীক্ষার্থীকে অবশ্যই কেন্দ্রে প্রবেশ করতে হবে এবং এ সময়ের পর কোনো পরীক্ষার্থীকে কেন্দ্রে প্রবেশ করতে দেওয়া হবে না।
অনিবার্য কারণে কোনো পরীক্ষার্থী এর পরে প্রবেশ করলে রেজিস্ট্রারে তাদের নাম, রোল, প্রবেশের সময় ও বিলম্বের কারণ উল্লেখ করে পরীক্ষার্থীদের তালিকা প্রতিদিন কেন্দ্রের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ও সংশ্লিষ্ট বোর্ডকে অবহিত করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া, প্রাকৃতিক দুর্যোগের কারণে কোনো কক্ষে পরীক্ষা বিলম্বে শুরু হলে, যত মিনিট পরে পরীক্ষা শুরু হবে, পরীক্ষার্থীদের ততটুকু সময় দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষা চলাকালে কেন্দ্রের ২০০ গজের মধ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও কর্মচারীদের মোবাইলসহ সব ধরনের ইলেকট্রনিক ডিভাইস ব্যবহার নিষিদ্ধ করা হয়েছে।
সুষ্ঠু ও নকলমুক্ত পরিবেশে পরীক্ষা অনুষ্ঠানের জন্য ১৫ আগস্ট পর্যন্ত সব ধরনের কোচিং সেন্টার বন্ধ রাখার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
প্রশ্নপত্র ফাঁস বা ফাঁস সংক্রান্ত গুজব এবং পরীক্ষা চলাকালে পরীক্ষার্থীদের কাছে নকল সরবরাহে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া সিদ্ধান্ত হয়েছে। পরীক্ষায় সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার জন্য জেলা প্রশাসন ও আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর পাশাপাশি বাংলাদেশ সেনাবাহিনীকেও দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এ সময় সাইবার সংক্রান্ত অভিযোগের বিষয়ে সার্বক্ষণিক যোগাযোগের জন্য পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের সাইবার পুলিশ সেন্টার, সিআইডি, বাংলাদেশের হটলাইনে (নম্বর-০১৩২০০১০১৪৮) যোগাযোগ করার সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে।
পরীক্ষাকেন্দ্রের স্বাস্থ্যবিধি
দেশে নতুন করে করোনার প্রাদুর্ভাব শুরু হওয়ায় পরীক্ষাকেন্দ্রে বেশ কয়েকটি স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
কেন্দ্রে প্রবেশের সময় পরীক্ষার্থীসহ পরীক্ষা-সংশ্লিষ্ট সবার মাস্ক পরিধান বাধ্যতামূলক। কেন্দ্রের প্রবেশপথে হ্যান্ড স্যানিটাইজার রাখতে হবে।
এ ছাড়া ডেঙ্গু বিস্তার রোধে কেন্দ্রের অভ্যন্তরে এবং আশপাশ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। পরীক্ষা শুরুর আগে কেন্দ্রের ভেতরে মশক নিধন ওষুধ স্প্রে করতে হবে। এ বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সহযোগিতা গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিটি পরীক্ষাকেন্দ্রের মেডিকেল টিমকে সক্রিয় রাখতে হবে। এ বিষয়ে সিভিল সার্জন অথবা উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তার সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখতে হবে।
জনসচেতনতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে স্থানীয় প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পরীক্ষায় অংশগ্রহণ এবং পরীক্ষাকেন্দ্রের সামনে অভিভাবকদের জটলা নিরুৎসাহিত করার প্রচারণা চালাতে হবে বলেও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
১৮৬ দিন আগে
জাবিতে আবাসিক হল থেকে দেশীয় আগ্নেয়াস্ত্র উদ্ধার
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের (জাবি) শহীদ সালাম-বরকত হল থেকে ২৩ ইঞ্চি লম্বা কাঠের বাটযুক্ত একটি দেশীয় পাইপগান উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে আশুলিয়া থানা থেকে পুলিশ কর্মকর্তারা এসে অস্ত্রটি জব্দ করে। এই ঘটনায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করা হয়।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল পৌনে ১০টায় হলের সিনিয়র পরিচ্ছন্নতাকর্মী শ্রী সুজন চন্দ্র বাবু টয়লেটের ফলস সিলিং পরিষ্কার করার সময় পাইপগানটি দেখতে পান এবং হল কর্তৃপক্ষকে খবর দেন।
জানা যায়, হলের এ-ব্লকের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশে ২২৬ নম্বর কক্ষ সংলগ্ন টয়লেটের ফলস সিলিংয়ের ওপর থেকে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করা হয়।
এ বিষয়ে হল প্রশাসন জানায়, শহীদ সালাম ও বরকত হলের এ-ব্লকের পশ্চিম দিকের ২২৬ নং কক্ষ সংলগ্ন টয়লেটের ফলস ছাদের ওপরে পাইপ গানটি ছিল। হলের পরিচ্ছন্নতা কর্মী সুজন বাবু সুইপিং কাজের জন্য রাখা লাঠির ব্রাশ ফলস ছাদ থেকে টেনে বের করতে গেলে তখন ব্রাশের সঙ্গে কাঠের বাটওয়ালা একটি পুরাতন আগ্নেয়াস্ত্র বের হয়ে আসে। এরপর পরিচ্ছন্নতা কর্মী সুজন আগ্নেয়াস্ত্রটি হল অফিসে এনে জমা দেন।
হলের সিনিয়র পরিচ্ছন্নতাকর্মী শ্রী সুজন বাবু বলেন, 'দৈনন্দিন কাজের মতো আজও আমি আমার কর্তব্যরত সুইপিং কাজ শুরু করি। হলের এ-ব্লকের দ্বিতীয় তলার পশ্চিম পাশে ওয়াশরুমে সুইপিং করার সময় ফলস সিলিংয়ের ওপর থেকে লাঠি-ঝাড়ু বের করতে গিয়ে সঙ্গে একটি কাঠের বাটযুক্ত পুরাতন আগ্নেয়াস্ত্রও বের হয়ে আসে। আমি সঙ্গে সঙ্গে বিষয়টি হল অফিসকে অবহিত করি।'
খবর পেয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর, নিরাপত্তা কর্মকর্তারা ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। পরে পুলিশকে জানানো হলে সাড়ে ১২টা নাগাদ আশুলিয়া থানা পুলিশ এসে আগ্নেয়াস্ত্রটি উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আশুলিয়া থানার এসআই মাহমুদুল বলেন, 'উদ্ধারকৃত অস্ত্রটি একটি দেশীয়ভাবে তৈরি পুরাতন পাইপগান। এটি কাঠের বাটযুক্ত এবং দৈর্ঘ্যে প্রায় ২৩ ইঞ্চি।'
আরও পড়ুন: ভাটারায় প্রকাশ্যে আগ্নেয়াস্ত্র প্রদর্শনের ঘটনায় যুবক গ্রেপ্তার
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শহীদ সালাম-বরকত হলের প্রভোস্ট অধ্যাপক আবদুল হালিম বলেন, বিষয়টি জানার সঙ্গে সঙ্গে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিয়েছি এবং কর্তৃপক্ষকে জানিয়েছি। তদন্ত প্রতিবেদন পাওয়ার পর পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
তিনি আরও বলেন, অধিকতর তদন্তের জন্য সহকারী অধ্যাপক এস. এম. এ মওদুদ আহমেদকে সভাপতি করে ৩ সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- হলের আবাসিক শিক্ষক সহকারী অধ্যাপক ইসতিয়াক রায়হান ও সিয়াম আহমেদ। আগামী ১৫ কর্মদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেবেন।
১৮৬ দিন আগে
৩২৫ মেধাবী শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দিল যবিপ্রবি
বিভিন্ন বিভাগের ৩২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ২৮৯ জনকে ‘অভ্যন্তরীণ বৃত্তি’ তহবিল থেকে বৃত্তি দিয়েছে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (যবিপ্রবি)। একই সঙ্গে বাকি ৩৬ শিক্ষার্থীকে দ্বিতীয় ধাপে বৃত্তি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বিকাল ৩টায় যবিপ্রবির কেন্দ্রীয় গ্যালারিতে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ শিক্ষার্থীদের হাতে বৃত্তির চেক তুলে দেন।
জানা গেছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের ২০২৪-২০২৫ অর্থ বছরের অভ্যন্তরীণ বৃত্তির খাত থেকে প্রাথমিকভাবে বিভিন্ন বিভাগের ২৮৯ জন শিক্ষার্থীকে বৃত্তি দেওয়া হয়েছে।
এ ছাড়া আরও ৩৬ জন শিক্ষার্থীকে এই বৃত্তির আওতায় শিক্ষার্থীপ্রতি মাসে ১ হাজার টাকা করে বছরে সর্বমোট ১২ হাজার টাকা দেওয়া হবে। বৃত্তির অর্থ সরাসরি শিক্ষার্থীদের ব্যাংক অ্যাকাউন্টে জমা হবে।
বৃত্তির জন্য মেধাবী ও দরিদ্র শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি অন্য কোনো স্থান থেকে বৃত্তি পায় না, এমন শিক্ষার্থী বাছাই করা হয়েছে।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে যবিপ্রবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ বলেন, ‘বৃত্তি দেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় উৎসাহীত করাই যবিপ্রবির মূল লক্ষ্য। লক্ষ্য ঠিক থাকলে সাফল্য আসবেই। নিজস্ব বুদ্ধিকে আগে প্রাধান্য দিতে হবে। ভালো বন্ধু নির্বাচন করতে হবে। ভালো বন্ধু ভালো অভিভাবক। এভাবে যবিপ্রবিকে একটি মানবিক ক্যাম্পাস হিসেবে গড়তে চাই।’
আরও পড়ুন: প্রাথমিকেও বৃত্তি চালু করতে যাচ্ছি: উপদেষ্টা
অনুষ্ঠানে আরও বক্তব্য রাখেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন।
অনুষ্ঠানে প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. মো. আমজাদ হোসেন, জীববিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মো. সিরাজুল ইসলাম, ফলিত বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. শিরিন নিগার, স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অনুষদের ডিন ড. মো. জাফিরুল ইসলাম, ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের ডিন ড. মোহাম্মদ মো. কামাল হোসেন, উপ-রেজিস্ট্রার নিত্যনন্দ পালসহ বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান, দপ্তর প্রধান, শিক্ষক, শিক্ষার্থী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
১৮৬ দিন আগে
পাঁচ দাবিতে বিএম কলেজ শিক্ষার্থীদের সড়ক অবরোধ
বরিশাল ব্রজমোহন (বিএম) কলেজের আবাস সংকট দূর করাসহ পাঁচ দফা দাবিতে সড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করছে শিক্ষার্থীরা।
বুধবার (২৫ জুন) সকাল ১০টার দিকে শিক্ষার্থীরা কলেজের জিরো পয়েন্টে জড়ো হয়ে এই বিক্ষোভ শুরু করেন।
এরপর কলেজ ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এসে ভবনটিতে তালা ঝুঁলিয়ে দেন তারা। পরে বেলা ১১টার দিকে বিএম কলেজের সামনের সড়ক অবরোধ করেন শিক্ষার্থীরা। এর ফলে নগরীর নতুন বাজার থেকে নথুল্লাবাদ সড়কে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। দুপুর সোয়া ১টায় এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত অবরোধ চলছিল।
আরও পড়ুন: ২৬ ইউআইইউ শিক্ষার্থীকে বহিষ্কারের প্রতিবাদে সড়ক অবরোধ
শিক্ষার্থীরা জানান, বিএম কলেজে ৩০ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা করছেন। অথচ তাদের জন্য প্রয়োজনীয় আবাসনের ব্যবস্থা নেই; যা রয়েছে তার অবস্থাও বেহাল। বৃষ্টি হলেই কলেজ ক্যাম্পাসে জলাবদ্ধতার সৃষ্টি হয়। তাই তারা জলাবদ্ধতা নিরসন করে রাস্তা ড্রেন সংস্কারের দাবি জানান।
এছাড়া শিক্ষার্থীরা মাঠ ভরাট, কলেজের অডিটোরিয়াম সংস্কার, বিভিন্ন ডিপার্টমেন্টের সংস্কার ও শিক্ষক সংকট দূর করে পর্যাপ্ত শিক্ষক নিয়োগেরও দাবি তুলে ধরেন।
তারা আরও জানান, দাবি মানা না মানা পর্যন্ত এ আন্দোলন চালিয়ে যাওয়া হবে।
১৮৭ দিন আগে
ছাত্রীকে ধর্ষণের দায়ে শাবিপ্রবির দুই ছাত্র আজীবন বহিষ্কার
ধর্ষণের অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) সমাজবিজ্ঞান বিভাগের দুই শিক্ষার্থীকে আজীবন বহিষ্কার করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
বহিষ্কৃত শিক্ষার্থীরা হলেন- সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থ।
মঙ্গলবার (২৪ জুন) বেলা ১১টায় অনুষ্ঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জরুরি সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন সিন্ডিকেট সদস্য ও বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. সাজেদুল করিম।
তিনি জানান, তদন্ত কমিটির রিপোর্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের শৃঙ্খলা কমিটিতে অনুমোদিত হয়েছে। শৃঙ্খলা কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী জরুরি সিন্ডিকেটে তাদের বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
পড়ুন: শাবি ছাত্রীকে ধর্ষণ: দুই আসামির ৪ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর
উল্লেখ্য, ঈদের আগে (২ মে) সিলেটের রিকাবীবাজারে একটি কনসার্টে যাওয়ার পূর্বে অচেতন করে সহপাঠী কর্তৃক ধর্ষণ বা যৌন নির্যাতনের অভিযোগ তুলে গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) অভিযোগ দেন ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী। অভিযোগে সহপাঠী ও সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থকে দায়ী করা হয়। শুধু যৌন নির্যাতন নয়, তা ভিডিও ধারণ করে নিয়মিত অভিযুক্তরা ভুক্তভোগীকে ব্লাকমেইল করছিল বলেও অভিযোগপত্রে উল্লেখ করা হয়।
এ ঘটনায় প্রাথমিক সত্যতা পাওয়ায় ১৯ জুন রাতেই দুইজনকে আটক করে পুলিশ। পরে ২০ জুন সিলেট কোতোয়ালি থানায় আটক ২ জন ও অজ্ঞাতসহ ৫ জনের বিরূদ্ধে মামলা মামলা দায়ের করেন ভুক্তভোগী।
বর্তমানে তারা পুলিশের হেফাজতে রয়েছে। ২৩ জুন আদালত তাদের চার দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
১৮৭ দিন আগে
মেধাপাচার রোধ ও শিক্ষা পুনর্গঠনের অঙ্গীকার বিএনপির
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য সালাহউদ্দিন আহমেদ বলেছেন, ‘তাদের দল এমন একটি বৈষম্যহীন পরিবেশ গড়ে তুলতে চায়, যেখানে শিক্ষা ও গবেষণা একযোগে অগ্রসর হবে এবং মেধাপাচার রোধ করা সম্ভব হবে।’
রবিবার (২২ জুন) রাজধানীর ইনস্টিটিউট অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সে ‘তারুণ্যের রাষ্ট্রচিন্তা প্ল্যাটফর্ম’ আয়োজিত ‘শিক্ষা ও শিক্ষাঙ্গন’ শীর্ষক এক সংলাপে তিনি এসব কথা বলেন।
এই বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমরা শিক্ষা খাতকে এমনভাবে গড়ে তুলতে চাই, যাতে গবেষণা ও শিক্ষায় সমান অগ্রগতি হয় এবং সেখানে কোনো বৈষম্য না থাকে।’
এমন পরিবেশ গড়ে তুলতে হলে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও ছাত্রসংগঠনগুলোর সম্মিলিত ভূমিকা প্রয়োজন বলেও মনে করেন তিনি। সালাহউদ্দিন বলেন, ‘রাজনীতিবিদ, শিক্ষক ও শিক্ষার্থীদের সম্মিলিত ভূমিকার মাধ্যমেই একটি উন্নত রাষ্ট্র গঠন সম্ভব।’
‘রাজনীতিবিদদের মতোই শিক্ষকদেরও দেশ গঠনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে। একই সঙ্গে সাধারণ শিক্ষার্থী ও তাদের সংগঠনগুলোর সমর্থনও প্রয়োজন। এই তিনটি শক্তির সমন্বয়েই একটি কার্যকর রাষ্ট্র গঠন সম্ভব,’ বলেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, দেশে যদি গুণগত গবেষণার উপযুক্ত পরিবেশ নিশ্চিত করা যায়, তাহলে বিদেশে উচ্চশিক্ষা নিতে যাওয়া মেধাবী শিক্ষার্থীরা পড়াশোনা শেষে দেশে ফিরে আসতে আগ্রহী হবেন।
‘মেধাপাচার কমে আসবে এবং তারা দেশে থেকেই অবদান রাখতে চাইবেন।’
বিএনপি নেতা বলেন, ‘আমাদের অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী ও পেশাজীবী বিদেশে গিয়ে আর ফেরেন না। কারণ দেশে এমন একটি পরিবেশ তৈরি হয়েছে, যেখানে তারা ফিরে আসতে আগ্রহী হন না।’
আরও পড়ুন: তিন সাবেক সিইসিসহ ১৯ জনের বিরুদ্ধে বিএনপির মামলা
অন্যদিকে, চীন ও ভারত তাদের দক্ষ জনগোষ্ঠীর ফিরে আসার ফলে লাভবান হয়েছে, উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘তারা বিদেশে থাকেনি, বরং দেশে ফিরে এসেছে এবং প্রযুক্তির দিক থেকে বিশ্বে শীর্ষে উঠেছে। কিন্তু বাংলাদেশে এমনটি হচ্ছে না।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মোহাম্মদ কামরুল আহসান, প্রধান উপদেষ্টার সিনিয়র সহকারী প্রেসসচিব ফয়েজ আহমেদ, বিএনপি মিডিয়া সেলের আহ্বায়ক মাওদুদ আলমগীর পাভেল ও জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাসির উদ্দিন নাসির।
বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান থেকে আগত শিক্ষার্থীরাও সংলাপে অংশ নেন এবং শিক্ষা বিষয়ে তাঁদের মতামত ও প্রশ্ন তুলে ধরেন। অতিথিরা এসব প্রশ্নের উত্তর দেন এবং সেরা তিনজন প্রশ্নকারীকে পুরস্কৃত করা হয়।
১৮৯ দিন আগে
শাবিপ্রবি ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় তদন্ত কমিটি গঠন
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) এক নারী শিক্ষার্থীকে ধর্ষণের পর ভিডিও ধারণের অভিযোগে ঘটনায় তিন সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
শুক্রবার (২০ জুন) দিবাগত রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ছলিম মোহাম্মদ আবদুল কাদিরের সই করা এক অফিস আদেশে বিষয়টি নিশ্চিত করা হয়।
অফিস আদেশে বলা হয়, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মোখলেসুর রহমানকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
কমিটির বাকি দুই সদস্য হলেন— সহকারী প্রক্টর অধ্যাপক ড. সাইফুল ইসলাম ও অধ্যাপক বেলাল হোসেন সিকদার। তদন্ত কমিটিকে তিন কার্যদিবসের মধ্যে প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, ঈদের আগে সিলেটের সুরমা আবাসিক এলাকার একটি মেসে ডেকে নিয়ে ভুক্তভোগী দাবি করা ওই শিক্ষার্থীকে অচেতন করে ধর্ষণ করেন অভিযুক্তরা। অভিযোগকারীর অজান্তে তারা ঘটনাটির ভিডিও ধারণও করেন এবং তা প্রকাশের হুমকি দিয়ে বিষয়টি গোপন রাখতে বাধ্য করেন।
আরও পড়ুন: শাবি শিক্ষার্থীকে নিপীড়ন ও ভিডিও ধারণের অভিযোগে গ্রেপ্তার ২
তবে, ঈদের ছুটির পর গত বৃহস্পতিবার (১৯ জুন) শাবি প্রক্টর বরাবর ধর্ষণের লিখিত অভিযোগ করেন ওই নারী শিক্ষার্থী।
অভিযোগের পর একইদিন, রাত সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহায়তায় ডিজিটাল ট্র্যাকিং পদ্ধতিতে দুই অভিযুক্তকে আটক করে সিলেটের কোতোয়ালি থানা পুলিশ।
আটকের পর প্রক্টর অফিসে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে ঘটনার সত্যতা পাওয়া গেছে বলে দাবি করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ। পরে প্রক্টরিয়াল বডির সঙ্গে আলোচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নির্দেশে তাদের পুলিশ হেফাজতে নেওয়া হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া দুজনই সমাজবিজ্ঞান বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী শান্ত তারা আদনান ও স্বাগত দাস পার্থ।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, ‘নারী ও শিশু নির্যাতন আইনের ৯ (৩) ধারা এবং পর্ণগ্রাফি নিয়ন্ত্রণ আইনে ৮(১), ৮(২) ও ৮(৩) ধারার মামলায় শুক্রবার(২০ জুন) দুপুরে তাদের গ্রেপ্তার দেখিয়ে আদালতে পাঠানো হয়।
বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, শান্ত তারা আদনান নিষিদ্ধ ঘোষিত ছাত্রসংগঠন ছাত্রলীগের সক্রিয় কর্মী এবং গত জুলাইয়ে অভ্যুত্থান আন্দোলনে হামলার ঘটনায় দায়ের করা মামলার একজন আসামি। এছাড়াও, বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সহিংস কর্মকাণ্ডেও তাকে দেখা গেছে।
১৯০ দিন আগে
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঢাকা মেডিকেল কলেজ
অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক)। একাডেমিক ভবন ও হোস্টেলের অবকাঠামোগত দুরাবস্থা নিয়ে শিক্ষার্থীদের দাবির মুখে অচলাবস্থা তৈরি হলে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রবিবার (২১ জুন) দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগ করতে বলা হয়েছে শিক্ষার্থীদের।
শনিবার (২১ জুন) একাডেমিক কাউন্সিলের এক জরুরি সভায় এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, ছাত্র-ছাত্রীদের দাবির সঙ্গে একমত পোষণ করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজের একাডেমিক কাউন্সিল। এ বিষয়ে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য শিক্ষা অধিদপ্তরের সঙ্গে নিয়মিত কাজ চলছে। এরইমধ্যে কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে।
পড়ুন: ঢামেকের অভিযানে অবৈধ ২১ হুইলচেয়ার জব্দ
দৃশ্যমান ফলাফল পাওয়ার সময়সীমা নিয়ে ছাত্র-ছাত্রীদের যে অনড় অবস্থান রয়েছে সেটিও অনুধাবন করে একাডেমিক কাউন্সিল বলে জানানো হয়েছে।
এতে আরও বলা হয়, ‘একাধিকবার নোটিশ ও বিকল্প আবাসন নিশ্চিত করা সত্ত্বেও বিভিন্ন ব্যাচের শিক্ষার্থীদের অসহযোগিতার কারণে ডা. ফজলে রাব্বি ছাত্রাবাসের মূল ভবনের চতুর্থ তলা খালি করা সম্ভব হচ্ছে না, যা গণপূর্ত বিভাগ পরিত্যক্ত ঘোষণা করেছে। ভবনটি তাদের জীবনের জন্য অত্যন্ত হুমকি স্বরূপ।’
নতুন ব্যাচ কে-৮২ গুরুত্বপূর্ণ অরিয়েন্টেশন প্রোগ্রাম বয়কট করেছে, যা ঢাকা মেডিকেল কলেজের জন্য একটি কালো অধ্যায়। ফলে কলেজের একাডেমিক কার্যক্রমে অচলাবস্থা সৃষ্টি হয়েছে।
সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীরা দেশের অন্যান্য মেডিকেল কলেজের বিবেচনায় একাডেমিক পিয়ার প্রেসারে ভুগছে। সর্বোপরি বাংলাদেশ মেডিকেল ছাত্রদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ অ্যাক্রিডেশন কাউন্সিল ভিজিট অন্য মেডিকেল কলেজে স্থানান্তরের সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে বিজ্ঞপ্তিতে উল্লেখ করা হয়।
পড়ুন: অপহরণের ১০ ঘণ্টা পর ছাড়া পেলেন ঢামেক হাসপাতালের চিকিৎসক
চলমান অচলাবস্থা নিরসনে রবিবার থেকে কলেজের এমবিবিএস ছাত্র-ছাত্রীদের একাডেমিক কার্যক্রম অনির্দিষ্টকালের জন্য বন্ধ ঘোষণা করা হয়েছে এবং হোস্টেলে অবস্থানরত ছাত্র-ছাত্রীদেরকে দুপুর ১২টার মধ্যে হোস্টেল ত্যাগের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
তবে, বিশ্ববিদ্যালয়ের পেশাগত এমবিবিএস পরীক্ষায় অংশগ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং বিদেশি শিক্ষার্থীরা এর আওতামুক্ত থাকবেন।
১৯০ দিন আগে