শিক্ষা
জবি ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের প্রোফাইল হালনাগাদের দাবিতে স্মারকলিপি
বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে শিক্ষকদের ব্যক্তিগত প্রোফাইল তথ্য হালনাগাদের দাবিতে স্মারকলিপি দিয়েছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) হিউম্যান রাইটস সোসাইটি।
রবিবার (১ জুন) বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিমের কাছে স্মারকলিপি দেন তারা।
স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে অধিকাংশ শিক্ষকের প্রোফাইলে প্রয়োজনীয় তথ্য—শিক্ষাগত যোগ্যতা, গবেষণা, প্রকাশনা ও একাডেমিক অভিজ্ঞতা সংক্রান্ত তথ্য অনুপস্থিত। অনেক শিক্ষক ছবিও যোগ করেননি।
তারা আরও বলেন, ‘এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা, একাডেমিক দায়বদ্ধতা ও আন্তর্জাতিক র্যাঙ্কিংয়ে নেতিবাচক প্রভাব পড়ছে। টাইমস হায়ার এডুকেশন, কিউএস র্যাংকিং, ওয়েবোমেট্রিক্সসহ বিভিন্ন সংস্থা ওয়েবসাইটের তথ্যকে গুরুত্ব দেয়। শিক্ষার্থীরা জানান, শিক্ষকদের তথ্যের অভাবে প্রতিষ্ঠান মানদণ্ডে পিছিয়ে পড়ছে।’
স্মারকলিপিতে চার দাবি উত্থাপন করা হয়—বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্যেক শিক্ষককে নির্ধারিত সময়সীমার মধ্যে প্রোফাইল পূর্ণাঙ্গ করার নির্দেশ দেওয়া, আইসিটি সেলের মাধ্যমে কারিগরি সহায়তা ইউনিট গঠন করে তথ্য আপলোডে সহায়তা করা, বিভাগভিত্তিক মনিটরিং কমিটি গঠন করে তথ্য হালনাগাদের অগ্রগতি পর্যবেক্ষণ এবং প্রোফাইল হালনাগাদ না করলে প্রশাসনিক পদক্ষেপের সুস্পষ্ট নীতিমালা প্রয়োগ।
স্মারকলিপি জমা দেওয়ার সময় হিউম্যান রাইটস সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক জুনায়েদ মাসুদ, কার্যনির্বাহী সদস্যবৃন্দ—আব্দুল্লাহ আল ফারুক, কাজি আহাদ ও উম্মে হাবিবা উপস্থিত ছিলেন।
২১০ দিন আগে
সাম্য হত্যায় বড় ষড়যন্ত্র থাকলেও খতিয়ে দেখা হচ্ছে না: ঢাবি ছাত্রদল
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা এস এম শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডে পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে বলে দাবি করেছে সংগঠনটির বিশ্ববিদ্যালয় শাখা। তারা বলছে, অথচ তদন্ত করে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে না।
শনিবার (৩১ মে) ক্যাম্পাসের মধুর ক্যান্টিনে সংবাদ সম্মেলন করে এ দাবি জানানো হয়। ‘ছাত্রদল নেতা সাম্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার এবং সাম্প্রতিক রাজনীতি’ শিরোনামে এ সম্মেলন আয়োজন করা হয়।
এ সময়ে সাম্য হত্যাকাণ্ডের তদন্ত ও বিচার কার্যক্রম নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়েছে। তাদের দাবি, প্রশাসনের অবহেলা ও পুলিশের পক্ষপাতমূলক আচরণের কারণে এই হত্যা মামলার তদন্ত কার্যক্রম প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে উঠেছে।
ঢাবি শাখা ছাত্রদল সভাপতি গণেশচন্দ্র রায় সাহসের অভিযোগ, ‘গত ১৩ মে দিবাগত রাতে সোহরাওয়ার্দী উদ্যানের প্রবেশমুখে সাম্যকে নির্মমভাবে ছুরিকাঘাতে হত্যা করা হয়। ঘটনার সময় পুলিশ সদস্যদের উপস্থিতি সত্ত্বেও তারা যথাযথ পদক্ষেপ না নিয়ে বরং হত্যাকারীদের পালিয়ে যেতে সহায়তা করে—এমন অভিযোগও উঠে এসেছে প্রত্যক্ষদর্শীদের বক্তব্যে।’
সংগঠনটির ভাষ্যমতে, ঘটনার দীর্ঘ সময় পর তদন্তে গতি আসে এবং ডিএমপি কমিশনারের নেতৃত্বে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থাপিত তথ্য ছিল ‘অস্পষ্ট ও বিভ্রান্তিকর’। সাম্যের নিহত ট্রেজার গান-সংক্রান্ত তুচ্ছ বিরোধের জের ধরে হয়েছে বলে জানানো হলেও চিকিৎসকদের মতে, পরিকল্পিতভাবে তার উরুর গুরুত্বপূর্ণ ধমনি কেটে ফেলা হয়, যা তাৎক্ষণিক মৃত্যুর কারণ হয়ে দাঁড়ায়।
ছাত্রদল অভিযোগ করে, ‘এই হত্যাকাণ্ডের পেছনে বড় ধরনের ষড়যন্ত্র থাকতে পারে, অথচ তদন্তে তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে না। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের ভূমিকা নিয়েও তারা প্রশ্ন তোলেন।’
‘ক্যাম্পাস ও হলগুলোতে ছাত্রলীগের সন্ত্রাসীদের দাপট, মাদক সিন্ডিকেটের বিস্তার এবং নিরাপত্তা পরিস্থিতির অবনতির মধ্যেও প্রশাসন কার্যকর কোনো পদক্ষেপ নিচ্ছে না।’
বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও প্রক্টরের প্রতি ক্ষোভ প্রকাশ করে ছাত্রদল বলেছে, ‘শিক্ষার্থীদের আবেগ-অনুভূতির প্রতি উপাচার্যের অপেশাদার আচরণ আরও অসন্তোষ তৈরি করেছে।’আরও পড়ুন: সাম্য হত্যার রহস্য উদঘাটনের দাবি ডিএমপির
পাশাপাশি সাম্য ও তার পরিবারের বিরুদ্ধে সামাজিকমাধ্যমে গুজব ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগও উত্থাপন করেছে তারা। ছাত্রদলের দাবি, সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচারপ্রক্রিয়াকে ঢাকতে মনোযোগ সরিয়ে নেয়ার অপচেষ্টা চালাচ্ছে।
সংগঠনটি মনে করে, ২০২৪ সালের জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মাধ্যমে যে স্বাধীন ও নিরাপদ ক্যাম্পাসের স্বপ্ন দেখা হয়েছিল, প্রশাসনের ব্যর্থতায় তা এখনও অধরাই থেকে গেছে। তাই উপাচার্য ও প্রক্টরের পদত্যাগ এবং নতুন প্রশাসনের অধীনে নিরাপদ ক্যাম্পাস গঠনের দাবি পুনর্ব্যক্ত করেছে ছাত্রদল।
ছাত্রদল জানায়, শহীদ সাম্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত না হওয়া পর্যন্ত এবং নিরাপত্তার দাবিতে তাদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
২১১ দিন আগে
অসুস্থ ছাত্রদল সভাপতি, পদ হারানোর খবরটি ভিত্তিহীন
বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় সভাপতি রাকিবুল ইসলাম রাকিব জ্বরে আক্রান্ত ও তার পদ হারানোর গুঞ্জনটি ভিত্তিহীন।
শুক্রবার (৩০ মে) দুপুরে সামাজিক মাধ্যম ফেসবুকের এক পোষ্টে এ বিষয়টি নিশ্চিত করেন কেন্দ্রীয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাছির উদ্দীন নাছির।
তিনি জানান, ‘টানা অনেকদিন বৃষ্টিতে ভিজে দলীয় কর্মসূচি পালন করায় ছাত্রদল সভাপতি রাকিব ঠাণ্ডা জ্বরে আক্রান্ত হয়েছেন। তাই আজ কোনো কর্মসূচিতে অংশগ্রহণ করতে পারেননি।’
‘ছাত্রদলের সভাপতির শারীরিক অসুস্থতার সময়ে নানাধরণের ভিত্তিহীন গুজব ছড়িয়ে পড়েছে। এগুলো সবই উদ্দেশ্যমূলক এবং বিভ্রান্তিকর প্রপাগাণ্ডা,’ বলেন নাছির।
আরও পড়ুন: ডাকসু নির্বাচন বানচালে পাঁয়তারার অভিযোগ, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
এধরনের গুজব পরিহার করুতে সবাইকে আহ্বান জানান তিনি।
সকাল থেকে বিভিন্ন অনলাইন পোর্টালের খবর ও সামাজিকমাধ্যমে গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়ে ছাত্রদল সভাপতি রাকিব পদ হারিয়েছেন। তিনি ২০০৬-০৭ সেশনে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের পদার্থবিদ্যা বিভাগের শিক্ষার্থী।
২০২৪ সালের ১ মার্চ রাকিবুল ইসলামকে সভাপতি ও নাসির উদ্দীন নাসিরকে সাধারণ সম্পাদক করে ছাত্রদলের কমিটি ঘোষণা করা হয়।
২১২ দিন আগে
শাবিপ্রবির হলে ঢুকে শিক্ষার্থীকে ‘হামলার চেষ্টা’, ছাত্রদলকর্মী বহিষ্কার
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) আবাসিক হলের কক্ষে ঢুকে হামলা চেষ্টার অভিযোগে শেখ ফাকাব্বির সিন নামে এক ছাত্রদলকর্মীকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) বিকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বহিষ্কারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
ফাকাব্বির সিন শাবিপ্রবির সমুদ্রবিজ্ঞান বিভাগের ২০২২–২৩ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী। তিনি বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নাঈম সরকারের সমর্থক হিসেবে ক্যাম্পাসে পরিচিত। বিশ্ববিদ্যালয়সংলগ্ন সুরমা আবাসিক এলাকার একটি মেসে থাকেন ফাকাব্বির।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ও বিভাগে তালা
প্রক্টর মোখলেসুর রহমান বলেন, ‘তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনের ভিত্তিতে শৃঙ্খলা কমিটিতে অভিযোগ প্রমাণিত হওয়ায় ফাকাব্বিরের বিরুদ্ধে বহিষ্কারের সুপারিশ করা হয়। এরপর গত ১৭ মে সিন্ডিকেটের ২৩৬তম সভায় তাকে সাময়িক বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।’
এর আগে, গত ৫ জানুয়ারি রাতে বিশ্ববিদ্যালয়ের শাহপরাণ হলের ৪৩৬ নম্বর কক্ষে প্রবেশ করে সেখানে অবস্থানরত শিক্ষার্থীদের গলায় ছুরি ধরার অভিযোগ ওঠে ছাত্রদলকর্মী ফাকাব্বিরের বিরুদ্ধে। পরে অভিযোগের তদন্ত করার লক্ষ্যে ৯ জানুয়ারি ছাত্র উপদেশ ও নির্দেশনা পরিচালক মো. এছাক মিয়াকে আহ্বায়ক করে চার সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করে কর্তৃপক্ষ।
২১৪ দিন আগে
জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সংশোধিত প্রকল্পের অনুমোদন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) দ্বিতীয় ক্যাম্পাস স্থাপনে সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প প্রস্তাবনা পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়ের অনুমোদন পেয়েছে।
বুধবার (২৮ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের জনসংযোগ, তথ্য ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. আনওয়ারুস সালাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য নিশ্চিত করা হয়।
এতে বলা হয়, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের সংশোধিত প্রকল্পের সরকারি আদেশ (জিও) আজ ২৮ মে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয় থেকে ইস্যু করা হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এই অর্জনের জন্য জবি পরিবারের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা ও কর্মচারীদের আন্তরিক ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানিয়েছে। একইসঙ্গে শিক্ষা, পরিকল্পনা ও অর্থ মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা ও উপদেষ্টাদের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেছে, যাদের সহযোগিতায় প্রকল্পটি অনুমোদনের চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছেছে।
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. রেজাউল করিম বলেন, ‘আমাদের প্রত্যাশিত দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের আরডিপিপি অনুমোদন পেয়েছে। এটি জবির জন্য একটি বিরাট অর্জন ও অগ্রগতি।’
‘শিক্ষার্থীদের অক্লান্ত পরিশ্রম এবং শিক্ষকদের নিরবিচ্ছিন্ন সমর্থন এই সফলতার পেছনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে। আমরা চেষ্টা করেছি, সফল হয়েছি—এটি ভবিষ্যৎ প্রজন্মের শিক্ষার্থীদের জন্য একটি মাইলফলক হয়ে থাকবে,’ বলেন তিনি।
২১৪ দিন আগে
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশন সদস্যের ওপর হামলা, জবিতে মানববন্ধন
জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সদস্য ও জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ডিবেটিং সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক মেহেদী হাসানের ওপর হামলার প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল ও মানববন্ধন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৭ মে) দুপুর ১২টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাস্কর্য চত্বরে জবি ডিবেটিং সোসাইটির আয়োজনে এই কর্মসূচি পালিত হয়। মিছিলটি ভাষ্কর্য চত্বর থেকে শুরু হয়ে বিশ্ববিদ্যালয় চত্বর প্রদক্ষিণ করে আবার সেখানে এসে মানববন্ধনের মাধ্যমে শেষ হয়।
বিক্ষোভে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা বলেন, ‘মেহেদীর উপর হামলা কেন? প্রশাসনের জবাব চাই’, ‘সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে ডাইরেক্ট অ্যাকশন’, ‘গুন্ডালীগের কালো হাত গুঁড়িয়ে দাও’ —এমন নানা স্লোগানে তারা হামলার তীব্র প্রতিবাদ জানান।আরও পড়ুন: সচিবালয়ে আজ কোনো দর্শনার্থী ঢুকতে পারবেন না
মানববন্ধনে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. রইস উদ্দিন বলেন, ‘রাতে মেহেদীর ছেঁড়া শার্ট ও আহত অবস্থায় তাকে দেখে আমি হতভম্ব হয়েছিলাম। সে শান্ত স্বভাবের ছেলে এবং জুলাই আন্দোলনের সক্রিয় কর্মী। তার ওপর হামলা ন্যক্কারজনক। আমরা শিক্ষক সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা জানাই।’
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক মাসুদ রানা বলেন, ‘আমরা ভেবেছিলাম, হাসিনার শাসনব্যবস্থা পরিবর্তনের পর পরিস্থিতি স্বাভাবিক হবে, কিন্তু এখনো ফ্যাসিস্ট শাসন ব্যবস্থা বিরাজ করছে ‘
জবি ডিবেটিং সোসাইটির সভাপতি মাঈন আল মুবাশ্বির বলেন, ‘মেহেদী হাসান সরকারের একটি অংশ। সরকার যদি নিজস্ব লোকদেরই নিরাপত্তা দিতে না পারে, তাহলে ফ্যাসিবাদী সন্ত্রাসীরা আরও বেপরোয়া হয়ে উঠবে। হামলাকারীদের দ্রুত বিচারের আওতায় আনতে হবে।’
এর আগে গত ২৪ মে চাঁদপুর জেলার দক্ষিণ মতলব থানার মেহেদির নিজ এলাকায় মেহেদী হাসানের উপর হামলা চালিয়েছে নিষিদ্ধ সংগঠন স্বেচ্ছাসেবক লীগের নেতারা।এরপর তাঁকে চাঁদপুর স্থানীয় একটি স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। এ ঘটনায় শাহজাহান নামে এক ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতিকে গ্রেফতার করা হয় বলে জানিয়েছেন পুলিশ।
২১৫ দিন আগে
ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশে ২১ দিন বন্ধ থাকছে শাবিপ্রবি
পবিত্র ঈদুল আজহা ও গ্রীষ্মকালীন অবকাশ উপলক্ষে ২১ দিন বন্ধ থাকছে শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি)।
রবিবার (২৫ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রারের সই করা এক বিজ্ঞপ্তি থেকে এ তথ্য জানা যায়।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ২৫ মে থেকে ১২ জুন পর্যন্ত শাবিপ্রবির সব ক্লাস বন্ধ থাকবে। তবে ১৩ ও ১৪ জুন শুক্র ও শনিবার হওয়ায় শিক্ষার্থীদের ছুটি দুই দিন বেড়ে মোট ২১ দিন হবে।
অন্যদিকে ১ জুন থেকে ১২ জুন পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস বন্ধ থাকবে। তবে ২৫ থেকে ২৭ মে পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অফিস খোলা থাকবে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ও বিভাগে তালা
২১৭ দিন আগে
ডাকসু নির্বাচন বানচালে পাঁয়তারার অভিযোগ, আন্দোলনে শিক্ষার্থীরা
সাম্য হত্যাকাণ্ডসহ একাধিক ঘটনায় স্থবির হয়ে আছে ডাকসু নির্বাচন কার্যক্রম। নির্বাচন কমিশন গঠনের সময়সীমা মে মাসের মাঝামাঝি নির্ধারিত থাকলেও এখন পর্যন্ত নীরব রয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ডাকসু নির্বাচন বানচালের পাঁয়তারা চলছে বলে অভিযোগ করছে বাংলাদেশ গণতান্ত্রিক ছাত্র সংসদের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা।
শনিবার (২৪ মে) দুপুরে ডাকসু নির্বাচনসহ তিন দফা দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল ও অবস্থান কর্মসূচি পালন করে তারা। মিছিল শেষে তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্টার ভবনের সামনে অবস্থান নেন।
এসময় সংগঠনটির ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখার আহ্বায়ক আব্দুল কাদের বলেন, ‘আজকের মধ্যেই ডাকসুর নির্বাচনী তফসিল ঘোষণা করতে হবে। নির্বাচন কমিশন গঠন করতে হবে। আর কোনো টালবাহানা আমরা মেনে নেব না। ডাকসু নির্বাচন বানচালের কোনো চেষ্টাই সফল হবে না।’
আরও পড়ুন: জুনের আগে ডাকসু নির্বাচনের দাবি ঢাবি শিক্ষার্থীদের
অবস্থান কর্মসূচিতে অংশ নেওয়া শিক্ষার্থীরা তিন দফা দাবি উত্থাপন করেন। তাদের দাবিগুলো হলো- সাম্য হত্যাকাণ্ডের বিচার নিশ্চিত করা, বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নিরাপত্তা জোরদার করা এবং দ্রুততম সময়ের মধ্যে ডাকসু নির্বাচন অনুষ্ঠিত করা।
বিশ্ববিদ্যালয় শাখার মুখ্য সংগঠক তাহমিদ আল মুদ্দাসির চৌধুরী বলেন, ‘বর্তমান পরিস্থিতিতে প্রশাসন এবং পুলিশের নির্লিপ্ততা পরিলক্ষিত হচ্ছে। একটি মহল এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে ডাকসু নির্বাচন পেছানোর চেষ্টা করছে। সাম্য হত্যাকাণ্ডের মতো অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনাকে ইস্যু করে পরিকল্পিতভাবে ডাকসু নির্বাচন বানচালের অপচেষ্টা চলছে। বিষয়টি এখন দিনের আলোর মতো স্পষ্ট।’
তিনি আরও বলেন, ‘পুরো পরিস্থিতি সৃষ্টি করা হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কর্মকাণ্ড ব্যাহত এবং ডাকসু নির্বাচনকে পিছিয়ে দেওয়ার উদ্দেশ্যে।’
অবস্থান কর্মসূচি চলাকালে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের একটি প্রতিনিধিদল শিক্ষার্থীদের সঙ্গে কথা বলার উদ্যোগ নিলেও আন্দোলনকারীরা তা প্রত্যাখ্যান করেন। তাদের বক্তব্য, ‘আমরা আর কোনো অজুহাত শুনতে চাই না। প্রশাসনকে এখন কাজের অগ্রগতি নিয়ে আমাদের সামনে আসতে হবে।’
বিশ্ববিদ্যাল প্রশাসন জানিয়েছে, সাম্য হত্যার বিচার দ্রুত নিষ্পত্তি করার তাগিদ দেওয়া হয়েছে। আজ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. নিয়াজ আহমদ খান।
এদিকে একই দাবিতে উপাচার্য বাংলোর সামনে চতুর্থ দিনের মতো আমরণ অনশন কর্মসূচি পালন করছে স্বাধীন বাংলাদেশ ছাত্রসংসদের আহ্বায়ক জামালুদ্দীন খালিদসহ একদল শিক্ষার্থী। অনশনরত অবস্থায় দুই শিক্ষার্থীর শারীরিক অবস্থার অবনতি ঘটায় গতকাল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেলে চিকিৎসার জন্য নেওয়া হয়। এখনো পর্যন্ত তারা চিকিৎসাধীন।
২১৮ দিন আগে
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে কুয়েটের অন্তবর্তীকালীন উপাচার্যের পদত্যাগ
শিক্ষকদের আন্দোলনের মুখে পদত্যাগ করেছেন খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য অধ্যাপক ড. হযরত আলী।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) শিক্ষা মন্ত্রণালয়ে পদত্যাগপত্র জমা দেন তিনি। কুয়েটের ডেপুটি রেজিস্ট্রার আব্দুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ১ মে শিক্ষা মন্ত্রণালয় চুয়েটের পুরকৌশল বিভাগের অধ্যাপক হযরত আলীকে কুয়েটের অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্য পদে নিয়োগ দেয়। শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পাল্টাপাল্টি আন্দোলন চলাকালে গত ১৯ মে তিনি দাপ্তরিক কাজে ঢাকায় যাওয়ার কথা বলে ক্যাম্পাস ছেড়েছিলেন।
অন্তর্বর্তীকালীন উপাচার্যের পদত্যাগ ও নতুন উপাচার্য নিয়োগের দাবিতে বৃহস্পতিবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ক্যাম্পাসে মানববন্ধন করে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতি। শিক্ষার্থীদের একটি দলও মানববন্ধনে একাত্মতা প্রকাশ করে।
শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে চলতি বছরের ২৫ এপ্রিল উপাচার্য অধ্যাপক ড. মাছুদ ও উপউপাচার্য অধ্যাপক ড. শেখ শরীফুল আলমকে অব্যাহতি দেয় শিক্ষা মন্ত্রণালয়।
২২০ দিন আগে
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিলের দাবিতে শাবিতে নারীদের প্রতিবাদ কর্মসূচি
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল ও নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেছেন শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবিপ্রবি) নারী শিক্ষার্থীরা। এসময় নারী সংস্কার কমিশন ধর্ম ও জাতিসত্ত্বার সঙ্গে সাংঘর্ষিক বলে মন্তব্য করেন তারা।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) দুপুর দেড়টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে স্বরূপ ইসলামিক কালচারাল অর্গানাইজেশনের ব্যানারে প্রতিবাদ কর্মসূচি পালন করেন তারা।
কর্মসূচিতে ‘নারী পুরুষ বাইনারি, এই শর্তেই দেশ গড়ি’, ‘যৌন কর্মী স্বীকৃতি দান, মায়ের জাতির অপমান’, ‘সম অধিকার নয়, চাই ন্যায্য অধিকার’, ‘নারী পুরুষ একে অন্যের প্রতিদ্বন্দ্বী নয়, সহযোগী’, ‘পতিতাবৃত্তি কে না বলি’, ‘সমতার নামে নারীর বিকৃতি চলবে না’, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশন বাতিল চাই, অপসংস্কৃতি চলবে না’ ইত্যাদি স্লোগান সংবলিত প্লেকার্ড দেখা যায়।
আরও পড়ুন: নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ পর্যালোচনায় কমিটি চেয়ে রিট
নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের নিন্দা জানিয়ে জান্নাতুল সুমাইয়া সাফি বলেন, ‘নারীবিষয়ক সংস্কার কমিশনের পেশকৃত প্রস্তাবনার অধিকাংশই ইসলাম ধর্ম-জাতিসত্ত্বার সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এটা নারীদের মর্যাদা খর্ব করে। স্বাধীনতার নামে কমিশন যে প্রস্তাবনা দিয়েছেন তা পরিবারিক কলহ আরও বাড়িয়ে তুলবে। স্বামী-স্ত্রীর মাঝে সম্মতির অভাবকে ‘বৈবাহিক ধর্ষণ’ হিসেবে চিহ্নিত করে শাস্তির বিধান দেওয়ার প্রস্তাব করা হয়েছে, যা দাম্পত্য সম্পর্ককে আরও জটিল করে তুলবে ও পারিবারিক অস্থিরতা বাড়বে।’
তিনি আরও বলেন, ‘পতিতাবৃত্তিকে বৈধতা দিয়ে যৌনকর্মীদের শ্রমজীবী হিসেবে স্বীকৃতি ও মর্যাদা প্রদানের সুপারিশ প্রকৃতপক্ষে সামাজিক ও নৈতিক অবক্ষয়ের একটি ভয়ংকর ব্যবস্থা। ইসলাম ও সুস্থ সমাজ ব্যবস্থা পতিতাবৃত্তিকে পেশা হিসেবে মানে না বরং তা নির্মূল করে তাদের পুনর্বাসনের ব্যবস্থা গ্রহণ করাই রাষ্ট্রের দায়িত্ব। তাই অবিলম্বে এসব প্রস্তাবনা বাতিল করতে হবে।’
‘নারীর ডাকে মৈত্রী যাত্রার’ সমালোচনা করে সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী আদিবা সালেহা বলেন, ‘মৈত্রী যাত্রায় অংশগ্রহণকারী সংখ্যাগরিষ্ঠ নারীর মধ্যে বাংলাদেশি সংখ্যাগরিষ্ঠ নারীর উপস্থিতি নেই। উচ্ছৃঙ্খল আচরণ, অশালীন পোষাকে নারীর অধিকার আদায়ের নামে নারীর ভূষণকে খর্ব করা হয়েছে, ধর্মীয় শিষ্টাচারকে উগ্রবাদ হিসেবে আখ্যায়িত করেছে যা ধর্মীয় অবমাননা, ট্রান্স মুক্তিকে নারীমুক্তি হিসেবে প্রচার করা হচ্ছে। যেখানে অধিকাংশ কার্যক্রম নারীর সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তারা এলজিবিটিকিউকে প্রমোট করছে। যা আমাদের মানব সম্প্রদায়ের জন্য একটা বিধ্বংসী মতবাদ। অথচ ট্রান্সজেন্ডার ধারণা বিকৃত মস্তিষ্ক থেকেই উদ্ভুত, মানবকল্যাণেই যার বৈধতা নয় বরং চিকিৎসার প্রয়োজন।’
এছাড়াও অন্তবর্তীকালীন সরকারের কাছে ৪ দফা দাবিও তুলে ধরেন শিক্ষার্থীরা। দাবি সমূহ হলো- নারী সংস্কার কমিশনের সুপারিশ ও প্রতিবেদন অবিলম্বে প্রত্যাহার করতে হবে, ধর্ম, সংস্কৃতি ও জনমতকে অবজ্ঞা করে গঠিত বর্তমান কমিশন বাতিল করে ধর্মীয় ও সামাজিক বাস্তবতায় বিশ্বাসী এবং দেশের অধিকাংশ জনগণের প্রতিনিধিত্ব করেন—এমন প্রতিনিধিদের নিয়ে কমিশন পুনর্গঠন করতে হবে। পতিতাবৃত্তি নির্মূলের কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ ও সংশ্লিষ্ট নারীদের মানবিক ও হালাল উপায়ে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করতে হবে। একই সঙ্গে ধর্মীয় বিধানসমূহকে সংবিধানের আলোকে রক্ষা করে নারী উন্নয়নের একটি ভারসাম্যমূলক ও সমাজবান্ধব ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।
২২০ দিন আগে