শিক্ষা
জবির ১৫ বছরের নিয়োগ-দুর্নীতির তদন্তে কমিটি গঠন
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে বিগত ১৫ বছরে সংঘটিত অনিয়ম-দুর্নীতির তদন্তে কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিতে শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দিনকে আহ্বায়ক করা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বিষয়টি নিশ্চিত করেন। এর আগে এই বিষয়ে ডেপুটি রেজিস্টার মোহাম্মদ মশিরুল ইসলামের সই করা একটি উন্মুক্ত বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়। কমিটির আহ্বায়কের কাছে আগামী ৩০ জুনের মধ্যে তথ্য প্রমাণসহ জমা দেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, যদি কারো কাছে ২০০৯ সাল থেকে আগস্ট ২০২৪ সাল পর্যন্ত শিক্ষক, কর্মকর্তা ও কর্মচারী নিয়োগ এবং পদোন্নতি বা আপগ্রেডেশনের ক্ষেত্রে কোনো ধরনের দুর্নীতি বা অনিয়ম সংক্রান্ত তথ্য ও প্রমাণ থাকলে—সেই সংক্রান্ত তথ্য ও প্রমাণ আগামী ৩০ জুনের মধ্যে জমা দিতে হবে। অভিযোগপত্র সিলগালাকৃত খামে জমা দিতে বলা হয় এবং তথ্য প্রদানকারীর পরিচয় গোপন রাখা হবে বলেও জানানো হয়।
আরও পড়ুন: ত্রৈমাসিক সেরা রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন জবিসাসের ৬ সাংবাদিক
বিশ্ববিদ্যালয়ের সূত্র জানা যায়, বিগত দেড় দশক ধরে কিছু নিয়োগ ও পদোন্নতির স্বচ্ছতা নিয়ে অভিযোগ উঠেছে। প্রশাসনের এমন পদক্ষেপকে ইতিবাচক বলছেন সংশ্লিষ্টরা, যা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি প্রতিষ্ঠায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
২২০ দিন আগে
ত্রৈমাসিক সেরা রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেলেন জবিসাসের ৬ সাংবাদিক
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির (জবিসাস) ত্রৈমাসিক সেরা রিপোর্টিং অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন সংগঠনটির ৬ সাংবাদিক। দৈনিক সর্বোচ্চ রিপোর্ট ও বিশেষ রিপোর্ট ক্যাটাগরিতে এই অ্যাওয়ার্ড দেওয়া হয়েছে। এ সময় সাংবাদিকতার বুনিয়াদি কর্মশালায় অংশগ্রহণকারীদের সনদ প্রদান করা হয়।
বৃহস্পতিবার (২২ মে) সকাল সাড়ে ৯টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে এ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।
ত্রৈমাসিক বিশেষ রিপোর্টিংয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন দৈনিক কালের কণ্ঠের সাংবাদিক মো. জুনায়েত শেখ, দ্বিতীয় স্থান দৈনিক কালবেলার সাংবাদিক তানজিম মাহমুদ এবং তৃতীয় স্থান দৈনিক সময়ের আলোর সাংবাদিক মোশফিকুর রহমান ইমন।
ত্রৈমাসিক সর্বোচ্চ রিপোর্টিংয়ে প্রথম স্থান অধিকার করেছেন দৈনিক বাংলাদেশের খবরের সাংবাদিক জান্নাতুন নাইম, দ্বিতীয় স্থান দ্য ডেইলি স্টারের সাংবাদিক রাকিব মাদবর এবং তৃতীয় স্থান অর্জন করেছেন চ্যানেল-২৪ এর সাংবাদিক তাহমিদ আব্দুল্লাহ রাদ।
এ অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান হুসাইন এবং সঞ্চালনা করেন সাংবাদিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাহতাব হোসেন লিমন।
বিশেষ অতিথি হিসেবে দৈনিক সময়ের আলোর চিফ রিপোর্টার ও জবিসাসের প্রতিষ্ঠাকালীন সাধারণ সম্পাদক এম মামুন হোসেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র কল্যাণ পরিচালক ড. রিফাত হোসেন, জনসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক ড. আনওয়ারুস সালাম, ইতিহাস বিভাগের অধ্যাপক ড. বেলাল হোসেন উপস্থিত ছিলেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. মো. রইছ উদ্দীন বলেন, ফ্যাসিবাদী সরকারের সময়ে কেউ কথা বলত না। তখনও আমাদের সাংবাদিকরা কলম ধরেছে, তাদের এই কাজ যারা ফ্যাসিবাদবিরোধী মনোভাব পোষণ করত, তােদর জন্য অনুপ্রেরণা ছিল।
তিনি বলেন, একজন রিপোর্টারের নীতি হবে অনিয়ম দুর্নীতির বিরুদ্ধে লেখা। সকল বাধাকে সততার সঙ্গে মোকাবেলা করা। সাংবাদিককে নির্মোহ হতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
আরও পড়ুন: ২৩ দিনের লম্বা ছুটিতে যাচ্ছে জবি
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. সাবিনা শরমীন বলেন, সাংবাদিকতায় সকল বিভাগের শিক্ষার্থী আসে। সাংবাদিকতার কর্মশালায় যারা অন্য বিভাগ থেকে আসে তাদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। লেখনিতে ভালো কাজের সুনাম ও মন্দ কাজের সমালোচনা করতে হবে। কিন্তু সেক্ষেত্রে প্রথমে মনে রাখা দরকার প্রথমে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী, পরে রিপোর্টার।
এসময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো রেজাউল করিম বলেন, সাংবাদিকতার নীতি ও দায়বদ্ধতা সাংবাদিকদের অনুধাবন করতে হবে। তবেই এ পেশায় এগিয়ে যাওয়া সম্ভব হবে। আমরা যে কাজেই যাই, সেটা অনুধাবন করতে হবে। সাংবাদিকতা করতে হবে ফ্যাক্টভিত্তিক। ক্যাম্পাস রিপোর্টারদের সত্যকে তুলে ধরার আহ্বান জানান তিনি।
এ ছাড়া অনুষ্ঠানে সনদ গ্রহণকারী শিক্ষার্থী এবং সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
২২০ দিন আগে
১৪ বছর পর নিয়োগ পেলেন বাকৃবির ৫ শিক্ষক
বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) দীর্ঘ ১৪ বছর পর সহকারী অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ পেয়েছেন বাকৃবির পাঁচজন।
নবনিযুক্ত ৫ জন শিক্ষক হলেন—ইন্টারডিসিপ্লিনারি ইনস্টিটিউট ফর ফুড সিকিউরিটির সহকারী অধ্যাপক ড. অনিরুদ্ধ সরকার, কৃষিতত্ত্ব বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা, পশু প্রজনন ও কৌলিবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম, কৃষি সম্প্রসারণ শিক্ষা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. লামিউর রায়হান, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মো. সাইফুল ইসলাম সাইফ।
ওই পাঁচ শিক্ষক অভিযোগ করে জানান, যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ছাত্রদলের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থাকার কারণেই তারা নিয়োগ বঞ্চিত ছিলেন। এরপর আমরা দেশের বাইরে চলে যাই। দেশের বাইরে অনেক সুযোগের হাতছানি থাকার পরও বৈষম্যহীন, স্বচ্ছ ও মেধাভিত্তিক দেশ গড়ার স্বপ্নেই আমরা দেশে ফিরে এসেছি। আমাদের ফিরে আসার সিদ্ধান্ত কোনো দলীয় বা সুবিধাবাদী সিদ্ধান্ত নয়। আমরা ক্যারিয়ারের অনেক বড় আপস করেই এসেছি। তাই আমাদের নিয়োগকে দলীয় সুবিধা ভাবার কোনো সুযোগ নেই।
নবনিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক ড. অনিরুদ্ধ সরকার বলেন, ‘২০১১ সালে অনার্সে পঞ্চম ও মাস্টার্সে প্রথম হওয়া সত্ত্বেও আমাকে দুইবার শিক্ষক নিয়োগ থেকে বাদ দেওয়া হয়েছিল, শুধুমাত্র আমি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটিতে ছিলাম বলে। আমার চেয়ে কম মেধাবী প্রার্থীরাও তখন নিয়োগ পেয়েছিল। এমনকি রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে এনএসআই ভেরিফিকেশনেও চারটি সরকারি চাকরি হাতছাড়া হয়।’
নবনিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক ড. মাসুদ রানা বলেন, ‘২০১১ সালে কৃষি অনুষদের অনার্সে তৃতীয় স্থান অর্জন করে স্বর্ণপদক পেয়েছিলাম। কিন্তু জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কমিটিতে থাকার কারণে আমাকে দুইবার শিক্ষক নিয়োগ থেকে বঞ্চিত করা হয়।’
নবনিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক ড. শরিফুল ইসলাম বলেন, ‘২০১২ সালে অনার্সের দ্বিতীয় বর্ষে থাকাকালীন আমি জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ছিলাম। এজন্য ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা আমাকে হল থেকে বের করে দেয়। বাইরে ভাড়া বাসায় থেকে অনার্সে প্রথম হই। পরে ডেনমার্ক থেকে উচ্চশিক্ষা গ্রহণ করি। ২০১৮ সালে শিক্ষক নিয়োগের বিজ্ঞপ্তি হলে আবেদন করি, কিন্তু আমার চেয়ে পিছিয়ে থাকা একজনকে বাছাই করা হয়েছিল। বর্তমান প্রশাসনকে ধন্যবাদ, আমাদের দেশের সেবা করার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।’
নবনিযুক্ত সহকারী অধ্যাপক ড. লামিউর রায়হান বলেন, ‘২০০৯-১০ সালে অনার্স এবং ২০১৫ সালে মাস্টার্স সম্পন্ন করি ৪.০০ সিজিপিএ পেয়ে। আমি প্রেসিডেন্ট গোল্ড মেডেলও পেয়েছি। ২০১১ সালের ৫ জুন ছাত্রলীগের অপকর্মের প্রতিবাদ করায় আমাকে ও আরও ৬৬ জনকে হল থেকে বের করে দেওয়া হয়। ছাত্রলীগের কর্মীদের হামলায় আমার হাত ও পা ভেঙে যায়। অনেক নির্যাতনের মধ্যে অনার্স ও মাস্টার্স শেষ করি। ২০১৫ সালের শিক্ষক নিয়োগের মৌখিক পরীক্ষার সময়, তৎকালীন উপাচার্যের পাশের কক্ষে থাকা অবস্থায় ছাত্রলীগের তৎকালীন সভাপতি বাবুসহ ৮ জন অস্ত্রসহ এসে আমাকে হুমকি দিয়ে চলে যেতে বলে। তারা বলে, না গেলে গুলি করবে। তৎকালীন প্রক্টর ও প্রশাসন কোনো সহায়তা করেনি। পরে পুলিশ এসে আমাকে ক্যাম্পাসের বাইরে নিয়ে যায়। অসংখ্য শহীদ ও সাধারণ শিক্ষার্থীর ত্যাগে আজ আমরা নতুন বাংলাদেশ গড়ার সুযোগ পেয়েছি।’
জানা যায়, ২০১২ সালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ২৯৮তম সিন্ডিকেট সভার মাধ্যমে কিছু নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল, যা নিয়ে ব্যাপক বিতর্ক ও অভিযোগ ওঠে। অভিযোগ ছিল, মেধাবী প্রার্থীদের উপেক্ষা করে প্রভাবশালী শিক্ষকদের ঘনিষ্ঠজনদের অগ্রাধিকার দিয়ে নিয়োগ দেওয়া হয়। এসব অনিয়ম বাকৃবির ভাবমূর্তিতে বড় ধাক্কা দিয়েছিল।
বাকৃবি উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, ‘এটি শুধু পাঁচজনের নিয়োগ নয়, এটি বাকৃবির জন্য একটি নৈতিক বিজয়। এই ধারাবাহিকতা বজায় থাকলে বিশ্ববিদ্যালয় আবার তার হারানো গৌরব ফিরে পাবে।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি নিজেও অনার্সে প্রথম হয়েছিলাম, তাই মেধার মূল্য কতটা তা জানি। বিগত ১৪ বছর মেধাবী অনেকেই ধর্ম, আদর্শ কিংবা রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে বঞ্চিত হয়েছেন। আমরা চেষ্টা করেছি অন্তত কিছুটা হলেও সেই অবিচার দূর করতে। এই উদ্যোগ যেন দেশের সব উচ্চশিক্ষা প্রতিষ্ঠানের জন্য প্রেরণাদায়ী হয় কারণ মেধা যেখানে সম্মান পায়, সেখানেই গড়ে ওঠে জাতির ভিত্তি।’
২২১ দিন আগে
যবিপ্রবিতে প্রযুক্তিখাতের নারীদের উন্নয়নে সেমিনার অনুষ্ঠিত
তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তিখাতে নারীদের ক্যারিয়ার ও নেতৃত্বের ভূমিকায় অগ্রগতি অর্জনের জন্য কৌশলসমূহ নিয়ে যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (যবিপ্রবি) সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে।
মঙ্গলবার (২০ মে) সকাল ১১টায় যবিপ্রবির সিএসই বিভাগের ডিজিটাল ক্লাসরুমে ‘স্ট্রাটেজিস ফর উইমেন ইন আইসিটি টু অ্যাডভ্যান্স দেয়ার ক্যারিয়ারস অ্যান্ড লিডারশিপ রুলস’ শীর্ষক সেমিনারটি আয়োজন করে যবিপ্রবির কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল (সিএসই) বিভাগ ও ইমপ্রুভিং কম্পিউটার অ্যান্ড সফটয়্যার ইঞ্জিনিয়ারিং টারসিয়ারি এডুকেশন প্রজেক্ট (আইসিএসইটিইপি)।
সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যবিপ্রবির উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুল মজিদ। তিনি বলেন, বর্তমানে দেশ গঠনে নারীদের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। সকল বাধা পেরিয়ে দেশ তথা জাতি গঠনে নারীদের এগিয়ে আসতে হবে। আমাদের এই বিভাগের নারী শিক্ষার্থীরা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে এগিয়ে যাবে এবং বিশ্বের বুকে যবিপ্রবির নাম উজ্জ্বল করবে। এই সেমিনার থেকে শিক্ষার্থীরা দক্ষতা অর্জনের পাশাপাশি নেতৃত্বগুণে এগিয়ে যাবে এবং পরিবারের স্বপ্ন পূরণ করবে বলে আমি মনে করি।
শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে তিনি বলেন, তোমাদের হাত ধরেই যবিপ্রবি হবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তিতে দেশের সেরা বিশ্ববিদ্যালয়।
সেমিনারে রিসোর্স পার্সন হিসেবে উপস্থিত ছিলেন আইসিএসইটিইপির উইমেন আইটি লিডারশিপ স্পেশালিস্ট অধ্যাপক ড. শাহিনা সুলতানা ও স্যামসাং ইলেকট্রনিক্সের সিনিয়র সফটওয়ার ইঞ্জিনিয়ার কানজুম আতিয়া বিনতি।
বক্তারা তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি খাতে নারীদের ক্যারিয়ার এবং নেতৃত্বের ভূমিকায় অগ্রগতি অর্জনের জন্য কৌশলসমূহ ও শিক্ষার্থীদের ক্যারিয়ার উন্নয়ন বিষয়ে বিস্তারিত আলোকপাত করেন।
কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের অধ্যাপক ও আইসিএসইটিইপির পিইইউ ড. মো. আলম হোসেনের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন যবিপ্রবির কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. হোসেন আল মামুন, সিএসই বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মো. কামরুল ইসলাম।
সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন প্রকৌশল ও প্রযুক্তি অনুষদের ডিন ড. মো. আমজাদ হোসেন, সিএসই বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. নাজমুল হোসাইন, ড. মোহাম্মদ নওশীন আহমেদ শেখ, ড. মো. নাসিম আদনান, প্রভাষক এসকে. সালাউদ্দিন কবির, জুবায়ের আল মাহমুদসহ বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। সেমিনারটি পরিচালনা করেন সিএসই বিভাগের প্রভাষক আবু রাফে মো. জামিল।
২২২ দিন আগে
সাম্য হত্যার বিচারসহ ঢাবি শিক্ষার্থীদের চার দাবি
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) এ এফ রহমান হল ছাত্রদলের নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডর ঘটনা রাষ্ট্রীয় অব্যবস্থাপনার বহিঃপ্রকাশ বলে অভিযোগ করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়টির একদল শিক্ষার্থী। এ সময়ে সাম্য হত্যার বিচার নিশ্চিতসহ চার দফা দাবি জানিয়েছেন তারা।
সাম্য হত্যাকাণ্ডর দ্রুত বিচার, দোষীদের গ্রেপ্তারে প্রশাসনিক গাফিলতি, বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতা, দেশজুড়ে নাগরিক নিরাপত্তার বেহাল দশা এবং নিরাপদ ক্যাম্পাসের প্রসঙ্গে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন অভিযোগ করা হয়েছে।
সোমবার (১৯ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারের সামনে ‘সন্ত্রাসবিরোধী শিক্ষার্থীবৃন্দ’ ব্যানারে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়েছে। এতে তারা সাম্য হত্যাকাণ্ডের একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী তদন্তের দাবি জানান।
এ ছাড়া, প্রকৃত খুনিদের গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা, তদন্তের প্রতিটি ধাপ জনসমক্ষে তুলে ধরা এবং দায়িত্বহীনতার জন্য বিশ্ববিদ্যালয়র প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগের জবাবদিহিতা নিশ্চিতের দাবি জানান শিক্ষার্থীরা।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যলয়ে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ড, রাতের আধাঁরে শেখ হাসিনার ঘৃণাস্তম্ভে গ্রাফিতি মুছে ফেলা, বিশ্ববিদ্যালেয়ের চারুকলার শোভাযাত্রার মোটিফে আগুন দেওয়ার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনের গাফিলতিকে দায়ী করেন শিক্ষার্থীরা।
সম্মেলনে শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করেন, ৫ আগস্টের পর থেকে দেশজুড়ে রাষ্ট্রীয় কাঠামোতে নানা স্তরে গভীর শূন্যতা ও সংকট দেখা দিয়েছে এবং বিচারহীনতার সংস্কৃতি, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তার বেহাল দশা ও অপরাধপ্রবণতা বাড়ছে।
এতে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সূর্যসেন হলের শিক্ষার্থী আবিদুর রহমান মিশু। তিনি বলেন, ‘এই হত্যাকাণ্ডের একটি স্বচ্ছ, নিরপেক্ষ ও সময়োপযোগী তদন্ত নিশ্চিত করতে হবে। প্রকৃত খুনিদের অবিলম্বে গ্রেপ্তার করে আইনের আওতায় আনা হবে। তদন্তের প্রতিটি ধাপ জনসম্মুখে তুলে ধরা এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও পুলিশ বিভাগকে তাদের দায়িত্বহীনতার জন্য জবাবদিহির আওতায় আনা।’
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যা নিয়ে ধোঁয়াশা, প্রধান আসামি গ্রেপ্তার না হলেও পুরস্কৃত পুলিশ
তিনি আরও বলেন, ‘সাম্য ছিল একজন সদা সক্রিয় তরুণ, যিনি গত জুলাই গণঅভ্যুত্থানে সাহসী ভূমিকা রেখেছিলেন। এই হত্যাকাণ্ড তাই ব্যক্তিগত শোক নয়, এটি আমাদের জুলাই গণঅভ্যুত্থানের বুকে এক রক্তাক্ত আঘাত। আমরা এই হত্যাকাণ্ডের ন্যায় বিচার চাই। পাশাপাশি আমরা চাই এই হত্যার পেছনে কাঠামোগত ব্যর্থতা ও প্রশাসনিক গাফিলতির ও স্থায়ী সংস্কার।’
চার দফা দাবিগুলো হলো— দ্রুততম সময়ে শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচার নিশ্চিত করা, দায়িত্বগ্রহণের পর গত নয় মাসে ক্যাম্পাসে দুই হত্যাকাণ্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা নিশ্চিতে ব্যর্থতার দায় স্বীকার করে ক্ষমা চেয়ে ভিসি ও প্রক্টরের পদত্যাগ, গত নয় মাসে তোফাজ্জল হত্যাকাণ্ডসহ বিশ্ববিদ্যালয়ের নিরাপত্তা বিঘ্নকারী সব ঘটনার যথাযথ বিচার নিশ্চিত করা এবং ক্যাম্পাস এবং নাগরিক নিরাপত্তা নিশ্চিতে কাঠামোগত ও নীতিগত সংস্কার, আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সংস্কার, মাদক-সন্ত্রাস দমন, নিরাপত্তাকর্মী নিয়োগ ও প্রশিক্ষণ বৃদ্ধি এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও উদ্যানে নিরাপত্তা ব্যবস্থাকে প্রযুক্তিনির্ভর করাসহ সার্বিক তৎপরতা বৃদ্ধি করা।
২২৩ দিন আগে
শাবিপ্রবিতে শিক্ষার্থীদের ক্লাস বর্জন ও বিভাগে তালা
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (শাবিপ্রবি) তাজবিউল ইসলাম নামের এক অযোগ্য প্রার্থীকে অনিয়মের মাধ্যমে পেট্রোলিয়াম অ্যান্ড মাইনিং ইঞ্জিনিয়ারিং (পিএমই) বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়ার ঘটনায় সত্যতা পেয়েছে তদন্ত কমিটি।
তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পরেও বিভাগে যোগদানের চিঠি দিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে ওই বিভাগে তালা দিয়েছেন শিক্ষার্থীরা। এমনকি অযোগ্য শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল না করা পর্যন্ত ক্লাস পরীক্ষা বর্জন করেছেন বলে জানিয়েছেন তারা।
জানা যায়, গত বছরের জুন মাসে তাজবিউল ইসলাম নামের এক প্রার্থীকে পিএমই বিভাগে নিয়োগ দেন তৎকালীন প্রশাসন। তিনি ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং সায়েন্স অ্যান্ড টেকনোলজি (আইআইইএসটি), শিবপুর থেকে স্নাতক ডিগ্রিধারী। স্নাতকে তিনি সিজিপিএ ৭.৩৫ অর্জন করেন। ভারতের ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে মোট সিজিপিএ ১০ পয়েন্টে হিসাব করা হলেও শাবিপ্রবিসহ দেশের অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয়ে তা ৪ পয়েন্টের।
বিজ্ঞপ্তি অনুযায়ী, আবেদনকারীর যোগ্যতা চাওয়া হয় স্নাতক সিজিপিএ কমপক্ষে ৩.৫০। কিন্তু তাজবিউলের স্নাতকের সিজিপিএ ৭.৩৫-কে সিজিপিএ ৪-এ পরিবর্তন করলে তা ৩.৫০-এর চেয়ে কম হয়। তবে নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করেই ওই বিভাগের প্রভাষক পদে নিয়োগ দেওয়া হয় তাজবিউলকে।
আরও পড়ুন: শাবিপ্রবির শিক্ষককে মারধরের প্রতিবাদে শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ, আটক ১
এ নিয়ে এ নিয়ে গত বছরের ৯ অক্টোবর তদন্ত কমিটি গঠন করেন বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। তদন্তে ও ২৩৫তম সিন্ডিকেটে অনিয়ম প্রমাণিত হওয়ার পরেও স্বপদে বহাল আছেন এই শিক্ষক। ফলে বিরূপ প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে এই বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের মাঝে।
পিএমই বিভাগের শিক্ষার্থী সাইদুল ইসলাম বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন দাবি জানিয়ে আসছি এই অযোগ্য শিক্ষকের নিয়োগ বাতিল করার জন্য। দ্রুত তার নিয়োগ বাতিল করার দাবি জানিয়ে আমরা ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করেছি।’
এ ব্যাপারে পিএমই বিভাগের বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তদন্তে প্রমাণিত ও সিন্ডিকেট সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরেও এই ক্যান্ডিডেটকে চিঠি দিয়েছে বিভাগে যোগদান করার জন্য। দীর্ঘদিন আমাদের বিভাগের শিক্ষার্থীরাও দাবি জানিয়ে আসছেন কিন্তু কিছুই হচ্ছে না।’
২২৪ দিন আগে
শাহবাগ ছেড়েছে ছাত্রদল, যান চলাচল স্বাভাবিক
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের (ঢাবি) ছাত্রদল নেতা শাহরিয়ার আলম সাম্য হত্যার প্রতিবাদে এবং দ্রুত বিচার দাবিতে রাজধানীর শাহবাগ মোড় টানা দুই ঘণ্টা অবরোধ করে রাখে ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। পরে তারা শাহবাগ ছেড়ে যায়, এতে আশেপাশের যান চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে।
রবিবার (১৮ মে) বিকাল পৌনে ৪টায় তারা শাহবাগ মোড়ে অবস্থান নেন এবং প্রায় দেড় ঘণ্টা ধরে সেখানে বিক্ষোভ চালায়। এতে আশপাশের এলাকায় তীব্র যানজটের সৃষ্টি হয়। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে তারা অবরোধ তুলে নেন।
বিক্ষোভকারীরা ‘সাম্য হত্যার বিচার চাই’, ‘উই ওয়ান্ট জাস্টিস’, ‘দায়িত্বজ্ঞানহীন প্রশাসন নিপাত যাক’ প্রভৃতি স্লোগানে মুখর করে তোলে শাহবাগ এলাকা। আন্দোলনে ঢাবিসহ রাজধানীর বিভিন্ন ইউনিটের ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
আন্দোলনকারীরা সাম্য হত্যাকাণ্ডের প্রকৃত অপরাধীদের শনাক্ত ও বিচার, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ড. নিয়াজ আহমেদ খান এবং প্রক্টর ড. সাইফুদ্দীন আহমেদের পদত্যাগের দাবি জানান।
ছাত্রদলের নেতারা অভিযোগ করেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের উদাসীনতা ও অব্যবস্থাপনার কারণেই এই হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হয়েছে। তাদের অভিযোগ, ক্যাম্পাসে নিরাপত্তাহীনতা দিন দিন বাড়ছে। এর আগে একই দাবিতে কালো পতাকা মিছিল করেছে ঢাবি ছাত্রদল।আরও পড়ুন: ঢাবির সাম্য হত্যাকাণ্ড: ৬ দিনের রিমান্ডে তিনজন
দুপুর ২ টার দিকে ঢাবির ছাত্র শিক্ষক কেন্দ্র (টিএসসি) থেকে মিছিলটি শুরু হয়ে ক্যাম্পাসের বিভিন্ন এলাকা প্রদক্ষিণ করে অপারেজেয় বাংলায় সংক্ষিপ্ত বক্তব্যের মাধ্যমে শেষ হয়।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদলের সভাপতি গণেশ চন্দ্র রায় সাহস বলেন, ‘যে প্রশাসনের ওপর ছাত্রসংগঠনগুলোর আশা ভরসা ছিল, সেই আশা ভরসার জায়গা নষ্ট করেছে এই ভিসি-প্রক্টর।’
এদিকে, জাতীয়তাবাদে বিশ্বাসী শিক্ষক সংগঠন ‘সাদা দল’ সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম দিয়েছে।
অপরাজেয় বাংলার পাদদেশে মানববন্ধনে সংগঠনের আহ্বায়ক ড. মোর্শেদ হাসান খান বলেন, ‘সাম্য হত্যা আইওয়াশ গ্রেপ্তারে ধামাচাপা দেওয়া হচ্ছে। প্রকৃত খুনিকে খুঁজে বের না করলে আমরা কঠোর আন্দোলনে যাব।’
২২৪ দিন আগে
অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন না হলে আন্দোলনের হুঁশিয়ারি সাত কলেজের
ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটির জন্য অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারির জন্য আগামীকাল রবিবার পর্যন্ত সময়সীমা বেঁধে দিয়েছেন সাত কলেজের শিক্ষার্থীরা। বেঁধে দেওয়া সময়ের মধ্যে প্রজ্ঞাপন না হলে সোমবার থেকে কঠোর আন্দোলনের হুঁশিয়ারিও দিয়েছেন তারা।
তবে ছাত্র প্রতিনিধিরা জানান, তারা এবার দাবি আদায়ের সময় জনদুর্ভোগ এড়াতে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ঘেরাওয়ের কর্মসূচি পালন করবে। শনিবার (১৭ মে) ইডেন মহিলা কলেজের ভেতরে ১ নম্বর ফটকের কাছে এক সংবাদ সম্মেলনে এই ঘোষণা দেওয়া হয়।
সংবাদ সম্মেলন থেকে পাঁচটি দাবি জানানো হয়। দাবিগুলোর মধ্যে রয়েছে-
• অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের প্রজ্ঞাপন জারি• অন্তর্বর্তী প্রশাসকের নিয়োগ প্রক্রিয়া চূড়ান্ত হওয়ার পর সেশনজট নিরসনসহ সামগ্রিক বিষয় নিয়ে একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশের পাশাপাশি ভুতুড়ে ফলের সমাধান• বিভিন্ন ইস্যুতে অতিরিক্ত ফি আদায় বন্ধসহ যাবতীয় অসংগতিগুলো স্পষ্টভাবে সমাধানের উদ্যোগ গ্রহণ• অন্তর্বর্তী প্রশাসন গঠনের পরবর্তী দুই কার্যদিবসের মধ্যে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি পরীক্ষা আয়োজনের উদ্যোগ গ্রহণ• আগামী পাঁচ কার্যদিবসের মধ্যে ঢাকা কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের রূপরেখা ও লোগো/মনোগ্রাম প্রকাশ এবং আগামী এক মাস তথা ১৬ জুনের মধ্যে নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাদেশ জারি ও ২০২৫-২৬ অর্থবছরের বাজেটে নবগঠিত বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অর্থ বরাদ্দ দেওয়া।
আরও পড়ুন: সাত কলেজ নিয়ে যৌক্তিক সমাধান আসবে: ইউজিসি চেয়ারম্যান
বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজের শিক্ষার্থী জাফরিন আক্তার ও ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আবিদ হাসান সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করে শোনান।
ঢাকার এই সাত সরকারি কলেজ হলো- ঢাকা কলেজ, ইডেন মহিলা কলেজ, সরকারি শহীদ সোহরাওয়ার্দী কলেজ, কবি নজরুল সরকারি কলেজ, বেগম বদরুন্নেসা সরকারি মহিলা কলেজ, সরকারি বাঙলা কলেজ ও সরকারি তিতুমীর কলেজ। এসব কলেজে শিক্ষার্থী প্রায় দুই লাখ। শিক্ষক এক হাজারের বেশি।
উল্লেখ্য, এই কলেজগুলো একসময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষাকার্যক্রম পরিচালনা করে আসছিল। পরে ২০১৭ সালের ১৭ ফেব্রুয়ারি রাজধানীর এই সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধিভুক্ত করা হয়।
তবে অধিভুক্তির পর থেকে যথাসময়ে পরীক্ষা নেওয়া, ফল প্রকাশসহ বিভিন্ন দাবিতে সময়-সময় আন্দোলন করে আসছিলেন এসব কলেজের শিক্ষার্থীরা। বিগত আট বছরে সমস্যাগুলো বড় আকারে রূপ নেয়। শুরু হয় নানা আন্দোলন।
সবশেষ সাত কলেজের শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের পরিপ্রেক্ষিতে গত জানুয়ারিতে এই সাত কলেজকে আবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা করার কথা জানায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
চলতি বছরের ১৬ মার্চ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় অধিভুক্ত সাত কলেজকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে পৃথকীকরণ এবং কলেজগুলোর জন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের সমকক্ষ একটি স্বতন্ত্র প্রাতিষ্ঠানিক কাঠামোর রূপরেখা প্রণয়নের লক্ষ্যে একটি সভা করে বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
এর আগে গত ১৮ ফেব্রুয়ারি সাত কলেজের সমন্বয়ে একটি পূর্ণাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় করার লক্ষ্যে শিক্ষক, শিক্ষার্থী ও সংশ্লিষ্ট সব অংশীজনের কাছে প্রস্তাবিত বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান করেছিল বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।
আরও পড়ুন: সাত কলেজ সমন্বয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের নাম আহ্বান ইউজিসির
বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ জানিয়েছিল, ২০২৪-২৫ শিক্ষাবর্ষ থেকে এসব কলেজে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে না। অর্থাৎ, উল্লেখিত সেশন থেকেই সাত কলেজ নিয়ে নতুন করে গঠিত ‘ঢাকা সেন্ট্রাল ইউনিভার্সিটিতে’ শিক্ষার্থী ভর্তি করা হবে।
শিক্ষার্থীরা আরও দাবি করেছে, নতুন বিশ্ববিদ্যালয়ের জন্য অধ্যাদেশ ১৬ জুনের মধ্যে জারি ও নবগঠিত প্রতিষ্ঠানের জন্য বরাদ্দ ২০২৫-২৬ অর্থবছরের জাতীয় বাজেটে অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।
২২৫ দিন আগে
বাকৃবির গবেষণায় মানুষের অন্ত্রে ক্ষতিকর পরজীবী শনাক্ত
মানুষের অন্ত্রে ক্ষতিকর কয়েকটি পরজীবী জীবাণুর সংক্রমণের প্রমাণ পেয়েছে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (বাকৃবি) প্যারাসাইটোলজি বিভাগের একদল গবেষক। বিশেষ করে বস্তির ঘনবসতিপূর্ণ এলাকার মানুষের মধ্যে এই জীবাণুর সংক্রমণের প্রবণতা বেশি। এমনকি সেখানকার প্রাণীদের শরীরেও এর উপস্থিতির প্রমাণ পেয়েছে গবেষক দলটি।
ময়মনসিংহ শহরের রেলওয়ে কলোনি-সংলগ্ন একটি বস্তি এলাকার মানুষ ও প্রাণীর ওপর গবেষণাটি পরিচালিত হয়। এই গবেষণায় স্বাস্থ্যঝুঁকি বিষয়ে এমন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উঠে এসেছে যা রোগ নিয়ন্ত্রণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে মনে করেন গবেষকরা।
বাকৃবির প্যারাসাইটোলজি বিভাগের অধ্যাপক ড. সহিদুজ্জামানের নেতৃত্বে গবেষক দলে ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভেটেরিনারি অনুষদের স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থী বেনী আমীন ও স্নাতক শিক্ষার্থী মো. আশিকুজ্জামান।
অধ্যাপক ড. সহিদুজ্জামান ইউএনবিকে বলেন, “আমাদের এই গবেষণাটি বাংলাদেশের জনস্বাস্থ্য গবেষণার ক্ষেত্রে একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ। এটি স্পষ্টভাবে দেখিয়ে দেয়, মানুষ, প্রাণী ও পরিবেশ—এই তিনটিকে আলাদা করে না দেখে ‘ওয়ান হেলথ’ দৃষ্টিভঙ্গি থেকে একসঙ্গে বিবেচনা করা জরুরি।”
গবেষণাটির পদ্ধতি সম্পর্কে বেনী আমীন বলেন, ‘রেলওয়ে কলোনি-সংলগ্ন বস্তি এলাকার হাঁস-মুরগি, গরু-ছাগল, কবুতরসহ শিশু ও বয়স্কদের মল, পানির নমুনা ও মাটির ১০২টি নমুনা সংগ্রহ করে গবেষণাটি পরিচালনা করা হয়। পশুপাখি থেকে কিছু কিছু জীবাণু মানুষের মধ্যে ছড়িয়ে যেতে পারে। আমরা এই জীবাণুগুলোই শনাক্ত করার চেষ্টা করেছি।’
আশিকুজ্জামান বলেন, “সংগৃহীত নমুনাগুলো ল্যাবরেটরিতে এনে প্রথমে ডিএনএ নিষ্কাশন করা হয়। পরে ‘পিসিআর ও সিকোয়েন্সিং’ পদ্ধতি প্রয়োগের মাধ্যমে ক্ষতিকর জীবাণুগুলো শনাক্ত করা হয়েছে।’
গবেষণার ফলাফল সম্পর্কে অধ্যাপক সহিদুজ্জামান বলেন, ‘গবেষণায় মানবদেহে ডায়রিয়া সৃষ্টি করতে সক্ষম—এমন তিনটি অন্ত্রে বসবাসকারী পরজীবী, যথা: ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম, ব্লাস্টোসিস্টিস ও জিয়ারডিয়ার প্রজাতি ও উপপ্রজাতি (সাব টাইপ) শনাক্ত হয়। এসব জীবাণুর জিনগত বৈশিষ্ট্য বিশ্লেষণ করে আমরা দেখতে পাই, কিছু কিছু উপপ্রজাতি পশুপাখি থেকে মানুষে, আবার মানুষ থেকে পশুপাখিতে সংক্রমিত হতে পারে।’
আরও পড়ুন: সনদ পেলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ নেপালি শিক্ষার্থী
এ ছাড়া, পয়নিষ্কাশনের পানি, দূষিত মাটি ও মল থেকে জীবাণু পুকুর, ডোবা বা নালায় ছড়িয়ে পড়তে পারে। ওই পানিতে গোসল করা, কাপড় পরিষ্কার করা বা বাসনপত্র ধোয়ার সময় মানুষ সংক্রমিত হতে পারে বলে জানান তিনি।
গবেষণায় আরও উঠে এসেছে, পরিত্যক্ত আবর্জনা থেকে গরু-ছাগলসহ অন্যান্য প্রাণী এসব পরজীবীতে আক্রান্ত হচ্ছে। পরে সেগুলোর সংস্পর্শে এসে মানুষেরও সংক্রমিত হওয়ার সম্ভাবনা তৈরি হচ্ছে।
ওই জীবাণুগুলোর সংক্রমণের কারণ নিয়ে অধ্যাপক সহিদুজ্জামান বলেন, ‘বস্তি এলাকার অপরিকল্পিত পয়ঃনিষ্কাশন, যত্রতত্র পশুপাখির বিচরণ ও ময়লা-আবর্জনার কারণে সৃষ্ট অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ এসব পরজীবীর সংক্রমণের অনুকূল অবস্থা সৃষ্টি করছে। এসব দূষিত পানি ও মাটির সংস্পর্শে এসে মানুষ ও প্রাণী উভয়েই স্বাস্থ্যঝুঁকিতে পড়তে পারে।’
তিনি জানান, গবেষণায় ব্লাস্টোসিস্টিসের সর্বাধিক উপস্থিতি পাওয়া গেছে। এটি ২৪টি নমুনায় শনাক্ত হয়েছে। মানব শরীরে এর উপস্থিতি তুলনামূলক কম হলেও ছাগল, গরু ও হাঁস-মুরগির মধ্যে এটির ব্যাপক উপস্থিতি দেখা যায়। ছাগলের মধ্যে এই পরজীবীর উপস্থিতি ছিল শতভাগ, যা গবেষকদের বিস্মিত করেছে।
তিনি বলেন, ‘গবেষণায় ব্লাস্টোসিস্টিসের সাতটি ভিন্ন সাব টাইপ চিহ্নিত করা হয়েছে, যার মধ্যে এসটি২ ও এসটি৩ শুধু মানুষের দেহে পাওয়া গেছে, আর এসটি২৩ ও এসটি২৪ প্রাণী ও পাখির দেহে পাওয়া গেছে। একই বাড়ির মধ্যে থাকা ছাগল ও মুরগির শরীরে একই রকম উপপ্রজাতি পাওয়া গেছে।’
‘বিভিন্ন পশু ও পাখির দেহে একই ধরনের ব্লাস্টোসিস্টিসের সাবটাইপের উপস্থিতি এসব পশু-পাখির মধ্যে সংক্রমণের বিষয়টিকে প্রমাণ করে।’
ওই গবেষক আরও জানান, ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম ধরা পড়েছে ৮টি নমুনায়, যার মধ্যে একটি ছিল মানুষের নমুনা। ওই রোগীর শরীরে ‘ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম পারভাম’ এর একটি বিশেষ সাব টাইপ শনাক্ত হয়েছে, যা সাধারণত প্রাণীর মাধ্যমে মানবদেহে সংক্রমিত হয়। এ ছাড়াও তিনটি ছাগল ও তিনটি মুরগির শরীরেও এই পরজীবীটি পাওয়া গেছে। মাটির একটি নমুনায় ‘ক্রিপ্টোস্পোরিডিয়াম মেলিয়াগ্রেডিস’ পাওয়া গেছে, যা এক ধরনের পাখিজনিত পরজীবী।
তবে ‘জিয়ারডিয়া ইন্টেসটাইনালিস’ পাওয়া গেছে শুধুমাত্র একটি মাটির নমুনায়, যা সেখানকার প্রাণী বা মানুষের মল থেকে এসেছে বলে মনে করেন অধ্যাপক সহিদুজ্জামান।
মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি ও প্রতিকার নিয়ে এই গবেষক বলেন, বস্তির মতো ঘনবসতিপূর্ণ ও অস্বাস্থ্যকর এলাকায় অন্ত্রপরজীবী জীবাণুর সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ তৈরিতে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা জরুরি। বিশেষ করে পশুপাখির মল নির্দিষ্ট জায়গায় সংরক্ষণ, সুপরিকল্পিত পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা এবং সচেতনতা বৃদ্ধির পাশাপাশি স্বাস্থ্যকর পরিবেশ গড়ে তুলতে পারলে এসব জীবাণুর সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যাবে।
গবেষণার সীমাবদ্ধতা ও ভবিষ্যৎ পরিকল্পনা বিষয়ে অধ্যাপক ড. সহিদুজ্জামান বলেন, ‘এই গবেষণা একটি পাইলট প্রকল্প হিসেবে পরিচালিত হয়েছে। অর্থাৎ এটি ছিল ছোট পরিসরে প্রাথমিক অনুসন্ধান। তবে এতে যে তথ্য-উপাত্ত পাওয়া গেছে, তা ভবিষ্যতে আরও বৃহত্তর ও বিস্তৃত গবেষণার জন্য ভিত্তি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।’
যদি দেশের অন্যান্য বস্তি অঞ্চল, গ্রামীণ এলাকা ও শহরের ঘিঞ্জি এলাকাগুলোতেও এ ধরনের গবেষণা চালানো যায়, তবে পরজীবী সংক্রমণের প্রকৃত চিত্র স্পষ্টভাবে উঠে আসবে বলে ধারণা তার।
সরকারি ও বেসরকারি পর্যায় থেকে পৃষ্ঠপোষকতা পেলে তারা আরও বিস্তৃত ও গভীর গবেষণায় এগিয়ে যেতে পারবেন বলে জানান এই গবেষক।
২২৫ দিন আগে
সনদ পেলেন সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের ১২ নেপালি শিক্ষার্থী
সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ১২ নেপালী শিক্ষার্থী স্নাতক সনদ পেয়েছেন। শুক্রবার (১৬ মে) স্নাতক ডিগ্রি অর্জনকারী নেপালি শিক্ষার্থীর হাতে সনদপত্র তুলে দেন বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য অধ্যাপক ড. আলিমুল ইসলাম।
উপাচার্য বলেন, ‘ছোট-বড় টিলা ঘেরা সবুজ-শ্যামল ক্যাম্পাস হিসেবে পরিচিতি পাওয়া সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় দেশীয় শিক্ষার্থীদের পাশাপাশি বিভিন্ন দেশের শিক্ষার্থীদের ভাল লাগার চারণভূমি হয়ে উঠছে।’
সে ধারাবাহিকতায় বিদেশি শিক্ষার্থীরা সিকৃবিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন শেষে নিজ নিজ দেশে গিয়ে কর্মক্ষেত্রে মেধার স্বাক্ষর রাখছেন বলেও জানান তিনি।
সনদপত্র গ্রহণকারী শিক্ষার্থীরা হলেন, ২০১৮ -২০১৯ শিক্ষাবর্ষের সিয়াম কুমার ইয়াদব, সুরাজ সাহা, দেবরাজ চৌধুরী, ধর্ম নারায়ন ইয়াদব, অস্মিতা রাই, রোজ কমল চৌধারী এবং ২০১৯- ২০২০ শিক্ষাবর্ষের অঙ্কিত গুরু, রেশমা থাপা, বিষ্ণু সাহী, মাধব কৈরালা, মিরাজ বহরা, সিরাজুল হামাল।
আরও পড়ুন: সাম্য হত্যার বিচারের দাবিতে শাহবাগ থানা ঘেরাও, আসামিদের গ্রেপ্তারে ৪৮ ঘণ্টার আলটিমেটাম
সনদপত্র প্রদান শেষে সিকৃবি উপাচার্য শিক্ষার্থীদের পড়াশোনায় মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানান। এসময় তিনি শিক্ষার্থীদের শিক্ষার পাশাপাশি সাহিত্য, সংস্কৃতি ও খেলাধুলায় পারদর্শিতা অর্জনেরও পরামর্শ দেন।
সিকৃবিতে ২০১৯ সালে ২০১৮-২০১৯ শিক্ষাবর্ষে ভেটেনারি, এনিমেল ও বায়োমেডিকেল সায়েন্সেস অনুষদে ৬ জন নেপালি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে ১৮৯ ক্রেডিট সম্পন্ন করে ডিভিএম ডিগ্রি অর্জন করেন। এছাড়া ২০২০ সালে ২০১৯ -২০২০ শিক্ষাবর্ষে কৃষি অনুষদে ৬ জন নেপালি শিক্ষার্থী ভর্তি হয়ে ১৯০ ক্রেডিট সম্পন্ন করে বিএসসিএজি স্নাতক ডিগ্রি অর্জন করেন।
সনদপত্র প্রদান অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. এটিএম মাহবুব ই ইলাহী, রেজিস্ট্রার অধ্যাপক ড. আসাদ উদ দৌলা, অর্থ ও হিসাব দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক মো. রুহুল আমিন, গণসংযোগ ও প্রকাশনা দপ্তরের পরিচালক কৃষিবিদ খসরু মোহাম্মদ সালাহউদ্দিন, প্রধান প্রকৌশলী অধ্যাপক ড. রাশেদ আল মামুন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের অতিরিক্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. সাখাওয়াত হোসেন, ডেপুটি রেজিস্ট্রার মোহাম্মদ গোলাম রসুল প্রমুখ।
২২৬ দিন আগে